banner

সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 145 বার পঠিত

 

৯জন নারীকে এলজিইডির সম্মাননা প্রদান

পল্লী উন্নয়ন, পানি সম্পদ উন্নয়ন ও নগর উন্নয়ন তিনটি শাখায়  আত্মনির্ভরশীল সফল নয়জন নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। জানাচ্ছেন সেলিম হোসেন
আত্মনির্ভরশীল সফল নয়জন নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন পল্লী উন্নয়নে ক্রমানুসারে পেয়ারা বেগম, মাহফুজা পারভীন, ছামেনো। পানি সম্পদ উন্নয়ন ক্রমানুসারে কাবিরন নেসা, ময়না আক্তার, সুলতানা আক্তার এবং নগর উন্নয়নে বুলিনা খাতুন, সাহিমা বেগম, শামিমা নাসরিন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক। সভাপতিত্ব করেন এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এলজিইডি জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের উপ-প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা আসমা খাতুন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে নারীর যে সকল মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে সরকারের একা কাজ করলে হবে না। একইভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আবদুল মালেক বলেন, জেন্ডার বৈষম্য দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। সুতরাং পুরুষের পাশাপাশি নারীর উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের তিন আমলে নারীদের অধিকার সবচেয়ে বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে।  ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের চেয়ে নারীর অধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শ্যামা প্রসাদ অধিকারী বলেন, জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী সমাজের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে এলজিইডি দুস্থ নারীদের উন্নয়নে কাজ করছে। বর্তমানে এলজিইডি ৩ লাখ নারীর আত্মকর্মসংস্থান করেছে।
সৈয়দা আসমা খাতুন বলেন, এবছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন। সে লক্ষ্যে এলজিইডির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী শিশু সন্তান নিয়ে যাতে ভালোভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা করছে।
Facebook Comments