banner

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 432 বার পঠিত

সুখে আছেন কুষ্টিয়ার শেফালী

 

Kustia-820140724125613

নিজের টেইলার্সে শেফালী খাতুন (কাঁঠালি রঙের শাড়ি পরা)

 

 

কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া : সংগ্রামী এক নারীর নাম শেফালী খাতুন। জীবন-জীবিকার তাগিদে উপজেলার আমলা বাজারে মহিলা টেইলার্স এ্যান্ড এ্যমব্রোডারি নামের একটি দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই সে আজ স্বাবলম্বী।

শেফালী খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের আমলা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী ফরাজীর মেয়ে।

 

১৯৯২ সালের দিকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে তার অমতে পরিবারের লোকজন বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর নির্যাতন ও যৌতুকের দাবিতে তার আর সংসার করা হয়নি।

 

১৯৯৬ সালে দুইটি মেয়েসহ তাকে তালাক দিয়ে দেয় তার স্বামী। শেফালী ফিরে আসে তার বাবার বাড়ী। তারপর থেকেই শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। সেলাই কাজের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৪ সালে আমলা বাজারে মহিলা টেইলার্স এ্যান্ড এ্যামব্রয়ডারি নামের দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার দোকানে কাজ করে এলাকার অসহায় স্বামী পরিত্যাক্তা আরো ৭-৮ জন নারী।

 

শেফালী খাতুন জানান, এই ব্যবসা করেই বড় মেয়ে বৈশাখী খাতুনকে প্রতিষ্ঠিত পাত্রের সাথে বিয়ে দিয়েছি। বড় মেয়ে কুষ্টিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে অনার্স পড়ছে। আর ছোট মেয়ে পুষ্প খাতুন আমলা জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। সেই সাথে আমলা ওয়াপদা কলোনির পাশে ৭ কাঠা জমি কিনে প্রাচীর দিয়ে পাকা বাড়ী নির্মান করে বসবাস করছি।

 

আর কেন বিয়ে করেননি এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে আজ আমি স্বাবলম্বী হয়ে জামাই মেয়ে নিয়ে সুখে আছি। বাকী জীবনটা এভাবেই কাটাতে চাই। বিয়ে টিয়ে আর করবো না।

 

আমলা ইউপি চেয়ারম্যান ডা. রফিকুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, শেফালী খাতুন আজ স্বাবলম্বী নারীদের মধ্যে একজন। সে রোকেয়া দিবসে আমলা ইউনিয়ন, মিরপুর উপজেলা পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা ও খুলনা বিভাগীয় পর্যায় থেকে জয়ীতা নির্বাচিত হয়েছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৫ জুলাই ২০১৪

Facebook Comments