banner

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1983 বার পঠিত

 

ফ্যাশনে ফিরছে ঐতিহ্যবাহী ‘কেপ কোট’

অপরাজিতা ডেস্কঃ পোষাক হিসেবে ‘কেপ কোট’ বেশ প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী একটি ডিজাইন। আগের দিনে রাজকীয় এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েদের জন্য এই ‘কেপ কোট’ পোষাক প্রচলিত ছিলো। বৃটেন ইউরোপ সহ পাশ্চাত্যের দেশ গুলোর রাজ পরিবার এবং অভিজাত পরিবার গুলোতে এখনো ‘কেপ কোট’ বেশ জনপ্রিয়। অনেকের ই ধারণা এটি শীতের পোষাক,কিন্তু ফ্যাশন ডিজাইনের ঐতিহ্য বলে,’কেপ কোট’ মূলত সব সময় ই পড়ার জন্য। শুধু স্টাইল টা পরিবর্তন করতে হয় এই যা!

7986-1

দক্ষিণ এশিয়ার অভিজাত পরিবার গুলোতে ও মেয়েদের পোষাক হিসেবে ‘কেপ কোট’ প্রাচীন কাল থেকেই জনপ্রিয়। এমনকি তৎকালীন বাংলা প্রদেশের নবাব পত্নীগণ সহ জমিদার বাড়ির মেয়েরাও শাড়ির সাথে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ‘কেপ কোট’ পড়তেন। নাটোরের রাণী ভবানী সহ বাংলার উল্লেখযোগ্য অভিজাত পরিবারের মেয়েরা শাড়ির সাথে ‘কেপ কোট’ পড়তেন।

কালক্রমে এই পোষাকটি অনেকটাই অ-প্রচলিত হয়ে গেলেও বর্তমানে তা আবারো ফিরে এসেছে। আর তাই ফ্যাশন জগতে এবং বর্তমান সময়ে ‘কেপ কোটের’ চাহিদা এখন অনেক বাড়ছে। সেই সাথে এসেছে ‘কেপ কোটের’ নানান রকম  ডিজাইন। কথা হলো ডিজাইনার রুপো শামসের সঙ্গে। এই শীতে লেইস এবং ভেলভেটের তৈরি কামিজ, কেপ কোটের ট্রেন্ড চলছে বলে জানালেন তিনি। শাড়ি, কামিজ ও কেপ কোটে ঐতিহ্যবাহী জারদৌসি, জাল কাজ, স্ট্যাম্পড এমব্রয়ডারির কাজ চলছে। নকশায় ব্যবহৃত হচ্ছে পাথর, চুমকি, মুক্তা, আইলেট লেইস ও ক্রুশকাটার লেইস। কাশ্মীরি ও পার্শিয়ান এমব্রয়ডারির নকশা কেবল শালে নয়, নজর কাড়ছে পোশাকেও।

রুপো বলেন, কেপ কোট আন্তর্জাতিক ফ্যাশনেও এখন বেশ জনপ্রিয়। আমাদের দেশে এটি ফিউশনের মতো ব্যবহৃত হচ্ছে। চাপা প্যান্ট এবং ঢিলেঢালা গারারার সঙ্গে তো বটেই, এমনকি চাইলে শাড়ি বা কামিজের সঙ্গেও এটি অনায়াসে পরা যেতে পারে। এটি ভিক্টোরিয়ান যুগে যেমন চলেছে, তেমনি চলেছে রাবীন্দ্রিক যুগেও। নাটোরের রানী ভবানী থেকে শুরু করে ঢাকার নবাববাড়ির মেয়েদের গায়েও চড়েছে এই কেপ কোট। সেই ফ্যাশন এখন আবার ফিরে এসেছে।

6ffaec18a9d37523ae3caed9a8e34ef8-Untitled-34 bollywood-indian-movies-famous-celebrities-stars-59th-idea-filmfare-awards-photo-pictures-1

কেপ কোট সাধারন সব ধরনের পোষাকের সাথেই পড়া যায়। লন কামিজ থেকে শুরু করে আনারকলি স্যূট এমনকি ল্যাহেঙ্গার সাথেও পড়া যায়। কোন পার্টিতে পড়ার ক্ষেত্রে ‘কেপ কোটের’ ডিজাইন টা আরেকটু গর্জিয়াস হতে পারে।

শাড়ি বা ড্রেসের কালারের সাথে ম্যাচ না করে সম্পূর্ণ ভিন্ন কালারের হতে পারে। ভেলভেট কাপড়ের সাথে কালার ফুল লেস বসানো যেতে পারে। এবং এক্ষেত্রে লেসের কালার টা শাড়ি বা ড্রেসের কালারের সাথে ম্যাচ হতে পারে।

শাড়ির সাথে কেপ কোট পড়লে গলায় কোন ভারি গহনা না পড়াই ভালো,এক্ষেত্রে কানে পড়া যেতে পারে বড় বা ছোট সাইজের কালারফুল টব। যেহেতু কেপ কোট ফুলহাতা পড়া হয়,সেক্ষেত্রে হাতে চূড়ির চাইতে বড় সাইজের আংটি ভালো মানাবে আর সাথে আকর্ষনিয় পার্স।

4sareejacket

ডিজাইনার ল্যাহেঙ্গা বা আনারকলি ডিজাইনের সাথে কেপ কোট একটা বাড়তি সৌন্দর্য্য বহন করে। বর্তমান সময়ের তরুনীরা তাই ড্রেসের কারুকার্যের সাথে সাথে কেপ কোট ও চান আকর্ষনীয়। যারা হিজাব পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্য কেপ কোট খুবই মানানসই একটি পোষাক।

বলা হয়,হাল ফ্যাশনের যুগে কোন কিছুই পুরনো নয়,আর যদি তা পুরনো হয় তবে ধরে নিতে হবে খুব শীঘ্রই পুরনো ফিরে আসবে নতুন আঙ্গিকে!

লেখা- স্বপ্নকথা।

Facebook Comments