All posts by Oporajita

২ শিশু কে ধর্ষনের চেষ্টা! মা গুরুত্বর আহত

Dorson

বরগুনার তালতলী উপজেলায় গত শুক্রবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষার্থী এক রাখাইন শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে তিন বখাটে যুবক। এতে বাধা দেওয়ায় ওই শিশু ও তার মাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তারা। ঘটনার পর দুজনকেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
একই দিন গোপালগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে হিরু মোল্লা (৩২) নামের এক বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ ওই শিশুকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আদিবাসী শিশুর পরিবার সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তালতলীর একটি গ্রামে মং চুং ম্যান, লা ওয়ে মং ও অ উ চান নামের তিন রাখাইন যুবক মাতাল হয়ে কবিরাজপাড়া গ্রামে এসে শিশুটির ঘরে ঢোকে। একপর্যায়ে শিশুটিকে তারা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় প্রচণ্ড মারধর করে শিশুটির কাপড়চোপড় ছিঁড়ে ফেলে তারা। শিশুটির চিৎকার শুনে তার মা এগিয়ে এলে বখাটে যুবকেরা তাঁকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
শিশুটির মা জানান, ওই দিন সন্ধ্যায় তিন যুবক হঠাৎ ঘরে ঢুকে তাঁর মেয়ের ওপর হামলে পড়ে। এ সময় তিন যুবক মিলে মারধর করতে থাকলে শিশুটি চিৎকার শুনে তিনি ছুটে আসেন। তিনি মেয়েকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে তাঁর ওপরও হামলা চালায় যুবকেরা। প্রচণ্ড মারধরের কারণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। প্রথমে এক গ্রাম্য চিকিৎসকের বাড়িতে দুজনের চিকিৎসা করানো হয়। শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে দুজনকেই তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তরের পরামর্শ দিলে রাত একটার দিকে পুলিশ প্রহরায় দুজনকেই সেখানে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এখন তাঁর মেয়ের যে অবস্থা, তাতে কোনোক্রমেই মেয়েটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ইসমত আরা গতকাল শনিবার দুপুরে বলেন, ‘শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আতঙ্ক আর গুরুতর অসুস্থতার কারণে সে কথা বলতে পারছে না। আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।’
তালতলী থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ মিয়া জানান, মা ও মেয়ে দুজনই চিকিৎসাধীন থাকায় এ ঘটনায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
এদিকে গোপালগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে হিরু মোল্লাকে আসামি করে শুক্রবার রাতেই গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। শিশুটির মা বলেন, তারা এবং হিরু মোল্লা একই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাঁর স্বামী ঢাকায় থাকেন। শুক্রবার বিকেলে পাশের বাজারে তিনি পেঁয়াজ কিনতে যান। এ সুযোগে তাঁর মেয়েকে হিরু মোল্লা ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে (হিরু) আটক করে পুলিশে দেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, শিশুটিকে চিকিৎসাসহ ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রথম নারী প্রধান

প্রথম নারী হিসেবে ইউরোপীয় পরমাণু গবেষণা সংস্থার (সার্ন) কণা পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের শীর্ষ পদে গত মঙ্গলবার নির্বাচিত হয়েছেন ফাবিওলা জানোত্তি।

ইতালির এই পদার্থবিজ্ঞানী ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেবেন। সার্নের অধীনে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘হিগস-বোসন কণা’ আবিষ্কারের ঘটনাটি গণমাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা করার মধ্য দিয়ে ২০১২ সালে বিশ্ববাসীর নজর কাড়েন জানোত্তি।

সার্ন হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। ৫২ বছর বয়সী জানোত্তি ১৯৮৭ সালে সার্নে যোগ দেন।

রয়টার্স

প্রসূতি সেবায় অনন্য এরা

রেহানা বেগম (বাঁয়ে) ও মমতাজ বেগম

দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বরগুনা সদরের গৌরিচন্না ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের জরাজীর্ণ বারান্দায় অনেক নারী সেবার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন প্রসূতিও রয়েছেন। পাশেই একটি কক্ষে দেখা গেল, দুজন পরিবারকল্যাণকর্মী তিন-চারজন নারীর সঙ্গে কথা বলছেন। বোঝা গেল, কর্মীরা নারীদের কাছ থেকে তাঁদের নানা সমস্যার কথা জেনে নিচ্ছেন।
নারী কর্মীদের একজনের নাম রেহানা বেগম (৪৫), অপরজন মমতাজ বেগম (৫০)। তাঁরা দুজনই পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। ৩০ অক্টোবর সরেজমিনে ওই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে অপেক্ষমাণ নারীদের মধ্যে একজনের কাছে সেখানকার সেবার মান কেমন তা জানতে চাইলে আগ বাড়িয়ে অপর এক নারী বলেন, ‘এই দুই আফার হাতযশ আছে। মনে অয় হ্যাগো হাতে জাদু আছে।’
ওই কেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের দুজনের প্রচেষ্টা ও পরিচর্যায় এই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে গত এক বছরে ২৪৪ জন প্রসূতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসব করেছেন। আর এরই স্বীকৃতি হিসেবে এই কেন্দ্রটি স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে সারা দেশে দ্বিতীয় এবং বরিশাল বিভাগে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। শুধু তা-ই নয়, মা ও শিশুসেবা এবং পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনা সদর ও জেলা পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে প্রথম পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া মমতাজ বেগম একই কার্যক্রমের সফলতার জন্য জাতীয় পর্যায়ে তিনবার পুরস্কৃত হয়েছেন।
কয়েকজন প্রসূতি জানান, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা প্রসূতিসেবার জন্য উন্মুক্ত এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যখনই প্রয়োজন পড়ে, তখনই জরুরি প্রসূতিসেবা দিতে ছুটে আসেন এই দুই নারী কর্মী। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা নিজেদের বেতনের টাকায় গরিব পরিবারের প্রসূতিদের জন্য অস্ত্রোপচার ও অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার খরচও দেন। কোনো প্রসূতির সন্তান প্রসবে জটিলতা দেখা দিলে তাঁরাই বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
রেহানা বেগম বললেন, ‘চাকরিই বড় কথা নয়; বড় হলো একজন মানুষ কতটা দায়িত্বশীল, সেটা। সারা দিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলে যদি কোনো রোগীর জটিলতার কথা শুনি, তখন আর ঘরে বসে থাকতে পারি না। ক্লান্তিও আর ঘরে আটকে রাখতে পারে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে আসি। পরিশ্রমের পর যখন ফুটফুটে শিশু ভূমিষ্ঠ হয়, তখন সব ক্লান্তি মুছে যায়।’
মমতাজ বেগম বলেন, ‘চাকরির সময় সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত হলেও জীবন কোনো সময়সীমার মধ্যে আটকে থাকে না। একজন প্রসূতি কখন প্রসববেদনায় কাতর হবেন, তার ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। তাই পুরো সময়টাকে দায়িত্ব মনে করে কাজ করছি। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন কেবল গৌরিচন্না ইউনিয়ন নয়, পাশের বদরখালী, ফুলঝুরি ইউনিয়নের প্রসূতিরাও ছুটে আসেন।’
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরবণী ঘেঁটে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে এই কেন্দ্রে সেবা নিয়েছেন এক হাজার ৩৭ জন। এর মধ্যে ২৭২ জন প্রসূতির সেবা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২২ জন স্বাভাবিক প্রসব করেছেন। ৪৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রসবোত্তর সেবা নিয়েছেন ১১০ জন। এর মধ্যে ৮৩ জন কিশোরীকে সেবা দেওয়া হয়েছে।
গৌরিচন্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ধারাবাহিক সফলতার পেছনে দুই পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। সে জন্য এ বছর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা ব্যয় করে একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান তৈরি করা হচ্ছে। যাতে দরিদ্র প্রসূতিদের দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা যায়।

-প্রথম আলো। 

বিচারহীন অবস্থা ই নারী নির্যাতন কে উৎসাহিত করছে

1402155849.
দেশে ধর্ষণের ঘটনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৪৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হলেও অক্টোবর মাসে তা হয়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণেরও বেশি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান মতে, গত অক্টোবর মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে মোট ১০৩টি । তার মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৯ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১১ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৭ জনকে। এই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি সূচকই বেড়েছে। এমতাবস্থায় সমাজের বিশিষ্টজন মনে করেন, বিচারহীনতা ধর্ষণসহ সকল ধরনের নারী নির্যাতনকে উত্সাহিত করছে। আর সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল জানায়, তারা নারী নির্যাতনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। পূর্বের তুলনায় প্রকাশ বেশি হওয়ায় মনে হচ্ছে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলেছে।
মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে নারী নির্যাতনের ঘটনার রিপোর্টে আরও দেখা যায়, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন ৭ নারী এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ জন। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন ১১ জন । তার মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন ৯ জন । তার মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৬ জন নারীর ক্ষেত্রে। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছেন ২ জন। তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ১ জনকে। ৯৪ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪০ জন নারী।  এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১৬ জনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮ জন । তার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৫ জনকে। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ৩৮ জনকে। ফতোয়ার শিকার হয়েছেন ৩ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ২২ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং ২১ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১২ কিশোরী। নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই পুলিশ বাহিনীও। গত অক্টোবর মাসে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫ নারী। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ১২ জনকে। এছাড়া অন্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ মাসে ১৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় বাড়ি, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
কেন দিনদিন ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান ইত্তেফাকে বলেন, সকলের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে নারী নির্য়াতন হতো না। বিচারহীনতা নারী নির্যাতনকে উত্সাহিত করে। আমাদের এখানে ধর্ষণ করে কেউ শাস্তি পায় না। ধর্ষণের মামলা পুলিশ নিতে চায় না। দুই একটা যদিও নেয় তা শেষ পর্যন্ত শাস্তি দিতে পারে না অপরাধীকে। মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীর প্রতি চিরায়ত লোলুপ দৃষ্টিভঙ্গি ধর্ষণসহ সকল প্রকার নারী নির্যাতনের জন্য দায়ী । তারপর যোগ হচ্ছে নতুন নতুন কারণ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক,সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কারণেও আজ নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। নারীকে অপদস্ত করার প্রধান হাতিয়ার হিসাবে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য উপায় বেছে নেয়া হচ্ছে। শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত নয় , ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ শেষে তা প্রচার করেও তারা অর্থ উপার্জন করছে। এই সকল ক্ষেত্রে মানবিক মূল্যবোধের অভাব আছে। তা রোধ করতে সরকারের কঠোর হওয়ার আহবান জানান তিনি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল -ইসলাম বলেন, ধর্ষণের মামলা গ্রহণ ও শাস্তি দানের জন্য যথেষ্ট প্রশাসন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে দোষী ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা যায় না। তবে সরকার এই বিষয়গুলো উতরে ওঠারও চেষ্টা করছে।
সূত্র- ইত্তেফাক। 

দু'সন্তান কে হারিয়ে মনে হলো,আমি এক ব্যার্থ নারী!

6c2084980419c05326ae502a4679d0a2

দু’সন্তান হারিয়ে মনে হলো আমি এক ব্যর্থ নারী। মা হতে চেয়ে দু’ দু’বার গর্ভপাতের শিকার হয়ে আমার হৃদয় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। নিজের লেখা বই ‘এক্সট্রাক্টেড ফ্রম ইয়েস্টারডে, টুডে, টুমোরো’তে এমনই লিখেছেন এক সময়কার তুমুল জনপ্রিয় ইতালিয়ান তারকা অভিনেত্রী সোফিয়া লোরেন। তার লেখা বইয়ের খ-াংশ ছাপা হচ্ছে ডেইলি মেইলে।

সেখানে তিনি আরও লিখেছেন, ২৯ বছর বয়স যখন ছুঁয়েছি আমি, তখন থেকেই আমার সন্তান লাভের ইচ্ছা প্রচ- তীব্র হয়ে উঠলো। আমি শিশুদের খুব পছন্দ করতাম। ছবির সেটে, শিশুশিল্পীদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যেত। শুটিং শেষ হওয়ার অনেক পরও তাদের সঙ্গে থাকতাম আমি। ১৯৫৭ সালে ‘হাউজবোট’ চলচ্চিত্রে আমার সঙ্গে একটি ছোট্ট মেয়ে অভিনয় করেছিল। সমপ্রতি সে জানালো যে, সে দাদী হয়েছে। কিন্তু ১৯৬৩ সালে ২৯ বছর বয়সী কেউ প্রথম মা হবে, বিষয়টি বেমানান ছিল। আমি তখন দ্বিধান্বিত ছিলাম আদৌ আমি মা হতে পারবো কিনা। কাকতালীয়ভাবে ইতালির নেপলসে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মা হিসেবে অভিনয় করতে গিয়ে আমি গর্ভধারণের লক্ষণ অনুভব করি। বেশ কয়েকদিন ধরে আমার মধ্যে এমন মা হওয়ার একটা আলাদা বোধের জন্ম নেয়। শেষ পর্যন্ত আমি ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। কিছু পরীক্ষার পর জানা গেল আসলে আমার অনুমান সত্য নয়। তবে এরপরও আমার সেই অদ্ভুত অনুভূতি রয়ে যায়।

এরপর রোম থেকে একজন ‘বিশেষজ্ঞ’ এলেন। তার হাতে একটি কালো চামড়ার ব্রিফকেস ছিল। যখন সে এটি খুললো, আমি চমকে উঠলাম! এর ভেতর একটি ছোটো সবুজ ব্যাঙ ছিল, যেটি আমার দিকে তাকিয়ে ছিল! আমাকে আরও হতভম্ব করে দিয়ে ডাক্তার আমার সামান্য মূত্র নিয়ে ব্যাঙের শরীরে ঢুকিয়ে দিলো। এরপর আমাকে বললো, যদি ব্যাঙটি মারা যায়, তবে বোঝা যাবে তুমি গর্ভবতী! বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাঙটি নড়াচড়া করতে লাগলো অদ্ভুতভাবে। মনে হচ্ছিল যেন, এর মাথায় কেউ ঘা দিয়েছে! কিন্তু এটি মারা যায় নি! বিরক্ত হয়ে আমি চলে এলাম এবং কিছুক্ষণের জন্য হাঁটতে বের হলাম। একই সঙ্গে বেচারা ব্যাঙকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেয়া হলো। ‘খুব খারাপ’- আমি নিজেকে নিজে বললাম। কিছুক্ষণের জন্য ভাবলাম আমি বোধ হয় গর্ভবতী। সত্যি কথা হলো, আমি আসলেই গর্ভবতী ছিলাম। যখন ব্যাপারটি নিশ্চিত হলো, আমি খুবই খুশি হলাম। এতটা খুশি আমি এর আগে কখনই হই নি। আমি আমার সন্তানের মুখ দেখার জন্য কিছুতেই অপেক্ষা করতে পারছিলাম না! কিন্তু এর পরের দিনগুলো এত সুখের সঙ্গে অতিক্রম করি নি আমি। সত্যি বলতে কি, সে দিনগুলো ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ ও বিষণ্ন দিন। আমি শুধু এতটুকুই বলতে পারি, কিছু একটা ঠিক ছিল না। এরপর আমি আরেক ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করলেন এবং পরামর্শ দিলেন যাতে আমি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে কোথাও না যাই। তাই আমি আমার ছবির পরবর্তী লোকেশন মিলানে গিয়েছিলাম ট্রেনে করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমার প্রথম দৃশ্য ছিল একটি গাড়িতে চড়ে বাধা বিপত্তি অতিক্রম করা। এটা সত্যিকার গাড়ি ছিল না। তবে নকল হলেও, সত্যিকার গাড়ির চেয়েও খারাপ ছিল! মিলানে প্রথম দিনই আমি মারাত্মক যন্ত্রণায় ভুগি। হোটেলের লিফটে চড়তে না চড়তেই আমি প্রায় অচেতন হয়ে পড়ি। আমি এখনও হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা আমাকে কল্পনা করতে পারি। হাসপাতালের আলো, সাদা দেয়াল এবং অদ্ভুত এক গন্ধ আমার হৃদয়কে যেন ছেদ করে যাচ্ছিল।

সেদিন রাতে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা পেয়েছি এক নার্সের ঘৃণাপূর্ণ মুখ দেখে। তারা সবাই আমাকে দোষী মনে করছিল। বিশ্বের আর সবার মতো, তারাও জানতো যে আমি আমার পার্টনার প্রযোজক কার্লো পন্টিকে বিয়ে করি নি। কিন্তু এর কারণও ছিল। তার আগের বিবাহিত জীবন বহু আগেই ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু ইতালিতে তখনও ডিভোর্স ছিল অবৈধ। সে সব নার্সরা ভেবেছিল যে, তারা সত্যিকার গল্প জানে। কিন্তু তারা আসলে আমার সমপর্কে বা আমার ইচ্ছা ও ভয় সমপর্কে কিছুই জানে না। তারা ছিল অমানবিক ও অনুভূতি বিবর্জিত মানুষ। আমার সমপর্কে তাদের এই ভিত্তিহীন অপমান ছিল কুসংস্কার ও অজ্ঞতার ফসল। শেষ পর্যন্ত আমি সন্তান জন্ম দিতে পারি নি। তার আগেই আমার সন্তান মারা যায়। এরপর আমি সোজা কাজে চলে যাই। কিন্তু এরপর আমি অনেকটা শূন্যতা বোধ করি। আমি সামনে তাকাবার মতো কিছু খুঁজে পাই না। আমাকে সান্ত্বনা দেয়ার মতো কিছুই যেন ছিল না। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে প্রস্তুত হতে চলা নতুন মায়ের যে সুখ, সে তুলনায় তারকা হিসেবে আমার জীবন যেন কিছুই মনে হচ্ছিল না আমার কাছে।

চার বছর পর ‘মোর দ্যান অ্যা মিরাকল’-এর শ্যুটিং চলাকালে আমি আবার গর্ভবতী হই। এবার আমি আরও প্রস্তুত ছিলাম। প্রথম লক্ষণ দেখা যাওয়া মাত্রই আমি কার্লোকে ডাকলাম। বলে উঠলাম, আমি গর্ভবতী! কিন্তু এবার আমি আরও সতর্ক থাকবো। আমি কোন ঝুঁকি নিতে চাই না। আমি নিজেকে বাধ্য করলাম বিছানায় শুয়ে থাকতে। আমি কিছুই করি নি। আমি কিছু পড়ি নি, টিভি দেখি নি। আমি এমনকি যতটা সম্ভব খুব আস্তে কথা বলছিলাম এবং আমার পেট সপর্শ করাটাও এড়িয়ে যাচ্ছিলাম। যদি আবার এতে আমার সন্তানের কোন ক্ষতি হয়! কিন্তু মনের ভেতর কে যেন বলছিল যে, একই জিনিস বোধ হয় আবার ঘটবে। যন্ত্রণার প্রথম লক্ষণ ভালোই ছিল, এখনও আমি খুব ভালো করে মনে করতে পারি। আমাদের রোমান পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত সুন্দর প্রাসাদে আমার পাশে ছিল প্রিয় বন্ধু বাসিলো। কার্লো তখন লন্ডনে ছিল কাজে। বাসিলো ডাক্তার ডেকে এনেছিল। ডাক্তারকে সে বলছিল, তাড়াতাড়ি আসুন। সে কুঁচকে যাচ্ছে, ভূতের মতো সাদা হয়ে যাচ্ছে। তার বোধ হয় অসহ্য লাগছে। কিন্তু আমার মহান ও জ্ঞানী ডাক্তার  অহংকারী আত্মবিশ্বাসী সুরে বললেন, চিন্তার কোন কারণ নেই। তাকে কিছু ক্যামোমিল খাওয়ান। আমরা এ নিয়ে আগামীকাল কথা বলবো। 

আগামী পর্ব- আমার কক্ষে তখন অন্যরকম উষ্ণতা

সূত্র- মানবজমিন। 

উন্নত কৃষিখাত তৈরীতে পিছিয়ে নেই গ্রামীণ নারীরা

1403685253_nari

দেশে ৭০ শতাংশের বেশি ভূমিহীন নারী কৃষিকাজে জড়িত। জীবন-জীবিকার তাগিদে গ্রামীণ নারীরা (গৃহিণী) ঘর ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন কৃষিকাজ, ব্যবসা বা চাকরিতে। নারীই এখন প্রতিদিন আয় করছেন গড়ে ১৫০-২০০ টাকা। প্রত্যেকের প্রত্যাশা, দিনকয়েক বাদে দৈনিক এ আয় দাঁড়াবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। সারা বছরই নানা ধরনের কৃষিকাজে শ্রম দিয়ে উপার্জন করেন তারা। মজুরির ক্ষেত্রে পান পুরুষের অর্ধেক। এরপরও লড়ে চলেছে গ্রামীণ জনপদের সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজ। বৈষম্য ঘোচানের লড়াইয়ে আমরা তাদের শ্রদ্ধা জানাই।
নারীপ্রধান পরিবারের সংখ্যা বাড়ার অন্যতম কারণই হচ্ছে টিকে থাকার লড়াই যা বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির চরিত্র। গত এক দশকের ব্যবধানে কৃষিকাজে প্রত্যক্ষভাবে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বেড়েছে ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ। ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী, কৃষিকাজে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মোট শ্রমশক্তির মাত্র ৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। আর সংস্থাটির সর্বশেষ ২০১০ সালের জরিপ অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশে।
তুলনামূলক নিম্নমজুরি কৃষিকাজে নারীদের যুক্ত হতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীর মজুরি এখনও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম। ২০১১ সালের জুলাই-আগস্টে একজন নারীর খাবার ছাড়া দৈনিক মজুরি ছিল ১৭৭ থেকে ১৭৯ এবং পুরুষের ছিল ২৩৬ থেকে ২৩৯ টাকা।
কৃষিকাজে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ার ক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈষম্য রয়েছে। এখনও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। তবে অগ্রগতি হয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়- বিশেষ করে রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাটে। এছাড়া কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলোয় কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জেও কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
জীবন-জীবিকার তাগিদে গ্রামীণ নারী ঘর ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন কৃষিকাজ, ব্যবসা বা চাকরিতে। সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি কিংবা ক্ষুদ্র ঋণ ও কৃষিব্যবস্থায় পরিবর্তনশীলতা একে আরও ত্বরান্বিত করছে। বর্তমানে ৭০ শতাংশের বেশি ভূমিহীন নারী কৃষিকাজে জড়িত। পারিবারিক ভাঙন সমাজে স্বামী পরিত্যক্ত ও বিধবা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যূনতম প্রশিক্ষণহীন এক নারীকে কৃষিজীবী নারীতে পরিণত করছে প্রতিদিন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো দায়িত্বশীল পুরুষ ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলের নারীপ্রধান ৫৮ শতাংশ পরিবার। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, বিধবার হার উত্তরবঙ্গে সর্বোচ্চ। ফলে এ অঞ্চলের জেলাগুলোয় নারীপ্রধান পরিবারের আধিক্য রয়েছে।
আর ৭২ শতাংশ পরিবারের নারীপ্রধানের বয়স ৩০ থেকে ৪৯ বছর। আবার পরিবারপ্রধান হওয়ার পর ৯০ শতাংশ নারীর পেশা পরিবর্তন হচ্ছে, যারা আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করছেন।
পেশা পরিবর্তনে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বসতবাড়িকেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ব্যবসা কিংবা কৃষিকাজ। উত্তরাঞ্চলের ৬৫ শতাংশ পরিবারপ্রধান নারী এখন এ দুটি খাতে কাজ করছেন। পরিবর্তিত গ্রামীণ অর্থনীতির কারণে কৃষিক্ষেত্রে অধিক সংখ্যক নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বরাদ্দ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। এর প্রায় ৪৬ শতাংশই ব্যয় করা হচ্ছে নারীর উন্নয়নে। কৃষি খাতের মোট বাজেটের ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ ব্যয় করা হচ্ছে একই কাজে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এসএম নাজমুল ইসলাম বলেন, কৃষি উন্নয়নে নারীর অবদান বিবেচনা করেই বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকেও সচ

প্রাথমিক-মাধ্যমিকে এগিয়েছে মেয়েরা

bnimg-209771-2012-11-05

সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ঠিক করা সময়সূচির আগেই বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রছাত্রীর সমতা অর্জিত হয়েছে। উপরন্তু মাধ্যমিক স্তরে মোট শিক্ষার্থীর ৫৩ শতাংশই ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়ও মেয়েদের অংশগ্রহণ প্রতিবছর বাড়ছে। 
জেনেভাভিত্তিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘বিশ্ব লিঙ্গবৈষম্য প্রতিবেদন ২০১৪’-এ প্রাথমিক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের (এনরোলমেন্ট) সূচকে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মাধ্যমিক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের সূচকেও এই অঞ্চলের প্রথম সারির ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদনে নারীশিক্ষায় গত বছর ১৩৬টি দেশের মধ্যে ১১৫তম অবস্থানে থাকলেও এবার বাংলাদেশ ১১১তম অবস্থানে উঠে এসেছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী তিন বছরে উচ্চমাধ্যমিক ও সাত বছরে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ সমান করা হবে। তিনি বলেন, মানুষের সচেতনতা ও উপবৃত্তিসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের ফলে নারীশিক্ষায় এই অগ্রগতি হয়েছে। এর ফলে এখন ওপরের শ্রেণিগুলোতেও নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রাথমিক স্তরে যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে, তার মধ্যে ৫০ দশমিক ১ শতাংশ ছাত্রী। বাকিরা ছাত্র। সংখ্যার হিসাবে প্রাথমিকে এখন ৯৮ লাখ চার হাজার ২০ জন ছাত্রী পড়াশোনা করছে। আর ছাত্র পড়ছে ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ৯৫৩ জন।
ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীর সংখ্যা আরও বেশি; ৫৩ শতাংশ। আর ছাত্র ৪৭ শতাংশ। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)
পরীক্ষায় পাসের হারেও ছাত্রীরা প্রতিবছর এগিয়ে চলছে। ২০০৯ সালে যেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, সেখানে ২০১৪ সালের পরীক্ষায় ছাত্রীদের পাসের হার ৯২ দশমিক ১২ শতাংশ। অবশ্য গত কয়েক বছরে মোট পাসের হারও বাড়ছে।

2b94dd45146d65245057891c9a461a6e-42
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নারীশিক্ষার সমতা অর্জনের সবচেয়ে বড় কারণ হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন হলেও শিক্ষা, বিশেষ করে নারীশিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারটি আরও শক্ত হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, আগে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা অবৈতনিক ছিল। নব্বইয়ের পর বিএনপি সরকার প্রথম মেয়াদে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের অবৈতনিক করল। আওয়ামী লীগ সরকার এসে সেটাকে প্রথমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত করল। এখন ডিগ্রিতেও (পাসকোর্স) নারীশিক্ষা অবৈতনিক। এর মধ্যে উপবৃত্তি এই অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। এ ছাড়া শিক্ষার প্রতি জনমানুষের মধ্যে বিরাট চাহিদা তৈরি হয়েছে। এটাও কাজে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছে।
ব্যানবেইসের হিসাবে, কলেজশিক্ষায় ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের চেয়ে কিছুটা কম। এই স্তরে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ শতাংশ ছাত্রী, মানে ৩ শতাংশ পিছিয়ে আছে ছাত্রীরা। তবে পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছরই কলেজ পর্যায়ে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ২০১২ সালেও ছাত্রীদের হার ছিল ৪৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মাদ্রাসাশিক্ষায়ও ছাত্রী বেশি। মোট শিক্ষার্থীর ৫৩ দশমিক ১৪ শতাংশ ছাত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, গত মহাজোট ও বর্তমান সরকার সম্মান কোর্স চালু, পাঠ্যক্রম সংশোধনসহ মাদ্রাসাশিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে এখন মাদ্রাসায়ও নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে।
ব্যানবেইসের হিসাবে চিকিৎসা, আইনসহ পেশাগত শিক্ষায়ও এগিয়ে চলছে নারী। তিন বছর আগে ২০১১ সালে পেশাগত শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ ছিল ৩৬ শতাংশের কিছু বেশি। ২০১৩ সালে এসে এই হার ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখন যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে তার ৩৩ শতাংশ নারী। ২০১২ সালেও এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
তবে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে নারীর অংশগ্রহণ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বাড়ছে।
এর কারণ জানতে চাইলে রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, নিরাপত্তার অভাবের কারণে এখনো অনেক মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের উচিত হবে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং সচেতনতা বাড়ানো। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। সচেতনতা ও উদ্যোগ বাড়ালে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ওপরের শ্রেণিতে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়ে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কিছু বাধার কারণে এটা হচ্ছে। যেমন মেয়েদের বাড়ির বাইরে গিয়ে পড়ার জন্য প্রথমত থাকার বিষয়টি একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মেয়েদের জন্য আবাসিক সুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য এখন সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ছাত্রদের জন্য একটি ছাত্রাবাস করলে ছাত্রীদের জন্যও আরেকটি করা হবে।

হার না মানা শাহনাজ এর গল্প

52a8b72344d8a-8

রাশিদা খাতুনঃ আপনার নামটা বদলে কী লেখা যায় বলেন তো?
প্রশ্ন শুনেই একটু থমকে যান তিনি। বলেন, ‘আমার গল্প আরেকজনের নামে কেন লিখবেন? আমি কি আপনাদের থেকে ভিন্ন কেউ। কেন পরিচয় লুকাতে হবে। আমার চেহারায় কি মানুষের ছাপ নেই?’ কথাগুলো বলছিলেন শাহনাজ বেগম। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত বেসরকারি সংস্থা দুর্জয় নারী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়ক শাহনাজ বেগম। জীবনে বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজকের এ অবস্থানে এসেছেন তিনি।
শাহনাজের জীবনকাহিনি শুনতে ১৮ নভেম্বর যাই তাঁর শ্যামলীর বাসায়। শাহনাজ জানান, চার ভাই ও দুই বোন নিয়ে আগে একটা সুখের সংসারই ছিল তাঁদের। থাকতেন মিরপুরে। বাবা ছিলেন মাছের ব্যবসায়ী। মা মারা গেলেন ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তখন শাহনাজের বয়স ১২ বছর। ঠিক ৪০ দিন পর বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। সৎমা এসে শাহনাজদের নির্যাতন করা শুরু করেন। মা-বাবা ভাত খেলেও তাঁদের দেওয়া হতো শাক আর আটার ঘন্ট। এরপর বাবা এক বোনকে যেন কোথায় দিয়ে দেন। তাঁর খোঁজ আর কোনো দিন পাওয়া যায়নি। সংসারে সৎমায়ের নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য তিনি দূর সম্পর্কের এক মামার কাছে কাজ চেয়েছিলেন। মামা যে কাজের ব্যবস্থা করে দিলেন সেটা ছিল যৌনকর্ম। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তাঁকে এ পেশায় থাকতে হয়েছে। যার অধীনে তাঁকে কাজ করতে হতো তিনিই নিয়ে যেতেন শাহনাজের অর্জিত সব টাকা। বিনিময়ে থাকা-খাওয়া মিলত বিনা পয়সায়। সে সময়ের স্মৃতি উল্লেখ করে শাহনাজ বলেন, বয়স কম হওয়ায় তিনি ভালোভাবে খদ্দেরের চাহিদা মেটাতে পারতেন না। এর ফলে নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। বস্তিবাসী এবং ভবঘুরেদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ১৯৯৬ সালে মেরী স্টোপস ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শাহনাজকে এলাকাভিত্তিক মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়। শাহনাজ নিয়োগ পান মেরী স্টোপস ক্লিনিকের মহাখালী শাখায়। সে সূত্রে তিনি মহাখালী, শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর বস্তির নারীদের পাশাপাশি, যৌনকর্মীদের ক্লিনিকে নিয়ে আসতেন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য। পূর্বপরিচিত একজন তাঁকে ঘর করার স্বপ্ন দেখালেন। শাহনাজ বিয়ে করলেন তাঁকে। ২০০১ সালের জন্ম নিল এক পুত্রসন্তান। সে বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে। তবে শাহনাজ বুঝতেন এ ঘরে টিকে থাকা কঠিন হবে। হলোও তা-ই। স্বামীর নিষেধ সত্ত্বেও শাহনাজ দিন-রাত কাজের পিছে ছুুটেছেন। শাহনাজের স্বামী তাঁর ওপর আস্থা রাখতে পারেননি। তিনি আবার বিয়ে করেছেন। ফিরে গেছেন নিজ গ্রামে। এ সময়ের মধ্যে কেয়ার বাংলাদেশ ও মেরী স্টোপস ক্লিনিকের যৌথ প্রজেক্ট ‘শক্তিতে’ কাজ করেন শাহনাজ। এইচআইভি প্রতিরোধসহ যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীর নিজস্ব উদ্যোগ কী হওয়া উচিত বুঝতে পারেন শাহনাজ। শাহনাজের কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে ১৯৯৭ সালে কেয়ার বাংলাদেশ তাঁকে ভারতের যৌনপল্লি ‘সোনাগাছি’ পরিদর্শনে পাঠায়। ওই যৌনপল্লির কর্মীরা গড়ে তুলেছেন দুর্বার মহিলা সংগঠন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। নিজেদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য। শাহনাজের মনে হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশেও দরকার। ফিরে এসে কেয়ার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পরামর্শ ও সহযোগিতায় ঢাকার শ্যামলীতে গড়ে তুললেন ‘দুর্জয় নারী সংঘ’। এই সংঘ যৌনকর্মীদের স্বার্থে কাজ করছে। স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি সেলাই প্রশিক্ষণ, মোমবাতি তৈরি, ব্যাগ তৈরি শেখাচ্ছেন তাঁদের। যাঁদের অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে ফিরে গেছেন ঘরে। প্রতিবছর ৫০ জন বা তাঁরও বেশি যৌনকর্মীর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে যায়। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারলে আইনি লড়াই করেন শাহনাজ। শাহনাজের স্বপ্ন, যেন কোনো মেয়ে ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে এসে যৌনকর্মী না হয়। এইচআইভি/ এইডস প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য কানাডা থেকে দুর্জয় নারী সংঘ পায় ‘রেড রিবন’ পুরস্কার। ইউক্রেন, থাইল্যান্ড
, জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের এই সংস্থা ‘রেড রিবন’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় ২০০৬ সালে।

শাহনাজের পুঁথিগত বিদ্যা নেই। কিন্তু জীবনের কাছে শিখে নিয়েছেন হার না মানার শিক্ষা।

শীতের ৫টি সমস্যার সমাধান করবে লবন!

images

শীতকাল এসেছে। আবহাওয়ার রুক্ষতার দরুন নানান ধরণের রোগ শোকের প্রবণতাও বেড়েছে। অল্পতেই গলায় খুশখুশে কাশি, কিংবা হঠাৎই ফ্লুয়ের আক্রমণ- এই সবই শীতকালের অংশ। আবার ত্বকের অবস্থাও বেশ নাজুক হয়ে যায় এই শীতে। এই সব থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে থাকেন সবাই। কিন্তু অনেকেই জানেন না মজার একটি তথ্য। রান্নাঘরের যে ছোট বয়ামে আপনি লবন রাখেন, সেখানেই আছে আপনার সকল সমস্যার সমাধান। লবণ যেমন রান্নার কাজে অতি দরকারি একটি জিনিষ ঠিক তেমনি এই শীতে শীতকালীন অনেক সমস্যার সমাধানেও লবন অতি জরুরী। আজ জেনে নিন লবণের ব্যাতিক্রম কিছু উপকারের কথা… 

কানের ইনফেকশন জনিত ব্যথা দূর করতে লবণ
শীতকালে কানে ব্যথা রোগে ভুগে থাকেন অনেকেই। কানের ইনফেকশনের জন্য হয়ে থাকে এই ব্যথা যা অনেক কষ্টদায়ক। অনেকেই কানের ব্যথায় তেল ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু এটা একটি ভুল চিকিৎসা। কানের ব্যথা উপশমে আপনার দরকার শুধুমাত্র লবন।

এক কাপ পরিমাণ লবণ গরম করে নিন প্যানে কিংবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে। একটি মোটা কাপড়ে গরম লবণ নিয়ে কানে সহ্য করার মতো তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপরে শুয়ে থেকে ৫ মিনিট ধরে এই লবণের ভাপ নিতে থাকুন কানে। এভাবে প্রতিদিন ৩/৪ বার ভাপ নিন। কানের ইনফেকশন দূর হবে ।

ফ্লু রোধে লবন
শীতকালে সব চাইতে যন্ত্রণাদায়ক রোগ হচ্ছে ফ্লু। আর ফ্লু হওয়া মানেই ৩/৪ দিনের বিছানাবাস। নাক বন্ধ হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হওয়া জনিত এই ফ্লু থেকে অতি সহজেই নিস্তার পেতে পারেন লবনের মাধ্যমে।
২৫০ মিলি লিটার হালকা গরম পানিতে ১/৪ চা চামচ লবন ও ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এরপরে একটি পাম্প সিরিঞ্জের মাধ্যমে এই হালকা গরম পানি নাকে প্রবেশ করান। একপাশের নাক আঙুল দিয়ে চেপে ধরে অন্য পাশে এই হালকা গরম পানি প্রবেশ করান ও বয়ে যেতে দিন। এতে করে নাক বন্ধ সমস্যা দূর হবে। এবং পাশাপাশি ফ্লুয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মুক্ত হবে।

গলার খুশখুশে কাশি দূর করতে লবনের ব্যবহার
গলার খুশখুশে অনুভূতি ও কাশি দূর করার সব চাইতে প্রচলিত ও সর্বজন স্বীকৃত সহজ উপায় হচ্ছে লবণ গরম পানির গারগল। অনেকেই মনে করে থাকেন গারগলে তেমন উপকার পাওয়া যায় না। কিন্তু এটি অনেক কার্যকরী একটি ঔষধ শীতকালীন এই সমস্যা দূরীকরণে।

২৫০ মিলি লিটার গরম পানিতে ১ চা চামচ লবন দিয়ে মিশিয়ে নিন। পানির গরম আপনি যতটুকু সহ্য করতে পারবেন ততোটুকু নিন। এরপর এই গরম পানি দিয়ে গারগল করুন দিনে ৩/৪বার। সব চাইতে সহজ হলেও গলার খুশখুশে অনুভূতি ও কাশি দূর করার সব থেকে দ্রুত উপায় হচ্ছে লবন গরম পানির গারগল।

ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে লবন
শীতকালে সবার ত্বকেই আসে শুষ্কতা। এই শুস্কতা দূর করার অনেক উপায়ের মধ্যে সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে লবনের ব্যবহার। শীতকালে কম বেশি সবাই গরম পানিতে গোসল করে থাকেন। এই গরম পানির মধ্যে লবন মিশিয়ে নিন। এতে করে ত্বকের আদ্রর্তা বজায় থাকবে ও ত্বক নরম ও কোমল হবে।

সাইনাসের সমস্যা দূর করতে লবন
শীতকালে সাইনাসের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যাদের এই সমস্যা আছে একমাত্র তারাই জানেন কতোটা দুর্ভোগ পোহাতে হয় এই জন্য। কিন্তু শীতে সাইনাসের সমস্যাও কমাতে পারে লবন।

একটি পাত্রে ১ লিটার ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চা চামচ লবন ও ১ চা চামচ বোরিক পাউডার দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর এই পানির ভাপ নিতে থাকুন নাক দিয়ে। এতে করে অনেক উপশম হবে সাইনাসের সমস্যার।

তথ্যসূত্র: প্রিয় লাইফ

শীতে শিশুর নিউমোনিয়া!

524985_438087176202447_238645559479944_1690669_614473801_n

আমাদের দেশে সাধারন শীতের শুরু দিকে অনেকেই বিশেষ করে শিশুরা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়। ঋতু পরিবর্তন সেই সাথে এই ঠান্ডা আবার গরম সব মিলিয়ে শিশুরা সহজেই সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে,যে সর্দিকাশি মানেই নিউমোনিয়া নয়! তবে যদি তেমন কিছু হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কি করনীয়? 

ঘটনা-১
বেশ কদিন ধরেই ঐশী (কাল্পনিক নাম) দারুণ সর্দিকাশিতে ভুগছে। সঙ্গে জ্বরও আছে। সারা রাত ঘুম নেই। ওষুধেও কিছু হচ্ছে না। তাঁর অভিভাবকদের আশঙ্কা এটা কি নিউমোনিয়া?

ঘটনা-২
স্কুলে শান্তর (কাল্পনিক নাম) এক বন্ধুর নিউমোনিয়া হয়েছে। সে নিজেও কয়েক সপ্তাহ আগে জ্বর থেকে উঠল। শান্তরও নিউমোনিয়া হতে পারে কি?

এটা কি ছোঁয়াচে রোগ?
নিউমোনিয়া নিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন আসে আমাদের মনে। এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য রোগ মিলিয়ে শিশুমৃত্যুর চেয়ে নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেশি।

নিউমোনিয়া কী?
নিউমোনিয়া হচ্ছে ফুসফুসের ইনফেকশন। ভাইরাল ইনফেকশন ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ শিশুদের শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বড়দের তুলনায় কম। দ্বিতীয়ত, পরিবেশগত ও অন্যান্য কারণে শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি কখন বাড়ে?
*শিশুদের ফুসফুসের রোগ থাকলে-যেমন অ্যাজমা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস (যেখানে পাকস্থলী, প্যানক্রিয়াস প্রভৃতি জায়গায় দেহের মিউকোসাল) সিক্রেশন চটচটে হয় বলে ফুসফুসে ইনফেকশন হয়।

* শিশুর শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি জোড়া থাকলে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে খাবার খেলে সেটা শ্বাসনালিতে ঢুকে যায়।
শিশু যা খায় তা-ই বমি করে ফেলে দেয় বা খাবার পেট থেকে ফুসফুসে ফেরত চলে যায়।

* পেশি দুর্বল থাকলে আক্রান্ত শিশুরা ভালো করে কাশি দিয়ে কফ বের করতে পারে না। খাবার শ্বাসনালিতে ঢুকলেও কাশি দিতে পারে না।
অনেক ক্ষেত্রে জ্নগতভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এ ছাড়া এইডস, থেলাসেমিয়া হলেও প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকায় নিউমোনিয়া
হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

সাধারণ সর্দিকাশি ও নিউমোনিয়া
শিশুদের সাধারণত সর্দি-কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। বিশেষ কয়েকটি লক্ষণ থেকে বোঝা যাবে শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে কি-না।

প্রথমত সর্দিকাশি, জ্বরের সঙ্গে শিশু যদি খুব দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে, দুই বছরের কম বয়সের শিশু যদি প্রতি মিনিটে ৫০ বারের বেশি নিঃশ্বাস নেয় এবং দুই বছরের বেশি বয়সের শিশু যদি প্রতি মিনিটে ৪০ বারের বেশি নিঃশ্বাস নেয়, তাহলে বুঝতে হবে এটা সাধারণ সর্দিজ্বর নয়।

দ্বিতীয়ত, শান্ত থাকা অবস্থায় শিশুর যদি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, নিঃশ্বাস নিতে গেলে ঘড়ঘড় আওয়াজ হয়, তাহলে তা নিউমোনিয়ার লক্ষণ।

নিউমোনিয়া কি ছোঁয়াচে?
শিশুদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাই ছোঁয়াচে বলা যেতে পারে। শিশুদের নাকে-কানে নিউমোনিয়া হওয়ার ব্যাকটেরিয়া মজুদ থাকে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?
* নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় শিশুর পেট ভেতরে ঢুকে গেলে।
* নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাক ফুলে উঠলে।
* মুখ ও ঠোঁটের চারপাশ নীল হলে, সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হলে।
* বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হলে। এ অবস্থায় সাধারণত শিশু বুকের যেদিকে ব্যথা করে সেদিকটা ধরে থাকে। যেদিকে ব্যথা সেই দিকে পাশ ফিরে শুয়ে থাকে। হাঁটু মুড়ে, হাঁটুটাকে বুকের কাছে এনে পাশ ফিরে থাকে।
* ঘন ঘন শুকনো কাশি হলে। কাশি হতে থাকলেও কফ বের করতে না পারলে।
* সব সময় মনে একটা অস্বস্তি, দুশ্চিন্তার মতো থাকলে।

চিকিৎসা
প্রথমেই রুটিন রক্ত পরীক্ষা আর বুকের এক্স-রে করা দরকার। এক্স-রেতে জানা যায় নিউমোনিয়া হয়েছে কি না, আর রুটিন রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়বে শিশুর ভাইরাল না ব্যাকটেরিয়াল, কোন ধরনের নিউমোনিয়া হয়েছে। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শমতো তাড়াতাড়ি অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করতে হবে।

প্রয়োজন হলে শিশুকে স্টিম ভেপার দেওয়া যেতে পারে; কাফ মেডিসিনও নিতে হতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে প্রথম থেকেই ভালোভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশ-সব দিকেই বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার।

খাওয়া-দাওয়া
মায়ের দুধ খাওয়ানো অপরিহার্য। এর কোনো বিকল্প নেই। অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচতে শাকসবজি, তাজা ফল, টাটকা মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রয়োজনে ভিটামিন সিরাপও খাওয়ানো যেতে পারে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, খাবারে যেন যথেষ্ট পরিমাণে জিংক থাকে। এ জন্য শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে কচি মুরগির মাংস, পনির, মসুর ডাল, শিম, কর্নফ্লেক্স, চিঁড়া ইত্যাদি।

পরিবেশ
বহু লোকের ভিড়ে শিশুকে বেশি না নিয়ে যাওয়াই ভালো। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখুন শিশুদের। বিশেষ করে ধূমপান করা হয় এমন পরিবেশে থাকলে শিশুদের ফুসফুসে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ভ্যাকসিন
নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিনের চল এখন বেড়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভ্যাকসিন ব্যবহারে শিশুদের নিউমোনিয়া কমেছে।
মিজলস ভ্যাকসিন, হেমোফেলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন, নিউমোক্কাল ভ্যাকসিন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নিলে ভালো। এর মধ্যে হেমোফেলাস ও নিউমোক্কাল ভ্যাকসিন দেওয়া হয় দুই মাস বয়সে। মিজলস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নয় মাস বয়সে।

এভাবে প্রতিরোধ করা হলেও নিউমোনিয়া যে একেবারে হবে না তা নয়। বারবার নিউমোনিয়া হলে শিশুর মেনিনজাইটিস, অস্টিওম্যালাইটিস, আর্থাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

লেখকঃ ডাঃ গৌতম দাশগুপ্ত
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

শাকে দিন আলোর কিরণ

image_631_89953

পরের বার যখন সুপার মার্কেটে কিংবা অন্য কোথাও পাতাওয়ালা শাক কিনতে যাবেন, তখন দেখবেন এ শাকে আলোর কিরণ পড়ছে কি না। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, প্যাক করা শাকের মধ্যে রেফ্রিজারেটরের উজ্জ্বল আলোর কিরণ তিন দিন ফেলা হয়, তবে সে শাকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভিটামিন সি, কে, ই এবং ফোলিক অ্যাসিড থাকে।

এর মধ্যে বেশি মাত্রায় থাকে carolenoids lutein Ges zeaxanthen।
অপর দিকে শাক যদি অন্ধকারে মজুদ রাখা হয় তখন এতে হয় প্রোটিনের মাত্রা কমে যায় কিংবা স্থির থাকে, বাড়ে না। পাতাময় শাকে ক্ষেত থেকে তুলে আনার পরও সালোক সংশ্লেষণ ঘটে। জানিয়েছেন প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট ড. জিন লেস্টার।

তিনি উপরোল্লিখিত গবেষণা পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘সুপার মার্কেটে শাক সম্পূর্ণ ভালো পরিবেশে রাখা হয়, বিশেষ করে শাকের ওপর জ্বালানো থাকে ২৪/৭ লাইট।’ সব ধরনের শাকসবজির জন্যই আলোর কিরণ তেমনি উপকারী।

খাবার খেয়ে সারুন হাঁটুর ব্যথা

লাখো মানুষ ভোগে হাঁটুর ব্যথায়। এর কারণ অস্টিও-আর্থ্রাইটিস। সোজা কথায় হাড়সংশ্লিষ্ট বাত রোগের কারণে তা হয়। এ থেকে রেহাই পেতে অনেকে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে বাড়তি ওজন কমান। কেউ কেউ সার্জারির আশ্রয়ও নেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খেয়ে আরো মজাদার উপায়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।

ফল : মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফল খাওয়ার ফলে bone marrow lesion তথা হাড়ের মজ্জার সমস্যা সৃষ্টির ঝুঁকি কমে। এর ফলে সাধারণত হাঁটুর ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। হাঁটু সুস্থ রাখার জন্য চাই শহবব-knee-friendly fruit তথা হাঁটুবান্ধব ফল। আর এই হাঁটুবান্ধব ফল হচ্ছে সেগুলো, যেগুলোতে রয়েছে ভিটামিন সি। যেমন কমলালেবু, কিউই ফল, আঙুর ও পেঁপে।

সয়া : ওকলাহামা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব লোক তিন মাস ধরে প্রতিদিন খাবারের পর সয়াপ্রোটিন সেবন করেন ও অন্যান্য ওষুধ সেবন কমিয়ে দেন, তাদের হাঁটুর ব্যথা কম হয়। এই সমীক্ষায় অংশ নেয়া লোকদের খেতে দেয়া হয় গুঁড়ো সয়াপ্রোটিন, যাতে রয়েছে ৪০ গ্রাম প্রোটিন। একই ধরনের উপকার পাওয়া যাবে সয়াদুধ পান করেও। সয়াশস্য ও সয়া বার্গার খেয়েও একই সুফল পাওয়া যায়। এমনটিই জানিয়েছেন এ গবেষক দল।

মাছ : এক গবেষণা সমীক্ষায় জানা গেছে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থামিয়ে দিতে পারে সেই রাসায়নিককে যা কার্যত ওস্টিও-আর্থ্রাইটিস। এটি হাঁটুর কোমলাস্থি সুষ্ঠু রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন তৈলাক্ত মাছ খান যেমন মেকাবল কিংবা রুইজাতীয় মাছ। ১ গ্রাম ওমেগা-৩ ক্যাপসুল সেবন করুন প্রতিদিন।

 

কেমন আছে,বিদেশে আমাদের নারী শ্রমিকেরা?

 65233_nari-1

বাংলাদেশ থেকে এক হাজার নারী শ্রমিক সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আরব আমিরাত সফরে এই চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে নারী শ্রমিক পাঠানোর চুক্তিকে সাফল্য হিসাবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিদেশে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা কেমন আছে? সে চিত্র আমরা খুব কমই জানি।

এখন নারী শ্রমিক যাচ্ছে হংকং সিঙ্গাপুর ও আরব দেশগুলোতে।  নারী শ্রমিকের জীবনের অভিজ্ঞতা আমরা জেনে নেই। কেমন আছে তারা।

১.
১৬ বছরের পারভীন। পাসপোর্টে ২৬ বছর বয়স দেখিয়ে স্থানীয় দালালের মাধ্যমে লেবাননে গিয়েছিল কাজ নিয়ে। সেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করতে হতো তাকে। কাজ করতে না পারলে চলতো শারীরিক নির্যাতন। পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলার সুযোগ ছিল না তার। সেখান থেকে মুক্তির আশায় অন্য চাকরি খুঁজতে থাকে সে। এ সময় এক ব্যক্তি তার দুর্ভোগের কথা শুনে ভাল একটি চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সে ছিল এক দুর্বৃত্ত। তার খপ্পরে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। এরপর নানা ঘটনার জন্ম।

২.
আমাতন বিবি। ৩৫ বছরের এ বিধবার ৩ ছেলে। ছেলেদের ভবিষ্যৎ গড়তে দালালের প্রলোভনে পড়ে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে স্থানীয় দালালকে দেন ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু দালালের প্রতারণায় বিদেশেও যেতে পারেননি। টাকাও ফেরত পাননি। টাকা ফেরত পেতে এলাকার মাতব্বরদের কাছে ধরনা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। ওই টাকার সুদও বেড়েই চলছে। আমাতন ওই টাকা ফেরত পেতে প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন।

৩.
২০০৮ সালের ৩১শে অক্টোবর লেবাননে কর্মরত অবস্থায় নির্মাণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান বাংলাদেশী নারী কর্মী মনোয়ারা। ওই সময় বলা হয় তিনি ভবনের ওপর থেকে লাফ দিয়েছিলেন। দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১২ সালের মে মাসে প্রমাণ হয় মনোয়ারা কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু আজও ক্ষতিপূরণ পাননি ৪ সন্তানের জননী মনোয়ারার স্বামী ওমর আলী। মনোয়ারার অভিভাবক হিসেবে প্রমাণ করতে তিনি এখনও আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

৪.
বিদেশে নারী শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা কাজ করে তাদের পরিচালিত একটি গবেষনা প্রতিবেদনে ভয়বাহ চিত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের শুরু থেকে এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) পরিচালিত গবেষণাটি গত ৩০শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের মেঘনা হল রুমে বিভিন্ন অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হয়। ‘এক দশকে বাংলাদেশের নারী অভিবাসন: অর্জন, চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওই গবেষণায় বলা হয়েছে বাংলাদেশের নারী কর্মীরা কাজ নিয়ে যেসব দেশে যাচ্ছেন সেখানে তারা নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা সেখানে শিকার হচ্ছেন শারীরিক, যৌন এবং মৌখিক নির্যাতনের। অনেকে কাজের বিনিময়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না, যা পাচ্ছেন তা খুবই কম। আবার অনেকে বিনা বেতনেই কাজ করে যাচ্ছেন মাসের পর মাস। নির্যাতিত নারী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ভিকটিম ২৬৪ জন নারী শ্রমিকের মধ্যে ৩১ দশমিক ৩৩ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, মৌখিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। এছাড়া ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ কোন বেতন পাননি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগেছেন ৪৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

গবেষণায় দেখানো হয়েছে, গত দুই বছরে বিদেশে মহিলা কর্মী নিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক গুণ। আর এসব কর্মী মূলত যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। যেখানে ১৯৯১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত গড়ে প্রতিবছর বিদেশে নারী কর্মী গেছেন ১৪শ’ ৭৯ জন করে। সেখানে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে গেছে ২৫ হাজার ৭০২ জন। এসব কর্মীর ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বিধবা, ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ তালাকপ্রাপ্ত, বিচ্ছিন্ন এবং স্বামী পরিত্যক্তা। ৬৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বিবাহিত এবং ৯ শতাংশ অবিবাহিত। তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। দেখা গেছে, তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ ২০১১ সালে ০.৫০ শতাংশ, ২০১২ সালে ০.৫২ শতাংশ। আর ২০১৩ সালে মোট রেমিটেন্সে তাদের অবদান ০.৮১ শতাংশ। বেশিরভাগই গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে বেশ কিছু গার্মেন্টকর্মী হিসেবেও যাচ্ছেন।

সূত্র : মানবজমিন

ইয়াবার ভয়ংকর ছোবল!আসক্ত হচ্ছে স্কুল ছাত্রীরাও!

mojnubhaiblog_1316253447_1-_YABA_~1
অপরাজিতা ডেস্কঃ বি.বাড়িয়ায় মারণনেশা ইয়াবার আসক্তি দিন দিন বাড়ছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সীরা এ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। সাম্প্রতিককালে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের এ নেশায় আসক্ত হয়ে  পড়ার ঘটনায় অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সম্প্রতি জেলা শহরের একটি গার্লস স্কুলের এক ছাত্রীর ব্যাগে ইয়াবা পাওয়ার পরই এ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট চিকিৎসক, জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ডাক্তার মো: বজলুর রহমান গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্কুলছাত্রীদের ইয়াবা আসক্ত হওয়ার কথা উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ: মডেল গার্লস স্কুল ও আনন্দময়ী (নিতাই পাল) বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ব্যাগে ইয়াবা পাওয়া গেছে। ওই স্কুলের ছাত্রীরা ইয়াবা আসক্ত হয়ে পড়েছে। ওই সভায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দেয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধনাঢ্য পরিবারের এক মেয়ে নিজের ঘর থেকে টাকা চুরি করে নিয়ে এসে ধরা পড়ে স্কুলে। তার স্কুলব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় অনেক টাকা। ওই ছাত্রী শিক্ষককের কাছে অকপটে স্বীকার করে, ওই টাকায় ইয়াবা কেনাই ছিল তার উদ্দেশ্য।
এইচএসসির প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বেশ কয়েক দিন ধরে পড়ালেখায় অমনোযোগী। মা তাকে নিয়ে আসেন চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের জিজ্ঞাসার মুখে ওই ছাত্রী জানায়, সে ইয়াবার আসক্ত। ইয়াবা আসক্তির পর থেকেই সে অস্থিরতায় ভুগছে।
ওই দুই ছাত্রীর মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরো অনেক ছাত্রীই এখন ইয়াবায় আসক্ত। জেলার সুধীজনেরা এ নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেনও ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ডা: বজলুর রহমান বলেন, ছাত্রীদের ইয়াবা আসক্তির বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। মূলত ছেলেবন্ধুদের প্ররোচনায় তারা ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবার আগে অভিভাবকদেরই সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।
ইয়াবা ট্যাবলেট সম্পর্কে তিনি বলেন, অন্যান্য মাদকের মতো কারো ইয়াবার আসক্তির বিষয়টি খুব তাড়াতাড়ি বুঝা যায় না। এ মাদক তিলে তিলে একজন মানুষকে শেষ করে দেয়। ইয়াবার টাকা জোগাড়ের জন্য খুন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই করতেও আসক্তরা দ্বিধা করে না। ইয়াবা আসক্তিতে অকাল মৃত্যু অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ: মডেল গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা পারভীন আক্তার বলেন, আমাদের স্কুলের মেয়েদের ব্যাগে ইয়াবা পাওয়ার বিষয়টি একটা গুজব। তবে আমরা অনেক দিন ধরেই স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সন্দেহ করছিলাম। কিন্তু তাদের স্কুল ব্যাগ চেক করে মোবাইলফোন ছাড়া কিছু পাইনি। একটি মেয়ের কাছে বেশি টাকা পাওয়া গেলে অভিভাবককে ডেকে বুঝিয়ে দিই। তাকে বেশ কিছু দিন স্কুলে আসতে দেয়া হয়নি। তবে এখন সে পরীক্ষাও দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা ওঠায় আমরা সতর্ক আছি। এমনকি প্রতিনিয়তই মেয়েদের নজরদারি করা হচ্ছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই একদিন মেয়েদের স্কুলব্যাগ চেক করা হয়। কিন্তু তখনো কিছুই মেলেনি। মূলত মেয়েরা ফেসবুকের
দিকে আসক্ত হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী নেত্রী তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত বলেন, একটি মেয়ের স্কুলব্যাগ থেকে ইয়াবা পাওয়ার পর বিষয়টি এখানেই শেষ তা ভাবলে আমরা ভুল করব। স্কুলের মেয়েদের ইয়াবা আসক্তির বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। একজন জনপ্রতিনিধি তার মেয়ের বরাত দিয়ে এক ছাত্রীর স্কুলব্যাগে ইয়াবা পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। ইয়াবা প্রতিরোধে কিভাবে সম্মিলিতভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করব।
এ দিকে গত চার মাসে পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় ১৩ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ প্রায় ৩০ জন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে। 

আত্নদ্বন্দ্ব

quote-canvas-art_10483-3অনেকক্ষণ থেকেই মনের ভেতর খচখচ করছে রুহির। কিছুতেই স্বস্থি পাচ্ছে না। কোন কাজে মনও বসাতে পারছে না। রুহির সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী নায়লা এসেছিল আজ। নায়লা যাবার পর থেকেই মনের মধ্যে এই অস্থিরতা ভর করেছে। কথায় কথায় নায়লাকে বলেছিল স্বামী রাহিবের বিশাল একান্নবর্তি পরিবারের কথা। বাড়ির বড় ছেলে হিসেবে ধরতে গেলে রাহিবের উপরই পুরো পরিবারের দায়িত্ব। এখনো দুটা ননদ আর ছোট দেবর পড়াশোনা করছে। শ্বশুর-শ্বাশুড়িও প্রায়ই অসুস্থ্য থাকেন। এই সবকিছুই রাহিবকে দেখতে হয়। পরিবারের প্রতি রাহিবের প্রচন্ড টান। রুহির অবশ্য ভালোই লাগতো পরিবারকে ঘিরে রাহিবের ভালোবাসা ও দায়িত্ব সচেতনতা দেখে। কিন্তু আজ নায়লা এসে সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো করে দিয়ে গেলো।

নায়লা আর খুব ভালো করেই রুহিকে বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছে ওদের নিজেদেরও যে নিজস্ব একটা ভবিষ্যৎ আছে। উপার্জনের সমস্ত অর্থ এভাবে পরিবারে বিলিয়ে দিলে চলবে না। পরিবারের লোকজনের চাহিদা থাকবেই। তাই বলে সবার সব চাহিদা তো পূরণ করা যাবে না। আর গেলেও করা উচিত নয়। এতে সবার চাহিদা আরো বেড়ে যাবে। রোজ রোজ নানা বাহানায় এসে হাজির হবে। এখন থেকেই তাই রুহির এসব ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বশুরবাড়ির সবার সব সমস্যা দেখার কোন প্রয়োজন নেই। চোখের সামনে পড়ে গেলেও এড়িয়ে যেতে হবে। রাহিবও যাতে সবকিছু না দেখে সে ব্যাপারেও তাকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।

রুহির একবার মনেহচ্ছে নায়লার পরামর্শগুলো খুবই বাস্তব এবং সঠিক। এতদিন সেভাবে খেয়াল করেনি কিন্তু আজ বুঝতে পারছে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাহিব প্রায়ই ব্যর্থ হয় রুহির ছোট ছোট ইচ্ছেগুলোকে পূরণ করতে। কিন্তু আবার মনেহচ্ছে যে, রাহিব যদি সাহায্য না করে তাহলে শ্বশুরবাড়ির সবাইকে অনেক সমস্যায় পড়ে যেতে হবে। বাবা-মার কত স্বপ্ন, কত আশা রাহিবকে ঘিরে। দোয়া ছাড়া কোন শব্দই বের হয় না উনাদের মুখে রাহিবের জন্য। তাছাড়া চমৎকার পারস্পরিক বন্ধন রাহিবদের পরিবারের সবার ভেতর। এই সবকিছুই কি প্রভাবিত হবে না রুহি এমন কিছু করতে চেষ্টা করলে?

মানুষ অভিজ্ঞতার গন্ডিতে আবদ্ধ। নিজ অভিজ্ঞতার গন্ডিতে আমি মনেহয় একটু বেশি মাত্রায়ই আবদ্ধ। তাই নেতিবাচক কিছু লিখতে গেলে মনোভাব ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হই সবসময়ই। যাইহোক, এই ঘটনাটা বাস্তব। শুধু রুহির আত্মদ্বন্দ্বটুকু কাল্পনিক। রুহির মত এই ধরণের সাংসারিক পরামর্শ মেয়েরা যখন পায়। বেশির ভাগ সময়ই তাদের মনে আত্মদ্বন্দ্বের উদ্রেক হয় না বিধায় তারা পরামর্শটিকেই স্বাদরে গ্রহণ করে ফেলে।

মনের মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়াটা আসলে খুবই প্রয়োজন। কেননা যে পর্যন্ত মনে দ্বন্দ্ব তৈরি না হয় মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসে না। চিন্তা-ভাবনা ডাল-পালা ছড়াতে পারে না। নিজের সাথে নিজের দ্বন্দ্বের গুরুত্ব তাই অনস্বীকার্য। কিন্তু এই দ্বন্দ্ব যাতে আমাদেরকে সঠিক পথ বা কাজ থেকে বিচ্যুত করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজন সঠিক বিচারবোধ সম্পন্ন জ্ঞানের। আমাদের চিন্তার শক্তিশালী ধারাটা আমাদেরকে যেদিকে নিয়ে যায়, আমরা ঠিক তেমন মানুষই হই। চিন্তা আসে জ্ঞান থেকে। তাই জ্ঞানের উৎসটি যদি সঠিক হয় তাহলে চিন্তার গতি বেঠিক হবার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম থাকে।

লিখেছেন- আফরোজা হাসান,মনোবিজ্ঞানী। 

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর উপর নির্যাতন

c406de8aaf771ef829d25e4e360ec6ba_35901

যৌতুকের টাকা এনে না দেওয়ায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক আছেন।
গৃহবধূর বাবা আবু তালেব মোল্লা বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে মহম্মদপুর উপজেলার বড়রিয়া গ্রামের শরীফ মোল্লার সঙ্গে তাঁর মেয়ে হুরুন নাহারের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কিছু গৃহস্থালি সামগ্রী দেওয়া হয়। বছর খানেক পর থেকে শরীফ প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য হুরুনকে চাপ দিতেন। বৃহস্পতিবার সকালে নাহারকে দুই লাখ টাকা আনতে বলে শরীফ বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। দুপুরে বাড়ি ফিরে টাকার কথা জিজ্ঞেস করলে নাহার তাঁকে টাকা এনে দিতে পারবেন না বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ তাঁকে লাঠি দিয়ে পেটান। ওই দিন রাতেই নাহারকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মকছেদুল মোমিন বলেন, ওই গৃহবধূর মাথার এক পাশ আঘাতের কারণে কেটে গেছে। তা ছাড়া, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে আঘাত গুরুতর নয়।

চট্রগ্রামে শুরু হচ্ছে নারী উদ্যোক্তা মেলা ২০১৪

চট্টগ্রামের রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে অষ্টমবারের মতো শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের মেলা। ৮ নভেম্বর বেলা তিনটায় মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। মেলার আয়োজক চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। মেলার সহযোগিতায় রয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), এসএমই ফাউন্ডেশন, জুট ডাইভার্সিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার ও এফবিসিসিআই।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবার মেলায় মোট ৩০০টি স্টল ও ২০টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে ১৫ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে উইম্যান চেম্বারের প্রেসিডেন্ট কামরুন মালেক, মেলা কমিটির চেয়ারপারসন রোকসানা আকতার চৌধুরী, উইম্যান চেম্বারের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদা আওয়াল, ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভি হাসান, পরিচালক শামীমা হারুন, জাহেদা আকতার, আকতার বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রুমটা থাকুক ছিমছাম

শোবার ঘরের জন্য হালকা রঙের বিছানার চাদরই ভালো। ছবি: অধুনা

ক্লান্ত থাকলে সবার আগে মনে হয় ইস, বিছানায় যদি একটু শরীর এলিয়ে দিতে পারতাম। গৃহিণী বা কর্মজীবী—ব্যস্ত দিনশেষে শোবার ঘরটাই বেশি প্রিয় মনে হয়। ফলে শোবার ঘরটা পরিপাটি ছিমছাম না থাকলে মেজাজ যে বিগড়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

স্থপতি বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা তাই বাড়ির অন্যান্য ঘরের থেকে শোবার ঘরটাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মন-মেজাজ ভালো থাকবে কি না, তা অনেকটা নির্ভর করে শোবার ঘরসজ্জার ওপর। মনে রাখতে হবে, শোবার ঘরে যতটা সম্ভব কম আসবাব রাখতে হবে। চারদিকে জায়গা থাকলে গুমোট মনে হবে না।

সকালে যাঁরা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে পড়েন, তাঁরা হয়তো শোবার ঘরটা এলোমেলো করে বের হন। দিনশেষে যখন ফিরলেন বাসায়, দেখলেন এদিক-সেদিক সকালের ফেলে যাওয়া জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তখন ক্লান্ত শরীরে ইচ্ছা করে না ঘরটা গোছানোর। তাই সকালে বের হওয়ার আগে যতটা সম্ভব যেখানকার জিনিস সেখানে রেখে যেতে হবে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোরশেদা বেগম বলেন, সকালের অপরিচ্ছন্ন কাপড়গুলো একটা ঝুড়িতে রেখে দিতে পারেন। তাহলে ঘরে ঢুকেই দেখতে হবে না ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কাপড়। এ ছাড়া আসবাবের বাহুল্য না থাকাই ভালো। সবচেয়ে বড় কথা পরিচ্ছন্ন পরিপাটি রাখতে হবে।

শোবার ঘরে দেয়ালের রং গাঢ় থাকলে বিছানার চাদর হবে হালকা রঙের।মেঝের টাইলসের রংটাও হালকা হতে হবে। হালকা রঙের বিছানার চাদর ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ময়লা হয়ে যায়। এমনটা অনেকে ভাবেন। তাঁরা চাইলে ছোট ম্যাট বা শতরঞ্জি ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে বিছানার চাদর কম ময়লা হবে। তবে ম্যাট বা শতরঞ্জি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

ফর্ম থ্রি আর্কিটেক্টস-এর অ্যাসোসিয়েট স্থপতি আন্তা শরীফ বলেন, শোবার ঘর পুরোপুরি ব্যক্তিগত জায়গা। একেকজন একেকভাবে সাজাতে পারেন। শোবার ঘরের দেয়ালের রং হালকা হওয়া ভালো। বিশেষ করে হালকা রঙের বিছানার চাদর ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঘরে স্নিগ্ধভাব থাকবে।

শোবার ঘরে আলো-আঁধারি পরিবেশ তৈরি করতে হলে ঘরের কোণে বড় কোনো ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। অনেকে বিছানার পাশের টেবিলে ল্যাম্পশেড রাখতে চান। সেটিও করতে পারেন। এ ছাড়া এই ঘরে মৃদু নরম আলো ব্যবহার করা ভালো। চোখে বিরক্তি লাগবে না।

শোবার ঘরের বিছানা সাধারণত একটু বড় আকারের হয়ে থাকে। ফলে আলমারি, ড্রেসিং টেবিল ও গান শোনার যন্ত্র রাখতে পারেন। কেউ কেউ টিভি রাখেন। আবার অনেকে টিভি রাখতে চান না।

শোবার ঘরের সঙ্গে কমবেশি সবারই বারান্দা থাকে। এই বারান্দায় ফুলের গাছ ও গাছগাছালি রাখলে মনটা ফুরফুরে ও সতেজ থাকবে। বাইরে থেকে ফিরে বারান্দার দরজা খুলে দিলে ফুলের গন্ধ ঘরে একধরনের প্রশান্তি এনে দেবে।

সূত্র- নকশা।

শিশুদের নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি স্লাম ডগ

দিন দিন বাড়ছে দেশের শিশু অপরাধ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সম্প্রতি জটিল রূপ ধারণ করেছে। এ ধরনেরই একটি প্রেক্ষাপট নিয়ে দেশে নির্মিত হচ্ছে শিশু অপরাধবিষয়ক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্লাম ডগ।

সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে স্বল্পদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হয়েছে। শিশু অপরাধের বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রটির মূল ভাবনা শাহরিয়ার লালনের। পরিচালনা করছেন ইমারাত হোসেন ও শাহরিয়ার লালন।
স্লাম ডগ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে শিশু অপরাধ নিয়ে। নগরের বিভিন্ন ফুটপাতে এবং বস্তিতে বেড়ে ওঠা শিশুরা কীভাবে অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এ বিষয়টিকেই তুলে ধরা হয়েছে এতে।
এ চলচ্চিত্রে দুজন শিশুকে দেখানো হয়েছে, যারা একটি রেলস্টেশনের মাদকের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরে তারা ধীরে ধীরে মাদকসহ বড় ধরনের চোরাচালান ও অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। পেটের দায়ে এসব পথশিশু বাধ্য হয় নানা ধরনের অপরাধ করতে। একশ্রেণির মুনাফালোভী এই কোমলমতি শিশুদের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য করে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির দুটি কেন্দ্রীয় শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছে এনটিভির মার্কস অলরাউন্ডার-২০১০ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ স্থান অধিকারী সারিকা এবং চ্যানেল আইয়ের খুদে গানরাজ-২০১১ প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকারী রাফি। এই দুই শিশু একটি রেলস্টেশনে বড় হতে থাকে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, কষ্টে তাদের বেঁচে থাকা বড় দায়। তাদের এই দরিদ্রতার সুযোগ নেয় মুনাফালোভী একশ্রেণির মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী।

সহিংসতায় প্রতি পাঁচ মিনিটে ১জন শিশুর মৃত্যু

child-death
বিশ্বব্যাপী প্রতি ৫ মিনিটে এক শিশুর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে সহিংসতা। আরও ভীতিজনক তথ্য হলো, এ মৃত্যুর হার যুদ্ধাঞ্চলের বাইরেই বেশি। সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের যুক্তরাজ্য শাখা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ বছর বয়সের নিচে লাখ লাখ তরুণ তাদের বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সম্প্রদায়গুলোতে নিরাপত্তার অভাববোধ করছে।

এ অবস্থার জন্য দ্রুত নগরায়ন, কর্মসংস্থানের অভাব ও বৈষম্য বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সকল ধরনের শিশু নিপীড়ন বন্ধে ২০৩০ সালকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশের সরকারগুলো যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আগামী বছর সহিংসতার কারণে প্রতিদিন গড়ে ২০ বছরের কম বয়সী ৩৪৫ শিশু মৃত্যুবরণ করবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দরিদ্র দেশগুলোতে এ সহিংসতার হার বেশি। সহিংসতার শিকার শিশুদের মস্তিষ্কে তা মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বের মাত্র ৪১টি দেশ শিশুদের ওপর সহিংসতা নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে।

সন্তানের সাথে আপনার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব

Happy family and house at sunset in a meadow

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আমাদের ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে প্রথম চিন্তার বিষয় হলো তারা কথা বলার জন্য মানুষ খুঁজে পায়না। এটা তাদের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। আপনার সন্তানকে আপনি স্কুলে পাঠান; ধরে নিই তারা পাবলিক স্কুলে যায়। অধিকাংশ মুসলিম অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের পাবলিক স্কুলে পাঠিয়ে থাকেন, কারণ যেকোনো কারণেই হোক তাদের সন্তানদেরকে ইসলামিক স্কুলে পাঠানোর সামর্থ্য বা সুযোগ হয়ে ওঠেনা। এজন্য আমরা তাদের দোষারোপ করব না। এটা তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণ। তো আপনি সন্তানদের পাবলিক স্কুলে ভর্তি করান; ক্লাস ফাইভ-সিক্সে উঠতে উঠতেই তারা এ দেশে বিভিন্ন নোংরা শব্দ শিখে ফেলে; আপনি যে শহরেরই হন না কেন। তারা খুব জঘন্য ভাষা আয়ত্ত করে ফেলে; তারা কিছু বাজে ওয়েবসাইটে ঢোকা শিখে যায়; তারা তাদের পিএসপি, আইপড, আইফোনে বিভিন্ন নোংরা জিনিষ ডাউনলোড করা শেখে। তারা কম বয়সেই এসবে পারদর্শী হয়ে যায়। যেসব জিনিস আপনি ২৫ বছর বয়সেও শেখেননি সেগুলো তারা ১২ বছর বয়সেই জানতে পারে। এটাই বাস্তবতা। এগুলোই এখন হচ্ছে।

 

এখানে কোন কোন অভিভাবক জানেন যে ফেসবুক কী? একটু হাত দেখান প্লিজ। আচ্ছা, টুইটার কী জিনিস কেউ বলতে পারবেন? (its not when your eye bugs out, something else) তো আপনার সন্তান এসব সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে যায়, যেখানে অচেনা শিকারিরা আপনার কিশোর মেয়ে বা ছেলের সাথে কথা বলতে পারে। একসময় তারা সম্পর্কে জড়িয়ে যায় আর একে অপরের সাথে দেখাও করে। এরপর বিভিন্ন কিছু ঘটে যায়। এটা বর্তমানে আমাদের মুসলিম ছেলেমেয়েদের বাস্তবতা। এগুলোই ঘটছে। এসবের ব্যাপারে আমাদের চোখ বুজে থাকলে হবেনা, আমাদের চোখ খুলতে হবে। আপনি হয়তো বলতে পারেন, “না না, আমার সন্তানরা এমন না।” প্লিজ জেগে উঠুন! বড় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার আগে এসব ব্যাপারে কিছু প্রাথমিক সমাধান যা আমাদের করতে হবে তা হল, বাসায় ওপেন এক্সেস ইন্টারনেট রাখবেন না। বিশেষ করে ১২ বছরের ছোট বাচ্চা থাকলে, এটা রাখবেন না! এটা একটা ভয়ানক কাজ। তাদের ল্যাপটপ দেবেন না। দিতে চাইলে এমন মোবাইল দেবেন যেটাতে কেবল ফোন নাম্বার লেখা যায়, কোন টেক্সট ম্যাসেজ বা ইন্টারনেট চালানো যায়না। নতুবা আপনি নিজেই বিপদ দেকে আনছেন। এ নিয়ে আপনিই পরবর্তীতে আফসোস করবেন। আপনি ভাবছেন এগুলো আপনি তাদের ভালবেসে কিনে দিয়েছেন; আসলে আপনি তাদের ধ্বংস করছেন। তারা এখনো অতো বড় হয়নি যে নিজেরাই বুঝে নেবে যে এটা আমার করা উচিত নাকি উচিত না। ধরে নেবেন না যে তারা একাই সব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে কারণ আপনি ভালো পরিবার থেকে এসেছেন। প্লিজ এই ফাঁদে পড়বেন না। আল্লাহর দোহাই এসব জিনিস নিয়ে নিন। আপনার সন্তানদের বিনোদনের জন্য অন্যান্য পথ আছে। এটা প্রথম বিষয়।

 

যাই হোক যখন আপনার সন্তান বয়ঃসন্ধিতে পা রাখে, যেটা প্রায় সময়েই হয়ে থাকে, তাইনা? আমাদের সন্তানেরা টিনেজে/কৈশোরে উপনীত হয় আর আমি বিভিন্ন দেশে ঘুরে যেটা দেখি, অনেক অভিভাবক আমার কাছে এসে বলেন, “আমার একটা টিনেজ মেয়ে আছে”, “আমার একটা টিনেজ ছেলে আছে”, “আমি চাই আপনি তাঁর সাথে কথা বলেন”। এরকম ঘটনা আমার সাথে শতবার ঘটেছে। আক্ষরিক অর্থেই শতবার ঘটেছে।

 

আপনি জানেন কেন তারা আমার কাছে আসে? আর আমি কাউকে বিচার করছি না, ওয়াল্লাহি, আমি কাউকে বিচার করছি না। জানেন কেন তারা আমার কাছে আসে? কারণ বয়ঃসন্ধিতে আসলে তারা স্বাধীন হয়ে যায়, যখন তারা স্বাধীন হয়ে যায় তখন তারা আর আপনার কথা শোনেনা, যখন তারা আপনার কথা শোনেনা তখন আপনি এমন কাউকে চান যার কথা তারা শুনবে। নৌকা ইতিমধ্যেই ভেসে গেছে। কখন আপনার হাতে সুযোগ ছিল? কখন? যখনও তারা Semi-adult এ পরিণত হয়নি, তখন। সেসময় আপনার সুযোগ ছিল। একে হাতছাড়া করবেন না। আমাদের বুঝতে হবে যে, আমরা ভিন্ন পৃথিবীতে বাস করছি। দেশে থাকতে আপনি তাদের সাথে যে রকম আচরণ করতে পারতেন, এখানে তেমনটি পারবেন না। আগে আপনি তাদের বকতে পারতেন, মারতে পারতেন, আপনার ইচ্ছে মতো। এমনটিই সবাই করে এসেছে। এখানে আপনি তাদের সামান্য বকুনি দেবেন আর তারা বলে বেড়াবে, “আরে আমার বাবা পুরো ফালতু একটা মানুষ”। তারা আপনার সম্পর্কে বন্ধুদের এরকম বলে বেড়াবে।

 

আমি একটা সান্ডে স্কুল চালাতাম, সেখানকার হেড ছিলাম। আর জানেন আমার প্রাইমারী কাজ কী ছিল? বাচ্চাদের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা; কারিকুলাম ঠিক করা, আকিদা শেখানো বা বই অর্ডার আমার কাজ ছিলোনা, না না না। এগুলো পরের বিষয়। আগে দেখা যাক তারা স্কুলে বিরতির সময় কি নিয়ে কথাবার্তা বলে। “আমার মা আমাকে NC17 ভিডিও গেম কিনে দিয়েছে”, “আর আমার বয়স মাত্র ৮ বছর। মা আমাকে খুব ভালবাসে” না সে ভালবাসে না। হা হা। “আমার গ্র্যান্ড থেফট অটো আছে”, “তুমি ঐ মুভিটা দেখেছো? ওটা PG-13 ! ওটা দেখতেই হবে!” বা “মুভিটা Rated-R আর আমি দেখেছি। সেটার ডিভিডি-ও আমার কাছে আছে।”

 

বাচ্চারা এসব নিয়েই কথা বলছে। তারা আপনার সন্তানদের নষ্ট করে ফেলছে। আর একে আপনি ভালবাসা বলেন? ইব্রাহিম (আঃ), তিনি কি কখনো এগুলোর কাছাকাছিও কোন কিছুর জন্য অনুমতি দিতেন? একে বাচ্চাদের জন্য উদ্বেগ বলে? চোখ খুলুন! সত্যিই, চোখ খুলুন!

 

আমরা সন্তানদের এমন সব জিনিসের সামনে উন্মুক্ত করে দিচ্ছি, আর এটা ধীরে ধীরে খারাপের দিকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে মিডিয়াতে, যেই মুভিটা ১০ বছর আগে ১৩ বছর বয়সের নিচে অনুমোদিত ছিলোনা সেটা এখন অনুমোদিত হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড নিচে নেমে গেছে। আমি না, তারাই এসব নিয়ে কথা বলছে। এখন সমকামিতার মত বাজে বিষয়গুলো এমনকি কার্টুনেও সাধারণ হয়ে গেছে। টম অ্যান্ড জেরিও আর আগের মতো নেই। সবকিছু বদলেছে। চারিদিকে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের সন্তানরা কী দেখছে, তারা কী ভাষায় কথা বলছে, যেসব জিনিস তাদের কাছে নরমাল মনে হয়, যেগুলো তাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। যখন আপনি মসজিদে যান তখন আপনি দাড়িওয়ালা মানুষদের দেখেন; তারা নামায পড়ে, ভিন্নভাবে কথা বলে। আপনার বাচ্চারা কী তাদের বেশী দেখতে পায় নাকি বাইরের পৃথিবীকে? তারা যেটা বেশী দেখতে পায় সেটাকেই স্বাভাবিক ধরে নেয়। তাদের কাছে এটা স্বাভাবিক না, ঐটা স্বাভাবিক। আর এটাই সমস্যা। এটাই আসল সমস্যা। তারা এগুলোকে স্বাভাবিক মনে করেনা। তারা বাইরের পৃথিবীকে স্বাভাবিক মনে করে।

 

আমরা কীভাবে সন্তানদের জন্য একে পরিবর্তন করতে পারি? প্রথমে এ সব বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে হবে। তারপর এসব সমাধানের ব্যাপারে কথা বলা যাবে।

 

আমাদের ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে প্রথম চিন্তার বিষয় কী যেটা আমি বলেছিলাম? তারা কথা বলার জন্য মানুষ পায়না। যখন আপনার সন্তান পাবলিক স্কুলে যায় আর একটা ছেলে আর মেয়েকে একসাথে দেখে বা কোন মেয়ে আপনার ছেলের কাছে এসে বলে, “আমার সাথে সিনেমা দেখতে যাবে?” অথবা “আমরা একটা রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছি, তুমি যাবে? তুমি দেখতে অনেক কিউট।” এসব আপনার ক্লাস ফাইভের বা সেভেনের সন্তানের সাথেই হচ্ছে। তারা কি বাসায় এসে আপনার সাথে এগুলো নিয়ে কথা বলবে? না। “আব্বু, একটা মেয়ে না আমাকে বলেছে আমি দেখতে কিউট।” “কী! তোমাকে কি এইজন্যেই আম্রিকায় নিয়ে এসেছিলাম?” ঠাশ! ঠাশ! এই বাচ্চা জানে যে তাঁর বাবা-মা এগুলো শুনে মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু এসব কথা তো কারো সাথে শেয়ার করতে হবে। সে কাকে এগুলো বলবে? সে বন্ধুদের সাথে এগুলো শেয়ার করবে। আর পাবলিক স্কুলে তাঁর বন্ধুরা মুসলিম নাকি অমুসলিম? অমুসলিম। তারা তাকে ইসলামিক পরামর্শ দেবে নাকি অনৈসলামিক? অনৈসলামিক পরামর্শ। “আরে চালিয়ে যা দোস্ত” তারা এইরকম পরামর্শই দেবে। আর এখন আপনার বাচ্চারা আপনাদের থেকে তাদের বন্ধুদের সাথে বেশী খোলামেলাভাবে চলতে পারছে কারণ আপনি বেশী কঠোর। আপনি তাদের সাথে কথা বলেন না। আপনি তাদের জন্য সেই দরজাটা খোলা রাখেননি। কারণ আপনি তাদের ওপর সেই আধিপত্য দেখাতেন যা আপনার বাবা আপনার ওপর খাটিয়েছিল। কিন্তু সেটাতো আপনার দেশ ছিলো ভাই, এখানে সবকিছু ভিন্ন। আমাদেরকে সন্তানদের বন্ধু হতে হবে। তারা যেন খোলামেলাভাবে কথা বলতে পারে সেই পরিবেশ তৈরী করতে হবে।

 

এই সমস্যা আমার আছে; আমি তিন মেয়ের বাবা, ঠিক আছে? আরা আমি অনেকটা রক্ষনশীল বাবা। তাই যখন আমার মেয়ে প্রি-স্কুলে ছিলো, তখন একটা ছেলে তাঁর পাশে বসেছিল। আর সে বাড়ী ফিরে বলেছিল, “হামজা আজকে আমার পাশে বসেছিল আর আমরা একসাথে রঙ করেছিলাম”। আমি বললাম “কী??” আর আমার স্ত্রী আমার দিকে তাকিয়ে বললো “তুমি এখান থেকে যাও, আমি ওর সাথে কথা বলছি” কারণ আমি যদি এখন রাগ দেখায় তাহলে সে বুঝে ফেলবে আমার বাবা হামজার ব্যাপারে কিছু শুনতে পছন্দ করেনা। তাই এর পরে হামজা যদি কোন কিছু বলে বা করে তখন কি আমার মেয়ে সেটা আমাকে বলবে? না। সুতরাং সেটা বলে আমি নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছি।

 

আমাদের এসব ব্যাপার মোকাবেলা করা শিখতে হবে। এর কিছু কৌশল আছে। আমাদেরকে সন্তানদের এসব ব্যাপারে ধৈর্য ধরতে হবে। এটা তাদের দোষ না। আমরাই তাদের সেই স্কুলে পাঠিয়েছি। আমরাই তো তাদের সেই পরিবেশে পাঠিয়েছি। তারা এটা চায়নি। তাই তারা যদি খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় সেটা কাদের কারণে হবে? আমাদের। তাই আমাদের নিজেদেরও এসবের দায়িত্ব নিতে হবে। “তুমি এমন কথা বলতে পারলে?” “তুমি কোত্থেকে এসব শব্দ শিখেছো?” এসব বলেই পার পাওয়া যাবে না। “আরে তোমরাই তো আমাকে এই স্কুলে পাঠিয়েছো, তোমরাই আমাকে এমন অবস্থায় ফেলেছো” “তোমরাই আমাকে ঐ মুভিটা দেখতে দিয়েছো” “তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো নি যে আমার বন্ধুরা কেমন, তারা কোথায় থাকে, আমরা একসাথে কি করি। তোমরা আমাকে জিজ্ঞেস করো নি, এটা তোমাদের সমস্যা।”

 

তাই আপনার সন্তানদের জন্য কথা বলার দরজা খুলে দিন। দেরি হবার আগেই এটা করুন। অনেক ছেলেমেয়েরা তাদের ঘর ছেড়ে চলে গেছে। আমাদের অনেক মেয়েরা তাদের বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে গেছে। অনেক। অনেক। আমি জানি এসব শুনতে খুপ খারাপ লাগে, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমাদের এর মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের অনেক ছেলেদের অন্যের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে। এটা পুরো অসুস্থ বাস্তবতা। শুধু কাঁদলেই চলবে না, আমাদের এসব বিষয় সমাধান করতে হবে।

 

তাই প্রথম কাজ হল সন্তানদের জন্য কথা বলার দ্বার খোলা রাখা।

 

দ্বিতীয় ব্যাপারটা টিনেজ ছেলেমেয়ের জন্য।

 

আর এখানে আমি ইয়াকুব (আঃ) এর উদাহরণ দেবো। তিনি একজন অসাধারণ নবী। তাঁর ছেলেরা কি কোন অন্যায় কাজ করেছিল? হ্যাঁ। সেটা কি, কারো মনে আছে? তারা তাদের ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, বনের মধ্যে গিয়ে তাকে কুয়ায় ফেলে দিয়েছিল আর নকল রক্ত মাখা জামা নিয়ে এসেছিল।

 

ইয়াকুব (আঃ) কি বুঝতে পারেননি যে তারা মিথ্যে বলছিল? আচ্ছা এই হল অবস্থা। এখানে কয়েকজন তরুন ছেলে আছে, একজন পিতা আছে। তিনি জানেন যে তাঁর ছেলেরা খুব খারাপ কিছু করেছে। তিনি কী বলেছিলেন, “বদমাইশের দল! এক্ষুনি তাকে নিয়ে আসো!”আপনি কি তাকে এমন কিছু বলতে দেখেছেন? আপনি কী দেখলেন? ‘ফা সাবরুন জামিল’ (অনুপম ধৈর্য) আমি যখন তাঁর এমন সাড়া দেখি তখন ভাবি “তিনি কেমন পিতা ছিলেন! তিনি তাদের বকলেন না, ধমক দিলেন না।”

 

কেন জানেন? কারণ তিনি একজন জিনিয়াস পিতা ছিলেন। একজন সচেতন পিতা জানেন যে কোন বয়স পর্যন্ত সন্তানদের উপদেশ দেয়া যায় আর কোন বয়সে তারা স্বাধীন হয়ে যায় যখন তাদের কিছু বললেও তারা শুনবে না। তিনি জানেন। সেই অবস্থায় আপনি কী করতে পারেন? সাবরুন জামিল। এটুকুই করতে পারেন। সময় আগেই পার হয়ে গেছে। তাই আপনার দায়িত্ব হল এর আগেই তাদের প্রতি খেয়াল রাখা। এখন তারা যদি সেই বয়স পার করেই ফেলে, তখন আপনি সর্বোচ্চ যা করতে পারেন তা হল তাদেরকে ভালো সঙ্গীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া।

 

আর মুসলিম তরুণদের সংস্থাগুলোকে উৎসাহ দিন। এরাই আমাদের সন্তানদেরকে দাওয়াহ দেওয়ার হাতিয়ার। আমরা তাদের সাহায্য না করলে তারাও হারিয়ে যাবে। আপাতত ফিকহের বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। তারাবিহ ৮ রাকাত হোক বা ২০ রাকাত, আপনার সন্তান এসবকে পাত্তা দেয়না। অবস্থার উন্নতি হলে তখন সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা যাবে। এখন সময় ভালো যাচ্ছেনা। আমাদের সন্তানেরা আর বেশী গুরুত্বপূর্ণ। এটাকেই অগ্রাধিকার দিন।

  নুমান আলী খানের এই লেকচার টি অনুবাদ করেছেনঃ ইফাত

লেকচারটির ইউটিউব লিঙ্কঃ https://www.youtube.com/watch?v=hWymBJ9XpxA

পরিবর্তন করুন নিজের চিন্তা পদ্ধতি

145_bra

সিবিটি তথা ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ারেল থেরাপি’ নামের সেলফ-হেলপ টেকনিক অর্থাৎ নিজে নিজে প্রয়োগ করার কৌশল কাজে লাগিয়ে অর্থহীন চিন্তা ও আচরণ পরিবর্তন করা যায়। এটি নজর দেয় ‘here and now’ সমস্যার ওপর। এবং এর তাগিদ আপনার বর্তমান মনের অবস্থা উন্নয়নের ওপর। যদিও এর প্রতিশ্রুতি শারীরিক অসুস্থতা দূর করা, তবুও এটি বেশি পরিচিত মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা চিকিৎসার জন্য, বিশেষ করে ডিপ্রেশন তথা বিষন্নতা দূর করার জন্য। অর্থহীন চিন্তা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। অার তা দূর করতে নিজে নিজে এসব চিন্তা দূর করার কেৌশল রপ্ত করতে হবে।

নেগেটিভ ক্যালোরি নিয়ে বিভ্রান্তি

গোশত দিয়ে তৈরি একটি বার্গারে কয়েকটি সেলারি স্টিক বা শাকডাঁটা যোগ করে কি এ থেকে ক্যালোরি কমানো যায়? বড় এক প্লেট নুড্ল্সের সাথে বেশি করে সালাদ খেলেই কি চর্র্বি কমিয়ে দিতে পারে? আহা যদি তেমনটি সত্যি হতো, তাহলে ভালোই হতো। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই সমীক্ষায় অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের খুব স্বাস্থ্যপ্রদ খাবার না দিলেও তাদের শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সমীক্ষায় অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যারা তাদের ওজন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তাদের ক্যালোরির হিসাবে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। তারা ধরে নিয়েছিলেন এক থালা সালাদে রয়েছে ৬২৩ ক্যালোরি এবং একটি বার্গারে রয়েছে ১১৫ ক্যালোরি, যখন এর সাথে ছিল সেলারি স্টিক বা শাকডাঁটাও। এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রণেতা আলেক্সান্ডার চেরনেভ বলেন, খাবারকে ভালো কিংবা মন্দ বিবেচনা করা পথ্য গ্রহণকারীকে এ ব্যাপারে বিপথগামী করে তুলতে পারে যে তারা কতটুকু খাবার খাবেন।

প্রযুক্তি জেনে সমাধান
প্রযুক্তিজানা মানুষ তথা টেক-সেভি পিপল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর যেমন আরো ভালো উপায়ে নজর রাখতে পারেন, ঠিক তেমন সুস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণও করতে পারেন। যাদের টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, তাদের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে অব্যাহত ব্লাডসুগার পরীক্ষা করা। ব্লাডসুগারের মাত্রা যাতে নিরাপদসীমা না পার হয়, সে জন্য এদের অনেকেই দিনে চারবার কিংবা তার চেয়েও বেশিবার ব্লাডসুগার চেক করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, একটি সিজিএম তথা ‘কনটিনিউয়াস গ্লুকোজ মনিটর’ চামড়ার ঠিক নিচে ঢুকিয়ে দিলে তা প্রতি পাঁচ মিনিট পরপর গড় গ্লুকোজ মাত্রা রেকর্ড করে। এটি এ ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি। এর ফলে পুরনো আমলের ফিঙ্গার-প্রিক টেস্টিংয়ের আর দরকার হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের জুবিনাইল ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব লোক সিজিএম ব্যবহার করেছেন তারা ফিঙ্গার-প্রিক টেস্টিংয়ের ওপর নির্ভরশীলদের তুলনায় প্রতিদিন দুই ঘণ্টা সময় বেশি খরচ করেছেন ব্লাডসুগার মাত্রা টার্গেট করার জন্য। এই ফাউন্ডেশনের অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, ইনসুলিন পাম্পিং থেরাপির পাশাপাশি সিজিএম ব্যবহার করে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

বিভিন্ন কেন্দ্রের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস ওয়ান রোগীরা মাল্টিপল ডেইলি ইনসুলিন ইনজেকশন ব্যবহারকারীদের তুলনায় আরো ভালো উপায়ে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে একটি সেন্সর-অগমেন্টেড ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করে। এই ব্লাডগ্লুকোজ লেভেলের উন্নয়ন ঘটেছে হাইপোগ্লাইকেমিয়ার হার না বাড়িয়েই।

রাজধানীতে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার

images (1)

হাতের মেহেদি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই লাশ হতে হলো গৃহবধু কে! নতুন জীবন শুরু হতে না হতেই একে বারেই নিভে গেলো জীবন প্রদীপ! রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে ইসরাত জাহান ওরফে নিপা (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের দুই মাস পর এ ঘটনা ঘটল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, খবর পেয়ে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণখানের পূর্ব আজমপুরের মুন্সিরোড এলাকার একটি বাড়ির চারতলা বাসার দরজা ভেঙে ইসরাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল।
লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইসরাতের স্বামী শহীদুল্লাহ ইতালিপ্রবাসী। দক্ষিণখানের বাসায় ইসরাতের শ্বশুর-শাশুড়ি ও এক দেবর থাকেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, গত রোববার রাত ১২টার দিকে খাওয়া-দাওয়া করে ইসরাত তাঁর কক্ষে ঘুমাতে যান। গতকাল অনেক বেলা হলেও ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁরা দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখেন, ভেতর থেকে বন্ধ। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এসআই বলেন, লাশের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, ইসরাত আত্মহত্যা করেছেন। তবে কারণ জানা যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মর্গে ইসরাতের বাবা মো. ইউসুফ জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি ফেনী সদরের ফরহাদ নগরে। ইসরাত ফেনী সদরের একটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ফেনী সদরের বাসিন্দা শহীদুল্লাহর সঙ্গে দুই মাস আগে বিয়ে হয় ইসরাতের। এর পর থেকে ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। কিছুদিন আগে ইতালি চলে যান শহীদুল্লাহ।
ইউসুফ বলেন, পূর্বপরিচয়ের সূত্রে বিয়ে হলেও কিছুদিন পর অনানুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা বিয়ে মেনে নেন। এরপর ইসরাত তাঁর মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতেন। প্রায় সময় ইসরাত মায়ের কাছে শাশুড়ির মানসিক নির্যাতনের কথা বলতেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই সাইফুর বলেন, মানসিক নির্যাতনের বিষয়ে ইসরাতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে তদন্তে সন্দেহজনক কোনো কিছু পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষন,অভিযোগ করলেও আমলে নেয়নি পুলিশ!

1402155849.

মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে মেয়েটি। সুমন নামে এক বখাটে তাকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। দিয়েছিল অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকিও। মেয়েটির মা অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। পরে তারা বাসা বদল করে অন্য পাড়ায় চলে যায়। সেই বাসা খুঁজে বের করে মেয়েটিকে কৌশলে তুলে নিয়ে গিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণ করে এবং লুকিয়ে রাখে বখাটে সুমন। পুলিশ নয়, পাঁচ দিন পর পরিবারই পাশের উপজেলা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। 
মেয়েটির গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায়। তারা থাকে শহরের একটি ভাড়া বাসায়। গত মঙ্গলবার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গত শনিবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার লোহাগাড়া গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
পরে মেয়েটির মা বাদী হয়ে শনিবার রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের নিশ্চিন্তপুর মহল্লার মো. সুমন, বসিরপাড়ার সোহেল রানা ও বাজারপাড়ার নাদিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতেই বসিরপাড়ার একটি মেস থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার রাতেই মেয়েটিকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ খুরশীদ জাহান হক বলেন, মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন হয়েছে। রক্তক্ষরণে শারীরিকভাবে দুর্বল ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সে। গতকাল সোমবার দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
গতকাল বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক জুলফিকার আলী খান মেয়েটির জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। মেয়েটির (১৩) বর্ণনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সুমন তার দুই সহযোগী সোহেল ও নাদিমকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তাদের ভাড়া বাসার সামনে যায়। কৌশলে তাকে বাসার বাইরে ডেকে এনে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে বসিরপাড়ার একটি মেসে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেঁধে সুমন ও তার দুই সহযোগী তাকে ধর্ষণ করে।
অসুস্থ হয়ে পড়লে বখাটেরা বুধবার সকালে মেয়েটিকে পীরগঞ্জের লোহাগাড়ায় সুমনদের আত্মীয় জবেদ আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
মেয়েটির মা জানান, বখাটে সুমন তাঁর মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। সম্প্রতি সে তাঁর মেয়ের হাতে দুই হাজার টাকা গুঁজে দিয়ে একটি মুঠোফোন সেট কিনে নিতে বলে। কিন্তু মেয়ে টাকা নিতে রাজি না হলে সুমন অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়।
এই মা জানান, মেয়ে বাসায় এসে বলার পর তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রথমে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে চান। কিন্তু পড়ালেখার কথা চিন্তা করে দ্রুত বাসা বদল করে অন্য পাড়ায় চলে যান। ঈদের ছুটির পর সুমন সেই বাসাও খুঁজে বের করে আবার উত্ত্যক্ত করা শুরু করে।
গত শনিবার রাতে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মান্নানের উপস্থিতিতে মেয়েটির মা দাবি করেন, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি নিজেই আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে সন্ধানে নামেন। কারণ, এর আগে সুমনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নিয়ে এলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মেয়েটির মা জানান, বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর একটা ঘটনার সূত্র ধরে তিনি শনিবার সন্ধ্যায় পীরগঞ্জের লোহাগাড়া গ্রাম থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন এবং থানায় নিয়ে আসেন। সেখান থেকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মেহেদী হাসান স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁরা মেয়েটিকে সব ধরনের সহায়তা দেবেন।

নিজের সাময়িক অবর্তমানে কিভাবে সামলাবেন সংসার

2012-10-30-17-22-46-50900ce6320e0-untitled-23

ঢাকায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করেন দুই সন্তানের মা আফসানা রহমান (ছদ্ম নাম)। তাঁর স্বামীও চাকরিজীবী। বড় ছেলে অরিনের বয়স সাত বছর আর ছোট অর্ণবের দুই চলছে। অফিসের কাজে মাঝেমধ্যেই তাঁকে দু-তিন দিন বা এক সপ্তাহের জন্য যেতে হয় ঢাকার বাইরে। ঘর-সন্তান সবকিছুর ব্যবস্থাপনা করে আফসানা বাইরে যান।
আফসানা বললেন, ‘আমার স্বামী সব সময় এ বিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করেন। তবে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি এটা খুব একটা পছন্দ করেন না।’ আফসানা বলেন, ‘যে কদিন থাকি না, আমার স্বামী প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে বাচ্চাদের গোসল করিয়ে খাইয়ে দেন, স্কুলে নিয়ে যান, আবার ছোট ছেলেকে পরে কী খাওয়াতে হবে, সে বিষয়ে আমার মাকে পরামর্শ দিয়ে যান। ঢাকার বাইরে গেলে আমার মাকে বাসায় এনে রেখে যাই। কারণ ওদের বাবা যতক্ষণ অফিসে থাকবেন, ততক্ষণ আমার ছোট বাচ্চাকে দেখভাল করা, বড় ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসা—এসব মা করে দেন।’
অফিসের কাজে প্রায়ই বাইরে যেতে হয়, এমন নারীদের স্বামীরা সহজভাবে যেমন মেনে নেন, আবার কোনো কোনো পরিবারে এ নিয়ে সমস্যার সৃষ্টিও হয়। ‘বিয়ের আগেই স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে একটা বোঝাপড়া থাকা দরকার। যেহেতু চাকরিজীবী, তাই অফিসের প্রয়োজনে দুজনকেই ট্যুরে যেতে হতে পারে। দুজনেরই উচিত আলাপ করে সে রকম মানসিকতা আগে থেকেই তৈরি করে রাখা। বিয়ের পরে সংসার, বাচ্চা রেখে ট্যুরে যাওয়া যাবে না—এসব বিষয় নিয়ে মন-কষাকষি কিংবা সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। তাই বিয়ের আগে কিংবা বিয়ের পরই এ বিষয়ে দুজনকে পরিষ্কার থাকতে হবে। অফিসের কাজে বাইরে গেলে স্বামীর সহযোগিতা একজন নারীর জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার।’ বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া। অফিসের প্রয়োজনে কর্মস্থলের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ঘরের প্রতিটি বিষয় গুছিয়ে রেখে যেতে হবে। নিজেকেও গুছিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারের বড় কাউকে কিংবা মুরব্বি কাউকে বাসায় এনে রাখা যেতে পারে, যে কয় দিনের জন্য বাসার বাইরে থাকবেন তিনি—এমনই পরামর্শ রীনাত ফওজিয়ার।

নিজেকে গুছিয়ে নিতে হবে
অল্প কিছুদিনের জন্য কর্মস্থলের বাইরে গেলে বাক্সপেটরা যেন ভারী না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছোট ট্রলিব্যাগ হলে সেটি বহন করা সুবিধা।
ব্যাগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কী কী নেবেন, সেসবের একটা তালিকা আগে করে নেওয়া ভালো। টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, পাউডার, হালকা কসমেটিকস, লিপস্টিক, আয়না, টিস্যু পেপার, সানস্ক্রিন লোশন ইত্যাদি জিনিস নিয়ে যেতে হবে; আবার ফেরার সময় তালিকা ধরে সবকিছু নিয়ে আসা যাবে।
দু-তিন দিনের জন্য বাইরে গেলে দু-তিন সেট পোশাক, রাতের পোশাক নেওয়া যেতে পারে। আবার সাত দিনের জন্য সাত সেট পোশাক লাগবে তেমন নয়। চার সেট পোশাক নিলেই চলে।
সাধারণত ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে সে কোন পোশাক পরবে না-পরবে; যেমন জিনস, প্যান্ট, কুর্তা, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ। পোশাক পরার মধ্যে সে যেটা বেশি আরামদায়ক মনে করে, সেটা সঙ্গে করে নেবেন।
যাওয়ার আগে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কিছু সাধারণ অসুখের ওষুধ সম্পর্কে পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যেমন: জ্বর, ব্যথা, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, মাথাব্যথা, টনসিলের ইনফেকশন—এসব অসুখের ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত। আর যদি কোনো ওষুধ নিয়মিত খেতে হয়, তবে সেটা দিন গুনে হিসাবমতো নিয়ে যেতে হবে।

ঘর গুছিয়ে রেখে যাওয়া
বাইরে যাওয়ার আগে কয়েক দিনের জন্য কিছু খাবার রান্না করে ছোট ছোট বাক্সে রেফ্রিজারেটরে রেখে যাওয়া ভালো। স্বামী বা বড় কাউকে বুঝিয়ে দেওয়া কখন কোন খাবারটা কোন বেলায় পরিবেশন করবে। একেকটা বাক্সে একবেলার পরিমাণ খাবার রান্না করে রেখে দিলে পরে খাবারটা গরম করে নিলেই চলে। বড় পাত্রে একবারের বেশি খাবার রান্না করে ফ্রিজে রাখা যাবে না।
দু-তিন বছরের ছোট বাচ্চাদের ধরে ধরে খাওয়াতে হয়। মায়ের অনুপস্থিতিতে বাবা কিংবা বাড়িতে বড় যিনি থাকবেন, তাঁকে বুঝিয়ে দিতে হবে কোন খাবার কী পরিমাণে কখন বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে ট্যুরে যাওয়ার আগের দিন একটা নির্দেশনা লিখে দেয়ালে বা ফ্রিজের গায়ে টাঙিয়ে দিলে ভালো হয়।
বাচ্চার বাবাকে তার দিকে অতিরিক্ত মনোযোগী হতে হবে। প্রয়োজনে বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যেতে হবে।
গৃহকর্মী থাকলে তাকে রুটিন ধরে প্রতিদিনের কাজ করার কথা বলে যেতে হবে। বাড়তি কাজ যেন না করে।
প্রতিদিনের কাপড়-চোপড়, মোজা, রুমাল প্রতিদিন ধুয়ে আলমারিতে যার যার তাকে গুছিয়ে রাখতে হবে, যেন পরের দিন খুঁজলে সহজে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে স্বামীকে জানিয়ে রাখা যেতে পারে।
স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাদের পড়ালেখার ব্যাপারে মায়ের অবর্তমানে বাবাকে দায়িত্ব নিতে হবে। শিক্ষক থাকলে তাঁকে বলে যাওয়া এবং পড়ালেখার দিকে খেয়াল রাখা। বাচ্চাকেও বলতে হবে বাড়ির কাজ দিনেরটা দিনে শেষ করে ফেলতে হবে।

দরকার সবার সচেতনতা

 
১ অক্টোবর ২০১৪। ৩য় বারের মত পালিত হল বিশ্ব সেরিব্রাল পলসি দিবস। সেরিব্রাল পলসি এক ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধিতা। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় সচেতনতার অভাবে সেরিব্রাল পলসিকে অন্য প্রতিবন্ধিতার সাথে গুলিয়ে ফেলা হয়, আমাদের সকলের ভুল ধারণা না হওয়ার লক্ষ্যে নিচে সেরিব্রাল পলসি কি এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করছি। মস্তিষ্কে বিশষত গুরুমষ্কি (সেরিব্রাল) অঞ্চলে কোন প্রকার পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হওয়াকে সেরিব্রাল পলসি (C.P.) বলে। মস্তিষ্কের গুরুমস্তিষ্কের মোটর অঞ্চলে অর্থাত্ যে অঞ্চলটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নড়াচড়ার জন্য দায়ী, সেখানে কোন পক্ষাঘাত হলে ব্যক্তি সেরিব্রাল পলসি-তে আক্রান্ত হয়। দেখা যায় যে, শরীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে প্রায় ৩০-৪০% শিশুই সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত। 
রুদ্র (ছদ্মনাম) দশ বছরে পা দিয়েছে। সে সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশু। আজকাল অনেক বেশি কান্নাকাটি, জেদ করে। যে ছেলেটি লক্স্মী, শান্ত প্রকৃতির ছিল সে হঠাত্ করেই কেন জানি বদলে যেতে শুরু করেছে। মা-বাবা তার নিজস্ব কর্মস্থলের দয়িত্ব, আরো একটি সন্তানের দেখভাল, সংসারিক কর্মকাণ্ড সবকিছু সামলাতে সামলাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। আর তার সাথে যদি পরিবারে একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থাকে তাহলে সেই পরিবারের প্রতিদিনকার চিত্র একটু ভিন্ন রকম হবে, এটাই স্বাভাবিক। রুদ্র প্রায় সময় কাঁদতে কাঁদতে বলে ‘আমার কিছু ভাল লাগে না, আমাকে তোমরা বোঝাও আমি কেন কাঁদছি? আমার কান্না করা ঠিক হচ্ছে না’ ইত্যাদি। রুদ্র নিজ থেকে বোঝে তার কান্না করা ঠিক নয়। অথচ আমাদের মতো তথাকথিত সুস্থ মানুষেরা ওর চাহিদা ও মনকে বুঝতে চেষ্টা করি না। আমরা বড়রা অনেক সময় মনের অজান্তে বলে ফেলি ‘তুমি যদি কান্না করো তাহলে তোমাকে রেখে আমি চলে যাব’ সামান্য এই কথাটায় অনেক সময় ওদের শিশু মনে ভয়ের সৃষ্টি করে ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়। এ ধরনের অনেক ছোট ছোট ঘটনা আছে যা ওকে খুব পীড়া দেয় কিন্তু তা আমরা উপলব্ধি করি না বা বুঝতে চেষ্টা করি না, যার ফলশ্রুতিতে ওর সব কষ্টের বহিঃপ্রকাশ ঘটে কান্না, জেদের মাধ্যমে।
আমাদের দেশের সমাজ কাঠামো, পরিবেশ প্রতিবন্ধী বান্ধব নয়। প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার রক্ষায় আইন হয়েছে কিন্তু তার সঠিক প্রয়োগ কখন হবে তা আমাদের সবার অজানা। আমাদের দেশের অধিকাংশ স্কুলগুলো সার্বিকভাবে প্রতিবন্ধী-বান্ধব নয়। কিছু সরকারি স্কুল আছে যেখানে Ramp আছে কিন্তু যে শিশু ৪/৫ ঘন্টা স্কুলে কাটাবে তার জন্যে কোন প্রতিবন্ধী-বান্ধব টয়লেটের সুব্যবস্থা সেখানে নেই। বাসে সংরক্ষিত আসন আছে কিন্তু Wheel Chair উঠানোর মত Accessible বাস নেই। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই সর্বস্তরে প্রবেশগম্যতা নেই, ফলে ৩/ ৪ তলায় ক্লাস করতে  হলে কষ্ট করে অন্যের উপর ভর করে উঁচু ভবনে উঠে ক্লাস করতে হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ ভবন সরকারের ইমারত বিধিমালা মান্য না করে গড়ে উঠা, সেসব ভবনে প্রবেশগম্যতা নেই।
সুতারাং যে সকল স্কুল এসব ভবনে পাঠ্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারেও সরকারের কোন যথাযথ তদারকী নেই। যে দেশে আপামর মানুষেরই মৌলিক অধিকারগুলো পেতে গলদঘর্ম হতে হয় সেখানে ওদের মত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু যারা অনেক কাজেই অন্যের উপর নির্ভরশীল, সে সকল শিশুর ভবিষ্যতের কথা মনে হলে কষ্টে বুক ভারী হয়ে যায়। বিষণ্ন্নতায় ভরে উঠে মন। অন্তত একজন মা হিসাবে আমার সন্তান যাতে বাস্তবতার নিষ্ঠুুর রূপ দেখতে না পায় সেই চেষ্টা করে যাব সারা জীবন। আমার সন্তানকে এমনভাবে গড়ে তুলব যাতে সে বাস্তবতাকে নিজেই মোকাবেলা করতে পারে। প্রতিবন্ধিতা কোন দোষ, পাপ বা অভিশাপ নয়। সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টিতে কোন ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই সৃষ্টি বৈচিত্র্যের অংশ। যে কেউই যে কোন সময় প্রতিবন্ধিতার শিকার হতে পারে। এক্ষেত্রে সচেতনতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কোন বিকল্প নেই। আমাদের সবাইকে এসব বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর কথা মনযোগের সহিত শুনতে হবে, তাদের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষকসহ সকলকে সহানুভূতিশীল হতে হবে। নেতিবাচক  আচরণ ও মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিবন্ধী মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে সঠিত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সুযোগের মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে।
সমাজের একটা বিরাট অংশকে আলাদা রেখে কোন রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। এসকল বিশেষ শিশু, কিশোর, ব্যক্তিদের সমাজের বোঝা না ভেবে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা রাষ্ট্রসহ সকলের দায়িত্ব। প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতিবন্ধিতা না দেখে তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। তাদের প্রতি করুণা নয়, প্রয়োজন আমার-আপনার সকলের সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। এ ক্ষেত্রে সকল ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংগঠনসহ বিশিষ্ট জনদের এক সাথে কাজ করতে হবে। আমার বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রুদ্র, নাবিলা আর জুয়েলসহ সকল প্রতিবন্ধী মানুষের বসবাস উপযোগী সার্বজনীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
সূত্র- ইত্তেফাক।

রূপচর্চা-কেলেঙ্কারিতে মন্ত্রীর পদত্যাগ

ইউকো ওবুচি। ফইল ছবিইউকো ওবুচি। ছবি: রয়টার্স

রাজনৈতিক তহবিলের অর্থ রূপচর্চাসহ অরাজনৈতিক কাজে অপব্যবহার করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের শিল্পমন্ত্রী ইউকো ওবুচি আজ সোমবার পদত্যাগ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ওবুচি। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ঘটনাকে অ্যাবের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে জানায়, ওবুচিকে জাপানের সম্ভাব্য প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। আজ অ্যাবের সঙ্গে আধঘণ্টার বৈঠকের সময় পদত্যাগপত্র দেন তিনি।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ওবুচি। একই সঙ্গে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে অ্যাবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য এই প্রথম পদত্যাগ করলেন। গত মাসে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেন অ্যাবে। এতে পাঁচজন নারী অন্তর্ভুক্ত হন। পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রথম কোনো নারী হিসেবে দেশটির অর্থ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ওবুচি। জ্বালানি খাতেরও দেখভাল করতেন তিনি।
৪০ বছর বয়সী ওবুচি ছিলেন তারকা মন্ত্রী। কিন্তু গত সপ্তাহে অভিযোগ ওঠে, তাঁর কর্মীরা রাজনৈতিক তহবিলের এক কোটি ইয়েনেরও অধিক অর্থ রূপচর্চা ও আনুষঙ্গিক সামগ্রীসহ অরাজনৈতিক কাজে ব্যয় করেছেন। এ ছাড়া তাঁর নির্বাচনী এলাকার অধিবাসীদের টোকিওতে বাসে করে নিয়ে নামমাত্র খরচে নাটক দেখার জন্য আমন্ত্রণ দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। একে ‘ভোট কেনা’ বলে অভিহিত করেছেন বিরোধী আইনপ্রণেতারা।

সূত্র- প্রথম আলো।

প্লাষ্টিকে মুড়ানো নবজাতকের লাশ! অন্যদিকে অপারেশনের পর বাচ্চা নেই!!

প্রসব ব্যথায় হাসপাতালে নেয়া হয় রেবেকা বেগমকে। ভর্তির পর হলো অস্ত্রোপচার। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা জানালেন, প্রসূতির পেটে সন্তান নেই। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে প্রসূতি রেবেকা হতবাক। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। আর হয়রানির ভয়ে হতাশ স্বজনরাও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছিলেন না।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ অক্টোবর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকের এমন কথায় বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই।

এদিকে হাসপাতালের ১নং গেইটের পাশ থেকে গত ১৪ অক্টোবর দুপুরে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো ছিলনবজাতকটি।

এ ঘটনায় পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটির মৃতদেহটি হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে বলে জানায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

১৩ অক্টোবর রাতে অস্ত্রোপচার, পরদিন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো একটি নবজতকের লাশ উদ্ধার- এ দু’টি ঘটনায় কোনো যোগসূত্র আছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারো কারো মুখে শোনা গেছে, ভুল অস্ত্রোপচারের কারণে হয়তো নবজাতকের মৃত্যু হওয়ায় তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের আসকর আলীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা রেবেকা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে ১১ অক্টোবর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ১৫নং ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হলেও পরে সেখান থেকে তৃতীয় তলার ১৪নং ওয়ার্ডে (গাইনী বিভাগে) স্থানান্তর করা হয়।

চিকিৎসকরা ১৩ অক্টোবর রেবেকা বেগমের শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণের পর পরীক্ষা ছাড়াই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। রাত ৮টায় রেবেকাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপরারেশন শুরু হয় রাত সাড়ে ১১টায়।

দীর্ঘ সময় ধরে চলে অস্ত্রোপচার। একপর্যায়ে চিকিৎসকসহ অস্ত্রোপচারে সংশ্লিষ্টরা বাইরে এসে রেবেকার স্বজনদের জানান, সিজার করে সন্তান পাওয়া যায়নি!

এতে উপস্থিত লোকজনসহ রেবেকার স্বজনরা হতবাক হয়ে যান। এ ব্যাপারে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সুযোগ দেয়া হয়নি। এ নিয়ে উপস্থিত লোকজনের মনে সন্দেহ দেখা দেয়।

এদিকে চিকিৎসকদের কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না রেবেকা। সন্তানের নড়াচড়া স্পষ্ট অনুভব করেছেন তিনি।

রেবেকা বেগমের স্বামী আসকর আলী গণমাধ্যমকে জানান, অস্ত্রোপচারের পর সন্তান পাওয়া যায়নি বলে চিকিৎসকরা জানান। চিকিৎসকদের কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। খুবই রহস্যজনক ঘটনা।

এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা তার জানা নেই। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

কিংবদন্তী নারী, ক্যাথেরিন দ্যা গ্রেট

অষ্টাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন। রাশিয়ান ক্রীতদাসদের পক্ষে করা তার কাজ আজও কিংবদন্তী। তিনি রাশিয়াকে ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসাবে গড়ে তুলেছেন, সাহিত্যকে করেছেন পৃষ্ঠপোষকতা। বলছি ক্যাথেরিন দ্যা গ্রেট নামের এক কিংবদন্তী নারীর কথা। ১৭৬২ থেকে ১৭৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাশিয়াতে রাজত্ব করেছেন। রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সময় রাজত্ব করা এই নারী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন একজন সফল শাসক। তার শাসন আমলে রাশিয়া একদিকে হয়েছে শক্তিশালী, অপরদিকে শিক্ষা আর প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ।
বর্তমান পোল্যান্ডের ভন আনহাল্ট-জার্বস্ট অঞ্চলে ১৭২৯ সালের আগস্ট মাসে জন্ম এই মহীয়সী নারীর। জন্মের সময় তার নাম ছিল সফি ফ্রেড্রিক। ১৭৪৫ সালে তিনি তার নাম পরিবর্তন করে ক্যাথেরিন রাখেন এবং অর্থডক্স খ্রিষ্টান হন। এসময় তিনি রাশিয়ান সিংহাসনের উত্তরাধিকারী পিটার দ্যা গ্রেটের নাতি গ্র্যান্ড ডিউক পিটারকে বিয়ে করেন। শুরুর দিকে রাশিয়ান আদালত ক্যাথেরিনকে সন্দেহের চোখে দেখতো। কারণ একটাই, সে রাশিয়ার মেয়ে নন। রাশিয়ার সংস্কৃতি আর উদার মনোভাবের অভাব ছিল তার আচরণে। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি নিজেকে তৈরি করে ফেলেন রাশিয়ান হিসাবে। আর রাশিয়ান আদালতের সাথে গড়ে তোলেন সুসম্পর্ক। তার জন্ম পরিচয় পেছনে পড়ে যায়। কূটনৈতিক দক্ষতায় তিনি ছাড়িয়ে যান তার স্বামী সম্রাট তৃতীয় পিটারকে। তার স্বামী ছিলেন দুর্বল, শিশুসুলভ আর অপদার্থ ধরনের মানুষ। তাদের মধ্যে সম্পর্কও ছিল দুর্বল। কথিত আছে ক্যাথেরিন এই সময়ে রাশিয়ান আদালতের অনেক শীর্ষ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শুরু হয় ক্যাথেরিন দ্যা গ্রেটের রাজত্ব। তার রাজত্বের সীমানা ছড়িয়ে পড়ে বেলারুশ, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ড পর্যন্ত।
ক্যাথেরিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল গ্রেগরি পটেমকিন। যদিও তাদের মধ্যে একান্ত ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল, তবুও তা রাজনৈতিক দিক দিয়েও ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পটেমকিনের সামরিক দক্ষতা ছিল অসাধারণ। তিনি রাশিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলের একজন শক্তিশালী নেতা হয়ে উঠেছিলেন। তার সাহায্যেই ক্যাথেরিন ক্রিমিয়ার জয় করেন। আর এই বিজয় রাশিয়াকে ইউরোপের নতুন পরাশক্তি হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
জীবনের প্রথম দিনগুলোতেই ক্যাথেরিন উদার মনোভাব নিয়ে বড় হয়ে ওঠে। মানবাধিকার এবং ন্যায় বিচারের পক্ষে ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠস্বর। বেশ কিছু আইন এবং নির্দেশনা তিনি তৈরি করেন, যা ছিল ঐতিহাসিক আইন। কিন্তু ১৭৬৮ সালের অটোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে তা আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। ক্যাথেরিনের সাম্রাজ্য বিস্তার নীতির একটি খারাপ দিক আবির্ভূত হয়। সামরিক খাতে বেশি ব্যয় হওয়াতে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দেয় রাশিয়াতে। ফলে সাধারণ মানুষ রাজ্য বিস্তারের কোন মানে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। ফলে ১৭৭৪-৭৫ সালের দিকে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিদ্রোহের জন্ম হয়। কিন্তু ক্যাথেরিন তার রাজনৈতিক দক্ষতা আর মহত্ব কাজে লাগিয়ে এসব বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হন। তিনি দেশের জনগণের ক্ষমতায়ন এবং অতিরিক্ত অধিকারের ব্যবস্থা করেন। ক্যাথেরিনকে রাশিয়ার অন্য শাসকদের চেয়ে আলাদা করা যায় তার শিক্ষা, শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা দেখে। তিনি অধ্যয়নের জন্য ব্যয় করেছেন জীবনের অধিকাংশ সময়। তার সবচেয়ে বড় অবদান হল— তিনিই প্রথম নারীদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তার শাসনামলে রাশিয়া পান ভলতেয়ার ও Diderot-এর মতো অসাধারণ কিছু সাহিত্যিক। ১৭৯৬ সালে মারা যান মানব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই রাজনৈতিক নেতা।
 
সূত্র- দৈনিক ইত্তেফাক।

দিন শেষে ভালোভাবে পরিস্কার করুন নিজের হাত

আপনজনদের জন্য রান্নাবান্না ছাড়াও কত কী করেন আপনি। সারাটা দিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকে আপনার হাত। এত সব কাজের মধ্যে হাতেরও চাই যত্ন। হাতের যত্ন প্রসঙ্গে সোনালীস এইচডি মেকআপ স্টুডিও’র রূপবিশেষজ্ঞ সোনালী ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, ‘হাত পরিষ্কার করার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। একেবারে গরম পানি হাতে ব্যবহার করা ঠিক নয়।’
হাতের যত্নে তিনি দিয়েছেন আরও কিছু পরামর্শ—
পরিষ্কার রাখুন হাত
 হাতে লবণ ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে হাতের ত্বক পরিষ্কার থাকবে।
 সব কাজ যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন তরল সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সময় ব্রাশের সাহায্যে হাতের আঙুল ও নখ পরিষ্কার করতে পারেন।
.বিশেষ যত্ন
 কমলালেবুর রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে হাতে ম্যাসাজ করুন। তারপর হাত পরিষ্কার করে ফেলুন।
 যাঁদের হাতের ত্বক শুষ্ক অথবা পানি নাড়াচাড়া করার ফলে যাঁদের হাতের ত্বকে শুষ্কভাব চলে আসে, তাঁরা হাতে চিনি এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এ মিশ্রণটি তৈরি করতে চা-চামচের চার ভাগের এক ভাগ চিনির সঙ্গে সমপরিমাণ অলিভ অয়েল মেশাতে হবে। মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে হাতের শুষ্কভাব দূর হবে। এ ছাড়া বাজারে বিশেষ একধরনের লোশন (ইউসেরিন) কিনতে পাওয়া যায়, হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক মনে হলে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ লোশন নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে, এক-দুই দিন ব্যবহার করলে চলবে না।
 হাতের ত্বক তৈলাক্ত হলে শসা অথবা লেবুর রসের সাহায্যে হাত পরিষ্কার করুন।

কাজের মধ্যে
 হাতের ত্বক যেমনই হোক না কেন, বাসন-কোসন ধোয়ার সময় গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন। এতে হাতের ত্বক ভালো থাকবে। মাংস কাটার সময়ও গ্লাভস ব্যবহার করুন।

হাতের ত্বক নরম রাখতে
 সব কাজ শেষে হাত ধোয়া ও শুকিয়ে নেওয়ার পর হাতে ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে গ্লাভস পরে থাকতে পারেন। এতে হাতের ত্বক কোমল থাকবে।
 অতিরিক্ত ক্ষারসমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করবেন না।
 দিনে অন্তত চারবার হাত পরিষ্কার করে নিয়ে শুকানোর পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
কালো ছোপ যখন হাতে
 বিভিন্ন কারণে হাতে কালো ছোপ হতে পারে। কালো ছোপ দূর করার জন্য হাতে ফেয়ার পলিশ করাতে পারেন। ফেয়ার পলিশ করালে ধীরে ধীরে কালচে ভাব কমে আসবে। আর যেসব সবজি কাটলে হাতে কালচে ভাব আসতে পারে, সেগুলো কাটার সময় গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র- প্রথম আলো।

ফাতিমা হত্যাকান্ডঃ খুনীদের ফাঁসির দাবীতে নয়টি স্থানে মানববন্ধন

410086a20af8e17ad96c348adf4cb8aa-MATHBARIA..PIC..3

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বুখাইতলা হাতেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ফাতিমা আক্তারকে (৯) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলার নয়টি স্থানে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে উপজেলা সদর, তুষখালী, সাফা, মিরুখালী, গুলিসাখালী, সোনাখালী, সাপলেজা, বেতমোর ও বড়মাছুয়ায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
উপজেলা সদরে মানববন্ধন শেষে কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা জামান খানের সভাপতিত্বে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবিব, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মল্লিক, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ উল হক, নিহত ফাতিমার বাবা ফুল মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাক রুহুল আমিন, মানবাধিকার কমিশন পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পোদ্দার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সংহতি জানায়।
ওসি নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন ও খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ফাতিমা বুখাইতলা বান্ধবপাড়া গ্রামে নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত। ৫ অক্টোবর সকালে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন প্রতিবেশী শাহজাহান জমাদ্দারের বাগান থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত ফাতিমার মামাতো ভাই মো. স্বপন (২০) ও তাঁর বন্ধু সুমন জমাদ্দারকে (১৮) গ্রেপ্তার করে।

সূত্র- প্রথম আলো।

অনলাইনে ধারাবাহিক

না, কোনো টিভি চ্যানেলে নয়, ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হবে অনলাইনে। যখন খুশি তখন নির্দিষ্ট সাইটে গিয়ে দেখা যাবে ধারাবাহিক নাটক সাইন আপ। এ রকম একটি উদ্যোগ নিয়ে চালু হচ্ছে নতুন ওয়েবসাইট www.3rdbell.com। যেকোনো সময় দর্শকেরা ওই ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিতে পারবেন আপলোড করা পর্বগুলো। ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন রুবায়েত মাহমুদ। তিনি জানান, কেবিন ব্যাগ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে নাটকটি। অনলাইনে ধারাবাহিকের প্রচার প্রসঙ্গে কেবিন ব্যাগ এন্টারটেইনমেন্টের স্বত্বাধিকারী অভিনেত্রী নওশীন বলেন, ‘আমরা দিন দিন অনলাইননির্ভর হয়ে যাচ্ছি। বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি এই মাধ্যমকে। তাই দর্শকদের কথা বিবেচনা করেই অনলাইনে আপলোড করা হবে নাটক। শুধু তা-ই নয়, নানা ধরনের অনুষ্ঠান নির্মাণেরও পরিকল্পনা চলছে।’

নওশীন জানান, সাইন আপ-এর প্রতিটি পর্ব সাত মিনিট করে। আর প্রতিদিন একটি করে পর্ব আপলোড করা হবে সাইটে। দর্শক যেকোনো সময় বসে নতুন ও পুরোনো পর্ব দেখে নিতে পারবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের শেষ দিকে চালু হচ্ছে www.3rdbell.com।

সূত্র- প্রথম আলো।

অদৃশ্য ছাতা!

rupcare_air umbrella

 

অঝোর ঝড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আটকে পড়লেন। চোখ গেল বৃষ্টিমুখোর ঢাকার রাজপথে এক প্রেমিক-প্রেমিকা হাতে হাত ধরে দিব্যি হেঁটে চলেছে। কিন্তু কোনওভাবেই তারা ভেজেনি। এমন দৃশ্য দেখলে অবাক হবেন না। তাদের হাতে রয়েছে ‘অদৃশ্য ছাতা’।
অদৃশ্য ছাতা শুনে পাগলের প্রলাপ বলবেন। কিন্তু না। এর বাস্তব রূপ দিয়েছে চীনের এক বিজ্ঞানী ছোয়াঙ ওয়াঙ। আপনার হাতে থাকবে একটা জাদুছড়ি। জাদুছড়ির সুইচ টিপলেই বৃষ্টি আপনার মাথায় আর পড়বে না।

ছড়ি’। এই ছড়ির তলায় রয়েছে একটি সুইচ ও বায়ু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যন্ত্র। মাঝখানে রয়েছে লিথিয়াম ব্যাটারি। একদম উপরে আছে পাম্প। সুইচ টিপলে পাম্প থেকে হাওয়া নির্গত হয়। আপনি সুইচের মাধ্যম দিয়ে হাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। বৃষ্টি দিক অনুযায়ী হাওয়ার দিক পরিচালিত করা যায়।

হতে পারে ‘অদৃশ্য ছাতার’? এই ছাতার দাম ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ হাজার থেকে আট হাজার রুপি। সেপ্টেম্বর, ২০১৫-র মধ্যে বাজারে আসবে ‘অদৃশ্য ছাতা’।

শিশু ধর্ষণকারী গ্রেপ্তার হয়নি তিন সপ্তাহেও, মামলা তুলতে হুমকি!

1402155849.

ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত জাবেদ আলীকে (২৬) গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া জাবেদ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে ওই শিশুর পরিবার জানিয়েছে।

শিশুটির পরিবার জানায়, জাবেদ প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমনকি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মানসিক যন্ত্রণায় ভেঙে পড়ে শিশুটির বাবা গত শুক্রবার ভোরে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ওই শিশুর মা জানান, একদিকে স্বামীর আকস্মিক মৃত্যু, অন্যদিকে ধর্ষণের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি। এ পরিস্থিতিতে সাত ছেলেমেয়ে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। প্রশাসনের কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা এখন কে দেবে? ধর্ষক জাবেদের কি বিচার হবে না?’

গত ২৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের শহীদনগরের সুকুমপট্টিতে ওই শিশুকে ভিডিও গেমস খেলতে দেবে বলে জাবেদ আলী তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসীর সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসা করানো হয়। পরদিন সকালে তার মা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জাবেদকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই দিনই মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ শিশুটিকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাঁদনি রূপমের আদালতে মেয়েটির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।

সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, শিগগির মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। জাবেদকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র- প্রথম আলো।

রোহিঙ্গাদের সাথে বিয়ে নিষেধ!!

url.jpg-7
বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না রোহিঙ্গারা ৷এ ধরনের বিয়ে অবৈধ৷ এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ এ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় একটি আদেশ জারি করেছে৷

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সে সময় জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গাদের বিয়ের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে৷ সেই আদেশ অনুযায়ী, কোনো কাজি রোহিঙ্গাদের বিয়ে নিবন্ধনে আবদ্ধ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

তিনি বলেন, কাজি ছাড়াও যারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে৷অবশ্য এই আদেশ জারির আগে কোনো বিয়ে হয়ে থাকলে সে ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা  তা স্পষ্ট করেননি আইনমন্ত্রী৷

সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ের অভিযোগ!

vivah-ballo

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক গ্রামে স্কুলছাত্রীকে (১২) ধরে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা মামলা করার পর বর-কনেকে পুলিশ উদ্ধার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর ওই ছাত্রী মুসলিম ব্লক গ্রামে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় রাস্তায় কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে। পরে তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহর বাড়িতে ওই ছাত্রীকে তুলে নেওয়া হয়। সেখানে ছাত্রীকে কাচালং দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র মো. আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী কিছু বুঝে ওঠার আগেই তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ কাজি হয়ে বিয়ে পড়ান। এ সময় ছেলের চাচা আবদুল গফুরকে কনের বাবা ও দাদা মো. মমতাজ আলীকে বরের বাবা সাজানো হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাত্রীর বাবা নারী নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেন। এতে তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ, ছেলের চাচা মো. আবদুল গফুর, দাদা মো. মমতাজ আলী ও বর মো. আলী হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার পর রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো. আলী হোসেন ও ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার সকালে দুজনকে রাঙামাটি আদালতে পাঠানো হয়। অন্য তিন আসামিকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
তুলাবান উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক নেয়ামত উল্লাহ (কাজি) বলেন, ‘আমার কাছে কে কোন ক্লাসে পড়ে জানার বিষয় নয়, তারা আমার কাছে জন্ম নিবন্ধনে ছেলের বয়স ২১ ও মেয়ে বসয় ১৮ দেখানোর পর বিয়ে পড়িয়ে দিই। আমি আদালতেও এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারব।’
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ছেলে ও মেয়েকে উদ্ধার করি। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে।’

-সূত্রঃ প্রথম আলো।

বাচ্চাকে যে জিনিস গুলো অবশ্যই শেখাবেন

dev-bg-home-2
আমাদের পরিবারই হচ্ছে প্রতিটি বাচ্চার প্রথম স্কুল। বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষায় তার জীবনাচারণের মূল ভিত প্রতিষ্ঠা করে। তার আগত ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট হয় এখান থেকেই। সুশিক্ষিত সচেতন বাবা-মা পারেন তার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করতে। এ জন্য তাদেরকে কিছু বিষয় অবশ্যই পালন করতে হবে তা হলো-

ভাষায় নম্রতা বজায় রাখা : বাচ্চার সঙ্গে সব সময় নম্রতা বজায় রেখে কথা বলা উচিৎ। এতে তার মনের ভিতরে গড়ে উঠবে বিনয় এবং ভদ্রতা। নিচু স্বরে কথা বলার অভ্যাস তাকে সবার কাছে করবে সমাদৃত। উগ্র মেজাজী হতে বাধা দিবে। শান্ত স্বভাবে করবে সব কিছুর সমাধান।

ছায়ার মতো পাশে থাকা : আপনি সব সময়ই সন্তানের পাশে থাকুন ছায়ার মতো। তাকে যেকোন অনাহূত ভবিষ্যতের হাত থেকে রক্ষা করতে একমাত্র আপনারই সচেতনতা দরকার। তাকে সাধ্যেরমধ্যে সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে বড় করুন।তার খাবার, পোশাকসহ আনুসঙ্গিক কোন কিছুতেই কার্পণ্য নয়।এতে বাচ্চার মনেও জন্মাবে অপরের প্রতি মমতা আর ভালোবাসা।

সত্য বলা : মা-বাবার সব সময় সত্য বলার অভ্যাস থাকলে বাচ্চাও সত্য বলা শেখে। তাই ভুলেও কখনো বাচ্চার সামনে কোন লুকোচুরি বা মিথ্যার আশ্রয় নেয়া ঠিক নয়। কারন বয়সটাই তাদের অনুকরণের। যা দেখবে তাই শিখবে।

বিনোদনের সঙ্গে থাকা : সন্তানের হাঁসি নিশ্চিত করতে তার বিনোদনের ব্যবস্থা করুন। তার সঙ্গে খেলুন, কথা বলুন। সমবয়সীদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলে বাচ্চার মধ্যে সামাজিকতা বোধ গড়ে উঠবে। সে আত্মকেন্দ্রিক হবে না। সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলা শিখবে।

ধর্মীয় শিক্ষা : কোন মানুষই বন্ধনের উর্ধ্বে নন। ধর্ম তেমনি এক বন্ধন যা পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনকে বেধে রাখে একই সুতোয়। তাছাড়া পৃথিবীর কোন ধর্মেই হিংসা, হানাহানি বা মানব বিদ্বেসের শিক্ষা দেয় না। তাই শিশু মনকে ছোট বেলা থেকেই একটি নৈতিকতার ছাঁচে গড়ে তুলতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।

বাল্যবিবাহ বন্ধ

অপরাজিতা ডেস্ক- নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের চাচড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মো. আনিচুর রহমান জানান, শুক্রবার চাচড়া পশ্চিমপাড়ার সুলতান মোল্যার মেয়ে রহিমা খাতুনের (১৪) সঙ্গে একই ইউনিয়নের সাহেব আলীর ছেলে আলামিন মোল্যার (১৮) বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. জাকির হোসেন উভয়ের অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। এ সময় ছেলে-মেয়ের বাবাকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। 

 

সঠিক ভাবে পোষাকের রঙ নির্বাচন

aj_Eid

ফ্যাশনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে পোশাকের রঙ। পোশাকের রঙ নির্বাচন সঠিক হলে ফ্যাশন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ফ্যাশন সচেতন প্রতিটি ব্যক্তি পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে রঙ নির্বাচনে তত্পর। পোশাকের রঙ সঠিক হলে নিজেকে মানানসই করে ফুটিয়ে তোলা সহজ হয়ে পড়ে। রঙ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আবহাওয়া একটি বিবেচ্য বিষয়। সব মিলিয়ে পোশাকে রঙ এর ছটা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজনে।

প্রতিটি রঙের একটি নিজস্ব ভাষা আছে এবং যা শরীর ও মনের উপর প্রভাব রাখে। লাল রং শক্তি, কর্মোদ্যোগ এবং পরিবর্তনের প্রতীক। আনন্দ ও সুখের রং কমলা। নিরপেক্ষতা-নির্লিপ্ততা এবং বুদ্ধির রং হলুদ। সবুজ রং ঐক্য, সমবেদনা এবং প্রশান্তির প্রতীক। শান্তির রং নীল। আসমানি রং কল্পনা এবং অনুমানশক্তি বৃদ্ধি করে। বেগুনী রং অনুভূতিশীল এবং শিল্পমনা হতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিটি রঙেরই আলাদা আলাদা আবেদন রয়েছে। পোশাকের ক্ষেত্রে রঙের নির্বাচন তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ঋতু বৈচিত্রের উপর রং নির্বাচন করা হয়ে থাকে।

শীতকালে লাল, হলুদ, উজ্জ্বল সবুজ অথবা নীল রং। গরমকালে হালকা গোলাপি, নীল রং। বর্ষাকালে হালকা কাপড়ের গাঢ় রং। বসন্তে গোলাপি, হলুদ, আকাশী অথবা হালকা সবুজ রং ব্যবহার করুন। এছাড়া গায়ের রঙের উপরও রং নির্বাচন করা হয়ে থাকে। যাদের গায়ের রং কালো তারা সবসময় গাঢ় রং এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। ফর্সাদের ক্ষেত্রে অবশ্য সব রঙই মানানসই। তাদেরকে যেকোনো গাঢ় রঙেই বেশি মানাবে। এছাড়া রাতের কোনো উত্সবে যেতে হলে অবশ্যই গাঢ় রং এবং দিনের বেলা হালকা রং আপনার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক হবে। আপনাকে অবশ্যই হাল-ফ্যাশনের দিকে লক্ষ রেখে পোশাক নির্বাচন করতে হবে। তবে সেই সঙ্গে লক্ষ রাখতে হবে পোশাক যেন আপনাকে সমালোচিত না করতে পারে। আমাদের দেশে সচরাচর যে সকল বর্ণের রং ব্যবহার করতে লক্ষ করা যায় গরমের সময় তার কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটে। এই ব্যতিক্রম মূলত অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়ার জন্য। আমরা গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন সময় ও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক পরিধান করি। সেসব পোশাকের রং বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। তবে এ সময় কখনও কখনও ক্ষেত্রবিশেষে পোশাকের রং নির্বাচন করি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই পোশাকের রং হিসেবে প্রথম পছন্দ আরামদায়ক রং। আসুন জেনে নিই কোন অবস্থায় কেমন রং আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে।

ফ্যামিলি পার্টিতে

পার্টির পোশাক তুলনামূলক গর্জিয়াস হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পোশাকের রং উজ্জ্বল বর্ণের হলেই ভালো। তবে গরমের সময় রাতের বেলায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকে। সে সময় পোশাকের রং হাল্কা উজ্জ্বল হলে ততটা সমস্যাদায়ক হয়ে ওঠে না। ফ্যামিলি পার্টিতে গাঢ় বর্ণের পোশাক পরিধান স্বস্তিদায়ক এবং বেশ আকর্ষণীয় হয়। হাল্কা মেরুন, গাঢ় স্কাই, মেজেন্ডা, সিলভার, বলটপ গ্রিন, গাঢ় গোলাপি, মাটি বর্ণের রং এ ধরনের পার্টির পোশাকে ব্যবহার করা যেতে পারে; যা পরিধানে আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং মানানসই হবে।

বেড়াতে যাবার সময়

বেড়াতে গেলে সাধারণত বেশ কয়েকদিন সেখানে অবস্থান করতে হয়। দীর্ঘভ্রমণ ও ভিন্ন আবহাওয়া তখন বেশ ক্লান্ত করে তোলে। তাই এ ক্ষেত্রে আরামদায়ক রঙের পোশাক পরিধান বেশ কার্যকর। যার ফলে স্বতস্ফূর্তভাবে বেড়ানো সম্ভব হয়ে ওঠে। গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া বেশ গরম থাকায় মানানসই ও হাল্কা বর্ণের পোশাক পরিধান বেশ প্রাণবন্ত করে তুলবে আপনাকে।

অফিসের ক্ষেত্রে

সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অফিসে তুমুল কর্মব্যস্ত থাকতে হয়। আর গরমে মানুষ এই কর্মব্যস্ততার মধ্যে হাঁপিয়ে ওঠে। এ সময়টুকু যদি আরামদায়ক রঙের পোশাক পরিধান করা না হয়, তাহলে গরম আবহাওয়া প্রচণ্ডভাবে দেহ ও মনকে বিধ্বস্ত করে তুলবে। আবহাওয়ার প্রতি লক্ষ রেখে অফিসের পোশাকের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাদা, পেস্ট, অ্যাশ, লাইট স্কাই, ঘিয়ে, মিষ্টি গোলাপি ইত্যাদি রং প্রাধান্য দিতে হবে। বিশেষ করে হাল্কা বর্ণের পোশাক পরিধানে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার ক্লান্তিতে কিছুটা হলেও প্রশান্তি এনে দেয়। অফিশিয়াল পোশাকের ক্ষেত্রে ফুল স্লিভ শার্ট, থ্রি-পিস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের হাল্কা বর্ণের পোশাক বেশ মানানসই করে তোলে।

ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রে

সাধারণত ক্যাম্পাসের পোশাক হিসেবে অধিকাংশ ছাত্ররা শার্ট, প্যান্ট ও টি-শার্ট এবং ছাত্রীরা থ্রি-পিস পরিধান করে থাকে। দীর্ঘক্ষণ ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হয় তাদের। সাধারণত অধিকাংশ ক্যাম্পাসের ক্লাস হয় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। গ্রীষ্মকালে এ সময় প্রচণ্ড তাপদাহ থাকে। তাই গরম আবহাওয়া সবাইকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পোশাকের রং নির্বাচন অতি জরুরি। হাল্কা বর্ণের পোশাক পরিধানে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। হাল্কা সবুজ, সাদা, অ্যাশ, হলুদ, গোলাপি, ঘিয়ে, কলাপাতা বর্ণের পোশাক পরিধান করলে গরম আবহাওয়ায় বেশ প্রফুল্ল মনে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা যায়। হাল্কা বর্ণের পোশাকের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম থাকায় গরম আবহাওয়ায় দেহকে বেশ শীতল রাখে। তাই হাল্কা বর্ণের পোশাক গ্রীষ্মকালে পরা তাই বেশ আরামদায়ক।

আড্ডার ক্ষেত্রে

তরুণ প্রজন্ম মানেই আড্ডাপ্রিয়। এ সময় বিভিন্ন সাম্প্রতিক ও শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে তারা। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বিকেল বা সন্ধ্যায় আড্ডায় মেতে ওঠে। এ সময় আবহাওয়ায় কিছুটা ঠাণ্ডা পরিলক্ষিত হয়। আবহাওয়ায় গরম না থাকায় পোশাক পরিধানে তেমন সমস্যা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তরুণদের আড্ডার সময় হাফ স্লিভ টি-শার্ট পরিধান করতে লক্ষ করা যায়। এ সকল টি-শার্টের রং হয় সাধারণত হোয়াইট, পেস্ট, পেক্টোল, ক্রিম, বিস্কিট, সিলভার, ফিরোজা, হলুদ, হাল্কা সবুজ। বিকেল ও সন্ধ্যায় আড্ডার সময় এ সকল রঙের হাফ স্লিভ টি-শার্ট পরিধানে নিজেকে বেশ প্রাণবন্ত ও উত্ফুল্ল ভাবে উপস্থাপন করা যায়। যা আড্ডাকেও বেশ আনন্দঘন করে তোলে।

আরো কিছু টিপস

 আপানার গায়ের রং, উচ্চতা, ওজন সবকিছুর সাথে মিলিয়েই পোশাক নির্বাচন করুন।

 অনেকের থাই মোটা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে টাইট সালোয়ার না পরে, সেমি ফিট বা ঢোলা সালোয়ার পরা উচিত। তাদের লেগিংস এড়িয়ে চলাই ভালো।

 অনেকের হাত শুধু মোটা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে ছোট হাতার পোশাক না পরে কোয়ার্টার বা লং হাতার পোশাক পরা উচিত।

 মোটা হলে শাড়িতে কুচি একটু কম দিতে হবে, আঁচল বড় রাখতে হবে। চিকন হলে কুচি বেশি দিতে হবে।

 ব্লাউজের ক্ষেত্রে যারা মোটা, তারা ছোট প্রিন্টের বা চেকের স্ট্রেইট কাটের থ্রিকোয়ার্টার ব্লাউজ পরতে পারেন।

 যাদের কাঁধ চওড়া তারা ভি শেপের গলা দিতে পারেন। এতে চওড়া কম দেখাবে। পোশাক আপনার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং আপনি হয়ে উঠবেন নিজ ভুবনে অনন্য।

তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

পিডোফেলিয়া, পর্নোগ্রাফি ও শিশু পর্নোগ্রাফি আইন

কোন সংবাদটি আমাদের পীড়িত করছে বেশি? বাংলাদেশে শিশুপর্নো-বাণিজ্য? নাকি একজন শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়ার শিশুপর্নো-বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতা? কোনো সন্দেহ নেই দ্বিতীয় খবরটি আমাদের ভয়াবহ নাড়া দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ পর্নোগ্রাফিমুক্ত, এমন ধারণা কারও থাকলে তাকে অসচেতন নাগরিক বলা চলে। একটা বুলেট প্রশ্ন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও। সব সংবাদেই এসেছে, ইন্টারপোলের রিপোর্টের পরই বাংলাদেশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে নামে এবং টিপু কিবরিয়াকে তার শিশুপর্নো উৎপাদন ডেরায় হাতেনাতে আটক করে।

আশ্চর্যজনক হল, এদেশে শিশুপর্নোর পেশাদার চক্র আছে, এদেশ থেকেই শিশুপর্নো পাচার হচ্ছে, এদেশের শিশুদের পর্নোগ্রাফি নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে, অথচ আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সজাগ-সক্রিয় নয় কেন?

বিকারগ্রস্ত যৌনতায় শিশুদের অপব্যবহার নতুন কিছু নয়। যেমন, বিলুপ্ত ঘেটুদলের, বিশেষত বালকদের যৌননিপীড়ন করা হত। যখন অনলাইন প্রযুক্তিনির্ভরতা ছিল না, তখন সিনেমা হলে ‘কাটপিস’ জুড়ে পর্নোগ্রাফি চলেছে। টু-জি প্রযুক্তি বিস্তারকালে উপযুক্ত আইনি কাঠামো না থাকায় সাইবার ক্যাফে, মোবাইল ফোন, অনলাইন সাইটে পর্নোগ্রাফি ছড়াতে থাকে দুষ্টক্ষতের মতো। এর ধরন দুটো– অ্যামেচার পর্নোগ্রাফি ও পর্নোগ্রাফি সিন্ডিকেট। অ্যামেচার পর্নোগ্রাফিতে নারীর অসম্মতিতে মোবাইলে, গোপনে ধারণকৃত ভিডিও আপলোড করে নারীর পারিবারিক-সামাজিক অবস্থান হেয় করার চেষ্টা থাকে। পর্নোগ্রাফি সিন্ডিকেট মূলত শক্তিশালী পর্নোগ্রাফি বাণিজ্যচক্র।

rape victim - 2

ধরণ যাই হোক না কেন, যৌনবিকারগ্রস্ত ব্যক্তিরা সহজেই এসব অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে– পর্নো ভোক্তা হিসেবে, পর্নোব্যবসায়ী হিসেবে। গুগলে ‘বাংলায়’ অনেক ধরনের কী-ওয়ার্ড খুঁজতে গেলে যে ধরনের সার্চ রেজাল্ট আসে তা বিব্রতকর। পর্নোর লিখিত (বাংলায়) সংস্করণ যাকে ‘চটি’ বলা হয় তা অনলাইনে মহামারির মতো বিস্তৃত। ফেক্সিলোডের মতো মোবাইলে পর্নোগ্রাফি লোড করে নেওয়া যায়।

জেলা-উপজেলা পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলাজনিত সংবাদগুলোতে বহুবার উঠে এসেছে স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা। পরিণতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েদের বেছে নিতে হয়েছে আত্মহননের পথ। গ্রামাঞ্চলে ও শ্রমিক শ্রেণির বিনোদনে পর্নো সহজ্যলভ্য হয়ে যাওয়ায় পর্নো-আসক্ত কমিউনিটি গড়ে উঠছে ক্রমাগত।

শিশুরাও এই আসক্তিমুক্ত নয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম গবেষণায় উঠে এসেছে এক ভয়ংকর পরিসংখ্যান। ৮২ শতাংশ শিশু মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখে থাকে। ক্লাসের মাঝে মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখে শতকরা ৬২ জন শিশু। পর্নোগ্রাফি আসক্তি উঠতি বয়সের এই শিশুদের মানসিক ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটাবে তো বটেই, অনুসন্ধিৎসু আচরণ এদের ‘ভিকটিম’ হওয়ার পথ করবে সুগম।

সুনির্দিষ্টভাবে শিশুদের সঙ্গে যৌনাচার প্রসঙ্গে মেডিকেল সায়েন্স পিডোফেলিয়া (Paedophilia) টার্মটি ব্যবহার করে থাকে। পিডোফেলিয়া হচ্ছে শিশুদের প্রতি তীব্র যৌনমনোকাঙ্ক্ষা, যা অবশ্যই মানসিক বিকারগ্রস্ততা। যারা পিডোফাইল (Paedophile), তারা চাইল্ড পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট ছাড়াও ফেসবুকে শিশুদের প্রোফাইল, ছবি থেকে তাদের পরবর্তী শিকার বেছে নেয়। মিশ্র চরিত্রের পিডোফাইল বয়স্ক এবং শিশু উভয়ের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করে থাকলেও, এমন পিডোফাইল আছে যারা কেবলমাত্র শিশুদের সঙ্গে যৌনসম্পর্কে আগ্রহী হয়।

বস্তুত শিশুরা পিডোফাইল দ্বারা যৌননির্যাতনের (Child molestation) শিকার হয়। আন্তর্জাতিক গবেষণা বলে, আপনার প্রতিবেশিটিও একজন পিডোফাইল হতে পারে। ছেলেশিশু এবং মেয়েশিশু উভয়েই পিডোফাইল দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। ২০০৩ সালে ব্রিটিশ পুলিশের একটি বিশেষ দল জানিয়েছিল, তারা মাত্র ৪ সপ্তাহে ১০০ জনকে শিশুপর্নোগ্রাফি ডাউনলোডকালে গ্রেপ্তার করেছে। মুম্বাইতে এক সুইস দম্পতি পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয়, যারা বস্তির ছেলেমেয়েদের আপত্তিকর ভঙ্গিমায় ছবি তুলতে বাধ্য করত। এ সব ছবি বিশেষত পিডোফাইলদের জন্য তৈরি পর্নোসাইটগুলোতে প্রকাশিত হত।

ব্রিটেনের আইনি ইতিহাসে অপারেশন ওরে (Operation Ore) কে সর্ববৃহৎ অপরাধ তদন্ত বলে গণ্য করা হয়। এই তদন্তে অসংখ্য ক্রেডিট কার্ড চিহ্নিত হয়েছিল, যেগুলো শিশুপর্নোগ্রাফি ক্রয়ে ব্যবহৃত হত। এই তদন্তে সন্দেহভাজন তালিকায় পুলিশ অফিসার, ডাক্তার, সেলিব্রেটিরাও ছিল। ২০১২-২০১৩ সালের দিকে অস্ট্রেলিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক চাইল্ড পর্নোগ্রাফি তদন্ত টিম ২৫ থেকে ৭২ বছর বয়সী ৩৮৪ জন অপরাধীকে আটক করে যাদের মধ্যে ডাক্তার, নার্স, এমনকি যাজকও ছিল। সাড়ে তিন লাখ স্থিরচিত্র এবং ৯০০০ ভিডিওচিত্র জব্দ করা হয় তদন্তে। ভারতে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির আর্মি অফিসারও চাইল্ড পর্নোগ্রাফিতে জড়িত থাকায় ধৃত হয়।

শিশু পর্নোগ্রাফির দ্রুত বিস্তার জাপানকে নাজুক পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে। ২০১০ সালে জাপানে শিশুপর্নোগ্রাফির হার ছিল ৪০ শতাংশ। ইইউ-এর জরিপ মতে, ২০০৮ সালে ১০০০ বাণিজ্যিক ও ৫০০ অবাণিজ্যিক শিশুপর্নো সাইট চিহ্নিত করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় বিকারগ্রস্তরা যৌনবৈচিত্র্য খুঁজে নিচ্ছে পর্নোসাইটগুলোতে। শিশুপর্নো বা চাইল্ড পর্নোগ্রাফি নিয়ে গড়ে ওঠা শক্তিশালী সিন্ডিকেট এভাবে তাদের নেটওয়ার্ক প্রসারিত করছে।

আন্তর্জাতিক তথ্য-উপাত্তে পিডোফাইল, পর্নোগ্রাফি, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, পর্নোগ্রাফি আইন নিয়ে নানাবিধ কেসস্টাডি, পরিসংখ্যান, মন্তব্য, সরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ে। বাংলাদেশে পিডোফাইল সংক্রান্ত একাডেমিক গবেষণা সমৃদ্ধ নয়, এটা অনলাইন ঘাঁটলে বোঝা যায়। শিশু পর্নোগ্রাফি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায় না।

একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১১ সালের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল, বাংলাদেশে ৬.৬ শতাংশ ছেলেশিশু এবং ১৫.৩ শতাংশ মেয়েশিশু যৌননিপীড়নের শিকার হয় বন্ধু, শিক্ষক, আত্মীয়, পরিচিতজন কর্তৃক। আশংকার বিষয় হল, অধিকাংশ ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত নথিভুক্ত হয় না।

সরকারি ওয়েবসাইট থেকে (নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫) শিশুনির্যাতনের একটি পরিসংখ্যান পাওয়া যায়, যা মূলত জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সংকলন, কোনো সরকারি জরিপ নয়। নিচের চিত্রে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের ‘শিশু’ কলামগুলোতে শিশুনিপীড়ন পরিসংখ্যান রয়েছে। শিশুনিপীড়নের পাঁচটি প্রকরণের মধ্যে প্রথম চারটিই শিশুর উপর শারীরিক ও যৌন আক্রমণজনিত।

Chart

দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ ভাগ শিশু। এদের শৈশব-কৈশোরের নির্মলতা রক্ষা করা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমাদের দেশে প্রচলিত ধারণা আছেই, দেশে আইন আছে বাস্তবায়ন নেই। কিছু আনুষ্ঠানিক নীতিমালা, আইন, সনদে শিশুদের নিয়ে তৎপরতা দেখা গেলেও বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও অজ্ঞতা রয়েছে। এক নজরে নিচের তালিকা থেকে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশে শিশুদের জন্য কী ধরনের আইন, নীতিমালা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম রয়েছে।

– শিশু আইন, ২০১৩

– জাতীয় শিশু নীতি ২০১১

– নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫

– জাতীয় শিশুশ্রম নীতি-২০১০

– নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল

– শিশু আদালত

– নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০

সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ এ শারীরিক নির্যাতনের বিবরণে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও শরীরের কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যৌনহয়রানির তালিকায় রয়েছে পর্নোগ্রাফি প্রদর্শন এবং স্থির অথবা ভিডিওচিত্র ধারণ। পর্নোগ্রাফি, মোবাইলে পর্নো ছবি ধারণ প্রযুক্তিভিত্তিক অপরাধ বিধায় প্রযুক্তি আইন বা সাইবার আইনের শাখায় এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার উৎসাহিত করতে হবে। কিন্তু এতে যে পর্নোগ্রাফি বৃদ্ধি পাবে তা কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রস্তুতি কী? দুটো আইন উল্লেখ করতে হয়–

– পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২

– তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬

তথ্য ও প্রযুক্তি (সংশোধিত) আইন ২০১৩

আমেরিকায় ফেডারেল আইনের আওতায় চাইল্ড পর্নোগ্রাফি আইনকে আনা হয়েছে। জার্মানি দ্রুততার সঙ্গে আইন প্রণয়ন করে শিশু পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০০৯ সালে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে কেবল শিশু পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও প্রচারই নয়, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট দেখাও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ‘নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধকল্পে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে’ প্রণীত পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এ দণ্ডবিধির ৮(৬) ধারায় শিশু পর্নোগ্রাফি বিষয়ক শাস্তি বর্ণিত রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পর্নোগ্রাফি ও চা্ইল্ড পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিধি যুক্ত নেই। প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে, অপরাধ-অপরাধী শনাক্তকরণ, তদন্ত প্রক্রিয়া, বিচার প্রক্রিয়া, ভিকটিমের সুরক্ষা নিশ্চিতে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি নিয়ে সয়ংসম্পূর্ণ আইন প্রস্তাব-প্রণয়ন-বাস্তবায়ন করতে সরকারকে আবেদন জানাই ।

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায়, অপরাধীরাও আধুনিক পদ্ধতিতে অপরাধ সংঘটনের সুযোগ পায়। অনেক ক্ষেত্রেই ‘অ্যানোনিমিটি’ রক্ষার্থে টর নেটওয়ার্কের (Tor network) আওতায় চাইল্ড পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটগুলো পরিচালিত হয়। তাই সরকারকে উন্নত প্রযুক্তিবান্ধব হতে হবে। পর্নোগ্রাফির এই ক্যান্সার সমাজকে আরও অসুস্থ করার পূর্বেই আন্তর্জাতিক কেস স্টাডির পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে গৃহিত বৈশ্বিক ব্যবস্থাগুলোর মডেল অনুসরণ করা সরকারের অবশ্য করণীয়। সরকারের আশু যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তা হল–

(১) সাইবার ফরেনসিক ল্যাব গঠন। সন্দেহভাজন ‘আইপি বা সার্ভার অ্যাকটিভিটি’ পর্যবেক্ষণ করতে উন্নত ‘সিসটেম বা সফটওয়্যার’ দরকার। এ ধরনের ল্যাবে সাইবার অপরাধের ‘ট্রেন্ড অ্যানালাইসিস’ করা সহজ হবে।

(২) শিশু পর্নোগ্রাফি সম্বলিত সাইট আটকে (Block) দিতে আইএসপি (Internet Service Provider) গুলোকে নির্দেশ প্রদান।

(৩) সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে শিশু পর্নোগ্রাফি, পিডোফেলিয়া বিষয়ে গবেষণা ও পরিসংখ্যান প্রস্তুতকরণ।

(৪) ১৮ বছরের পূর্ব পর্যন্ত শিশুদের মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধায়ন নিশ্চিত করা।

(৫) শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে বিশেষ টিম গঠন এবং এ ধরনের টিমে শিক্ষক ও মনোচিকিৎসক অন্তর্ভূক্তিকরণ।

(৬) গুগল সার্চ বক্সে যে শব্দ লিখলে শিশু পর্নোগ্রাফির লিংক, ভিডিও বা অবৈধ কোনো ওয়েবসাইটে চলে যাওয়া সম্ভব এ ধরনের ১৫০ ভাষার এক লাখ সার্চ শব্দকে সরিয়ে ফেলার কথা জানিয়েছিল গুগল। ধারণা করা হয়, এর বাস্তবায়নে শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রেতাদের ব্যবসা ৩০ শতাংশ কমে যাবে। বাংলা ভাষায় পর্নোগ্রাফি সাইট সার্চ রোধে গুগলের সহায়তা নিতে প্রস্তাব করা যেতে পারে সরকারের পক্ষ থেকে।

(৭) শিশু পর্নোগ্রাফি রোধে ব্রিটেন-আমেরিকা জোটবদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশেরও দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক পর্যায়ে এবং অবশ্যই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ ধরনের জোটে শরিক হওয়া আবশ্যক।

(৮) সাইবার জগৎ একটি সীমানাহীন বিশ্ব। সাইবার অপরাধ, পর্নোগ্রাফি চক্র প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট নির্ভর হওয়ায়, এর পরিচালনা, বিস্তার, প্রভাব, ক্ষতি পৃথিবীর যে কোনো স্থানে হতে পারে। তাই সরকারকে মূলত কাজ করতে হবে ‘ক্রস-বর্ডার সাইবার ল’ (Cross Border Cyber Laws) গঠনে।

(৯) সামাজিক, মানসিক সুস্থ বিকাশ ব্যতীত অপরাধ প্রবণতা বাড়তেই থাকবে। সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার স্লোগানের পাশাপাশি ‘সাইবার ইথিকস’ নিয়ে সচেতনতা গঠন আবশ্যক।

(১০) বাংলাদেশও যোগ দিক ইউনিসেফ (জাপান)-এর ‘নো’ (No) ক্যাম্পেইনে। আমরাও সচেতন স্লোগান তুলি, শিশু পর্নোগ্রাফিকে ‘না’ বলুন [Say ‘No’ to Child Pornography]।

ফিরে আসা যাক পিডোফেলিয়া প্রসঙ্গে। একজন পিডোফাইল নিশ্চিতভাবেই মানসিকভাবে অসুস্থ। শিশুকালের তিক্ত অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের ব্যর্থতা– এমন অনেক কারণে এই মানসিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। পিডোফাইলদের চিকিৎসাও হয়। তবে একজন পিডোফাইল কতটা আক্রান্ত তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা সফলতা। মানসিক অসুস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনি শাস্তি প্রযোজ্য না চিকিৎসা?

একজন কারগার মনোচিকিৎসক (Dr. Mace Knapp, Nevada State Prison Psychologist) বলেছেন, শিশুকে যৌননির্যাতনকারীর আর একজন সিরিয়াল কিলারের ব্যক্তিত্বে একই বৈশিষ্ট বিদ্যমান। একটি মতবাদ আছে, পিডোফাইল মাত্রই একজন শিশুনিপীড়ক, তবে শিশুনিপীড়ক মাত্রেই পিডোফাইল নয়। আইনি কার্যক্রমে অপরাধীর মানসিক অবস্থা চিকিৎসক কর্তৃক পরীক্ষিত হলে এ নিয়ে দ্বিধান্বিত হওয়ার সুযোগ কম।

শিশুকে যৌন নির্যাতনকারীর, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি উৎপাদনকারীর দ্রুত বিচার পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্তি ঘটুক।

আইরিন সুলতানা: ব্লগার।

তথ্যসূত্র:

http://www.bbc.com/news/magazine-20237564

http://www.crisisconnectioninc.org/sexualassault/pedophilia_and_molestation.htm

http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_all_sections.php?id=1119

http://www.mowca.gov.bd/wp-content/uploads/Bangla-National-Actional-Plan-2013-2025.pdf

http://www.mowca.gov.bd/wp-content/uploads/Bangla-National-Actional-Plan-2013-2025.pdf

http://www.smh.com.au/national/348-arrested-in-global-child-porn-investigation-20131115-2xke5.html

http://www.thehindu.com/news/army-officer-arrested-for-child-pornography/article424433.ece

http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_all_sections.php?id=1091


http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_all_sections.php?id=950

http://zeenews.india.com/news/net-news/us-dismantles-huge-international-child-porn-website_918868.html

http://daffodilvarsity.edu.bd/nccis/pdf/TS2_Paper_05.pdf

http://www.crisisconnectioninc.org/sexualassault/pedophilia_and_molestation.htm

http://www.unicef.org/infobycountry/japan_46426.html

৪০ লাখ রুপীর শাড়ি!!

1413284541Shary

 

মিডিয়া ডেস্ক : বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নীতা আম্বানি আইপিএল সিজনের পর আবার সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছেন। হবে নাই বা কেন। ভারতীয় ফুটবলের এক অভিনব উদ্যোগ আইএসএল যে তারই ব্রেন চাইল্ড! কিন্তু এই সবের বাইরেও নীতা আম্বানির নাম সংবাদ শিরোনামে অনায়াসেই চলে আসতে পারে।

কেন? কারণ, একটি শাড়ি পরেই তিনি নাম লিখিয়েছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ। কীভাবে? বেশ কয়েকদিন আগে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর গ্রুপ সিইও পরিমল নাথওয়ানির ছেলের বিয়েতে তিনি যে শাড়িটি পরে গিয়েছিলেন তার মূল্য মাত্র ৪০ লাখ রুপি!

কী এমন আছে সেই শাড়িতে? এই শাড়িটি ডিজাইন করেছেন চেন্নাই সিল্কের ডিরেক্টর শিবালিঙ্গম। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী রাজা রবি বর্মার এগারোটি ছবি এই শাড়িতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। হাতে বোনা এই শাড়িটি শেষ করতে এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন ৩৬ জন শিল্পী।

শাড়িটি তৈরি হয়েছে কাঞ্চিপুরমের চেন্নাই সিল্ক মিলের কর্মশালায়। নামটিও খাসা বিবাহ পাতু। ওজনও নেহাত কম নয়! ৮ কেজি ওজনের এই শাড়িটির ব্লাউজে রয়েছে নাথদ্বারার ছবি। এখানেই শেষ, নয়। সোনার সুতোয় বোনা এই শাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন মূল্যবান রত্নও! সূত্র : টাইমস

কাজে সৃজনশীলতা সফলতার গুরুত্বপূর্ণ সোপান

একটা কোম্পানি নতুন সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করবে। বর্তমান দুই শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্য থেকেই একজনকে সিইও করতে চাচ্ছে কোম্পানিটি। দুজনই স্মার্ট, অভিজ্ঞ ও সম্ভাবনাময়। কোম্পানিতে হঠাৎ বাজেট ঘাটতি দেখা দেওয়ায় একজন তাঁর বিশ্লেষণী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে খুঁজে বের করলেন কোথায় কোথায় খরচ কমানো যেতে পারে। আরেকজন হিসাব করে দেখালেন কী কী উপায়ে নতুন সুযোগ তৈরি এবং আয় বাড়ানো সম্ভব। এ অবস্থায় দুজনের কাকে সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে কোম্পানিটি?

এমন পরিস্থিতিতেই ওই কোম্পানিটি পরামর্শক হিসেবে ডেকেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ডার্টমাউথের ‘টাক স্কুল অব বিজনেস’-এর কৌশল ও নেতৃত্ববিষয়ক অধ্যাপক সিডনি ফিনকেলস্টাইনকে। পেশাগত জীবনে সৃজনশীল হওয়ার গুরুত্ব বিষয়ে মতামত তুলে ধরতে গিয়ে ‘বিবিসি ক্যাপিটাল’-কে এ ঘটনা জানিয়েছেন তিনি। অধ্যাপক ও পরামর্শক ফিনকেলস্টাইনের এই লেখা থেকে জেনে নিতে পারেন সৃজনশীলতা কীভাবে পেশা জীবনে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে আর সৃজনশীল হয়ে উঠতে একজন ব্যক্তি কী-ই বা করতে পারেন।

পাঠক নিশ্চয়ই ভাবছেন ওই কোম্পানিটির সিইও বাছাই প্রক্রিয়ায় ফিনকেলস্টাইন কার পক্ষে মত দিয়েছিলেন? তাঁর মুখ থেকেই শুনি বাকি গল্পটাও। ‘দুই প্রার্থীর বিষয়ে কোম্পানিটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ছিল না। কিন্তু আমার বাজি অবশ্যই খরচ কমানোর জন্য কাটছাঁটের পরামর্শ দেওয়া বিশ্লেষক নেতার পক্ষে না গিয়ে নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে চাওয়া সৃষ্টিশীল নেতার পক্ষেই ছিল।’

সৃজনশীল মানুষেরাই সৃজন করেন
যেসব কর্মীরা দুই ধরনের নেতার সঙ্গেই কাজ করেছেন তাঁরা সবাই-ই জানেন যে, কাটছাঁট করার চেয়ে নতুন কিছু গড়ে তোলার চেষ্টা করাটাই অনেক বেশি আনন্দের ও চ্যালেঞ্জের। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টেকসই উন্নয়নের জন্য সৃজনশীলতাই একমাত্র পথ। কাটছাঁট করে সাময়িকভাবে মুনাফা বাড়িয়ে ব্যবসায়ের অংশীদারদের সন্তুষ্ট রাখা যেতে পারে কিন্তু এর চেয়ে বেশি এগোনোর সুযোগ নেই।

কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, তিনি বিশ্লেষণী ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছেন, সৃজনী ক্ষমতা নিয়ে নয়, তাই তাঁর পক্ষে ওই পথে পা বাড়ানোর সুযোগ নেই। অনেকেই এমন ভেবে থাকেন। কিন্তু সৃজনশীলতার চমত্কার গোপন রহস্যটি হলো, এটা শেখা যায়, এটা শিখতে হয়, এটা চর্চা করতে হয়। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই সম্ভাবনা আছে সমস্যা মোকাবিলায় নতুন সব চিন্তা হাজির করার, নতুন ভাবনা হাজির করার, বিশ্বটাকে ভিন্নভাবে দেখার। কিন্তু সাহস করে চেষ্টা শুরু না করলে সেটা বোঝা যাবে না।

সময় দিন, সময় কাজে লাগান
বিষয়টা এমন না যে, আপনি নিজেকে একটা ঘরে আটকে রাখলেন আর কোনো একদিন হঠাৎ অপার সৃজনী ক্ষমতা নিয়ে ঘর থেকে বের হলেন। একটা বিষয় সামনে এলে সেটার পেছনে সময় দিন। বিষয়টা নিয়ে ভাবতে শুরু করুন। ভাবনা যেমন আপনাকে তাড়া করে বেড়াবে, তেমনি আপনিও ভাবনাকে তাড়া দিয়ে বেড়ান। ভাবতে থাকলে কোনো একসময় হঠাৎই সে আপনার কাছে ধরা দেবে। কেউ কেউ আছেন, সকালে আনমনে দাঁত মাজতে মাজতেই ভাবনার জগতের সোনা-রুপার কাঠিটা হাতে পেয়ে যান। কেউ কেউ হয়তো সেটা পান ঘুমোতে যাওয়ার সময় বিছানায় শুয়ে ভাবতে ভাবতেই।

এভাবে হঠাৎ আলোর দেখা পেয়ে গেলে কেউ কেউ কাগজ-কলম হাতে নিয়ে নোট করতে বসে যান সেগুলো টুকে রাখার জন্য। আবার কেউ কেউ মনে করেন, টোকাটুকির পেছনে ছুটতে গিয়ে তাঁদের ভাবনার ঘোরটাই টুটে যেতে পারে। তাই তাঁরা ভাবনাটাকে আপন মনে গড়াতে দেন আর ভাবনার আরও গভীরে ঢুকে যান, বিষয়টি আত্মস্থ করে ফেলেন। কাজের জগত্টাকে সৃজনশীল করতে হলে তা নিয়ে ভাবতে হবে, সময় দিতে হবে।

সহজ কিছু প্রশ্ন দিয়ে শুরু করুন
তাহলে কি আমরা সৃজনশীল হওয়ার ভাবনায় মজে থাকব আর অপেক্ষা করব, কবে সেই সোনার হরিণ ধরা দেবে! মোটেই না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। হাতের সামনে যে কাজ আসবে, তা নিয়েই শুরু করতে হবে। ওই কাজ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নোত্তর দিয়েই শুরু করা যেতে পারে।

১. কাজটাকে কীভাবে ভিন্নভাবে করা যেতে পারে, ভিন্ন মাত্রা দেওয়া যেতে পারে?
২. এই কাজে আপনার প্রয়োজন মেটানোর জন্য কীভাবে অন্যদের ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়?
৩. আপনার পণ্য বা কাজের মধ্যে আপনি নতুন কি যুক্ত করতে পারছেন?
৪. আপনি কী কী বাদ দিতে পারেন, দূর করতে পারেন?
৫. নতুন কিছু তৈরি করার জন্য, কাজের প্রক্রিয়া বা ধরনটাকে আপনি কীভাবে পাল্টাতে পারেন?

এই প্রশ্নগুলোর তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে কিংবা এর বদলে আরও ভিন্ন ভিন্ন কিছু প্রশ্ন হাজির হতে পারে। কিন্তু আপনাকে কোনো কিছুর উত্তর খুঁজে পেতে হলে তো প্রশ্ন দিয়েই শুরু করতে হবে। তা-ই করুন। যে কাজের মুখোমুখি হয়েছেন তা নিয়ে যতভাবে পারেন নিজেকে প্রশ্ন করুন। এর পরে কাজ কেবল বানের জলের মতো আসতে থাকা উত্তরের স্রোতটাকে নিয়ন্ত্রণ করা, সেটাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া। সত্য কথাটা হলো, শিখতে চাইলে আর শেখার চর্চাটা করলে যে কেউই সৃজনশীল হয়ে উঠতে পারেন। আর এই শেখার কাজটাও অনেকে অনেকভাবেই করতে পারেন। আসলে সৃজনশীল হতে হলে সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করা ছাড়া আর কিছুই করতে হয় না!

সহজেই তৈরী করুন মনমা্তানো সৌরভ সমৃদ্ধ এয়ার ফ্রেশনার

ঘরে ঢুকেই মন ভালো হয়ে যায় যদি পুরো ঘরে থাকে মনোমুগ্ধকর সুঘ্রাণ। পুরো দিনের ক্লান্তি এবং মানসিক চাপও এক নিমেষে দূর হয়ে যায় একটি ভালো সুগন্ধে। একারণে অনেকেই ঘরে ব্যবহার করেন এয়ার ফ্রেশনার। কিন্তু বাজারের কৃত্রিম এইসব এয়ার ফ্রেশনার আপনার পছন্দের সুঘ্রাণের হয় না এবং বেশির ভাগ সময়েই দেখা যায় ঘ্রাণটি ভালো লাগছে না কিছুক্ষণ পরেই। তাছাড়া অতিরিক্ত দাম তো আছেই।

এই সমস্যার সমাধান আপনি কিন্তু চাইলেই করে ফেলতে পারেন। নিজের পছন্দের অসাধারণ সব এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন একদম স্বল্প খরচে। জানতে চান কিভাবে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।

সুইট মিন্ট ফ্লেভারের এয়ার ফ্রেশনার তৈরি

– প্রথমে একটি পাত্রে ২ কাপ পানি দিয়ে এতে একটি পুরো লেবু খণ্ড করে দিয়ে দিন।
– এতে দিন ভ্যানিলা এসেন্স (বাজারে কেক তৈরির জন্য কিনতে পাওয়া যায়)।
– ফুটে উঠলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে নেড়ে নিন ভালো করে। এতে আরও পানি দিয়ে জ্বাল দিন।
– ১ কাপ পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে নিয়ে ছেঁকে এর রস বের করে নিন।
– ৫ মিনিট পর চুলা থেকে লেবুর পানি নামিয়ে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে ফেলুন ভালো করে নেড়ে এবং ঠাণ্ডা হতে দিন।
– ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন এবং সাধারণ এয়ার ফ্রেশনারের মতো ব্যবহার করুন। এটি ১ সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারবেন।

ফল ওয়ান্ডারল্যান্ড ফ্লেভারের এয়ার ফ্রেশনার তৈরি

– একটি পাত্রে ২ কাপ পানি দিন। পুরো একটি কমলা বা মালটা খোসা সহ কেটে দিয়ে দিন। এতে আরও দিন ৫ টুকরো বড় আকারের দারুচিনি এবং ২ টেবিল চামচ লবঙ্গ।
– ফুটে উঠা পর্যন্ত সময় দিন। পানি ফুটে উঠলে এতে আরও ৪ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে অল্প আঁচে ফুটাতে থাকুন।
– ৫ মিনিট এভাবে ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন এবং সাধারণ এয়ার ফ্রেশনারের মতো ব্যবহার করুন। এটিও ১ সপ্তাহের মতো ব্যবহার করতে পারবেন।

লেমনগ্রাস হেভেন ফ্লেভারের এয়ার ফ্রেশনার তৈরি

– একটি পাত্রে ২ কাপ পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে চুলায় দিন। এতে ৬/৭ টি লেমনগ্রাস পাতা কুচি করে দিয়ে দিন।
– ১ টেবিল চামচ ভ্যানিলা এসেন্স এবং ২ খণ্ড লেবু দিয়ে ফুটতে দিন।
– পানি ফুটে উঠার সাথে সাথে চুলার আঁচ অল্প করে নাড়তে থাকুন।
– এতে প্রয়োজন মতো আরও বেশ খানিকটা পানি দিয়ে অল্প আঁচেই ফুটাতে থাকুন ১০ মিনিট।
– এভাবে ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন এবং সাধারণ এয়ার ফ্রেশনারের মতো ব্যবহার করুন।

কিছু টিপসঃ

– প্রথমবার পানি ফুটে গেলে সাথে সাথে চুলার আঁচ কমিয়ে দেবেন একেবারে নতুবা পোড়া গন্ধ চলে আসবে।
– লেবু, কমলালেবু, মালটা ইত্যাদির সাথে নিজের পছন্দের আদা, স্ট্রবেরী ও আপেল দিতে পারেন। এতে ঘ্রাণ ভালো আসবে।
– চাইলে চা বা কফি ফ্লেভারও আনতে পারেন।

বীরাঙ্গনাদের দেয়া হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

images

 

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যাদের এতদিন বীরাঙ্গনা বলে ডাকা হত।

সেই সঙ্গে একাত্তর সালে যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে ছিল, তাদের বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা ঠিক করা হয়।

সোমবার রাজধানীর মগবাজারে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কার্যালয়ে জামুকার ২৫তম সভায় এই সব সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ যাদের বয়স কমপক্ষে ১৫ ছিল তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্তির আবেদন করতে পারবেন।

“যুদ্ধকালীন ১৫ বছর বয়সের নিচে কেউ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্তির আবেদন করতে পারবেন না।”

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেমেছিল এক লাখের বেশি মানুষ, যার মধ্যে অনেক কিশোরও ছিল। এদের একজন ১৩ বছর বয়সী শহীদুল ইসলাম লালু বীর প্রতীক খেতাবও পেয়েছেন।

বয়স নির্ধারণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা হিসেব করেছি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অস্ত্র নিয়ে ট্রেনিং নিতে হলে তার বয়স ১৫ বছর না হলে রাইফেল চালানো শেখা স্বাভাবিকভাবে সম্ভব না।”

 

বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর কোলে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু বীর প্রতীক। এই ছবিটি আলোকচিত্রী আফতাব আহমেদের তোলা।

বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর কোলে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু বীর প্রতীক। এই ছবিটি আলোকচিত্রী আফতাব আহমেদের তোলা।

তবে এর ব্যতিক্রম রয়েছে স্বীকার করে তিনি সেই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

“মুক্তিযুদ্ধের সময় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের বয়স ১৫ বছরের মধ্যে ছিল, তবে ব্যতিক্রম কিছু থাকতে পারে। সেই সংখ্যা আলাদাভাবে খতিয়ে দেখা হবে, এখন না।”

বয়স নির্ধারণে একাত্তরের ২৬ মার্চকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে মোজাম্মেল বলেন, ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তানের অংশ ছিল।

“তবে ওই সময়েও বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছেন। তবে ২৬ মার্চের আগে ধরলে স্বাধীনতার আগে হয়ে যায়।”

নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণের বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা নির্ধারণ না থাকায় অনেকেই মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন। এজন্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কথা উঠছে। তাই সুনির্দিষ্টভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় থাকা অনেকে ভুয়া বলে প্রমাণিত হওয়ার পর নানা সময় তা নিয়ে বিতর্ক উঠছিল। তাই বিভিন্ন তালিকা সন্নিবেশিত করে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাই কোর্ট এক আদেশে বীরাঙ্গনাদের কেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না, তা জানতে চায় সরকারের কাছে।

নতুন সংজ্ঞায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত নারীরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হতে পারবেন।

স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না দেওয়াকে ‘দুঃখজনক ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল।

“দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। কারণ অনেকেই মারা গেছেন, সম্মান ভোগ করে বা জেনেও যেতে পারেননি।”

মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গবেষকদের কাছে বীরঙ্গনাদের এলাকাভিত্তিক তালিকা থাকলেও তা সম্পূর্ণ নয়। বিভিন্নভাবে মন্ত্রণালয় বীরাঙ্গনাদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। উপজেলাভিত্তিক কমিটি ও নারী সদস্যদের দিয়ে বীরাঙ্গনাদের বিষয়টি যাচাই করা হবে।

“কোন উপজেলায় কে ধর্ষিতা হয়েছিলেন তা আর অজানা থাকার কথা নয়। তবে গোপনীয়তার সঙ্গেই এগুলো সংগ্রহ করা হবে। কারণ অনেকে বৃদ্ধ বয়সে এসে প্রকাশ্যে তা বলতে চাইবেন না।”

বীরাঙ্গনাদের তথ্য সংগ্রহ করাকে ঐতিহাসিক দায়িত্ব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রকাশ্যে এটা করা হবে না। নারী মুক্তিযোদ্ধাসহ অনেক সংস্থার কর্মী আছেন তাদের দিয়েই এই কাজটি করা হবে।

 

 

নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী লাল মুক্তিবার্তা, ভারতের তালিকা (বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের), প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত সনদধারী, প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা পার হয়ে ভারতে গিয়ে নাম অন্তর্ভুক্তকারীরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।

স্বাধীনতার পক্ষে যেসব পেশাজীবী জনমত গঠন করেছেন তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি পাবেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়, স্বাধীনতার পক্ষে ভূমিকা গ্রহণকারী সাংবাদিকরা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত হতে পারবেন।

আহত মুক্তিযোদ্ধাদের শুশ্রূষাকারী চিকিৎসক, নার্স ও তাদের সহকারীরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।  

মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, এমএলএ ও এমপিরা নতুন সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বিবেচিত হবেন।

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের অধীনে স্থাপিত অফিসগুলোর দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও নতুন সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত হতে পারবেন।

নতুন সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

তিনি বলেন, নতুন সংজ্ঞার আলোকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত হওয়ার জন্য আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই-বাছাইয়ের পর আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে বলে আগে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।

জামুকের সভায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মায়ের অকাল মৃত্যু,অনিশ্চিয়তার যাত্রা…

DMC_Child_121014_0001
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোববার ‘চুরি’ হতে গিয়ে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতকটির মা মারা গেছেন।

সোমবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ওই নবজাতকের মা আসমা বেগম (২৫) মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক আমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, “আসমার কিউনি ও যকৃতে সমস্যা ছিল। দুপুরেই ২১২ নম্বর কক্ষ থেকে আসমাকে আইসিইউতে আনা হয়েছিল।”

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, “সকালে আসমা অবস্থার অবনতি হলে কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করে আসমাকে।”

শুক্রবার টঙ্গী থেকে এসে হাসপাতালে আসমা ভর্তি হন আসমা। ওইদিন রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি একটি সন্তান প্রসব করেন। এটি ছিল আসমার তৃতীয় অস্ত্রোপচার।

রোববার ভোরে আসমার বোন সুমি আক্তার (১৯) শিশুটিকে নিয়ে  হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ‘চোর’ সন্দেহে আটক করেন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা।

পরে হাসপাতালের জমাদার লাল দাস শাহবাগ থানায় ‘মানবপাচার’-এর অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আটকের পর হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে সুমি বলেছে, শিশুটিকে সে টঙ্গিতে একজনের কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।”

শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিল হোসেন বলেন, “সোমবার সুমিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।”

এসময় তাকে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ কর্মকর্তা হাবিল বলেন, “আমার মনে হচ্ছেনা যে, সুমি চুরির উদ্দেশ্যে নবজাতকটি বের করছিল।”

আসমার গ্রামের বাড়ি নারায়গঞ্জের আড়াইহাজারে। থাকতেন টঙ্গীতে। তার স্বামী জহির পেশায় একজন রিকশাচালক।

বাচ্চাটি বর্তমানে নানী তাছলিমা বেগম ও নানা আউয়াল মিয়ার কাছে রয়েছে বলে হাসপাতাল পুলিশ জানিয়েছে।

ধারাবাহিক উপন্যাস “নিয়ন্ত্রিত পরিণতি” পর্ব-৭

 

 images

 

 

নাসরিন সিমা:

 

 

দুই সপ্তাহ পর,
নাদিমের বাসায় ঢুকলো রাজিব, নাদিম বিছানায় শুয়ে আছে, মা দুদিন হলো বাড়ি গেছে থাকবে দুমাসের মতো। মামা বাড়ি আর ছেলেদের বাড়ি সহ। রাজিব খেয়াল করলো কারেন্ট নেই, তবুও নির্বিকার ভাবে শুয়ে কিছু একটা ভাবছে। দরোজায় টোকা দেয়,
-নাদিম আসবো?
দ্রুত উঠে পড়ে নাদিম, হাতের কাছে একটা গেন্জি ছিলো পরে নেয়,
-হ্যা হ্যা এসো।
ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে,
-এতো গরমের মধ্যে শুয়ে শুয়ে কী ভাবছো?
-না কিছু না, চলো বাইরে যাই তুমি এতো গরম সহ্য করতে পারবেনা।
-না নাদিম ভুল বলছো, তুমি আমার খুব প্রিয় বন্ধু, যা তুমি পারো তা আমার না পারলে চলবে? একটু হাসে রাজিব,
-স্মৃতির কথা ভাবছিলে বুঝি?
দীর্ঘশ্বাস ফেলে নাদিম,
-যার তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই সে কী স্বপ্ন দেখতে পারে রাজিব?
-অবশ্যই পারে কেন পারবেনা, যিশুর কৃপা যার উপর একবার হয় সে কিছুতেই বন্চিত হতে পারেনা। তুমি খ্রিষ্টান হয়ে যাও দেখ………
রাজিবের হাত চেপে ধরে নাদিম,
-খ্রিষ্টান না হলে হয়না রাজিব?
রাজিব ভ্রু কুঁচকে নাদিমের দিকে তাকায়,
-যিশু ঈশ্বরের কাছে খ্রিষ্টানদের জন্যই প্রার্থণা করেন।
-না মানে বলছিলাম কি আমি বেশী কিছু চাইনা, তেমাদের কনফারেন্স গুলোতে আ্যটেন্ড করবো, প্রোগ্রাম গুলোতে, শুধু খ্রিষ্টান হতে বলোনা আমায়…
রাজিবের চোয়াল শক্ত হয়ে যায়, নাদিম ওর মুখের দিকে তাকাতে ভয় পায় যেন, কারণ নাদিম নিজেও জানে টাকা নেয়ার সময় এসব কথা হয়নি, আর পরে বলার কথাও ছিলোনা। -সেটা তোমার ইচ্ছা নাদিম, তবে ভুলে যেওনা খ্রি্ষ্টান না হলে এ যাবৎ ভোগ করা সমস্ত অর্থ ফেরত নেবেন রিলিজিওন প্রিষ্ট।
চমকে রাজিবের দিকে তাকায় নাদিম, প্রায় পাঁচ লাখের মতো টাকা খরচ হয়ে গেছে, বিভিন্ন ভাবে টাকা দিয়েছে ওরা। টেনশনে মাথা ব্যাথা শুরু হয় নাদিমের, কী করবে সে এখন!
এক পর্যায়ে রাজিব উঠে চলে যায়।
চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে নাদিমের, বাইবেল ষ্টাডি করে যা পেয়েছে তাতে খ্রিষ্টান হওয়ার প্রশ্ণই আসেনা, কারণ সেখানে ষ্পস্ট লেখা আছে, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)………
ভাবতে পারেনা নাদিম এ সময় নাদিমের এক বন্ধু ইমরাণ আসে, রাজিবকে পেয়ে এই বন্ধুকে ভুলে গিয়েছিলো নাদিম, নাদিমকে চিন্তিত দেখে,
-কী হয়েছে নাদিম?
ইমরানকে দেখেই দ্রুত ওর কাছে এসে জড়িয়ে ধরে,
-কেমন আছো ইমরান? অনেকদিন আসোনা যে!
-ভালো আছি, কিন্তু তোমার কী হয়েছে বলোতো, প্রায় সময় খুব অন্যমনষ্ক দেখি। তেমার বন্ধু এসেছিলো মনে হয়, নাম কী?
-রাজিব রোজারিও, হ্যা এসেছিলো………
-খ্রিষ্টান! ভ্রু কুঁচকে যায় ইমরানের,
-একটু সাবধানে থেকো নাদিম, এখন কিন্তু খ্রিষ্টানরা, ফাঁদে ফেলে মুসলমানদেরকে খ্রিষ্টান বানাচ্ছে।
-ফাঁদ! মানে? আসলে ফাঁদই হয়তোবা, কিন্তু রাজিব আমাকে ফাঁদে ফেলবে আমি ভাবতে পারিনা। কিন্তু ওদের শর্তটা মানাও আমার পক্ষে কোনমতেই সম্ভব নয়।
নাদিমের কাঁধে হাত রাখে ইমরান,
-এসব নির্মূল করতে হবে!
নাদিম অবাক হয়ে,
-কিভাবে?
-ভাবতে হবে, চলো বাইরে যাই খালাম্মা কী বাড়িতে?
-হ্যা। চলবে……

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২০১৪ই.

বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়েই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু খাবার

 

অপরাজিতা ডেস্ক: প্রত্যেক বাসায়ই খাওয়ার পর ভাত বেঁচে যায়। এই ভাত অনেকেই ফ্রিজে রেখে দেন, আবার অনেকে বাসি ভাত খেতে চান না বলে ফেলেই দিয়ে থাকেন। এখনো খুঁজলে হয়তো দুপুরের খানিকটা বেঁচে যাওয়া ভাত পাওয়া যাবে ঘরে। কিন্তু এই বেঁচে যাওয়া ভাত ফ্রিজে না রেখে কিংবা ফেলে না দিয়ে সেটা দিয়ে বেশ সুস্বাদু কিছু তৈরি করতে পারবেন মাত্র ১০ মিনিটে। ভাবছেন কিভাবে? চলুন তবে দেখে নিন।

vat2
উপকরণঃ
– ৩ কাপ ভাত
– ১ টি ক্যাপসিকাম কুচি
– ২ টি পেঁয়াজ কুচি
– ১ ইঞ্চি পরিমাণে আদা কুচি
– ২ টি কাঁচামরিচ কুচি
– ৪ কোয়া রসুন
– লবণ স্বাদমতো
– ২ টেবিল চামচ পানি
– ৩ টেবিল চামচ তেল
– আধা চা চামচ সরিষা দানা
– ১ চা চামচ পুদিনা বা ধনে পাতা কুচি (ইচ্ছা)
– ২ টেবিল চামচ চীনাবাদাম

 

vat1

 

পদ্ধতিঃ
– প্রথমে আদা, রসুন, কাঁচামরিচ এবং সামান্য পেঁয়াজ একসাথে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন।
– একটি প্যানে তেল গরম করে সরিষা দানা দিয়ে দিন। যখন তা ফুটতে শুরু করবে তখন ধনে বা পুদিনা পাতা দিয়ে নেড়ে নিন। যদি তা না চান তবে বাদাম দিয়ে ভেজে নিন খানিকক্ষণ।
– পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখবেন পেঁয়াজ কুচি যেন শক্ত পোড়া পোড়া না হয়ে যায়। এরপর ব্লেন্ড করা মসলা দিয়ে দিন। নেড়ে নিয়ে কিছু পানি ছিটিয়ে দিন।
– খানিকক্ষণ নেড়ে ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। ক্যাপসিকাম খানিকক্ষণ সেদ্ধ হতে দিন। ২ টেবিল চামচ পানি ও লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– আঁচ কমিয়ে দলা ছাড়ানো ভাত দিয়ে দিন প্যানে।
– ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন পুরোটা। তবে দেখবেন ভাতে যেনো দলা না থাকে।
– এরপর চুলা থেকে মানিয়ে গরম গরম যে কোনো তরকারীর সাথে মজা নিন।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২০১৪ই.

 

দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার সাত মন্ত্র

অপরাজিতা ডেস্ক: দিন বদলের সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের ধ্যান ধারনার। বদলাচ্ছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ। দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার অনেক মূল মন্ত্র রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো একজন আরেকজনকে বোঝা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। জেনে নিন বিবাহিত যুগলের জন্য সুখী হওয়ার তেমনি ৭ টি মন্ত্র :

 

১. আকর্ষণ বজায় রাখুন : বিবাহিত জীবন যতদিনের হোকনা কেন একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বজায় রাখুন। সাধারণ কিছু ভালোবাসা আর আবেগে জড়িয়ে রাখুন নিজেদের। নতুনত্বের প্রয়োজন নেই, রোমান্টিক মুহূর্ত তৈরি করুন আর উপভোগ করুন।

 

২. ঝগড়া নয় কখনও : বিবাহিত যুগলের মধ্যে ঝগড়া হওয়া নতুন কোনো ব্যাপার নয়। ঝগড়া কিন্তু বড় কোনো বিষয় নিয়ে হয় না। কিন্তু মাঝে মাঝে এই সামান্য ব্যাপারে বেঁধে যাওয়া ঝগড়া মারাত্মক আকার ধারণ করে থাকে।

 

আশ্চর্যের বিষয় হলো, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চললেই এই সব সামান্য ব্যাপারের বড় ঝগড়া খুব সহজে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। এইসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া করার চাইতে এই বিষয়গুলো এড়িয়ে গিয়ে হাসি ঠাট্টার ছলে সমাধান করে ফেলাই উত্তম।

 

৩. নিজেদের মতো করে সময় কাটান : প্রতিটি মানুষের নিজস্ব একটি দুনিয়া থাকে। একে অপরকে যতই ভালবাসুন না কেন, উভয়েরই একটু বিরতির প্রয়োজন আছে। এটি বিশ্বাসঘাতকতা নয়, শুধু নিজেদেরই কিছু সময় দেওয়া। বেশিরভাগ দম্পতিদের মতে এতে করে তাদের সম্পর্ক আরও ভালো হয়েছে।

 

৪. পারস্পরিক শখ : স্বামী-স্ত্রী দুজনের শখ যে একই হবে তা কিন্তু নয়। আলাদা শখ বা পছন্দগুলো প্রকাশ করুন একে অপরের কাছে। এতে করে একে অপরকে জানার আকর্ষণ আরও বাড়বে।

 

৫. ভবিষ্যতের কথা : দাম্পত্য জীবনে সব চাইতে বড় বিষয় হচ্ছে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা। ভবিষ্যতের কোনো পরিকল্পনা দুজনে একসঙ্গে তৈরি করা। এতে করে সম্পর্কে গভীরতা বাড়ে এবং দাম্পত্য জীবনে একজন অপরজনের গুরুত্ব বুঝতে পারেন। এতে সুখি হন দম্পতিরা।

 

৬. একসঙ্গে ঘুমানো : স্বামী-স্ত্রীকে একই বিছানায় ঘুমাতেই হবে এমন কোন কথা নেই। সবার আরাম একই রকমে হয় না তাই প্রয়োজনে আলাদা ঘুমানোকে বড় ব্যাপার করে না দেখে সুবিধার কথা ভাবুন।

 

৭. সত্য এড়ানো : সত্য এড়ানো মানে মিথ্যা বলা নয়। সততা বজায় রাখুন, তার মানে এই নয় স্বামী/স্ত্রী কে দেখতে খারাপ লাগলে মুখের উপর তা বলা। সত্য বলুন কিন্তু তা যেন অপরের খারাপ না লাগে।

বিষয় গুলো খুব সাধারন হলেও, যেসকল দম্পতির মধ্যে এরূপ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়ে থাকে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২০১৪ই.

যে ১০টি জিনিস ফ্রিজে রাখবেন না

 

1L20141011164142

 

অপরাজিতা ডেস্ক: গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে অনেক কিছুই ফ্রিজে রাখা হয়। তবে এমন বেশ কিছু জিনিস রয়েছে, যেগুলো আমরা অনেকেই ফ্রিজে রাখলেও, আসলে সেগুলো ফ্রিজে রাখা মোটেও উচিত নয়। চলুন দেখে নিই এমন কিছু দ্রব্যের তালিকা।

 

শীতের স্কোয়াশ : অ্যাক্রন, বাটারনাট, ডেলিকাটা, স্প্যাগেটির মত শীতকালীন স্কোয়াশ মোটেও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

download

নেল পলিশ : নেল পলিশ দীর্ঘদিন ভালো রাখতে অনেকেই একে ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু ফ্রিজের ঠান্ডায় নেল পলিশ জমে যায়। সূর্যের আলো থেকে দূরে, ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নেল পলিশ রাখুন, অনেকদিন ভালো থাকবে।

কফি : ফ্রিজের ঠান্ডা কফি ফ্লেভার নষ্ট করে দেয়। তাই একে ফ্রিজে না রাখাই ভালো।

টমেটো : টমেটো ফ্রিজে রাখলে তা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় কাগজে মুড়ে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় টমেটো রাখলে।

download (1)

রসুন : ফ্রিজের পরিবর্তে রান্নাঘরে স্বাভাবিক খোলা হাওয়া চলাচল করে, এমন জায়গায় রসুন রাখুন। দু-মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।

পেঁয়াজ : পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখবেন না। রান্নাঘরে বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় রাখুন। তবে আলুর সঙ্গে পেয়াজ রাখলে, সহজে পেয়াজ নষ্ট হয়ে যায়।

download (2)

ব্যাটারি : ব্যাটারি ফ্রিজে রাখলে তার কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

পাঁউরুটি : ফ্রিজে রাখলে পাঁউরুটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাই বাইরেই রাখুন।

আলু : ফ্রিজের ঠান্ডা আলু নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাইরেই রাখুন।

হট সস : ফ্রিজ নয়, বাইরে রাখুন। অন্তত তিন বছর পর্যন্ত ভালো থাকবে।

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২০১৪ই.

মাংসের পুষ্টি

 

4

 

পুষ্টিবিদ এ বি সিদ্দিক: গরু-খাসি প্রভৃতি গবাদিপশুর মাংস বা গোশত কতটা স্বাস্থ্যকর এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এতে যেমন আছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, তেমনি চর্বিও। তবে চর্বিবিহীন মাংস বা লিন মিট খাওয়া সুস্থ মানুষের জন্য ভালো। একটু পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই মুটিয়ে গেছেন, হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যা আছে তাঁদের যথাসম্ভব এটা কম খাওয়াই ভালো।

 

সতর্কতা

* পেট ফাঁপা ও কিডনিতে পাথর থাকলে মাংস একেবারে বাদ দিতে হবে।

* বাত হলে মগজ, গুর্দা, কলিজা ও সংরক্ষণ করা গোশত খাওয়া নিষেধ। তবে তাজা গোশত পরিমিত খেলে ক্ষতি নেই।

* কিডনির অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের অসুখে গোশত যত কম খাওয়া যায় তত ভালো।

* লিভার, গলব্লাডার ও অগ্ন্যাশয়ের অসুখে প্রাণিজ চর্বি বাদ দেওয়া উচিত।

* যাদের ওজন বেশি তাদের গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকা দরকার।

* প্রতিদিন ৯০-১০০ গ্রামের বেশি প্রাণিজ আমিষ না খাওয়াই ভালো।

 

5

 

মনে রাখা ভালো

* কোরবানির ঈদে যেহেতু গোশত একটু বেশিই খাওয়া পড়ে, তাই এই সময় বিশুদ্ধ পানি পান করার পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া দরকার। গোশত শরীরে বিপাক প্রক্রিয়ায় শোষণ হওয়ার পর আমিষের অপ্রয়োজনীয় অংশ কিডনির মাধ্যমে ছেঁকে শরীর থেকে মূত্রের আকারে বের হয়ে যায়। পরিমাণমতো পানি এ কাজে সহযোগিতা করে

* গোশতের সঙ্গে কাঁচা সালাদ খান, লেবু, কাঁচা পেঁপে রাখুন।

* প্রতিদিন কিছু সবজি খেতে ভুলবেন না।

* কাঁচা পেঁপে ও আনারস আমিষ জাতীয় খাবার হজমে সহায়তা করে।

* খাবার শেষে মৌরি খাওয়া হজমের জন্য ভা

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/অক্টোবর২০১৪

৬ ধাপে ফ্রিজ পরিষ্কার

 

 

অপরাজিতা প্রতিবেদক: কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজের প্রয়োজন পড়ে। তেমনি সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে খাবারদাবার রাখার দরকারি জিনিস ফ্রিজটি সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার রাখা উচিত। অপরিষ্কার অবস্থায় খাবার রাখলে খাবারের গুণ, মান নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক খাবারের গন্ধ অন্য খাবারে চলে যায়। ফ্রিজ পরিষ্কার রাখতে হলে সঠিক নিয়ম জানা জরুরি। আসুন জেনে নেই কিভাবে ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন।

 

1410944661

প্রথমে খালি করুন
আপনার ফ্রিজ পরিষ্কার করার প্রথম ধাপ হলো ফ্রিজ খালি করে ফেলা। ফ্রিজের সব খাবার বাইরে বের করে নিন। পরিষ্কার করার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার ফ্রিজটি সম্পূর্ণ খালি হয়েছে কি না।

 

ফ্রিজ থেকে বরফ সরিয়ে ফেলুন
সম্পূর্ণ জিনিস ফ্রিজ থেকে নামিয়ে ফেলার পর বরফ সরাতে ফ্রিজের পাওয়ার লাইনটি খুলে ফেলুন। কমপক্ষে আধা ঘণ্টা ফ্রিজটি বন্ধ অবস্থায় রাখলে ফ্রিজের সব বরফ গলে যাবে। তা ছাড়া খাবার নামিয়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজে বরফ জমানোর ট্রেগুলোও সরিয়ে ফেলুন। যে বরফগুলো ফ্রিজের গায়ে খুব বেশি লেগে থাকবে, সেগুলো ফ্রিজের গা থেকে আস্তে আস্তে খুলে ফেলুন।

 

এবার পরিষ্কারের পালা
বরফ সরানোর পর এবার ফ্রিজটি পরিষ্কার করতে হবে। গরম পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে একটি স্পঞ্জ দিয়ে আপনার ফ্রিজের ভেতরটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। খেয়াল রাখুন ফ্রিজের ভেতরে যেন কোনো ময়লা না থাকে। পরিষ্কারের সুবিধার জন্য পুরনো ব্রাশও ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রিজের ড্রয়ারগুলো আলাদাভাবে খুলে নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করুন। ফ্রিজের ভেতরে পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দরজা ও বাইরের অংশও পরিষ্কার করে ফেলুন।

 

গন্ধ দূর করুন
ফ্রিজ পরিষ্কার করার পর যেকোনো ধরনের গন্ধ দূর করতে পানির সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে কাপড়ে লাগিয়ে আরেকবার ফ্রিজটি মুছে নিন। এতে সব ধরনের গন্ধ দূরে হয়ে যাবে।

 

মুছে ফেলুন
পরিষ্কার হয়ে গেলে এবার একটি নরম তোয়ালে দিয়ে ফ্রিজটি মুছে ফেলুন। খুলে ফেলা ড্রয়ারগুলো ভালো করে মুছে প্রতিস্থাপন করুন। খেয়াল করে দেখুন যেন ফ্রিজের কোনো অংশ ভিজে না থাকে।

 

খাবারদাবার ফ্রিজে তুলে রাখুন
সব কাজ শেষে এবার খাবারদাবার জায়গামতো তুলে রাখুন। যেমন : মাংস আলাদা ড্রয়ারে, মাছ আলাদা, সবজি আলাদা ও অন্যান্য জিনিস আলাদা করে রাখুন। এতে এক খাবারে অন্য খাবারের গন্ধ মিশবে না। সব শেষে পাওয়ার লাইন লাগাতে ভুলবেন না। খাবারের মান বজায় রাখতে এবং ফ্রিজটি একটু বেশি স্থায়ী করতে যত্ন নিন। মাসে অন্তত একবার ফ্রিজটি সঠিক নিয়মে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/অক্টোবর ২০১৪ই.

ঈদের সাজ

 

eid320130806003317

 

অপরাজিতা ডেস্ক: রোজার ঈদের রেশ কাটতেই না কাটতেই কোরবানির ঈদ চলে এসেছে। রোজার ঈদ মানেই কোনাকাটা, সাজগোজ আর ঘুরাঘুরি। তবে কোরবানির ঈদে এর পরিমান কিছুটা কমে যায়।

তবে সারাদিন কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বিকাল বা সন্ধ্যায় কিছুটা হলেও বেড়ানো হয়। আর ঈদে ঘুরতে বের হলে সাজ তো করতেই হয়।

ঈদের ঘোরাঘুরিতে মেইকআপ কীভাবে মানাবে তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিন্দিয়া বিউটি পার্লারের কর্ণধার শারমিন কচি।

তিনি বলেন, “ঈদুল আজহায় সারাদিন কাজের পর বিকালে বা সন্ধ্যায় ঘুরাঘুরি করতে চাইলে হালকা মেইকআপই ভালো। তবে রাতের অনুষ্ঠান হলে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক বা চোখে উজ্জ্বল রংয়ের শ্যাডো লাগানো যেতে পারে।”

ঈদে মেইকআপের কিছু কৌশল জানালেন শারমিন কচি।

প্রথমেই মুখ ভালো করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন মুখে লাগিয়ে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে পুরো মুখে ভালো করে মিশিয়ে নিন। স্পঞ্জ না থাকলে হাতের আঙুলে সামান্য পানি নিয়ে ত্বকের সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশন যেনো নিখুঁতভাবে ত্বকে মিশে যায়। যাদের ত্বক তেলতেলে তারা ত্বকে অ্যাসট্রিনজান্ট (Astringent) লোশন লাগিয়ে তারপর ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে।

এরপর কম্প্যাক্ট পাউডার লাগিয়ে নিতে হবে পুরো মুখে। চিকবোনের ঠিক নীচে অর্থাৎ গাল ও চিবুকের নীচের অংশে এবং নাকের দুপাশে গাঢ় প্যানকেক বা ব্রোঞ্জার লাগিয়ে নিতে হবে অল্প করে। খেয়াল রাখতে হবে যেন তা ত্বকের ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়।

ব্রোঞ্জার ব্যবহারের ফলে মুখের শেইপ আরও স্পষ্ট ও নিখুঁত হবে।

ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন মুখে লাগিয়ে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে পুরো মুখে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মডেল: জাকিয়া উর্মি। ছবি: ঋতিকা আলী/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন মুখে লাগিয়ে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে পুরো মুখে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

 

 

খেয়াল রাখতে হবে ফাউন্ডেশন যেনো নিখুঁতভাবে ত্বকে মিশে যায়।

এরপর পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে চোখে আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। ভ্রু’র নীচে রূপালি বা ওই শেইডের কোনো রং লাগাতে পারেন। চোখের পাতার কাছে কিছুটা গাঢ় রংয়ের শেইড ব্যবহার করতে হবে। চোখের পাতায় যে শেইডগুলো ব্যবহার করা হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন রংগুলো একটা অন্যটার সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যায়। নাহলে দেখতে খারাপ দেখাবে।

এরপর চোখের উপরে আইলাইনার লাগিয়ে নিতে হবে পছন্দ মতো। চাইলে কালো ছাড়াও নীল, বাদামি বা সবুজ লাইনার ব্যবহার করা যাবে। আর চোখের নীচে লাগানো যাবে কাজল। সব শেষে চোখের পাপড়িতে মাসকারা লাগালেই চোখের মেইকআপ হয়ে যাবে।

এরপর চিক বোনোর উপরে পছন্দের রংয়ের ব্লাশ নিয়ে ব্রাশের সাহায্যে লাগিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন গালে বেশি গোলাপি ভাব না হয়। খুব অল্প পরিমাণে ব্লাশ গালে ভালোভাবে মিশিয়ে লাগাতে হবে।

এরপর নাকের ঠিক মাঝে এবং চোখের নীচে অল্প করে হাইলাইটার লাগিয়ে নিন।

চোখে বেশি গাঢ় শ্যাডো ব্যবহার করলে ঠোঁটে হালকা রংয়ের লিপস্টিক লাগালে মেইকআপের সামঞ্জস্য বজায় থাকবে।

তবে চোখে ন্যুড বা হালকা শ্যাডো লাগালে এবং সন্ধ্যার অনুষ্ঠান হলে গাঢ় লিপস্টিকও ভালো লাগবে। মেইকআপ হয়ে গেলে, পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে কানে, গলায় ও হাতে হালকা অলংকার পরে নেওয়া যাবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ.

সহজেই গরুর মাংসের বিরিয়ানি

 

 

অপরাজিতা ডেস্ক: বিরিয়ানি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশে প্রচলিত এক বিশেষ প্রকারের খাবার যা সুগন্ধি চাল, ঘি, গরম মশলা এবং মাংস মিশিয়ে রান্না করা হয়। মুরগী, খাসি, গরু, পাঁঠা… এমনকি হরিণের মাংস দিয়েও রান্না করার হয় এই খাদ্য। সাধারনত বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নেই পরিবেশিত হয়।। আর কে না জানে যে বিরিয়ানি ব্যাতিত আমাদের দেশের উৎসব অনুষ্ঠান গুলো একেবারেই জমে না !

 

গরুর মাংসের বিরিয়ানি

 

গরুর মাংসের তেহারীর সাথে গরুর বিরিয়ানির মূল পার্থক্য হলো এই যে এতে মাংসের টুকরা বেশ বড় করে কাটা হয়, এবং আলু ব্যবহার করা হয় রান্নায়। আসুন জেনে নেই গরুর মাংসের বিরিয়ানির রাঁধবার একটি চমৎকার রেসিপি।

 

উপকরণ-
গরুর মাংস- ১ কেজি
পোলাওর চাল- ১ কেজি
পিঁয়াজ বেরেস্তা- ১ কাপ
আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
জিরা বাটা- ১ চা চামচ
শাহি জিরা বাটা- ১/২ চা চামচ
জায়ফল ও জয়ত্রী বাটা- ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া- ১ চা চামচ
মরিচে গুঁড়া- ১ চা চামচ
গরম মসলা গুঁড়া- ১ চা চামচ
তেল- ১/৪ কাপ
ঘি- ৩/৪ টেবিল চামচ
চিনি সামান্য
লবণ স্বাদ মত
টক দই- ১/২ কাপ
আস্ত গরম মশলা (এলাচ দারচিনি লবঙ্গও)- ৩/৪ টি করে
আলু বোখারা- ১০ টি
আলু- ৮/১০ টুকরা
কিসমিস- ইচ্ছা মতন
জাফরান- অল্প একটু (২ টেবিল চামচ দুধে গোলানো)
পানি- ৭ কাপ
কেওড়া পানি- ইচ্ছা
কাঁচা মরিচ- ৫/৬ টি
এছাড়াও কালো এলাচ ১ টি, সাদা এলাচ ৫ টি, গোল মরিচ ১০/১২ টা, কাঠ বাদাম ১৫ টি একত্রে বেটে নিতে হবে।

প্রণালী-
মাংস বড় টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তারপর টক দই, আদা- রসুন বাটা, ১/২ কাপ বেরেস্তা বেরেশ্তা, জিরা বাটা, শাহী জিরা বাটা, জায়ফল- জয়ত্রী বাটা, মরিচের গুরা, ধনিয়ার গুঁড়া, কালো এলাচ-লবঙ্গ- সবুজ এলাচ-দারচিনি- কালো গোল মরিচ- কাঠ বাদাম বাটা, গরম মশলা গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে ২/৩ ঘণ্টা। চাইলে আগের দিন রাতেও মাখিয়ে রাখতে পারেন। তারপর তেল গরম করে আস্ত গরম মশলার ফোড়ন দিয়ে মাংস কশিয়ে অল্প পানি দিয়ে রেঁধে নিতে হবে। আলু লাল করে ভেজে সাথে দিয়ে দিতে হবে। মাংসে ঝোল থাকবে না, মাখা মাখা হয়ে তেল ভেসে উঠবে।

 

এবার হাঁড়িতে ঘি গরম করে আবার আস্ত গরম মশলা দিতে হবে। আগে থেকে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা চাল দিয়ে দিতে হবে। বাকি বেরেস্তা গুলো দিয়ে চাল ভালো করে ভাজতে হবে। কিসমিস, চিনি ও আলু বোখারা দিতে হবে। চাল ভাজা হয়ে গন্ধ ছড়ালে ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে দিতে হবে। এরপর মাংস ঢেলে দিয়ে নারতে হবে ভালো করে। ফলে চাল ও মাংস মিলে যাবে। আঁচ থাকবে মাঝারি। পানি শুকিয়ে আধা সিদ্ধ চাল ভেসে উঠলে জাফরান গোলানো দুধ ছিটিয়ে হাঁড়ির মুখ ঢেকে দিতে হবে। হাঁড়ির নিচে একটি তাওয়া বসিয়ে চুলার আঁচ একদম কম করে বিরিয়ানি দমে দিতে হবে।

 

১৫/২০ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে উলটে পালটে দিতে হবে বিরিয়ানি। কেওড়া পানি ও কাচা মরিচ ছিটিয়ে আরও ১০ মিনিট দম দিয়ে পরিবেশন করতে হবে গরম গরম। অপরে ছিটিয়ে দিতে পারেন বাদাম কুচি ও বেরেশ্তা। সাজাবার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ডিম। এই বিরিয়ানি ফ্রিজেও ভালো থাকে বেশ কিছুদিন। তাই ঢাকনা দেয়া পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন। খাবার পূর্বে অল্প আঁচে দমে দিয়ে দিবেন হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিয়ে। দেখবেন কেমন সুন্দর গরম হয়েছে। মনেই হবে না যে ফ্রিজে রাখা বিরিয়ানি!

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২০১৪

খাসির মাংসের তিন পদ

 

Untitled-

 

অপরাজিতা ডেস্ক: আর দুদিন বাদেই কোরবানির ঈদ। আর এই ঈদে অনেকেই খাসি কোরবানি করেন। এবার ঈদে যারা খাসি কোরবানি করছেন তাদের জন্য উপস্থাপন করছে খাসির মাংসের তিন পদ রান্নার রেসিপি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, খাসির ঝাল মাংস, রেজালা ও কোরমা রান্নার প্রক্রিয়া।

ঝাল মাংস

খাসির ঝাল মাংস
উপকরণ :

    খাসির মাংস ১ কেজি,
    ছোট আলু ১৫টি,
    টক দই আধা কাপ,
    আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,
    রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,
    মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ,
    এলাচি ৩টি,
    দারুচিনি ৪-৫টি,
    তেজপাতা ৩টি,
    ধনের গুঁড়া ১ চা-চামচ,
    হলুদের গুঁড়া ১ চা-চামচ,
    পেঁয়াজের কুচি আধা কাপ,
    তেল আধা কাপ,
    লবণ পরিমাণমতো,
    জিরার গুঁড়া ১ চা-চামচ,
    কাঁচা মরিচ ৪-৫টি।

 

প্রণালি :
খাসির মাংসগুলো কেটে ধুয়ে টক দই দিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর আদা বাটা, রসুন বাটা ও লবণ মাখিয়ে আরও ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। পাত্রে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজের কুচি ভেজে বাদামি করতে হবে। এবার এর মধ্যে আবার আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে মসলাগুলো কষিয়ে নিতে হবে। ছোট আলুগুলো আগেই সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার কষানো মসলায় ছোট আলু ও মাংসগুলো ঢেলে দিন। সামান্য পানি দিয়ে সেদ্ধ করতে দিন। পানি কমে এলে তাতে জিরার গুঁড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আবার ঢেকে দিন। ভুনা ভুনা হলে নামিয়ে ফেলুন।

 
খাসির রেজালা

খাসির রেজালা

উপকরণ :
    মাটন হাড় ছাড়া ১ কেজি,
    পেঁয়াজ ২০০ গ্রাম,
    আদা বাটা ৩ টেবিল চামচ,
    রসুন বাটা ৩ টেবিল চামচ,
    কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ,
    তেল ৫০ গ্রাম,
    টক দই ১০০ গ্রাম,
    মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ,
    টমেটো ২ পিস,
    এলাচ ৫ পিস,
    তেজপাতা ৫ পিস,
    দারুচিনি ১০ গ্রাম,
    জয়ত্রী ৫ পিস,
    জায়ফল আধা পিস,
    জিরা গুঁড়া ২ টেবিল চামচ,
    লবণ পরিমাণমতো,
    ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
    গুঁড়াদুধ ১০০ গ্রাম,
    ঘি ২ টেবিল চামচ ও
    হলুদ ১ টেবিল চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি :

হাড় ছাড়া খাসির মাংসের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, কাজুবাদাম বাটা, টক দই, তেল, লবণ, জায়ফল, জয়ত্রী বাটা, মরিচ গুঁড়া, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও ধনিয়া গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। আস্তে আস্তে নাড়তে নাড়তে রান্না করুন। মাংস সিদ্ধ হলে গরম মসলার গুঁড়া, ঘি এবং ভাজা জিরার গুঁড়া, গুঁড়া দুধ দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিন। একটু বেরেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন খাসির রেজালা।

 
খাসির কোরমা

খাসির কোরমা
উপকরণ :

    খাসির মাংস এক কেজি,
    আদাবাটা এক টেবিল-চামচ,
    দারচিনি বড় চার টুকরা,
    তেজপাতা দুটি,
    লবণ দুই চা-চামচ,
    ঘি আধা কাপ,
    কাঁচা মরিচ আটটি,
    কেওড়া দুই টেবিল-চামচ,
    তরল দুধ দুই টেবিল-চামচ,
    পেঁয়াজবাটা সিকি কাপ,
    রসুনবাটা দুই চা-চামচ,
    এলাচি চারটি,
    টক দই আধা কাপ,
    চিনি চার চা-চামচ,
    দেশি পেঁয়াজকুচি আধ কাপ,
    লেবুর রস এক টেবিল-চামচ,
    জাফরান আধা চা-চামচ, (দুই টেবিল-চামচ তরল দুধে ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন)।

 

প্রণালি:

মাংস টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সব বাটা মসলা, গরম মসলা, টক দই, সিকি কাপ ঘি ও লবণ দিয়ে মেখে হাত ধোয়া পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। মাংস সেদ্ধ না হলে আরও পানি দিন।

পানি অর্ধেক টেনে গেলে কেওড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আবার হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পাশের চুলায় বাকি ঘি গরম করে পেঁয়াজকুচি সোনালি রং করে ভেজে মাংসের হাঁড়িতে দিয়ে বাগার দিন। তারপর চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দুধে ভেজানো জাফরান ওপর থেকে ছিটিয়ে দিয়ে আরও পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখুন। তারপর ঢাকনা খুলে লেবুর রস দিয়ে হালকা নেড়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে তাওয়ার ওপর ঢেকে প্রায় ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টার মতো দমে রাখুন। যখন কোরমা মাখা মাখা হয়ে বাদামি রং হবে এবং মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু করবে, তখন নামিয়ে পরিবেশন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২০১৪

এবারের ঈদ ফ্যাশনে ‘সিঙ্গেল কামিজ’

 

1

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: এবারের ঈদ বাজারে বিভিন্ন ফ্যাশনের সালওয়ার কামিজের সঙ্গে যোগ হয়েছে সিঙ্গেল কামিজ। সাধারণত বাজারে যে টু-পিস বা থ্রি-পিস পাওয়া যায় তা থেকে  সিঙ্গেল কামিজ একটু ভিন্ন হয়ে থাকে।

 

2

 

যেমন দেখতে সিঙ্গেল কামিজ : সাধারণত সিঙ্গেল কামিজের প্যাটার্ন কিছুটা ভিন্ন হয়। গলায় ভারী কাজ, স্ক্রিন প্রিন্টেড বা সুতার ভা কাজ দিয়ে নকশা করা থাকে। কিছু আবার ডাবল পার্টের সিঙ্গেল কামিজের নকশাও পাওয়া যাচ্ছে। কেউ যদি নিজে পছন্দের মতো সিঙ্গেল কামিজ তৈরি করাতে চান তাহলে মার্কেট বা অনলাইনেও পাবেন ওয়ান পিস হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাপড়। আপনার পছন্দের সিঙ্গেল কামিজের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কিনে নিন লাগিন্স বা পালাজো।

 

যেখানে পাবেন : ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও বড় বড় ডিজাইনার বা ফ্যাশন হাউসগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ও নকশার সিঙ্গেল কামিজ। তাই আসছে ঈদে বেছে নিন আপনার পছন্দ মতো সিঙ্গেল কামিজ।

 

3

 

বাজার দর : সিঙ্গেল কামিজের ধরণ ও কোয়ালিটি অনুযায়ি দাম পড়বে আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২০১৪

শুরু হোক কোরবানির প্রস্তুতি

 

 Untitled-Untitled-

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। অল্প ক’দিন বাকি। ঈদ এলে ঘরে ঘরে উৎসবের আনন্দ বিরাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কোরবানির ঈদে কাজ একটু বেশিই থাকে।  তাই প্রস্তুতিটা আগে ভাগেই নিয়ে রাখা ভালো। তাহলে ঈদের দিনের কাজ এগিয়ে থাকবে। কারণ ঈদের নামাজ শেষে তোরজোর শুরু হয় পবিত্র কোরবানির।

 

কোরবানির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা আগেই করে ফেলুন। বাসায় থাকা চাকু-ছুরি, বঁটি ও চাপাতিগুলো ভালো আছে কি না তা অবশ্যই দেখে নিন। ছুরি, চাপাতিগুলো মরিচা পড়ে গেলে আপনার আশপাশের কামারশালা থেকে শাণ করিয়ে নিন। এছাড়াও আপনি চাইলে, শাণ করার যন্ত্র কিনে বাসায় নিজেই শাণ দিয়ে নিতে পারেন। ঈদের আগের দিন পশু জবাই করার ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, চাপাতি, প্লাস্টিক ম্যাট, গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুত রাখুন। ছুরি-চাপাতি কোনো কিছু না থাকলে আশপাশের কামারশালা বা দোকান থেকে কিনে নিন। সবকিছু প্রস্তুত থাকলে ঈদের দিন আর বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না।

 

দরদাম  বাজারে বিভিন্ন দামের ছুরি, চাপাতি পাওয়া যায়। ছোট ছুরি (প্রতি পিছ) ১২০-৪০০ টাকা। বড় ছুরি ৪০০-১০০০ টাকা। গরু জবাই করার ৪০০-১২০০ টাকা। দেশি চাপাতি ৬৫০-৯৫০ টাকা। বিদেশি চাপাতি ৬৫০-১৮৫০ টাকা। বঁটি ২০০-৫০০ টাকা। হাড় কাটার ছোট চায়নিজ কুঁড়াল ৫৫০-৭০০ টাকা। গাছের গুঁড়ি পাবেন ৩০০-৮০০ টাকায়। মাংস রাখার পলি ও প্লাস্টিক ম্যাট কিনতে পারবেন ২০০-৩০০ টাকায়।

 

রান্নাঘরের অনুষঙ্গ : কোরবানির ঈদে তুলনামূলক বেশি চাহিদা বাড়ে রান্নাঘরের বিভিন্ন অনুষঙ্গের। চপিং বোর্ড, মিট হ্যামার, কিমা মেশিন ইত্যাদি কিনে নিতে পারেন। কাঠের চপিং বোর্ড প্রতিটির মূল্য ৪৫০-৬০০ টাকা। ফাইবার চপিং বোর্ড প্রতিটি ৭০০-১২০০ টাকা। কাচের চপিং বোর্ড প্রতিটি ১৬০০ টাকা। মিট হ্যামার ২৮০-৪০০ টাকা। কিমা মেশিন ১৬৫০- ৪০০০ টাকা। হ্যান্ড মিট কাটার ২৫০-৫০০ টাকা। জীবাণু ও দুর্গন্ধনাশক তরল এক বোতল ১৮৫ টাকা। জীবাণু ও দুর্গন্ধনাশক ক্লোরেক্সের দাম ২৫০-৬০০ টাকা। গার্বেজ ব্যাগ ১০০টি ২০০ টাকায় পাবেন।

 

যেখানে পাবেন : ছুরি, বঁটি, চাপাতিসহ সব জিনিসই পাবেন রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, কারওয়ান বাজার, গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউর ফিক্স ইট, চকবাজার, ঠাটারীবাজারে। এছাড়া আপনার  আশপাশের কামারশালা থেকেও কিছু জিনিস সংগ্রহে নিতে পারেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২০১৪

প্রথম নারী হিসেবে বিএসসিতে যোগ দিলেন ১৬ মেরিন ক্যাডেট

 

CTG-NEWS

অপরাজিতাবিডি ডটকম, চট্টগ্রাম : প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) আট জাহাজে যোগদান করেছেন ১৬ নারী মেরিন ক্যাডেট। গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কাজ শুরু করেন।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে পাস করা এ সব নারী ক্যাডেট তাদের পড়ালেখার প্রায়োগিক কাজের (ইন্টার্নশিপ) অংশ হিসেবে কাজ করবেন।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর মকসুমুল কাদির বলেন, ‌’শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আমাদের সচল আটটি জাহাজে তারা প্রথমবারের মতো কাজে যোগ দেন।’

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিএসসি কার্যালয়ে এ উপলক্ষে নারী ক্যাডেটদের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়। দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিষয় বিবেচনায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ‘জাহাজে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনজন করে নারী মেরিন ক্যাডেট পুরুষ ক্যাডেটদের পাশাপাশি কাজ করবেন।’

বিএসসির যেসব জাহাজে নারী ক্যাডেটরা যোগ দেবেন সেগুলো হলো- এমভি বাংলার সৌরভ, বাংলার জ্যোতি, বাংলার শিখা, বাংলার কল্লোল, বাংলার মণি, বাংলার মমতা, বাংলার কাকলি ও বাংলার দূত। দুপুরে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান তাদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিবেন বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট প্রকৌশলী ড. সাজিদ হুসাইন বলেন, ‘২০১২ সালে ৪৮তম ব্যাচে প্রথমবারের মতো মেরিন একাডেমিতে ২০জন নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হন। ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স এর একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে তাদের। এক বছরের শিক্ষানবিস সময়কালের চাকরির অংশ হিসেবে তারা বিএসসির জাহাজে যোগ দিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস- প্রথমবারের মতো জাহাজে ক্যাডেট হিসেবে যুক্ত হওয়া এসব নারী, পুরুষদের পাশাপাশি সমান ভূমিকা রাখতে পারবেন। ২০১২ সালের পর ২০১৩ তে ২০ এবং ২০১৪ সালে ১৪ জন নারী একাডেমিতে ভর্তি হয়েছেন।’

 

(JPEG Image, 300 × 150 pixels)

তিনি আরও বলেন, ‘এক বছর সময়ে তাদের অর্জিত জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে একজন ভালো ক্যাডেট হিসেবে গড়ে উঠে পরবর্তীতে তারা দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাহাজে সুনামের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন বলে আশা করি।’

তিনি জানান, সারাবিশ্বে বর্তমানে বিভিন্ন বড়-ছোট জাহাজে ১২ লাখ নাবিক কর্মরত রয়েছেন, তার মধ্যে পাঁচ লাখ অফিসার পদমর্যাদার। আর এর মধ্যে নারী অফিসার রয়েছেন মাত্র আড়াই হাজার।

বিশ্বের ২০টি দেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে এ সব নারী কর্মকর্তা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রতিবেশী ভারত থেকে এ পর্যন্ত ৮০ জন নারী ক্যাডেট জাহাজে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই.

১৯ দিন পর ৩ তরুণী উদ্ধার

Satkhira-0920140927131616

উদ্ধার হওয়া তিন তরুণী (ছবি : এম শাহীন গোলদার)

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সাতক্ষীরা : গোপালগঞ্জের তিন তরুণীকে ভারতের মুম্বাই শহরে পাচার হওয়ার ১৯ দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় কলারোয়া থানার পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছে।

 

ওই তিন তরুণী যশোরে একটি মার্কেটে  দীর্ঘদিন চাকরি করতেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ওই এলাকার একটি ছেলের পরিচয় হয়।

 

উদ্ধার হওয়া তরুণীরা জানান, ৮ সেপ্টেম্বর তারা ঢাকায় বেশি বেতনে চাকরি করার প্রলোভনে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ভারতে চলে যান। তাদের বিভিন্ন স্থানে রেখে বিক্রি করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে ভারতীয় একটি লোক তাদের আটক রাখে তার বাড়িতে। এরপর তিনি মোবাইল ফোনে প্রত্যেকের বাড়িতে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।

 

খবর পেয়ে পাচার হওয়া তরুণীর পরিবার ২০ হাজার টাকা করে বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সেই ব্যক্তি আরো ১০ হাজার টাকা মোবাইল ফোনে দাবি করে। পরে ওই ব্যক্তি জানান, তার বাড়ি কলারোয়া উপজেলায়।

 

এ ঘটনার সূত্র ধরে ওই তরুণীদের অভিভাবকরা কলারোয়া থানায় আশ্রয় নিলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিমের নেতৃত্বে থানার এসআই হারাধন কুন্ডু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার চান্দুড়িয়া বাজার এলাকার মাহবুবকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাচার হওয়া তিন তরুণীকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় কোনো মামলা হয়নি।

 

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই.

রান্নার কাজ সহজ করতে

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: শুধু রাঁধলে আর চুল বাঁধলেই চলে না, ঘরের বাইরেও অনেক কাজ এখন নারীদের। অফিস, আদালতে, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অনেক কাজে ঝক্কি সামলে বাড়ি ফিরে পরিবারের জন্য রান্নাবান্না করার কাজটা নারীদের জন্য বেশ পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপারই বটে। সেই পরিশ্রমের কাজটিকে কিছুটা সহজ করে নিতে রান্নাঘরে ব্যবহার করতে পারেন নিচের সরঞ্জামগুলোরান্নার কাজ সহজ করতে

vegetables--chefs-knife-lrg_90314_0

ছুরি
রান্না মানেই কাটাকুটির ব্যাপার! এমনিতে এই কাজে আমাদের দেশে দা-বটি ব্যবহৃত হয় বেশি। অথচ কাটাকুটির জন্য ছুরিতেই সুবিধা বেশি। বটি দিয়ে কাটতে গেলে মেঝেতে বসা ছাড়া উপায় নেই। তবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা বারবার ওঠাবসার কারণে অনেকেরই ব্যথা হয় কোমড়ে। এসব ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি জন্য ছুরির বিকল্প নেই- দাঁড়িয়ে থেকেই সেরে নেবেন যাবতীয় কাটাকুটি। কোমড়ের ব্যথা ছাড়াই।

মাপার জন্য কাপ
যারা নতুন রাঁধুনি তাদের জন্য এটা খুব দরকারি জিনিস। বই দেখে রান্না করেতে গেলেও আপনার হাতের কাছে মাপামাপির জন্য একটা আলাদা কিছু থাকা খুব প্রয়োজনীও বটে। পোলাও রান্না করতে গেলে কতটুকু চালে কতটুকু পানি দিতে হবে কিংবা পুডিং বানাতে গেলে কয়টা ডিমের সাথে কতটুকু দুধ, চিনি আর ময়দা দিবেন সেগুলো সহজেই হিসাব করতে পারবেন এই কাপ দিয়ে।রান্নার কাজ সহজ করতে

ycnp-597388-1_90314_1

সবজি পিলার
সবজি বা ফলের খোসা ছাড়ানোর কাজটা মোটেও সহজ নয়। তবে হাতের কাছে যদি একটা পিলার রাখেন, তাহলে অনায়াসেই কঠিন কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন, অল্প সময়েই। সবজি পিলারের দামও খুব বেশি নয়। শখানেক টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় কাজ চালানোর মতো পিলার। অবশ্য চাইলে বেশি দামের পিলারও পারবেন কিনতে।

 

হামান দিস্তা
হামান দিস্তা ব্যবহার শুরু করেননি এখনো? তাহলে আজই শুরু করুন, এর উপকারিতার কথা কয়েক দিন পর নিজে নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন। ধরুন মাংস রান্না বসালেন, হুট করে মনে হল আরো একটু গরম মসলার গুঁড়ো প্রয়োজন। তখন আবার শিলপাটা নিয়ে বসবেন? ভুলে যান সে কথা, গরম মসলা নিয়ে হামান দিস্তায় পিষে নিন মুহূর্তেই।

basil-and-blender_90314_2

ব্লেন্ডাররান্নার কাজ সহজ করতে
ভাবছেন রান্নার কাজে ব্লেন্ডার কিভাবে সাহায্য করতে পারে? মসলা পেস্ট করার গুরুদায়িত্ব ব্লেন্ডারের ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে। আদা, রসুন, হলুদ, মরিচ কিংবা যে কোন ধরনের জুস, লাচ্ছি সহজেই বানাতে পারেন ব্লেন্ডার দিয়ে। চাইলে মাংসের কিমাও করা যায় ব্লেন্ডারে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই.

ঘরের সাজে ঝাড়বাতি

 

40923124611

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: অন্দর সাজ দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিকতার ছোঁয়া আপনার রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এজন্য ঘর সাজাতে কারুকাজ খচিত ফার্ণিচারের সঙ্গে থাকা চাই ঝাড়বাতি। যা আপনার ঘরের সৌন্দর্যই একধাপ বাড়িয়ে দিবে। তবে তা যেন হয় ঘরের সঙ্গে মানানসই।

 

বসার ঘরেই ঝাড়বাতি বেশি প্রয়োজন। মাঝারি ধরনের ঘরে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝাড়বাতি ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন ফুলের নকশা বা চারকোণা আকৃতির ঝাড়বাতি লাগানো যেতে পারে। আর যদি বসার ঘরটি বড় আকারের হয় তাহলে বড় ঝাড়বাতি লাগালেই ভালো লাগবে।

 

বাড়িতে কোনো অতিথি এলে প্রথমে বসতে দিতে হয় এই ঘরটাতে। তাই এই ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোটা একটু বেশি প্রয়োজন। তবে যে ঘরে ঝাড়বাতি লাগাতে হবে সে ঘরে অবশ্যই একটু ভারি ফার্ণিচার থাকা চাই। কারণ সাদামাটা ফার্ণিচার থাকলে ওই ঘরে ঝাড়বাতি লাগালে খুব একটা মানানসই হবে না।

 

ঝাড়বাতি সাধারণত হলুদ রঙের লাইট হলেই বেশি ভালো দেখায়। হলুদ আলো ঘরে একটি সুন্দর আবহ তৈরি করে। দেয়ালের রং যাই হোক, হলুদ লাইট তার সঙ্গে মানিয়ে যাবে। তবে যাদের দেয়াল সাদা বা অফ হোয়াইট, তারা চাইলে সাদা লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। দেয়াল হালকা রঙের হলে ইউনিক গ্লাসের ঝাড়বাতি লাগাতে পারেন। ঘরে রোমান্টিক আলোর প্রবাহ আনতে চাইলে বাটারফ্লাই মোটিফের ক্রিস্টাল ঝাড়বাতি হবে যুতসই।

 

আকার অনুযায়ী ঝাড়বাতির দরদামে ভিন্নতা রয়েছে। হ্যাঙ্গিং ঝাড়বাতি পাওয়া যাবে এক হাজার তিন হাজার টাকার মধ্যে। ছোট থেকে বড় বিভিন্ন আকারের ক্রিস্টালের ঝাড়বাতির দাম পড়বে ২০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। কাঁচের সঙ্গে কাঠ কিংবা মেটালের সংযোজনে বিভিন্ন আকারের ঝাড়বাতি পাবেন আট হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায়। সিলিং ঝাড়বাতি পাঁচ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়।

 

যেখানে পাওয়া যাবে:

রাজধানীর নিউমার্কেট, পল্টন, গুলশান ১-, বনানী, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গাতে পাবেন এসব ঝাড়বাতি।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

চোখের যত্নে যা খাবেন

 

20130910050314

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: চোখ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। দৃষ্টিশক্তি না থাকলে পৃথিবী অন্ধকার। আজকাল আমরা কমবেশি সবাই চোখের সমস্যায় ভুগি। শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো চোখের যত্ন নেয়াটাও খুব জরুরি। বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও হয় চোখের সমস্যা। অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদেরও দেখা যায় মোটা লেন্সের চশমা পরতে। তবে আমরা যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনি তাহলে চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যায়। চোখকে সুস্থ রাখতে আসলে নিয়মিতই কিছু খাবার দরকার।

Frozen-Carrot-Sliced

 

গাজর
গাজর অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি সবজি। এটি কাঁচা বা রান্না- দুভাবেই খাওয়া যায়। সুস্থ্ চোখ পেতে হলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত তার মধ্যে অন্যতম হলো গাজর। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ এবং বিটা ক্যারোটিন; যা চোখকে সুস্থ্ রাখতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ছানি পড়া, বয়সের কারণে চোখের জ্যোতি কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া গাজরে রয়েছে ফাইবার ও পটাশিয়াম। এ দুটি উপাদানও কিন্তু শরীরের জন্য ভালো। গাজর ক্যান্সার প্রতিরোধক। আর আপনি যদি ওজন কমানোর চিন্তা করে থাকেন তবে গাজর আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
 

Pui_shak

 

সবুজ শাক
সমস্যায় পড়লে আমরা ওষুধে মুক্তি খুঁজি। অথচ অনেক খাবারে রয়েছে বহু সমস্যার সমাধান। আমাদের দেশের নানা রকম সবুজ শাক যেমন, পালং, পুই, কচু, লাউ ইত্যাদিকে অবহেলা করবেন না। সবুজ শাকে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। সেই সাথে এটি ম্যাঙ্গানিজের খুব ভালো উৎস। এগুলো চোখের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখের রেটিনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে সবুজ শাক। দৃষ্টিশক্তি ভালো করতেও সাহায্য করে এটি।

 

Corn_59903

 

ভুট্টা
 
ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, সি ও লাইকোপিন; যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে৷আধ-কাপ রান্না ভুট্টায় একজন মানুষের চোখের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই নিয়মিত ভুট্টা খেতে পারেন। আর নিয়মিত ভুট্টা খেলে চোখের হলুদ পিগমেন্ট হারানোর কোন ঝুঁকি থাকে না। এমনকি ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে যায়।
 

 

tomtom

 

টমেটো
টমেটো এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি, সি, কে, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, লাইকোপিন, ক্রোমিয়ামসহ নানা উপাদান। টমেটো যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনি রান্না করেও খাওয়া যায়। সালাদে টমেটো অতুলনীয়। চোখের যত্নে যা খাবেন
টমটো খেলে অনেক লাভ। এক গবেষণায় দেখা গেছে টমেটোতে থাকা লাইকোপিন চোখের রেটিনাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে সুরক্ষা দেয়।

 

rr

 

মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু দেখে নাক সিটকানোর দিন এখন শেষ। কারণ মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, ই ও ডি। চোখের যত্নে মিষ্টি আলু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এটি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে এর তুলনা হয়না। প্রতিদিন একজন মানুষের যতটুকু পুষ্টি দরকার তার বেশিরভাগই মেলে মাঝারি আকারের একটি মিষ্টি আলুতে। এতে রয়েছে প্রতিদিনের চাহিদার ২৮ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ ও ৪০ শতাংশ ভিটামিন- সি। আর মিষ্টি আলু শুধু চোখের যত্নেই কাজে লাগে না; হাড়ের ক্ষয়রোধেও সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও মিষ্টি আলু বেশ উপকারী। সূত্র- আমেরিকানকি

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

বর্ষায় শিশুর যত্ন

 

AmarJibon_Barsha-Bhishu

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: প্রকৃতিতে চলছে এখন বর্ষাকাল। আর বর্ষাকাল মানেই যখন-তখন ঝরঝর বৃষ্টি। আর হুটহাট এই ঝুম বৃষ্টিতে বাচ্চারা ভিজতে পছন্দ করে। বৃষ্টিতে ভিজে বাচ্চারা হৈহুল্লোড় করতে ব্যাকুল থাকে। তাছাড়া বাচ্চারা ছাতা মাথায় দিতে চায় না, রেইন কোটও পরতে চায় না।

 

কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ভিজলে বাচ্চাদের নানা অসুখ-বিসুখ হতে পারে। তাই বাচ্চাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে ছাতা ও রেইনকোট ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। বাচ্চাদের এসব বৃষ্টির পানি নিরোধক জিনিস ব্যবহারে উত্সাহী করে তুলতে রঙিন, নানা ধরনের প্রিন্টের বর্ণিল ছাতা ও রেইন কোট কিনে দিতে পারেন।

 

বাচ্চাদের স্বভাব হচ্ছে—হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পানি ধরবে। বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে পা ডোবাবে। আর একটু খেয়াল না করলে দৌড়ে কোন ফাঁকে ভিজে গোসল সেরে আসবে সেটা আপনি টেরই পাবেন না। তাই বর্ষাকালে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে বাচ্চাদের ওপর। বাচ্চার সঙ্গে সঙ্গে নিজেও ছাতা ও রেইনকোট ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে তার আগ্রহ বাড়বে। কারণ বাচ্চারা বড়দের অনুকরণ করতে পছন্দ করে। বর্ষাকালে হঠাত্ যখন-তখন বৃষ্টি নেমে যেতে পারে। তাই ছাতা ও রেইনকোট সবসময় সঙ্গেই রাখা ভালো। কোনো কারণে বৃষ্টিতে ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার মাথা ভালো করে মুছিয়ে দিন।

 

যদি খুব সমস্যা না হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে গোসলও করিয়ে দেয়া যেতে পারে। অনেকে মনে করেন গোসল করালে ঠাণ্ডা লাগবে; কিন্তু ন, বৃষ্টির পানি ধুয়ে ফেলাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সম্ভব হলে সরষের তেল মেখে গোসল করাতে পারেন। এতে ঠাণ্ডা কেটে যাবে। শুকনো জায়গা রেখে পানিতে পা দিয়ে হাঁটতেই বাচ্চাদের বেশি আগ্রহ থাকে, ভালো লাগে। আপনি খেয়ালও করতে পারবেন না, আপনার পাশে হাঁটা বাচ্চাটি কখন লাফ দিয়ে পানিতে পা ডুবিয়েছে। তাই যদি পা ডুবিয়েই ফেলে তো আর কি করা! ভেজা জুতা বেশিক্ষণ পায়ে রাখবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জুতা খুলে দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে-মুছিয়ে দিন।

 

আঙ্গুলের ভেতরেও যেন পানি না থাকে। জুতা-মোজাও ভালো করে শুকিয়ে নিন। একটু সতর্ক হলেই দেখবেন এই বর্ষায়ও আপনার শিশু থাকবে সুস্থ ও সুন্দর। বর্ষায় আপনার শিশুকে সুস্থ-সবল রাখতে মায়েদের সচেতনতাই যথেষ্ট। সেই সঙ্গে বাবাদেরও সন্তানের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখা উচিত।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

শ্যাম্পু ছাড়াই চুলের যত্ন

 

pic-3_87377_0

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: চুল পরিস্কার করতে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না- এমন লোক খুব কম। একটা সময়ে সাবান দিয়েই হতো চুল পরিষ্কারের কাজটি। কিন্তু শ্যাম্পু এখন এতোটাই সহজলভ্য যে চুল সুন্দর রাখতে কেউই আর সাবান ব্যবহার করেন না।

 

কিন্তু শ্যাম্পু কি ঠিকঠাক মতো পারছে আপনার চুলের যত্ন নিতে? নামী-দামী ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ব্যবহার করেও প্রাণহীন আর অনুজ্জ্বল হয়ে পড়ছে চুল? তাহলে শ্যাম্পু সরিয়ে রাখুন- চুলের যত্নের দায়িত্ব তুলে দিন কিছু ভেষজ উপাদানের হাতে; যা দেবে শ্যাম্পুর চেয়েও বেশি উপকারিতা।

 

 

সুফল মিলছে না শ্যাম্পুতে?

চিন্তিত হওয়ার নেই প্রয়োজন- এসব ভেষজের খোঁজে বনে-জঙ্গলে যেতে হবে না। সব উপাদান পাওয়া যায় হাতের নাগালেই।

 

ক্যামোমিল চা
ক্যামোমিল চা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি চুলের জন্যও। এক ধরনের ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এই বিশেষ চাপাতা মাথার রুক্ষ ত্বককে সতেজ করে এবং চুল মোলায়েম করে তুলতে পারে। এজন্য ক্যামোমিল চা ফুটিয়ে ছেঁকে পানিটুকু শ্যাম্পুর মতো চুলে ঘষে মেখে ধুয়ে নিন। অথবা পানিতে চা পাতা ভিজিয়ে রেখে, সেই পানি দিয়েও চুল ম্যাসেজ করতে পারেন। যে পদ্ধতিই অনুসরণ করুন, উপকার পাবেন নিশ্চিত।

 

 

pic-2_87377_1

 

আমলকি, লেবু ও ক্যামোমিল চা চুলকে সুন্দর সতেজ করে তুলতে সক্ষম আমলকি
ভেষজ হিসেবে আমলকির গুণাবলীর তালিকা দীর্ঘ। চুলের যত্নেও এই ভেষজ ফলটি তুলনাহীন। আজকাল তেল কিংবা শ্যাম্পু থেকে শুরু করে চুলের বিভিন্ন প্রসাধনেও ব্যবহৃত হচ্ছে আমলকি। এতে আছে ভিটামিন সি। যা মাথার ত্বকে তৈরি যে কোন ইনফেকশন সারাতে সহায়তা করে। চুলকে করে তোলে সুন্দর ঝরঝরে। খুশকির দৌরাত্ম্য দমনেও আমলকি উপকারি।আমলকি কেটে দুধে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টা কয়েক। ভিজিয়ে রাখা আমলকি বেটে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেই পেস্ট চুলে বিলি কেটে কেটে একেবারে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। এক ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। পারলে আমলকির পেস্টের সঙ্গে মেহেদি পাতাও যোগ করতে পারেন। আরো ভালো চুল পাবেন।

 

 

লেবু
চুলের যত্নে লেবুও ভীষণ কার্যকর। ক্লিনজার হিসেবে লেবু খুব ভালো কাজ করে। মাথার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও লেবু সাহায্য করতে পারে। এজন্য এক মগ পানিতে একটি লেবু রস চিপে নিন। সেই পানি চুলে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তৈলাক্ত চুল ঝরঝরে করে তুলতে লেবুর রসের তুলনা নেই। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

শিরিনের স্বপ্নের সঙ্গে…

 

156cbbb26428a4368c5644375aff0a85-Untitled-7

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: শেখ আবদুল মজিদ ও আঙ্গুরা বেগমের চার মেয়ে। চার মেয়েকে নিয়ে তাঁদের অনেক স্বপ্ন ছিল। তবে সেই স্বপ্ন ‘ভালো ঘরে বিয়ে দেওয়া’। আর সেখান থেকেই এসেছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানবী। দেশ-সেরার মুকুট এখন তাঁর মাথায়। মা-বাবার সেই স্বপ্নকে নড়বড়ে করে দিয়ে সাফল্যের মুকুট মাথায় করে এগিয়ে চলছেন শিরিন আকতার।

 

অবশ্য গতির সঙ্গে যুদ্ধ করা এই মেয়েটিকে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি! যুদ্ধটা ছোটবেলাতেই শুরু হয়েছিল তাঁর। সেই সাতক্ষীরা দহখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ার সময় থেকে। ওইটুকুন বয়সে শিরিন নাম লেখান স্কুলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। দৌড়, হাইজাম্প, লংজাম্প থেকে শুরু করে স্কুলের নানা ধরনের খেলাধুলার সঙ্গে নিত্য দেখা-সাক্ষাৎ ঘটে তাঁর। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিন হাতভর্তি পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবুও মা-বাবার ভয়—তাঁদের সেই স্বপ্নভঙ্গ হবে না তো! এ কারণেই খেলাধুলার ওপরে নিষেধাজ্ঞা আসে।

শিরিন পুরোনো কথা মনে করে খানিকটা বিচলিত হন। ‘জানেন, এমনও হয়েছে দুপুরবেলা মা-বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছি। তাঁরা ঘুমিয়ে পড়লেই, আমি চুপিচুপি উঠে পড়েছি। দরজা ডিঙিয়ে বাইরে এসে জানালায় দাঁড়িয়েছি, তখনই আমার বড় বোন জানালা দিয়ে খেলার পোশাক পার করে দিয়েছে। পোশাক হাতে সোজা নানুবাড়ি। আমার সৌভাগ্য নানুবাড়ির কাছেই ছিল। সেখানে পোশাক পরিবর্তন করে মাঠে দৌড়। এভাবে কত দিন যে লুকিয়ে লুকিয়ে মাঠে গিয়েছি তার হিসাব নেই। আমার জন্য বড় বোন পর্যন্ত বকা খেয়েছে।’ বলেন শিরিন।

 

একসময় খেলাধুলাই ভাগ্য ফিরিয়ে দেয় শিরিনের। প্রাথমিক স্কুল পার করে ভর্তি হন সাতক্ষীরার একটি মাধ্যমিক স্কুলে। সেখান থেকে সোজা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। ভর্তি হওয়ার সময়ও মা-বাবা চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু শিরিনের ধারাবাহিক সাফল্য আর তাঁর বড় বোন, ছোট মামা ও নানির কথার ওপরে কথা বলতে পারেননি। তাই ২০০৭ সাল থেকেই শিরিনের ঠিকানা হয় বিকেএসপি। সেখান থেকেই অংশ নেন বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড়ের কৃতিত্ব তাঁর দখলে ছিল। মাঝখানের এক বছর বাদ দিয়ে আবার ২০১২ সালে সেরা হন শিরিন। ২০১৩ সালে অংশ নেন বাংলাদেশ গেমসে। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে। ২০১৪ সালে এখন পর্যন্ত অংশ নেন দুটি প্রতিযোগিতায়। একটি ৩৮তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস ও ১২তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস। প্রতিটি প্রতিযোগিতার ১০০ মিটার স্পিন্টে সোনা জয় করে দ্রুততম মানবীর খেতাব জয় করেন তিনি। বর্তমানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। তাদের হয়েই খেলবেন সামনের দিনগুলোতে। এইচএসসি পাস করেছেন বিকেএসপি থেকে। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি শিরিনের স্বপ্ন অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়া। শুধু অংশই নয়, দেশের হয়েই সেরা হতে চান সাতক্ষীরার এই মেয়ে। শিরিনের সেই স্বপ্নের সঙ্গে এখন হেঁটে চলেছেন তাঁর পরিবার, সাতক্ষীরা ও বাংলাদেশের মানুষ।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪

স্ত্রী সম্পর্কে সবার সামনে ৯টি কথা কখনোই বলবেন না

 

tansihq-wedding-photography-india-brid-groom (8).preview

ছবি: প্রতিকী

 

অপরাজিতা ডেস্ক: রাতুল ও সাবিহা বিয়ে হয়েছে পরিবারের সম্মতিতে। বিয়ের এক মাস পরেই সাবিহা আবিস্কার করলো রাতুল ভীষণ খুঁতখুঁতে। কেবল বাসাতেই নয়, বরং কোন আত্মীয় বা কলিগের বাসাতে গেলেও সাবিহার নানা দোষ নিয়ে আলোচনা করে ও সবার সামনেই। সাবিহার রান্না ভালো না, সাবিহা শুধু শপিং করে টাকা ওড়ায়, সারাক্ষণ ফোনে কথা বলে ইত্যাদি, এমনকি একদিন এক নারী কলিগের সামন এতো বলেই বসলো, “ইশ! আমার বউটা যদি আপনার মত সুন্দর হতো!”

 

সাবিহার ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু কাউকে বলতেও পারে না ও! ওর শুধু মনে হয়, রাতুল তো তার স্বামী, সবার সামনে এভাবে ওর দোষ নিয়ে আলোচনা না করে, ও কি পারতো না শুধু সাবিহাকে একা একটু বুঝিয়ে বলতে!আর এতে তো রাতুলকে নিয়েও আত্মীয়রা হাসাহাসি করে। সেটাও ভালো লাগে না সাবিহার। সম্পর্কটা এভাবেই দিন দিন খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

পাঠক, রাতুল-সাবিহার ঘটনা একটা উদাহরণ মাত্র! কিন্তু এমনটা ঘটে প্রায়শই। তাই একটু খেয়াল রাখুন, নিজের স্ত্রী সম্পর্কে সবার সামনে কিছু বিষয় আলোচনা থেকে বিরত থাকুনঃ

 

১। আপনার রান্নার সাথে তো ওর রান্নার তুলনাই হয় নাঃ
কোথাও গেলেন, হতে পারে আত্মীয় বা কলিগের বাসায়। সেই ভদ্রমহিলা হয়তো অনেক ভালো রান্না করেন আর তা আপনার ভালোও লেগেছে। কিন্তু তাই বলে তার প্রশংসা করার জন্যে নিজের স্ত্রীর রান্নার সাথে তুলনা দিতে যাবেন না। আপনার স্ত্রীকে খাটো করে হয়তো আপনি অন্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছেন, কিন্তু আপনার জন্যে সব সময় ভালোবেসে খাবার তৈরী করার মানুষটি কি এতে কষ্ট পান না? যার প্রশংসা করছেন, তার প্রশংসাই করুন। অযথা নিজের স্ত্রীর সাথে তুলনা দিয়ে কেবল তাকে আপনি কষ্টই দেন না, বরং নিজেও নিজের অজান্তেই সামনের মানুষটির সামনে অনেকখানিই ছোট হয়ে যান!

 

২। ও ভীষণ ঝগড়াটেঃ
মান অভিমান হোক বা মনোমালিন্য, দাম্পত্যে সবারই এমনটা থাকে। একটু আধটু ঝগড়া ঝাঁটি বরং সম্পর্ককে মজবুত করতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু এটি আপনার ও আপনার স্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা সবার সামনে বলে স্ত্রীর ওপর দায় চাপাতে চান অনেকেই। যা আপনার সুন্দর মানসিকতার পরিচয় দেয় না।

 

৩। ইশ! আমার স্ত্রী যদি আপনার মতন হতোঃ
অন্য কোন নারীর সামনে এ কথাটা বলছেন আপনি। এর ফলে প্রথমত আপনার স্ত্রী যে কী ভীষণ কষ্ট পান, তা কি আপনই জানেন? আর যাকে বলছেন, তিনিও আপনাকে একজন হীনমন্যতায় ভোগা অসুখী ব্যক্তি ভেবে করুণা ছাড়া আর কিছুই করবেন না।

 

৪। ও আগে পারতো এখন আর পারে নাঃ
আপনার স্ত্রী হয়তো আগে গান গাইতেন, লেখালিখি বা নাচ করতেন। বিয়ের পর সাংসারিক ঝামেলায় হয়তো তার চর্চা নেই। কিন্তু তাই বলে সবার সামনে তার প্রতিভাকে ব্যর্থতায় ঢেকে দেবেন না। কেননা তিনি যা প্রতিভার অধিকারী তার চর্চা করলে আবারো পারবেন। তাই তার প্রতিভার সম্মান দিন।

 

৫। আমার স্ত্রী তো আপনার স্ত্রীর মত সুন্দরী নাঃ
এটির মত নোংরা কথা জগতে দ্বিতীয়টি নেই। আপনার স্ত্রীর সামনেই যদি অন্য কোন নারীকে এ কথা বলার অভ্যাস থাকে। তবে এটি তো আপনার স্ত্রীকে কষ্ট দেয়ই আর সবার সামনে আপনাকে কিছুটা চারিত্রিক ত্রুটিসম্পন্ন হিসেবেও প্রমাণ করে।

 

৬। আমার বাসার বাইরে বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতেই ভালো লাগেঃ
এর মানে আপনি যাই দাঁড় করাতে চান না কেন, সবার সামনে এর একটাই মানে দাঁড়ায়, আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে দাম্পত্যজীবনে সুখী নন। এ কথাটি আপনার মনেই রাখুন।

 

৭। ওকে সব পোষাক মানায় নাঃ
আপনার স্ত্রী হয়তো অতিরিক্ত মোটা বা শুকনো। তাই বলে সবার সামনে তার ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা কি উচিত বলুন? আপনার স্ত্রীকে কোন বিশেষ পোষাক না মানালে তাকে সেটি ঘরেই বলুন। ব্যক্তিগত কথা সবার সামনে প্রচারের কোন মহিমা নেই।

 

৮। ওর চেয়ে ভালো মেয়েকে বিয়ে করতে পারতাম আমিঃ
“পারতেন তো করেন নি কেন?” শুধু আপনার স্ত্রীই নয়। এমন কথায় হাসবে অনেকেই। এতে আপনার নিজের অসম্মান ছাড়া আপনার স্ত্রীর কোন অসম্মান নেই। এসব কথা বলে যতটা না আপনার স্ত্রীকে কষ্ট দিচ্ছেন আত্র চেয়ে সবার সামন এহাসির পাত্রেই পরিণত হচ্ছেন আপনি।

 

৯। ও তো অনেক খরচ করে, মিথ্যা বলেঃ
দয়া করে বাইরের মানুষকে নালিশ করা বন্ধ করুন। আপনার স্ত্রীকে ওরা পরিবর্তণ করতে পারবে না। পারলে আপনিই পারবেন। তাই খরচ কমাতে বাজেট করুন। মিথ্যা কমাতে আপনার উপর আস্থা তৈরীর চেষ্টা করুন।
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক একান্তই ব্যক্তিগত। তাই নিজ স্ত্রীর সম্পর্কে সবার সামনে এমন কোন কথা বলবেন না, যা তাকে হেয় করে। তিনি হেয় হলে কিন্তু আপনারও ইমেজ কমে বৈ বাড়ে না। ভালো থাকুন।সূত্র: ওয়েবসাইট।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

 

সাতক্ষীরার বেতনা তীরের ভূমিহীন নারী

 

2_147958

 

অপরাজিতা ডেস্ক: ‘বান, জলোচ্ছাস, ঝড় বাদল তো লেগেই আছে । আর সেই সাথে আমাদেরও যাযাবরের মতো এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ছুটাছুটি। কতোবার কুঁড়ে তৈরি করা যায়। কেউ একবার ফিরেও দেখেনা । ঈদ এলে কয়েক কেজি চাল দেয় । আবার যিনি এখানকার ভোটার নন মেম্বর সাহেব তাকে চাল দেন না ।’ সাতক্ষীরার বেতনা পাড়ের মানুষগুলোর এমনই দুর্দশা । বিশেষ করে নারীদের ভোগান্তি যে কতো তার কোনো শেষ নেই বললেন সাতক্ষীরার বেতনা পাড়ের রাবেয়া।

 

 

এই বেতনা পাড়ের আরেক নারী রুবিয়া। একচালা কুঁড়ে ঘরেই তার বাস । তিনি বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি পড়ে । ঝড় এলে ছন উড়ে যায় । এখানকার নারীরা বসবাসের জন্য জমি পেলেও তা চলে যায় অন্যের দখলে । সরকারের এই খাস জমির দখল নিয়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগেই আছে । খাস জমি বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ করেছে সরকার । আগে থেকে যারা আছে তারাই টিকে রয়েছে এখানে। আমাদের কোনো শৌচাগার নেই। খাবার পানিও নেই । দু-থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গিয়ে পানি আনতে হয় । নদীর নোনা পানি । এই নদী ভাঙ্গে আর গড়ে । সেই সাথে আমাদের কপালও ভাঙ্গে । কারও গড়ে কারও গড়েনা ।

 

রেহানা, সুফিয়া, ফিরোজা, আলেয়া, রুবিনা, রাবেয়া, মুক্তার মতো ভিটেমাটি হারা এমন কয়েক শ’ পরিবারের আশ্রয় এখানে । কেউ নিয়েছে সরকারের কাছ থেকে একসনা বন্দোবস্ত । কেউ বন্দোবস্ত ছাড়াই বসবাস করছে সরকারি খাস জমিতে ।

 

ছোট বয়সেই মাকে হারিয়েছে রেহানা । দুটি সন্তান জন্মের পরই পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হন রেহানা । তার এই অবস্থায় স্বামী তাকে ফেলে রেখে চলে যায় তৈলকুপিতে। স্বামী ফের বিয়ে করে । রেহানা বলেন, একরকম ভাসমান অবস্থায় ঘর বেঁধেছি বেতনা তীরে । সরকার পাঁচ শতক জমি আমার নামে একসনা বন্দোবস্ত দেন । কিছুদিন পর নদী খনন শুরু হলে ঘর ভেঙ্গে যায় । সেই জমিও চলে যায় নদীর মধ্যে। কোথায় দাঁড়াবেন। ভিক্ষে করেই দিন চলে । যদিও কিছুটা জমি স্থানীয় মেম্বর খুঁজে দিয়েছেন, সেখানে ঘর তুলবেন যে টাকা কোথায়! বেতনা তীরের আরেক নারী আলেয়া বেগম। তার পাঁচ জনের সংসারে আয় করার লোক নেই। কিডনি রোগে ভুগছেন তিনি। তাই পরিশ্রমের কাজ করতে পারেন না । বাপের বাড়ি থানাঘাটায় । তারা গরিব, সাহায্য করার সামর্থ্য নেই তাদের।

 

আর সুফিয়া খাতুন নিজেই জোন দেয় মাঠে ঘাটে । মজুরি আসে একশ’ থেকে জোর বেশি দেড় শ’ টাকা। কিন্তু কাজ সব দিন হয়না। রুবিনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা তিন । স্বামীও জোন দেয় । রুবিনা বলেন, খড়পাতার বুননের কাজ করে মাসে আটশ’ টাকা আয় হয়। ছেলে কাজ করে ঘেরে ।

 

মুক্তার চারজনের সংসার । রিশিল্পীর খড়পাতা বুননের কাজ করে যা পায় তাই দিয়েই চলে তার সংসার।
ছয় জনের সংসারে আলেয়া বেগম মাঠে ঘাটে জোন মজুরি খেটে সংসারে যোগান দিয়েও স্বামীর ভালো মুখ পায়না। আর ফিরোজার স্বামী ভ্যান চালায়। সে নিজেও মাঠে জোন দেয় । আলেয়া বেগম বলেন, এরপরও স্বামীর মারধর খেতে হয় আমাদের। কথায় কথায় তালাকের হুমকি আসে। নীরবে সব সহ্য করতে হয় । আর দুর্যোগকালে অত্যাচারের মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায় । নারী হিসাবে এভাবেই নানা দুর্ভোগের শিকার হই । প্রতি বছরই জলাবদ্ধতা জেঁকে বসে বেতনা তীরে । পানিতে তলিয়ে একাকার হয়ে যায় সব । তখন আশ্রয় নিতে হয় কাছাকাছি এক গোডাউনে । কাছে কোনো স্কুল নেই । আমাদের ছেলেমেয়েদের তাই লেখাপড়ার সুযোগও নেই । খাবার পানি যোগাড় করতে না পারলে ভোগ করতে হয় স্বামীর নির্যাতন । ঘরে চাল না থাকলেও ভাত চাই স্বামীর । এতো যন্ত্রণার মধ্যেও সরকার থেকে এলাকায় একটি গভীর নলকুপ বসালে অন্ততঃ বিশুদ্ধ পানি পেতাম পান করার জন্য।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

 

এশিয়ায় কিশোরী নির্যাতনে বাংলাদেশ শীর্ষে

 

c406de8aaf771ef829d25e4e360ec6ba_35901

 

অপরাজিতা ডেস্ক: মানবাধিকার সমুন্নত রাখ, মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা কর এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৬৮টি নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

 

 

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নারী অধিকার রক্ষা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উল্লেখযোগ্য অর্জন আছে। কিন্তু পাশাপাশি গুম, হত্যাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর নির্যাতন চলছে।

 

 

 

আমরা লক্ষ্য করছি নির্যাতনকারীকে যখন আমরা আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি, তখনই তা আর পারা যাচ্ছে না। রাষ্ট্র, প্রশাসন নিজে যদি আইন প্রতিষ্ঠা না করে, আইন মেনে না চলে তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। যে তরুণী নিয়ে আমরা এমডিজির প্রশংসাপত্র নিয়ে আসছি, সেখানে তারা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। আমাদের আলোর পাশাপাশি দুশ্চিন্তাও সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি নারী নির্যাতন বন্ধের জন্য পরিবারে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সব শ্রেণীপেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

 

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি চঞ্চনা চাকমা বলেন, আদিবাসী নারীদের ওপর নির্যাতন যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা উদ্বেগজনক। ২০১৪-এর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আদিবাসী নারীদের ওপর নির্যাতনের ২১টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৪টি ঘটনা ঘটেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং বাকিগুলো বিভিন্ন জায়গায়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, সংবিধানে এখনও আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতি সংরক্ষণ করে নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।

 

 

আইন সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র উপ-পরিচালক অ্যাডভোকেট রওশন জাহান পারভীন বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনের জন্য আমরা কখনও একক কখনও বা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সংবিধান আমাদের মানবাধিকার দিয়েছে। কিন্তু তারপরও ক্রমাগত তা খর্ব হচ্ছে।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

 

নারীরা পরিবারে পুরুষের ৭ গুণ কাজ করেন

 

Chumki

অপরাজিতাবিডি ডটকম : গ্রামীণ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের পারিবারিক কাজ নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেন্ডার স্টাডিজ অ্যান্ড সোশ্যাল ট্রান্সফরমেশন (সিজিএসটি)। গবেষণায় বলা হয়েছে, পরিবারের অমূল্যায়িত সেবামূলক কাজে নারীরা মোট কর্মঘণ্টার প্রায় ৭ ঘণ্টা ব্যয় করেন। অপরদিকে পুরুষরা এ কাজ করেন এক ঘণ্টা।

 

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বুধবার গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাহিন সুলতান। গবেষণার ক্ষেত্র উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ এলাকা।

 

গবেষণায় বলা হয়, নারীর এ কাজের স্বীকৃতি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নেই। কাজের অতিরিক্ত চাপের কারণে নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ পান না। এটি নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধক।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নারীদের তুলনায় পুরুষরা উৎপাদনশীল কাজে বেশি সময় দেন, যে কারণে পরিবারের কর্তৃত্ব পুরুষের হাতে। পুরুষরা নারীদের তুলনায় বেশি অবসর সময় পার করেন বিনোদন বা অন্য কাজে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কারণে পুরুষের ওপর নারী সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হচ্ছে। প্রতিটি নারীকে শিক্ষার সুযোগ দিলে ও অর্থনৈতিক কাজে সুযোগ দিলে নারীর অবস্থানের পরিবর্তন হবে। সরকার এই দুদিকে খেয়াল দিচ্ছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের ঘরের কাজ করতে হয়। পরিবারের পুরুষ সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নেয় নারীরা কোন ধরনের কাজ করবে আর সেটির স্বীকৃতি হবে কি-না। ফলে পুরুষের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে, নারীরা পায় না কাজের স্বীকৃতি।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার নিকোল মালপাস বলেন, ‘বাংলাদেশের জেন্ডার বৈষম্য দূর করতে নারীর অমূল্যায়িত সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন দরকার। যদি নারী ও পুরুষের কাজের ভাগাভাগি করা হয় তবে দেশের উন্নতি হবেই।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।

 

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক জ্যেষ্ঠ গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার প্রমুখ।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

বেকারত্ব ও জনসচেতনার অভাবে নারী নির্যাতন বাড়ছে

 

 

Nari

 

অপরাজিতা প্রতিবেদক : যুবকদের বেকারত্ব ও নারী-পুরুষ উভয়ের সচেতনার অভাবেই নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। এই নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। তা না হলে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

 

বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীদের প্রতি সহযোগিতা জোরদারে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব মতামত দেন।

 

বাংলাদেশ নারী সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম, খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী, সুফিয়া কামাল নারী ক্লাবের সদস্য আরাফাত বেগম, জাহানারা ইমাম নারী ক্লাবের সদস্য দুলহ বেগম প্রমুখ।

 

ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর এই আন্দোলনে পুরুষদেরও সঙ্গী করে নিতে হবে। শুধু নারীরাই আন্দোলন করলে হবে না।

 

তিনি অনুষ্ঠানের উপস্থিত নারীদের প্রতি বলেন, আপনারা বা আপনাদের পরিচিত কেউ নির্যাতনের শিকার হলে প্রথমে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করবেন। আর সেখানে যদি কোনো অসহযোগিতা পান কিংবা থানায় যেতে না চান, তাহলে সরাসরি ঢাকার ডিসি কার্যালয়ে চলে আসবেন। আপনাদের সেবার জন্য সেখানে আলাদা একটি শাখা সার্বক্ষণিক চালু রাখা হয়েছে।

 

সুফিয়া কামাল নারী ক্লাবের সদস্য আরাফাত বেগম বলেন, বেকারত্বের কারণেই নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, পড়া লেখা শেষে যুবকরা যখন বেকার থাকেন তখন তাদের মধ্যে কু-চিন্তাচেতনা কাজ করে। এর ফলে তারা এই নারী নির্যাতনের দিকে ধাবিত হয়। সুতরাং, নারী নির্যাতন বন্ধে সরকারকে আগে বেকারত্ব দূর করতে হবে।

 

নারী আন্দোলনের এই নেত্রী আরও বলেন, নারী নির্যাতনের আরেকটি কারণ হলো মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রে বাবা-মার অসচেতনতা। তারা যখন মেয়েকে বিয়ে দেন তখন যদি জামাইয়ের চরিত্র ও তার পারিবারিক বন্ধন বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজ-খবর নেন তা হলে বিয়ের পরে এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা কম ঘটত।
একই সঙ্গে নির্যাতনের পর মামলা বা অভিযোগ দিতে গিয়ে পুলিশের কাছে তথ্য দেওয়ার নামে যেন দ্বিতীয় নির্যাতনের শিকার হতে না হয় সে জন্য আহ্বান জানান তিনি।

 

জাহানারা ইমাম নারী ক্লাবের সদস্য দুলহ বেগম বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে নারী-পুরুষ সবাইকেই সচেতন হতে হবে। নারী নির্যাতন যে শুধু পুরুষরাই করেন তা নয়। পরিবারে শাশুড়ি ও ননদসহ বিভিন্ন সম্পর্কের নারীরাও গৃহবধূকে নির্যাতন করে থাকে। তাই পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।

 

খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত আলী বলেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে থানায় আসার পরে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি সহযোগিতা করার জন্য। তবে মামলা করতে এসে যেন কেউ থানার দারোয়ান বা অন্য কোনো নিম্ন পদস্থের সহযোগিতা না চান, সে বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করব। আপনারা সরাসরি ওসি তদন্ত অথবা অপারেশন অফিসারের কক্ষে গিয়ে অভিযোগ দিবেন।

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি নারী নেত্রী রোকেয়া কবীর বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। এই সংঘবদ্ধ নারী প্রতিনিধিরা যদি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেই এই সামজিক ব্যাধি প্রতিরোধ সম্ভব।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

সর্দি-জ্বর দ্রুত দূর করবে যে খাবারটি

 

resize_1410664789

 

অপরাজিতা ডেস্ক: মৌসুমটাই যেন খারাপ চলছে। ঘরে ঘরে লেগে আছে সর্দি-জ্বর-কাশি। ওষুধ খেয়ে জ্বরটা নিয়ন্ত্রণে এলেও শরীরটা যেন ভীষণ দুর্বল। মাথা ঘোরায়, কোন কিছুতে উৎসাহ লাগে না, হতচ্ছাড়া সর্দিটাও যেন সারতে চায় না কিছুতেই। এমন অবস্থায় সেরা পদ্ধতি হচ্ছে ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ হওয়া। এবং এর জন্য খেতে হবে পুষ্টিকর ও সর্দি-জ্বরে উপকারী এমন কিছু খাবার, যা আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলবে আর যোগাবে অসুখের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা। আর তেমনই এই বিশেষ রেসিপি রইলো আজ।

 

সর্দি-জ্বরের ঘরোয়া চিকিৎসায় চিকেন স্যুপ বহু বছর যাবত সেরা পথ্য হিসাবে পরিচিত। তবে বাজারের কেনা কৃত্রিম স্যুপ নয়, হতে হবে যত্ন করে ঘরে তৈরি। দিনে অন্তত একবার এই স্যুপ আপনাকে যোগাবে শক্তি ও পুষ্টি, সাহায্য করবে দ্রুত সুস্থ হতে। আসুন, জেনে নেই রেসিপিটি।

 

ধাপ-১ (উপকরণ ও প্রণালি)

 

বাচ্চা মুরগি ১ টি

পানি ২ লিটার বা ইচ্ছামত
আদা ও রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ করে
আস্ত গোলমরিচ ৮/১০ টি
লবণ

 

-মুরগিকে ছোট টুকরো করে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার হাড় সহ পাটায় ছেঁচে নিন। ছেঁচে হয়ে গেলে সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে অল্প জ্বালে সিদ্ধ হতে বসিয়ে দিন।

 

-প্রয়োজনে আরও পানি দিন। কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা জ্বাল দেবেন। মুরগির সমস্ত পুষ্টি উপাদান আস্তে আস্তে বের হয়ে মিশে যাবে স্যুপে। দুই লিটার পানি শুকিয়ে এক লিটারের কম হলে নামিয়ে ছেঁকে নিন।

 

ধাপ-২ (উপকরণ ও প্রণালি)

প্রথম ধাপে তৈরি করা স্যুপ
স্যুপ ছেঁকে নেয়ার পর পাওয়া মাংস
গাজর টুকরো ১/২ কাপ
কর্ণ ফ্লাওয়ার সামান্য
সয়াসস সামান্য
মাশরুম, বেবি কর্ণ, স্প্রিং অনিয়ন ইত্যাদি যা আপনার ভালো লাগে ১/২ কাপ

-হাড় থেকে মাংস ছাড়িয়ে কুচি করে নিন। এবার ছেঁকে নেয়া স্যুপের মাঝে মাংস দিয়ে চুলায় বসান। গাজর ও অন্যান্য সবজিগুলো দিয়ে দিন।

-স্যুপ ফুটে উঠলে সয়াসস ও কর্ণ ফ্লাওয়ার দিয়ে দিন।
-স্যুপ ঘন হলে পরিবেশন করুন গরম গরম। চাইলে নুডুলস ছেড়ে দিয়ে নুডুলস স্যুপ করে ফেলতে পারেন।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

ঈশ্বরগঞ্জে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল শান্তা

 

ballo_27781_0

 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শান্তা আক্তার।

 

মঙ্গলবার দুপুরে পৌর সদরের দত্তপাড়া গ্রামে গিয়ে এ বাল্যবিবাহ ভেঙে দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যট রাশেদ হোসেন চৌধুরী।

 

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী দত্তপাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে শান্তা আক্তারকে মঙ্গলবার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল পাশের মধুপুর গ্রামের রিপন মিয়ার (৩০) সঙ্গে।

 

শান্তার বান্ধবীরা এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিনকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।

 

পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসেন চৌধুরী ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বর আসার আগেই এ বাল্যবিবাহ ভেঙে দেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) রাশেদ হোসেন চৌধুরী জানান, শান্তার বাবা-মা ১৮ বছরের আগে তার মেয়েকে আর বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পরে স্কুলছাত্রী শান্তাকে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামছুদ্দিনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/এ/সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগমকে চিরবিদায়

 

1_145964

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: অগণিত ভক্ত, অনুরাগী, শুভানুধ্যায়ী ও স্বজনরা অকৃত্রিম ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় চোখের জলে বিদায় জানালেন নজরুলের গানের পাখি কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগমকে। কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগম তার শেষ আশ্রয় খুঁজে নিলেন বনানী কবরস্থানে। 

 

 

বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানুষের ঢল নেমেছিল। ফুলে, শ্রদ্ধায়, স্মরণে শিল্পী ও তার সুরের প্রতি ভক্তদের অনুরাগ ও আবেগ বড় মায়াময় হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা শহীদ মিনারে। শুধু ভক্তরাই নয়, গোটা এলাকাই বেদনাবিধুর হয়ে উঠেছিল নজরুলসঙ্গীত সম্রাজ্ঞীর চলে যাওয়ার ব্যথায়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে বেলা দেড়টায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে।
শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অপেক্ষারত ছিলেন তার ভক্তরা। সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শিল্পীর বাসভবনে যান এবং পরিবারের সদস্যেদের সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করায় সরকারের সমালোচনা করেন।
বেলা দুইটায় শুরু হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ, একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর ও সামরিক সচিব কর্নেল মাহবুব।

 

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। বিএনপির পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ড. মঈন খান, ডা. জাহিদ হোসেন, খায়রুল কবির খোকন, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নায়ক উজ্জ্বল, হেলাল খান ও কণ্ঠশিল্পী মনির খান।

 

বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে লিয়াকত আলী লাকী ও সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষে মফিদুল হক, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক শিরিন আখতার, ছায়ানটের পক্ষ থেকে খায়রুল আনাম শাকিল শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

 

ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সংস্কৃতিসচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, ইমেরিটাস প্রফেসর আনিুসজ্জামান, ইমেরিটাস প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, ব্যারিস্টার রফিক উল হক, হাশেম খান, রামেন্দু মজুমদার, রাশেদা কে চৌধুরী, মনসুর মূসা, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, লাইসা আহমেদ লিসা, ইয়াকুব আলী খান, খালিদ হোসেন, আবদুল জব্বার, সালাউদ্দিন আহমেদ, সুজিত মোস্তফা, আইয়ুব বাচ্চু, আফরোজা বানু, শাহীন সামাদ, পাপিয়া সারোয়ার, খিলখিল কাজী, শহীদুল্লাহ ফরায়জী প্রমুখ।

 

শ্রদ্ধা নিবেদন করে নজরুল ইন্সটিটিউট, নজরুল একাডেমি, নজরুলসঙ্গীত শিল্পী পরিষদ, নজরুলসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, আন্তর্জাতিক নজরুল চর্চা কেন্দ্র, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, সোনারগাঁও জাদুঘর, বিএমএ, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, উদীচী, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, বাসদ, কর্মজীবী নারী, মহিলা পরিষদ, সংস্কৃতি বিকাশ চর্চা কেন্দ্র, নৃত্যশিল্পী সংস্থা, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, গ্রাম থিয়েটার, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, প্রতিধ্বনি, বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বামবা, ঋষিজ, পদাতিক নাট্য সংসদ (টিএসসি), সাংস্কৃতি ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, লেবার পার্টি, লেজার ভিশন, এটিএন বাংলা, আরটিভি, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, গান বাংলা টেলিভিশন, গণফোরাম, বিশ্ব কবিতা পরিষদ, স্রোত আবৃত্তি সংসদ, প্রজন্ম একাত্তর, আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদফতর, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন, ভিন্ন ধারা, প্রকাশ আবৃত্তি সংগঠন, প্রতিসৃষ্টি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় নারী জোট, জাসদ ছাত্রলীগ, রাইজিং বিডি ডট কম, ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, দেশ নাটক, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, আওয়ামী উলামা লীগসহ অসংখ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দল। সেখানে বেলা দুইটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চলে শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব। শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্বে পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানের আজাদ মসজিদে। সেখানে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে স্বামীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয় শিল্পীকে। এর আগে সকাল আটটায় এ্যাপোলো হাসপাতালের হিমাগার থেকে শিল্পীর মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার ইন্দিরা রোডের বাসভবনে। বেলা দেড়টায় সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

 

নীরবতা পালন : বেলা দুইটা থেকে শুরু হওয়া শ্রদ্ধাঞ্জলি বিকাল চারটায় এক মিনিট নীরবতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এর আগে সব শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ। নাগরিক শোকগাঁথা শ্রদ্ধাঞ্জলিতে ফিরোজা বেগমের মরদেহের পাশে সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন হামিন আহমেদ, সাফিন আহমেদসহ পরিবারের সদস্যরা। তার আগে ফিরোজা বেগমের ছেলে হামিন আহমেদ পরিবারের পক্ষ থেকে তার মায়ের প্রতি দেশবাসীর এত ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তার মায়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

 

ফিরোজা বেগমের ভাই আসাফদ্দৌলা বলেন, ‘তিনি চলে যাওয়াতে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বাঙালি জাতির পরম ক্ষতি হল।’ শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘তার গায়কী ও সুন্দর চিন্তাকে লালন করা উচিত।’
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ব্যক্তিদের শোক : দেশের বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রাজনৈতিক ও তথ্য উপদেষ্টা সুজিত ঘোষ পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার এইচই পঙ্কজ শরণ। বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশনার বলেছেন, ফিরোজা বেগম ছিলেন একজন প্রবাদপ্রতিম নজরুলসঙ্গীত শিল্পী। কিংবদন্তি এই শিল্পী শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতেও ছিলেন সবার শ্রদ্ধারপাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এক শোক বার্তায় বলেন, কিংবদন্তি এই শিল্পী মাত্র ১২ বছর বয়সে সঙ্গীত জীবনের সূচনা করেন। তিনি তার সঙ্গীত জীবনে পেয়েছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের দুর্লভ সান্নিধ্য।

 

ফরিদপুরে বিভিন্ন সংগঠনের শোক : ফরিদপুরের কৃতী সন্তান নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। ফরিদপুর নজরুল পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক তার শোকবার্তায় বলেন, শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতে সৃষ্টি হল এক বিরাট শূন্যতা। যা পূরণ হাওয়ার নয়। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ, তমুদ্দন মজলিশ, ফরিদপুর প্রেস ক্লাব, ফরিদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, যুগান্তর স্বজন সমাবেশ, ফরিদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফরিদপুর প্রেস মিডিয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

 

বয়সের ছাপ কি দূরে রাখা যায়

 

Anti-ageing

 

অপরাজিতা ডেস্ক : এমন কথা অনেকবারই শুনে থাকবেন অ্যান্টি এজিং কসমেটিক ব্যবহার করুন ৪০-৫০ বছর বয়সে। কিন্তু এ ধরনের প্রসাধনী প্রায়ই আপনাকে প্রলুব্ধ করে। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনগুলো বলে এগুলো আপনারই জন্য। আসলে কি তাই? এমন সংশয় আর নয়। সব বয়সেই আপনি অ্যান্টি এজিং প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে মূল বিষয় হলো কোনটি কোন বয়সে করা যাবে বা যাবে না তা জানতে হবে। এ ছাড়া আপনার ত্বক কী চায় সেটা হলো প্রধান বিবেচ্য।

 

এটা শুধু বয়স নয়, লাইফস্টাইল, পেশা ও প্রতিদিনের শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে জড়িত। তাই প্রসাধন মূল বিষয় নয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস দিতে পারে উজ্জ্বল ও তারুণ্যদীপ্ত ত্বক। ভুল খাবারে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। প্রচুর মৌসুমী ফল ও শাক সবজি খান, যা ত্বককে কোমল ও নমনীয় রাখে। পর্যাপ্ত পানি ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে, ত্বককে রাখে মসৃণ।

এবার দেখা যাক কোন বয়সে কোন ধরনের অ্যান্টি এজিং সমাধান বেছে নিতে পারেন-

 

যাদের বয়স বিশের ঘরে : তরুণ ত্বকের জন্য নাইট ক্রিম ও সিরাম বেশি হয়ে যায়। যদি ত্বকে কোনো সমস্যা না থাকে, তবে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ একদম অনুচিত। স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য সিরামের ব্যবহার খুবই খারাপ। এটি ত্বককে তৈলাক্ত ও ভঙ্গুর করে তোলে। তবে বিভিন্ন ব্রান্ডের ভালো অ্যান্টি এজিং ক্রিম বাজারে মিলে, যা এ বয়সের তরুণীরা দিনের বেলায় ব্যবহার করতে পারেন। এ বয়সে ত্বকের স্বাস্থ্য সবচেয়ে ভালো থাকে। ত্বকে কোলেজেনের উৎপাদনও বেশি হয়, যা ত্বককে নমনীয় রাখে। তাই দরকার না হলে অ্যান্টি এজিং প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভালো।

 

যাদের বয়স ত্রিশের কোটায় : ত্রিশের শুরুতে চোখ ও ঠোঁটের কোণে কিছু রেখা দেখা যায়। এটা নিয়ে ভয়ের তেমন কিছু নেই। এটা বয়সের চিহ্নের প্রথম লক্ষণ। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন ও খাদ্যাভ্যাস বয়সের এ ছাপ কমাতে পারে। কিন্তু একেবারে মুছে যাবে এমনটা ভাবা ভুল। এ ক্ষেত্রে সিরাম ব্যবহার করতে না চাইলে অ্যান্টি এজিং নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। এতে ত্বক পাবে সঠিক পুষ্টি, হবে স্বাস্থ্যবান।

 

যারা চল্লিশে পড়েছেন : নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কোলেজেনের উৎপাদন ও ত্বকের টানটান ভাব কমে আসছে। ক্রিম ও সিরামের ব্যবহার ছাড়াও আপনি ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজার প্রতিদিন ব্যবহার করুন। মাঝ মাঝে অ্যান্টি এজিং ফেসিয়াল করুন, যা ত্বকে টানটান ভাব ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

 

পঞ্চাশ অথবা তার ঊর্ধ্বে : ত্বকে টানটান ভাব আর নেই। কিন্তু এ বয়সে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সূর্যের ইউভি রশ্মির কারণে তৈরি জটিলতা। যা ত্বকের রং নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া মেনোপজও ত্বকে প্রভাব ফেলে। এ সময় একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত। নিয়মিত ফেসিয়াল ও অন্যান্য চিকিৎসা খানিকটা সাহায্য করতে পারেন।সূত্র ওয়েবসাইট

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

 

প্রতিদিনের খাবারকে করে তুলুন আরও স্বাস্থ্যকর

 

অপরাজিতা ডেস্ক : আমরা যে ধরণের খাবার খেয়ে অভ্যস্ত তা থেকে সরে আসা আমাদের জন্য বেশ কষ্টকর। খাবার খাওয়ার সময় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ব্যাপারটা আমাদের কাছে আসে স্বাদের পরে। ফলে খাবারের মাধ্যমে সুস্থ দেহের আশা অনেকেই ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছে মতো নানা ধরণের খাবার খেয়ে ফেলেন যা দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কিন্তু একটু সতর্ক থাকলে পছন্দের খাবারটিকেও করে তোলা যায় স্বাস্থ্যকর।

১

 

আমরা যাই খেয়ে থাকি না কেন তার মধ্যে সামান্য পরিবর্তন এনে খাবারটিকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারি আমারা নিমেষেই। জানতে চান কিভাবে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।

 

২

 

চা/কফি বা পানীয়তে ১ চামচ কম চিনি নিন

চা/কফি কিংবা শরবত জাতীয় পানীয়তে চিনি ব্যবহার করতেই হয়। এখানেও একটু সাবধানতা আপনার চা।কফি ও শরবত পানের পদ্ধতিকে করে তুলবে স্বাস্থ্যকর। আপনাকে শুধুমাত্র ১ চামচ চিনি কম ব্যবহার করতে হবে। অভ্যাস করুন, দেহ থাকবে সুস্থ।

 

লবণের ব্যবহার কিছুটা কম করুন

চিপস খেতে মন চাচ্ছে? কিংবা স্বাদের জন্য পাতে নিচ্ছেন কিছুটা বাড়তি লবণ? তাহলে এক কাজ করুন এই কাজটি কম করে করুন। লবণের ব্যবহার খাবারে কম করে ফেলুন। লবণ ছাড়া চিপস অথবা পাতে আলাদা করে লবণ নেয়া বাদ দিন। একই খাবার খাবেন কিন্তু খাবারটা হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর।

 

 

শুধুমাত্র ফলের রস পান করুন

ফল খেতে ইচ্ছে না হলে অনেকেই ফলের জুস পান করেন। কিন্তু সমস্যা হলো শুধুমাত্র ফলের রস কেউ পান করতে চান না। স্বাদের জন্য এতে মিশিয়ে নেন চিনি কিংবা মধু। এতে করে দেহে সুগার ও ফ্রুক্টোজের মাত্রা যাচ্ছে বেড়ে। তাই ফলের রসটা খাওয়ার চেষ্টা করুন কোনো ধরণের চিনি বা মধু বাদে। এতে ফলের রসের আসল পুষ্টি পাবেন।

 

৩

 

স্যুপ বা তরকারিতে সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
স্যুপ খেতে ইচ্ছে হচ্ছে? তাহলে এক কাজ করুন অনেক ধরণের এবং অনেক বেশি পরিমাণে স্যুপের জন্য উপকারী সবজি দিয়ে ভেজিটেবল স্যুপ তৈরি করে ফেলুন। মাছ, মাংসের তরকারিতে বুদ্ধি খাটিয়ে সবজি যোগ করে দিন। এতে করে কিছুটা ভিন্ন ভাবেই দেহে পৌঁছে যাবে সবজির পুষ্টিগুন।

 

 

তেলের ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন

বিকেলের নাস্তায় তেলে ভাজা কিছু খেতে ইচ্ছে হচ্ছে? তাহলে এই ইচ্ছেটাকে কিছুটা পরিবর্তন করে বেকড কিছু খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডুবো তেলে ভাজা চিপসের চাইতে বেকড চিপস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। এছাড়াও যে কোনো রান্নায় তেলের পরিমাণটা একটু কমিয়েই দেখুন না। স্বাদ থাকবে এবং সুস্বাস্থ্যও নিশ্চিত হবে।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

 

বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন ন্যান্সি

 

Nanci-top20140911171347

 

অপরাজিতা ডেস্ক : বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন সংগীত শিল্পী ন্যান্সি। সম্প্রতি একটি টিভি অনুষ্ঠানে এসে ন্যান্সি রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা জানান।

 

১০ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা [জাসাস] এর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি’র পদ পেয়েছেন তিনি।

বিএনপি’র রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে  ন্যান্সি জানান- রাজনীতি এবং গান দুটোতেই সক্রিয় থাকতে চান তিনি। এখন বেশ কিছু স্টেজ শো’তে ব্যস্ত আছেন এ শিল্পী। এছাড়া বেশ কিছু সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিচ্ছেন তিনি।

 

 অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

ভাজাভাজির টুকিটাকি

 

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: রান্নার অন্যতম অংশ ভাজাভাজি। প্রতিদিনই এ কাজ করতে হয়। তবে ভাজার কাজটি করতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়েন অনেকেই।

১. সবজি বা মসলা দেয়ার আগে তেল ভালো করে গরম করে নিন, ভাজা ভালো হবে।
২. যদি ভাজতে দেয়ার পর দেখা যায় প্যানে লেগে যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে আরো তেল প্রয়োজন।
৩. ভাজার উপকরণে যদি নারকেল থাকে তাহলে বেশিক্ষণ ধরে না ভাজাই ভালো। এতে নারকেলের অংশ শুষ্ক হয়ে যায়।
৪. আলুর টিক্কা ভাজার আগে দেখে নিন আলু ভালোমতো সেদ্ধ করা ছিল কি না। সবচেয়ে ভালো হয়, ভাজার আগে এগুলো কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। এতে ভাজার সময় টিক্কা ভেঙে যাবে না।
৫. সরিষার তেল দিয়ে রান্না করতে চাইলে আগে তেল ভালোভাবে গরম করে নিন। এতে তেলের গন্ধ চলে যাবে। তেলের রঙ হলদেটে থেকে সাদা হওয়া পর্যন্ত গরম করবেন।
৬. পুরি বা লুচি বানিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। সার্ভ করার আগে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করুন।
৭. পুরিকে মচমচে করতে চাইলে ময়দার সাথে কিছুটা চালের গুঁড়া মেখে নিন।
৮. পাকোড়া তৈরির বেসনের সাথে কিছুটা কর্নফাওয়ার মিশিয়ে নিন। এই বাটার দিয়ে ভাজলে পাকোড়া মচমচে হবে।
৯. ননস্টিক প্যানে ডিম ভাজার সময় প্যানে মাখন কিছুটা বেশি দিন এবং ফেটানো ডিম ঢেলে কাঁটাচামচ দিয়ে কিছুটা নাড়–ন, অমলেট ফুলে উঠবে ও বড় হবে।
১০. প্যানে বা কড়াইয়ে কিছু ভাজার আগে কিছুটা লবণ ছড়িয়ে নিন। তাহলে লেগে যাবে না।
১১. গোশত ভাজার সময় বড় ও ডিপ প্যান নিন। রান্নার সময় তেল ছড়াবে না।
১২. রান্নায় ঘি ব্যবহার করতে চাইলে সাথে তেল দিন, এতে সুগন্ধ বাড়বে। মসলা কষানোর সময় চুলার জ্বাল কমিয়ে দিন। মসলার রঙ ও স্বাদ ভালো হবে। সূত্র : ওয়েবসাইট

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

যে ১৫ ধরণের পুরুষকে আজই বিদায় করবেন জীবন থেকে!

 

sajal

অপরাজিতা ডেস্ক : শিরোনাম পড়ে একটু চমকে যাওয়াই স্বাভাবিক। তবে যতই চমকান না কেন, এই ১৫ ধরণের পুরুষকে চিনে রাখা এবং নিজের জীবন থেকে বিদায় করা আসলেই প্রত্যেক নারীর জন্য জরুরী। পুরুষটি আপনার প্রেমিক হোক কিংবা বিশেষ বন্ধু, এই ১৫ ধরণের পুরুষ থেকে একশ হাত দূরত্ব বজায় রাখবেন অবশ্যই। আর জীবনে থেকে থাকলে আজই বিদায় করবেন।

কেন? সেই “কেন”-টার জবাব পেয়ে যাবেন এই ফিচারটি পড়লেই।

১) সবদিক ভালো, কিন্তু আপনার পিতামাতা নিয়ে কটু মন্তব্য করে
সে হয়তো সবদিক দিয়েই দারুণ ভালো। দেখতে হ্যান্ডসাম, শিক্ষিত, ভালো একটা উপার্জন উৎস আছে, আচরণও ভালো। কিন্তু সে কারণে-অকারণে আপনার মা বাবাকে নিয়ে কটু মন্তব্য করে। এমন কাউকে কি চেনেন আপনি? তাহলে আজই ১০০ হাত দূরত্ব বজায় রাখুন।

২) কেবলই যৌনতার বিষয়ে আলাপ করতে চায়
আপনার বন্ধু হোক বা প্রেমিক, যে মানুষটি শুধুই যৌনতা নিয়ে আলাপ করতে চায় তার থেকে যত দূরে থাকবেন, তত নিরাপদ আপনি। প্রেমের সম্পর্কে যৌনতার প্রসঙ্গ থাকবেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সারাক্ষণ থাকবে বা শুধু সেই ব্যাপারেই আগ্রহ দেখাতে হবে।

৩) যে আপনাকে অকারণে হাসাতে পারে না
লক্ষ্য করে দেখুন তো, মানুষটা কি আপনাকে হাসাতে পারে? যদি তার সংস্পর্শে থাকলে আপনি হাসতেই না পারেন, তাহলে তাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ চিন্তা করবেন না কখনো। জীবনটা রাম গরুরের ছানা হয়ে কাটাতে হবে!

৪) যার কথা চিন্তা করে আপনার মন ভালো হয়ে যায় না
আপনার বিশেষ বন্ধু হোক কিংবা প্রেমিক, তার কথা চিন্তা করলেই কি আপনার ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠে এক টুকরো হাসি? যদি তা না হয় তাহলে তার সাথে সম্পর্ক করার ভাবনা আজই ত্যাগ করুন।

৫) সে বেশ হ্যান্ডসাম, কিন্তু বিয়ে করার জন্য যোগ্য নয়
শুধু দেখতে ভালো হওয়াটাই স্বামী হবার জন্য যথেষ্ট নয়। অনেক মেয়েই কেবল রূপ দেখে ছেলেদের প্রেমে পড়ে যান, যা চরম ভুল। একজন যোগ্য স্বামী হবার জন্য ভালো মানুষ, ধৈর্যশীল এবং যত্নশীল হওয়া সবার আগে প্রয়োজন।

৬) যার সাথে কথা বলার বিষয় পান না
কিছুক্ষণ কথা বলার পর আর বলার মত কোন বিষয় খুঁজে পান না? কিংবা কথোপকথন চালিয়ে যেতে কষ্ট হয়? নাকি আপনি একলাই বলেন আর সে হু হ্যাঁ করে? এমন মানুষ আপনাকে বিরক্ত করে ফেলবে জীবনের পথে। তাই দূরে থাকুন।

৭) আপনার বন্ধুদের সাথে সহজ নয়
এই মানুষটি আগে আসেনি জীবনে, আগে বন্ধুরাই এসেছে। আর প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর মানে এই নয় যে বন্ধুদের ভুলে যেতে হবে। যে আপনার বন্ধুদের পছন্দ করে না, সে একসময় তাঁদেরকে নিয়ে সন্দেহ করে করে জীবন ঝালাপালা করে দেবে।

৮) যে আপনার পরোয়া করে না
যে আপনাকে যত্ন করতে পারে না তার সাথে সম্পর্ক রাখা মানে যেচে গিয়ে অবহেলিত হওয়া।

৯) স্বার্থপর
স্বার্থপর একজন মানুষ কোন সম্পর্কেই ভালো নয়, বিশেষ সম্পর্কে কীভাবে হবেন?

১০) যে আপনাকে ভালোবেসে ছোটখাট উপহার দেয় না
উপহার দামী মানেই কি ভালোবাসা? বরং ছোট্ট উপহারে জড়িয়ে থাকে অনেকখানি আদর। একটা ফুল, একটা কাজল, এক পাতা টিপ কিংবা একটি বই কিংবা গানের মত ছোট্ট উপহার যিনি দিতে জানেন না; তিনি আসলে আপনাকে নিয়ে ভাবেনই না।

১১) যে আপনাকে সম্মান করে না
ভালোবাসা অনেক পরে, আগে তো সম্মান চাই। সম্মান যে কোন সম্পর্কের ভিত্তি।

১২) যে আপনার নীরব অভিমান বোঝে না
অভিমান করে গাল ফুলিয়েছেন, সে সেটা না বুঝে পাল্টা ঝগড়া শুরু করে দিলেন। এমন মানুষের সাথে জীবনটা ঝগড়া করেই কাটবে।

১৩) আপনার কথা কখনো না শুনে নিজেই বলে যায়
আপনার ব্যাপারে জানতে চায় না, আপনার কথা শোনে না। তার জগত জুড়ে শুধু “আমি আমি আমি”। আপনার বিশেষ পুরুষটি কি এমন? আজই ত্যাগ করুন।

১৪) যাকে বিশ্বাস করতে পারেন না মন থেকে
বিশ্বাস না থাকলে সম্পর্কের প্রশ্নই ওঠে না!

১৫) আপনার ভাইবোনদের যার ভালো লাগে না
প্রেম করবেন নিশ্চয়ই বিয়ে করার জন্য? আর বিয়ের পর আপনার ভাইবোনদের মানুষটা অপছন্দ করলে ভালো লাগবে আপনার? একদমই তো না। যে এখন পছন্দ করছেন না, তিনি বিয়ের পর আরও অপছন্দ করবেন। সূত্র: ওয়েবসাইট

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ই.

 

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া মেটাতে করণীয়

 

husband

অপরাজিতা ডেস্ক : সংসার মানেই হাসি-কান্না ও সুখ-দুঃখের সম্মিলন। সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর দাম্পত্য সম্পর্কের পাশাপাশি মনোমালিন্য হওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু এই মনোমালিন্য যদি হয় নিয়মিত তাহলে তা মোটেও সুখকর নয়।
খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন রাগ দীর্ঘস্থায়ী না হয়। মনোমালিন্য খুবই খারাপ সমস্যা, যা সুন্দর সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে। তবে কিছু কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সচেতন স্বামীরা সহজেই স্ত্রীর রাগ সামলে নিতে পারেন।
নিচে তেমন কিছু বিষয় জানান হলো-
স্ত্রী কিসে খুশি হয় সেটি খুঁজে বের করুন : প্রতিটি নারীর কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। কিছু কিছু সাধারণ বিষয় থাকে, যাতে স্ত্রীরা খুব অল্পতে পটে যায়। তার একটি তালিকা তৈরি করুন। নিয়মিত তা চর্চার চেষ্টা করুন।
প্রতিজ্ঞা রক্ষার চেষ্টা করুন : স্ত্রীর কাছে কোনো প্রতিজ্ঞা করলে বা প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করার চেষ্টা করুন। ভুলবশত তার রাগের কারণে বড় কোনো অঙ্গীকার করা ঠিক না। যদি কখনও কোনো অঙ্গীকার ভঙ্গ করেই থাকেন তবে তা না লুকিয়ে বরং তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করুন।
রাগের সময় যুক্তি দিতে যাবেন না : যখন আপনার স্ত্রী প্রচণ্ড রেগে যান, তখন কোনো কথা সে শুনতে পছন্দ করবে না। তাই কথা না বলে শুধু তার দিকেই দৃষ্টি রাখুন। এমন কিছু করবেন না যাতে সে আরও রেগে যায়। আবার তার রাগকে তাচ্ছিল্যও করবেন না। রেগে গেলে তর্ক করবেন না বা পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করবেন না বরং আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন অনেক সময় রাগান্বিত অবস্থায় কোনো যুক্তি উপস্থাপন করলে তা আরও রাগের হয়ে দাঁড়ায়। স্ত্রীর পাশে বসুন, স্ত্রী শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাগের বিষয় জানতে চাইবেন না। রাগের কারণ জানার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না আপনার স্ত্রী শান্ত বা প্রাণবন্ত না হয়।
একমত হন, প্রয়োজনে আত্মসমর্পন করুন : আপনি আপনার স্ত্রীর মতের সঙ্গে একমত নন। কিন্তু শান্ত করার জন্য একমতের ভান করতে পারেন। জানান তার কথার সঙ্গে আপনি একমত। হতে পারে তা আপনার মাথা নাড়ানোর মাধ্যমে, মাঝে মাঝে বশ্যতা প্রকাশ করুন।
আঘাত করবেন না : অনেক সময় স্ত্রী আবেগ প্রকাশের জন্যও রাগ দেখায়। বিশ্বজুড়ে এটি স্ত্রীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তার রাগের কারণ হতে পারে আপনার আচরণ, চাকরি কিংবা খোঁচা মেরে কথা বলা। আবার এও হতে পারে, সে যা বলে তা সম্পর্কে নিজেও অবহিত নন। এ সময় তাকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। পরবর্তী সময়ে দুজনে বিষয়টি নিয়ে বসুন, নতুন করে আলাপ করুন।
মনে রাখবেন, ভুলেও স্ত্রীর গায়ে হাত তুলবেন না। এটি কাপুরুষতার অন্যতম লক্ষণ।
খোঁচা নয় পরামর্শ দরকার : অনেক কারণেই আপনার স্ত্রীর মনে রাগ ক্ষোভ-জমে থাকতে পারে। হতে পারে এটি আপনার বাবা-মায়ের কারণেও। তাই হঠাৎ আপনার সঙ্গে কঠিন করে কথা বললে তার প্রতিউত্তর না দেওয়ারই চেষ্টা করবেন। তাকে তার অতীত, পাবিারিক অবস্থা, স্বভাব নিয়ে খোঁচা দিবেন না বরং কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় বা সে নিজেকে শুধরে নিতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দিন।
মনে রাখবেন, অধিকাংশ নারী রেগে গেলে তা মুখে প্রকাশ করে। এটি হরমোনের কারণে হয়ে থাকে। রাগের সময় তাকে শান্ত হতে সাহায্য করুন, যা সবার জন্য ভাল। দেখবেন তিনি বলছেন, ঝগড়ার দৃশ্য তাকেও বিরক্ত ও হতাশ করে। সূত্র: ওয়েবসাইট

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ই.

 

রেসিপি: নারিকেল দুধে হাঁসের মাংস

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: আপনি কি ভোজন রসিক? রান্না করতে ভালবাসেন? যারা নতুন নতুন রান্না শিখতে এবং শেখাতে ভালবাসেন তাদের জন্য নতুন ও মজাদার রেসিপি’র মধ্যে নারিকেল দুধে হাঁসের মাংস অন্যতম।

 

resize_1409579135

 

উপকরণ
হাঁস ২টি, নারিকেল বাটা ২ কাপ, আদা বাটা ২ চা চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়ো ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পোস্ত বাটা আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, তেল আধা কাপ, তেজপাতা ৩টি, লবণ ১ চা চামচ, হলুদগুঁড়ো আধা চা চামচ, চিনি আধা চা চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ।

 

 

যেভাবে তৈরি করবেন

১. মাংস মাঝারি ধরনের টুকরো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে লবণ ও মরিচ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন।
২. তেল গরম হলে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তেজপাতা ও সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষান।
৩. নারিকেল বেটে গরম পানিতে দুধ করে নিন। মাংসের পানি শুকিয়ে তেল ওপরে উঠলে নারিকেল দুধ দিন।
৪. ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। মাংস সিদ্ধ হয়ে ঝোলমাখা হলে জিরাগুঁড়ো ও ঘি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

সমুদ্র জয়ের স্বপ্নযাত্রায় ১৩ মেরিন ক্যাডেট

 

5_141944

 

 

সীমাহীন সমুদ্রে ভেলার মতো ভাসতে পারি : উম্মে সালমা

‘ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল আকাশে পাখির মতো ডানা মেলে ওড়ার, যেখানে থাকবে না কোনো বাধা, উড়ে উড়ে দেখব পৃথিবীর নানা দৃশ্য আর সৌন্দর্য। আকাশে ওড়ার সেই স্বপ্নটি পূরণ করতে না পারলেও এখন সীমাহীন সমুদ্রে ভেলার মতো ভেসে বেড়াতে পারি আমি। পৃথিবীর বিস্তৃত এ অংশটিই আমার কাছে এখন সবচেয়ে আপন’। বললেন বাংলাদেশে মেরিন একাডেমি থেকে প্রথমবারের মতো পাস করে বের হওয়া ১৩ জন নারী ক্যাডেটের একজন উম্মে সালমা।

 

নোয়াখালীর সেনবাগে সালমার গ্রামের বাড়ি, তবে বাবার কর্মস্থলের কারণে চট্টগ্রাম শহরেই তার বেড়ে ওঠা। সালমা ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমা মেজ। বাবা-মাকে না জানিয়ে টিউশনির টাকা জমিয়ে সেই টাকায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ফরম কেনেন। পূরণ করে জমাও দেন। ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগও পেয়ে যান।

 

এ প্রসঙ্গে উম্মে সালমা বলেন, ঘটনাটি আমার বাবা-মা জানলে আর দ্বিমত করেননি। আমার মেরিন একাডেমিতে পড়ার আগ্রহ দেখে তারা উৎসাহ দেন। যদিও তাদের ইচ্ছা ছিল আমাকে সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়াবেন। আমার বাবা একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। আমার দাদাও একটি বিদেশী শিপিং কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। দাদা এবং বাবার সীমাহীন সাগরের বিভিন্ন রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসিক গল্প শুনে আমারও মনের মণিকোঠায় ঠাঁই নিয়েছিল সাগর পাড়ি দেয়ার ইচ্ছা। প্রথমদিকে একটু ভয় পেতাম, কিভাবে সাগরে কাজ করব। বিষয়টিকে মানুষ কিভাবে দেখবে। তারপরও সিদ্ধান্ত নেই একজন নারী সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ বাহিনীতে তার সাহসিকতার পরিচয় দিলে আমি কেন মেরিন অফিসার হিসেবে কাজ করতে পারব না। সব সংশয় দূরে ঠেলে নির্ভীক চিত্তে ২০১২ সালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হই। প্রথম ব্যাচে আমরা মোট ১৬ জন মেয়ে ভর্তি হই। এরপর অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরীক্ষায় ৩ জন অকৃতকার্য হলে আমরা মোট ১৩ জন নারী ক্যাডেট শেষ পর্যন্ত টিকে থাকি। সফলভাবে মেরিন ক্যাডেট হিসেবে পাস করে বের হই। এরপর অনেকের মনের মধ্যে হতাশা ও ভয় কাজ করতে থাকে। যেহেতু এ পেশায় আগে কোনো নারী ছিল না। তার পরও মনের মধ্যে একটি সাহস কাজ করে, পারতেই হবে আমাদের।

 

বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হলাম : ফাহিমা আশরাফ
ক্যাডেট ফাহিমা আশরাফ জানান, এখন আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আমরা নারী ক্যাডেটরা বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম। তারপরও আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করা। নারী নাবিকদের নিয়ে যেসব আশংকার কথা বলা হচ্ছে, আশা করি ধীরে ধীরে সেসব ধারণা মিথ্যে প্রমাণিত হবে। আমরা সমুদ্র জয় করতে চাই, দেশের স্বাধীনতা ও সমুদ্রসীমা অক্ষুণ্ন রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এখন আর আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয় কাজ করে না। দেশের অন্য মেয়েদের অনুরোধ করব, তারাও যেন এগিয়ে আসে এ দুঃসাহসিক অভিযাত্রায়। তাহলেই এগিয়ে যাবে নারী। এগিয়ে যাবে দেশ।

 

প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়াত ভালো লাগছে : লাভলী দাশ
লাভলী দাশ বলেন, নারী ক্যাডেটদের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়াতে অনেক ভালো লাগছে। কেননা আমাদের ব্যাচের কথা মানুষ অনেকদিন মনে রাখবে। আমরা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম।
তিনি আরও বলেন, ভারত নারীদের এই পেশায় উৎসাহিত করতে প্রশিক্ষণ ফি ৫০ ভাগ কমিয়েছে আর বয়স দুই বছর শিথিল করেছে। ফলে ভারতে নারী ক্যাডেটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশের নারী ক্যাডেটরাও যাতে এ পেশায় বেশি আসতে পারেন সরকারের সে ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

 

বিশেষজ্ঞরা যা বললেন

 

ইউসুফ হোসেন
চিফ ইঞ্জিনিয়ার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন
নারী ক্যাডেটরা চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকলেও এটি দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে । প্রথমবারের মতো ১৩ বাংলাদেশী নারী নাবিক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বিভিন্ন জাহাজে। বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন যুগের উন্মোচন। অবশ্য তাদের নিয়োগ চূড়ান্ত হতে আর এক বছর সময় লাগবে। এখন ক্যাডেট হিসেবে শিপিং কর্পোরেশনে যোগ দিয়ে তারা এক বছরের প্রশিক্ষণ নেবেন। তারপর বিভিন্ন জাহাজে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। মেরিন একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে ১৩ জন নারী মেরিন ক্যাডেট জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। তাদের আবেদন বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের প্রতিটি জাহাজে দু’জন করে নারী মেরিন অফিসার নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এটি হলেই বাণিজ্যিক জাহাজে নারীদের মেরিন অফিসারের চাকরি বাংলাদেশে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করবে।

 

কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসাইন
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ২০১২ সালে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে প্রথম নারী ক্যাডেটদের নিয়ে প্রথম ব্যাচ শুরু করি। তখন একাডেমিতে থাকার পরিবেশ ও একোমোডেশনসহ নানাবিধ সমস্যা ছিল। তারপরও আমরা তাদের পুরুষ ক্যাডেটদের সমকক্ষ করে ট্রেন্ডআপ করতে পেরেছি। বিশ্বে ২০টি দেশের আড়াই হাজার নারী এ পেশায় কর্মরত আছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ১৯৯৯ সালে নারীরা জাহাজে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে সেখানে প্রধান প্রকৌশলী ও ক্যাপ্টেন পদেও কাজ করছেন নারী মেরিন কর্মকর্তারা।

সিংড়ায় মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

timthumb

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নাটোর: জেলার সিংড়া উপজেলায় মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার দমদমা পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে লেখাপড়ার মানোন্নয়ন ও পরীক্ষার ফলাফল ভাল করার লক্ষ্যে ভোকেশনাল শাখার ৯ম ও ২০১৫ সালের এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ‘মা’ দের নিয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রতি দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক আফসারুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক শফিকুল ইসলাম।

এসময় উন্মুক্ত বক্তব্যে অভিভাবকদের মধ্যে নিলুফা ইয়াসমিন ও শাহিদা আরজু শিক্ষকদের সৃজনশীল বিষয়গুলো অধিক গুরুত্বের সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে এবং ভালো ও দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের বাছাই করে দূর্বলদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেন। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, শিক্ষক শ্রী রতন কুমার সরকার।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/এ/০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

বিকেলের নাস্তায় চটজলদি মিনি স্পিনাচ অন্থুন

 

nnn

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : বাচ্চারা তো শাকসবজি মোটেই খেতে চায় না, এমনকি অনেক বড় মানুষও শাকসবজি দেখলে চোখমুখ কুঁচকে ফেলেন। বিস্বাদ এই শাকসবজিকে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে জুড়ি নেই শৌখিন রাঁধুনি সায়মা সুলতানার। আজ তিনি নিয়ে এসেছেন মিনি অন্থুন রেসিপি। এক কাপ চা কিংবা কফির সাথে দারুণ জমবে স্ন্যাক্স হিসাবে। ডায়েট করতে চাইলে ডিপ ফ্রাই না করে কেবল সিদ্ধ করেও খেতে পারেন সসের সাথে।

ধাপ-১ (উপকরণ ও প্রণালি)
পালং শাক ২ কাপ, সিদ্ধ আলু হাফ কাপ রশুন কুচি ৩ চা চামচ, অল্প তেল লবণ- স্বাদ মত

 

_n

 

-প্রথমে প্যানে তেল দিয়ে রশুন কুচি দিন। হাল্কা লাল হলে পালং শাক ২ কাপ দিয়ে দিন। সাথে সিদ্ধ আলু হাফ কাপ। লবণ স্বাদ মত দিয়ে রান্না করুন। ভর্তার মত নরম করে রান্না করবেন।
ধাপ-২ (উপকরণ ও প্রণালি)
ময়দা ১ কাপ
গোলমরিচ গুঁড়ো হাফ চা চামচ
এরারুট ৪ চা চামচ,
১ টা ডিম
অল্প পানি
লবণ স্বাদ মত

-একটা বাটিতে নিয়ে খামির বানিয়ে নিন।
-ছোট রুটি বানিয়ে ভেতরে পালং শাক এর পুর দিন। অন্থুনের শেপ দিন কিংবা আপনার পছন্দমত যে কোন শেপ। সমুচা আকৃতিও করতে পারেন।
-গরম ডুবো তেলে ভেজে যে কোনো সস-এর সাথে পরিবেশন করুন। ভাজতে না চাইলে ফুটন্ত পানিতে ছেড়ে দিন। ভেসে উঠলে বুঝবেন সিদ্ধ হয়ে গেছে। ব্যাস, তৈরি স্টিমড অন্থুন।

 

 

সবজি রাজ্যের ছালেহা

আবু আক্তার করন, মেহেরপুর : অবহেলিত নারীর জীবন সংগ্রামের দৃষ্টান্ত হতে পারেন জেলার সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবিল গ্রামের ছালেহা বেগম। স্বামীর অবহেলাকে তোয়াক্কা না করে উঠানের পাশে জমিতে গড়ে তুলেছেন রকমারি সবজির বাগান। এলাকাবাসী বাগানটির নাম দিয়েছে ছালেহা বেগমের জীবন্ত সবজি বাজার।

 

Shofolota-01

 

সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবিল গ্রামের ছালেহা বেগমের বিবাহিত জীবনের প্রথমদিকটা খারাপ ছিল না। কিন্তু ১০ বছর আগে স্বামী লিয়াকত আলী অন্যত্র বিয়ে করে বিদেশ চলে যান। এরপর ঠাঁই হয় বাবার বাড়িতে। বাবা ও ভাইদের কাছ থেকে পান একটি ছোট বাড়ি ও বাড়ি সংলগ্ন এক টুকরো জমি। ওই টুকরো জমিতে গড়ে তোলেন বিভিন্ন সবজিসহ ফলের বাগান। সবজি বিক্রি করে মাসে ৫-৬ হাজার টাকা আয় হয়। ফল বিক্রি করে বছরে আরও ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় হয়। নিজের খরচ বাদে ওই টাকা দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নাতনী তামান্নাকে সহায়তা করে আসছেন। এ সফলতা দেখে স্বামী তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানান।

 

Shofolota-02

 

ছালেহা খাতুন বলেন, স্বামী আমাকে ফেলে বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকে বাবার বাড়িতে এসে পৌনে দুই বিঘা জমির উপরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করি। এখন এ সবজি চাষ থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে আমি চলি এবং তামান্নাকে সহযোগিতা করি। তিনি আরও বলেন, আমার বাগানের সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাহিদা। যার কারণে আমাকে সবজি বিক্রি করতে বাজারে যাওয়া লাগে না। বাড়ি থেকেই বিক্রি হয়ে যায়।

 

Shofolota-03

 

সবজি কিনতে আসা রেখা খাতুন জানান, আমরা এখান থেকে প্রতিদিন সবজি কিনে নিয়ে যাই। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকলেও আমাদের সমস্যা হয় না। বাড়িতে কোনো মেহমান আসলে তাৎক্ষণিক নিজ হাতে সবজি তুলে নিয়ে যাই। এ ছাড়া সবজিতে কোনো প্রকার বিষ দেওয়া থাকে না, এ কারণে আমরা বিষমুক্ত সবজি খেতে পারি। আরেক প্রতিবেশী শেফালী খাতুন জানান, সালেহার সবজি বাজারটা হওয়ায় এলাকার অনেকের উপকার হয়েছে। আমাদের যখন মন চায় আমরা ইচ্ছামতো সবজি এখান থেকে কিনে নিতে পারি। আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় যদি এ ধরনের জমি থাকত তাহলে আমিও সবজির আবাদ করতাম। এখন গ্রামের অনেক গৃহবধূ বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ শুরু করেছেন।

 

Shofolota-03

 

ছালেহা খাতুনের নাতনী শাহেনা আক্তার তামান্না মোবাইলে জানান, নানী প্রতি মাসে লেখাপড়ার খরচ বাবদ আড়াই হাজার টাকা দেন। তিনি জীবনে অনেক কষ্ট করেছেন, এখন অনেক ভালো আছেন।

 

Shofolota-02

 

ছালেহার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কৃষি বিভাগ। সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, আমরা কৃষি বিভাগ সালেহা বেগমের সবজি চাষে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছি। আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের চাঁদবিল গ্রামের সালেহা বেগম নিজ উদ্যোগে তার বসত বাড়ির আঙ্গিনাসহ আশপাশে সবজি চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটি নজিরবিহীন। আমার ইউনিয়নসহ সারা জেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে যদি একজন করে সালেহা বেগম থাকেন, তাহলে আমাদের দেশের খাদ্য ঘাটতিসহ পুষ্টিহীনতা দূর হবে।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/৪ সেপ্টম্বর ২০১৪ই.

কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৮ ছাত্রী অসুস্থ

 

 

জেলা প্রতিনিধি

অপরাজিতাবিডি ডটকম
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নওদাপাড়া চৌদুয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বেত্রাঘাতে ওই বিদ্যালয়ের ৮ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

 

রোববার সকালে বিদ্যালয়ের কোচিংয়ে না আসায় প্রধান শিক্ষক এনামুল হক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হোসনেয়ারা খাতুন (১৪), আঁখি খাতুন (১৪), বৃষ্টি (১৪), ইসমত আরা (১৪), বন্যা (১৪), লাবনী (১৪), মারুফা (১৪) ও দশম শ্রেণির ছাত্রী রেশমা খাতুনকে (১৬) বেত্রাঘাত করেন।

 

এতে ওই ৮ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিভাবকরা সংবাদ পেয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে হোসনেয়ারা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসা হয়।

 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক থেকে প্রধান শিক্ষকের সাঙ্গ-পাঙ্গরা তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে অবস্থিত সাদালী ডায়াগনস্টিকে ভর্তি করে।

 

সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান অসুস্থ ছাত্রীকে দেখতে সাদালী ডায়াগনস্টিকে উপস্থিত হলে ডায়াগনস্টিকের মালিক নাজমুল পিছনের দরজা দিয়ে ওই ছাত্রীকে বের করে দেয়।

 

এ ব্যাপারে হোসনেয়ারা খাতুন জানান, কোচিংয়ে আসতে বিলম্ব হওয়ায় প্রধান শিক্ষক এনামুল হক আমাদেরকে বেত্রাঘাত করেন।

 

হোসনেয়ারার বাবা মারফত আলী জানান, প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বেত্রাঘাতে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে তিনি জানান।

 

এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ধর্ষিতাকে বিয়ে করল ধর্ষক

 

গাজী হানিফ
অপরাজিতাবিডি ডটকম

marage

বর মো. আলমগীর মুন্সি ও কনে

 

 

নরসিংদী : প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবশেষে ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হলেন ধর্ষক মো. আলমগীর মুন্সি।

 

সোমবার নরসিংদীর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হলফ নামার মাধ্যমে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় বর, কনে, তাদের নিযুক্ত আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম কামাল, নোটারী পাবলিক নরসিংদীর আইনজীবি এ.কে.এম রিয়াজুল করিমসহ উভয় পক্ষের লোকজন এবং সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

 

নরসিংদী সদর উপজেলার কোতালিরচর গ্রামের মৃত হাছেন আলীর মেয়েকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করত একই গ্রামের তমুজ উদ্দিনের ছেলে মো. আলমগীর মুন্সি (৪২)। ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েও যখন মেয়েটিকে বাগে আনতে পারেনি, তখন সে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।

 

মেয়েটিকে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নরসিংদী শহরের বন বিভাগের পাশে তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আলমগীর। এরপর প্রায় ছয় মাস কেটে যাওয়ার পর মেয়েটি আলমগীরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। তবে নানা তালবাহানা করতে থাকে আলমগীর। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

 

এলাকাবাসী এবং পুলিশের সহযোগীতা কামনা করেও ব্যর্থ হয় ওই মেয়ে। অবশেষে বাধ্য হয়ে মেয়েটি প্রধান মন্ত্রীর নজরে আনার জন্য একাকি ছুটে যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে গত ৮ আগস্ট বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে সক্ষম হয়।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আশু সমাধানের লক্ষ্যে তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পি এস-২ সাইফুজ্জামান শেখর নরসিংদীর পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানান।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোশারেফ হোসেন মেয়েটির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আলমগীর মুন্সিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০১০(সংশোধনী/০৩)এর ৯(১) ধারা মোতাবেক গত ১১ আগস্ট মামলা নং ৩২ দায়ের করেন।

 

মামলার সাথে সাথে ঐদিনই আলমগীর মুন্সিকে মাধবদী বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করে। পরদিন ১২ আগস্ট মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ বর্ণিত আসামির কার্যকলাপের তথ্য সংগ্রহ করার নিমিত্তে তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করাহয়। সেখানে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত তার অসুস্থতার কারণ বিবেচনা করে জেল গেটে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

 

এদিকে জেল-হাজতে থাকা আলমগীর তার ভুল বুঝতে পেরে লোক মারফত ওই মেয়েকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এরপর গত ২৮ আগস্ট মেয়েটি জেল গেটে গিয়ে আলমগীরের সঙ্গে দেখা করে। সেখানে তারা বিয়ের ব্যাপারে একমত পোষণ করে।

 

এরপর আলমগীরের জামিনের জন্য আদালতের শরনাপন্ন হয় মেয়েটি। সেখানে বিষয়টি আপোষে মিমাংসা করা হয়েছে মর্মে আবেদন জানালে আদালত গত ৩১ আগস্ট আলমগীরকে জামিন দেয়।

 

অতঃপর সোমবার উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

হার না মানা অদম্য মেধাবীরা

 

মো: শহীদুল হক সরকার

অপরাজিতাবিডি ডটকম 

65233_nari-1

 

 

শুধু অর্থই রুমার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে:

রুমা খাতুন। নাটোর সদরের কাফুরিয়া এলাকার জোলারপাড়া গ্রামের মো: আলাউদ্দিন ও মোছা: জাহানারা বেগমের বড় মেয়ে। রুমা এবারের এইচএসসি পরীায় স্থানীয় কাফুরিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে রুমা স্থানীয় কাফুরিয়া হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। রুমার যখন দুই বছর বয়স তখন তার বাবা তাদের দুই বোন ও তার মাকে ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে দেশ ছাড়ে। এ পর্যন্ত সে রুমা ও রুনার কোনো খোঁজখবর নেয়নি। তাদেরকে কোনো দিন দেখতেও আসেনি। রুমার ছোটবোন রুনা এবার এসএসসিতে মানবিক বিভাগে জিটিএ ৫ পেয়েছে। রুমার মা জাহানারা বেগমের অরজ্ঞান নেই। হয়নি স্কুলে যাওয়ার সুযোগ। তার পরও দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচ, পোশাক, খাতা-কলম কেনার টাকা জোগাতে মা এখনো দিনের পর দিন অন্যের বাড়িতে সামান্য বেতনে ঝিয়ের কাজ করে। মেধাবী দুই মেয়ে কান্ত মাকে একটু শান্তি দিতে এখনো অন্যের বাড়ি গিয়ে মায়ের বদলে ঝিয়ের কাজ করে দেয়। রুমা আর রুনা জানায়, অনেকেই বিষয়টি ভালোভাবে নেয় না। কিন্তু এই কাজের জন্য তাদের মা যেটুকু বিশ্্রাম পায়, সেটাই তাদের জন্য এখন বড় সান্ত্বনা। মা, মামা ও স্কুল-কলেজের শিক ছাড়াও স্থানীয় প্রাইভেট শিক আব্দুস সাত্তারের সহযোগিতা দুই বোনকে এতটা পথ আনলেও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এরা হতাশাগ্রস্ত। রুমা এখন দেশের প্রতিষ্ঠিত একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়তে চায়। শুধু অর্থই এই স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে সে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে
সুবর্ণা খাতুন। সুবর্ণা। এসএসসির পর এবার এইচএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী শিবপুর গুচ্ছগ্রামের সুবর্ণা খাতুনকে দারিদ্র্য এবারো দমাতে পারেনি। কেরোসিন কেনার সামর্থ্য না থাকায় দিনের আলোয় লেখাপড়া করে ২০১২ সালে এসএসসিতে সে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। আধপেটা খেয়ে না খেয়ে চলে তাদের সংসার। এসএসসি পাস করার পর সুবর্ণার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সুবর্ণার মনের ভেতরে চেপে রাখা উচ্চশিার স্বপ্ন যখন ধূলিসাৎ হওয়ার পথে তখন ২০১২ সালের ১২ জুন নয়া দিগন্তে তার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনে তাদের পরিবারের করুণ কাহিনীসহ উচ্চশিার জন্য সুবর্ণার আকুতি ছিল। এইচএসসিতে সুবর্ণা ভর্তি হয় নাটোরের রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজে। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সে আবারো যুদ্ধ শুরু করে। ছাত্রীনিবাসে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যায় সে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বাবা কালাম এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেননি। অন্যের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে মা সারোয়ারা খাতুনের আনা অর্থেই চলে তাদের সংসার। খরচের জন্য মায়ের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে সুবর্ণাদের পুরো পরিবারকে। দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করে এবারো সে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করেছে। গত দুই বছর যারা তাকে সহায়তা করেছেন তাদের প্রতি সে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। সুবর্ণা জানায়, কলেজের ইংরেজি শিক খালিদ হোসেন তাকে বিনা পয়সায় পড়িয়েছেন। মানবিক বিভাগের ছাত্রী সুবর্ণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স করতে চায়। তার সেই স্বপ্ন পূরণে আবারো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্র্য। তাই সে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছে। সুবর্ণাদের প্রতিবেশী ও ছাতনী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক আবদুল আলীম জানান, এইচএসসিতে সুবর্ণার ঈর্ষান্বিত ফলাফলে এলাকার মানুষ মহাখুশি। সবার সহায়তা পেলে দরিদ্র পরিবারের এই মেয়ে উচ্চশিায় শিতি হয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনবে বলে তারা মনে করেন। তিনি অদম্য মেধাবী সুবর্ণা যাতে দমে না যায়, সে জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 

মেয়েটার লেখাপড়ার আগ্রহ দেখে রাস্তায় রাস্তায় মাটি কেটে খরচ দিতাম
লাভলী খাতুন। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চকপাড়া গ্রামের হাবিল মণ্ডলের মেয়ে। লাভলী খাতুন দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বড়াইগ্রাম মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে। লাভলীর বাবা ভ্যান চালাতেন। বছর তিনেক আগে কোমরে ব্যথা পাওয়ায় তিনি এখন প্রায় শয্যাগত। সংসার খরচ আর মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে মা জরিনা বেগম গ্রামীণ কাঁচা রাস্তায় মাটি কাটার কাজ করতেন। কোমরের হাড় য় আর কিডনিতে পাথর হওয়ায় তাকে কাজ থেকে বাদ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। স্ত্রী ও নিজের চিকিৎসা আর সংসারের ব্যয় মেটাতে পৈতৃক নিবাস একই এলাকার মামুদপুর গ্রামের মাত্র দুই শতক জমির বাড়ির ভিটাটি বিক্রি করে দেন হাবিল মণ্ডল। তারপর থেকে চকপাড়া গ্রামে শ্বশুরের বাড়িতে একটি ঘর তুলে কোনো রকমে ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেঁচে আছেন। দারিদ্র্য যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে তাদের। কখনো এক বেলা খাবার জুটলে আরেক বেলা জোটে না। ক্ষুধার্ত অসুস্থ বাবা-মায়ের মুখের মলিন চাহনি তার লেখাপড়ার একমাত্র অনুপ্রেরণা। বড় হয়ে সে বিসিএস ক্যাডার হতে চায়। কিন্তু এত অভাবের মধ্যে তার কলেজের ভর্তির খরচই তাদের নেই। তাই কিভাবে মেয়েকে লেখাপড়া করাবেন, এ দুশ্চিন্তার কাছে ভালো ফলাফলের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। তার মা জরিনা বেগম আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘মেয়েটার লেখাপড়ার আগ্রহ দেখে রাস্তায় রাস্তায় মাটি কেটে খরচ দিতাম। কিন্তু এখন কাজ করতে পারি না। মেয়েটা এত ভালো রেজাল্ট করেও লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় কাঁদছে। অথচ আমরা কিছুই করতে পারছি না।’

 

গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়া কারিমার উচ্চশিার স্বপ্ন কি শুধু অর্থাভাবে থমকে যাবে
কারিমা খাতুন। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা মহিলা কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীায় মানবিক বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। সে একই উপজেলার তমালতলার কাজীর চক মালঞ্চি গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে সবার বড়। ছোটবোন নবম শ্রেণীতে আর ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে। একটি মাত্র টিনের ছোট ছাপরাঘরে বাবা-মা ও ভাইবোন মিলে পাঁচজনকে গাদাগাদি করে বসবাস করতে হয়। সেই ঘরেই তিন ভাইবোন মিলে একটি মাত্র কেরোসিনের বাতির আলোয় পড়ালেখা করে জিপিএ ৫ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কারিমা। মেধাবী কারিমা এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে উচ্চশিা গ্রহণ করতে চায়। তার বাবা আবুল কালাম আজাদ সাইকেল মেরামতের কাজ করে কোনো রকমে পাঁচ সদস্যের পরিবারের সংসারের খরচ চালায়। সংসার খরচের পাশাপাশি মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালানোই তার জন্য কষ্টকর। দরিদ্র এই বাবার পে মেয়ের উচ্চশিা গ্রহণের খরচ জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারিমার মা আছমা বেগম বলেছেন, সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের সহযোগিতা না পেলে তার মেয়ে কারিমার উচ্চশিা গ্রহণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়া মেধাবী ছাত্রী কারিমার উচ্চশিার স্বপ্ন কি শুধু অর্থাভাবে থমকে যাবে, এটাই এখন তার বাবা-মা ও স্বজনদের একমাত্র চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন শঙ্কা আর উদ্বিগ্নতা তাড়া করছে কারিমা আর তার হতদরিদ্র বাবা-মাকে।

 

উচ্চশিক্ষার খরচ কোথা থেকে আসবে, ভেবেই হতাশ আয়শা
আয়শা খাতুন। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের নৈশপ্রহরী মো: নুরুল ইসলামের মেয়ে। আয়শা খাতুন এবার মৌখাড়া ইসলামিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। সে ইতঃপূর্বে এসএসসি পরীাতেও জিপিএ ৫ পেয়েছিল। তার বাবা স্থানীয় বেসরকারি জননী হাসপাতালে সামান্য বেতনে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। বাড়ি-ভিটা ছাড়া তাদের তেমন কোনো সম্পদ নেই। একমাত্র ছেলেকে মাস্টার্স পাস করালেও এখন পর্যন্ত চাকরি মেলেনি। ফলে শিতি বেকার ছেলের ব্যয়ভারও তাকে বহন করতে হচ্ছে। সামান্য বেতনে সংসার খরচ চালানোই তার জন্য যেখানে কষ্টকর, সেখানে মেয়ের উচ্চশিার ব্যয় নির্বাহ তার জন্য রীতিমতো দুঃসাধ্য। আয়শা এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার পর দু’টি প্রাইভেট ব্যাংকে বৃত্তির জন্য আবেদন করলেও কোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ায়নি। কলেজের শিকেরা তাকে কিছু বই, খাতা-কলম দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এবার উচ্চশিা গ্রহণের জন্য জেলার বাইরে গিয়ে অবস্থান করা, কোচিং করা বা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া চালানোর খরচ কোথা থেকে কিভাবে আসবে, সেটা ভেবেই হতাশ আয়শা ও তার বাবা-মা।

 

ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন মুক্তিয়ারার কাছে যেন শুধুই মরীচিকা
মুক্তিয়ারা খাতুন। বড়াইগ্রাম উপজেলার একইমাড়িয়া গ্রামের দরিদ্র রাজমিস্ত্রি আলম সরকারের মেয়ে মুক্তিয়ারা খাতুন বড়াইগ্রাম মহিলা কারিগরি অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। তার বাবা অন্যের অট্টালিকা গড়ে দিলেও নিজস্ব জমি না থাকায় একখণ্ড খাস জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছেন। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে কোমরে আঘাত পেয়ে ডান পায়ে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ফলে প্রায় ছয় মাস কোনো কাজ করতে পারছেন না তিনি। তিন বেলা ঠিকমতো খাবার জোটানোই যেখানে দুঃসাধ্য, সেখানে মেয়ের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন তার কাছে যেন শুধুই মরীচিকা।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/এসআই/আরআই/এ/০১সেপ্টেম্বর ২০১৪ই.

বেছে নিন সঠিক চিরুনি

 

 

 

BRUSH

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি দেখানোর জন্য চুল আঁচড়ানো জরুরি। এছাড়াও চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং চুলের সঠিক বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত চুল আঁচড়ানো প্রয়োজন। আর চুল আঁচড়ানোর জন্য প্রয়োজন চিরুনি। মার্কেটে অনেক রকমের চিরুনি পাওয়া গেলেও চুল ভালো রাখতে চাইলে সঠিক চিরুনি নির্বাচন করা প্রয়োজন। কারণ চিরুনি নির্বাচন সঠিক না হলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন কোন ধরণের চুলের জন্য কেমন চিরুনি নির্বাচন করা উচিত সেই সম্পর্কে।

স্বাভাবিক চুল
স্বাভাবিক চুল যাদের তারা যে কোনো ধরণের চিরুনিই ব্যবহার করতে পারেন। ভালো কোয়ালিটির সফট ব্রাশ এবং মাঝারী দাঁতের চিরুনি এই ধরণের চুলের জন্য একেবারে পারফেক্ট।

সিল্কি স্ট্রেইট চুল
সিল্কি স্ট্রেইট চুল যাদের তারা হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করুন। এই ধরণের চুল একেবারে চেপ্টা হয়ে থাকে। তাই হেয়ার ব্রাশ ব্যবহারের মাধ্যমে চুলটাকে হালকা ব্যাক ব্রাশ করে একটু ফুলিয়েও নিতে পারবেন।

কোকড়া/ঢেউ খেলানো চুল
কোকড়া কিংবা ঢেউ খেলানো চুলে কখনই হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত না। কারণ এই ধরণের চুলে ব্রাশ ব্যবহার করলে চুলে চট লাগে এবং চুল ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোকড়া কিংবা ঢেউ খেলানো চুলে বড় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা উচিত।

ভঙ্গুর ও পাতলা চুল
খুব ভঙ্গুর ও পাতলা চুলের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। ভঙ্গুর ও পাতলা চুল আঁচড়ানো উচিত মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে। খুব ধীরে ধীড়ে জট ছাড়িয়ে এই ধরণের চুল আঁচড়াতে হয়। নাহলে চুল ছিড়ে যায় এবং প্রচুর চুল পড়ে যায়।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২১ আগস্ট ২০১৪ই.

‘নারীদের জনসম্মুখে উচ্চস্বরে হাসা উচিত নয়’

 

Women

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: নারীদের জনসম্মুখে উচ্চস্বরে হাসা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ট এরিঙ্ক। একইসঙ্গে জনগণকে তিনি ‘কোর’আনকে পুনরাবিষ্কার’ ও ‘যৌনাসক্ত’র মতো আচরণ পরিহার করার আহ্বান জানান। খবর ডেইলিমেইলের।

 

এরিঙ্ক বলেন, ‘নারীদের জনসম্মুখে উচ্চস্বরে হাসা উচিত নয়।’ একইসঙ্গে তিনি নারীদের ফোনে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দেশটির টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে এ সকল কথা বলেন তিনি।

 

এ সময় তিনি জনগণের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোকে দায়ী করেন। বেশিরভাগ অনুষ্ঠান কিশোরদের ‘সতীত্বের প্রতীক’ থেকে যৌনাসক্তে রূপান্তরিত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

 

এ সময় তুর্কিরা তাদের মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছে উল্লেখ করে সকলকে কোর’আন পুনরাবিষ্কারের আহ্বান জানান।

 

মানুষের অবৈধ যৌনাচার থেকে দূরে থাকা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘নারী-পুরুষ উভযেরই লজ্জা ও সম্মানবোধ থাকা উচিত।’

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৩ আগস্ট ২০১৪ই.

সুস্থ-সবল রাখবে টমেটো

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: টমেটো বর্তমানে আমাদের দেশে সারা বছরই পাওয়া যায়। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি,  সি, কে, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম,লাইকোপিন, ক্রোমিয়ামসহ নানা উপাদান।সুস্থ-সবল রাখবে টমেটো
টমেটো যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, তেমনি রান্না করেও খাওয়া যায়। সালাদে বা মুড়ি মাখানোতে টমেটো অতুলনীয়। আর বিকেলের ভাজাপোড়া নাস্তায় টমেটো সসের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এতো কিছুর পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতেও টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। চলুন তবে চট করে জেনে নেওয়া যাক আমাদের অতি পরিচিত সবজি টমেটোর কিছু গুণ সম্পর্কে-

 

help_fight_cancer_76369_1

 

ভালো ঘুম হয়:
রাতে ঘুম হয় না? বিছানায় গিয়ে ছটফট করতে থাকেন? গবেষকরা বলছেন, টমেটোতে থাকা প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন ও ভিটামিন সি আপনার ঘুমকে আগের থেকে আরও ভালো করবে। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন একটি টমেটো। স্যুপ বা সালাদ করে খেতে পারেন। চাইলে লবণ দিয়ে কাঁচাও খেতে পারেন।

 

ব্যাথার উপশম করে টমেটোসুস্থ-সবল রাখবে টমেটো:
টমেটোতে আছে ব্যাথা উপশমের উপাদান ক্যারোটিনএড। আর তাই টমেটো খেলে ব্যাথা কমে‑ এমনটাই বলছেন গবেষকরা। যারা প্রতিনিয়ত ব্যাথায় ভোগেন তারা প্রতিদিন এক গ্লাস করে টমেটোর জুস খেতে পারেন। এতে আপনার ব্যাথা প্রায় ৩৪ শতাংশ কমে যেতে পারে।

 

দৃষ্টিশক্তি ভালো করে:
টমেটোতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে সাহায্য করবে। তাছাড়া যাদের রাতকানা রোগ রয়েছে তারাও টমেটো খেলে বেশ উপকার পাবেন। তাছাড়া চোখের নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে টমেটো।

 

clear_skin_76369_0

 

চুল ভালো রাখে:
চুল কি খুব শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে গেছে? তবে আর দেরি না করে আজই প্রতিদিন একটি করে টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করুন।সুস্থ-সবল রাখবে টমেটো
টমেটো আপনার চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন, যা কিনা আপনার চুলকে মজবুত করবে। চুল ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। তাছাড়া এটি আপনার চুলের পিএইচপি লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

 

ক্যান্সার প্রতিরোধক :
এক গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যত বেশি টমেটো খাবেন তত বেশি কয়েক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবেন। বিশেষ করে ফুসফুস, পাকস্থলি, মুখ, খাদ্যনালী, কণ্ঠনালী, মলাশয় ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে। কারণ টমেটোতে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট ও লাইকোপিন। আপনি যদি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে চান তবে টমেটোকে অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করে খান। অলিভ অয়েল দিয়ে টমেটো রান্না করলে লাইকোপিনের পরিমাণ বেড়ে যায়।

 

ত্বক সুস্থ রাখে :
প্রতিদিন একটি করে টমেটো খেলে আপনার ত্বক হবে সুস্থ ও সুন্দর। টমেটোতে থাকা লাইকোপিন আপনার ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। সুস্থ-সবল রাখবে টমেটো এতে আপনার নিস্তেজ ত্বক হবে আরও লাবণ্যময়।

 

tomatoes_76369_3

 

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে :
টমেটোতে থাকা খুবই অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট আপনার ব্লাড সুগারকে বাড়তে দেবে না। আর টমেটোতে থাকা ক্রোমিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখবে ব্লাড সুগারের লেভেল। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত টমেটো খান তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৩ আগস্ট ২০১৪ই.

ঈদের দিনের সাজ !

 

resize_1406438670

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ঈদের আর বাকি মাত্র কয়েকটি দিন। কেনাকাটা প্রায় শেষ চাকুরীজীবি স্বর্ণার। অফিস এবং রোযার ফাঁকে শপিংয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে। তবে এবার নিজেকে সুন্দর করে নেওয়ার ব্যস্ত তিনি। ইফতারের পরে প্রায় দিনই ছুটছেন বিউটি পার্লারে। আজ চুল কাটছেন তো কাল মেনিকিওর-পেডিকিওরে ব্যস্ত থাকছেন। অন্যদিন আবার যেতে হচ্ছে ফেসিয়ালের জন্যে। এভাবেই চলছে ঈদের আগ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বছরের ওই দিনটিতে নিজেকে সবচেয়ে সেরা সাজাতে তরুণীদের চলে বিরামহীন পরিশ্রম।

 

ঈদের সাজের প্রথম কথাই হচ্ছে, সাজ যেনো আপনার ব্যক্তিত্বে সঙ্গে মানানসই হয়। বাসায় অতিথি এলে যেনো আপনার চেহারায় অভ্যর্থনাসূচক একটা ইমেজ দেখতে পায়। আবার আপনি কোথাও গেলে সাজটা করুন এমনভাবে, যেন আপনাকে দেখে অন্যের ক্লান্তি মিটে যায়। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা নিজের চেহারা, রং, সাজ নিয়ে হীনমন্যতায় কখনো বা দুর্ভাবনায় ভোগেন। তাদের জন্য ঈদের সাজের প্রথম কথাই হচ্ছে এসব ত্রুটির কথা ভুলে যান। ঈদ এসেছে আনন্দের জন্য যাবতীয় দায়িত্ব পালনের পর সেই আনন্দ উপভোগ করুন।

 

আপনি গৃহিণী বা তরুণী বা টিনেজার যে বয়সেরই হোন না কেন সাজটাকে অন্তত দু’তিনভাবে ভাগ করে নিন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন সকাল, দুপুর এবং রাতের সাজ এবং পোশাক কী হবে।

 

সকালে বাড়িতে কাজের চাপ বেশি থাকে এসময় সালোয়ার কামিজ অথবা সুতি শাড়ি পরুন। হালকা ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার, লিপিস্টিক আর কাজল দিয়ে সাজ শেষ করুন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট একটি টিপও দিতে পারেন।

 

গরমের সময় ঈদ হচ্ছে, এজন্যে দুপুরে হালকা রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। আর সাজের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পাউডার মেখে হালকা করে ব্লাশন বুলিয়ে নিন দুই গালে। আর ঠোঁটে একে নিনন লিপগ্লস। চোখের সাজে ভিন্নতা আনতে স্যাডো আর আইলাইনার দিন। পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে কানে আর গলায় ছোট গহনা পরুন।

 

রাতে ভারী সাজ দিতে পারেন। বাইরে গেলে শাড়ি পুরন। মুখ, গলায় ফাউন্ডেশন কমপ্যাক্ট পাউডার দিন। সাজ বেশি সময় স্থায়ী করতে স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে মুখে চেপে মেকাপ বসিয়ে নিন।

 

চোখে মাশকারা, আইলাইনার এবং গাঢ় রংয়ের স্যাডো ব্যবহার করুন। ঠোঁটে লিপস্টিক দিন। হাত ভর্তি চুড়ি পরুন। গলায় এবং কানে ভারি গয়না পরুন। বড় একটি টিপ দিন। এবার ব্লাশন দিয়ে সাজ পূর্ণ করুন।

 

পোশাকের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় বেছে নিতে পরেন গোলাপি, নীল, সাদা, অফহোয়াইট, স্কিন কালার, পিচ ইত্যাদি হাল্কা শেডের রংগুলো। রাতের অনুষ্ঠানের জন্য পরতে পারেন উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের পোশাক যেমন- গাঢ় নীল, ম্যাজেন্টা, লাল, খয়েরি, মেরুন, কালো, গাঢ় হলুদ, সবুজ ইত্যাদি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৭ জুলাই ২০১৪ই.

জাতিসংঘের নারীবিষয়ক কমিটিতে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ

 Ismot-Jahan

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান দ্বিতীয়বারের মতো জাতিসংঘের ‘নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য বর্জন’ (COMMITTEE ON THE ELIMINATION OF DISCRIMINATION AGAINST WOMEN) সংক্রান্ত কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের পক্ষে ব্রাসেলসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের কোনো বিশেষজ্ঞের দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কমিটিতে নির্বাচিত হওয়ায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এতে প্রমাণিত হচ্ছে, এমডিজির (সহস্রাব্দ লক্ষ্য অর্জন) অন্যতম লক্ষ্য নারী শিক্ষা ও নারীদের কাজের ক্ষেত্র প্রসারে বাংলাদেশ আজ বিশ্বব্যাপী পথপ্রদর্শক।

 

জানা গেছে, জাতিসংঘের ‘নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য বর্জন’ বিষয়ক কমিটির ১২টি শূন্যপদে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নির্বাচন হয়। ১৮ জন প্রার্থী এতে অংশ নেন।

 

রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চার বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন।

 

এর আগে ইসমত জাহান উক্ত কমিটির সদস্য হিসেবে ২০১১-২০১৪ মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৭ জুলাই ২০১৪ই.

রমজানে নারীর আমল

 

Ramadan-14

 

এ.কে.এম মহিউদ্দীন : রমজানের ১৩তম দিন শনিবার। মাগফেরাতের দশকের তিনটি দিবস অতিক্রান্ত হচ্ছে। রোজাগুলো যত প্রান্তরেখার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বেশি বেশি দোয়া, ইবাদত ও আমলের। আমাদের খোদাবন্দ তায়ালা অতিশয় দাতা ও দয়ালু, ক্ষমা মার্জনার সব থেকে নির্ভরযোগ্য স্থল। সুতরাং তার দিকে বান্দাকে অবশ্যই ঝুঁকতে হবে। এটা মানবকুলের কাছে প্রতিভাত বিষয় : ‘বিশ্বে যাহা কিছু চির কল্যাণকর/অর্ধেক তাহার আনিয়াছে নারী অর্ধেক তাহার নর।’ নারী এবং নর একজন আরেকজনের পরিপূরক। একাকী পুরুষের পক্ষে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। পাশাপাশি ইবাদতের ক্ষেত্রেও একইভাবে এটা প্রযোজ্য-উভয়কেই জবাবদিহিতা করতে হবে। তবে আজকের কলামে বিশেষভাবে নারীদের রমজানের কিছু আমল পৃথকভাবে এখানে আমরা উল্লেখ করতে চাই। ইসলামের কিছু চিন্তক সিয়াম সাধনার বিষয়ে পুরুষের কর্মব্যস্ততাজনিত কারণ দেখিয়ে বলছেন, রোজার দায়িত্ব-কর্তব্য ও আমলের দিক থেকে নারীদের বিষয়টি একটু আলাদা। কেননা পুরুষরা বাইরের নানা দিক সামাল দিতে গিয়ে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও রমজানের পরিপূর্ণ দাবি পূরণে অনেকাংশে ব্যর্থ হয়। সাধারণত নারীদের বাইরের ব্যস্ততা কম থাকে। বাইরে বেরুলেও বেশি সময় বাইরে থাকতে হয় না। ঘরোয়া পরিবেশেই কাটে রোজার দিনগুলো। ফলে তাদের পক্ষে রমজানের পূর্ণ ফায়েজ ও বরকত লাভ করা অনেকাংশে সহজ।

 

যেহেতু নারীদের জন্য কিছুটা বাড়তি সুযোগ রয়েছে, তাই তাদের জন্য উচিত হলো রমজানের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে জীবনের সফলতার দ্বার উন্মোচন করা। রমজানের দিনগুলোর সদ্ব্যবহার করতে হলে রমজানের শুরুতেই রমজান কাটানোর একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা দরকার। কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেতে হলে নারীদের রমজান মাসে কিছু জিনিসের প্রতি গভীরভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

 

এক. ইবাদতের ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য আনতে হবে। রমজানে প্রতিটি ইবাদতেই সত্তর গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রোজাই হচ্ছে রমজানের প্রধান ইবাদত। তবে রোজার চেয়ে নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। রোজা রাখার ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে এটা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু অনেকেই আছেন রোজা রাখেন কিন্তু নামাজ ঠিকমত পড়েন না, এটা খুবই অন্যায়। অন্য সময় তো নামাজ পড়বেনই, রমজানে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। তা ছাড়া অন্যান্য ইবাদতের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে হবে।

 

দুই. বাকসংযম করতে হবে। অধিক বাকপ্রবণ বলে নারীদের একটি বদনাম আছে। পরচর্চা, কুৎসা, নিরর্থক বিষয় নিয়ে মাতামাতি ইত্যাদি তাদের চিরায়ত অভ্যাস। কিন্তু এগুলো রোজার জন্য খুবই ক্ষতিকারক। না খেয়ে উপোস থাকা যেমন রোজার অংশ তেমনি বাকসংযমও। তাই রমজানে নারীদের জন্য উচিত হলো যথাসম্ভব বাকসংযম করা।

 

তিন. চলাফেরা ও চালচলনে শালীন হতে হবে। জৈবিক চাহিদা পূরণ থেকে বিরত থাকা ও এ ধরনের যে কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন না হওয়া রোজার একটি অংশ। নারীদের খোলামেলা চালচলন তাদের নিজেদের রোজার পবিত্রতার জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি পর পুরুষের রোজা নষ্ট কিংবা হালকা করার জন্যও দায়ী। এ জন্য রমজানের দিনে নারীদের বাইরে বের হতে হলে শালীনতার সঙ্গে বের হওয়া উচিত।

 

চার. অধিকহারে দান-সদকা করা। কেননা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় রমজানে দান-সদকার ফজিলত অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে দারুণ সুযোগ। সংসারের নিয়ন্তা হিসেবে তারা ইচ্ছে করলে এ মাসে গরিব-দুঃখীর দিকে সহানুভূতির হাত প্রসারিত করতে পারেন। এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌র বিশেষ কৃপা কুড়ানোর আশা করা যায়।

 

পাঁচ. সবার সঙ্গে মার্জিত আচরণ করা। রোজা রাখলে ক্ষুধা লাগবে, পিপাসা পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে প্রকাশ না পায়। সাংসারিক কাজের ঝামেলার কারণে অনেক মহিলা রোজা রেখে মেজাজ খারাপ করে রাখেন।

 

ছয়. রোজা রেখে অহেতুক কাজ বর্জন করা উচিত। হাদিসে রোজাদারকে নিরর্থক কাজ থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ করা হয়েছে। রোজা রেখে অনেকের দিন কাটতে চায় না এই অজুহাতে বিভিন্ন আজেবাজে কাজে সময় ব্যয় করেন। কিন্তু এটা সমীচীন নয়। কেননা রোজাদারের সারাদিন হবে ইবাদতের শামিল। বাহ্যিক কোনো ইবাদত না করলেও তার ধ্যান-ধারণা থাকবে ইবাদতের প্রতি। রোজার পবিত্রতা নষ্ট করে এমন কোনো কাজ যেন না হয়।
সাত. সংসারের শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতি খেয়াল করা। বছরের অন্যান্য সময় থেকে যেহেতু রমজানের রুটিন কিছুটা ভিন্ন সেজন্য সাংসারিক কাজকর্ম কিংবা পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। তা নিরসন করার দায়িত্ব নারীদের ওপর। অন্যের সুবিধার কথা চিন্তা করে, নিজে কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করে হলেও সংসারের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।

 

আট. বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা। রমজান হচ্ছে কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসের সঙ্গে কোরআনের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। রমজানে কোরআন তেলাওয়াতের সওয়াব অনেক গুণ বেশি। যারা কোরআন পড়তে পারেন তারা বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন। আর যারা কোরআন পড়তে পারেন না, তারা এ মাসে তা শিখে নিতে পারেন।

 

নয়. অপচয় রোধ করা। রমজানে যত খুশি খরচ কর, তাতে কোনো বাধা নেই, এ ধরনের একটি কথা আমাদের সমাজে প্রচলিত। এর ওপর ভিত্তি করে প্রত্যেকটি পরিবারেই খরচের মাত্রা বেড়ে যায়, যা অপচয়ের গণ্ডি স্পর্শ করে। কিন্তু মূলত এ কথাটি ঠিক নয়। রমজান সংযমের মাস হিসেবে সব কিছুতেই সংযমতা আনতে হবে।
দশ. শেষ দশকে ইতিকাফ করা। ইতিকাফ রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। নারীরাও ইচ্ছে করলে ইতিফাক করতে পারেন। তবে তা অন্দরমহলে পূর্ণ পর্দা বজায় রেখে। এর মাধ্যমে রমজানের দাবি যেমন ভালোভাবে আদায় করা যায় তেমনি মহিমান্বিত রাত শবে কদরের ফয়েজ ও বরকত লাভে ধন্য হওয়া যায়। তাই নারীদের জন্য এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়। উৎস: দ্য.রি:

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৭ জুলাই ২০১৪ই.

গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মাড়ির যত্ন

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: গর্ভাবস্থা একটি চরম উত্তেজনা ও উত্কণ্ঠার সময়কাল। বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের কথা শোনা এবং ডাক্তারের উপদেশ মেনে চলাও আর একটি কাজ। অনেক গর্ভবতী এই সময়ে দাঁত ও মাড়ি নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন। দাঁতের যত্নে কয়েকটি বিষয় এখানে আলোকপাত করা হলো যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীর দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারেঃ-

 

image_148456

 

মাড়ির যত্ন

অনেক গর্ভবতী হয়ত লক্ষ্য করেছেন দাঁত ব্রাশের সময় মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়। এটা অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়। গর্ভাবস্থায় দেহ হরমোনের পরিবর্তন হয় এবং তার প্রতিক্রিয়া মাড়িতেও দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় দুই মাস থেকে আট মাস পর্যন্ত এটি বেশী লক্ষণীয়। তাছাড়া উপদাহে বা উত্তেজন (Irritaion) কোনো কিছুতে মাড়ি খুব বেশী সংবেদী হয় এবং খুব সহজেই রক্তপাত হয়। তাই দেখা যায় গর্ভবতীর মাড়ির প্রদাহ বা (Gingivitis) এই অবস্থাকে বলা হয় গর্ভাবস্থার মাড়ির প্রদাহ। এই অসুবিধা মোকাবিলা করার জন্য সর্বাগ্রে যা করণীয় তা হলো গর্ভাবস্থার শুরু থেকে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ বা পরিষ্কার করাকে নিশ্চিত করা যাতে ডেন্টাল প্লাক সৃষ্টি না হয়। এ ক্ষেত্রে দন্ত চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভাবস্থার পুর্বেই দাঁত স্কেলিং করা এবং সঠিক ব্রাশ চালনা পদ্ধতি জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

 

গর্ভাবস্থায় দাঁত ও মাড়ি পরীক্ষা

গর্ভাবস্থায় যেমন নিয়মিত একজন স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন তেমনি একজন দন্ত চিকিত্সকের কাছ থেকেও দাঁত ও মুখ পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

 

দাঁত কি ক্যালসিয়াম হারাচ্ছে

গর্ভবতী দাঁতের ক্যালসিয়াম কখনোই গর্ভের শিশুর দাঁতে চলে যায় না। বরং এটা নির্ভর করবে গর্ভবতী ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করছেন কিনা। তাই এই সময়ে গর্ভবতীকে প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি (সালাদ বানিয়ে) ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন, যেমন- লাল শাক, পালং শাক, পুই শাক, গাজর, টমেটো, ঝিঙ্গা, পটল, আলু, লেটুস পাতা, কপি, সীম, বরবটি, লেবু শশা, আপেল, কমলা, জাম্মুরা, কলা পেয়ারা, আমলকি ইত্যাদি।

 

শর্করা জাতীয় খাদ্য

আহারের মধ্যবর্তী সময়গুলোতে শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এতে যেমন দেহের বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব তেমনি দাঁতের ক্ষয়রোগ রোধ করা সহজ। তবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ একান্ত পয়োজন।

 

প্রসুতি মা ও শিশুর যত্ন

আমাদের দেশে মায়েদের মধ্যে শিশুকে ফিডার দিয়ে চিনি বা মিশ্রি মিশ্রিত দুধ খাওয়ানোর একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এর ভয়াবহ পরিনাম হচ্ছে এই ফিডারের কৃত্রিম দুধ শিশুর অভ্যাসে পরিণত হয় এবং পরবর্তীতে এই অভ্যাস ছাড়ানো খুব কষ্টকর হয়। বিজ্ঞানের দীর্ঘ গবেষণা কাজ প্রমাণ করেছে যে, শিশু জন্ম গ্রহণের পর থেকে তাঁর আহার্য হিসেবে মায়ের বুকের দুধের কোনো বিকল্প নেই। মায়ের বুকের দুধে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা শিশুকে বেড়ে উঠতে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি জোগাতে ও মজবুত দাঁত গড়তে সর্বোপরী সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে যথেষ্ট এই ভিটামিনের অভাবে দাঁত ডেন্টাল ক্যারিজ রোগে বেশী আক্তান্ত হবে। তাই জন্মের পর থেকে শিশুকে অবশ্যই বুকের দুধ দিয়ে উত্সাহিত করা প্রয়োজন। এছাড়া শিশুর মুখে চিনি মিশ্রিত দুধের ফিডার রেখে ঘুম পাড়ানোর অভ্যাস দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। এতে শিশুর ৬ মাস সময় উদ্গত দুধ দাঁতেও ক্যারিজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাতে দুধ খাওয়ানো শেষ হলে পাতলা ফ্লানেলের কাপড় অথবা তুলা দিয়ে দাঁতের উপর থেকে দুধের আবরণ পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

 

 

দাঁত উদগম কালে সাবধানতা

৬ মাস বয়সে দাঁতের উদগম শুরু হওয়ার আগেই শিশু খুব চঞ্চল ও অস্থির হয়ে উঠে। এই সময়ে শিশু যা কিছু সামনে পায় সেটাই কামড়াতে চায়। তাই এই সময় শিশুরর হাতের কাছে বিষাক্ত বা ধারালো কোনো দ্রব্য অথবা ওষুধ পত্র রাখা উচিত নয়। মায়েদের লক্ষ্য রাখা

প্রয়োজন এ সমস্ত জিনিষ শিশুর নাগালের বাইরে আছে।

 

দাঁত ব্রাশ

মা সকালে ও রাতে শিশুর সামনেই দাঁত ব্রাশ করবেন। মনে রাখা প্রয়োজন শিশু খুব বেশী অনুকরণ প্রিয়। সে যা দেখবে তাই করতে চাইবে। তাই শিশুর হাতে ছয় মাস বয়সে অর্থাত্ দাঁত উঠার শুরু থেকেই একটা ব্রাশ দেওয়া ভালো। শিশু তখন বড়দের দেখে তা অনুকরণ করতে চাইবে এবং পরবর্তীতে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। এর পর থেকে শিশুকে হাতে ধরিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ চালনা শিক্ষা দিতে হবে। প্রসবের পর মা নবজাতক শিশুকে নিয়ে একটু বেশী ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করেন এবং এই সময়ে দাঁতের পরিচর্যা ও নিয়মিত করতে পারেন না। মাকে ভুললে চলবে না যে নিয়মিত সকালে ও রাতে দাঁত পরিস্কার না করলে মাড়ির সংক্রমণ এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়া আবার শুরু হতে পারে। তাই মাকে এই সময়ে সন্তান পরিচর্যার সাথে সাথে নিজের পরিচর্যা করা প্রয়োজন।

 

ফ্লুরাইড

ফ্লুরাইড বাড়ন্ত শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর, তাই শিশুর ৬ মাস বয়সের পর থেকে দুধ দাঁতকে রোগ মুক্ত রাখবার জন্য ফ্লুরাইড মিশ্রিত টুথপেষ্ট দেয়া প্রয়োজন। লক্ষ্য রাখতে হবে শিশু যেন ফ্লুরাইড মিশ্রিত টুথপেষ্ট বেশী না খেয়ে ফেলে।

 

শিশুর দাঁত

শিশুর দুধ দাঁত কখনো কখনো ১১ বত্সর বয়স পর্যন্ত মুখে অবস্থান করে। সুতরাং লক্ষ্য রাখতে হবে শিশুর দুধ দাঁতগুলো ঠিকমত রক্ষিত আছে কিনা যাতে পরবর্তী স্থায়ী দাঁতগুলো সঠিকভাবে তাদের স্থানে আসতে পারে। কারণ দুধ দাঁতের শিকড়ে প্রদাহ অনেকদিন স্থায়ী থাকলে স্থায়ী দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। যদি দুধ দাঁত অন্য পথ বেছে নেয় তবে দন্ত চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া ভালো, এই দুধ দাঁত পড়া ও স্থায়ী দাঁত উঠার সময়ে শিশুর দিকে নজর রাখা প্রয়োজন নতুবা পরবর্তীতে স্থায়ী দাঁত গুলো আঁকাবাঁকা বা অসমানভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

 

গর্ভবতী মায়ের দায়িত্ব

একজন গর্ভবতী মা যেমন ভবিষত্ শিশুর ভূমিষ্ট হওয়ার পর নিয়মিত একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন তেমনি ভালো, সুস্থ্য, সুন্দর দাঁত ও মাড়ির জন্য একজন দন্ত চিকিত্সকের পরামর্শও যদি মেনে চলেন তবেই হবে পূর্ণাঙ্গ সার্থকতা। এই সমস্ত কথা বিবেচনা করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৯৪ সালের জন্য স্লোগান ছিল (ORAL HEALTH FOR HEALTHY LIFE) অর্থাত্ মুখ এবং দাঁতের যত্ন নিন সুস্থ থাকুন এবং আমরা যদি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সত্যিকার অর্থে নিশ্চিত করতে চাই তবে বছরের একটি দিবসে নয় প্রতিদিনের কাজকর্মের সাথে দাঁত ও মুখের যত্নের অভ্যাসকে প্রতিদিন প্রতিবার আহারের সাথে সংম্পৃক্ত করতে হবে এবং মাকে যেমন নিজের যত্নের অনুশীলন করতে হবে তেমনি শিশুকেও সামনে রেখে শিক্ষা দিতে হবে যে শিক্ষা থাকবে তার আজীবন সাথী হয়ে।

 

 

অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী

সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান

ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিষ্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/ইত্তেফাক/আরএ/এ/২৬ জুলাই ২০১৪ই.

জেনে নিন শসার হাজার গুণ

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: শসার রয়েছে হাজারো গুণ। খাওয়ার পাশাপাশি রূপচর্চার কাজেও লাগে এই সবজি। ওজন কমাতেও শসার জুড়ি নেই। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শসা থাকা উচিৎ। বিশেষজ্ঞরা শসার অনেক উপকারীতা সম্পর্কে জানান। এর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ-

 

reasons-to-eat-cucumbers_74333_0

 

১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রক্তচাপ

শসা উচ্চ ও নিম্ন দু’ধরনের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। শসাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই তিনটি উপাদান ক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।শসার হাজার গুণ

 

২. কিডনির সুস্থতায়

শসার মধ্যে জলীয় উপাদানই বেশি। এই জলীয় অংশ শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে কিডনি সুস্থ থাকে। তাছাড়া কিডনির পাথর প্রতিরোধেও শসার তুলনা নেই।

 

৩. ক্যানসার প্রতিরোধ

বিভিন্ন রকম ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে শসা। তার মধ্যে প্রধানত জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থির ক্যানসার প্রতিরোধে শসা বেশি কার্যকর।

 

Cucumber on a white background

 

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

প্রতিদিন নিয়ম করে শসা খেলে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের প্রতিদিন অন্তত একটি করে শসা খাওয়া দরকার।

 

৫. ওজন কমাতেশসার হাজার গুণ

শসার মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই নিশ্চিন্তে যত খুশি খেতে পারেন শসা। এতে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে। আর যারা একটু মোটা তাদের ওজনও কমাতে সাহায্য করবে শসা।

 

৬. পানির চাহিদা মেটাতে

শসার প্রায় ৯০ শতাংশই হচ্ছে পানি। তাই পানির চাহিদা মেটাতে শসার তুলনা নেই। সারাদিনে যে পরিমাণ পানি দরকার তা যদি পান না করতে পারেন তবে শসা খেয়ে নিন। শসা পানির চাহিদা মেটাবে।

 

 

৭. দেহের তাপ শোষণ

প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত! একটি শসা খেলে জুড়িয়ে যাবে আপনার শরীর। শসা দেহের তাপ শোষণ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ভালো ফল পাওয়া যাবে।

 

cucumbers_74333_1

 

৮. রূপ চর্চায়

রূপচর্চার অংশ হিসেবে শসা এখন অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। তাছাড়া শসা মুখে ঘষে দিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সূ্ত্র-আমেরিকানকি

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৬ জুলাই ২০১৪ই.

শিখে নিন মেহেদীর দারুণ একটি ডিজাইনের পদ্ধতি (ভিডিওসহ)

 

url.jpg-7

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ঈদের সাজের অন্যতম অনুসঙ্গ হলো মেহেদী। ঈদের আগে হাতে মেহেদীর রং এর ছোঁয়া না থাকলে যেন ঈদের আনন্দটাই পুরো হয়না। আর তাই ঈদের কেনাকাটার শেষ মূহূর্তে তরুণীরা দোকানে ছুটছেন নানান রকমের মেহেদী কেনার জন্য।

ঈদের মেহেদির বাজারে এবারও আলমাস মেহেদির চাহিদা অনেক বেশি। সেই সঙ্গে পুরো মার্কেট ছেয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি মেহেদীতে। দেশী মেহেদী গুলোও খুব কম সময়েই বেশি রং হওয়ার জন্য নানান রকমের মেহেদী বাজারে ছেড়েছে। সেই সঙ্গে গতবারের মতো এইবারও পাওয়া যাচ্ছে কালো, নীল, সবুজ রং মেহেদী। সেই সঙ্গে মেহেদী রাঙা হাতকে আরো বেশি জমকালো করে তুলতে গ্লিটারের চাহিদাও প্রচুর।

যারা মেহেদী নিজেরা দিতে পারেন তারা তো চাঁদ রাতে ঘরেই মেহেদী লাগিয়ে ফেলেন দুই হাত ভরে। আর যারা নিজেরা দিতে পারেন না তাদের যেতে হয় পার্লারে। আর পার্লারে খুব অল্প মেহেদী দিতেও খরচ করতে হয় অনেকগুলো টাকা। সেই সঙ্গে অনেকটা সময় নষ্ট হয় পার্লারের সিরিয়াল পাওয়ার জন্য।

একটু চেষ্টা করলেই নিজেই লাগিয়ে ফেলা যায় নিজের হাতের মেহেদী। বিশেষ করে যারা একটু ছিমছাম ডিজাইন ভালোবাসেন তারা অযথা পার্লারে না গিয়ে নিজের হাতের মেহেদী নিজেই লাগানোর চেষ্টা করতে পারেন। যারা এই ঈদে নিজের হাতের মেহেদী নিজেই চেষ্টা করে লাগিয়ে ফেলতে চান তারা দেখে নিতে পারেন খুব ছিমছাম সহজ মেহেদীর ডিজাইনের এই ভিডিও টিউটোরিয়ালটি। ভিডিও টিউটোরিয়ালটি অনুসরণ করে ঈদের রাতে খুব সহজেই মেহেদী দিতে পারবেন আপনি নিজের হাতে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রিয়/আরএ/এ/২৫ জুলাই ২০১৪ই.

 

খুব সহজে ঝটপট অসাধারণ ফিশ বিরিয়ানি

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ঈদ মানেই নতুন নতুন খাবার তৈরি করে প্রিয়জনদের খুশি করে দেয়ার একটি উৎসব। আর ইফতারির টেবিলেও তাই। সুস্বাদু খাবার তৈরি করে পরিবারের সামনে পরিবেশন করতে সব গৃহিণীই চান। মুরগি-গরু-খাসির বিরিয়ানি তো অনেক হলো, চলুন আজ হয়ে যাক মাছের বিরিয়ানি। মাংসের সাথে অনেক গুণে স্বাস্থ্যকর তো বটেই, স্বাদে মোটেও কম নয়। দারুণ এই রেসিপিটি দিয়েছেন সায়মা সুলতানা।

10424072_10152509976018232_1078342345_o  

উপকরণ-
রুই/স্যামন মাছ এর পেটির ৪ টুকরা
বাসমতি/ চিনিগুঁড়ো চাল ১ কাপ
ঘি/তেল ৪ টেবিল চামচ
পেয়াজ কুচি ১ কাপ
আদা রসুন বাটা ২ চা চামচ
টক দই ৪ টেবিল চামচ
জয়ফল ও জয়ত্রী গুঁড়া ২ চা চামুচ
পোস্ত বাটা ১ চা চামুচ
এলাচি ৪-৫ টি
দারুচিনি ২ স্টিক
দুধ হাফ কাপ
লেবু পাতলা করে কাটা কয়েক টুকরা
বেরেস্তা হাফ কাপ
খাবার রং অল্প ( ইচ্ছা )
লবণ স্বাদ মত

 

10474658_10152509976123232_554059265_n

প্রণালি-
-প্রথমে মাছের টুকরা গুলোকে একদম অল্প তেলে হালকা লাল ভেজে নিন। এতে মাছের আঁশটে ভাবটা চলে যাবে। মাছ আলাদা করে উঠিয়ে রাখুন।

-একটা বাটিতে টক দই এর সাথে ১/৪ কাপ বেরেস্তার সাথে আদা রসুনবাটা, জয়ফল ,জয়ত্রী গুঁড়ো,পোস্ত বাটা দিয়ে মেখে রাখুন।

-অন্য একটা পাত্রে চাল গুলোকে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। চাল বেশি সিদ্ধ করবেন না। বেশি সিদ্ধ হলে বিরিয়ানি ঝরঝরে হবে না।

-এবার অন্য প্যান এ তেল/ ঘি দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি ও দারুচিনি এলাচ দিন। একদম লাল করে বেরেস্তার মত করে ভেজে নিন। এই পেয়াজ এর সাথে মেখে রাখা দই আর হাফ কাপ দুধ দিয়ে দিন। লবণ দিন। রান্না করুন ১০ মিনিট। মশলা কষে আসলে মাছের টুকরা গুলোকে দিয়ে রান্না করুন আরো ৫ মিনিট। যখন একটু লাল হয়ে আসবে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।

 

10544914_10152509975723232_186405314_n

 

-একটা ওভেন প্রুফ বাটিতে বা একটা ভারি হাঁড়িতে প্রথমে কিছু ভাত ঢালুন। এর পর লেবুর পিস ছড়িয়ে দিন। এর পর মাছের পিসগুলো আর ঝোলটা দিন। সাথে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। আবার রান্না করা ভাত দিয়ে তার উপর অল্প করে রং ছিটিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে ভালো ভাবে মুড়িয়ে নিন যাতে ভাপ না বের হতে পারে।

 

-হাঁড়ি হলে ভালো করে ঢেকে খুবই মৃদু আঁচে দমে বসিয়ে দিন চুলায়। ভাত সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। নাড়বেন না, এতে মাছ ভেঙে যাবে। ওভেন হলে ১৮০ ডিগ্রীতে ২০ মিনিট বেক করুন। গরম পরিবেশন করুন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রিয়/আরএ/এ/২৫ জুলাই ২০১৪ই.

ঈদে ঝটপট আচার হবে না?

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ঈদে পোলাও-কোরমা-বিরিয়ানি ইত্যাদি কত কিছুই তো রাঁধবেন। কিন্তু সেটার সাথে একটু আচার না হলে জমবে কি? এই গ্রীষ্মে অনেকেই তৈরি করেছেন বাহারি আচার। আর যারা আচার করেননি, বা ভিন্নরকম কিছু চান তারা করে ফেলুন এই চটপটে রসুনের আচার। তবে নাম, এই রসুনের আচার‍টি স্বাদে গন্ধে একেবারেই ভিন্ন। রোমান্টিক কিচেন স্টোরি’জ এর সৌজন্যে রেসিপিটি দেয়া হলো আপনাদের জন্য।

 

current food12

 

 

যা লাগবে

হাফ কাপ রসুন কোয়া
১/৪ চা চামচ হলুদ
২ টেবিল চামচ লেবুর রস
১ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুড়া
১ চা চামচ গুড়
৩ টেবিল চামচ সরিষা বাটা
হাফ কাপ সরিষার তেল
লবণ স্বাদমত

এবং ১/৪ চা চামচ মেথি + ১/৪ চা চামচ জিরা + ১/৪ চা চামুচ আস্ত ধনিয়া ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন।

 

10565926_10152535679788232_940007659_n

 

প্রণালি-
-প্রথমে হাঁড়িতে তেল দিন। সাথেই রসুন এর কোয়া, হলুদ , মরিচ গুঁড়ো দিন। একটু নাড়াচাড়া করে লেবুর রস। এটা এখন ৩ মিনিট রান্না করুন।
-এরপর একে একে সব মসলা দিন। ব্লেন্ড করা মশলাটাও দেবেন। লবণ ,অল্প পানি দিয়ে খুব ভালো ভাবে কষান।
-কম আঁচে রান্না করুন ২০ মিনিট। তেল উপরে উঠে আসলেই বুঝবেন এটা হয়ে গেছে। এবার যেকোনো কাঁচের বয়মে ভরে উপরে সরিষার তেল দিয়ে রেখে দিন।
ডাল ভাত , খিচুরী ,পোলাও এর সাথে দারুন মজা এই আচার।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৫ জুলাই ২০১৪ই.

বেবী মওদুদ আর নেই

babay-maudud-1

অপরাজিতাবিডি ডটকম: সাংবাদিক ও সাবেক সংসদ সদস্য এন মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ আর নেই। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

 

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। বেবী মওদুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

১৯৪৮ সালের ২৩ জুন কলকাতার বর্ধমান জেলার পার্ক সার্কাসের থিয়েটার রোডের একটি বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন বেবী মওদুদ। তাঁর শ্বশুরবাড়ি ছিল বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলায়। তার বাবা বিচারপতি আবদুল মওদুদ ও মা হেদায়েতুন নেসা। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বেবী মওদুদ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মারজি-উল হক-এর ছোট বোন। ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী অ্যাডভোকেট মো. হাসান আলীর অকাল মৃত্যুর পর বেবী মওদুদ নিজেই দুই ছেলের দায়িত্ব নেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্সসহ এমএ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত হন।

 

বেবী মওদুদ কিশোরদের জন্য প্রচুর লেখালেখি করেছেন। শিশুসাহিত্যিক হিসেবেই তার খ্যাতি সবচেয়ে বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্সসহ মাস্টার্স করা বেবী মওদুদ পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন ‘সাপ্তাহিক ললনা’, ‘ দৈনিক সংবাদ’, ‘দৈনিক ইত্তেফাক’, ‘দৈনিক মুক্তকণ্ঠ’ ও ‘বিবিসি’-তে। বেবী মওদুদ ‘বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বাংলা বিভাগ’টি গড়ে তুলেছেন প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে। ছিলেন ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। সর্বশেষ তিনি ‘বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’-এর সোস্যাল এফেয়ার সম্পাদক ছিলেন।

 

বেবী মওদুদ-এর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো- মনে মনে (ছোট গল্প), শেখ মুজিবের ছেলেবেলা, দীপ্তর জন্য ভালোবাসা, পবিত্র রোকেয়া পাঠ, টুনুর হারিয়ে যাওয়া, দুঃখ-কষ্ট ভালোবাসা, পাকিস্তানে বাংলাদেশের নারী পাচার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা, শান্তুর আনন্দ, এক যে ছেলে আনু, মুক্তিযোদ্ধা মানিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবার, আমার রোকেয়া, কিশোর সাহিত্য সমগ্র, আবু আর তার ও জল দিয়ে লিখি নাম প্রভৃতি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৫ জুলাই ২০১৪ই.

 

সুখে আছেন কুষ্টিয়ার শেফালী

 

Kustia-820140724125613

নিজের টেইলার্সে শেফালী খাতুন (কাঁঠালি রঙের শাড়ি পরা)

 

 

কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া : সংগ্রামী এক নারীর নাম শেফালী খাতুন। জীবন-জীবিকার তাগিদে উপজেলার আমলা বাজারে মহিলা টেইলার্স এ্যান্ড এ্যমব্রোডারি নামের একটি দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সে আজ স্বাবলম্বী।

শেফালী খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের আমলা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী ফরাজীর মেয়ে।

 

১৯৯২ সালের দিকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে তার অমতে পরিবারের লোকজন বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর নির্যাতন ও যৌতুকের দাবিতে তার আর সংসার করা হয়নি।

 

১৯৯৬ সালে দুইটি মেয়েসহ তাকে তালাক দিয়ে দেয় তার স্বামী। শেফালী ফিরে আসে তার বাবার বাড়ী। তারপর থেকেই শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। সেলাই কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৪ সালে আমলা বাজারে মহিলা টেইলার্স এ্যান্ড এ্যামব্রয়ডারি নামের দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার দোকানে কাজ করে এলাকার অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা আরো ৭-৮ জন নারী।

 

শেফালী খাতুন জানান, এই ব্যবসা করেই বড় মেয়ে বৈশাখী খাতুনকে প্রতিষ্ঠিত পাত্রের সাথে বিয়ে দিয়েছি। বড় মেয়ে কুষ্টিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে অনার্স পড়ছে। আর ছোট মেয়ে পুষ্প খাতুন আমলা জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। সেই সাথে আমলা ওয়াপদা কলোনির পাশে ৭ কাঠা জমি কিনে প্রাচীর দিয়ে পাকা বাড়ী নির্মান করে বসবাস করছি।

 

আর কেন বিয়ে করেননি এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে আজ আমি স্বাবলম্বী হয়ে জামাই মেয়ে নিয়ে সুখে আছি। বাকী জীবনটা এভাবেই কাটাতে চাই। বিয়ে টিয়ে আর করবো না।

 

আমলা ইউপি চেয়ারম্যান ডা. রফিকুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, শেফালী খাতুন আজ স্বাবলম্বী নারীদের মধ্যে একজন। সে রোকেয়া দিবসে আমলা ইউনিয়ন, মিরপুর উপজেলা পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা ও খুলনা বিভাগীয় পর্যায় থেকে জয়ীতা নির্বাচিত হয়েছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৫ জুলাই ২০১৪

ঘরের সাজ

 

6_126032

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: অপেক্ষার পালা শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। সারা দিন কাজে ব্যস্ত থাকা, সেই সঙ্গে ঈদের শপিং এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে কীভাবে যে রোজার মাসটা শেষ হতে যাচ্ছে টেরই পাওয়া যায়নি। কয়েকদিন পরই ঈদ। আর ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদের দিন আমরা সবাই সেজেগুজে পরিচ্ছন্ন পরিপাটি হয়ে থাকতে পছন্দ করি। শুধু নিজে সাজলেই হবে? নিজের ভালোবাসার ঘরেও আনতে হবে ঈদের আনন্দ। তা না হলে ঈদের সব আনন্দই মাটি হয়ে যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রুচিরও পরিবর্তন হচ্ছে। তাই তো আজকাল সবাই সচেতন। তাই ঈদের দিন ঘরের সাজটা কেমন হবে সেটা নিয়ে রইল আজকের আয়োজন।

 

ড্রইং রুম : ঈদের দিন যে ঘরটি বেশি অতিথিদের চোখে পড়ে সেটি হল ড্রইং রুম। কারণ প্রথমেই যখন কোনো গেস্ট ঈদের দিন বাসায় বেড়াতে আসে তখন আমরা তাকে সাধারণত ড্রইং রুমেই প্রথমে নিয়ে যাই। তাই ড্রইং রুমকে সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হবে। তবে যেভাবেই সাজই না কেন প্রথমে যেটা খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল ঘরের আয়তন। এর ওপর ভিত্তি করে সোফা, কার্পেট, পর্দা, ঝাড়বাতি ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। যেমন ঘরের আয়তন যদি বড় হয় তাহলে আমরা বড় সোফা রাখতে পারি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সেন্টার টেবিল, ল্যাম্পশেডও রাখা যেতে পারে। এছাড়া বসার ঘরটিতে আরও নান্দনিকতার ছোঁয়া আনতে হলে সিলিংয়ে যদি বিম থাকে তবে সেখানে স্পটলাইটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর ফলে ঘরটি উজ্জ্বল ও আরও বড় লাগবে। এছাড়া আমরা কিছু তাজা ফুলও ইনডোর প্লান্ট ও ড্রইং রুমে রাখতে পারি। ফুল পবিত্রতার প্রতীক। ফুলের স্নিগ্ধ গন্ধ অতিথির মন যেমন কেড়ে নেবে সেইসঙ্গে বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদের মনমানসিকতারও পরিচয় বহন করবে।

 

ডাইনিং রুম : ডাইনিং রুমটিও খুব ছিমছাম ও পরিপাটিভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখতে হবে ঈদের দিন। খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বাঙালির ভালোবাসা চিরকালীন। আর সেই খাওয়ার জায়গাটি যদি নিখুঁত, পরিপাটি হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। তাই ঘরে কোনো বাড়তি জিনিসপত্র না রেখে ডাইনিং রুমের একপাশে ডিনার ওয়াগন রেখে সেখানে সব থালাবাসন, চামচ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে ঈদের দিন যে কোনো সময় অতিথি এলে সেগুলো সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

খাবার ঘরে আলো পর্যাপ্ত থাকলে ভালো হয়। এখানেও ফলস সিলিংয়ে আলোর ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ডাইনিং রুমের দেয়াল কোনো ফলের ছবি দিয়ে সাজাতে পারেন। আবার ডাইনিং টেবিলে রানার ব্যবহার করতে পারেন। রানার বিভিন্ন মার্কেটেও পাওয়া যায়। ইচ্ছে করলে আপনি নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন। রানারে লেস বা কাতান কাপড়ও ব্যবহার করতে পারেন নিজের পছন্দমতো। এছাড়া পর্দা, ডেকোরেশনগুলোও ফার্নিচারের সঙ্গে মিল রেখে সাজাতে পারেন। ঈদের আগের রাতে সবকিছু গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার অতিথিদের মুগ্ধ দৃষ্টি ঈদের আনন্দকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। শেষ কথা হল- যেভাবেই ঈদের দিন ঘর সাজান না কেন, সবকিছুতেই যেন আন্তরিকতার ছোঁয়া থাকে। আনন্দে থাকুন। সবার জন্য রইল ঈদের শুভেচ্ছা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/যুগা/আরএ/এ/২৪জুলাই ২০১৪.

ঈদের কেনাকাটায় নারীর ব্যস্ততা

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম:  ঈদ সামনে রেখে পুরোদমে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনতে রাজধানীর শপিং মলগুলোয় দিন দিন বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। আর এ কেনাকাটায় এগিয়ে রয়েছে মধ্য বয়স্ক নারী ও তরুণীরা।

 

tmth

 

নতুন ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ : রাজধানীর নিউমার্কেট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সেসহ সকল শপিংমল ও ফ্যাশন হাউসগুলোতে নতুন ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ শোভা পাচ্ছে। তবে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ঈদকে কেন্দ্র করে হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল, বিভিন্ন চরিত্রের নামে ও নায়ক-নায়িকার নামে নাম রাখা হয়েছে শাড়ি ও থ্রিপিসের।

বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ধুম-থ্রি, লুঙ্গিড্যান্স, রামলীলাসহ হিন্দি সিরিয়ালের চরিত্র পাখি, গুঞ্জন, বিড়া, মধুরমা, মনের খুশি, তেরেঙ্গা, ফড়িং, কলকাতার নায়িকা কোয়েল মল্লিকের নামেও পোশাকের নামকরণ করা হয়েছে।

 

রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, নয়াপল্টন, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডির শপিংমল, বসুন্ধরা সিটি, কর্ণফুলি গার্ডেন সিটি, গুলশান, বনানী, উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় এ সব পোশাক। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমদানিকারকরাই পোশাকের বিচিত্র নাম দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

গাউছিয়া মার্কেটের শাড়ি মেলার স্বত্বাধিকারী ওসমান ফারুক বলেন, ‘ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মূলত এ সব নাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গত কয়েক বছর ধরেই ঈদের বাজারের পোশাকের নাম ভারতীয় নায়িকা, সিরিয়ালের নামে নামকরণ করা হচ্ছে। ক্রেতারা খুশি হয়েও নতুন নামের পোশাকে কিনতেই এখন পছন্দ করে।’

 

দেখা যায়, এ সব পোশাকের জৌলুস বাড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে লেইস, চুমকি, পুঁতি, ব্লক, পট্টি, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, অ্যাপলিক, কুচি এবং হরেক রকমের সুতোর বুনন। এদিকে গরমের সিজন হওয়ায় ডিজাইনাররা লাল-নীল-হলুদ-সাদা-গোলাপীসহ অনেক উজ্জল রং বেছে নিয়েছেন।

 

timthumb (2) 

 

নিউমার্কেটে আসা ক্রেতা তানিয়া জাহান বলেন, ‘এবার ঈদে নতুন ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ এসেছে। তবে পোশাকের দাম যাই হোক, ওই দামেই তিনি কিনবেন।’

ওড়নার ফ্যাশন : কামিজের সঙ্গে তো বটেই, ফতুয়া দিয়ে ওড়না পরার ফ্যাশনও এখন বেশ চলছে। পাশাপাশি ছেলেদের টি-শার্ট কিংবা পাঞ্জাবির সঙ্গেও মানানসই ওড়নার ব্যবহার নজরকাড়া। আর ঈদে তো চাই বাড়তি ফ্যাশন। ফ্যাশন হাউসগুলোর পাশাপাশি রাজধানীর গাউছিয়া ও চাঁদনী চকে হরেক রকমের ওড়না পাওয়া যাচ্ছে।

 

চাঁদনী চকের ওড়না ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে মসলিনের ওড়না বিশেষ করে সাদা ও সোনালি রঙের মসলিন ওড়নাই বেশি চলছে। মসলিনের ওড়নাগুলো সাত-আটটি রঙে পাওয়া যায়। এ ছাড়া চুনট ওড়না ১১০ টাকা, এমব্রয়ডারির কাজ করা ও পাড়সহ জর্জেটের ওড়না ২৫০ টাকা, নাইলনের টানা সুতি ও বিন্দু ওড়না ১৫০ টাকা, খাদি ও তাঁতের ওড়না ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

নিউমার্কেটের ওড়না ক্রেতা নাজনীন নাহার জানান, তৈরি পোশাকের চেয়ে দর্জি দিয়ে তৈরি পোশাকের মান অনেক ভালো। তাই এখান থেকে কাপড় কিনেছি। এখন ম্যাচিং করে শিফনের ওড়না কিনছি।
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় এখানে অল্প দামে ভালো ওড়না পাওয়া যায়। কাপড় অনুপাতে দাম রাখছে। এ ছাড়া অন্যান্য পোশাকের চেয়ে ওড়নার দাম অনেক কম।’

 

ফ্যাশন হাউস নগরদোলায় রয়েছে মসলিনের স্ক্রিন প্রিন্টের ওড়না, সুতির ওড়না, খাদির ওড়না, বিভিন্ন শেড ও এক কালারের ওড়না, মণিপুরি ওড়না পাওয়া যাচ্ছে। এ সব ওড়না ২৭০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।

 

ফ্যাশন হাউসে বাঙালিয়ানা পোশাক : ঈদকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন হাউসগুলোতে খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে না এ ট্রেন্ড বা ধারার। সিজনটা গরমের হওয়ায় সালোয়ার-কামিজের কাপড় হিসেবে সুতিই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানালেন ডিজাইনাররা। এ ছাড়া অ্যান্ডি কটন, তাঁত, সিল্ক, হাফসিল্ক, শিফন, চিনন আর কাতানটাও চলছে বেশি। রঙেও এসেছে বৈচিত্র্য। লাল, নীল, মেরুন, সবুজ, ফিরোজা, ম্যাজেন্টা, কমলা, গোলাপিসহ নানা উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ে।

 

আজিজ সুপার মার্কেটের ফ্যাশন ডিজাইনার নীপা খালিদ জানান, এবার নরমাল ছাঁটের কামিজে ভ্যালু অ্যাডিশন হিসেবে কারচুপি, লেইস, পট্টি ব্যবহার করা হয়েছে। আর কামিজ হচ্ছে লম্বায় ছোট। শর্ট চুড়িদার ও সামান্য একটু ভাঁজ করা ধুতি সালোয়ারের পাশাপাশি নরমাল সালোয়ারতো আছেই। কামিজের সঙ্গে মিল রেখে সালোয়ারে করা হয়েছে মেশিন এমব্রয়ডারি।

 

আড়ং, মায়াসির, কে-ক্রাফট, প্রবর্তনা, রঙ, বাংলার মেলা, চরকা, অন্যমেলা, অঞ্জনস, নগরদোলা, সাদাকালো, বিবিয়ানা, ক্রিয়েশনস, কীত্তনখোলা, ওজি, দেশাল, বাঙ্গাল, মাঠসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে বিভিন্ন ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ উঠেছে। আর এ সব পোশাকের দাম নিম্নে ১৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

 

পছন্দের শীর্ষে শাড়ি : ঈদকে ঘিরে এবার ফ্যাশন হাউসগুলো এবং দোকানিরা বাহারি নাম আর ডিজাইনের শাড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এর সঙ্গে মিরপুরের বেনারসী পল্লীর ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়েছেন ঐতিহ্যবাহী কাতান, জামদানি, তাঁত ইত্যাদি শাড়ির।

 

নিউমার্কেটের রাজশাহী সিল্ক-এর দোকানি মাহবুব হায়দার জানান, ঐতিহ্যবাহী শাড়ির চাহিদা সব সময়ই থাকে। তবে ঈদ মৌসুমে শাড়ি বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। এর মধ্যে আবার রাজশাহী সিল্কের শাড়ি নারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। এ সব শাড়ির দাম ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।

 

জানা যায়, ঢাকাই জামদানি আড়াই হাজার থেকে ৮-৯ হাজার টাকা, সুতি তাঁতের শাড়ির দাম ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মিরপুরের তৈরি কাতানের দাম দেড় হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

 timthumb

এদিকে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের শো-রুমগুলোতে আনা হয়েছে হাজার রকমের বুটিক, চুমকি, অ্যাপ্লিক, কারচুপি, প্যাঁচওয়ার্ক ও হাতের কাজ করা বাহারি ডিজাইনের শাড়ি। ডিজাইনের পাশাপাশি দামটাও বেশ চড়া হওয়ায় অনেক ক্রেতা এখনও এই শাড়িগুলো দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছেন। এখানকার শাড়ির দাম নিম্নে ৮ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

 

জামদানি শাড়ি কুটিরের বিক্রেতা সাইফুল আহমেদ জানান, তার দোকানে সর্বনিম্ন ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের জামদানি শাড়ি রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে টাঙ্গাইল শাড়ি, সুতির জামদানি শাড়ি ইত্যাদি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/দ্য:রি:/আরএ/এ/২৪ জুলাই ২০১৪ই.