All posts by Oporajita

 

ফেনীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা!স্বামী আটক

ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার বাশঁপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাত ৯টার দিকে কুপিয়ে ও জবাই করে আনজু মনোয়ারা মনি (৩৮) নামের এক গৃহবধুকে খুন করেছে স্বামী। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় নিজ কক্ষ থেকে স্বামী মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে(৪০) আটক করেছে পুলিশ ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ৮টা থেকে মনি ও হারুনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় তাদের কক্ষের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ওই দম্পতির দুই মেয়ে ডালিয়া (১২) ও মারিয়া (১১) অন্য একটি কক্ষে ছিল। রাত পৌনে ১০টায় শোরগোল, চিৎকার ও মনির আহাজারি শুনে আশ-পাশের বাসা-বাড়ির লোকেরা তাদের বাসার সামনে জড়ো হন। এরপর হারুনের ভাইসহ ও স্বজনেরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। ওই সময় পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় হারুনকে আটক করে।
রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মনির রক্তাক্ত নিথর দেহ খাটের নিচে পড়ে আছে। বিছানা ও দেয়ালে রক্তের ছাপ। নিহত মনির মুখ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তের কারণে আঘাতের স্থান বোধা যাচ্ছিল না। তবে, তার গলা ও বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত মনির বাবার বাড়ি একই উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের বেতাগা বলে জানা গেছে। পুলিশ নিহত মনির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

 

আজ ৭ই এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি (নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার, সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার)। খুব যুক্তিসঙ্গত কারণেই এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, খাবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগগুলো এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য অনুযায়ী প্রতিটি দেশে নিরাপদ খাদ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও গ্রহণ নিশ্চিত করে নিরাপদ থাকার ওপরই বিশেষভাবে জোর দেয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ৩০ শতাংশ খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে বাসায় তৈরি খাবার থেকে। আমেরিকায় ৭ দশমিক ৬ কোটি মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ভুগে থাকেন, যাদের মধ্যে ৩ লাখ ২৫ হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং এর মধ্যে ৫ হাজার জন মৃত্যুমুখে পতিত হন।

খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা বুঝি বিজ্ঞানসম্মতভাবে খাদ্য নাড়াচাড়া করা, তৈরি করা এবং গুদামজাত করা, যাতে খাদ্যবাহিত কোনো রোগ সংক্রমণ হতে না পারে। এখানে বলে রাখা ভালো, খাদ্য গ্রহণে মানুষ থেকে মানুষের দেহে, পশু থেকে মানুষের দেহে রোগ সংক্রমণ হতে পারে এবং খাদ্যের মধ্যে পরজীবী জীবাণু ছত্রাক বংশ বৃদ্ধি করে মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। নিরাপদ খাদ্যের মধ্যে বিশুদ্ধ পানিও অন্তর্ভুক্ত। সবার জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যে কোনো দেশের একটি মৌলিক অঙ্গীকার। খাদ্য নিরাপত্তা বলতে খাদ্যশস্য উৎপাদন, খাদ্যের লেভেলিং বা চিহ্নিতকরণ, খাবারের সঙ্গে এডিটিভ ও পেস্টিসাইড (কীটনাশক) ব্যবহার, খাবার গুদামজাতকরণ এবং বাজারে সরবরাহ ইত্যাদি সবকিছুকে বোঝায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সুখাদ্যের পাঁচটি বড় বৈশিষ্ট্য হল- ১. মানুষের মধ্যে, জীবজন্তুর মধ্যে, গৃহপালিত পশুর মধ্যে খাবারের সঙ্গে রোগ সংক্রমণকারী জীবাণু ছড়ানো বন্ধ করা। ২. কাঁচা ও সিদ্ধ করা খাবার আলাদা করা। যাতে সিদ্ধ করা খাবারে কোনো সংক্রামক জীবাণু না থাকে। ৩. খাবার সঠিকভাবে সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করা যাতে সব সংক্রমণ করা জীবাণু মরে যায়। ৪. খাদ্য সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা। ৫. সুপেয় পানি ও কাঁচামাল নিরাপদ করার ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, তত্ত্বীয়ভাবে খাবারে বিষক্রিয়ার ১০০ শতাংশ প্রতিরোধযোগ্য।

কী কী সংক্রমণকারী খাবার সংক্রমণ ঘটিয়ে রোগ সৃষ্টি করতে পারে

১. জীবাণু ঘটিত : ক) ক্লষ্টিডিয়াম বুটোলিনা (খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটে মৃত্যু হতে পারে), খ) এসকেকোলাইরিশিয়া (ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি), গ) সালমোনেলা (টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড), ঘ) লিষ্টেরিয়া, ঙ) ভিব্রিও কলেরা (কলেরা তৈরি হতে পারে)।

২. ভাইরাস ঘটিত : ক) এনটেরে ভাইরাস (পাতলা পায়খানা), খ) হেপাটাইটিস এ (জন্ডিস, পাতলা পায়খানা), গ) রোটা ভাইরাস (বাচ্চাদের পাতলা পায়খানা), ঘ) নরওয়াক ভাইরাস (বয়স্কদের পাতলা পায়খানা)।

৩. পরজীবী ঘটিত : ক) এনটামোয়েবা হিস্টোলাইটিকা (আমাশয়, পাতলা পায়খানা, বদহজম), খ) জিয়ারডিয়া (আমাশয়, পাতলা পায়খানা, বদহজম), গ) ক্রিপটোস্পোরি ডিয়োসিস।

৪. এলার্জিজনিত প্রদাহ : বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, বেগুন ইত্যাদি খাওয়ার কারণে।

খাদ্য নিরাপদ করার জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার

প্রতিটি উন্নত দেশে খাদ্য নিরাপত্তা তদারকির জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন- ফুড অ্যান্ড সেফটি অরগানাইজেশন, কাস্টমার-কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুনসহ খাদ্য অধিদফতর, কৃষি, স্বাস্থ্য অধিদফতর ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠান বছরে বিভিন্ন সময়ে সভায় বসে খাদ্য সঠিকভাবে উৎপন্ন হচ্ছে কি-না, জৈব-অজৈব রাসায়নিক সার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা ব্যবহৃত হচ্ছে কি-না, ফসল তোলার পর খাদ্য সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত বা গুদামজাত হচ্ছে কি-না, পরবর্তী সময়ে সেগুলো বড় বড় মার্কেটে এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কি-না, সর্বোপরি প্রক্রিয়াজাত উৎপাদিত খাবারে সঠিক খাদ্য উপাদান আছে কি-না- তার লেবেল যুক্ত করা, উৎপাদনের তারিখ এবং শেষ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করা এবং কত তাপমাত্রায় সার সংরক্ষিত করতে হবে তার উল্লেখ করা- এ সবকিছুর তদারক করে। এগুলোর উল্লেখ থাকার পরই তা জনসাধারণের কাছে সরবরাহের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর ব্যত্যয় হলে অথবা কোনো খাবার গ্রহণের ফলে কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে আক্রান্ত রোগীর সময়োপযোগী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সংক্রমিত খাবারটি বাজার থেকে তুলে নেয়া- এসব কাজও কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। এক্ষেত্রে সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও, সরকার, পেশাজীবী আইন প্রণেতা এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের একটি বড় ধরনের ভূমিকা আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে এ ধরনের তত্ত্বাবধায়ক অধিদফতরের সংখ্যা কম। যে কয়টি অধিদফতর আছে তাদের লোকবল অপ্রতুল। এ কারণে আমাদের দেশে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিচে উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করতে হবে-

১. খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা কী বুঝি এ বিষয়ে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা। ২. খাদ্য ও পানির মাধ্যমে কী কী রোগ সংক্রমণ হয় সে সম্পর্কে রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ইত্যাদিতে ডাক্তার, আইন প্রণেতা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সরকার ও পেশাজীবীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ। ৩. খাদ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা এবং সঠিক সময়ের জন্য সিদ্ধ করে খাওয়া। ৪. খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়া। ৫. যেসব রোগের টিকা আছে সেগুলোর জন্য প্রতিষেধক হিসেবে টিকা গ্রহণ করা।

এগুলো যথাযথভাবে পালন করা হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট সবাই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

(তথ্যসূত্র : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুলেটিন)

অধ্যাপক ডা. মো. তাহমিনুর রহমান সজল : উপাধ্যক্ষ, আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

 mtahminur@yahoo.com

 

চুলের রুক্ষতা দূর করুন সহজেই

রুক্ষ চুলের যন্ত্রণায় আমরা অনেকেই বিরক্ত থাকি,কিন্তু একটু খেয়াল করে চুলের যত্ন নিলেই কিন্তু এই সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া সম্ভব। অপরাজিতার এবারের সংখ্যায় থাকছে চুলের রুক্ষ দূর করতে কিছু টিপস,
চা এবং মেহেদি

তাজা মেহেদি পাতা বেটে এর মধ্যে ২/৩ টেবিল চামচ চায়ের লিকার দিয়ে রাখুন সারা রাত। পরের দিন ১টি ডিম, ৩ চা চামচ টকদই, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। এরপর হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ বার ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা দূর হবে একেবারে।

ডিম এবং ক্যাস্টর অয়েল

চুলে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে পরে। তাই ব্যবহার করুন এ প্যাকটি। ১টি ডিমের কুসুম, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ১ টেবিল চামচ মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট পরে ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহারে এতে চুলে পুষ্টি পৌঁছাবে এবং চুলের রুক্ষতা দূর হবে।

কলা এবং মেয়নেজ

দুটি পাকা কলা বাটিতে নিয়ে চামচের সাহায্যে পিষে নিন ভালো করে। এরপর এতে ২ টেবিল চামচ মেয়োনেজ এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন ভালো করে। এ মিশ্রণটি চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এবং ভালো করে ধুয়ে নিন। কলা চুল নরম এবং উজ্জ্বল করে তুলবে। ২টি কলা নিয়ে পিষে নিন ভালো করে। এরপর এতে ১টি ডিমের কুসুম এবং ১ চা চামচ তাজা লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেশান। এ মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ৩০-৪০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহারে চুলের রুক্ষতা দূর হবে দ্রুত। এ প্যাকটি চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে এবং চুল পড়াও বন্ধ করবে।

৫/৬টি স্ট্রবেরি ধুয়ে ব্লেনডারে ব্লেন্ড করে নিন, চাইলে চামচ দিয়ে পিষে নিতে পারেন। এতে ১টি ডিমের কুসুম, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণটি পুরো চুলে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

 

লীলা জানাহঃ২০১৪ সালের সেরা প্রতিভাবান নারী উদ্যোক্তা

২০১৪ সালের সবচেয়ে প্রতিভাবান উদ্যোক্তার মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়েছেন লীলা জানাহ। নিজের কোম্পানি ‘সামাসোর্স’ দিয়েই এই অবস্থানে আসেন লীলা। মূলত ডিজিটাল কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করার জন্যই তার এই প্রচেষ্টা।
৯ অক্টোবর, ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করা এই প্রতিভাবান নারী জীবনের প্রতি পদেই দিয়েছেন নিজের ব্যতিক্রমধর্মী মানসিকতার পরিচয়। ১৬ বছর বয়সে স্কলারশিপ পেয়েও তাতে না পড়ে ঘানায় শিক্ষকতা করার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং পরবর্তীতে ‘আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’-এর উপর ডিগ্রি নেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর কাজ করেন বিশ্বব্যাংক এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে।
নিজের মতো কিছু করা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের ইচ্ছা থেকেই মূলত ‘সামাসোর্স’-এর যাত্রা শুরু। নারী এবং তরুণ সমাজের কর্মসংস্থানের জন্যই এর কাজ করে চলা। ডিজিটাল ট্র্যান্সকিপশন, ইমেজ ট্যাগিং, কারিগরি জ্ঞান ইত্যাদি আরও অনেক ধরনের কাজের সুযোগ করে দেয় এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পর এটি প্রায় ৪০০০ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। গুগল, ই-বে, মাইক্রোসফট, লিঙ্কেডিন ইত্যাদি বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করেছে প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
‘কিছু মানুষ দারিদ্র্যসীমার এত নিচে বসবাস করে আর কিছু মানুষ এত অভিজাত জীবন যাপন করে যে, এই অসামঞ্জস্য আমার সহ্য করতে কষ্ট হয়। আমি যদি এই দরিদ্রদের জন্য কিছু করতে না পারি তাহলে আমি নিজেকেই সহ্য করতে পারব না। এই কারণেই আমি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যখন আমি অনুন্নত দেশগুলোতে কাজ করেছি, তখন সবার সাথে কথা বলার পর আমার মনে হয়েছে সবার প্রথম চাহিদা হলো চাকরি।’
লীলা প্রিক্স নেট-এক্সপ্লোরেটর অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন ফ্রেঞ্চ সিনেট থেকে ২০১০ সালে। এছাড়াও সামাসোর্সের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে আরও অনেক কিছু অর্জন করেন তিনি।
– ফোর্বস

 

এবার থেকে সন্তান জন্মের পর বাবারাও ছুটি নিতে পারবেন!

এবার থেকে সন্তানের জন্মের পর সরকারিভাবে ছুটি নিতে পারবেন ব্রিটেনের সদ্য বাবারা।
রবিবার নজীরবিহীন এক আইন জারি করে জানানো হয়েছে, ব্রিটেনে লিঙ্গ নির্বিশেষে ৫০ সপ্তাহ পর্যন্ত মাতৃত্বকালীন বা পিতৃত্বকালীন ছুটি নেয়া যাবে। এমনকি সন্তান দত্তক নিলেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
সরকারের অনুমান এই আইনে বছরে প্রায় দুই লক্ষ ৮৫ হাজার দম্পতি উপকৃত হবেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সন্তান জন্মানোর পর তার পুরো দায়িত্বটাই গিয়ে পরে মায়ের উপর। সদ্যজাতের লালন পালন করতে গিয়ে বহু সময় তাদের কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনেক সময় বাধ্য হয়ে সফল কেরিয়ার বা মাতৃত্বের মধ্যে যে কোনও একটাকে বেছে নিতে হয় নারীদের।
নতুন আইনের সাহায্যে, সন্তানের লালন পালনের দায়িত্ব এবার ৫০ সপ্তাহের ছুটির মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতেন পারবেন বাবা-মা দু’জনেই।
অন্তঃসত্ত্বা বা মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় কোনও নারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা ব্রিটেনে বেআইনি।
”বাড়িতে থেকে শুধুমাত্র মাকেই সন্তানের দেখভাল করতে হবে বহু প্রচলিত এই ধারাকে আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে হবে। বাবাদেরও একই দায়িত্ব পালন করা দরকার। আমরা এমন একটা সমাজ তৈরি করতে চাই যেখানে সন্তানের জন্মের প্রথম বছরে বাবা-মা দু’জনেই তার দেখভালের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেবেন।” জানিয়েছেন ব্রিটেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ।
– সানডে টাইমস।

 

শেষ হলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান

চলচ্চিত্রকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্থ ও সৃজনশীল ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দেশের নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সামাজিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে নির্মিত চলচ্চিত্রকে অবশ্যই সৃজনশীল ও শোভন হতে হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র একটি সৃজনশীল ও শক্তিশালী গণমাধ্যম। জনসাধারণের ওপর যার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। শিক্ষার প্রসার, মেধার চর্চা, সামাজিক কুসংস্কার দূর করা, জাতি গঠন এবং প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণেও চলচ্চিত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী হাতিয়ার।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আপনাদের অনুসরণ করে। সুতরাং সমাজের অন্য মানুষের চেয়ে আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি।
সম্প্রতি বেশ কিছু চলচ্চিত্র দেশে ও বিদেশে সাফল্য অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী এর প্রশংসা করে বলেন, ‘আমাদের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারি ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। সার্বিকভাবে এটা বলা যায় যে আমাদের চলচ্চিত্র এগিয়ে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সভাপতিত্ব করেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত¯সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তথ্যসচিব মর্তুজা আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।
অনুষ্ঠানে ২৫টি বিভাগে মোট ২৮ জন অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক ও কলাকুশলীকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ দেওয়া হয়। আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় বিশিষ্ট অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে তিনি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
গাজী রাকায়েত ও ফরিদুর রেজা সাগর প্রযোজিত মৃত্তিকা মায়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। প্রামাণ্যচিত্রে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করে সারাহ আফরিনের শুনতে কি পাও। মৃত্তিকা মায়া চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন তিতাস জিয়া। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে দুজন, মৃত্তিকা মায়ায় অভিনয়ের জন্য মৌসুমী এবং দেবদাস-এ অভিনয়ের জন্য শরমি মালা।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন শ্রেষ্ঠ পরিচালক গাজী রাকায়েত, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী অপর্ণা, শ্রেষ্ঠ খলনায়ক মামুনুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতা স্বচ্ছ, শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেত্রী সৈয়দা অহিদা সাবরিনা, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক এ কে আজাদ, শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (পুরুষ) চন্দন সিনহা, শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমীন, শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার কৌশিক হোসেন তাপস, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ, শ্রেষ্ঠ নাট্যরচনা গাজী রাকায়েত, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা শরীফুল ইসলাম রাসেল, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ, শ্রেষ্ঠ ফটোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম বাদল, শ্রেষ্ঠ শব্দ প্রকৌশলী কাজী সেলিম, শ্রেষ্ঠ কস্টিউম অ্যান্ড ডেকোরেশন ডিজাইনার ওহিদা মল্লিক এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান আলী বাদল।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিজয়ীদের সঙ্গে ছবি তোলেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

 

ফ্রান্সে জিরো ফিগার মডেলিং নিষিদ্ধ হচ্ছে

ফ্রান্সে ‘জিরো ফিগার’ মডেলিং নিষিদ্ধ হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি বিল ইতোমধ্যে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস হয়েছে। উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি পাস হলে দেশটির স্বাস্থ্য জগতে একটি বড় ধরনের পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে। ফ্রান্স এই ধরনের মডেলিংকে ‘বিপজ্জনক’   বলে উল্লেখ করেছে।
বিলটির উদ্যোক্তা এমপি এবং নিউরোলোজিস্ট অলিভার ভেরান জানান, আমি অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই করি। সরকার আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডে এই আইন বিরাট প্রভাব ফেলবে। কারণ মডেলিং জগতে চিকন স্বাস্থ্যের তথা জিরো ফিগারকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। স্বাস্থ্য চিকন করতে ফ্যাশন সচেতন মেয়েরা না খেয়ে থাকে যাকে বলা হয় ‘ডায়েট কন্ট্রোল’।
অলিভারের মতে, একজন মানুষ কাজের জন্য কখনো না খেয়ে থাকতে পারেন না। এ কাজে তাকে বাধ্য করা কোনভাবে সমর্থন করা যায় না। যেসব মেয়েরা না খেয়ে জিরো ফিগার বানানোর চেষ্টায় মেতে ওঠে তাদের অস্টিওপরোসিস রোগ এবং হার্টের সমস্যা হতে পারে। চিকিত্সকরা মেয়েদের ক্ষুধাহীনতা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, মেয়েরা প্রথম দিকে আরাম অনুভব করলেও যখন ক্ষুধাহীনতা থাকে না তখন তারা সমস্যাগুলো বুঝতে পারে। আইন অনুযায়ী, মডেলিং জগতে যেসব মেয়েরা যাবেন তাদের স্বাস্থ্য একজন চিকিত্সক দ্বারা পরীক্ষা করা হবে। তার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির মেয়ের ওজন হতে হবে ১২০ পাউন্ড। ক্ষেত্র বিশেষে সেটা ১১৫ পাউন্ডও হতে পারে। যেসব নিয়োগকর্তা এই আইন লঙ্ঘন করবেন তাদের ৮৩ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা এবং ছয় মাসের জেল হতে পারে। ইসরাইল এবং স্পেনেও এধরনের আইন আছে।
– এনডিটিভি

 

২০লাখ টাকার যৌতুক কেড়ে নিলো ওয়াহিদা সিফাতের প্রাণ!

অপরাজিতা ডেস্কঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ওয়াহিদা সিফাত (২৭) পাঁচ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী নগরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বেকার ছেলে আসিফকে। কিন্তু বিয়ের পর পাল্টে যেতে থাকে আসিফ। ব্যবসা করার জন্য বাবার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে সিফাতকে প্রায় চাপ দিতো। এতে সিফাত রাজি না হওয়ায় দিনের পর দিন তার ওপর চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। আর শেষ পর্যন্ত এ যৌতুকের কারণেই সিফাতকে প্রাণ দিতে হয়েছে।
গতকাল সকালে নগরীর রাজপাড়া থানায় করা মামলায় এমনই অভিযোগ করেন ওয়াহিদা সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন যৌতুকের দাবিতে হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে করা মামলায় সিফাতের স্বামী মো. আসিফসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলো সিফাতের শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান ও শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনধারী সিফাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরে চাকরির জন্য আবেদন করেন এবং নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকার পল্লবীতে পিতার বাসায় যাওয়ার জন্য ২৯শে মার্চ রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু ট্রেনের টিকিট কাটেন। হঠাৎ ওই দিন রাত সোয়া ১০টায় সিফাতের শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজান মোবাইল ফোনে সিফাতের ভাই আসিফুল ইসলামকে জানান, সিফাত মুমূর্ষু অবস্থায় তার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। এর ৫ মিনিট পর রমজান আবারও মোবাইল ফোনে জানান, সিফাত গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সে মারা গেছে।
সূত্র মতে, রোববার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতকে। তার দেড় বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এদিকে হাসপাতালে সিফাতের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, তার থুঁতনির নিচে এক ইঞ্চি পরিমাণ লালচে জখম ছিল। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের দেয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্টেও সিফাতের মাথায় জখমের প্রমাণ মিলেছে। সিফাতের গ্রামের বাড়ি রংপুর। তার পিতা আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক।
মামলায় সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার বলেন, সিফাতের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি মোহাম্মদ হোসেন রমজানকে রাত ১২টার দিকে ফোন দেন। ফোনে রমজান জানান, সিফাতকে তার স্বামী মাঝে মধ্যে মারপিট করতো। তিনি তা মীমাংসা করে দিতেন। বৃহস্পতিবারও মারপিট করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৩০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন। এ সময় তারা দেখেন সিফাতের মৃতদেহের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন এবং নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। এ ছাড়া মাথার ডান দিকে চোখের পাশে রক্ত জমাট বাঁধা আছে।

মামলায় দাবি করা হয়, যৌতুরে জন্যই সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে। এখন হত্যার ঘটনাকে আড়াল করতে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সিফাতের মৃত্যুর পরদিন আটক তার স্বামী আসিফকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ

 অপরাজিতা ডেস্কঃ আজ বুধবার ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা’ দিবস। সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। এই উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অটিস্টিক ব্যক্তিদের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিত্তবান ও সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। অষ্টম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে বুধবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই আহবান জানান। খবর: বাসসের।
আবদুল হামিদ বলেন, অটিস্টিক ব্যক্তিদের সার্বিক উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। কিন্তু এটি কোন একক কাজ নয়। এ বিষয়ে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিত্তবান ও সচেতন ব্যক্তিবর্গসহ সকলেই অটিস্টিক ব্যক্তিদের উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্তসহ তাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে এগিয়ে আসবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি বৈষম্যহীন সমাজ তৈরিই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সকলকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে আমরা একটি সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
রাষ্ট্রপ্রতি বলেন, অটিস্টিক শিশুরা আমাদেরই সন্তান। তাদের পরিপূর্ণ পরিচর্যার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনধারায় সম্পৃক্ত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন জনগণের মধ্যে অটিস্টিক শিশুদের যত্ন, পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আবদুল হামিদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে ‘৮ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত এবং দেশের সকল অটিস্টিক শিশু, তাদের অভিভাবক এবং তাদের নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি, সংগঠন, প্রতিষ্ঠানসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
একই সাথে তিনি ‘৮ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০১৫’ এর সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এদিকে ‘অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পাশাপাশি দেশী-বিদেশী সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজ ও বিত্তবানদের প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে দেয়া বুধাবর এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর: বাসসের।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন, ঢাকার মিরপুরে জাতীয় বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ, ৬৪ জেলায় ৬৮টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিজম রির্সোস সেন্টার স্থাপন করেছি।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
শেখ হাসিনা বলেন, অটিজমসহ সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা মানব বৈচিত্র্যেরই অংশ। ভিন্ন মানব বৈচিত্র্যের এ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সার্বিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস, অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে গড়ে তোলা হলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা না হয়ে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনবে।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এই জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে গত ছয় বছরে আমাদের সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা ‘নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩’, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩’, ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত শিক্ষা নীতিমালা ২০০৯’ ও ‘প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র পরিচালনা নীতিমালা ২০১১’ প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ২ এপ্রিল ২০১৫ ৮ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, অটিস্টিক শিশু-কিশোর, তাদের পরিবার ও পরিচর্যাকারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অটিজম সচেতনতা থেকে সক্রিয়তা, একীভূত সমাজ গঠনে শুভ বারতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্লোবাল অটিজম পাবলিক হেলথ ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ-এর জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা হোসেন ২০১২ সালে জাতিসংঘে অটিস্টিক শিশু ও তার পরিবারের সহায়তায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ‘অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তার পরিবারের জন্য আর্থ-সামাজিক সহায়তা’ শীর্ষক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। যা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়।
প্রধানমন্ত্রী ৮ম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৫ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

 

রাজধানীতে বাসায় ঢুকে কলেজ শিক্ষিকাকে পুড়িয়ে হত্যা!

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর নামে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে বিআরটিএ কর্মকর্তা শীতাংসু শেখর বিশ্বাসের স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী মণ্ডলকে (৩৫) কুপিয়ে ও গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে এক ব্যক্তি। এ সময় শীতাংসু শেখর বিশ্বাস, বড়মেয়ে শ্রুতি বিশ্বাস (১৭) ও ছোট মেয়ে অত্রি বিশ্বাস (৯) আহত হন। তারা বর্তমানে মহাখালী মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। শীতাংসু শেখর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) উপ-পরিচালক এবং কৃষ্ণা কাবেরী মোহাম্মদপুর মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজে শিক্ষকতা করতেন।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএ কর্মকর্তা শীতাংসু শেখর বিশ্বাস পরিবার নিয়ে মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের ৩/১২ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। গত সোমবার রাত ৯টায় জাকির নামে তার পরিচিত এক ব্যক্তি জন্মদিনের কেক নিয়ে ওই বাসায় প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি রড দিয়ে বিআরটিএ কর্মকর্তা শীতাংসু শেখর বিশ্বাসের মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় ওই ব্যক্তি বাসার সবাইকে পেটাতে ও কোপাতে থাকে। কৃষ্ণা কাবেররি মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের চিত্কারে প্রতিবেশীরা বাসার সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামলীর কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কৃষ্ণা কাবেরীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোর তিনটার দিকে চিকিত্সাধীন কৃষ্ণা কাবেরি মারা যান।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, শীতাংসু ও তার দুই মেয়ে এবং পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে হাজী আহমেদ সিকিউরিটিজ নামের একটি ব্রোকার হাউসের ম্যানেজার জাকির একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, ব্যবসায়িক বিরোধ এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা প্রকৌশলী সাবের আহমেদ জানান, চিত্কার শুনে তিনি দরজা খুলে দেখেন শীতাংসু ও তার দুই মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার বাসার দরজার সামনে। তাদের তাড়াতাড়ি বাসার ভেতরে নিয়ে যান। এসময় এক মেয়ে তার মাকে বাঁচানোর অনুরোধ করলে তাদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ায় পুরো ঘর আচ্ছন্ন। পরে বাসা থেকে পানি এনে নেভানোর চেষ্টা করা হয় এবং পর্দার পাশে দগ্ধ ও রক্তাক্ত অবস্থায় কৃষ্ণা কাবেরি মণ্ডলকে পাওয়া যায়।

নিহতের পারিবারিক একটি সূত্রের দাবি, শীতাংসু শেখর বিশ্বাসের সঙ্গে খান জাকিরুল নামে এক ব্যবসায়ীর পূর্ব পরিচয় ছিল। গত সোমবার সন্ধ্যায় কেক, ফল ও জুস নিয়ে শীতাংসুর মোহাম্মদপুরের বাসায় যায় জাকিরুল। শীতাংসুর পরিবারের সদস্যরা ফল ও জুস খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর জাকিরুল তাদের হাত বেঁধে সবাইকে পেটান। মারধরের পর সে ঘরের ভেতর আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছিল।

 

নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, শ্রমের মূল্যায়ন, নারীর কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এখনো দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

11096847_907862292611132_366773060_o

বাংলাদেশে শিক্ষা, জাতীয় সংসদে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও নারী পরিবার বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে। অন্যদিকে নারী নির্যাতনের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, শ্রমের মূল্যায়ন, নারীর কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এখনো দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাই নারীর অধিকার অর্জনে যেতে হবে বহুদূর। নিতে হবে বিভিন্ন কৌশল।
গতকাল রোববার জেন্ডার ও উন্নয়নবিষয়ক ‘জেন্ডার, ডাইভারসিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের শেষ দিনের আলোচনায় আলোচকেরা এসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, নারীর অধিকার আদায়ে শুধু নারী চিৎকার করলেই হবে না, এ ক্ষেত্রে পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সহায়তা করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ, ইউএসএআইডি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, কেয়ারসহ বিভিন্ন সংস্থা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি পুরুষ। তবে আমি পুরুষের পক্ষে নই। আমি নারীর পক্ষে।’ এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান তানিয়া হক। সমাপনী অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো রওনক জাহান বলেন, কয়েক দিন আগেই জাতীয় সংসদের একজন পুরুষ সাংসদ পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে একটি আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছেন। তার মানে নারীর অধিকার আদায়ে যেতে হবে আরও বহুদূর। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নারীর শ্রমের কোনো মূল্য দেওয়া হয় না। নারীর কাজের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন নেই। আর এর ফলেই নারীর ওপর নির্যাতন কমছে না।

11086542_907862659277762_2052500801_o
ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, সমাজে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য থাকলে একটি স্বাস্থ্যবান সমাজ গড়া সম্ভব নয়। একইভাবে তা কখনোই গণতান্ত্রিক সমাজ হিসেবে দাবি করতে পারবে না। গোলটেবিল বৈঠকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশ ভালো ভালো নীতি ও আইন প্রণয়নের জন্য প্রশংসিত। তবে সেসব নীতি ও আইনের বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয় না। তিনি ১৯৯৭ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিকে পরবর্তী ২০০৪ সালের সরকার কীভাবে গোপনে পরিবর্তন করে ফেলে, সে কথা উল্লেখ করেন। ১৯৯৭ সালের নীতিতে উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে নারীর সম-অধিকারের কথা উল্লেখ থাকলেও ২০১১ সালের নীতিতে সে বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ফর উইমেনের আঞ্চলিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর চাঁদনি জোসি, আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাসকিয়া ই ওয়াইয়েরিঙ্গা, ভারতের জেন্ডারবিশেষজ্ঞ অমৃতা চাচসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নাজমা চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

নারীর ভূমি অধিকার ও গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রাজধানীতে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, নারী-পুরুষের সামাজিক অবস্থান নির্ধারিত হয় ভূমি মালিকানার ওপর ভিত্তি করে। নারী ক্ষমতায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা ভূমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তবে ভূমিতে নারীর অধিকার নানাভাবে উপেক্ষিত একটি বিষয়। এ অবস্থায় নারীর ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমকে বিশেষ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন তারা। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)’র উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র-এ কর্মশালার আয়োজন করে।
‘নারীর ভূমি অধিকার এবং গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক তিনদিনের কর্মশালা গতকাল রবিবার শেষ হয়। ঢাকাস্থ এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ অডিটোরিয়াম-এ নারীর ভূমি অধিকার বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জানার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে এবং তাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মশালা প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৩৩ নারী সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রথম দিনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা এবং নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনু। প্রথম অধিবেশনে ‘সমকালীন বাস্তবতায় নারীর ভূমি অধিকার:জনসচেতনতার গুরুত্ব’ নিয়ে আলোচনা করেন এএলআরডি’র চেয়ারপার্সন এবং নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী নারী নেত্রী খুশি কবির। প্রচলিত উত্তরাধিকার আইন, ভূমি জরিপ, জমি-জমার কাগজপত্র ও পরিভাষা পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করেন যথাক্রমে এএলআরডি’র কর্মকর্তা রফিক আহমেদ সিরাজী এবং মির্জা মো. আজিম হায়দার। ভূমি-সম্পদে নারীর মালিকানা, কৃষিতে নারীর অবদান, নারীর প্রতি বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করেন দিল মনোয়ারা মনু।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদ, এএলআরডি’র কর্মকর্তা সানজিদা খান রিপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. সীমা জামান, প্রথম আলোর ডেপুটি চিফ রিপোর্টার শিশির মোড়ল।

 

বয়সের তুলনায় দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে আপনার শিশুর ওজন?

অর্ণবের বয়স নয় বছর। দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছে। তার ওজন ৪৯ কেজি। ক্লাস ফোরে পড়ে। ক্লাসে সে সবার চেয়ে মোটা ও লম্বা, বাড়ন্ত শরীর। মাঝেমধ্যে এর জন্য বিব্রত হতে হয়। মা-বাবাও উদ্বিগ্ন। বুঝতে পারছেন না কী করবেন। এই যে বয়সের তুলনায় ওজন অনেক বেশি, এটাকে আমরা বলি ওবেসিটি বা স্থূলতা।

শিশু ও কিশোরদের মধ্যে স্থূলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সন্তানের অস্বাভাবিক স্থূলতা কমাতে দায়িত্ব আছে আপনারও। এ নিয়ে লিখেছেন সাজেদুল ইসলাম শুভ্র
শিশুরা আজকাল খুব একটা খেলাধুলা ছোটাছুটির সুযোগ পায় না। বাড়িতে বসে ইন্টারনেট সার্ফ বা ভিডিও গেম খেলা বা টেলিভিশন দেখাটাই তাদের কাছে প্রধান আর্কষণ। এ রকম শারীরিক শ্রমহীন জীবনযাপনের জন্য বাচ্চার ওজন বাড়তে থাকে এবং ক্রমশ তারা ওবেসিটির দিকে এগোয়। টিভি দেখা বাচ্চাদের কাছে অ্যাডিকশনের মতো। খেলাধুলা ছেড়ে বাড়িতে বসে টিভি দেখতে বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে। টিভি দেখতে দেখতে চিপস, চকলেট, পপকর্নের মতো মুখরোচক খাবার খাওয়া এখন রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

kid-computer kidsgames

একদিকে ক্যালরি গ্রহণ বৃদ্ধি, অন্যদিকে খেলাধুলোর প্রতি অনীহা, সব মিলিয়ে ওজন দ্রুতহারে বাড়তে থাকে। বাচ্চাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় তারা কী খেতে ভালোবাসে, বেশিরভাগ বাচ্চাই উত্তর দেবে—চকলেট, কোল্ড ড্রিংক, আইসক্রিম, রোল, কেক, পেস্ট্রি। এক কথায় জাঙ্ক ফুড। এসব খাবারের মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে, যা ওজন বাড়িয়ে দেয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে যদি শিশুর ঘুমের পরিমাণ কম হয় তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ওজন বাড়তে পারে ও শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিণতিতে শিশুটি স্থূলতায় আক্রান্ত হতে পারে। ছোটবেলায় শিশুর কম ঘুম স্থূলতা ও চর্বি বাড়ার একটি প্রধান কারণ। তিনি জানান, শিশুর ওজনের ওপর ঘুমের কী প্রভাব পড়ে সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত, ঘুমের পরিমাণ কম হলে ছোটবেলায় তা শিশুদের ওপর খারাপ প্রভাবই ফেলে।
এ ছাড়া, মাতৃদুগ্ধের চেয়ে কৌটার দুধে প্রোটিন অনেক বেশি থাকে। যেসব শিশুকে বোতলে করে কৌটার দুধ খাওয়ানো হয় তারা খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। উদ্বেগের কারণ হচ্ছে, এসব শিশুর শরীরে মাত্রাতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে এবং শৈশবেই তাদের স্থূলকায় হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। মায়ের দুধের গুরুত্বকেই ঊর্ধে তুলে ধরা হয় তাই। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখা এবং তাদের অস্বাভাবিক মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে শিশুদের ফর্মুলা দুধে প্রোটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

করণীয়
বাচ্চাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে উত্সাহিত করুন। সুষম খাদ্যের ওপর নজর দিন। লক্ষ রাখবেন খাদ্যে যেন প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল পরিমাণমতো থাকে। কোনো কিছুরই আধিক্য যেন না থাকে, তা হলেই বাচ্চা ভালোভাবে বেড়ে উঠবে। টিভি দেখতে দেখতে বাচ্চার চিপস, সফট ড্রিংক খাওয়ার অভ্যাসকে প্রশ্রয় দেবেন না। আউটডোর গেমস খেলতে বাচ্চাকে উত্সাহ দিন। বাড়িতে জাঙ্কফুড খাওয়ার অভ্যাস কমান।

Healthy-Baby-Snacks

বাচ্চাকে বাড়ির খাবার সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে খেতে দিন, যাতে বাইরের খাবারের প্রতি আর্কষণ কমে যায় । একটু বড় হয়ে শিশুরা কিছু কাজ বাসায় করতে পারে; যেমন—নিজের বই-খাতা, ব্যাগ, কাপড় গুছিয়ে রাখা, ঘর পরিষ্কার করা, বাসায় অন্যান্য কাজে মা-বাবাকে সাহায্য করা। কিন্তু আজকের শিশুরা এসব কাজে কোনো আগ্রহ দেখায় না। এমনকি নিজের কাজেও অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকে। শিশুর ওজন বেড়ে গেলে পরবর্তী সময়ে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে অনেক মা-বাবাই সচেতন নন।

সূত্র- ইত্তেফাক।

 

৯জন নারীকে এলজিইডির সম্মাননা প্রদান

পল্লী উন্নয়ন, পানি সম্পদ উন্নয়ন ও নগর উন্নয়ন তিনটি শাখায়  আত্মনির্ভরশীল সফল নয়জন নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। জানাচ্ছেন সেলিম হোসেন
আত্মনির্ভরশীল সফল নয়জন নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন পল্লী উন্নয়নে ক্রমানুসারে পেয়ারা বেগম, মাহফুজা পারভীন, ছামেনো। পানি সম্পদ উন্নয়ন ক্রমানুসারে কাবিরন নেসা, ময়না আক্তার, সুলতানা আক্তার এবং নগর উন্নয়নে বুলিনা খাতুন, সাহিমা বেগম, শামিমা নাসরিন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক। সভাপতিত্ব করেন এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এলজিইডি জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের উপ-প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা আসমা খাতুন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে নারীর যে সকল মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে সরকারের একা কাজ করলে হবে না। একইভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আবদুল মালেক বলেন, জেন্ডার বৈষম্য দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। সুতরাং পুরুষের পাশাপাশি নারীর উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের তিন আমলে নারীদের অধিকার সবচেয়ে বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে।  ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের চেয়ে নারীর অধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শ্যামা প্রসাদ অধিকারী বলেন, জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী সমাজের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে এলজিইডি দুস্থ নারীদের উন্নয়নে কাজ করছে। বর্তমানে এলজিইডি ৩ লাখ নারীর আত্মকর্মসংস্থান করেছে।
সৈয়দা আসমা খাতুন বলেন, এবছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন। সে লক্ষ্যে এলজিইডির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী শিশু সন্তান নিয়ে যাতে ভালোভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা করছে।

 

ঢাকায় শুরু হয়েছে ২য় আন্তর্জাতিক নারী চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৫

safe_image.php

নারীর সংগ্রাম, সম্ভাবনা ও বেদনার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রগুলো। এগুলো বানিয়েছেনও নারীরা। আর এসব চলচ্চিত্র নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবে থাকছে বাংলাদেশের পাঁচ নারী নির্মাতার তৈরি ছবি।

inter02

গতকাল শনিবার বিকেলে এই উৎসবের উদ্বোধনী দিনে দেখানো হয় সামিয়া জামান পরিচালিত আকাশ কত দূরে ছবিটি। সামিয়া জামান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো উৎসবের প্রথম দিন ছবিটি দেখানো হয়েছে, সেটা আমার জন্য আনন্দের ব্যাপার। আরও একবার দর্শকেরা ছবিটি দেেখছেন, এটা ভেবে ভালো লাগছে।’

10710913_10153389094179523_2766351891100278980_n
উৎসবে দেখানো হবে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত ফারজানা ববির প্রামাণ্যচিত্র বিষকাঁটা। ৪৩ বছরের দীর্ঘ নীরবতার পর এই প্রামাণ্যচিত্রে শোনা যাবে মুক্তিযুদ্ধের তিন বীরাঙ্গনার কণ্ঠস্বর। প্রামাণ্যচিত্রটি নিয়ে নির্মাতা ফারজানা ববি জানান, অন্য অনেকগুলো দেশের চলচ্চিত্রের সঙ্গে ছবিটি দেখানো হবে, এটা একটা বড় ব্যাপার। এতে দেশগুলোর সঙ্গে একটা যোগাযোগ সৃষ্টি হবে, সেটাই ইতিবাচক।
প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নবীন নির্মাতা ইসমত জেরিন। তাঁর বানানো ছবি মনোফুল প্রথমবারের মতো একটি উৎসবে দেখানো হবে, এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি।
ফাইট অ্যাসিড ভায়োলেন্স নামের একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন শাহীদা আখতার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বেশ কয়েকটি স্থানে দেখানো হলেও বাংলাদেশে এবারই প্রথম দেখানো হচ্ছে।
উৎসবে দেখানো সব চলচ্চিত্রে নারীই মূল বিষয় হলেও একমাত্র ইয়াসমিন কবিরের শেষকৃত্য ছবিটি ভিন্ন। জাহাজভাঙা–শিল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্রটি। উৎসবের ছবিগুলো দেখা যাবে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন ও মূল মিলনায়তনে ১৭ মার্চ পর্যন্ত।

সূত্র- প্রথম আলো।

 

২৯জন অগ্রগামী নারীকে সম্মাননা প্রদান

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৫ এর প্রতিপাদ্য হলো “নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন: তৈরি করুন চিত্ররূপ” । আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ইউএনডিপি ও ইউএসএআইডি এর কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে গতকাল ০৯ মার্চ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২৯ জন অগ্রগামী নারীদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের জেন্ডার সংক্রান্ত রূপরেখা উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া নারীদের নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র, ছবি প্রদর্শনী এবং স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সাহসী নারীদের গল্প তুলে ধরা হয়। জেন্ডার  নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের লোকাল ডেভলপমেন্ট এক্সপার্ট সুপর্ণা রায়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন ট্যামেসিস বক্তব্য প্রদান করেন।
এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার। সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যমকর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র- বাসস।

 

নারী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

জাতীয় জীবনে নারীর সমান অধিকারের দাবিতে সদস্য দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত এবং নারী এনজিও কর্মীদের অংশগ্রহণে স্থানীয় সময় রবিবার নিউইয়র্কে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
বিকাল সাড়ে তিনটায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে ড্যাগ হ্যামারশোল্ড প্লাজা থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা। প্রায় দুই মাইল পথ পেরিয়ে নিউইয়র্কের ব্যস্ততম টাইমস স্কয়ারে গিয়ে তা শেষ হয়। প্রায় ২০ হাজার নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে এ শোভাযাত্রার সামনের দিকেই ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রগতির তথ্য সংক্ষেপে জাতিসংঘ মহাসচিবকে অবহিত করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এসময় বান কি মুন বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে নারীর উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন, তার সহধর্মিনী ইউএন উইমেনের সদস্য সেলিনা মোমেন, যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমেদ, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নাজমা আক্তার, উদ্বাস্তু ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান রানা, সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জেসমীন প্রেমা, মানবাধিকার আইনজীবী অশোক কর্মকার, সমাজকর্মী সবিতা দাসসহ শতাধিক বাংলাদেশি এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
লিঙ্গ সমতা এবং নারী অধিকারের প্রশ্নে ১৯৯৫ সাল থেকেই জাতিসংঘের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এবারের শোভাযাত্রা থেকেও ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বস্তরে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংকল্প ব্যক্ত করা হয়।
সূত্রঃ বাসস।

 

সফল নারী উদ্যোক্তা বেবি হাসান

ঘটনাটা ৩১ বছর আগের। এক তরুণী জীবিকার তাগিদে কাজ নেন পোশাক কারখানায়। মাননিয়ন্ত্রণকর্মী িহসেবে ৮০০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু। কাজে যোগ দিয়ে কিছু সময় যেতেই নিজের ভেতরই যেন পরিবর্তনের ডাক পেলেন—এভাবে হবে না। এগোতে হলে শিখতে হবে মেশিনের কাজ। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ধরলেন মেশিন। কাজের দক্ষতায় পেতে থাকেন পদোন্নতি। এবার সচল হলো স্বপ্নও। পোক্ত হয়ে একসময় কাজ ছেড়ে নিজেই গড়লেন প্রতিষ্ঠান। শূন্য হাতে শুরু করে তিনি এখন সফল উদ্যোক্তা। তাঁর নাম বেবি হাসান। বিএস অ্যাপারেল নামের একটি বায়িং হাউসের কর্ণধার তিনি।
নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে সফল উদ্যোক্তাদের একজন হয়েছেন বেবি হাসান। তাঁর অধীনেই কাজ করছেন প্রায় অর্ধশত কর্মী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানির কাজ করে তাঁর প্রতিষ্ঠান। বছরে লেনদেন প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
সফল ব্যবসায়ী হবেন, এমন কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে কর্মজীবন শুরু করেননি বেবি। অনেকের মতো তাঁরও শুরুটা জীবিকার তাগিদেই। এসএসসি পাস করার পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে ১৯৮১ সালে বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। বিয়ের পরবর্তী বছর জন্ম নেয় কন্যাসন্তান। স্বামীর আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। তাই সংসারে কিছুটা স্বস্তি আনতে নিজেই চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে পরিবারের কেউ উৎসাহ না দেখালেও পরে অবশ্য মেনে নিয়েছেন। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পোশাক কারখানায় কাজ করেন বেবি। একসময় উৎপাদন পরিচালকের দায়িত্বও পান।
সে সময়গুলোর কথা উঠতেই বেবি হাসানের চেহারায় দৃঢ়তা। বললেন, ‘দিনে ১৪ ঘণ্টা করে কাজ করতাম। সকাল আটটায় কাজ শুরু হতো, ফিরতাম রাত ১০টার দিকে। কোনো দিন কাজে অবহেলা করিনি। শুরুতে অনেক দূর যেতে হবে এমন লক্ষ্য ছিল না, তবে যখন কাজটাকে ভালোবেসে ফেললাম, তখন স্থির করলাম একটা পর্যায়ে যেতে হবে।’
নব্বইয়ে দশকের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠান বদলে একটি বায়িং হাউসে যোগ দেন বেবি। পাশাপাশি টুকটাক এ–সংক্রান্ত ব্যবসাও শুরু করেন। ২০০০ সালে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের একটি সংগঠনের সদস্য হন তিনি। হাতে তেমন নগদ টাকা ছিল না, তাই দ্বারস্থ হন ব্যাংকের। দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে হালিশহর কে ব্লকে ‘বিতনু’ নামের একটি বুটিকের শোরুম খোলেন। ওই বছরই চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইম্যান এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন (উই)। ওই সংগঠনের সদস্য হন বেবি। ২০০০ সালের শেষের দিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রায় ২০ জন অংশ নেন কলকাতার একটি কুটিরশিল্প মেলায়। সেখানে গিয়েই চোখ খুলে যায় তাঁর। তিনি বলেন, ‘ওই মেলায় গিয়েই ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। কী করে জানি সেদিনই ব্যবসার পোকা ঢুকে যায় মাথায়। মনস্থির করি, আমাকে ব্যবসায় সফল হতে হবে।’
২০০২ সালে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে একটি বায়িং হাউস দাঁড় করানো শুরু করেন। এরপর ২০০৯ সালে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন বিএস অ্যাপারেল নামের পৃথক বায়িং হাউস। বছর বছর এই প্রতিষ্ঠানের কলেবর বাড়ছে। মা বেবি হাসানের সঙ্গে ছেলে সালাহউদ্দিন চৌধুরীও সম্প্রতি ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন।
প্রায় শূন্য থেকে আজকের অবস্থানে আসার কৃতিত্বের ভাগ বেবি হাসান দিতে চান আরও দুজন নারীকে। একজন তাঁর মা ফরিদা খাতুন, অন্যজন ব্যবসায়ী নেতা মনোয়ারা হাকিম আলী। ১৯৯৮ সালে অসুস্থতায় ভুগে বেবি হাসানের মা মারা যান। মেয়ের চূড়ান্ত সাফল্য মা দেখে যেতে পারেননি, এই কষ্টই এখন তাড়িয়ে বেড়ায় তাঁকে। বেবি হাসানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হলেও তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে।
চাকরির পাশাপাশি সংসারের দেখভাল করতে হয়েছে। ফলে অবসর বলে কিছু ছিল না। কিন্তু তাতে দুঃখ নেই বেবির। তিনি বলেন, চাকরি বা ব্যবসা মেয়েদের জন্য খুব কঠিন, এমনটি কখনো মনে হয়নি। চেষ্টা থাকলে যেকোনো নারীই ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন।’ এসব কথা যখন বলছিলেন, তখন বেবির মুখে সাফল্যর তৃপ্তির হাসি। বললেন, ‘পরিচিত কোনো মেয়ে যখন চাকরি করার কথা বলেন, আমি তাঁদের উৎসাহ দিই ব্যবসা করো। কারণ, আমাদের একটাই লক্ষ্য, চাকরি করব না, চাকরি দেব।’

সূত্র- প্রথম আলো।

 

আজ বিশ্ব নারী দিবস

অপরাজিতা ডেস্কঃ  ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’
আমাদের জাতীয় কবির রচনায় নারীর এ বীরত্বগাথায় কোনো বাহুল্য নেই। নারীর ভূমিকা সমাজ-সভ্যতার অগ্রযাত্রার ইতিহাসে সমান্তরাল। আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অপরাজিতাবিডি ডট কম এর পক্ষ থেকে থাকছে সকল শ্রেনীর নারীদের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা। নারী দিবসের ইতিহাসের দিকে একটু তাকালে আমরা দেখতে পাই,

১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী কারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে নারী দিবসের পটভূমি রচিত হয় এরও অর্ধশতাধিক বছর আগে। সেই দিনটি ছিল ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে দিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি সুই কারখানার নারী শ্রমিকেরা দৈনিক শ্রম ঘণ্টা ১২ থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় নির্ধারণ, ন্যায্য মজুরি ও কর্মেেত্র সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হন।
আন্দোলন করার অভিযোগে তাদের অনেককে আটক করা হয়। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেক নারীশ্রমিক। তিন বছর পর ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার। এর পর থেকেই সারা বিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে আসছে। জাতিসঙ্ঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন শুরু করে।
এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসঙ্ঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর পর থেকে নানা আয়োজনে নারীর অধিকার আদায়ের প্রত্যয়ে পালিত হয় দিনটি।
বাংলাদেশেও প্রতিবছর বেশ আয়োজনের সাথে পালন করা হয় নারী দিবস। এ বছরে নারী দিবসে জাতিসংঘের স্লোগান ‘নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন’। এই প্রতিপাদ্য বিষয়ই ইঙ্গিত দেয় যে ক্ষমতায়নের বিচারে পুরুষের তুলনায় নারী আজও পিছিয়ে আছে এবং মানবতার অগ্রযাত্রার স্বার্থেই এ বৈষম্যের বিলুপ্তি কাম্য।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই সময়ে এসে আমরা দেখতে পাই,নারীর ক্ষমতায়নের নানান রকমের বৈষম্য এবং নির্যাতনের নিত্য নতুন রূপ পালাক্রমে বাড়ছে! এর একটা অন্যতম কারণ,নারী কে সমঅধিকারের নামে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।
তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে। নারীর নিরাপত্তায় আইনি সুরক্ষা মজবুত হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপসহ নানা রকমের সহিংসতা দমনে রাষ্ট্র ও সমাজের ব্যর্থতা ঘোচেনি, বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা প্রকট হয়েছে। পথে-ঘাটে ও কর্মক্ষেত্রে তো বটেই; ঘরের ভেতরেও নারীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা দূর হচ্ছে না।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ২০১৪ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী,দেশে গত এক বছরে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে চার হাজার ৬৫৪ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৩৯টি। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৯৯ জনকে। অন্যদিকে মানবাধিকার কমিশনের দাবী,ধর্ষন সংখ্যা ছিলো ১৫৫টি।
আমরা নারীর ন্যায্য অধিকার চাই,সঠিক ক্ষমতায়ন চাই। ক্ষমতায়ন হতে হবে সর্বত্র এবং এ ক্ষেত্রে শিক্ষাই হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কারণ শিক্ষায় ভর করে একজন নারী নিজের পায়ে দাঁড়ায়। পারিবারিক, সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও পুরুষতান্ত্রিক কুসংস্কারকে অস্বীকার করারও শক্তি জোগায় শিক্ষা। নারী-পুরুষের মিলিত প্রয়াসে আসবে সর্বজনীন প্রগতি- সে প্রতীক্ষাই করছি।

 

অবহেলায় মাতৃত্ব,সন্তান হলো বোঝা=তথাকথিত আধুনিক সমাজ!

ফাতেমা মাহফুজঃ পত্রিকার ছোট একটা কলামে চোখ পড়লো। লেখা- “বিকল্প শিশুখাদ্য আইন- ফাঁকফোকরে কারণে প্রয়োগ হয় না। এদিকে ২০১৩ সালে শিশু খাদ্য আইন মতে- মাতৃদুগ্ধের বিকল্প শিশু খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিক্রির জন্য কোনো ধরণের সেমিনার সিম্পোজিয়াম করা যেমন নিষিদ্ধ তেমনি এ পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে শিশুদের নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতাও আয়োজন করা যাবে না”। যদিও যত্রতত্র এই আইন আমান্য হচ্ছে এবং শাস্তি প্রয়োগ হচ্ছে না।যেমন মার্কস ( মাতৃদুগ্ধের বিকল্প দুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানী) শিশুদের নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে নিজের পণ্যের প্রচার করছে। এদিকে ডাক্তারসহ সচেতন মা-বাবা জানে শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধের বিকল্প নেই। বোতলজাত দুধ শিশুর জন্য যেনো নিরব ঘাতক (স্লো পয়জন)। তাই শিশু জন্মের পর মা একেবারে অসুস্থ থাকলে, অন্য কোনো মহিলাকে দিয়ে হলেও সেই প্রয়োজনটা মেটানো পিতার কর্তব্য। এদিকে বিজ্ঞ চিকিৎসকেরা শিশুকে বোতলজাত দুধ না দেয়ার কথা বললেও- সমাজে একটা কথা প্রচলিত যে- প্রথম ৪০ দিনের মধ্যে শিশুর মুখে বোতলের দুধ না দিলে সে আর বাইরের দুধ খেতে চাইবে না, কান্নাকাটি করবে, তাকে রেখে কাজে যাওয়া কিংবা কোনো প্রোগ্রামে যাওয়া যাবে না।
এসব কথার মধ্যে প্রথম যে ভুলটা হচ্ছে তাহলো- ৪০ দিনের মধ্যে শিশুর মুখে বোতলের দুধ না দিলে নয় বরং মায়ের দুধ ছয় মাস ঠিক মতো না খাওয়ালে শিশু বেশি কান্নাকাটি করে ও অধিক রোগে ভুগে। তাছাড়া বুকের দুধ খাওয়ানো- মা এবং শিশু উভয়ের জন্য কতটা উপকারী এটা হয়ত ছোট একটি লেখায় শেষ হবে না, তবে সংক্ষেপে বলতে- এতে শিশুরা যেমন ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, অ্যালার্জি, নিয়োমনিয়া-ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্ত থাকে, তেমনি কান্নাকাটিও কম করে। অপরদিকে স্তন পান করানোর মাধ্যমে মা’র স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস সহ বিভিন্ন মেয়েলী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাছাড়া বুকের দুধ পান- গর্ভকালীন সময়কার মা’র বাড়তি ভরকে কমাতে এবং প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। কারণ- প্রায় দুই বছর শিশুকে দুধ পান করানোর ব্যস্ততায় মা আরেকটা সন্তান নেয়ার চিন্তায় থাকেন না।সুতরাং মাতৃদুগ্ধের বিকল্পের প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া জানা দরকার- শিশু জন্মের প্রথম ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ ছাড়া আর কিছু তো খাওয়ানো দরকারই নেই। আর ছয় মাস পর মায়ের দুধের পাশাপাশি স্বাভাবিক খাদ্যগুলো শিশুর জন্য সিদ্ধ করে খাওয়ালেই হবে- এতে শিশুর শারিরিক ও মানসিক বিকাশ সুষ্ঠ ও স্বাভাবিক হবে। (তথ্যসূত্রঃ বইটির নাম- Parent-child relations, written by Hisham Al Talib, Abdul Hamid Abu Sulaiman and Omar Altalib)

এবার আসি বাইরে যাওয়া তথা চাকরিতে যাওয়া প্রসঙ্গে- প্রথমত, আমরা জানি বিভিন্ন অফিসে মাতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে ছয় মাস।যদিও আমার কাছে ৬ মাসের ছুটিটা যেনো মা ও শিশু- উভয়ের সাথে বলতে গেলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের সাথে পরিহাস তুল্য। ছয় মাসের মধ্যে ছোট্ট শিশুটির মা’র প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না। তাছাড়া শিশুর দুধ ছাড়তে সর্বোচ্চ দুই বছর লেগে যায়। সুতরাং, এবার আমি যদি বলি- মাতৃত্বকালীন ছুটি দুই বছর করা হোক- তবে স্বাভাবিকভাবেই চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এটাই বলবে- “দুই বছরের (!!!) জন্য একটা পদ খালি থাকবে? যেখানে বেকার সমস্যা বিদ্যমান”? তাই সুস্থ আগামী প্রজন্মের চিন্তায় ও মা’ হতে যাওয়া নারীরা যাতে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকে- তাই আমি মাতৃত্বকালীন ছুটির বিপক্ষে।বরং গর্ভধারণের শুরুতেই মা’র উচিত অফিস প্রধানকে নিজের অপারগতার কথা আগে থেকে জানানো- যাতে সঠিক সময়ে সেই পদের জন্য ভিন্ন কাউকে নেয়ার সার্কুলার দেয়া যায়। আর মা’ও যাতে চাকরি রক্ষার টেনশান ও প্রতিদিনকার বাড়তি পরিশ্রম থেকে মুক্ত হয়ে নিজের দিকে খেয়াল রাখতে পারে। পরবর্তীতে মা’র ইচ্ছা হলে চার বা পাঁচ বছর পর না হয় উপযুক্ত চাকরিতে ঢুকতে পারে। চার-পাঁচ বছর পর বললাম, কারণ একটা শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটে প্রথম চার থেকে পাঁচ বছরেই আর এই সময়ে তার উপযুক্ত যত্নের প্রয়োজন। এদিকে মা’র এটা খেয়াল রাখা উচিত- চাকরি ছেড়ে দিলে ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে নিজের পরিস্থিতি বুঝে ভালো আরেকটাও পাওয়া যেতে পারে তবে, গর্ভে আসা শিশুটির সঠিক যত্ন না নিলে সেই সুযোগ আর কখনো ফিরে আসবে না। আর অবশ্যই আমরা একটা মজবুত জাতিই কামনা করি।

children-mother

এদিকে কর্মজীবী মহিলাদের যখন হঠাৎ করে চাকরি ছেড়ে দিতে হয়- তখন লাইফ স্ট্যাইলে একটা পরিবর্তন আসে। এই মুহূর্তে স্বামীর উচিত স্ত্রীকে মানসিক সাপোর্ট দেয়া। এদিকে বিয়ের পরেও আর্থিক প্রয়োজনে যদি নারীকে বাধ্য হয়েই চাকরি করতে হয় তখন সন্তান নেয়ার এবং পরবর্তী কয়েক বছরগুলো যেসময় একটা শিশুকে সার্বক্ষণীক তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে মা’র প্রয়োজন হয়-সে সময়টাতে স্বামী যাতে স্ত্রীকে চাকরি করার জন্য চাপ না দেয়- সেই বোধটা স্বামীর মাথায় রাখা উচিত।আরেকটা বিষয় যেটা না বললেই নয়- আজকাল বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী ‘ডে-কেয়ার সেন্টার’ খুলছে, অফিসে কর্মজীবী নারীদের শিশু দেখভালের জন্য। তবে এটা আমাদের নারীজাতির বুঝা উচিত- মা’র প্রয়োজন কখনো কাজের মেয়েকে দিয়ে হবে না। কারণ শিশুটি আপনার, কাজের মেয়ের নয়।

এবার কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে সন্তানের জন্য যখন একটি মা’কে বিভিন্ন কিছু বিসর্জন দিতে হয়- হোক সেটা চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়া, কিংবা কোনো প্রোগ্রামে উপস্থিত না হতে পারা কিংবা যেমন এক পরিচিতের কাছে শুনেছি- বিদেশে পিএইচডি’র সব হয়ে গেছে অথচ দুই মাসের শিশুকে নিয়ে উনার পক্ষে যাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে-ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের বিসর্জন একটা মা’কে দিতে হয়। আর এই বিসর্জনের ফলে যখন স্বামীর দিক থেকে সাপোর্ট না আসে কিংবা সামাজিকভাবে অবহেলার শিকার হতে হয় তখন নারী রেগে গিয়ে বলে- “সন্তান নিলে ইত্যাকার কষ্ট সহ্য করতে হয়, অথচ পুরুষকে সেটা করতে হয় না”। কিন্তু এসব কথার অর্থ অনেক সময় এমনটা হয়ে যায় যেনো-“ছেলেরা কেনো গর্ভ ধারণ করে না?” আর তখন যেনো প্রকৃতির ওপর এক হাত নেয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়। আর এসব প্রশ্নগুলো একটা সময় সেই পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় যখন আমাদের মুখ থেকে বের হয় –“আমি কেনো মেয়ে হলাম”? যেসব উক্তি বের হওয়া ঠিক না।
মূলত স্বামীর দিক থেকে অবহেলা, প্রতিষ্ঠিত নারী সংগঠন থেকে শুরু করে সমাজের সব জায়গায় মাতৃত্বকে ছোট করে দেখা এবং নিজেকে নিয়ে আমাদের অবহেলার কারণেই এসব উক্তি কিংবা রাগের বহিঃপ্রকাশ- হয়ে যায়। এটা সত্য, বর্তমান তথাকথিত আধুনিক সমাজে মাতৃত্বকে ছোট করে দেখা হচ্ছে, সন্তানকে বোঝা হিসাবে দেখা হচ্ছে, পরিবারের দিক থেকে সাপোর্ট নেই, স্বামীর দিক থেকে শিশুর দেখভালে সহায়তা নেই আর নারীবাদীরাও মাতৃত্ব নিয়ে কিছু বলেন না। দিন দিন আমাদেরকে আত্মকেন্দ্রিক করে তোলা হচ্ছে। আমরা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবছি না। পড়াশুনা শেষ করে একটা চাকরি ধরবো যেন এটাই হয়ে পড়ছে জীবনের লক্ষ্য। বার বার আমাদেরকে বলা হচ্ছে আর্থিক স্বাবলম্বি হওয়ার কথা। নিজের পায়ে দাঁড়ানো কিংবা কারো প্রতি নির্ভরশীল না হওয়া-সেটা তো বুঝলাম। কিন্তু পুরুষদের আর্থিক দায়িত্বের কথা বলবে কে? শুধু একপক্ষীয় ভাবে নারীদের স্বাবলম্বি হওয়ার কথার ছলে পুরুষদের দায়িত্বকে শিথিল করার পাঁয়তারা চলছে কি? আজকাল এমনভাবে আর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলা হচ্ছে যেনো নিজের আর্থিক দায়িত্ব নেয়ার বোঝা আমাদের নিজেদেরই। উল্লেখ্য, আজকাল আর্থিক সঙ্কটের কারণে নারীরা চাকরি করছে না বরং বিয়ের পরেও অধিকাংশ নারী চাকরি করছে কারণ- সেটা না করলে সমাজে তাদেরকে হেয় করে দেখা হচ্ছে। এদিকে তাদেরকে বুঝানো হচ্ছে- “শিক্ষিত হয়ে তুমি চাকরি করছো না কেনো? সমাজের প্রতি তোমার কি দায়িত্ব নেই? তোমার পড়াকে কাজে লাগাও”। হ্যা, আমি তাদের কথার বিরোধীতা করছি না। সুযোগ হলে কাজে লাগাও, কিন্তু নিজের ওপর বাড়তি চাপ নিয়ে নয় বরং নিজের পড়াশুনার সাথে মিলে যায় এমন কিছু কাজে শখের বশে কিংবা অবসর সময়কে কাজে লাগানোর জন্য। লক্ষ্যণীয়, আজকাল একটা শিক্ষিত মা’কে তার সন্তান পড়ানোর দায়িত্বের কথা কেউ বলে না। তাই দেখা যায়- শিক্ষিত মা’র সন্তানেরা বাইরের প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে, অথচ প্রশ্ন হলো – তাদের মা কি পারতো না নিজের সন্তানদের শিক্ষক হতে? আসলে নারীরা এমনটি করছে না, কারণ এমনটি করলে এই সমাজে মূল্য পাওয়া যায় না। এখানে পরিবার তুচ্ছ, বাইরের জগত মুখ্য।
আবার অনেক নারীদের মধ্যে এমন ধারণাও আছে বা তাদেরকে এমন ধারণা দেয়া হচ্ছে- “অনার্স, মাস্টার্স করে শুধু শিশুদের পড়ালে, তোমার পড়ার দাম থাকলো কই”? আমি আবারও বলছি সুযোগ পেলে নিজের পরিবারকে সামলে একটা নারী যদি বাইরে সময় দিতে পারে তাহলে ভালো, তবে নিজের ছোট ছোট সন্তানকে পড়ানোর ক্ষেত্রে কখনো হীনমন্যতায় ভোগা উচিত নয় বরং গৌরবের সাথে প্রচার করার উচিত- আমি আমার সন্তানদের শিক্ষিকা। তাছাড়া আপনি যত বেশি শিক্ষিত হবেন, আপনার পড়ানোর স্টাইল অন্য মা’দের থেকে ব্যতিক্রম ও সুন্দর হবে। সুতরাং, মা’দের উচিত নিজের সন্তানকে সময় দেয়া, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। আর হ্যা, সন্তানের ওপর যে শুধু মা’র দায়িত্ব তা নয়, বরং মা-বাবা উভয়ের উচিত সুষ্ঠভাবে সন্তানকে বেড়ে তোলা। আর যেসব বাবারা সন্তানদের প্রতি কর্তব্য পালন করেন না, তারা মূলত দায়িত্বহীন পুরুষেরই পরিচয় দেন।
এবার চাকরিদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাকালে আমরা দেখি-ওখানে অবিবাহিত বা সন্তান ছাড়া নারীর মূল্য বেশি। আর তাই এসব কোম্পানীর চাকরিতে যুক্ত থেকে, সমাজে সবার সামনে শিক্ষিত হওয়ার মূল্য দিতে (তা নাহলে কেউ দাম দিবে না) গিয়ে অনেক মেয়েরা বছরের পর বছর এসব কোম্পানীতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে তাদের বয়স হয়ে যায়, দিন দিন মানসিক ও দৈহিক চাহিদা ফুরিয়ে যেতে থাকে, কোনো ছেলের বিয়ের প্রস্তাব আসা বন্ধ হয়ে যেতে থাকে, বিপথে পা দেয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে, পরবর্তীতে অধিক বয়সে বিয়ে হওয়ার পর সন্তান নিতেও শারিরিক কষ্ট সহ্য করতে হয় মা’কে। তাই আমি মনে করি- আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের কর্মঘন্টায় পরিবর্তন আনা উচিত। যারা আর্থিক প্রয়োজনে বা শখের বসে বা অবসর সময়কে কাজে লাগাতে চাকরি করতে চায়, তারা বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত, সন্তান থাকুক বা না থাকুক সেসব নারীর জন্য বিভিন্ন শিফটে কর্মসময় তিন বা চার ঘন্টা করা দরকার।এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে- তাহলে তো পুরুষেরা মাসে যত টাকা পাবে- আমরা তার চেয়ে কম পাবো। হ্যা, কম সময়, টাকা কম-তবে তাতে কি? পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব তো আমাদের ওপর নয়। নারীর মৌলিক চাহিদা পূর্ণ করার দায়িত্ব পুরুষের। তাছাড়া মাস শেষে একটা পুরুষ, হাত খরচের জন্য তার উপার্জনের ১০শতাংশও যদি স্ত্রীর হাতে দেয়- তাহলে আমার মনে হয় না- সেটা কোনো স্বামীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু প্রশ্ন হলো কত শতাংশ পুরুষ স্ত্রীর হাত খরচের খেয়াল রাখে? এদিকে দিন দিন নারীর ওপর আর্থিক দিক দিয়ে বাড়তি চাপ দেয়া হচ্ছে, অথচ নারীকে তার স্বামীর উপার্জনে সন্তুষ্ট থাকার কথা বলা হচ্ছে না।তবে হ্যা, কোনো নারী যদি একান্তই সন্তুষ্ট থাকতে না পারে, তাহলে সে না হয় কয়েক ঘন্টার জন্য বাইরে চাকরি করুক। তার উপার্জিত টাকা নিজের একান্ত প্রয়োজনে আর অপচয় না করে বেঁচে যাওয়া টাকাগুলো ভালো কাজে খরচ করুক। এটাই হলো আর্থিক বোঝা না থাকায় নারীদের সুবিধা। উপার্জনের মতো কষ্টকর চিন্তা (যেটা ছেলেদের মাথায় থাকে) সেটা না থাকায়, মেয়েরা শখের বসে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করার, কিংবা সমাজ নিয়ে চিন্তা করার একটা উন্মুক্ত পরিবেশ পায়। যে বিষয়গুলো নিয়ে মেয়েদের ভাবা উচিত। এদিকে, কর্মঘন্টা কম হলে মেয়েরাই লাভবান হবে- এতে তারা বিয়ের আগে মা-বাবা ও বিয়ের পরে নিজের পরিবারকে সময় দিতে পারবে। সুতরাং সব সময় নারীদের পারিবারিক দায়িত্বকে মূল্য দেয়া উচিত, পরিবারের কথা চিন্তা করে প্রয়োজন হলে চাকরি করা উচিত, তা নাহলে না। আর তাদের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত পরিবারের পুরুষদের, তাহলে হয়ত একটা পরিবার থেকে ভালো সন্তানের জন্ম হবে।

তাছাড়া, আজকাল নারীর মাতৃত্বকে পূর্ণ মর্যাদা না দেয়ার কারণেই নারীরা হতাশ হচ্ছে, সন্তান নিতে চাচ্ছে না। তাই তাদেরকে পরকালের শান্তির বার্তা পৌছানোর পাশাপাশি আমাদের উচিত পার্থিব স্বীকৃতি দেয়া।একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন- যখন আমরা মাতৃগর্ভ থেকে এই পৃথিবীতে আসি, সেই সময়ে আমরা কোথায় আছি- সেই জ্ঞানটাও থাকে না, কান্না ছাড়া কিছুই করতে পারি না, বলতে পারি না, চলতে পারি না- সেই সময় আমাদের মা আমাদের সব প্রয়োজন পূর্ন করে, কষ্ট সহ্য করে, রাতের পর রাত জেগে যেভাবে লালন-পালন করেছেন- সেটার প্রতিদান হয়ত সারা জীবন মা’কে কাঁধে নিয়ে ঘুরলেও শোধ হবে না। মা’র মর্যাদা হয়ত পৃথিবীর কোনো কিছু দিয়েই মূল্যায়ন করা যাবে না, তাই আল্লাহও মা’কে দিয়েছেন পরকালীন এমন মর্যাদা যেটা উপলব্ধির বিষয়- তাদের জন্য যারা চিন্তা করে। মা’র পায়ের নিচে সন্তানের জন্নাত রেখেছেন- সেটার অর্থই হলো যাতে আমরা মা’র সাথে ভালো ব্যবহার করি। পৃথিবীতে হক আদায়ের ক্ষেত্রে বাবার চেয়ে মা’ কে তিন গুণ মর্যাদা দেয়া হয়েছে- কারণ মা শিশুকে গর্ভে ধারণ করে, বাবা নয়-তাই যারা বলেন- ‘ছেলেদের তো সেই কষ্ট সহ্য করতে হয় না’।দেখুন ছেলেদের সেই কষ্ট সহ্য করতে হয় না বলেই আল্লাহ কিভাবে সমতা করেছেন! কষ্ট আপনি সহ্য করছেন বলেই সেই কষ্টের জন্য আপনাকে আল্লাহ পুরুষের চেয়ে অধিক মূল্য দিয়েছেন। তাই কেউ কি কল্পনা করতে পারে- সেই আল্লাহ প্রদত্ত মর্যাদার মহত্ত্বের কথা? না, আজ আমরা সন্তানেরা এবং মা’রা সেই মর্যাদার মহিমা বুঝছে না। আজ অভিভাবক থেকে শুধু করে সন্তানরা যদি এই মর্যাদা বুঝতো- তাহলে শিশুর প্রতি অবহেলা না করে, তাকে বোতলজাত দুধ না খাইয়ে, সুষ্ঠভাবে লালন পালন করে বড় করতো। আর সন্তানেরাও অভিভাবকদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতো যেমনটি আল্লাহ তা’য়ালা কু’রআনে বলেছেন-
“আর আমি মানুষকে তার পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দুই বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমার নিকটই ফিরে আসতে হবে” (সূরা লুকমান, আয়াত-১৪)
সুতরাং, আগামীতে সন্তানরা যখন অভিভাবকদের কষ্টের স্বীকৃতি দিবে- তখন মা-বাবারাও সন্তানকে নিয়ে গর্ব করতে পারবে। আর বলবে-আমরা এমন সন্তানদের পৃথিবীতে রেখে যাচ্ছি যারা সত্যের প্রতিনিধিত্ব করবে, সুন্দর জাতি গড়বে। সুতরাং তেমন জাতি গঠনে বর্তমান মা-বাবা আর আগামীতে যারা বা-বাবা হবেন- তাদেরকে এখন থেকেই চিন্তা করা উচিত।
মাতৃদুদ্ধ পান করানো নিয়ে লেখাটা শুরু করে যৌক্তিক কারণেই নারীদের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে হলো।তবে মাতৃদুদ্ধের প্রয়োজনীয়তার প্রসার ঘটনার জন্য ব্র্যাক এনজিওকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। বিভিন্ন জেলায় তারা ক্যাম্পিং করে মহিলাদেরকে তারা এ বিষয়ে সজাগ করছে, তবে পুরো বাংলাদেশের দায়িত্ব কি তাদের ওপর? বরং তাদের কাছ থেকে এখন আমাদের শিখা উচিত। মাতৃত্বের আধ্যাত্মিক স্বীকৃতির প্রচারণা সহ এবার আমাদের জাগতিক স্বীকৃতি দানের কথা ভাবতে হবে। মাতৃদুগ্ধ থেকে শুধু করে শিশু লালন পালন, সুষ্ঠ মাতৃত্ব-পিতৃত্বের পাশাপাশি পরিবারের প্রত্যেক চরিত্র যাতে তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে, তাই তাদেরকে দায়িত্ব জ্ঞান দিতে হবে, লেখালেখি, সেমিনার, আলোচনা সভা, ক্যাম্পিং কিংবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। যাতে মানুষ পরিবারকে গুরুত্ব দিতে শিখে।তা নাহলে হয়ত ডে-কেয়ার’ হবে সন্তানের জায়গা আর পরবর্তীতে বৃদ্ধাশ্রম হবে বৃদ্ধ মা-বাবাদের ঠিকানা।

 

অনলাইন কেনাকাটায় সচেতন হোন

বন্ধু-বান্ধবের খোঁজ-খবর নেওয়া, নিজের খোঁজ দেওয়া, মনের মানুষের কাছে সেলফি পাঠানো, জন্মদিনের শুভেচ্ছা- সবই হচ্ছে এখন ফেসবুকে। তবে এখানেই যেন শেষ নয়। এখন কেনাকাটাও হচ্ছে ফেসবুকে। ফেসবুকও আমাদের অনলাইন কেনাকাটার অন্যতম অপশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এক্ষেত্রে প্রতারণা থেকে বাঁচতে কিছুটা সাবধানতা খুবই প্রয়োজন।

প্রথমেই আপনার ফেসবুক কেনাকাটা করার পেজগুলো সম্পর্কে খুব ভালো মতো ধারণা থাকতে হবে। আপনি যা কিনতে চান, যেসব পেজে তা বিক্রয় করা হয় সে ধরনের অনেকগুলো পেজ নিয়ে মোটামুটি একটি রিসার্চ করে ফেলুন। এতে আপনার পণ্যের মান, দাম এবং ধরণ সম্পর্কে ধারণা হবে। কোথায় কোন পোশাকের রেপ্লিকা বিক্রয় হয়, কোথায় আসলটি পাওয়া যায়, কোথায় কোন ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যাবে এসব ব্যাপারে আপনার ভাল ধারণা হয়ে যাবে যদি আপনি পেজগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন। এক্ষেত্রে একদিন ঘাটাঘাটি করেই ক্ষান্ত দিলে হবে না, নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে।

রিভিউ

ভালো-মন্দ পেজ বোঝার আরেকটি ভালো উপায় হল পেজগুলোর রিভিউ দেখার। যারা এর আগে ওই পেজ থেকে কিনেছেন, তারা তাদের অভিজ্ঞতাটি লিখে রিভিউ দিয়ে থাকেন। রিভিউ দেখেও আপনি ধারণা নিতে পারবেন পেজটি বিশ্বাসযোগ্য কিনা।

দ্বিতীয়ত, পণ্যের মাপ, মান নিয়ে ফোন করে পরিপূর্ণ তথ্য জেনে নিন। তবে এর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি পণ্যটি সত্যিই কিনতে চান কিনা। কিছু কিছু জিনিস সামনা সামনি দেখেই কেনা ভালো। কারণ অনেক জিনিস অনলাইনে ছবি দেখে যেমন মনে হবে বাস্তবে তেমনটা নাও হতে পারে। যেমন- জুতা, ফাউন্ডেশন, অলঙ্কার ইত্যাদি। তাই প্রত্যেক ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি ডিটেইলস জেনে নিতে হবে।

তৃতীয়ত, পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতাটা অনেক বড় ব্যাপার। ক্যাশ অন ডেলিভারি সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা, কিন্তু দূরে বসে কেনাকাটা করলে অগ্রিম পেমেন্ট করতেই হয়। অধিকাংশ পেজে কেনাকাটা করার আগে ফুল পেমেন্ট বা পেজভেদে নির্দিষ্ট পারসেন্ট পর্যন্ত অগ্রিম পেমেন্ট করে অর্ডার কনফার্ম করতে হয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য “অর্ডার কনফার্ম হলো”, এই কথাটি মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে বা ফেসবুকের ইনবক্সে জানিয়ে দিতে বলবেন। তাহলে দুর্ভাগ্যবশত আপনি প্রতারনার শিকার হলেও ফোন বা ইনবক্সের মেসেজটি অন্তত প্রমাণ হিসেবে থাকবে। আপনার পার্সেলটি কীভাবে, কবে আসবে সেটি নিশ্চিত হয়ে নিন।

ক্যাশ অন ডেলিভারিতে কোন কোন পেজের পণ্য ডেলিভারির পিকআপ পয়েন্ট থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার সুবিধামত তারিখ, সময় ও জায়গাটি জানিয়ে দিন।

সূত্র- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

 

শিশুর চারপাশঃ প্রয়োজন একটু সচেতনতা

স্কুলে পড়ার সময় সমাজবিজ্ঞানে পরিবেশ কাকে বলে পড়েছি। সে সংজ্ঞায় বলা ছিল পরিবেশ বলতে আমাদের বাড়িঘর, মানুষজন, আলো-বাতাস-পানি, রাস্তাঘাট, গাছপালা, পশু-পাখি, কীটপতঙ্গ, মশা-মাছি সবকিছু বোঝায়। আমাদের সুস্বাস্থ্য এই পরিবেশের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। ঠিক তেমনি একজন শিশুর সুরক্ষা কিন্তু একইভাবে নির্ভরশীল তা নবজাতক হোক আর বড় শিশুই হোক না কেন।
শাহনাজের কথাই ধরা যাক। তার তিন মেয়ে। বাসা-বাড়িতে কাজ করে। থাকে সরকারি কলোনির এক প্রান্তে এক ছোট্ট খুপরিতে। দশটি পরিবার একসাথে গাদাগাদি করে থাকে। নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে তার তিন শিশুকন্যা বড় হচ্ছে। একে তো অপুষ্টির শিকার তার ওপর নোংরা পুঁতিগন্ধময় পরিবেশের কারণে বাচ্চাদের রোগবালাই লেগেই থাকে। শাহনাজ অনেক চেষ্টা করে তার বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে কিন্তু এর জন্য যতটা না তার অভাব দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী চারপাশের পরিবেশ।
শাহজাদপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম পোতা-জিরার মকবুলের কথাই ধরা যাক। পোতাজিরা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে তার নিয়মিত যাওয়া-আসা করতে হয়। কারণ তার ৬ বছরের ছেলে। প্রায়ই ডায়রিয়া, পেটখারাপ, চুলকানির কারণে হাসপাতালে তার এই আসা-যাওয়া। গরুর দুধ বিক্রি করে সে ভালোই আয় করে। নিয়মিত দুধ খাওয়ায় সে বাচ্চাকে। তারপরও এই অবস্থা। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন যে, বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে। বিশুদ্ধ পানি তা যত দূর থেকেই হোক আনার ব্যবস্থা করতে হবে। বাচ্চাকে নোংরা, ধুলাবালি থেকে কীভাবে দূরে রাখা যায় তার শিক্ষা দিতে হবে ইত্যাদি নানা বিষয় ডাক্তার পালন করতে বললেন। মকবুল পরের ৩ সপ্তাহ কঠোরভাবে ডাক্তারের অনুশাসন মেনে চললেন। মকবুল লক্ষ্য করল যে তার ছেলে আর অসুস্থ হচ্ছে না।
আশপাশের পরিবেশ যদি নোংরা হয় তাহলে কোনভাবেই স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায় না। শিশুর ক্ষেত্রে এ কথাটি শতভাগ প্রযোজ্য কারণ একটি শিশু যখন স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয় তখন সে থাকে একটি সুস্থ-সবল-নিরোগ একটি শিশু। পৃথিবীতে আবির্ভাবের পরই শুরু হয়ে যায় তার সংগ্রামী পথচলা। কারণ নবজাতকের চারপাশে ওঁত পেতে থাকে জীবাণু নামক শকুনেরা। এসব জীবাণুরা সামান্যতম সুযোগটুকুও হেলায় হারায় না। সোজা আক্রান্ত করে মাত্র ভূমিষ্ঠ হওয়া আদম সন্তানকে।
শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর পরিবেশের কী প্রভাব তা অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে শিশুর থাকার ঘরটি কেমন? পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সে ঘরে প্রবেশের ব্যবস্থা আছে কিনা? কেমন পানি পান করে? শিশু যে শৌচাগার ব্যবহার করে তার কি অবস্থা? শৌচাগার ব্যবহারের পর দুই হাত সাবান দিয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে কিনা? বাড়ির ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হয়? বাড়ির আশপাশে বদ্ধ ডোবা, জলাশয় আছে কিনা? এসব বাইরের বিষয় ছাড়াও আরও কিছু বিষয় জানতে হবে যেমন শিশুর পরিবারের সদস্যদের লেখাপড়া কতদূর? তাদের চিন্তা-ভাবনা কোন পর্যায়ের? কুসংস্কার বিশ্বাস করেন কিনা? করলে কতটুকু করেন? স্বাস্থ্য  রক্ষার নিয়মগুলো মেনে চলেন কিনা? শিশুর প্রতি মা, পরিবার, সমাজ কতটুকু যত্নবান?
এসব বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে শিশুর আশপাশের পরিবেশ কেমন হবে। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। ঢাকা শহরের গুলশানের মতো অভিজাত এলাকার একটি ক্লিনিকে একটি শিশুর জন্ম হয়। বাবা পদস্থ সরকারি চাকুরে। বাসা-বাড়ির অবস্থাও ভালো। কিন্তু জন্মের ৪ দিনের মাথায় শিশুটির জন্ডিস ধরা পড়ে। বাবা-মা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার পরামর্শ দেন প্রতিদিন শিশুকে রোদ পোহানোর। বাবা-মা ভেবে পান না এত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরও কীভাবে বাবু সোনাটার জন্ডিস হলো। আসলে আমাদের চারপাশের পানি-বাতাস, খাবার, মশামাছি, কীটপতঙ্গ প্রভৃতি দ্বারা রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
শিশু যে ঘরে থাকে সে ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে দিতে হবে। তাহলে ঘরটি স্যাঁতস্যাঁতে থাকবে না। ভালো ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে যেন ঘরের ভিতরের গরম বাতাস বেরিয়ে যেতে পারে। মুক্ত বাতাস স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। সূর্যের আলোতে রোগ-জীবাণু বাঁচতে পারে না। অল্প জায়গার মধ্যে গাদাগাদি করে থাকলে সকলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এ অবস্থায় কারো সংক্রামক রোগ হলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে ঘরের শিশুটির রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
512_185c10b4e20b46cf7504c60eae760860
বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। কথাটি আবালবৃদ্ধবনিতা থেকে শুরু করে শিশু সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দূষিত পানি নানা রোগ ছড়ায়। একটু গরম পড়লেই পত্রিকায় দেখা যায় আইসিডিডিআরবি’র হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের ভিড়। যত্রতত্র পানি পান করার ফলে টাইফয়েড, কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয় প্রভৃতি রোগের জীবাণু পানির সাহায্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেজন্য শিশুর খাবার পানি যেন বিশুদ্ধ হয় সে ব্যাপারে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে।
বাড়ির চারপাশে যেন অবাঞ্ছিত ঝোপঝাড় গড়ে উঠতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে  হবে। কোথাও যেন পানি দীর্ঘদিন ধরে জমে না থাকে সেটাও নজর দিতে হবে। কারণ সেগুলো একটা সময় পরে গিয়ে মশক প্রজনন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হবে। বাসার পায়খানাটি যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। শিশুটি যেন সঠিকভাবে পায়খানা ব্যবহার করতে পারে সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বাড়ির রান্নাঘর থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরে যেন ধুলাবালি জমতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শিশুর হাত ধোয়ার অভ্যাসটি একেবারে মনের ভেতর গেঁথে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যেন এরপর যে কোন কিছু খাবার পূর্বে হাত- ধোয়ার বিষয়টি সে নিজে নিজেই বুঝতে পারে।
শিশুর চারপাশটা সুন্দর, পরিচ্ছন্ন পরিপাটি করে তোলার দায়িত্ব কিন্তু শিশুর নিজের নয়। এ দায়িত্ব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা সকলের। কারণ জাতির অনাগত ভবিষ্যতেরা যেন রোগাক্রান্ত হয়ে অকালেই ঝরে না পড়ে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। সুন্দর পরিবেশ থেকে সুস্থ মানসিকতার শিশু বেড়ে উঠবে। এক সময় তারা বড় হয়ে নেতৃত্ব দেবে দেশ, জাতিকে পৌঁছে দেবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এটা সকলের কামনা।
(শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম নিবন্ধ)

 

নারীদের ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা উচিত কিছু দিক

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আজকের সামাজিক অবস্থা নারীর ঘরের বাইরে কাজের জন্য যথেষ্ট ইতিবাচক। নারী  আজ
 কেবল চার দেয়ালের কাব্য রচনা করছেন না, বরং অকপটে ঘরের বাইরে পুরুষের সঙ্গে সমতালে এগিয়ে চলেছেন যেকোনো পেশায়। নারীর ক্যারিয়ার নির্বাচনের নানা দিক নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া মৌ,
সমাজের সকল শ্রেণির নারী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। বরং নিজের জায়গা থেকেই কিভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় সেই বিষয়টি নিয়েই সচেতন থাকলেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়া হবে। তবে একজন পুরুষের চেয়ে নারীর পেশা নির্বাচনে বেশি সতর্ক হওয়া আবশ্যক। ক্যারিয়ার নির্বাচনে কিছু বিষয় প্রাধান্য দিলে নারীর সাফল্য অর্জনের পথ প্রশস্ত হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রশিক্ষণ: যেকোনো পেশায় প্রতিষ্ঠিত হতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাও হতে পারে। তাই সুযোগ পেলেই কোনো প্রশিক্ষণ, সেমিনার বা  কর্মশালায় যোগদান করা উচিত। এতে নারী হিসেবে আপনার যোগ্যতায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।
পার্সোনাল ইন্টারেস্ট: একজন নারী যেকোনো পেশায় যোগদানের পূর্বে সে এই পেশায় কতটা মানানসই সেটা ভেবে দেখা উচিত। কারণ ছবি আঁকতে ভালোবাসে এমন নারী যদি আর্কিটেকচার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয় তাহলে বিষয়টি তার জন্য যতটা সহজ হবে, খুব ভালো অঙ্কনের অভ্যাস নেই এমন কারও জন্য এই কাজ সহজ হবে না। একজন নারীকে অবশ্যই  ব্যক্তিগত ইন্টারেস্টের দিকে  নজর রাখতে হবে।
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ: যেকোনো মানুষের নিজস্ব কিছু মূল্যবোধ থাকে। আর এই বিষয়টি তার একান্ত নিজস্বতা। কিছু পেশায়  নির্ধারিত ড্রেস কোড রয়েছে। সেই ধরনের পোশাক পড়ে অভ্যস্ত নয়, এমন কোনো নারী সেই কাজটি করতে গেলে নিশ্চিতভাবে সংকোচ বোধ করবেন। ফলে তার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই পেশা নির্বাচনে মূল্যবোধের মূল্যকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
ok-2
পেশাগত দায়িত্ব: যে পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান, সেই পেশায় আপনার কী ধরনের কাজ করতে হবে সেই কাজে আপনার কতটা দক্ষতা আছে কিংবা আপনি সেই পেশায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন, সংশ্লিষ্ট পেশায় দিবা/রাত্রির বিষয় আছে কিনা এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিন। তারপর আপনি সেই পেশায় নিয়োজিত হবেন কী-না সেই সিদ্ধান্ত নিন।
পারিবারিক আবহ: ব্যক্তিগত পছন্দের ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে পারিবারিক মতামতকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। পারিবারিক আপত্তি বা নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেক্ষেত্রে নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই পারিবারিক সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এই পেশার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলতে হবে। তাদেরকে আপনার মতামতের সপক্ষে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং: আমাদের দেশে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ধারণাটি এখনও তেমন গুরুত্ব পায়নি। তবে যে পেশায় আগ্রহী সেই পেশায় সফল কিংবা দীর্ঘদিন কাজ করছেন এমন কোনো নারীর সঙ্গে আলোচনা করে সেই পেশার নানা দিক সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিতে পারেন।
আলোচ্য বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সব দিক বিবেচনা করে নারী তার পছন্দের পেশায় এগিয়ে যাবেন। আর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে নিজের অস্তিত্বের এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখবেন এদেশের নারীরা। স্বীকৃতি পাবেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এমনটাই প্রত্যাশা।
সূত্রঃ ইনকিলাব।

 

শুরু হলো ফুডমার্টের অনলাইনে ক্যাশ অন ডেলিভারি

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ফুড মার্ট’ সম্প্রতি অনলাইন লেনদেন পদ্ধতি চালু করেছে। ফুড মার্ট থেকে অনলাইনে খাবারের ফরমাশ দিয়ে ক্যাশ অন ডেলিভারির পাশাপাশি গ্রাহকেরা অনলাইনে ভিসা ও মাস্টার কার্ড, ডিবিবিএল নেক্সাস কার্ড, বিকাশ, কিউ-ক্যাশ, আমেরিকান এক্সপ্রেস, জেসিবি, ডিসকভার এবং ম্যাস্ট্রো ব্যবহার করে বিল পরিশোধ করতে পারবেন। খাবার বাসায় পৌঁছে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
ফুড মার্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ফুড মার্টের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ফুড মার্টের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজধানীর বনানী, গুলশান-১ ও ২, বারিধারা, মহাখালী, বসুন্ধরা, নিকেতন ও বনশ্রী এলাকার ২০০ রেস্টুরেন্ট। ধানমন্ডি, খিলগাঁও ও মিরপুরেও এখন থেকে ফুড মার্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে খাবারের ফরমাশ দেওয়া যাবে এবং অনলাইনে বিল পরিশোধ করা যাবে।
ফুড মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, গ্রাহকদের অনলাইনে খাবারের ফরমাশ দিয়ে অর্থ পরিশোধের ঝামেলা মেটাতে অনলাইন লেনদেন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

 

হার না মানা রুপালীর গল্প!

অভাব আর প্রতিবন্ধিত্ব দমিয়ে রাখতে পারেনি রুপালীকে (২০)। দর্জির কাজ করে নিজ খরচে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবন্ধী রুপালি। সে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুলবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের প্রতিবন্ধী মেয়ে।
রুপালী জন্ম থেকেই অঙ্গ প্রতিবন্ধী। বাম হাতের অর্ধেক কাটা নিয়ে তার জন্ম। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে সবার বড়। অভাবের সংসারে তার লেখাপড়ার খরচ যোগানো পিতার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই সে বেছে নিয়েছে দর্জির কাজ। ২০১৪ সালে স্থানীয় মহিলা উন্নয়ন সংস্থায় তিন মাসের দর্জি প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩২টি আইটেমের কাজ শিখেছে। প্রশিক্ষণশেষে ওই সংস্থা থেকে তাকে বিনামূল্যে একটি সেলাই মেশিন দেয়া হয়। তখন থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি ওই সেলাই মেশিন দিয়ে বাড়িতে বসে সে দর্জির কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।
রুপালী খাতুন জানায় , প্রতিবন্ধী হলেও পিতা-মাতার অভাবের সংসারে সে বোঝা থাকতে চায় না । লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজ বাড়িতে বসে আয় করার জন্য সে দর্জি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। স্নাতক পাস করে মাষ্টার্স করার ইচ্ছা রয়েছে প্রতিবন্ধী রুপালীর।
সূত্র- ইত্তেফাক।

 

গাইনী কনসালটেন্ট না থাকায় প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ!

অপরাজিতা ডেস্কঃ গাইনী কনসালটেন্ট না থাকায় উখিয়া হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবত্ প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মহিলারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তান প্রসব করছে। উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২৯ শয্যার যন্ত্রপাতি ও লোকবল দিয়ে চালানো হচ্ছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল।  শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার জন্য ২০০৮ সালে উখিয়া হাসপাতালে মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীম প্রকল্প চালু হয়। গতবছরের জুলাই থেকে উক্ত প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আবারো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে গর্ভবতীদের সেবা কার্যক্রম।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ৪/৫ জন গর্ভবতী মহিলা  রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এসে কাউকে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডিএসএফ প্রকল্পের সাথে জড়িত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর নুরুল আলম সেমিনারে থাকার কথা বলে সংযোগ কেটে দেন। একাধিক হাসপাতালের কর্মচারী জানান, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাটের কারণে ডিএসএফ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ খান জানান, তিনি ডিএসএফ প্রকল্পের ব্যাপারে অবগত নন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মহিলাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করার কথা অকপটে স্বীকার করলেন।

 

উচ্চমাত্রায় মিউজিক শোনা কতটা ক্ষতিকর?

অপরাজিতা ডেস্কঃ হেডফোনে মিউজিক শোনাটা এখনকার জেনারেশনদের জন্য ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে,কিন্তু তার মাত্রা টা আসলে কতোটুকু হলে কানের জন্য ক্ষতিকর কর হবে না এ ব্যাপারে অনেকটাই অসচেতন সবাই। আমাদের আজকের আয়োজনে তাই থাকছে এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতামত,
K_loud_music1
বিশ্বের ১ শত কোটির বেশি তরুণদের লাউড মিউজিক শোনার কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন একটি উদ্বেগজনক খবর দিয়েছে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলেছে, যাদের লাউড মিউজিক শোনার কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের অর্ধেকের বয়স ১২ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এবং এরা প্রায় সবাই উচ্চ আয়ের পরিবারের ছেলে-মেয়ে। অবশিষ্ট ৪০ ভাগ তরুণের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কনসার্ট এবং নাইট ক্লাবের লাউড মিউজিক থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিয়ারিং ইম্পেয়ারমেন্ট বিশেষজ্ঞ শেলি চাধা তরুণদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটা মনে রাখা দরকার যে, শ্রবণশক্তি বা শ্রবণযন্ত্র একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না।
article-1202105-05D6D9C9000005DC-144_468x256
ইউএন হেলথ এজেন্সির মতে শব্দস্বরের মাত্রা ৮৫ ডেসিবেল-এর উপরে গেলে এটা নিরাপদ নয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও যে উদ্বেগজনক তথ্যটি দিয়েছে তা হচ্ছে, ট্রাফিক নয়েজ থেকেও শব্দ দূষণ হতে পারে যা লাউড মিউজিকের মতই ক্ষতিকর। এমনকি পারসোনাল অডিও ডিভাইস থেকেও শ্রবণশক্তি নষ্ট হচ্ছে এমন তথ্য দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বল্প আওয়াজ দিয়ে দিনে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টার বেশি পারসোনাল অডিও ডিভাইসও ব্যবহার করা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য পাবলিক প্লেসে বা জনবহুল স্থানে যাতে উচ্চ আওয়াজের মিউজিক বাজানো না হয় তার জন্য যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আরোপের ওপর জোর দিয়েছে। আর ইউএন এজেন্সির মতে বিশ্বের অন্তত ৩৬০ মিলিয়নের বেশি লোক কোন না কোনভাবে লাউড নয়েজের কারণে শ্রবণ শক্তি হ্রাসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
লেখক :ডা.মোড়ল নজরুল ইসলাম। চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ।

 

যন্ত্রাইলে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন!

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামে মো. শাহিনের (৩৫) বিরুদ্ধে স্ত্রী রূপা বেগমকে (১৯) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে শাহিন পলাতক।
নিহত গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে উপজেলার বালুখণ্ড গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে রূপা বেগমের সঙ্গে যন্ত্রাইল গ্রামের মৃত রহমান মেম্বারের ছেলে মো. শাহিনের বিয়ে হয়। গত সোমবার রাতে শাহিন রূপার মা রোখসানা বেগমকে মুঠোফোনে জানায়, রূপার মুঠোফোনে কে বা কারা ফোন দিয়েছিল। এ নিয়ে রূপার সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা হলে সে রূপাকে মারধর করে। এ সময় রোখসানা বেগম রূপার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ‘কথা বলা যাবে না’ এবং ‘রূপাকে আমি মেরে ফেলব’ বলে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেয় শাহিন। এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহিন আবার রূপার মাকে মুঠোফোনে জানায়, সে রূপাকে মেরে ফেলেছে। এর পর থেকে শাহিনের মুঠোফোন বন্ধ থাকে। রূপার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল বাসার জানান, ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রোখসানা বেগম বাদী হয়ে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

শেষ হলো অস্কার ২০১৫

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে বসেছিল অস্কারের ৮৭ তম আসর। এ বছর সেরা চলচ্চিত্রে খেতাব জিতে নিয়েছে ‘বার্ডম্যান’। একই সঙ্গে চলচ্চিত্রটির পরিচালক আলেহান্দ্রো গনজালেস ইনিয়ারিতু সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যের ও সেরা চিত্রগ্রহণের পুরস্কার অর্জন করেছেন।
সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন ব্রিটিশ শিল্পী এডি রেডমেইনে। ‘থিওরি অফ এভরিথিং’ সিনেমায় বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন ‘স্টিল অ্যালিস’ চলচ্চিত্রে আলঝেইমার্স রোগীর চরিত্রে অভিনয় করা জুলিয়ান মুর।
23-1424681247-oscar
‘হুইপল্যাশ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা সহ-অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জে কে সিমন্স। এছাড়া বেস্ট ফিল্ম এডিটিং ক্যাটাগরিতেও পুরস্কার জিতেছে এই চলচ্চিত্রটি। ১২ বছর ধরে ‘বয়হুড’ একই চরিত্রে অভিনয় করে সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন প্যাট্রিশিয়া আর্কেট।
এডওয়ার্ড স্নোডেনকে নিয়ে তৈরি ‘সিটিজেন ফোর’ জিতে নিয়েছে সেরা তথ্যচিত্রের অস্কার।
সেরা অ্যানিমশেন চলচ্চিত্র হিসেবে অস্কার জিতেছে ‘বিগ হিরো সিক্স’। বিদেশি ভাষার সেরা চলচ্চিত্র হয়েছে ‘আইডা’।
‘দ্য ইমিটেশন গেইম’-এর জন্য সেরা অ্যাডাপ্টেড স্ক্রিনপ্লের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন গ্রাহাম মুর।
বেস্ট অরিজিনাল স্কোর, বেস্ট কস্টিউম ডিজাইন, বেস্ট মেইক-আপ, বেস্ট প্রোডাকশন ডিজাইন-এই চার ক্যাটাগরিতেই পুরস্কার জিতেছে ‘দ্য গ্র্যান্ড বুডাপেস্ট হোটেল’।
এছাড়া বেস্ট সাউন্ড এডিটিংয়ে ‘আমেরিকান স্নাইপার’, বেস্ট ভিজ্যুয়াল ইফেক্টসে ‘ইন্টারস্টেলার’, বেস্ট অ্যানিমেটেড শর্টে ‘ফিস্ট’, বেস্ট লাইভ অ্যাকশন শর্টে ‘দ্য ফোন কল’ পুরস্কার জিতেছে।
সূত্র: এনডিটিভি, জি-নিউজ।

 

নারী-শিশুর স্বাস্থ্য উন্নোয়নে কোইকার সাথে চুক্তি করেছে ইউনিসেফ

মাতৃত্ব, নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্যে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সঙ্গে ৬২ কোটি টাকার (৮০ লাখ ডলার) একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
রোববার ঢাকায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বিগবেডারের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন কোইকা বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি কিম বক হী। রোববার ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এ অর্থের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু হ্রাস, নবজাতক ও ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যু হার হ্রাস এবং শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশের উন্নতি সাধনে খুলনা ও টাঙ্গাইল জেলায় কাজ করবে। এতে গর্ভবতী নারীদের প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী যত্ন, নবজাতকের আবশ্যকীয় যত্ন এবং মায়েদের পুষ্টি উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পাবে। দুই জেলার ৬৪ লাখ মানুষকে ৪ বছর পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে।
চুক্তিটি দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করবে মন্তব্য করেন কোইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি কিম বক হী। তিনি বলেন, ‘এ সাহায্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৪ ও ৫ নম্বর লক্ষ্য অর্জনে গতি সঞ্চার করবে।’
এর আগে খুলনা ও টাঙ্গাইলে কোইকা-ইউনিসেফের যৌথ স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচি (টিএমএনসি) সফল হওয়ায় এবারের কর্মসূচিও এ দুই জেলায় পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বিগবেডার বলেন, ‘কোইকার উদার সহযোগিতায় বাংলাদেশে আমাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিকে দৃঢ় করবো।’
-বাসস।

 

আপেলের নানান রকমের গুনাগুন ও ব্যবহার

সেই ১৯ শতক থেকে ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে—“An apple a day, keeps the doctor away”. বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন আপেল খাওয়ার গুরুত্ব কতখানি? অন্যান্য ফল কেন নয়? কেন কলা, কমলা, পেয়ারা বা আম নয়? কারণ আপেলে একসাথে সব পুষ্টি উপাদান আছে, যা বিভিন্ন ফলে থাকলেও একসাথে একটি ফলে নেই| তাই এই প্রবাদের প্রচলন ও আপেল খাওয়ার গুরুত্ব অনেক।
আপেল ফল Phyto- পুষ্টি এবং অ্যান্টি অক্সিজান্ট সমৃদ্ধ। যার পুষ্টি উপাদানগুলো শারীরিক বৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

* আপেলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ১০০ গ্রামের তাজা ফল টুকরা মাত্রা ৫০ ক্যালরি প্রদান করে। আপেলে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কলস্টেরল থাকে না। তবুও এ ফল অন্ত্রে খাদ্য তালিকাগত এলডিএল বা খারাপ কলস্টেরল শোষণ প্রতিরোধে সাহায্য কমে। এটি খাদ্য তালিকাগত ফাইবার সমৃদ্ধ।

*আপেল অ্যান্টি-অক্সিজান্ট, ফ্লাভোনডিস এবং পলিফোনোলিসক্স সমৃদ্ধ। এসব উপাদানে শরীরের মৌলে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

* আপেল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বিটা-কেরোটিন’ সমৃদ্ধ। ভিটামিন ‘সি’ একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিজান্ট। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার শরীরের বিভিন্ন সংক্রামকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর প্রো-প্রদাহজনক মৌলে ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

* আপেল থিয়ামিন এবং পাইরিডক্সিন হিসেবে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স এর ভালো উৎস। একসঙ্গে এ ভিটামিন শীরের ভেতর বিপাক এনজাইম হিসেবে এবং পাশাপাশি বিভিন্ন কৃত্তিম ফাংশনে সাহায্য করে।

* আপেল সামান্য পরিমাণ খনিজ, যেমন- পটাসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ। পটাসিয়াম শরীরের কোষ এবং তরল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা হার্ট রেট এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একইভাবে সোডিয়ামের খারাপ প্রভাব থেকেও রক্ষা করে।

নির্বাচন এবং সংরক্ষণ : সমৃদ্ধ গন্ধ, তাজা, উজ্জ্বল দৃঢ় গঠনের আপেল নির্বাচন করা ভালো। গায়ে দাগযুক্ত আপেল পরিহার করাই ভালো।

টাটকা আপেল সাধারণ তাপমাত্রায় সপ্তাহখানেক ভালো থাকে। তবে রেফ্রিজারেটরে রাখলে দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে।

ব্যবহার : ভালো স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পেতে হলে আপেলের উপরের আবরণসহ খেতে হবে।

* আপেল কাটার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাদামি বর্ণ ধারণ করে। তাই কাটার পরপরই পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ধুয়ে নিন।

* আপেল ফলের জ্যাম, পিঠা এবং সালাদ তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র- যুগান্তর।

 

মোবাইলে বাংলা লেখার খুঁটিনাঁটি

এখন অনেকের হাতে আধুনিক সুবিধার মুঠোফোন, যেগুলো স্মার্টফোন নামে পরিচিত। মুঠোফোনের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এতে মাতৃভাষা বাংলার ব্যবহারও বেড়েছে। এখন ইন্টারনেটে বাংলা যেমন লেখা যায় সহজেই, তেমনি স্মার্টফোনেও বাংলা লেখা ও পড়া দুটিই চলছে। ইচ্ছে হলে স্মার্টফোন থেকেই সম্পূর্ণ বাংলায় ফেসবুক, টুইটার কিংবা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা, হালনাগাদ তথ্য দেওয়া যায়। বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে কাজটি এখন সম্ভব।

অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডচালিত প্রায় সব ধরনের যন্ত্রেই বাংলা লেখা যায়। বিশেষ করে নতুন স্মার্টফোনগুলোতে বাংলা ভাষা যন্ত্রের মধ্যে (বিল্ট-ইন) থাকায় লেখার সময় শুধু কি-বোর্ডটি বাংলায় পরিবর্তন করে নিলেই হয়। তবে সব স্মার্টফোনে এ সুবিধাটি নেই। হতাশ হওয়ার কারণও নেই অবশ্য। স্মার্টফোনে বাংলা লেখার জন্য জনপ্রিয় নানা ধরনের কি-বোর্ড অ্যাপ রয়েছে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনা মূল্যেই এসব কি-বোর্ড নামিয়ে ব্যবহার করা যায় যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে। এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় কি-বোর্ড ‘রিদ্মিক’ (http://goo.gl/OWvLVo)। বিজ্ঞাপনমুক্ত এ কি-বোর্ডে রয়েছে ফোনেটিক, ইউনিজয়, ন্যাশনাল লে-আউটে বাংলা লেখার সুবিধা। বাংলা কিংবা ইংরেজি যেকোনো ভাষাতেই এটি ব্যবহার করা যায়। কি-বোর্ডটি নামিয়ে সেটিংস থেকে ‘রিদ্মিক’ নির্বাচন করে দিলেই এক কি-বোর্ডেই একাধিক লে-আউট ব্যবহার করে বাংলা লেখা যাবে।
আরেকটি কি-বোর্ড হচ্ছে মায়াবী (http://goo.gl/mkfSZh)। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ফোনেটিক লে-আউটে বাংলা লেখা যায়। এ কি-বোর্ড দিয়ে বাংলা কিংবা ইংরেজি দুই ভাষাতেই স্মার্টফোন ব্যবহার করা যায়।
শুধু কম্পিউটারেই নয় এবং স্মার্টফোনেও বাংলা লেখা যাবে বিজয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে। আনন্দ কম্পিউটার্সের প্রধান নির্বাহী মোস্তাফা জব্বার বললেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে বিজয় লে-আউটে যেভাবে কম্পিউটারে লেখা হয়, সে একই ব্যবস্থায় স্মার্টফোনেও লেখা যাবে। এ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের কিছুটা দেরি হয়েছে, তবে ব্যবহারকারীরা এখন চাইলে (http://bijoyekushe.net) ঠিকানা থেকে বিজয় কি-বোর্ড নামিয়ে স্মার্টফোনে ব্যবহার করতে পারবেন।’
আইওএস
অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ৮ সংস্করণে বাংলা যুক্ত হয়েছে। এতে চাইলে বাংলা ভাষা নির্বাচন করেই বাংলা লেখা যায়। অর্থাৎ ইংরেজি ছাড়াও এবারই প্রথম বাংলা ব্যবহার এবং বাংলা কি-বোর্ড যুক্ত হয়েছে আইওএসে। ফলে আইফোন ও আইপ্যাডে সহজেই বাংলা পাওয়া যাবে।
অ্যাপল স্টোর থেকে ‘রিদ্মিক’ (http://bit.ly/1DtHwMg) কি-বোর্ড নামিয়ে নিয়েও ব্যবহার করা যাবে।
আইওএস ৮ সংস্করণের আগে অ্যাপল তৃতীয় পক্ষের কোনো ভাষা সমর্থন করত না। ফলে আগের আইওএস সংস্করণগুলোতে বাংলা লিখতে চাইলে অভ্রপ্যাড ব্যবহার করা যায়। আই অভ্র www.omicronlab.com/iavro.html) নামিয়ে বাংলা লিখে আইওএস ৮ সংস্করণের আগের সংস্করণগুলোতেও বাংলা লেখা যাবে।
উইন্ডোজ
চন্দ্রবিন্দু (http://bit.ly/1kZuLCs) বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বাংলা লেখার অ্যাপ। উইন্ডোজ ফোনে ফোনেটিক লে-আউট অথবা ফিক্সড লে-আউট ব্যবহার করে বাংলা লেখা যায়।
ব্যবহার করার আগে ফোনেটিক লে-আউটের অভিজ্ঞতা না থাকলে এ অ্যাপ থেকেই লেখার পদ্ধতি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ফিক্সড লে-আউটের টেমপ্লেট দেখা যাবে ফিক্সড লে-আউট প্যাটার্ন তালিকায়।
ফায়ারফক্স
ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোনে বিল্ট-ইন রয়েছে দুটি বাংলা কি-বোর্ড লে-আউট। অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গেই বাংলা দুটি কি-বোর্ড যুক্ত থাকার ফলে এ ফোনে নির্ধারিত কি-বোর্ড নির্বাচন করে বাংলা লেখা যায়।

সূত্র- প্রথম আলো।

 

ত্বক ও চুলের যত্নে কফি

ত্বক

images(37)

স্ক্রাবার

একটি বাটিতে সমপরিমাণ কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে লেবুর রস মেশান। কফি ও চিনি পুরোপুরি গলবে না। এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে। ম্যাসেজের পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারে ত্বকের মরা কোষ দূর হবে এবং ত্বকও সতেজ থাকবে।

ফেসপ্যাক

রাতে মধু ও কফির প্যাক ব্যবহার করলে সারা দিন ত্বক থাকবে সতেজ। ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ চা চামচ কফি বাটিতে নিয়ে ভালো করে মেশান। এবার মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। অল্প শুকানো থাকতেই ম্যাসাজ করে করে তুলে নিন। পরে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ফেসপ্যাক

তৈলাক্ত ও স্বাভাবিক ত্বক পরিষ্কার করতে ১ চা চামচ কোকোয়া পাউডার ও ১ চা চামচ কফি মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। ত্বক ভেজা ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার লাগান।

ফেসপ্যাক

শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের সতেজতা ফিরিয়ে আনতে ১ টেবিল চামচ কফি এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। যখন অল্প শুকিয়ে যাবে তখন আলতো করে ম্যাসাজ করে উঠিয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

ফেসিয়াল প্যাক

ত্বকের মরা কোষ ও ব্লাক হেইডস দূর করতে কফি ফেসিয়াল করতে পারেন। এক টেবিল চামচ কফির গুঁড়ো, ১ চা চামচ লবণ, ১ চা চামচ বাদামি চিনি, এক চা চামচ মধু ও একটি ডিম নিয়ে একত্রে নিয়ে ভালো করে মেশান। যতক্ষণ না মিশ্রণটি ঘন হয়, ততক্ষণ ফেটাতে থাকুন। এবার প্যাকটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। ততক্ষণে প্যাকটি অনেকটাই শুকিয়ে যাবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধয়ে ফেলুন।

চুল

imagesdf

হেয়ার প্যাক

মাথায় খুশকি হলে স্কাল্পে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করুন। এরপর অল্প গরম পানিতে ডিমের সাদা অংশ ও এক চামচ কফি মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মেহেদির সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ও স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি থাকবে না ও চুল সিল্কি হবে।

কন্ডিশনার

ঘরেই লেবুর রস ও কফি মিলিয়ে কন্ডিশনার বানিয়ে নিতে পারেন। এক গ্লাস গরম পানিতে হালকা করে কফির লিকার করে নিন। ঠাণ্ডা হলে এর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। শ্যাম্পু করার পর চুলে এই পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর পানি ব্যবহার না করে চুল শুকিয়ে ফেলুন। এতে চুল নরম ও সিল্কি হবে।

 

খেয়াল রাখুন

* কফির প্যাক যাতে চোখে বা মুখের ভেতর ঢুকে না যায়, সেদিকে লক্ষ রাখুন।

* কফি দিয়ে ত্বক বা চুলের চর্চা করার সময় কফির গুঁড়া ব্যবহার করুন।

সূত্র- কালের কন্ঠ।

 

২১শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে ফ্যাশন হাউজ গুলোর নানা আয়োজন

ফেব্রুয়ারী মানেই উৎসব-আয়োজনের মাস। আর তারই ধারাবাহিকতায় পহেলা ফাল্গুন-ভালোবাসা দিবসের পর এবার আসছে ২১শে ফেব্রুয়ারী। প্রতিবছরই ২১শে ফেব্রুয়ারীকে কেন্দ্র করে আয়োজন হয় নানা রকমের অনুষ্ঠান এবং ফ্যাশন হাউস গুলোও সেদিকে লক্ষ্য রেখে তৈরী করে ভাষা দিবসের ভিন্ন ধর্মী সব পোষাক।

অপরাজিতার আজকের আয়োজনে থাকছে ঢাকার উল্লেখযোগ্য কিছু ফ্যাশন হাউসের ২১শে ফেব্রুয়ারীকে ঘিরে এবারের আয়োজন সমূহ…

ফড়িং

মহান একুশকে সামনে রেখে ফ্যাশন হাউস ফড়িং একুশের বিভিন্ন চিত্র নিয়ে বেশকিছু পোশাকে ডিজাইন করেছে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট ইত্যাদি পোশাকে রং ব্যবহার করা হয়েছে কালো, সাদা, ধূসর প্রভৃতি। এসব পোশাকে কাজ করা হয়েছে এমব্রয়ডারি, স্প্রে, ব্লক, অ্যাপ্লিক, হাতের কাজ প্রভৃতি। দামও নির্ধারণ করা হয়েছে সবধরনের ক্রেতাদের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে।

এড্রয়েট
একুশের চেতনাকে ধারণ করে এড্রয়েট তাদের শোরুমগুলো সাজিয়েছে দিবস উপযোগী বিভিন্ন পোশাক দিয়ে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের  পোশাকেও নিয়ে আসা হয়েছে একুশের বিভিন্ন চিত্র। যাতে করে শিশুরাও এখন থেকেই একুশ সম্পর্কে জানতে পারে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট, শার্ট প্রভৃতি পোশাকে বিভিন্ন একুশের মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এবারের ডিজাইনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের উদ্ধৃতি, আবার অক্ষর বিন্যাসে তৈরি করা হয়েছে চেক বা স্ট্রাইপ। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমেও ব্যবহার করা হয়েছে একুশ লেখাটিকে। ব্লক, অ্যাপ্লিক, এমব্রয়ডারি বা কয়েকটি মাধ্যমকে একসাথে ব্যবহার করা হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সাদা, কালো, অফ হোয়াইট ও লালকে।
 10438977_780419335338793_4276654417695339836_n
অঞ্জন’স
ভাষার মাসে পোশাকে অক্ষরচিত্র বা ছাপচিত্র দিয়ে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন করেছে অঞ্জন’স। পোশাকের ক্যানভাসে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে স্ক্রিনপ্রিন্ট বা ব্লক প্রিন্টের কাজ। লাল-সাদা-কালো কটন ফেব্রিকে সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, শাড়ি, পাঞ্জাবিসহ শিশু-কিশোরদেরও পোশাক থাকছে তাদের আয়োজনে। প্যাটার্ন ভেরিয়েশন থাকছে ট্রেন্ডি এবং ডিজাইনে অনুসরণ করা হয়েছে দেশীয় ঐতিহ্য। দেশীদশসহ অঞ্জন’সের সকল আউটলেটে পাওয়া যাবে একুশের মোটিফে তৈরি পোশাকগুলো। এছাড়াও প্রিয়জনকে অন্যান্য উপহার বা লাইফস্টাইল প্রোডাক্ট দিতে যেতে পারেন অঞ্জন’সের আউটলেটে।
10686689_10152652585131629_5822171988179575882_n
কে ক্র্যাফট
অন্যান্য বছরের মতো কে ক্র্যাফট পূর্ণ মর্যাদায় এবং আন্তরিকতার সাথে শ্রদ্ধাভরে একুশের পসরা সাজিয়েছে। যা এই প্রতিষ্ঠানের সবকটি বিপণনকেন্দ্রে ফেব্রুয়ারির পুরো মাস ধরে উপস্থিত থাকবে। এবারের মোটিফে অনুপ্রেরণার উত্স হিসেবে থাকছে বর্ণমালা। বর্ণ ও শব্দের বিন্যাসে ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গর্বের বিষয়সমূহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাংলা বর্ণমালা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত আদি বাংলা বর্ণমালাও ব্যবহূত হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কালো, লাল, ধূসর ও সাদার সমতলকে।
মুসলিম কালেকশন
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সাদা-কালো রঙের শার্ট এনেছে মুসলিম কালেকশন। শতভাগ সুতি কাপড়ে তৈরি ও নতুন ডিজাইনের এসব শার্ট এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। শর্ট ও লং এসব চেক ও স্ট্রাইপ শার্টের কাটিংয়ে আনা হয়েছে ভিন্নতা। এ ছাড়াও মুসলিম কালেকশনে পাওয়া যাচ্ছে এক্সক্লুসিভ ডিজাইন শার্ট। ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্টে প্রাধান্য পেয়েছে সাদা, হালকা সবুজ, খয়েরি, গোলাপি, লাল, নীল, বেগুনি রং। সময়োপযোগী কাপড় ও ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখেই মুসলিম কালেকশন এই শার্টগুলো তৈরি করেছে সব বয়সীদের জন্য। বিভিন্ন ডিজাইনের শর্ট শার্টও পাওয়া পাচ্ছে এখানে।
সুইসুতা
একুশকে কেন্দ্র করে সুইসুতা তাদের পোশাকের আয়োজনে বাংলা বর্ণমালা খচিত বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া থাকছে শার্ট, টি-শার্ট, ভি-নেক, পলো-শার্ট, পায়জামা, ফতুয়া এবং হ্যান্ড প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, ব্লক প্রিন্ট ও মোটিফের পাঞ্জাবিও রয়েছে। সাথে বাচ্চাদের টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, ফতুয়া, থ্রি-পিস, টু-পিস ইত্যাদি রয়েছে।

 

স্বাস্থ্যকর মটরশুঁটির সালাদ

খাবারে মটরশুঁটি আমরা অনেকভাবেই ব্যবহার করি। বিরিয়ানী,তরকারী সহ বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা হয় মটরশুঁটি। যা খাদ্যের স্বাদ বাড়ায় এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিরও যোগান দেয়। আজকে অপরাজিতার রেসিপিতে থাকছে,এই মটরশুঁটি দিয়ে কিভাবে তৈরী করা যায়,মজাদার সালাদ…

উপকরণ : মটরশুঁটি ১ কাপ,
শসা কুচি আধা কাপ,
টমেটো কুচি আধা কাপ,
পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ,
কাঁচামরিচ কুচি ২ চা চামচ,
কাজু বাদাম/চীনা বাদাম (আধা ভাঙা) আধা কাপ,
টমেটো সস আধা কাপ,
গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ,
ধনেপাতা কুচি সামান্য,
চিনি আধা চা চামচ,
লবণ স্বাদ মতো।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে মটরশুঁটি ফুটন্ত গরম পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। একটি ডিশে সব উপকরণ সুন্দরভাবে মিশিয়ে মটরশুঁটি ও বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সালাদ।

 

নারী প্রযুক্তি সম্মেলন ২০১৫ অনুষ্ঠিত

1423126028
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে হয়ে গেল নারী প্রযুক্তি সম্মেলন। এতে নারী নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলেন দেশের প্রবীণ ও নবীন সফল নারীরা। বক্তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাওয়ার গল্প করেন। সেসব নিয়েই এই প্রতিবেদন।
আলোচকদের মধ্যে ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অনলাইন ভিত্তিক নারী উদ্যোক্তা, আইনজীবী, মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তা ও আইটি ক্ষেত্রে কর্মরত সরকারের আমলাসহ অনেকে। শুরুতে সঞ্চালক সামিরা জুবেরী হিমিকা নবীনদের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে প্রশ্ন করলে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক ও ক্লিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক তারিন হোসেন মঞ্জু বলেন, ৬২ বছরের একটি পত্রিকাকে যখন আমি ‘ক্লিক ইত্তেফাক’ করে অনলাইনে নিয়ে আসতে চাই, তখন প্রথমেই আমাকে ‘না’ শুনতে হল। বলা হল এত পুরানো ও ঐতিহ্যবাহী একটি পত্রিকাকে তুমি পারবে না ক্লিক করে অনলাইনে নিয়ে আসতে। আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল আমি পারবো। বিশ্বাসটা বাস্তবে প্রতিফলিত হয়েছে বলেই আজ এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে টেক উইম্যানে এসে একথা বলতে পারছি। আমি শিখেছি চলার পথে ‘না’ আসবে। লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে ‘না’ কে প্রতিহত করতে হবে।

গ্রামীণফোনের ডিজিটাল সার্ভিসের সিনিয়র স্পেশালিস্ট শায়মা রহমান বলেন, প্রতিবন্ধকতা থাকবে। কিন্তু লেগে থাকতে হবে। তাহলেই একদিন নতুন দিনের নতুন সকাল তোমাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকবে।
ফিউচার সলিউশন ফর বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদেকা হাসান সেজুতি মনে করেন আমি কিছু করতে চাই। আমার একটা পরিচয় হবে এই স্বপ্নই সব বাধা পেছনে ফেলবে। বাকিরা বলেন, নিজের শিক্ষা আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রম করার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কাজের ক্ষেত্রে নিজের মন কি বলে তা মেনে চলার ওপরও তারা জোর দেন। কাজের সাথে ভালবাসা জড়িয়ে থাকলেই সে কাজে সফলতা আসে।
বক্তারা বলেন, যখন যা করবো সেটাই আনন্দ নিয়ে করতে হবে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ শত ব্যস্ততার মধ্যে রান্না করতে পছন্দ করেন। তারা বলেন, রাতে গিয়ে যে দিন রান্না করি, সেটাই নতুন এক ভালোলাগা নিয়ে উপভোগ করি। বোরিং নেস জীবন থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। করার জন্য কিছু করা জীবনে প্রবেশ করবে না বরং পেশাই পেসন, পেশাই তোমার পরিচয়।
মিস ম্যাচ বা এ কাজ আমার জন্য নয় এমন প্রশ্নের জবাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা বলেন, অনেকে পরিবারে আদি পেশা ছেড়ে নিজের নতুন পেশায় এসেছেন। তারা প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন বলেই ভুল করেননি। বাবা-মা অনেক সময় নিজেদের পছন্দ মেয়েদের ওপর চালিয়ে দেন। তা থেকে তখনই বেরিয়ে আসা সম্ভব যখন আপনার আত্মবিশ্বাস থাকবে আপনি পারবেন। আর পারার জন্য নিজেকে যোগ্য করতে হবে। এই যুগের নারী কোনভাবেই প্রযুক্তি থেকে আলাদা নয় বরং যোগ্যতার বলেই প্রযুক্তি নির্ভর পেশায় তারা।

বক্তারা জানান, একটি মোবাইল ফোন দিয়ে আজ তারা যোগাযোগ করছে। কেনাকাটা করছে, ব্যাংকিং করছে, ছবি তুলছে, গান শুনছে, ছবি দেখছে, ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে ভালোমন্দ শেয়ার করছে। আবার বাড়িতে বসে অফিসের কাজও করছে। তাই তথ্য প্রযুক্তি নারীর জন্য আলাদা কোন বিষয় নয়। তবে সকল নারী এখনও সেভাবে এই বিশাল জগতে বিচরণ করতে পারছে না। যারা যত বেশি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর হবে তারা তত বেশি আপডেটেট হবে।
মেয়েদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রহমান বলেন, ভুল থেকে শেখা আর পরিশ্রমই নারীকে তথ্য প্রযুক্তির কাজে সফল করতে পারে। এই ডায়নামিক তরুণরা আগামী দিনের দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সূত্র- ইত্তেফাক।

 

উইমেন লিডারশীপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন স্পীকার শিরীন শারমিন

‘উইমেন লিডারশিপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল শনিবার ভারতের মুম্বাইয়ে শুরু হওয়া ‘সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড উইমেন লিডারশিপ কংগ্রেস অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড (ডব্লিউডব্লিউএলসিএ)-২০১৫’ সম্মেলনে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ‘কানেক্টিং মাইন্ডস, ক্রিয়েটিং দ্য ফিউচার’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতাকালে বলেন, সমগ্র বিশ্বে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় যেসব চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান, সেগুলো মোকাবিলা করে আগামীদিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে নিতে নারী সমাজসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আগামী দিনে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রে নারী-নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করে উন্নয়নের মূলধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। জেন্ডার সমতা তৈরিপূর্বক সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও কর্পোরেট সংস্থাগুলোকেও কাজ করতে হবে।

ড. শিরীন আরও বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড উইমেন লিডারশিপ কংগ্রেস’ সমাজের প্রতিষ্ঠিত নারীদের জন্য একটি অনন্য ফোরাম। সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি ও পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এই ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

সূত্র- বাসস।

 

দীর্ঘদিন পর আবারো নাটক নির্মাণে ঈশিতা

অভিনেত্রী ও নির্মাতা রুমানা রশীদ ঈশিতা প্রতি বছরই একটি নাটক অথবা টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। এ বছরও তিনি একটি নাটক নির্মাণ করছেন। নাটকের নাম ‘ফিরে এসো প্রেম’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করছেন ঈশিতা নিজেই।

ঈশিতা জানান, সময়োপযোগী একটি গল্প নিয়ে নাটকটি নির্মিত হচ্ছে। নাটকে যারা কাজ করছেন বিশেষ করে লাক্সতারকা, ইমামি ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম, ভিট তারকারা বেশ ভালো অভিনয় করার চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে অভিনয় শেখার আগ্রহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তারা যদি ধৈর্য ধরে কাজ করে যায় তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।

এছাড়া আজিজুল হাকিম ভাই এবং মুনিরা ইউসুফ মেমী আপার অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। দুজনই অসাধারণ অভিনয় করছেন। আমি চেষ্টা করছি ভালোভাবে কাজটি শেষ করার। আমার পুরো ইউনিটের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’ ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘ফিরে এসো প্রেম’ নাটকটি ভালোবাসা দিবসে সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। ফিরে এসো প্রেম নাটকে আজিজুল হাকিম ও মুনিরনা ইউসুফ মেমী ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম আবুল কালাম আজাদ, লাক্স তারকা নাদিয়া, ভিট তারকা তন্বী ও নাফিজা।

 

গাড়ির চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ইজি বাইকের মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে রিয়া রায় মিনু (২৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত পৌঁনে সাতটায় কোটালীপাড়া-রাজৈর সড়কে চিকটীবাড়ী গ্রামের কোটালী এগ্রো হ্যাচারীর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রিয়া রায় উপজেলার সোনাইল বাড়ী গ্রামের মৃত মনিমোহন রায়ে মেয়ে।
কোটালীপাড়া থানার এসআই জায়েদ জানান, রিয়া তার বোনের সঙ্গে পশ্চিমপাড় থেকে ইজিবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কোটালীপাড়া-রাজৈর সড়কের ছিকটীবাড়ী কোটালী এগ্রো হ্যাচারীর কাছে এলে হঠাৎ রিয়ার গলায় থাকা ওড়না ইজি বাইকের মোটরে পেঁচিয়ে যায়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত  ঘোষণা করেন।
সূত্র- বাসস

 

অবরোধ সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৩৮জন নারী-শিশুর মৃত্যু

অপরাজিতা ডেস্কঃ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে সম্প্রতি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেসি লবি ডিরেক্টর গোস্বামী বলেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশু চরম অনিশ্চয়তার শিকার হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালন দিনে দিনে সহিংস-সন্ত্রাসী আকার ধারণ করছে। এই অবরোধ ও হরতালে নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশু মৃত্যুবরণ করছে। ৪ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৩ দিনে পেট্রলবোমা বিস্ফোরণ, আগুন ও সহিংসতায় নারী এবং শিশুসহ ৩৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নারী, শিশুসহ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম, প্রশিক্ষণ গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক বুলা ওসমান প্রমুখ।

 

দেশের সব ব্যাংক,আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তা ইউনিট খোলার নির্দেশ

অপরাজিতা ডেস্কঃ  দেশে কার্যরত সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইউনিট খোলার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায় স্বাক্ষরিত সার্কুলারে এ আদেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইউনিট খোলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রধান কার্যালয়সহ আঞ্চলিক কার্যালয়ে(যদি থাকে)নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ইউনিট শাখা পর্যায়ের এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিং করবে। এ ইউনিটে নারী কর্মকর্তা নিয়োজিত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের সকল প্রকার সেবাদান, ঋণ বিতরণে উদোগী ভূমিকা পালন, এসএমই ঋণ বিতরণ ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন,নারী উদ্যোক্তাদের ক্লাস্টার খুঁজে বের করে তাদের ঋণ বিতরণ কর্মকাণ্ডে আনতে এ ইউনিট কাজ করবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে ইউনিট গঠন করে তা অবহিত করতে বলা হয়েছে।

 

রক্ষক যখন হয় ভক্ষক!!

সমাজের জন্য শিক্ষক হলেন আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর,কিন্তু সেই মানুষটাই যখন নিজের ভেতরের পশুবৃত্তিকে ভিত্তি করে একটা শিশুর জীবন ধ্বংসের খেলায় নামেন তখন তো বলতেই হয়,রক্ষক হলে ভক্ষক! এমনই একজন ভক্ষকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে রংপুরে!

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর বাদশাহ (৪৫) একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬৩ শতাংশ জমি ওই শিশুর নামে লিখে দিয়ে তিনি ওই বিয়ে করেছেন।
বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর সরকারপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর বাদশাহ সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০০০ সালে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ও আরেক মেয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ২০১২ সালে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি। এ জন্য তিনি মেয়েসহ তার মা-বাবাকে নানা প্রলোভন দেখান। কিন্তু বিয়ের ঘটনাটি এত দিন প্রতিবেশী কিংবা এলাকার কেউ জানতেন না।
মেয়েটির ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘বাবা মুই গিরব মানুষ। ওর অনেক ধন। পোরতোম মুই বেটিক বিয়াও দিবার চাও নাই। কিন্তু অয় বেটির পাচ ছাড়ে না। বেটির নামে ৬৩ শতক জমি লেকি দিয়া কোটোত জায়া চুপ করি বিয়াও করচে। এই কথা কাকো জানবার দেয় নাই।’
এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি মেয়ের বাড়িতে জাহাঙ্গীরের অবাধ যাতায়াত ও মেয়েটিকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাতায়াত করায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। অবশেষে গত মঙ্গলবার মেয়ের বাবা বিয়ের কথা প্রতিবেশীদের কাছে স্বীকার করেন।
জানতে চাইলে শিক্ষক জাহাঙ্গীর বাদশাহ ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ভাই যা হওয়ার হয়েছে। দয়া করে পত্রিকায় এটা লিখবেন না। আমার চাকরির ক্ষতি হবে।’
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েটির ক্লাসে রোল ছিল এক। তবে বিয়ের পর সে আর পরীক্ষা দিতে পারেনি। বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘সম্প্রতি জানতে পেরেছি মেয়েটিকে বিয়ে করেছেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু অভিযোগ না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি।’
ওই বিয়ে নিবন্ধন করেছেন কালুপাড়া ইউনিয়নের নিকাহনিবন্ধক নজরুল ইসলাম। জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি অনেক আগের, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না, খাতা দেখতে হবে।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহেদুল হক বলেন, ‘একজনের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়। তিনি একটি কেন, সাতটি বিয়ে করতে পারেন।’
তবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর বয়স ১০ বছর। কোনোভাবেই এ বয়সে ছাত্রীর বিয়ে হতে পারে না। তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরেই তদন্ত করতে শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন হাতে পেলে অভিযুক্ত শিক্ষক ও যাঁরা ওই বিয়ে পড়ানোর সাথে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সূত্র- প্রথম আলো

 

৬টি অভ্যাস মেনে চলুন যদি ঘরে বসে অফিস করতে চান!

আজকাল অনেক উদ্যোক্তা কাজের অবস্থান থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও সফল ভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন। তাদের বেশিরভাগের ‘অফিস’ হচ্ছে নিজের ঘরেই!বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে কিংবা প্রিয় কফি শপে!

সৌভাগ্যবশত বর্তমান প্রযুক্তি প্রত্যেককেই যার যার অবস্থান থেকে যেকোন জায়গার কাজ সম্পাদন করার সুযোগ দিচ্ছে আর তাই উদ্যোক্তারা পারছেন নিজেদের ঘর থেকেই অফিসের কাজ সম্পন্ন করতে।যে কেউ ই ঘরে বসে অফিস করতে পারছে এটা শুনতে যতোটা সহজ শোনায় করতে কিন্তু ততোটা সহজ নয়!

o-WORKING-WOMEN-facebook

প্রোটোকল স্কুল অফ প্লামবিচের ফাউন্ডার জ্যাকলিন হোয়াটমোর তার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যেয়ে বলেন,১৯৯৮ সাল থেকে আমি আমার বিজনেস শুরু করেছি,তখন এই এখনকার মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস ছিলো না,আমাকে অন্যান্যদের মতোই রোজ অফিস করতে হতো,ক্লায়েন্ট সার্ভিস দিতে হতো অফিসে বসেই।প্রায় ছয় বছর এভাবে কাজ করার পর আমি আমার অফিস স্থানান্তর করলাম আমার বাসায়। না এটা খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিলো না! তখন এভাবে অফিস করা কেউ শুরু করেনি,কিন্তু আমি একাই শুরু করেছিলাম নিজের প্রতি বিশ্বাস আর প্রযুক্তির উপকারিতা কে সঙ্গে নিয়ে! শুরুতে আমার অভিজ্ঞতা খুব ভালো ছিলো না,একা একা বাসায় অফিস করতে কার ভালো লাগে?! বাসার অফিসে আমি একা কাজ করি,আমার সার্কেলের সবাই অফিসে যেয়ে কাজ করে সুতরাং আমার জন্য এই পরিবেশটার সাথে মানিয়ে নেয়াটা সহজ ছিলো না বটে কিন্তু কিছু সময় পর,আমি অভ্যস্থ হতে লাগলাম আমার নতুন অফিসের সাথে! বেশ ক’বার রুটিন চেঞ্জ করতে হয়েছে আমাকে,কিন্তু ধীরে ধীরে এটা আমাকে বেনিফিট দিতে শুরু করে। আমার বিজনেস নেটওয়ার্ক তৈরী হয়,কাজের প্রসার বাড়তে থাকে এবং সেই সাথে অন্যান্য কাজ গুলো আমার জন্য সহজ হতে থাকে।
যারা বাসায় থেকে নিজের অফিস মেইনটেন করার কথা ভাবছেন বা করছেন সে ক্ষেত্রে কিছু টিপস তাদের সবাই কে মাথায় রাখা উচিত। যেমন,

১. নিয়মতি একটা অফিসে বসার জন্য সময় ঠিক করা এবং তা পালন করাঃ

বাসায় কাজের রকম হাজারো হোক,অফিসের কাজের জন্য প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিতে হবে। এবং সেই সময়টাতে শুধু মাত্র অফিসে কাজ গুলো করা হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখে যায়,অনেকেই সময় ঠিক করেন কিন্তু পরে তা এলোমেলো করে ফেলেন বাসার কাজের সাথে যেটা খুবই বাজে অভ্যাস!

working-from-home

অনেকের বাসায় ছোট বাচ্চা থাকে,যাদের কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটে আর সে সাথে বাসার অন্যান্য কাজ তো থাকেই কিন্তু নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল দেখতে চাইলে সব কিছুর মাঝেও অফিসের জন্য নির্দিষ্ট সময়টা ব্যবসার কাজেই লাগাতে হবে।

২.প্রতিদিনের কাজের প্ল্যান ও পদ্ধতি গুলো ঠিক করে নিতে হবেঃ

যেকোন কাজের ক্ষেত্রেই পূর্ব পরিকল্পনা সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। আর তাই বাসায় থেকে অফিস মেইনটেন করার ক্ষেত্রেও পূর্ব পরিকল্পনা,কাজের দিক ঠিক করে রাখা এবং কাজ গুলো দিন-সময় অনুযায়ী সাজিয়ে রাখাটা অফিস এবং বাসার কাজ দু’টো মেইনটেন করার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে।

তাই রান্না ঘরেই থাকুন কি অফিসে,সামনে রাখুন কাজের লিস্ট গুলো! প্রাইয়োরিটি বেসিসে কাজ গুলো শেষ করুন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।

৩.নিজেকে পরিপাটি রাখুন হোক তা সামান্য কাজের বেলাতেওঃ

একটা প্রবাদ আছে,পোষাক বাড়ায় মনোবল। আর তাই বাসা হোক কি অফিস কাজের বেলায় নিজের পোষাকের দিকেও খেয়াল রাখুন। সব সময়,সব জায়গায় একই রকম পোষাক কাজের মনোভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ঘরের কাজ আর অফিসের কাজের বেলায় চেষ্টা রাখবেন পোষাক টা যেনো ভিন্ন এবং আরামদায়ক হয়।

workhome-business

অফিসে ক্লায়েন্ট সার্ভিস দেবার সময়,কাস্টমার-বায়ারদের সাথে ডিল করার সময়ও মাথা রাখবেন,অফিসের পোষাক টা যেনো অফিসের মতোই হয়!

৪.কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করুনঃ

চেষ্টা করবেন আপনার অফিস প্লেস টা যেনো আলাদা হয় আপনার বাসার অন্যান্য রুম থেকে। তাই কাজ করার জন্য বাছাই করবেন এমন একটি এরিয়া যেখানে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে সব কিছু ব্যালেন্স করতে সমস্যা না হয়।

woman-multitasking

কাজে মনোযোগ বাড়ানোর জন্য অফিসের ছোট থেকে বড় সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ হোক তা ফুলদানীর ফুল গুলোই! ঘরের কাজ করে,সংসার নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যখন আপনি অফিসে আসবেন তখন যেনো,নিজে থেকেই কাজ করার ইচ্ছে জাগে,সব কিছু কে এক পাশে রেখে নিজের বিজনেস কে ভাবতে ইচ্ছে করে!সে ক্ষেত্রে আপনার অফিসের পরিবেশটাই পারবে অনেকটা ভূমিকা রাখতে।

৫.বিরতি নিনঃ

প্রতিদিন বাসা-অফিসের কাজের ফাঁকে কিছু সময় বিরতি নিন। চেষ্টা করুন লাঞ্চটা অফিসের বাইরে পরিবারের সাথে করতে কিংবা বিকেলের চা টা বাগানে বা ছাদে বসে খেতে। এতে করে মানুসিক প্রশান্তি পাবেন,কাজে স্পিড আসবে। আর বাসায় থেকে অফিস করার যেমন অনেক উপকারীতা আছে তেমনি অপকারিতাও আছে!!

officeexercises

সব সময় বাসায় থাকার দরুন আপনার বডি ফিটনেস চেঞ্জ হতে পারে! কিন্তু জীবনের জন্য কাজের জন্য উপযুক্ত বডি ফিটনেস জরুরী। তাই নিয়ম করে ব্যায়াম অবশ্যই করবেন। এতে শরীর-মন দু’টোই সতেজ থাকবে।

৬.যথা সম্ভব মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখুনঃ

বাসায় থেকে অফিস করাটা এক ধরনের কঠিন চ্যালেঞ্জ বটে! ঘরে বাচ্চাদের সামলানো,পারিবারক নানান ঝামেলা কে একপাশে রেখে মনোযোগের সাথে অফিস করাটা সব সময় সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে দুই জায়গাতেই আপনার মেজাজ কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এবং ঘরের চিন্তা-অনুভূতি গুলোকে এক পাশে রেখেই অফিস করতে হবে।

masa

অফিসে যতোক্ষণ থাকবেন,সময় যেনো অপচয় না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। আর তাই অপ্রোয়োজনিয় মেইল আদান-প্রদান,সোশ্যাল মিডিয়াতে অতিরিক্ত সময় দেয়া,ফোনে বেশি সময় কথা বলা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।

সূত্র- একটি ইংরেজি সাময়িকি অবলম্বনে অনুবাদ করেছেন স্বপ্নকথা।

 

 

আসছে বসন্তে ভালোবাসার রঙে সেজেছে ফ্যাশন হাউস গুলো

শুরু হয়েগিয়েছে ফেব্রুয়ারী ভাষার মাস,সেই সাথে উৎসবের মাসও বটে। বাংলা মাসের ক্যালেন্ডার থেকে শীতের বিদায় ঘন্টা বেজে চলছে,শুরু হচ্ছে প্রকৃতিতে নতুন উৎসবের আমেজ। পহেলা ফাল্গুন এবং সেই সাথে ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে প্রতিবারের ন্যায় এবারো আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউস গুলো তৈরী করছে উৎসবীয় রঙের নানান ডিজাইনের পোষাক। ফাল্গুনের বাসন্তি উৎসব এবং ভালোবাসা দিবসের বর্ণিল আয়োজন কে ঘিরে কোন কোন ফ্যাশন হাউস কি কি ধরনের পোষাক তৈরী করছে তা নিয়ে অপরাজিতাবিডির এবারের আয়োজনে লিখেছেন স্বপ্নকথা…

অঞ্জন’স
বসন্তকেন্দ্রিক উচ্ছ্বাস এদেশের মানুষের এখন স্বভাবজাত।  ১ ফাল্গুন আর ভ্যালেন্টাইন দিবসও যুগপত্ভাবে আনন্দের খোরাক যোগায় তারুণ্যে। তাই বিশেষ মুহূর্তকে বর্ণিল পোশাকে রাঙাতে অঞ্জন’স এনেছে ডিজাইন বৈচিত্র্যের নতুন প্রোডাক্ট লাইন। কটন, লিলেন, খাদি, ভয়েল, তাঁত কটন কাপড়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বাসন্তি, হলুদ, কমলা রঙের।
10423751_779981235382603_5322024239019559600_n 10947342_779981328715927_5005045256348830490_n
উত্সবের রঙে রাঙাতে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া এবং পাঞ্জাবির নয়া সব কালেকশন থাকছে এবার। বাড়ির ছোট্ট সদস্যের জন্যও রং এবং ডিজাইন ভিন্নতায় বসন্তের পোশাক এনেছে অঞ্জন’স। এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্টসহ এসব পোশাকের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে সার্বজনীন উত্সবের আবহ। এ ছাড়াও প্রিয়জনকে অন্যান্য উপহার বা লাইফস্টাইল প্রোডাক্ট দিতে যেতে পারেন অঞ্জন’সের আউটলেটে।
ভালোবাসা দিবসে এড্রয়েট

ভ্যালেন্টাইনস ডে মানেই শুভেচ্ছা ও ভাববিনিময়ের দিন। এই দিনে ভালোবাসার মানুষটির সামনে নিজেকে কিভাবে সুন্দর করে উপস্থাপন করা যায় এ নিয়ে অনেকেই পড়েন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। কাপলদের সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের জন্য এড্রয়েট তৈরি করেছে নতুন ডিজাইনের পোশাক। এড্রয়েটের সব শোরুম থেকে একই দামে পোশাকগুলো ক্রয় করতে পারবেন।

ফ্যাশন হাউস রঙ 

ঋতুভিত্তিক পোশাক আয়োজনে ফ্যাশন হাউস রঙ রয়েছে এগিয়ে। তাই রঙ এর নতুন আয়োজনে বসন্ত উৎসব এবং ভালোবাসা দিবস কে সামনে রেখে  পোশাকে এসেছে লাল,বাসন্তী ও হলুদ রঙের ছোঁয়া। তবে নতুন পাতার রং সবুজও এসেছে পোশাকের নকশায়। লাল-কমলা রঙও বাদ যায়নি। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া সবকিছুতেই যেন বসন্তের ফুলে ফুলে ভরে ওঠা প্রকৃতি। প্রকৃতির বিভিন্ন মোটিফ ব্যাবহারে প্রতিটি নকশায় বসন্তের প্রকৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সুতি কাপড়ে কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে চুনোট, টাই-ডাই, ব্লক-স্প্রে, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিন, হ্যান্ডপেইন্ট, বাটিক, ভেজিটেবল রং, কারচুপি, হাত ও মেশিন এমব্রয়ডারি, এবং চুমকির কাজ।

image_742_106978 shada

রঙ এর এই বসন্ত আয়োজন পাওয়া যাবে আজগর স্কয়ার-সিলেট, দেশীদশ-আফমি প্লাজা-চট্টগ্রাম, বেইলী ফিয়েস্তা (৩য় তলা)-বেইলী রোড, দেশীদশ-বসুন্ধরা সিটি শপিং মল-পান্থপথ-ঢাকা, অরচার্ড পয়েন্ট-ধানমন্ডি, এডাপ্ট আমির কমপ্লেক্স-বারিধারা, রাইফেলস্‌ স্কয়ার-ধানমন্ডি, সানরাইজ প্লাজা-লালমাটিয়া, টুইন টাওয়ারস্‌ কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্স-শান্তিনগর, সান্তনা মার্কেট- নারায়নগঞ্জ।

কে ক্র্যাফট  

শীত শেষ না হতেই প্রকৃতিতে বসন্তের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে দেশের শীর্ষ ফ্যাশন হাউজগুলো আয়োজন করেছে বসন্তের নানা সম্ভার। বসন্ত উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারো ফ্যাশন হাউজ কে ক্র্যাফট তাদের শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবীর কালেকশনে নিয়ে এসেছে বৈচিত্র।

10009795_10152628366436629_3042888343327226070_n

বাসন্তী, হলুদ আর সবুজের সংমিশ্রণে তাদের শাড়িগুলো সত্যিই আকর্ষনীয়। কটনের ওপর প্রিন্টের শাড়িগুলো পাওয়া যাবে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। আর স্কিন প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির হাফ সিল্ক শাড়িগুলো পাওয়া যাবে ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে।হলুদের ওপর কারুকাজ করা কটনের সালোয়ার কামিজগুলো পাওয়া যাবে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে। এমব্রয়ডারি ও স্কিন প্রিন্টের কটন সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাবে ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকার মধ্যে।ছেলেদের কটন লং পাঞ্জাবী ১২০০ থেকে ১৫০০ এবং এন্ডি লং পাঞ্জাবী ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।

ভালোবাসা দিবসের কাপ ফটোস্যুট আয়োজন

ওয়েডিং ডায়েরি
ওয়েডিং ডায়েরি দিচ্ছে যুগলদের জন্য ২০০০ ও ৫০০০ টাকায় ছবি তোলার সুযোগ। এ ছাড়া বিয়ের ছবি তোলাতেও ছাড় পেতে পারেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব সুযোগ থাকবে।  ফেসবুক: www.weddingdiary.com.bd

1604462_878729232169023_4840056457633706755_n 10940472_809401049117089_2985714350548484258_n

 ওয়েডিং চ্যাপেল
যুগলদের জন্য ছবি তোলানোর সুবিধা দিচ্ছে ওয়েডিং চ্যাপেল। ঢাকার যেকোনো স্থানে ছবি তোলা যাবে। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এ সুযোগ থাকবে। ফেসবুক:www.facebook.com/Weddingchapelbd

 

 

যত্নে রাখুন সিল্কের শাড়ী

বাঙ্গালী নারীদের জন্য পছন্দনীয় শাড়ির তালিকায় সিল্কের শাড়ির স্থান প্রথম সারিতে। অনুষ্ঠান,অফিস থেকে শুরু করে সব রকমের প্রোগ্রামেই সিল্কের শাড়ি পড়তে তারা পছন্দ করেন। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সিল্কের শাড়ি ঠিক ভাবে যত্ন করে সংরক্ষন করতে জানি না! অপরাজিতায় আজ তাই থাকতে সিল্কের শাড়ির যন্ত সম্পর্কে খুঁটিনাটি। লিখেছেন লুবনা আহমেদ…
1
* সিল্কের শাড়িতে কোনো দাগ লেগে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ড্রাই ক্লিন করে নিন। বাড়িতে দাগ তোলার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ পানি ব্যবহার করলে দাগ স্থায়ী হয়ে যাবে।

* বেশিক্ষণ সিল্কের শাড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন না। একবার পানিতে ভিজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলুন।

* খুব জোরে কাপড় কাচবেন না। ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। শুকাতে দেয়ার সময় হালকা করে পানি ঝরিয়ে ছায়ায় শুকাতে দিন।

* সিল্কের শাড়ি বাড়িতে ইস্ত্রি করার চেষ্টা করুন। অথবা ভিজে থাকতে হাতের ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ইস্ত্রি করুন। খুব গরম করে ইস্ত্রি করবেন না। উল্টো দিক থেকে করতে পারলে ভালো। আঁচল ও পাড়ে ভারী নকশা থাকলে ওপরে নরম কাপড় রেখে উল্টো করে ইস্ত্রি করুন।

* সিল্কের শাড়ি পরে মেকআপ না করাই ভালো।

* প্লাস্টিকের প্যাকেটে সিল্কের শাড়ি রাখবেন না।

* মসলিনের কাপড়ে মুড়ে সিল্কের শাড়ি অন্ধকার জায়গায় রাখুন। কখনও ড্যাম্প জায়গায় শাড়ি স্টোর করবেন না।

* ভারী কাজ কিংবা এমব্রয়ডারি করা শাড়ি হ্যাঙ্গারে না ঝুলিয়ে ভাঁজ করে রাখুন।

* সিল্কের শাড়ির মধ্যে ন্যাপথলিন বল রাখবেন না। এতে শাড়ি নষ্ট হতে পারে। এছাড়া কাপড়ে ন্যাপথলিনের গন্ধ রয়ে যাবে। তবে এর পরিবর্তে দারুচিনি, লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন।

* কড়া রোদে সিল্কের শাড়ি শুকাতে দেবেন না। কারণ এর ফলে রং হালকা হয়ে যাবে।

* শাড়িতে তেল মশলাযুক্ত দেয়া গ্রেভি বা তেলযুক্ত কোনো দাগ লেগে গেলে ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে ফেলুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে পারিষ্কার করুন।

 

আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবী

অপরাজিতা ডেস্কঃ আদিবাসী নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক চৈতালী ত্রিপুরা।
চৈতালী ত্রিপুরা বলেন, ২০১৪ সালে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যাসহ আদিবাসী নারী ও শিশুদের ওপর মোট ৭৫টি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫১টি এবং সমতল অঞ্চলে ২৪টি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখি দাস পুরকায়স্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সাবিহা ইয়াসমিন, নারী প্রগতি সংঘের সমন্বয়কারী দিলারা রেখা, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয় কমিটির সদস্য রাখিম্রং প্রমুখ।

 

দ্বৈত!

নারীরা বসে নেই,এগিয়ে যাচ্ছে নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গনে। মুসলিম নারীরা সচেতন হয়ে উঠছে তাদের হক বা অধিকার সম্পর্কে যা আল্লাহ স্বয়ং তাদের দিয়েছেন। তারা বুঝতে শিখছে আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (স:) প্রবর্তিত এ হক কেড়ে নেবার অধিকার কারও নেই; নারীরাও আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত, ঠিক যেমনি পুরুষেরা।

আমি ‘শিখেছে’, ‘উঠেছে’- এ ক্রিয়াগুলো ব্যবহার না করে ‘শিখছে’, ‘উঠছে’ ক্রিয়াগুলো ব্যবহার করেছি। কারণ আমার মতে এখনো এ প্রক্রিয়ার মাঝামাঝি কোনো একস্থানে আমরা অবস্থান করছি। পূর্ণতা অর্জন এখনও বেশ দূর। মুসলিম নারী জাগরণের, নারীর অবস্থান পরিবর্তনের এ জোয়ার পুরুষদের গায়েও লেগেছে। নারীদের প্রতি তাদের সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গীর বেশ একটা পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা এ অবস্থাকে বলতে পারি একটা Transition Period।

এ অবস্থানে অধিকাংশ পুরুষের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায় একটি দ্বৈত চরিত্র। একদিকে নারী জাগরণের এ সময় তারা তাদের সঙ্গীনীকে কল্পনা করেন বিদুষী, শিক্ষিত, কর্মচঞ্চল, ও সচেতন এক নারী রূপে। অন্যদিকে তাদের মনের কোঠরে বাস করে তাদের শৈশবে দেখে আসা সেসব নারী চরিত্র যারা স্বামী সেবাকেই জীবনের একমাত্র কাজ ও লক্ষ্য মনে করতেন; স্বামী বা স্বামীপক্ষের সব অন্যায়, অত্যাচার, গঞ্জনা মুখবুজে সয়ে যেতেন, মুখে ‘রা’ টি করতেন না। তাদের মনে রয়ে গেছে সেই ‘বুক ফাটেতো মুখ ফোটেনা’ – গোছের নিরীহ বধূটি। অর্থাৎ তারা এর একাংশ আর ওর অপরাংশ মিলিয়ে অদ্ভুত এক কল্পিত নারী চরিত্র তৈরী করেন যা স্বভাবগতভাবেই পরস্পর বিপরীত। যে নারী সচেতন, যে নারী বহির্জগতের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস রাখেন, সে নারী নিজ স্বামীর অবহেলা-অসম্মানকে চিহ্নিত করতে অসমর্থ হবেন, বা বুঝতে পেরেও সমাজের রক্তচক্ষুর ভয়ে গুটিশুটি মেরে যাবেন এমনটা আশা করা যুক্তিহীন।

অনেককে দেখেছি বিয়ে করার সময় বুদ্ধিমতী, চৌকষ, যোগ্য মেয়ে খোঁজেন। কিন্তু বিয়ের পরে সেই বুদ্ধিমতী মেয়েটি যখন তাকে কোনো ব্যাপারে পরামর্শ দেয় তখন অন্যদের সম্মুখে সেই পরামর্শকে মেনে নেয়াকে কাপুরুষতা মনে করেন। ভাবেন –
স্ত্রীর কথা শুনলে অন্যরা কি মনে করবে ?
সবাই বলবে আমি স্ত্রীর কথায় উঠি-বসি।
ওরা বলবে আমি একটা স্ত্রৈণ।

অথচ এটা তো খুব স্বাভাবিক যে, যেকোনো শিক্ষিত বুদ্ধিমতী মেয়েই আশা করবে যে, তার স্বামী তার সঙ্গে পরামর্শ করবে, তার মতামতের গুরুত্ব দেবে। একদিকে বুদ্ধিমতী স্ত্রী চাওয়া অন্যদিকে স্ত্রীর মতামতকে (তা যতটা মানসম্মতই হোকনা কেন) মেনে নিলে মান যাবে এমনটা ভাবা পরস্পর বিরোধী মানসিকতারই লক্ষণ।

আমার ধারণা এই Transition Period এ অনেক পুরুষই আসলে কি চাইছেন এ ব্যাপারে নিজেরাই যথেষ্ট স্বচ্ছ ধারণা রাখেন না বা একধরনের দোটানায় ভোগেন। একদিকে তারা আমাদের দেশের নারীদের অন্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাইছেন, তাদেরকে সচেতন নারী রূপে দেখতে চাইছেন, আবার একই সাথে বাস্তব জীবনে নিজের ঘরের নারীটিকে নিজ অধিকার সম্পর্কে নীরব, নিশ্চুপ, বোধহীন দেখতে ভালবাসছেন। এ দ্বৈততার ফল খুব একটা সুখকর হয়না।

নারী স্বভাবতই ধৈর্যশীল। তবে ধৈর্য্য- সহিষ্ণুতা আর উপর্যুপরী অন্যায়-অবহেলা- অসম্মান চুপচাপ মেনা মেনে নেয়া এক কথা নয়। নারীর যেমন স্বামীর সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী, তেমনি স্ত্রীর সন্তুষ্টির প্রতিও স্বামীর লক্ষ্য রাখা জরুরী। স্ত্রীর অধিকার সচেতনতাকে ‘বিদ্রোহ’ হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে ‘স্ত্রীর আনুগত্য’ নয়, বরং স্বামী- স্ত্রীর পরস্পরের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতিই আমাদের পারিবারিক জীবনকে সফল করে তুলতে পারে।

লিখেছেন- কানিজ ফাতিমা নিপু। ক্যালগরি,কানাডা।

 

চলো ভ্রমণে শুধু দু’জন… শেষ খন্ড।

হঠাৎ লেখার গতি কমে গেলো জাফরের। হোঁচট খেয়ে খুঁড়িয়ে চলতে চলতে একসময় থেমে গেলো। চোখ তুলে দেখলো সুবহা তার দিকেই তাকিয়ে আছে। সুবহার কথাটা শুনে এত রেগে গিয়েছিল কেন সে? এমন তো নয় যে ফান বোঝে না! ভালোই বোঝে। কিন্তু তবুও সুবহার ফানটা নিতে পারেনি! কেন পারেনি? মানুষের মন আসলেই খুব বিচিত্র! কখনো কখনো অনেক বড় কিছুকেও হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়! আবার কখনো কখনো ছোট্ট একটা ধূলি কণাকেও ঝেড়ে ফেলে দিতে তৈরি থাকে না! কিন্তু যত যাই কিছু হোক না কেন মজা করারওএকটা লিমিটেশন থাকা উচিত! যে কোন সম্পর্কেকে সুন্দর ও গতিশীল রাখার জন্য লিমিটেশন জ্ঞানটা খুব জরুরি! প্রতিটা সম্পর্ক যেমন ভিন্ন, সম্পর্কেও মাঝে বিদ্যমান আদবও ভিন্ন। একটা সম্পর্ক যতই খোলামেলা বা উদার হোক না কেন তাতে বিদ্যমান আদবের বরখেলাপ করা অনুচিত! ইসলামও তো এমনটাই শিক্ষা দেয়! রসিকতার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই শরীয়তে। বরং উৎসাহিত করা হয়েছে। হযরত আলী (আ) বলেছেনঃ রাসূল (সা) যখনই তাঁর কোনো সহচরকে বিষন্ন বা মনমরা অবস্থায় দেখতেন, তখনই কৌতুক মজা করে তাকে প্রফুল্ল করে তুলতেন এবং বলতেনঃ নামাযের পর সবচেয়ে উত্তম আমল হলো মুমিনদের অন্তরকে প্রফুল্ল করা। অবশ্য এমনভাবে হতে হবে যেন তাতে গুনাহের লেশমাত্র না থাকে।

ইমাম হাসান (আ.) কে ইমাম আলী (আ) এক উপদেশ বাণীতে বলেছেনঃ “হে সন্তান আমার! সে-ই ইমানদার যে তার দিনরাতের সময়গুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করে নেয়। একটি অংশকে কাজে লাগায় আধ্যাত্মিকতার চর্চা এবং আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করার মধ্য দিয়ে। অপর একটি অংশকে কাজে লাগায় পার্থিব জগতের প্রয়োজনীয়তা ও জীবন জীবিকার চাহিদা মেটাতে। আর তৃতীয় অংশটিকে নির্দিষ্ট করে বৈধ এবং হালাল বিনোদন উপভোগ করার জন্যে।” তোমাকে বিয়ে করাই আমার ঠিক হয়নি” সুবহার বলা এই কথাটিতে কি রসিকতার মাঝে ফেলা যায় ? ঠিক বুঝতে পারছে না জাফর? সেকি ওভার রিঅ্যাক্ট করেছিল নাকি এই ধরণের কথা আসলেই বলা ঠিক না স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যেকে? জানে সুবহা ফান করেই কথাটা বলেছে! কিন্তু ফান করে কি এমন কথা বলা যায় যাতে অন্যের মনে কষ্ট হতে পারে? ফান মানুষ আসলে কেন করে?

ডায়েরী পাশে রেখে জাফর বলল, আচ্ছা আপনি কি বলতে পারবেন মানুষ ফান কেন করে?

একটু ভেবে সুবহা বলল, আনন্দ পাবার জন্য।

শুধুই পাবার জন্য?

না দেবার জন্যও।

তাহলে নিশ্চয়ই ফান করে কাউকে এমন কথা বলা উচিত নয় যাতে সে কষ্ট পেতে পারে তাই না?

হুম… একদমই উচিত নয় এটা।

জাফর হেসে বলল, আমারো এমনটাই মনেহয়। যে কোন সম্পর্কেই ফান আসলে এমন হওয়া উচিত যাতে দুজনই আনন্দ পেতে পারে। অন্যেকে কষ্ট দেবার জন্য যা করা হয় সেটা কখনোই ফান হতে পারে না!

অন্যকে কষ্ট দেয়ার নিয়্যাতে আসলে ফান করাও হয় না সাধারণত।

কিন্তু অন্যেকে ক্ষেপানো, রাগানো না বিরক্ত করার নিয়্যাতে অবশ্যই করা হয়। আমার মতে এটাও ঠিক না! যখন দুজন মানুষ একই রকম নির্মল আনন্দ অনুভব ও উপভোগ করবে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত অর্থে ফান! সেই হিসেবে ফানের প্রথম শর্ত হচ্ছে, দুজনের জন্যই সেটা উপভোগ্য হতে হবে। তাছাড়া ফান তো আমরা সাধারণত খুব কাছের মানুষদের সাথেই করি তাই না! যারা মনের খুব কাছের! আর এমন প্রিয় মানুষদেরকে কষ্ট দ্বারা লব্ধ কিছু কি আনন্দের উপকরণ হতে পারে? নাকি হওয়া উচিত?

ভেতরে চেপে রাখা লম্বা শ্বাসটা ধীরে ধীরে বের করে দিয়ে সুবহা বলল, কখনোই হওয়া উচিত নয়। আমি খুব দুঃখিত তোমাকে ঐ কথাটি বলার জন্য।

জাফর হেসে বলল, আমিও খুব দুঃখিত তোমার ফানকে ফান হিসেবে নিতে না পারার জন্য। সম্পর্কের বন্ধন আমার কাছে খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে বলেই হয়তো আমি তোমার কাথাটিকে ফান হিসেবে নিতে পারিনি। এখন আমার একটা প্রশ্নের জবাব দেন দেখি!

সুবহা বললেন, জ্বি কি প্রশ্ন?

জাফর বলল, আপনি এত দূরে বসে আছেন কেন? আপনি যদি এত দূরেই বসে থাকবেন তাহলে কেবিন ভাড়া করার দরকার কি ছিল আমার? শুধু দুজনে মিলে এই ছোট্ট ভ্রমণের পরিকল্পনা ও আয়োজন তো আমরা করেছিলাম জীবনের এই মূহুর্তগুলোর ভাঁজ থেকে শত সহস্র সুখানুভূতির শিহরণ, আনন্দানুভূতি আন্দোলন আর প্রেমানুভূতির বিচ্ছুরণ সমৃদ্ধ স্মৃতি সংগ্রহের জন্য। যেসব আমরা রেখে যাবো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। যা ওদের হৃদয়ে ঝরাবে তুমুল শ্রাবণের চাষবাস!

লাজুকতা জড়ানো হাসি ছড়িয়ে পড়লো সুবহার চেহারায়। জাফরের ঠোঁটের কোণেও ফুটে উঠলো ভালোবাসাময় হাসি। ধীরে ধীরে হাত বাড়িয়ে দিলো সুবহার দিকে………

লিখেছেন- ডা.আফরোজা হাসান। সাইকোলজিস্ট,মাদ্রিদ,স্পেন।

 

এই শীতে সুস্বাদু ভূনা খিচুড়ি।

অপরাজিতা ডেস্কঃ খিচুড়ি এমন একটি খাবার যা বারো মাস ই খাওয়া যায় তৃপ্তির সাথে। আর যদি শীতের হিমহিম সময়ে গরম গরম ভূনা খিচুড়ি আর সাথে মজাদার আচার থাকে খাবারের টেবিলে তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
আর তাই অপরাজিতার আজকের রেসিপি হচ্ছে, সুস্বাদু ভূনা খিচুড়ি…
উপকরণ :পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, মুগডাল ২৫০ গ্রাম, মসুরের ডাল ২৫০ গ্রাম, আদাবাটা দেড় টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ২ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ২ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, মটরশুঁটি ১ কাপ, ঘি আধা কাপ, তেল আধা কাপ, আস্ত গরম মসলা পরিমাণমতো, তেজপাতা ৩/৪টি, কাঁচা মরিচ ৫/৬টি, বেরেস্তা ৪ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, জয়ত্রী ও জয়ফল গুঁড়া আধা চা চামচ।
 IMG_20121008_214639
প্রণালি :চাল ও ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। এবার হাঁড়িতে ঘি ও তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। বাদামী হলে আস্ত গরম মসলা ও তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে সব বাটা ও গুঁড়া মসলা সামান্য পানি দিয়ে একসাথে মিশিয়ে হাঁড়িতে ঢেলে দিন। এবার মসলা ভালো করে কষিয়ে ডাল, চাল ও মটরশুঁটি দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন। পরিমাণমতো গরম পানি দিন। এবার লেবুর রস ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। পানি প্রায় শুকিয়ে এলে খিচুড়ি দমে দিন। মাঝে একবার নেড়ে দিন। হয়ে গেলে পরিবেশন পাত্রে রেখে উপরে বেরেস্তা ছড়িয়ে মাংস দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

মিস ইউনিভার্স ২০১৫ হলেন পাউলিনা ভেগা।

৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিযোগীদের হারিয়ে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতলেন মিস কলম্বিয়া পাউলিনা ভেগা। প্রথম রানার আপ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়া সানচেস। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন মিস ইউক্রেন দিয়ানা হারকুশা। রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে গ্রান্ড ফিনালের আয়োজন করা হয়।
কলম্বিয়ার বারানকিলার পাউলিনা (২২) বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসনে পড়ছেন। তিনি কিংবদন্তী শব্দসৈনিক গোস্তন ভেগার নাতনি।
মুকুট জেতার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে পাউলিনা বলেন, এ ধরনের বিশ্ব মঞ্চে এবারই প্রথম উঠলাম এবং এবারই শেষ। এখন কলম্বিয়ায় গিয়ে পড়াশোনায় মন দেব।
মুকুট জয়ের আগে তিনি চলতি সপ্তাহে বলেছিলেন, এতো বড় মঞ্চে নারীর প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শুধু সৌন্দর্য ও গ্ল্যামারের প্রতি নারীর সচেতন হওয়া উচিত হয়, একই সঙ্গে পেশা, মেধা ও ব্যক্তিজীবনে পরিশ্রমের ব্যাপারেও সচেতনতা হওয়া উচিত।
সূত্র: ইয়াহু নিউজ।

 

চলো ভ্রমণে শুধু দু’জন… ২

বাড়ির সবার সাথে ফোনে কথা বলা শেষ করে সহযাত্রীর দিকে তাকালো সুবহা। গভীর মনোযোগ দিয়ে লিখতে কি যেন। একদম মুখোমুখি বসেছে সে তাই দেখার উপায় নেই কি লিখছে উনি। এত মনোযোগ দিয়ে কি লিখছে? লেখা দেখতে ব্যর্থ হয়ে লেখকের দিকে তাকালো সুবহা! চেহারার মধ্যে কি অদ্ভুত আত্ম নিমগ্নতা ছড়িয়ে গিয়েছে মানুষটির! মুগ্ধ না হয়ে পারলো না। খুব ইচ্ছে করতে লাগলো পাশে গিয়ে বসতে। কিন্তু নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছে সে। অকারণেই ঝগড়া বাঁধিয়েছে ট্রেনে উঠার পর। দুষ্টুমির ছলে ঝগড়া যে সিরিয়াস পর্যায়ে চলে যাবে মোটেই বুঝতে পারেনি। কথায় কথায় জাফরকে বলে ফেলেছিল তোমাকে বিয়ে করাই আমার ঠিক হয়নি। বাক্যেটি শোনা মাত্র দপ করে নিভে গিয়েছিল জাফরের চেহারার আলো। শক্ত হয়ে গিয়েছিল চোখ মুখ। সুবহা কিছু বলার আগেই কঠিন স্বরে জাফর বলেছিল, পুরো জার্নিতে তুমি আমার সাথে কোন কথা বলবে না। না আমি তোমাকে চিনি, না তুমি আমাকে চেনো। এরপর হাজারটা কথা বলেছে, অসংখ্যবার সরি বলেছে কিন্তু জাফরের মুখ দিয়ে একটি শব্দও বের করাতে পারেনি। এজন্যই ফোনে কথা বলে কান ঝালাপালা করে দেবার চেষ্টা করেছে। যাতে বিরক্ত হয়ে কিছু বলে জাফর। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। বই পড়ছে, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকছে, এখন লিখতে বসেছে। কিন্তু কথা তো দূরে থাক একটা শব্দ পর্যন্ত বের করছে না মুখ দিয়ে বান্দাহ। এত কঠোর মানুষ হয়? কিভাবে এই লোকের সাথে সারাজীবন কাটাবে ভেবে কিছুটা শঙ্কিত বোধ করলো সুবহা।

মা বড় ফ্লাক্সে করে চা/কফি দুটাই দিয়ে দিয়েছিলেন। নিজে চা নেবার সময় এক কাপ জাফরের সামনেও রাখলো। ওমা সাথে সাথে হাত বাড়িয়ে চায়ের কাপ নিলো জাফর। একেই মনেহয় বলে জাতে মাতাল তালে ঠিক। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে মোবাইল নিয়ে ম্যাসেজ করলো সুবহা। আচ্ছা আমরা কি অপরিচিতদের মত কথা বলতে পারি? সাথে সাথেই জবাব এলো, হুম! আনন্দে হুরররে… বলে চিৎকার দিতে ইচ্ছে করলেও চিৎকারটা গরম চায়ের সাথে গিলে ফেললো সুবহা। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, আচ্ছা তো আপনি লেখক?

চোখ তুলে তাকালো জাফর। মুখে হাসি টেনে বলল, শখের লেখক বলতে পারেন। জীবনে ঘটমান হৃদয়াস্পর্শিত কথাগুলোকে মনের সাথে সাথে ডায়েরীর পাতাতেও টুকে রাখার চেষ্টা করি।

সুবহা বলল, এর সার্থকতা কি?

সার্থকতা কি সেটা তো ভেবে দেখনি। তবে কখনো যদি মন ভুলে যায় কোন সুন্দর মুহুর্ত। ডায়েরীর পাতার ভাঁজ থেকে সেটিকে সযতনে তুলে নেয়া যাবে।

এটাই তাহলে আপনার লেখক হবার পেছনের কারণ?

ইন্টারভিউ নিচ্ছেন নাকি?

নাহয় হলোই ইন্টারভিউ!

আমার আসলে লাভ স্টোরি পড়ার হবি আছে।

তো? এরসাথে লেখার কি সম্পর্ক?

আমি প্রথম লাভ স্টোরি পড়েছিলাম যখন আমার বয়স সাড়ে সাত বছর।

সুবহা চোখ বড় বড় করে বলল, সত্যি?

অবশ্যই সত্যি। বানান করে করে পুরো লাভ স্টোরি পড়ে ফেলেছিলাম। এরপর থেকে নিয়মিত পড়তাম।

আপনার বাবা-মা ধোলাই দেয়নি?

উনারা আসলে বুঝতেনই না যে আমি কঠিন সব বই পড়তে পারছি। তাই উনাদের চোখের সামনে বসেই জীবনের প্রথম আট দশটা লাভ স্টোরি পড়ে ফেলেছিলাম।

সুবহা হাসতে হাসতে বলল, শুধুই কি পড়েছিলেন নাকি কিছু মিছু বুঝেও ছিলেন ?

জাফর ঠোঁট টিপে হাসি চেপে বলল, সিরিয়াসলি লাভ স্টোরি পড়া শুরু করেছিলাম হাই স্কুলে উঠার পর। তখন কিছু মিছু না বেশ ভালোই বুঝতাম। কিন্তু বেশির ভাগ লাভ স্টোরিই আমার পছন্দ হতো না। কিছু অংশ খুবই বাজে লাগতো। একটা লাভ স্টোরি খুব পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু শেষে গিয়ে নায়িকা মারা যায়। আমি এটা কিছুতেই মানতে পারছিলাম না। খুব কান্না করেছিলাম। একটা সময় মনে হলো যে, আমি বোকার মতো কান্না করছি কেন? তারচেয়ে গল্পের এন্ডিংটা বদলে দেই। সেদিন থেকে শুরু আমার গল্পের অপছন্দনীয় অংশগুলোকে নিজের মনের পছন্দ মত লেখার। এরপর থেকে যদি একটা লাইনও আমার অপছন্দ হতো কোন বইয়ের আমি সেটা কেটে দিয়ে নিজের পছন্দের লাইন বসিয়ে দিতাম নীচে।

সুবহা হেসে বলল, শুনতেই অদ্ভুত রকম ভালো লাগছে। আমিও ইনশাআল্লাহ ট্রাই করে দেখবো আপনার এই পদ্ধতি। আচ্ছা এখনো কি এমন কিছু করছেন? অপছন্দনীয় কিছু কেটে দিয়ে পছন্দনীয় কিছু বসিয়ে দিচ্ছেন সে জায়গায়।

জাফর সামান্য হাসলো। কোন জবাব না দিয়ে আবারো লেখার মাঝে মগ্ন হলো।

লিখেছেন- ডা.আফরোজা হাসান। সাইকোলজিস্ট,মাদ্রিদ,স্পেন।

 

বাংলাদেশি গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিয়ে নির্মিত হলো ‘মেড ইন বাংলাদেশ’

নাচের মুদ্রায়, কোরিওগ্রাফির ভঙ্গিমায় আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকদের বঞ্চনা, কষ্ট, সংগ্রাম এবং স্বপ্নের কথা উঠে এসেছে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ প্রামাণ্য নৃত্য প্রযোজনায়।

ইউরোপে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি পোশাকের দোকানেই বাংলাদেশের পোশাক। ট্যাগে লেখা থাকে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের পরিশ্রমে এই পোশাক তৈরি হয়, বিশ্বের ফ্যাশন বাজারে তা ক্রেতাদের মন রাঙায়। সেই শ্রমিকদের তো কমদামে শ্রম বিক্রি করে অর্থকষ্টে দিন কাটানোর জীবন। যেন নিজেকে পুড়িয়ে আলো ছড়ানোর কাজ তাদের।
জার্মান নির্দেশক হেলেনা ওয়াল্ডম্যানের জার্মান-বাংলাদেশি প্রযোজনা ‘মেড ইন্ বাংলাদেশ’ এবার প্রথমবারের মত ঢাকায় মঞ্চস্থ হবে আজ সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়। জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডের ১১টি শহরে এবং ভারতের ৪টি শহরে সফলভাবে মঞ্চস্থ করে এবার যেন নিজের ঘরে ফিরে এসেছে ‘মেড ইন্ বাংলাদেশ’। নৃত্য বিন্যাসে হেলেনাকে সহায়তা করেছেন কলকাতার কত্থক  নৃত্যশিল্পী বিক্রম আইয়েঙ্গর। বাংলাদেশে সহায়তায় রয়েছে জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গ্যেটে ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ এবং উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি প্রসার কেন্দ্র-সাধনা।
এ প্রসঙ্গে সাধনার সাধারণ সম্পাদক, শৈল্পিক নির্দেশক ও নৃত্যশিল্পী লুবনা মারিয়াম বলেন, এই নৃত্যনাট্যটি খুবই আধুনিক আঙ্গিকে উপস্থাপিত হচ্ছে। হেলেনা ওয়াল্ডম্যান মূলত নাট্য নির্দেশক। কিন্তু তিনি কত্থকের দ্রুত শরীরীশৈলীকে অবলম্বন করে প্রযোজনাকে নির্মাণ করেছেন। তিনি এ প্রযোজনার মাধ্যমে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের কষ্ট, বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন, একইভাবে নৃত্যশিল্পীদের কষ্ট, বঞ্চনার বিষয়টিকেও এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন। সামগ্রিকভাবে যারা কায়িক শ্রমের মাধ্যমে আয় করে তাদের প্রতি অবহেলাকে তুলে ধরে সমাজকে সচেতন করতে চেয়েছেন।
লুবনা মারিয়াম আরো বলেন, বাংলাদেশের মঞ্চে এটি খুবই আধুনিক একটি প্রযোজনা। যা আমাদের নৃত্যশিল্পীদের প্রথাগত নাচের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে সমাজ ঘনিষ্ঠ কাজ করার দিকে নিয়ে থাকে। মূলত এর সঙ্গে যুক্ত থেকে আমরাও নতুন নৃত্যধারাকে আয়ত্ত করার চেষ্টা করছি।
আজ সোমবার পর পর দুবার নৃত্যনাট্যটি মঞ্চস্থ হবে প্রথমে দুপুর ২টা এবং পরে সন্ধ্যা ৭টায়। দুটি উপস্থাপনাই সবার জন্য উন্মুক্ত। তবে আগে এলে আগে প্রবেশের সুযোগ মিলবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. ফারডিনান্দ ফন ভেইহে ও রণজিত্ বিশ্বাস।

জার্মান শহর লুড্উইগ্সহাফেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রযোজনাটি ২ মাস ধরে সফর করে বিভিন্ন দেশে। গত এক বছর ধরে ঢাকাতেই চলেছে গবেষণা, নির্মাণ পরিকল্পনা ও মহড়া। ১২ জন বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পীর অতি নিপুণ ও দক্ষ নৃত্য পরিবেশনার সাথে আরও ব্যবহূত হয়েছে আন্না সৌপের চলচ্চিত্র এবং হান্স নার্ভা’র সৃজনশীল সাউন্ড ট্র্যাক। এর নৃত্যশিল্পীরা হলেন মুনমুন আহমেদ, শাম্মি আক্তার, শারীন ফেরদৌস, মাসুম হোসেন, ঊমী আইরিন, মেলা লামিয়া, তৃনা মেহনাজ, হানিফ মোহম্মদ, টুমটুমি নুজাবা, বিশ্বজিত্ সরকার, শোমা শার্মীন ও লাবণ্য সুলতানা।

 

নিজের সৃষ্টি গুলো যেনো একঘেয়ে না হয়।- এ.আর.রহমান

'বিরক্তিকর না হয়ে ওঠাটাই গুরুত্বপূর্ণ'

তার কাজ যেন লোকের কাছে একঘেয়ে না হয়ে ওঠে- সে বিষয়ে সদা সচেতন এ আর রহমান।
অস্কারজয়ী এই ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালককে নিয়ে জল্পনা- কল্পনা কিংবা কৌতুহলের সীমা নেই। অন্য দশজন তারকার চেয়ে প্রচারমাধ্যমকে অনেক বেশি এড়িয়ে চলা বিশ্বখ্যাত এই সঙ্গীত তারকাকে নিয়ে অভাব নেই বিভ্রান্তিরও! তেমন কিছু বিভ্রান্তি ও কৌতুহল দূর হল বহুদিন পর প্রকাশিত এ আর রহমানের এক সাক্ষাৎকারে
বলিউডে কাজ করার খুব বেশি সময় পাচ্ছেন না। প্রস্তাবগুলো কিভাবে ফিরিয়ে দিচ্ছেন?
ক্যারিয়ারের এই সময়ে আমি শুধু সেইসব গান করতে চাই- যা আমাকে প্রেরণা যোগাবে। নইলে শ্রোতারা আমার গান শুনবে না। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক পরিণত হবে দীর্ঘদিনের একঘেয়ে বিবাহিত জীবনের মতো।
আপনার গান সিনেমায় যেভাবে চিত্রায়িত হয়, তাতে কি আপনি সন্তুষ্ট?
‘রং দে বসন্তি’ কিংবা ‘দিল্লি সিক্স’ সিনেমার কথা বলি। সেখানে গানগুলো ব্যবহার হয়েছে আবহসঙ্গীত হিসেবে। গানে ঠোঁট মেলাননি কেউ। সে কারণে যতখানি প্রতিক্রিয়া আশা করা হয়েছিল, পাওয়া গেছে তার মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ। গানে সিনেমার কোনো তারকা ঠোঁট মেলালে মানসিকভাবে তা দর্শকদের বেশি আকর্ষন করে। তারুণ্যনির্ভর সিনেমার গান নিয়ে আমার অধিক আগ্রহের এটাও অন্যতম কারণ।
'বিরক্তিকর না হয়ে ওঠাটাই গুরুত্বপূর্ণ'

অস্কার জেতার পর বিদেশে আপনার ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশে-বিদেশে সময়ের সমন্বয় করছেন কিভাবে?

এটা একটু কঠিন; তবে বিদেশে কাজ থাকলে এক- দেড় মাসের জন্য আমি তাতেই ডুবে যাই। প্রযুক্তি অবশ্য বিষয়টাকে অনেক সাবলীল করে তুলেছে। আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেও বিষয়টা এমন ছিল না। এখন দুনিয়ার যে কোনো জায়গা থেকে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন আমার সঙ্গে।
বিদেশে কি ধরনের কাজ করলেন?
কিছুদিন আগে শেষ করেছি ‘মিলিয়ন ডলার আর্ম’ ও ‘দ্য হান্ড্রেড-ফুট জার্নি’ নামে দুটি হলিউড ছবির কাজ। এই ছবির কাজগুলো একদম আলাদা। এখানে ভারতীয় কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করিনি।
যখন লম্বা সময়ের জন্য বিদেশে কাজ করতে যান। পরিবারের জন্য মন আনচান করে না?
এটা এক ধরনের আত্মত্যাগ। গানের জন্য। আমার অগোচরে আমার সন্তানেরা বড় হয়ে উঠছে। অবশ্য ওদের স্কুল ছুটি থাকলে সঙ্গে নিয়ে যাই। কিন্তু সব জায়গায় ওরা যেতে পারে না আমার সঙ্গে। কারণ তাদেরও নিজস্ব জীবন আছে। নিজের জন্য সেটাতে আমি বিঘ্ন ঘটাতে পারি না।
নিজের মতো করে খানিক বিশ্রাম করার সময়টা তো পান!
বিদেশে গেলে একটা সুবিধা আছে। কেউ পথেঘাটে ঘিরে ধরে না। রাস্তায় আশপাশের লোকরা চিনে ফেলার পরও ত্যাক্ত করতে আসে না। অনায়াসে এবং ঝামেলা ছাড়াই আমি লম্বা পথ হেঁটে পাড়ি দিতে পারি। দেশে থাকলে এটা হয় না।
'বিরক্তিকর না হয়ে ওঠাটাই গুরুত্বপূর্ণ'
৪৭ বছরে পা রাখলেন। তারপরও তারুণ্যনির্ভর সিনেমার গান কিভাবে করছেন?
আসলে আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন তারুণ্য অনুভব করার সুযোগ পাইনি। বাচ্চাকাল থেকেই আমার প্রচুর সময় কেটেছে চল্লিশোর্ধ সঙ্গীতজ্ঞের সঙ্গে। তারা পান চিবুতে চিবুতে ধ্রুপদী গানের গল্প করতেন। ছেলে বেলায় নিজেকে তাদের মতোই মনে হতো। এখন এই বয়সে এসে তরুণকালের চেয়েও বেশি তারুণ্য বোধ করি।
সূত্র: আইএএনএস ও হিন্দুস্তান টাইমস

 

চলো ভ্রমণে শুধু দু’জন… ১

বার বার চেষ্টা করেও বইয়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারছে না জাফর। চোখ চলে যাচ্ছে সামনের সীটে বসে থাকা তরুণীর উপর। ট্রেন ছাড়ার পর থেকে গত দেড় ঘন্টায় এক মূহুর্তেও জন্য কথা বলায় বিরতি দেয়নি মেয়েটি। ক্রমাগত একজনের পর আরেকজনের সাথে ফোনে কথা বলেই যাচ্ছে। এই হাসছে, এই কাঁদছে, এই অভিমান করছে, শঙ্কিত হচ্ছে আবার পর মূহুর্তেই নিজেই কাউকে আশ্বস্ত করছে। চোখের সামনে এইসব কর্মকান্ড চলতে দেখলে বইয়ের দিকে মন দেয়াটা কষ্টকরই বটে। হাতের বই বন্ধ করে সীটে একটু হেলান দিয়ে বসে ভালো মত তাকালো জাফর মেয়েটির দিকে। খুবই সাধারণ একটি সুতির থ্রিপিস পড়েছে। দু’হাতে মেহেদির আল্পনা ছাড়া আর কোন গহনা বা প্রসাধনীর চিহ্ন চোখে পড়লো না কোথাও। তবে লাল টুকটুকে ওড়নাটা মাথায় তুলে দেয়ার কারণে নববধূর মত লাগছে মেয়েটিকে। কার সাথে যেন কথা বলতে বলতে হেসে ফেললো মেয়েটি। সাথে সাথে জাফরের মনেহলো এমন হাসি যাকে আল্লাহ দিয়েছেন কোন কৃত্রিম প্রসাধনীর প্রয়োজন তার নেই! চোখাচোখি হলে ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসির রেখে ফুটে উঠেই আবার মিলিয়ে গেলো মেয়েটির মুখে। জাফরও চোখ ঘুরিয়ে জানালা দিয়ে বাইরের তাকালো। ছুটে চলছে ট্রেন গন্তব্য পানে! দৃষ্টি বাইরে থাকলেও কি এত তার সহযাত্রীনি কথা বলছে সেটা শোনার চেষ্টা করলো জাফর।

শোন নিয়মিত মেডিসিন নিতে যেন ভুল না হয়। মেডিসিন নেয়ার পর আমাকে ম্যাসেজ লিখে জানিয়ে দেবে মেডিসিন নিয়েছো। আর কোন কাজেই যেন অনিয়ম না হয় বলে দিচ্ছি। উল্টো পাল্টা হলে কিন্তু আমি ফিরে এসে তোমাকে কঠিন শাস্তি দেব সেটাও বলে রাখছি। আরেকটা কথা মার দিকেও কিন্তু খেয়াল রাখবে। দুজন মিলে কান্নাকাটি করবে না একদম। যদি আমি টের পাই তোমরা কান্না করেছো! তাহলে কিন্তু আমিও কান্না করবো বলে রাখছি। বলো তুমি চাও আমি কান্না করি? হুম! এমন আমিও চাই না তোমরা দুজন কান্না করো বুঝেছো?! আর তুমি এতক্ষণ ওয়াশরুমে কি করছিলে? যদি আমার সেলফোনের চার্জ শেষ হয়ে যেত তাহলে তোমার সাথে কথা বলতাম কিভাবে? সময়ের মূল্য ওয়াশরুমে গিয়ে ভুলে গেলে চলবে? আবার হাসো কেন তুমি? সেলফোনের চার্জ নিয়ে তোমার চিন্তা করতে হবে না। আমি তিনটা মোবাইল ভর্তি করে চার্জ নিয়ে এসেছি। একটার চার্জ শেষ হলে আরেকটা দিয়ে কথা বললো। জাফরের একবার ইচ্ছে হলো বলে, তিনটা মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেলেও চিন্তার কিছু নেই। আমার কাছে যেটা আছে সেটা লোন দিতে কোনই আপত্তি নেই আমার। কিন্তু ইচ্ছেটা গোপন করে আবারো কথা শোনাতে মন দিলো। এখনো বাবাকে ধমকাচ্ছে তার সহযাত্রীনি কেন ওয়াশরুমে এতক্ষণ ছিল। বলে দিচ্ছে সর্বোচ্চ বিশ মিনিট থাকা যাবে ওয়াশরুমে।

কেমন যেন একটা সুখ সুখ আবেশ ছেয়ে গেলো জাফরের মনের মাঝে। সব মেয়েরাই কি এমন অদ্ভুত রকমের আদুরে হয়?! আল্লাহ চাইলে তার নিজের যদি কখনো মেয়ে হয় সে কি এই সহযাত্রীনির মতোই আদুরে হবে? সে ওয়াশরুমে কতক্ষণ থাকবে সেটাও নির্ধারণ করে দেবে?!

চলবে…

লিখেছেন- ডা.আফরোজা হাসান। সাইকোলজিস্ট,মাদ্রিদ,স্পেন।

 

আপনার প্রসাধনীর ৪টি ক্ষতিকর উপাদান!

প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করতে আপনাকে কেউ কি বারণ করেনি? প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহৃত নানা উপাদান মানুষের দেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব প্রসাধনীর কোনোটিতে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা থেকে মৃত্যুও হতে পারে।
প্রসাধন সামগ্রীর মাঝে রয়েছে বহু ক্ষতিকর উপাদান, এ উপাদানগুলোর কয়েকটি তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো।
১. প্যারাবেন
পাওয়া যায় : ময়েশ্চারাইজার, স্কিন স্ক্রাব ও ডিওডোরেন্টে।
প্যারাবেন উপাদানটি সাধারণত কসমেটিক্স ইন্ডাস্ট্রিতে ‘প্রিজারভেটিভ’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ডারমাটোলজিস্ট ও কসমো ফিজিশিয়ান ড. মাধুরি আগরওয়াল বলেন, ‘এ মিশ্রণ হরমোনের কাজ ব্যাহত করে। এর ফলে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে। এ ছাড়াও রিপ্রোডাক্টিভ টক্সিসিটি, ইমোউনটক্সিসিটি ও নিউরোটক্সিসিটির সম্ভাবনা বাড়ে।
এ পদার্থটি কিভাবে দেহের এমন ক্ষতি করতে পারে? যখন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের সংস্পর্শে আসে তখন প্যারাবেন ত্বকের মাধ্যমে দেহের ভেতর প্রবেশ করে এবং রক্তকনিকার সঙ্গে মিশে যায়।
২. হাইড্রোকুইনন
পাওয়া যায় : ফেয়ারনেস ক্রিম ও ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনীতে
হাইড্রোকুইনন এক ধরনের অ্যারোমেটিক অর্গানিক কমপাউন্ড।
ডারমাটোলজিস্ট ড. অমিত লুথরা বলেন, ‘হাইড্রোকুইনন থেকে মারাত্মক অ্যালার্জি হতে পারে। বহুদিন ধরে এটির নিয়মিত ব্যবহার ত্বকে নীল-ধূসর বর্ণচ্ছটা দেখা দিতে পারে, যার কোনো চিকিৎসা হয় না।’
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকে এ উপাদানটির কারণে শ্বাসকষ্ট, বুকে যন্ত্রণা এবং মুখ ও জিহ্বা ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। কিছু ক্ষেত্রে এ উপাদান ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকের মেলানিন উৎপাদন ব্যাহত করার কারণে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও ইউভিবি এ সমস্যা হতে পারে।
৩. সোডিয়াম লউরেট সালফেট
পাওয়া যায় : শ্যাম্পু, বাবল বাথ পণ্য, টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশ।
এ উপাদানটির ভুল ব্যবহার করার কারণে আপনার মৃত্যুও হতে পারে। মূলত উপাদানটি ফেনা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
এ বিষয়ে ডারমাটোলজিস্ট ও কসমো ফিজিশিয়ান ড. মাধুরি আগরওয়াল বলেন, ‘মানুষ যা জানে না তা হলো, এ উপাদানটি ত্বকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত করে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করে। আমরা এমন রোগীও পাই, যারা শরীরে এর বাজে প্রভাবের কারণে বিষণ্নতায়ও আক্রান্ত হন।’
উদ্বেগের বিষয় হলো, এ উপাদানটি কিছু টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশেও ব্যবহৃত হয়।
৪. প্যারা-ফেনিলেনিডিয়ামিন, পারদ ও সীসা
পাওয়া যায় : হেয়ার ডাই, হেয়ার কালার, লিপস্টিক ও মাসকারা
আপনি নিজেই চুলে রং করুন কিংবা সেলুন থেকে করুন, যাই হোক না কেন প্যারা-ফেনিলেনিডিয়ামিন (Para-Phenylenediamine ) উপাদানটি থেকে সাবধান। এটি অনেক সময় বাজার থেকে কেনা প্রক্রিয়াজাতকৃত মেহেদিতেও পাওয়া যায়।
এ উপাদানটি দেহের নানা ক্ষতি করে। এমনকি মস্তিষ্কের জন্যও এটি ক্ষতিকর। কিছু ক্ষেত্রে এটি ক্যান্সারের জন্যও দায়ী।
ডার্মাটোলজিস্ট ড. স্বাতী শ্রীবাস্তব জানান, লিপস্টিকে এ উপাদানটি রয়েছে কিনা, পরীক্ষা করুন। কিছু লিপস্টিকে সীসা থাকে, যা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। সামান্য পরিমাণে এ উপাদানটিও দেহের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মানবদেহে সীসা বৈকল্য আনতে পারে। এতে শিক্ষা, ভাষা ও আচরণগত সমস্যা তৈরি হয়।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

 

শুরু হলো ৮ম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব।

images
অপরাজিতা ডেস্কঃ  ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ৮ম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সব। শনিবার রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরিতে সপ্তাহব্যাপী এ উত্সবের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবারের উত্সবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের ১০টি ভেন্যুতে ৪৮টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত উত্সবটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। শিশুদের জন্য উত্সব উন্মুক্ত। প্রতিদিন বিকাল ৩টা , ৫টা ও ৭টায় শো অনুষ্ঠিত হবে। উত্সবে সারাদেশ থেকে ৫০ জন খুদে নির্মাতাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। এরা চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা, সেমিনারসহ নানা আয়োজনে অংশ নেবে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ চলচ্চিত্র উত্সব আমাদের শিশুদের মন ও মানসের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ছবি নির্মাণের কাজে শিশুদের অংশগ্রহণের ফলে নতুন ধারণা জন্মাবে, জাগ্রত হবে নতুন চিন্তা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, উত্সবে অংশগ্রহণকারী শিশুরা বিশাল কর্মযজ্ঞে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখছে। এতে করে শিশুদের একটি ভাল মন তৈরিতে সহায়ক হবে।
উত্সব উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি মুস্তফা মনোয়ার বলেন, যেদিন থেকে ছবি আকা শুরু হয়েছে সেদিনই মানুষ মানুষে পরিণত হয়েছে। চলচ্চিত্র মানেই সকল শিল্পকলার সমন্বিত রূপ। শিল্পকলা জানা মানে মানুষ হওয়া। মানুষ হতে হলে আমাদেরকে শিল্পকলার সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে।
চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, এ উত্সব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এ উত্সবের মাধ্যমে শিশুরা সৃজনশীলতা ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুননী, উত্সব পরিচালক রায়িদ মোরশেদ প্রমুখ।

 

পুরস্কার প্রাপ্ত দেশের ১০ নারী ফ্রিল্যান্সার।

অপরাজিতা ডেস্কঃ ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আউটসোর্সিংয়ে অবদান রাখায় ১০ নারীকে সংবর্ধনা দিয়েছে । বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং জগতে নারীদের অবস্থান প্রায় ৯% যার মধ্যে সম্ভাবনাময়ী এবং প্রতিষ্ঠিত এই দশ টি মুখ। অপরাজিতাবিডির আজকের সংখ্যায় আজ আমরা জানবো তাদের সম্পর্কে ,তাদের কাজ সম্পর্কে এবং এই পেশায় তাদের অবস্থান সম্পর্কে …

তানিয়া তাহমিনা

10385274_987552751260063_1845829035155788451_n

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) কম্পিউটার বিজ্ঞানে এমএসসি করছেন তানিয়া। বন্ধুদের কাছ থেকে জেনে যুক্ত হন অনলাইন মার্কেট প্লেসে। কাজ শুরু করেন এসইও নিয়ে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম ক্লায়েন্ট পান। এখন কাজ করছেন এইচটিএমএল কোডিং নিয়ে। মাসে আয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আরো ভালো করতে শিখছেন গ্রাফিকস, জাভাস্ক্রিপট, পিএইচপি। চাকরি করার কোনো ইচ্ছাই নেই। নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্র তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন তানিয়া। প্রতিষ্ঠা করতে চান একটি আউটসোর্সিং ফার্ম।

জুঁই সাহা
2_179125
ইডেন মহিলা কলেজে গণিতে স্নাতকোত্তর করছেন জুঁই সাহা। মায়ের কাছ থেকে উৎসাহ পেয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন ২০১১ সালে। এসইও দিয়ে শুরু তাঁর ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের। বিভিন্ন বাংলা ব্লগ আর ইউটিউব ছিল তাঁর কাজ শেখার প্রধান উৎস। কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের দক্ষতায় এসইও কাজ দিয়ে মার্কেটপ্লেসেও ভালো একটা অবস্থান পেয়ে যান। পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আর ই-মেইল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন। ফলে সরাসরি বায়ারদের সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ হয়ে যায়। ভবিষ্যতে আরো ভালো ক্যারিয়ারের জন্য কাজ করার পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্লেস ডেভেলপমেন্টের কাজও শিখছেন। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন জুঁই।
ফারজানা তিথি
3_179126
মূলত চিত্রশিল্পী। তাই গ্রাফিকসে আগ্রহ বেশি। হাইটেক পার্কের অর্থায়নে বৃত্তি পেয়ে বিনা মূল্যে গ্রাফিকস প্রশিক্ষণ নেন ক্রিয়েটিভ আইটিতে। এরপর ২০১৪ থেকে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। তিথি বলেন, ‘আমি কাজ করি দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। দিনের কাজ শুরু হয় ক্লায়েন্টের ই-মেইল চেক ও উত্তর দিয়ে। প্রতিদিন গড়ে ছয় ঘণ্টা কাজ করি।’ বর্তমানে ক্রিয়েটিভ কিটেন্স নামে একটি গ্রুপের হয়ে কাজ করছেন। নতুনদের জন্য পরামর্শ দিতে গিয়ে তিথি বলেন, ‘ভালো ইংরেজি বলতে ও পড়তে শিখুন। কাজ যা শিখেছেন তার বাইরেও গুগল সার্চ করে টিউটরিয়ালগুলো দেখুন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কাজগুলোর স্টাইল, রং, ফন্ট দেখুন। দক্ষতা বাড়বে।’
শবনম ইয়াসমিন
10338846_1588036561411036_375320732933279130_n
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্রী হওয়ায় অনলাইন সম্পর্কে আগেই জানাশোনা ছিল। শিক্ষকদের কাছে শুনেছিলেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা। পরে নিজ আগ্রহেই ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। ২০১০ সালে এভাবেই শুরু হয় শবনমের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। পরে চাকরিজীবনে প্রবেশ করায় তা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কিন্তু সন্তান হওয়ার পর বাচ্চার দেখাশোনা করতে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবারও ফ্রিল্যান্সিংয়ে মনোনিবেশ করেন। ঘরের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি দিনে তিন-চার ঘণ্টা ফ্রিল্যান্সিং কাজে ব্যয় করেন। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন তিনি। শবনম বলেন, অনেকেরই ধারণা শুধু কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার জানা থাকলেই সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট বিষয়ে স্পেশালাইজড না হতে পারলে কাজ পাওয়া খুব কঠিন।
ফৌজিয়া ইয়াসমিন
5_179128
ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্বাধীন ব্যবসা করার ইচ্ছা ছিল। তাই কলেজে থাকাকালেই একটি ফ্যাশন হাউস খোলেন ফৌজিয়া। কিন্তু পড়াশোনার চাপে সেটি বন্ধ করে দিতে হয়। তাঁর বোন ওডেক্সে এসইওর কাজ করতেন। তাঁকে দেখে একসময় তিনিও শুরু করেন। পরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিবিসি) থেকে ওয়েব ডিজাইন ও এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে ই-মার্কেটিং কোর্সও শেষ করেন কৃতিত্বের সঙ্গে। ২০১১ সালে এসইও দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করা ফৌজিয়া এখন পুরোদস্তুর অনলাইন পেশাজীবী। মাসে আয় গড়ে ৬০ হাজার টাকা। ফ্রিলান্সিংয়ে আসতে চান এমন মেয়েদের ধৈর্য ও ইংরেজিতে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ তাঁর।
আমেনা আক্তার
10389356_425344570954259_7565731174149690949_n
বাংলাদেশে চাকরি করতে গিয়ে নারীদের হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা বিরল নয়। এ প্রেক্ষাপটে চাকরি করার চেয়ে ঘরে বসে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংকে নারীদের জন্য উপযুক্ত মনে করেন আমেনা আক্তার। ২০১১ থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। প্রথমবার লিংকবিল্ডিংয়ের কাজ করে আয় করেন ১৫ ডলার। এর পরেরবার চারটি কাজের জন্য একসঙ্গে উত্তোলন করেছিলেন ৫৩৫ ডলার। এভাবেই এগিয়ে চলা। বর্তমানে প্রতি মাসে তাঁর গড় আয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতেও কাজ করছেন তিনি। তাই এ বিষয়ে নারীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে খুলেছেন টেরিস্ট্রিয়াল আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
জিনিয়া সওদাগর
8_179131
ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রথম কাজেই ৭৬ ডলার আয় করেছিলেন আশা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষার্থী জিনিয়া। পড়াশোনার পাশাপাশিই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করেন। উৎসাহ পেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে। আর কাজ শিখেছেন নিজে নিজেই, অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করে। শুরু করেন ২০১৩ সালে। বর্তমানে ওয়েব রিসার্চ, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও বিষয়ে কাজ করছেন। পড়াশোনার বিষয় ইংরেজি সাহিত্য হওয়ায় বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সহজেই। পারদর্শিতা আছে ইন্টারনেট ব্যবহারেও। পড়াশোনার পাশাপাশি জিনিয়া মাসে গড়ে ৩০ হাজার টাকার মতো আয় করেন।
তানজিন আক্তার
7_179130
মার্চেন্ডাইজার হিসেবে চাকরি করছিলেন তানজিন। কিন্তু সন্তান হওয়ার পর চাকরিটা চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ল। অনলাইন মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা ছিল আগে থেকেই। তাই ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিলেন। প্রশিক্ষণ নিলেন এসইও আর ওয়েব ডিজাইনের ওপর। প্রথম কাজ মেডিক্যাল ইলাস্টেশনের জন্য সম্মানী পান ১০০ ডলার। এখন মাসে আয় করছেন ৬০ হাজার টাকারও বেশি। ঘরে বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জনকে নারীর জন্য ভালো সুযোগ বলে মনে করেন তিনি।
আয়েশা সিদ্দিকা
9_179132
আয়েশা ২০১০ সাল থেকে শখের বশে লেখালেখি করলেও আর্টিকেল রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন মূলত ২০১১ সালের শেষ দিকে। পাশাপাশি নিজের ফ্যাশন ব্লগ সাইটের ইমেজ এডিটিংয়ের কাজটাও করতেন নিজেই। শুরুতে গ্রাফিকস ডিজাইনের কাজগুলো শেখেন গুগল আর ইউটিউব দেখে। এরপর দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ নেন ক্রিয়েটিভ আইটিতে। মার্কেটপ্লেসে প্রথম কাজে আয় করেন ৬০ ডলার। এখন দৈনিক পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা অনলাইনে কাজ করে মাসে আয় করছেন ৪০ হাজার টাকার মতো।
নাঈমা চৌধুরী
10_179133
চাকরি পরাধীনতা না হলেও এটি আত্মতৃপ্তি দিতে পারে না। চাকরি করে এমন উপলব্ধিই স্বাধীনভাবে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহী করে তুলে নাইমা চৌধুরীকে। একসময় ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন। আউটসোর্সিংয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন ২০১৩ সালে। এরপর গ্রাফিকস ডিজাইনিংয়ের কোর্স করেন তিন মাস। কোর্স শেষে ভার্চুয়াল ওয়েব ডিজাইন-সংশ্লিষ্ট কাজ শুরু করেন। এখন তাঁর আয় মাসে ৩০ হাজার টাকার মতো। ভবিষ্যতে নারীদের নিয়ে নিজের একটা ছোট্ট টিম গড়ার স্বপ্ন দেখেন নাইমা।

 

বখাটের অত্যাচারে নিভে গেলো আরেকটি জীবন প্রদীপ!

অপরাজিতা ডেস্কঃ বখাটের অত্যাচারে দশম শ্রেণিতে উঠে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন নাহিদা আক্তার। যৌন হয়রানির ভয়ে লেখাপড়া ছেড়ে তিন বছর ধরে বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু বখাটে নাহিদ ছৈয়াল (২৬) পিছু ছাড়েনি। পথে-ঘাটে কোথাও সুযোগ পেলেই কুপ্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল নাহিদ। একই সুযোগ নিতে বাড়ির একটি বিয়ে অনুষ্ঠানেও হাজির হয় নাহিদ ছৈয়াল। এখানে এসেও যৌন হয়রানি শুরু করলে প্রতিবেশীরা দোষারোপ করেন নাহিদাকেই। শেষ পর্যন্ত অপবাদ আর অপমান সইতে না পেরে বিয়েবাড়িতেই আত্মহত্যা করে বসেন নাহিদা আক্তার (১৮)।
গতকাল বুধবার শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার দিনারা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেশী বাবলু গাজীর ঘরে গোপনে কীটনাশক পান করে তিনি আত্মহত্যা করেন। বাবলু গাজী নিজেও নাহিদাকে অপবাদ দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বখাটে নাহিদ একই গ্রামের আলী আকবর ছৈয়ালের ছেলে। এ ঘটনায় নাহিদার মা-বাবা আত্মহত্যার প্ররোচনায় নাহিদ ছৈয়ালসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
নিহত নাহিদার পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দিনারা গ্রামের দিনমজুর মোখলেছ গাজীর মেয়ে নাহিদা আক্তার। প্রায় চার বছর আগে থেকে নাহিদাকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল নাহিদ ছৈয়াল। তখন (২০১১ সাল) নাহিদা একই গ্রামের শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে যৌন হয়রানি করত নাহিদ। এক পর্যায়ে নাহিদের অত্যাচার সহ্য সহ্য করতে না পেরে দশম শ্রেণিতে উঠে ২০১২ সালে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন নাহিদা। এর পরেও বিভিন্ন সময় নাহিদাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে নাহিদ ছৈয়াল। কিন্তু নাহিদ গ্রাম-সম্পর্কে ভাগ্নে হওয়ায় তার প্রস্তাবে রাজি হননি নাহিদা। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নাহিদা সম্পর্কে বিভিন্ন কুৎসা রটাতে শুরু করে বখাটে নাহিদ।
মঙ্গলবার রাতে নাহিদাদের বাড়ির আবু তাহের গাজীর মেয়ে আলো আক্তারের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আসে নাহিদ ছৈয়াল। এ সময় বাড়ির অনুষ্ঠানে নাহিদাও অংশ নেন। রাতে নাহিদা একই বাড়ির বাবলু গাজীর ঘরে গেলে নাহিদ ছৈয়াল তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। এভাবে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাঁকে উত্ত্যক্ত করে ও প্রেমের প্রস্তাব দেয়। নাহিদা বিষয়টি তাঁর বান্ধবী জান্নাতকে জানান। পরে জান্নাতের সহায়তায় তিনি ওই ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। বিষয়টি পরে নাহিদা তাঁর মা-বাবাকেও জানান। কিন্তু পরিবারকে জানানোর কারণে গতকাল সকালে বাবলু গাজী ও বখাটে নাহিদের মামা নান্নুগাজী নাহিদাকে গালিগালাজ করে খারাপ অপবাদ দেন। ফলে মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে বাবলু গাজীর ঘরেই নাহিদা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাঁর গায়ে পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হয়। জ্ঞান ফিরে আসার পর নাহিদাকে তাঁর মা নিজেদের ঘরে নিয়ে যান। কিন্তু ঘরের মধ্যে মেয়েকে রেখে আবার বিয়ে বাড়িতে আসেন নাহিদার মা আনোয়ারা বেগম। এই ফাঁকে খালি ঘরে ধানক্ষেতে দেওয়ার জন্য রাখা কীটনাশক নিয়ে তা বাবলু গাজীর ঘরে গিয়ে পান করেন নাহিদা। কীটনাশক পান করার পরে নাহিদা যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। প্রথমে তাঁকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়। আর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই তিনি মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবার। নাহিদার বান্ধবী জান্নাত আক্তার বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি। সে সময় স্কুলে যাওয়ার পথে নাহিদ ছৈয়াল নাহিদাকে উত্ত্যক্ত করত।’ নাহিদার মা আনোয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিন বছর ধরে নাহিদ ছৈয়াল আমার মেয়েটাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ওর জন্য মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমার মেয়েটিকে বখাটে নাহিদ বাঁচতে দিল না। ওই বখাটের উৎপাতেই আমার মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’ এ ব্যাপারে কথা বলতে নাহিদ ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। নাহিদের মা জানুয়া  বেগম বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনাই আমার জানা নেই। এমন কোনো অভিযোগ নিয়ে মেয়ের পরিবার থেকে কেউ আমাদের কাছেও আসেনি।’
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ কবিরুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ‘অ্যালোভেরা’

প্রায় প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয় নানা প্রয়োজনে। কিন্তু বাইরে বেরুলেই ধূলা-বালিতে ত্বকের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায়। ব্যস্ততার কারণে হয়তো পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সুযোগও হয়না।
 বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের যত্নে সবচেয়ে ভাল প্রাকৃতিক উপাদান। কারণ প্রাকৃতিক উপাদানের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই ত্বককে সুন্দর রাখতে প্রাকৃতিক উপাদান বেশি ব্যবহার করা উচিত।
অ্যালোভেরা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এটি ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে, মসৃণ রাখতে, দাগ মুক্ত করতে এবং ত্বকে ব্রণের উপদ্রব কমাতে অ্যালোভেরার তুলনা কম।
 বিশেষ করে যাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল তারা কেমিকেল ব্যবহার না করে নাইট ক্রিম হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করতে বাসা/বাড়িতেই লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা গাছ। এতে প্রতিদিন তাজা পাতা পাওয়া নিশ্চিত হবে।
অ্যালোভেরা ত্বকে লাগাতে হলে প্রথমেই মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি তাজা অ্যালোভেরার ভেতরের অংশ থেকে রস সংগ্রহ করে নিন। সেই রস তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন।
 অ্যালোভেরার রস শুকিয়ে গেলে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। সারারাত অ্যালোভেরার রস ত্বকের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
তবে, তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্যকিছু দিয়ে ত্বকে অ্যালোভেরা লাগানো ঠিক নয়। তাতে অ্যালার্জী হওয়ার ঝুকি তৈরি হয়।
 অনেক সময় ত্বকে ক্ষত দেখা দেয়। এ ধরনের ক্ষতে নির্ভয়ে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এতে ক্ষত স্থান দ্রুত মসৃন হয়।
তবে শুধু মুখের জন্য নয়, পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা। এক্ষেত্রে সাবধানতা হলো, অ্যালোভেরার রস ত্বকে লাগিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। তাতে উল্টো ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
সূত্র: আমেরিকানকি

 

ছুটির দিনে বিকেলের নাস্তা

ছুটির দিন মানেই খাবারে থাকবে ভিন্ন আমেজ! প্রায় ছুটির দিন ই হয়তো বাইরে খাওয়া হয়। কিন্তু যখন বাসায় থাকা হয় তখন পরিবারের সবাই মিলে ছুটির দিনের বিকেলে অন্যান্য দিনের চাইতে একটু ভিন্ন স্বাদের নাশতা করতে পারলে মন্দ কি?
চিকেন বল শাসলিক

যা লাগবে : চিকেন কিমা ২৫ গ্রাম, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, বাঁশের কাঠি কয়েকটি, তেল পরিমাণমতো, বেবিকর্ণ ছোট ছোট টুকরা করা আধা কাপ, ব্রকলি অল্প সিদ্ধ করা ছোট ছোট টুকরা আধা কাপ, গাজর ছোট ছোট টুকরা ৮-১০টি, সয়াসস ১ চা চামচ, সস ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে করবেন : চিকেন কিমার সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ মাখিয়ে নিন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গোল গোল করে অল্প সিদ্ধ করে নিন। চিকেন বলের সঙ্গে সব সবজি, লবণ, সস, সয়াসস মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। এরপর লাঠিতে পর্যায়ক্রমে গেঁথে নিন। প্যানে অল্প তেল দিন। সব শাসলিকগুলো ভেজে তুলুন। পরিবেশন করুন সাজিয়ে।

10922613_913295602028737_3958580934994440925_n এগ-ব্রেড-রোল

ডিমের রুটি রোল

যা লাগবে : আটা ২০০ গ্রাম, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, ডিম ২টি, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ। পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো, সস ১ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো।

যেভাবে করবেন : আটার সঙেগ স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং পানি দিয়ে ভাল করে মাীখয়ে ডো তৈরি করুন। গোল গোল করে রুটির মত বেলে তাওয়াতে সেকে নিন। ডিমের সঙ্গে লবণ পেঁয়াচ মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে রাখুন। তেল গরম করুন। এতে ফেটানো ডিম দিয়ে ওমলেট তৈরি করে নামিয়ে ফেলুন। তৈরি করা রুটির মাঝখানে ওমলেট ও সস দিন। এরপর রোলের মত করে মাঝখান দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন।

 

কোথায় এবং কি কি কেনাকাটা করবে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য…

বিয়ের ষোলো আনা পূর্ণ করতে বিয়ে-অনুষঙ্গের ব্যবহার যুগ-যুগান্তরের। রীতিমতো বরের হাত ধরে কনের বাড়িতে বিয়ের উপকরণের পসরা বসে। তাই তো বিয়ে-পূর্ব অনুষঙ্গের কেনাকাটার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি রাজধানীর বিয়ের বাজার ঘুরে দেখা যায়, শহরটির বিভিন্ন মার্কেট ও ফ্যাশন হাউসসহ বেশকিছু দোকানে বিয়ের উপকরণের মেলা বসেছে। এগুলোর মধ্যে এলিফ্যান্ট রোডে রয়েছে ৩০টিরও বেশি দোকান। আর হিন্দুদের বিয়ের জন্য শাঁখারীপট্টির প্রায় পুরোটাজুড়ে রয়েছে অগণিত দোকান। এ ছাড়া বিয়ের অনুষঙ্গ পাইকারি কেনার জন্য ঢাকার চকবাজারে রয়েছে বেশ কিছু দোকান।
বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় উপকরণ
black leather label on a black suitcase
*লাগেজ
বিয়ের উপকরণ হিসেবে বিয়ের লিস্টের প্রথমেই থাকে বিভিন্ন আকারের লাগেজ। সহজে কেনাকাটা করতে এই লাগেজ আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। প্রেসিডেন্ট, ডেসি মিলানসহ অসংখ্য ব্র্যান্ডের লাগেজ বাজারে পাওয়া যায়। এরমধ্যে আপনার পছন্দের লাগেজটি প্রথমেই সংগ্রহ করে নিন। ব্র্যান্ডেড লাগেজগুলোর দাম শুরু হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে। তবে আকারভেদে এর দাম হতে পারে ৯ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। চাইলে নন-ব্র্যান্ডেড লাগেজ কিনতে পারেন। সে ক্ষেত্রে লাগেজের দাম শুরু হবে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে।
2.0_154519_0 untitled-1_105579
*শেরওয়ানী,পাগড়ী,নাগরা
এরপর প্রয়োজন বরের শেরওয়ানি। বিভিন্ন মানের শেরওয়ানির দাম পড়বে ৪ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বরের শেরওয়ানির সঙ্গে পায়জামার দাম পড়বে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। বরের শেরওয়ানির জৌলুস আরও ফুটিয়ে তুলতে প্রয়োজন পড়ে ওড়নার। এর দাম ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর পাগড়ির দাম পড়বে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিয়ের উপকরণ বিক্রেতা মেহজাবিন তামান্না বলেন, বিয়েতে আরও কিছু উপকরণের প্রয়োজন রয়েছে, যা প্রতিটি বিয়ের আয়োজনকে পরিপূর্ণ করে তুলবে। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বরের নাগরা জুতা। এর দাম পড়বে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা।
pan-supari  pinterest-680x450 untitled-1_31423
*ডালা-কুলা,পালকী ইত্যাদি 
গায়ে হলুদ এবং বিয়ের অন্যান্য আয়োজনে বাহারী ডিজাইনের ডালা,কুলা ইত্যাদি খুবই প্রয়োজনীয়। এলিফ্যান্ট রোডে বিয়ের ডালা, কুলা, বাটি/প্রদীপ, রাঁখি ইত্যাদির দাম পড়বে ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে। বিয়ের উপটান, সোন্দা, চন্দন, চন্দন তেল, সোহাগপুরী ইত্যাদির দাম পড়বে ৩৫০ থেকে ৯৫০ টাকার মধ্যে। কনের জন্য আলতা ৩০ থেকে ৬০ টাকা, মেহেদি ৪০ থেকে ১২০ টাকা, পাটি ১৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, হলুদ তোয়ালে ১২০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত।
বিয়ের অনুষঙ্গের মধ্যে আরও রয়েছে আফসান, রুমাল, পালকি ও ঝুড়ি। এগুলোর দাম পড়বে ১০০ থেকে ৭৫০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়াও পান-সুপারী, মাছডালা ২৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টুথপিক ২০ থেকে ৫০ টাকা, তাজা গোলাপ ফুল প্রতি পিস ৫ থেকে ১০ টাকা, সাদা ফুল প্রতি পিস ৪ থেকে ৬ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতি স্টিক ৫ থেকে ১০ টাকা।
wedding_jamdani3image_255_459261_3
*কনের শাড়ী
এ ছাড়া বিয়ের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে কনের শাড়ি তো থাকছেই। বিয়েতে কনের জন্য লাল, সাদা, নীল, মেরুন, ভারী কাজের শিফন, জামদানি, বেনারসি বা জর্জেট শাড়ি থাকতে পারে। শাড়ির মধ্যে কমলা বা সবুজ রঙের শাড়িও রাখতে পারেন। বিয়ের শাড়ির সঙ্গে অতিরিক্ত দুটি সুতি বা হাফ সিল্কের শাড়ি রাখতে হয়। স্বর্ণের গহনার পাশাপাশি শাড়ির সঙ্গে অ্যান্টিক লুক বিভিন্ন পাথরের তৈরি নেকলেস বা কানের দুলও দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে কনের বিয়ের বেনারসি, শিফন, জর্জেট ও জলপাই রঙের শাড়িসহ বিয়ের সব শাড়ির দাম পড়বে ৬ হাজার থেকে ৭০ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর জুতার দাম পড়বে ১ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
কোথায় পাবেন
বিয়ের যাবতীয় উপকরণ কিনতে আপনাকে যেতে হবে রাজধানীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লুবনান, বাংলার মেলা, ইনফিনিটি, ও টু, রঙ, অঞ্জন’স, কে-ক্র্যাফট প্রভৃতি। এ ছাড়া যেতে পারেন রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, বেইলি স্টার, ফরচুন, টুইন টাওয়ার, মৌচাক, গুলশান, বনানী, হাতিরপুল, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, চাঁদনীচকসহ বিভিন্ন মার্কেটের শোরুমগুলোতে। তাই আর দেরি কেন! দিনক্ষণ ঠিক রেখে বাজেট করে বিয়ের বাজারে এখনই নেমে পড়ুন।
app[arance111 be1c6ed3-b1dc-46b9-82ed-b44c3b41da61
জুতা
বিয়ের অনুষ্ঠানে সাজসজ্জা ও পোশাকের পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হয়। আর তা হলো জুতা। বর-কনে উভয়ের জুতা হতে হবে অনুষ্ঠানের উপযোগী। অনেক জুতা আছে যা খুব কষ্ট করে পরতে হয়। বিয়েতে এমন জুতা পরিহার করাই উত্তম। এতে সহজেই পায়ে দাগ পড়ে যেতে পারে। কনে শাড়ি বা লেহেঙ্গার সাথে উঁচু হিল পরতে পারে। ফ্ল্যাট স্যান্ডেল শাড়ির সাথে মানানসই হবে না। আর বরের জন্য বিয়েতে পাঞ্জাবির সাথে নাগরা মানানসই হতে পারে। বউভাতে স্যুট প্যান্টের সাথে মানানসই জুতা। এক্ষেত্রে জুতার রং স্যুট-প্যান্টের বিপরীত রং হলে ভালো হয়। তবে যাই পড়া হোক না কেন, খেয়াল রাখতে হবে তা যেন আরামদায়ক হয়।

 

বিয়ের আগে ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন

বিয়ের আগে থেকেই শরীরের যত্নের পাশাপাশি চুলেরও যত্ন নিতে হবে সমানভাবে। চুলের যত্নে প্রথম ও শেষ কথাই হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। প্রত্যেকের চুলের ধরন এক নয়, তাই চুলের ধরন অনুযায়ী যত্নের প্রয়োজন। চুলের বাড়তি যত্ন নিয়ে এবারের আয়োজন—
শুষ্ক চুল
শ্যাম্পুর ২/৩ ঘণ্টা আগে পুরো মাথায় উষ্ণ হেয়ার অয়েল লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। ১৫/২০ মিনিট। ডিমের সাদা অংশ, ১ চামচ আমলকির গুঁড়ো, ১ চা চামচ মেথি গুঁড়ো, ২ চামচ টকদই, ২ চামচ মধু, একটি জবাফুল বাটা—একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে পুরো চুলে এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ভেষজ কোনো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর খুশকি থাকলে প্যাকটির সঙ্গে লেবুর রস মেশান। শুষ্ক চুলে কোমলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে পাকা কলা, পাকা পেঁপে ও মধু একসঙ্গে পেস্ট করে প্যাক বানিয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন। ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত চুল
শ্যাম্পুর আগের রাতে রিটা, শিকাকাই, আমলকি ভিজিয়ে রেখে পরের দিন ফুটিয়ে সেই পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। এমন চুলে তেল ও কন্ডিশনার ব্যবহার না করলেও চলে। ২ চামচ ভিনেগার, ১টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ১ চামচ লেবুর রস, ১টা ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ৩০-৪০ মিনিট পুরো মাথায় লাগিয়ে রেখে হার্বাল শ্যাম্পুতে চুল ধুয়ে ফেলুন। শেষে এক মগ পানিতে চায়ের লিকার, ভিনেগার মিশিয়ে পুরোচুল ধুয়ে ফেলুন। এত চুলের তেলতেলে ভাব, প্রাণহীনতা দূর হয়ে ফিরে আসবে বাউন্স; যা চুল আছে দেখাবে তার থেকে অনেক বেশি। খুশকির সমস্যা থাকলে এক চামচ নিপাতার রস, আধা চামচ তুলসিপাতার রস, দু-চামচ মেথি বাটা, এক চামচ ভৃঙ্গরাজ, এক চামচ ভিনেগার ও এক চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে পুরো চুলে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। যেদিন প্রথম প্যাকটি লাগাবেন তার দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় প্যাকটি লাগাবেন।
স্বাভাবিক চুল
উজ্জ্বলতা বাড়াতে সপ্তাহে দু-দিন, ২ চামচ ক্যাস্টর অয়েল, ১ চামচ কেশুতপাতা বাটা, ২ চামচ মধু, ১ চামচ আমলা ও ব্রাহ্মীতেল, ১ চামচ ভিনেগার, আধা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন চল্লিশ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগান। চুল চিকন করতে মেথি ও লেটুসপাতা ফোটানো পানিতে ১ চামচ ভিনেগার, আধা কাপ চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
পারফিউম
বিয়ের সাজকে আরও বাড়তি মাত্রা যোগ করতে বেছে নেয়া যেতে পারে বিভিন্ন সুগন্ধি। সুগন্ধি নারী-পুরুষ উভয়েরই খুব পছন্দের সামগ্রী, যা ব্যক্তিত্বে নতুন মাত্রা এনে দেয়। শীত মৌসুমে আম্বার, ভ্যানিলা বা সিনামন জাতীয় সুগন্ধি ব্যবহার করা যায়। তা ছাড়া উল ওয়াটার, স্কাটা, বারবারি, কোরাস ক্যালাভিন পারফিউম ব্যবহার করা পারে। হলুদ উত্সবে নিজেকে আরও প্রাণবন্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ফুলের মিষ্টি সুগন্ধি। বিয়ের অনুষ্ঠান যদি দিনে হয়, তবে হালকা ধরনের সুগন্ধি বেছে নেওয়া উচিত। আর রাতের জমকালো অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা যেতে পারে কড়া কোনো পারফিউম। বিয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত একটু গাঢ় সৌরভের পারফিউম ব্যবহার করাই উত্তম। তা না হলে এত মানুষের ভিড়ে আপনার সুগন্ধির উপস্থিতি হারিয়ে যেতে পারে।
চুল ভালো রাখতে কিছু নিয়মাবলি
l ভিজা চুল আঁচড়াবেন না বা বাঁধবেন না। চুল আঁচড়াবেন ধীরে ধীরে। বিয়ের আগে চুল ট্রিম করুন।
l প্রয়োজনে শ্যাম্পু করুন প্রতিদিনই। চুল ধোবেন প্রচুর পানি দিয়ে। যাতে শ্যাম্পু চুলে থেকে না যায়। ময়লা চুলে তেল দেবেন না। এতে চুল বেশি পড়ে।
l নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
l কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট (চুল কালার) করালে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন চুলের বাড়তি যত্নের।
l ব্যবহূত হেয়ার ব্রাশ বা চিরুনি নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন।
l ২ মাসে একবার অন্তত চুল ট্রিম করানো ভালো। বেশি হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার চুলের জন্য ক্ষতিকারক।
l ভিটামিন বি, সি, ই ও প্রোটিনযুক্ত খাবার চুলের জন্য ভালো।
l পানি বেশি পরিমাণে খান। শাকসবজি ও ফলে চুলের চিকনতা বাড়ে। রাতে টানা অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
l শ্যাম্পুর এক-দু ঘণ্টা আগে মাথায় তেল লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন। গরম পানিতে টাওয়েল ভিজিয়ে পানি নিংড়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। কয়েকবার করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চায়ের লিকারে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পুর পরে এই মিশ্রণে মাথা ধুলে চুলের মসৃণতা ফিরে এসে চুল পড়াও বন্ধ হবে।
l ক্লিপ, হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন সেগুলো চুলের গোড়ায় যেন টান সৃষ্টি না করে। এতে চুল ছিঁড়ে বা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
l সূর্যতাপে চুল রুক্ষ হয়। তাই রোদে বেরোলে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। বৃষ্টির পানিতে চুল ভিজলে শ্যাম্পু করে নিন।
কসমেটিকস
বিয়ে প্রতিটা মেয়ের জন্যেই অতি আকাঙ্ক্ষিত একটি দিন। বিয়ের হাজারো ধুমধামের বড় একটি অংশ হলো কনের সাজগোজ। আর বিয়ের শপিং লিস্টে হাজারো জিনিসের ভিড়ে উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে থাকে কসমেটিকস আইটেম। শুধু হলুদ, বিয়ে আর বউ-ভাতের দিনই নয়, বিয়ের পরও কসমেটিক্সের প্রয়োজন পড়ে। ঘরোয়া অনুষ্ঠানগুলোতে ন্যাচারাল লুক বেশি মানানসই। তাই বেছে নিতে হবে লাইট ফাউন্ডেশন যা আপনার ত্বকের সাথে সহজেই মানিয়ে যায়। মেকআপকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে ভালো ফেসপাউডার বেছে নিতে হবে, যা টাচআপ হিসেবে কাজ করে। চোখ সাজানোর জন্য আইলাইনার, কাজল মাশকারা ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠোঁটের জন্য শাড়ির সাথে মানানসই কিংবা উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। নিন উজ্জ্বল, ন্যাচারাল শেডের আইশ্যাডো। আলাদা না কিনে বেছে নিন বক্স বা প্যালেট। যা ঝটপট তৈরি হতে সাহায্য করবে। নেইল পালিশ হিসেবে লাল গোল্ডেন ব্যবহারে হাতের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে। তবে সব কিছুর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো মেকআপ রিমুভার। প্রতিবার মেকআপ ব্যবহারের পর রিমুভার দিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
সূত্র- ইত্তেফাক

 

মধ্যরাতে পেট্রোলবোমা হামলায় মা-মেয়ে দগ্ধ

লাগাতার অবরোধের মধ্যে রাজশাহীতে মধ্যরাতে ঢাকাগামী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলায় মা-মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর ভদ্রা ভাংড়িপট্টি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় থাকা গাড়িবহরের মধ্যে ওই বাসে এ হামলা হয় বলে বোয়ালিয়া থানার ওসি খন্দকার নূর হোসেন জানিয়েছেন। বোমা হামলার পর বাস থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে আরো দুজন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
দগ্ধ মা আম্বিয়া বেগম (৪৫) ও মেয়ে রিফাতসহ (১৭) আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আম্বিয়া বেগমের দুই হাতসহ মুখের বাঁ অংশ এবং রিফাতের বাঁ হাতের কিছু অংশ ঝলসে গেছে। তাদের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুর গ্রামে। ইসরাইল হোসেনের মেয়ে রিফাত ঢাকা পলিটেকনিকের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী। পরীক্ষায় অংশ নিতে অবরোধের মধ্যেই মাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার পথে ছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি অপর দুজন হলেন : সুফিয়ান (৫০) ও তার ছেলে মাইনুল (২০)।
ওসি নূর হোসেন জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারায় শিশির এন্টারপ্রাইজের ওই বাসসহ ১৫/১৬টি যানবাহন ঢাকা যাচ্ছিল। ওই বাসের পেছনে আরো দুটি বাস ও একটি ট্রাক ছিল। গাড়িবহরটি রাত ১২টার দিকে রাজশাহী টার্মিনাল থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই বাসটিতে হামলা হয়। কয়েকজন দুর্বৃত্ত গলির ভেতর থেকে বাসটি লক্ষ্য করে একটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। বাসের মাঝের একটি জানালার কাচ ভেঙে বোমাটি ভেতরে ঢুকে ছয়টি আসন পুড়ে যায়। এ সময় মা-মেয়ে দগ্ধ হন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসার আগেই বাসের লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে।
বিরোধী দলের গত ৫ জানুয়ারি সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেওয়ার পর প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, বোমা হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ভোররাতে রংপুরের মিঠাপুকুরে ঢাকামুখী একটি বাসে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
সূত্র- ইত্তেফাক

 

হাতের কাছেই থাকুক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের খুঁটিনাটি!

বছরজুড়ে এখন লেগে থাকে রাজ্যের অনুষ্ঠান। হই-হুল্লোড়ে চলে নানা আয়োজন। সেসব আয়োজন সুন্দর ও রুচিশীল করতে অনেকেই মুখোমুখি হন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের। বিয়েশাদির ঝক্কি কম নয়। ক্যামেরা, রং-তুলি, থালা-বাসন, হলুদ-মরিচ, পায়জামা-কুর্তা, লাইট-গেট অনেক কিছু মিলিয়ে তবেই না বিয়ে! এখনকার ব্যস্ত সময়ে বর-কনের তো কবুল বলার ফুরসতও সহসা মেলে না। যারা একটু গোছগাছ স্বভাবের তারা কিন্তু কাজটা করে দিতে পারেন। আর এরকমই কিছু মানুষের সহায়তা নিয়ে আপনার অনুষ্ঠানটিও সুন্দর করে তুলতে পারেন। কয়েকটির নাম, ঠিকানা দেখে নিন।
l এ ওয়ান মিডিয়া ইডিজিই
৪২/২, পরীবাগ রোড, বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন :০১৯১১৩১৩১৪১
l অ্যারেঞ্জারস
এল/২, ব্লক-ই, কাজী নজরুল ইসলাম রোড
মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।
ফোন :৯১০৩১৬৮
l ইভেন্ট জকি
২১৮, সাহেরা সার্কেল, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা।
ফোন-৮৬৩১৩১৬
l ফিউশন ইভেন্টস সলিউশন
৬৫, গৌরনদী হাউস, পশ্চিম ধানমন্ডি, শংকর, ঢাকা-১২০৯।
ফোন :০১৯১৫৪১০১৭৪
l লুসিড
বাড়ি-৪৬৯, সড়ক-৮, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা।
ফোন :০১৭১৬৬১১২৩০
l ওয়াটারমেলন কমিউনিকেশন
বাড়ি-২৩/এ, সড়ক-৩, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা-১২০৫। ফোন :৯৬৭২৯৪২

 

আপনার শিশু কি কনভার্সন ডিসঅর্ডারে ভুগছে?

কেস হিস্ট্রি-এক

দশ বছরের মার্জিয়া প্রতিবছর পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করছে। লেখাপড়ায় ভালো, তাই সবার কাছে যথেষ্ট আদর-স্নেহ পায়। কিন্তু এ বছর বার্ষিক পরীক্ষার আগে হঠাৎ করে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। অসুস্থতার কারণে তাঁর পড়াশোনা হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থার কারণে প্রথম স্থান ধরে রাখা নিয়ে মার্জিয়া ভীষণভাবে চিন্তিত। বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁর কোনো শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায়নি। ডাক্তার জানালেন, তাঁর কনভার্সন ডিসঅর্ডার হয়েছে।

কেস হিস্ট্রি-দুই

সিলভিয়া ১৪ বছরের প্রাণবন্ত মেয়ে। হঠাৎ তার হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। সে হাতে-পায়ে শক্তি পাচ্ছে না। তাকেও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হলো। মার্জিয়ার মতো সিলভিয়ারও শারীরিক পরীক্ষায় কোনো রোগ ধরা পড়েনি। তবে ডাক্তার জানালেন, এটি কনভার্সন ডিসঅর্ডার। ডাক্তারের পরামর্শে তাকে সাইকোথেরাপির জন্য আনা হলে কয়েক সপ্তাহের সাইকোথেরাপি শেষে সিলভিয়া সম্পূর্ণ ভালো হয়ে ওঠে।

অনেক শিশু মার্জিয়া ও সিলভিয়ার মতো বিভিন্ন লক্ষণ নিয়ে কনভার্সন ডিসঅর্ডারে ভুগছে। যথেষ্ট সচেতনতার অভাবে তাঁরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। ফলে তাদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। এর প্রভাবে পরবর্তী জীবনেও নানা ধরনের শারীরিক ও আবেগীয় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। কনভার্সন ডিসঅর্ডার সম্পর্কে সচেতন হলে শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। জেনে নিই কনভার্সন ডিসঅর্ডার বিষয়ে।

লক্ষণ

কনভার্সন ডিসঅর্ডারের উপসর্গ দেখলে মনে হবে, নিউরোলজিক্যাল কোনো সমস্যা হয়েছে। হয় সে ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সংবেদন করতে পারছে না, নয়তো শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়াতে পারছে না বা শক্তি পাচ্ছে না। আবার খিঁচুনি বা সংজ্ঞা হারানোর মতো উপসর্গ দেখা দেয় কনভার্সন ডিসঅর্ডারে। ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সংবেদন করতে না পারার মধ্যে রয়েছে-চোখে দেখতে না পাওয়া বা ঝাপসা দেখা, কানে না শোনা, ত্বকে স্পর্শের অনুভূতি না পাওয়া বা কম বা বেশি পাওয়া, শরীরে কোনো অংশে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।

ক্রিয়াগত বা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনগত সমস্যার মধ্যে রয়েছে-সম্পূর্ণ বা আংশিক প্যারালাইসিসের মতো উপসর্গগুলো, লেখার সময় হাত কাঁপা বা আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া, কোনো মাংসপেশির স্পন্দন, খিঁচুনি, হাঁটতে অসুবিধা, বাকশক্তি কাজ না করা বা ফিসফিস করে কথা বলা, মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি।
কেন হয়

মানসিক কোনো চাপ বা দ্বন্দ্ব প্রকাশ করতে বা সেগুলো দূর করতে না পারলে মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। যখন এই মানসিক প্রতিক্রিয়াগুলো প্রকাশও করতে পারে না আবার সহ্যও করতে পারে না, তখন শারীরিক লক্ষণ হিসেবে সেগুলো প্রকাশ পায়। এটিকেই কনভার্সন ডিসঅর্ডার বলে। শিশুরা তাদের আবেগ-অনুভূতি ও মতামত প্রকাশ করতে না পারায় শিশু-কিশোরদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা দেয়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা কনভার্সন ডিসঅর্ডারে বেশি আক্রান্ত হয়।

বিশ্লেষণ

মার্জিয়ার মনের ভেতরে প্রথম স্থান হারানোর তীব্র ভয় জন্ম নেয়। কিন্তু মার্জিয়া ভয়টি স্বীকার করে না। কারণ সে প্রথম স্থান পাবে না, তা ভাবতেও পারে না। সে মনে করে, প্রথম স্থান না পেলে পরিবারে তাঁর কোনো গুরুত্ব থাকবে না। ভয়টি স্বীকার না করায় সে তা প্রকাশও করতে পারে না। মনের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব একাকী সামলাতে না পেরে শারীরিক উপসর্গ হিসেবে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তবে এর কিছুই তাঁর সচেতন মন জানে না। অর্থাৎ সে এগুলো ইচ্ছা করে করছে না।

চিকিৎসা

শারীরিক কারণ খুঁজে না পেয়ে অনেকে মনে করেন, এটি জিন-ভূতের আছর। ফলে শিশুটির ওপর কবিরাজি চিকিৎসা চলে। যা কখনো কখনো রোগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বা নতুন কোনো রোগের সৃষ্টি করে। অথচ কনভার্সন ডিসঅর্ডারের প্রধান চিকিৎসা হলো সাইকোথেরাপি। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এর সঙ্গে ওষুধের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। সাইকোথেরাপিতে বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীর বা শিশুর ভেতরের না-বলা কথাগুলো অত্যন্ত দক্ষতা ও যত্নের সঙ্গে শোনা হয়। শিশু বা কিশোরীটির অন্তর্দ্বন্দ্বগুলো নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয় ও তা নিরসন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়। সাইকোথেরাপিতে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট শিশুটির প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি পেইনগুলো খুঁজে বের করেন এবং সেগুলো কমানোর জন্য মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এভাবে শিশুটির সঙ্গে সরাসরি ও মা-বাবার মাধ্যমে দেওয়া চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।

লেখক- তানজির আহমেদ তুষার। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও সহকারী অধ্যাপক,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

 

মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা।

মহিলাদের থাইরয়েড সমস্যা বেশি হয়। থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা মেয়েদের বেশি হওয়ার কারণ কি? এর লক্ষণসমূহ কি কি? এবং তা কিভাবে প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্ভব।
থাইরয়েড গ্রন্থি একটি নালীবিহীন গ্রন্থি; যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। থাইরয়েড শব্দটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ বর্ম। এটি গলার সামনে নিচের দিকে ও দু’পাশে থাকে। দেখতে প্রজাপ্রতির মত। এ হরমোন শরীরের বিপাক ক্রিয়া, শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, ক্যালসিয়াম-এর বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
বাংলাদেশ আয়োডিনের অভাবজনিত এলাকা, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাসমূহে আয়োডিনের অভাব বেশি, সর্বশেষ জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ লোক থাইরয়েডের বিভিন্ন রোগে ভুগছে।
এ সমস্যাটিকে আয়োডিন ডিফিসিয়েন্সি গয়টার বলা হয়। এই সমস্যার কারণে মেয়েদের ওজন বেড়ে যেতে থাকে, শীত অসহ্য লাগে, শরীরে ব্যথা হতে পারে, চুল পড়ে যেতে পারে, প্রচণ্ড দুর্বলতা অনুভব হয়। মাসিক অনিয়মিত হবে, গলা ফুলে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে বাচ্চা উত্পাদন ক্ষমতা হ্রাস পাতে পারে, বার বার গর্ভপাতের মত বিষয়ও হতে পারে, মেয়েটির মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে পারে, বৃদ্ধি  হ্রাস পেতে পারে, বুদ্ধিমত্তা হ্রাস পেতে পারে।
উপরোক্ত  থাইরয়েড সমস্যাসমূহ খুব সহজেই প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সম্ভব, প্রতিরোধের উপায় হলো যেসব তরল খাদ্যে বেশি পরিমাণ আয়োডিন থাকে তা খাওয়া। যেমন পানীয় জল, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, কর্ড লিভার অয়েল, আয়োডিন যুক্ত লবণ। রুটি, বিস্কুট, বাঁধাকপি ও ফুলকপি না খাওয়া। হাইপোথাইরয়েডের চিকিত্সা খুবই সহজ। আপনি ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে থাইরয়েড হরমোনের ঔষধ নিয়মিত সেবন করলে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর চেকআপ করলে সারাজীবন সুন্থ জীবন-যাপন করা সম্ভব।
ডা: একেএম ফজলুল বারী
সহযোগী অধ্যাপক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

ক্ষুদে বই পড়ুয়া,একদিনে যার পড়া হয় ৪৬৪পৃষ্ঠা!

১০বছর বয়সী মেয়ে ফেইথ জ্যাকসন বই পড়তে ভালোবাসে। কিন্তু কতটা?!

২০১৪সালে ফেইথ এর পড়া বইয়ের সংখ্যা সর্বমোট ৯৪২টা! এবং গড়ে প্রতিদিন আর পড়া বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় ৪৬৪ পৃষ্ঠার মতো! যা সত্যিই কৃতিত্বপূর্ণ কাজ!

যেখানে মানুষ ছোট থেকে বড় হতে হতে পড়ুয়া বইয়ের সংখ্যা হয়তো হয় এতোটা,সেখানে মাত্র এক বছরেই ফেইথ পড়ে শেষ করেছে এমন অস্বাভাবিক সংখ্যার বই!অবাককর ব্যাপার ই বটে! মজার ব্যাপার হলো,এতো এতো বই পড়ার পর এই ক্ষুদে বইয়ের পোকা এখন আর একলা একলা পড়তে পছন্দ করে না। আর তাই সে এখন বই পড়ে তার মতোই আরো কিছু বই পোকার সাথে।

ফেইথের এমন পড়ুয়া অভ্যাস কিন্তু একদিনে হয় নি। ফেইথের মা মিসেস জ্যাকসন এর ভাষ্যমতে, ‘ ফেইথ যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করে,তখন সে রিডিং পড়তে খুব ইতস্তত বোধ করতো,এবং সহজে সে পড়তে চাইতো না।’ ফেইথ এর এই সমস্যা দূর করার জন্য মিঃ এবং মিসেস জ্যাকসন মিলে ঘর ভর্তি স্কুলের বই এর বদলে যখন যে ধরনের বই পড়তে ফেইথ পছন্দ করে সেই সেই বই গুলো আনতে শুরু করলেন। আর সব সময় খেয়াল রাখতেন,যে কোন মূল্যে যেনো ফেইথ বই পড়তে বিরক্ত না হয়। যদি স্কুলের বই ভালো না লাগে তাহলে গল্পের বই পড়বে,গল্পের বই ভালো না লাগলে ফিকশন পড়বে,না হলে কমিকস পড়বে,ম্যাগাজিন পড়বে এই চিন্তা মাথায় রেখে তারা  নানান রকমের বই দিয়ে তারা ফেইথের জন্য লাইব্রেরি সাজিয়েছেন। আর এই লাইব্রেরি ই তৈরী করেছে আজকের এই ‘বই পড়ুয়া ফেইথ’ কে।

ফেইথ যখন ধীরে ধীরে বই পড়ায় অভ্যস্থ হয়ে গেলো,তখন থেকে সে বাছাই করতে শুরু করলো কি কি ধরনের এবং কার কার লেখা বই তার ভালো লাগে। ফেইথের বাবা-মা,তার সেই লিস্ট দেখে আর জন্য দুর্লভ থেকে শুরু করে সর্বশেষ পর্যন্ত সব রকমের কালেকশন লাইব্রেরীতে এনে রাখতেন এবং বিভিন্ন অকেশনে সুযোগ বুঝে মেয়েকে তার প্রিয় প্রিয় লেখকদের সাথে সাক্ষাৎ করাতে নিয়ে যেতেন,যাতে করে আরো বেশি বেশি বই পড়তে এবং  নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরী করতে ফেইথ সাহায্য ও উৎসাহ পায়।

ফেইথের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ এবং এই ছোট্ট বয়সেই জ্ঞানের পারদর্শীতায় মুগ্ধ হয়ে ফেইথ এর প্রিয় রাইটার হলি ওয়েব তার একটা বই উৎসর্গ করেন ফেইথ কে। বইটির নাম হচ্ছে, ‘দ্যা ফরগটেন পাপ্পি’। প্রিয় লেখকের কাছ থেকে এমন অনাকাংখিত আর অসাধারন উপহার পেয়ে ফেইথ অসম্ভব খুশী হয়।

বই পড়ার সংখ্যা যতো বাড়ছে দিনে দিনে ফেইথ ততোই কনফিউসড হচ্ছে,আসলে তার প্রিয় লেখক কে!! এবং সে এখন এই প্রশ্নের জবাব দিতে খুবই হিমশিম খায়! সেই সাথে আজকাল তো ফেইথ বিছানায় যেয়ে ঘুমাতেও ভুলে যায়,দেখা যায় বই পড়তে পড়তে সে চেয়ারেই বা বইয়ের স্তুপে ঘুমিয়ে গেছে!

বই মানুষের জীবন কে আলোকিত করে,মানুষকে আর জন্য সঠিক পথ খুঁজতে এবং সে পথে চলতে সাহায্য করে। এ কথাটার একটা উজ্জ্বল প্রমাণ হচ্ছে আজকের ছোট্ট মেয়ে ফেইথ জ্যাকসন। যে মেয়েটি ছোট্ট বেলায় রিডিং পড়তে চাইতো না আর আজ সে এক দিনেই ৫০০ এর কাছাকাছি বই পড়ছে এবং সে আফসোস করে যে সে এখনো ১০০০ পৃষ্ঠা করে একদিনে বই পড়তে শিখেনি তাই!!

ফেইথের বাবা-মা মেয়েকে বই পড়তে শিখিয়েছেন আর এই অভ্যাস ফেইথ কে শিখিয়েছে জীবনে  অনেক অনেক বড় হবার ইচ্ছে থাকতে হবে আর থাকতে হবে উপযুক্ত পরিকল্পনা। আর তাই ফেইথ যতই পড়ুক না কেন,জীবনে বড় হবার জন্য যা যা গুণ অর্জন করা দরকার তা অর্জনের জন্য চেষ্টা করতে সে ভুলে না।

যার ফলাফল স্বরুপ,ক্লাসে ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি সাঁতারে,কারাতে এবং ম্যাথমেটিকস চর্চাত ফেইথ এর অবস্থান প্রথম সারিতে। সেই সাথে ফেইথ খুব পছন্দ করে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে। বিশেষ করে ছোট ভাই-বোন এলসা,জেমস,কর্ম্যাক এর সাথে গল্প করতে,তাদের কে বই পড়ে শুনাতে খুব ভালোবাসে।

এতো এতো বই পড়ুয়া মেয়েটি একদিন নিশ্চয়ই ভালো লেখক হবে,এমন চিন্তা অন্যরা করলেই এখন পর্যন্ত ফেইথ কেবল পড়তেই ভালোবাসে! কিন্তু বড়দের প্রত্যাশা আর উৎসাহ-সহযোগিতা থাকলে মনে হয় না খুব বেশিদিন সময় লাগবে এই ক্ষুদে পড়ুয়ার মেধা সারা বিশ্বকে নত্নুন প্রতিভাবান লেখক-বিজ্ঞানী আর সমাজ নির্মানের কারিগর উপহার দিতে।

সূত্র- ম্যানচেষ্টার ইভেনিং নিউজ। অনুবাদ করেছেন স্বপ্নকথা।

 

শীতের সবজি দিয়ে তৈরী করুন ভেজিটেবল বিরিয়ানী

প্রাকৃতিক ঋতু পরিবর্তনে আমাদের দেশে এখন শীতকাল। শীতের সময়ের সব চেয়ে বড় উপহার মনে হয় টাটকা পুষ্টিকর সব সবজি। কিন্তু আমাদের অনেকের বাড়িতেই যত উৎসাহ নিয়ে সবজি কেনা হয় সেভাবে আগ্রহ করে খাওয়া আর হয় না। পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিকভাবে রান্না করা সবজি খেতে না চাইলে একটু অন্যভাবে চেষ্টা করে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারেন। খুবসহজে টেবিলে ভিন্ন স্বাধ যোগ করতে রান্না করতে পারেন চিকেন  ভেজিটেবল বিরিয়ানি।

MINOLTA DIGITAL CAMERA
উপরকণ : পোলাও এর চাল আধা কেজি, ফুলকপি ১টি, গাজর কুঁচি ১ কাপ, আলু কিউব করে কাটা ১ কাপ, বরবটি কুঁচি ১কাপ, মটরশুঁটি ১ কাপ, মুরগির মাংস কিউব ২ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৬টি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, জয়ফল ও ছোট এলাচ গুঁড়া ১ চা চামচ, কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ ঘি বা তেল পরিমাণমতো, লবণ ও পানি পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রাণালী : প্রথমে চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। সবজিগুলো ধুয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে মসলায় মাংস দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ পর সেদ্ধ সবজি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
এবার আলাদা পাত্রে পোলাও রান্না করুন। কিছু পোলাও তুলে রেখে মাংসসহ সবজিগুলো কয়েক ধাপ সাজিয়ে ওপরে পোলাও দিয়ে পাত্রে ঢাকনা দিয়ে চুলার আচ কমিয়ে ১৫ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল দারুন মজার পুষ্টিকর ডিস চিকেন ভেজিটেবল বিরিয়ানি।

রেসিপি- মেহরিন কুইন।

 

ফেনীতে ৯বছরের গৃহকর্মীর উপর অমানুষিক নির্যাতন!

ফেনীতে শারমিন নামে নয় বছরের এক শিশু গৃহকর্মীর ওপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগে এক গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মোহনা আক্তার প্রিয়া (২৬) নামে ওই গৃহবধূকে আটক করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। আটক গৃহবধূ মোহনা আক্তার প্রিয়া ফেনী শহরের পেট্রোবাংলা এলাকার মাহি হাউজের রানার স্ত্রী।

শিশু শারমিন কুমিল্লার টমচম ব্রীজ এলাকার দরিদ্র রিপনের মেয়ে। মোহনা আক্তার প্রিয়ার বাসায় গত দুই বছর ধরে কাজ করছে সে। মাঝে মধ্যেই নানা অজুহাতে শারমিনের ওপর ফুটন্ত গরম পানি, কখনো গরম খুন্তির ছেঁকা দিয়ে নির্যাতন চালাতেন প্রিয়া ও তার স্বামী।
শিশু শারমিন জানায়, সামান্য ভুল-ভ্রান্তি কিংবা অমনোযোগী হলেই তার শরীরে গরম পানি ঢেলে ও খুন্তির ছেঁকা দিয়ে নির্যাতন করা হতো। আশ-পাশের লোকজন এসব জানলেও মাঝে মধ্যে প্রতিবাদ করতো। অবশেষে প্রতিবেশীদের খবরে পুলিশ শনিবার রাতে তাকে উদ্ধার করে। পরে শারমিন পুলিশকে তার উপর চালানো সব নির্যাতনের বর্ণনা দিলে তাকে পুলিশ হেফাজতে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ফেনী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুব মোরশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শহরের পেট্রোবাংলা এলাকার মাহি হাউজ থেকে শনিবার রাতে শিশুটি টিউবওয়েলে পানি নিতে এলে প্রতিবেশীরা তার অবস্থা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রিয়াকে আটক করে।
ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের ডাঃ ইকবাল হোসেন সিরাজী জানান, শিশুটির শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

মেয়েদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘বাড়ি বসে বড়লোক’

আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে মেয়েদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ‘বাড়ি বসে বড়লোক’। চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময়ে দেশের ৬৪ জেলা ও ২৭৬ উপজেলায় নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস। প্রশিক্ষণে প্রতিটি উপজেলার ৪৫ জন করে মোট বার হাজার চারশ বিশ জনকে দুই দিনের বেসিক প্রশিক্ষণ ও এদের মধ্য থেকে বাছাই করে প্রতি জেলার ৩৫ জনকে প্রদান করা হবে অ্যাডভান্স প্রশিক্ষণ।

টিএমএসএস-এর পরিচালক ও কর্মসূচির ফোকাল পয়েন্ট নিগার সুলতানা বলেন, ‘সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।’ আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘মেয়েদের আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী করতে চাই। সে লক্ষ্যেই এটি একটি পাইলট কর্মসূচি। এর সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আমরা আরও বড় কর্মসূচি গ্রহণ করব।’

 

এবারের বাণিজ্য মেলায় মা ও শিশুদের জন্য খাওয়া ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

শিশুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর দুধ পান করানো, শিশুর নির্ধারিত খাবার খাওয়ানো বা শিশুর শরীরের কাপড় পরিবর্তন কোন মা নিশ্চয়ই এড়াতে পারেন না। আর সেজন্য কেনাকাটা বা ঘোরাঘুরির ইচ্ছে থাকলেও শিশুকে বাসায় রেখে মেলায় আসতে চান না অনেক মা। তবে এবারের মেলায় শিশুকে সাথে নিয়ে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না তাদের মায়েদের। শিশুকে দুধ পান করাতে বা শিশুর ডায়াপার পরিবর্তন করতে মা ও শিশুদের জন্য রয়েছে আলাদা স্টলের ব্যবস্থা।
নির্ধারিত ওই স্টলে গিয়ে মা তার শিশুকে দুধ পান করাতে বা শিশুর ডায়াপার পরিবর্তন করাতে পারছেন। শিশুর ক্ষুধা পেলেই কেনাকাটার ফাঁকে মা খুঁজে নিচ্ছেন নির্ধারিত এই স্টলগুলো। শিশুর ক্ষুধা নিবারণ করে নিশ্চিন্তে মেলায় ঘোরাঘুরি বা কেনাকাটা করছেন শিশুর মা। মেলায় স্কয়ারের ব্রেস্ট ফিডিং অ্যান্ড ডায়াপার চেঞ্জিং কর্নার নামক স্টলে কাজটি সম্ভব হচ্ছে। এবারের মেলায় স্কয়ারের দুটি স্টলে মা ও শিশুর জন্য একই সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৩শ ৫০ জন মা তার শিশুকে নিয়ে এখানে আসেন এবং ক্ষুধার্থ শিশুকে দুধ পান করান। ছুটির দিনে এর সংখ্যা বেড়ে ৫শ ছাড়িয়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্টলের দায়িত্বরত সমন্বয়কারী সোহেবুল। তিনি আরো বলেন, বিনামূল্যে মা ও শিশুদের জন্য মাসব্যাপী এ মেলায় এ ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে। স্টলে যারা তালিকাভুক্ত হচ্ছেন তাদের বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে স্কয়ার সুপার মম।
এদিকে এসিআই প্রতিষ্ঠানের উইমেন হেলথ কেয়ারে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে চিকিত্সার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মহিলাদের ফ্রি চিকিত্সা সেবা দেয়া হয়। স্টলে রাখা খাতায় যারা তালিকাভুক্ত হচ্ছেন তাদের একটি ফ্রিডম ফ্রি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যারা ক্রয় করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদের কাছে ফ্রিডম বিক্রিও করা হচ্ছে। বিক্রয়কর্মী জাকিয়া সুলতানা বলেন, মহিলারা এই উদ্যোগকে ভালোভাবে গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন স্টল থেকে বিনামূল্যে চিকিত্সা নিচ্ছেন।
এদিকে মেলায় নভো নরডিক্সে ফার্স্ট এইড নামক মিনি প্যাভিলিয়নে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন দায়িত্বরত চিকিত্সক। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার রোগী এখান থেকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান বলে জানান ডা. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস ছাড়াও অন্যান্য রোগেরও ফ্রি চিকিত্সা সেবা দেয়া হচ্ছে। ইমারজেন্সি রোগীর জন্য রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা।
রাজধানীর মিরপুর থেকে মেলায় এসে কেনাকাটা শেষে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে বাসায় ফিরছিলেন আব্দুল মান্নান। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মেলায় ফ্রি চিকিত্সা সেবা একটা ভালো উদ্যোগ। কেনাকাটাও হলো আর বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো হলো। এবার নিশ্চিন্তে বাসায় ফিরতে পারি। এক ঢিলে দুই পাখি বলতে পারেন। এছাড়া মেলায় রয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আলাদা বুথ। যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে চান তারা এখানে রক্ত দিচ্ছেন। কোন রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে মেলার প্রচার মাইকে জানিয়ে দেয়া হয়। ইচ্ছুক রক্তদাতা বুথে গিয়ে রক্ত দান করেন।

 

নারী অধিকার রক্ষায় পুরুষদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নারী অধিকার রক্ষায় পুরুষদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে গত বুধবার থেকে জেন্ডার সাম্যবিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সংস্থার সদর দপ্তরে ‘বারবারশপ কনফারেন্স’ নামে এ সম্মেলনের আয়োজক আইসল্যান্ড। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে এবং ব্যাপকতর সাম্য প্রতিষ্ঠায় পুরুষের করণীয় নিয়ে মতবিনিময়ের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এ সম্মেলন এরই মধ্যে ‘বিতর্কিত’ তকমা অর্জন করেছে। শুরুতে শুধু পুরুষদের নিয়ে সম্মেলন করার কথা ভেবেছিল আইসল্যান্ড, পরে তীব্র সমালোচনার মুখে কয়েকটি অধিবেশনে নারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জাতিসংঘে আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গ্রেতা গুন্নার্সদত্রির বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এ বিষয়টিতে পুরুষদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। জেন্ডার সাম্যবিষয়ক যেকোনো সম্মেলনে আপনি দেখবেন অংশগ্রহণকারী বেশির ভাগই নারী। মূল বিষয়টি নারীকে বাদ দেওয়া নয় বরং পুরুষকে অন্তর্ভুক্ত করা।’ পুরুষদের সহজে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই এ সম্মেলনের আয়োজন।

emma-watson

জাতিসংঘের মতো একটি সংস্থাতেও মোট ১৯৩ সদস্যের মধ্যে পুরুষ প্রতিনিধিত্ব করে ১৬০টি দেশের। গত বছর ব্রিটিশ অভিনেত্রী ইমা টমসন ‘হি ফর শি’ নামের একটি প্রচারাভিযান শুরু করেন। তিনি বলেন, জেন্ডার নিয়ে গতানুগতিক ধারণা থেকে বের হয়ে পুরুষদেরও কথা বলতে হবে। সম্মেলনে ইমার এই প্রচারের ওপরও আলো ফেলা হবে। সম্মেলনের গতকালের অধিবেশনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্রদূতরা তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে জেন্ডার ইস্যুদের পুরুষদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। গুন্নার্সদত্রির বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’

বেইজিং নারী সম্মেলনের ২০ বছর পূর্তির প্রস্তুতির মধ্যে এ সম্মেলনের আয়োজন করল জাতিসংঘ। এই মধ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ জেন্ডার বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি। বিশ্বজুড়ে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ইতি টানার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাওয়া পুরুষদের সংগঠন হোয়াইট রিবন ক্যাম্পেইনের পরিচালক টড মিনেরসন বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জেন্ডার সাম্য নিয়ে কাজ করার বিষয়টি আরো একটু এগিয়ে দেবে এই সম্মেলন। সম্মেলনে মিনারসনের ‘হোয়াট মেকস আ ম্যান’ নামের একটি কর্মশালায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। এ অধিবেশনে নারীরাও যোগ দেবেন। ইউরোপের প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের দেশ আইসল্যান্ড বিশ্ব জেন্ডার ব্যবধান সূচকেও কমের দিক থেকে প্রথম। এই ধারাক্রমে পরের দেশগুলো হলো ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন ও ডেনমার্ক। এ সূচকে জার্মানির অবস্থান ১২তম, যুক্তরাষ্ট্র ২০তম, যুক্তরাজ্য ২৬তম। সর্বশেষ ইয়েমেন (১৪২)।

সূত্র : এএফপি

 

রাষ্ট্রপ্রধান নারীদের দেশ সমূহ

গত শতকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নারীরা পেয়েছিল ভোটাধিকার। কর্ম ও পেশা নির্বাচনের স্বাধীনতা থেকে এখনো অনেক দেশেই বঞ্চিত তারা। তবে সুযোগ পেলে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে কার্পণ্য করছে না নারীরা। এ মুহূর্তে বিশ্বের ১৯টি দেশের কর্তৃত্ব এখন তাদের হাতে। গৌরবের বিষয়, এ তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশেরও।

kolinda-kitarović

 

সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নারী নির্বাচিত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে ক্রোয়েশিয়াতে। দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ। এর আগে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিতারোভিচ হচ্ছেন দ্বিতীয় নারী প্রেসিডেন্ট, যিনি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ তালিকায় সর্বপ্রথম নাম নিকারাগুয়ার ভিয়োনেতা বামেরো। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে যে দেশগুলোর সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান নারী সেগুলো হলো জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ব্রাজিল, চিলি, আর্জেন্টিনা, লাইবেরিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, নরওয়ে, স্কটল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, ক্রোয়েশিয়া, মাল্টা, পোল্যান্ড, কসোভো, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া।

kz1 p-8

এর মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দু’জন ই পর পর তিনবার সরকারপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

5472793857_aeb541e4d8 isabel-presidente

শ্রীলঙ্কার শ্রীমাভো বন্দরনায়েক ছিলেন বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। আর আর্জেন্টিনার ইসাবেলা মার্তিনেজ ছিলেন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।

সূত্র : বিবিসি।

 

 

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা

অপরাজিতা ডেস্কঃ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চিত্রকড়া এলাকায় গত সোমবার রাতে যৌতুকের জন্য স্ত্রী সীমা আক্তারকে (২২) স্বামী শাহীন শেখ শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী শাহীনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার নিহত সীমার মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে টঙ্গিবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর লৌহজং উপজেলার কলমা এলাকার প্রয়াত মোখলেস মিয়ার মেয়ে সীমা আক্তারের সঙ্গে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চিত্রকড়া এলাকার এসহাক শেখের ছেলে শাহীন শেখের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীকে কয়েক দফা যৌতুকের টাকা দেওয়া হয়। সম্প্রতি স্বামীর বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। এই টাকা না দেওয়ায় তারা সীমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার দিন গত সোমবার রাতে শাহীন শেখ তাঁর স্ত্রী সীমাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন তাঁকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ জানায়, শাহীনকে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
টঙ্গিবাড়ী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাহীনের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে। এর আগে আমরা বলতে পারব না যে শাহীন তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছে। এখন তাঁকে কেবল সন্দেহ করা হচ্ছে।’

 

ক্রোয়েশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন কিতারোভিচ।

ক্রোয়েশিয়ার নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অবশেষে বিরোধী প্রার্থী কোলিন্দা গ্রাবার-কিতারোভিচ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। রাজনৈতিকভাবে রক্ষণশীল কিতারোভিচের (৪৬) মূল নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল দেশের রুগ্ণ অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা।

গত রবিবার ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন যে ফলাফল ঘোষণা করে তাতে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ন্যাটো কর্মকর্তা কিতারোভিচ ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মধ্য বামপন্থী আইভো জোসিপোভিচ পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট।

জাগরেভ সদর দপ্তরে জোসিপোভিচ (৫৭) সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘নাটকীয় লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে কিতারোভিচ নির্বাচিত হয়েছেন। আমি তাঁকে অভিনন্দন জানাই।’

এদিকে কিতারোভিচ রাজধানীতে উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি কারো কাছে শুনতে চাই না যে ক্রোয়েশিয়া সমৃদ্ধ ও সম্পদশালী হবে না। বরং আমি সবাইকে, বিশেষ করে যারা আমাকে ভোট দেয়নি তাদের প্রতিও ক্রোয়েশিয়ার উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

যুগোশ্লাভিয়া থেকে ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হলেন কিতারোভিচ।

দুই সপ্তাহ আগে দেশটিতে প্রথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয় যা প্রথম দফার চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।

সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

 

চলে গেলেন মা,একবারো দেখতে এলো না সন্তানেরা!

সন্তান,নাড়ি ছেঁড়া ধন!কলিজার টুকরো! নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চায় মা,আর কিচ্ছু না। কিন্তু দুর্ভাগ্য তখন ই যখন সেই সন্তান একটা বারো ফিরে চায় না মায়ের দিকে,জানতে চায় না কেমন আছেন মা? ঠিক তেমনি একজন হতভাগী মা আরাফাতুন নেছা!
গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদীর রাস্তায় ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছা (৮৬) গাজীপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে শনিবার সকালে মারা গেছেন। গত এক বছরেও তার সন্তানরা অসুস্থ বৃদ্ধ মায়ের খবর নেয়নি।
গাজীপুরের মনিপুর বিশিয়া-কুড়িবাড়ি মনিপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ আবু শরীফ মোবাইল ফোনে জানান, আরাফাতুন নেছার ছবিসহ বিষয়টি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও সন্তানরা মায়ের খোঁজ নিতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসেনি। কিন্তু মৃত্যুর আগেও তিনি স্বজনদের দেখার জন্য কাকুতি-মিনতি করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ না পাওয়ার কারণে তার লাশ শনিবার বাদ জোহর দাফন করা হয়েছে গাজীপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের কবরস্থানে।
জানা গেছে, বৃদ্ধার শামীম ও জাহিদ নাসের নামের ২ পুত্র গত বছরের ৩০ জানুয়ারি তাকে গৌরনদীর টরকীর রাস্তায় ফেলে যায়। এক কাপড়ে অসুস্থ অবস্থায় ৮/১০ দিন রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরাফাতুন নেছার এই করুণ কাহিনী জানতে পেরে এগিয়ে আসেন গাজীপুরের মনিপুর বিশিয়া-কুড়িবাড়ি মনিপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জাহিদ হাসান মুকুল। মৃত্যুর আগেও সন্তানদের নাম বারবার তিনি উচ্চারণ করেছেন।

 

রাজবাড়িতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন,ভাটারায় স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার দুই দিন পর গত শুক্রবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করা হয়েছে।
স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ফৈজদ্দিন মাতুব্বরপাড়ার রাসেল মোল্যা (১৯) কয়েক মাস ধরে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বুধবার সকালে রাসেলদের বাড়ির কাছে ওই ছাত্রী তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাসেল ঘরে ডেকে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয়। জানালে তাকে বিয়ে করবে না বলে জানায় রাসেল। মেয়েটি বাড়ি ফিরেই সবার কাছে ঘটনা খুলে বললে তার বাবা বিষয়টি প্রথমে রাসেলের পরিবার, পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। রাসেলের পরিবার বিয়ের পরিবর্তে কিছু টাকা নিয়ে আপসের প্রস্তাব দেয়। আর স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ অন্যরা মীমাংসার কথা বলেন। এতে তাঁদের আইনগত পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়েছে বলে জানান তাঁরা। পরে শুক্রবার বিকেলে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
স্থানীয় ইউপির সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘শুনেছি ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। দুই পক্ষই গরিব। আমরা স্থানীয়ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল বাসার মোল্যা জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। অভিযুক্ত রাসেল পলাতক।

লাশ উদ্ধার

রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গতকাল মিম আক্তার শিউলি (১০) নামে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা। ঢাকায় মায়ের সঙ্গে সে বসবাস করত। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

একজন গর্ভবতী মায়ের পরিপূর্ণ যত্ন

মায়ের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ওপর গর্ভস্থ সন্তানের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। এ সময় অপর্যাপ্ত খাদ্য ও অপুষ্টি, মা ও শিশুর জন্য মারাত্মক হতে পারে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত মায়েরা যে সন্তানের জন্ম দেয়, তাদের জন্ম ওজন কম হয়, বুদ্ধির বিকাশ ব্যাহত হয় ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। গর্ভাবস্থায় মা নিজের দেহ থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে গর্ভের শিশুকে যথাযথভাবে গড়ে তুলে। এক্ষেত্রে মায়ের দেহে যে ক্ষয় হয় তা পূরণ করা না হলে মায়ের স্বাস্থ্যহানি ঘটে।

এজন্য গর্ভাবস্থায় মাকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাবার খেতে হবে। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মেয়েরা কম বয়সে গর্ভধারণ করে এবং প্রায় সবাই অপুষ্টির শিকার হয়। এর ফলে অপুষ্ট সন্তান জন্মগ্রহণ করে বা কখনও কখনও মহিলারা মৃত সন্তানও প্রসব করে।

গর্ভকালীন সেবা

* গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৩ বেলা খাবারের সঙ্গে নিয়মিত কমপক্ষে এক মুঠ বেশি খাবার খেতে হবে।

* মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা, ঘন ডাল, গাঢ় সবুজ শাক-সবজি ও মৌসুমি দেশী ফল খেতে হবে। রান্নায় যথেষ্ট পরিমাণ তেল ব্যবহার করতে হবে।

* গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন রাতের খাবারের পরপরই ১টি করে আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে হবে।

* গর্ভাবস্থায় ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।

* গর্ভাবস্থায় তিন মাসের পর থেকে প্রতিদিন (সকালে এবং দুপুরে) ২টি করে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ভরা পেটে খেতে হবে।

* গর্ভাবস্থায় যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম (দুপুরে খাবারের পর ২ ঘণ্টা এবং রাতে ৮ ঘণ্টা) নিতে হবে।

* গর্ভবতী মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তিতে রাখতে হবে, এতে গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক হবে

* ভারী কাজ (যেমন : টিউবওয়েল চাপা, ধান ভানা, ভারী জিনিস তোলা, অতিরিক্ত/ভারী কাপড় ধোয়া) থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কষ্টকর পরিশ্রম বর্জন করতে হবে।

* আয়োডিন যুক্ত লবণ খেতে হবে

* প্রথম তিন মাসের পর প্রয়োজনে ১টি কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেতে হবে

* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে

গর্ভকালীন যত্ন

গর্ভাবস্থায় অন্তত চারবার গর্ভকালীন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে (মায়ের ওজন, রক্তস্বল্পতা, রক্তচাপ, গর্ভে শিশুর অবস্থান পরীক্ষা করা)

* ১ম স্বাস্থ্য পরীক্ষা = ১৬ সপ্তাহে (৪ মাস)

* ২য় স্বাস্থ্য পরীক্ষা = ২৪-২৮ সপ্তাহে (৬-৭ মাস)

* ৩য় স্বাস্থ্য পরীক্ষা = ৩২ সপ্তাহে (৮ মাস)

* ৪র্থ স্বাস্থ্য পরীক্ষা = ৩৬ সপ্তাহে (৯ মাস)

* রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা

যদি আপনি কোনো টিটি টিকা না দিয়ে থাকেন তাহলে টিকা শুরু করতে হবে এবং গর্ভাবস্থায় ৫ মাস পর ২টি টিটি টিকা নিতে হবে, সিডিউল অনুযায়ী বাকি টিকাগুলো নিতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী ইমিউনিটির জন্য ৫টি টিটি টিকার নির্ধারিত সময়সূচি :

১ম ডোজ (TT1) : ১৫ বছর বয়সে অথবা প্রসব পূর্ববর্তী প্রথম ভিজিটে

২য় ডোজ (TT2) : ১ম ডোজ নেয়ার অন্তত ১ মাস (৪ সপ্তাহ) পর

৩য় ডোজ (TT3) : ২য় ডোজ নেয়ার অন্তত ৬ মাস পর

৪র্থ ডোজ (TT4) : ৩য় ডোজ নেয়ার কমপক্ষে ১ বছর পর

৫ম ডোজ (TT5) : ৪র্থ ডোজ নেয়ার কমপক্ষে ১ বছর পর

গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি না হওয়ার কারণ

* শিশু ও কিশোরী বয়সে দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টিতে এবং রক্তস্বল্পতায় ভোগা

* কিশোরী বা অল্প বয়সে গর্ভধারণ করা

* ঘন ঘন সন্তান ধারণ করা

* গর্ভাবস্থায় কম খাদ্য গ্রহণ ও সুষম খাদ্য গ্রহণ না করা

* গর্ভকালীন সময়ে রক্তস্বল্পতায় ভোগা

* বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ও কৃমিতে আক্রান্ত হওয়া

* শারীরিক পরিশ্রম বেশি করা ও মানসিক উদ্বেগ থাকা

* খাদ্য সংক্রান্ত কুসংস্কার ও পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন

প্রসূতিকালীন পরিচর্যা ও প্রসূতি মায়ের পুষ্টি

প্রসবোত্তর সেবা নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। প্রসবের পর থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কে ‘প্রসবোত্তর কাল’ বলা হয়। এ সময় মায়ের বিশেষ সেবা প্রয়োজন। কারণ এই সময় শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়ের শরীরের ক্ষয় হয়।

শিশুর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান মায়ের দুধে বিদ্যমান; যা শিশু মায়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। এজন্য এ অবস্থায় মায়ের শরীর সুস্থ রাখার জন্য সব ধরনের পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার এবং বাড়তি যত্নের প্রয়োজন।

প্রসব পরবর্তী যত্ন

প্রত্যেক বার খাবারের সময় প্রসূতি মাকে স্বাভাবিকের তুলনায় কমপক্ষে ২ মুঠ বেশি পরিমাণে খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত খাবার শিশুর জন্য মায়ের দুধ তৈরি করতে সহায়তা করে এবং মায়ের নিজের শরীরের ঘাটতি পূরণ করে

* দুগ্ধদানকারী মাকে সব ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ (আয়রন, ভিটামিন-এ, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি) খাবার খেতে হবে

* দুগ্ধদানকারী মায়ের কাজে পরিবারের সব সদস্যকে সহযোগিতা করতে হবে

* গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলাদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে পরিবারের সবার (স্বামী, শাশুড়ি) করণীয় :

* গর্ভকালীন সেবা গ্রহণের জন্য গর্ভবতী মহিলার সঙ্গে সেবা কেন্দ্রে যাওয়া এবং আয়রন ফলিক এসিড খাওয়ার জন্য গর্ভবতী মহিলাকে মনে করিয়ে দেয়া

* গর্ভবতী মহিলা/দুগ্ধদানকারী মাকে অতিরিক্ত খাবার খেতে উৎসাহিত করা

* ঘরের দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজে গর্ভবতী মহিলাকে সাহায্য করে তার কাজের বোঝা কমানো

* হাসপাতালে প্রসব করানোর বিষয়ে গর্ভবতী মহিলাকে উৎসাহিত করা এবং সহযোগিতা করা

* হাসপাতালে প্রসবের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেয়া

* জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য গর্ভবতী মহিলাকে উৎসাহিত করা এবং সহযোগিতা করা

* জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে মায়ের শাল দুধ খাওয়ানোর জন্য গর্ভবতী মহিলাকে উৎসাহিত করা এবং সহযোগিতা করা

* মা শিশুকে যথেষ্ট সময় নিয়ে দুধ খাওয়াতে পারে তার জন্য দুগ্ধদানকারী মাকে সুযোগ করে দেয়া

গর্ভবতী মহিলার ৫টি বিপদ চিহ্ন

একজন গর্ভবতী নারীর যে কোনো সময় যে কোনো বিপদ দেখা দিতে পারে। পরিবারের সবার গর্ভকালীন ৫টি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে এবং যে কোনো একটি দেখা দেয়া মাত্র তাকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

* রক্তক্ষরণ* প্রচণ্ড জ্বর*তীব্র মাথাব্যথা এবং চোখে ঝাপসা দেখা* খিঁচুনি* অনেকক্ষণ ধরে প্রসব বেদনা/বিলম্বিত প্রসব (১২ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে থাকলে)

প্রসবকালীন বিপদ লক্ষণ

* প্রসবের সময় মাথা ব্যতীত অন্য কোনো অঙ্গ বের হয়ে আসা

* বিলম্বিত প্রসব

* অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ

* খিঁচুনি

* গর্ভফুল বের হতে বিলম্ব হওয়া ।

লেখা- ডা. বেদৌরা শারমিন। স্ত্রী ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ।

 

দেশের মুখ উজ্জ্বল করলো সাবিরা,মাবিয়া,রেশমা

ইরাক, সৌদি আরব, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছেন। এশিয়ার বড় দেশগুলোর সেরা ভারোত্তোলকদের হারিয়ে মোল্লা সাবিরা, মাবিয়া আক্তার ও জোহরা আক্তার রেশমারা জিতেছেন রুপা ও ব্রোঞ্জ। দারুণ এক অভিজ্ঞতা নিয়েই দেশে ফিরেছেন ভারোত্তোলকরা। মোল্লা সাবিরা বলেন, ‘আমি আগেও এশিয়ার সেরা দেশগুলোর সঙ্গে খেলে পদক জিতেছি। এবারও এশিয়ার দেশগুলোর সেরা ভারোত্তোলকদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি আমরা। তাদের হারিয়ে পদকও জিতেছি। বিদেশে গিয়ে পদক জেতাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’

সেই ২০০২ সাল থেকে আজ অবধি ভারোত্তোলন খেলছেন মোল্লা সাবিরা। ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে আসছেন দেশসেরা এ মহিলা ভারোত্তোলক। শুধু দেশেই নয়, ২০০৫ সালে জর্ডানের আম্মানে এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে রুপা জিতেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু সাবিরার। মাঝে অনেক বছর কেটেছে। আন্তর্জাতিক অনেক আসরেই অংশ নিয়েছেন। ঝুলিতে জমা পড়েছে অনেক পদক। এবার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত কাতার দ্বিতীয় ইন্টারন্যাশনাল কাপ ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে রুপা জেতেন মোল্লা সাবিরা সুলতানা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত এ ভারোত্তোলক বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক কারণেই মেয়েরা ভারোত্তোলনে এগিয়ে আসছে না। কারণ ভারোত্তোলন খেলতে যে কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন, তা জেলাগুলোতে নেই। বাহিনীগুলোতে কারিগরি সুবিধাগুলো থাকায় ভারোত্তোলনে জেলাগুলোর চেয়ে সার্ভিসেস দলগুলোর মেয়েরাই বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে চাই দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন। এর কোনো বিকল্প নেই।’

কাতারে ১৭তম ইয়ুথ এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে অংশ নিয়ে রুপা জেতেন উদীয়মান ভারোত্তোলক জোহরা আক্তার রেশমা। এর আগে ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের পাতায়ায় ৪৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে ইয়ুথ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জপদক জেতেন তিনি। ২০১৩ সালে মালয়েশিয়াতেও একই ওজন শ্রেণীতে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলনের ইয়ুথ বিভাগে রুপা জেতেন রেশমা। তিনি বলেন, ‘বিদেশে পদক জেতার আনন্দই আলাদা। এ নিয়ে তৃতীয়বার বিদেশের মাটিতে পদক জিতেছি। ভবিষ্যতে অলিম্পিকে খেলতে চাই।’ একই স্বপ্ন এশিয়ান অ্যান্ড আরব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ৬৩ কেজিতে ব্রোঞ্জজয়ী মাবিয়া আক্তার সিমান্তরও। তার কথায়, ‘আমার লক্ষ্য ভবিষ্যতে অলিম্পিকে পদক জেতা। ফেডারেশন সহযোগিতা করলে সে লক্ষ্যেই আমি খেলে যেতে চাই।’ ২০১১ সালে ভারোত্তোলনে আসা সিমান্ত বলেন, ‘২০১২ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ এবং ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় কমনওয়েলথ ভারোত্তোলনের জুনিয়রে রুপা ও ইয়ুথ বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। ভবিষ্যতে অলিম্পিকে পদক জেতাই আমার লক্ষ্য।’ তবে রেশমা ও সিমান্তের সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে মনে করেন মোল্লা সাবিরা। তার কথায়, ‘দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের মধ্যে থাকলে অনেককিছুই সম্ভব। অলিম্পিকে পদক জয় খুব কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। এজন্য একজন ভারোত্তোলককে কম করে হলেও চার থেকে পাঁচ বছরের কঠোর অনুশীলনের মধ্যে থাকতে হবে। সাধনা করতে হবে। আমি মনে করি, রেশমা ও সিমান্তের সেই সুযোগ রয়েছে। তাদের বয়স কম। তারা দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের সুযোগ পেলে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।’

 

নারীবাদী নয়,সমতাবাদী

প্রথম আলোর ‘স্বপ্ন নিয়ে’ পাতা থেকে হ্যারি পটারখ্যাত অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন ‘হি ফর শি’ নামের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছেন বলে জানা গেল। তিনি বলেছেন,

‘আমি যত বেশি ফেমিনিজম বা নারীবাদ নিয়ে কথা বলি, তত বেশি বুঝতে পারি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীর অধিকারের লড়াইকে পুরুষবিদ্বেষী ভাবা হয়। আমি একটা কথাই বিশ্বাস করি, সব ধরনের বিদ্বেষ রুখতে হবে। নারী ও পুরুষের সম–অধিকার ও সমান সুযোগই নারীবাদের ভাবাদর্শ।’
৫০ থেকে ৬০ বছর আগে কাউকে ‘কমিউনিস্ট’ হিসেবে জানতে পারলে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষজন আঁতকে উঠত। নুরজাহান বোসের আগুনমুখার মেয়ে বইটিতে এ রকম উল্লেখ আছে যে একটা বাড়িতে এক কমিউনিস্ট এসেছেন জানতে পেরে কেউ আর ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে রাজি নয়। ইদানীং আবার উল্টোটাও দেখা যায়, কোনো কট্টর মৌলবাদী বেড়াতে আসবে জানতে পেরে সে বাড়ির আধুনিক ছেলেমেয়েরা আগেভাগেই কেটে পড়ে। ‘নারীবাদী’ শব্দটাও অনেকের কাছে ও রকমই ভীতিপ্রদ। যেন নারীবাদী মানেই তসলিমা নাসরিন।

নারীবাদী মানেই পুরুষবিদ্বেষী। অনেক প্রগতিশীল পুরুষও নারীবাদীদের এড়িয়ে চলেন, আর যেসব পুরুষ নারীবাদী, তাঁদের পৌরুষ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। আবার এমনও অনেক নারীবাদী নারী-পুরুষ আছেন, যাঁরা কেবল তাত্ত্বিক নারীবাদিত্বের বড়াই করেন কিন্তু ব্যবহারিক জীবনাচরণে নারীকে দেখেন পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিতে। অল্প কিছুসংখ্যক ঠিকই বোঝেন যে নারীবাদীরা যেসব যুক্তিতে সমতার কথা বলে, তার ষোলো আনাই সঠিক, কিন্তু পারিপার্শ্বিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর মতো সৎ সাহস তাদের নেই বলে তারা মুখ বুঝে থাকে। কিন্তু এ কথা তো ঠিক যে নারী যেমনভাবে নারীর কথা বলতে পারবেন, পুরুষ তা পারবেন না। কিন্তু নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনো যেখানে পুরুষপ্রাধান্য, সেখানে খামোখা শত্রু বাড়িয়ে লাভ কী?
একসময় উইড (উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট) বেশ সরব ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী সময়ে গ্যাড (জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অধিক জনপ্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। জেন্ডার উন্নয়নে নারী-পুরুষ উভয়ের কথাই বলা হয়। তার পরও জেন্ডার পরামর্শক বা বিশেষজ্ঞদের (নারীই এসব পদে বেশি বহাল আছেন) নারীবাদীরূপেই বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিবের কাছে এক নারী কর্মকর্তা বিধি অনুযায়ী তাঁর পদোন্নতির কথা বলতে গেলে সচিব ‘নারীর ক্ষমতায়ন?’ বলে এমন অবজ্ঞামিশ্রিত এক হাসি দিলেন যে সে নারী দ্বিতীয়বার আর অনুরোধের সাহস করলেন না। অথচ সে নারী কর্মকর্তার চেয়ে পদমর্যাদায় জ্যেষ্ঠ একজন পুরুষ কর্মকর্তা কেবল সরকারদলীয় বিবেচনায় বছরের পর বছর পদোন্নতির সুবিধা ভোগ করে আসছেন। নারীর ক্ষমতায়ন যেখানে এ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতির একটি, সেখানে নারীদের তাঁদের ন্যায্য পাওনাটার জন্যও লড়াই করতে হচ্ছে। তাহলে ক্ষমতায়নের আগে দরকার সমতায়ন?
নারীরা যেমন নারীশক্তির মাহাত্ম্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত, পৃথিবীতে পুরুষদের বিজয়গাথা নিয়েও পুরুষেরা গর্বিত। যেসব নারী জানেন পুরুষের গৌরবগাথা ভুলে থাকার বিষয় নয় এবং যেসব পুরুষ জানেন নারীর শক্তিও কালে কালে আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিয়েছে, কেবল তাঁরাই একত্রে অভিন্ন মতাদর্শ নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন। একে অন্যের সুকৃতি ও পথচলাকে শ্রদ্ধা করতে না পারলে বাহ্যিক ইতিবাচকতা অন্তর্গত দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে তেমন উল্লেখযোগ্য ছাপ রেখে যেতে পারবে না। অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর শেষ প্রশ্ন উপন্যাসে শতাধিক বছর আগেও যা বলে গেছেন, আজকের দিনেও তা আমরা অনেককেই বলতে শুনি না। উপন্যাসের নায়িকা কমল বলছেন, ‘মানুষ তো কেবল নরও নয় নারীও নয়—এ দুয়ে মিলেই তবে সে এক।’
সহমর্মী পুরুষেরা নারীদের শক্তি। তাদের ভালো দিকগুলোকে উদ্ভাসিত না করে কেবল খারাপ দিকগুলো নিয়ে আক্রমণ করে গেলে সমব্যথিতা হারানোর ভয় থাকে। পুরুষতন্ত্র অবশ্যই বর্জনীয়, তা বলে পুরুষমাত্রই পুরুষতান্ত্রিক নন, অন্যদিকে নারীজীবনের বঞ্চনা ও নির্যাতনের মধ্যে কাল কাটিয়েও সব নারীই নারীবাদী নন। শাশুড়ি, ননদ, জা যখন নিপীড়ক ও হন্তারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন জেন্ডারকানারা বলেন, ‘এত যে পুরুষতন্ত্র পুরুষতন্ত্র বলে যুদ্ধ ঘোষণা করা, এরা তবে কারা?’ তাঁরা আসলে নারী হলেও পুরুষতন্ত্রেরই ধ্বজাধারী। পুরুষতন্ত্র হচ্ছে পুরুষ কর্তৃত্বের একটি নীতি, যে নীতি তার সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে নারীকে নিপীড়ন করে। আজ নারীবাদী হিসেবে যাঁরা বিশ্বে খ্যাতি বা অপবাদ কুড়াচ্ছেন, তাঁরাও কম দুঃখে নারীবাদী হননি। নারীবাদের ধারণা, নারীর ওপর নিপীড়ন ও তা থেকে মুক্তির উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচিত মতের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।
তবে প্রণোদনায় হোক বা নগরায়ণ-শিল্পায়ন অথবা ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের জয়জয়কারেই হোক, দুটির বেশি সন্তান নিতে চাইছেন না মা-বাবারা। উন্নত বিশ্বে তো শিক্ষা ও পেশাকে অগ্রাধিকারে রেখে সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অনীহা তৈরি হয়েছে। এতে ছোট পরিবারগুলোর মধ্যে মেয়েসন্তান ও ছেলেসন্তানের সঙ্গে আচরণে বৈষম্য কমে আসছে। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেয়েরাই বৃদ্ধ বয়সের মা-বাবার দেখাশোনা-সেবাযত্ন করেন বলে মেয়েদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্টের অভিযোগও আছে। অনেক নারী নিজের বা তাঁর মায়ের জীবনের অবহেলা-নিপীড়নের কথা চিন্তা করে বা সমাজে নারীর দুঃসহ অবস্থান দেখে নিজের সন্তানদের মধ্যে কন্যাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। সার্বিকভাবে এ চিত্র যদিও নগণ্য, তবু কারও প্রতি বৈষম্যই কাম্য হওয়া উচিত নয়।

এমা ওয়াটসন বাস্তবিকই বলেছেন, ‘আমাদের এমন মানুষই দরকার বেশি করে, যারাই পৃথিবীতে সম–অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। লিঙ্গভিত্তিক সম–অধিকার প্রতিষ্ঠাই নারীবাদের মূল লক্ষ্য। নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে সাধারণ মানুষ পুরুষবিদ্বেষী হিসেবে দেখে থাকেন। শুধু নারীদের একার পক্ষে অধিকারের জন্য লড়াই করা সম্ভব নয়। পুরুষদেরও নারীর সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। পুরুষেরাও নানা কারণে অধিকারবঞ্চিত। নানা কারণে নারীর মতো পুরুষেরাও নির্যাতনের শিকার। আমরা একজন আরেকজনের জন্য দাঁড়িয়ে বৈষম্য বিলোপ করার চেষ্টা করতে পারি।’
হ্যারি পটার–এর সেই ছোট্ট মেয়েটি, যিনি এখন জাতিসংঘের নারী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন, সেই মেয়েটিকে আমাদের জ্ঞানচক্ষু খুলে দেওয়ার জন্য অজস্র ধন্যবাদ।

লেখা– উম্মে মুসলিমা: কথাসাহিত্যিক।

 

সড়ক দুর্ঘটনায় ২নারী পুলিশ নিহত।

রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন ফকিরাপুল মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের দুই নারী সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নয়জন। আজ রোববার ভোর পৌনে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মতিঝিল থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) স্বপনের ভাষ্য, ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী বাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত অবস্থায় পুলিশের ১১ জন নারী সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে কনস্টেবল মনিরা আক্তার (২২) ও আকলিমা বেগম (২২) মারা যান।
আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফরিদা, লিলি, সোহাগা, ইয়াসমিন, সীমা, শাহনাজ, আলফা, লিজা ও সালমা। তাঁদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাঁরা সবাই কনস্টেবল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-১-এর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, নিহত মনিরা ও আকলিমার লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

সূত্র- প্রথম আলো।

 

চট্ট্রগ্রামে নার্সিং কলেজ শিক্ষিকা কে হত্যা

চট্টগ্রামে নার্সিং কলেজের এক শিক্ষিকা কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার চকবাজার তেলপট্টি মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ঐ শিক্ষিকার নাম অঞ্জলী রানী দেবী (৫৭)। তিনি পাঁচলাইশের তেলিপট্টি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সকালে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তিনি। অঞ্জলী তেলিপট্টি মোড় এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে বেল পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসক অঞ্জলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মাহমুদ জানিয়েছেন, অঞ্জলীর ব্যাগ ও মোবাইল পাশেই পড়ে ছিল। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

গাজীপুরে গৃহবধুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা

গাজীপুরে এক গৃহবধূকে শনিবার সকালে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘটনা ধামাচপা দিতে লাশে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ গৃহবধূর স্বামীসহ দু’জনকে আটক করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ আনোয়ারা আক্তার (৩২) এর স্বামীর নাম আয়নাল হক। তারা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল কাদের মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। আটক আয়নাল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের বাইমাইল এলাকার নয়াব আলীর মেয়ে আনোয়ারার সঙ্গে কিছু দিন আগে একই এলাকার আয়নালের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আনোয়ারার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে আয়নাল ও তার বড় ভাই আমজাদ হোসেনের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। ওই জমি তাঁদের নামে লিখে না দেওয়ায় আনোয়ারাকে হত্যা করা হয়েছে।

 

সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বছরের শিশু নিহত

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ায় গতকাল শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় সানিয়া আকতার (৫) নামের একটি শিশু নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও চারজন।
একটি বাস সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সানিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মালিয়ায়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন: শিশুটির মা খালেদা আকতার (৩০) ও ভাই আসিফ (৮) এবং প্রতিবেশী মুসলিম বেগম (৪৫) ও বেবী আকতার (৩০)। তাঁদের মধ্যে খালেদা আকতার ও আসিফকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনিনিহারা বোর্ড অফিসের সামনের কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। কনেপক্ষের আত্মীয় খালেদা আকতারসহ কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। বেলা দুইটার দিকে কমিউনিটি সেন্টার থেকে ১০০ গজ দূরে চট্টগ্রামগামী একটি বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।

এতে সানিয়া আকতার ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে যান চলাচল স্বাভাবিকসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পটিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিকুর রহমান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

ফ্যাশনে ফিরছে ঐতিহ্যবাহী ‘কেপ কোট’

অপরাজিতা ডেস্কঃ পোষাক হিসেবে ‘কেপ কোট’ বেশ প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী একটি ডিজাইন। আগের দিনে রাজকীয় এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েদের জন্য এই ‘কেপ কোট’ পোষাক প্রচলিত ছিলো। বৃটেন ইউরোপ সহ পাশ্চাত্যের দেশ গুলোর রাজ পরিবার এবং অভিজাত পরিবার গুলোতে এখনো ‘কেপ কোট’ বেশ জনপ্রিয়। অনেকের ই ধারণা এটি শীতের পোষাক,কিন্তু ফ্যাশন ডিজাইনের ঐতিহ্য বলে,’কেপ কোট’ মূলত সব সময় ই পড়ার জন্য। শুধু স্টাইল টা পরিবর্তন করতে হয় এই যা!

7986-1

দক্ষিণ এশিয়ার অভিজাত পরিবার গুলোতে ও মেয়েদের পোষাক হিসেবে ‘কেপ কোট’ প্রাচীন কাল থেকেই জনপ্রিয়। এমনকি তৎকালীন বাংলা প্রদেশের নবাব পত্নীগণ সহ জমিদার বাড়ির মেয়েরাও শাড়ির সাথে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ‘কেপ কোট’ পড়তেন। নাটোরের রাণী ভবানী সহ বাংলার উল্লেখযোগ্য অভিজাত পরিবারের মেয়েরা শাড়ির সাথে ‘কেপ কোট’ পড়তেন।

কালক্রমে এই পোষাকটি অনেকটাই অ-প্রচলিত হয়ে গেলেও বর্তমানে তা আবারো ফিরে এসেছে। আর তাই ফ্যাশন জগতে এবং বর্তমান সময়ে ‘কেপ কোটের’ চাহিদা এখন অনেক বাড়ছে। সেই সাথে এসেছে ‘কেপ কোটের’ নানান রকম  ডিজাইন। কথা হলো ডিজাইনার রুপো শামসের সঙ্গে। এই শীতে লেইস এবং ভেলভেটের তৈরি কামিজ, কেপ কোটের ট্রেন্ড চলছে বলে জানালেন তিনি। শাড়ি, কামিজ ও কেপ কোটে ঐতিহ্যবাহী জারদৌসি, জাল কাজ, স্ট্যাম্পড এমব্রয়ডারির কাজ চলছে। নকশায় ব্যবহৃত হচ্ছে পাথর, চুমকি, মুক্তা, আইলেট লেইস ও ক্রুশকাটার লেইস। কাশ্মীরি ও পার্শিয়ান এমব্রয়ডারির নকশা কেবল শালে নয়, নজর কাড়ছে পোশাকেও।

রুপো বলেন, কেপ কোট আন্তর্জাতিক ফ্যাশনেও এখন বেশ জনপ্রিয়। আমাদের দেশে এটি ফিউশনের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে। চাপা প্যান্ট এবং ঢিলেঢালা গারারার সঙ্গে তো বটেই, এমনকি চাইলে শাড়ি বা কামিজের সঙ্গেও এটি অনায়াসে পরা যেতে পারে। এটি ভিক্টোরিয়ান যুগে যেমন চলেছে, তেমনি চলেছে রাবীন্দ্রিক যুগেও। নাটোরের রানী ভবানী থেকে শুরু করে ঢাকার নবাববাড়ির মেয়েদের গায়েও চড়েছে এই কেপ কোট। সেই ফ্যাশন এখন আবার ফিরে এসেছে।

6ffaec18a9d37523ae3caed9a8e34ef8-Untitled-34 bollywood-indian-movies-famous-celebrities-stars-59th-idea-filmfare-awards-photo-pictures-1

কেপ কোট সাধারন সব ধরনের পোষাকের সাথেই পড়া যায়। লন কামিজ থেকে শুরু করে আনারকলি স্যূট এমনকি ল্যাহেঙ্গার সাথেও পড়া যায়। কোন পার্টিতে পড়ার ক্ষেত্রে ‘কেপ কোটের’ ডিজাইন টা আরেকটু গর্জিয়াস হতে পারে।

শাড়ি বা ড্রেসের কালারের সাথে ম্যাচ না করে সম্পূর্ণ ভিন্ন কালারের হতে পারে। ভেলভেট কাপড়ের সাথে কালার ফুল লেস বসানো যেতে পারে। এবং এক্ষেত্রে লেসের কালার টা শাড়ি বা ড্রেসের কালারের সাথে ম্যাচ হতে পারে।

শাড়ির সাথে কেপ কোট পড়লে গলায় কোন ভারি গহনা না পড়াই ভালো,এক্ষেত্রে কানে পড়া যেতে পারে বড় বা ছোট সাইজের কালারফুল টব। যেহেতু কেপ কোট ফুলহাতা পড়া হয়,সেক্ষেত্রে হাতে চূড়ির চাইতে বড় সাইজের আংটি ভালো মানাবে আর সাথে আকর্ষনিয় পার্স।

4sareejacket

ডিজাইনার ল্যাহেঙ্গা বা আনারকলি ডিজাইনের সাথে কেপ কোট একটা বাড়তি সৌন্দর্য্য বহন করে। বর্তমান সময়ের তরুনীরা তাই ড্রেসের কারুকার্যের সাথে সাথে কেপ কোট ও চান আকর্ষনীয়। যারা হিজাব পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য কেপ কোট খুবই মানানসই একটি পোষাক।

বলা হয়,হাল ফ্যাশনের যুগে কোন কিছুই পুরনো নয়,আর যদি তা পুরনো হয় তবে ধরে নিতে হবে খুব শীঘ্রই পুরনো ফিরে আসবে নতুন আঙ্গিকে!

লেখা- স্বপ্নকথা।

 

কেক তৈরী করতে চাচ্ছেন?খেয়াল রাখুন কিছু বিষয়!

শীত মানেই নানা রকমের অনুষ্ঠানের মওসুম। এ সময়টায় অনুষ্ঠানের কোনো শেষ নেই। আর এসব আনুষ্ঠানুকতায় নানা ধরনের মজাদার খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়। যদি ঘরে বসে মজাদার ও সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। যেমন- কেক বা পেস্ট্রি। অনেক সময় বাড়িতে মান সম্মত কেক বা পেস্ট্রি তৈরি করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তখন মনে হয়, কেন যে বাড়িতে কেক বানাতে চেষ্টা করলাম, দোকান থেকে কিনে আনলেই হতো। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এসব সমস্যা পোহাতে হবে না।

* কেক তৈরির বাটার ঠিকমতো বিট হয়েছে কিনা বুঝতে হলে ১ ফোঁটা পানি বাটারের উপরে ছেড়ে দিন। যদি পানির ফোঁটা ওপরে ভেসে ওঠে তাহলে বুঝবেন বিট করা ঠিক হয়েছে।

* বাচ্চারা ফল খেতে চায় না। তাই বাড়িতে ফ্রুট কেক বানাতে পারেন। এতে করে শীতকালের বিভিন্ন ফল মিশিয়ে কেক তৈরি করতে পারেন।

* অনেক সময় কেক তৈরি করার পর বেকিং টিনের মধ্যে কেক আটকে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই সুতির নরম কাপড় গরম পানিতে ডুবিয়ে কিছুক্ষণ ট্রের নিচে রাখুন। খুব সহজেই কেক প্যানের মধ্যে থেকে উঠে আসবে।

* অনেক সময় ফল কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। তখন কেকের সঙ্গে ফল মিশলে রঙটা ঠিক বোঝা যায় না। তাই ফল কাটার পর সামান্য লেবুর রস দিয়ে রাখলে রং নষ্ট হবে না।

* কেকে খেজুরও মেশানো হয়। কিন্তু ছুরি দিয়ে খেজুর কাটতে অসুবিধা হয়। ছুরিতে মাখন লাগিয়ে খেজুর কাটুন। কাটতে সুবিধা হবে।

 ckake-lg20141219155740

* সবুজ এলাচি- খোসা কেক তৈরির বাটারের সঙ্গে বিট করতে পারেন। এতে দারুণ ফ্লেভার হবে কেকটিতে।

* অনেক সময় কেকে ব্যবহার করা ময়দা আঠালো হয়ে যায়। তাই কেক তৈরি করার সময় অল্প লেবুর রস মিশিয়ে নিলে আর আঠালো হবে না।

* মনে রাখবেন জেলাটিনের সঙ্গে কখনও আনারস ব্যবহার করবেন না। তাহলে কেকে জেলাটিন সহজে সেট করতে পারবেন না।

* কেক ডেকোরেশনের সময় জেলি ও বাটারের সঙ্গে বাদাম ও আখরোট মিশিয়ে নিয়ে ডেকোরেশন করুন। এতে কেক দেখতে সুন্দর ও লোভনীয় লাগবে।

* সবশেষে কেক তৈরি হয়েছে কিনা বুঝতে হলে টুথপিক ব্যবহার করতে পারেন। টুথপিকের বদলে শুকনো স্প্যাগাটি ব্যবহার করতে পারেন।

লিখেছেন- হাবীবা বেগম

 

অ্যান এস মুর- একজন সফল সিইও থেকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্নপ্রকাশ।

বর্তমান বিশ্বের ব্যবসা জগতের অন্যতম নারীমুখ অ্যান মুর মনে করেন, একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কখনোই খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না এবং প্রতিটা  সফলতার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উপযুক্ত পরিকল্পনা। আর তাই কর্মজীবনের শুরুটা যেভাবেই হোক না কেন,নিজের সঠিক পরিকল্পনাই পারে ব্যক্তিকে তার কাংখিত সফলতা এনে দিতে।

বিশ্ব বিখ্যাত মিডিয়া কোম্পানী টাইম ইঙ্ক ডট কম এর প্রথম মহিলা সিইও এবং চেয়ারম্যান অ্যান মুর এর কর্মজীবন শুরু হয়েছিলো হার্ভার্ড থেকে এমবিএ শেষ করে ১৯৭৮ সালে ‘টাইম ইঙ্ক ডট কম’ এ একজন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস্ট হিসেবে। দীর্ঘ ৩৫বছরের কর্মজীবনে পরিশ্রমী,প্রচন্ড আগ্রহী এবং সফল পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে অ্যান মুরের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ১৯৯১সালে তিনি ‘পিপল’স ম্যাগাজিনের’ প্রকাশক হিসেবে আত্নপ্রাকাশ করেন,১৯৯৩ সালে তাকে নাম দেয়া হয় ‘পিপল’স প্রেসিডেন্ট’,এরপর ২০০১ সালে তিনি টাইম ইঙ্ক এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।

ছাত্রজীবন থেকেই অ্যান ‘টাইম ইঙ্ক’ ম্যাগাজিনের নিয়মিত পাঠক ছিলেন,এবং তিনি তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন নিজেকে এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে। আর তাই অনেক ভালো ভালো অফার থাকা স্বত্বেও ‘টাইম ইঙ্ক’ থেকে অফার পাওয়া মাত্রই তুলনামূলক কম স্যালারী হওয়া স্বত্ত্বেও জয়েন করে ফেলেন এবং কর্মজীবনের পুরো সময়টা তিনি এখানেই ব্যয় করেন।

অ্যান এর এই রকম সিদ্ধান্তে তখন তার বন্ধুরা যথেষ্ট অবাক হয়েছিলো!কেউ কেউ তো তাকে ‘বোকা’ ‘পাগল’ ভেবেই বসেছিলো! কিন্তু অ্যান সব রকমের মন্তব্য কে এক পাশে রেখে নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এগিয়ে যাওয়ায় মনোযোগী ছিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন,তার পরিকল্পনা আর টিকে থাকার আগ্রহ তাকে নিয়ে গিয়েছে সফলতার শীর্ষে।

অ্যান মুর ২০০২ সালের জুলাই মাসে ‘টাইম ইঙ্ক’ এর ইতিহাসে প্রথম মহিলা সিইও হিসেবে জয়েন করেন, কৃতিত্বের সাথে দীর্ঘ সময় সিইও এবং ‘টাইম ইঙ্ক ডট কম’ এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০১০ সাল পর্যন্ত।

IMG_0119-1

বিখ্যাত ‘ফরচুন ম্যাগাজিন’ মোট দশবার অ্যান মুর কে ‘আমেরিকার পাওয়ার ফুল বিজনেস উইমেন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবং ‘ফোর্বস ম্যাগাজিনে’ এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১০০জন ক্ষমতাধর নারীর মধ্যে অ্যান মুর একজন।

অ্যান মুর এর খুব বিখ্যাত একটি উক্তি যা তিনি প্রায় প্রোগ্রামেই বলে থাকেন আর তা হলো,’ তোমার জীবন নিয়ে অবশ্যই তোমার কোন পরিকল্পনা থাকতে হবে,তোমার সম্পূর্ণ জীবনের জন্য তুমি,একমাত্র তুমিই রেসপন্সিবল বা দায়ী।’

২০১০ সালে চাকরী জীবন থেকে অবসর নেবার পর অ্যান নিজেকে বললেন নেলসন ম্যান্ডেলার সেই বিখ্যাত স্টেটমেন্ট ‘No is a complete sentence’ । এবং প্রায় ৪বছর অ্যান মুর সময় কাটালেন তার সম্পূর্ণ জীবনের অর্জন,অপ্রাপ্তি নিয়ে গবেষনা করেন,দীর্ঘ সময়ের স্মৃতি গুলো নিয়ে। অ্যান তার সেই অবসর সময়েই পরিকল্পনা নিলেন,এমন কিছু করার যা তার বাকী জীবনের কর্মক্ষম সময়কে উজ্জ্বল করবে এবং তার মৃত্যুর পরেও টিকে থাকবে সগৌরবে।

আর তার ই ধারাবাহিকতায় তিনি শুরু করলেন তার নিজস্ব উদ্যোগে ‘দ্যা কিউরেটোর গ্যালারী’। সেই সাথে একজন সফল সিইও এরপর নিজের নামের সাথে যুক্ত করলেন একজন সফল ‘উদ্যোক্তা’ উপাধি। খুব শীঘ্রই ‘কিউরেটোর গ্যালারী’ সানফ্রান্সিসকোর পর নিউ ইয়র্কে শুরু করতে যাচ্ছে তাদের ‘আর্ট কালেকশন সেন্টার’। নিজের ছেলেকে সাথে নিয়ে শুরু করা অ্যান মুরের ‘কিউরেটোর গ্যালারী’ লক্ষ্য হচ্ছে,এমন কিছু ছবি বা শিল্পকর্মের আত্নপ্রকাশ করানো যা তৈরী করতে নতুন উদ্দ্যোম এবং এগিয়ে যাবার প্রত্যাশা,সেই সাথে সফল শিল্প কর্ম গুলো কে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া।

মার্কিন বিজনেস কমিউনিটি অ্যান মুর এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বিজনেস আর শিল্প জগতে নতুন দ্বার উন্মোচনের সূচনা হিসেবে প্রত্যাশা করছেন। একজন ‘উইমেন এন্টারপ্রেনার বা নারী উদ্যোক্তা’ হিসেবে আত্নপ্রকাশের পর অ্যান মুর মনে করেন, ‘কোন কিছু করার পরিকল্পনা যদি থাকে,তাহলে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য খুব সময়ের প্রয়োজন কখনোই হয় না। দরকার সঠিক পরিকল্পনা এবং টিকে থাকার আগ্রহ আর জানা থাকতে হবে,সময়ের সাথে নিজের ব্যবসা কে এগিয়ে নেবার কৌশল।’

সূত্র- ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনকে দেয়া অ্যান মুর এর একটি সাক্ষাৎকার। সম্পাদনা করেছেন, স্বপ্নকথা।

 

 

 

কাজ যা ই হোক না কেন,তাকে ছোট ভাবার কিছু নেই- স্মৃতি ইরানি।

যেকোনো কাজ করার মধ্যে যে অগৌরব নেই সে কথাই যেন স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের মানবসম্পদমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

গতকাল মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সম্মেলনে যেকোনো কাজ করার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে স্মৃতি বলেন, ‘আপনি পানির কলের মিস্ত্রিই হোন বা মেকানিকই হোন, কোনো কাজেই লজ্জা থাকা উচিৎ নয়। আমি একজন মন্ত্রী হয়ে বলতে পারি ১৫ বছর আগে আমি মুম্বাইয়ের হোটেলে বাসন মেজেছি।’

যেকোনো কাজকেই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কাজ যাই হোক না কেন। এটাকে মোটেই ছোট করবেন না।’

একটি ‘দক্ষ ভারত’ তৈরি করাই তাদের সরকারের প্রধান কাজ মন্তব্য করে স্মৃতি বলেন, ‘এই দক্ষ ভারত তৈরিতে সবার আগে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে কাজকে। সমাজ যখন কাজকে মূল্যায়ন করবে তখন যেকোনো কাজ হবে সম্মানের।’

এ ধারণা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান সাবেক এ টিভি অভিনেত্রী।

সূত্র: এনডিটিভি

 

সুস্বাদু ফল হিসেবে ‘সফেদার’ ৬টি গুণ

‘সফেদা’ ফল নামেও পরিচিত ‘সবেদা’। গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলোতে এ ফলটি ভীষণ জনপ্রিয়। নরম শাঁসযুক্ত ও সুমিষ্ট এ ফলটিকে স্বাদের বিচারে সেরা ফলের কাতারে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। তবে শুধু স্বাদে নয়, গুণেও অনন্য এ ফলটি। নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সবেদা। শক্তির উৎস এ ফলটি শরীরে নবশক্তি সঞ্চারের মাধ্যমে শরীর-মনকে চাঙ্গা ও পুনরুজ্জীবিত করে। বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, ভিটামিন এ, সি ও ই এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার ও আয়রনসহ অপরিহার্য বহু পুষ্টি উপাদান রয়েছে ফলটিতে। নিচে সবেদার ৬টি স্বাস্থ্যকর উপকারী দিক উপস্থাপন করা হলো:

ক) চোখের জন্য: চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ভিটামিন-এ’র দারুণ উৎস সবেদা। নিয়মিত ফলটি খাওয়ার অভ্যাসে দৃষ্টিশক্তি ভালো হতে থাকে।
খ) হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে: সবেদায় রয়েছে প্রয়োজনীয় আঁশ জাতীয় উপাদান, যা উপকারি প্রাকৃতিক ল্যাক্সাটিভিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং হজমে সহায়তা করে। হজমের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দিতে পারে সবেদা খাওয়ার অভ্যাস।
গ) ক্যান্সার প্রতিরোধে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশ ও নানা পুষ্টি উপাদানের অন্যতম উৎস সবেদা সুনির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ক্যান্সারগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফুসফুসের ক্যান্সার, মুখ-গহ্বরের ক্যান্সার ইত্যাদি।
ঘ) হাড় মজবুত করে: গ্রীষ্মকালীন এ ফলটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। হাড়কে মজবুত করার পাশাপাশি শক্তিশালী করে সবেদা। কারণ, এ ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনের মতো খনিজ উপাদান, যা হাড়ের ঘনত্ব ও সহ্যক্ষমতা বাড়ায়।
ঙ) রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: সবেদা ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল, যা শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং নবশক্তি সঞ্চার করে। ফলে, ত্বকে বলিরেখা পড়ে না এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চ) কিডনি রোগ প্রতিরোধে: কিডনির রোগও প্রতিরোধ করে সবেদা। মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে সবেদার দানা অত্যন্ত কার্যকর। কিডনি ও মূত্রথলির পাথর অপসারণে সহায়ক এ ফলটি।

 

বছরের শুরুতে উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষার তারিখ

 ৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
পরীক্ষার তারিখ : মার্চ ০৬, ২০১৫ ইং

জনতা ব্যাংক লিমিটেড
(ক)পদের নাম : এ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার
পরীক্ষার তারিখ : জানুয়ারি ০৯, ২০১৫ ইং
(খ)পদের নাম : এ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার(টেলর)
পরীক্ষার তারিখ : জানুয়ারি ২৩, ২০১৫ ইং

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
পদের নাম : ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
আবেদনের শেষ তারিখ: ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫ ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিঙ্ক : http://www.dpe.gov.bd
আবেদন করার লিঙ্ক : http://dpe.teletalk.com.bd

প্রাথমকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়
পদের নাম : সহকারী শিক্ষক (প্রাক প্রাথমিক)
আবেদনের শেষ তারিখ : জানুয়ারি ১২, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিঙ্ক : http://www.dpe.gov.bd
আবেদন করার লিঙ্ক : http://dpe.teletalk.com.bd

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখ : জানুয়ারি ২১, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন করার লিঙ্ক :http://www.bpsc.gov.bd

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড
আবেদনের শেষ তারিখ: জানুয়ারি ১৭, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন করার লিঙ্ক : http://www.premierbankltd.com/pbl/career.php

বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখ : জানুয়ারি ২৫, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিঙ্ক : http://www.ais.gov.bd

হাইড্রো-কার্বন ইউনিট, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখ : ২২ জানুয়ারি ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিঙ্ক : http://www.hcu.org.bd

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখ : জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিঙ্ক : http://www.bcsir.gov.bd

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখ : জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিঙ্ক : http://buft.edu.bd/job-opportunity-3

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
আবেদনের শেষ তারিখ: জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন করার লিঙ্ক : http://www.dutchbanglabank.com/Online_Job/currentJob

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র (সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখ : জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ইং
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লিঙ্ক : http://www.nbc.org.bd

সমবায় অধিদপ্তর
আবেদনপত্র পৌঁছানোর শেষ তারিখ : জানুয়ারি ২৯, ২০১৫ইং
ওয়েবসাইট লিঙ্ক : http://www.coop.gov.bd

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
আবেদনের শেষ তারিখ : জানুয়ারি ২৪, ২০১৫ইং
আবেদন করার লিঙ্ক : http://www.joinbangladesharmy.mil.bd/current-jobs

বাংলাদেশ নৌবাহিনী
আবেদনের শেষ তারিখ : জানুয়ারি ৩০, ২০১৫ইং
আবেদন করার লিঙ্ক : http://www.joinnavy.mil.bd

সূত্র- জাতীয় দৈনিক সমূহ।

 

এই শীতে বাতের ব্যাথায় করনীয়

শীতকালে অনেক সময় জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে এবং জোড়া বা বাতের ব্যথা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বয়স্ক লোকজন, বিশেষ করে যারা প্রদাহ আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ভুগছেন তাঁদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়াও পেশী, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথা তীব্ররূপ ধারণ করে। শীতকালে স্বাভাবিক নড়াচড়া কম হয় এবং বায়ুর চাপ কম থাকে বলে মানুষের টিস্যু ফুলে যায়। ফলে জোড়া জমে যায় এবং ব্যথার উদ্রেক করে। শীতের প্রকোপে শরীরের রক্তনালীর খিঁচুনি ও সঙ্কুচিত হলে জোড়া, পেশী ও হাড়ে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং ব্যথা বেড়ে যায়। শীতকালে স্নায়ুর সহ্য ক্ষমতা কম থাকে এবং অল্পতেই উত্তেজিত হয় বিধায় ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়। শীতকালে ঘাড়, কোমর ও হাঁটুর ব্যথা বেশি বাড়ে। এছাড়াও কটি, গোড়ালি, কাঁধ, কনুই, কবজি ও আঙুলের জোড়া ব্যথাসহ জমে যায়। হাত সামনে পেছনে নেয়া ও হাত দিয়ে কিছু তোলা কষ্টকর। হাঁটু ও কোমর সোজা ভাঁজ করতে এবং বসতে-উঠতে ভীষণ অসুবিধা হয়।
গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে জোড়াকে রক্ষা করতে হবে। ব্যথা নাশক জেল বা মলম দিয়ে হাল্কাভাবে জোড়ায় ম্যাসেজ করলে ব্যথা নিরাময় হবে। কুসুম গরম পানির সেঁক (ময়েস্ট হিট) আর্থ্রাইটিসের ব্যথার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে হবে। ব্যথা নিরাময়ে জয়েন্টে ইনজেকশন (স্টেরয়েড ও হায়ালুরোনিক এ্যাসিড) পুশের প্রয়োজন হয়। এক অবস্থায় (বসা, দাঁড়ানো) আক্রান্ত জোড়াকে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা কম করতে হবে। প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে। হাল্কা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে মোক্ষম ভূমিকা পালন করে। শীতকালে কঠোর ব্যায়াম আক্রান্ত জোড়ায় রক্ত চলাচল কমিয়ে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পেশী, টেনডন ও লিগামেন্টের নমনীয়তা জোড়াকে ব্যথামুক্ত রাখে।

শীতকালে উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। সতেজ শাক-সবজি ও ফলমূল ব্যথা নিরাময়ে খুবই উপকারী। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থগুলোকে শরীর থেকে সহজেই বের করে দেয়। প্রতিনিয়ত ফলের রস সেবন জোড়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। শীতকালে সকালে খালিপেটে রসুন সেবন করলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জোড়ায় রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ব্যথা কমে যায়। আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে সেবন করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, এ ও সি সেবন করতে হবে। এতদ সত্ত্বেও ব্যথা উপশম না হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ডা. জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন
হাড়, ট্রমা ও জোড়া বিশেষজ্ঞ এবং অর্থোস্কোপিক সার্জন
ডিজিল্যাব মেডিক্যাল সার্ভিসেস, মিরপুর

 

কি কি ধরনের বিউটি ট্রেন্ড ছিলো ২০১৪ সালে…

ফারজানা শাকিল
বিউটি এক্সপার্ট এবং এমডি, ফারজানা শাকিলস মেকওভার
‘এবার বছরজুড়ে একটা সফট ভাবই চেয়েছিল সবাই মেকআপে। খুব বেশি পরিবর্তন না এনে নিজের ত্বকের রঙটাই সুন্দর করে চেয়েছেন সৌন্দর্যপ্রেমীরা। ন্যাচারাল লুকটাই প্রাধান্য পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন। লিপস্টিকের রঙ বাছাইয়েও ছিল এই সফট ভাব। তবে এবার চুল নিয়ে সবাই বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন। যেমন চুল বাধায় এসেছে অনেক স্টাইল। খোপা করলেও তাতে ছিল ভিন্নতা। রিং খোঁপাসহ ছিল অনেক ডিজাইন। চুলের কাটেও ছিল অনেক কিছুই। তবে চুলের দৈর্ঘ্য ঠিক রেখে সামনে ফ্রেঞ্চ, স্ট্রেট চলেছে। তবে নিজেকে অন্যরকম করতে চুলের কালারটা বেশ ফ্যশনেবল ছিল। রেড, ব্লুু, পিংক কালার ছিল চুলে। এগুলো নিচের দিকে ডার্ক হলে উপরে লাইট আবার ওপরে ডার্ক হলে নিচে লাইট করে ব্যালেন্স করা হয়েছে।’

img-single_6492make-up-adult-beautiful
আফরোজা পারভিন
সিইও, রেড বিউটি স্যালুন
২০১৪ সাল শেষ হয়ে গেলেও চলতি মেকআপ ট্রেন্ডের একটি রেশ থেকে যাবে বলে মনে করেন তিনি। এবার সবচেয়ে বেশি চলেছে ন্যাচারাল লুকের ট্রেন্ড। সব বয়সীরা এটিতে বেশ আগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে ন্যাচারালের মধ্যেও ছিল ওরিয়েন্টালের ছোঁয়া। তবে এ বছর চোখের সাজেও ভিন্নতা পাওয়া গেছে। স্মোকি লুক আনতে চেয়েছেন অনেকেই। তাই ব্রাউন, গোল্ডেন, ধূসর শ্যাডো অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ছিল। স্পেশাল চোখের সাজের মাঝে ছিল ইরানি বা অ্যারাবিয়ান লুকে চোখ টানা। এটির বৈশিষ্ট্য চোখটির দুই ভাগ আলাদা করে। চোখ বড় দেখায়, পুরো চেহারাতেই আসে পরিবর্তন। মেকআপ হাইলাইট করতে অনেকেই বেছে নিয়েছেন এই লুকটি। উল্লেখযোগ্য ছিল লিপস্টিকের রঙ। ন্যাচারাল রঙের সঙ্গে সঙ্গে একটু ভিন্নতা আনতে অনেকেই ব্যবহার করেছেন লালের শেড। হয়তো সেটা কখনও হয়েছে টকটকে লাল, কখনও মেরুন, আবার লালচে গোলাপি।

1116
তানজিমা শারমিন মিউনি
সিইও, মিউনিজ ব্রাইডাল
এবার খুব থিম বেজ মেকআপ ও সাজটা চলেছে বলে তিনি মনে করেন। যখন যেমন সময়, তখন ঠিক সেই রকম সাজটা নিতে আগ্রহ ছিল সবার। তবে সাজ মানে নিজেকে একবারে পাল্টে ফেলা নয়। বরং নিজেকে গুছিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা উচিত বলেই তিনি মনে করেন। আর তার প্রতিটি কাজই ছিল সেই রকম। চাহিদা অনুযায়ী তিনি তার প্রতিটি মেকআপে রেখেছিলেন ন্যাচারালের ছোঁয়া। তবে এ বছর সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে চুলের স্টাইলে। খোলা চুলের চেয়ে চুল বাঁধা ধরনটাই চলেছে বেশি। সাধারণ খোঁপার মধ্যেও ছিল বৈচিত্র্য। এক পাশের খোঁপা ছিল বেশ জনপ্রিয়। আবার বেণি সাধারণত চুল তিনটি ভাগ করে হয়, তবে এ বছর চুলের চারটি পার্ট করেও করা হয়েছে। আর হেয়ার কাটিং স্টাইলের কথা বললে ব্যাঙস্ কাটটা বেশ চলেছে।

42266_sat-1

সোনালি ফেরদৌসি মজুমদার
সিইও, সোনালি এইচডি মেকআপ অ্যান্ড স্টুডিও
এ বছর গৎবাঁধা কিছু জিনিস থেকে মানুষ বের হয়ে এসেছে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, এ বছর বেশ জনপ্রিয় ছিল এইচডি মেকআপ। এটি গতানুগতিক ধারা থেকে একটু ভিন্ন, তাই মানুষ এটি গ্রহণ করেছে। এইচডি মেকআপের এয়ার ব্রাশের বিষয়টি অনেকের জন্যই নতুন কিন্তু গ্রহণযোগ্য ছিল বলে তিনি জানান। তিনি আরও যোগ করলেন, এবার চুলটা খুব পরিপাটি করে রাখার চেয়ে একটু এলোমেলো ভাবটাই বেশি চলেছে। যাই হোক চুল বাঁধা ও খোঁপাটাকে একটু ঢিলা করে রাখতে সবাই বেশি চেয়েছেন।

সূত্র- লাইফ স্টাইল

ট্রাক চাপায় ৪জন নারী নিহত

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ওয়াজ মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় চার নারী নিহত ও অপর তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার দরিয়াপাড়া ঈদগাহ’র সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা বুড়িচংয়ের বারেশ্বর এলাকায় বারেশ্বর দরবার শরীফের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ এ মিলাদুন্নবী (স.) মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

নিহতরা হলেন: বুড়িচং সদরের কুর্ণমতি এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী সালমা আক্তার (৩০),  মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৫৫), মৃত সেকান্দার আলীর ভূঞার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬৫) এবং আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুড়িচংয়ের কুর্ণমতি গ্রামের প্রতিবেশী সাত নারী ওয়াজ  মাহফিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লাগামী একটি ট্রাক তাদের পেছন থেকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন আরো তিনজন। হতাহতদের প্রথমে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুইজনকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বুড়িচং থানার ওসি জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রাকটি আটকের চেষ্টা চলছে।

 

স্মোকি চিকেন সালাদ

চিকেন সালাদ শুধু দেশেই নয় এর জনপ্রিয়তা গোটা বিশ্বেই। এ সালাদ খেতে শুধু সু-স্বাদুই না স্বাস্থ্যকরও বটে। দেশের ভিন্নতায় চিকেন সালাদ তৈরির প্রণালীটাও ভিন্ন। বিদেশের চিকেন সালাদ স্বাদে কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হয়। তাছাড় এদের সালাদে মশলার ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। যার কারণে খেতে স্বাদ লাগে না।

স্বাদ ও স্বাস্থ্যের দিকটা মাথায় রেখে আজ আমরা বানাব স্মোকি চিকেন সালাদ। চলুন চটপট দেখে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন স্মোকি চিকেন সালাদ।

পরিবেশন – ২ জনের জন্য
প্রস্তুতির সময় – ২০ মিনিট
রান্নার সময় – ২০ মিনিট

উপকরণ
মুরগীর মাংস (বোনলেস) – ৪০০ গ্রাম (ছোট ছোট টুকরো)
গোলমরিচের গুঁড়ো – ১ চা চামচ
প্যাপরিকা – ১/২ চা চামচ
লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
অলিভ অয়েল – ১ টেবিল চামচ
অরিগ্যানো শেরি – ২ টেবিল চামচ
লাল বেল পেপার – ১ টি (ইচ্ছেমতো আকারে কাটুন)
পার্সলে – ১ কাপ
পুদিনা – ১০ থেকে ১২ টি পাতা
লেটুস – ৪ টি পাতা
লবণ – স্বাদ মতো

প্রণালী
লবণ ও গোল মরিচ দিয়ে মাংসটা ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। এবার সালাদ প্লেটে লেটুসের পাতাগুলো দিয়ে প্লেটের সাদা জায়গা ঢেকে দিন। তাতে লাল বেলপেপার গুলো সাজিয়ে দিন। অন্যদিকে মুরগীর মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে স্টক থেকে ভালো করে পানি ঝরিয়ে মাংসের টুকরোগুলো তুলে নিন। এতে প্যাপরিকা, অরিগ্যানো, লেবুর রস, অলিভ ওয়েল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। হাল্কা লবণ উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন।

এবার মাংসের টুকরোগুলো সেঁকে নিন। এর ফলে মাংস থেকে একটি স্মোকি ফ্লেভার উৎপন্ন হবে। এবার সালাদ প্লেটের উপর মাংসগুলো সাজিয়ে রাখুন। খেয়াল রাখবেন- যাতে লাল বেলপেপার ঢেকে না যায়। পার্সলে ও পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিন। এবার শেরিতে লেবুর রস ও অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মেশান। এবার তৈরি ড্রেসিং সালাদের উপর একটি চামচ দিয়ে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

শীতে গরম পানিতে গোসল

ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার কারণে অনেকে শীতকালই পছন্দ করেন না। কনকনে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করেন। তবে গরম পানিতে গোসল নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বলে থাকেন আপাতত স্বস্তি মিললেও তেমন উপকার নেই। আসলে কি তাই?

গরম পানিতে গোসলে উপকারিতা ও অপকারিতা- দুইই রয়েছে। তেমন কিছু বিষয় নিচে জানানো হল-

গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা

  • যাদের বুকে ব্যথা ও শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য গরম পানিতে গোসল বেশ উপকারী। এ ছাড়া যাদের নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা আছে- তাদের জন্যও ভাল। গরম পানিতে ইউক্যালিপ্টাস বা অন্যান্য তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও উপকার পাবেন।
  • গরম পানি পেশি জড়তা কাটাতে সাহায্য করে। ফলে অবসাদ দূর হয় সহজে। অবসাদ দূর মানে ধীর স্থির ভাবে জাগে মনে। এ ছাড়া রক্তচাপ কমিয়ে পার্লস রেটকে আরামদায়ক পর্যায়ে নিয়ে আসে। সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গরম পানিতে গোসল ভাল।
  • গরম পানি ত্বকের ছিদ্র খুলে দেয়। যা ত্বককে নরম ও দ্রুত পরিষ্কার করে। ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।
  • পেশি জড়তা দূর হওয়ার কারণে রক্ত চলাচল ব্যবস্থা উন্নত হয়। এ ছাড়া গরম পানিতে গোসল যৌন জীবনে ভাল প্রভাব ফেলে। এর কারণে যৌন উত্তেজনা বাড়ে।

গরম পানিতে গোসলের অপকারিতা

  • গরম পানিতে গোসল কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যাদের হাইপারটেনশনসহ হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য গরম পানিতে গোসল ভাল নয়।
  • গরম পানিতে গোসল ত্বকের ছিদ্র খুলে দিলেও সহজে ময়লা জমে। এর কারণে ব্রনসহ নানান সমস্যা তৈরি হয়। গরম পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল দুর্বল হয়ে সহজে ভেঙ্গে যায়।
  • গরম পানি বিষণ্নতার জন্যও দায়ি। গরম পানি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। যা শুধু এসিডিটির সমস্যাই তৈরি করে না, মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

 

শত কষ্টের পর এখন স্বাবলম্বী নুরজাহান

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কোনো এক বর্ষণের দিনে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চরনিকলা গ্রামে জন্ম নূরজাহান বেগমের। চার ভাই তিন বোনের সংসারে তার অবস্থান পাঁচ। জন্মের সময় পরিবারের আর কেউ তেমনভাবে খুশি হতে না পারলেও তার বাবা অনেক খুশি হয়েছিলেন। জন্মের পর পরই বাবা ঘোষণা দিয়েছিলেন তার এ মেয়েটিকে এমএ পাস করাবেন।
নূরজাহান বেগম এমএ পাস ঠিকই করেছেন কিন্তু তার বটবৃক্ষ, সব থেকে ভালোবাসার মানুষটি তা দেখে যেতে পারেননি। তিনি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়েন তখন তার বাবা মমতাজ আলী শেখ মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর কিছুটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল তাদের পরিবার। সপ্তম শ্রেণিতেই হয়তো থেমে যেত তার লেখাপড়া। কিন্তু মা হালিমা বেওয়ার দৃঢ়চেতা মনোভাবে সব ঠিক হয়ে যায়। ১৯৮৪ সালে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে ইব্রাহিম খাঁ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও একই কলেজ থেকে ১৯৮৮ সালে বিএ পাস করেন।
এরপর তার জীবনে বয়ে যায় ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের এক ঝড়। সবকিছু উলট পালট হয়ে যায়। থমকে যায় প্রতিদিনের জীবনের গতি। কিন্তু যোদ্ধা মানুষ কি যুদ্ধ না করেই সমাজ জীবনের কাছে হারতে পারেন? না, তিনিও ঝড়ের অস্বাভাবিকতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ২০০০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে যোগ দেন ব্র্যাকের মাইক্রো ফিন্যান্স প্রোগ্রামে। সেখানে থেকে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে যোগ দেন ব্র্যাকের আরেকটি প্রোগ্রামে। মূলত এই প্রোগ্রামে কাজ করতে করতেই পাল্টে যেতে থাকে জীবনের গতি। নিবিড়ভাবে শিখতে থাকেন তার ভালোবাসার কাজটি।
কৃষির প্রতি ভালোবাসা আর চাকরিতে মোটরসাইকেল চালনায় শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে খুঁজে পান ফিরে আসার পথ। পরিবারের শত বাধা উপেক্ষা করে ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারির এক পিকআপ ভ্যান চায়না-৩ জাতের লিচু কলমের চারা নিয়ে হাজির হন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চরনিকলা গ্রামের নিজ বাড়িতে।
শুরু করেন নতুন জীবন। বাবার দেয়া ২০ শতক জমি আর নগদ ১ লাখ টাকা দিয়ে গড়ে তুললেন ‘তোয়া’ নামের এক নার্সারি। বাড়ির সবাই বিরোধিতা করলেও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছোটভাই ফরিদ সাহস জুগিয়েছেন নানাভাবে। শুরুতেই সফলতা পাননি নার্সারিকন্যা নূরজাহান বেগম। প্রথম বছর লিচু কলমের চারা ছাড়া আর সবই ছিল বনজ গাছের চারা। চারা বিক্রির সময় হলে তিনি দেখলেন বনজ গাছের চারায় যত টাকা ব্যয় করেছিলেন সবই লোকসান। কারণ হিসেবে তিনি বললেন, মানুষ যে ধরনের গাছের চারা চায় তিনি সে ধরনের চারা তার নার্সারিতে ঠাঁই দেননি। মানুষের চাহিদা ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি গাছের চারা আর তিনি করেছেন নিম থেকে শুরু করে দেশীয় জাতের বনজ চারা। পাড়া-প্রতিবেশীদের টাকা ছাড়া চারা দিতে চেয়েও দিতে পারেননি। সবাই এক বাক্যে বলেছেন কি হবে এই চারা দিয়ে? এক দিকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান আর অন্যদিকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিদেশি কোনো জাতের চারা না করার অঙ্গীকার। বড়ই টালমাটাল অবস্থা। কি করবেন জানা নেই। আবার হেরে যেতেও তার বড় লজ্জা।
নূরজাহান বেগম জেলা পর্যায়ে চারবার সেরা নার্সারির পুরস্কার পেয়েছেন। সার্বক্ষণিক ২ জন কর্মচারী আর ৬ হাজার বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছের চারায় ভরপুর তার নার্সারি। ১ লাখ টাকা মূলধনের নার্সারি নিষ্ঠা আর সাধনায় ফুলে-ফেঁপে হয়েছে ১০ গুণ। এতকিছুর পরেও আর বিয়ে করেননি নার্সারিকন্যা নূরজাহান বেগম। করতেও চান না। তার ভাষায়, ‘রক্তের সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে যাওয়া এই নার্সারিই আমার পরিবার, আর সব ফলদ গাছের চারা আমার সন্তান।’

 

মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ কিছু খাবার

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলায়। কিন্তু কিছু সমস্যার যেন কোনো সমাধান নেই! কখনোই পিছু ছাড়ে না! ভুলে থাকার চেষ্টা করেও আমরা ভুলতে পারি না। সমস্যার সমাধান না করা গেলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক চাপ থেকে মুক্তির পথই বা কী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরের ওপর ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে মনকেও অনেকটাই বশ মানানো যায়। আর এ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ কিছু খাবারের বিশেষ পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের স্নায়ুকে শীতল রাখতে সহায়তা করে, সাময়িকভাবে হলেও তা কিছুটা মানসিক চাপ কমায়।

কাজুবাদাম
কাজুবাদাম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান দস্তার একটা ভালো উৎস। দুশ্চিন্তা আর বিষাদগ্রস্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর এই দস্তা। শরীরে দস্তার চাহিদা পূরণ করতে পারলে, নিয়মিত এই দস্তার জোগান দিতে পারলে স্নায়ুতন্ত্রকে ঠান্ডা রাখার কাজটা অনেক সহজ হয়। আজকাল বাজারের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার দোকানেও প্যাকেটজাত কাজুবাদাম পাওয়া যায়। নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন, মানসিক চাপ মোকাবিলায় নিজেকে প্রস্তুত করুন।

mjid047._kaju-and-badam-diwali-gifts

ওট
ওট বা জইয়ের দানা খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রচুর আঁশযুক্ত এই খাবার শরীরের নানা চাহিদা মেটায়। বিশেষত মস্তিষ্কে ‘সেরোটোনিন’ নামের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরিতে খুবই সহায়ক ওট। সেরোটোনিন এমন এক রাসায়নিক যাকে বিজ্ঞানীরা ‘ভালো লাগার’ রাসায়নিক হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। সকালের নাশতায় কিংবা রাতেও নিয়ম করে ওট খেতে পারেন। দুধে ভিজিয়ে হোক বা কেবল পানিতে ভিজিয়ে হলেও ওট খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। বড় বিপণিবিতানসহ নানা চেইন শপে টিনজাত ওট পাওয়া যায়।

oats-400x400-300x300

আখরোট
আখরোটের নানা পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসহ অন্যান্য পলিফেনোল। এসব উপাদান মস্তিষ্কের চিন্তা ক্ষমতাকে বাড়ায়, প্রখর করে। ফলে নিয়মিত কিছুটা আখরোট খেতে পারলে আপনার চিন্তা ক্ষমতা বাড়বে আর তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। বড় বাজারগুলোতে শুকনো খাবারের দোকানে খোলা আখরোটের পাশাপাশি প্যাকেটজাত আখরোটও পাওয়া যায়। কিনে এনে বাড়িতে রেখে দিন, মাঝেমধ্যে খেতে থাকুন। এভাবে শুকনো খাবারের অভ্যাস করাটা খাদ্যাভ্যাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

image03

কমলা লেবু
ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ কমলা লেবুর অনেক উপকারের কথা তো আমরা জানিই। মন বিষণ্ন থাকলে, শরীর অবসাদগ্রস্ত হলে খানিকটা কমলা লেবুর রস মুহূর্তেই চাঙা করে দিতে পারে। হাতের কাছের এই ফল কেবল সাময়িক প্রশান্তিই দেয় না, নিয়মিত অল্পস্বল্প কমলা লেবু খান শরীর মন দুই চাঙা থাকবে। শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো এবং কিডনি ভালো রাখতেও কমলা লেবু খেতে পারেন। শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও সহজ।

512px-Ambersweet_oranges

রসুন
রসুনের অনেক গুণ। রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহায়ক। মানসিক চাপে ভুগলে আমরা নানা অনিয়ম করি আর এতে শরীর ভেঙে পড়ে। এই দুর্বলতার সুযোগে শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুখ-বিসুখ। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে রসুন খান। এটা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত রসুন খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি মানসিক চাপে থাকা মানুষদের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক। তাই খাবারদাবারে নিয়মিত কিছুটা রসুন খান, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন।

ripe garlic fruits with green parsley leaves

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

 

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম নারী ALM সালমা সিদ্দিকা

অপরাজিতা ডেস্কঃ ছোটবেলা থেকেই ট্রেন জিনিসটা ছিল উম্মে সালমা সিদ্দিকার কাছে এক দুর্বার আকর্ষণের বিষয়। চিটাগং শহরস্থ বাসায় থাকাকালে যখনই ট্রেনের হুইসেলটা তার কানে ভেসে আসতো, তার মধ্যে বয়ে যেত এক আনন্দের স্রোত। বড় হতে থাকা সত্ত্বেও তার মধ্যে এই বিশ্বাসটা সবসময় প্রগাঢ় ছিল যে, সব ট্রেনই স্ব-চালিত, এর কোন ড্রাইভার লাগে না।  বুদ্ধিমান হওয়ার পরই তিনি বুঝতে পারলেন যে, তার প্রতিদিনের দেখা ট্রেনের রহস্য আসলে তিনি যা ভেবে এসেছেন তা না।

২০১১ তে তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি ট্রেনচালক হবেন, এবং তিনি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদানও করলেন।

তারই পথ ধরে আজ তিনি ট্রেনচালক হবার পথে, এমন এক পেশা, যে পেশাটি এতকাল পুরুষের একচ্ছত্র করায়ত্তে ছিল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে এই মুহূর্তে ১২ জন নারী সহকারী রয়েছেন যাদের পদমর্যাদা হলো এসিস্ট্যান্ট লোকোমোটিভ মাস্টার্স (ALMs),  তবে এখনো কোন পূর্ণ-পদপ্রাপ্ত নারী লোকো (Loco) মাস্টার নেই।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, আরো ৩জন নারী গত নভেম্বরে ALM রিক্রুটমেন্ট টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন। টাঙ্গাইলের সালমা সিদ্দিকা হলেন প্রথম বাংলাদেশী নারী যিনি ২০০৪ এ ALM পদে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেন।

10433283_10152920369735661_7648133574752800566_n

উম্মে সালমা সিদ্দিকার এখনকার কাজ হলো ট্রেন ড্রাইভারদেরকে তাদের চালনায় সহযোগিতা করা এবং সহযোগিতা করার তার এ অভিজ্ঞতাই পরবর্তীতে হবে ট্রেনচালক হবার নিয়ামক। তার চাকুরীর দায়িত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো, যে সময়টায় Loco Master ট্রেন চালাচ্ছেন রেলওয়ে সিগনালগুলোর এবং রেল ট্র্যাকের পজিশন খেয়াল রাখা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের East Zone এর চীফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হারুন-আর-রাশিদ আমাদের জানান যে, একজন ALM এর ন্যূনতম ১০ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে একজন LM (Loco Master) হওয়ার জন্য।

বৃটিশ ঔপনিবেশকরা যখন এই উপমহাদেশে রেলপথের সূচনা করেছিল, সে ট্রেনগুলোর শক্তির উৎস হিসেবে ছিলো কয়লা-চালিত বাষ্প ইঞ্জিন। সে সময়ের ট্রেন চালনা ছিল নারীদের জন্য অত্যন্ত শ্রমসাধ্য একটা কাজ এবং তাদেরকে বিবেচনায়ও আনা হতো না। বছরের পর বছর অতিবাহিত হয়, মানুষের মন-মানসিকতাও পরিবর্তন হয় এবং সেই সাথে লোকোমোটিভদেরও।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রাক্তন মহা-পরিচালক মোহাম্মদ তফাজ্জল হোসাইন বলেন, স্বল্প সংখ্যায় করে হলেও বাংলাদেশের নারীসমাজ যে এই পেশার দিকে ঝুঁকছে, পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিছে, ব্যপারটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার ভাষ্যে, এই মেয়েরাই হলো নারীসমাজের যোগ্যতার উজ্জ্বল নিদর্শন; এরা সব কাজ করতে সক্ষম।

সিদ্দিকা যে ট্রেনটির লোকো মাস্টারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন সে ট্রেনটি হলো চিটাগং ইউনিভার্সিটি কম্যুটার ট্রেন যা যাতায়াত করে ইউনিভার্সিটি এবং বন্দর নগরী এ দুয়ের মধ্যে।

“আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে এ পেশায় আছি এবং এটা বেশ রোমাঞ্চকর”, তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন। সেই সাথে তার ফ্যামিলি তাকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বলে তিনি নিজ পরিবারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কিন্তু নারী ALMদের জন্য সবসময়ে পরিস্থিতি এতটা সহজ ছিলো না।

ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে ম্যাথমেটিকসে অধ্যনকারী কুলসুম আখতার ALM আমাদের জানান, কর্তব্য পালনকালে তিনি নানান বিপত্তির সম্মুখীন হন। তিনি বলেন, “লোকজন প্রায়ই লোকোমোটিভের মধ্যে একজন মেয়েকে কাজ করতে দেখলে আপত্তিকর মন্তব্য ছুঁড়ে মারে”।

কুলসুমের মতে, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী এবং তাদেরও একই রকম চাকুরীর প্রয়োজন হয়। তাই নারীদের প্রতি এধরণের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যাবশ্যকীয়ভাবে পরিবর্তন হওয়া দরকার।

তিনি আরো জানান, শুধুমাত্র এসব সামাজিক ও চিরাচরিত বিধি নিষেধের দরুন নারীদেরকে অনেক সময়ই ট্রেন চালনার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর এক নারী ALM বলেন, এই নিরাপত্তা বিষয়ক দুশ্চিন্তার অবকাশ থাকার কারণেই এত অল্প সংখ্যক মেয়ে এই পেশায় আসে।

তিনি এও যোগ করেন, “নারীর নিরাপত্তা সর্বক্ষেত্রে নিশ্চিত করা এটা সরকারেরই কর্তব্য”।

সূত্র- ডেইলি স্টার।

অনুবাদ করেছেন- মুসবিহা।