banner

সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: May 16, 2024

 

দাম্পত্য জীবন হলো অন্যতম মৌলিক মানবিক অধিকার

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক


চাই, বন্ধ হোক জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম এক দশক এক ধরনের ব্যক্তিগত যৌনজীবন যাপনের এই বিরাজমান সামাজিক অপসংস্কৃতি।

হ্যাঁ, যার যৌবন আছে তার কোন না কোন ফরম্যাটে যৌন জীবনও আছে। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক সবারই আছে নিজস্ব প‍্যাটার্নের যৌনজীবন। এটি অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। যত বড় সুফি-দরবেশ-মোহন্ত-সাধু হোন না কেন, কোন মানুষই বেসিক ইন্সটিংক্ট এর ঊর্ধ্বে নয়।

বিপরীত জেন্ডারের কারো সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে আমার নীতি হলো,

Everything or nothing, not so so।

যে পথে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ কিংবা অধিকার আমার নাই সে পথে খানিকটা হাঁটহাঁটি করাকে আমি ছ‍্যাঁচড়ামি মনে করি। এমনকি আমি এক নম্বর পছন্দ হলেও এ ধরনের কোনো কিছু পাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ানোকে আমি খুব অপছন্দ করি। মেয়েদের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে এ ধরনের মনোভাবের কারণে বিয়ের আগে আমার প্রেম করা হয়ে উঠেনি।

(১) প্রেম কিংবা
(২) পরিণয় অথবা
(৩) বিশেষ কোন সামাজিক সম্পর্ক বা
(৪) শুধু পরিচয় –

এই চার ধরণের সম্পর্কের বাইরে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো সম্পর্কে আমি বিশ্বাসী নই। প্রাপ্তবয়স্ক দু’জন নারী ও পুরুষের মধ্যে নিছক বন্ধুত্বের সম্পর্ক অসম্ভব।

তাই এখনকার just friend system হলো আসলে এক ধরণের soft polygamy চর্চা। কথাটা পরিস্কার। polygamy ভালো কি খারাপ, সেটা ভিন্ন আলোচনা। এখানে polygamy বলতে আমি multiple heterosexual relationship-এর টেনডেন্সি বা প্র‍্যাকটিসকে বুঝাচ্ছি।

মানলাম, পাশ্চাত্য প্রভাবিত ক‍্যারিয়ারমুখী আমাদের এ সমাজ, ছেলে-মেয়েদেরকে গড়পড়তা এক দশক এক ধরনের “ব‍্যক্তিগত যৌনজীবন” যাপনে বাধ‍্য করছে, তাই বলে “প্রয়োজন”টা যে নির্দোষ ও বাস্তবসম্মত, তা অকপটে স্বীকার করতে এত দ্বিধা কেন?

স্বাভাবিক দাম্পত্য যৌন জীবনের ব‍্যবস্থা কায়েম করা হলো বিদ‍্যমান অবাধ ফ্রেন্ডশিপ ব‍্যবস্থার টেকসই প্রতিবিধান বা রিমেডি। এ ধরনের কাঙ্ক্ষিত ব‍্যবস্থায় পৌঁছার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়ে সমাজকর্মীদের ভাবতে হবে। খোলামেলা আলোচনা করতে হবে।

“তরুণ সমাজ অধঃপতনে গেল। আমরা কত ভাল ছিলাম…।”
– এমন বুদ্ধিজীবীসুলভ পাকনা পাকনা কথা দিয়ে কাজের কাজ কিছু হবে না। কথায় বলে, পেটে দিলে পিঠে সয়। আগাগোড়া একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কারো কোন বিশেষ ধরনের অস্বাভাবিক আচরণকে মাঝখান থেকে জাজমেন্ট করতে যাওয়া ঠিক না।

তরুণদের এই just friend system এর জন্য তরুণরা যতটা দায়ী তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী হল তাদের অভিভাবকরা। জীবন ও জগতের সঠিক উপলব্ধি ও মূল্যবোধ নিয়ে বড় হওয়ার চেয়ে তরুণদের মধ্যে যে career hype তৈরি করা হয়েছে তার জন্য তারা নিজেরা ততটা দায়ী নয়। এর জন্য দায়ী হল এই ভারসাম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এধরনের বিরূপ পরিস্থিতির দায় বড়দের। যারা এই সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্ণধার। careerism-এর কারণে বিলম্বে বিয়ে। বিলম্ব বিয়ের কারণে দীর্ঘস্থায়ী এই ব্যক্তিগত যৌনজীবন। কথাটা খোলাসা করে বললাম। যাতে বুঝতে পারেন, এই just friend system কোত্থেকে ও কিভাবে গড়ে উঠলো।

আফসোস, যারা সমাজ পরিবর্তনের কথা বলে তারা আমাদের সামাজিক গঠনের এই বিরাট ফাটল সম্পর্কে তেমন কিছু বলে না। প্রসঙ্গক্রমে এ বিষয়ে যাওবা তারা কিছু বলে তখন একতরফাভাবে তারা তরুণদেরকে অসংযমী হওয়ার জন্য দোষারোপ করে। এরপরে তারা সওয়াবের নিয়তে তরুণদেরকে নৈতিকতা বজায় রাখার জন্য, একতরফাভাবে নৈতিক হওয়ার জন‍্য self-contradictory হেদায়েত বিতরণ করে।

অপরদিকে তরুণদের একটা বিরাট অংশ, যারা বিশেষ করে আদর্শের কথা বলে, তারাও দেখি আমাদের সমাজে বিদ্যমান এ ধরনের অস্বাভাবিক ও অমানবিক অপব্যবস্থার অস্তিত্ব স্বীকার করতে নারাজ। যেন সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছে। আমি এসব কথা বলছি, এতে আশঙ্কা করছি, এদের কেউ কেউ আমাকে উল্টো দোষারোপ করবে। হয়তো বলবে, অথবা অন্ততপক্ষে ভাবতে পারে, বুড়োর যেন ভিমরতি হয়েছে …!

না, আমার অন্ততপক্ষে ভিমরতি হয় নাই। আমাদের সময় প্রায় শেষ। তবে আমরা যে অস্বাভাবিক সময়কে পার করে এসেছি, একই ধরনের যে অস্বাভাবিকতার মধ্য দিয়ে তোমরাও জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছো, তা যে প্রকৃতিবিরুদ্ধ ও অস্বাভাবিক, এ অবস্থার যে আশু পরিবর্তন প্রয়োজন, তা অন্ততপক্ষে স্বীকার করার কথা বলছি। যত বড় সমস্যাই হোক না কেন, যে কোন সমস্যা সমাধান করার প্রথম শর্ত হলো সমস্যাটা যে আছে তা অকপটে স্বীকার করা।

just friend system এর পরবর্তী ধাপ হলো লিভিং টুগেদার system। লিভিং টুগেদার সিস্টেম এবং family সিস্টেমের তুলনামূলক আলোচনা নিয়ে আমার একটা লেখা আছে। সেটি প্রচারণামূলক লেখা নয়, যুক্তিসঙ্গত লেখা। কিছুটা বিস্তারিত। কমেন্টে সেটার লিংক দেয়া আছে।

এ বিষয়ে এখনকার মত শেষ কথা হল, যেভাবেই হোক না কেন, on an average 15 থেকে 25, এই দীর্ঘ এক দশক এক ধরনের ব্যক্তিগত যৌনজীবন যাপনের এই সামাজিক অপসংস্কৃতিকে রুখতে হবে। জ্বর কেন হচ্ছে তার কারণ হিসেবে শরীরের ভেতরে কোন অংশটা infected হয়েছে তা identify করতে হবে। এরপর সেটার proper treatment করতে হবে। ভিতরের ইনফেকশন সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা না করে উপরে উপরে জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সেবন করে কোন লাভ হবে না।

সম্ভাব্য সকল উপায়ে বিয়েকে সহজ করা হলে বাদবাকি যা কিছু তা অটোমেটিকেলি কমে যাবে। অনিরুদ্ধ কোন স্রোতকে স্বাভাবিক গতিপথে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ করে না দিলে তা বাঁধ ভেঙে প্লাবন ঘটাবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

ছোটবেলায় মার্শাল আর্টের কলাকৌশল নিয়ে একটা প্রবন্ধ পড়েছিলাম। তাতে আত্মরক্ষার প্রথম যে টিপসটা দেওয়া হয়েছিল, তা খুব ইন্টারেস্টিং। সেখানে লেখক বলেছিলেন, যখনই আপনি আক্রান্ত হবেন সম্ভব হলে দ্রুততম সময়ে 180 ডিগ্রি উল্টা ঘুরে দাঁড়িয়ে সম্ভব সর্বোচ্চ গতিতে দৌঁড়ানো লাগাবেন। তার মানে, যে কোন অস্বাভাবিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি হতে escape করার চেষ্টা করা হল better option।

নৈতিকতার যতসব নেতিবাচক আইন, কানুন, নিয়ম ও প্রস্তাবনা, তার সবই হলো বিশেষ বা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। কোথাও যদি অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো জরুরি পরিস্থিতি বিরাজমান থাকে, সেখানে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োগযোগ্য নেতিবাচক আইনকানুন ও প্রস্তাবনাগুলোকে আপাতত অগ্রাহ্য করে উক্ত অস্বাভাবিক পরিস্থিতিকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা জরুরী। তাই, মানুষের ফিতরাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটা ন্যূনতম আদর্শমানের সামাজিক ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য যা যা করা দরকার, তা বাস্তবায়ন করার কাজ, আসুন, এখনই শুরু করি।

মনে রাখবেন, awareness is doing half of the solution।

 

বাসায় “কাজের মানুষ” নেওয়ার ব্যাপারে সর্তকতা

দ্য স্লেভ


আমরা প্রায়ই কাজের লোকের বা গৃহকর্মীদের উপর অত্যাচারের কাহিনী শুনি। তাদের বিষাদময় জীবনের কাহিনী শুনি আবার কাজের লোক কর্তৃক নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে প্রচুর। কিন্তু ঘটনাগুলোকে অনেককাংশেই কমিয়ে আনা যায় যদি আমাদের সদিচ্ছা থাকে।

বহু কাজের লোক আছে, যারা গ্রাম থেকে ঢাকা অথবা চিটাগাং শহরে আসে কিন্তু কিছুদিন পর তারা চলে যায় বা পালিয়ে যায়। অথবা বাড়ি ফিরে যাবার জন্যে উদগ্রীব হয়। কখনও পালিয়েও যায়। এর পেছনে কিছু কারন খুঁজে দেখা যাক।

সম্ভবত গ্রামের উম্মুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠে, শহরের মুরগীর খাঁচার মত বাসার ভেতরে তাদের ভালো লাগে না। কিন্তু এটা মিনি-মাইস করা যায়। কারন সম্ভবত মানুষ সবসময় সহনশীল প্রানী।

আসুক দেখা যাক কি কি সর্তকতা অবলম্বন করা যায়,

১.ভাল আচরণ

অত্যন্ত ভাল আচরণের সাথে তাকে গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে তাকে আপনি কিনে নেননি বরং সে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নিয়েছে। আপনার জবটি আপনার জন্য সন্মানের। ঠিক তাকেও তার কাজটি যে সন্মানের বুঝতে দিন।

২. গৃহকর্মীদের মানসিক অবস্থা বোঝা

কেউ শহরে আসার পর, প্রথম দিনেই কাজের প্রতি আকৃষ্ট করা ঠিক নয়। বরং প্রথম দিন তাদেরকে নিয়ে শপিংয়ে যেতে হবে। কারন এসব গরিব মানুষেরা ভালো কাপড় পায় না। প্রথম দিন বাজারে নিয়ে গিয়ে বেশ মানসম্মত কাপড় কিনে দিতে হবে, যা সে পছন্দ করে। আর যদি আমরা মুত্তাকী হই, তবে নিজের জন্যে যে মানের কাপড় কিনি এবং যেমন কাপড় নিজের স্ত্রী, বোন, মা ওনাদের জন্যেও পছন্দ করি, ঠিক তেমনই কাপড় সেই মেয়ে বা ছেলেটির জন্যে পছন্দ করব। এটা করলে প্রথম দিনেই সেই মেয়ে বা ছেলেটি (সাধারনত মেয়েরাই কাজ করে বাসায়) উক্ত বাসার কর্তা, কতৃ সম্পর্কে বিশাল একটি ধারণা লাভ করবে এবং তার মন সাই দেবে এই বাসায় কাজ করতে।

৩. আপনার বাসার পরিবেশ গৃহকর্মীকে বুঝিয়ে বলুন

প্রথম দিন শপিং শেষে বাসায় ফিরে তাকে পুরো ঘরবাড়ির সবস্থান দেখাতে হবে। ধীরে ধীরে ওনার বোঝার ক্ষমতা অনুযায়ী বুঝাতে হবে। এরপর তার থাকার স্থানটি দেখাতে হবে এবং তার বাথরুমে নতুন ব্রাশ, পেস্ট, সাবান এসব রাখতে হবে। ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিবেন। এটা পাওয়া তার হক। তার থাকার স্থানটি যেমনই হোক অবশ্যই পরিচ্ছন্ন হতে হবে। এটা তার মানুসিকতাকে সুন্দর করবে এবং পরিবারের সবার স্বাস্থ্যকর পরিবেশ কথা ভাবতে হবে।

৪. খাবার নিয়ে কখনও শাস্তি দিবেন না

আপনারা যা যা খান, ভালো ও মানসম্মত খাবার তাকেও তাই খাওয়াতে চেষ্টা করুন। যদি নিজেরা বাইরে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতল যান(নিজেদের সঙ্গতি অনুসারে কোনো রেস্টুরেন্ট) তাহলে সেই মেয়েটিকে পাশাপাশি একই চেয়ারে বসিয়ে পরিবারের সদস্যের মত করে একই রকম খাবার খাওয়াতে হবে। এটাই সুন্নাহ। এটা করলে সেই মেয়েটি নিজেকে পরিবারের দায়িত্বশীল একজন ভাববে এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিজের উপর কর্তব্য মনে করবে।

৫. গৃহকর্মী সম্পর্কে জানুন

তারসাথে বেশ কিছুক্ষন গল্প করতে হবে। তার পরিবার,পরিবেশ সকল বিষয়ে জানতে হবে। তার ভালোলাগা মন্দলাগা এসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে হবে। এতে তার সম্পর্কে যেমন বালো একটি ধারনা তৈরী হবে, তেমনি সেও বাড়িওয়ালা থেকে একটা ধারনা পাবে। আর মনেযোগ নিয়ে তার কথা শোনার কারনে সে নিজেকে ভাগ্যবান ভাববে। আর এভাবে সে খুশী মনে সার্ভিস দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত হবে। নিজেই জানতে চাইবে তাকে কি কি করতে হবে।

৬. অবশ্যই করণীয় কিছু বিষয়

ছবি তুলে রাখুন। ফোন নাম্বার মুখস্থ করানোর চেষ্টা করতে পারেন।
এবং তাকে সুন্দর করে বলতে হবে, যে দেশের আইন হল যারা ডমেস্টিক হেলপার বা গৃহকাজে সহায়তাকারী (কাজের মেয়ে শব্দটি একটি খারাপ অর্থ প্রকাশ করে,সুন্দর শ্বদচয়ন করতে হবে) তাদের এক কপি ছবি স্থানীয় থানায় জমা রাখতে হয়,তাই আমরা আইন অনুসরন করছি। এটা তোমার নিরাপত্তার জন্যেই। এতে তার মনের গহীনে কোনো কু-চিন্তা থাকলে সেটা সে নিজেই দমন করবে, এমনটা ধরে নেওয়া যায়। কারন মানুষ সুযোগ পেলে অনেক সময় তার খারাপ স্বভাব চরিতার্থ করে। আগে কেউ পালিয়ে যাবার অভিজ্ঞতা থাকলে জিডি করে রাখতে পারেন।

৭.পর্যাপ্ত বিশ্রাম

গৃহকর্মীদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে দিতে হবে। সে ভালো করে বিশ্রাম করলেই বরং কাজে ভুল কম করবে। তাকে তার কাজ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। এক বার না বুঝলে বিরক্ত না হয়ে বার বার বুঝিয়ে দিতে হবে। প্রত্যেকটি কাজ আমি যেভাবে চাই বা যেভাবে করা উচিৎ সেটা বুঝাতে হবে সুন্দর করে। তাহলে সে কাজটি শিখবে এবং ভুল কম করবে। তাকে খুশী রাখতে হবে।

৮. প্রশংসা করা
প্রতিটি মানুষই প্রশংসা করার বিষয়টি খুবই পছন্দ করে। আমার মন প্রশংসা পছন্দ করলে সেই স্বল্প বেতনের কাজের মানুষটিও আমার চেয়ে বেশিই প্রশংসা পছন্দ করে মনে রাখতে হবে। তাই এই পয়েন্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে যখন কোনো কাজ করবে, সেটা মোটামুটি ভালো হলেই তাকে অনেক প্রশংসা করতে হবে। তার কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। আবার তার উপর অতিরিক্ত বোঝা না চাপিয়ে না দেবার ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

৯. গৃহকর্মীদের পরিবারকে অবহিত করা

গৃহকর্মীদের পরিবারের প্রতি ইনসাফ বা যথাযথ তথ্য সবসময় দেওয়া উচিত। তার সুস্থ অসুস্থতা ছাড়াও মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলা এবং দেখতে নিয়ে যাওয়া খুবই দরকার পরিবারের লোকেদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। ঈদের সময় গুলোকে তাদের বখশিশ দিতে হবে এবং বাড়িতে যেতে দিতে হবে। সে সময় তার পিতা-মাতা,ভাইবোনদের জন্যে কিছু উপহার দিলে, সেই মেয়ে খুব কৃতজ্ঞ থাকবে। যদিও আইন অনুযায়ী এটা তার ব্যক্তিগত খরচ, কিন্তু গৃহকর্তা এটাকে সহযোগীতা করলে তার ফলাফল হবে অনেক ভালো।

১০. ঘুরতে নিয়ে যান

পরিবারের সন্তানদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলে তাকেও নিতে হবে। এবং মাঝে মাঝে তাকে বাইরে কোনো পার্কে নিয়ে যেতে হবে। এতে তার একঘেয়েমী ধুর হবে।

মনে রাখতে হবে যে তিনিও, একজন আল্লাহর বান্দা/বান্দী।

রাসূল(সাঃ) বলেছেন,সাবধান..তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, পিতা তার পরিবারে দায়িত্বশীল। তোমাদের প্রত্যেককেই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে অধিনস্তদের(গৃহকর্মীদের) ব্যাপারে।

আরেক হাদীসে বলা হয়েছে আখিরাতে দায়িত্বশীলদেরকে শেকল পরিহিত অবস্থায় উঠতে হবে, অনিস্তরা তার ব্যাপারে অভিযোগ প্রত্যাহার করলে বা ভালো রিপোর্ট দিলেই কেবল ছাড়া হবে।

অন্যের দায়িত্ব গ্রহন করা মানে ফাঁসির দড়ি গলায় পরা। ফলে সেই অধিনস্তদের সাথে অবশ্যই ন্যায় বিচার করতে হবে।

“রসূল(সাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ ততক্ষন পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষন পর্যন্ত না সে নিজের জন্যে যা পছন্দ করে ,অন্যের জন্যেও তাই পছন্দ করে” —সম্ভবত বুখারী বর্ণিত

এর ফলাফল দুনিয়াতে এবং আখিরাতে কল্যানকর। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।