banner

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 234 বার পঠিত

 

দেশের মুখ উজ্জ্বল করলো সাবিরা,মাবিয়া,রেশমা

ইরাক, সৌদি আরব, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছেন। এশিয়ার বড় দেশগুলোর সেরা ভারোত্তোলকদের হারিয়ে মোল্লা সাবিরা, মাবিয়া আক্তার ও জোহরা আক্তার রেশমারা জিতেছেন রুপা ও ব্রোঞ্জ। দারুণ এক অভিজ্ঞতা নিয়েই দেশে ফিরেছেন ভারোত্তোলকরা। মোল্লা সাবিরা বলেন, ‘আমি আগেও এশিয়ার সেরা দেশগুলোর সঙ্গে খেলে পদক জিতেছি। এবারও এশিয়ার দেশগুলোর সেরা ভারোত্তোলকদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি আমরা। তাদের হারিয়ে পদকও জিতেছি। বিদেশে গিয়ে পদক জেতাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’

সেই ২০০২ সাল থেকে আজ অবধি ভারোত্তোলন খেলছেন মোল্লা সাবিরা। ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে আসছেন দেশসেরা এ মহিলা ভারোত্তোলক। শুধু দেশেই নয়, ২০০৫ সালে জর্ডানের আম্মানে এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে রুপা জিতেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু সাবিরার। মাঝে অনেক বছর কেটেছে। আন্তর্জাতিক অনেক আসরেই অংশ নিয়েছেন। ঝুলিতে জমা পড়েছে অনেক পদক। এবার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত কাতার দ্বিতীয় ইন্টারন্যাশনাল কাপ ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে রুপা জেতেন মোল্লা সাবিরা সুলতানা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত এ ভারোত্তোলক বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক কারণেই মেয়েরা ভারোত্তোলনে এগিয়ে আসছে না। কারণ ভারোত্তোলন খেলতে যে কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন, তা জেলাগুলোতে নেই। বাহিনীগুলোতে কারিগরি সুবিধাগুলো থাকায় ভারোত্তোলনে জেলাগুলোর চেয়ে সার্ভিসেস দলগুলোর মেয়েরাই বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে চাই দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন। এর কোনো বিকল্প নেই।’

কাতারে ১৭তম ইয়ুথ এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে অংশ নিয়ে রুপা জেতেন উদীয়মান ভারোত্তোলক জোহরা আক্তার রেশমা। এর আগে ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের পাতায়ায় ৪৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে ইয়ুথ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জপদক জেতেন তিনি। ২০১৩ সালে মালয়েশিয়াতেও একই ওজন শ্রেণীতে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলনের ইয়ুথ বিভাগে রুপা জেতেন রেশমা। তিনি বলেন, ‘বিদেশে পদক জেতার আনন্দই আলাদা। এ নিয়ে তৃতীয়বার বিদেশের মাটিতে পদক জিতেছি। ভবিষ্যতে অলিম্পিকে খেলতে চাই।’ একই স্বপ্ন এশিয়ান অ্যান্ড আরব ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ৬৩ কেজিতে ব্রোঞ্জজয়ী মাবিয়া আক্তার সিমান্তরও। তার কথায়, ‘আমার লক্ষ্য ভবিষ্যতে অলিম্পিকে পদক জেতা। ফেডারেশন সহযোগিতা করলে সে লক্ষ্যেই আমি খেলে যেতে চাই।’ ২০১১ সালে ভারোত্তোলনে আসা সিমান্ত বলেন, ‘২০১২ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ এবং ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় কমনওয়েলথ ভারোত্তোলনের জুনিয়রে রুপা ও ইয়ুথ বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। ভবিষ্যতে অলিম্পিকে পদক জেতাই আমার লক্ষ্য।’ তবে রেশমা ও সিমান্তের সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে মনে করেন মোল্লা সাবিরা। তার কথায়, ‘দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের মধ্যে থাকলে অনেককিছুই সম্ভব। অলিম্পিকে পদক জয় খুব কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। এজন্য একজন ভারোত্তোলককে কম করে হলেও চার থেকে পাঁচ বছরের কঠোর অনুশীলনের মধ্যে থাকতে হবে। সাধনা করতে হবে। আমি মনে করি, রেশমা ও সিমান্তের সেই সুযোগ রয়েছে। তাদের বয়স কম। তারা দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলনের সুযোগ পেলে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।’

Facebook Comments