All posts by Oporajita

 

আরামদায়ক পোশাক স্কার্ট

প্রকৃতির পালাবদলের সাথে আমাদের পোশাকেও আসে পরিবর্তন। না গরম না ঠান্ডার এই সময়টায় একটু আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন করতে হবে। স্বস্তি ও ফ্যাশনের কথা ভেবেই এই সময় তরুণীরা পছন্দ করেন স্কার্ট ও টপস পরতে। স্কার্ট একসময় শিশু-কিশোরীদের পছন্দের পোশাকের তালিকায় থাকলেও এখন তা তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

স্কার্ট-টপস মূলত টিনএজারদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়। তবে সব বয়সের নারীই এ পোশাকে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোন বয়সের সঙ্গে কোনটি মানানসই সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। টিনএজারদের উপযোগী আনিজেন হেমলাইন সেমিলং স্কার্ট এখন বেশ চলছে। এটি কালারফুল নরসিংদির কটন কাপড় দিয়ে তৈরি, যা কি-না সমসাময়িক হাল ফ্যাশনের উপযোগী। সঙ্গে আঙ্গারেখা স্টাইলে শর্ট লেন্থ টপস। স্কার্ট-টপসের সঙ্গে চাইলে স্কার্ফ নিতে পারেন। খুব চওড়া স্কার্ফ না দিয়ে চিকন স্কার্ফ বেঁধে দিতে পারেন গলায়। গরমে কটন ও লিনেন স্কার্ট বেশ আরামদায়ক। রঙের ক্ষেত্রে বাছাই করতে পারেন নীল, সবুজ, হালকা আকাশি ও হালকা হলুদ।

গরমের জন্য গেঞ্জি কাপড়ের স্কার্ট অনেক আরামদায়ক। এই গরমে স্কার্টের সঙ্গে লুজ টি-শার্ট বেশি মানানসই। আবার কয়েক পরত কাপড়ের ডিজাইনের সঙ্গে পুঁতি আর ফিতা দেওয়া স্কার্টও আছে। চাইলে ফিতা দিয়ে পেঁচিয়ে একপাশে বেঁধেও পরা যাবে এই স্কার্ট। আর কাপড় নির্বাচনে সুতি এবং হাতে তৈরি কাপড়ের প্রাধান্য রয়েছে। এ ধরনের স্কার্ট পরতে অনেক আরামদায়ক।

প্রতিদিন ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে ক্লাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা রাতের পার্টিতেও এ ধরনের স্কার্ট মানানসই। স্লিভলেস ম্যাগি ছোট হাতা, ঘটি হাতা কিংবা থ্রি-কোয়ার্টার টপসের সঙ্গে আপনি পরতে পারেন স্কার্ট। চাইলে টি-শার্টের সঙ্গেও পরতে পারেন স্কার্ট। এছাড়া রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, হকার্স মার্কেট, রাইফেল স্কয়ারসহ অন্যান্য মার্কেটেও পাবেন আপনার পছন্দসই স্কার্ট ও টপস।

 

সেইলর এর পরবর্তী স্টার হোক আপনার সন্তান

সেইলর। এই সময়ের আলোচিত ও বাংলাদেশের হাই ফ্যাশনের সেরা ফ্যাশন হাউজগুলোর মধ্যে একটি। ওয়েস্টার্ন ধারার এই ফ্যাশন হাউজটি প্রথম থেকেই ক্রেতাদের মধ্যে আলেঅচনার জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে তাদের পণ্যের মান ও স্টাইল দিয়ে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি তাদের আগমনী শীতের ফটোশুটের জন্য ছোট ছেলেমেয়েদের ছবি আহবান করেছে! যেখানে আপনি আপনার সন্তানের ছবি পাঠিয়ে তাকে আগামী দিনের স্টার হিসেবে তৈরি করতে পারেন। নিচে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া বিজ্ঞাপনটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
সব বাবা মার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি!

সেইলর কিডস কাস্টিং কল ২০১৬তে পাঠিয়ে আপনার সন্তানকে সেইলর এর পরবর্তী সুপারস্টার তৈরি করুন। আমাদের আগত শীতের ফটোশুটের জন্য তার ছবি আমাদেরকে পাঠান।

নিচের নিয়মকানুন মেনে আমাদেরকে আপনার বাচ্চার ছবি পাঠান: 
আপনার সন্তানের ছবিটি এখানে ইমেইল করলেই হবে: hello@sailor.com.bd অথবা আপনার সন্তানের ছবিটি ফেসবুকে ম্যাসেজ পাঠান  facebook.com/clothings.sailor. এই ঠিকানায়। ম্যাসেজ এর বিষয় লিখতে হবে: Sailor Kids Casting Call 2016

যেসব বর্নণা প্রযোজন:
১. আপনার সন্তানের ভালো কোয়ালিটির ছবি পাঠান যা দুই ফুট দূর থেকে তুলতে হবে।
২. নাম:
৩. বয়স:
৪. উচ্চতা:
৫. পিতামাতার নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা:
৬. ঠিকানা:

নিয়ম কানুন ও শর্ত:
বয়স ৩ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত হতে হবে।
৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখের মধ্যে ছবি পাঠিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে।
উপস্থাপিত ছবি অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির হতে হবে যা ২ ফুট দূর থেকে তুলতে হবে।

Save

Save

Save

 

শ্বাশুড়ির সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে বুঝে নিন তাঁর মনস্তত্ব

আমাদের মাঝে অনেকেই অভিযোগ করেন তাদের শ্বাশুড়িরা তাদের পছন্দ করেন না। মনে করাটা কিন্তু অযৌক্তিক নয়। মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিষয়টা সত্যি। ছেলের বৌ এর ক্ষেত্রে নানান রকম জটিল ভাবনা বিরাজ করে মায়ের মনে। সব ভাবনা যে সচেতন মনে ভাবছেন তা নয়। অবচেতন মনেই তার এই ভাবনাগুলো জড়ো হয়ে তাঁকে দিয়ে করিয়ে এমন সব কাজ যা হয়ত ব্যহত করছে আপনার জীবন। কী তার সাইকোলজি, আসুন জেনে নিই-
ছেলের বউ হিসেবে আপনাকে চান নি তিনি
মায়েরা ছোটবেলা থেকে তাদের ছেলের জন্য একটা স্বপ্নের পৃথিবী সাজান। তারা নিজেরাই কল্পনা করে নেন কেমন হবে তার ছেলের বউ। সেই ‘কেমন হবে’ চেহারা থেকে শুরু করে তার শরীরের গঠন, সংসারের কাজকর্ম সব কিছুরই একটা ছক। সেই ছকমত না মিললে তার মন আর মেনে নিতে পারে না।
আপনি বেশী আকর্ষণীয়
শুনতে মোটেই ভাল লাগছে না কথাটা। কিন্তু সত্যি। আপনি যদি আপনার শ্বাশুড়ির তুলনায় বেশী আকর্ষণীয়, স্মার্ট, কাজে পারদর্শী হন তাহলে তিনি ঈর্ষাবশতই আপনাকে পছন্দ করবেন না। আপনি হয়ত এসেই সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। আপনার রান্না, ঘর গোছানো থেকে শুরু করে সবকিছুই মুগ্ধ করছে পরিবারের সবাইকে। বুদ্ধিতেও আপনি সেরা। আপনার শ্বাশুড়ির এটা ভাল না লাগাই স্বাভাবিক। কারণ গৃহকর্ত্রী হইসেবে এতদিন তার দখলেই ছিল সব প্রশংসা।
অনিরাপদ বোধ
নতুন একজন মানুষ পরিবারে চলে আসার পর তার সাথে তিনি সরাসরি মানিয়ে নিতে চান। কিন্তু মানুষটি একেবারে তার উত্তরাধিকারী অবস্থানে আসায় তিন অনিরাপদবোধ করে থাকেন। ছেলে দূরে সরে যাবে, তার হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে এই ভাবনা তাকে তটস্থ করে রাখে।
অর্থ-সম্পদ
আপনি যদি আপনার শ্বাশুড়ির তুলনায় অধিক ধনী পরিবারের হন এবং ভাল চাকরি করেন সেটাও তাকে মানসিকভাবে চাপে ফেলতে পারে। খেয়াল করে দেখুন, আমাদের দেশের মায়েরা কম শিক্ষিত গরীব পরিবারের মেয়েকে ঘরের বৌ করে আনতে চান। তারা মনে করেন এতে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। কিন্তু এখন আর সেটা করা যায় না। ঘরে উচ্চ শিক্ষিত বউ থাকা সামাজিক মর্যাদার ব্যাপার। তাই উচ্চ শিক্ষিত মেয়েটিকে ছেলের বউ করে আনা তো হল, কিন্তু শিক্ষা তাকে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস, স্বাধীনচেতা মনোভাব। যা ব্যহত করে শ্বাশুড়ির নিয়ন্ত্রণ মানসিকতাকে।
কীভাবে থাকবেন মিলেমিশে?
আপনার শ্বাশুড়ির আপনার প্রতি যে বিরূপ মনোভাব তা আসলে ছেলের প্রতি তার অগাধ ভালবাসার ফল। তিনি খারাপ মানুষ নন বা আপনার খারাপ চান এমনটাও নয়। তার প্রতিটি আচরণের রয়েছে সাইকোলজিকাল ব্যাখ্যা। তাই তাকে ভুল বুঝবেন না বা রাগ করে থাকবেন না। আপনি যা করতে পারেন –
১। শ্বাশুড়িকে ভিন্ন কোন সম্বোধন না করে আপনার স্বামীর করা সন্মোধনটি বেছে নিন।
২। তার সংসারে আপনি নতুন অতিথি। যে কোন কাজে তার পরামর্শ নিন।
৩। আপনার অধিকার আপনাকে বুঝে নিতেই হবে। আত্মসম্মানের জায়গায় কোন ছাড় দেবেন না। তবে শুরুতে তার বন্ধু হন। নিজের সম্পর্কে একটি ইতিবাচক জায়গা তৈরি করুন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

ইন্টেরিয়র ডিজাইন যেভাবে প্রভাব ফেলে আপনার মনস্তত্বে

মানুষের মনস্তত্ত্বের উপর ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রভাব নিয়ে কথা বলছিলাম আমরা। ফিচারটির প্রথম পর্বে আমরা জেনেছি, রঙ কীভাবে আমাদের মনে ছাপ ফেলে। একইসাথে জেনেছি একটি বাড়ির রঙ কেমন হওয়া উচিৎ, কোন ঘরের হবে কী রঙ এবং কেন! আজ আমরা কথা বলব ইন্টেরিয়র ডিজাইনের অন্য আরও যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো নিয়ে। শুধু রঙই নয়, বাড়ির আকৃতি, জানালার ধরণ, বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা এসবেরও প্রভাব পড়ে আমাদের মস্তিষ্কে। আসুন জেনে নিই বিস্তারিত-
গৃহসজ্জা প্রকাশ করে আপনার ব্যক্তিত্ব
সমাজবিজ্ঞানী Jean Baudrillard তার ‘The System of Objects’ বইতে গৃহসজ্জার ব্যাপারে আলাদাভাবে জোর দেন। দেয়ালে রঙ দেওয়ার পরের কাজটিই হল সেই রঙের সাথে মিলিয়ে আপনার ঘরের সাজ কেমন হবে সেটা। জায়গাকে পূর্ণ করছে এমন প্রতিটি জিনিসই মানুষের কাছে আপনার পছন্দ সম্পর্কে একটি মেসেজ দেয়। জিনিসটি যে কোন কিছুই হতে পারে। দেয়ালের একটি ওয়ালম্যাট থেকে শুরু করে ফুলদানির নীচের ম্যাটটি পর্যন্ত আপনার ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে।
মানুষ আপনার গ্ররহসজ্জাকে মূল্যায়ণ করে ৩ ভাবে।
কতটা কাজের-
জিনিসটি কি আপনার কাজের? অর্থাৎ সেটা জরুরী ছিল বলে ব্যাবহার করা নাকি নেহায়েতই সৌখিনতা? ডাইনিং টেবিলটা কি পুরো পরিবারের একসাথে বসার জন্য পারফেক্ট?
বিনিময় মূল্য-
দামের সাথে জিনিসগুলোর প্রয়োজনীয়তার সামঞ্জস্য আছে তো? অর্থাৎ, আপনার ব্যয় করার ধরণ কেমন? আপনি কি একটা বেডরুম স্যুটের সমান দামে শুধু একটি সোফা ক্রয় করবেন?
প্রতীকী-
আপনার পছন্দের জিনিসগুলো কি কোনভাবে আবেগের সাথে জড়িত? আপনি কি একটি পারিবারিক ছবিকে দেয়ালে জায়গা দিয়েছেন নাকি কোন প্রিন্ট করা পেইন্টিং বেছে নিয়েছেন ঘর সাজাতে?
চিহ্ন-
জিনিসগুলোর সাথে কি কোন চিহ্নের সংযোগ আছে? কোন প্রতীক? কোন ব্রান্ডের প্রতীক অথবা কোন জাতির বিশেষ কোন নিদর্শন? নাকি শুধু গৃহসজ্জাই তার কাজ?
এই পয়েন্টগুলো পড়তে পড়তে আপনি নিজেই নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন আপনার কোন কাজটি আপনার সম্পর্কে মানুষকে কি তথ্য দিতে পারে। আপনি যদি সব আসবাব পরিবারের সবার কথা মাথায় রেখে কেনেন তাহলে বোঝা যায় আপনি একজন সৌহার্দ্রপূর্ণ আবেগী মানুষ। পরিবারের সাথে আপনার সম্পর্ক ভাল। আপনার ঘরের কর্ণারটি যদি নানান বন্ধুদের স্মৃময় ছবিতে পরিপূর্ণ থাকে তাহলে বোঝা যায়, আপনি আপনার জীবনে সময়ের মূল্য অর্থ দিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়ে দেন। আপনার ব্যয় যদি অযথা দামী জিনিসের ক্ষেত্রে বেশী হয় তাহলে বোঝা যায় আপনি কেমন অর্থ প্রতিপত্তির মালিক তা সবাইকে বোঝাতে চাইছেন।
তাই নিজের ঘর সাজানোর আগে এই বিষয়গুলো ভাবুন। আপনি হয়ত ভিন্নধর্মী মানুষ। কিন্তু কেনাকাটায় সতর্ক না থাকার কারণে আপনার গৃহসজ্জা আপনার সম্পর্কে মানুষকে ভুল তথ্য দিতে পারে। আবার একইসাথে আপনার মনের ছবি যদি আপনার ঘরে প্রকাশিত না হয় তা আপনাকেও অস্থির করে দেবে। দেখা যাবে, আপনি কিছুদিন পরপরই আসবাব বদলে দিচ্ছেন। এক দেয়ালের ছবি অন্য দেয়ালে সরিয়ে নিচ্ছেন। তার চেয়ে বরং কেনাকাটার সময় আপনার ব্যক্তিত্বের ধরণটাকে বুঝে মিলিয়ে কিনুন।
Perception of Space
ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে একটা কনসেপ্ট ফলো করেন। একে বলা হয় ‘Perception of Space’। তারা চেষ্টা করেন ঘরের জায়গা এমনভাবে ব্যবহার করতে যাতে মনে হয় ঘরটি বেশ বড়। ঘরে যত বেশী ফাকা জায়গা থাকবে তত আপনার মন ভাল লাগবে। অতিরিক্ত আসবাব ঘরের সৌন্দর্য্যই শুধু নষ্ট করে না, আপনার মুডও নষ্ট করে দেয়।
কখনো কি এমন হয়েছে যে আপনি কারও বাসায় বেড়াতে গেলেন আর বাড়িতে ঢুকেই আপনার বিরক্তি অনুভূত হতে লাগল? কখন বের হবেন এমন একটা অস্থিরতা বোধ হতে থাকলো? আমরা আসলে কখনো খেয়াল করি না যে আমাদের এই অস্থিরতার কারণ লুকিয়ে থাকে ঘরের স্পেস ম্যানেজমেন্টের মাঝে।
আপনি যদি আপনার ঘরকে আরও প্রশস্ত এবং বড় দেখাতে চান তাহলে ভারি আসবাবের বদলে হালকা নকশার আসবাব ব্যবহার করুন। পেছনের দেয়ালে লাগান একটি বড় আয়না। চেষ্টা করুন একই ধরণের আসবাব কিনতে, সম্ভব হলে একই রঙের অথবা কম্বিনেশনের। বিভিন্ন কোনায় ব্যবহার করুন আলোকসজ্জা।
Feng Shui
এটি একটি চাইনিজ শিল্প। আপনি যদি আপনার জীবনে অভূত পরিবর্তন আনতে চান তাহলে তা শুরু করতে পারেন আপনার ইন্টেরিয়র ডিজাইন থেকেই। প্রাচীন চাইনিজ আর্ট ফেং সুই ৩ হাজার বছর ধরে সারা বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বলা হয়, ফেং সুই এর পদ্ধতিগুলো সৌভাগ্যকে আকর্ষণ করে, সাফল্য, ভালোবাসা এবং ইতিবাচক শক্তিকে জীবনে বয়ে আনে। ফেং সুই তত্ত্ব ঘরের সজ্জায় গুরুত্ব দেয় প্রকৃতিকে। কৃত্রিমতার পরিবর্তে আদিমতাকে সে নিয়ে আসে ঘরের কোণায় কোণায়।
আপনার বাড়ির প্রবেশপথ পরিচ্ছন্ন রাখুন। দরজার রঙ এবং পথের সজ্জা হোক এমন যা মানুষকে স্বাগত জানায়। ফল, পাথর, গাছ, মাটিকে প্রাধান্য দিন গৃহসজ্জায়। বাতাস চলাচলকে বন্ধ নাকরে বরং যত বেশী পারা যায় আলো এবং বাতাস প্রবেশের পথ খোলা রাখুন।
এই সব কিছুই আপনার মস্তিষ্কে শান্তি এবং আনন্দের বার্তা দেবে। অবচেতন মন বাড়িতে প্রবেশ করলেই প্রশান্ত অনুভব করবে। বাড়ির প্রতি একটা আকর্ষণ, মায়ার বন্ধন তৈরি হবে আপনার। শুধু মাথা গোজার ঠাই নয়, বাড়ি হবে এমন জায়গা যেখানে মেলে শরীর এবং মনের সর্বোচ্চ আরাম। শুধু আবাসস্থল নয়, বাড়ি হোক আপনার পরম বন্ধু।
 
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

বিধর্মীদের বানানো মিষ্টি ও খাবার খাওয়া যাবে কিনা?

যতক্ষণ পযর্ন্ত নিশ্চিতভাবে এটা জানা না যায় যে, খাবার রান্না করার সময় কাফেরের হাতে বা পাত্রে নাপাক মিশ্রিত ছিলো না ততক্ষণ পযর্ন্ত তাদের রান্না করা খাবার খাওয়া জায়েয আছে।

আমাদের এলাকাতে হিন্দুদের অনেক খাবারের দোকান। এর মধ্যে আছে মিষ্টির দোকান আছে। বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে হিন্দুদের দোকান থেকে মিষ্টি কিনতে হয়। আবার তাদের দোকানে গিয়ে খাবার খেতে হয়। তাই আমার জানার বিষয় হচ্ছে হিন্দুদের এই সব খাবারের বিধান কী?

যতক্ষণ পযর্ন্ত নিশ্চিতভাবে এটা জানা না যায় যে, খাবার রান্না করার সময় কাফেরের হাতে বা পাত্রে নাপাক মিশ্রিত ছিলো না ততক্ষণ পযর্ন্ত তাদের রান্না করা খাবার খাওয়া জায়েজ আছে। আর যদি নাপাক হওয়া সম্পর্কে জানা যায় তাহলে তাদের খাবার খাওয়া না জায়েজ। [ইমদাদুল মুফতীন ১০১৫]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

দাম্পত্য জীবনের স্মৃতি স্বরূপ ছবি তোলা যাবে কিনা?

যে কোন প্রয়োজনে যেমন হজে গমন কিংবা রাষ্ট্রিয় কোন কাজের জন্য ছবি তোলা জায়েয। কিন্তু শখের কারণে কোন ছবি তোলা কখনো জায়েয হবে না।

নিজের স্মৃতি চিহ্ন বা বন্ধুদের কিংবা মা-বাবার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য অনেকে ছবি তোলে রাখে আবার অনেকে নতুন দাম্পত্ত জীবনের ছবি তুলে রাখে। এই ছবি তোলা কি ইসলামে বৈধ্য আছে?

যে কোন প্রয়োজনে যেমন হজে গমন কিংবা রাষ্ট্রিয় কোন কাজের জন্য ছবি তোলা জায়েয। কিন্তু শখের কারণে কোন ছবি তোলা কখনো জায়েয হবে না। ঠিক তেমনই দাম্পত্ত জীবনের স্মৃতি ধরে রাখার জন্যও ছবি তোলা জায়েয হবে না। [ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়া ৬-২৭১]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

বিকেলের নাস্তায় তৈরি করে ফেলুন মজাদার পটেটো ললিপপ

আলু নামের সবজিটি সবার অনেক প্রিয়। বিকেলের নাস্তায় আলু পুরি, আলুর চপ, আলুর কাটলেট কতরকম খাবার তৈরি করা হয়। আলুর তৈরির আরেকটি মজাদার নাস্তা হল পটেটো ললিপপ। খুব সহজে অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে ঝটপট তৈরি করতে পারবেন মজাদার পটেটো ললিপপ।

উপকরণ:

২-৩টি সিদ্ধ আলু

১/২ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস

১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি

২-৩ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি

১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট

১/৪ চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়ো

১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো

১/২ চা চামচ আমচূর গুঁড়ো অথবা লেবুর রস

লবণ

২ টেবিল চামচ ময়দা

১ চা চামচ ইটালিয়ান সিজলিং

১ চা চামচ শুকনো মরিচের গুঁড়ো

১/৪ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস

তেল

সস তৈরি:

৩ টেবিল চামচ মেয়নিজ

১/৪ কাপ টকদই

১ চা চামচ চিনি

১ চিমটি লবণ

গোল মরিচের গুঁড়ো

২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি

ধনেপাতা কুচি

প্রণালী:

১। প্রথমে একটি পাত্রে সিদ্ধ আলু চটকে নিন।

২। এরসাথে পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, মরিচ গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, ব্রেড ক্রাম্বস, আদা রসুনের পেস্ট, আমচূর পাউডার বা লেবুর রস এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মেশান।

৩। আরেকটি পাত্রে এক টেবিল চামচ ময়দা আর পানি দিয়ে গোলা তৈরি করে নিন।

৪। অন্য পাত্রে ব্রেড ক্রাম্বসের সাথে শুকনো মরিচ গুঁড়ো এবং ইটালিয়ান সিজলিং মিশিয়ে নিন।

৫। আলুর পেস্ট দিয়ে ছোট বল তৈরি করে প্রথমে ময়দার মিশ্রণে তারপর ব্রেড ক্রাম্বসের জড়িয়ে নিন।

৬। তেল গরম হয়ে আসলে আলুর বলগুলো তেলে দিয়ে দিন।

৭। বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। টুথপিকে গেঁথে পরিবেশন করুন।

৮। সস তৈরির জন্য মেয়নিজ, ঘন টকদই, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, চিনি এবং লবণ দিয়ে ভাল করে মেশান।

৯। মেয়নিজ সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পটেটো ললিপপ।

 

চাকুরীজীবিদের জন্য পোশাক তৈরী করলো গ্রামীণ ইউনিক্লো

কর্মক্ষেত্রে নিজেকে অনন্য রাখতে ও আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিটি কাজে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে যেমন দরকার আপনার বুদ্ধিমত্তা তেমনি আপনার পোশাকও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গ্রামীণ ইউনিক্লো নিয়ে এলো চাকুরীজীবিদের জন্য পারফেক্ট ফিটের ও আরামদায়ক ফেব্রিকের ওয়ার্ক ফ্যাশন কালেকশন।

চাকুরিজীবিদের জন্য বিশেষভাবে আনা হয়েছে এই কালেকশন। এই কালেকশনে বিজনেস স্টাইল শার্ট পাচ্ছেন ১৪৯০ টাকায়, চিনো প্যান্টস পাচ্ছেন ১৬৯০টাকায়। কামিজ পাচ্ছেন ১৬৯০ টাকায়, পেন্সিল প্যান্টস পাচ্ছেন ৯৯০ টাকায় ও পালাজ্জো পাচ্ছেন ৭৯০ টাকায়। ছেলেদের ট্যাংক টপ, বক্সারব্রিফ ও মেয়েদের লেগিংস পাচ্ছেন প্রতি পিস ৩৫০ টাকা করে। তবে এই ক্যাম্পেইন-এ ট্যাংকটপ, বক্সার ও লেগিংস দুইটি কিনলে পাবেন ১৫% ছাড়, তিনটি কিনলে ২০% ছাড় এবং ৪ বা ততোধিক কিনলে ২৫% ছাড়। অফার চলবে ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত।

গ্রামীণ ইউনিক্লো এর বর্তমানে ৯টি আউটলেট আছে। গ্রামীন ইউনিক্লো আউলেট লোকেশন: বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, ধানমন্ডি সাইন্সল্যাব মোড়, কাটাবন মোড়, খিলগাঁও তালতলা, নয়াপল্টন, মিরপুর-০১, মোহাম্মদপুর রিংরোড এবং গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে। আরো জানতে লগইন করুন: www facebook.com/grameenuniqlo

 

৫টি কৌশলে সম্পর্ক ভাল রাখুন সহকর্মীর সাথে

অফিসে কাটে দিনের দীর্ঘ একটা সময়। সকালে ঘুম থেকে উঠে গুছিয়ে চলে আসি আমরা কর্মক্ষেত্রে। এরপর সারাটাদিন কাটে ব্যস্ততায়। বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিতেই বেশী ভাল লাগে। ভাল লাগে নিজের মত থাকতে। কিন্তু সে আর কতটা সময়। কিছুক্ষণ পরই খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি আমরা। দিনের বেশীরভাগ সময়টা কাটে যাদের সাথে তাদের সাথে সম্পর্কটা ভাল হওয়া খুবই জরুরি।
আসুন জেনে নিই, সহকর্মীদের সাথে প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তুলবেন কিভাবে-
শুভ সকাল
অফিসে প্রবেশ করেই হাসিমুখে ‘শুভ সকাল’ বলুন আপনার সহকর্মীকে। একটা মিষ্টি হাসি আপনাদের সম্পর্ককে সহজ করবে। সাথে সাথেই মন ভাল লাগবে আপনার, একই সাথে সামনের মানুষটিরও কিন্তু ভাল লাগবে। এটা না করে আপনি যদি চোখ নিচু করে অফিসে ঢোকেন, মাথা নিচু করে সোজা আপনার পিসিতে বসে কাজ করতে শুরু করেন আপনার সহকর্মী মনে করতে পারেন, আপনি তাকে পছন্দ করেন না বা এড়িয়ে যেতে চাইছেন।
ছোট ছোট কথা
আপনারা সহকর্মী, কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনারা কখনো গল্প করতে পারবেন না। নিজেদের জীবনের ছোট ছোট কথা ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। কিভাবে অফিসে আসেন, সকালে কি করেন, সন্তানদের স্কুলে আনা-নেওয়া কে করে এসব টুকটাক গল্প কিন্তু করাই যায়।
মতামত চাইতে পারেন
আপনি যদি আপনার কোন কাজে মাঝে মাঝে আপনার সহকর্মীদের মতামত নেন সেটা কিন্তু আপনাদের মাঝে সম্পর্ক ভাল করতে বেশ কাজে দিতে পারে। তাকে প্রশ্ন করতে পারেন, ‘আপনি যদি ব্যস্ত না হন তাহলে প্লিজ একটু দেখে দিন আমার রিপোর্টে কোন ভুল আছে কিনা!’ আপনাকে সব বিষয়ে পারদর্শী দেখা এক ধরণের ঈর্ষা করার মানসিকতাকে প্রলুব্ধ করে। তাই কখনো কখনো মত নিন, তার বক্তব্য তেমন কাজের না হলেও বলুন ‘ধন্যবাদ’।
গসিপ এড়িয়ে চলুন
একজন কো-ওয়ার্কার আপনার ভাল বন্ধু হতে পারেন। কিন্তু তার মানে কিন্তু কখনোই এই নয় যে আপনি তার সাথে যেকোন আলোচনা করতে পারেন। বিশেষ করে অপর সহকর্মীর দূর্নাম করা, বসের উপর বিরক্তি প্রকাশ করা এধরণের আচরণ থেকে বিরত থাকুন। আপনার চাকরিজীবনকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে এমন ন্যুনতম বিষয় আলাপ করা এড়িয়ে চলুন।
প্রশংসা করুন
প্রতিটি মানুষেরই ভাল-মন্দ নানান রকমের স্বভাব থাকে। কাজের ক্ষেত্রেও সে কোথাও অভীজ্ঞ, পারদর্শী আর কোথাও হয়ত তেমন ভাল নন। মনে রাখবেন, সহকর্মীকে কোন কাজে পারদর্শী করা আপনার দায়িত্ব নয়। তাই যতক্ষণ তার অদক্ষতার জন্য আপনাকে ঝামেলায় পড়তে না হচ্ছে ততক্ষণ অযথা সমালোচনা করতে যাবেন না। বরং প্রশংসা করুন তার ভাল কাজগুলোর। অন্তত তার পোশাক-পরিচ্ছদের প্রশংসা করুন। মানুষের গুণের স্বীকৃতি দেওয়া দোষের কিছু নয়।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

নারীর নাক, কান ছিদ্র করা : কী বলে ইসলাম

নারীদের নাক ও কানে অলংকার পরা হাতে চুরি পরা ইত্যাদি বিষয়ে ইসলামের বিধান কী বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো

নারীদের জন্য পায়ে বাজনাদার অলংকার (নুপুর, ঝুমকা ইত্যাদি) পরা না জায়েজ। এছাড়া শরীরের অন্য কোন অঙ্গে বাজনাদার অলংকার না পরা উচিৎ। আর কানে দুল পরা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আছে। এর মাধ্যমে কান ফুটানোর বিষয়টাও প্রমণিত হয়। নাকে নাকফুল পরা এবং এর জন্য নাক ফুটানো অনেক স্কলার নিকট না জায়েজ। তবে এই বিষয়ে শরীয়তে কোন প্রকার নিষেধ নেই। নারীদের হাতে চুরি হিসেবে কাঁচ, পাথর ও রূপাসহ সব ধরনের অলংকার পরা জায়েজ আছে। [ আযীযুল ফাতাওয়া ৭৭১]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

শিশুর মেধাবিকাশে মা-বাবার করণীয়

নতুন একটি শিশু যখন পৃথিবীতে আসে, সবকিছুই থাকে তার অচেনা। সে তাই শেখে, যা সে দেখে। তাই প্রথম সবকিছুই শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কিছু বছরের কার্যকলাপের উপরে ভিত্তি করেই শিশুর পরবর্তী জীবনের বুদ্ধিমত্তা নির্ধারণ হয়। অনেকে হয়তো ভেবে থাকেন, এই সময় শিশুর মেধাবিকাশের জন্য তেমন কিছুর প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটু অবহেলাই শিশুর পরবর্তী জীবনের বড় কোনো মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই শিশুর প্রথম বছরে বাবা-মা তার বিকাশে কীভাবে অবদান রাখতে পারেন-

*শিশুর সাথে প্রতিদিন অনেকটা সময় জুড়ে বারবার কথা বলুন, গল্প করুন। শিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন।

*শিশুকে বিভিন্ন রকমের গল্পের বই পড়ে শোনান, ছড়া পড়ে শোনান।

*শিশুর নাম ধরে বারবার ডাকুন। তাকে বিভিন্ন সাধারণ কথায় অভ্যস্ত করে তুলুন। এতে শিশু মূল ব্যবহৃত শব্দগুলো সহজেই অতিদ্রুত আয়ত্ব করতে পারে।

*যদি দেখা যায় যে আপনার সন্তান কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বারবার আনন্দিত হচ্ছে কিংবা নিজের উৎফুল্লতা প্রকাশ করছে তবে নিয়ে শিশুর সাথে কথা বলুন বারবার। যেমন অনেক সময় শিশুরা নির্দিষ্ট কোন খেলনা, কোন মিউজিক বা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি দেখলে আনন্দ পায়। এর প্রক্রিয়া যাতে সবসময় আপনার সন্তানের সাথে ঘটে সেদিকে নজর দিন।

*শিশু কী বলতে বা কী বোঝাতে চাইছে তা যথেষ্ঠ সময় ও ধৈর্য্য নিয়ে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার ব্যাপারটি বুঝতে পারছেন না বলে অযথা রাগ করবেন না বা ধৈর্য্য হারাবেন না। এতে শিশুর মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।

*শিশুর চোখের সামনে সবকিছু রঙিন রাখতে চেষ্টা করুন। রঙ্গিন কাগজ, রঙ্গিন খেলনা এসব শিশুর মেধার বিকাশ ঘটাতে বেশ সাহায্য করে।

 

একসঙ্গে গাইবেন আসিফ-মোনালি

প্রথমবার একসঙ্গে গাইবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর এবং ভারতের মোনালি ঠাকুর। তারা দুজনে একসঙ্গে গাইবেন ‘দোস্ত দুশমন’ ছবিতে। ছবিটি নির্মাণ করছেন বি কে আজাদ।

‘দোস্ত দুশমন’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন জয় চৌধুরী এবং রোমান নীর। আসিফ-মোনালির গান গাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন জয় চৌধুরী নিজেই।

তিনি জানান, সম্প্রতি তাদের গাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। খুব শিগগির রেকর্ডিং হবে।

বিগ বাজেটে নির্মিত হবে ‘দোস্ত দুশমন’। ছবিতে জয়-নীর ছাড়াও অভিনয় করবেন ভারত-বাংলাদেশের অনেক বড় মাপের তারকা। বাংলাদেশের এ. কে প্রোডাকশন ও কলকাতার জুপিটার ফিল্মস যৌথভাবে বিগ বাজেটে ‘দোস্ত দুশমন’ ছবিটি নির্মাণ করছে। আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় ছবিটির শুটিং হবে বলে জানিয়েছেন জয় চৌধুরী।

 

৫টি অভ্যাস কর্মক্ষেত্রে আপনার দুরাবস্থার কারণ

কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে আমাদের অনেকেরই খুব সমস্যা হয়। সারাদিন হয়ত কাজ করছেন আপনি ঠিকই, তবু কাজের সাথে কোন সংযোগ অনুভব করছেন না। প্রশ্ন করলে আপনি হয়ত অফিসের কাজের পরিবেশকে দোষারোপ করছেন। অথবা বসের রূঢ়তার প্রসংগ তুলছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর কোনটাই সমস্যা নয়। সমস্যা হল আপনারই কিছু অভ্যাস যা আপনার অজান্তেই আপনার দুরাবস্থার কারণ। মিলিয়ে নিন অভ্যাসগুলো-
তুলনা করার মানসিকতা
আপনি সবসময় নিজের সাথে অন্যদের তুলনা করেন। বন্ধুদের তুলনায় নিজের অবস্থান আপনার কাছে ক্ষুদ্র লাগে, আবার যোগ্যতার দিক থেকে আপনার মনে হয় তাদের চেয়ে আপনি অনেক এগিয়ে। অফিসের কলিগদেরকেও কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ মনে করেন আপনি। কাজ করার সময় আপনার মনে হতে থাকে অন্যদের তুলনায় বেশী কাজ করতে হচ্ছে আপনাকে।
 
বসকে শ্রদ্ধা না করা
আপনার বস যদি মাদার তেরেসার মত উদার না হন, আব্রাহাম লিঙ্কনের মত নেতা না হন আর স্টিভ জবস এর মত জিনিয়াস না হন তাহলে আপনার মনে হতে থাকে তিনি কোনদিক থেকে বস হওয়ারই যোগ্যতাই রাখেন না। তার অনুগত হয়ে কাজ করতে আপনার ভাল লাগে না। তাহলে অফিসের কাজ আপনার কিভাবে ভাল লাগবে বলুন তো!
 
কলিগদের অপদার্থ মনে করা
আপনার কলিগদেরকেও অপছন্দ করেন আপনি। যোগ্যাতায় তারা আপনার সমান বা বেশী হলেও আপনি তাদের কোন ভাল কাজ দেখতে পান না, দেখতে পান না কোন গুণ। ফলে তাদের সাথে কাজ করে আপনি শান্তি পান না। আপনি তাদের কোন পরামর্শ গ্রহণ করেন না। কোন টিমওয়ার্ক তৈরি হয় না। ফলে আপনার কাজের সম্পূর্ণ চাপ আপনাকে নিতে হয় এবং একই সাথে অফিসে দীর্ঘসময় নিজের মত থাকা আপনার মাঝে বিষণ্ণতা তৈরি করে।
যারা চাকরি অপছন্দ করেন তারাই আপনার বন্ধু
আপনি যখন খাবার খেতে বসেন তখন তাদের সাথেই বসেন যারা আপনার মতই চাকরিটিকে অপছন্দ করেন। ফলে সবাই মিলে আপনারা চর্চা করেন নেতিবাচকতার। একটি আড্ডা সেটি যদি সম্পূর্ণই হতাশাকেন্দ্রিক হয়, তা আপনার মানসিকতাকেও হতাশ করে দেয়। আপনি একটা কৌতুক শোনালে যেমন বন্ধুদের পুরো দলটি হেসে উঠতে পারে তেমনি আপনার বলা একটা দুঃসংবাদই যথেষ্ট এক দল মানুষের মাঝে দুঃখবোধ ছড়িয়ে দিতে। এভাবেই আপনি যদি দল বেঁধে অপ্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করেন তাহলে আক্ষেপ বেড়ে যাওয়া ছাড়া কিছু কিন্তু হবে না।
সবসময় প্রশংসার অপেক্ষা করা
আপনি যে কাজটিই করুন না কেন আপনার মনে হতে থাকে কোম্পানিতে এত ভাল কাজ আগে কেউ কখনো করেন নি। অথবা আপনার কাজটি এতই বিশেষ যে এটি প্রশংসার দাবিদার। আমাদের প্রতিটি শ্রমই প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু সব সময় আমরা আশানুরূপ প্রশংসা পাই না। কারণ অন্যদের কাজ আমাদের চেয়ে ভালও হতে পারে। আবার বসের আপনার প্রশংসা করা ব্যাতিত আরও অন্য কাজ থাকতে পারে। তাই কাজ করে যান, সেটাকে হাইলাইট করুন। অবশ্যই আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

কর্ন মাঞ্চুরিয়ান ফ্রাইড রাইস

ফ্রিজে পড়ে থাকা বাসি ভাত দিয়ে সহজেই ভাত ভাজা করে ব্রেকফাস্ট সেরে নেওয়া যায়। তবে এর সাথে থাকতে হয় কোনো না কোনো পদ। সেটা হোক ডিমভাজি অথবা সবজি। চাইনিজ ধাঁচের ফ্রাইড রাইসের সাথে মানানসই, হালকা ও স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট হিসেবে তৈরি করতে পারেন কর্ন মাঞ্চুরিয়ান ফ্রাইড রাইস। এর সাথে দরকার হবে না কোনো আনুষঙ্গিক সবজি বা তরকারি।
কোটাবাছার সময়: ২০ মিনিট
রান্নার সময়: ৩০ মিনিট
পরিবেশন: ৪ জন
উপকরণ
কর্ন মাঞ্চুরিয়ানের জন্য
– সোয়া এক কাপ সুইট কর্ন গ্রেট করা
– ২ টেবিল চামচ ময়দা
– ১ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
– ১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
– ১টা বড় কাঁচামরিচ কুচি
– ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
– লবণ স্বাদমতো
– ডিপ ফ্রাই করার জন্য তেল
ফ্রাইড রাইসের জন্য
– সোয়া এক কাপ ভাত
– ৩টি পিঁয়াজকলি কুচি
– ১টি ছোট গাজর মিহি কুচি
– ১টি ছোট ক্যাপসিকাম মিহি কুচি
– ৩ কোয়া রসুন মিহি কুচি
– ২টি শুকনো মরিচ, ভেঙ্গে নেওয়া
– আধা চা চামচ সয়া সস
– ১ চা চামচ ভিনেগার
– আধা চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো
– লবণ স্বাদ মতো
– ১ টেবিল চামচ তেল
প্রণালী
১) মাঞ্চুরিয়ান ভাজার জন্য কড়াইতে তেল গরম হতে দিন। এই সময়ের মাঝে একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন সুইট কর্ন, কাঁচামরিচ, আদা-রসুন বাটা, ধনেপাতা, লবণ, ময়দা এবং কর্ন ফ্লাওয়ার। ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। সোনালি করে ভেজে তুলুন। তেল ঝরিয়ে রাখুন।
২) অন্য একটি পাত্রে ফ্রাইড রাইসের জন্য তেল গরম করে নিন। এতে রসুন দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে নিন। এরপর এতে শুকনো মরিচ এবং পিঁয়াজকলির সাদা অংশটি দিন। বেশি আঁচে টস করে ভেজে নিন এগুলো। ভাজা ভাজা হয়ে এলে এতে গাজর এবং ক্যাপসিকাম দিন। ৭-৮ মিনিট ভেজে নিন। ক্রমাগত নাড়ুন যাতে পুড়ে না যায়। এরপর লবণ, ভিনেগার, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং সয়াসস দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৩) এতে কর্ন মাঞ্চুরিয়ান দিয়ে দিন। টস করে মাখিয়ে নিন। সবশেষে ভাত দিয়ে দিন এতে। ভালো করে নেড়ে নিন যাতে পুরো ভাতে মশলা ও মাঞ্চুরিয়ান মিশে যায়। লবণ চাখুন ও দরকার হলে আরেকটু দিন। আঁচ বন্ধ করে ফেলুন।
এবার ওপরে পিঁয়াজকলির সবুজ অংশ দিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।
টিপস
– ফ্রিজে রাখা বাসি ভাত ব্যবহার করতে পারেন
– এতে কুচি করা সিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি দিতে পারেন পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য

 

বাজারে এল নানান ব্র্যান্ডের নতুন হ্যান্ডব্যাগ কালেকশন

হ্যান্ডব্যাগ এখন নারীদের কাছে অন্যতম একটি ফ্যাশন আইটেম। অনেকের কাছে এটি আবার বেশ শৌখিনও বটে। নিজের আউটফিটকে সম্পূর্ণ করতে কিংবা নিজেকে হাইলাইট করতেও হ্যান্ডব্যাগের ভুমিকা অনেক। বড় কোন অনুষ্ঠান কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় হ্যান্ডব্যাগ যথেষ্ট ক্লাসিক হওয়া চাই।

তবে যতই ফ্যাশনের আইটেম বলা হোক না কেন, বিভিন্ন কাজের জন্য এই হ্যান্ডব্যাগ নারীদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণও বটে। সুতরাং কাজের ধরণ এবং ফ্যাশন আইটেম হিসেবে যথাযথ হ্যান্ডব্যাগ বেছে নেওয়াটাও জরুরি। চলুন দেখে নেওয়া যাক সম্প্রতি লঞ্চ হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এই ফ্যাশন আইটেমটি।

শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগ
ক্লাসিক স্টাইল হিসেবে শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগ সবার হাতেই বেশ ভাল মানায়। যখনই আপনি শ্যানেলের কোন হ্যান্ডব্যাগ দেখেন কিংবা আপনি আপনার জন্মদিনে উপহার হিসেবে এটি পান তখনই আপনার মুখে স্বভাবতই একটি খুশি খুশি ভাব চলে আসে। কারণ আর কিছু নয়, এটি সবার হাতেই ভাল মানায়।

শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগ বাজারে এসেছে একশ বছরেরও আগে। কিন্তু এটা কখনও ফ্যাশনের বাইরে চলে যায়নি। শ্যানেলের ফ্যাশন ডিজাইনাররা প্রায় সময়েই নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করছেন। কিন্তু তারা তাদের মূল ডিজাইনটি বজায় রেখেছেন। এছাড়া এই ব্যাগগুলো ক্যাজুয়্যাল কিংবা ক্লাসিক সব স্টাইলের জন্যই মানানসই।

শ্যানেল হ্যান্ডব্যাগগুলো অনেক ক্লাসিক এবং অনেক রকমের আকর্ষণীয় উপাদান দ্বারা তৈরি করা হয়। এছাড়া একই রকমের ব্যাগ বিভিন্ন স্টাইল ও সাইজে পাওয়া যায়। ব্যাগগুলো ক্যাজ্যুয়্যাল লুকের জন্য এবং সন্ধ্যার পার্টির জন্য বেশ উপযুক্ত। তরুণী ও রমণীদের জন্য মানানসই।

ওয়াইএসএল হ্যান্ডব্যাগ
ইফস সেইন্ট লরেন্ট (সংক্ষেপে ওয়াইএসএল) ব্র্যান্ডটির নতুন চেইনের হ্যান্ডব্যাগগুলো নারীদের জন্য সবচেয়ে ক্লাসিক। এ ব্যাগগুলো নিয়ে যেতে পারবেন যে কোন ইভেন্ট কিংবা অফিসে। জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্লগারদের কাছেও প্রিয় এই হ্যান্ডব্যাগটি। কারণ এটি চাইলে যে কোন আউটফিটের সাথেই মানিয়ে পরতে পারবেন। এছাড়া এই হ্যান্ডব্যাগ আপনার সম্পূর্ণ গেটআপকে করবে আরও আকর্ষণীয় এবং স্টাইলিশ।

ওয়াইএসএল তাদের হ্যান্ডব্যাগগুলো বিভিন্ন কালার এবং সাইজে নিয়ে এসেছে। যেমনঃ সাদা, ব্লাশ পিংক, কালো, ধূসর এবং বারগান্ডি কালারে এটি পাওয়া যাবে। এতে করে বিভিন্ন রঙের পোশাকের সাথেও মানিয়ে পরতে পারবেন। যেমনঃ সাদা কটন শার্ট, ডেনিম জিন্স এবং ক্লাসিক হিলসের সাথে এই ব্যাগ নিয়ে আপনি যে কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য খুব দ্রুত প্রস্তুত হয়ে যেতে পারবেন।

জিভেনচি হ্যান্ডব্যাগ
সব সময়ের জনপ্রিয় এই হ্যান্ডব্যাগটি আপনি প্রায় সব রকম পোশাকের সাথেই নিয়ে বের হতে পারবেন। বর্তমান সিজনে বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে এই হ্যান্ডব্যাগটি। এছাড়া ফ্যাশন ব্লগারদের কাছেও এটি এখন বেশ প্রিয়।

ক্যাজুয়াল স্পোর্টি লুকের জন্য পরতে পারেন সাদা বাটন ডাউন শার্টের ওপর বেইজ অথবা ধূসর রঙের ট্রেঞ্চ কোট এবং এর সাথে কালো ট্রাউজারস অথবা এডিডাস সুপারস্টার। এমন আউটফিটের সাথে বেছে নিতে পারেন কালো জিভেনচি হ্যান্ডব্যাগ। তবে শুধু কালোই নয়, বিভিন্ন রঙে পাওয়া যাবে জিভেনচির নতুন এই হ্যান্ডব্যাগ কালেকশনটি। এর মধ্যে আছে কালো, বেইজ, নুডস, ট্যান এবং প্যাস্টেল।

প্রাডা হ্যান্ডব্যাগ
বিখ্যাত ইতালিয়ান ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রাডা ফ্যাশন বিশ্বে তাদের যাত্রা শুরু করে একশ বছরেরও আগে এবং এখন পর্যন্ত তারা বিশ্বজুড়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রেখেছে। প্রাডা’র হ্যান্ডব্যাগগুলো প্রাডা’স ফ্যাশন হাউজে তৈরি অন্যতম সেরা আইটেমগুলোর মধ্যে একটি। অন্যান্য ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর সাথে প্রতিযোগিতার জন্য প্রত্যেক সিজনের জন্যই তাদের ফ্যাশনেবল কালেকশন আছে।

অন্যান্য সবসময়ের মতো এবারও তাদের হ্যান্ডব্যাগগুলোর ডিজাইন বেশ মার্জিত এবং স্টাইলিশ। বিভিন্ন আউটফিটের সাথে এগুলো নেওয়া যাবে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী। যেমনঃ প্রাডা’র ছোট সাইজের কালো, সিলভার ও বেইজ কালারের হ্যান্ডব্যাগগুলো সন্ধ্যার পার্টির জন্য ভাল মানানসই। আবার বড় সাইজের হ্যান্ডব্যাগগুলো সারা দিনের কাজের জন্য উপযুক্ত।
প্রাডা’র বড় সাইজের হ্যান্ডব্যাগগুলো তরুণীদের কাছে বেশি প্রিয়। কারণ এগুলো সাইজে বড়, অনেক রকমের কালারে পাওয়া যায় এবং এগুলো চাইলে হাতে অথবা কাঁধেও বহন করা যাবে।

গুচি ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ
কিছু দিন পরপর সম্পূর্ণ নতুন এবং অপ্রত্যাশিত আইটেম বাজারে নিয়ে আসার জন্য বেশ পরিচিতি পেয়েছে বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড গুচি। তাদের সংগ্রহে এবার যোগ হল ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ। এক এক রকম শোল্ডার ব্যাগ এক এক রকম কাজের জন্য বিশেষভাবে মানানসই। নিচে এর কয়েকটির বিবরণ দেওয়া হল।

‘ডায়োনাইসিস জিজি সুপ্রিম ক্যানভাস শোল্ডার ব্যাগ’ বর্তমান সিজনের ফ্যাশন ট্রেন্ডগুলোর একটি। এটা একই সাথে ক্যাজুয়াল এবং ক্লাসিক। ব্যাগটি নিয়ে আপনি এক মিনিটেই চলে যেতে পারবেন স্মার্ট ক্যাজুয়াল লুকে।

‘বস্টন গুচি হ্যান্ডব্যাগ’ যেন কখনও পূর্ণ হয় না। আপনি আপনার দরকারি জিনিসপত্র সবসময় এতে নিয়ে ঘুরতে পারবেন। কারণ এতে রয়েছে এর জন্য যথেষ্ট জায়গা।

‘গুচি নুড স্টুডিও ক্রস-বডি ব্যাগ’ একটি ক্লাসিক এবং স্টাইলিশ ব্যাগ। যে কোন সময় আপনি এই ব্যাগ নিয়ে বের হতে হতে পারেন যখন আপনার খুব বেশি জিনিসপত্র সাথে না রাখলেও চলে।

ব্যাগটি কয়েক কালারে পাওয়া যায়, যেমনঃ জিজি ব্ল্যাক, জিজি নুড এবং গুচির নিজস্ব স্টাইলে।
‘গুচি মনোগ্রামড ক্যানভাস লেদার ট্রাভেল ব্যাগ’ যে কোন জায়গায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং ভ্রমনের জন্য একটি স্টাইলিশ আইটেম।

Save

Save

 

নারী হয়ে আমরা উদ্বিগ্ন !

নিস্তব্ধ শহর। মিটিমিটিয়ে তারারা জ্বলছে। সবাই ঘুমের ঘরে। আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না। বার বার চেষ্টা করেও না। চিন্তিত মন, উদ্বিগ্ন ভাবনা। কত সস্তা মানুষের জীবন। কত সহজ এক মানুষের উপর অন্য মানুষের বর্বরতা চালানো। কত সহজ হত্যা চেষ্টা করা, হত্যা করা!

সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ব্লগে ভাইরাল হওয়া স্ট্যাটাস বা ছবি কারও অপছন্দ হলেই শুরু হয় অশ্লীল মন্তব্য করা। হুমকি দেওয়া, হত্যা করার হুমকি! এমনকি চাপাতির আঘাতে হত্যার ষড়যন্ত্রও…! নাম-ঠিকানা ধরে ধরে হত্যা।

কখনও রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় পেট্রলবোমায় মানুষ হত্যা। কখনও ধর্মের ফতোয়া দিয়ে লেখক-ব্লগার, শিক্ষক, পুরোহিতকে হত্যা। কখনও গাড়ির চালকের অবহেলায় সড়কে হত্যা। কখনও ছেলের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে বাবা’র গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা। কখনও বাবা-মা’র পরকীয়ার টানে নিজ সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা। আবার কখনও তনু-মিতুর জীবন কেড়ে নেয় পরিকল্পিতভাবে হত্যার মাধ্যমে।

রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ওবায়দুল নামের এক বখাটে। পরবর্তীতে তার উদ্দেশ্য সফল হয়, কারণ ছোট্ট রিশা এই বর্বর সমাজের কিছু বর্বর মানুষদের হাত থেকে বাঁচার জন্য অন্য জীবনে চলে যায়। বহু স্বপ্ন নিয়ে আসা রিশার মৃত্যু হয়। ‘আমি রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলাম; কিন্তু সে আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তাই তাকে ছুরিকাঘাত করি’ এই স্বীকারোক্তি করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে রিশার হত্যাকারী ওবায়দুল।

এদিকে সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সাড়া না পাওয়ায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আড়াই শ’ টাকা দিয়ে চাপাতি কিনে কলেজ চত্বরে সকল বন্ধুদের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে জঙ্গি মনমানসিকতা নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বদরুল আলম নামের আরেক বর্বর। এখানেও প্রেমে প্রত্যাখ্যান হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সে খাদিজাকে কুপিয়েছে মর্মে আদালতে স্বীকার করে।

হত্যাগুলো কত অদ্ভুত আর কত সহজ। মতের অমিল হলেই ব্লগারদের হত্যা! বিশ্বাসের অমিল হলেই ধর্মগুরু কিংবা বিদেশিদের হত্যা! রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে সাধারণ জনগণকে হত্যা! ব্যক্তিগত রাগ-আক্রোশ থাকলেই তনু-মিতুদের হত্যা! প্রেমে সাড়া না দিলেই রিশা-খাদিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপানো এবং হত্যা!

একেকটি হত্যার ধরন একেক রকম। সাজাও একেক রকম। এখানে সাধারণ পরিবারের সন্তান অপরাধী হলে বিচার অত্যন্ত কঠোর এবং দৃষ্টান্ত হয়। কিন্তু অসাধারণ পরিবারের সন্তানদের বিচারগুলোও অসাধারণ রকমের হয়। ওবায়দুল-বদরুলরা অনায়াসেই তাদের অপরাধ স্বীকার করে। কী কারণে এবং কীভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, কয়টা কোপ দিয়েছে, কোথায়-কোথায় আঘাত করেছে পুলিশকে হয়রানি না করেই খুব সহজেই বর্ণনা দিয়ে দেয়।

কিন্তু অসাধারণ পরিবারের সন্তানগুলো তাদের অপরাধ কখনও স্বীকার করেছে বলে অন্যদের হয়ত মনে করতেও কষ্ট হবে। তনু হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশ উত্তাল হওয়ার পরও শেষ ভরসা আল্লাহ’র উপর ছেড়ে দেওয়া। মিতু হত্যার পরও দেশের মানুষের আবেগ-বিবেক যখন মিতু ও তার সন্তানের প্রতি, তখনও বিচারের ভার চলে যায় অদৃশ্যতার মাঝে।

গুলশান হামলায় একে একে ২০টি তাজাপ্রাণকে নিষ্প্রাণ করার পরও যখন দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ ও বাঙালি নিয়ে নানান সমালোচনা শুরু, ভিডিও ফুটেজ আর স্থিরচিত্র নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার সাধারণ অ্যাক্টিভিস্টরা যখন সাধারণভাবে নিজেদের চিন্তা-চেতনা আর ভাইরাল হওয়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তাহমিদ-হাসানাতকে অপরাধী বা অপরাধের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়, তখন আমাদের তদন্তে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা সেই অপরাধের সঙ্গে তাদের কোনোও ধরনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ খুঁজে পায় না।

মনের অজান্তেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি আমার সোনামণির কথা চিন্তা করে। এই তো ছোট্ট বয়স চলছে। আর ক’টা বছর গেলেই রিশার মতন হবে। দৌড়ে কলেজে যাবে খাদিজার মতন। তখন…, তখন তাকেও যদি কেউ প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সেও যদি রিশা-খাদিজার মতন বখাটে-বর্বরদের প্রত্যাখ্যান করে। তাহলে আমার মা-মণিও কী রিশার মতন হত্যা হবে? খাদিজার মতন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করবে। আমার মেয়েটিও কী ওপারে চলে যাবে আমাকে ছেড়ে?

সমাজ-সংসার যদি সচেতন হয়। শিক্ষা-সভ্যতায় যদি দেশের নাগরিকদের গড়ে তুলতে পারি। রাষ্ট্র যদি কঠোর-কঠিন হয়। বিচার ব্যবস্থায় যদি সাধারণ-অসাধারণের বৈষম্য দূর হয়। তনু-মিতু হত্যাকারীদের যদি সুষ্ঠুবিচার ও দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে আমরা ও আমাদের সোনামণিরাও বখাটে-বর্বরদের হাত থেকে নিরাপদে থাকতে পারব।

কবীর চৌধুরী তন্ময়, সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।

 

আনারকলির নতুন কিছু ফ্যাশন আইডিয়া

মনীশ মালহোত্রা, গৌরাঙ্গ শাহ এবং সব্যসাচীর মতো ডিজাইনাররা আনারকলিকে সুপ্ত অবস্থা নিয়ে আসলেন নতুন রুপে। এবার এই শীতের সিজনে এটি চলে আসবে আরও আকর্ষণীয় ও ক্লাসিক স্টাইলে এবং সবার কাছে বাড়বে এর গ্রহনযোগ্যতা। ঠিক যেন এটা কখনও ফ্যাশন থেকে চলে যায়নি। চলুন জেনে নেওয়া যাক আনারকলির নতুন ফ্যাশন আইডিয়াগুলো সম্পর্কে।

স্লিটস স্কাই হাই

নতুন এবং আরও উন্নত আনারকলি খুব বেশি ভারী না। হালকা কাপড়ের ওপর উজ্জ্বল রঙ, প্যাস্টেল কালার এবং আভিজাত্যের ছোঁয়া একে মডার্ন ফ্যাশনের অন্তর্ভুক্ত করে তুলেছে। এর সাথে যোগ হল নতুন স্টাইল লম্বালম্বিভাবে চিরা। একবার পরেই দেখতে পারেন এতে কেমন লাগে।

অপ্রতিসম হয়ে যান

সাধারণ এবং ক্লাসিক স্টাইলকে সর্বদাই স্বাগতম। তবে এই সিজনে অপ্রতিসম স্টাইলও একবার দেখে নিন। বেঙ্গালুরুর ডিজাইনার শুরতি কুলকারনি বলেন, ‘শান্তনু এবং নিখিলের আইটেমটি একবার নিয়ে দেখুন। এর নতুনত্ব হচ্ছে তারা প্রিন্টের খাদি কাপড় ব্যবহার করেছে এবং তাদের ডিজাইনটি অপ্রতিসম। খাদি কাপড়ে সুন্দর আকৃতি তৈরি হয় যা উৎসবের সিজনের জন্য খুবই উপযুক্ত।’

আবৃত এবং প্রাক-সজ্জিত

রানওয়ে থেকে ফ্রেশ এবং প্রাক-সজ্জিত দোপাট্টা আরও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কারণ এটা নিখুঁত। বেঙ্গালুরুর ডিজাইনার শকলা সুকান্দার বলেন, ‘আনারকলিতে আপনার দোপাট্টা যেখানেই শেষ হোক না কেন, একে শাড়ি কিংবা প্রাক-সজ্জিত হিসেবে পরুন এবং এক কাঁধে অলংকার যোগ করুন- এটা সব বয়সের নারীদের মানাবে। এতে আপনি সুন্দর স্টাইল নিয়ে পরীক্ষা করতে পারবেন এবং অনন্য স্টাইল তৈরি করে নিতে পারবেন।’ তিনি নিজে আনারকলির ওপর মেটালিক দোপাট্টা ডিজাইন করেছেন যা সম্পূর্ণ আউটফিটকে হাইলাইট করবে।

জ্যাকেট নিয়ে আসুন

ডিজাইনাররা আনারকলির সাথে এবার যোগ করল মানানসই জ্যাকেট। আবু জানি এবং সন্দ্বীপ খসলার সাদা স্টাইলটি আপনি কি পছন্দ করেন যা আনুশকা শরমা পরেছিলেন। তাহলে আপনিও ফ্যাশনে সেরকম জ্যাকেট নিয়ে আসতে পারেন। পরতে পারেন ভারী কাপড়ের পোশাক যেমনঃ জ্যাকুয়ার্ডস, টাফেটাস, পশমী উল অথবা ভারী সিল্ক। স্টাইলিস্টদের মতে আপনি এগুলো পরতে পারেন শাড়ি কিংবা লেহেঙ্গার সাথেও।

কেপ যোগ করুন

আরেকজন বেঙ্গালুরুর ডিজাইনার অদিতি লাল আনারকলির সাথে নিয়ে আসলেন কেপ। তিনি বলেন, ‘এটা স্টাইলে অনন্য লুক এনে দেয় ঠিক যেন দোপাট্টার মতো। এটা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এবং ব্যক্তিগত স্টাইলের সাথে মানানসই করে পরলে এটা স্টাইলে চমক এনে দেয়। এতে সম্পূর্ণ আউটফিট নিয়ন্ত্রন করাও খুব সহজ হয় এবং এটা পিন দিয়ে আটকান কিংবা একটি অংশ সবসময় ধরে রাখারও দরকার পড়ে না।’

 

কল্যাণী স্কুলের ‘কল্যাণী’

ছয় বছর আগে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ছিল জরাজীর্ণ। মাঠে আবর্জনার স্তূপ। শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসত না। জোড়াতালি দিয়ে চলছিল বিদ্যালয়টি। এখন আর সেই চিত্র নেই। দুটি পাকা ভবন, বারান্দায় হরেক রকম ফুলগাছের টব। শ্রেণিকক্ষগুলো সাজানো-গোছানো। শিক্ষার্থীদের ফলও চোখে পড়ার মতো। গত ছয় বছরে চারবার বিদ্যালয়টি উপজেলায় ‘শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
কল্যাণী নামের এই বিদ্যালয়টি যাঁর কারণে বদলে গেছে, তিনি প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম। শিশুদের পড়ানোর নিজস্ব কৌশল, কর্তব্যনিষ্ঠা ও একাগ্রতার জন্য এবার তিনি রংপুর বিভাগের ‘শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক’ নির্বাচিত হয়েছেন।
স্কুলটি এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা কল্যাণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ২০০৯ সালে যখন সুফিয়া বেগম এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন, তখন স্কুলটি অনেকটাই বিলীন। রীতিমতো ভগ্নদশা। সুফিয়া বেগম বললেন, ‘তখন বিদ্যালয়ের পরিবেশ দেখে মন খারাপ হয়ে যেত। পড়ানোর জন্য ছিল আধা পাকা জরাজীর্ণ তিনটি ঘর। মাঠে নোংরা-আবর্জনার দুর্গন্ধ। কাগজে-কলমে শিক্ষার্থী থাকলেও তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসত না। টিনের চালের ফুটো দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ত। ছেলেমেয়েদের বই-খাতা ভিজে যেত।’
কীভাবে বিদ্যালয়ে পড়ালেখার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায় সেটাই ধ্যানজ্ঞান হয়ে দাঁড়ায় তাঁর। প্রথমে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেন। তাদের নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার করেন। এরপর এলাকার সুধীজনদের নিয়ে সভা করলেন, পড়াশোনার পরিবেশ তৈরির জন্য চাইলেন সহযোগিতা। বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হলো। স্কুলের বেঞ্চ, চেয়ার ও টেবিল তৈরি হলো স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায়। শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করেন। নিয়মিত মা ও অভিভাবক সমাবেশ শুরু হয়। তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সেগুলোর বাস্তবায়ন করা হলো। এসবে শিক্ষার চমৎকার পরিবেশ তৈরি হলো, বেড়ে গেল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার। পরীক্ষার ফলও ভালো হতে থাকল। বিদ্যালয়টিতে এখন শিক্ষার্থী ৫৯৬ জন, শিক্ষক ১৪ জন। গত তিন বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। ২০১০, ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিদ্যালয়টি উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে স্থান দখল করে।
২৫ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সামনে সবুজ মাঠ। মাঠের চারদিকে গাছ। দুটি পাকা ভবনের নয়টি কক্ষ সুসজ্জিত। শিশু শ্রেণির কক্ষটি যেন খেলাঘর। শিশুরা কীভাবে বেড়ে উঠলে ভালো কিছু শিখবে তার একটি গাইডলাইনও দেয়ালে সাঁটানো আছে স্কুলের দেয়ালে। অবশ্য এটি অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতনতার জন্য। সংগীত চর্চার জন্য আছে নানা রকম বাদ্যযন্ত্র ঢোল-তবলা, হারমোনিয়াম ইত্যাদি। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে রয়েছে ছেলেমেয়ের আঁকা ছবি।
প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম সেদিন প্রথম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা তাঁর সঙ্গে সমবেত স্বরে কবিতা আবৃত্তি করছে। ক্লাস শেষে কথা হয় শিক্ষার্থী ফারজানার সঙ্গে। সে বলে, ‘হেড আপা (প্রধান শিক্ষক) হামাক খুব আদর করে। আপা কাসোত (কাছে) আসলে খুব ভালো নাগে।’
সুফিয়া বেগম মনে করেন নিজের কাজটুকু সব সময় যত্ন দিয়ে করতে হয়। পেশার প্রতি ভালোবাসা না থাকলে একজন মানুষ ভালো কিছু করতে পারেন না।

 

হত্যাকারীর লক্ষ্য কেবল নারী!

রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় গত তিন মাসে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুই নারীকে। আরও দুই নারীকে একইভাবে কোপানো হলে তাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই চারজনের মধ্যে তিনজনই বাড়িওয়ালার স্ত্রী। চারজনই চল্লিশোর্ধ্ব।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, প্রতিটি ঘটনা একই ধরনের। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢোকার পর ওই নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
দক্ষিণখান থানার সদ্যসাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুত্ফর রহমান  বলেন, যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্বজনদের বর্ণনা এবং যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের বর্ণনা অনুযায়ী ঘটনাগুলো একই ব্যক্তি ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। একটি বাড়ি থেকে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইতিমধ্যেই ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
হত্যার জন্য লোকটি নারীদেরই কেন বেছে নিচ্ছে, সে বিষয়ে লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টা রহস্যজনক। লোকটিকে গ্রেপ্তার করা গেলেই এর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ধারাবাহিক এই ঘটনাগুলোর সূত্রপাত গত ২৪ জুলাই থেকে। ওই দিন দক্ষিণখানের আশকোনা মেডিকেল রোডে মাহিরা বেগমকে (৫০) কুপিয়ে আহত করা হয়। মাহিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। এর প্রায় এক মাস পর ২১ আগস্ট দক্ষিণখানের তেঁতুলতলা রোডে গৃহকর্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে (৫২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ৩১ আগস্ট দক্ষিণখানের মুন্সি মার্কেট এলাকায় জেবুন্নেছা চৌধুরীকে (৫৬) কুপিয়ে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় এক ব্যক্তি। ৭ সেপ্টেম্বর আবারও উত্তর গাওয়াইরে ওয়াহিদা আক্তার (৪৮) একইভাবে খুন হন। এর মধ্যে মাহিরা বেগম বাদে বাকি তিনজনই বাড়ির মালিকের স্ত্রী।
দক্ষিণখান থানা-পুলিশ একটি বাড়ি থেকে যে ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছে, সেখানে লোকটির চেহারা অস্পষ্ট। তবে লোকটির পরনে সাধারণ পোশাক ছিল। আর কাঁধে ঝোলানো ছিল ব্যাগ। নিহত ওয়াহিদা আক্তারের মেয়ে শোভার বর্ণনা অনুযায়ী, লোকটির বয়স ২৩ থেকে ২৬ বছর। তিনি খুব পরিপাটি ছিলেন।
তবে দক্ষিণখান থানা-পুলিশ বলছে, হামলাকারীর বয়স আনুমানিক ২৫-২৬ বছর। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। গায়ের রং ফরসা। মাথার চুল ছোট। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢোকেন। গৃহকর্ত্রীর সঙ্গে ফ্ল্যাট দেখতে যান। আর ফ্ল্যাটে গেলেই পেছন থেকে গৃহকর্ত্রীর মাথা ও ঘাড়ে চাপাতি দিয়ে কোপ দেন। পরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান।
আহত দুই নারীর মধ্যে জেবুন্নেছা চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। জেবুন্নেছার ছেলে কাউছার আহমেদ  বলেন, চাপাতির কোপে তাঁর মায়ের মাথার খুলির হাড়ের একটি অংশ ভেঙে গেছে। ২২ দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। তাঁর ডান হাত ও পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে। দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন। সন্তানদেরই তিনি এখন ঠিকমতো চিনতে পারছেন না।
র্যাব ১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ  বলেন, ভাড়াটিয়া সেজে লোকটি আসেন। তারপর কোনো একসময় তিনি ঘটনাটি ঘটান। এ কাজে তিনি চাপাতি ব্যবহার করেন।
কর্নেল তুহিন বলেন, ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ওই লোকটি সপ্তাহের কাজের দিনগুলো বেছে নেন। চারটি ঘটনাই বেলা দেড়টা থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে ঘটেছে। সাধারণত ওই সময়ে বাসায় কোনো পুরুষ লোক থাকেন না। এখনো লোকটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ওই খুনির ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ তাঁর সন্ধান পেলে ০১৭৭৭৭১০১০০, ০১৭৭৭৭১০১৯৯ নম্বরে জানাতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
দক্ষিণখান আদর্শ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মসজিদের ইমামের মাধ্যমে ও মাইকিং করে বাড়িওয়ালাদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। আগত ভাড়াটেদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব তথ্য সংগ্রহ করার জন্য তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাড়ি ভাড়া নিতে যারা আসছে, তাদের বাড়ি দেখানোর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

 

অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তি হতে পারছে না আইরিন

ভোরের আলোয় আকাশটা যেমন ফর্সা দেখায় তেমনি আন্ধার ঘর শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে দিনমজুরের মেয়ে আইরিন আকতার। সে দারিদ্র্যকে জয় করে সমাজের মূল স্রোতধারায় নিজের মেধাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে গর্বিত।

কিন্তু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তার পারিবারিক অসচ্ছলতায় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় মেধাবী ছাত্রী আইরিন আকতার। সে চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভর্তি পরীক্ষায়ও সে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়।

আইরিন জানায়, সে বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তিতে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন এবং ভর্তির শেষ তারিখ ৩১ অক্টেবর। কীভাবে এতোগুলো টাকার জোগান এক সঙ্গে হবে?

সে আরো জানায়, তার বাবা দিনমজুরের কাজ করেন এবং মা অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। গরিব বাবা-মায়ের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

আইরিন সমাজের বিত্তশালীদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তার প্রতি সাহায্যের ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। তার বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের মুন্সিপাড়া গ্রামে।

 

চাকরি বাঁচাতে দাড়ি কামানো : কী বলে ইসলাম?

অগণিত হাদিস, নবী রাসূলদের অভ্যাস-আর্দশ এবং সাহাবাদের আমল দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, দাড়ি রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব এবং দাড়ি রাখতে হবে এক মুষ্টি পরিমাণ।

এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে চাকরি করতে হলে দাড়ি রাখা যায় না। কিংবা দাড়ি রাখলে বেতন অনেক কম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে চাকরি বাঁচানোর জন্য দাড়ি কামানো বা না রাখা বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

অগণিত হাদিস, নবী রাসূলদের অভ্যাস-আর্দশ এবং সাহাবাদের আমল দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, দাড়ি রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব এবং দাড়ি রাখতে হবে এক মুষ্টি পরিমাণ। এর চেয়ে কম হলে সেটা হবে মাকরুহে তাহরীমী। সুতরাং ভালো চাকরির করার জন্য কিংবা ভালো বেতনের জন্য দাড়ি কামানো জায়েজ হবে না। [ফাতওয়ায়ে রহীমিয়া ৬-২৪৭]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

কর্মক্ষেত্রে সমালোচনা এড়িয়ে চলবেন যেভাবে

জীবনে আলোচনা বা সমালোচনা থাকবেই। তবে কর্মক্ষেত্রে এই সমালোচনা অনেক সময় বেশি হয়ে থাকে। এই সমালোচনা আর আলোচনার ভিড়ে কীভাবে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবেন তাই হচ্ছে মূল বিষয়। আপনি যদি এসব কারণে মন খারাপ করে বসে থাকেন তবে আপনার পাশের মানুষটি আপনাকে টপকে উপরে উঠে যাবে বা আপনাকে পিছনে ফেলে দেবে। তাই সমালোচনাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে নিজের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন।

বই পড়ুন
আপনি যখনি সময় পাবেন তখন পছন্দের লেখকের বই কিংবা যাদের বই পড়লে অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় তাদের বই পড়ুন। নিজের জীবনে তাদের বাণীসমূহকে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যুগে যুগে যারা বিখ্যাত হয়েছেন তারা কীভাবে সমালোচনাকে কাজে লাগিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে তা জানুন। নিজেকে তাদের মতো ভাবুন। দেখবেন নিজের তেতরের সেই হারানো বিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছেন।

নিজেকে দোষী ভাববেন না
আপনার ওপর কারণে অকারণে দোষ এসে পড়তে পারে। আবার কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কারো কারো মাঝে একটি বিষয় লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে চুপচাপ দোষ স্বীকার করে নেওয়া। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আপনি মনের অজান্তেই নিজেকে সব কাজের জন্য দোষী ভাবতে থাকেন। তাই নিজেকে দোষী ভাবা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সতর্ক থাকুন
সতর্ক থাকুন সবসময়। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। আপনি কোথায় কোন কাজটি করছেন তা লিপি বদ্ধ করে রাখুন। অফিসের কোনো কাজের ভার নিজের ওপর পড়লে তা সুন্দরভাবে নোট করে রাখুন। যাতে আপনার কাছে কেউ কোনো তথ্য চাইলে আপনি তাকে দিতে পারেন। নয়তো আপনাকে নানাভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে আর নিজের উপর আত্মবিশ্বাস অক্ষুন্ন রাখতে সতর্ক থাকুন।

সমালোচনা না করা
কাজের ক্ষেত্রকে ভালোবাসুন। কে কোথায় কোন কাজে ব্যস্ত আছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন না থেকে নিজের কাজটি ভালোভাবে করুন। এতে আপনি যেমন সফলতার মুখ দেখবেন তেমনি আপনার সম্পর্কে কেউ সমালোচনা করলে তাকে কাজ দিয়ে উত্তর দিতে পারবেন।

 

স্পাইসি থাই স্যুপ রান্নার সহজ উপায়

গরম গরম স্যুপ পেলে অনেকেরই খাবারের দুশ্চিন্তাটা মিটে যায়। রেস্টুরেন্টের থাই স্যুপ হলে তো কথাই নেই। তবে সবসময় তো আর রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই আজকে শিখে ফেলুন ঝটপট মজাদার স্পাইসি থাই স্যুপ তৈরির সহজ রেসিপিটি-

উপকরণ : ৪-৫ কাপ চিকেন স্টক, ১ টেবিল চামচ তেল, আধা কাপ মুরগির মাংস চিকন লম্বাটে করে কাটা, আধা কাপ খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছ, ২ টি ডিমের কুসুম, ৩-৪ টেবিল চামচ চিলি সস, ২ টেবিল চামচ, ১ টেবিল চামচ সয়াসস, ৭-৮ টি কাঁচামরিচ ফালি, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, ৪/৫ টি লেমন গ্রাস/ থাইল গ্রাস, চিনি ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : মুরগির মাংসের হাড় নিয়ে ১০-১২ কাপ পানিতে একটু লবণ দিয়ে সিদ্ধ করতে থাকুন। পানি শুকিয়ে অর্ধেক হলে চিকেন স্টক তৈরি হয়ে যাবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে চিকেন স্টক চুলায় বসিয়ে দিন। চিকেন স্টকে মাংস, চিংড়ি মাছ, লেমন/থাই গ্রাস, সয়াসস, চিলি সস, টমেটো সস, লবণ, চিনি ও টেস্টিং সল্ট দিয়ে দিন ও নেড়ে মিশিয়ে নিন ভালো করে। ডিমের কুসুম একটি বাটিতে নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন এবং স্টকে ডিম দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন যাতে পুরোপুরি মিশে যায়। মাংস ও চিংড়ি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে স্টক জ্বাল দিতে থাকুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে আধা কাপ পানিতে কর্ণ ফ্লাওয়ার গুলিয়ে স্টকে দিয়ে দিন। খুব দ্রুত ও ঘন ঘন নাড়তে নেড়ে কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। নয়ত কর্ন ফ্লাওয়ার দলা ধরে যাবে। ২-৩ মিনিট নেড়ে ঘন হয়ে এলে এতে লেবুর রস ও কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে একটু নেড়ে নিন। লবণের স্বাদ বুঝে নিন এবং এরপর চুলা থাকে নামিয়ে নিন। ব্যস, এবার গরম গরম স্পাইসি থাই স্যুপের মজা নিন হালকা এই শীতে।

 

ফ্যাশনে সিঙ্গেল কামিজ

ফ্যাশন প্রিয় নারীদের পছন্দের তালিকায় সিঙ্গেল কামিজ বেশ ভালোভাবেই জায়গা দখল করে নিয়েছে। যাদেরকে প্রতিনিয়তই নানা ধরনের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় তাদের কাছে সিঙ্গেল কামিজের চাহিদা একটু বেশি। এই পোশাকটিকে একেবারে বিদেশি বলা চলে না। গরমের কারণে একটু ঢিলেঢালা আর আরামদায়ক করে তৈরি করা হয় এসব কামিজ। তাই সিঙ্গেল কামিজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

এই কামিজগুলো লং কামিজের কাটিংয়েও পাওয়া যায়। অর্থাৎ বর্তমান ফ্যাশনের ধারা বজায় রেখে কামিজগুলোকে লম্বা করা হচ্ছে। এগুলো লং হাতারও হয় আবার স্লিভলেসও পাওয়া যায়। সিঙ্গেল কামিজের ক্ষেত্রে থ্রি কোয়ার্টার কামিজ বেশি মানানসই। সাধারণত স্লিভলেস লং কামিজ টিনএজার ও তরুণীদেরকে ভালো মানায়। কুর্তা স্টাইলের লম্বা সিঙ্গেল কামিজ এখনকার যুগের সাথে মানানসই।
আর কাপড়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভয়েল, লিলেন, ডুপিয়ান, ডবি ফেব্রিক্স। হালকা রঙের সুতি, লিলেন, খাদি আর তাঁত কাপড়ে তৈরি হচ্ছে নকশাদার স্লিভলেস কামিজ আর কুর্তা স্টাইলের লম্বা কামিজ। উৎসব আর পার্বণের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে সিল্ক, মসলিন, অ্যান্ডি সিল্ক, তসর, নেট, জর্জেটসহ নানা আকর্ষণীয় কাপড়।

সিল্ক, মসলিন, তসর, জর্জেট, নেটের মতো গর্জিয়াস কাপড়গুলোতে কারচুপি, স্প্রে, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ক, সিকুইনসহ নানা ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটা ডিজাইনেও প্যাটার্ন, চেক কাপড়, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ককে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে মেরুন, হলুদ, সবুজ, সাদা রঙের পাশাপাশি কালো, কমলা, বাদামি, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙের শেড লক্ষণীয়। কামিজের সঙ্গে রং ম্যাচিং করে ওড়না পড়তে পারেন অথবা একেবারে বিপরীত রং ও বেছে নিতে পারেন।

অঞ্জন্স, নগরদোলা, কে-ক্রাফট, আড়ং, বসুন্ধরা সিটিসহ দেশের প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে এই সিঙ্গেল কামিজ। সিঙ্গেল কামিজের দাম ৯০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে।

 

বাড়ছে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড, ‘প্রতিরোধ না করলে মরতে হবে’

দিনের পর দিন স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে যাওয়ায় নারীর শেষ পরিণতি মৃত্যু। নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয় নতুবা আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দেওয়া হয়। নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারীরা সময় মতো মুখ না খোলায় কাজে লাগছে না পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন বা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কোনও উদ্যোগ। নির্যাতনের প্রথম পর্যায়ে প্রতিরোধ না করায় পারিবারিক হত্যাকাণ্ড বাড়ছে বলে মনে করছেন নারীনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মীরা।

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১৪৯ জন নারী স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। আর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হাতে খুন হয়েছেন ৩৪ জন। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন সার্ভে ২০১৫’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, বিবাহিত নারীদের ৮০ শতাংশই জীবনে অন্তত একবার স্বামীর হাতে কোনেও না কোনোভাবে মার খেয়েছেন। অন্যদিকে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ কখনোই নির্যাতনের কথা কাউকে জানাননি।

এই না জানানোটাই তার হত্যার অন্যতম অন্তরায় বলে মনে করে নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর। তিনি  বলেন, ‘নারীকে শেখানো হয় স্বামীর ঘর তার শেষ আশ্রয়। হিন্দু পরিবারে স্বামীর ঘর থেকে কেবল চিতা বের হবে প্রচলিত ছিল। সেটা নির্যাতন সহ্য করে হলেও।’

করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। মুখ খুলতে হবে। মুখ খুললে তার যে ভঙ্গুর দশা হবে সেটাকে সামাজিকভাবে মোকাবিলার রাস্তা থাকতে হবে।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকাগুলোর হিসাব অনুযায়ী মাসে ১৬ জন গৃহবধূ হত্যার শিকার হয়েছে। আমরা জানি, এই হিসাবের বাইরেও অনেক হত্যাকাণ্ড রয়ে গেছে। সবকিছু পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এমনটা নয়। নারী তার জায়গা থেকে তখনই প্রতিরোধ করবে যখন সে নিজেকে সুরক্ষিত মনে করবে। এই সুরক্ষা কাঠামো আমাদের তৈরি করে দিতে হবে।’

এ বিষয়ে আইনজীবী শাহেদুর রহমান  বলেন, ‘সামাজিক অস্থিরতার পাশাপাশি নারীর জীবনের শঙ্কা বাড়ছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীরা সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের সমঝোতা করে। যেগুলোর অনেকক্ষেত্রে পারিবারিক পরিসরেও করা হয়। তার অধিকার বিষয়ে না বুঝে সমঝোতার রাস্তায় যাওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়লে তার করণীয় সে বুঝতে পারে না। এক পর্যায়ে হত্যার শিকার হয়।’

আইনি ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া এতো লম্বা যে বাদীপক্ষের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে।’

নারী কিভাবে এই কাঠামোর মধ্যে আসবেন সে বিবেচনায় ২০০৪ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা অক্সফামের সহায়তায় ‘উই ক্যান’ প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছে। জানা গেছে, ৪৮টি জেলায় এ প্রচারাভিযানের মধ্য দিয়ে কয়েক লাখ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে। যারা সম্মিলিতভাবে পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনাগুলো প্রতিরোধে রাস্তা খুঁজবেন এবং প্রতিরোধ করবেন।

সামাজিক সচেতনতা তৈরি সম্ভব না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে রোকেয়া কবীর বলেন, ‘আমরা গ্রামের দিকে কাজ করার কথা ভাবলে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের নির্যাতনের দিকে একেবারেই খেয়াল করছি না। এটা হিতে বিপরীত হচ্ছে। আমাদের প্রচারাভিযানগুলো মধ্যবিত্তের মধ্যে কখনই জায়গা পাচ্ছে না। এ কারণে মধ্যবিত্ত তাদের ইমেজ রক্ষায় মুখ বন্ধ করে নির্যাতন সহ্য করছে। এখন বলার সময় এসেছে হয় প্রতিরোধ করো নাহলে মরতে হবে।’

 

আবারো প্রচার হবে আলিফ লায়লা

হয়তো অনেকেই ফিরে যাবেন অতীতে। কেউ দেখতে পাবেন কৈশোর, কেউবা আরো ছোট। সেই সময়টাতে রাত ৮টা খবরের পর বিটিভির সামনে বসার জন্য অধীর অপেক্ষা চলতো প্রতি শুক্রবারের সারা দিনভর। সে কেবল আলিফ লায়লার টানে।

সেই সময় তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো এই সিরিজটি। বাচ্চাদের লেখার খাতাতেও উঠে এসেছিলো আলিফ লায়লার হিরো- সৎ মানুষ সিন্দাবাদ। উঠে এসেছিলো রহস্যময় সব ভিলেনরা।

বিটিভির পর একুশে টেলিভিশনও প্রচার করেছিলো ‘আলিফ লায়লা’। আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে নির্মিত তুমুল জনপ্রিয় সেই ধারাবাহিকর আবারও দেখা যাবে টিভি পর্দায়! একদম তাই। আরব রূপকথার এ প্রশংসিত সিরিজটি এবার প্রচারে আনছে গাজী স্যাটেলাইট টেলিভিশন লিমিটেড (জিটিভি)। আগামী নভেম্বর থেকে এটি প্রচার করবে বলে নিশ্চিত করেছে টেলিভিশনট কর্তৃপক্ষ।

তারা জানায়, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সাগর ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেডের নির্মিত পুরনো সেই সিরিজটিই প্রচার করবে জিটিভি। সপ্তাহে একাধিক দিন এটি প্রচার হবে।

আলিফ লায়লা ইসলামী সভ্যতার অন্যতম একটি সাহিত্য নিদর্শন। খলিফা হারুন-অর-রশীদের খিলাফতকালে রাজধানী বাগদাদের বিখ্যাত সাহিত্যিকরা লেখেন এই কাহিনি। যা পরবর্তীতে ‘আরব্য রজনী’ নামে সারাবিশ্বে খ্যাতি অর্জন করে।

এই সিরিজের প্রধান গল্প ও চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলাদিনের জাদুর চেরাগ, আলী বাবা ও চল্লিশ চোর, আল্লাহর উপর আস্থাবান সাহসী নাবিক সিন্দবাদের যাত্রা, সাহসী যুবক জালাল তালেবর, অত্যাচারী ডাকাত কেহেরমান এবং মায়াময়ী জাদুকরী মালিকা হামিরার কাহিনি।

 

নামাজে যে কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি

নামাজ মুমিনের জন্য মিরাজস্বরূপ। নামাজের মাধ্যমে মানুষ দৈনিক পাঁচবার আল্লাহ তাআলার দরবারে উপস্থিত হন। এ নামাজে মানুষ না জানার কারণে অথবা অনেকে মনের ভুলে এমন অনেক কাজ করে থাকেন, যা থেকে বিরত থাকা জরুরি। নামাজে মুসল্লির বিরত থাকার কিছু ‍বিষয় তুলে ধরা হলো-

১. নামাজি ব্যক্তির জন্য এদিক-ওদিক তাকানো নিষেধ। তবে বিপদ বা প্রয়োজনে তাকানো যাবে।
২. নামাজ পড়ার সময় দুই চোখ বন্ধ করা ও মখু মণ্ডল ঢেকে রাখা যাবে না।
৩. দুই পায়ের পাতা খাড়া করে উরুর ওপর ভর দিয়ে বসা যাবে না। যা দেখতে অনেকটা কুকুরের বসার মতো দেখা যায়।
৪. প্রয়োজন ছাড়া নামাজে নড়াচড়া ও অনর্থক কাজ করা যাবে না।
৫. কোমরে হাত রাখা বা কোমরে ভর দেয়া যাবে না।
৫. যে জিনিস দৃষ্টিতে আসলে নামাজের বিঘ্ন ঘটে বা অন্যমনষ্ক করে দেয়; নামাজে এমন জিনিসের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাবে না।
৬. নামাজে সিজদার সময় উভয় হাতকে বিছিয়ে দেয়া যাবে না। অর্থাৎ হাতের তালু থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত বিছিয়ে সিজদা করা যাবে না।
৭. পেশাব বা পায়খানার বেগ রেখে কিংবা হাওয়া আটকিয়ে রেখে নামাজ আদায় করা যাবে না।
বিশেষ করে নামাজের সময় যদি কারো পেশাব, পায়খানা বা হাওয়া বের হওয়ার বেগ হয়; তাদের জন্য আবশ্যক কর্তব্য হলো অজু নষ্ট করে পেশাব, পায়খানা বা হাওয়া ত্যাগ করে তারপর নতুন করে অজু করে নামাজ আদায় করা। যদি পানি পাওয়া না যায় তবে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করা। এটাই নামাজ আদায়ের উত্তম পন্থা।
৮. নামাজের পূর্ব মূহুর্তে খানা হাজির হলে,খাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এবং নামাজের পূর্বে খাবার খেয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলে তা খেয়ে নামাজ আদায় করা।
৯. লুঙ্গি, পায়জামা অথবা প্যান্ট ইত্যাদি টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে রেখে নামাজ আদায় করা যাবে না।
১০. মখুমণ্ডল বা নাক ঢেকে রাখা যাবে না। অনুরূপভাবে চুল বা কাপড় জমা করে রাখা যাবে না।
১১. ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজে হাই উঠানো যাবে না।
১২. নামাজের সময় মসজিদে থুথু ফেলা অন্যায় কাজ। তাই এ রকম করা যাবে না।
১৩. নামাজরত অবস্থায় কিবলার দিকে থুথু ফেলা যাবে না। নামাজের বাইরেও ইহা নাজায়েজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজ আদায়ের সময় এ বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথভাবে খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

৫টি উপায়ে বৃদ্ধি করুন ব্রেইনপাওয়ার

আমরা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত এবং কার্যক্ষেত্রে নানান রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করি। সফলতা পাবার পথ যেন শেষই হতে চায় না। সারাক্ষণই যেন আমাদের শক্তি আর সামর্থ্যের পরীক্ষা চলতে থাকে। তবে আশার বিষয়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা আমরা চাইলে বাড়াতে পারি। প্রতিদিন কিছু কাজের চর্চা দিনে দিনে আমাদের মস্তিষ্ককে উন্নত করে, আমাদেরকে করে আরও ব্যক্তিত্ববান।
আসুন জেনে নিই, কী কী কাজ আমাদের ব্রেইন পাওয়ার বাড়িয়ে আমাদেরকে একজন অনন্য মানুষে পরিণত করে-
বই পড়ুন
যত জানবেন তত আপনার বুদ্ধি শাণিত হবে। জানার জন্য পড়ুন। নিজেকে আনন্দ দিতে পড়ুন। যা আপনার ভাল লাগে তাই পড়ুন। শুধু বই নয়, পড়তে পারেন পত্রিকা, ম্যাগাজিন। গোয়েন্দা গল্প পড়ুন। ভ্রমণের গল্প পড়ুন। বই এমন একটি জিনিস যা আপনাকে আনন্দ তো দেবেই একই সাথে বাড়াবে বুদ্ধি।
ব্যায়াম করুন
শরীরচর্চা বা ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। মানসিক এবং শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে ব্যায়াম। তবে কাজ শুরু করার আগে যদি স্বল্প সময়ের ছোট একটি ব্যায়াম করে নেন তাহলে সেটি আপনার ব্রেইনপাওয়ারকে বাড়াবে বহুগুণে। তাই একটা ১০/১৫ মিনিটের ছোট্ট ব্যায়াম বেছে নিন। রোজ আপনার কাজ শুরুর আগে এই সময়টুকু দিন নিজেকে। আপনার মস্তিষ্ক পরবর্তী ৮ ঘন্টার কাজ করবে খুব নিখুঁতভাবে এবং দ্রুত।
ধ্যান
ধ্যান মস্তিষ্ককে দেয় শান্তি। সকল প্রকার স্ট্রেস থেকে নিজেক মুক্ত রাখতে চাইলে নিয়মিত ধ্যানের বিকল্প নেই। তবে ধ্যান আছে বিভিন্ন ধরনের এবং আপনি ঠিক করতে পারেন ধ্যানের মাধ্যমে আপনি কি অর্জন করতে চান বা আপনার টার্গেট কী! গবেষণায় দেখা গেছে, ধ্যান আপনার মনোযোগ বাড়ায়, উদ্বিগ্নতা কমায় এবং সর্বোপরি মানসিক বিপুল পরিবর্তন ঘটায়। এতে কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়।
ক্লাসিকাল মিউজিক শুনুন
মজার্ট এবং বিটোভেনের শান্তিময় সঙ্গীতকে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানো এবং রিল্যাক্স করার জন্য কার্যকরি মনে করা হয়। একটি গবেষণায় দেখা যায়, ‘মজার্ট ইফেক্ট’ মানুষের চিন্তাশক্তিকে আরও গভীর করে, বিমূর্ত ভাবনাকে সংগঠিত করে। সকালবেলা আপনি যখন তৈরি হচ্ছেন তখন এই মিউজিক শুনতে থাকুন। দেখা গেছে, এই অভ্যাস কথা বলার দক্ষতা এবং কাজে ফোকাস করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
যুক্তিভিত্তিক কোন খেলা খেলুন
দাবা খেলা বা এজাতীয় খেলা যা আপনার মস্তিষ্ককে কাজ করতে সাহায্য করে তার চর্চা করুন নিয়মিত। এতে আপনার বুদ্ধির বিকাশ হবে, মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়বে। নির্দিষ্ট বিষয়ে ফোকাস করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

পুরাতন কাপড়েই ফ্যাশন

পাল্টে ফেলতে চান একঘেয়ে লুক, অথচ সংগ্রহে বেশিরভাগই সাদামাঠা পোশাক! তাদের জন্যই সাধারণ পোশাকে এক্সপেরিমেন্ট করার সহজ টিপস দেয়া হলো।আলমারি খুললেই মনে হয় সব পোশাকই পরা হয়ে গিয়েছে? ঘাবড়াবেন না। ক্রেডিট কার্ড নিয়ে শপিংয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। আরমারিতে যা আছে, তা দিয়েই তৈরি করতে পারেন নতুন লুক। বদলে ফেলতে পারেন স্টাইল স্টেটমেন্ট।

যে একরঙা লম্বা ঝুলের টপের কোমরের অংশটা চাপা, সেগুলোর সঙ্গে শুধু কোমরে একটা ট্রাইবাল স্টাইলের চওড়া বেল্ট লাগিয়ে নিন। অনেক বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে আপনার সাজ।
তাড়াহুড়ো করে অফিস বেরতে হবে। একটা শার্ট আর জিন্স গলিয়েই বেরিয়ে পড়লেন। ব্যস, এটাই আপনার রোজকার সাজ হয়ে গেল। কিন্তু খুব সহজেই বদলে ফেলতে পারেন এই বোরিং লুক। ভিতরে স্প্যাগেটি পরে তার উপর চাপিয়ে নিতে পারেন রঙিন শার্ট। অফিস থেকে যদি সোজা কোনও পার্টিতে যাওয়ার থাকে, তাহলে শার্টের নীচের অংশের বোতাম না আটকে বেঁধেও নিতে পারেন। রোজকার সাজে পরিবর্তন আসতে বাধ্য।
ডেনিমের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন রঙের জেগিংস। এমনকী, একরঙা টপের সঙ্গে প্রিন্টেড জেগিংসও পরতে পারেন। সঙ্গে যদি কালারফুল স্নিকার্স পরে নেন, কেল্লাফতে!
এখন বাজারে হরেক রকমের স্কার্ফ পাওয়া যায়। কয়েকটা রেখে দিতে পারেন সংগ্রহে। রোজকার পোশাকের একঘেয়েমি কাটিয়ে ফেলার জন্য এগুলো উপযুক্ত। লম্বা কুর্তা কিংবা স্কার্টের সঙ্গে নিয়ে নিতে পারবেন ভাইব্র্যান্ট কালারের যে কোনও স্কার্ফ। শুধু বাঁধার কায়দাটা মাঝে মাঝে বদলে ফেলুন। ইউটিউব দেখে শিখে নিন টিপ্স!
একরঙা টি-শার্ট আর জিন্স পরেই বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে? অথচ বাইরে বেরিয়ে অন্তত ১০জনকে দেখবেন একই পোশাকে, সেটাও জানেন! সেক্ষেত্রে পোশাকের বিপরীত রঙের একটা স্টেটমেন্ট নেকপিস ঝুলিয়ে নিন গলায়। ব্যস! লুক পাল্টে যাবে মুহূর্তেই।
জুতোর দিকে একটু নজর দিলেই বদলে যেতে পারে আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট। যে কোনও সাদামাঠা ড্রেসের সঙ্গে গাঢ় রঙের জুতো পরে নিন। প্রিন্টেড জুতোও পরতে পারেন একরঙা জামার সঙ্গে।
যে কোনও জামার সঙ্গে নিতে পারেন একটা বড়সড় হোবো ব্যাগ। কিংবা টোট’ও। আবার ঝোলাও কিন্তু ঘুরেফিরে চলে আসে ট্রেন্ডে। জোগা়ড় করে ফেলতে পারলে আর দেখে কে? খুব সহজেই পেয়ে যাবেন স্মার্ট লুক।
কলেজ ইউনিভার্সিটিতে ক্যাজুয়াল সাজই রোজ ভাল লাগে। তবে মাঝে মাঝে একটু এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন। সাধারণ টপের বদলে গ্রাফিক প্রিন্টেড ক্রপ টপ পরতে পারেন কখনও। তবে তার আগে কলেজের ড্রেস কোড থাকলে সেটায় একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন।

 

রেস্টুরেন্টের সিচুয়ান পটেটো তৈরি করে ফেলুন ঘরে

চাইনিজের জনপ্রিয় একটি খাবার হল সিচুয়ান ফ্রাইড রাইস, সিচুয়ান প্রণ। সিচুয়ান প্রণ খাবারটি খেতে কিন্তু দারুন। অ্যালার্জি বা অন্য কোন কারণে অনেকের চিংড়ি মাছ খাওয়া নিষেধ থাকে। তারা কি এই মজাদার খাবারটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন? একদমই না। চিংড়ির পরিবর্তে আলু দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন এই খাবারটি।

উপকরণ:

১৫টি ছোট আলু সিদ্ধ

১ টেবিল চামচ রসুন কুচি

১ টেবিল চামচ আদা কুচি

২ টেবিল চামচ সিচুয়ান সস

তেল

১ চা চামচ চিনি

১টি ছোট ক্যাপসিকাম কুচি

১টি পেঁয়াজকলি কুচি

১.৫ কাজুবাদাম কুচি

১ চা চামচ সয়াসস

লবণ

প্রণালী:

১। আলুগুলোকে মাঝখানে দুই টুকরো করে কেটে নিন। ভাল করে ধুয়ে সিদ্ধ করে ফেলুন আলু।

২। সিদ্ধ আলুগুলো তেলে ভাল করে ভেজে নিন।

৩। একটি প্যানে তেল গরম হয়ে আসলে এতে কাজুবাদাম কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, আদা কুচি, রসুন কুচি, সিচুয়ান সস, চিনি দিয়ে নাড়ুন।

৪। এরপর এতে সামান্য পানি, সয়াসস এবং লবণ দিয়ে দিন।

৫। মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসলে এতে ভাজা আলুগুলো মেশান।

৬। কিছুক্ষণ রান্না করার পর পেঁয়াজ কলি কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

৭। ফ্রাইড রাইস বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন মজাদার সিচুয়ান পটেটো।

টিপস:

সিচুয়াস সস তৈরির করতে লাগবে, সয়াবিন তেল, মরিচের পেস্ট, আদা কুচি, রসুন কুচি, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো, সয়াসস, চিলি সস, চিনি, ভিনেগার।

 

বাসের টিকিট বিক্রি করেন তাঁরা

বাস থামতেই কাউন্টারে টিকিটের জন্য মানুষের ভিড় বেড়ে গেল। আমাদের সঙ্গে কথা বলা থামিয়ে নুসরাত দুহাতে টিকিট বিক্রি শুরু করলেন। এভাবে চলল প্রায় মিনিট পাঁচেক। বাস ছেড়ে দেওয়ার পর কথা শুরু হতেই নুসরাত বলেন, ‘এই কাউন্টারে একটু বেশিই ভিড় থাকে।’ নুসরাত বাসের টিকিট-বিক্রেতা। কাজ করেন রাজধানীর হাতিরঝিলে চলাচল করা ট্যুরিস্ট বাসের কাউন্টারে।

একজন নারী বাসের টিকিট বিক্রি করছেন, এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। আর এই কাজে নুসরাত একা নন, তাঁর মতো রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা রানী, মৌসুমী থিগিডি, লিহিনা মাঝি, হেলেনা চিসিম, বৃষ্টি মানকিন, নূপুর ও ববিতা সরকার। তাঁরা সবাই রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এমনিতে তাঁদের আট ঘণ্টা করেই কাজ করতে হয়। তবে পরীক্ষার সময় ছুটি পাওয়া যায় বলে জানালেন তাঁরা। দরকার হলে ক্লাসের সময়ের সঙ্গেও সমন্বয় করে নেন এই শিক্ষার্থীরা।

১০ অক্টোবর টিকিট-বিক্রেতা নারীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় হাতিরঝিল এলাকায়। হাতিরঝিলের এফডিসি মোড় অংশে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন সিদ্ধেশ্বরী কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের নুসরাত। তিনি এক মাস হলো এই কাজে যুক্ত হয়েছেন। তিনি বললেন, ‘আমি এক সময় টিউশনি করাতাম। কাউন্টারে মেয়েদের কাজ করতে দেখে আমার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজটিই ভালো মনে হলো।’

রাজধানীর হাতিরঝিলে চক্রাকার বাস সার্ভিসে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন তাঁদের কাছে হয়তো ব্যাপারটি নতুন কিছু নয়। রামপুরা থেকে এফডিসি মোড় হয়ে ফের রামপুরা পর্যন্ত এই বাসগুলো দিনমান চক্রাকার ঘুরতে থাকে। চক্রজুড়ে আটটি কাউন্টার, যার প্রতিটিতে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন এই নারী কর্মীরা।

রামপুরা কাউন্টারে গিয়ে পরিচয় হলো ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের মেয়ে বৃষ্টি মানকিনের সঙ্গে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে যে দুজন নারী প্রথম কাজ শুরু করেন তাঁদের একজন বৃষ্টি মানকিন। উত্তরার আনোয়ারা মডেল কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বৃষ্টি একসময় টিউশনি করাতেন। পরিচিত একজনের কাছ থেকেই খোঁজ পেয়েছিলেন এই কাজের। বৃষ্টি বলেন, ‘প্রথমে পরিবার রাজি ছিল না। মা কাউন্টারে এসে দেখে গেছেন কীভাবে কাজ করা হয়। তারপর অনুমতি পেয়েছি।’

বিবিএ পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী জানলেন, স্নাতক শেষ হওয়া অবধি তিনি এই পেশা চালিয়ে নিতে চান। তারপর পড়াশোনা করে একটি ভালো চাকরির চেষ্টা করবেন।

আমরা ছেলেমেয়ে কোনো ভেদাভেদ করিনি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর যারা আবেদন করেছে, তাদের মধ্যে থেকেই এই নারীদের নেওয়া হয়েছে

রাজধানীর হাতিরঝিলের এই চক্রাকার বাস সার্ভিস পরিচালনা করে এইচ আর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আবু ইউসুফ বলেন, নারী টিকিট-বিক্রেতারা সকাল সাতটা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বিকেল থেকে রাতের বেলায় পুরুষ কর্মীরাই কাজ করেন। মুঠোফোনে কথা হয় এইচ আর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ছেলেমেয়ে কোনো ভেদাভেদ করিনি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর যারা আবেদন করেছে, তাদের মধ্যে থেকেই এই নারীদের নেওয়া হয়েছে।’

টিকিট-বিক্রেতা এই নারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের কিছু সমস্যার কথাও জানা গেল। ইতস্তত ভঙ্গিতে একজন জানালেন, ছোট টিকিটঘরে দুপুরে বেশ গরমের মধ্যে কাজ করতে হয়। এ ছাড়া শৌচাগার সমস্যাটিও বেশ প্রকট। জরুরি প্রয়োজনে অফিসে জানানোর পর গাড়ি এসে তাঁদের নিয়ে যায়।

তবে এসব সমস্যার কিছুই তাঁদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সুযোগ ও নিরাপত্তা পেলে নারীদের জন্য কোনো পেশাই যে কঠিন নয়, তারই উদাহরণ যেন এই আট নারী টিকিট-বিক্রেতা।

 

বুঝেশুনে সাইবার জগতে

তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রটির সম্ভাবনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ব্যবহারও বাড়ছে প্রতিদিন। ছেলে-বুড়ো সবাই আগ্রহ নিয়ে কাজ করে এমন একটি ক্ষেত্র তথ্যপ্রযুক্তি। এর ব্যাপ্তিও বিশাল। তাই আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি মেয়েরাও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে নানা কাজে। আর এর সুযোগ নিয়ে দুষ্টচক্র বিভিন্নভাবে মেয়েদের হেনস্তা করছে।
ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার কিংবা ভাইবার যেটাই হোক না কেন—সবকিছুরই কিছু ভালো ও মন্দ দিক আছে। অনেককে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ই-মেইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কতটা নিরাপদ? বিশেষ করে মে​েয়দের জন্য।

নতুন কোনো কিছু, যা নানাভাবে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে, সেই জায়গা থেকে মেয়েদের দূরে সরিয়ে রাখার কোনো যুক্তি আমি অন্তত খুঁজে পাই না। কিন্তু একই সঙ্গে এ কথাও ঠিক, মেয়েদেরও তৈরি হতে হবে এসব নতুন মাধ্যমের জন্য। তৈরি থাকলে সাইবার জগতে পদচারণ ও নিজেকে নিরাপদ রাখা যাবে।

অনেক সময় আলাপ প্রসঙ্গে অনেকে খুবই ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করেন, যা আমরা ভাবি, শুধু যাঁকে পাঠালাম তিনি দেখবেন। কিন্তু ওই ছবি ফোনে থাকলে যে কারোই দেখে ফেলার আশঙ্কা থাকে। সেটা ব্যবহার করে সামাজিকভাবে হয়রানি করার মতো ঘটনাও আজকাল শোনা যায়

ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মেয়ে আশপাশে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু ফেসবুকের সেটিংস অপশন ঠিকমতো জানে বা বোঝে কয়জন? কাকে বন্ধু বানাব, সে আমার কোন পোস্ট দেখবে, কোন পোস্ট আমি সবাইকে দেখাতে চাই বা চাই না, কারা আমাকে বন্ধু বানানোর রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে—সব এই সেটিংস অপশন থেকে করা সম্ভব। কিন্তু না জানার কারণে একটা অত্যন্ত সময়োপযোগী মাধ্যম বা টুলকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবহার করছি। যেকোনো অ্যাপ্লিকেশনের পাসওয়ার্ড সবচেয়ে জরুরি। এটা নিরাপদ রাখার জন্য টু ওয়ে ভেরিফিকেশন বা এসএমএস ভেরিফিকেশনের সুবিধা থাকলে ওটা অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। এটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ রাখে বহুগুণ।

এবার আসি কী ধরনের ছবি বা ব্যক্তিগত তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ঠিক। আমরা না জেনে আমাদের ব্যক্তিগত অনেক অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করি, সেটিংসে ঠিক করে না দিলে যেটা ফেসবুক বন্ধুদের বাইরেও অপরিচিত মানুষ দেখতে পায়। অনেক সময় এসব ছবি দিয়ে অপ্রীতিকর কোলাজ তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। ব্ল্যাকমেলের শিকারও হতে হয়। তাই ফেসবুকে ছবি দেওয়ার আগে ভাবা প্রয়োজন এটা সবার কাছে যেতে পারে কি না। ব্যক্তিগত ও অন্তরঙ্গ এমন কোনো ছবি না দেওয়াই নিরাপদ।

আজকাল ভাইবার বা মেসেঞ্জারে কথা হয় বন্ধুদের সঙ্গে। অপরিচিত বা অল্প পরিচিত মানুষের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কথা বলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় আলাপ প্রসঙ্গে অনেকে খুবই ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করেন, যা আমরা ভাবি, শুধু যাঁকে পাঠালাম তিনি দেখবেন। কিন্তু ওই ছবি ফোনে থাকলে যে কারোই দেখে ফেলার আশঙ্কা থাকে। সেটা ব্যবহার করে সামাজিকভাবে হয়রানি করার মতো ঘটনাও আজকাল শোনা যায়।

ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে বা এর পাসওয়ার্ড ঠিকমতো সংরক্ষণ করা না হলে, ব্যক্তিগত ই-মেইল অন্য কেউ ব্যবহার করে আজেবাজে মেসেজ পাঠাতে পারে, যা জীবনে জটিলতা তৈরি করে। যাঁরা বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তাঁদের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু খুব সাধারণ (কমন) পাসওয়ার্ড বা অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা উচিত। সবার পাসওয়ার্ডের একটা প্যাটার্ন থাকে, ওই প্যাটার্নটা খুব কাছের মানুষকেও জানানো উচিত নয়। এতে কেউ চাইলে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ও কর্মক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি করতে পারে।

মেয়েদের তথ্যপ্রযুক্তির যেকোনো টুল ব্যবহারের জন্য কিছু সাধারণ জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যদি বিপদে পড়েই যান, তবে তা গোপন না করে যথাযথ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে গিয়ে সাহায্য চান। বাংলাদেশে সাইবার আইন আছে। এর আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধপ্রবণতা ধীরে ধীরে কমে যাবে। কিন্তু আইনের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য মেয়েদের তাদের সমস্যা নিয়ে বের হয়ে আসতে হবে।

লেখক: তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং সহসভাপতি, বেসিস

 

যে আমলে জান্নাত ওয়াজিব হয়

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আবার মানুষের ইবাদত পদ্ধতিও তিনি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিটি কাজই ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে, যদি তা কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক হয়।

যারা আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত বিধান পালনের পাশাপাশি হাদিসে বর্ণিত আমলগুলো নিয়মিত আদায় করবেন, তাদের জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত। এমনই একটি আমল তুলে ধরা হলো-

Amal

উচ্চারণ : রাদিতুবিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিল-ইসলামি দিনাও ওয়া বি-মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাবিয়্যাও ওয়া রাসুলা। (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)
অর্থ : ‘আমি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবি ও রাসুল হিসাবে পেয়ে খুশি হয়েছি। [এক হাদিসে এসেছে নবী হিসেবে পেয়ে খুশি, অপর হাদিসে এসেছে রাসুল হিসেবে পেয়ে খুশি।]

আমলটির ফজিলত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে ‘আমি আল্লাহকে প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসুল হিসেবে পেয়ে খুশি হয়েছি। তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।’ (মুসলিম)

হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় (ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর) নিয়মিত এই দোয়াটি তিনবার পড়বে; তাকে সন্তুষ্ট করা আল্লাহ তাআলার দায়িত্ব হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ দোয়াটি নিয়মিত আমল হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। বিশ্বনবির ঘোষণা অনুযায়ী জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Save

 

দুর্গাপূজা উৎসবে বলিউড তারকারা

দুর্গাপূজা- হিন্দু বাঙ্গালিদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও বর্তমানে বলিউডে জমজমাটভাবে পালন করা হয়। মুম্বাইয়ে দুর্গাপুজা ঝলমল করে তারকাদের উপস্থিতিতে। সাধারণ মানুষের মতোই বলিউডের তারকারাও বিভিন্ন প্যান্ডেলে দুর্গা পূজা দেখতে বেরিয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে চলছে মাতৃবন্দনা। প্যান্ডেলের আলোকসজ্জাকেও ছাপিয়ে যায় তারকাদের চোখ ধাঁধানো উপস্থিতি। প্রতিবছর রানি মুখার্জী, কাজল, বিপাশার বাড়িতে ভিড় জমান বলিউডের সব বড় তারকারা। থাকে খাওয়া–দাওয়ার ব্যবস্থাও।

বাঙালি যেখানে, শারদ উৎসব সেখানেই। তারকাদের ভিড়, অঞ্জলি, পুজোর ভোগ সব মিলিয়ে জমে উঠেছে মুম্বাইয়ের দুর্গাপুজো। অনেকেই দুর্গাপূজার আসল স্বাদ নিতে ছুটে গেছেন কলকাতায়। অনেকে আবার কাজের চাপে ভারতের মুম্বাইয়ে থেকেই করছেন পূজা উদযাপন। মায়ের দর্শনের পাশাপাশি মুম্বাইয়ের জুহু রোডের মুখার্জী বাড়িতে চলছে তারকা দর্শনও। অষ্টমীর সকাল থেকেই তারকার ঢল নেমেছে মুখার্জী বাড়ির ঠাকুর দালানে। সপ্তমীতে সেখানে দেখা গিয়েছিল আলিয়া ভাট ও আশুতোষ গোয়াড়িকরকে। এদিকে কাজল, তানিশা, রানি, শর্বানী, অয়ন মুখার্জীও রয়েছেন সেখানে।

প্রতি বছরই কাজলের বাপের বাড়িতে বড় করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। পূজার চারদিনই কাজল এই পূজাতে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার অজয় দেবগণকেও দেখা গেছে। কাজল পূজার বিভিন্ন কাজেও হাত লাগান। যেমন অতিথেয়তা, ভোগ বিতরণ করা ইত্যাদি। পূজার শেষ দিন সিঁদুর খেলাতেও উপস্থিত থাকেন তিনি।

অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে বচ্চন পরিবার বরাবরই ঐতিহ্য বহন করে আসছে। তাই সপরিবারে ডি এন নগরের পুজায় হাজির বচ্চন পরিবার। অষ্টমীর সকালে একেবারে বাঙালি বেশে ধরা দিল গোটা বচ্চন পরিবার। বাবা ও ছেলের পরনে পাঠান কোটের সঙ্গে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। এদিকে জয়া বচ্চন ও মেয়ে শ্বেতা সেজেছেন শাড়িতে। আর মেয়ের সঙ্গে সাদা সালোয়ারে ঐশ্বরিয়া রায়।

ওদিকে বাঙালি কন্যা বিপাশা বসু বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। কয়েকমাস আগে বিয়ে করেছেন করণ সিং গ্রোভারকে। রক্তে বাঙালি। কিন্তু পেশার টানে অনেক ছোট থেকেই শহর কলকাতার বাইরে। অনেক দিন হল পুরনো জায়গায় ফেরা হয় না। তাই এ বার তিনি ফিরবেন বরকে নিয়ে। অবাঙালি বর কখনও দেখেননি কলকাতার পুজো। তাই এ বার শিকড়ে ফিরতে চান নায়িকা। বছর চারেক আগে পুজোর কলকাতায় আসার সুযোগ হয়েছিল। তাও কিছু ক্ষণের জন্য। কিন্তু এ বার চার দিনই কলকাতায় থাকার প্ল্যান রয়েছে। বাবা-মা, আত্মীয় বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতায় পুজো কাটাবেন বিপাশা। করণ তো থাকছেনই। সঙ্গে থাকবেন করণের গোটা পরিবারও।

 

অফিসের জরুরী ৩ এটিকেট

অফিসে সবার মাঝে আকর্ষণীয় হতে গিয়ে আপনি হয়ত এমন কোন আচরণ করে বসছেন যা সবার কাছে লাগছে দৃষ্টিকটু। আবার হয়ত নিজের মত গুটিয়ে থাকতে গিয়ে হয়ে দাড়াচ্ছেন একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন। অফিসকে পুরোপুরি প্রফেশনালি নেওয়া খুবই জরুরী। তাহলে সবার সাথে আপনার সম্পর্কও প্রফেশনাল থাকবে। মেনে চলুন দরকারি এই ৩টি এটিকেট-
পোশাক
অফিসে যদি কোন ড্রেস কোড থাকে তাহলে তো সেটিই পরতে হবে। যদি না থাকে তাহলেও পোশাকের ব্যাপারে পরিবেশ বুঝে সচেতনতা জরুরী। আপনি যে অফিসে কাজ করছেন সে অফিসটি যদি কর্পোরেট অফিস হয় তবে স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশ করে এমন পোশাকই বেছে নিতে হবে আপনাকে। অনেক অফিসেই ক্যাজুয়াল পোশাককে স্বাগত জানানো হয়। নতুন চাকরিতে ঢুকে প্রথমদিন কয়েকজনকে ক্যাজুয়াল পোশাকে দেখে নিজেও পরে আসবেন না যেন! আগে কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করুন। যদি দেখেন পোশাকের ব্যক্তিগত পছন্দ সকল কর্মীর জন্যই প্রযোজ্য তাহলে আপনিও পরতে পারেন। তবে বেশীরভাগ অফিসই কর্মীদের ফরমাল পোশাকই পছন্দ করেন।
প্লিজ এবং থ্যাংক ইউ
ভদ্রতা, অমায়িক ব্যবহার কার না ভাল লাগে বলুন? আর অফিসে এর চেয়ে যাদুকরী আর কিছু হয় না। সবার সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যবহার করুন ‘প্লিজ’ এবং ‘থ্যাংক ইউ’ এই শব্দ দুইটি। অর্থাৎ, সকল কাজে অনুমতি নিন, মতামত নিন। একসাথে মিলে কাজ করুন। আদেশ নয় অনুরোধ করে মিষ্টি হেসেকাজ করিয়ে নিন। অবশ্যই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করুন।
টিমে থাকুন
অফিসে বসের মন জয় করতে গিয়ে কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করবেন না। টিমের সাথে সংযোগ রক্ষা করুন সবসময়। একত্রে থাকার অনুশীলন করুন। তার মানে এই নয় যে, আলাদা দল গড়ে তুলবেন! এতে আপনার চাকরি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। তাই নিজের কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করুন। সব কাজ যেমন একা করবেন না, তেমনি নিজের কাজ অন্যদের দিয়ে করাবেন না।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

একাই একশো নবাবী সবজি পোলাও

“নবাবী” শব্দটি শুনলেই মনে হয় মাখা মাখা মাংস আর বাসমতী চালের সুবাসে মৌ মৌ করতে থাকা ভোজ। কিন্তু তাহলে নিরামিষভোজীদের কী হবে? তাদের কপালে কি নবাবী খাবার নেই? আছে নিশ্চয়ই। আজ দেখে নিন নবাবী খাবারেরই একটি নিরামিষ সংস্করণ। স্বাদে-গন্ধে মাংসের বিরিয়ানির চাইতে কোনো অংশে কম নয় এই সবজি পোলাও। অনেকগুলো উপকরণ থাকায় প্রতি কামড়েই আছে চমক। তৈরির সময়টাও লাগবে কম।
উপকরণ
  • ২ কাপ (২০০ গ্রাম) চাল
  • ২ টেবিল চামচ ঘি
  • আধা টেবিল চামচ তেল
  • ১টা ছোট ফুলকপি
  • ১টা মাঝারি গাজর
  • ৬/৭টি সীম
  • আধা কাপ মটরশুঁটি
  • ৮-১০টি মুগ ডালের বড়ি/ সয়া বল
  • ১টি বড় পিঁয়াজ
  • ১ টেবিল চামচ আদা কুচি
  • ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
  • ৩টি কাচামরিচ মিহি কুচি
  • কয়েকটি তেজপাতা
  • ৪/৬টি লবঙ্গ
  • ৩/৪টি এলাচ
  • ১টি শাহী এলাচ
  • ৬/৭টি গোলমরিচ
  • ১ ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
  • ১ চা চামচ আস্ত জিরা
  • আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
  • আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
  • ১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
  • অল্প কিছু কাজুবাদাম ও কিসমিস
  • গার্নিশের জন্য ধনেপাতা কুচি
প্রণালী
১) বড়ি বা সয়া বল ডিপ ফ্রাই করে রাখুন।
২) একটি প্যানে তেল গরম করে নিন। এতে অর্ধেক পিঁয়াজ এবং অর্ধেক আদা ভেজে বেরেস্তা করে নিন। এরপর এতে দিন ফুলকপি, গাজর, সীম, মটরশুঁটি, এক চিমটি হলুদ এবং লবন। নেড়েচেড়ে ভেজে নিন ৫-৬ মিনিট। এরপর নামিয়ে রাখুন।
৩) প্রেশার কুকারে ঘি গরম করে নিন। এতে দিন তেজপাতা, জিরা, লবঙ্গ, গোলমরিচ, এলাচ এবং কয়েকটি কাজুবাদাম। ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না হাল্কা গোলাপি হয়ে আসে কাজুবাদাম। এরপর কিছু কিসমিস দিতে পারেন। বাকি পিঁয়াজ, আদা, রসুন, কাচামরিচ দিয়ে ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়। এরপর বড়ি দিয়ে কয়েক মিনিট ভেজে নিন। বাকি হলুদ, মরিচ গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিন। ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিন।
৪) এতে চাল দিয়ে দিন। অল্প লবণ ছিটিয়ে দিন। ৪ কাপ পানি দিয়ে প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে দিন। মাঝারি আচে রান্না হতে দিন। একটা সিটি দিলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৫) আচ বন্ধ করে দিন। প্রেশার কমে গেলে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলুন। এর ভেতরে সবজিগুলো দিয়ে দিন। ভালো করে নেড়ে সেদ্ধ পোলাওয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর ঢাকনা বন্ধ করে রেখে দিন ১০ মিনিট। এতে সবজিগুলো সেদ্ধ হবে কিন্তু একটু কচকচেও থাকবে।
ওপরে ধনেপাতা কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন নবাবী সবজি পোলাও। এর সাথে দিতে পারেন রায়তা। ব্যাস, আমিষের কোনো দরকারই হবে না!

 

পোশাকের সঙ্গে নান্দনিক স্যান্ডেল

পছন্দের পোশাকের সঙ্গে ভিন্ন লুক আনতে পরতে পারেন নান্দনিক ডিজাইনের স্যান্ডেল বা জুতা। একটা সময় ছিল যখন ছেলেরা ফ্যাশনে স্যান্ডেলকে বেশি প্রাধান্য দিত। ছুটির দিনে কিংবা উৎসবের সময় স্যান্ডেল বেশি পরতো ছেলেরা। ইদানীং আবারও স্যান্ডেলের ব্যবহার বাড়ছে।

গরমে স্বস্তিতে বাইরে বের হওয়ার জন্য অনেকেই চান একজোড়া মনের মতো স্যান্ডেল। তরুণরা এখন নানা রংয়ের জিন্স ও টি-শার্টের সঙ্গে মানিয়ে পরছে স্যান্ডেল। আর পাঞ্জাবির সঙ্গে স্যান্ডেল না পরলে নিজেকে তো পরিপাটিই মনে হয় না।

হাল সময়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানা ডিজাইনের স্যান্ডেল। রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটগুলোতে পাওয়া যায় নান্দনিক ডিজাইনের ও বাহারি রংয়ের স্যান্ডেল। এসব স্যান্ডেলে ব্যবহৃত মোটিফে রয়েছে বৈচিত্র্য এবং নানা রঙের।

গতানুগতিক কালো, লালচে, চকলেট ইত্যাদি রং তো আছেই। কিছু স্যান্ডেল আবার দারুণ বর্ণিল। বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ড তরুণদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে স্যান্ডেলের ডিজাইন করছেন তারা। সব সময় পরা যায় এমনি সব জুতা ও স্যান্ডেল দিয়ে সাজিয়েছেন তাদের আউটলেটগুলো। বিদেশি ব্র্যান্ডের স্যান্ডেলের ডিজাইনের মতো কিছু ডিজাইন আছে বাহারি রংয়ের।

স্যান্ডেল ছাড়াও সেখানে পাওয়া যায় সু, কেডস ও স্পোর্টস স্যান্ডেল। আর এসবের দামও অনেক সাশ্রয়ী। পিওর লেদারের সু দাম ১৮শ` থেকে ২ হাজার ৯শ` ৯০ টাকা, কেডস ১৪ শ` থেকে ২ হাজার ৮শ` ৯০ টাকা, স্পোর্টস স্যান্ডেল ১ হাজার ৩শ` ৯০ থেকে ১ হাজার ৭শ` ৯০ টাকা ও চামড়ার স্যান্ডেল ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৯শ` ৯০ টাকায়।

 

করবিনের মন্ত্রিসভায় আরো বড় দায়িত্বে টিউলিপ

হাউজ অব কমোন্স এ জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভায় আরো বড় দায়িত্ব পেলেন হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড কিলবার্নের এমপি, বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক। রোববার থেরেসা মে সরকারের শিক্ষা বিষয়ক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন টিউলিপ।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ায় দলের নেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন টিউলিপ।

রোববার শিক্ষা বিষয়ক পদে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম ঘোষণা করেন ছায়ামন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রায়নার। এই পদে টিউলিপ সিদ্দিকসহ আরো তিন সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরা হলেন গর্ডন মার্সডেন এমপি,মাইক কেইন এমপি ও ইমা লয়েলবাক এমপি।

tulip
কয়েক বছর ধরেই ছায়া শিক্ষা সচিব অ্যাঙ্গেলা রেইনারের সঙ্গে কাজ করছেন টিউলিপ। এছাড়া গত মাসে করবিন পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর লেবার পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করতে লেবার সদস্যদের করবিনকে সমর্থন করা জরুরি বলে মত দিয়েছিলেন টিউলিপ।

গত মে মাসে হাউজ অব কমন্সে প্রথমবারের মত নির্বাচিত হয়েছিলেন টিউলিপ। করবিনের মন্ত্রিসভায় আরো বড় পদে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে বেশ উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন তিনি।

Save

Save

 

সংসার ভাঙার ভয়ে স্তন ক্যান্সার লুকান নারীরা!

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা প্রতিবছরই বাড়ছে। আর প্রতিবছর নতুন করে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের এক-চতুর্থাংশ চিকিৎসাসেবা নেন না। এর মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে ধর্মীয় গোড়ামি ও কুসংস্কার। আছে শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবও। আবার সংসার ভাঙার ভয়েও  স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত অনেক নারী স্বামী কিংবা পরিবারের কাছে বিষয়টি লুকিয়ে থাকেন।

বিশ্বজুড়ে অক্টোবর মাস স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস আর ১০ অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর দেশে ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। মারা যায় প্রায় আট হাজার। ক্যান্সার হাসপাতালের ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা হাজার দেড়েকের মতো। বাকি হাসপাতালগুলোতে সব মিলিয়ে যায় চার হাজারের মতো। বাকি রোগীরা কোথায় যায়- এমন প্রশ্ন তুলে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন  বলেন, ‘আক্রান্ত নারীদের সবাই এ অসুখের কথা বলছেন না। চিকিৎসার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন তারা। এ বিষয়টি নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে।’

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ হাজার ৮২২ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মৃত্যু হয় সাত হাজার ১৩৫ জনের। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১৬ শতাংশই স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। এর মধ্যে পুরুষ এক শতাংশ। ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের গড় বয়স ৪৩ বছরের বেশি হলেও অবিবাহিতরা এ ঝুঁকির বাইরে নন।

ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, শহর এলাকায় চিকিৎসাব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে সচতেনতা ও চিকিৎসাব্যবস্থার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। চিকিৎসা নিয়ে সমাজের ভুল ধারণা দূর করাটা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘অপরাজিতা সোসাইটি অ্যাগেইনেষ্ট ক্যান্সার’এর কোষাধ্যক্ষ তাহমিনা গফুর বলেন, সংসার ভাঙার ভয়ে অনেক নারী মরনব্যাধী এই অসুখের কথা বলার সাহস পায় না। নারীদেরকে এই ভয় জয় করতে হবে। শরীরের অন্য আর দশটা অসুখের মতো এটাও একটা অসুখ। চিকিৎসা করালে ক্যান্সার ভালো হয়-এই বোধ সবার জন্য জরুরি।’

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান  বলেন, ‘দেশে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত সব রোগী চিকিৎসাসেবায় আসেন না। কারণ, নারীরা এ বিষয়ে কথা বলেন না। যেসব নারী এ বিষয়ে সচেতন নন, তারাই মূলত চিকিৎসার বাইরে থাকেন। তারা সময়মতো আমাদের কাছে এলে অবশ্যই চিকিসা দেওয়া সম্ভব। কারণ, বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।’

 

সরাসরি না দেখে বেগানা নারীদের ছবি দেখলে পাপ হবে কিনা?

সরাসরি না দেখে মেয়েদের ফটো দেখা বিশেষ করে পত্র-পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে যাদের ফটো থাকে তাদের ফটো দেখা কেমন?

প্রথমে জানতে হবে যে বেগানা বরতে আসলে কি বুঝানো হয়েছে? বেগানা মানে হলো- যে নারীর সাথে পর্দা করা ফরজ, পর্দাহীনভাবে যে নারীকে দেখার অনুমতি ইসলামি শরীয়ত প্রদান করে না। এমন নারীকে বেগানা বলা হয়। বেগানা নারীদের সরাসরি দেখা যেমন না জায়েজ ঠিক তেমনই ভাবে তাদের ফটো দেখাও না জায়েজ ও হারাম। তাই বেগানা মেয়েদের ফটো দেখা কোনভাবেই জায়েয না। [হেদায়া: ৪-৪৫৮]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

পুরুষের লাল কাপড় পরা : কী বলে ইসলাম

কিন্তু আমার জানার বিষয় হচ্ছে পুরুষ যদি লাল রংয়ের কাপড় পরে তাহলে কি সেটা পরা তার জন্য জায়েয হবে? ইসলামী শরীয়ত এই বিষয়ে কি বলে?

সাদা, কালো, হলুদ ও লাল ইত্যাদি রোংয়ের কাপড় বাজারে পাওয়া যায়। আমর সাধারণত দেখি পুরুষরা লাল কাপড় পরে না। কিন্তু আমার জানার বিষয় হচ্ছে পুরুষ যদি লাল রংয়ের কাপড় পরে তাহলে কি সেটা পরা তার জন্য জায়েয হবে? ইসলামী শরীয়ত এই বিষয়ে কি বলে?

লাল কাপড় পরতে ইসলামের দৃষ্টিতে কোন প্রকার বাধা নেই। তবে না পরাই ভালো। [আযীযুল ফাতাওয়া ৭৫১]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

স্ট্রবেরির গুণাগুণ

মুখোরোচক এবং সুস্বাদু ফলের নাম হলো স্ট্রবেরি। আপনার ডায়েটের খাদ্য তালিকায় যাকে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে জায়গা দিতে পারেন। স্ট্রবেরিতে রয়েছে লো-ক্যালোরি, উচ্চ মাত্রার ফাইবার। এছাড়া এটি ফ্যাট মুক্ত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং শক্তি সরবারহ করে স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেয়া যাক এ ফলটির আরো কিছু গুণাবলি।

শক্তি সরবারহ করে
প্রতিদিনের খাবার তালিকা এমন হওয়া উচিৎ যাতে আমরা পর্যাপ্ত শক্তি পাই। এক্ষেত্রে স্ট্রবেরি হতে পারে উপযুক্ত খাবার। এটি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তাপশক্তি সৃষ্টি করে যা সারাদিন কাজে মনোযোগী এবং কর্মদক্ষ বাড়ায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
একটি গবেষণার ফলাফলে জানা গেছে যে, সপ্তাহে অন্তত একটি স্ট্রবেরি খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৩২ শতাংশ কমে যায়। এছাড়া যারা ডায়েট করছেন এমন ৯৩ হাজার নারীর উপর গবেষণা করে পাওয়া গেছে, তাদের ডায়েট চার্ট ২৫-৩০ শতাংশ কাজে আসে কেবল স্ট্রবেরি খাওয়ার ফলে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
স্ট্রবেরি কেবল শরীরের জন্যই ভালো তা নয়, এটি সমানভাবে মস্তিস্কের জন্যও উপকারি। অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড ক্যামিস্ট্রির জার্নালে প্রকাশ পায় যে, স্ট্রবেরিতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিজেন রয়েছে, যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে অনেক কিছু মনে রাখতে সাহায্য করে।

হাড়ের ক্ষয় রোধ
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় একটি অন্যতম রোগ। হাড়ের ক্ষয়ের সঙ্গে কখনো কখনো যুক্ত হয় ব্যথাও। আর এসব সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন খেতে পারেন স্ট্রবেরি। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন সি হাড়ের ক্ষয়রোধে সাহায্য করবে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি
স্ট্রবেরিতে থাকা ভিটামিন সি পাচন তন্ত্রের কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে। হজম ক্রিয়াকে করে তোলে সক্রিয়। ফলে যাদের বদহজম আছে তারা স্ট্রবেরি খেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

 

হুমায়ূন আহমেদের গল্পের নায়ক হিরো বাঁধন

হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ উপন্যাস অবলম্বনে একটি ছবি নির্মাণ করবেন মেহের আফরোজ শাওন। সেই সিনেমার নায়ক হচ্ছেন বাঁধন। ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী মেন চ্যানেল আই হিরো, পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ আর্মি’ প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন তিনি।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে জমকালো এক আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী মেন চ্যানেল আই হিরো, পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ আর্মি’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে বাঁধন পাচ্ছেন সিনেমায় কাজ করার সুযোগ।
কিংবদন্তি লেখকের গল্পে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে করছেন বাঁধন। তিনি বলেছেন, ‘আমি অসম্ভব খুশি। পাশাপাশি এ–ও বলতে চাই, ছবিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আমার ওপর যে বিশ্বাস রেখেছেন, আমি তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।’ গতকাল শনিবার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান।
পাঁচ শ তরুণের মধ্য থেকে চূড়ান্তপর্বে বেছে নেওয়া হয় সেরা পাঁচ প্রতিযোগীকে। সবাইকে পেছনে ফেলে ‘হিরো’ হন বাঁধন। পুরস্কার হিসেবে তিনি আরও পেয়েছেন একটি ব্র্যান্ড নিউ মিতসুবিসি গাড়ি ও এক লাখ টাকা। ছবিটি নিবেদন করবে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ও পরিবেশন করবে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড।
প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম রানারআপ পূষণ দুই লাখ টাকা ও দ্বিতীয় রানারআপ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ টাকা। এ ছাড়া এক বছরের জন্য ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেডের নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পাবেন তাঁরা।
পুরস্কার ঘোষণার সময় মঞ্চে ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাব্বির আহমেদ ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্র্যান্ড বিল্ডিং ডিরেক্টর জাভেদ আক্তার। প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও অভিনেত্রী ও নির্মাতা তানিয়া আহমেদ।

 

অফিস হোক স্ট্রেস ফ্রি কাজের জায়গা

অফিস মানেই কি স্ট্রেস? অনেক কাজের চাপ, বসের বকাঝকা, সহকর্মীদের সাথে প্রতিযোগিতা আর অফিস পলিটিক্সের নানান ঝামেলা- এই কি অফিস? না। কাজের জায়গা হলেও অফিসকে আপনি করে নিতে পারেন নিজের মনের মত! কাজ করতে করতেও থাকতে পারেন স্ট্রেসফ্রি। কীভাবে? আসুন জেনে নিই-
কলিগদের সাথে বন্ধুত্ব করুন
অফিস কাজের জায়গা। বন্ধুত্বের জায়গা নয়। ঠিক। কিন্তু কলিগ তো আপনার শত্রুও নয়, তাই না? সবসময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসুন। এতে আপনারই স্ট্রেস কমবে। আপনার কাজ আপনি ঠিকমত করে যান। সবার সাথে মিশুন হাসিমুখে। অন্য কেউ যদি আপনার সাথে প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে চান তিনিও একসময় ক্লান্ত হয়ে যাবেন। ভাল ব্যবহার, মিষ্টি হাসি আপনাকে সবার বন্ধু করে তুলবে। এতে আপনার কাজ সহজ হবে। অনেক প্রয়োজনে সাহায্য যেমন পাবেন তেমনি অপ্রয়োজনীয় স্ট্রেস কমে আসবে।
সব কাজ ঠিকমত করুন
নিজের কাজ অবহেলা করে ফেলে রাখবেন না। কাজ ঠিকমত না করলে বসের রাগ তো সইতেই হবে, তাই না? তাই ঠিকমত নিজের দায়িত্ব পালন করুন সবার আগে। অফিসে এসে সময় নষ্ট করবেন না। সব কাজ গুছিয়ে করুন। চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন। আপনি যার অধীনে কাজ করছেন যে কোন ব্যপারে আগে তার সাথে কথা বলুন। তাকে এড়িয়ে উর্ধ্বতন কারও সাথে পরামর্শ করতে যাবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। সমাধান হবে না।
মাঝে মাঝে ব্রেক নিন
একটানা কাজ যে কোন মানুষকে ক্লান্ত করে দেয়। কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নিন। হাঁটাহাঁটি করুন। চা পান করুন। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখুন। এখন অফিসে প্রায় সব কাজই থাকে কম্পিউটারে। সারাক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা নার্ভে চাপ তৈরি করে। তাই কাজের ফাঁকে একটু হলেও ব্রেক নিন।
 
গান শুনুন
এমন কিছু কাজ থাকে যা একটু রিল্যাক্স মুডে করা যায়। সেই সব কাজের সময় গান শুনুন। সুর, ছন্দ আমাদের মস্তিষ্ককে একটা শান্তির আমেজ দেয়। আনন্দের বার্তা পাঠায়। এতে সে যা কাজ করে আনন্দের অংশ হিসেবেই করে। ফলে ওই কাজটুকু আপনার মধ্যে বাড়তি চাপ তৈরি করে না।
জীবনের সাথে তাল মেলান
কম বেতন, যাতায়াতের সমস্যা এগুলোও স্ট্রেস তৈরি করে। জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নিন এগুলোকে। যা নেই তা তো বাড়তি টেনশন করলেও আসবে না, তাই না? তাই জীবনকেও ওইভাবেই সাজিয়ে নিন। অফিসের কাছে বাসা ভাড়া নিতে পারেন বা নিজের অপ্রয়োজনীয় কোন শখ আপাতত স্থগিত রাখতে পারেন। এভাবে নিজেকে ভারমুক্ত করুন।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্ভব। তবে এই অমূল্য বস্তুও কখনো কখনো আপনার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে। যদি আপনার জীবনে সঠিক মানুষটি বন্ধু হয়ে না আসে তবে আপনার জীবন মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে। আপনি মানসিক রোগীতেও পরিণত হতে পারেন। তাই বন্ধু নির্বাচনের সময় সতর্ক হোন। কাকে বন্ধু বানাচ্ছেন তা বানানোর আগে হাজারবার ভাবুন এর পরে হাতটি বাড়ান।

নিজস্ব সত্ত্বায় অটল থাকুন
আপনার নিজের কিছু ভালোলাগা খারাপলাগা আছে। আপনি হয়তো বন্ধুর জন্য অনেক কিছুই বিসর্জন দিয়েছেন এবং দেয়ার মনমানসিকতাও তৈরি করে রেখেছেন। তবে সেও যে আপনার জন্য একইরকম ভাবে চিন্তা করে তার কী প্রমাণ আছে আপনার কাছে। আর আপনি যখনই এমন কাছের বন্ধুর থেকে ধোঁকা খান, আপনি ভেঙ্গে পড়েন। তাই নতুনভাবে বন্ধু নির্বাচনের সময় এই ব্যপারগুলো মাথায় রাখুন। যাতে আপনার নিজস্ব স্বত্বা সব সময় অটুট থাকে। একে খুব সহজে বিলীন হতে দেবেন না।

পরিচিতি আগে গড়ুন
হুট করে ঘটে যাওয়া কোনো কিছু যেমন টিকে থাকে না ঠিক বন্ধুত্বও টেকে না। তাই কারো সাথে দু-চার দিনের পরিচয়েই বন্ধুত্ব করবেন না। তাকে আগে চিনুন তার সাথে সময় কাটান, দেখুন সে আপনাকে কেমন বুঝছে আপনি তাকে কেমন বুঝছেন এবং একে অন্যর বিপদে কেমন আচরণ করছেন। কতটুকু সাহায্য করছেন। এসব দেখেশুনে তবেই বন্ধুত্বের হাত বাড়ান।

প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রযুক্তি এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। প্রতিদিন আমাদের কতশত মানুষদের সাথে পরিচয় হয় এই প্রযুক্তির বদৌলতে। আর একটা সময় তাদের সাথে সময় কাটাতে কাটাতে সৃষ্টি হয়ে যায় এক বন্ধুত্বের সম্পর্কে। তাই এসব ক্ষেত্রে একটু সজাগ থাকুন। দেখেশুনে পা বাড়ান। যাতে ভুল মানুষের সাথে বন্ধুত্ব না হয়।

মুক্তমনা
মনের মাঝে কথা লুকিয়ে রাখে এমন মানুষ থেকে হাজার হাত দূরে থাকুন। কারণ এদের মনে এবং মস্তিস্কে কী ঘুরতে থাকে কেউ বলতে পারে না। তাই এদের থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভালো আপনার জন্য। বন্ধুত্ব গড়ুন তার সাথেই যে মন খুলে আপনার সঙ্গে মিশতে পারে। আপনাকে তার সব কথা বলতে পারে।

 

ঝাল ঝাল সিজলিং বিফ

ঈদের পর অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে গরুর মাংস খাচ্ছেন না। অনেকে আবার ইচ্ছামতো খাচ্ছেন। তবে প্রতিদিন গরুর মাংস শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি খাদ্যাভাসেও একঘেয়েমী আনে। তবে একটু আলাদা করে স্বাদ বদল করে সিজলিং বিফ বোধ হয় খাওয়া যায়, এতে সবজিও খাওয়া হয়, মাংসও খাওয়া হয়। আজকের রান্না সিজলিং বিফ।

উপকরণ:

হাড় ছাড়া মাংস – ১/২ কেজি (জুলিয়ান কাট )

সয়া সস – ২ টেবিল চামচ(মেরিনেট করার সময় এক টেবিল চামচ বাকিটা পরে দিতে হবে।)

ওয়েস্টার সস – ১ টেবিল চামচ

রেড় গার্লিক সস ১ টেবিল চামচ

আদা বাটা – ১ চা চামচ

রসুন বাটা – ১ চা চামচ

গোলমরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

লাল মরিচ গুঁড়া -১/২ চা চামচ

লবণ স্বাদ মতো

চিনি- ১/২ চা চামচ

ভিনেগার সস:  ভিনেগার ১ টেবিল চামচ+ শুকনা মরিচ কুচি দুটি + রসুন ছেচা কুচি ৫-৬ টি কোয়া সব এক সাথে মিক্স করে রাখুন

পেঁয়াজ- মোটা কুচি ১/২ কাপ

কাঁচামরিচ ফালি ৪-৫ টি(বিচি ফেলে দিতে হবে।)

ক্যাপসিকাম ১ টি- মোটা জুলিয়ান কাট

গাজর ১টি- জুলিয়ান কাট

পিয়াজঁ পাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ

কর্ণফ্লাওয়ার- ২ টেবিল চামচ

সয়াবিন তেল- ২ টেবিল চামচ

 পদ্ধতি:

১) প্রথমে বিফকে পাতলা জুলিয়ান শেইপে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

২) এবার বিফে লবণ পরিমাণ মতো ,আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচ গুঁড়া, কর্নফ্লাওয়ার, সয়াসস ও ওয়েস্টার দিয়ে মেখে কমপক্ষে ১ ঘন্টা রেখে দিতে হবে।

৩) এখন বিফ গুলো একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় মিড়িয়াম আঁচে রান্না করতে হবে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে । যেন তলায় লেগে না যায়। বিফে প্রয়োজনে এক কাপ পানি দিয়ে দিন। বিফ সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে আসলে নামিয়ে নিন।

৪) এখন সিজলিং এর পালা, সিজলিং প্যানটি গরম দিন। যাদের সিজলিং প্লেট নাই অসুবিধা নাই। তারা নরমাল প্লেটে সার্ভ করতে পারেন।

৫) অন্য একটি ননস্টিক প্যান চুলায় দিয়ে তেল গরম করে, ভিনেগার সসটি দিয়ে নাড়ুন কিছুক্ষণ। সুগন্ধি বের হলে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম ও গাজর দিয়ে নাড়ুন এক মিনিট মতো। চুলার আঁচ বাড়িয়ে ভাজতে হবে।

৬) এবার রান্না করা বিফটি দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজতে হবে। রেড গার্লিক সস ও এক টেবিল চামচ সয়াসস দিয়ে নেড়ে ভাজুন। চিনি ,কাঁচামরিচ  দিন নেড়ে মিশান। এক টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার +১/২ কাপ পানি দিয়ে গুলে বিফে দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিশান। এবার পেঁয়াজ পাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিন।

৭) এবার গরম সিজলিং প্যানে বাটার দিয়ে বিফ ঢেলে নিন। উপরে পেঁয়াজ পাতা কুচি, পেঁয়াজ রিং ও কাঁচামরিচ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

 

বাহারি ওড়নার খোঁজখবর

হালের ফ্যাশনে ওড়না এখন বিশেষভাবে সমাদৃত। একটি নজরকাড়া ওড়না পোশাকে এনে দেয় নতুনত্ব এবং ভিন্নতা। একসময় শুধু রঙটা মিলিয়ে পরে নিলেই শেষ হয়ে যেত ওড়নার প্রয়োজনীয়তা। এখন আর ব্যাপারটা তেমন নেই, ওড়না দিয়েই নিজেকে করে তোলা যায় ফ্যাশনেবল। ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে রঙ-বেরঙের ওড়না এখন খুব ব্যবহার হচ্ছে। নানা রঙের বাহার ওড়নায় তৈরি করে এক নান্দনিক সৌন্দর্য। যেকোনো সাদামাটা সাজে পরিপূর্ণতা এনে দিতে পারে রঙিন ওড়না।

একই ওড়নায় নানা রঙের ব্যবহার এখন বেশ জনপ্রিয়। কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে নয় বরং ওড়নার সঙ্গে মিলিয়ে কামিজ পরার চলটা ফিরে এসেছে। টাইডাই বাটিকের পাশাপাশি সুতি, খাদি, চুণ্ডি, সিল্ক, মসলিন, নানা রকমের জর্জেট সেই সঙ্গে তাঁতের ওড়না এখন বাজার জুড়ে বিস্তার।

নানা রঙের শেডের ওড়না যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে একই ওড়নায় মাল্টিকালারের সমাবেশ। এর সুবিধা হচ্ছে, একটি ওড়না দু-তিনটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায় সহজেই। শেডের ওড়নার চাহিদাও রয়েছে বেশ।

এখন টাইডাই করা ওড়না ফ্যাশনে বেশ জনপ্রিয়। দুই বা তিন রঙে টাইডাই করা হয়। জর্জেট ও সুতি দুটো কাপড়েই টাইডাই করা ওড়না হচ্ছে। এছাড়াও ওড়নায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লেসের ব্যবহার। অনেকে চওড়া বা সরু লেস ডিজাইন করে ওড়নায় বসান। মসলিন ও জর্জেটের ওপর সাধারণত লেস লাগানো হয়। সাধারণত জমকালো পোশাকের সঙ্গে এই ওড়নাগুলো ব্যবহার করা হয়।

নানা রকমের পাড় ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ওড়নায়। সুতি, কুরুশের কাজ, নেটের কাজ করা পাড়ও দেখা যায়। অ্যামব্রয়ডারি করা ওড়নাও পাওয়া যায়। জর্জেট ও সুতির ওড়নাতে অ্যামব্রয়ডারি বেশি দেখা যায়। একরঙা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে একটি কাতানের ওড়না পোশাকে যোগ করবে অভিনবত্ব।

বিভিন্ন মার্কেট ছাড়াও বড় বড় বুটিক হাউজগুলোতে রয়েছে ওড়নার বিশাল সম্ভার। কাপড় ও কারুকাজ অনুসারে ওড়নার দাম পড়বে। সুতি একরঙা ও হালকা কাজের ওড়না পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, পাকিস্তানি জর্জেটের হাতের কাজের ওড়না ৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, খাদি ১২০ থেকে ৩০০ টাকা, হ্যান্ড প্রিন্ট ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বলাকা সিল্ক ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা, শার্টনি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, মসলিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সিল্ক শিফন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিল্কের ছোট ওড়না ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সুতি স্কার্ফ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মাফলার ওড়না ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, জুট কটন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিল্ক ৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকা, চিনন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, ক্রেপ জর্জেট ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বাটিক ১২০ থেকে ৪০০ টাকা, সুতি টাইডাই ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সিল্ক টাইডাই ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, স্প্রে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা, সিল্ক কোঁকড়ানো ওড়না ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা, জামদানি ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

 

এটাই কি খাদিজার প্রতি বদরুলের ভালোবাসা?

‘সখী, ভালোবাসা কারে কয়!/ সে কি কেবলই যাতনাময়।’—রবিঠাকুরের এই গানটি বর্তমানে খুব বেশি সময়োপযোগী। হয়তো তিনি তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ভালোবাসা নামক শব্দের বিপরীত দিকটা খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন, তা না হলে এমন গান কি লেখা যায়?
ভালোবাসা যে সত্যি যাতনাময় সেটা আরও একবার প্রমাণ হলো বাংলার বুকে। এই বাংলার মাটিতেই ভালোবাসা নামক শব্দের বলি হলো খাদিজার মতো এক নিরীহ প্রাণ! এটাই কি খাদিজার প্রতি বদরুলের ভালোবাসা? এই ভালোবাসা বুকে নিয়েই কি বদরুল দিনের পর দিন খাদিজার জন্য প্রতীক্ষা করেছে? প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেই তাকে রক্তাক্ত করতে হবে, আছে কি কোনো গ্রন্থে লেখা?
বদরুল কি সত্যি খাদিজাকে ভালোবেসেছিল? ভালোবাসাতো কখনো কারও ক্ষতি করে না! ভালোবাসার মানুষের অমঙ্গল কেউ কখনো কামনা করতেই পারে না। তাহলে খাদিজাতো ভুল করেনি মানুষরূপী পশু বদরুলকে চিনতে। আর চিনতে পেরেছিল বলেই আজ তার এমন করুন দশা।

বদরুল ছাত্রলীগ না ছাত্রদল সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা হলো সে একজন মানুষ। আর মানুষের ভেতরের মনুষ্যত্ব তৈরি হয় শৈশবে। যা হয়তো বদরুলের ভেতরে ছিল না। কবি ঠিকই বলেছিলেন, মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুর-অসুর। প্রতিটি মানুষের ভেতরেই একটা পশু ঘাপটি মেরে বসে থাকে। মানুষের বিবেক সেই পশুটাকে জাগ্রত হতে বাঁধা দেয়। কিন্তু বিবেক যেখানে অস্তিত্বহীন, মনুষ্যত্ব সেখানে অসহায়।
খাদিজা-রিসার মতো আরও অসংখ্য নারী দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কারও মুখ অ্যাসিড দিয়ে ঝলসানো হচ্ছে, কাউকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, কারও পেটে ছুরি ঢোকানো হচ্ছে আবার খাদিজার মতো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে।
প্রেম-ভালোবাসার নামে যে পৈশাচিক, ন্যক্কারজনক ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। ভালোবাসা শব্দটির গভীরতা সম্বন্ধে ন্যূনতম ধারণা যাদের নেই শুধুমাত্র মোহের বসে তারা ফুলের মতো জীবনগুলো ধ্বংস করে চলেছে। এর কোনো প্রতিকার আজও আমাদের সমাজ করতে পারেনি। যদি শুরুতেই এসব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো তাহলে দিনে দুপুরে সবার সামনে খাদিজাকে এভাবে আক্রমণ করতে পারত না।
দূর প্রবাস থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, বদরুলের মতো নরপিশাচের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। পত্রিকার পাতায় আর কোনো খাদিজা-রিসা যেন হেডলাইন না হয়। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী সে দেশে সকল নারীর নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয়। আমরা প্রবাসীরা যেন মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারি।

 

চিকেন জিঞ্জার রাঁধবেন যেভাবে

চেনা খাবারের স্বাদ বদল করতে চাইলে রাঁধতে পারেন চিকেন জিঞ্জার। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই খাবারটি আপনার খাদ্যতালিকায় রাখলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। চলুন জেনে নিই চিকেন জিঞ্জার তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : চিকেন ১/২ কেজি, ছোট টুকরা করে নেয়া, আদা লম্বা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ৩-৪ টেবিল চামচ, আদা ছেঁচা ২ চা চামচ (ভালো করে ছেঁচে নেয়া), রসুন বাটা ২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ বা স্বাদ অনুযায়ী, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচের একটু কম, কালো গোল মরিচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, টক দই ১/২ কাপ, কাঁচা মরিচ ৪-৫ টি (দুই তিন টুকরা করে কেটে নেয়া), তেল পরিমাণ মতো, লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালি : প্যানে তেল গরম করে পিঁয়াজ ও রসুন বাটা দিয়ে একটু কষিয়ে চিকেন ও ছেঁচা আদা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। এরপর একে একে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে টক দই দিয়ে কষিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চিকেন সেদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠে মাখামাখা হয়ে আসলে কাঁচামরিচ টুকরা ও আদা কুচি দিয়ে একটু নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।

 

হিজাব পরুন মুখের গড়ন বুঝে

পর্দা পালনের জন্য হিজাবের প্রচলন হলেও বর্তমান সময়ে পর্দার পাশাপাশি বাইরের ধুলোবালি আর রোদ থেকে সুরক্ষা পেতেও হিজাব ব্যবহার করছেন ফ্যাশন সচেতন নারীরা। বিশেষ করে তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই হিজাব। তবে কেবল পছন্দের তালিকাতেই থাকলে হবে না এটি কীভাবে বাঁধলে ভালো দেখাবে তাও জানতে হবে। তাই কোন মুখের আদলে কীভাবে হিজাব বাঁধবেন চলুন জেনে নেই-

ডিম্বাকৃতির চেহারা
চেহারার এই আকৃতিকে বলা হয় ‘পারফেক্ট ফেস’। হিজাব জড়াতে বিশেষ ভাবতে হবে না এই ধরনের চেহারার নারীদের। শুধু হিজাবটাকে চেহারার চারপাশে ফ্রেম করে জড়িয়ে বেঁধে নিলেই হবে

চ্যাপ্টা চেহারা
এই ধরনের চেহারাকে একটু লম্বা দেখাতে পারলেই হয়, আকর্ষণীয় উপস্থাপনে মানিয়ে যায়। হিজাব পরার সময় দুই পাশের কাপড় চেহারার ভিতর দিকে টেনে আনতে হবে। অর্থাৎ কানের দুই পাশ দিয়ে প্রায় ভ্রু পর্যন্ত টানতে হবে। কিন্তু কপালের দিকে নিচে টানা যাবে না। চ্যাপ্টা চেহারায় কপাল বা ভ্রু হিজাবের আড়ালে রাখা ঠিক না।

গোলাকৃতি চেহারা
দেখতে খুব আদুরে হলেও হিজাব পরার সময় কিছুটা বিপাকে পড়েন গোলাকৃতির চেহারার নারীরা। কোন কিছুতেই যেন ভালো লাগে না, কিন্তু হিজাব পরার সময় ওড়না বা কাপড়কে একটু আলগা করে পিনআপ করলেই অনেকাংশে সমস্যার সমাধান করা যায়। তাছাড়া চাইলেই চেহারায় আনা যায় লম্বাটে ভাব। আর হিজাবের নানা ডিজাইনে গোল চেহারাও হয়ে ওঠে মােহময়ী।

চৌকো চেহারা
স্কয়্যার শেপ বা চৌকো চেহারায় কাঠিন্য ফুটে থাকে কপাল, চিবুক, চোয়ালের হাড়ের কারণে। হিজাব পরার সময় এটা খেয়াল রাখতে হবে, চিবুকের কাছে জোরে বাঁধা যাবে না- তাতে চিবুক আরও স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে। কপালে দিকটাতে বৃত্তের মতো করে ওড়না বা স্কার্ফ বাঁধতে হবে।

হার্ট আকৃতির চেহারা
চওড়া কপাল, ছোট্ট চিবুক আর সংযোজনকারী চোয়াল- সবমিলিয়ে পাখির মতো সারল্য। হিজাব পরার সময় কপালের দুপাশে একটু টেনে পরতে হবে, তবে চোয়ালের দিকে যেন কিছুটা দূরেই থাকে। পারলে কপাল থেকে সোজা নেমে আসবে চিবুকের নিচে- তাহলেই হার্ট শেপের চেহারা ফুটে উঠবে।

 

আল্লাহ তাআলা যেভাবে নিজের পরিচয় দেন

আল্লাহ তাআলা এক ও একক। তাঁর কোনো শরিক নেই। তিনিই ইবাদাতের উপযুক্ত একমাত্র উপাসক। সমগ্র সৃষ্টিই তার দাসত্ব করবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাওহিদের এ বাণী প্রচার শুরু করেন, তখন কুরাইশরাসহ ইসলাম বিদ্বেষীরা তাঁর নিকট তাঁর রবের গুণাবলী এবং বংশধারা জানতে চায়। তখন আল্লাহ তাআলা কুরআনে তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলেন-

‘আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র আল্লাহ তাআলাই; তিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই; তিনিই পরম দয়াময়; অনন্ত অসীম করুণাময়।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৬৩)

পূর্ববর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা রিসালাতের প্রমাণ উপস্থাপন করছেন। সেখানে আলোচনা হয়েছে যে কারণে মানুষ অভিশপ্ত। রিসালাত অস্বীকার করলে তাঁর মৃত্যুও হবে কুফরি মৃত্যু। আল্লাহ তাআলা কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীদেরকে অভিশপ্ত করেছেন। যা আগের আয়াতে আলোচিত হয়েছে।

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা কুরাইশদের ভ্রান্ত ও অমূলক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। আয়াতটি নাজিলের কারণ উল্লেখ করে আল্লামা বাগভি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ‘কুরাইশ পৌত্তলিকরা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে উপস্থিত হয়ে বললো- ‘হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনার প্রতিপালকের গুণাবলী বর্ণনা করুন।’ তখন তাদের এ প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ তাআলা এ আয়াত এবং সুরা ইখলাছ নাজিল করেন।

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা একত্ববাদের কথা সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন- হে মানব জাতি! তোমাদের মা’বুদ বা উপাস্য এক; তাঁর কোনো শরিক নেই; তিনিই তোমাদের স্রষ্টা, পালনকর্তা; তিনিই তোমাদের ভাগ্যনিয়ন্তা; তিনিই সত্ত্বাধিকারী; তিনি এক ও অদ্বিতীয়।

আল্লাহ তাআলার উপরোক্ত কথাগুলো মূলবিষয় হলো- শুধু তাঁর সমীপেই মাথা নত করে সিজদায় লুটিয়ে পড়বে। ইবাদাত করতে হবে শুধুমাত্র তারই। চাওয়া-পাওয়া, আশা-ভরসা করতে হবে তারই ওপর।

আল্লাহ তাআলা এতই দয়াবান এবং পরম করুণাময় যে, তিনি তাঁর অসংখ্য নিয়ামাত তাঁর আনুগত্যকারী, ইবাদাতকারী এবং তাঁরই ওপর ভরসাকারীর জন্য দিয়ে থাকেন।

পরিশেষে…
এ আয়াতের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা বান্দার নিকট তাঁর পরিচয় এবং গুণের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। শুধু তাই নয়, সৃষ্টি জগতের ঈমানদার, বেঈমান, মুশরিক, পৌত্তলিক, ইয়াহুদি এবং নাসারাসহ সকল ধর্মানুসারীর নিকট  তিনি তাঁর পরিচয় ও গুণের বর্ণনা পেশ করেছেন। সুতরাং ইবাদাত করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার। তবেই পরকালে চিরস্থায়ী জীবনের নাজাত লাভ সম্ভব।

আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদের ওপর অটল ও অবিচল থেকে তাঁর পরিচয় ও গুণাবলী মানুষের নিকট পৌছে দেয়ার তাওফিক দান করুন। পরকালীন জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক নসিব করুন। আমিন।

 

বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনে কলকাতার নায়িকা কৌশানী

কলকাতার চলচ্চিত্রে এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নায়িকা কৌশানী মুখার্জি। ওপার বাংলার সেরা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ব্যানারে গেল বছর রাজা চন্দ পরিচালিত ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবি দিয়ে তার অভিষেক। বনি চক্রবর্তীর সঙ্গে প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছেন টোল পড়া হাসির এই মিষ্টি নায়িকা।

সেই ছবির সাফল্যের ধারাবাহিকতায় কৌশানী তার দ্বিতীয় ছবিতেই চমক দেখিয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত, দেব, রুদ্রনীল, নুসরাত, মিমির মতো এক ঝাঁক তারকার সঙ্গে ছবিতে কাজ করে। রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘কেলোর কীর্তি’ নামের সেই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় নায়ক অঙ্কুশের বিপরীতে। সুপারহিট এই ছবি দিয়ে কৌশানী বনে গেছেন সুপারস্টার!

তারকালোকের সেই ঝলকানি সীমান্ত পেরিয়ে এসে দোলা দিয়েছে বাংলাদেশেও। এখানের বাংলা ছবির দর্শকদের মনেও কৌশানী নতুন ভালোবাসার নাম। স্বভাবতই বলা যায়, তিনি এখন দুই বাংলার ক্রেজ।

সেই কৌশানী এবার বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য দারুণ এক চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন টিভির পর্দায়। দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রাণ বেভারেজ লিমিটেডের নতুন পণ্য ‘কালার্স লেমন’র বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে এই নায়িকাকে। গেল ২৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার রাজধানী গুলশানে অবস্থিত পুলিশ প্লাজাতে টিভিসিটির বিজ্ঞাপনে অংশ নেন কৌশানী। জিঙ্গেলভিত্তিক এই বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন হাসান তৌফিক অংকুর।

এই বিজ্ঞাপনে কাজ করা প্রসঙ্গে কৌশানী বলেন, ‘প্রাণ ইন্ডিয়াতে খুবই জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। সেই প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মডেল হওয়াটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য দারুণ এক সংযোজন। কড় ব্র্যান্ড, বড় পরিসরের কাজ। ভালো লাগছে। আমি শুনেছি এই টিভিসিটি বাংলা ও হিন্দিতে নির্মিত হবে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হবে। একটি কাজ দিয়ে অনেক দর্শকের সামনে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটি একটি কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপন। এ ধরনের প্রোডাক্টগুলো সাধারণত তরুণ-তরুণীদেরকেই বেশি আকৃষ্ট করে। তাই এই বিজ্ঞাপনে একটা প্রাণবন্ত বিষয়ের উপস্থাপনা থাকছে। আর প্রাণ কালার্স লেমনের স্লোগান ‘কালার ইউর লাইফ’কে মাথায় রেখে টিভিসিটি নির্মাণ হচ্ছে। অনেক এনজয় করে কাজ করেছি। এখানে নির্মাতা অংকুর থেকে শুরু করে তার টিমের প্রত্যেকেই খুব হেল্পফুল। আর আলাদা করে বলতে হয়, এই পণ্যটির ব্র্যান্ড ম্যানেজার রবিন ভাই (এমডি. আশফাকুর রহমান) নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। আশা করছি উপভোগ করার মতো একটি বিজ্ঞাপন আসতে যাচ্ছে। যা সত্যি মনকে রঙিন করে দেবে।’

বিজ্ঞাপনটি সম্পর্কে  প্রাণ বেভারেজ লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং আতিকুর রহমান বলেন, ‘প্রাণ কালার্স লেমনের প্রথম বিজ্ঞাপন হতে যাচ্ছে এটি। খুব ভালো একটি কনসেপ্ট নিয়ে কাজ হয়েছে। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে। আর কৌশানীকে অভিনন্দন জানাই আমাদের পরিবারের নতুন সদস্য হিসেবে।’

প্রাণ বেভারেজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড ম্যানেজার আশফাকুর রহমান বলেন, ‘প্রাণ কালার লেমন একটি কালারফুল প্রোডাক্ট। কোনো রকম টিভিসা বা প্রচারণা ছাড়াই পণ্যটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই এবার আমরা ভাবছি এর প্রচারে মনযোগ দিতে। আর এর বিজ্ঞাপন ভাবনার শুরু থেকেই আমরা কালারফুল একটি উপস্থাপন রাখতে চেয়েছিলাম। সেই ভাবনা থেকেই কৌশানীকে নিয়ে কাজ করা। সে এখন দুই বাংলাতেই তুমুল জনপ্রিয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের জীবনের অনেক মুহূর্ত থাকে যেগুলো ছোট ছোট আনন্দে মুখর। সেইসব আনন্দদের সেলিব্রেট করতেই প্রাণ কালার লেমন চাই- এমন একটি ভাবনা থেকে বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করা হয়েছে। শিগগিরই এটি প্রচারে আসবে।’

বিজ্ঞাপন ভাবনা নিয়ে নির্মাতা অংকুর বলেন, ‘বেশ কালারফুল একটি কাজ করা হলো। প্রোডাক্ট, কৌশানী এবং বিজ্ঞাপনের কনসেপ্ট- সবখানেই রঙ আর তারুণ্যের ছোঁয়া আছে। আশা করছি প্রচারে এলে সবার ভালো লাগবে এটি।’

এদিকে এই বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে প্রথমবারের মতো ঢাকায় এলেন কৌশানী। প্রথম বাংলাদেশ দেখার অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আমার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা বলতে পারেন। বাংলাদেশ আমার বাপ-ঠাকুর দা’র পূর্বসূরীদের দেশ। এখানে আমারো অনেক আবেগ থেকে যায়। বাবা ও ঠাকুর দা’র মুখে মুখে এই দেশের অনেক গল্প শুনেছি কিন্তু কখনো আসা হয়নি। খুব সুন্দর। খুব সবুজ। আর খুব বেশি ভালো মানুষের বাস এখানে। মাত্র দুইদিন থেকেই সেটি উপলব্দি করে গেলাম। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে এসে মনে হচ্ছে না বিদেশে এসছি। সবই একরকম। ভাষাটাও। কিছু পার্থক্য আছে সেগুলো হুট করে চোখে পড়ে না। আমি অনেক সৌভাগ্যবান যে আমার প্রথম ছবিটি বাংলাদেশের মানুষ নানা উপায়ে দেখেছেন। আর দ্বিতীয় ছবি ‘কেলোর কীর্তি’ ছবিটি এখানকার হলে মুক্তি পেয়েছিলো। বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে এখানে ছবিটি। চলচ্চিত্রের প্রতি ঢাকার মানুষদের ভালোবাসার গল্প আমাকে মুগ্ধ করেছে।’

কৌশানী বলে গেলেন, সুযোগ হলে বাংলাদেশে বারবার আসতে চান তিনি। কাজ করতে চান এখানেও।

 

কখন বুঝবেন আপনার নতুন চাকরি খোঁজা উচিৎ?

‘চাকরি আর করব না, ছেড়ে দেব’ প্রায়ই এমনটা মনে হয় না এমন চাকরিজীবী খুব কমই পাওয়া যাবে। এমন ভাবনা হয়তা সবার মাথায়ই আসে কিন্তু কাজটা করা এত সহজ নয়। অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত। কিন্তু কখনো কখনো এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। জেনে নিন, কখন চাকরি ছাড়ার ভাবনাটি একেবারে অযৌক্তিক নয়, বরং সঠিক।
যখন আপনার কোম্পানি ধ্বংসের মুখে
আপনার কোম্পানি যদি ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে তখন তার প্রভাব পড়ে আপনার নিজ জীবনে। মাসের বেতন মাসে না পেলে যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কিভাবে সামলাবেন সব খরচ সেই ভাবনা রাতের ঘুম হারাম করে দেয়। এমন চাকরি বদলে ফেলা খুব জরুরি। নতুন চাকরি খুঁজুন। যত আবেগের সম্পর্কই থাক না কেন বর্তমান চাকরিটির সাথে, বাস্তববাদী হন এবং কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলুন।
 
ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ
আপনি নিশ্চয়ই ক্যারিয়ারে অনেক উন্নতি করতে চান? অনেক সময় চাকরি বদলই হয়ে দাঁড়ায় তার একমাত্র পন্থা। আরও ভাল কোম্পানিতে ভাল পদে যদি চাকরির সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই লুফে নিন অফারটি। দেরি করবেন না। তবে আপনার কোম্পানির চেয়ে নিম্নস্তরের কোম্পানি ভাল বেতন দিলেও যাবেন কিনা সেটা ভেবে দেখুন।
কাজটির প্রতি আপনার কোন আগ্রহ নেই
ভাল বেতন এবং সামাজিক মর্যাদার চাকরিটিও আপনার মনমত না হতে পারে। হয়ত আপনি কাজে তেমন আগ্রহই পাচ্ছেন না। আপনি একদম ভিন্ন ধারার কাজ করতে ভালবাসেন হয়ত। একজন সৃজনশীল মানুষ একঘেয়ে চাকরি করতে গেলে হাপিয়ে ওঠেন। আবার সিরিয়াস ধরণের মানুষেরা ক্যাজুয়াল স্টাইলের কাজ করতে অপছন্দ করেন। আপনার চাকরিটি যদি আপনার প্যাশনের সাথে না যায় তাহলে আর দেরি না করে দ্রুত বদলে ফেলুন।
অবমূল্যায়ণ
আপনার অফিসে যদি প্রতিনিয়ত আপনাকে অবমূল্যায়ণ করা হয় তাহলে এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, পরিশ্রম মূল্যায়ণ দাবি করে। আপনি অনেক কাজ করলেন কিন্তু দিনশেষে প্রশংসা তো পেলেনই না বরং বিভিন্নভাবে অপমান করা হল আপনাকে। এটা আপনার আত্মবিশ্বাসকে ধ্বংস করবে। দ্রুত ছেড়ে দিন এমন চাকরি।
যেখানে মেধার ব্যবহার হয় না
আপনি এমন কোন চাকরি করছেন যেখানে আপনার মেধার ব্যবহার হচ্ছে না একদমই? জীবন একটাই। সময় নষ্ট না করে একে কাজে লাগান। এমন কাজ খুঁজে নিন যেখানে আপনার দক্ষতাকে সবচেয়ে বেশী কাজে লাগাতে পারবেন আপনি। এমন কাজ আপনাকে পরিশ্রান্ত করবে না। আপনাকে করবে আরও শক্তিশালী।
 
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

সহজেই রাঁধুন তেহারি

তেহারি একটি জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে গরুর মাংস যারা পছন্দ করেন, তাদের কাছে তেহারির গুরুত্বই আলাদা। অতিথি আপ্যায়ন, উৎসব-পার্বনে তেহারি না হলে যেন আয়োজন অপূর্ণ থেকে যায়। চাইলে আপনি নিজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন এই সুস্বাদু খাবারটি। চলুন শিখে নেই-

উপকরণ : গরুর মাংস- ১ কেজি, পোলাওয়ের চাল- ১ কেজি, পেঁয়াজ বাটা- ১/২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি- ১/২ কাপ বেরেস্তা করার জন্য, আদা বাটা- ২ চা চামচ, রসুন বাটা- ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া- ২ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ, ধনে গুঁড়া- ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ- ৪/৫ টি করে, তেজপাতা- ২ টা, লবণ- সাদ মতো, কাঁচামরিচ – ৬/৭ টি, তেল- ২০০ মি.লি., ঘি- ৩ চা চামচ, গরম পানি- ৬ কাপ, নতুন আলু- ৭/৮টা, জাফরানি রঙ কয়েক ফোটা।

প্রণালি : মাংস ছোট সাইজে কেটে নিন। ধুয়ে ভালো করে পানি ঝড়িয়ে নিন। আলু সিদ্ধ করে জাফরানি রঙ ও সামান্য লবণ ছিটিয়ে তেলে ভেজে নিন। হাড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা করে তুলে নিন। সব বাটা মশলা কষিয়ে মাংস দিন। লবণ দিন। মাংস নরম হলে ও পানি শুকিয়ে গেলে নামাতে হবে। আলাদা পানি দেয়ার দরকার নেই। ভালো করে কষানো হলে মশলা থেকে মাংস আলাদা করে তুলে নিন। এবার সেই পাত্রে আস্ত গরম মশলা দিন ও ধুয়ে রাখা পোলাওর চাল দিন। ৩-৪ মিনিট ভেজে গরম পানি দিন। নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে গেলে তুলে রাখা মাংস, আলু, কাচামরিচ, বেরেস্তা দিন। এরপর ২০ মিনিট দমে রেখে দিন। নামাবার সময় ঘি ছড়িয়ে দিন।

 

পেটের মেদ কমাবে যে পানীয়

পেটের বাড়তি মেদ নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকেই। আর এই মেদ কমাতে থাকে নানারকম প্রচেষ্টা। ব্যায়াম কিংবা ডায়েট- কতরকম কসরতই না করতে হয়! তবে কষ্টের দিন শেষ, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন একটি পানীয় আর কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ। এই পানীয় পেটের মেদ কমানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। চলুন জেনে নিই কীভাবে তৈরি করবেন-

উপকরণ
১টি শসা, এক মুঠো পার্সলে অথবা ধনেপাতা, ১টি লেবু, ১ টেবিল চামচ আদা কুচি, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস বা অ্যালোভেরা জেল, ১/২ গ্লাস পানি

যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে শসা, ধনেপাতা, আদা কুচি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। তারপর এতে অ্যালোভেরা জেল, পানি দিয়ে আবার ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। খুব বেশি পাতলা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। এটি প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পান করুন। এই পানীয়টি সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখুন।

 

নানা স্টাইলের কুর্তি

নিজেকে নতুন ভাবে নানা সাজে সাজাতে সবাই পছন্দ করে। আর এসব সাজের মধ্যে বর্তমানে কুর্তির চলন বেশি। বিশেষ করে তরুণীদের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই আছে কুর্তির নাম। গরমে হোক বা শীত সব সময় সব জায়গাতে আপানাকে কুর্তিতে মানিয়ে যাবে। চলুন হাল ফ্যাশনের কিছু কুর্তি সম্পর্কে জেনে আসি।

আনারকলি
ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন, এই কুর্তিতে নিজের লুকসে পাবেন সৌন্দর্যের দারুণ প্রকাশ। বাড়ির কোনও অনুষ্ঠান হোক কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, মাতাবে আনারকলি কুর্তি।

টেইল কাট
টেইল কাট কুর্তিতে আছে ওয়েস্টার্ন লুকস। সামনের দিকটি শর্ট ও পিছনের দিকে লম্বা এই কুর্তিতে আপনাকে সুন্দর মানবে।

অঙ্গরাখা কুর্তি
পুরোনো দিনের সেই টিউনিকের স্টাইলের এই কুর্তি আপনার মধ্যে ট্র্যাডিশনাল লুকস্ ফুটে উঠবে।

ফ্লারেড কুর্তি
পার্টিতে সকলের নজর তবে আপনার দিকেই থাকবে। এই স্টাইলের কুর্তিতে আপনাকে যেমন সুন্দরী দেখাবে, তেমনই আভিজাত্যের প্রকাশ পাবে।

ট্রাইল কাট
এই স্টাইলের কুর্তির ফ্যাশনে সবার মাঝে আপনাকে আকর্ষণীয় দেখাবে। কুর্তির উপরের দিকটা প্রিন্টেড ও নীচের দিকটা এক কালারের এই কুর্তি আপনাকে দেবে সুন্দর লুকস।

এ-লাইন কুর্তি
অল্পবয়সিদের জন্য এই স্টাইলের কুর্তি সুন্দর একটি পোশাক। হাঁটু বা গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা কুর্তিতে আপনি যেকোনও পার্টিতে নিজেকে সুন্দর সাজে তুলে ধরতে পারবেন।

লম্বা স্ট্রেইট
পা পর্যন্ত লম্বা কুর্তি এখন ফ্যাশনে রয়েছে। পার্টিতেও পরতে পারেন এই কুর্তি। তবে এই স্টাইলের কুর্তি স্লিভলেসই ভালো মানায়।

প্রিন্টেট কুর্তি
জীবনকে রঙিন করে তুলতে পরতে পারেন প্রিন্টেট কুর্তি। কোনও বাড়তি সাজগোজের প্রয়োজন হবে না। রঙের খেলাই যথেষ্ট নিজেকে সুন্দর সাজে তুলে ধরার জন্য।

শার্ট স্টাইল
ভারতীয় কুর্তি ও ওয়েস্টার্ন শার্টের কম্বিনেশনের এই কুর্তি আপনাকে দেবে স্মার্ট লুকস। অফিস হোক বা পার্টি, যে কোনও জায়গায় এই পোশাকে আপনাকে সুন্দর দেখাবে।

কাফতান স্টাইল
ওয়েস্টার্ন স্টাইলের এই কুর্তি পার্টির জন্য একদম পারফেক্ট। এই স্টাইলের কুর্তি আপনাকে দেবে গর্জিয়াস লুকস।

 

ভারতীয় কমিক বুকের সুপারহিরো এসিডদগ্ধা নারী

‘প্রিয়া’স শক্তি’ কমিক বুকটি ভারতের অন্যতম উদ্দীপ্ত রিয়ালিটি কমিক বুক হিসেবে ইতিহাস তৈরি করে যখন এটি ২০১৪ সালের জুন মাসে ভারতের প্রথম নারী সুপারহিরোকে উপস্থাপন করে। এখন এর দ্বিতীয় সংস্করণ, ‘প্রিয়া’স মিরর’ বের হতে যাচ্ছে, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র, প্রিয়া একজন এসিড হামলার শিকার নারী এবং এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তিনি টিকে আছেন।

৩৬ পৃষ্ঠার এই গ্রাফিক উপন্যাসের গল্পটি হচ্ছে প্রিয়াকে নিয়ে যিনি একজন গণধর্ষণের শিকার এবং পরবর্তীতে এসিড হামলার শিকার হন। এগুলো মোকাবেলা করেও তিনি বেঁচে থাকেন এবং পরবর্তীতে লড়াই করেন অপদেবতা ‘অহংকার’ এর সাথে। এই বইটি মোট পাঁচটি ভাষায় মুদ্রিত হবেঃ ইংরেজি, হিন্দি, পর্তুগীজ, স্প্যানিশ এবং ইতালিয়ান।

নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রিয়া’স মিরর প্রথম চালানো হবে এবং পরবর্তীতে মুম্বাই কমিক কনে এটি থাকবে।

 

বাড়ির ছাদে শামীম আরার স্বপ্নের বাগান

সবুজের ছোঁয়া পেতে কার না মন চায়। কিন্তু নগরের যান্ত্রিক জীবনে সবুজ প্রকৃতির দেখা মেলা যেখানে খুবই কঠিন, সেখানে গাছপালা তো দূরের কথা, আলো বাতাসেরও যেন বড় অভাব দেখা দেয়। কিন্তু প্রবল ইচ্ছা আর উদ্যোগ থাকলে শহর জীবনের ছোট বাসা-বাড়িতেও যে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে সবুজ প্রকৃতির ছোঁয়া। সেটাই বাস্তবে প্রমাণ করলেন রাজশাহী শহরের গৃহবধূ শামীম আরা। নিজের ইচ্ছা শক্তি আর বৃক্ষপ্রেমের তাগিদে তিনি বাড়ির ছাদ গড়ে তুলেছেন এক সবুজের সমারোহ। সেখানে পায়ের নিচে নরম ঘাসের স্পর্শ না পেলেও হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় বৃক্ষরাজির সবুজ পাতা।

শহরের জীবনে সবুজের ছোঁয়া পেতে রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকার বৃক্ষপ্রেমী শামীম আরা ২০১১ সালের শেষের দিকে বাড়ির ছাদে বাগান তৈরি শুরু করেছিলেন। মাত্র কয়েক বছর পেরুতেই সেই শামীম আরাই হয়ে উঠেছেন ছাদে বাগান করার রোল মডেল। পেয়েছেন বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন ক্যাটাগরীতে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ‘জাতীয় পুরস্কার ২০১৫’।

শামীম আরার বাগানে কী নেই; তার বাগানে ফলজ, বনজ, ভেজষ বা ঔষধি, শোভাবর্ধনকারী, দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় গাছ, বিরল জাতীয় গাছ ও সবজিতে ভরপুর তার  বাগান। ফলজ গাছের মধ্যে সংগ্রহে আছে, জিনিয়া পাম, থাইল্যান্ডের জাম, লটকন, শসা জামরুল, এলাচি লেবু, কলা, আম, পেঁপে, গৌড়মতি আম, সফেদা, মরিচ, কাগজি লেবু, মিষ্টি জলপাই, বাতাবি লেবু, মিষ্টি চেরি ফল, নাশপাতি, আতা, বিভিন্ন ধরনের পেয়ারা, কমলা, পাকিস্তানি মালটা, কামরাঙ্গা, কতবেল, ড্রাগন, মিষ্টি তেঁতুল, থাইড্রপ আম, তেঁতুল, কালো পাতার বাক বক্স আম, কলা, থাই জাম, দেশি জাম, করমচা, বিদেশি বেল, বেদেনা, চেরি ফল, সফেদা, সাজনে গাছ, থাইল্যান্ডের বাতাবি লেবু, সুদানের আতা, আপেল, অভিসারিকা আম, সুইট লেমন, থাই কাঁঠাল, বাউকুল, অরুনা (আম)।

মসলা জাতীয় গাছের মধ্যে আছে অল স্পাইস, তেজপাতা, দারুচিনি, গোলাপজামন, ধনে পাতাসহ আরও অনেককিছু।

শোভাবর্ধনকারী গাছগুলোর মধ্যে আছে নীল অপরাজিতাসহ বিভিন্ন রঙের অপরাজিতা, ফায়ার বল, বিভিন্ন ধরনের জবা, অ্যাডেনিয়াম, এলামুন্ডা, ৩০ থেকে ৩৫ প্রজাতির গোলাপ, লাইলী-মজনু, বিভিন্ন ধরনের পাতা বাহার, সাইকাস, অ্যারোমেটিক জুঁই, টগর, কামিনী, মধুমালতি, মাধবিলতা, বিভিন্ন ধরনের অর্কিড, ক্যাকটাস, বেগুনিয়াসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ প্রজাতির ফুল। বর্তমানে তাদের বাগানের গাছগুলোতে মালটা, ড্রাগন, করমচা, পেয়ার, বেদেনাসহ বেশ কিছু ফল ধরে আছে। ফুটে আছে অনেক ফুল। শীতকালে এ পুরো ছাদই যেনো ফুলময় হয়ে ওঠে।

বাগানে বিকেল থেকেই শুরু হয় নানান পাখির আনাগোনা। সবুজ ঘেরা প্রকৃতিতে পাখিদের মিষ্টি নানান শব্দ যেনো মন ভরিয়ে দেয়।

শামীম আরা পেশায় গৃহিনী। তার স্বামী সেহাবউদ্দীন একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। শামীম আরার এসব কাজে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকেন তিনি। গাছপালা আর প্রকৃতির প্রতি তার ভালবাসা থেকেই অনেকটা শখের বশেই বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগানটি। পুরো বাড়িটিই যেন সবুজের সমারোহ।

শামীম আরা জানান, ছোটবেলা থেকেই উদ্ভিদের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল। সে থেকে শখ। বিয়ের পর থেকেই ছাদে গাছ লাগানো শুরু করেন তিনি। নিজের প্রচেষ্টা আর স্বামীর অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় বাড়ির ছাদে বাগানের সূচনা। উদ্ভিদ দিয়ে ছাদকে আরও মনোরম ও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা তিনি অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘নগরে জীবনে সবুজের ছোঁয়া একেবারে নেই বললেই চলে। অথচ এই যান্ত্রিক শহরে সবুজ প্রকৃতি খুবই জরুরি। সব সময় মনে এমনটা অনুভব করি।’

শামীম আরার স্বামী সেহাব উদ্দীন জানান, স্ত্রী বাড়ির কাজের ফাঁকে বাগানের প্রতি চরম আগ্রহ। তাই বিভিন্ন নার্সারি থেকে গাছ সংগ্রহ করে ছাদে বাগান তৈরির চেষ্টা চালান। খুব যুত্ন সহকারে গাছের পরিচর্যা করেন। আমিও তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে থাকি। ছাদে বাগান করার ক্ষেত্রে মাটির পাওয়ার বিষয়টি বেশ সমস্যা দেখা যায়। পদ্মা নদীর পলি মাটি সংগ্রহ করা হয়। সেই মাটির সঙ্গে গোবরসার, মিশ্র সার যোগ করা হয়। এরপরে সেগুলোতে গাছ লাগানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর খানিকটা চেষ্টা থাকলে আপনিও গড়ে তুলতে পারেন চমৎকার একটি বাগান। যখন ফুল-ফলে আপনার বাগান ভরে উঠবে, তখন আপনার মনও স্বর্গীয় প্রশান্তিতে ভরে যাবে।’

 

খাদিজাদের বাড়িতে লজিং থাকতো বদরুল

সিলেট শহরতলির হাউসা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মাসুক মিয়ার মেয়ে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ৫ বছর ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম।

ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের হামলায় কলেজছাত্রী গুরুতর আহত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ঘটনার আগে ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার ‘জাঙ্গাইল সফির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে’ গিয়ে খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে বখাটে বদরুল। এ কারণে খাদিজার স্বজনরা তাকে ধরে গণপিটুনিও দিয়েছিলেন।

তখন বদরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে খাদিজার পরিবারের লোকজনসহ এলাকার বেশ কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে।

খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, ৭ থেকে ৮ বছর আগে খাদিজাদের বাড়ি লজিংমাস্টার হিসেবে থাকতো বদরুল। এরপর থেকে সে খাদিজাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার আচরণের কারণে তাকে লজিংমাস্টার থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপরও মেয়েটির পিছু ছাড়েনি বখাটে বদরুল। সর্বশেষ তার প্রেমে সাড়া না দেয়ায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে পৈশাচিক কায়দায় কুপিয়ে আহত করে।

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তির পর বিভিন্ন সময় খাদিজাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বদরুল। খাদিজা গত সোমবার এমসি কলেজ কেন্দ্রে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর কলেজের পুকুর পাড়ে বদরুল তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।

বদরুলের সহপাঠীরা জানান, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তার সহপাঠীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স বেশ আগেই শেষ হয়েছে। তবে সে এখনো কোর্স শেষ করতে পারেনি। বদরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

মহানগর পুলিশের শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি জানান, হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন আটক বদরুল। খাদিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে টানাপড়েন থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হামলা করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেলে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি পাসের ছাত্রী খাদিজা। পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম (২৭)।

তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুনাইঘাতি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। বদরুল বর্তমানে শাবির শাহপরান হলে থেকে লেখাপড়া করতেন। ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন। তাকেও ওসমানী হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

কিয়ামাতের বড় নিদর্শন ‘দাজ্জালের আবির্ভাব’

কিয়ামাত বা মহাপ্রলয়ের পূর্বেই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। বনি আদমেরই একজন মানুষ দাজ্জাল। শেষ জামানায় তার আবির্ভাব ঘটবে এবং সে নিজেকে রব (প্রতিপালক) দাবি করবে। পূর্ব তথা খোরাসান থেকে সে বের হবে। অতঃপর মসজিদে আকসা, তূর পাহাড়, পবিত্র নগরী মক্কা ও মাদিনা ছাড়া সে সমস্ত পৃথিবী বিচরণ করবে।

মসজিদে আকসা, তূর পাহাড়, দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও মাদিনাকে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা দ্বারা পাহারা দিয়ে রাখবেন। মানুষ ঘুমে বেঁহুশ হয়ে পড়বে। দাজ্জালের আবির্ভাবের সময় মদীনায় তিনটি কম্পন সৃষ্টি হবে। এ কম্পনের ফলে মাদিনা থেকে কাফের ও মুনাফেক বের হয়ে চলে যাবে।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে বসা ছিলাম; তখন তিনি ফিতনার কথা বারবার উল্লেখ করলেন। এক পর্যায়ে তিনি ‘আহলাস’-এর ফিতনার কথা উল্লেখ করলেন। কোনো একজন বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আহলাসের ফিতনা কি? তিনি বললেন, তা হলো পলায়ন ও যুদ্ধ।

অতঃপর ‘সাররা’-এর ফিতনা, যার ধোঁয়া আমার পরিবারে একজন মানুষের পায়ের নিচ থেকে হবে। সে আমার পরিবারের দাবি করবে কিন্তু সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়; শুধুমাত্র আমার বন্ধু হলো মুত্তাকিন তথা আল্লাহভীরুগণ।

অতঃপর মানুষেরা এমন এক দুর্বল চুক্তি করবে যার কোনো নিয়ম নীতি বা স্থায়িত্ব থাকবে না। অতঃপর ‘দুহাইমা’ বা কালো ফিতনা; যা এ উম্মতের প্রতিটি মানুষকে একটি করে চড় (থাপ্পর) মারবেই।

অতঃপর যখন বলা হবে ফিতনা শেষ হয়েছে কিন্তু আসলে শেষ না হয়ে তা অব্যাহতই থাকবে। সে সময় মানুষের সকাল শুরু হবে মুমিন হিসেবে, আর সন্ধ্যা হবে কাফির হিসেবে।

এক পর্যায়ে দু’টি তাঁবু হবে। যার একটি তাবু ঈমানের। এর মধ্যে কপটতা থাকবে না। আর অন্যটি নেফাক-কপটতার তাঁবু। যার মধ্যে ঈমান থাকবে না।

অতএব যখন এরূপ হবে, তখন সেদিন বা পরের দিন (অর্থাৎ ঐ সময় দাজ্জালের আবির্ভাব হবে) দাজ্জালের প্রতিক্ষা করিও (অর্থাৎ ঐ সময় দাজ্জালের আবির্ভাব হবে)। (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অভিশপ্ত দাজ্জালের ফিতনা থেকে হিফাজত করুন। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা লাভে মজবুত ঈমানে অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

নার্গিসের অস্ত্রোপচার চলছে, কাজ করছে না ব্রেন

সিলেট এমসি কলেজে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন, চাপাতির কোপে নার্গিসের মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। এখন তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান বললেন, একটি মেয়েকে মসজিদের পেছনে কোপাতে দেখে এগিয়ে যাই। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অন্যদের সহায়তায় আমরা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বদরুল এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে, তা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ডাক্তার রেজাউস সাত্তার  জানান, নার্গিসের মাথায় অনেকগুলো কোপ থাকায় তার ব্রেন কাজ করছে না। এ অবস্থায় তার সুস্থ হবার সম্ভাবনা ৫ থেকে ১০ ভাগ।

নার্গিসের চাচা জানান, তার বাবা সৌদি আরবে রয়েছেন এবং বড় ভাই থাকেন চীনে। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি এবং কয়েকজন হাসপাতালে রয়েছেন।

গেলো রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্গিসের অবস্থার অবনতি হলে নার্গিসকে ঢাকায় আনা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোর ৬টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়।

নার্গিস সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম কুপিয়ে তাকে জখম করে। ঘটনার পর হামলাকারী বদরুলকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।

বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকও।

এদিকে হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে এমসি কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। বিচার চেয়ে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীরা। তারা বদরুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন।

 

মুগডালের বাদামি খিচুড়ি

খিচুড়ি খেতে ভালোবাসেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাঙালির খাদ্যতালিকায় খিচুড়ির স্থান উল্লেখযোগ্য। একটু বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই, খিচুড়ি খেতে মনটা কেমন আকুপাকু করে ওঠে। আজ থাকলো মুগডালের বাদামি খিচুড়ি তৈরির রেসিপি। রেসিপি দিয়েছেন কাকলী সাহা-

উপকরণ : পোলাওয়ের চাল- ৫০০ গ্রাম, হালকা ভাজা মুগডাল-২০০ গ্রাম, আদা বাটা-১ চা চামচ, হলুদ গুড়ো-১ চামচ, মরিচ গুড়ো -১ চামচ, জিরা বাটা-১ চামচ, কিসমিস-১২/১৪ টি, দারুচিনি এলাচ- ২/৩টি, শুকনো মরিচ- ২/৩টি, আস্ত জিরা-সামান্য, লবণ-স্বাদ মতো, চিনি-সামান্য, কাঁচা মরিচ-৭/৮ টা, ঘি-২ টে. চামচ।

প্রণালি : চাল ভালো করে ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। এবার হাড়িতে তেল গরম করে তাতে শুকনো মরিচ, আস্ত জিরা ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে চালগুলো হালকা ভেজে নিতে হবে। এবার ভাজা ডালগুলো দিয়ে গরম পানি দিয়ে তাতে লবণ, হলুদ গুড়ো, মরিচ, জিরাগুড়ো দিয়ে ভালো করে নেড়ে মধ্যম আঁচে ঢেকে রাখতে হবে। খিচুড়ি ঝরঝরে করার জন্য চাল ও ডালের দ্বিগুণ পানি দিতে হবে। এখন পানি কমে এলে এলাচ, দারুচিনি, কাঁচা মরিচ, চিনি, কিসমিস ও ঘি দিয়ে নেড়ে দমে ৪/৫ মিনিট রাখতে হবে। এবার ঘি ছাড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে মজাদার মুগডালের খিচুড়ি।

 

নখে নান্দনিক নকশা

নখ সাজাতে পছন্দ করে থাকেন অনেকেই। পার্টিতে, অফিসে, কিংবা প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো সময়গুলোতে আপনি চান আপনার নখকে একটু আলাদা ভাবে সাজাতে। তাই চলুন জেনে নেই তেমনি কিছু নখের সাজ, যা আপনাকে সাজাবে অপরূপ সাজে।

একুরিয়াম নেইল আর্ট
প্রয়োজনীয় উপকরণ : ফেক নেইল ১ সেট, ছোট চুমকি ২ পদের, ছোট পুতি ২ পদের, গ্লু, তুলি ১ টি, গুড়ো জরি, ড্রপার ১টি।

যেভাবে করবেন : ফেক নেইল ১ হাতে পরে নিন; নখের যে পাশ ফাঁকা সেখান থেকে নখের ভিতর ছোটো ছোটো চুমকি, পুতি, গুড়োজড়ি অল্প করে লাগিয়ে নিন। ড্রপার দিয়ে নখের ভিতর কয়েক ফোটা পানি দিন। তুলিতে অল্প গ্লু নিয়ে ফাঁকাটুকু আটকে দিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল একুরিয়াম নেইল আর্ট।সবগুলো ফেক নখ এভাবে সাজান। তুলি দিয়ে আসল নখের ওপর গ্লু লাগান। এবার ফেক নখটি ভাল করে চেপে লাগিয়ে নিন।

স্টাম্পিং নেইল আর্ট
প্রয়োজনীয় উপকরণ : স্ট্যাম্পার, টেমপ্লেট, স্ক্রাপার, রিমুভার প্যাডস, নেইল পলিশ ১/২টি, বেইস কোট ও টপকোট নেইল পলিশ। নখের উপর বেসকোট পলিশ লাগান।

যেভাবে করবেন : টেমপ্লেটের যেকোনো একটি ডিজাইন বেছে, তাতে পছন্দমত রঙের নেইল পলিশ লাগিয় নিন। নেইল পলিশ আবশ্যই ঘন হতে হবে। একটি স্ক্র্যাপার হাতে নিন। স্ক্র্যাপারটি দিয়ে টেমপ্লেটের উপর দেয়া নেইল পলিশ খুব দ্রুত ডান থেকে বামে টেনে নিয়ে যান।স্টাম্পার দিয়ে টেমপ্লেটের উপর টিপুন, এটাতে নকশা উঠে আসবে।  নখে নকশা দিতে স্ট্যাম্পারটি দ্রুত নখের উপর বসান এবং একটু চাপ দিয়ে ধরে ডান থেকে বামে ঘুরিয়ে আনুন। দেখুন নকশাটি নখে কী চমৎকার লেগে গেছে।আরো একবার টপকোট নেইল পলিশ লাগান। সবগুলি নখে একই পদ্ধতি ব্যবহার করুন। একাধিক রঙ ব্যবহার করতে পারেন। রিমুভার প্যাডস দিয়ে টেমপ্লেট ও স্ক্র্যাপার মুছে রাখুন পরে ব্যবহারের জন্য।

স্কচ টেপ নেইল আর্ট
প্রয়োজনীয় উপকরণ : পছন্দমত বেইস নেইল পলিশ কয়েকটি, স্কচ টেপ, ছোট কাচি, বেইস কোট ও টপ কোট নেইল পলিশ, রিমুভার, কটন বাড।

যেভাবে করবেন : নখে বেইস কোট নেইল পলিশ লাগান। স্কচ টেপ কাচি দিয়ে কেটে যে কোনো নকশা করে নখে লাগিয়ে দিন। অন্য আরেকটি রঙের নেইল পলিশ দিয়ে স্কচ টেপের উপর থেকে ফাঁকা অংশ ভরিয়ে নিন। স্কচ টেপ দ্রুত তুলে ফেলুন। নখের পাশে চামড়ায় লেগে থাকা বাড়তি নেইল পলিশ কটন বাডে রিমুভার লাগিয়ে আলতো করে তুলে ফেলুন। সব শেষে নখ চকচকে করতে টপ কোট নেইল পলিশ দিয়ে শেষ করুন। নকশা অনুযায়ী একাধিক রঙ ব্যবহার করতে পারেন।

 

অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যেও পিছিয়ে নেই নারীরা

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশ যেমন শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ নানা দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে; তেমনিভাবে এ দেশের নারীরাও অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অসংখ্য নারী ইতোমধ্যে অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অন্যান্য সাধারণ ব্যবসার ন্যায় এ ব্যবসাতেও সফলতা লাভ করছে। যদিও অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্সের ধারণাটি আমাদের দেশে খুব একটা বেশি দিনের নয়, তারপরেও যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটার প্রতি জনগণের ঝোঁক দিনে দিনে বাড়ছে। আর এ বিষয়টিকে একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তরা।

তারা বলছেন, দেশে অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এখন আর জনগণকে কষ্ট করে, সময় ব্যয় করে, যানজট ঠেলে আর যানবাহনের ভাড়া দিয়ে মার্কেটে জিনিসপত্র কিনতে যেতে হচ্ছে না। বরং জনগণ বা ক্রেতা এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে তার পছন্দের জিনিস অর্ডার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কিনতে পারছেন। আবার এক্ষেত্রে বিল পরিশোধও অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই করতে পারছেন। ফলে এখানে কোনো ঝামেলা না থাকায় অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্য মানুষের জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সহজ করে তুলছে।

অনলাইন ব্যবসা প্রসঙ্গে অনলাইনশপ SKR Glamour Creation-“Happymom BD”-এর কর্ণধার শারমিন আক্তার জানান, তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে জীবন-জীবিকার জন্য নারীদের এখন অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কোনোই কারণ নেই।

তিনি বলেন, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য্য, সঠিক পরিকল্পনা আর মেধা থাকলে এখন নারীরা ঘরে বসেই অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে সহজেই সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারেন, এমনকি হতে পারেন সফল উদ্যেক্তাও।

দেশের অসংখ্য নারী অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সফলতা লাভ করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনলাইন ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠার কারণ প্রসঙ্গে শারমিন আক্তার জানান, ছোট বেলা থেকেই তার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে পারিবারিক চাপে প্রথমে একটি প্রতিষ্ঠানে মোটামুটি ভালো পোস্টে চাকরি পেলেও চাকরিতে মন না টেকায় তা বেশিদিন করা হয়ে ওঠেনি। পরে সাংসারিক প্রয়োজনে অপর একটি প্রতিষ্ঠানে মোটামুটি ভালো মানের পোস্টে চাকরি পেলেও সেখানে বেশিদিন চাকরি করা হয়নি। কারণ, চাকরি করাটাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই দাসত্বের সর্বশেষ ভার্সন বলে মনে করেন।

অনলাইন ব্যবসার ভবিষ্যৎসহ নানা দিক চিন্তা-ভাবনা করে শেষপর্যন্ত তিনি অনলাইন ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন SKR Glamour Creation-“Happymom BD”- নামক অনলাইন শপ।

কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, তিনি তার এই অনলাইন শপের জন্য নানা ধরনের শাড়ি-কাপড়, পোশাক-পরিচ্ছদ, খেলনা, প্রসাধনী, আর্টিফিসিয়াল গহনাসহ নানান জিনিস মূল্য, ভ্যাট ও কাস্টমচার্জ অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধপূর্বক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অর্ডার দিয়ে আনেন। এরপর তিনি ওইসব জিনিপত্রের ছবি তার এ অনলাইন শপের ওয়ালে (প্রচ্ছদে) পোস্ট করেন। তারপর অনলাইনে দর্শক-ক্রেতারা তার অনলাইন শপ থেকে ছবি দেখে পছন্দের ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাছাইন করেন। এরপর বাছাইকৃত জিনিসপত্র কেনার জন্য অনলাইনের মাধ্যমেই অর্ডার করেন। অর্ডার অনুযায়ী তিনি ক্রেতাদের কাছে অর্ডারকৃত জিনিসপত্র দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্তা করেন। আর এক্ষেত্রে ক্রেতা যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে অর্ডারকৃত পণ্য হাতে পেতে পারেন সেজন্য তাকে কিংবা তার SKR Glamour Creation-“Happymom BD”–এর পক্ষ থেকে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘রানার’ কবিতার রানারের ন্যায় সময়ের প্রতি তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে হয়।

অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা বা চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যবসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা বিষয় হচ্ছে ক্রেতার নিকট থেকে বিশ্বস্ততা অর্জন করা-যা অনেকটাই কঠিন। তবে একবার বিশ্বস্ততা অর্জন করলে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হয় না, তখন বাকি পথটা চলা সহজ ও মসৃণ হয়।

অনলাইন শপ কাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী এ প্রশ্নের জবাবে শারমিন আক্তার জানান, স্কুল-কলেজ, ঘর-সংসার, ছেলে-মেয়ে নিয়ে নানান কাজে যারা ব্যস্ত থাকেন, কাজের চাপে যারা কেনাকাটার জন্য সময় পান না, যাদের পক্ষে কষ্ট করে মার্কেটে যাওয়া সম্ভব হয় না এবং সর্বোপরি ঘরে বসে সহজেই যারা পছন্দের জিনিসপত্র ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মূলত: তাদের জন্য অনলাইন শপ বিশেষভাবে উপকারী।

তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্রবক্ষে অ্যালব্রাটস পাখি যেমন নাবিকদের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়, ঠিক তেমনিভাবে দেশের নানান অনলাইন শপগুলো ওই ধরনের মানুষের জন্য উপকারীই বটে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনলাইন ব্যবসা চালু হওয়ার ফলে এখানে একজন ক্রেতা সহজেই যেমন ঘরে বসে অনায়াসেই তার পছন্দের জিনিস অর্ডার করে কেনার সুযোগ পাচ্ছেন; ঠিক অপরদিকে বিক্রেতাও ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে অতি সহজেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছেন।

দেশের নারী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সাবিনা পারভীন অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে আমাদের সমাজের নারীদের সম্পৃক্তার বিষয়ে বলেন, যদিও অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করার বিষয়টি জনগণের নিকট অনেকটাই নতুন, তারপরেও অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ন্যায় অনলাইন জগতে ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও আমাদের দেশের নারীরা কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। বরং সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে সমান তালে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে ‘নারী’ শব্দটিকে ইতিপূর্বে যেভাবে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতো এখন আর সেভাবে দেখা হয় না। অবস্থা বদলেছে, বদলাচ্ছে। আবার ‘নারী’ নামক মানুষটিকে ইতিপূর্বে যেভাবে অবজ্ঞা করা হতো, যেভাবে অবমূল্যায়ন করা হতো; এখন কিন্তু আর সেই অবস্থা নেই, পরিস্থিতি বদলে গেছে। দেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে এবং সমাজ পরিবর্তনে পুরষের পাশাপাশি নারীর ভূমিকা অপরিসীম এবং পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এসব ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে সফল হচ্ছেন।

সাবিনা পারভীন বলেন, একজন নারী একটু সচেতন হলে, পরিবার-পরিজন থেকে একটু সহযোগিতা-সহমর্মিতা পেলে ওই নারীও যে তার জীবনের মোড় ও ভাগ্যের চাকা ইতিবাচকভাবে ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম, তার প্রমাণ মেলে দেশে অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্যে নিযুক্ত হাজারো নারীর সম্পৃক্ত হয়ে সফল হওয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে।

 

চাকরিতে নিবন্ধিত এলাকা বাধ্যতামূলক হলে ‘নারীর পরিসর কমবে’

তাহমিনার (ছদ্মনাম) বাবার বাড়ি বগুড়া। চাকরিতে নিবন্ধনের সময় তিনি অবিবাহিত ছিলেন। এ কারণে ঠিকানা দেওয়া ছিল বাবার বাড়ির। বিবাহসূত্রে তিনি এখন ঢাকায় থাকেন। এ অবস্থায় বিয়ের পর স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা নিজের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কাজ হয়নি।

সেলিনা পারভীনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। নিবন্ধনের সময় কিশোরগঞ্জে স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া ছিল। বিয়ের পর স্থান পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে গেলে তাকে বলা হয়, স্থায়ী ঠিকানার সঙ্গে চাকরি কোটার সম্পর্ক থাকায় ঠিকানা পরিবর্তন করতে গেলে নানা জটিলতা তৈরি হবে।

এখন থেকে নিবন্ধনের পর প্রার্থীরা আর চাকরির এলাকা বদলের আবেদন করতে পারবেন না। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

বিয়ের পর নারীরাই ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন বেশি করেন বলে জানিয়েছেন নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের উপসচিব তৌহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন হওয়ার পর বিষয়টি একটা প্রক্রিয়ার ভেতর পড়ে যায়। তখন ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন নেওয়া সম্ভব নয়, জটিলতা বাড়ে।’

এখন থেকে শিক্ষিকা হিসেবে নিবন্ধনে যে ঠিকানা দেওয়া থাকবে, নিয়োগ সেই এলাকাতেই হবে, তার বাইরে নয়। অবিবাহিত নারীরা বাবার ঠিকানা দিয়ে চাকরির আবেদন করলে বিয়ের পর স্বামীর স্থায়ী ঠিকানা নিজের বলে দাবি করতে পারবেন না। অর্থাৎ তাকে বাবার ঠিকানাতেই নিয়োগ নিতে হবে।

নারী নেত্রীরা বলছেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার কারণে চাকরি করার ব্যাপারে নারীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, ‘আমাদের দেশে নারীদের চাকরি নিয়ে এমনিতেই জটিলতা আছে। এরপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে তাদের জায়গা ছোট হয়ে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘কেবল এ রকম একটা সিদ্ধান্ত দিলেই হবে না। নিজের ঠিকানা বাছাইয়ের স্বাধীনতা নারীর আছে। বাবার বাড়ি কিংবা শ্বশুর বাড়ির ঠিকানার বাইরেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যেখানে সে নিজেই নিজের আলাদা ঠিকানা তৈরি করতে সক্ষম। সে ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়ে তা অবরুদ্ধ করার মধ্যে দুরভিসন্ধি লক্ষ্য করা যায়।’

আয়শা খানম আরও বলেন, ‘আমরা জানি এমন ক্ষেত্রে কোটা জাতীয় বিষয় থাকে। ফলে নিবন্ধনের পর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে পরিবর্তনটা কঠিন। কিন্তু বাস্তবতা তো বুঝতে হবে।’

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলেন, ‘নারীর নিজের কোনও অধিকারই নেই যেন। যত রকমের সামাজিক রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা তার ওপরই বর্তাবে। প্রয়োজনে সে নিজ এলাকার বাইরে চাকরি করছে না? বাবার এলাকাতেই চাকরি করতে হবে কেন?’

 

স্বামী-স্ত্রী এক সাথে নামাজ পড়ার বিধান

স্বামী-স্ত্রী এক সাথে জামাতে নামায পড়তে পারবে কি না? যদি পারে তাহলে দাঁড়ানোর নিয়ম কি হবে?

হ্যা, স্বামী-স্ত্রী এক সাথে জামাতে নামায পড়তে পারবে। স্ত্রী স্বামীর একতিদা করলে তা সহীহ হবে। স্ত্রী স্বামীর বরাবর হয়ে দাঁড়াবে না বরং একটু পিছনে দাঁড়াবে। [ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৩/৩৪]

মাওলানা মিরাজ রহমান
এডটির ইনর্চাজ, প্রিয় ইসলাম, প্রিয়.কম

 

কিয়ামাতের ১০ আলামত

কিয়ামাত বা মহাপ্রলয় অবধারিত। যা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত। তবে কখন এ মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখের কোনো বর্ণনা নেই। কুরআনুল কারিমের অনেক সুরায় কিয়ামাত বা মহাপ্রলয় সম্পর্কিত অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।

কিয়ামাত বা মহাপ্রলয়ে নির্ধারিত সময় জানানো না গেলেও হাদিসে কিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার পূর্বের কিছু বড় আলামাত বা ঘটনার কথা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করে গেছেন। যা তুলে ধরা হলো-

হজরত হুজাইফা ইবনে আসিদ আল-গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রতি দেখলেন যে, আমরা আপসে আলাপ-আলোচনা করছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা আপসে কি ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করছ? তাঁরা (সাহাবায়ে কেরাম) বললেন, কিয়ামাতের বিষয়ে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘কিয়ামাত ততদিন অনুষ্ঠিত হবে না; যতদিন তোমরা দশটি নিদর্শন না দেখবে। অতঃপর তিনি (কিয়ামাতের ১০ আলামত) উল্লেখ করেন-

০১. ধোঁয়া নির্গমন;
০২. দাজ্জালের আবির্ভাব;
০৩. জন্তুর আবির্ভাব;
০৪. পশ্চিম গগন থেকে সূর্যোদয়;
০৫. হজরত ঈসা ইবনে মারইয়ামের অবতরণ;
০৬. ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব;
০৭. তিনিটি ধ্বংস- প্রথমটি পূর্বে;
০৮. দ্বিতীয়টি পশ্চিমে আর
০৯. তৃতীয়টি আরব উপদ্বীপে এবং
১০. অতঃপর ইয়ামেন থেকে আগুন বের হবে এবং মানুষকে ধাওয়া করে হাশরের ময়দানের দিকে নিয়ে যাবে।’ (মুসলিম)

সুতরাং কিয়ামাত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে আল্লাহ তাআলা প্রতিটি মুসলমানকে মজবুত ঈমানের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক আমলি জিন্দেগি গঠন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

চাকরির ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ

আমাদের আশেপাশে যা ঘটে যায় তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে দাগ কেটে যায়। আমরা তার থেকে যেমন শিক্ষা পাই তেমনই নিজেদের ভুল-ভ্রান্তিও শোধরাতে পারি। আর চাকরিজীবনেও তেমনি কিছু ব্যপারের গুরুত্ব অনেক। চাকরী করার জন্য যে মনোভাবের প্রয়োজন হয় তা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। চলুন সে বিষয়গুলো জেনে আসি-

পারিবারিক বন্ধন
পরিবারে যদি পারস্পারিক বন্ধন ভালো না থাকে তবে আপনার মানসিক অবস্থা ভালো থাকবেনা। অফিসে কাজের চাপ থাকলে তা আপনি নিতে পারবেন না। ফলে যেকোনো কাজ আপনার কাছে বোঝা মনে হবে এবং আপনি নিজেকে দোষারোপ করতে থাকবেন নানাভাবে।

ভালোবাসার অভাব
ভালোবাসা কেবল প্রিয় মানুষটির কাছে থেকেই পাওয়া যায় এমন না। আপনার যদি ভালো বন্ধু না থাকে তবে আপনি অনেক কথাই মনের ভেতর আটকে রাখবেন। যা প্রকাশ পাবে না। ফলে মনের ভেতর আর মস্তিস্কের ভেতর যুদ্ধ চলতে থাকবে এবং এর প্রভাব পড়বে চাকরির ক্ষেত্রে।

নিজের জন্য সময়
পৃথিবীতে সবার জন্য সময় হলেও নিজের জন্য আমাদের সময় হয় না। আমরা সবার সমস্যা সমাধান করলেও নিজের ক্ষেত্রে বুঝে উঠি না কী করবো? তাই দিনের একটা সময় নিজের জন্য রাখা উচিৎ। যাতে আপনি আপনাকে সময় দিতে পারেন। নিজের ভুলভ্রান্তিগুলো ধরতে পারেন। যা চাকরিজীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

মানবপ্রীতি
ভালোবাসা শুধু মাত্র আপনি একটি মাত্র স্তরের মানুষের জন্য দেখাবেন। তা মোটেও ঠিক না। এই ক্ষেত্রে আপনি যেমন নানা মানুষের সাথে মিশছেন তেমনি তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসাও থাকতে হবে। যাতে আপনার সাথে সবার একটি ভালো সম্পর্ক থাকে।

আত্মতৃপ্তি
আপনি আপনার নিজের কাজে কতটা খুশি তা চাকরিজীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাবে আপনি হয়তো একটি কাজ করছেন কিন্তু তা আপনার পছন্দের না। এই ক্ষেত্রে আপনার করা কাজটাও ভালো হবে না আর আপনিও সফল হবেন না।

 

আয়নাবাজি নিয়ে আমেরিকা যাচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী

নিজের নতুন ছবি ‘আয়নাবাজি’ নিয়ে আমেরিকা যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর থেকে আমেরিকার সিয়াটলে শুরু হচ্ছে ‘সিয়াটল দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র উৎসব’। সেখানে উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে চঞ্চল অভিনীত ছবিটি।

এই অভিনেতা বলেন, ‘সিয়াটল দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র উৎসব’র ১১তম আসর শুরু হবে ‘আয়নাবাজি’র প্রদর্শনী দিয়ে। এটি সত্যি দারুণ খুশির খবর। সেখানে যাবার আমন্ত্রণ পেয়েছি। আমার সঙ্গে যাবেন ‘আয়নাবাজি’র নির্মাতা অমিতাভ রেজা এবং প্রযোজক গাউসুল আজম শাওন।’

চঞ্চল আরো জানান, ‘আয়নাবাজি’র প্রদর্শন ছাড়াও সেখানে কয়েকটি শো-তে অংশ নেবেন তিনি। সবমিলিয়ে ৩-৪ দিন সেখানে থাকবেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত এই অভিনেতা বলেন, ‘আগামী ১৪ অক্টোবরের আগেই আমেরিকার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বো।’

১৪ অক্টোবর উৎসবের উদ্বোধনী সন্ধ্যায় সিয়াটল আর্ট মিউজিয়ামে দেখানো হবে ‘আয়নাবাজি’। একই সঙ্গে দেখানো হবে তামিল স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আ রাইড টু রিমেম্বার’। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের বাছাই করা ছবি উৎসবে দেখানো হবে।

এদিকে, গেল ৩০ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি রাজধানীসহ দেশের ২১টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির পর দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ছবিটি। ‘আয়নাবাজি’ দেখতে হলে যাচ্ছেন সব শ্রেণির মানুষ। অনেকেই টিকিট না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন।

সরেজমিয়ে গিয়ে দেখা গেছে, মুক্তির তিনদিন পেরুলেও রাজধানীর বলাকা সিনেমা হল, বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘আয়নাবাজির’ প্রতিটি শো ছিল হাউজফুল। অন্য হলগুলোতেও দর্শক উপস্থিতি আশা জাগানিয়া। প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই ছবিটি আরো বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।

 

উৎসবের আমেজে মাখা মাখা দই-এলাচ চিকেন

সামনেই পূজা, আর এ সময়ে নানান কাজের ভিড়ে রান্নাটাও হওয়া চাই একেবারে মনমাতানো। অনেকটা সময় এবং মনোযোগ খরচ করে রান্না করলেই তার স্বাদ ভালো হবে। কিন্তু এমন সময় যদি না পাওয়া যায়? ব্যাস্ত গৃহিণীরা তাই দেখে নিন একদম কম সময়ে রান্না করা যায় অথচ উৎসবের সাথে মানিয়ে যায় এমন একটি রান্নার রেসিপি।
উপকরণ:
– ৮০০ গ্রাম মুরগীর মাংস
– ৩টি বড় পিঁয়াজ কুচি করে কাটা
– ১ টেবিল চামচ আদা কুচি
– ৫ কোয়া রসুন, খোসা ছাড়ানো
– ১টি শুকনো মরিচ, ভেতরের বীজ ফেলে দেওয়া
– ৩/৪টি এলাচ
– ১টি কালো এলাচ
– ২টি লবঙ্গ
– ৫/৬টি গোলমরিচ
– ১টি তেজপাতা
– আধা ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি
– ১ কাপ ঘন টক দই
– ২টি টমেটো সেদ্ধ করে পিউরি করে নেওয়া
– আধা চা চামচ জিরা গুঁড়ো
– আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– সিকি চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– লবণ স্বাদমতো
– সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ
– সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ
– আধা চা চামচ ধনেপাতা কুচি
প্রণালী:
১) একটি পাত্রে মুরগীর টুকরোগুলো নিন। এতে দই, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, লবণ এবং সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে দিন মেরিনেট হবার জন্য।
২) ২ চা চামচ তেল গরম করে নিন প্যানে। এতে আদা ও রসুন বাদামি করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে সরিয়ে রাখুন। এই একই তেলে এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারুচিনি, তেজপাতা এবং শুকনো মরিচ ভেজে নিন। তেল ঝরিয়ে উঠিয়ে নিন। বাকি তেলে পিঁয়াজ দিয়ে দিন। পিঁয়াজ নরম ও বাদামি হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এলাচের খোসা ফেলে দিন। এলাচের ভেতরের অংশ, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, তেজপাতা এবং শুকনো মরিচ একসাথে গ্রাইন্ড করে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন।
৩) বাকি তেল গরম করে নিন তলাভারি একটি প্যানে। এতে ম্যারিনেড সহ মুরগী বেশি আঁচে ফ্রাই করে নিন ২-৩ মিনিট। এরপর আঁচ কমিয়ে মুরগী রান্না হতে দিন। মুরগী কিছুটা পোড়া পোড়া হবে তবে বেশি পুড়িয়ে ফেলবেন না।
৪) মুরগী আধাসেদ্ধ হয়ে এলে এতে মশলার পেস্ট দিয়ে দিন। কম আঁচে আরও কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ফ্রাই করুন। অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ভুনে নিন যতক্ষণ না তেল ওপরে উঠে আসে। তেল ওপরে উঠে এলে টমেটো পিউরি দিয়ে মিশিয়ে নিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না চিকেন পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে আসে। ওপরে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৫) চেখে দেখুন, দরকার হলে লবণ-ঝাল বাড়িয়ে দিন। ওপরে ধনেপাতা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন এবং আঁচ থেকে নামিয়ে নিন।
এলাচের মিষ্টি সুবাস এবং দইয়ের ঘন গ্রেভিতে মুরগীর এই তরকারি নিঃসন্দেহে সবার পছন্দ হবে। পরিবেশন করতে পারেন ভাত, পোলাও এমনকি রুটির সাথেও।

 

আড়ং পূজা কালেকশন ২০১৬ প্রদর্শনী

ঢাকের তালে তালে আড়ং-এর পূজার পোশাক পরে র‌্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা। শনিবার সকালে আড়ং ওয়ারী আউটলেটে অনুষ্ঠিত পূজা ২০১৬ কালেকশনের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এতে উপস্থিত ছিলেন আড়ং এর রিওয়ার্ড কার্ড মেম্বার ও বিভিন্ন মিডিয়া প্রতিনিধিগণ। সেখানে মডেলদের উপস্থাপিত আড়ং পূজা কালেকশনের র‌্যাম্প শো থেকে পণ্য সরাসরি দেখে ওই পণ্য প্রি-অর্ডার দেয়ার সুযোগ রাখা হয় আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য। ফ্যাশন শো’টি কোরিওগ্রাফি করেন আজরা মাহমুদ।

আড়ং পূজা কালেকশনের মূল ভাবনায় ছিলো উৎসবের বর্ণিলতা আর সুতি, মসলিন এবং হাফ সিল্কে ফুলেল মোটিফের প্রাধান্য। সায়োয়ার কামিজ এবং শাড়িতে চিরায়ত লাল সাদার পাশাপাশি রয়েছে সুবজ, হলুদ এবং মেজেন্টা রঙের ছোঁয়া। ছেলেদের পাঞ্জাবি ধুতি সেটের সাথে মিশেল ঘটেছে হাল ফ্যাশনের ট্রেন্ডি কোটির। এবারের নতুন সংযোজন আড়ং পূজা গিফট বক্স। পূজার ঐতিহ্যবাহী নানান সামগ্রীর সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে এই গিফট বক্স।

আড়ং দেশের শীর্ষস্থানীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড এবং পূজায় এক অপরিহার্য শপিং ডেস্টিনেশন।

ফেসবুক: https://www.facebook.com/BRAC.AARONG/

 

স্বামীর নির্যাতনের শিকার ৮০ শতাংশ নারী

দেশের ৮০ দশমিক ২ শতাংশ নারী স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তবে নির্যাতনের এ হার আগের তুলনায় কমে এসেছে। ২০১১ সালে এ হার ছিল ৮৭ দশমিক ১ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার তা প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যেকার সময়ের তথ্য নিয়ে এ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। মোট ২১ হাজার ৬৮৮ জন নারী এই জরিপে অংশ নেন।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের অডিটোরিয়ামে এ রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- নারী ও শিশু প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ইইউ অ্যাম্বাসেডর পিয়ারে মাদুরে প্রমুখ।

বিবিএস প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বামী ছাড়া অন্য সঙ্গী বা অভিবাবকের দ্বারা (সর্ট অব পার্টনার) ৭২.৬ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হন। ২০১১ সালে যার হার ছিল ৭৯.৪ শতাংশ।

এতে বলা হয়, এখনো স্বামীর নিয়ন্ত্রণের নামে ৫৭.৭ শতাংশ নারী নির্যাতিত হন। তবে ২০১৫ সালে তা কমে এসেছে। ২০১১ সালে এর হার ছিল ৭২.৬ শতাংশ।

এতে বলা হয়, নারী নার্যাতন বিরোধী আইন, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার বা সরকারি নানা উদ্যোগের কথা বেশির ভাগ নারীই জানেন না।

 

যে চতুর প্রশ্নটি অবশ্যই করবেন ইন্টারভিউ বোর্ডে

চাকরির ইন্টারভিউ এমন একটি বিষয় যা চাকরিদাতা এবং প্রার্থী উভয়কে স্ট্রেস দেয়। আপনি যখন ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তখন আপনার উপর থাকে নানান প্রেশার। প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য একটি মানুষকে বেছে নেওয়া কিন্তু কঠিন একটি কাজ। যোগ্যতা তো শুধু কাগজে কলমে থাকলে হবে না, থাকতে হবে বাস্তবে। প্রতিভার প্রকাশ থাকতে হবে কাজে।
কিভাবে একজন যোগ্য কর্মী খুজে নেবেন আপনি? ইন্টারভিউ বোর্ডে চাকরিদাতা এবং প্রার্থী উভয়ের মস্তিষ্কেই চলতে থাকে একটি প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলে আসলে অনেক সহজ হয়ে যায় খালি পদটিতে যোগ্য লোক নিয়োগ করা। প্রশ্নটি হল- ‘একসাথে কাজ করা কি সম্ভব হবে?’
অবাক হচ্ছেন? খেয়াল করে দেখুন, কর্মী যদি হয় আপনার মনের মত তাহলে তাকে দিয়ে দরকারি কাজটি করিয়ে নেওয়া কিন্তু সহজ। বস এবং কর্মীর জুটি যত ভাল হয় সে প্রতিষ্ঠান তত বেশী লাভবান হয়। কর্মী যদি অবাধ্য হন তাকে দিয়ে কাজ বের করে আনা মুশকিল হয়ে পড়ে। কর্মীও চান তার বস যেন বুদ্ধিমান, সহনশীল, অমায়িক একজন মানুষ হন।
কিন্তু আপনার মনের এই প্রশ্নের উত্তর কিভাবে জানবেন আপনি? ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রার্থীকে প্রশ্ন করুন ‘আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন সে পদে সফল হতে হলে কি করতে হবে?’ অথবা প্রশব করুন ‘সফল হতে হলে কি কি করা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?’আপনি যে উত্তর পাবেন তা থেকে কিন্তু মানুষটি সম্পর্কে বিস্তর তথ্য পেয়ে যাবেন নিশ্চিত।
আপনি যদি প্রার্থী হন সেক্ষেত্রেও কিন্তু প্রশ্নটি কার্যকরি। বিনয়ের সাথে ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা আছেন তাদের কাছে জানতে চান, তারা কি আশা করেন আপনার কাছ থেকে। প্রশ্নটি করে আপনি কিন্তু প্রথমেই সুনজরে পরবেন। কারণ আপনার ভবিষ্যত উদ্ধতন কর্মকর্তারা ভাববেন আপনি কাজের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। তাই যদি চাকরি পেতে চান তাহলে অবশ্যই প্রশ্নটি করুন এবং একই সাথে তাদের উত্তর শুনে আন্দাজ করে নিন তারা কেমন বস হবেন!
তবে আপনি যেহেতু চাকরি প্রার্থী তাই অবশ্যই নিজের বডি ল্যাঙ্গুয়েজের দিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ কোনভাবে আপনার প্রশ্নটি যদি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে তবে অন্যান্য পারফর্মেন্স যতই ভাল হোক না কেন যাদুকরি প্রশ্নটিই হবে আপনার কাল। মনে রাখবেন, ইন্টারভিউ বোর্ডে সবাই সারাক্ষণ আপনাকে পরখ করছেন। আর যেহেতু চাকরি ক্ষেত্রেই আমরা আসলে আমাদের বেশীরভাগ সময় কাটাই তাই জায়গাটি যতটা সম্ভব স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ এবং আনন্দের হওয়া জরুরি।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

ভক্তকে চড় মারলেন জন?

বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহাম শান্তশিষ্ট বলেই পরিচিত। এই ঠান্ডা মেজাজের মানুষই কিনা রাগের মাথায় চড় মেরে বসলেন এক ভক্তকে। গত বৃহস্পতিবার এই তারকার আসন্ন ছবি ‘ফোর্স টু’-এর ট্রেলার উদ্বোধনীর পর এই ঘটনা ঘটে।
একটি সূত্র জানায়, ট্রেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর এক ভক্ত জনের সঙ্গে সেলফি তোলার আরজি করেন। পরিস্থিতি তখন স্বাভাবিক ছিল না। ঘটনার একপর্যায়ে জন সেই ভক্তের গায়ে হাত তুলে বসেন। কিন্তু এই নায়কের এক মুখপাত্র আবার বলছে ভিন্ন কথা। তাঁর দাবি, জন কখনোই ইচ্ছা করে কারও গায়ে হাত তোলেননি। বরং ওই ভক্তই পরে নিজে থেকে জনের বাড়িতে এসে দেখা করে গেছেন। তিনি তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য নাকি ক্ষমাও চেয়েছেন এই অভিনেতার কাছে।
কিছুদিন আগে বলিউডের কাপুর পরিবারের দুই ভাই রণধীর কাপুর ও ঋষি কাপুরও প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুলেছিলেন। সে সময় এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

পেটে ব্যথা হলে কী করবেন?

হঠাৎ পেটে ব্যথা। বুঝতে পারছেন না এটি গ্যাস্ট্রিক নাকি অন্য কিছু। কী ওষুধ খাবেন, কার কাছে যাবেন, তা-ও বুঝতে পারছেন না। পেটে ব্যথার সঠিক স্থান, ধরন-ধারণ, আনুষঙ্গিক উপসর্গ ইত্যাদি মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো আছেই। প্রথমেই খেয়াল করতে হবে ওপর পেটে ব্যথা হচ্ছে, না তলপেটে। ওপরে হলে ব্যথা এক আঙুল দিয়ে নির্দেশ করলে সেটা কোন জায়গায় ওপর ডান, নাকি ওপর বাম? ব্যথাটা কোন দিকে ছড়াচ্ছে? কামড়ে ধরে আছে নাকি চিনচিন করছে, না জ্বালা করছে? সঙ্গে বমি, অরুচি, পায়খানার সমস্যা ইত্যাদি আছে কি না। কোনো কিছু খেলে বাড়ে নাকি খালি পেটে বাড়ে?

কেমন হতে পারে পেটে ব্যথার ধরন?
* পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের ওপর দিকে মাঝখানে শুরু হয়। এটি খালি পেটে বাড়ে, কখনো চিনচিনে, কখনো জ্বালাপোড়ার মতো মনে হয়। এর সঙ্গে বমিভাব, টক ঢেকুর, পেট ফাঁপা ইত্যাদি থাকতে পারে। অ্যান্টাসিড বা অন্য গ্যাস্ট্রিকের ওষুধে বেশ উপশম মেলে।
* একই জায়গায় বা একটু বাঁ দিকে অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ হতে পারে। কিন্তু এই ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র, পেছন দিকেও অনুভূত হয়। রোগী ব্যথায় কুঁকড়ে যায়। সামনে ঝুঁকে থাকলে আরাম মেলে। সঙ্গে বমি থাকতে পারে।
* ওপরের পেটের ডান দিকে ব্যথা হতে পারে পিত্তথলিতে প্রদাহ বা পাথর থাকলে। এই ব্যথাও ডান দিকে পেছন পর্যন্ত ছড়ায়, সঙ্গে বমি হতে পারে। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খেলে এটি বাড়ে। যকৃতের প্রদাহেও একই জায়গায় ব্যথা হয়। চিনচিন করে ব্যথা, সঙ্গে জ্বর, জন্ডিস, অরুচি ইত্যাদি হেপাটাইটিস বা যকৃতে প্রদাহ নির্দেশ করে। যকৃতে ফোঁড়া হলে এই ব্যথা তীব্র হয়, সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
* পেটের ওপরের দিকে ডান অথবা বাঁ কিডনিতে পাথর, প্রদাহ বা সংক্রমণ হলে সেই পাশে ও পেছনে ব্যথা হয়। এই ব্যথা ক্রমেই নিচে নেমে তলপেটেও ছড়ায়। কিডনির ব্যথা প্রচণ্ড তীব্র হয়, একটু পরপর ছাড়ে, আবার আসে। সঙ্গে বমি, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর থাকতে পারে।
* নাভির মাঝখান থেকে ব্যথা যদি ক্রমেই তলপেটের ডান দিকে ছড়িয়ে যায়, সেখানে হাত দিলেই ব্যথা হয়, ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়তে থাকে, তাহলে তা অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি না, ভাবতে হবে।
* তলপেটে ব্যথার সঙ্গে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও জ্বর প্রস্রাবের সংক্রমণ নির্দেশ করে। মেয়েদের জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের নানা সমস্যায় ব্যথা হতে পারে।
* সাধারণ আমাশয়, ফুড পয়জনিং ও বদহজম থেকে ব্যথা পেটজুড়ে থাকে। বমি বমি ভাব, পেটে শব্দ, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হয়। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও পেটে ব্যথা হয়।
* দীর্ঘদিনের পেটের ব্যথার সঙ্গে ওজন হ্রাস, রক্তশূন্যতা, দুর্বলতা ইত্যাদি সতর্কসংকেত। অন্ত্রে ক্যানসার বা টিবিরও লক্ষণ এই পেটে ব্যথা। তাই পেটের ব্যথাকে ছোট করে দেখবেন না।

পেটে ব্যথা হলে কী করণীয়?
যদি গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা মনে করেন এবং এর সঙ্গে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রকাশ না হয়, তাহলে গ্যাসের ওষুধ দিতে পারেন। সিরাপ দিতে পারেন। ব্যথা কমানোর জন্য অনেক ওষুধ আছে সেগুলো দিতে পারেন। তবে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ঝুঁকির বিষয়গুলো হয়নি। হঠাৎ করে সমস্যা হয়েছে কি না, বমি হয়েছে কি না, জ্বর আছে কি না—এই বিষয়গুলো সঙ্গে না থাকলে খুব চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করলেই হয়।

 

আকাশজুড়ে মেঘের খেলা

পাহাড়ে নেমে এসেছে রাত। চারদিকে গাঢ় অন্ধকার। কিন্তু এই রাতেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সামনে পাহাড়ের সারি। আকাশভরা তারা। প্রকৃতি আলো করে উঠেছে পূর্ণিমার চাঁদ। মায়াবী এই আলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে কেমন যেন রহস্যময় করে তুলেছে। আমরা অনেকজন, মন্ত্রমুগ্ধের মতো দাঁড়িয়ে শুনছি ব্যাঙের ডাক—ঝিঁঝি পোকার একটানা শব্দ। জোনাকি পোকার দল আলো জ্বেলে আমাদের চারপাশে উড়ছে। মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে প্যাঁচা বা বাদুড়ের ডাক। আরও, আরও অনেক দূরে দেখা যাচ্ছে জাহাজবন্দরের বিদ্যুতিক বাতির আলোকসজ্জা। এ যেন অপার্থিব কোনো দৃশ্য, যা আমাদের কাছে খুব অচেনা। ভালো লাগায় ভরে গেল মনটা।

রাতের এই রূপ দেখতে দেখতে একসময় ঘুমিয়ে গেলাম। পাখির ডাকে সকাল হলো। কিন্তু এ কী! সূর্য কোথায়? এ যে মেঘের পালক। চারদিকে হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা সাদা মেঘ। এমনকি ঘরের জানালা–দরজা দিয়ে মেঘ ঢুকে ভিজিয়ে দিচ্ছে আমাদের। একসময় একপশলা বৃষ্টিও নিয়ে এল সেই মেঘ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা পাওয়া গেল। হঠাৎ করেই যেন দৃশ্যপট পাল্টে গেল। উজ্জ্বল সোনালি আলোয় ঝকঝক করে উঠল প্রকৃতি। চারদিকে সবুজের সমারোহ। পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে। রঙিন প্রজাপতি, ফড়িংয়ের দল উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবারও মনে হলো এ কী স্বপ্ন, না সত্যি?

আমাদের চারপাশের এই সৌন্দর্য কোনো কল্পনা নয়, এ সত্যি। আমরা দাঁড়িয়ে আছি বান্দরবানের উঁচু পাহাড়ের ওপর হিল রিসোর্ট সাইরুর খোলা অলিন্দে। বান্দরবান পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল বলে রাতের রূপ দিয়েই শুরু হয়েছিল আমাদের সময়। খোলা চত্বরে দাঁড়িয়ে সামনে তাকিয়ে মনে হলো নজরুলের সেই গানখানি, ‘আকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমায় ঐ।’ খোলা বারান্দায় সকালের নাশতা করতে করতে দেখা যায় নীল আকাশ, পাহাড়, সবুজ বনবনানী, নিচে বয়ে চলেছে সাঙ্গু নদী। পাহাড়ের কোলজুড়ে সাজানো আছে ছোট ছোট পাহাড়ি বাড়িঘর।

এখানে নাশতাপর্বের শেষে ঘুরে বেড়ানো যায় রিসোর্টের চারপাশ। একদম উঁচুতে রয়েছে অভিনব একটি সেতু, যা দুটি পাহাড়কে এক করেছে। সেখানেই তৈরি হচ্ছে সুইমিংপুল। ইচ্ছে হলে গা এলিয়ে দিয়ে বসে চা পান করতে পারেন বা গান শুনতে পারেন। একা বসে বই পড়তে চান? খোলা বারান্দায় বসে ছবি আঁকতে চান? দল বেঁধে বসে গল্প করতে বা গান গাইতে বা আড্ডা–হুল্লোড় করতে চান? অথবা দুজনে নিভৃতে বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান—তাহলে চিম্বুক পাহাড়ের পাশে এই সাইরুতে যেতে পারেন। বান্দরবান শহর থেকে এক ঘণ্টার পাহাড়ি পথ। রিসোর্টটির সুন্দর স্থাপত্য, আধুনিক সুবিধা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে সহজেই।

সকাল গড়িয়ে দুপুর। বারান্দায় বসে সামনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দেখতে পেলাম আকাশজুড়ে মেঘের যে খেলা চলছে, তারই ছায়া পড়েছে পাহাড়ে। যেখানে কালো মেঘ, সেখানে পাহাড় কালো; যেখানে রোদ, সেখানে প্রকৃতি উজ্জ্বল। পাহাড়ে একসঙ্গে এত রূপ, আমি কখনো দেখিনি আগে। জুন থেকে অক্টোবর মানে গ্রীষ্ম ও শরৎকালে এখানে ক্ষণে ক্ষণে প্রকৃতি তার রূপ বদলায়। কবির ভাষায়, ‘আকাশজুড়ে মেঘের খেলা, কোথায় বা সীমানা/ দেশে দেশে খেলে বেড়ায় কেউ করে না মানা।’ আর জেনে নিন সাইরু নামের একটি পাহাড়ি মেয়ের ভালোবাসার গল্প, যা লেখা আছে এই পাহাড়ে। শীতকালটা আবার অন্য রকম ভালো। মেঘ আর রোদের আনাগোনা চলতেই থাকে।

সাইরু থেকে ফেরার পথে দেখে নিতে পারেন চিম্বুক, শৈলপ্রপাত। কিনতে পারেন পাহাড়িদের তৈরি পোশাক, পেঁপে, জাম্বুরা, আনারস, জুমের সবজি, বাংলা কলা, হলুদের ফুল, আদার ফুল, স্কোয়াশ।

 

পূজার সাজে

শারদীয় উৎসবের দিনগুলোয় ঐতিহ্যবাহী সাজটা তো মানাবে ভালোই। তবে এখন দুনিয়া হাতের মুঠোয়৷ আঙুলের ছোঁয়াতেই স্মার্টফোনের পর্দায় ভেসে ওঠে ফ্যাশন-দুনিয়ার নানা খবর। এ জন্য পূজার সাজপোশাকে তার একটা প্রভাব দেখা যায়। তারপরও ঐতিহ্যের পোশাকগুলোও মাত করবে পুজোর ফ্যাশন—এমনটাই ধারণা ফ্যাশন ডিজাইনারদের।

রাতের সাজে শাড়ি পরতে না চাইলে বেছে নিন জমকালো নকশার সালোয়ার-কামিজ। পোশাক ও গয়না: আড়ংরাজধানীর ফ্যাশন বাজারে দুর্গাপূজার পোশাক-আশাক এসে গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেল, পোশাকের কাটছাঁট এবং রং-নকশায় আন্তর্জাতিক ফ্যাশনধারার প্রভাবটা রয়েছে। পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে দুই ঈদ ও পূজা অনেকটা কাছাকাছি সময়েই হয়ে আসছে৷ সে জন্য চলতি বছরের ঈদের ফ্যাশনধারাটা বজায় থাকছে পূজার উৎসবে। এমনটাই জানালেন আড়ং, মায়াসীর, অঞ্জনস, দেশালসহ বেশ কিছু ফ্যাশন হাউসের ডিজাইনার ও পোশাক বিক্রেতারা৷ আর তাই তো কামিজের সঙ্গে লম্বা কোটি, ঘের দেওয়া পালাজ্জো, স্কার্টের সঙ্গে কামিজ দেখা যাচ্ছে। আবার রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনি চকের দোকান থেকে শুরু করে ফ্যাশন হাউসগুলো শাড়ির সঙ্গে কোট বা কেইপকে একটু দেশীয় ঢঙে উপস্থাপন করেছে।

গরদ শাড়ির আবেদন এখনো হারায়নি। শাড়ি: দোয়েল সিল্কএদিকে কলকাতার সব উৎসবকে ছাপিয়ে যায় শারদীয় দুর্গোৎসব৷ সেখানকার অনলাইন এবং পূজাসংখ্যাগুলোতে চলছে এই বছরের পূজার ট্রেন্ড নিয়ে মাতামাতি৷ একটু চোখ বুলিয়ে দেখা গেল, ফিউশনধর্মী পোশাকের আধিপত্যটা থাকছে সেখানে৷ জিনসের সঙ্গে জর্জেট বা শিফনের শাড়ি, শাড়ির সঙ্গে কেইপ, এমনকি কামিজের সঙ্গে শাড়ি, হাতাকাটা ফুলেল ছাঁটের কামিজ—এমনটা হবে এবারের ফ্যাশন ট্রেন্ড (সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, এবেলা)৷ ডিজাইনার চন্দ্রশেখর সাহা বলেন, ‘কলকাতায় সারা বছরের ফ্যাশনধারাটাকে পূজার সময় তুলে ধরা হয়৷ এদিকে আমাদের এখানে পয়লা বৈশাখ বা ঈদুল ফিতরের সময় উঠে আসে ফ্যাশনধারা। সেগুলোর ছাপই পড়ে পূজার বাজারে। পাশাপাশি সামাজিক সংস্কৃতিও একটা বিষয়৷ সে কারণে কলকাতার পূজার ফ্যাশনের প্রভাব এখানে ততটা দেখা যায় না৷ ক্রেতাদের দিক থেকেই গরদ, সিল্ক, জামদানি বা সুতির শাড়ি আর পোশাকের চাহিদাটাই এখানে বেশি থাকে।’

‘পোশাকের নকশায় জমকালো ফিউশন না থাকলেও মোটিফে পূজার নানা অনুষঙ্গের ব্যবহার থাকে এখানে। শারদীয় উৎসবে একটা নিজস্ব ধারা এখানে গড়ে উঠেছে।’ বললেন রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাশ৷ বিভিন্ন সংস্কৃত শব্দ আর বাক্য, স্বস্তিকা, বেলপাতা, চক্রসহ দুর্গাপূজার আরও নানা অনুষঙ্গের ব্যবহারে পোশাকটি গায়ে জড়ালেই ফুটে উঠবে শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ৷ দুর্গাপূজা মানেই সারা দিন ঘুরে বেড়ানো। তাই পোশাকে আরামের বিষয়টিকে মাথায় রেখেই পোশাকের কাপড় বেছে নেওয়া হয়েছে।
সারা দিনের ঘোরাঘোরিতে আরাম দেবে পালাজ্জো আর টপ। পোশাক: বিশ্বরঙ, আবহাওয়ার কারণে মেকআপ হালকা রাখাই ভালো। পোশাক: রঙ বাংলাদেশ, গয়না: আড়ং, স্কার্টের সঙ্গে ভারী এথনিক গয়না সাজে নিয়ে এসেছে ভিন্নতা। পোশাক ও গয়না: বিশ্বরঙ
বিশ্বরঙের ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, ‘সকালে অঞ্জলি দিতে হালকা নকশার সুতি পোশাকটাই বেশি আরাম দেবে৷ বিকেলে ঘুরতে বের হলে অবশ্যই পোশাকে থাকতে হবে রঙের আধিক্য৷ আবার চার দিনজুড়ে নতুন পোশাক না পরা গেলেও একটু বদলেই আনতে পারেন ভিন্নতা৷’ উদাহরণ হিসেবে তিনি বললেন কামিজটা একই রেখে সালোয়ার আর ওড়নার পরিবর্তনে সাজে আসতে পারে ভিন্নতা। একইভাবে বিভিন্ন প্যাটার্নের ব্লাউজ বা শাড়ি পরার ঢঙে পরিবর্তন আনা যেতে পারে।

উৎসবের সাজে নতুনত্ব আনতে চান অনেকেই। তবে সেটা বেশি জমকালো যেন না হয়। চোখে যাতে আরাম লাগে সে দিকটা মাথায় রাখার পরামর্শ দিলেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান৷ তিনি বললেন, ‘পূজার সময় সারা দিনই যেহেতু বাইরে ঘোরাঘুরি করতে হয়, সে জন্য বেসটা হালকা রাখাই ভালো৷ চোখের মেকআপ গাঢ় করতে পারেন৷ সে সময় ঠোঁটে হালকা রঙের ম্যাট লিপস্টিক ভালো লাগবে৷ এদিকে যাঁরা গাঢ় রঙে ঠোঁট রাঙাতে চান, তাঁরা চোখের পাতায় শুধু কাজল লাগাতে পারেন৷’ তবে মেকআপের চেয়ে পূজার সাজে গয়নাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিলেন নুজহাত খান৷ এই সময় জাঙ্ক বা ফাঙ্কি জুয়েলারি নয়; বরং এথনিক জুয়েলারি পূজার সাজে আনবে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক আমেজ৷

পূজার সাজের ধারা নিয়ে ডিজাইনার শৈবাল সাহা বললেন, ‘একটা সময় ছিল যখন লাল পেড়ে সাদা গরদ বা জামদানিতে সেজে একে অপরের পায়ে আলতা দিয়ে মেতে উঠত পূজার কাজে৷ হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, আলতা-সিঁদুর পবিত্রতার প্রতীক৷ ধারণা করা হয় যে সিঁদুর-আলতার লাল রং আর কাশবনের সাদা—এই থেকেই পূজার পোশাকে এসেছে এই লাল–সাদার আধিক্য।’ প্রতিবছরের মতো এবারও পোশাকে এই দুটি রংকে ভিত্তি করে কমলা, ঘিয়া, নীল, সবুজের মতো রঙের আধিক্য দেখা যাবে। গয়না এবং মেকআপেও থাকবে এসব রং। পূজার সাজ–পোশাকে এই রংগুলোর ব্যবহার অবশ্য এসেছে ফ্যাশনের চলতি ধারা থেকে।

Save

Save

Save

 

চেনা মাছে ভিন্ন স্বাদ

মাছ ভাজা, মাছের ঝোল না হলে মাছের কোপ্তা, খাবার পাতে মাছ না হলে কি চলে? কথায় তো আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। চেনা মাছের ভিন্ন কিছু রেসিপি দিলেন আল্পনা হাবীব

চিংড়ি ভর্তা

উপকরণ: চিংড়ি (মাঝারি আকারের খোসা ছাড়ানো) এক কাপ, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদাকুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ ৫ টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিনি আধা চামচ, ধনেপাতাকুচি তিন টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: চিংড়িগুলোকে লবণ-পানিতে হালকা সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানি ঝরিয়ে সেগুলো ১০ মিনিট বরফপানিতে ভিজিয়ে রাখুন। চিংড়িগুলো চৌকো করে কেটে নিন। চিংড়ি বাদে সব উপকরণ ভালো করে হাত দিয়ে চটকে নিন। এবার কেটে রাখা চিংড়িগুলো দিয়ে আলতো করে মেখে নিন।

কাঁচকি মাছের পাতুরিকাঁচকি মাছের পাতুরি
উপকরণ: লাউপাতা প্রয়োজনমতো, কাঁচকি মাছ ১ পোয়া, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ১০ টা, ধনেপাতাকুচি আধা কাপ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, নারকেল দুধ ২ কাপ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, হলুদ ও মরিচবাটা আধা কাপ।

প্রণালি: লবণ লাউপাতায় মেখে ভালো করে ধুয়ে নরম করে নিন। একটি পাত্রে কাঁচকি মাছ, পেঁয়াজকুচি, কাঁচা মরিচ (ফাঁড়া করে দিতে হবে), হলুদ, মরিচ, রসুনবাটা, ধনেপাতাকুচি, সরিষাবাটা ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। লাউপাতার ভেতরে পুর ভরে পার্সেল বানিয়ে নিন। এবার প্যানে তেল গরম করে তাতে বাকি মসলা কষাতে থাকুন। মসলায় নারকেল দুধের অর্ধেকটা দিয়ে কষানো হলে মাছের পাতুরিগুলো দিয়ে দিন। এবার ৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। কিছুক্ষণ পর তা উল্টে দিন। পাতুরির ওপর বাকি নারকেলের দুধ দিয়ে ১০ মিনিট অল্প আঁচে রান্না করুন।

ইলিশসারা রাত ইলিশ
উপকরণ: গোটা ইলিশ মাঝারি আকারের ১ টা, মল্ট ভিনেগার ১ কাপ, বড় লেবু ১ টা, চিনি ১ কাপ, মরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ, লবণ ১ চা-চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, বেবি অনিয়ন ১০ থেকে ১৫ টা, কাঁচা মরিচ ৬ টা, পানি (মাছ ডোবানোর জন্য) পরিমাণমতো, অ্যারারুট ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: মাছের আঁশ ফেলে বুকের কাছ থেকে লম্বা করে চিড়ে নাড়িভুঁড়ি বের করে নিতে হবে। মাছের কানকোর নিচ থেকে ফুলকা বের করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, মাছটা যেন ভেঙে না যায়। এবার একটা ছড়ানো পাত্রে সব উপকরণ (অ্যারারুট বাদে) নিন। মাছটাকে দিয়ে ডুবো পানিতে ঢেকে রাখুন। আটা দিয়ে পাত্রের চারপাশ ভালো করে মুড়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ২০ মিনিট মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। পানি কমে এলে ঢিমা আঁচে চুলায় অন্তত আট ঘণ্টা রাখতে হবে। চুলা থেকে নামানোর আধা ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে ইলিশ তুলে সার্ভিং ডিশে রাখুন। পাশে পেঁয়াজ আর মরিচগুলো সাজিয়ে দিন। এবার মাছের পানিটা চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিন। পানি কমে এলে অ্যারারুট গুলে দিন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে ইলিশের ওপর ঢেলে দিন। এবার ইলিশের ওপর অল্প পানি দিয়ে ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে আধা ঘণ্টা বেক করলেই হয়ে যাবে সারা রাত ইলিশ।

সুরমা মাছের কোপ্তা
উপকরণ: সুরমা মাছের পেস্ট ১ কাপ, রসুনবাটা ও আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, লবণ সিকি চা-চামচ, ডিমের সাদা অংশ ২ টি, পেঁয়াজবাটা আধা চা-চামচ, অ্যারারুট ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ১ চা-চামচ ও নারকেল দুধ ২ কাপ।
প্রণালি: মাছের পেস্ট, ডিমের সাদা অংশ, কর্নফ্লাওয়ার, অ্যারারুট ও লবণ এগবিটার দিয়ে ভালো করে বিট করে নিন। এর মধ্যে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে মেখে মাছের বল গড়িয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল ও ঘি গরম করে আদা, রসুন, পেঁয়াজকুচি ও মরিচগুঁড়া ভালো করে কষিয়ে নিন। আরেকটি বাটিতে মিষ্টি দই ও ময়দা ফেটিয়ে নিন। এবার ফেটানো দই মসলার মিশ্রণে দিয়ে দিন। কষানো হলে নারকেল দুধ দিন। মসলা একটু ঘন হয়ে এলে মাছের বল বা কোপ্তাগুলো দিয়ে দিন। আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। এবার বাকি নারকেল দুধ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ২ মিনিট নাড়াচাড়া করে নামিয়ে নিন।
নারকেল সরিষার তেল কইনারকেল সরিষার তেল কই
উপকরণ: কই মাছ ৮ টি, নারকেল দুধ ১ টিন, সাদা সরিষাবাটা ৬ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ ও আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ (ফালি করে কাটা) ১০ টি, কালিজিরা আধা চা-চামচ, মেথি ১ চিমটি, সরিষার তেল ৬ টেবিল চামচ ও সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: কই মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার মাছের গায়ে ছুরি দিয়ে গভীরভাবে ছয়টি দাগ কেটে নিন। হালকা হলুদ ও লবণ দিয়ে মাছগুলোকে মেখে সয়াবিন তেলে অল্প করে ভেজে নিন। এবার নারকেল দুধে সব বাটা মসলা দিয়ে মেখে নিন। আরেকটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করে কালিজিরা, মেথি আর কাঁচা মরিচ ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিন। পেঁয়াজ লাল হয়ে এলে মাছগুলো ছেড়ে কষাতে থাকুন। মাছ কষানো হলে বাকি মসলা দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন।

Save

Save

Save

Save

 

তরুণ নেতা হয়ে জাতিসংঘে

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে সারা বিশ্ব থেকে ১৭ জন ‘তরুণ নেতা’ অংশ নেওয়ার সুযোগ পান, যাঁরা নিজ নিজ দেশে জাতিসংঘ-ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে কাজ করে যাচ্ছেন। এই ১৭ জনের মধ্যে ছিলেন ময়মনসিংহের মেয়ে সওগাত নাজবিন খান। ছুটির দিনের পাঠকদের জন্য লিখেছেন তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথা

সওগাত নাজবিন খান ছবি: সুমন ইউসুফআমি তখন জামার্নিতে। আরডব্লিউটিএইচ আচেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিন এনার্জির ওপর স্বল্পমেয়াদি গবেষণা করছিলাম। সে সময়ই জাতিসংঘের ‘ইয়াং লিডার’ হওয়ার জন্য আবেদন করি। সেটা গত জুন মাসের কথা। তারপর কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে আগস্টের শেষে জাতিসংঘ মহাসচিবের যুবদূত-বিষয়ক অফিস থেকে পাওয়া ই-মেইল আমাকে আনন্দের সাগরে ভাসাল! জানানো হলো, আমি বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘের তরুণ নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি।
তখন ঘটনার শুরু। কারণ, আমি ভেবেছি, যুবদূত হিসেবে জাতিসংঘের কোনো আয়োজনে হয়তো আমাদের ডাকবে। তবে ৩১ আগস্ট যে ই-মেইল পেলাম, তা ছিল অকল্পনীয়। সেদিন জার্মানি থেকে দেশে ফিরছিলাম। আবুধাবিতে বসে দেশে ফেরার বিমানের অপেক্ষায় তখন। সেখানে বসেই ই-মেইল চেক করছিলাম। তখনই জানতে পারলাম, জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশন চলার সময় আমাকে নিউইয়র্কের পথ ধরতে হবে ১৭ সেপ্টেম্বর। কারণ, সাধারণ অধিবেশনে ১৮ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর যুবদূতদের থাকতে হবে। হাতে তখন মাত্র দিন পনেরো সময়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার ঘটনাটি অনেকটা গল্পের মতো বলা যায়। যুবদূত হওয়ার জন্য সারা বিশ্ব থেকে ১৮ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে। পুরো নির্বাচন-প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষের। যখন ভিসার জন্য আবেদন করি তখন হাতে ছিল মাত্র ১০ দিন। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ দিন ছিল ঈদের ছুটি। ভিসা পাব কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম। ১৭ সেপ্টেম্বর একবার মার্কিন দূতাবাসের ভিসা প্রদান সেন্টারে ফোন করলাম। অনেক কিছুর পর তাঁরা জানালেন, আমার পাসপোর্ট তাঁদের হাতে! অর্থাৎ আমার ভিসা হয়েছে। সেদিন দুপুর ১২টায় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে রাতের ফ্লাইটে নিউইয়র্কের বিমানে উঠি।
নিউইয়র্কের দিনরাত
অধিবেশনে অংশ নেওয়ার আগেই আয়োজকেরা আমাদের নিয়ে ফেসবুকে একটি ক্লোজড গ্রুপ খোলেন। সেখানে এসডিজি ইয়াং লিডার হিসেবে আমরা যে ১৭ জন নির্বাচিত হয়েছি, তাঁদের সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তবে তা ছিল ‘হাই-হ্যালো’ পর্যায়ে। কারণ, তখন আমরা সবাই ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে নিজেরা গোছগাছ করতেই বেশি ব্যস্ত ছিলাম। তখন ভাবতাম, নিউইয়র্কে যাওয়ার পর সবার সঙ্গে বেশ আড্ডা হবে, গল্প হবে। কিন্তু সেখানে পা রাখার পরই কঠিন হিসাবের মধ্যে সময় কাটাতে হলো। তাই নিজেদের মধ্যে খুব বেশি কথা বলার সুযোগ হয়নি।
সেখানে আমাদের দিন শুরু হতো সকাল ছয়টায়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বিভিন্ন সম্মেলনে আমাদের অংশ নিতে হতো। আমাদের কাজই ছিল অধিবেশনে যোগ দেওয়া বিশ্বনেতা, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শুভেচ্ছাদূতসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করা। এ কাজ চলত সকালের নাশতার টেবিল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত।
আমাদের সে কাজের শুরু ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে। সেদিন গ্লোবাল গুড সামিটের মাধ্যমে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের যুবদূত আহমেদ আলহানডাউ আমাদের সবার নাম ঘোষণা করেন। সারা বিশ্ব থেকে আসা বিখ্যাত সব মানুষ তখন আমাদের দেখছেন। সে সময় দারুণ উত্তেজিত ছিলাম। এবারের অধিবেশনের অন্যতম আকর্ষণ ছিলাম কিন্তু আমরা এই ১৭ তরুণ। জাতিসংঘের সম্মানজনক আমন্ত্রণের ইতিহাসে এমন ঘটনা এবারই প্রথম।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তর ভবনের একটি অংশের সামনে লেখক। ছবি: সংগৃহীতদ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর আমরা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যাই। সেখানে আমাদের জন্য সকালের নাশতার আয়োজন ছিল। বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ আরও সম্মানিত অতিথিদের সঙ্গে বসে আমরা নাশতা করি। শুধু নাশতা করেছি এমন নয়, তরুণ নেতৃত্ব ও এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমনওয়েলথ যুব পুরস্কার নিচ্ছেন লেখকএর পরের পর্বটি ছিল বেশ মজার। আমাদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় ‘ভিআইপি সোশ্যাল মিডিয়া জোনে’। সেখান থেকে ইনস্টাগ্রাম, স্নাপচ্যাট, ফেসবুক লাইভ, টুইটার ও মিরর ওয়েবে সরাসরি সম্প্রচার করে। বিশ্বখ্যাত ভ্যানিটি ফেয়ারআমাদের ছবি তুলে ইতালীয় ভাষায় তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশও করে। ছিল বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কর্মশালা। ইউএনডিপিতে এক বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের কর্মশালা ছিল। তৃতীয় দিন আমরা ইউএনএফপিএ দপ্তরে কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা হয়।

ওই তিন দিনে আমার কথা বলার সুযোগ হয়েছে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থার প্রধান এবং তারকাদের সঙ্গে। নিঃসন্দেহে এই পরিচয়ের সুযোগ পাওয়াকে জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলোর একটি বলতেই হবে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, আমরা কী ধরনের কাজ করি সেসব বিষয়ে। তবে ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে তরুণ নেতাদের ছবিযেকাজনির্বাচকদের নজর কাড়ে

ঢাকায় বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করার পাশাপাশি আমার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় প্রতিষ্ঠা করি এইচএ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে চালু হলেও সেটার কাজ শুরু হয়েছিল বলা যায় ২০১১ সালে। তখনো আমার স্নাতক শেষ হয়নি। এরপর তো ভারতে চলে গেলাম। তবে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজের পরিকল্পনা থেমে থাকেনি। দেশে ফিরেই আমাদের পারিবারিক জমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করি। বেশ বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন ছিল সে সময়। তখন পরিবারের সদস্য ও এলাকার কয়েকজন মানুষ অনুদান দিয়ে আমার কাজকে এগিয়ে নেন। এমন ২৫ জন রয়েছেন যাঁরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদে আছেন।

স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমে শুরুর দিকে বেশ সময় দিতে হয়েছে। তখন আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতাম। স্কুলে সময় দিতে হয় বলে সপ্তাহে শুধু দুদিন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। বাকি দিনগুলো কাটাতাম স্কুলেই। এভাবে কয়েক মাস পার করার পর সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মেই চলতে থাকে। এখন তো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীও উদ্যোগী। এ ছাড়া খায়রুজ্জামান নামে এক চাচা সেখানকার পুরো বিষয়গুলোই দেখভাল করেন।

এসডিজি বিষয়ে সবাইকে জানানোর কাজটি শুরু করব আমার স্কুল থেকেই। জাতিসংঘের তরুণ নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই স্কুলের কাজটা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এ ছাড়া কমনওয়েলথ যুব পুরস্কার, জার্মানির গ্রিন লিডার পুরস্কারও নির্বাচকদের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে। এদিকে গত বছর জাপানে এসডিজি নিয়েও গবেষণা করি। সেই গবেষণার কাজটিও তরুণ নেতাদের তালিকায় আমাকে জায়গা করে দিতে সহায়তা করেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অন্য তরুণ নেতাদের সঙ্গে সওগাত নাজবিন খানএখন আমাদের কাজ

ইয়াং লিডার হিসেবে আমাদের কাজ হবে নিজেদের প্রকল্পগুলো এগিয়ে নেওয়া। পাশাপাশি আমার কাজ হবে এসডিজি বাস্তবায়নে তরুণদের যুক্ত করা, উদ্বুদ্ধ করা। তবে আমাদের কাজের পরিধি শুধু আমাদের কমিউনিটি বা আমাদের দেশ নয়। জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে আমাদের বিভিন্ন দেশে এসডিজি নিয়ে বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেবে। এ ছাড়া আমরা একটি বা দুটি বিষয় নিয়ে কাজ করলেও কথা বলতে হবে এসডিজির ১৭টি বিষয়েই।

এখন আমরা এই ১৭ তরুণ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। প্রত্যেকে নিজেদের কাজের আপডেট দিই। জাতীয় পর্যায়ে তাঁরা কেমন সাড়া পেয়েছেন, সেসব নিয়েই কথা হয়।

Save

 

শেখ হাসিনাকে জন্মদিনে মোদির শুভেচ্ছা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর ৭০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

চিঠিতে মোদি জন্মদিনে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ​ও শুভ কামনা জানান। তিনি বলেন, ‘আপনার দৃঢ় নেতৃত্ব কঠিন সময়ে বাংলাদেশকে আলোর পথ দেখিয়েছে। আপনার দক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়ন থেকে নিরাপত্তা—সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসে ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন আজ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করবেন বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে দেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুর কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এরপর ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। তাঁর সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার হয়েছে।

১৯৬৮ সালে বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন পুতুল।

 

‘মাংস’, ‘মাংশ’ নাকি ‘গোশত’ : চলমান বিতর্কের অবসান

মাংস’কে ‘মাংশ’ কিংবা ‘গোশত’ কোনটা বলাই না জায়েয নয়। এক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি হলো, “আল-আসলু আল-ইবাহা” অর্থাৎ মূল হলো বৈধতা। মুয়ামালাতের ক্ষেত্রে অর্থাৎ আকীদা বা ইবাদাত নয় এমন সকল ক্ষেত্রে মূল হলো সবকিছু বৈধ।

কিছুদিন যাবত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ও বিভিন্ন বক্তার বক্তৃতায় মাংস বলা জায়েয কিনা প্রশ্নে তুমুল বিতর্ক চলছে। সেই প্রেক্ষাপটেই কিছু মন্তব্য….

০১. যারা “প্রাণীর দেহের হাড় ও চামড়ার মধ্যবর্তী শরীরের অংশবিশেষ”কে ‘মাংস’ না বলে ‘গোশত’ বলতে চান তাদের উদ্দেশ্য ভালো বলেই মনে হয়। তারা ইসলামী স্বাতন্ত্রিকতাকে বজায় রাখতে ও সম্ভব্য শাব্দিক অপসংস্কৃতির ছোবল থেকে বাঁচতে চাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য যেহেতু সৎ (ইতিবাচক ধারণা থেকে ধরে নিচ্ছি) সেহেতু তাদের সমালোচনা করা বা তাদেরকে কটাক্ষ করা আমার উদ্দেশ্য নয়।

০২. যারা ‘মাংস’ শব্দ বলা উচিত-অনুচিতের প্রশ্নটিকে জায়েয-না জায়েযের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তারা কোন গ্রহণযোগ্য দলীল, সেটি কুর’আন, হাদীস, ইজমা, ইজতিহাদ থেকে হোক কিংবা আকল অর্থাৎ যুক্তি থেকে হোক, দেননি এবং দিতে আগ্রহ বোধ করছেন না। অথচ ইসলামে কোন কিছু জায়েয-না জায়েয হতে হলে তার পক্ষে-বিপক্ষে প্রমাণ-যুক্তি লাগবে। প্রমাণহীন কোন বক্তব্য গ্রহণ করতে কোন মুসলিম বাধ্য নয়।

০৩. বাংলা ভাষায় ব্যবহারিত শব্দগুলো উৎপত্তিগতভাবে ৫ প্রকার। ১. তদ্ভব, ২. তৎসম, ৩. অর্ধ তৎসম, ৪. দেশি এবং ৫. বিদেশী। ‘মাংস’ শব্দটি উপরোল্লিখিত কোন প্রকার থেকে এসেছে তা জানা এক্ষেত্রে জরুরি। বাংলা অভিধানগুলো ঘেঁটে আমি যতটুকু জেনেছি, তা হলো ‘মাংস’ শব্দটির উৎস হচ্ছে সংস্কৃত (মন + স) থেকে।

০৪. ‘মাংস’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আসলেও এটি কোন কালেই ‘মাংশ’ বানানে ছিলো না। আমার দেখা সকল বাংলা অভিধানেই শব্দটির বানান ‘মাংস’ লেখা হয়েছে। (দেখুনঃ ঢাকার বাংলা একাডেমী (জানুয়ারী, ২০১১) প্রকাশিত ‘ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’-এর ৯৬৮ পৃ.; কলকাতার সাহিত্য সংসদ (অক্টোবর, ২০০৭) প্রকাশিত ‘সংসদ বাংলা অভিধান’-এর ৬৯৩ পৃ.; কলকাতার এম. সি. সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লি. (ত্রয়োদশ সংস্করণ, ১৩৮৯) প্রকাশিত আধুনিক বঙ্গভাষার অভিধান ‘চলন্তিকা’ -এর ৫৮২ পৃ.।) তাহলে আমরা ‘মাংস’ শব্দের বানান ‘মাংশ’ পেলাম কোথায়?

০৫. ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী ও স্বরোচিষ সরকার সম্পাদিত ও বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’, কলকাতার সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত ও শৈলেন্দ্র বিশ্বাস সংকলিত ‘সংসদ বাংলা অভিধান’ ও কলকাতার এম. সি. সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লি. প্রকাশিত ও রাজশেখর বসু সংকলিত ‘চলন্তিকা’, কোথাও ‘মাংশ’ বানানে কোন শব্দ নেই।

০৬. বাংলা একাডেমি ‘মাংস’ শব্দের অর্থ লিখেছে, ‘প্রাণীর দেহের হাড় ও চামড়ার মধ্যবর্তী শরীরের অংশবিশেষ’। (৯৬৮ পৃ.) শৈলেন্দ্র বিশ্বাস ‘মাংস’ শব্দের অর্থ লিখেছেন, ১. ‘জীবদেহের হাড় ও চামড়ার মধ্যবর্তী কোমল অংশবিশেষ’; ২. ‘মানুষের ভোজ্য মনুষ্যেতর প্রাণীর আমিষ বা পলল’। (৬৯৩ পৃ.) রাজশেখর বসু ‘মাংস’ শব্দের অর্থ লিখেছেন, ‘পশু মনুষ্যইঃর দেহের চর্ম ও অস্থির মধ্যবর্তী কোমল অংশ পিশিত’। (৫৮২ পৃ.) উপরোল্লিখিত অর্থসমূহ ছাড়া অন্য কোন অর্থ এসব অভিধানে লেখা হয় নি।

০৭. ‘মাংস’ শব্দের বানান ‘মাংশ’ লিখে যারা ‘মায়ের (গরুর) অংশ’ ব্যাসবাক্যে সন্ধিবিচ্ছেদ (!) করেন তারা বাংলা ব্যকরণের কোন নিয়মে তা করেন তা আমার বুঝে আসে না। আমার জানা মতে বাংলা ব্যকরণের কোনো নিয়মেই এই সন্ধিবিচ্ছেদ ও ব্যাসবাক্য গ্রহণযোগ্য নয়।

০৮. বাংলা ভাষার কোনো বিশেষজ্ঞ (হিন্দু কিংবা মুসলিম) ‘মাংস’কে তথাকথিত ‘মাংশ’ শব্দের অপভ্রংশ বা পরিবর্তিত রূপ বলে আখ্যায়িত করে তাকে হিন্দুদের বিশ্বাসজাত কোন শব্দ বলে উল্লেখ করেন নি, যেমনটা করেছেন কীর্তন বেদী, স্নাতক, আচার্য, উপাচার্য, বিশ্বভ্রম্মাণ্ড ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রে। তাহলে কেন মাংসকে মাংশ ভেবে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে? বিস্তারিত জানতে ও প্রমাণ পেতে বাংলাভাষার যে কোন অভিধানে এই শব্দগুলোর অর্থ ও সংশ্লিষ্ট আলোচনা দেখুন। সনাতন ধর্মের বিশ্বাসজাত কিন্তু বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত কিছু শব্দের ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট’ জানতে পড়তে পারেন সালেহুদ্দীন জহুরী’র লেখা ‘শব্দ সংস্কৃতির ছোবল’ বইটি।

০৯. অনেকেই ‘মাংস’কে ‘গোশত’ বলতে উৎসাহিত করেন। কিন্তু বাংলা ‘মাংস’ শব্দ বাদ দিয়ে ফার্সী শব্দ ‘গোশত’ (ফার্সী গাফ লিখতে পারছি না।) শব্দের প্রতি এতো আগ্রহের কারণ কী তা আমি জানি না। তবে কেউ যদি ফার্সীকে ইসলামী ভাষা আর বাংলাকে অনৈসলামিক ভাষা বলে ভাবেন এবং মনে করেন, এবং সেই ভেবে ‘গোশত’ বলতে উৎসাহিত করেন তাহলে ভুল করবেন। কারণ আল্লাহর নিকট কোন ভাষাই খারাপ বা পরিত্যাজ্য নয়। ফার্সীর প্রতি এতো আগ্রহ কেনো? বেশি আগ্রহ থাকা উচিত আরবীর প্রতি। এর অনেক কারণ আছে। সে হিসাবে মাংসকে “লাহম” বলা উচিত। আমরা কি সেটি বলবো?

১০. তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই যে, ‘মাংস’ দ্বারা হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী মা (গরু)-এর অংশ বুঝাচ্ছে, তাহলে শুধু গাভীর মাংসকে গোশত বলতে হবে। অন্যগুলোর যেমন ছাগল, খাসি, মুরগী ইত্যাদির ‘গোশত’কে কি মাংস বলতে দোষ হবে?

মোটকথা, আমার এখন পর্যন্ত স্টাডি অনুযায়ী ‘মাংস’কে ‘মাংশ’ কিংবা ‘গোশত’ কোনটা বলাই না জায়েয নয়। এক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি হলো, “আল-আসলু আল-ইবাহা” অর্থাৎ মূল হলো বৈধতা। মুয়ামালাতের ক্ষেত্রে অর্থাৎ আকীদা বা ইবাদাত নয় এমন সকল ক্ষেত্রে মূল হলো সবকিছু বৈধ। যতক্ষণ না তা হারাম বা নিষিদ্ধ হওয়ার দলীল পাওয়া যায়। তবে ‘মাংস’কে ‘মাংশ’ বললে এবং বিশ্বাস করলে সমস্যা হতো। যা কোন মুসলিম তো করেই না এমন কি কোন হিন্দুও করে না। কারণ আসলে বাংলায় ‘মাংশ’ বানানে কোন শব্দই নেই। তাহলে কেন এই আজগুবি ব্যাখ্যা? আমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র নই, তাই ভুল-ভ্রান্তি হতে পারে। গঠনমূলক সমালোচনা ও সংশোধনী কাম্য। তবে আবেগ দিয়ে নয়, দলীল ও বিবেক দিয়ে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা জরুরি। নয়তো এই সব সামান্য বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আরও বড় গুনাহে আমরা লিপ্ত হয়ে যেতে পারি। ইসলামী আকীদা ও সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক এমন শব্দ, তা বাংলা ভাষার হোক বা অন্য কোন ভাষার হোক, তা বর্জন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।

শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল
গবেষক, হায়ার ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজ এন্ড অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ, উত্তরা, ঢাকা।

 

চঞ্চলের আয়নাবাজি দেখার প্রত্যয় সাকিবের

তখন চলছিল আয়নাবাজির শুটিং। হঠাৎ একদিন শুটিং এ গিয়ে উপস্থিত সাকিব আল হাসান। কিছুক্ষণ সেটে বসে শুটিং দেখে তিনি নাকি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে সেট ছেড়ে যাবার আগে তিনি চঞ্চল চৌধুরীর কাছে আয়নাবাজি দেখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সম্প্রতি এমনটিই জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

নিজের ফেসবুক পাতায় চঞ্চল লেখেন, ‘আয়নাবাজির শুটিং এ এসেছিলেন অলরাউন্ডার। অনেকক্ষণ শুটিং দেখে সেদিনই সাকিব আল হাসান আমাকে বলেছিলেন যে চঞ্চল ভাই, অবশ্যই আয়নাবাজি দেখবো।‘

 

১১টি ধাপে আবিষ্কার করুন আপনার প্রতিভা

‘আমার কি প্রতিভা নেই? আমি কি তার মত মেধাবী নই? আমি কি সেই কাজটিই করছি যা আমার করার কথা? এটাই কি আমার জীবনের উদ্দেশ্য?’ – পৃথিবীতে হাজারো মানুষ আছেন যারা প্রতিনিয়ত এইসব প্রশ্ন করে যান নিজেকে। কারণ তারা এখনো পথ খুজে পান নি। পেলেও তারা নিশ্চিত নন এটাই সঠিক পথ কিনা! আপনি যদি হয়ে থাকেন এদের একজন তাহলে এই লেখা আপনারই জন্য।
ধাপে ধাপে আবিষ্কার করুন আপনার প্রতিভা-
ধাপ ১-
পুরোনো স্বপ্নের খোঁজে
প্রথমেই নিজেকে সময় দিন। ফিরে যান অতীতে। ছেলেবেলা থেকে শুরু করুন। কী ছিল আপনার স্বপ্ন? কী হতে চাইতেন আপনি? বড় হতে হতে আর কী কী যোগ হয়েছে আপনার জীবনে? স্কুলে কী ভেবেছিলেন, কলেজে কেমন ছিল স্বপ্ন সব লিখুন।
ধাপ ২
’To have’ এবং ’to be’ ধরনের স্বপ্নকে আলাদা করুন
সব স্বপ্ন তো লিখেই ফেলেছেন। এবার সম্য এর মধ্য থেকে আলাদা করা বা এদেরকে দুই ভাগে ভাগ করুন।
’To have’ dreams:
আপনার কাছে নেই এমন কিছু যা আপনি ভবিষ্যতে পেতে চান।
’To be’ dreams:
এমন স্বপ্ন যা আপনার জীবনে নতুন ভূমিকা যোগ করে।
’To be’ স্বপ্নগুলো নিন শুধু। আমরা সেগুলো নিয়েই পরবর্তী কাজগুলো করব।
ধাপ ৩
কোনটি আপনার মাঝে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে
এমন কোন বিষয় মনে করার চেষ্টা করুন যা অন্যের আছে বলে আপনার ঈর্ষা হয়। কোন বস্তু নয়। কোন স্বপ্ন, যা অন্য কেউ পূরণ করতে পেরেছে। সেটা লিখে রাখুন।
ধাপ ৪
কোন কাজে আপনি আনন্দ পান?
এমন কোন কাজ বা সখের কথা লিখুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। ছোটবেলায় কী করতে আপনার সবচেয়ে ভাল লাগত, এরপর কিশোর বয়সে কোন কাজটি বেশী করতেন আপনি আর এখন কী করে আনন্দ পান সব লিখে রাখুন।
ধাপ ৫
অপ্রয়োজনীয় স্বপ্ন বাদ দিন
এতক্ষণ লিখে রাখা স্বপ্নগুলোতে আবার চোখ বুলিয়ে দেখুন। খেয়াল করুন কোন স্বপ্নগুলো এখনও আপনাকে নাড়া দেয়। কোনগুলো আপনার মাঝে তৈরি করে কষ্ট, না পাওয়ার বেদনা। সেগুলো আলাদা করে ফেলুন।
ধাপ ৬
মূল্যায়ণ করুন
যে স্বপ্নগুলো বেছে নিলেন তার মাঝে কোনটা বেশী আপনার বর্তমান ইচ্ছার সাথে মিলে যায় সেই হিসেব মত নম্বর দিন। একটি সিরিয়াল তৈরি করুন। অবশ্যই আপনার মনের আকাঙ্ক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিন। বের করুন কোন স্বপ্নটিকে আপনি ১ নম্বরে রাখতে চান!
ধাপ ৭
গ্রুপে নিয়ে আসুন
এবার আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনার আসল স্বপ্ন এবং লক্ষ্য। খেয়াল করলেই দেখবেন আ[পনার অসংখ্য স্বপ্নের মাঝে কিছু আছে যা আসলে একই রকম বা একসাথেই অর্জন করা সম্ভব। এদেরকে একত্রিত করে ফেলুন।
ধাপ ৮
গ্রুপগুলোর একটা নাম দিন।
ধাপ ৯
গ্রুপগুলোর মাঝে কোন সংযোগ আছে কি?
আরও গভীর মনোযোগ দিন। কোন কিছু কি আছে যা আপনার এই ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের স্বপ্নদেরও সংযুক্ত করতে পারে?
ধাপ ১০
কোথায় সবচেয়ে বেশী প্রকাশ পায় মেধা
কোন স্বপ্নের সাথে সবচেয়ে বেশী জড়িয়ে আছে আপনার প্রতিভা? অভিনয়? কথা বলা? গল্প জমানো? গান করা? কাগজের নৌকা তৈরি? আপনার চোখে তা সাধারণ, কিন্তু আপনি সেটাই পারেন ভাল। খেয়াল করুন এত গুলো ধাপ পেরিয়েও সেই দক্ষতা আপনার স্বপ্নের সাথে যুক্ত রয়ে গেছে কিনা।
ধাপ ১১
জীবনের লক্ষ্য
এতক্ষণে নিশ্চয়ই স্বপ্ন আর প্রতিভার সংযোগ পেয়ে গেছেন আপনি। এবার এমন পথ খুঁজে বের করুন যেই পথে হয় স্বপ্ন পূরণ আর একই সাথে আপনার মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
আপনার পৃথিবী আপনিই গড়বেন। শুধু খুঁজে নিন নিজেকে।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

সবজি দিয়েই তৈরি করুন জনপ্রিয় টাকো

খাবারের উপাদান হিসেবে বেশ করে সবজি ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু তা করি আমরা কতোজন? বরং এখনকার ফাস্টফুডগুলোতে সবজির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া ভার। যদি সবজি দিয়েই তৈরি করে ফেলা যায় একটি ফাস্টফুড, তবে কেমন হয় বলুন তো? চলুন আজ দেখে নিই দারুণ জনপ্রিয় টাকোস তৈরির প্রণালী, শুধুই সবজি দিয়ে!
উপকরণ
– ২টি মাঝারি আকারের গাজর, গ্রেট করা
– অর্ধেকটা মাঝারি সবুজ জুকিনি, গ্রেট করা
– অর্ধেকটা হলুদ স্কোয়াশ, গ্রেট করা
– লবণ স্বাদমতো
– আধা কাপ ওটস
– আধা কাপ মোজারেলা চিজ, গ্রেট করা
– ১টা ডিম
– ১৬-২৪টা আরুগুলা পাতা/ কচি পালং শাকের পাতা
– ১টা শসা, খোসা ছাড়িয়ে চিকন টুকরো করা
– ১টা মাঝারি বীট, খোসা ছাড়িয়ে চিকন টুকরো করা
– ১টা পিঁয়াজ, স্লাইস করা
– ওপরে দেওয়ার জন্য সাওয়ার ক্রিম এবং পিকল্ড জালাপেনো
প্রণালী
১) ওভেন প্রিহিট হতে দিন ১৮০ ডিগ্রিতে। একটি বেকিং ট্রেতে সিলিকন ম্যাট বসিয়ে রাখুন।
২) গ্রেট করা গাজর নিন একটি বাটিতে। এতে জুকিনি, স্কোয়াশ, লবণ, ওটস, পনির এবং ডিম দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন।
৩) একটি বড় গোল কুকি কাটার রাখুন ট্রেতে। এর ভেতরে কিছুটা গাজরের মিশ্রণ দিয়ে দিন। চেপে চেপে সমান করে নিন এবং কাটার সরিয়ে নিন। এভাবে গাজরের মিশ্রণ দিয়ে কয়েকটি গোলক তৈরি করুন।
৪) প্রিহিট করা ওভেনে ট্রে দিয়ে বেক করুন ৫-১০ মিনিট। মুচমুচে হয়ে এলে বের করে নিন এবং রুটি বেলার বেলন দিয়ে টাকোর আকৃতি দিন। ঠাণ্ডা হবার জন্য রেখে দিন।
৫) প্রতিটি টাকোর ভেতরে কয়েকটি আরুগুলা পাতা বা পালং পাতা দিন। ওপরে দিন শসা, বীট, পিঁয়াজ, সাওয়ার ক্রিম এবং পিকল্ড জালাপেনো।

 

পুরনো পোশাক করে তুলুন নতুন

অনেকে আছেন, যারা সারা বছর জুড়ে একই রকম পোশাকে কাটিয়ে দেন। এর কারণ সবসময় নতুন পোশাক কেনা যায় না। তবে পোশাক না কিনেও পোশাকে নতুনত্ব আনার উপায় অবশ্য রয়েছে। এতে খরচও যেমন খুবই কম, আবার ফ্যাশনেও ইন হয় সহজেই। কিন্তু সেটি কিভাবে সম্ভব! উপায় হচ্ছে, পুরনোকে করে তুলুন নতুন।

নিজের পুরনো পোশাকের সঙ্গে খেলতে হবে একটু কাটাকাটি। আর এটি খেলার পর দেখবেন আপনার পুরনো একটি জিন্স প্যান্ট কি করে নতুন হয়ে উঠল। কিন্তু হাঁটুর কাছে ছেঁড়া জিন্স যদি আপনার লুকের সঙ্গে না মানায়, তাহলে জিন্সের পায়ের নিচের দিক থেকে কেটে ফেলুন এক ইঞ্চি। ‘র অ্যাজেস’ জিন্সটি পরুন অ্যাঙ্কেল লেন্থ বুটের সঙ্গে।

জুতোর ক্ষেত্রে কি করবেন? অনেকে ভাবেন, জুতা পুরনো হলে বাতিলের খাতায় নাম না লেখানো ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। উপায় আছে। পাল্টে ফেলুন আপনার স্যান্ডেলের ফিতা। সামনেই আসছে শীতকাল। স্নিকারস পরার উপযুক্ত সময়। এবার আর নতুন স্নিকারস কেনার জন্য ছুটবেন না দোকানে। গত বছরেরটিই ঘষেমেজে চকচকে করে ফেলুন। পাল্টে ফেলুন স্নিকারসের ফিতা। এতে আপনার স্নিকার পাবে ভিন্ন লুক। সাদা স্নিকারসের ক্ষেত্রে রঙিন শু লেস ট্রাই করুন।

আপনার প্রিয় জ্যাকেটটি একটু ফিকে হয়ে এসেছে কি? খুলে ফেলুন পুরনো বোতাম। আজকাল জ্যাকেট বোতাম ছাড়াই স্টাইলিশ। কিংবা  বদলে ফেলুন এর বোতামগুলো। বাজারে নানা রঙের স্টাইলিশ বোতাম কিনতে পাওয়া যায়। অন্যরকম বোতাম লাগিয়ে পাল্টে ফেলুন পুরনো জ্যাকেট অথবা শার্ট। এছাড়াও এতে ট্রেন্ডি ব্যাজ লাগিয়ে নিলেই বদলে যাবে আপনার ব্যাক্তিত্বও। তাই নতুন পোশাক কিনতে যাওয়ার আগে ভাবুন, পুরনোকেই নতুন করে তোলা যায় কিনা!

 

একা একা ঘুরি

কৈশোরে তিন গোয়েন্দা পড়ার সময় হয়তো মন ছুটে গিয়েছিল পাহাড়ে, সাগরের নীলে আর বনে। বাস্তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বনভোজনে যাওয়ার অনুমতিও মেলে না অনেক মেয়ের। একই পরিবারের ছেলেটি যে রাতে মাঝনদীতে নৌকায় বসে জ্যোৎস্না দেখে মুগ্ধ হয়—মেয়েটি হয়তো সেই সময় ঘরের জানালা দিয়ে ইট-সিমেন্টের জঙ্গলের ফাঁক দিয়ে জ্যোৎস্না দেখার চেষ্টা করছে।
আজকাল অনেক নারী পরিবর্তন আনছেন। নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাঁরা ব্যাকপ্যাক নিয়ে একাই বেরিয়ে পড়ছেন ভ্রমণে।
নাজিয়া সরণি পেশায় প্রকৌশলী। শুরুটা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষ থেকে। এরপরে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশের অনেক স্থানে। ছোটবেলায় মানচিত্রে খুঁজে বেড়াতেন নতুন নতুন জায়গার নাম। তবে তাঁর ভ্রমণের নেশা কাগজের মানচিত্রে সীমাবদ্ধ থাকেনি। নাজিয়া পেরেছেন। তবে এখনো আর্থিক সংগতি এবং ভ্রমণের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক নারী পারছেন না। কেন?
নাজিয়ার মতে, এ দেশে বেশির ভাগ বাবা-মা বন্ধুদের সঙ্গেই ঘুরতে যেতে অনুমতি দেন না, সেখানে একলা বেড়ানো তো দূরের কথা। আবার অনেক সময়ই অভিভাবকদের বলতে শোনা যায়, ‘বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যেও, তার আগে না।’ এমন প্রতিকূল পরিবেশে নারীরাও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোথাও বেরিয়ে পড়তে পারেন না।

‘শুরু করাটাই জরুরি। এখন সময় এসেছে অভিভাবকদের বুঝতে হবে তাঁরা মেয়ের নিরাপত্তার খাতিরে যেন তার সহজাত আত্মবিশ্বাস ভেঙে পড়ে এমন কিছু না করেন। আবার মেয়েদেরও নিজেকে রক্ষা করার কৌশল জানতে হবে।’
নারীদের নিরাপত্তা নেই কোথাও—এই নিরাপত্তার অজুহাত নারীদের একলা ভ্রমণের ইচ্ছায় বাদ সাধে। আসলেই কি নিরাপত্তা প্রধান সমস্যা, নাকি আজ অবধি সমাজে নারীদের নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে মেনে নেওয়া হয় না?
একটি টেলিভিশন চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিক কাজী শাহরীন হক। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন দেশ-বিদেশ ভ্রমণে। কখনো বন্ধুদের সঙ্গে, কখনো একাই। ‘যাত্রা শুরুর পথটা এতটা মসৃণ ছিল না। নারীদের কোনো কিছু আসলে হাতে তুলে দেওয়া হয়নি; বরং অর্জন করে নিতে হয়েছে। আমার এই হুট করে ঘুরতে চলে যাওয়া নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক কথা বলেছে। নারীদের স্বাধীন চলাফেরায় বাধা আসবেই। সে বাধার সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।’ ভ্রমণের সময় নিরাপত্তার ব্যাপারটি ছেলে বা মেয়ে উভয়ের জন্যই জরুরি। অথচ এই নিরাপত্তার বিষয়টি কেবল নারীদের বেলায় একটা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দাঁড় করানো হয়। বাড়ির ছেলেটিকে তো নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে না।
আসিতা সুলতানা চৌধুরী ঘুরেছেন ইতালি, সুইডেন, নেপাল, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর ১৩টি দেশে। প্যারাগ্লাইডিং, হাইকিং, ট্রেকিং—সব রোমাঞ্চের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে যেকোনো ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
হোটেল বুকিং দেওয়ার আগে শুধু ইন্টারনেটের ওপর ভরসা না করে ফোন করে যাচাই করা, পরিচিত কারও মাধ্যমে গাইড ঠিক করা, দেশে কাউকে সব তথ্য দিয়ে যাওয়া, ভ্রমণের সময় ব্যাগে অবশ্যই পরিচিত কারও নাম, ফোন নম্বর আর ঠিকানা রাখা, ঘুরতে যাওয়ার আগে সেই স্থান নিয়ে ইন্টারনেটে ভালোমতো পড়াশোনা করা—এ বিষয়গুলো ঠিকমতো খেয়াল রাখলে বিপত্তির আশঙ্কা অনেক কমে যায়। এমন পরামর্শ দেন আসিতা।
ভ্রমণ শুধু বিলাসিতা নয়। প্রকৃতিসঙ্গ একজন মানুষের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। নাজিয়া সরণির জীবনে যেমন হয়েছিল। তিন বছর আগে ভারতের গোয়াহাটি গিয়ে পরিচয় হয় একজন অস্ট্রিয়ার একলা মায়ের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা ট্রেকিং করে দেখতে গিয়েছিলেন পৃথিবীর একমাত্র ‘লিভিং রুট ব্রিজ’। তখন অনেক খারাপ সময় পার করেছিলেন জীবনে, হঠাৎই এভাবে নিজেকে আবার খুঁজে পান নাজিয়া।
ঘুরতে পছন্দ করেন ক্রীড়াবিদ জোবেরা রহমান লিনু। তাঁর মতে, একা একা ঘোরে এমন নারীর সংখ্যা কম। সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেক পরিবার থেকে অনুমতি মেলে না। কিন্তু সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে অনেক নারী যখন একা ঘুরতে যাবে, তখন নিশ্চয় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার হবে। কোন বয়সে মেয়েটি ঘুরতে যাচ্ছে সেটা একটা বিষয়। বয়ঃসন্ধিকালের কোনো সন্তানকে অনুমতি হয়তো দেবে না, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটি তো যেতে পারে। আরেকটি বিষয় হলো, মেয়েটির একা ঘোরার ও নিজের নিরাপত্তা বিষয়ে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। এমনকি পরিবারের আস্থাও থাকতে হবে তার ওপর।
অনেক নারী হয়তো নিয়ম ভাঙবেন। ভ্রমণ অনেক নারীর জীবনের বেঁচে থাকার রসদ জোগাতে পারে। ভ্রমণের নেশা কেবল বই, টেলিভিশন আর ইন্টারনেটে মেটাবেন না। বেরিয়ে পড়বেন ব্যাকপ্যাক নিয়ে বিশ্বভ্রমণের পথে।

 

বাড়িভাড়াতেও মেয়েদের ঝক্কি

‘বিয়া কইরা ফালান। ঢাকায় একলা মাইয়া মানুষ নিরাপদ না।’ ঢাকার মধ্য বাড্ডায় বাড়িভাড়া খুঁজতে গিয়ে সেই বাড়ির দারোয়ানের বিয়ে করার উপদেশ শুনে গেট থেকেই ফিরে আসতে হয়েছিল দীপিকা সাহাকে। ঢাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকার প্রয়োজন এবং আর্থিক সংগতি থাকা সত্ত্বেও এ রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে অসংখ্য মেয়ের।সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বিভিন্ন জঙ্গি হামলার ঘটনার পরে বাড়িওয়ালারা নড়েচড়ে বসেছেন। অনেক ব্যাচেলরের অভিযোগ, তাঁদের বাড়িভাড়া পেতে ব্যাপক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে লেখালেখিও হচ্ছে বিস্তর। মেয়েরাও যে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।অতিরিক্ত ভাড়া দাবি, কয়েক মাসের অগ্রিম ভাড়া দাবি, অশ্লীল মন্তব্য, অযাচিত উপদেশ বাড়ি ভাড়া নিতে গেলে এ রকম নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় সিঙ্গেল মেয়েদের।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী অদিতি ঢাকার ফার্মগেটে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ‘একবার ইন্দিরা রোডের এক বাড়িওয়ালা বলেছিলেন যে মেয়েদের বাড়িভাড়া দিলে ছেলেঘটিত নানা সমস্যা হয়। এ কারণে তিনি মেয়েদের ভাড়া দেন না,’ বলেন অদিতি। একটি টেলিকম কোম্পানিতে খণ্ডকালীন চাকরিরত মাহফুজা কনার কাছ থেকে জানা গেল তাঁর অভিজ্ঞতা। ‘বাড্ডা লিংক রোডের এক বাসায় আমরা কয়েকজন মেয়ে একসঙ্গে থাকতাম। মাসে সাত-আট দিনই পানি পেতাম না। অভিযোগ করলে বলতেন যে আমরা মেয়েরা পানি খরচ করি বেশি। বাড়ির মালিকের নির্দেশ ছিল সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় জুতো খুলে নিঃশব্দে উঠতে হবে।’

একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত   আয়েশা সিদ্দিকা জানান, এক পরিবারের সঙ্গে সাবলেট থাকার এক মাসের মধ্যেই তাঁকে নতুন বাড়ি খুঁজতে হয়েছিল। বাড়িওয়ালা তাঁর দিকে বাজে ইঙ্গিত দিতেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক-সুবিধা না থাকায় অনেক মেয়েদের ক্যাম্পাসের আশপাশে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে হয়। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী দিলারা জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমাদের অন্য ফ্ল্যাটের চেয়ে বেশি ভাড়া দিতে হতো। কারণ, জিজ্ঞাসা করায় বাড়িওয়ালা বলেছিলেন, মেয়েদের বাসা ভাড়া দিয়েছেন এই তো বেশি। ভাড়াও তাই বেশি।’

ধানমন্ডির বাসিন্দা শিশিরের মতে, ‘ আমার বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। তবুও আমি আমার কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবিধার   কারণে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হকের মতে, আমাদের সমাজে কোনো মেয়ে একা থাকে মানেই ধরে নেওয়া হয়, সেখানে নানা ধরনের বিপদের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে, সমাজে নিজের যোগ্যতাবলে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ঠিকই, তবে এখনো বিয়েকেই মেয়েদের সামাজিক পরিচয় (সোশ্যাল আইডেনটিটি) হিসেবে ধরা হয়। এ কারণেই বাসা ভাড়া নিতে গেলে তার নিজের পরিচয় ছাপিয়ে সে কেন অবিবাহিত, তা মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।  মেয়েদের এগিয়ে নিতে হলে এই শহরে মেয়েরা যেন নিরাপদ থাকে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে যত দিন যাবে, মেয়েদের সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠবে।

 অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, মেয়েদের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, এ কারণে শহরে মেয়েদের বাড়ি ভাড়ার চাহিদা তৈরি হচ্ছে। তবে পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা অনেক ক্ষেত্রেই বদলায়নি। একটা মেয়ের যত যোগ্যতাই থাকুক, অনেকেই ভাবেন, শুধু পুরুষ হওয়ার কারণে একটা মেয়েকে জীবনযাপন নিয়ে উপদেশ দেওয়ার অধিকার তাঁর আছে।

 

ময়মনসিংহের মেয়েরা তৈরি হচ্ছে ক্রিকেটের জন্য

সপ্তম শ্রেণির চুমকি আক্তার ও অষ্টম শ্রেণির আফরিন আক্তার মুক্তাগাছা থেকে ময়মনসিংহ শহরে আসে শুধু ক্রিকেট অনুশীলন করার জন্য। বাসে করে সকাল সাতটায় এসে অনুশীলন শেষে আবার বাসে করে বাড়ি ফেরে তারা। আসা-যাওয়া করতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। মুক্তাগাছা ফিরে তারপর তারা স্কুলে যায়। ছয় মাস ধরে তাদের এ রুটিন। পরিবারের সদস্যরা তাদের খেলার বিষয়টি মেনে নিলেও পাড়াপড়শিদের অনেকেই হাসাহাসি করে। তবে চুমকি ও আফরিন সেসব গায়ে মাখে না।

শুধু মুক্তাগাছা নয়, ত্রিশাল এবং অন্যান্য জায়গা থেকেও সকালে মেয়েরা শহরের জয়নুল আবেদিন পার্ক বা সার্কিট হাউস মাঠে জড়ো হয় ক্রিকেট চর্চার জন্য। কোনো কোনো দলে শুধু মেয়েরা, আবার কোনো কোনো দলে ছেলেমেয়ে একসঙ্গেই প্র্যাকটিস করে। শহরের সকালের এই দৃশ্য সবার কাছে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তবে এখন পর্যন্ত মেয়ে ক্রিকেটারের সংখ্যা তেমন একটা বাড়েনি।

ময়মনসিংহে বিভিন্ন দলের কোচদের বক্তব্য হচ্ছে, মেয়েদের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেক। পরিবারও আগের চেয়ে এ বিষয়ে উৎসাহী। এখন প্রশাসন থেকে কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। মেয়েদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার।

গত মাসে চুমকি ও আফরিনের সঙ্গে কথা হয় সার্কিট হাউসের মাঠে। প্র্যাকটিস শেষ করে বাড়ির পথে পা বাড়ানোর আগে কথা বলে তারা। অনুপ্রেরণা স্পোর্টস একাডেমির কোচ এস এম মুখলেছুর রহমান চুমকি-আফরিনসহ ২০ জন মেয়েকে নিয়ে একটি নারী ক্রিকেট দল তৈরি করেছেন।

কোচ জানালেন, তাঁর দলের নিগার সুলতানা বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার। শেরপুরের ১৬ জন মেয়ে ঢাকায় খেলছে। বড় বড় দল থেকে মেয়েরা ডাক পাচ্ছে। তবে এই মেয়েদের তৈরি করার জন্য প্র্যাকটিসের কোনো জায়গা পাওয়া যায় না। ড্রেসিং রুম এমনকি কোনো ওয়াশরুমও নেই।

ময়মনসিংহের জয়নুল আবেদিন পার্কে গিয়ে দেখা গেল, মোহামেডান একাডেমির কোচ গোলাম কিবরিয়ার কাছে ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। এই একাডেমির খেলোয়াড় জুনায়েদ জাহানের মতে, প্র্যাকটিস করার সময় কে ছেলে আর কে মেয়ে তা মাথায় থাকে না। তবে নতুন কেউ খেলতে এসে প্রথম দিকে খানিকটা বিব্রতবোধ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী খেলোয়াড়ের মতে, ছেলেমেয়ে একসঙ্গে প্র্যাকটিস করলে তুলনামূলকভাবে নারীরা একটু পিছিয়েই থাকে। অনেক সময় মেয়ে ও তার পরিবারও একসঙ্গে প্র্যাকটিস করার বিষয়টি মেনে নিতে পারে না। কোচ গোলাম কিবরিয়া বললেন, ময়মনসিংহে মেয়েদের মধ্যে সম্ভাবনা অনেক। তবে তারা সেভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। মেয়েদের জন্য নেই আলাদা কোনো বাজেট। এই একাডেমিতে ছেলে ৬০ জন আর মেয়ে মাত্র ৫ জন।

মোহামেডান একাডেমিতে কামরুন নাহার খেলছেন গত চার বছর ধরে। বর্তমানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেন। তিনি বলেন, প্র্যাকটিস করার সময় আশপাশ দিয়ে যাঁরা হেঁটে যান, অনেকেই অনেক সময় মন্তব্য করেন। একজন একদিন বললেন, ‘শুধু শুধু খেলতাছে, অ কি আর বড় প্লিয়ার হইব নাকি?’

শামসুন নাহার খান ছোটবেলা থেকে খেলছেন বিষয়টি তেমন নয়। স্নাতক শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি মাঠের মধ্যে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে প্র্যাকটিস করতে দেখেন। তা  দেখেই চিন্তা করেন অন্য মেয়েরা পারলে তিনি কেন খেলতে পারবেন না।

অভিভাবক মেহেরুল হক, সুপ্রীতি দাস, রোজী আক্তার পার্কে বসে ছেলেমেয়েদের প্র্যাকটিস দেখছিলেন। মেহেরুল হক বললেন, ছেলেমেয়েদের জন্য সকালে আসতে হচ্ছে। এখানে এসে অভিভাবকেরা হাঁটাহাঁটি করেন। তারপর একসঙ্গে বাসায় ফেরেন। মোহামেডান একাডেমিতে শৃঙ্খলাবোধ ভালো। তাই ছেলেমেয়ে একসঙ্গে প্র্যাকটিস করছে, তা আলাদা কিছু মনে হয় না।

ক্রিকেটসহ যেকোনো খেলার ক্ষেত্রেই পুষ্টিকর খাবার দরকার হয়। খেলার উপকরণ কিনতে হয়। এগুলো অনেক ব্যয়বহুল। অনেক পরিবারের ইচ্ছা থাকলেও ছেলে বিশেষ করে মেয়েদের কিনে দিতে চান না বাড়তি খরচ মনে করে। তাই নারী খেলোয়াড়দের বড় ক্ষোভ জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ চাইলেই মেয়েরা সংস্থার মাঠে প্র্যাকটিস করতে পারে। পেতে পারে অন্য সুযোগ-সুবিধা।

অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেল লোহার মরচে ধরা সংস্থার গেট খুলে ভেতরে ঢুকে। কমপ্লেক্সের মাঠে বড় বড় গাছ গজিয়েছে। মাঠে গরু-ছাগল ঘাস খাচ্ছে। কমপ্লেক্সে কাজ করছেন এবং সরকারের অন্যান্য বিভাগের কর্মচারীরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ভেতরে বাড়িঘর তৈরি করে থাকছেন।

জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার প্রথম আলোকে বলেন, সংস্থার জন্য সরকারের বার্ষিক অনুদানের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাত্র। এ অনুদানের মধ্য থেকে বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতনসহ সবকিছুই দিতে হয়। মেয়েদের হ্যান্ডবলসহ কিছু খেলায় সংস্থার পক্ষ থেকে সাহায্য-সহায়তা করা সম্ভব হলেও মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য কোনো বাজেট বা সুযোগ-সুবিধা নেই। সংস্থার মাঠে ক্রিকেটের জন্য একটি পিচ তৈরি করে দিতে পারলে মেয়েদের আর বাইরে ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করতে হয় না। কিন্তু সে সামর্থ্য নেই।

‘মেয়েদের ঘর থেকে বের করাই এখন পর্যন্ত বড় সমস্যা। সে জায়গায় তারা ক্রিকেটের মতো খেলা খেলছে। তাদের একটু সহযোগিতা করতে পারলে তারা অনেক ভালো করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’ এমনই আশা শামসুন্নাহারের।

 

কৃষি–উপকরণের ব্যবসায় নারীরা

১০ বছর আগে স্বামীর কৃষি–উপকরণের ব্যবসা যখন লোকসানের মুখোমুখি, তখনই যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মিনা পারভীন হাল ধরেন সেটির। উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসাটিকে আবার দাঁড় করানো। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সামাজিক সব বাধা ডিঙিয়ে একটু একটু করে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন। উপার্জন বাড়িয়েছেন সংসারের। ক্রমাগত বেড়েছে তাঁর ব্যবসায়িক দক্ষতাও।
আরেক উদ্যোক্তা স্বপ্না ছয় বছর ধরে কৃষি–উপকরণের ব্যবসায় জড়িত। খুলনার বটিয়াঘাটায় স্বপ্নার কৃষি–উপকরণের দোকানটি ছিল মূলত তাঁর স্বামীর। স্বামীর ব্যস্ততার কারণে দোকানটির দেখাশোনা স্বপ্নাকেই করতে হতো। বছরখানেক হলো স্বপ্না নিজের উদ্যোগে একই বাজারে কৃষি–উপকরণের আরেকটি দোকান খোলেন।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে দরজির দোকান ছিল মোসাম্মৎ খাদিজার। সেই দোকানের আয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতেন তিনি। বেশ পরিশ্রম করলেও দোকান থেকে তাঁর আয় বেশি ছিল না। তাই বছরখানেক আগে দরজি দোকানের পুঁজিটুকু সম্বল করেই একটি দোকান ভাড়া নিয়ে শুরু করেন কৃষি–উপকরণের ব্যবসা। এখন সেই ব্যবসা থেকে তাঁর মোটামুটি ভালোই আয় হয়, এলাকায়ও বেড়েছে মানমর্যাদা।
মিনা, স্বপ্না, খাদিজা—তিনজনই তাঁদের নিজ নিজ এলাকার বাজারে দোকান দিয়ে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি করেন কৃষি–উপকরণ। যেমন বীজ, সার ও বালাইনাশক। শুধু বেচাকেনার মধ্যেই কিন্তু তাঁদের কাজ শেষ হয়ে যায় না। প্রতিষ্ঠিত বীজ, সার, বালাইনাশক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, কৃষি–উপকরণের সঠিক ব্যবহার ও সচেতনতামূলক পরামর্শও নিয়মিত দিচ্ছেন কৃষকদের। দায়িত্ব এখানেই শেষ নয়; বীজ কিনে রোপণে সমস্যা, সঠিক মাত্রা জানা নেই, বালাইনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে জানা দরকার—সব পরামর্শই দিয়ে থাকেন তাঁরা।
মিনা পারভীনের এলাকায় আগে সাধারণত কেউ বালাইনাশক ব্যবহারের সময় ফুলহাতা শার্ট, প্যান্ট, গ্লাভস, মাস্ক ব্যবহার করতেন না। তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করেছেন। মিনা মনে করেন, কৃষকেরা মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহার করলে ফলন বাড়বে, উৎপাদনও হবে আশানুরূপ।
স্বপ্না শুধু কৃষি–উপকরণ বিক্রি বা প্রয়োজনীয় পরামর্শই দেন না, ক্রেতাদের পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও ধারণা দিয়ে থাকেন। তিনি এখন তাঁর এলাকায় অনেক কাজেই নেতৃত্ব দেন। তাঁর দোকান দেখে এখন এলাকায় আরও অনেকে এই ব্যবসায় জড়িত হওয়ার সাহস করছেন। মিনার দোকানে ক্রেতার সংখ্যা দুই শ থেকে বেড়ে এখন পাঁচ শতে দাঁড়িয়েছে। তাঁর ক্রেতাদের একজন স্মৃতি রাণী বলেন, ‘স্বপ্নার এমন সাজানো দোকান দেখে আমরা উৎসাহ পাই। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা এখানে ভালো জিনিস পাই।’ ব্যবসা ভালো হওয়ায়, স্বপ্না ও তাঁর স্বামী এখন প্রতি মাসে ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমান। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়মিত স্কুল যাচ্ছে।
মিনা, স্বপ্না, খাদিজা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২০টি জেলার খুচরা কৃষি–উপকরণ বিক্রেতাদের সংগঠন এআইআরএনের সদস্য। সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের© ফিড দ্য ফিউচার ইনিশিয়েটিভের আওতায় ইউএসএআইডির অর্থায়নে এগ্রো-ইন পুটস প্রজেক্টের (এআইপি) সহযোগিতায় গঠিত। এআইআরএন তিন শ নারী কৃষি–উপকরণ বিক্রেতাসহ সব মিলিয়ে তিন হাজার খুচরা কৃষি–উপকরণ ব্যবসায়ীর একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমানে মিনা, স্বপ্না, খাদিজার মতো আরও ১৪৭ জন নারী কৃষি–উপকরণ বিক্রেতা প্রকল্পটির আওতায় এই পেশায় এসেছেন। নারীদের জন্য সমাজের গৎবাঁধা কাজে না গিয়ে তাঁরা বেছে নিয়েছেন একটি প্রতিযোগিতামূলক পেশা।

 

ফ্যাশন উইকে গ্রহণযোগ্যতা পেল হিজাব-স্টাইল

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সময়ে হিজাব নিয়ে অনেক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছে। তবে বর্তমানে মুসলিম নারীদের কাছে জনপ্রিয় এই পোশাকটি এখন পশ্চিমা বিশ্বেও গ্রহণযোগ্যতা পেতে শুরু করেছে। এমনকি তাদের ডিজাইনাররাও এখন হিজাব স্টাইল নিয়ে কাজ করছেন।

চলতি বছর কঠোর সমালোচনার পর ফ্রান্সে বোরকা নিষিদ্ধ হল। কিন্তু হিজাব ফ্যাশন ঠিকই নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকের রানওয়েতে জায়গা করে নিয়েছে। এই হিজাব স্টাইলকে উপস্থাপনের জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ইন্দোনেশিয়ান ডিজাইনার আনিসা হাসিবুয়ানকে।

২৮ বছর বয়সী এই ডিজাইনার একই সাথে নতুন হিজাব ডিজাইন উপস্থাপন করেন লন্ডন ফ্যাশন উইক ২০১৫ তে। এছাড়া তিনি নিউ ইয়র্ক কুটুয়ার উইকে দুইবার অংশগ্রহণ করেন এবং একবার তিনি বেস্ট ডিজাইনার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।

তিনি শুধু হিজাব ফ্যাশনের দ্বারই উন্মুক্ত করেননি, একই সাথে তিনি তার বাহারি রঙের এবং অসাধারণ ডিজাইনের জন্য দর্শকদের কাছ থেকেও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তিনি তার এই কালেকশনের নাম দিয়েছেন ‘ডি’জাকার্তা’।

 

বোরকা পরতে পারবেন ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের নারী সদস্যারা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বুরকিনি নিয়ে যখন ব্যাপক সমালোচনা, নিষেধাজ্ঞা তখন বহুত্ববাদকে উজ্জীবিত করতে  দায়িত্বে থাকাকালীন নারী সদস্যদের বোরকা পরার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ।
এর প্রধান কনস্টেবল ডেভিড থম্পসন বলেছেন, তার বাহিনীতে নিয়োজিত নারীদের আপাদমস্তক ঢাকা বোরকা, নেকাব পরা নিষিদ্ধ করবে না।
বর্তমানে এ বাহিনীতে একজন নারী কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি হিজাব পরেন। মাথায় আছে হেডস্কার্ফ। তাতে তার চুল ও কাঁধ ঢাকা থাকে। এ নিয়ে বাহিনীতে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ বলেছে, এখনও তাদের কোন কর্মকর্তা বোরকা পরার জন্য আবেদন জানান নি।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সম্প্রতি পুলিশে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাহিনীর বহুত্ববাদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডেভিড থম্পসন তাতে মত দিয়েছেন। বলেছেন, নারী সদস্যদের বোরকা পরা অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন, আমাদেরকে আমাদের নিজস্ব নিয়ম ও সংস্কৃতির দিকে নজর দিতে হবে। তাতে ওই ধরনের পোশাকের (বোরকা) বিষেয়ে কোন বাধা নেই।

 

পুরুষের হাতে মেহেদি লাগনো জায়েজ নাকি ?

পুরুষের জন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধি কল্পে হাতে বা পায়ে মেন্দি লাগানো জায়েয নেই বরং মাকরূহ। তবে যাদি কোন ঔষধ হিসাবে যেমন হাতে বা পায়ের কোন ঘায়ের জন্য ব্যবহার করে তাহলে এটা ঔষধ হিসাবে ব্যবহারের কারণে মকরূহ হবে না। অনুরূপভাবে পুরুষের সাদা চুল বা দাড়িতে মেন্দি লাগানো জায়েয আছে।

আমাদের সমাজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পুরুষরা হাতে মেন্দি লাগায়। বিশেষত বিয়ের সময় ছেলে মেয়ে উভয়ই মেন্দি লাগায়। আবার অনেক বৃদ্ধ লোক দাড়ি বা চুলে ইচ্ছাকৃতভাবে মেন্দি লাগায়। আমার জানার বিষয় হচ্ছে ছেলেদের এইভাবে মেন্দি লাগানো জায়েজ আছে কিনা?

পুরুষের জন্য সৌন্দর্য বৃদ্ধি কল্পে হাতে বা পায়ে মেন্দি লাগানো জায়েয নেই বরং মাকরূহ। তবে যাদি কোন ঔষধ হিসাবে যেমন হাতে বা পায়ের কোন ঘায়ের জন্য ব্যবহার করে তাহলে এটা ঔষধ হিসাবে ব্যবহারের কারণে মকরূহ হবে না। অনুরূপভাবে পুরুষের সাদা চুল বা দাড়িতে মেন্দি লাগানো জায়েয আছে। আর মহিলরা সর্ব অবস্থায় যে কোন কারণে যে কোন জাগায় মেন্দি ব্যবহার করতে পারবে। আর বিয়ের সময় মেন্দি লাগানো শুধু মেয়েদের জন্যই জায়েয হবে, পুরুষের জন্য নয়। (ফাতাওয়ে আলমগীরী)

 

মেয়েদের কপালে টিপ দেয়া : ইসলাম কী বলে

কপালে টিপ দেয়া শুধু বিধর্মীদের প্রথাই নয়, বরং কারো কারো ধর্মীয় প্রতীক। আর বিধর্মীদের প্রথা পালন করা হচ্ছে না জায়েয। সুতরাং তা পরিত্যাজ্য হিসাবে বিবেচিত হবে। কেননা বান্দাকে খুশি করার জন্য আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের হুকুম কখনই জায়েয হতে পারে না

বিধর্মীদের অনুসরণের নিয়ত না থাকলে, শুধুমাত্র স্বামীকে খুশি করার উদ্দেশ্যে কপালে টিপ দিলে সেটা কি বৈধ হবে?

কপালে টিপ দেয়া শুধু বিধর্মীদের প্রথাই নয়, বরং কারো কারো ধর্মীয় প্রতীক। আর বিধর্মীদের প্রথা পালন করা হচ্ছে না জায়েয। সুতরাং তা পরিত্যাজ্য হিসাবে বিবেচিত হবে। কেননা বান্দাকে খুশি করার জন্য আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের হুকুম কখনই জায়েয হতে পারে না

 

মৃতব্যক্তির বারবার জানাজার নামাজ পরার বিধান

আমাদের দেশে বিশেষত রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মৃত্যুবোরণ করলে আমরা দেখতে পাই তাদের জানাযার নামাজ একাধিকবার পড়া হয়। তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে বারবার জানাযা নামাজ পরা কি জায়েয আছে?

কোন মৃত ব্যক্তির জানাযা যদি তার অভিভাবক ব্যতীত অন্যেরা পড়ে নেয় এবং জানাযা পড়া যদি অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া হয় তাহলে স্বয়ং অভিভাবক ইচ্ছা করলে দ্বিতীয়বার জানাযা পড়তে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার জানাযা পড়া ওয়াজিব নয় বরং প্রথমবার পড়ার মাধ্যমে ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়। তাহতাবী-৩২৪

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

৩টি ভয় আপনার ব্যর্থতার কারণ

সফল হতে কে না চায়? কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জীবনে সফলতা যেন সোনার হরিণ। যে কাজেই হাত দেন তারা, ব্যর্থ হন। না তাদের দিয়ে ব্যবসা হয়, না টেকে কোন চাকরি। চতুর্দিক থেকে ব্যর্থতার ধিক্কার তাদের জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে।
কিন্তু এর মানে কি এই যে, তাদের মেধা নেই? মেধা সব মানুষেরই আছে। কেউ তা কাজে লাগাতে পারেন আর কেউ পারেন না। আপনি নিজেই হয়তো নিজেকে পেছনে টানছেন, এগিয়ে যেতে দিচ্ছেন না। অবাক হচ্ছেন? জেনে নিন, কীভাবে আপনি নিজেই নিজের সফলতাকে বাঁধাপ্রাপ্ত করছেন-
ব্যর্থতার ভয়
আপনি যদি সারাক্ষণ ভয়েই থাকেন যে আপনি ব্যর্থ হবেন তাহলে আপনি এগোতে পারবেন না। আপনাকে সাহস করে ঝুঁকি নিতে হবে। নাহলে যেমন ব্যবসা করা যাবে না তেমনি করা যাবে না চাকরিও। অনেকে মনে করেন, চাকরিতে কোন ঝুঁকি নেই। আসলে তা নয়। চাকরিক্ষেত্রেও নিজেকে প্রমাণ করতে অনেক কাজ নিজেই সাহসের সাথে এগিয়ে করতে হয়। নাহলে থমকে থাকে ক্যারিয়ার। অনেক সময় হতে হয় চাকরিচ্যুত।
সময় চলে যাওয়ার ভয়
আপনার মাঝে সব সময় একটা তাড়া কাজ করে। আপনি ভাবেন এক্ষুনি কাজটা না করলে হয়ত আর করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনি পরিস্থিতিকে বিবেচনা করতে ভুলে যান। আপনার আভ্যন্তরীন গতি সময়কে অতিক্রম করে যায়। শান্ত হন। ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
পরিবর্তনের ভয়
আপনি অবাক হবেন এটা জেনে যে আপনি নিজেই চান না সফল হতে। আপনার মাঝে পরিবর্তনের ভয় কাজ করে। সফল হতে হলে আপনাকে নিজের জীবনের অনেক কিছুই বদলে ফেলতে হবে। অনেক অনিয়ম ত্যাগ করতে হবে। আপনি এই বদল মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু শ্রম না দিলে, কাজ অনুযায়ী পাল্টে না গেলে কি করে আসবে সফলতা?
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

এবারের পূজায় রঙ জুনিয়র

সময়কে রাঙানোর ঐকান্তিক ব্রতে রঙ থেকেই আজকের রঙ বাংলাদেশ। সেই মানসেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের জনাদৃত এই ফ্যাশন ব্র্যান্ড। পোশাক আর অনুষঙ্গে রাঙাচ্ছে বয়সীদের। শিশুতোষ লাইন নিয়ে রঙ বাংলাদেশ-এর সাব ব্র্যান্ড রঙ জুনিয়র এই প্রয়াসেই নামান্তর। রঙ বাংলাদেশ-এর ব্র্যান্ড ইমেজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রঙ জুনিয়রের শারদ আয়োজন বাজারে আনা হয়েছে। পাশাপাশি সচেতনভাবে মাথায় রাখা হয়েছে সববয়সী বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও ত্বকবান্ধব পোশাক উপহার দেয়ার বিষয়টি। এর সঙ্গে আরো নিশ্চিত করা হয়েছে কাপড় ও ব্যবহৃত উপকরণের গুণগতমান, আরাম ও সহজ ব্যবহার উপযোগীতা। শিশুদের জন্যই বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে রঙ জুনিয়র-এর কালেকশন। প্রতিটি পোশাক তাই দৃষ্টিনন্দন, সময়োপযোগী আর ফ্যাশনেবল। আসছে পূজার জন্যই বিশেষ কিছু মোটিফকে নিয়ে নকশা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পদ্ম, শংখ, এিশূল, চক্র, ওম ও বেলপাতা।

পুরো কালেকশনই করা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের সুতি কাপড়ে। নকশা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট, মেশিন ও হ্যান্ড এম্বয়ডারিসহ অন্যান্য ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়া। লাল, সাদা আর অফহোয়াইট এই তিন রঙের সঙ্গে সহকারী রঙ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে হলুদ, গেরুয়া, কমলা, ম্যাজেন্টা ও স্বর্ণালি হলুদ।

রঙ জুনিয়র-এর সম্ভারে মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে ফ্রক, থ্রি-পিস,শাড়ি, সিঙ্গল কামিজ, স্কার্ট, টপস ও ধুতি-কুর্তি। আর শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ধুতি ও পাঞ্জাবি আছে ছেলেদের জন্য।

রঙ বাংলাদেশ ক্রেতাদের কেনাকাটাকে সহজ আর সুলভ করতে পৌঁছে দিচ্ছে একেবারে দোরগোড়ায়। এজন্য রয়েছে ওয়েবসাইট হতে অনলাইন কেনাকাটা আর ক্যাশ অন ডেলিভারীর সুবিধা। এছাড়া আছে রঙ বাংলাদেশ-এর গিফট ভাউচার। উপহার দিতে পারেন প্রিয়জনকে যেকোন উৎসব আর উপলক্ষ্যে। তাতে করে আপনার প্রিয়জন তার পছন্দ মতো সামগ্রী কিনে নিতে পারে ঐ গিফট ভাউচার দিয়ে রঙ বাংলাদেশ-এর যেকোন আউটলেট থেকে।

 

মজাদার হানি গার্লিক চিকেন রান্না করুন খুব সহজে

রেস্টুরেন্টে গেলে চিকেন চিলি, চিকেন মাশালার সাথে আরেকটি খাবার দেখতে পাওয়া যায়, তা হল হানি গার্লিক চিকেন। চাইনিজের এই আইটেমটি বেশ জনপ্রিয় চাইনিজপ্রেমীদের কাছে। চিকেন, রসুন এবং মধুর স্বাদযুক্ত খাবারটি খেতে কিন্তু দারুন। মজাদার এই খাবারটি খেতে এখন আর রেস্টুরেন্টে দৌড়াতে হবে না, আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন এই খাবারটি। কীভাবে? জেনে নিন রেসিপিটি।

উপকরণ:

২ কোয়ার্টার মুরগির মাংস এবং ২টি মুরগির বুকের মাংস

২টি রসুন কুচি

১টি পেঁয়াজ কুচি

২ টেবিল চামচ মাখন

১ টেবিল চামচ ময়দা

১ টেবিল চামচ মধু

১ টেবিল চামচ সয়াসস

১ কাপ চিকেন স্টক

পার্সলি পাতা কুচি (ইচ্ছা)

লবণ

গোলমরিচের গুঁড়ো

প্রণালী:

১। প্রথমে মুরগি ভাল করে ধুয়ে নিন। মুরগির চামড়ার ভিতর রসুন কুচি ঢুকান।

২। তারপর মুরগির মাংসের উপর তেল, গোলমরিচের গুঁড়ো, লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন।

৩। এবার একটি প্যানে তেল গরম হয়ে আসলে মুরগির টুকরোটি দিয়ে দিন। বাদামী রং আসলে টুকরোগুলো নামিয়ে ফেলুন।

৪। মুরগির মাংস ভাজা তেলে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে ভাজুন।

৫। ভাজা পেঁয়াজ এবং রসুন নামিয়ে ফেলুন। এরপর প্যানে মাখন দিয়ে দিন।

৬। মাখন গলে আসলে এতে ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। মাখন, ময়দা ভাল করে মিশে গেলে এতে সয়াসস দিয়ে নাড়ুন।

৭। কিছুক্ষণ পর এতে মধু দিয়ে দিন। এরপর এত চিকেন স্টক দিয়ে দিন।

৮। ভাজা মুরগির মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।

৯। গ্রেভি ঘন আসলে ৩৫০ ডিগ্রী প্রি-হিট করা ওভেনে ৩০ মিনিট বেক করে নিন।

 

বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সঙ্গীতশিল্পী কোনাল

বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন সঙ্গীতশিল্পী কোনাল। পাত্র মনজুর কাদের জিয়া পেশায় একজন সাংবাদিক। তার সঙ্গেই পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। কিছুটা হঠাত করেই ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের পর্বটা সেরে ফেলেছেন কোনাল। এমনটাই জানিয়েছেন ফেসবুকে।

তিনি বলেছেন, ‘পরিবারের চাপের কারণে আজ সন্ধ্যায় আমাকে বাসায় দেখতে এসেছিল পাত্র। আর কথা বলতে এসে বড় কাজটাই হয়ে গেল। বিয়ে হয়ে গেল। খুব ছোট করে একটা আকদ হয়ে গেল। তবে এক শীতের সন্ধ্যায় খুব জমকালো ভাবে বিয়ের আয়োজন করা হবে। যাই হোক বন্ধুকেই বিয়ে করেছি। বন্ধু মনজুর তুমি জনমের জন্য আমার হয়ে গেলে’।

 

 

‘এ পুরস্কার নারীদের জন‌্য এক স্বীকৃতি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এ পুরস্কার আমাদের নারীদের জন‌্য এক স্বীকৃতি, যারা আমাদের পুরুষদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি, যারা আমার পরিবর্তনের দর্শনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।’

জাতিসংঘ সদর দফতরের ইউএন প্লাজায় বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ‌্যায় ‘প্ল‌্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণের পরে এ সব কথা বলেন তিনি।

‘প্ল‌্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কারটি দেওয়া হয় ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে। আর ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ দেয় গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম।

তিনি বলেন, এই পুরস্কারে আমি অত‌্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। ইউএন উইমেন ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামকে আমি ধন‌্যবাদ জানাই। বাংলাদেশে নারীরাই যে ‘পরিবর্তনের দূত’, এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নের পথ সব সময় সহজ ছিল না। কিন্তু সাহস আর ঐকান্তিক চেষ্টার মধ‌্য দিয়েই লক্ষ‌্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি সেই পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, যেখানে নারীর অধিকার সবার সম্মান পাবে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম‌্য ও সহিংসতা যেখানে হবে ইতিহাস’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীর জন‌্য একটি টেকসই ভবিষ‌্যৎ গড়ে তোলা নারী-পুরুষ সকলের দায়িত্ব। মানব ইতিহাসের এমন এক সময়ে আমরা পৌঁছেছি, যখন নারী-পুরুষের সমান অধিকার কেবল আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে’।

এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া ভাষণে সন্ত্রাসে মদদ বন্ধে করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ববাসীর সমর্থনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জঙ্গিবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্ল্যেখ করে সমূলে উৎ​পাটন করার সংকল্পে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথাও বলেন।

অনুষ্ঠানে ইউএন উইমেনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লক্ষ্মী পুরি অনুষ্ঠানে তার স্বাগত বক্তব‌্যের পর পুরস্কারজয়ী তিন নারীর জন‌্য মানপত্র পড়ে শোনান। ইউএন উইমেনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমজিলা লামবো নুকা সমাপনী বক্তব‌্য দেন।

রিপাবলিক অব মাল্টার প্রেসিডেন্ট মারি লুইস কোলেরো প্রেকা এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের স্ত্রী বান সুন-টিকও এ বছর শেখ হাসিনার সঙ্গে এ পুরস্কার পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রবাসীকল‌্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপু মনি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন প্রমূখ।

 

জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবস পালন করা : কী বলে ইসলাম

জন্ম বার্ষিকী পালন ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন এমন এক সামাজিক প্রথা হিসাবে চালু হয়ে গেছে যে, কেউ যদি এটা পালন না করে তাহলে তাকে অপরাধী মনে করা হয়। এটা শরীআত পরিপন্থি।

আমাদের দেশের প্রথা অনুযায়ী জন্ম দিবস, মৃত্যু দিবস ইত্যাদি দিবস পালন করে থাকে। অনুরূপভাবে শহীদ দিবস, বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়ে থাকে। শরীআতের দৃষ্টিতে এই কর্মকান্ড বৈধ্য আছে কি?

বর্তমানে আমাদের দেশে জন্ম বার্ষিকী, মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার যে রেওয়াজ প্রচলিত আছে তা বিদআত ও না জায়েয। কারণ এই সকল কাজের জন্য আগে থেকেই দিন তারিখ নির্ধারণ করে রাখা হয় এবং সেদিন খুব ধুমধাম সহকারে দিনটি পালন করা হয়। জন্ম বার্ষিকী পালন ও মৃত্যু বার্ষিকী পালন এমন এক সামাজিক প্রথা হিসাবে চালু হয়ে গেছে যে, কেউ যদি এটা পালন না করে তাহলে তাকে অপরাধী মনে করা হয়। এটা শরীআত পরিপন্থি।

অনুরূপভাবে শহীদ দিবস পালন করাও না জায়েয। শহীদ দিবস পালন করা যদি পুণ্যের কাজ হতো তাহলে সাহাবায়ে কেরাম উহুদের দিনকে শহীদ দিবস হিসাবে পালন করতেন। (ফাতাওয়ে রাশিদিয়া-২৪৫)

মাওলানা মিরাজ রহমান