banner

বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 173 বার পঠিত

পরিবর্তন করুন নিজের চিন্তা পদ্ধতি

145_bra

সিবিটি তথা ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ারেল থেরাপি’ নামের সেলফ-হেলপ টেকনিক অর্থাৎ নিজে নিজে প্রয়োগ করার কৌশল কাজে লাগিয়ে অর্থহীন চিন্তা ও আচরণ পরিবর্তন করা যায়। এটি নজর দেয় ‘here and now’ সমস্যার ওপর। এবং এর তাগিদ আপনার বর্তমান মনের অবস্থা উন্নয়নের ওপর। যদিও এর প্রতিশ্রুতি শারীরিক অসুস্থতা দূর করা, তবুও এটি বেশি পরিচিত মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা চিকিৎসার জন্য, বিশেষ করে ডিপ্রেশন তথা বিষন্নতা দূর করার জন্য। অর্থহীন চিন্তা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। অার তা দূর করতে নিজে নিজে এসব চিন্তা দূর করার কেৌশল রপ্ত করতে হবে।

নেগেটিভ ক্যালোরি নিয়ে বিভ্রান্তি

গোশত দিয়ে তৈরি একটি বার্গারে কয়েকটি সেলারি স্টিক বা শাকডাঁটা যোগ করে কি এ থেকে ক্যালোরি কমানো যায়? বড় এক প্লেট নুড্ল্সের সাথে বেশি করে সালাদ খেলেই কি চর্র্বি কমিয়ে দিতে পারে? আহা যদি তেমনটি সত্যি হতো, তাহলে ভালোই হতো। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই সমীক্ষায় অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের খুব স্বাস্থ্যপ্রদ খাবার না দিলেও তাদের শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সমীক্ষায় অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যারা তাদের ওজন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তাদের ক্যালোরির হিসাবে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। তারা ধরে নিয়েছিলেন এক থালা সালাদে রয়েছে ৬২৩ ক্যালোরি এবং একটি বার্গারে রয়েছে ১১৫ ক্যালোরি, যখন এর সাথে ছিল সেলারি স্টিক বা শাকডাঁটাও। এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রণেতা আলেক্সান্ডার চেরনেভ বলেন, খাবারকে ভালো কিংবা মন্দ বিবেচনা করা পথ্য গ্রহণকারীকে এ ব্যাপারে বিপথগামী করে তুলতে পারে যে তারা কতটুকু খাবার খাবেন।

প্রযুক্তি জেনে সমাধান
প্রযুক্তিজানা মানুষ তথা টেক-সেভি পিপল স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ের ওপর যেমন আরো ভালো উপায়ে নজর রাখতে পারেন, ঠিক তেমন সুস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণও করতে পারেন। যাদের টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, তাদের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে অব্যাহত ব্লাডসুগার পরীক্ষা করা। ব্লাডসুগারের মাত্রা যাতে নিরাপদসীমা না পার হয়, সে জন্য এদের অনেকেই দিনে চারবার কিংবা তার চেয়েও বেশিবার ব্লাডসুগার চেক করেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, একটি সিজিএম তথা ‘কনটিনিউয়াস গ্লুকোজ মনিটর’ চামড়ার ঠিক নিচে ঢুকিয়ে দিলে তা প্রতি পাঁচ মিনিট পরপর গড় গ্লুকোজ মাত্রা রেকর্ড করে। এটি এ ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের অগ্রগতি। এর ফলে পুরনো আমলের ফিঙ্গার-প্রিক টেস্টিংয়ের আর দরকার হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের জুবিনাইল ডায়াবেটিস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব লোক সিজিএম ব্যবহার করেছেন তারা ফিঙ্গার-প্রিক টেস্টিংয়ের ওপর নির্ভরশীলদের তুলনায় প্রতিদিন দুই ঘণ্টা সময় বেশি খরচ করেছেন ব্লাডসুগার মাত্রা টার্গেট করার জন্য। এই ফাউন্ডেশনের অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, ইনসুলিন পাম্পিং থেরাপির পাশাপাশি সিজিএম ব্যবহার করে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

বিভিন্ন কেন্দ্রের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস ওয়ান রোগীরা মাল্টিপল ডেইলি ইনসুলিন ইনজেকশন ব্যবহারকারীদের তুলনায় আরো ভালো উপায়ে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে একটি সেন্সর-অগমেন্টেড ইনসুলিন পাম্প ব্যবহার করে। এই ব্লাডগ্লুকোজ লেভেলের উন্নয়ন ঘটেছে হাইপোগ্লাইকেমিয়ার হার না বাড়িয়েই।

Facebook Comments