banner

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 181 বার পঠিত

 

চলে গেলেন মা,একবারো দেখতে এলো না সন্তানেরা!

সন্তান,নাড়ি ছেঁড়া ধন!কলিজার টুকরো! নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে চায় মা,আর কিচ্ছু না। কিন্তু দুর্ভাগ্য তখন ই যখন সেই সন্তান একটা বারো ফিরে চায় না মায়ের দিকে,জানতে চায় না কেমন আছেন মা? ঠিক তেমনি একজন হতভাগী মা আরাফাতুন নেছা!
গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদীর রাস্তায় ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা আরাফাতুন নেছা (৮৬) গাজীপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে শনিবার সকালে মারা গেছেন। গত এক বছরেও তার সন্তানরা অসুস্থ বৃদ্ধ মায়ের খবর নেয়নি।
গাজীপুরের মনিপুর বিশিয়া-কুড়িবাড়ি মনিপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ আবু শরীফ মোবাইল ফোনে জানান, আরাফাতুন নেছার ছবিসহ বিষয়টি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও সন্তানরা মায়ের খোঁজ নিতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসেনি। কিন্তু মৃত্যুর আগেও তিনি স্বজনদের দেখার জন্য কাকুতি-মিনতি করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ না পাওয়ার কারণে তার লাশ শনিবার বাদ জোহর দাফন করা হয়েছে গাজীপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের কবরস্থানে।
জানা গেছে, বৃদ্ধার শামীম ও জাহিদ নাসের নামের ২ পুত্র গত বছরের ৩০ জানুয়ারি তাকে গৌরনদীর টরকীর রাস্তায় ফেলে যায়। এক কাপড়ে অসুস্থ অবস্থায় ৮/১০ দিন রাস্তায় পড়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরাফাতুন নেছার এই করুণ কাহিনী জানতে পেরে এগিয়ে আসেন গাজীপুরের মনিপুর বিশিয়া-কুড়িবাড়ি মনিপুর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জাহিদ হাসান মুকুল। মৃত্যুর আগেও সন্তানদের নাম বারবার তিনি উচ্চারণ করেছেন।
Facebook Comments