All posts by Oporajita

খুশির ঈদে মেহেদি রাঙা হাত

অপরাজিতাবিডি ডটকম: এসেছে খুশির ঈদ। ঈদের আনন্দ আর মেহেদির রঙ, যেন একে অন্যের পরিপূরক। মেহেদি ছাড়া ঈদ কল্পনাও করা যায় না। এবার ঈদেও নিশ্চয়ই প্রিয় দু’টি হাত রাঙাবেন মেহেদির রঙে? তাহলে চলুন জেনে নিই মেহেদি পরার টুকিটাকি।

11_126034

কেমন নকশা
লম্বা হাতার পোশাক পরলে কনুই পর্যন্ত মেহেদি না পরাই ভালো। কালো মেহেদি হাতের তালুতে না দিয়ে ওপরে দিতে পারেন। কালো মেহেদির ক্ষেত্রে জ্যামিতিক নকশা চলছে এখন। জ্যামিতিক ছাড়াও একটু চেক ধাঁচের, কোনাকুনি নকশাও পরতে পারেন। তবে লাল মেহেদি যে কোনো নকশা করেই দিতে পারেন। পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে কালো মেহেদি দিয়ে অঙ্কিত অল্প নকশাই ভালো লাগবে। যারা শাড়ি অথবা সালোয়ার-কামিজ পরবেন, তাদের জন্য নকশা হবে কিছুটা ভিন্ন। হাতভর্তি কিংবা একটু বেশি নকশা মানিয়ে যাবে পুরোদমে। কারুকার্যে প্রাধান্য পেতে পারে লতাপাতা, ফুল বা কলকা। মেহেদি লাগানোর আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এরপর শুকনো করে হাত মুছে ফেলুন। মেহেদি লাগানোর আগে হাতে ক্রিম বা তেল লাগাবেন না। পছন্দমতো নকশায় এবার এঁকে ফেলুন দুই হাত। হাতে লাগানো মেহেদি পুরোপুরি শুকাতে দিন। ঈদের যত কম ব্যবধানে মেহেদি লাগান যাবে, ততই ভালো। সবচেয়ে ভালো হবে যদি চাঁদরাতে লাগান।

 

মেহেদির রঙ কীভাবে গাঢ় করবেন

মেহেদি লাগানোর পরে যখন মেহেদি একটু একটু করে শুকাতে শুরু করবে তখন একটি পাত্রে সামান্য লেবুর রস আর চিনি মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে হাতে মিশ্রণটি লাগান। মেহেদির ওপর ঘষাঘষি করবেন না। আলত করে শুকিয়ে যাওয়া মেহেদির একটু ওপর থেকে তুলার বল চিপে ফোঁটা ফোঁটা করে লেবু আর চিনির মিশ্রণটি পুরো হাতে লাগাবেন। লেবুর রস মেহেদির রঙটা পুরোপুরি মেহেদির পেস্ট থেকে বের করতে সাহায্য করে আর চিনি সেই রঙ আর মেহেদি অনেক্ষণ হাতে আটকে রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২/৩ ঘণ্টা আগে লাগান, এবং সারা রাত হাতে মেহেদি রেখে দিন। মেহেদি শুকিয়ে গেলেও হাত ধুবেন না। আপনা আপনি কিছু পড়ে যাবে আর বাকিগুলো হাতে রেখেই ঘুমাতে পারেন অথবা হাত ঘষে মেহেদি ফেলে দিতে পারেন। অন্তত ৮ ঘণ্টা পানি থেকে হাত দূরে রাখুন। যত দেরিতে পানি লাগাবেন হাতে তত বেশি রঙ গাঢ় হবে।
কোথায় পাবেন
বাজারে বিভিন্ন আকারের বিভিন্ন মেহেদি পাওয়া যায়। এসব মেহেদির দাম পড়ে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত। যে কোনো কসমেটিকসের দোকান কিংবা সুপার শপ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন আপনার পছন্দেও মেহেদি। বাজারে অনেক ব্র্যান্ডেও মেহেদি পাওয়া যায়। এর মধ্য থেকে আপনি হাতে দীর্ঘস্থায়ী রঙ রাখতে বেছে নিতে পারেন আলমাস মেহেদি। আর মেহেদির রঙে আকর্ষণীয় আউটলুক আনতে বেছে নিতে পারেন গিলিটার। বাজারে পাওয়া যাবে বিভিন্ন রঙের গিলিটার, যেগুলো আপনার মেহেদির সাজকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। আবার একেক রূপচর্চাকেন্দ্রে একেক দামে মেহেদি পরান হয়। সেটি নকশা ও হাতে কতটুকু দিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে। আর মেহেদি পাতা পাওয়া যায় প্রায় সব কাঁচা বাজারেই। বাজার থেকে মেহেদি পাতা কিনে এনে বেটেও মেহেদি পরতে পারেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৪ জুলাই ২০১৪ই.

মসলার খোঁজ-খবর

nawshaba

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: মসলা ছাড়া আমাদের এক দিনও চলে না। প্রায় প্রতিটি রান্নায়ই মসলার প্রয়োজন হয়। তবে ঈদের সময়ের প্রয়োজনটা একটু বেশিই বটে। যেহেতু এ সময় সবার ঘরেই বিশেষ আয়োজন, তাই মসলার প্রয়োজন বেড়ে যায়।

 

মসলা ছাড়া আমাদের এক দিনও চলে না। প্রায় প্রতিটি রান্নায়ই মসলার প্রয়োজন হয়। তবে ঈদের সময়ের প্রয়োজনটা একটু বেশিই বটে। এ ছাড়া ঈদে যেসব খাবার রান্না করা হয় সেগুলোর মধ্যে এমন আইটেম খুব কমই আছে, যেগুলোতে মসলা দিতে হয় না। মসলার এসব প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে আমাদের ছুটতে হয় মসলার বাজারে। তাই আসুন আগেভাগে জেনে নেয়া যাক বিভিন্ন রকম মসলার বাজারদর। ঝাল তরকারি মরিচ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। বাজারে এখন নানা ধরনের ঝালমরিচ পাওয়া যায়। যেমন- সূর্যমুখী, কামরাঙা, ধানী, গোল ও পাটনাই। প্রতি কেজি মরিচের দাম পড়বে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে এখন মরিচগুঁড়া প্যাকেটেও পাওয়া যায়। প্যাকেটজাত মরিচের গুঁড়া একটু উন্নতমানের বলে দামটাও একটু বেশি পড়বে। ভেষজ-সমৃদ্ধ হওয়ায় ঘরোয়া ওষুধ ও রান্নাবান্নায় ব্যবহার হয়ে আসছে হলুদ। স্বাদ ও রঙের বৈচিত্র্যে হলুদ সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। গাঢ় ও হালকা রঙ। রাঁধুনি, পিওর, প্রমি, টাইগার, রানীসহ আরো বেশ কিছু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এখন প্যাকেটজাত হলুদও বিক্রি করে। ধনের উৎপাদন সর্বপ্রথম শুরু হয় মরক্কোতে। তখন এটি সম্পর্কে আমাদের মানুষ ততটা জানত না, ব্যবহারও করত না। কিন্তু এখন এর ব্যবহার বেড়ে গেছে সবখানেই। কারণ তরকারির রঙ, গন্ধ ও স্বাদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে ধনের জুড়ি নেই। ১০০ গ্রাম ওজনের ধনের প্যাকেট পাওয়া যাবে ২৫ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কখনো বাড়ে কখনো কমে। এমনকি বাজারের ভিন্নতার জন্যও পেঁয়াজের দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে সাধারণভাবে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম পড়বে ৪৫ টাকা। প্রতি কেজি রসুন পাওয়া যাবে ৮৫ টাকায়। আর আদার কেজি পড়বে ২৭৫ টাকা। এবার আসা যাক গরম মসলার দরদাম প্রসঙ্গে। গরম মসলার দাম এখন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। গত ঈদের তুলনায় এই ঈদে কোনো কোনো গরম মসলা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ, তিন গুণ দামে। এলাচ ১০০ গ্রাম ২৫০ টাকা, জিরা ১০০ গ্রাম ৫৮ টাকা, লবঙ্গ ১০০ গ্রাম ২২০ টাকা, গোলমরিচ ১০০ গ্রাম ১৩০ টাকা, দারুচিনি ১০০ গ্রাম ৪০ টাকা, মহুরি ১০০ গ্রাম ২৫ টাকা। এ ছাড়াও রয়েছে জায়ফল, জয়ত্রী, পোস্তদানা, তেজপাতা, শাহী জিরা ইত্যাদি। এগুলো তোলা হিসাবে কিনলে দামে কম পড়বে।

 

কোথায় পাবেন : প্রয়োজনীয় মসলা পাওয়ার জন্য তেমন কোনো খোঁজাখুঁজির দরকার হয় না। এগুলো ঢাকা শহরের যেকোনো মুদির দোকানেই পাওয়া যায়। তবে নিউমার্কেটসহ কিছু কিছু মার্কেটে আলাদা মসলার দোকানই রয়েছে। এসব দোকানে দেশী খাবার তৈরির মসলার পাশাপাশি বিদেশী খাবার তৈরির মসলাও পাওয়া যায় সুলভমূল্যে। আবার কিছু কিছু দোকান আছে, যারা সরাসরি গ্রাম থেকে মসলা সরবরাহ করে থাকে। এসব মসলার স্বাদ-গন্ধ অন্য যেকোনো মসলার চেয়ে উন্নত হয়। আর এগুলো সাধারণত পুরান ঢাকার দোকানেই বেশি পাওয়া যায়। তবে যেখান থেকেই মসলা কেনা হোক না কেন, বিশ্বস্ত দোকান থেকে কেনা উচিত। এতে মসলায় ময়লা কিংবা ভেজাল থাকার আশঙ্কা কম থাকে।

 

কিছু পরামর্শ : এখনো ঈদ আসতে বেশ কয়েক দিন বাকি। তাই এখন মসলা কিনলে সেটা ঘরে সংরণ করে রাখতে হবে। এমনিতেও মসলা একবার কিনে নিলে অনেক দিন চলে যায়। মসলার ক্ষেত্রে সব সময়ই যে সমস্যাটি দেখা দেয়, সেটি হলো কিছু দিন পরই এটা নষ্ট হয়ে যাওয়া। তবে একটু সচেতন হলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। মসলা পরিষ্কার ও শুকনো পাত্রে রাখতে হবে। আর ঢাকনা কিংবা মুখটাকে এমনভাবে বন্ধ করবেন যাতে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। আলোহীন এবং ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। চুলার পাশে এবং খোলামেলা র‌্যাকে রাখবেন না। আদা বা এই জাতীয় মসলা দীর্ঘ দিন স্বাদ এবং ঘ্রাণযুক্ত রাখতে ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। মাচার ওপরও ছড়িয়ে রাখতে পারেন। কেউ কেউ অনেক দিনের জন্য মসলা সংরণ করতে গিয়ে সেটি রোদে শুকিয়ে নেন। মনে রাখবেন গরম মসলা রোদে শুকাতে দিলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। লঙ্কা গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া শুকনো তাওয়ায় ভেজে সংরণ করুন। এতে বেশি দিন তাজা থাকবে। বাটা মসলা সংরণ করতে হলে ওপরে অল্প লবণ ছড়িয়ে সংরণ করুন। এতে অনেক দিন ভালো থাকবে। যেসব মসলায় পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়ার ভয় থাকে সেগুলোর পাশে কয়েকটা নিম পাতা রেখে সংরণ করুন। নিমপাতা আপনার গরম মসলাকে অনেক দিন ধরে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৪ জুল‍াই ২০১৪ই.

তারকারা কোথায় ঈদ করছেন?

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : ঈদ উৎসবের উচ্ছ্বাসে তারকাদের খবরাখবর ছাড়া কেমন যেন জমে না। ঈদে কী করছেন প্রিয় তারকা? কোথায় ঘুরবেন? আর কী তাদের পরিকল্পনা? এসব জানার আগ্রহ বরাবরের চেয়ে বেশি থাকে ঈদের সময়ে।

 

bindu

বিন্দু
সজলের মতো বিন্দুও ঈদ করবেন ঢাকায়। সারা বছর নাটক নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রান্নাঘরে ঢোকা হয় না একদমই। তাই ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই রান্নাঘরে প্রবেশ করার ইচ্ছে এই মডেল অভিনেত্রীর। বিন্দু বলেন, ‘গরুর গোশত দিয়ে আমি খুব ভালো শাহী টুকরা বানাতে পারি। এবারের ঈদে সেটা বানিয়েই সবাইকে আপ্যায়ন করব।’ তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার বাইরে আমার দু-তিনজন ভালো বন্ধু আছে। তারা আমার বাসায় বেড়াতে আসবে। আমি নিজে ঈদের দিন বাইরে কোথাও বের হবো না। তবে ঈদের পরদিন বাইরে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা আছে।’
 ‍

mahi

মাহিয়া মাহি
বাবা-মায়ের সাথে গ্রামের বাড়ি রাজশাহীতে ঈদ করার ইচ্ছে দেশীয় চলচ্চিত্রের ব্যস্ততম নায়িকা মাহিয়া মাহির। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘হাতে এখন একাধিক চলচ্চিত্র। শুটিং হচ্ছে নিয়মিত। ছুটি পাবো সব মিলিয়ে চার দিন। এই সময়টা পরিবারের সবার সাথে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছে, তবে কান্তি যদি চেপে ধরে, শেষ পর্যন্ত ঢাকাতেই থাকা হবে। তবে যেখানেই থাকি ঈদের আনন্দ হবে সবার সাথে হৈহল্লা করে।

 azmeri-hoque-badhon

বাঁধন
অভিনেত্রী বাঁধনের শ্বশুরবাড়ি ঢাকায়। তাই স্বভাবতই তিনি ঢাকায় ঈদ করছেন। শুটিংয়ের কারণে পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারেন না। এ বিষয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে অনুযোগের শেষ নেই। তাই ঈদের সময়টুকু পরিবারের সাথে থেকে তার দায় কিছুটা কমাতে চান তিনি। বলেন, ‘আগে ঈদ ছিল নিজের আনন্দের জন্য। সেই আনন্দ এখন মহা দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। এই দায়িত্বের জায়গা থেকেই আমি আমার পরিবারের সাথে ঈদের সময়টুকু কাটাতে চাই।’
ঈদের খুশির কথা বলতে গিয়ে সবার আগে বলেন তার ছোট মেয়ের কথা। ‘ঈদের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি আমার মেয়ের সাথে থাকতে পারব, এটাই আমার ঈদ আনন্দ। তবে ঈদে রান্নার কিছু ঝামেলা থাকে সেটাও করতে হবে। তবুও তো আমার মেয়েটা আমার কাছে থাকবে।’

 

mehjabi-1

মেহজাবিন
ঢাকাতেই ঈদের সময় কাটাবেন অভিনেত্রী মেহজাবিন। বন্ধুদের সাথে বিকেলে বেড়াতে বেরোনোর ইচ্ছে রয়েছে তার। তার কাছে ঈদের আনন্দ মানে ঢাকার ফাকা রাস্তা। বন্ধুবান্ধব নিয়ে লংড্রাইভে বের হতে পারলে তার কাছে উৎসবের উচ্ছ্বাস পূর্ণতা পায়। মেহজাবিন বলেন, ‘অবসর বা ছুটিতে লংড্রাইভে যাওয়ার ইচ্ছে সব সময় জাগে মনে। কিন্তু ঢাকার যে জ্যাম তাতে এই ইচ্ছেটা মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা হিসেবেই রেখে দিতে হয়। ঈদের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাওয়া যায়।’

 

moushumi-hamid
মৌসুমী হামিদ
গ্রামের বাড়ি খুলনাতেই প্রতি বছর ঈদের সময় কাটান অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে ঈদের আগের দিনই পৌঁছে যাবেন বাড়ি।  

 

sagota

স্বাগতা
এ ছাড়া ঢাকায় পরিবারের সাথেই ঈদের উৎসব উৎযাপন করবেন অভিনেত্রী স্বাগতা। তার কাছে ‘ঈদ মানেই শান্তির ঘুম। পরিবারের সাথে থাকতে পারি অনেকটা সময়, এটা ঈদের আনন্দের মধ্যে অন্যতম।’ ঈদে ভালো লাগার সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভালো লাগার মুহূর্ত বলতে পারব না, তবে একটা তৃপ্তি অনুভব করি যখন মনে হয় আমাকে কেউ শটের জন্য ডাকে না। অর্থাৎ শুটিংয়ের জন্য আমার কোনো পিছুটান থাকে না।’

 

nawshaba

নওশাবা
অভিনেত্রী নওশাবা বলেন, ‘আগেরবারের মতোই এবারো ঢাকায় পরিবারের সাথে ঈদ করব। ঈদের রুটিনের সবটুকু সময়জুড়ে থাকবে আমার মেয়ে আর রান্নাবান্না।’ সবচেয়ে আনন্দের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদের প্রতিটি মুহূর্ত আমার ভালো লাগে নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারি বলে।’

 

konal

কোনাল
পরিবারের সাথে ঢাকায় ঈদ করবেন কণ্ঠশিল্পী কোনাল। তার কাছে ঈদের সবচেয়ে আনন্দের দি হলো, সকালবেলা উঠে গোসল সেড়ে নতুন জামা ছোট-বড় সবার সাথে কুশল বিনিময় করা। তিনি বলেন, ‘সকালবেলা শুভেচ্ছার সাথে ঈদি আদায় করার মজা করার আনন্দ আমি কখনোই মিস করি না।’

 

kkon

কণা
কণা ঈদ করবেন ঢাকায়। তবে বিকেলের দিকে দাদার বাড়ি গাজীপুরে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তার।
কণা বলেন, ‘ঈদ মানেই অবসর। ব্যস্ততার মাঝে যেটুকু অবসর সময় কাটাতে পারি, তার পুরোটুকুই আমার ভালো লাগার মুহূর্তের মধ্যে পড়ে। ঈদের এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৪ জুলাই ২০১৪ই.

রঙিন সুতার কারিগরদের রঙহীন ঈদ

 

36

 

আবদুর রাজ্জাক ঘিওর, মানিকগঞ্জ: আমার ১২ বছরের ছেলে নাইম বায়না ধরছে। মা এরকম সুন্দর একটা পাঞ্জাবি আমারে দিতে হবে। কিন্তু কেমনে বুঝাবো ছেলেরে, এগুলো অনেক দামি, এগুলো আমাগো মতো মানুষের জন্য না। কথাগুলো বলতে বলতে ছালমা আক্তার অশ্র“ সংবরণ করতে পারলেন না। ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন। বাড়ইল গ্রামের ছালমা আক্তার অনেকটা আবেগের সুরে জানালেন তার জীবনের করুণ কাহিনী। তিন বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর সেলাইয়ের কাজ করে এক ছেলেকে নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। বাড়িতে এনে পাঞ্জাবির নকশার কাজ করেন। আর সেই টাকায় চলে সংসার।

 

রোজার এ শেষ সময় ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার নারী থ্রিপিস, পাঞ্জাবি, ফতুয়ায় নকশা তোলার কাজে ব্যস্ত। ঈদ সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে তাদের এই ব্যস্ততা। এখানকার নকশাতোলা পাঞ্জাবি, ফতুয়া বিক্রি হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। রফতানি হয় কানাডা, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে।
যাদের শ্রম ও ঘামে আর স্বপ্নের মাধুরী মিশ্রিত সুনিপুণ হাতের সেলাই ও নকশা করা ড্রেসে দেশের অভিজাত মানুষের মন বর্ণিল হয়ে ওঠে, তাদের কথা আমরা কি কেউ ভাবি? তারা যে কতটা দৈন্যদশার আবর্তে জীবনযাপন করছেন তা নিজ চোখে না দেখলে বোঝার উপায় নেই।  

 

রাথুরা গ্রামের অজিফা বেগম বলেন, ‘আমাদের হাতে সুন্দর সুন্দর পাঞ্জাবি তৈরি হয়, সেগুলো অনেক দাম দিয়ে দামীদামি মানুষেরা পরেন; কিন্তু আমরা খালি চাইয়াই থাকি, পরনের ভাগ্য হয় না।’ তার সাথে আলাপকালে জানা যায়, একটি পাঞ্জাবিতে সুইসুতার নকশা করে তারা পান ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। একটি পাঞ্জাবির কাজ শেষ করতে তাদের তিন-চার দিন লাগে। তিনি বলেন, ‘এই অল্প আয় দিয়ে কি আর দামি কাপড় চোপড় কিনা যায়। অসুস্থ স্বামীর জন্য একটি লুঙ্গি আর ছেলে মেয়ের জন্য ফুটপাথ থেকে জামা কাপড় কিনছি।’

 

এবার ঈদে নিজের জন্য কী কিনবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জাবরা গ্রামের বিধবা শরীফা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, দিন রাইত খাইটা যা পাই তা দিয়া সংসারই চলে না। তার পরও কিছু টেকা (টাকা) ছেলেমেয়ের মুখের দিকে চাইয়া জমাইছি। মানিকগঞ্জ হকার্স মার্কেট থেইকা কিছু নতুন জামাকাপড় কিনা দিমু। দুঃখ অয় আমাগো হাতের কাজের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রিপিস শুনি অনেক দামি আর বিদেশ যায়, আর আমরাই ঈদ করি জাকাতের কাপড় দিয়া।’

 

প্রায় এক যুগ আগে মানিকগঞ্জে শুরু হয়েছিল পাঞ্জাবির গায়ে সুইসুতা দিয়ে নকশা তোলার কাজ। প্রথম দিকে অনেকেই বাঁকা চোখে দেখতেন নারীদের এ কাজকে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। গত এক দশকে এ নকশার কাজে নীরব বিপ্লব ঘটেছে মানিকগঞ্জ জেলায়। এখন প্রায় ৩০ হাজার নারী যুক্ত আছেন এ কাজে।
ব্র্যাকের ম্যানেজার শ্যামল কুমার দাশ জানান, প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে এ জেলায় সর্বপ্রথম বেকার ও দুস্থ নারীদের পোশাকের ভরাট কাজের ওপর প্রশিণ দেয়া হয়। আয়শা আবেদ সেন্টার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার নারীকে প্রশিণ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ সেন্টারের আওতায় পাঁচ হাজার নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তাদের কারো কারো মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তিনি আরো বলেন, এ বছর ঈদকে সামনে রেখে শুধু ব্্র্যাকই দেড় লাখ পিসের ওপরে পণ্য সরবরাহ করবে।

ুদ্র ও কুটির শিল্পে দেশের একমাত্র সিআইপি জননী ক্রাফটস অ্যান্ড ফ্যাশনের মালিক রফিকুল ইসলাম পরান জানান, তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরে বসে সারা বছর কাজ করেন প্রায় চার হাজার নারী।

 

নকশীর অন্যতম কর্ণধার রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস মাসুদ জানান, তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার মহিলা পাঞ্জাবি-ফতুয়ায় ভরাট কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। ইউসুফ-ইব্রাহিম হ্যান্ডিক্র্যাফটের পরিচালক মো: ইউসুফ জানান, তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার শ্রমিক সম্পৃক্ত রয়েছেন। বর্ণালী প্রিন্টার্সের মালিক মো: ইছহাক জানান, তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এ বছর ঈদ সামনে রেখে প্রায় ৫০ হাজার পিস পণ্য বাজারজাত করা হবে।
কেউ কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে আবার কয়েকজন মিলে ুদ্র ুদ্র সঞ্চয় এক করে শুরু করেছেন এই হ্যান্ডিক্র্যাফটের ব্যবসা। জেলার সদর উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নে, শিবালয়, ঘিওর, সাটুরিয়া, হরিরামপুর, সিংগাইর ও দৌলতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে চলছে এই ভরাটের কাজ। কোথাও টিনের শেড তুলে আবার কোথাও নিজ ঘরে বসেই চলছে সুইসুতার এই নান্দনিক কাজ। অনেকেই সারা বছর এ কাজ না করলেও ঈদ সামনে রেখে লেগে যান সুইসুতা হাতে। স্কুল-কলেজের ছাত্রী, গৃহবধূসহ অনেকেই হয়ে যান মওসুমি কারিগর। এ সময়টি অনেকটা উৎসবে রূপ নেয় এই অঞ্চলে।

 

ন্যায্য মজুরি না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন এসব নারী। একটি পাঞ্জাবিতে সুইসুতার নকশা করে তারা পান ৯০-১৫০ টাকা। একটি পাঞ্জাবির কাজ শেষ করতে তাদের চার-পাঁচ দিন লাগে। প্রতিদিন গড়ে ছয়-সাত ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সে হিসেবে তাদের মজুরি খুবই কম।

 

এ ব্যাপারে মির্জাপুর রাজবংশী পাড়ার স্বামী পরিত্যক্তা সন্ধ্যা রানী রাজবংশী বলেন, ‘তিনটি পাঞ্জাবিতে নকশার কাজ করতে গিয়ে ডিজাইন ভুল হয়েছিল। এর জন্য আমারে কোনো মজুরি দেয় নাই। হিন্দু অইলেও প্রত্যেক ঈদে নতুন কাপড় কিনে মুসলমান বান্ধবীদের বাড়ি বেড়াইতে যাই, কিন্তু এবার আর তা অইলো না।’ ঘিওর উপজেলার সাইংজুরী গ্রামের মুক্তা আক্তার, নারগিছ বেগম, নাছিমা, সীমা আক্তার জানান, ‘পেটের ভাতই জুটে না আবার দামি কাপড়চোপড় কিনব কেমনে।’

 

ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, হাতের কাজের নকশা করা পাঞ্জাবির ৭০ শতাংশই মানিকগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়। এ এলাকায় এ কাজ হওয়ায় অনেক নারীরই সামান্য হলেও আয় করতে পারছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো তারা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন কি-না। তাদের  ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা গেলে তারাও ভালোভাবে ঈদ করতে পারত। বঞ্চিত হতো না ঈদের আনন্দ থেকে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৪ জুলাই ২০১৪ই

বিজ্ঞান মানেই চার মলাটে বাঁধা : ড. জেবা ইসলাম সেরাজ

 

55

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: শৈশবে বাবা-মা উভয়েই আমাকে মজার মজার বই উপহার দিতেন। পড়াটা ছিল আমার কাছে মজার বিষয়। আমার মেয়েরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়েছে। ওদের বিজ্ঞানবিষয়ক বইগুলো ছবিসহ অনেক সুন্দর ও সহজ পাঠ্য ছিল। ওরা কৌতূহলভরে বইগুলো পড়ত। ওদেরই বন্ধু যারা বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করত তাদের বিজ্ঞানবিষয়ক বইগুলো ছিল সাদামাটা। পাঠের সঙ্গে কোনো ছবি নেই। বিষয়গুলো পড়ার প্রতি আগ্রহ জাগাবে এমনভাবে উপস্থাপনও করা হয়নি। তাদের কেউ কেউ শিক্ষকের সহযোগিতা নিয়ে বিজ্ঞানে ভালো ফলাফল করেছে। যাদের শিক্ষক রাখার সামর্থ্য নেই তারা ভালো ফলাফল তো দূরের কথা ভালো করে বিজ্ঞানকে জানতেও পারছে না। অথচ প্রত্যেক শিশুর কাছেই পড়াটা মজার বিষয় হওয়া দরকার। যে কোনো বিষয়ে শেখা আনন্দের হওয়া জরুরি। আর এই আনন্দ কয়েক গুণ বেশি হওয়া উচিত যখন বিষয়টি হয় বিজ্ঞান। কারণ, বিজ্ঞান মানেই চার মলাটে বাঁধা শুধু একটা বই নয়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলতে, ফিরতে বিজ্ঞানের ভূরি ভূরি বাস্তব উদাহরণ আমরা দেখি। সেটিই বিজ্ঞান শিক্ষাকে প্রাঞ্জল ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আবার উল্টো দিক থেকে দেখলে, বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে করে তোলে সহজ ও আরামপ্রদ। বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সেরাজ।

 

জেবা ইসলামের শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে দেশ এবং দেশের বাইরে। তার বাবা আহমেদ শামসুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি গবেষণা এবং লেখালেখিও করেন। তার বাবা বাংলায় বায়োটেকনোলজি বিষয়ক একটি বই সম্পাদনা এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জেনেটিক্স বিষয়ক একটি বই লিখেন। যেটি উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অনার্সে পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হচ্ছে। মা হুমায়রা ইসলাম ছিলেন শিক্ষক। বাবা-মা উভয়ই শিক্ষকতা পেশায় জড়িত থাকার কারণে তার বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ ছিল। সেই পরিবেশে বড় হওয়ার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে জেবা ইসলাম পেশাগত জীবনে শিক্ষকতার পেশা বেছে নেন। ভাই-বোনদের মধ্যে জেবা ইসলাম সেরাজ মেঝো। বড় ভাই ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক। ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসী। পেশায় আইটি বিশেষজ্ঞ।

 

জেবা ইসলাম মুক্তিযুদ্ধকালীন বছর দুয়েক হলিক্রস, বছর দুয়েক জেভিয়ার্স সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে পড়েন। এরপর চলে যান দেশের বাইরে। কেনিয়ার একটি স্কুল থেকে ও লেভেল এবং এ লেভেল করেন। দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞানে বিএসসি অনার্স ভর্তি হন। ১৯৮১ সালে প্রথম শ্রেণীতে বিএসসি অনার্স এবং ১৯৮২ সালে প্রথম শ্রেণীতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এমএসসির ফলাফল বের হলে ওই বছরই তিনি পিএইচডি পড়ার জন্য গ্লাসগও ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। ১৯৮৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে লিভারপুল ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরালের জন্য ভর্তি হন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পনের মাসের পোস্ট ডক্টরাল করেন তিনি। দেশে ফিরে ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগে সহকারি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি গবেষণা এবং লবণ সহনশীল ধান উদ্ভাবনে কাজ করছেন। এ দেশের সাধারণ বাংলা মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান পড়াকে আরও আনন্দময় করে তোলার জন্য চমৎকার ইলাস্ট্রেশন সমৃদ্ধ একটি বই বের করার সিদ্ধান্ত নেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার দুই মেয়ে সামিয়া সেরাজ ও সারাহ সেরাজ। তার স্বামী ড. তৌফিক এম সেরাজ বই প্রকাশ করেন।

 

জেবা ইসলাম সেরাজ বলেন, নাসরীন সুলতানা মিতু, আতিয়ার রহমান ও আমি বিজ্ঞানের মজার পাঠশালা বইটি লিখেছি। বইয়ে সুন্দর সুন্দর ইলাসট্রেশন করেছেন নাসরীন সুলতানা মিতু। বইটির দুই হাজার কপি ছাপানো হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বইটি দেয়া হেব। সবার সহযোগিতা পেলে এই বইয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে বইটি তুলে দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে। শিশুরা বিজ্ঞানকে সহজভাবে জানুক, বিজ্ঞানকে ভালোবাসুক সেটা ভেবেই বইটি প্রকাশ করা হয়েছে।

 

পারিবারিক জীবনে জেবা ইসলাম সেরাজের স্বামী ড. তৌফিক এম সেরাজ শেলটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দুই মেয়ে সামিয়া সেরাজ ও সারাহ সেরাজ দু’জনেই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সামিয়া মেটারিয়াল সায়েন্সে পিএইচডি করছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৪ জুলাই ২০১৪ই

ন্যায্য মজুরি বঞ্চিত নারী শ্রমিকরা

 

 

4_125584

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম:‍ খেজুরডাঙ্গার শাহিদা খাতুনের স্বামী নিয়ামত আলী গ্রামপুলিশে চাকরি করেন। দুই মেয়ের মধ্যে লিপিয়া দশম ও পাপিয়া পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে। পাঁচ বছর ধরে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে শাহিদা কাজ করেন সুন্দরবন টেক্সটাইলে। ভিটাবাড়ির দুই কাঠা জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। ন্যায্য মজুরি পান না এ ব্যাপারে মালিক পক্ষকে কিছু বলেন না জানতে চাইলে শাহিদা খাতুন বলেন, পরিবারের এতগুলো মানুষের মুখের ভাত জোগানো কি চাট্টিখানি কথা। নিরুপায় হয়ে এখানে কাজ করি। রাতে কাজ করলে আরও ১০ টাকা বেশি পাই। তবে এখানে চাকরির নিশ্চয়তা আছে, নিরাপত্তা আছে।

 

পুরাতন সাতক্ষীরার আঞ্জুয়ারা বেগম এখানে কাজ করে ১৯ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ে নাজমুন নাহারকে বড় করে তুলেছেন। আরেক মেয়ে তাজমিরা ও দুই ছেলে মাহমুদ ফিরোজ ও ইমরান কলেজ ও কামিল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। স্বামী ওসমান তরফদার ভ্যান চালান। পাঁচ বছর ধরে মিলশ্রমিকের চাকরি করেন। আঞ্জুয়ারা বলেন, এখানে সম্মান আছে কিন্তু ন্যায্য মজুরি নেই। কোনো কাজ নেই বলে বেছে নিয়েছি সুন্দরবন বস্ত্রকলের এই চাকরি। ভিটেবাড়ি বলতে সামান্য জমি আছে।

 

১৪ বছর ধরে দৈনিক টানা ৮ ঘণ্টা কাজ করেন সখিনা খাতুন। মজুরি পান ১১০ টাকা। স্বামী মোসলেম সরদার দিনমজুর। দুই ছেলে শাজাহান ও সুজন তারাও কাজ করে মাঠেঘাটে।

 

সখিনা জানান, এতগুলো মানুষের মুখের গ্রাস তুলে দিতে স্বামী-সন্তান সবাই মিলে কাজ করেও টেনে উঠতে পারছেন না। অভাবের কারণে মিলে এসেছেন। এই চুক্তিতে কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হবে তাদের।
শহরের কাটিয়ায় ভাড়া বাড়িতে কাজের জন্য থাকেন হাসিনা খাতুন। হাসিনার দিনপ্রতি আয় ১১০ টাকা আর ভ্যানচালক দিনমজুর স্বামীর কোনো দিন আয় ১০০ টাকা কোনো দিন কম অথবা বেশি। নিজের জমি বলতে কিছুই নেই হাসিনার। কাজের খোঁজে সাতক্ষীরায় এসে সুন্দরবন বস্ত্রকলে চাকরি নেন তিনি। সংসারে অভাব লেগেই থাকে। অসুখ-বিসুখ তো আছেই। এভাবেই কাটে আট বছর। হাসিনা বলেন, বস্ত্রকলে কাজ করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনায় পড়েছি। শাড়ি, ওড়না অনেক সময় মেশিনে পেঁচিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছি।

 

সাতক্ষীরার অদূরে নলকূড়া গ্রামের দুই কাঠা জমিতে মনোয়ারার বসতভিটা। দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছেলে দিনমজুর আর মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন তিনি। ঘরে স্বামী আবদুল মজিদ ও শাশুড়িও অসুস্থ। সাত বছর ধরে মিলে কাজ করেন মনোয়ারা। মনোয়ারা বলেন, ১১০ টাকায় সংসার চলে না।

 

ইটাগাছার সুচিত্রা মণ্ডল সুন্দরবন বস্ত্রকলে শ্রমিক, স্বামী নির্মল মণ্ডল পৌরসভা, আর ছেলে সমীর মণ্ডল হাসপাতালের সুইপার হিসেবে কাজ করে।

 

সুচিত্রা বলেন, আশাশুনির বলাবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি। সেখানে কাজ না থাকায় সাতক্ষীরায় চলে আসি সপরিবারে। মাত্র ১০০ টাকায় দিনমজুর খেটে সংসার চালিয়েও দেড় শতক জমি কিনে ছোট্ট একটি বাড়ি করেছি। কিন্তু এত শ্রম দিয়েও ন্যায্য মজুরি পাই না।

 

সাতক্ষীরার দেবনগরের আকলিমা খাতুন এক ছেলে, এক মেয়ের মা। কালিগঞ্জের শ্বশুরবাড়িতে কোনো সহায় সম্পদ নেই। স্বামী জিল্লুর দিনমজুরি খেটে যা আয় করে তার সঙ্গে নিজেরটা মিলিয়ে বাপের ভিটেতেই রয়েছেন তিনি। আকলিমা বলেন, দৈনিক ১০০ টাকা মজুরিতে কাজ করি। সকাল ৬টায় তিন কিলোমিটার হেঁটে মিলে কাজ করতে আসি। এই মিলে দুই শতাধিক নারী শ্রমিক রয়েছেন। সবার অবস্থায়ই তার মতো। রাষ্ট্রায়ত্ত এই মিলটি বর্তমানে সার্ভিস চার্জের ভিত্তিতে চালু থাকায় তারা সামান্য টাকা মজুরি পান।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৪ জুলাই ২০১৪ই

ঈদের সকালে হালকা মেকআপ

pinku

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ঈদ মানেই আনন্দের দিন। আর এই আনন্দের দিনে নতুন পোশাকের সাথে একটু সাজগোজ না করলে কি হয়? আর তাই ঈদের দিনকে কেন্দ্র করে পার্লার গুলো রেখেছে সাজের নানান অফার। কিন্তু পার্লারে গিয়ে সাজতে হলে তো প্রয়োজন অনেক অর্থ এবং সময়ের। ইচ্ছে করলে নিজেই করে নিতে পারবেন ঈদের সকালের মেকআপ। জানতে চান কীভাবে? জেনে নিন ঈদের সকালের মেকআপের সহজ পদ্ধতি –

 

প্রথমে পুরো ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে মুছে নিন। এরপর ত্বকের রং এর সাথে মিলিয়ে ন্যুড রং এর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি ফাউন্ডেশন ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন তাহলে গার্নিয়ার বি বি ক্রিম অথবা ত্বকের রং এর সাথে মিলিয়ে প্যানকেক ও ব্যবহার করতে পারেন বেস মেকআপের জন্য। বেস মেকআপ অবশ্যই ভালো করে মিশাবেন।

 

চোখের উপরে পাতায় কাজল একে নিন। এতে চোখের পাতা বেশ ঘন মনে হবে। এরপর চোখের পাতায় লাইট গোল্ডেন আই শ্যাডো দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন ব্রাশ দিয়ে। ব্রাউন আই শ্যাডো চোখের পাতার মাঝের ভাজের বাইরের ও ভেতরের দিকে লাগিয়ে নিন। মাঝের অংশ বাদ দিয়ে লাগাবেন।

 

এরপর একটি ব্রাশ দিয়ে ভালো করে আই শ্যাডো মিশিয়ে নিন। এতে ন্যাচারাল লুক আসবে। এরপর আগের স্থানেই আরেকটু গাঢ় ব্রাউন আই শ্যাডো লাগিয়ে আবারও মিশিয়ে নিন।

 

চোখের পাতায় কালো আইলাইনার দিন পছন্দের শেপে। এরপর ইচ্ছে করলে আইলাইনার এর নিচে রুপালী আই লাইনার অথবা সাদা কাজল দিয়ে চিকন করে টান দিয়ে নিন। এর নিচে আবার কালো আইলাইনার দিয়ে চিকন লাইন একে দিন। এতে উৎসবের আমেজ আসবে সাজে। এরপর চোখের নিচে ব্রাউন আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। চোখের উপরের ও নিচের পাপড়িতে মাসকারা লাগিয়ে নিন। ইচ্ছে করলে আইল্যাশ গ্লু দিয়ে আইলাইনারের পাশে স্টোন লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে পার্টি না থাকলে স্টোন না লাগানোই ভালো।

 

চোখের নিচের কোলে কালো কাজল লাগিয়ে নিন। এরপর পুরো মুখে লুস পাউডার লাগিয়ে নিন। আরেকটু গর্জিয়াস লুক চাইলে সামান্য শিমার মিশিয়ে নিতে পারেন। এরপর মুখের আকৃতি আরেকটু সুন্দর ও স্লিম দেখাতে গালের দুই পাশে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। এরপর গালের উপরে হালকা গোলাপি অথবা পিচ ব্লাশন লাগিয়ে নিন। আপনার নাক যদি খাঁড়া না হয় তাহলে নাকের দুই পাশেও সামান্য খয়েরী রং এর ব্লাশন লাগিয়ে নিন। এতে নাক খাড়া দেখাবে। সব শেষে ঠোটে লাগিয়ে নিন লাল অথবা কমলা রং এর লিপস্টিক। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার ঈদের দিনের সকালের মেকআপ।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৯ জুলাই ২০১৪ই.

ঈদে নকশা'য় নানা নকশার ফার্নিচার

C5Edh

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ঈদ উপলক্ষে নকশা ফার্নিচার লিমিটেড নিয়ে এসেছে নতুন ডিজাইনের ফার্নিচার। তাদের মিরপুরের শোরুমে সাজানো ফার্নিচারগুলো দেখে নিজের পছন্দ মতো বেছে নিতে পারেন। নকশা ফার্নিচার লিমিটেডের কার্যক্রম শুধু দেশেই না; তারা জাপান, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে ফার্নিচার রপ্তানি করে আসছে সুনামের সাথে। ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে সুখ্যাতির সাথে ফার্নিচার জগতে অনন্য হয়ে উঠছে প্রতিষ্ঠানটি।

নকশা’র সেলস ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জানান, নকশার স্লোগান হচ্ছে – “It’s All About Design”। আমাদের ফার্নিচারের ডিজাইন নান্দনিক ও শৈল্পিক। উন্নত কাঠ দিয়ে কাঠের ফার্নিচারগুলো তৈরি হয়।

গুণগত মানের ক্ষেত্রে নকশা কখনো কম্প্রোমাইজ করে না।

তিন আরো জানান যে তাদের রয়েছে হোম ফার্নিচার, অফিস ফার্নিচার, ডোর এন্ড ফ্লোর, কিচেন ইন্টারিওর আর গার্ডেন ফার্নিচারের কালেকশন। এগুলো তৈরি করা হয় চট্টগ্রামের কারখানায়।
হোম ফার্নিচারের মাঝে রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের সোফা, ডিভাইন, সেন্টার টেবিল, ওয়ার্ড্রব, ডায়নিং টেবিল, সোকেস, টিভি কেবনেট, মিনি কেবিনেট, কর্নার টেবিল, ডিনার ওয়াগন। রয়েছে অফিস ফার্নিচারের বিশাল সম্ভার।

DSC_0

 

ডিজাইন অনুযায়ী দামের রকমফের আছে। তবে ম্যানেজার ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আমরা এবার ৪০% পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি। পাঠকরা দেখে আসতে পারেন নকশা ফার্নিচার লিমিটেডের ওয়েব সাইট থেকে তাদের বৈচিত্রময় ফার্নিচার কালেকশন। তবে শোরুমে গিয়ে দেখলে আপনি পাবেন কাঠের মান ও রঙ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা। আসছে ঈদে আপনার ঘর সাজিয়ে তুলুন নতুন ফার্নিচারে। ঈদ হোক আনন্দের। অগ্রিম ঈদ মুবারক।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৮জুলাই ২০১৪ই.

রঙের হাতব্যাগ কালেকশন

1

অপরাজিতাবিডি ডটকম : দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সবার সামনে তুলে ধরার লক্ষে ১৯৯৪ সালের ২০’ শে ডিসেম্বর চার জন তরুণ রঙ ফ্যাশন হাউজ প্রতিষ্ঠা করেন। রঙ ফ্যাশন হাউজের প্রধান কার্যালয় নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে রঙ ফ্যাশন হাউজের ১১ টি শাখা রয়েছে। রঙ ফ্যাশন হাউজ মূলত একটি বুটিক হাউজ। ফ্যাশন হাউজটি বিশেষ কারুকার্য ও নকশার জন্য সুপরিচিত।

ঈদ উপলক্ষে ফ্যাশন হাউজ রঙে এসেছে দারুণ জমকালো ব্যাগের একটা বিশাল কালেকশন। মার্কেট ঘুরে বোঝা গেল, অন্য যে কোন হাউজের চাইতে রঙের কালেকশনটাই সবচাইতে বেশি আকর্ষণীয় ব্যাগের ক্ষেত্রে। ডলার বসানো ও সুতার কাজ করা বটুয়া ব্যাগ ছাড়াও আকারে ছোট একাধিক পকেটবিশিষ্ট সুতায় বোনা পার্টি ব্যাগ পাওয়া যাবে এখানে। দাম ২৯০-৭০০ টাকা আছে হরেক রকম নকশা ও রঙের বাহার। আসুন, দেখি রঙের হাত ব্যাগ কালেকশন থেকে দারুণ কিছু ডিজাইন।

2

লেদারের তৈরি ভিন্ন ধর্মী ব্যাগ। দামটাও হাতের নাগালে।

3এই ব্যাগটিও লেদারের। তবে অনেক রঙে বাহারি।

8

দারুণ একটি হাল ফ্যাশনের ব্যাগ।
4
ভেলভেটের আভিজাত্য।
5
ব্যাগের কারুকাজে কাতান কাপড়ের ব্যবহার চোখে পড়ার মত।
6
নীল রঙের আধিক্য চোখে পড়ছে বেশ।
7
বহনে সুবিধা ও স্টাইলিশ।
 
অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৮ জুলাই ২০১৪ই.

 

 

তাদের ঈদ ব্যস্ততা

jori20140714194514শাড়িতে জরি ও পুঁতি বসানোর কাজ চলছে

 

 

তানভীর হাসান তানু, ঠাকুরগাঁও : আসন্ন ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কয়েকটি গ্রামের নারীরা। সংসারের কাজের পাশাপাশি দিনরাত পরিশ্রম করে শাড়ি ও বিভিন্ন কাপড়ে জরি, পুঁতি বসানোর কাজ করছেন তারা। প্রত্যাশা বাড়তি আয় করে সংসারে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য আনা। তবে মজুরি কম পাওয়ায় অনেকটাই হতাশ তারা।

 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ, মুন্সিরহাট, চিলারংসহ আশপাশের ৭টি গ্রামের ৭ শতাধিক নারী এখন হাতের কাজ করে বাড়তি আয় করছেন। শাড়িতে জরি ও পুঁতি বসানোর কাজ করে সংসারে কিছুটা আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন এসব নারী।

 

সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই কাজ করছেন তারা। অভাবের সংসারে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে এমন অনেক কিশোরীও যুক্ত হয়েছে এই শিল্পের সঙ্গে। আবার স্বামীহারা অনেক নারী থেমে যাওয়া সংসারের চাকা সচল করতে নেমে পড়েছেন এই কাজে। তাদের নকশা করা হাজার হাজার শাড়ি প্রতিসপ্তাহে চলে যাচ্ছে রাজধানীর অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতে। সেখানে প্রতিটি শাড়ি বিক্রি হয় ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

 

প্রতিটি শাড়িতে হাতের কাজ করতে সময় লাগে কমপক্ষে ৫ দিন। এ কাজ পেতে হলে শাড়িপ্রতি জামানত রাখতে হয় এক হাজার টাকা। কোনোভাবে শাড়ির কোনো ক্ষতি হলে সেখান থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। তাদের মজুরি দেওয়া হয় ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

 

সালেহা ও নাজনীন বেগম জানান, এ কাজে যে পরিশ্রম, সে অনুযায়ী মজুরি কম পাচ্ছি। তবে বসে না থেকে সংসারের প্রয়োজনেই এ কাজ করছি। এই শিল্পে সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা এগিয়ে আসতো তাহলে সংস্থাটির পাশাপাশি আমরাও লাভবান হতে পারতাম।

 

মুন্সিরহাট এলাকার সাইফুল আলম জানান, সংসারে অভাব, তাই স্ত্রী এ কাজ করছেন। তবে উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাওয়া গেলে সংসারে স্বচ্ছলতা আসতো।

 

দরিদ্র এসব নারীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ঢাকার যুবক সোহেল খান। তিনি শাড়িতে নকশার সিল বসিয়ে পাঠিয়ে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের ওই নারী কর্মীদের কাছে। তারা সেই শাড়িতে নিপুণ হাতে জরি ও পুঁতি বসান। এই নারী কর্মীদের কাজ করা শাড়ি ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

 

ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোরশেদ আলী জানান, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা হাতের কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কিন্তু অনেক নারী তাদের শ্রমের নায্যমূল্য পাচ্ছেন না। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাইরের কাজ যোগাড় করা গেলে হয়তো তাদের কাছ থেকে ন্যায্য মজুরি পাওয়া যেত। তবে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কেউ এগিয়ে এলে এই নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লড়াই অনেকদূর অবধি যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৮ জুলাই ২০১৪ই.

এ কেমন বর্বরতা

(1)বর্বরতার শিকার গৃহবধূ জেসমিন (ছবি : লোকমান আলী )

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, লোকমান আলী, নওগাঁ : যৌতুকের দাবিতে নওগাঁর মান্দায় জেসমিন নামের এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে দিয়েছেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন।

 

বর্বর এ ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষান্ত হয়নি পাষণ্ডরা, এক শিশুসন্তানসহ জেসমিনকে পাঠিয়ে দিয়েছে তার বাবার বাড়িতে। ন্যায়বিচারের আশায় ওই গৃহবধূ মামলা করে আসামিদের হুমকি আর আতঙ্কে পার করছেন দিন।

 

এ ঘটনায় স্বামীসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হলেও পুলিশ এখনো ঘটনার মূল হোতা শাশুড়ি ও ননদকে আটক করতে পারেনি।

 

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের দিনমজুর আব্বাস আলীর মেয়ে জেসমিনের সাত বছর আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী গ্রামের খলিলের ছেলে রুবেলের সঙ্গে। বিয়ের সময় আব্বাস আলী তার সহায়সম্বল বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন জামাই রুবেলের হাতে।

 

যৌতুকের এ টাকা কিছুদিনের মধ্য ফুরিয়ে গেলে শুরু হয় জেসমিনের ওপর আরো টাকা এনে দেওয়ার চাপ। জেসমিন জানিয়ে দেয় তার দরিদ্র বাবার পক্ষে আর কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এতে আরো বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা।

 

সবশেষ গত ১৩ জুলাই স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ যৌতুকের টাকা না পেয়ে জোরপূর্বক জেসমিনের মাথার চুল কেটে পাঠিয়ে দেয় বাবার বাড়িতে। বর্বর এ ঘটনায় জেসমিনের বাবা আব্বাস আলী মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ রুবেলকে আটক করে আদালতে দিয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনার পর থেকে জেসমিনের শাশুড়ি রাহেলা বেগম এবং ননদ বেবী খাতুন পলাতক।

 

মান্দা ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ আহম্মেদ হিন্দোল জানান, ঘটনার পর জেসমিনকে আইনগত সহায়তার জন্য সব রকম সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নারী নির্যাতনের এমন বর্বর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে অপরাধপ্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, মামলা করার পর আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৭ জুলাই ২০১৪ ই.

মহেশপুরে শ্বাশুড়ীর অত্যাচারে স্বামীর ঘর ছাড়া আনেহার

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নে অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের কন্যা আনেহার খাতুন (২২) কে শ্বাশুড়ী অত্যাচার করে ঘর ছাড়া করেছে। জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মো. আলী হোসেনের পুত্র বাবুল হোসেন (২৫) এর সাথে গত ৪ জানুয়ারী ২০১৪ তারিখে ১ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্যে আনেহার খাতুনের বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের ২ মাস পার হতে না হতেই পিতৃহারা আনেহার শ্বাশুড়ী কর্তৃক শারিরীক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতিত হয়ে বর্তমানে পিতার বাস গৃহে অবস্থান করছে।

 

পিতৃহারা আনেহারের সুখের কথা চিন্তা করে তার বড় দুলা ভাই মো. শুকুর আলী বাবুলকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও সংসারের যাবতীয় জিনিস দেয়। বিবাহের ১৫ দিন পর বাবুল ঢাকা চলে যায়। সেখানে সে গাড়ী চালায় বলে জানা গেছে। এদিকে আনেহারের অর্থলোভী শ্বাশুড়ী ফুলমতি খাতুন বউকে আরো যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে এমতাবস্থায় পিতৃহারা আনেহার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার শ্বাশুড়ী শারিরীক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন শুরু করলে অতিষ্ট হয়ে সে পিত্রালয়ে ফিরে আসে। স্বামী আনেহারের কোন খোঁজ খবর রাখে না। এ ব্যাপারে অসহায় আনেহার ন্যায় বিচার পাবার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৭ জুলাই ২০১৪ ই.

যৌতুকের বলি হল কোটচাঁদপুরের মুক্তা রায় মিতু

nnn

অপরাজিতাবিডি ডটকম : যৌতুকের বলি হল মুক্তা রায় (মিতু)। তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার পায়তারা চালাচ্ছে স্বামী চিরঞ্জিত বিশ্বাস। মিতু কোটচাঁদপুর সলেমানপুরের ভজন রায়ের মেয়ে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

মিতুর পিতা ভজন রায় জানান, ২০০৮ সালের দিকে যশোরের মনিরামপুর খেদাপাড়া গ্রামের চিত্ত বিশ্বাসের ছেলে চিরঞ্জিতের সাথে মিতুর বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে দেয়া হয় নগদ ৬০ হাজার টাকা, স্বর্ণাংলকার, কাপড়-চোপড়, ও আসবাবপত্র। বিয়ের প্রথম বছর তাদের সংসার জীবন ভালই কাটে। শুরু হয় জামাই চিরঞ্জিতের যৌতুক দাবী। মাঝে মধ্যে সে মেয়ে পাঠিয়ে কখনও ১০ হাজার, কখনও ২০ হাজার টাকার নিয়ে যেত। 

 

তবুও তাঁর যৌতুকের নেশা বন্ধ হয়। সে প্রায়ই মেয়েকে মারধর করত। গেল দুই বছর যাবৎ তাঁর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। আর তার বহির প্রকাশ ঘটে গত ৯ জুলাই তাঁর নিজ বাড়ি খেদাপাড়ায়। মিতুকে স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী মিলে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আড়াই ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারা আমাকে খবর দেয় তোমার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম মেয়ে মাটিতে শুয়ে আছে। বাড়িতে আর লোকজন নাই। তারা মেয়ে কে হত্যা করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এরমধ্যে এলাকায় একটা বিষয় চাউর হতে থাকে। সেটা হল তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে। যেন তারা বিষয়টি নিয়ে ঘাটা ঘাটি না করে। এদিকে মিতুর মা তাঁর শোকে পাগল প্রায়। আর পিতা ভজন রায় বিচারের আশায় ছুটছে সাংবাদিক, সমাজপ্রতি ও রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারে দ্বারে। কারন তার অঘাত টাকা নেয়। টাকা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে না। এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানায় অপমৃতুর মামলা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৭ জুলাই ২০১৪ ই.

নীলফামারীতে ছাত্রী নিবাসে কলেজ ছাত্রীর আত্নহত্যা

attohotta

অপরাজিতাবিডি ডটকম : নীলফামারীতে ঝণা রাণী রায় (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। সে নীলফামারী সরকারী অর্নাস কলেজের দর্শণ বিভাগের অর্নাস ১ম বর্ষের ছাত্রী ও জেলার ডিমলা উপজেলার সুন্দরখাতা গ্রামের সুবাস রায়ের মেয়ে। আজ বুধবার সকালে পুলিশ ঝর্ণার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। নীলফামারী থানার উপ-পরির্দশক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঝর্না রায় জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকার বৃষ্টি ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়ালেখা করতো। 

 

গতকাল মঙ্গলবার রাতে সে সবার অজান্তে ছাত্রী নিবাসের নিজরুমে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্নহত্যা করে। আজ সকালে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে প্রেমঘটিত কারণে আত্নহত্যা করেছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৭ জুলাই ২০১৪ ই.

রঙ ফর্সা করার তিনটি সহজ উপায়

 1

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: টানা রোজা রেখে রমজান মাসে চেহারার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। সেই সাথে বাইরে ঘোরাঘুরি, বাড়তি কাজের চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে ঈদের আগে কোথায় চেহারাটা একটু ভালো হবে, তা না হয়ে হয় উল্টো। ক্রমশ যেন আরও কালো হতে শুরু করেন আপনি। ঈদের আগে পার্লারে একদিনের রূপচর্চায় কি ফিরবে ত্বকের জৌলুস? একদম না। বরং খরচ হবে অনেকগুলো টাকা। তাহলে এখন উপায়?

 

উপায় আছে। আর তা হলো প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের রঙ ফর্সা করে নেয়া। কীভাবে করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত। রইলো তিনটি ফেস মাস্কের কথা। ঈদের আগে নিয়ম মেনে সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন এই ৩ টি। নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে অবাক হবেন নিজেই।

2

ঘরোয়া ব্লিচ:
ঘরোয়া ব্লিচ করা সবচাইতে সহজ কাজ। আর এই জন্য কেবল লাগবে টমেটো। চটজলদি রঙ ফর্সা করতে এই ব্লিচের জুড়ি নেই।

 

-টমেটোর ভেতর থেকে পাল্প বের করে ভালো মত চটকে নিন। একটু লেবুর রস মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সাবান লাগাবেন না। দেখবেন চেহারাটা কেমন ঝলমলে হয়ে উঠেছে।
ফ্রুট মাস্ক

বাড়িতে বসে একসঙ্গে ত্বকে পরিষ্কার করতে, পোড়া ভাব দূর করতে, ক্লান্তি কাটাতে ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে রাখতে ব্যবহার করুন শশা ও তরমুজের মাস্ক।

কী কী লাগবে-
শশার রস ২ টেবিল চামচ
তরমুজের রস ২ টেবিল চামচ
টক দই ১ চা চামচ

 

-সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ভাল করে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। তরমুজ ত্বক পরিষ্কার করে। পোড়া ভাব তুলে টোনারের কাজও করে। ত্বকের কালো ভাব কাটায় শশাও। ত্বককে নরম ও টানটান রাখে দই।

 

প্রোটিন ফেসপ্যাক:
দই, কলা, ডিম-এই নামগুলো শুধু স্বাস্থ্যের পক্ষেই উপকারী নয়, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও এদের কেরামতি কিছু কম নয়। এই প্যাক পার্লারের ফেসিয়ালের উজ্জ্বলতা এনে দেয় ত্বকে।

কী কী লাগবে-
অর্ধেক কলা
১টি ডিমের সাদা অংশ
দই ১ টেবিল চামচ

-কলা ভাল করে চটকে নিয়ে ডিমের সাদা অংশ ও দইয়ের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। পুরো মুখে ভাল করে সমান ভাবে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জলে মুখে ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ ১৪ জুলাই ২০১৪ই.

রঙ ফর্সা করার ৩টি সহজ উপায়

ইফতারে ভিন্নধর্মী দুটি পানীয়

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ইফতারের টেবিলে একটু প্রাণ জুড়ানো পানীয় খোঁজেন সবাই। আবার কেউ কেউ খোঁজে একটু মুখরোচক পানীয়। ধুই রকমের স্বাদের কথা মাথায় রেখেই আজ নিয়ে এলাম দুটি ভিন্ন স্বাদের পানীয়। একটি হচ্ছে মশালাদার নোনতা লাচ্ছি, এবং অপরটি মিষ্টি আম-কলা স্মুদি। খুব ঝটপট তৈরি হওয়া পানীয় দুটির রেসিপি জেনে নেই চলুন।

1

আম-কলা স্মুদি

উপকরণ : আমের রস দুই কাপ, কলা চারটা, চিনি ২০০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার, আইসক্রিম পছন্দমতো।

 

প্রণালী : আইসক্রিম ছাড়া অন্য সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে আইসক্রিম ওপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

2

নোনতা লাচ্ছি
উপকরণ : টকদই তিন কাপ, পানি এক কাপ, কাঁচামরিচকুচি একটা, ভাজা জিরাগুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ ও গোলমরিচ স্বাদ অনুসারে, পুদিনাপাতা সাজানোর জন্য।

 

প্রণালী : প্রথমে ব্লেন্ডারে দই ও পানি নিয়ে বেল্ড করুন ২ মিনিট। এবার বাকি সব উপকরণ দিয়ে আরো ৫ মিনিট ব্লেন্ড করুন। বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ ১৪ জুলাই ২০১৪ই.

এই ঈদে ব্যালেরিনার ফ্যাশন

n

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : ব্যালেরিনা স্যু গুলো বেশ কয়েকবছর ধরেই তরুণীদের পছন্দের তালিকা জুড়ে আছে। বেশ আরাম ও দেখতে অনেক ট্রেন্ডি বলে ব্যালেরিনার ফ্যাশনটা একটুও বিবর্ন হচ্ছে না। ব্যালেরিনাকে অনেকেই পাম্প স্যু ও বলে। তবে ব্যালেরিনার আসল নাম কোর্ট স্যু। পাশ্চাত্যে ব্যালে ডান্সের সময়ে ব্যালেরিনা স্যু এর ব্যবহার হত। সেই থেকে ব্যালেরিনা জুতো ফ্যাশনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে।
নানান রকমের ব্যালেরিনা পাওয়া যায় মার্কেটে। হিল সহ, ফ্ল্যাট, ওয়েজ হিল, গ্লাস বা এক ইঞ্চির ছোট্ট হিল যুক্ত ব্যালেরিনা পাওয়া যায় ছোট বড় জুতার দোকান গুলোতে। ডিজাইনেও আছে নানান রকমের বৈচিত্র্য। কোনোটা সামনে কিছুটা খোলা আবার কোনোটা বন্ধ। ব্যালেরিনার সামনের দিকের আকারকে ওপেন টো, ক্লোজ টো, পয়েন্টি টো, রাউন্ড টোসহ নানান রকম নামে অভিহিত করা হয়। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মনে রেখে লাল, নীল, কালো, হলুদ, গাঢ় সবুজ, সাদা সহ আরো নানান রং এর ব্যালেরিনা পাওয়া যাচ্ছে। প্রিন্ট, মেটাল, পুঁতি, বিডস প্রভৃতি দ্বারা অলংকৃত করা হচ্ছে ব্যালেরিনাকে।

 

যে সব বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবেঃ
জুতো কেনার সময়ে দেখে কিনুন আরামদায়ক কিনা। যাদের পা সামনের দিকে চওড়া তারা ব্যালেরিনা পরে সাধারণত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সামনের দিকে খোলা ব্যালেরিনা করলে অবশ্যই পায়ে নেইলপলিশ দিতে হবে। নাহলে জুতোর সৌন্দর্য পুরোই মাটি হয়ে যাবে। জমকালো পার্টি ছাড়া বেশি কাজ করা গর্জিয়াস ব্যালেরিনা না পরাই ভালো।
সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে একটু চোখা আছে সামনে, এ ধরনের ব্যালেরিনা ভালো লাগে। এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে কিটেন হিল ও সেমি ওয়েজেস ব্যালেরিনাও মানানসই হবে।

DRVFDH5

যেখানে পাবেনঃ
বসুন্ধরা সিটি, পিঙ্ক সিটি, মেট্রো শপিং মল, নাভানা টাওয়ার, উত্তরা আরএকে টাওয়ার, পলওয়েল কার্নেশন, অটোবি-ক্লোজেট(গুলশান শো-রুম), ক্যাটস আই, স্পোর্টস গিয়ার, বাটা( বড় শো-রুম গুলোতে), অ্যাপেক্স গ্যালারি, এছাড়া বিভিন্ন বড় শপিং-মলগুলোতে পেয়ে যাবেন এ ধরণের জুতা। এছাড়াও ফেসবুকে কিছু অনলাইন শপিং পেজ আছে যারা ঢাকা ও বাংলাদেশের মধ্যে ডেলিভারি করে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ ১৪ জুলাই ২০১৪ই.

রাজশাহীতে বাহারি নামে মেয়েদের পোশাক

 

Rajshahi-Eid-Market-Inner

 

মাইনুল হাসান জনি, রাজশাহী: ময়ুরপঙ্খী, পাখি, লুঙ্গি ড্যান্স, মধুবালা, পানকৌড়ি, মনিকা, দীপিকা ও কারিনা- এগুলো কোনো টেলিভিশনের সিরিয়াল কিংবা সিনেমার নাম নয়। মেয়েদের বাহারি ডিজাইনের পোশাকের নাম। এ সব পোশাক নিয়ে রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। ঈদ বেশ দূরে থাকলেও এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে মেয়েদের পোশাক কেনার ব্যস্ততা।

 

অনেকে আবার পোশাক পছন্দ করে রাখছেন আর কিছুদিন পর কেনার জন্য। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকায় বিপণিবিতানগুলোতে শিক্ষার্থীদের পদচারণা বেশি দেখা যাচ্ছে। তাদের কেউ আসছেন পোশাক দেখতে আবার কেউ আসছেন কিনতে।

 

বিক্রেতারা জানান, জমতে শুরু করেছে ঈদ বাজার। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই নগরীতে আসছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। নগরীর মেয়েদের পোশাকের দোকনগুলোতে উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।

 

রাজশাহী আরডিএ মার্কেটের গোল্ডেন কালেকশনের সেলসম্যান কনক জানান, ভারতীয় বিভিন্ন অভিনেত্রীর নামে মেয়েদের পোশাকের চাহিদা বেশি। যেমন- আনারকলি, আদিতি, পাখি, ময়ুরপঙ্খী, লুঙ্গি ড্যান্স, মধুবালা, পানকৌড়ি, মনিকা, দীপিকা ও কারিনা ইত্যাদি। দাম ১৫শ’ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে দেশীয় পোশাকের দাম তুলনামূলক কম। ৩০০ থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে এ সব পোশাক।

 

তিনি আরও জানান, শিশুদেরও পোশাক রয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন সিনেমা, সিনেমার গানের নামে। যেমন- বেবি ডল, চেন্নাই এক্সপ্রেস, স্কুভি ফ্রগ ও ফ্লোর টার্চসহ বিভিন্ন নামের পোশাক। এগুলোর দাম রাখা হয়েছে ১ হাজার থেকে শুরু করে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত।

 

নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার রাজশাহী কলেজের এইচএসসির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন জানান, পোশাকের দোকানে এসে ভারতীয় নাম দেখে আমি বেশ অবাক হয়েছি। কারণ আমাদের দেশের পোশাক কারখানার পোশাকের সুনাম সারা বিশ্বে রয়েছে। এ সব পোশাক সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। অথচ আমরা আমাদের পোশাকে কোনো দেশিও নাম রাখছি না, যা আমাদের জন্য দুঃখজনক।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ১২ জুলাই ২০১৪ই.

স্বামীর ঘরে তালাবন্দি ৪৩ বছর!

bagerhat20140630213608

আরিফ সাওন : স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শেখ নুর মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির ছোট স্ত্রী পারভীন আকতার। পরে নুর মোহাম্মদ তার অনুগতদের সহযোগিতায় পারভীনকে ধরে এনে শিকলে বেধে রাখেন। আর পর্দার দোহাই দিয়ে বড় স্ত্রী কুলসুম বেগমকে ৪৩ বছর ধরে ঘরে তালাবন্দি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে।

 

বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে গত ২৬ জুন এই অভিযোগ করেন শেখ নুর মোহাম্মদের ছেলে বাকি বিল্লাহ। তিনি  তার এই দুই মা’কে উদ্ধার করার আবেদন জানিয়েছেন।

 

অভিযোগ পেয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা ও সহকারী পুলিশ সুপার (বাগেরহাট সদর) সাদিয়া আফরোজ বাগেরহাট সদরে সরুই এলাকায় নুর মোহাম্মদের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন।

 

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, নুর মোহাম্মদ সরুই খানকা শরীফের খাদেম। তিনি নিজেকে পীর বলে দাবি করেন। তার অনেক মুরিদ আছেন।

 

বাকি বিল্লাহ লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তার বাবার দুই স্ত্রী। বাবা তাদেরকে কখনো ঘরের বাইরে বের হতে দেন না। সবসময় বাইরে থেকে ঘর তালা দিয়ে রাখেন, তাদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। শরীরে অলংকার তো দূরের কথা প্রয়োজনীয় জিনিসও দেন না। বাইরের কাউকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেন না। কোন আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বা দেখা-সাক্ষাৎ করতে দেন না।

 

বাকি বিল্লাহ আরো বলেছেন, তার বোনরাও ঘরের বাইরে যেতে পারেন না। তাদেরকে লেখাপড়া করার সুযোগ দেয়া হয় নি। বড় বোন ফাতেমা আকতারের বয়স প্রায় ৩৫। ফাতেমা ও আরেক বোন ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। কঠোর পর্দায় রাখতে পারবে- এমন ছেলে না পাওয়ায় দুই বোনকে আজো বিয়ে দেয়া হয় নি।

 

সহকারী পুলিশ সুপার সাদিয়া আফরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি ২৯ জুন ওই বাড়ি গিয়েছিলেন। বাড়ির একটি ভবন দুই কক্ষের। কোন কক্ষেই জানালা নেই। একটি কক্ষে বাতি নেই। নেই কোন আসবাবপত্র। বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকে। এগুলো বাস করার উপযোগী নয়।

 

সাদিয়া আফরোজকে পেয়ে নুর মোহাম্মদের বড় স্ত্রী কুলসুম বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং স্বামীর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। কুলসুম বেগম তাকে জানান, তিনি বিয়ের পর থেকে ৪৩ বছর তালাবন্দি অবস্থায় আছেন।

 

বাকি বিল্লাহ ৩০ জুন সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটে এই লেখকের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করে জানান, পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়ায় তার বাবা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। বাকি বিল্লাহ তার বাবার হাত থেকে দুই মা ও বোনদের রক্ষার দাবি জানান।

 

এ ব্যাপারে নুর মোহাম্মদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তাকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।

 

বাগেরহাট পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা জানিয়েছেন, নুর মোহাম্মদকে তিনি ডেকেছিলেন। পুরো বিষয়টি নুর মোহাম্মদ অস্বীকার করেছেন। এ সময় ওই ওয়ার্ডের কমিশনার তার অনুকুলে কথা বলতে এসেছিলেন। পুলিশ সুপার বলেন, ‘এটা এক ধরনের ব্যাধি। এ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করতে হবে।’

 
লেখক : বাগেরহাটের স্থানীয় সাংবাদিক।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ১২ জুলাই ২০১৪ই.

বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল মৌসুমি

Child-Marriage20140712095404

অপরাজিতাবিডি ডটকম, দিনাজপুর : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনিরুজ্জামান আল মাসউদের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল মৌসুমি ( ১২)। মৌসুমি উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যাললের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। দুর্গাপুর গ্রামের মদন কর্মকারের মেয়ে সে।

 

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুর মশাই পঞ্জিকা অনুযায়ী ৪ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে বিয়ের লগ্ন ছিল । সেই কথা অনুসারে বিয়ের প্রস্তুতি শেষ। বরপক্ষও হাজির। প্রাথমিক বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ।

 

বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ডেভেলপ দ্য ভিলেজের (ডিভি) নির্বাহী পরিচালক মোরশেদ মানিকের আন্তরিক সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলামকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। বিরামপুর থানার এসআই শামসুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মদন কর্মকারের বাড়িতে পৌঁছে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। মৌসুমির বাবা মদন কর্মকারকে আটক করা হয়। এ অবস্থা দেখে বরপক্ষের লোকেরা বরসহ পালিয়ে যায়।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনিরুজ্জামান আল মাসাউদ বাল্যবিবাহ দেবেন না বলে লিখিত মুচলেকা নেন। সেই সঙ্গে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে মৌসুমির বাবাকে ছেড়ে দেন।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মনিরুজ্জামান আল মাসাউদ এনজিও নির্বাহী কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ১২ জুলাই ২০১৪ই.

গাসিকের নারী কাউন্সিলর নিখোঁজ

3

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পারভীন আক্তার শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে তার স্বজনেরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পারভীন আক্তারের বাড়ি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকায়।

 

কাউন্সিলরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারভীন আক্তারের মুঠোফোনে শুক্রবার সকালে একটি ফোন আসে। পরে তিনি বাড়িতে বলে যান, পানিশাইল ব্যাটারি ফ্যাক্টরির পাশে একটি গ্রাম্য সালিশ আছে। সেখানে যাচ্ছেন বলে তিনি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।

 

কিন্তু রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে ফিরে না আসায় রাত ৯টার দিকে তার স্বামী মিনহাজ উদ্দিন জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

 

পারভীনের ভাই মো. রফিক মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকেলের পর থেকে যেসব আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে তার যাওয়ার সম্ভবনা আছে; সেসব স্থানে তাকে খোঁজা হয়েছে। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান জানান, পারভীন আক্তারকে উদ্ধার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ১২ জুলাই ২০১৪ই

রমজানে পানিশূন্যতা

drinking-water

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা :  পানি আমাদের শরীরের জন্য অতীব দরকারি উপাদান। সারাদিন একজন ব্যক্তির কমপক্ষে ৭-৮ গ্লাস পানি পানকরা দরকার হয়। তা না হলে তিনি পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হন। যা তার স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়। শরীর-মন দুর্বল হয়ে যায়। রমজানের সময় আমাদের সারাদিনই পানি না পান করে থাকতে হয়। এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে রমজানের সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগাযোগের কারণে রোজাদাররা মানসিক শক্তিতে বিষয়টি এড়িযে যান। কিন্তু ঠিকই শরীরে এর প্রভাব পড়ে, অস্বস্তি জাগায়।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা শুধু পানিশূন্যতা তৈরি করে তা নয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিবিধ সমস্যা হয়। শরীরের পর্যাপ্ত পানি নেই তা বোঝার সহজ উপায় হলো প্রস্রাবের রং। প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলুদ হয়, তবে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পানি নেই। বিশেষ করে রমজানে এটি দেখা যায়।

রমজানে যেভাবে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করবেন

– লবণাক্ত, বেশি মিষ্ট, ভাজা ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। এ সবের জন্য শরীরে বেশি পানির দরকার পড়ে।
– প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। ইফতারে দুই গ্লাস পানি পান করুন। এরপর ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিঘণ্টায় কমপক্ষে ১ গ্লাস করে পানি পান করুন। সেহেরিতে বেশি পানি পান করতে ভুলবেন না।
– যদি ব্যায়াম বা বাইরের গরমে কাজ করেন তবে শরীর প্রচুর পানি হারায়। এ ক্ষেত্রে শরীরে বেশি পানি দরকার হয়।
– খাবার তালিকায় তাজা মাছ ও সবজি রাখুন। এ সব খাবারে প্রচুর পানি আছে। ইফতারের পর সালাদ ও তাজা ফল ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন।
– দোকানের মিষ্টি জুসের চেয়ে ঘরে তৈরি তাজা ফলের রস পান করুন।
– ইফতারে স্যুপ খেতে পারেন। এটা পানিশূন্যতা দূর করার ভাল উৎস।
– ইফতারের দুই ঘণ্টা পর এককাপ কফি খেতে পারেন।
– সেহেরিতে সুষম পুষ্টি বজায় রাখুন।

অনেকের মধ্যে একটি ধারণা আছে- সেহেরিতে বেশি পানি পান করলে সারাদিন আর তৃষ্ণা পাবে না। ধারণাটি কি ঠিক?

এটা ঠিক যে, সেহেরির সময় প্রচুর পনি পান করলে তা আমাদের তৃষ্ণা দূরে সাহায্য করে। পানি ছাড়া অনেকটা সময় টিকে থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এটি সারাদিনের তৃষ্ণা দূর করবে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১২ জুলাই ২০১৪ই.

ঝটপট ঈদের রান্না

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : চা আর ডিমভাজি ছাড়া আর কিছু হয়তো কোনো দিন বানাননি, তাই বলে কি ঈদের দিন বিশেষ কিছু তৈরি করবেন না! রান্না একদম না জানলেও ক্ষতি নেই। জেবুন্নেসা বেগম জানিয়েছেন কীভাবে খুব সহজে বানাতে পারেন মজাদার কিছু খাবার।
 42eed0108b18e06082cbc900420fa466-9

ইয়োগার্ট স্টাফড মার্বেল ব্রেডইয়োগার্ট স্টাফড মার্বেল ব্রেড
উপকরণ: মার্বেল ব্রেডের স্লাইস ৪টা, টক দই ১ কাপ, পুদিনাপাতা কুচি ৩ টেবিল চামচ, লেবুর খোসা কুচি পোয়া চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া পোয়া চা-চামচ।

 

প্রণালি: টক দইয়ের পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এবার টক দইয়ের সঙ্গে পুদিনাপাতা কুচি, লেমন রাইন্ড ও গোলমরিচের গুঁড়া মেশাতে হবে। এবার মার্বেল ব্রেডের ভেতর ঢুকিয়ে পছন্দমতো টুকরা করে পরিবেশন।

2fad3e486d7ea739cd34afcbcd071355-8

কোল্ড কফিকোল্ড কফি
উপকরণ: দুধ ১ কাপ, কফি ১ চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ক্রিম ১ টেবিল চামচ, বরফ কুচি (পছন্দমতো) ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: ব্লেন্ডারে দুধ নিয়ে এর সঙ্গে চিনি ও কফি ঢেলে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার ক্রিম দিয়ে আবার ব্লেন্ড করে নিন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন।

ff265c9882a6bc140a5b1e89b5a5469a-10

সসেজ নুডলস স্যুপসসেজ নুডলস স্যুপ
উপকরণ: মুরগির মাংসের স্টক ৪ কাপ, টমেটো সস ৩ টেবিল চামচ, চিকেন সসেজ ৫টা, লম্বা নুডলস পরিমাণমতো, সয়া সস ১ টেবিল চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ (টুকরা) আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, লবণ সামান্য।

 

প্রণালি:

সসেজ এক ইঞ্চি আকারে কেটে নিতে হবে। নুডলস তিন ইঞ্চি লম্বা করে ভেঙে নিতে হবে। এবার প্রতিটি সসেজের ভেতর পাঁচ-ছয়টা করে নুডলস ঢুকিয়ে নিতে হবে। মুরগির স্টক গরম করে তাতে কর্নফ্লাওয়ার ও কাঁচা মরিচ ছাড়া বাকি সব উপকরণ ও নুডলস সসেজ দিয়ে দিতে হবে। কর্নফ্লাওয়ার সামান্য পানি দিয়ে গুলে তাতে দিয়ে দিতে হবে। সবশেষে কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করুন।

b72a782

ট্রায়ফল পুডিংট্রায়ফল পুডিং
উপকরণ: ভ্যানিলা আইসক্রিম ১ কাপ, কেক ১ কাপ, আপেল আধা কাপ, আঙুর ২ টেবিল চামচ, আম আধা কাপ, পছন্দমতো ফল আধা কাপ।
প্রণালি: কেক ছোট ছোট কিউব করে কেটে নিতে হবে। আপেল, আম ও অন্যান্য ফল কিউব করে কেটে নিতে হবে। বাটি বা গ্লাসে কেকের টুকরা বিছিয়ে এর ওপর ফল দিতে হবে। ওপরে আইসক্রিম দিতে হবে। পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন। প্রথম আলো

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/এ/১১ জুলাই ২০১৪ই.

কুড়িগ্রামে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

Rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কুড়িগ্রাম  : কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ১২দিন পর প্রকাশ হয়েছে। গত ২৭ জুন দুপুরে ভুরুঙ্গামারীর শিলখুড়ি ইউনিয়নে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

 

জানা গেছে গত ২৭ জুন ৬ বছরের শিশুকন্যাকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার জেঠাতো ভাই আলমগীর হোসেন (১৮) বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাঁশ ঝাড়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করার পর স্থানীয় মাতবররা ঘটনা মীমাংসার কথা বলে পরিবারটিকে মামলা করা থেকে বিরত রাখে। কিন্ত মেয়েটির অবস্থা সংকটাপন্ন হলে পরের দিন (২৮ জুন) তাকে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐদিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধর্ষিতা শিশুটিকে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করে।

শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই স্থানীয় প্রভাবশালীরা দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে। প্রথমে ১৬ শতক জমি দিয়ে আপোষ করার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে আরেক দফা বৈঠকে তা কমিয়ে ৫ শতকে আনা হয়। এই ৫ শতক জমি দেবার কথা বলে আপোষনামায় স্বাক্ষর নেয়া হলেও এখনও জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় ঘটনাটি প্রকাশ হয়। ধর্ষিতা শিশুটি বর্তমানে ভয়ে মামার বাড়িতে অবস্থান করছে।

 

ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু সায়েম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান , শিশুটি আসার পর আমরা এন্ট্রি করে রির্পোটের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি হাসান ইনাম জানান, অভিযোগ প্রকাশ হবার পর আমরা ধর্ষককে গ্রেফতার করেছি কিন্তু মেয়েটির পরিবার এখনও মামলা করছেনা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/এ/১১ জুলাই ২০১৪ই.

দেশ-বিদেশে ধুনটের নারীদের তৈরি টুপি

Bogra-Cap

 

আলমগীর হোসেন, বগুড়া : এক সময় ধুনট উপজেলার অনেক নারী সংসারের কাজ সেরে দিনের অনেকটা সময় ঘরে বসে বা পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে গল্প গুজবে কাটাতেন। এখন তারা টুপি সেলাইয়ে এত ব্যস্ত যে, কারও সঙ্গে কথা বলার সময় নেই। তবে ঈদের আগে ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। টুপি তৈরিতে শুধু গৃহিনীরাই নন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরাও ব্যস্ত।

 

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, টুপি সেলাই করার এসব দৃশ্য। তাদের তৈরি টুপি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির পাশাপাশি রফতানি হচ্ছে সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত, কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এখানকার ২১৫টি গ্রামের প্রায় ৭৫ হাজার নারী টুপি সেলাইয়ে যুক্ত। আয় করে সংসারে কাজে লাগাচ্ছেন ও শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন। সেলাই কাজে ব্যস্ত মহিলারা জানান, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার কারণে এখন টুপির চাহিদা বেশি।

 

চৌকিবাড়ি গ্রামের গৃহবধূ মোমেনা খাতুন বলেন, ‘ছেলের বাবার একলার কামাই দিয়া আগে আমাগোরে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছিল। কিন্তু এখন আর আমাগোরে তেমন কোনো কষ্ট করতে হচ্ছে না।’ তিনি ৫-৬ বছর আগে থেকে টুপি সেলাই শুরু করেছেন। ঘরের কাজ শেষ করেও দৈনিক ৩-৪টা টুপি সেলাই করেন। তিনি জানান, টুপি বিক্রিতে হাটে-বাজারে যেতে হয় না। বাড়িতেই পাইকারারা এসে প্রতি সপ্তাহে টুপি কিনে নিয়ে যায়। সব খরচ বাদে প্রতিমাসে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হয়।

 

ওই গ্রামের রাশেদা খাতুন বলেন, ‘আগে হাত খরচের ৫/১০ টাকা স্বামীর কাছ থেকে চেয়ে নিতে হতো। অভাবের সংসারে কোনো কোনো দিন ৫ টাকাও দিতে পারত না। কিন্তু যখন থেকে টুপি সেলাই শুরু করছি, তখন থেকে আর কারও কাছে হাত পাততে হয় না।’ তিনি প্রতিমাসে প্রায় ৩ হাজার টাকা আয় করেন।

 

timthumb

 

মোমেনা ও রাশেদা খাতুনের মতো ওই গ্রামের গৃহবধূ লাকি, সনি, কুলসুম, রানু, পারুলসহ আরও অনেকেই টুপি সেলাই করে এখন স্বাবলম্বী। চৌকিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সাথি খাতুন মায়ের কাছে টুপি সেলাই শিখেছে। এখন প্রতিমাসে ৩০টি টুপি সেলাই করে ৫/৬শ’ টাকা আয় হয়। লেখাপড়ার খরচ বাবা-মার কাছ থেকে নিতে হয় না। ধেরুয়াহাটি গ্রামের নিবারন চন্দ্রের মেয়ে রত্না রায় টুপি সেলাইয়ের টাকা দিয়ে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন। রত্না গত বছর মথুরাপুর জিএমসি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

 

টুপি সেলাইয়ের কাঁচামাল সুতা ও ক্রুস কাটা পাইকাররা সরবরাহ করেন। ক্রুস কাটার দাম ২৫ টাকা ও সুতার ডলার ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কারও টাকা না থাকলেও বাকিতে কাঁচামাল যোগান দেন তারা। পরে টুপি কেনার কাঁচামালের দাম কেটে রেখে বাকি টাকা দেন।

 

চালাপাড়া গ্রামের পাইকারী ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে গ্রামে গ্রামে সুতা ও ক্রুস কাটা সরবরাহ করতে হয়। পরের সপ্তাহে সেলাই করা টুপি কিনে আনি। প্রতিটি টুপির দাম প্রকারভেদে ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হয়। আগে শুধু এক ডিজাইনের টুপি তৈরি হতো। এখন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে টুপিরও বাহারি নাম ও ডিজাইন দেওয়া হয়েছে। যেমন- নব্বইফুল, কলারফুল, বকুলফুল, তালাচাবি, স্টার, গুটি, বিস্কুট, আনারস, মৌচাক ও মাকড়শার জাল। সবচেয়ে বেশি দাম নব্বইফুল ও আনারসের। নব্বইফুলের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা, আনারস ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মৌচাক ২৮ থেকে ৩০ টাকা, মাকড়শার জাল ২০ থেকে ২৫ টাকা, বিস্কুট ২৫ থেকে ৩০ টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসব টুপি ঢাকার চকবাজার, বাইতুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করেন। সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রেও রফতানি হয়।’

 

টুপি তৈরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে ধুনট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ফর পুওর পিপলস (ডিসিপি) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। ডিসিপি টুপি সেলাই প্রকল্পটি তত্ত্বাবধায়ন ও সহজ শর্তে উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করছে। এর নির্বাহী পরিচালক এনামুল বারী সরকার বলেন, ‘পাইকারদের তুলনায় আমরা কমদামে ভালো সুতা সরবরাহ করি এবং বেশি দামে টুপি ক্রয় করে থাকি। তাছাড়া নতুন নতুন বিভিন্ন ডিজাইনের টুপিসহ কারুশিল্প বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। টুপি সেলাইয়ের পাশাপাশি কারুশিল্পে প্রশিক্ষিত দরিদ্র মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।’

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ ১০ জুলাই ২০১৪

কাকডাকা ভোরেই কাজে ছুটতে হয়

2_119288

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : স্বামীর আয়ে স্কুলগামী একমাত্র সন্তান সাব্বিরের লেখাপড়া চালানো সম্ভব নয়। কাকডাকা ভোরে ছালমাকে ছুটতে হয় কাজে। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন নারকেল খোলার কাজ।

 

মা-মনসা ডাল ও তেল মিলের শ্রমিক ছালমা বেগম বলেন, সংসারে সচ্ছলতা আনতে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি। দিনমজুর স্বামীর প্রতিদিন কাজ জোটে না। প্রতিদিন দুই ঘণ্টায় প্রায় ২শ’ নারকেল খুলতে পারি। এরপর বাড়ি গিয়ে রান্নাবান্না করে খেয়ে-দেয়ে বিকেল ৪টায় এসে রাত পর্যন্ত কাজ করি। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬শ’ নারকেল খুলতে পারি। নারকেল খুলে মজুরি পাই একশ’ থেকে ১২০ টাকা। বিসিকের বিভিন্ন মিলে কখনও ডাল ভাঙা, কখনও নারকেল খোলার কাজ করি। কোনো না কোনো মিলে কাজ থাকেই। আগে একশ’ নারকেল খুললে পেতাম মাত্র ১৫ টাকা। এ নিয়ে বিভিন্ন মিলের নারকেল খোলার কাজে জড়িত শ্রমিকরা আন্দোলন করলে অনেকটা বাধ্য হয়ে মালিকরা এক মাস আগে মজুরি ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছেন। এখন নারকেলের মৌসুম। এখানকার মিলগুলোতে প্রায় সারা বছরই নারকেল তেল উৎপাদনের কাজ চলে। তাই কাজ পেতে সমস্যা হয় না। তার পাশে বসেই ছুরি দিয়ে মালই থেকে নারকেল ফালি করছিলেন পিয়ারা বেগম। তাকে সহযোগিতা করছে মেয়ে তন্বী। তন্বী বাগেরহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। মায়ের সহযোগিতার জন্য সকাল সাড়ে ৫টায় নারকেল ভাঙতে সেও মিলে এসেছে। পিয়ারা বেগম বলেন, নয়জনের সংসার। স্বামী শহিদুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রি। স্বামীর নির্যাতন ও দ্বিতীয় বিয়ের কারণে মেয়ে কাজরী তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রুকসীকে নিয়ে বছর দুই আগে আমার বাড়িতে চলে আসে। সংসারের হাল ধরতে আমিও ঘরের বাইরে এসে শ্রমিকের কাজ নিয়েছি। এখানে মাস চুক্তিতে কোনো কাজ নেই। প্রতিদিনের কাজের ওপর মালিকরা টাকা দেয়।

 

ছালমা, পিয়ারা বেগম একা নয় তাদের মতো আকলিমা, সুমি, সোনিয়া, বেগম খাতুনসহ অসংখ্য নারী বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরীর পরিশ্রমী নারকেল মিলের শ্রমিক। বাগেরহাট শহরের দড়াটানা নদীর পাশে বিসিক শিল্প নগরীতে গড়ে উঠেছে এই মিল।

 

মেঝের এক পাশে চট বিছিয়ে বছর দেড়েকের ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে কাজ করছিলেন সুমি আক্তার। সুমির সঙ্গে তার মা আকলিমা বেগমও কাজ করছিলেন। সুমির বাবা মান্নান খা কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। তাই কাজ করতে পারেন না। সুমি বলেন, ডাক্তার আব্বাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে বলেছেন। টাকা-পয়সা নেই চিকিৎসা করাব কোথা থেকে। অভাবের কারণে আমাকে পরিণত বয়সের আগেই বিয়ে দেয়া হয়েছিল। এ অবস্থায় আমি মা হয়েছি। স্বামী আসলাম নেশা করে। সংসারের কোনো খোঁজই রাখে না। প্রায়ই আমাকে মারধর করে। বিয়ের কয়েক মাস পরেই আমার ওপর আসলামের নির্যাতন শুরু হয়। সংসারের হাল ধরতে, পেটের আহার জোগাতে দুধের শিশু রবিউলকে নিয়ে কাজে এসেছি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ ১০ জুলাই ২০১৪

যোগ্যতার বলেই জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে মেয়েরা

1_119287

 

জাহিদ সুলতান লিখন, ঢাকা : গণিত, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জটিল সংকট থেকে শুরু করে পারিবারিক নানা সমস্যাও নারী সুন্দরভাবে সমাধান করার যোগ্যতা রাখেন। এখন নারী বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। নারীর উন্নয়নে এটা একটি ভালো দিক বললেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।

 

রাজধানীর পুরান ঢাকার মেয়ে ড. ফারজানা কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৮২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক হিসাবে। কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাইতেন না তিনি এত দূরে গিয়ে শিক্ষকতা করেন। কিন্তু তিনি তার মেধা যাতে কাজে লাগাতে পারেন সে সুযোগ করে দিয়েছিলেন তার শ্বশুর। তার শ্বশুর স্থানীয়ভাবে একটি কলেজ চালু করেন। ওই কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার প্রস্তাবও দেন তাকে। তিনি শ্বশুরের প্রস্তাবটি বিনীতভাবে নাকচ করেন। ১৯৮৬ সালের ১৪ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৯ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৯৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৬ সালের ২৮ জানুয়ারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

 

অধ্যাপক ড. ফারজানা মানবাধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা ‘নাগরিক উদ্যোগ’-এর চেয়ারপারসন হিসেবে কাজ করছেন। তিনি নগর গবেষণা কেন্দ্রের আজীবন সদস্য ও এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশের সদস্য। তিনি বর্তমানে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত। এছাড়া তিনি হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক ড. ফারজানা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একজন সক্রিয় সদস্য।

 

বরাবর গণিতভীতি ফারজানা ইসলাম এসএসসি পরীক্ষায় গণিতে ৮৫ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। চর্চা-অনুশীলন করলে যে কোনোকিছুই কঠিন নয় তা তিনি গণিতে বেশি নম্বর পেয়ে প্রমাণ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে বিএসএস পড়তে গিয়ে আবার পরিসংখ্যানের মুখোমুখি হন। এবারও তিনি সর্বোচ্চ ৭৩ নম্বর পান। নিজের শ্রম, মেধা আর একাগ্রতার মাধ্যমে আজ তিনি সফলতার শীর্ষে। আঠাশ বছর শিক্ষকতা পেশায় নিরলস শ্রম দিয়েছেন তিনি। এই সেবার মাধ্যমে তিনি একজন ভালো শিক্ষক ও গবেষক হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ প্রশাসকও হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য না হয়েও অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এ বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ‘উপাচার্য প্যানেল’ নির্বাচনে ৪৩ ভোট পেয়ে প্যানেলে প্রথম হন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-১৯৭৩-এর ১১(১) ধারা মোতাবেক গত ২ মার্চ তাকে চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ দেন।
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশিনগর গ্রামের মেয়ে ড. ফারজানা ইসলামের জন্ম ঢাকায় ১৯৫৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তার বাবা আবদুল কাদের ও মা ফাতেমা খাতুন। চার ভাই, দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। ১৯৭৩ সালে ধানমন্ডি সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৭৫ সালে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম, ১৯৮০ সালে এমএসএস পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

 

ড. ফারজানা ইসলাম মনে প্রাণে একজন বাঙালি। বাঙালি সংস্কৃতিকে তিনি তার হৃদয়ে লালন করেন। তার পছন্দের পোশাক শাড়ি। শাড়ি পরতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্মৃতিচারণের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমি। ওই বছরের পহেলা বৈশাখে প্রথম শাড়ি পরি আমি। সেই যে শাড়ি পরা শুরু করলাম, তারপর আর কোনোদিন শাড়ি ছাড়া অন্য পোশাক পরিনি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে, ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। কিন্তু উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর অবসর নেই বললেই চলে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর দাফতরিক কাজকর্ম নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয় আমাকে। তবে একটা জিনিস আমাকে প্রেরণা দেয়, আমাদের মেয়েরা জেগেছে, তাই হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। তারা যোগ্যতার বলে নিজের সমতা, সম্ভাবনার জায়গা তৈরি করে নিচ্ছে। : যুগান্তর

জমকালো ঈদের পোশাক

1_120254

হাবীবাহ্ নাসরীন, ঢাকা :  ঈদের পোশাকটি একটু নজরকাড়া না হলে কি হয়? গরম ও বর্ষার কথা মাথায় রেখে এবার আরামের পোশাকটি তো কিনবেনই, সেইসঙ্গে খেয়াল রাখবেন, আপনার পছন্দের বসনটি যেন বেশ জমকালো হয়।

ঈদ বলে কথা! তবে পোশাকে আরামদায়ক ভাবটা চাইলে সাদামাটা পোশাকের কথাই সবার আগে মনে পড়ে। জমকালো এবং স্বস্তিদায়ক, এই দুই মিলিয়ে ঈদের পোশাক বাছাই করা একটু যেন কষ্টকর। ঈদ এবং বর্ষা ঋতুর কথা মাথায় রেখেই ঈদের পোশাকের ডিজাইন করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। বেছে নিয়েছেন একই সঙ্গে জমকালো আর স্বস্তিদায়ক কাপড়। যেমনটা বলছিলেন ফ্যাশন হাউস মুমু মারিয়ার কর্নধার এবং ফ্যাশন ডিজাইনার মারিয়া সুলতানা মুমু, ‘এবার ঈদ যেহেতু বর্ষায় তাই বর্ষার আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই ঈদের পোশাকগুলোর ডিজাইন করেছি। ব্রাইট তবে ক্যাটক্যাটে নয়, এমন সব কালার বেছে নিয়েছি। রাতে লাল, কালো, নীল, মেজেন্টা, কমলা এবং দিনে গোলাপি, বেগুনি, আকাশী, অ্যাশ রঙয়ের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাপড় হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছি শিফন, মসলিন, জর্জেট কাপড়কে। আর তাতে জমকালো ভাব ফুটিয়ে তুলতে করা হয়েছে জারদৌসির কাজ। কামিজের ক্ষেত্রে প্যাটার্ন হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছি লং, এ লাইন, মেক্সি স্টাইলকে। ঈদের সকালে অনেকে একটু হালকা ধরনের পোশাক পরতে চান। তাদের জন্য হালকা রঙের সুতির পোশাকও রয়েছে। ঈদের সকালে কিংবা দিনেরবেলায় পরার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের টপস পাওয়া যাবে। যারা শাড়ি পরতে ভালোবাসেন তাদের জন্য রয়েছে জমকালো কিছু শাড়ি। মুমু মারিয়ায় টপস এবং থ্রিপিস পাবেন ১৮০০-৭৫০০ টাকার মধ্যে। তবে একটু গর্জিয়াস পোশাক কিনতে চাইলে টাকার অংকটা আরেকটু বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে ৮০০০ টাকা থেকে শুরু। মুমু মারিয়ার শোরুম রয়েছে শুধু যমুনা ফিউচার পার্কেই।’ ফ্যাশন ডিজাইনাররা মনে করেন, যে পোশাকটা দেখতে ভালো লাগে, সেটা পরেও আরাম। তাই এ সময়ের পোশাকের রঙ হালকা হলেই দেখতে ভালো লাগবে। হালকা নীল, নীল, সাদা, গোলাপি, হালকা বেগুনী, আকাশী, শ্যাওলা, হালকা লাল, সবুজ, কমলা, হলুদ ও লেবু রঙের পোশাক তৈরি করেছেন তারা। শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজে কারুকাজ হিসেবে বেছে নেয়া হচ্ছে অ্যামব্রয়ডারি, অ্যাপ্লিক, ব্লক, হাতের কাজ, স্প্রে, হ্যান্ডপেইন্ট, টাইডাই প্রভৃতি। কাটিংয়েও আনা হয়েছে নতুনত্ব। সুতার কাজে মেশিন অ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, অ্যাপলিকের মাধ্যমে অধিক রঙ ব্যবহার করার ফলে প্রতিটি পোশাক হয়ে উঠেছে আধুনিক আঙ্গিকের।

নিজেই যখন ডিজাইনার : যারা চাচ্ছেন নিজের পোশাকটি নিজেই ডিজাইন করবেন অর্থাৎ কাপড় কিনে পছন্দমতো পোশাক বানিয়ে নেবেন, তারা পোশাকে জমকালো ভাব এবং ঈদের আমেজ দুটোই ধরে রাখতে বেছে নিতে পারেন মসলিন, সিল্ক, হাফ সিল্ক, মটকা, সুতি, খাদি, শিফন, জর্জেট, কাতানের পোশাক। বর্ষার দিকটা মাথায় রেখে সিল্ক, শিফন ও জর্জেট কাপড়কে পছন্দের প্রথম দিকে রাখতে পারেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের তাঁতের কাপড়ও ব্যবহার করতে পারেন। আর তাতে মেশিন ও হ্যান্ড এমব্রয়ডারি ছাড়াও স্ক্রিন প্রিন্ট, পুঁতি, জরি, মেটাল, কাঠ ও পুঁতির কাজের ব্যবহারে পোশাকে বৈচিত্র আনতে পারেন। পাশাপাশি রাজশাহী সিল্ক বা হাফসিল্ক, সুতি জর্জেট বা বেক্সি জর্জেটের তৈরি পোশাকগুলোও বর্ষার দিনে আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা দেবে। তা ছাড়া সুতি অ্যান্ডি কাপড়ের তৈরি পোশাকেও বেশ অভিজাত দেখাবে আপনাকে। ঈদের রাতে জমকালো আয়োজনেও পরা যাবে এসব কাপড়ের পোশাক।

কাটছাঁট : কামিজের কাটিংয়ে গেল বছরের তুলনায় এ বছর খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। এ বছরও কামিজের দৈর্ঘ্যরে জায়গাটায় লংকামিজেরই একক আধিপত্য। চাইলে সেমি লং কামিজও বেছে নিতে পারেন। কামিজ, টপস, ব্লাউজে উঁচু গলার পাশাপাশি চার কোনা, পানপাতা ও ভি-আকৃতির গলাও বেশ চলছে। হাতার ক্ষেত্রে ফুলস্লিভ, থ্রি কোয়ার্টার, স্লিভলেস কিংবা ম্যাগি হাতা বেছে নিতে পারেন। সালোয়ারের ক্ষেত্রে ধুতি ও প্যান্ট-ধাঁচের সালোয়ার বেশ পছন্দ করছে সবাই। বিশেষ করে ওপরের দিকটা চাপা এবং নিচের দিকটা ছড়ানো পালাজ্জো ধাঁচের সালোয়ারের দিকেই ঝুঁকছেন তরুণীরা।
তবে আর দেরি কেন! হাঁটি হাঁটি করে সময় কিন্তু ঠিকই চলে যাচ্ছে। বাজার ঘুরে পছন্দের পোশাকটি বাছাই করতে হলে হাতে একটু সময় নিয়েই কেনাকাটা সেরে ফেলতে হবে। ঈদে একটু জমকালো আর আরামদায়ক পোশাক চাই তো? আপনি চাইলে সেটা খুব সম্ভব। বাজার ঘুরে মনের মতো পোশাকটি কিনে ফেলুন। এই ঈদে আপনার পছন্দের পোশাকটিই উঠুক আপনার গায়ে।

স্বল্প খরচে দারুণ মজাদার আলুর বড়া

aloo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম,ঢাকা: ইফতারি তৈরিতে অনেকেরই সময়ের ভীষণ অভাব। আর হবে নাই বা কেন? সারাদিনের দৌড়ঝাঁপ ও রোজা রাখার শেষে কার এত এনার্জি থাকে যে হরেক পদ তৈরি করবেন? আর এইজন্যই চাই ঝটপট তৈরি করা যায় এমন মজাদার রেসিপি। আজ রইলো রেসিপি আলু বড়ার। খুব অল্প সময়ে ও অল্প খরচে তৈরি করা যায় এই খাবারটি, কিন্তু দিনভর রোজা রাখার শেষে খেতে লাগে দারুণ!

 

উপকরণ:
৪টি মাঝারি মাপের আলু খোসা ছাড়িয়ে রাখা,
আধ চাচামচ ধনেগুড়ো,
১ চাচামচ শুকনো মরিচ গুঁড়ো,
২ টেবিলচামচ ধনেপাতাকুচি,
১ চাচামচ লবণ,
তেল ভাজার জন্য

 

ব্যাটার তৈরির জন্য-
২০০ গ্রাম বেসন, আধ চাচামচ লবণ, আধ চাচামচ মরিচ গুঁড়ো, আধ চাচামচ রসুন বাটা, আধ চাচামচ আদা কুচি, ১ টেবিলচামচ ধনেপাতাকুচি, ৪০০ মিলি পানি

 

প্রণালী:
-আলু সেদ্ধ করে নিন। এবার সেদ্ধ আলু চটকে তার সঙ্গে সব উপকরণ দিয়ে মেখে নিন।
-এবার একটা আলাদা বাটিতে ব্যাটার তৈরি করতে হবে। বেসনের সঙ্গে ব্যাটার তৈরির সব উপকরণ মিশিয়ে অল্প অল্প পানি দিয়ে মেশাতে থাকুন। মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন।
-এবার কড়াইতে বেশি করে তেল দিন।
-আলুর মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বল গড়ে নিন। এবার এই বল গুলিতে ব্যাটারে ডুবিয়ে ধীরে ধীরে তেলে ছেড়ে দিন।
-এবার বল গুলিকে কড়া করে ভেজে নিন। বাদামী রঙ না ধরা পর্যন্ত ডিপ ফ্রাই করুন। এবার বলগুলি থেকে অতিরিক্ত তেল ঝড়িয়ে নিয়ে নিন। ইচ্ছে মতো গার্নিশ করে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার আলুর বড়া।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১০ জুলাই ২০১৪

হলুদে সারবে ৬০০ রোগ!

 tumeric_1402017476-702x336

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রান্নায় হলুদ না হলে চলে না। এবার হলুদ উঠে আসবে প্রেসক্রিপশনেও। গবেষণায় দেখে গেছে, হলুদের রয়েছে অন্তত ১৪টি মহৌষধের গুণ। যাতে সেরে উঠবে অন্তত ৬০০ রোগ!

 

হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গত পাঁচ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে নানা গবেষণা চালিয়েছে একটি মার্কিন গবেষণা সংস্থা। তাদের প্রতিবেদেন অনুযায়ী, হলুদে থাকা সারকিউমিন নামের উপাদানটি রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে।

 

২০০৮ সালে ‘ড্রাগস ইন আর অ্যান্ড ডি’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে সারকিউমিন।

 

১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘ফাইটোথেরাপি রিসার্চ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, হলুদের পলিফেলন নামের অন্য আরেক উপাদান চোখের অসুখ ‘ক্রনিক অ্যান্টিরিয়ার ইউভেইটিস’ সারাতে কর্টিকো-স্টেরয়েডের কাজ করে। এই রোগের প্রকোপে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা ও প্রদাহ হয়।

 

২০০৩ সালের এক মেডিক্যাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যানসারজনিত প্রদাহের চিকিৎসাতেও এই স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।

 

২০১১ সালের আরেক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক অবসাদ রোধও ব্যবহার হয় সারকিউমিন। এ ছাড়া এই উপাদানে রয়েছে অ্যাসপিরিনের গুণ। এর প্রয়োগে ভ্যাসকুলার থ্রম্বোসিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ঘনত্বের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

 

এ ছাড়া, ক্যানসার নিরাময়ে প্রচলিত কেমোথেরাপি চিকিৎসায় ব্যবহৃত অক্স্যালিপ্ল্যাটিন-এর সঙ্গেও সারকিউমিনের  তুলনা করা চলে। চিকিৎসকদের দাবি, কলোরেক্টাল ক্যানসারের চিকিৎসায় সারকিউমিন প্রয়োগে সুফল মিলেছে।

 

২০০৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসাতেও সারকিউমিন প্রয়োগ কার্যকরী। যকৃতে গ্লুকোজের উৎপাদন ঠেকাতে হলুদের এই উপাদান থেকে তৈরি ওষুধ প্রচলিত ডায়াবেটিস রোধকারী মেটমোফিনের চেয়ে অনেক গুণ কার্যকরী।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৪জুলাই২০১৪ই.

রোজায় কী খাবেন

 

iftar_70196

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : পরিমিত সুষম খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং দিনের কাজগুলো সঠিকভাবে করা যায়। রোজার সময় আমাদের দেহের বিপাকক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আসে। স্বাভাবিক হজম-প্রক্রিয়ার জন্য অতিরিক্ত তেল, মসলাযুক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। বিরিয়ানি, তেহারি, নেহারি, খাসির রোস্ট-জাতীয় খাবার সেহরি বা রাতে না খাওয়াই ভালো।

ইফতার বা সেহরিতে ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া সবচেয়ে উত্তম। দোকানের ভাজা খাবারে ব্যবহার করা তেলের মান বা বেসনের বিশুদ্ধতা নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই। বাজারের বাহারি খাবার খেয়ে অনেকেরই বদহজম, পেটফাঁপা বা বুকজ্বালা হতে দেখা যায়।
আমাদের শরীরের জন্য কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার, অর্থাৎ ভাত, রুটি; প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার মাছ, মাংস; ডালজাতীয় খাবার এবং ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় খাবার, অর্থাৎ মাখন, ঘি ইত্যাদি দরকার। পরিমিত সুষম খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং দিনের কাজগুলো সঠিকভাবে করা যায়।
রোজার সময় পানির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেহরি, ইফতার ও রাতের খাবারের পর দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। পানি আমাদের শরীরের বিপাকক্রিয়া ও কিডনির যথাযথ কাজের জন্য প্রয়োজন। পানি কম খেলে দিনে মুখ ও জিহ্বা শুকনো থাকে, পানিস্বল্পতার জন্য শরীরে ক্লান্তি আসে। লেবুর শরবতও উপকারী।

3-Tips-Inner

ইফতার
খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা যেতে পারে। ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত পান করলে সারা দিনের পিপাসা দূর হয়। বাজারের রঙিন পানীয় বা পাউডার দিয়ে শরবত না তৈরি করে বেলের শরবত তৈরি করা যেতে পারে। এটি শরীরের জন্য উপকারি। ভেজানো চিঁড়া ও সামান্য চিনি দিয়ে শরবত তৈরি করা যায়। দইয়ের শরবত বা ডাবের পানিসহযোগে ইফতার খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত। কলা, পেঁপে, আমড়া, জাম্বুরা, আপেলসহ যেকোনো ফল কিছু পরিমাণে খাওয়া ভালো।
শসা তো অবশ্যই ভালো। কয়েক ঘণ্টা ভেজানো ছোলা বা ডাবলি মুড়ি দিয়ে খেতেও ভালো লাগে। বাসায় বেসন দিয়ে পালংশাকের পাতা ও পুঁইশাক ভেজে খেতে পারেন। তবে ভাজা খাবার কম খাওয়া উচিত। চিঁড়া-দই-কলা অনেকেরই প্রিয় খাবার। এ ছাড়া ফিরনি, পায়েস ও সেমাই খেতে পারেন। ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দিনের শেষে একবারে খুব বেশি খাবার খেয়ে ইফতার করলে অস্বস্তি লাগে এবং রাতে খেতে ইচ্ছা করে না। পরিমিত পরিমাণে ইফতার করে রাতে সামান্য হলেও খাওয়া ভালো।

dinner-food

রাতের খাবার
পেট ভর্তি করে ইফতারি খেয়ে রাতের খাবার না খাওয়াটা ঠিক নয়। শরীরের স্বাভাবিক বিপাকক্রিয়ার জন্য রাতে অল্প পরিমাণে খাওয়া দরকার। আটার তৈরি দুটি রুটি বা কিছুটা ভাত, সামান্য রান্না করা সবজি এবং এক টুকরো মাছ বা মুরগির মাংস মোটামুটিভাবে আদর্শ খাবার। রুটির সঙ্গে ছোলার ডাল ভুনা বা ঘন করে রান্না করা মসুরের ডাল, শসা, গাজর ও টমেটোর সালাদ অনেকেই পছন্দ করেন। একটু নরম করে রান্না খিচুড়ি, ডিম ভাজা বা রান্না, সঙ্গে শসা-গাজরের সালাদও খেতে পারেন। দুধ-কলা ও রুটির সঙ্গে মুরগির এক টুকরো মাংস দিয়ে রাতের খাবার শেষ করতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপ আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে খাবার খাবেন।

images (1)

সেহরি
ফজরের নামাজের আগে, অর্থাৎ সেহরির সময় পরিমিত পরিমাণে ভাত বা রুটির সঙ্গে কিছুটা সবজি, একটু ডাল ও মাছ বা মাংস খাওয়া যেতে পারে। ডালে প্রচুর প্রোটিন আছে; ডালের সঙ্গে সবজি ও ভাত বা রুটি এবং কিছুটা ফল খেলে শরীরের চাহিদা মিটে যায়। মাছ-মাংস বাদ দিয়ে দুধ-রুটি ও ফল খেলেও চলবে। গুরুপাকজাতীয় খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। এ জন্য সেহরিতে সহজে হজম হয়, এমন খাবার খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। আমাদের দেহের কোষগুলোর কার্যাবলি ঠিকভাবে সচল রাখতে বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ভোররাতে উঠে এক বা দুই গ্লাস পানি পানের পর এবং খাওয়া শেষে আবার দুই গ্লাস বা কিছু বেশি পানি পান করা দরকার।

মনে রাখা জরুরি
শারীরিক যেকোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে রোজা রাখতে হবে। যাদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, তারা ইফতার, সেহরি ও রাতের খাবারের আগে বা পরে নিয়মমতো ওষুধ খাবে। ডায়াবেটিসে ইনসুলিন সঠিক পরিমাণে নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা উচিত। দিনে বা বিকেলে অতিরিক্ত ব্যায়াম না করাই ভালো। ইফতারের পর হালকা ব্যায়াম করা বা কিছুটা হাঁটা যায়। খুব বেশি শারীরিক পরিশ্রম করা ঠিক নয়, তবে কিছুটা কায়িক পরিশ্রম করা ভালো।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০২ জুলাই ২০১৪

ইফতারিতে খেজুর

time

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: ইফতারিতে খেজুর খুবই পরিচিত খাবার। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন খেজুর দিয়ে রোজা ভঙ্গ করার। কারণ এটি দ্রুত আপনাকে চনমনে করে তোলে। এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আমাদের হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও হজম শক্তিকে ভালো রাখে। তাজা বা শুকনো দুই প্রকার খেজুরই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
এবার দেখা যাক ১০০ গ্রাম খেজুরে আমরা কী কী পুষ্টি উপাদান পেতে পারি। বন্ধনীতে দেখানো হলো প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় উপাদানের কত ভাগ খেজুরে পাওয়া যায়। ৬.৭ গ্রাম আঁশ (২৭ ভাগ), পটাশিয়াম ৬৯৬ মিলিগ্রাম (২০ ভাগ), কপার ০.৪ মিলিগ্রাম (১৮ ভাগ), ম্যাঙ্গানিজ ০.৩ মিলিগ্রাম (১৫ ভাগ), ম্যাগনেশিয়াম ৫৪ মিলিগ্রাম (১৪ ভাগ), ভিটামিন বি৬ ০.২ মিলিগ্রাম (১২ ভাগ) ও অল্প পরিমাণ ভিটামিন এ। এছাড়া এতে আছে প্র্রচুর চিনি। যা প্রতি ১০০ গ্রামে ৬৬.৫ পর্যন্ত হতে পারে।

নিচে এর কিছু উপকারিতা জানানো হলো-

3-Tips-Inner
১. এতে অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশ থাকে। আঁশ আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। বৃহদান্ত্র ও অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। ফলে মলাশয় প্রদাহ, বৃহদান্ত্র ক্যান্সার ও অশ্বরোগের ঝুঁকি কমে।

২. খেজুর হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটা তো জানা কথা, আঁশ হৃদপিণ্ডের সক্ষমতা বাড়ায়।

৩. খেজুরে থাকা ম্যাগনেশিয়াম প্রদাহ নিরাময়ী খনিজ হিসেবে বেশ পরিচিত। ম্যাগনেশিয়াম কার্ডিওভাস্কুলার রোগ, আথ্রাইটিস, অ্যালঝাইমারসহ অন্যান্য প্রদাহজনিত স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমায়।

৪. ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। পটাশিয়াম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি হৃদপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তচাপ কমে।

৫. গর্ভবতীদের জন্য খেজুর পুষ্টিকর খাবার। এটি সন্তান জন্মদান সহজ করে দেয়।

৬. এতে আছে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার অত্যন্ত দরকারি ভিটামিন বি৬।

৭. এতে থাকা ভিটামিন এ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য বেশ পরিচিত। যা দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো। এছাড়া মিউকাস মেমব্রেন ও ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর। ভিটামিন এ ফুসফুস ও মুখ গহ্বরের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

 

অন্যান্য উপকারিতার মধ্যে রয়েছে- ওজন কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ডায়রিয়ায় বেশ উপকারি, আয়রনের ঘাটতি কমায় এবং ধ্বজভঙ্গ প্রতিরোধী।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০১ জুলাই ২০১৪ই.

রমজানে খাবার বাছাইয়ে তিন কথা

3-Tips-Inner

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : এবারের রমজানের পুরোটাই বর্ষাকাল। বৃষ্টির স্বস্তি থাকলেও সারাদিন রোজা থেকে ভ্যাপসা গরমে কাহিল হয়ে পড়তে পারেন। উবে যেতে পারে কাজ করার শক্তি ও ইচ্ছা । অতীত অভিজ্ঞতা এ রকমটাই বলে। এ ছাড়া এখন দিন বারো ঘণ্টার বেশি। তাই এবারের রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হবে। পানিস্বল্পতা তো রয়েছে, এ ছাড়া সঠিক খাবার নির্বাচন না করার কারণে পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারেন।

 

মুখরোচক খাবারের চেয়ে রোজাদারের জন্য পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার দরকার। যা প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাবে। তাই খাবার নির্বাচনে বিশেষ সতর্কতা দরকার। এখানে খাবার বাছাইয়ের তিনটি প্রয়োজনীয় বিষয় উল্লেখ করা হলো-

7

ভাজাপোড়া ও জাঙ্কফুড পরিহার করুন 

ভাজাপোড়া খাবার ইফতারিতে বহুল প্রচলিত। পুরনো ঢাকা ও নামি-দামি রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে সাধারণ খাবারের দোকান এমন আয়োজনে ভরপুর থাকে। এসব খাবারে থাকে অতিরিক্ত মশলা, তেল ও চিনির ব্যবহার। খাবারে এগুলোর বেশি ব্যবহার এমনিতেই অস্বাস্থ্যকর। তবুও ইফতারির আয়োজনে ভাজাপোড়া ও জাঙ্কফুডের চাহিদা অনেক! রমজানে এসব খাবারকে না বলুন। জোর দিন ঘরে তৈরি হালকা মশলা, তেল ও চিনি ব্যবহার করা খাবারের প্রতি। বেশি করে দেশি ফল ও সবজি খান। দেখবেন রমজানের পবিত্রতায় এ সব সাধারণ খাবার কতই না মজাদার, আর পুষ্টিগুণ তো সারাদিন ধরে টের পাবেন।

মিষ্টি খাবারের ক্ষেত্রে মধু বা আখের গুড় ব্যবহার করুন। সারাদিন রোজা থাকার পর শরীরে শর্করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই শর্করার চাহিদা মেটাতে শুটি, ডিম বা মাংসের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন এবং পরিমাণমত খান। আঁশ সমৃদ্ধ খাবারের প্রতি জোর দিন।

 

সাদা খাবারকে না
ইফতারির আয়োজনে ছোলার সঙ্গে আমরা মুড়ি খেয়ে থাকি। মুড়ির রঙের দিকে নজর দিন। বেছে নিন বাদামী মুড়ি। ভাজার সময় ইউরিয়া ব্যবহার করলে মুড়ির রং সাদা হয়ে যায়। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া সাদা খাবারের মধ্যে রয়েছে সাদা রুটি, চাল ও চিনি। প্রক্রিয়াজাতের কারণে এমন রং হয়। এ সব খাবারে পুষ্টিগুণ রক্ষিত হয় না। বিশেষ করে অতিপ্রয়োজনীয় আঁশ এ সময় বাদ পড়ে। এতে শুধু শর্করা থাকে। যা স্থূলতা ঘটাতে পারে। তাই গম থেকে ভাঙ্গা আটা ও বাদামী চাল খেতে পারেন।

পানীয়ের প্রয়োজনীয়তা

রমজানে শরীর আস্তে আস্তে পানি হারাতে থাকে। বেশি পানি খেয়ে সারাদিনের জন্য জমিয়ে রাখার কোনো উপায় নেই। তাই খাবার বাছাইয়ে সতর্কতা দরকার। ইফতার থেকে সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। সেহরির মেনুতে বেশি মশলা ও লবণযুক্ত খাবার রাখবেন না। এগুলো রোজা রাখা অবস্থায় পিপাসা বাড়িয়ে দিবে। এর বদলে ফল বা সবজি খান। এতে থাকা জলীয় অংশ ও আঁশ বেশিক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে। খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙ্গুন। সঙ্গে রাখুন ডাবের পানি বা ফলের রস। অপরিমিত কফি বা চা পান থেকে বিরত থাকুন। এসব পানীয় শরীরের পানি শুষে দেয়।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৯ জুন ২০১৪ই.

উত্তরায় যাত্রা শুরু করলো নাবিলা বুটিকস

 NABILA-UTTARA-OPENING-CEREM20140628144538

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : গুলশানের পর এবার রাজধানীর উত্তরায় যাত্রা শুরু করলো দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন হাউজ নাবিলা বুটিকস। শনিবার, ২৮ জুন এ ফ্যাশন হাউজের উত্তরা শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নাবিলা বুটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীমা নবী।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নাবিলার চেয়ারম্যান মেজর (অব.) টি. আই. এম নূরুন নবী, পরিচালক নাবিলা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাহনূর, মডেল নিলয়সহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ববর্গ।

 

নাবিলার বিশেষত্ব প্রসঙ্গে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফ্যাশন ডিজাইনার শামীমা নবী বলেন, ‘একজন ফ্যাশন উদ্যোক্তা হিসেবে আমি আমার সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে চেষ্টা করি সুন্দরের বিকল্প আরো একটি সুন্দর সৃষ্টিতে এবং সেটা হচ্ছে পোশাক ও অলংকার যা মানুষকে আরো সুন্দর, আকর্ষনীয় করে তুলে।

 

বুটিকসটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) টি.আই.এম নূরুন নবী বলেন, নাবিলার প্রতিটি পোষাক তৈরী হয় বাঙ্গালী ও ইসলামী চেতনার উপর ভিত্তি করে। পোষাকের ডিজাইনে বরাবরই আধুনিকায়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়।

 

পরিচালক নাবিলা জানান, উত্তরায় আমাদের এ বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে শাড়ী, থ্রি-পিচ, লেহেঙ্গা প্রভৃতী নারীদের পোশাক। এখানে শাড়ী পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। এছাড়া থ্রি-পিচ পাওয়া যাবে এক হাজার দুই শত টাকা থেকে এক লাখ টাকা এবং লেহেঙ্গা দশ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া অন্যান্য পোষাকের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সকলেরই ক্রয় ক্ষমতা ও সাধ্যের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৯ জুন ২০১৪ই.

 

দেখে এলাম এভারেস্ট

উদয় হাকিম: মাউন্ট এভারেস্ট। দ্য টপ অব দি ওয়ার্ল্ড। পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ। এভারেস্ট দেখার ইচ্ছে কার না আছে। ছিল আমারও। দুর্নিবার সে ইচ্ছে। অবশেষে পূরণ হলো এভারেস্ট দেখার সাধ! তবে সামিট করে নয়, পাঁয়ে হেঁটে নয়। দেখলাম বিমান থেকে।

দেখলাম আলোর মাঝে অপূর্ব সে আলো। মাথা উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে। যেন সারা পৃথিবীর ভার বয়ে তবু অবিচল। অম্লান শুভ্র বসনে, বীরের বেশে। যেন নিরন্তর চির উন্নত শির।

স্থানীয় সময় সকাল ৭টা। পুব আকাশে সূর্য। চরাচর ভেসে যাচ্ছে উজ্জ্বল আলোয়। পুরো উত্তর পাশ জুড়ে শত শত পাহাড়ের চূড়া। বোঝার উপায় নেই কোনটা এভারেস্ট! তার পরও এভারেস্টের সমান উচ্চতায় আর তো কিছুই নেই। এভারেস্ট দাঁড়িয়ে স্বমহিমায়। যখন একটা এভারেস্ট থাকে, তার চারপাশের অন্য সবকিছু হয়ে যায় ম্লান।

দেখলাম ত্রিকোণাকৃতির চূড়া। অন্য সবকিছুর চেয়ে আলাদা। ভয়াল ধু-ধু বিন্দু। হালকা বাতাস। মেঘেরা ভেসে বেড়ায় অনেকটা দূর দিয়ে। এত উঁচু বন্ধুর পর্বতে মানুষ কীভাবে ওঠে! সুউচ্চ এই চূড়ায় আরোহণ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২০০-এরও বেশি মানুষ। তার পরও থেমে নেই এভারেস্ট জয়ের বাসনা। এভারেস্টের কাছে গেলে মনে হয়, পুরো পৃথিবীটাই বোধহয় এরকম- শুধু বরফের আস্তর, বরফের পাহাড়, বরফের রাজত্ব, কোথাও নেই এতটুকু সমতল।

এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার। এভারেস্টে ওঠার সর্বশেষ বেস ক্যাম্প সম্ভবত ৭ হাজার ৯০৬ মিটার উঁচুতে। এ জায়গাটাকে মনে হলো যেন বরফের নদী। সম্ভবত বরফ গলতে শুরু করলে এখানে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। এজন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহ শুরু হওয়ার আগেই সামিট সিজন শেষ হয়ে যায়।

এভারেস্টের ওপরটা দেখলে মনে হয় না, এত কঠিন এখানে ওঠা। কাছ থেকে মনে হয়, সহজেই ওঠা সম্ভব। কিন্তু বরফের ওপর দাঁড়ানো অত সহজ নয়। মসৃণ চকচকে দেখা গেলেও আদতে ওই স্থানটি অতি ভয়ানক। যারা হেঁটে এভারেস্টে ওঠেন তারা কিন্তু বেশিক্ষণ সেখানে থাকেন না। শুধু ছবি তোলা, পতাকা প্রদর্শন এবং অতি সংক্ষিপ্ত কিছু স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক রাখা ছাড়া আর সময় নেই। কারণ, ওখানে সময় নষ্ট করা মানেই মৃত্যুকে ডেকে আনা।

আগেরবার নেপাল গিয়েও এভারেস্ট দেখতে পারিনি। তাই এবার মিস করতে চাইনি। আগের দিন টিকিট কনফার্ম করেছি। টিকিট ১৯৪ ডলার। কাঠমান্ডুর তিব্বত হোটেল থেকে গাড়িতে নিয়ে যাবে আর দিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ২১২ ডলারের প্যাকেজ।

ভোর সাড়ে ৫টায় গাড়ি এল হোটেলে। তৈরি হয়ে ছিলাম আগেই। আধা ঘণ্টায় এয়ারপোর্টে চলে গেলাম। ইয়েটি এয়ারলাইন্সের বোর্ডিং কার্ড নিলাম। ২ নম্বর গেটে গিয়ে অপেক্ষা। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের গাবতলী বাস টার্মিনালের চেয়েও দুরবস্থা। ভাঙা একটা বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করলাম। এখানে শুধু এভারেস্ট দেখানোর জন্য বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স কাজ করছে। অফ সিজনেও যাত্রীসংখ্যা নেহাত কম নয়। পাঁচ মিনিট পরপরই একটা করে ছোট বিমান টেক অফ করছে। ঠিক সাড়ে ৬টায় ডাক এল আমাদের।

নড়বড়ে সিঁড়ি দিয়ে বিমানের ভেতরে ঢুকলাম। বিমানবালা নিচু করে ঢুকতে বললেন, না হলে মাথা ঠুকে যাবে ওপরে। বাঁ পাশের সিঙ্গেল সিট আমার। খুব ভালো পজিশন। ডান পাশে দুজন করে বসল। সব মিলিয়ে ১৬-১৭ জন যাত্রী। বিমানবালা দেখতে সুন্দর, ইংরেজি উচ্চারণও খুব ভালো। তবে কথা বলে খুব নিচু স্বরে। কান পর্যন্ত কথা পৌঁছোয় না।

ঘরঘর শব্দ করে বিমান উঠল রানওয়েতে। সিগন্যাল ওকে। ছোট্ট, হালকা বিমান। সামান্য দৌড়েই উড়ে গেল আকাশে। মনে হচ্ছিল, ফড়িংয়ের পিঠে চড়েছি। আমার হাইট ফোবিয়া আছে। কিন্তু ফড়িং বিমানে কোনো ভয় লাগছে না। মনে হচ্ছে বিমানটি আমিই চালাচ্ছি। আরো যদি সুযোগ পেতাম!

নিচে কাঠমান্ডু শহর। উত্তর পাশে বিশাল কালো পাহাড়, যেটি দাঁড়িয়ে আছে বিমানবন্দরকে আড়াল করে। কিন্তু কালো পাহাড়ের পেছনেই যে বি

১৮ বছরের আগেই দুই-তৃতীয়াংশ মেয়ের বিয়ে হয়

child20140623204406

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ কন্যাশিশুর ১৫ বছরের আগে এবং দুই-তৃতীয়াংশ কন্যাশিশুর ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়। গ্রামে এ হার ৭১ শতাংশ এবং শহরে ৫৪ শতাংশ। এমনই এক চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক গবেষণায়।

 

সম্প্রতি সংগঠনটি শরীয়তপুর জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি যথাক্রমে শরীয়তপুর সদর, ডামুড্যা, নড়িয়া, গোসাইরহাট এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলায় এক গবেষণা পরিচালনা করে। গবেষণায় উঠে আসে ওই জেলার কন্যা শিশুদের অকাল বিয়ের পরিমাণ, কারণ এবং ফলাফল।

 

গবেষণায় দেখা দেখা গেছে, সেখানে মোট পুরুষের ৯২ শতাংশ বাল্যবিবাহ সম্পর্কে শুনেছেন এবং নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৯৩ শতাংশ। তারা কেউ শুনেছেন মিডিয়ার মাধ্যমে, কেউ এনজিও’র মাধ্যমে, কেউ শিক্ষকের কাছে। তবে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে ধারণার ক্ষেত্রে উত্তরদাতাদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পরিলক্ষিত হয়েছে।

 

বাল্যবিবাহের শাস্তি সম্পর্কে অধিকাংশের স্বচ্ছ ধারণা নেই বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে অধিকাংশ আইনজীবী, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি আইনের দুর্বলতার কথা বললেও সরকারি কর্মকতা যেমন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ১৯২৯ সালের বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা যায় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

 

সেখানকার গবেষণার আওতাভুক্ত শরীয়তপুরকে বাল্যবিবাহ প্রবণ এলাকা বলে অভিহিত করেছেন কেউ কেউ। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শরীয়তপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত মোট ১৩ জন ছাত্রী বিবাহিত,  যারা ২০১৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন এবং তাদের প্রত্যেকের ১৫ বছরের পূর্বে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

 

গবেষণায় আরো উঠে আসে, শরীয়তপুরে বাল্যবিবাহের ধরনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১৮ বছরের কম বয়সের মেয়ের সঙ্গে অধিক বয়সের ছেলে, কখনো বা দ্বিগুণ বয়সের ছেলের বিবাহ সম্পন্ন। শরীয়তপুরে বাল্যবিবাহের কারণ সম্পর্কে গবেষণায় যা উঠে এসেছে সচেতনতার অভার, দারিদ্র্য, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব, নিরাপত্তাহীনতা, যৌতুক অন্যতম।

 

বাল্যবিবাহের ফলে যে প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, দাম্পত্য কলহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, বহু বিবাহ।

 

বাল্য বিবাহের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দেখা যায়, প্রশাসনিক পদক্ষেপ, বেসরকারি নজরদারি, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, নারী শিক্ষার প্রসার প্রভৃতি কারণে শরীয়তপুরে বাল্য বিবাহের প্রবণতা পূর্বের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে।

 

বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে শরীয়তপুরে সরকারি কোনো ভূমিকা আছে কি না- এমন প্রশ্নে অধিকাংশই মনে করেন, সরকারিভাবে ভূমিকা রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে জরিপে অংশ নেওয়া ৮৯ শতাংশ উত্তরদাতা তেমনটিই মনে করেন। তবে গৃহীত পদক্ষেপ কতটা কার্যকর- এমন প্রশ্নে বেশিরভাগ উত্তরদাতা মনে করেন, সরকারিভাবে গৃহীত পদক্ষেপ কার্যকরভাবে বাল্যবিবাহ রোধ করতে পারছে না। এছাড়া স্থানীয় সরকারের ভূমিকাও যথেষ্ট নয়।

 

এছাড়া, শরীয়তপুরে খুব অল্প সংখ্যক এনজিও এবং মিডিয়াসহ ছাত্র-ছাত্রী, নাগরিক সমাজ, বিবাহ নিবন্ধক বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

 

গবেষণায় উঠে আসা পর্যালোচনা সাপেক্ষে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে কিছু  সুপারিশ তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো- বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৩’-এর পরিবর্তে ‘শিশুবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৩’ করা; ‘বাল্যবিবাহ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘শিশুবিবাহ’ শব্দটি সর্বত্র ব্যবহার করা; বাল্যবিবাহ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে কমপক্ষে দশম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে চ্যাপ্টার সংযোজন করা;  বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিশেষ প্রচার চালানো, এক্ষত্রে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা; বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-১৯২৯ সংশোধন সাপেক্ষে সময়োপযোগী করা; আইনের শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি ও কঠোর করা;  নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধিরোধ করতে প্রশাসনিক পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ; বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে চলমান আইনের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রশাসনিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করা; জন্ম সনদে বয়স বৃদ্ধিরোধে সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার; বিবাহ নিবন্ধকের জন্য সরকারিভাবে কার্যকর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ; প্রবাসীপাত্রের সাথে বিবাহ দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করতে সামাজিক প্রচার এবং বিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।

 

এ সম্পর্কে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আগের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনটির বিভিন্ন ফাঁকফোকর থাকার কারণে বাল্যবিবাহ নির্মূল  করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আইনটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ বছরের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত বাল্যবিবাহ আইন (খসড়া) ২০১৩ এর সংশোধনী আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর আইনটি বাস্তবায়ন করা হবে আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে।

 

অপরাজেয় বাংলাদেশ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু বলেন, সমাজে নারী ও শিশু হলো ব্যারোমিটারের মতো। যে সমাজে নারী ও শিশুকে বাদ দেওয়া হয় সে সমাজকে ন্যায্য সমাজ বলা যায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্টকরে শিশু ও নারীর অধিকার উল্লেখ করা আছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন হয়।

 

তিনি আরো বলেন, দেশে অভিভাবকরা বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে এখনো সচেতন হননি। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হলে প্রথমে ঘরের ভেতরটা পরিবর্তন করতে হবে। ঘরের ভেতরটা পরিবর্তন না করলে বারবার পিছিয়ে যাব।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৬ জুন ২০১৪ই.

ভালুকায় মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

index_41822

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ময়মনসিংহ : জেলার ভালুকা উপজেলায় মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে জেলার মিরকা গ্রাম এই লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শিউলী (৩০) ও তার মেয়ে সুচি (৫)।

 

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে উপজেলার মিরকা গ্রামের কালি বিলের পার্শে¦ একটি কড়াই গাছে দু’টি ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।

 

পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

 

নিহত শিউলীর পিতা গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। জাহাঙ্গীর তার ভাবীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় তাদের অনৈতিক কাজ শিউলী ও তার মেয়ে সূচি দেখে ফেলায় তাদের হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

 

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলতে পারবো এটা আসলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২ জুন ২০১৪ই.

ঘুরে আসুন গুঠিয়া বাইতুল আমান মসজিদ

1403265554.

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, বরিশাল : বরিশাল-বানারীপাড়া সড়ক ধরে এগোলেই উজিরপুর উপজেলা। সড়কের পাশে গুঠিয়ার চাংগুরিয়া গ্রাম। এ গ্রামেই আছে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ মসজিদ। ২০০৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর উজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু চাংগুরিয়ার নিজ বাড়ির সামনে প্রায় ১৪ একর জমির উপর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে গুঠিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদ-ঈদগাহ্ কমপ্লেক্স এর নির্মান কার্যক্রম শুরু করেন।

 

৩ বছর মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্মান কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন এস. সরফুদ্দিনের ছোট ভাই মোঃ আমিনুল ইসলাম নিপু। তিনি ২০০৬ সালে উক্ত জামে মসজিদ- ঈদগাহ্ কমপ্লেক্সের নির্মান কাজ সম্পন্ন করেন। তার নির্মানাধীন সময়কালের মধ্যে তিনি একটি বৃহৎ মসজিদ-মিনার, ২০ হাজার অধিক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ঈদগাহ্ ময়দান, এতিমখানা, একটি ডাকবাংলো, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, লেক-পুকুর খনন কাজ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন-ফুল বাগান তৈরি ও লাইটিং ব্যবস্থা সম্পন্ন করেন।

 

1403265580.

 

কমপ্লেক্সের মূল প্রবেশপথের ডানে বড় পুকুর। পুকুরের পশ্চিম দিকে মসজিদ, একসঙ্গে প্রায় দেড় হাজার মুসল্লী নামাজ পড়তে পারে। মসজিদ লাগোয়া মিনারটির উচ্চতা ১৯৩ ফুট। ঈদগার প্রবেশপথের দুই ধারে দুটি ফোয়ারা আছে। এই মসজিদের নির্মাণ কাজে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার নির্মান শ্রমিক কাজ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়। পরে গুঠিয়ার নামেই মসজিদটি পরিচিতি লাভ করে।

 

চাংগুরিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী এস সরফুদ্দিন আহমেদ এটির নির্মাণ ব্যয় বহন করেন। বরিশাল শহরের নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বানারীপাড়ার উদ্দেশে ১৫ মিনিট পর পর বাস ছাড়ে। মসজিদে যেতে ভাড়া লাগে ১৪ টাকা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২২ জুন ২০১৪ই.

পাহাড়ে রেশম চাষ

55

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, রাঙ্গামাটি : রেশম চাষের জন্য বেশি জায়গা বা সময়ের প্রয়োজন পড়ে না। সহজে বাড়ির উঠানে বা ঘরে চাষ করতে পারা যায়। সে সুবিধা কাজে লাগাচ্ছেন রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার অনেক নারী। তারা রেশম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি চাষ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এ রেশম চাষ সহজ করে দিয়েছে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দানকারী প্রতিষ্ঠান রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র ও রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়।

 

বেতছড়ির বাসিন্দা ফেরদৌসী বেগম দুই দশক আগে রেশম চাষ শুরু করেন বলে জানা যায়। তার সাফলতা মেয়ে ফরিদা পারভিনকেও রেশম চাষে উদ্বুদ্ধ করে। ফরিদা ৮ বছর ধরে রেশম চাষে যুক্ত আছেন। তিনি ছোট বোন শাহানা আক্তারসহ এলাকায় শতাধিক নারীকে রেশম চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বর্তমানে কাউখালীতে চার শতাধিক নারী রেশম চাষে যুক্ত আছেন।

 

চাষী শিরিনা বেগম, রোকসানা বেগম, বৈশাখী চাকমা, হাসিনা বেগম, লায়লা বেগম, গোলাপী বেগম, কুলসুমা বেগম, সুখী চাকমাসহ অনেকে জানান, তারা রেশম চাষ করে লাভবান হয়েছেন। শিরিনা বেগম জানান, তার কাছে বর্তমানে ৫০ হাজার টাকা জমা আছে। যা রেশম চাষ থেকে আয় করেছেন। আরেকজন জানান, এক ছেলে ও এক মেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন রেশম চাষ করে। এ রকম অনেক নারী তাদের সফলতার কথা দ্য রিপোর্টকে জানান।

 

ফরিদা পারভীন জানান, বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৩৩৬ জন রেশম চাষী আছেন। প্রতিনিয়ত এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র বিনামূল্যে রেশম পোকা সরবরাহ করে। এ ছাড়া চাষীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যে কোনো সমস্যায় তাদের পরামর্শও দিচ্ছে।

 

সম্প্রতি বেড়ছড়িতে অনুষ্ঠিত হলো একটি প্রশিক্ষণ। ২৪ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এ প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল ‘বয়স্ক পুল পালন’। প্রশিক্ষণ শেষে চাষীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যানী চাকমা কৃপা, জেলার কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক পরিচালক তপন কুমার পাল, আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক কামনাশীষ দাশ ও আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রাশিদুল হক। আয়োজকরা জানান, প্রশিক্ষণে নারীদের উপস্থিতিই বেশি ছিল।

 

চাষীরা মনে করেন কাউখালী উপকেন্দ্রে রেশম নিয়ে আরও পদক্ষেপ দেওয়া দরকার। এ ব্যাপারে আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক কামনাশীষ দাশ বলেন, কাউখালীতে অনেক মহিলা রেশম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তারা এলাকায় চাকী পলু পালন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে অবহিত করা হয়েছে। সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রাশিদুল হক বলেন, কাউখালী, কাপ্তাই এবং রাজস্থলীতে চাকী পলু পালন কেন্দ্র গড়ে তোলা বিশেষ প্রয়োজন। এটা করা গেলে এলাকায় রেশম চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২২ জুন ২০১৪ই.

বাড়ির ছাদে সবুজের উঁকি

Rajshahi-1

 

মাইনুল হাসান জনি, রাজশাহী : ‘শাহীন মঞ্জিল’। রাজশাহী নগরীর উপশহর হাউজিং এস্টেটের ১ নম্বর সেক্টরের ৬৪৫ নম্বর বাড়ি। বাড়ির চারতলায় ছাদজুড়ে বিশাল বাহারি বাগান। আর সেই বাগান গড়ে জাতীয় পদক পেয়েছেন সালেহা খন্দকার। 

গত ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট আর ৩০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

 

জাতীয় পুরস্কারে গর্বিত সালেহা খন্দকার এখন রাজশাহীর গর্ব ও প্রজন্মের অনুপ্রেরণা।

 

সালেহা খন্দকার তার এ সাফল্যে মরহুম স্বামীর অনুপ্রেরণা ও একমাত্র ছেলে শাহীনের সহযোগিতার কথা স্বীকার করেন। ছেলে শাহীন সালেহউদ্দিন কৃষি কর্মকর্তা। গাছপাগল। গাছ নিয়েই থাকেন। ছুটি পেলে বাসায় এসে আগেই উঠে পড়েন ছাদে। নীবিড় পরিচর্যা শুরু করেন নিজেও। সালেহা খন্দকার জানালেন, তার এ সাফল্যে ছেলের অবদান সবচেয়ে বেশি।

 

জাতীয় পদকে ভূষিত সালেহা খন্দকার দ্য রিপোর্টকে জানান, বাজারে বিষমুক্ত টাটকা ফলমুল ও শাক-সবজির অভাব। এ অভাবের তাড়নায় বিষমুক্ত ও টাটকা শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালে দুই হাজার বর্গফুট ছাদে ফলমূল ও শাক-সবজির বাগান গড়ে তোলেন তিনি।

 

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী জুবাইদ আলী কৃষিবিদ ছিলেন। বগুড়ার শেরপুরে আমাদের ছোট খামারবাড়ি আছে। সেখানেও সব ধরনের ফলমূলের গাছ আছে।’

 

কথা বলতে বলতে এক সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সালেহা খন্দকার।

 

তিনি বলেন, ‘সে (আমার স্বামী) আজ বেঁচে নেই। পুরস্কারটি পাওয়ার পরে তাকে বেশি মনে পড়ছে। কারণ তিনি বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।’

 

Rajshahi-2

 

শাহীন মঞ্জিল নামের বাড়িটির খোলা আকাশে ছাদের উপর এখন যেন অন্য এক সবুজ সংগ্রহশালা। আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লিচু, লেবু, জাম্বুরা, কুল, জলপাই, ডালিম, শরিফা, বেল, সফেদা, আমলকি, কমলালেবু, আমড়া, জাম, কদবেল, আঁশ ফল, কামরাঙা, মালটা, লটকন, চালতা, করমচা, আরবরই, গোলাপজাম ও জামরুল গাছ রয়েছে। ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট টবে সাজানো রয়েছে পাথরকুচি, সাজনা, শতমূলী, তেঁতুল, থানকুনি, কালোমেঘ, ঘৃতকুমারী, বাসক, তুলসি ও আমলকিসহ নানান জাতের ওষুধি গাছ আর ফুল যেন উঁকি দেয় সবুজের মাঝে।

 

গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, এস্টার, বেলি, বাগানবিলাস, জারবেরা, কাঠগোলাপ, আলকানন্দ, কামিনী, থুজা, ড্রাসিনা, এরিকাপাম, মানিপ্ল্যান্ট, মালফুজিয়া, ল্যান্টানা, পয়েনসেটিয়া, চেরি, হাইব্রিড জবা, মুসান্ডা, রাধাচূড়া, মর্নিং গ্লোরি, কিরীটিনী, মে ফ্লাওয়ার ও জেফির লিলি। সংগ্রহশালার মধ্যে আরও রয়েছে- ছাতিম, বৈইচি, শেওড়া, অশথ, বট, পাইকর, লাইকড় ও জিলাপি ইত্যাদি বনসাই।

এ ছাড়া কদম, নিম, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, ইপিল-ইপিল, কাঞ্চন, দেবদারু, বকুল, মহুয়া, জাম ও শিমুল রয়েছে একই বাগানে। সেখানে আরো রয়েছে টমেটো, বেগুন, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, ধনিয়াপাতা, লাউ, পুঁইশাক, গিমা কলমী, পালংশাক, শিম, চালকুমড়া, করলা, পটল ও মিষ্টি কুমড়াসহ সব ধরনের সবজি, যা পরিবারের পুষ্টি যোগান দেয়। আর যেটি দেখলে মণ-প্রাণ জুড়িয়ে যায় তা হলো বহুজাতের ক্যাসটাস। কিন্নরী, জ্যাট্রফা, সাইকাস, ড্রাগন ফ্রুট ও জাবেটিকাবাসহ অন্য ক্যাসটাসের জাত রয়েছে ছোট ছোট টবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল আমিন দ্য রিপোর্ট জানান, ছাদে বাগান সৃজন পরিশ্রমসাপেক্ষ। সালেহা এই পরিশ্রমসাপেক্ষ কাজটি করে নজির স্থাপন করেছেন। তিনি বাগানের নিয়মিত পরিচর্যা করেছেন, যত্ন করেছেন, সাফল্য পেয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘কৃষি দফতর এমন বাগান গড়ে তুলতে উৎসাহ দিয়ে আসছে। পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ বাগান সৃজনের বিকল্প নেই।’

 

বাড়ির ছাদে ছাদে এমন বাগান সৃজনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।সূত্র: দ্য রিপোর্ট

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২২ জুন ২০১৪ই.

স্বপ্ন দেখছেন ২৭ নারী

 0516125245

সেলাই মেশিন গ্রহণ করলেন ২৭ জন নারী

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কুমিল্লা : সালমা আক্তার। বয়স ১৯। এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। বিয়ে হয়নি। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে।পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারেন না। তাই পরিবারে কাছে তার গুরুত্ব অনেকটা গুরুত্বহীন।

 

সম্প্রতি তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বনির্ভরায়ন কার্যক্রমের আওতায় কুমিল্লায় দুই মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার কুমিল্লা রোটারি ক্লাব মিলনায়তনে তিনি প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেটের সঙ্গে একটি সেলাই মেশিনও গ্রহণ করেন।

 

সালমা আক্তার জানান, তিনি সেলাই করে ভালো আয় করতে পারবেন। নিজের হাত খরচ জোগাড়ের পাশাপাশি সহযোগিতা করতে পারবেন পরিবারকেও।

 

সালমা আরো জানান, তারা মোট ২৭ জনকে ৫০০ টাকা ফির বিনিময়ে দুই মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে সেলাইয়ের কাঁচি ফিতা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। যাদের সামর্থ নেই, তাদের ১৫ জনকে সুদমুক্ত সহজ কিস্তিতে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।

 

কোয়ান্টাম কুমিল্লা শাখার অর্গানাইজার মোহাম্মদ সিকান্দার জানান, সংগঠনের যাকাত ফান্ডের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

 

সেলাই প্রশিক্ষণের সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থীদের ঋণ মুক্ত স্বচ্ছল জীবন, রাগ ক্ষোভ পরিহার, সুস্বাস্থ্যের পাঁচ ভিত্তি, নৈতিক শক্তি অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

বৃহস্পতিবার সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক সমন্বয় সুরাইয়া রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার এবং ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার কো-অর্ডিনেশন এসএম সাজ্জাদ হোসেন।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৯ জুন ২০১৪ই.

আত্মপ্রত্যয়ী এক গৃহবধূ

 

602153404

মুরগীর ফার্মে কাজ করছেন নাজমা বেগম

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সাতক্ষীরা : দারিদ্র্যের নিষ্ঠুুরতা দমাতে পারেনি আত্মপ্রত্যয়ী পাটকেলঘাটার এক গৃহবধূকে। মুরগীর ফার্ম করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।

 

অল্প কয়েকটা কিছু মুরগী নিয়েই শুরু হয়েছিল তার পথচলা। প্রয়োজনীয় পুঁজির সরবরাহ পেয়ে মাত্র চার বছরের ব্যবধানে তিনি এখন ছোটবড় ৬টি ফার্মের মালিক।

 

গৃহবধূর নাম নাজমা বেগম। এখন তিনি মুরগীর ফার্ম সমিতির মাধ্যমে ইনকিউবেটর মেশিন সংগ্রহ করে সেখানে নিজ ফার্মের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাচ্ছেন। সমিতির বিভিন্ন ফার্মে সেই বাচ্চা সরবরাহ করছেন। এই কাজে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন তার স্বামী ওসমান গণি।

 

তার ৩ টি ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি বড় ছেলে ১ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের হ্যাচারির তদারকি করছে। তাদের সংসারের চাকা ঘুরছে এই ফার্মেরই আয় দিয়ে।

 

নাজমা বেগম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামের বাসিন্দা। তিন সন্তানের লেখাপড়াসহ সংসারের খরচ চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতেন।

 

এমনই পরিস্থিতিতে তিনি বাড়ির আঙ্গিনায় ছোট লেয়ার মুরগীর ফার্ম তৈরি করেন। প্রতিটি ৩০ টাকা দরে প্রথম পর্বে ১শ লেয়ার মুরগীর ১দিন বয়সী বাচ্চা তোলেন। খাবার ও ওষুধসহ প্রতিদিন ২শ টাকা হারে খরচ হতো। বাচ্চার বয়স সাড়ে পাঁচ মাস হলে ডিম পাড়া শুরু করে। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় অন্যখানে।

 

একদিকে যেমন প্রতিদিন ২শ টাকা খরচ সংকুলন করা অসম্ভব, অন্যদিকে মাত্র ১শ মুরগীর জন্য গড় খরচ বেশি হওয়ায় পুঁজি বাঁচানো দায় হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় তার ফার্ম অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে।

 

এ সময় বেসরকারি সংস্থার তালা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার তাজউদ্দিনের সাথে পরিচয় হয় তার। তিনি এগিয়ে আসেন সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে।

 

নাজমা তার স্বামীর সাথে পরামর্শ করে মুসলিম এইড থেকে প্রথম দফায় ২০ হাজার টাকা সুদমুক্ত ঋণ গ্রহণ করে ৩শ বাচ্চা পালন শুরু করেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি ডিম পেতে থাকেন। পরে নিজের হ্যাচারিতেই বাচ্চা ফুটাতে শুরু করেন। বর্তমানে গড়ে বাচ্চা প্রতি ২০ টাকা নীট মুনাফা থাকে।

 

নাজমা বেগম জানান, ৫ দফায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তার ফার্মের কাজে লাগিয়েছেন। বর্তমানে তার হ্যাচারিতে ১২ হাজার ডিমে বাচ্চা ফোঁটার অপেক্ষায় আছে। ফার্মে ২ হাজার বাচ্চা আছে। এক হাজার ডিমের মুরগী আছে, যা প্রতিদিন ৬শ-সাড়ে ৬শ ডিম দেয়।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৯ জুন ২০১৪ই.

গড়ে তুলুন হাঁটার অভ্যাস

138082515

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : স্বাস্থ্য সচেতনতায় আমরা অনেকেই প্রতিদিন হেঁটে থাকি। কিন্তু অনেকে জেনে হাঁটছেন অনেকেই না জেনে শুধু শুনেই হাঁটছেন। কিন্তু আপনি কেন হাঁটছেন বা ঠিক কি ধরনের উপকারিতা পাচ্ছেন এই হাঁটার ফলে তা জানাটা দরকার প্রতিটি মানুষেরই। তাই জেনে নিন প্রতিদিন হাঁটার উপকারিতাগুলো।

 

১. দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি নিঃসরণ করে :

আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন খাবার খেয়ে অনেক বেশি ক্যালরি আহরণ করে থাকি। হাঁটার ফলে আমাদের দেহের এইসব অতিরিক্ত ক্যালরি নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে দেহের ভারসাম্য রক্ষা পায় সুতরাং ওজন অস্বাভাবিক বাড়ে না।

 

২. রক্তের কোলেস্টরেল, সুগার এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রিত হয় :

হাঁটলে আপনি আপনার দেহের রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টোরল, সুগার এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এগুলো নিয়ন্ত্রিত করে প্রতিদিনের হাঁটার অভ্যাস। ফলে দেহে অসুখ বিসুখ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

৩. হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে :

প্রতিদিন দৌঁড়ানো এবং হাঁটলে দেহের হার্টের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকভাবে হতে থাকে এবং এতে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক মাত্রায় হতে থাকে। এ কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।

 

৪. হাড় মজবুত হয় :

প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি এবং দৌড়াদৌড়ি করলে দেহের হাড় মজবুত হয়ে ওঠে। এর ফলে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়। এছাড়া মাংসপেশী শক্ত করে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি।

 

৫. শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায় :

হাঁটাহাঁটি করলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। ফলে আপনি শক্ত ধরনের কাজগুলো নিমেষেই করতে পারবেন। তেমন কোনো কষ্টই হবে না।

 

৬. দৈহিক আস্থা বাড়িয়ে দেয় :

হাঁটলে পরে আপনি দৈহিকভাবে আস্থা ফিরে পাবেন। কাজের ক্ষমতা পাবেন। আপনি একজন শারীরিকভাবে সক্ষম ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।

 

৭. সামাজিক যোগাযোগ গড়ে উঠবে :

আপনি যদি প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে অন্যান্য আরও ব্যক্তি যারাও হাঁটছেন এমন মানুষদের সাথে পরিচয় হবে। ফলে তাদের সাথে একটা ভালো যোগাযোগ গড়ে উঠবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৯ জুন ২০১৪ই.

জেনে নিন অবহেলিত সরিষা শাকের অজানা ৭ টি স্বাস্থ্য গুণ

5304702d1

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : অনেকেই আছেন যারা শাক খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না। অথচ আপনি কি জানেন খুব দামী দামী খাবারের মাঝে প্রতিনিয়ত যে পুষ্টিগুণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন, কেবল একটুখানি সরিষা শাকেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন তার সব কিছু। শুধু শাক হিসেবেই নয়, বরং কুচি কুচি করে বিভিন্ন তরকারির বা সালাদের সাথে মিশিয়ে নিলেও এটি ভীষণ স্বাদ বাড়ানোর কাজ করে। এর সব চেয়ে বড় গুণ হলো, এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দিতে ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয় এই ভীষণ সস্তা খাবারটির পুষ্টিগুণ মোটেই সস্তা নয়। আর এগুলো জানবার পরে আপনি নিশ্চয়ই এটি না খেয়ে থাকতেই চাইবেন না।

 

জেনে নিন সরিষা শাকের ৭ টি স্বাস্থ্য গুণঃ

১। ভিটামিন ও মিনারেলের সমৃদ্ধ উৎসঃ

সরিষা শাক ভিটামিন এ, সি ও কে তে পরিপূর্ণ যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন সিতে আছে শিক্তশালী এন্টি অক্সিডেন্ট যা নানা রকম ভাইরাল অসুখ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেয়। ভিটামিন এ ভালো রাখে আপনার দৃষ্টিশক্তি আর ভিটামিন কে দেয় হাড়ের সুরক্ষা এবং মস্তিষ্ককে রাখে দারুণ সচল।

 

এছাড়াও এতে আছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন ও ফাইবার। যা আপনার হার্ট ভালো রাখে, রক্তের কোলস্টেরল কমায় এবং গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ শিশু জন্মদানের সম্ভাবনা বাড়ায়।

 

২। এন্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডারঃ

এন্টিঅক্সিডেন্ট এর সব চেয়ে বড় গুণ হলো, এটি আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। কেবল তাই নয়, এটি মাসসিক চাপ কমায়, এবং নানা ধরনের ক্যান্সার (মূত্রথলী, স্তন, পায়ূপথ, জরায়ু, ফুসফুস) থেকে আপনাকে রাখে ১০০ হাত দূরে।

 

৩। ধুয়ে দেয় শরীরের বিষাক্ত পদার্থঃ
সরিষা শাকে আছে সালফার সমৃদ্ধ পুষ্টিগুণ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আপনার দেহে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে আর সেই সাথে নানা ক্রনিক রোগের আক্রমণ থেকেও আপনাকে রক্ষা করে। সরিষা শাকে থাকা পরিস্কারক উপাদান আপনার দেহে জমে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে আনে, দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে, এবং হজমশক্তি বাড়িয়ে দেহের বিষাক্ত পদার্থগুলো মলমূত্রের সাথে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।

 

৪। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
এই শাক আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে. এটি আপনার দেহে হার্ট এটাক, আর্থ্রাইটিস ও ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। এবং এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 

৫। ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
এতে আছে দুই ধরনের গ্লুকোসিনোলেটস, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত শরিষা শাক খেয়ে থাকেন তাদের বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হবার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে অনেক কম।

 

৬। কোলস্টেরল কমায়ঃ
এটি রক্তে কোলস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে আনে। সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতেও কার্যকর। কেননা এটি হজম শক্তি বাড়াতে সরাসরি কাজ করে থাকে।

 

৭। ত্বক, চুল, ওজন ও স্বাস্থ্যঃ
সরিষা শাক ত্বক ও চুল ভালো রাখে। সেই সাথে এটি অতি কম ক্যালোরি সম্পন্ন হওয়াতে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এটি শারিরীক দূর্বলতা, রক্তশূন্যতা, ত্বকের শুস্কতা, চুল পড়া ইত্যাসি সারিয়ে তুলতেও দারুণ কার্যকর।

 

সুতরাং সরিষা শাককে আর মোটেই অবহেলা নয়, যেভাবে ইচ্ছে রান্না করুন, খেয়ে নিন। ব্যস! বেঁচে গেল হাজারবার ডাক্তারের কাছে দৌড়াবার খরচ!

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৯ জুন ২০১৪ই.

নারীরা এখনো নির্যাতিত : সুলতানা কামাল

3320140611

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। 

 

বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিআই) উদ্যোগে ‘টোয়েন্টি টোয়েন্টি : মূলধারায় নারী উদ্যোক্তা ’ শীর্ষক এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।

 

আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৫০০০ হাজার নারীকে এসএমই লেভেলের বেসরকারি ব্যবসায় খাতে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিডব্লিউসিসিআই এ উদ্যোগ নিয়েছে।

 

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সুলতানা কামাল বলেন, ‘নারীরা যতোই এগিয়ে যাচ্ছে ততোই তাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই নারী সমাজকে এগিয়ে যেতে হবে।’ নারীদের মূলধারার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে আসার সুযোগ করে দিতে সরকার, রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।

 

উইমেন চেম্বারের চেয়ারম্যান সেলিমা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপেদেষ্টা গীতি আরা সাফিয়া চৌধুরী, সংসদ সদস্য আয়েশা খান ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানমসহ বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতা-কর্মী।

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৯ জুন ২০১৪ই.

ওষুধ ছাড়াই ঘুম আসবে !

resize_1402900694

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : ঘুমের সমস্যায় কম-বেশি বেশির ভাগ মানুষই ভুগে থাকে। আর এর প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজকর্মে। রাতে ভালো ঘুম না হলে কোন কাজেও ভালোভাবে মন বসে না। ফলে সারাদিনটাই যেন মাটি হয়ে যায়। আবার দিনের পর দিন না ঘুমাতে পারলে শরীরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শরীরকে ঠিক রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। আবার অনেকেই ওষুধ ছাড়া ঘুমাতেই পারেন না। নিচের নিয়মগুলো মেনে চললে এবার ওষুধ ছাড়া তাদেরও ঘুম এসে যাবে।

এক. বিছানায় শুয়ে প্রার্থনার অভ্যাস গড়ে তুলুন:
ঘুমানোর সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো বিছানায় শুয়ে প্রার্থনা করা। এতে করে আপনার মানসিক উত্তেজনা কমবে। এমনকি মন-মানসিকতাও ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হবে। ফলে সহজেই আপনি ঘুমাতে পারবেন। সবচেয়ে বেশি ভালো হয় যদি আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘন্টা আগে মেডিটেশন করেন। এটি করলে শরীর ও মনে এক ধরনের প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়বে যা আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।

দুই. ইতিবাচক চিন্তা করুন:
বিছানায় শুয়ে সবসময় ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করলে কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কিছু লেখার চেষ্টা করলে মনে একটা প্রশান্তি চলে আসে। এতে করে তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়।

তিন. মানসিক চাপের কারণ বের করার চেষ্টা করুন:
দেখা যায়, কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে অনেক সময় মনটা অশান্ত হয়ে ওঠে। আবার কোন কাজ করতে গিয়ে কষ্ট পেলেও দিনের বেশির ভাগ সময়ই তা আমাদের শান্তিতে থাকতে দেয় না। ফলে মনটা খারাপ থাকে যার প্রভাব পড়ে রাতের বেলা ঘুমাতে গেলেও। তাই বিছানায় শুয়ে আগে কি কারণে মনের উপর বড় প্রভাব পড়লো তার কারন খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। তাতে মনে শান্তি চলে আসবে যা ঘুমে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

চার. শোবার ঘর ঠাণ্ডা রাখুন:
অতিরিক্ত গরমে ঘুম নাও হতে পারে। তাই ভালো ঘুমাতে চাইলে সবসময় রুম ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন কখন ঘুমের মাঝে তলিয়ে গেছেন তা নিজেও জানেন না।

পাঁচ. বাতি বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন:
অনেক সময় অন্ধকারে ভালা ঘুম এসে যায়। সেক্ষেত্রে ঘুমানোর জন্য কোন ওষুধ না খেয়ে শোবার ঘরের বাতি নিভিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনি একদিন সফল হবেনই।

ছয়. ঘুমানোর সময় ফেসবুক কিংবা মেইলে ঢুকবেন না:
কেউ কেউ রাতের বেলা ঘুম না আসলে ফেসবুক বা মেইলে ঢোকেন। এতে করে ঘুম আসে না, বরং পালিয়ে যায়। কাজেই ঘুমাতে যাওয়ার সময় এগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।

সাত. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন:
প্রতিদিন ঘুমানোর একটি নির্দিষ্ট সময় করে নিন এবং সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে ওষুধ ছাড়াই সময়মতো আপনার ঘুম এসে যাবে।

আট. ঘুমানোর আগে পরের দিনের কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন:
কাজ গোছানো থাকলে অনেক শান্তি লাগে। তাই পরের দিনে আপনি কি কি কাজ করবেন তা মাথায় গুছিয়ে রাখুন। তাহলে সহজেই ঘুম এসে যাবে।

ওষুধ খেয়ে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা এখনই ছাড়ার চেষ্টা করুন। কারণ এটি সাময়িকভাবে আপনার ঘুম এনে দিলেও জীবনের ঝুকিঁ বয়ে আনে। তাই উপরের নিয়মগুলো মেনে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ১৬ জুন ২০১৪

নিরাপদ মাতৃত্ব

image_1052_297208

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। প্রতি বছর ২৮ মে দিবসটি পালিত হয়। গর্ভবতী মা ও শিশুর নিরাপদ স্বাস্থ্য ও প্রসবকালীন মৃত্যু হার কমানোর কথা চিন্তা করে ব্যাপক সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৭ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। সামপ্রতিক বছরগুলোতে মা ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমলেও নিরাপদ শিশু জন্মদানের জন্য বাংলাদেশের সকল মা এখনো হাসপাতালের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া প্রসব পরবর্তী মৃত্যুঝুঁকি, নবজাতকের নানা রকম শারিরীক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে বাংলাদেশে এখনো প্রতি ঘণ্টায় একজন করে মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। প্রতিবছর সারাবিশ্বে ২১ কোটি নারী গর্ভবতী হয় এবং দুই কোটিরও বেশি নারী গর্ভজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে। এদের মধ্যে আবার ৮০ লাখের জীবনাশঙ্কা দেখা দেয়। শহরাঞ্চলের মায়েদের হাসপাতাল সেবা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও দরিদ্র সীমার নিচে বাস করা গর্ভবতী মায়েদের কাছে এখনো আধুনিক চিকিত্সা সহজলভ্য হয়ে উঠেনি।

অনেক সময় অনিরাপদ ডেলিভারি মা ও শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়। এছাড়া সন্তান প্রসবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগলে গায়ে, হাতে-পায়ে পানি জমলে, অতিরিক্ত মাথা ধরা, ব্লাড প্রেশার বেড়ে গেলে চিকিত্সার জন্য চাই অভিজ্ঞ ডাক্তার কিংবা হাসপাতাল। কাজেই গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সার আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব এখনো প্রকট। এমন অবস্থায় মাকতৃস্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মাতৃমৃত্যুর হার হরাস পেলেও মায়েদের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য দেশে এখনও স্থায়ী ব্যবস্থাপনা নেই। মায়ের গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী যত্নের অভাব প্রকট রয়েই গেছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৮ মে ২০১৪.

রাজধানীর ডেমরায় শিশু ধর্ষিত

Rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর ডেমরা থানাধীন পশ্চিম ডগাইর এলাকায় ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষিত হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায়। এই ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ডেমরা থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পাশের বাড়ির অপর ভাড়াটিয়া লিটন মোল্লা (৪০) তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা বাবা তাকে দ্রুত উদ্ধার করেন। পুলিশের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া।

তিনি আরো জানান, শিশুটি তার বাবা-মার সঙ্গে থাকে। তার বাবা একজন রিকশা চালক। তার মা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন।

এসআই জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নাসির উদ্দিন মেম্বার ভিকটিম পরিবারের সঙ্গে আপোসের চেষ্টা করছেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৮ মে ২০১৪.

ভিন্ন স্বাদের খাবার আলু পোস্ত

postoalu_0

অপরাজিতিবিডি টকম, ঢাকা : আলু খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। আলু ভর্তা, আলু ভাজি, আলুর দম, আলুর চিপস, মাংস দিয়ে আলু সহ আরো নানান রকমের আলুর রান্না নিশ্চয়ই খেয়েছেন আপনি। একটু স্বাদ বদল করতে চাইলে এবার রেঁধে ফেলুন ভিন্ন স্বাদের খাবার আলু পোস্ত। গরম ভাত কিংবা রুটি/পরোটার সাথে খেতে অসাধারণ লাগে ভিন্ন স্বাদের এই মুখরোচক খাবারটি। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক আলু পোস্তের সহজ রেসিপিটি।

 

উপকরণ :

মাঝারি আকারের আলু ৩ টা (টুকরো করা )

পোস্ত বাটা ৫-৬ টেবিল চামচ

কাঁচা মরিচ ৪ টা

জিরা গুড়া ৩-৪ টেবিল চামচ

লবন স্বাদমত

হলুদ গুড়া (সামান্য)

চিনি ১/২ চা চামচ (ইচ্ছা)

তেল প্রয়োজনমত

 

প্রণালী :

পোস্তদানা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৩০/৪০ মিনিট।

এরপর পোস্তদানার সাথে ২ টা কাঁচামরিচ বেঁটে নিন। এর সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরী করুন|

আলুগুলোকে টুকরো করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন|

কাঁচামরিচ কুচি করে নিন।

এখন একটি কড়াইতে তেল গরম করে নিন।

তেল গরম হয়ে গেলে এতে হলুদ গুড়া (সামান্য), জিরা গুড়া ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন।

আলুর টুকরোগুলোকে কড়াইতে দিয়ে কিছুক্ষন ভাজুন।

পোস্তদানার মিশ্রনটি মিশিয়ে দিন।

মাঝারী আঁচে ৫মিনিট রান্না করুন।

এখন পানি (৩/৪ কাপ), লবন, চিনি, কাঁচামরিচ কুচি মিশিয়ে নিন।

এখন কড়াইটা ঢাকনা দিয়ে দিন এবং রান্না হব পর্যন্ত এভাবেই রাখুন|

আলু সেদ্ধ হয়ে ঝোল মাখা মাখা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

গরম ভাত কিংবা রুটি/পরোটার সাথে পরিবেশন করুন মজাদার আলু পোস্ত।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৮ মে ২০১৪

জানা দরকার আইনের খুঁটিনাটি

law

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : কাবিননামার ১৮ নম্বর ঘরে তালাক দেওয়ার অধিকার দেওয়া আছে নারীকে। কিন্তু আমাদের দেশের কতজন নারী জানে সেই অধিকারের কথা, কিংবা জানলেও কি স্বাধীনমতো তারা তাদের অধিকার আদায় করতে পারে?

 

পারিবারিক ইচ্ছাতেই বিয়ে করেন রেবা-শরীফ দম্পতি। প্রথম থেকেই নানা বিষয় নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে বিরোধ লেগেই ছিল। স্বভাবতই দু’জনের দাম্পত্য জীবনও চলছিল নানারকম অশান্তি আর কলহের মধ্য দিয়ে। জীবনে বিয়ে বারবার আসে না। তাই অনেক কিছুই মনের সঙ্গে মেলাতে না পারলেও মেনে নিতে চেষ্টা করছিলেন রেবা। কিন্তু কতটা মেনে নেওয়া যায়? এক সময় ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে শরীফের সঙ্গে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয় রেবাকে। বিষয়টিতে পরিবার সম্মত হয়। যেহেতু সংসার করবেন রেবা। রেবাই যদি সুখী না হয় তো কিসের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ? বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তালাকের ব্যবস্থা করেন রেবা। স্থানীয় কাজী অফিস থেকে তালাকের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে স্বামীর বাড়িতে তালাকনামা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর কোনো কপি পাঠানো হয়নি। রেবা এবং রেবার বাবার বিষয়টি জানা ছিল না। কাজী অফিস থেকেও তাদের এ বিষয়ে কিছু বলেনি।

 

কাবিননামায় স্বাক্ষর করার পর দেড় মাস পার হয়ে যায়। আরও দেড় মাস পার হলে তালাক কার্যকর হবে এ আশায় অপেক্ষা করতে থাকেন রেবা। এরই মধ্যে রেবার স্বামী পারিবারিক আদালতে রেবার বিরুদ্ধে মামলা করে দেন দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য। মূল মামলাটি করার এক সপ্তাহ পর রেবা যাতে অন্য কোথাও বিয়েও করতে না পারেন এ মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনও করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রেবা ও তার বাবাকে আপত্তি দাখিলের জন্য ১০ দিনের সময় দিয়ে আদালত থেকে সমন পাঠানো হয়।

 

এক মাসের মধ্যে দুটি সমন পান রেবা। একটি লিখিত জবাব মূল মামলার জন্য, অন্যটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য। নিজের ইচ্ছায় তালাক দিতে গিয়ে এ আবার কোন ধরনের ঝামেলা! বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে রেবার পরিবার। মূল মামলার জন্য জবাব দিতে সময় দেওয়া হয় এক মাস আর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য ১০ দিন।

 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, রেবাকে তার বাবা-মা জোর করে স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে চাচ্ছে। কিন্তু রেবা এখনও স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চাচ্ছেন। এ অবস্থায় শরীফ রেবাকে নিয়ে সংসার করতে আদালতের কাছে আরজি পেশ করেছেন। রেবাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ওই স্বামীর ঘরে তিনি কোনোদিনই ফিরে যাবেন না। স্বেচ্ছায়ই স্বামীকে তালাক দিতে ইচ্ছুক রেবা। তখন রেবাকে বলা হলো, তালাক দিতে চাইলে চেয়ারম্যানের কাছে তালাকনামার কপি পাঠাতে হয়। আপনি সেটা করেননি কেন? রেবা জানালেন, তাদের এ বিষয়টি জানা ছিল না। আর চেয়ারম্যানকে জানানো হয়নি, তাতে তালাক দিতে সমস্যা কোথায়?

 

যারা সংসার করবে ব্যাপারটা তাদের চেয়ে কি চেয়ারম্যান ভালো বোঝেন? চেয়ারম্যানের কাছে কপি পাঠানো হলে চেয়ারম্যান স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে মীমাংসা করার জন্য সালিশ করেন। অনেকাংশেই তারা মিলিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। কিংবা কোনো এক পক্ষের হয়ে কাজ করেন। রেবার বাবা বলেন, আমার মেয়ে ওই পাষণ্ড স্বামীর ঘর করবে না এটাই শেষ কথা। তার সঙ্গে বসবাস করে দেখেছে একসঙ্গে ওর সঙ্গে জীবনযাপন অসম্ভব।

 

এখন চেয়ারম্যান কী করে তার সালিশ করবেন? তারপরও আইন অনুযায়ী চেয়ারম্যান বরাবর একটি কপি পাঠাতেই হবে। সাধারণ আইন অনুযায়ী তালাকের নোটিশ প্রেরণের ৯০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হয় না। এবং ওই সময়ের মধ্যে অন্যত্র বিয়েও করা যায় না। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিল না রেবার পরিবার। কিন্তু মূল মামলাটি নিয়ে লড়তে হয়েছে অনেকটাই। স্বেচ্ছায় তালাক দিতেও একের পর এক ঝামেলা শেষে অনেক কষ্টে নিষ্কৃতি পান রেবা।

 

নারীর জন্য কোনো কিছুই সহজ নয়। অধিকার এবং আইনের কথা লেখা থাকলেও তারা অনেকাংশেই আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে তাদের অধিকার হারান। আবার ঝামেলার কথা ভেবেও অনেকেই এসব মামলা-মোকদ্দমায় যেতে চান না। নারীকে যেন ঘাটে ঘাটে হয়রানি হতে না হয়, সে রকম নারীবান্ধব আইন এবং আইনের প্রয়োগ কামনা করেন দেশের প্রতিটি সচেতন নারী। তবে নারীকেও জানতে হবে আইনের খুঁটিনাটি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/২৮ মে ২০১৪ই.

বাল্যবিবাহের শিকার বস্তির ৮০ শতাংশ কন্যাশিশু!

Save_the_children01_185064786

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর বস্তিগুলোতে বাস করা ৮০ শতাংশ কন্যাশিশুই বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে বালকদের বাল্যবিবাহের হার অনেক কম, ৪৬ শতাংশ।

রাজধানীর পাঁচটি বস্তিতে পর্যবেক্ষণ করা দু’টি গবেষণার তথ্য ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কন্যাশিশুদের এ বাল্যবিবাহের কারণেই মেয়েরা স্বাস্থ্য, মানসিকসহ নানা দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ফলাফল ‍মৃত্যুতে গিয়ে ঠেকতে পারে।

অভিভাবকদের মতে, ভালো পাত্র, দারিদ্র্য ও যৌন হয়রানি এই তিন কারণে মূলত বস্তিগুলোতে বাল্যবিবাহের এ চিত্র তৈরি হয়েছে।

বস্তিতে বাস করা পরিবারগুলো যে ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় এবং এসব পরিবারের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো কী কী কাজ করেছে তা এ গবেষণা দু’টিতে উঠে এসেছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালনায় রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়া বস্তি, টাউন হল ক্যাম্প মোহাম্মদপুর, রায়েরবাজার বধ্যভূমি বস্তি, বৌ-বাজার বস্তি ও বালুর মাঠ বস্তি এলাকার শিশুদের ওপর গবেষণা দু’টি পরিচালিত হয়। সেন্টার ফর আরবান স্টাডি এবং দ্য নিয়েলসন গবেষণা দু’টি সম্পাদন করে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশুদের অনুষ্ঠান পরিচালক ড. শাহানা নাজনীন বলেন, বাল্যবিয়ের কারণে অপুষ্টিতে ভুগছে মা ও শিশুরা। অনেক দুর্বল হয়ে শিশুরা জন্মলাভ করছে। বস্তির কন্যাশিশুদের অবস্থা খুবই খারাপ।

নগরায়নের প্রবণতা ও শিশুদের জটিলতা
বস্তিতে বাস করা শিশুদের মধ্য ৪৪ শতাংশ পোশাক কারখানা, ২৪ শতাংশ বিভিন্ন দোকান ও ৯ শতাংশ ভিক্ষাবৃত্তির কাজের সঙ্গে জড়িত। কর্মজীবী শিশুদের মধ্যে ৯ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার। ১২ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও বিপজ্জনক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে।

এছাড়া কর্মজীবী শিশুদের ১১ শতাংশ দৈনিক ১৩ থেকে ১৫ ঘণ্টা, ৪০ শতাংশ ১১ থকে ১২ ঘণ্টা ও ৩২ শতাংশ ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।

জন্মসনদ বিষয়ে গবেষকরা জানান, ২০০৪ সাল থেকে বাধ্যতামূলক জন্ম সনদ নেওয়া শুরু হলেও এক্ষেত্রে বস্তির শিশুরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। মাত্র ৩৭ শতাংশ শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ শতাংশ বস্তিবাসী টাকা খরচের ভয়ে জন্ম সনদ নেন না।

যেসব শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করা হয় না, ওইসব শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যে ৪১ শতাংশ বস্তিবাসী বিষয়টির গুরুত্ব বোঝেন না এবং ৩২ শতাংশ জানেই না কিভাবে নিবন্ধন করতে হয়।

তবে শিক্ষাক্ষেত্রে বস্তির কন্যাশিশুরা বালকদের তুলনায় এগিয়ে আছে। কন্যাশিশুদের ৪৭ শতাংশ বিদ্যালয়ে যায়। এদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ নিয়মিত। আর বালকদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ বিদ্যালয়ে যায়। এদের মধ্যে ৩১ শতাংশ নিয়মিত।

রাজধানীর বস্তির অবস্থানগত বিশ্লেষণ
গবেষণায় বলা হয়েছে, বস্তিতে বসবাসরত মানুষেরা প্রায় সব সময়ই উচ্ছেদ ও অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্কে ভুগছেন। এদের মধ্য গত ১০ বছর ধরে ২৫ শতাংশ বস্তিবাসী কয়েকবার উচ্ছেদ হয়েছেন এবং এখনো আতঙ্কে রয়েছেন। একই সময়ে ৪৫ শতাংশ বস্তিবাসী কয়েকবার অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

এ গবেষণায় বস্তির শিশুদের নিয়ে নানা সেবামূলক কার্যক্রমে সরকারের চেয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে আছে- এমন তথ্যও উঠে এসেছে।

বস্তি এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হার মাত্র ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর বেসকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হার শতকরা ৭৭ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বস্তির শিশুদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হারও অনেক কম। সরকারি ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে, এনজিও পরিচালিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হার ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এছাড়া বস্তিবাসীর পানি ও পয়ঃনিস্কাশনে সরকারি কাজের তুলনায় এনজিওগুলো এগিয়ে আছে। সরকার বস্তিবাসীদের জন্য ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ পানি সরবরাহ করে, অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অবদান ৭৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

পয়ঃনিস্কাশন প্রণালীতেও সরকারের

 

ঘাতক

অপরাজিতাবিডি ডটকম : তাহলে তোমার ছবিটা প্রোফাইলে দিয়ে দাও না, দেখি

ওরে বাপরে! ছবি দিয়ে সবার কাছে ধরা পড়ে যাই আরকি‍! তাছাড়া আব্বু একটু বেশি ধার্মীক ত যদি জানতে পারেন তাহলে লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে বিয়ে দিয়ে দিবেন আজই।

না না তা কি করে হয়? তাহলে চলনা আজই কোথাও দেখা করি? তোমাকে দেখে উহুঁ ঠিক বললে না। প্রথম দেখা  —- জেনী থামিয়ে দিল, লজ্জা পেয়ে । বললো

আচ্ছা তুমি না মেডিক্যাল কলেজ  স্টুডেন্ট? তুমি কি ইচ্ছা করলেই বের হতে পারবে আজ? তা ছাড়া আমারও তো ক্লাস আছে।

না কালতো ছুটির দিন চলো কাল। আমাদের দেখা হয়ে যাক!

জেনী ক বলবে ইতস্তত: করতে লাগলো মনে মনে ভাবলো। তাইতো এভাবে লুকোচুরি করে প্রেম করার চাইতে এর অবসান হওয়া ভালো। তাছাড়া আব্বুতো একজন ডাক্তার পাত্রই খুচছেন। দেখা সাক্ষাত তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে আব্বুর কাছে আর গোপন করবনা। সময় সযোগ বুঝে বলা যাবে। রাজী হয়ে গেল।

ঠিক আছে, বল কবে কোথায় কখন দেখা হবে? কিন্তু আমার খুব ভয় লাগছে।! হ্যা আমরা অভিসারে বের হবো। জেনীকে সব পরিকল্পনা বুঝিয়ে দিল হাসান। তারা ড্রেসকোডও ঠিক করতে ভুলল না যাতে পরস্পর চিনতে পারে।

হাসান আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে পরিপাটি করে নিচ্ছে। মেসম্যাট জামাল জিজ্ঞেস করল

কিরে! কোনো অভিসারে যাচ্ছিস মনে হচ্ছে? আজ দোকানে যাবি না?

হাসান মুচকি হেসে শিস দিতে লাগলো । বলল

হ্যা ঠিক ধরেছিস অভিসারে বেরুচ্ছি। মালিকের কাছে ছুটি নিয়েছি। আজ অন্য একজন কর্মচারী থাকবে।

তা কয় নম্বরের কাছে জাচ্ছিস?

এইটা তিন নম্বর। জামাল ওর কথা শুনে আতকে উঠল। বললো

দেখ! তোর এই লম্পট্য বেশীবাড়াবাড়ী মনে হচ্ছে। গুনাহ হইব, গুনাহ! পাপ পাপ। দেখ পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না। এক দোকান কর্মচারী হয়ে তুই কার সর্বনাশ করতে যাচ্ছিস।

রাখ তো গুনাহ আর মুরুব্বীগিরী। আমি যাই বলে মোবাইল ফোনটা সাথে নিয়ে বেরিয়ে গেছে।

মুচকি হেসে হাসান বিদায় নিল; ওর মধ্যে যেন ফূর্তির শয়তান ভর করেছে।

ওদিকে জেনীকে ওর বাবা একটু চঞ্চল অস্থিরভাবে কাজ করতে দেখে অবাক হয়। জিজ্ঞেস করেন

জেনী মা তুমি কী কোথাও যাবে?

কিছুক্ষণ ইতস্তত করে আমতা আমতা করে বললো

হ্যা না এই আর কী হঠাৎ এক বন্ধু দাওয়াত করল; তাই ওখানে যাচ্ছি।

জেনী কখনো বাবা কাছে মিথ্যা বলেনি। ওর মায়ের সাথে বাবার ডিভোর্স হয়েছে। ওর ছোটবেলাতেই । সেই থেকে বাবা ওকে মা বাবা দুজনের আদরে মানুষ করেছেন। বাবা ওর বন্ধুর মতো কলেজ ভার্সিটিতে যা ঘটত, সব কিছু বাবার সাথে শেয়ার করতো। জীবনের এতটাকাল পর আজই প্রথম বাবার সাথে তার লুকুচুরি। মিথ্যার আশ্রয় নিল। অনুশোচনায় বিবেকের পরাজয়ে সে যেন নিজেকে পাকে নামিয়ে নিল।

আচ্ছা যাও কিন্তু এত সাজগোজ করে বাইরে যাওয়া ঠিক না। আজকাল যেভাবে ছিনতাই, হাইজ্যাক বেড়েছে; চিন্ত হয় জানতো। তাড়াতাড়ি ফিরতে চেষ্টা করো।

হ্যা বাবা তুমি খেয়ে নিও আমি খেয়ে আসবো।

ধানমন্ডি লেকের পাড়ে নির্দিষ্ট একটি রেস্টুরেন্টে ওদের দেখা হল। জেনীর কেমন যেন বুক দুরুদুরু করতে লাগলো। ওদের ডেসকোড চিহিৃত করল দুজনকে। এই প্রথম দেখা দুজনের ।একজন দেখে আশাহত, আরেকজন প্রত্যাশার চাইতে বেশি পাওয়ার আনন্দে আপ্লুত। জেনীকে মৃয়মান. নিশ্চুপ দেখে – ধুর্ত চাহনির হাসান নিরবতা ভঙ্গ করল, বললো-

তুমি যে এত সুন্দর আমি কল্পনাই করিনি। দেখেই ভালোবেসে ফেলেছি।

বা তাহলে এতদিন যে ভালোবাসার কথা শোনালে সেগুলো কি মেকী?

না না না তো কেন হবে মানে—

থাক মানে মানে করত হবে না। আমি জীবনে প্রথম তোমাকে ভালোবাসার কথা বলেছি; বাস  তোমাকেই ভালোবাসবো মেয়েরা যাকে মনপ্রাণ দিয়েই ভালোবাসে সে যেমনি হোক। সত্যি? আচ্ছা এখানে কেমন যেন সবাই দেখছে চল আমরা ভিতরে যাই।

জেনী এ কথাতে কেমন ভয় পেয়ে গিয়ে বললো

না না ভিতের কেন? এখানেই বেশ ভালো

বলছিলাম কি; তুমিত কথায় বলতে পারছা না ভিতরে একটা রুম আছে স্বাচ্ছন্দে কথা বলতে পারবে। আমাকে বিশ্বাস করতে পারছো না?

না তা হবে কেনো; ঠিক আছে চল। জেনীর অনিচ্ছা স্বত্তেও ভিতরে গেল।

কিছুক্ষণ পর বেয়ারা নাস্তা দিতে এসে রুম বন্ধ করে , হাসানের পূর্ব পরিকল্পনা মতো আর ডিস্টার্ব করেনি।

সেদিন জেনী রাতে অন্ধকারে বাড়ি ফিরে বাবার সামেন মুখ দেখাতে পারবেনা বলে দরজা বন্ধ করে পড়েছিল। পরদিন সাকেল ঘুম থেকে উঠার পর মাথাটা কেমন ভাড়ী ভাড়ী লাগছে; অন্যমনস্ক চুপচাপ জেনী বাইরে গেল। শুধু বুয়াকে বলে গেল।

সাইবার ক্যাফে ঢুকতেই আজ কেমন অপরিচিত লাগছে সবাইকে। রিসিপশনে যে ছেলেটি থাকে সে অনেক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থেকে হঠাৎ দৌড়ে ভিতরে গেল। ওর কিছু বোঝার আগেই কর্মচারীদের মধ্যে ফিস ফিস গুঞ্জন। জেনী খেয়াল করলো না।

সে একটি সেটের সামনে বসলো। অন্যন্য সেটের সামনে যারা বসেছে সবাই কেমন যেন কৌতুহল নিয়ে দেখছে ওকে। এটা খেয়াল করে জেনীর খুব অস্বস্তি হতে লাগলো।

এমনিতেই সে খুব বিধ্বস্ত। নিজেকে খুব অচেনা মনে হচ্ছে। তার উপর সবার কৌতুহলের কারণ বুঝতে না পেরে আরও খারাপ লাগছে।

চলে যাবে? না ওই লম্পটের একটা চূড়ান্ত ব্যবস্থা না করে যাব না।

‌ ‘নেটে’ কানেকশন দিয়েই ও আতকে উঠল। যা দেখল তাতে সে আহত, ক্ষত-বিক্ষত; যেন শিকারীর গুলিতে আহত পাখীর মতো কাতরাচ্ছে। ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে। চোখ ফেটে অশ্রুধারা ঝরছে।

সেই পাষণ্ড লম্পট গতকালে ঘটে যাওয়া সব কিছু নেটে ছেড়ে দিয়েছে। নিজেকে আড়াল করে । দু’হাতের তালুতে মাথা চেপে ধরলো। পৃথিবীটা দুলছে মনে হয় পড়ে যাবে ভূমিকম্প ভল্কানোর ও অগ্নিগিরি ওকে ডুবিয়ে দিচ্ছে। না পড়ে গেল চলবে না। এখান থেকে বের হতে হবে। কোনরকম শরীরটা সোজা করে একটা নাম, ই-মেইল এড্রেস ফেসুবকের নাম সব দিয়ে একটা চিরকুট লিখে আর কিছু টাকা দিয়ে ম্যানেজার জাহিদ ভাইকে দিয়ে বললো-

যদি পারেন এই লম্পটের একটা শাস্তি ব্যবস্থা করেন, তাহলে আপনার এই বোন আপনার কাছে চীরঋণী হয়ে থাকবে।

বোন আমি বুছেছি তোমার অবস্থা। তোমার এই ভাই তোমার অনুরোধ রাখার চেষ্ট সাধ্যমতো করবে।

সবার অলক্ষ্যে কখন ও বাড়ি থেকে বেরিয়েছে কেউ টের পাযনি। টেবিলে পড়ে থাকা চিঠিটা আলি মিয়া সালাম সাহেবের হাতে দিল, তিনি পড়লেন-

আব্বু

আমায় ক্ষমা কর। আজ যদি তোমার আদর্শ মতো চলতাম। তাহলে হয়ত আমার আজকের পরিণতি হতো না। আমি এক লম্পটের অধ:পতের শিকার। আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু এই জীবনের একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন, তার কাছে জবাবদিহির জন্য জীবনটার কোন ক্ষতি করার সাহস পেলাম না। আমার আত্মহত্যা করা চলবে না। আমার মত অবস্থা যাদের, তারা কেউ যেন আত্মহত্যা না করে। সমাজকে কলুষমুক্ত করতে আমাদের বেচে থাকতে হবে। সেই লম্পটের শাস্তির ব্যবস্থা যেদিন করতে পারবো, সেদিন তোমার কাছে ফিরে আসব। ততদিন তুমি ভালো থেকো বাবা! আর আমার জন্য দোয়া করে যাও

তোমার হতভাগী

জেনী’।

 

(শেষ…..)

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৩ মে ২০১৪.

ধারাবাহিক উপন্যাস “নিয়ন্ত্রিত পরিণতি” পর্ব-৬

images

নাসরিন সিমা : নাদিম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সে খ্রিষ্টান হবে, সেদিন রাজিবের মামার কথা খুব ভালো লেগেছে। উনি বলেছেন, “যিশু খ্রিষ্টানদেরকে অঢেল সম্পদ দান করেন।” নাদিমও পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে খ্রিষ্টানদের অনেক ধন সমপদ থাকে, আর মুসলমানদের বেশিরভাগই গরীব ভুখা। পৃথিবীতে যার টাকা নেই তার কোন মূল্য নেই এটাই সত্য, এমন একটা দিন নেই যেদিন টাকার প্রয়োজন ছাড়ায় চলা সম্ভব হয়।

রাজিব নাদিমকে মার্কেটে নিয়ে যাবে বলেছে, কনফারেন্সে উপস্থিতির জন্য, এক লাখের মতো নাকী নাদিমের পাওনা, সত্যিই অবাক হয় নাদিম। রাজিবদের রিলিজিওন প্রিষ্টরা সেন্ট্রালভাবে ঐসব নিয়ন্ত্রণ করছেন। নাদিম পাশের গলিতে গাড়ীর হুইসেল শুনে দ্রুত বের হয়, এতোক্ষণ রেডী হয়ে বসে ছিলো। গাড়ীর কাছে গেলো আর রাজিবের স্বাগত কন্ঠ শুনতে পেলো,
-এসো নাদিম, উঠে এসো।
রাজিবের পাশে আনুকে দেখে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসলো নাদিম।
রাজিব মুচকী হেসে,
-নাদিম তোমাকেতো বেশ মানিয়েছে টি শার্টটা।
নাদিমও হাসে,
-থ্যাংকস।
একটু পরে নাদিম,
-পাশের উনি কী তোমার আনু?
-হ্যা নাদিম এই সেই।
আনু লজ্জাজড়িত কন্ঠে,
-রাজিব আপনার কথা খুব বলে, কেমন আছেন আপনি?
-এইতো আছি ভালো, আপনি ভালো আছেন?
-হ্যা আমিও ভালো আছি।

বসুন্ধরা মার্কেটের ভেতরে ঢুকলো ওরা আনু নাদিমের ডানবাহু দুহাতে জড়িয়ে নিলো, নাদিম বিষয়টি খেয়াল করে বিরক্ত হয়,
নাদিমকে লক্ষ্য করে রাজিব,
-কী কিনবে নাদিম?
-অনেক কিছু কিনতে হবে, মায়ের জন্য আগে ভালো কিছু শাড়ী কিনবো, আর একটা টিভি, মা অন্যের বাড়িতে গিয়ে সিরিয়াল দেখে।
অনেক কেনাকাটা করলো ওরা, আনু হঠাৎ রাজিবকে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখলো, রাজিবকে ঝাঁকায় আনু,
-রাজিব কী হলো কী দেখছো তুমি?
-ওটা স্মৃতি না?
আনু তাকায় রাজিবের দৃষ্টি অনুযায়ী,
-হ্যা তাইতো, কন্ঠ উচু করে,
-স্মৃতি, এই, এইযে এদিকে…
স্মৃতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসে, ওর বাবা সাইমন চৌধুরী মেয়ের সাথে আসেন।
স্মৃতি মৃদু কন্ঠে,
-আনু তুমি ?
স্মৃতি রাজিব বা নাদিমের দিকে একবারও তাকালোনা, তাকানোর সাহস ওর হয়না।
আনু নাদিমকে পরিচয় করিয়ে দিলো, হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত এগিয়ে দিলো নাদিম, কিন্তু স্মৃতি ইতস্তত করলে সাইমন চৌধুরী,
-ইতস্তত কেন মা? হ্যান্ডশেক করো।
স্মৃতি অবাক হয়ে বাবার দিকে তাকায় তারপরেই কম্পিত হাত এগিয়ে দেয় নাদিমের হাতের দিকে, নাদিম হাত ছেড়ে মুচকী হেসে,
-কেমন আছেন, সেদিন কোচিং সেন্টারে আপনার সাথে কথা হলো তাইনা?
– আলহাদুলিল্লাহ ভালো আছি, হ্যা কোচিংয়ে আমি ছিলাম। আপনি কেমন আছেন?
-ভালো। আমি নাদিম,
ওদিকে সাইমন চৌধুরী রাজিবের সাথে কথা বলছেন, কিছু বিষয় নিয়ে, স্মৃতি বুঝতে পারেনি। নাদিমকে নিজের নামটা বললো।
নাদিম এর হঠাৎ মনে পড়লো সাইমন চৌধুরীকে ও রাজিবদের কনফারেন্সে দেখেছে, উৎসাহিত কন্ঠে,
-উনি আপনার বাবা? সেদিন কনফারেন্সে………
সাইমন চৌধুরী কথা কেড়ে নেন,
-হ্যা হ্যা, ঠিক চিনেছো, তুমি নাদিম না, রাজিবের বন্ধূ?
স্মৃতি অবাক কন্ঠে,
-বাবা তুমি দুজনকেই চেনো? কিভাবে?
-পরে বলছি মা, আমি এবার আসছি রাজিব, সময় নেই।
রাজিবের হাস্সোজ্জ্বল কন্ঠ,
-জি আংকেল, বাই।
স্মৃতি আনুর নির্লজ্জতা খেয়াল করে অনেক আগে থেকে নিজেই লজ্জা পেয়েছে, কারণ সাইমন চৌধুরীর সামনেও রাজিবকে ঠিক সেভাবেই জড়িয়ে ছিলো। আরও একবার পেছনে ফিরে ওর অধপতন অবলোকন করলো।
অজান্তেই সামনে মুখ ফেরানোর ঠিক আগেই নাদিমের সাথে দৃষ্টি বিনিময় হয়ে যাওয়ায় দ্রুত সামনে তাকায় স্মৃতি।
বাবার পাশে গাড়ীতে বসে স্মৃতি মাথা নিচু করলো,
-বাবা তুমি আমাকে হ্যান্ডশেক করতে বললে কেন? এটা তো ঠিক হলোনা বাবা।
-মা তুমি আধুনিকা, একথা বলা কী তোমাকে মানায়? আর কাল থেকে দেখছি মাথা ডেকে বাইরে বের হচ্ছো তোমার কী হলো স্মৃতি? মানুষ তোমাকে ব্যাকডেটেড বলবে মা।
স্মৃতির আশ্চর্য হওয়া সাইমন চৌধুরীর দৃষ্টি এড়ায়না,
-আমি সত্যি বলছি স্মৃতি, দুনিয়াতো দুদিনের এখানে আনন্দ, ফুর্তি করা উচিত, ইচ্ছেমতো ঘোরো, খাও আর যতো পারো ষ্টাইল করো।
-বাবা তুমি একথা বলছো, কিন্তু রুবিনা আপু যে………
রেগে যান সাইমন চৌধুরী,
-ঐ থার্ড ক্লাস মেয়ের সাথে একদম মিশবেনা, কোন কথা শুনবেনা।
বাবাকে রেগে যেতে দেখে চুপ হয়ে যায় স্মৃতি, গাড়ী নিজের গতিতে চলতে থাকে, আর স্মৃতি বাবার বলা কথাগুলো ভাবতে থাকে, খুব আকর্ষণীয় কথাগুলো, কিন্তু বাস্তব সৌন্দর্য যে এর মধ্যে নেই তা স্মৃতি খুব ভালো ভাবে জেনে গেছে। বাবার কর্কশ কন্ঠ শুনে চমকে ওঠে স্মৃতি,
-ড্রাইভার গাড়ী দ্রুত চালাতে পারোনা?
স্মৃতি বাবার এ পরিবর্তন আজই লক্ষ্য করলো ওর বাবা এভাবে অযথা কখনো রাগ করতোনা, কাউকে ভুল করলেও ধমক দিতনা।
মৃদু কন্ঠ স্মৃতির,
-বাবা ডেভিড কে?
-আমার বন্ধু কেন? ও তোমাকে ফোন করেছিলেন তাই বলছো?
-হ্যা বাবা।

বাসায় পৌঁছে শপিং ব্যগ ড্রয়িং রুমের ছোফায় ছুড়ে দিলো স্মৃতি, এরপর ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে মায়ের কাছে গেলো, সন্ধা পেরিয়ে গেছে মায়ের চিন্তত মুখ দেখে অবাক হয়ে,
-মা কী চিন্তা করছো?
-তোমার বাবা আসলোনা?
-না বাবার বিজনেস মিটিং আছে, তুমি জানোনা, বাবা আমাকে গেটে নামিয়ে চলে গছেন।
– অ কী কিনেছো?
-দেখাবো মা?
-না তুমি পড়তে বসো নাস্তা নিয়ে আসছি আর ওগুলো পরে আমি দেখে নেবো।
-আচ্ছা মা ঠিক আছে ।
রুমে ঢোকার আগে ড্রয়িংরুমের বুকসেলফে অর্থসহ কুরআনের দশটি খন্ড দেখে,
-রুবিনা আপু এসেছিলো?
-হ্যা তোমার জন্য কুরআন গিফট করে গেছে, আর প্রতিদিন পড়তে বলেছে।
-হ্যা মা পড়বো, পড়া দরকার, আমার রুমের বুক সেলেফ রাখি মা?
-তাই করো, আমিও তাই ভাবছিলাম।
স্মৃতি নিজের রুমে ঢুকলো।চলবে……

ধারাবাহিক উপন্যাস “নিয়ন্ত্রিত পরিণতি” পর্ব-৫

images

 

নাসরিন সিমা : বাসায় যাওয়ার জন্য একা বের হয় স্মৃতি। মাকে ফোন করলেও হতো কিন্তু স্মৃতির ইচ্ছে করছেনা, মায়ের এই নিয়ে যাওয়া হঠাৎ এই মুহুর্ত থেকে খুবই বিরক্তিকর মনে হতে লাগলো। সমস্ত নিয়মের গন্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে ইচ্ছে করছে স্মৃতির।

বাসায় ঢুকেই বাবার মুখোমুখি হয়, সাইমন চৌধুরীর শংকিত কন্ঠ,
-এ কী তুমি এখন একা?
স্মৃতি ইতস্তত করে,
-না মানে আসলে আজ কোচিং ছিলনা, না ছিলনা নয়, স্যারের বাবা মারা যাওয়ায় কোচিং হয়নি।
সাইমন চৌধুরী,
-ফোন করনি………
স্মৃতি দ্রুত নিজের রুমে ঢুকে যায়, ওর নিজেকে আড়াল করে রাখতে ইচ্ছে করছে এই মুহুর্ত থেকে।

আনমনা স্মৃতি সন্ধার পরে চুপচাপ বসে আছে, আনুর কলের অপেক্ষায়। ঠিকই আনুর কল আসে আগের মতো বিরক্তির সামান্য ছাপও নেই স্মৃতির মধ্যে, রিসিভ করে স্মৃতি কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু আনুর কথায় থেমে যায়,
-জানো স্মৃতি রাজিব খুব রোমান্টিক, ও খুব ভালোবাসে আমাকে আজ নিজের গাড়ীতে করে মার্কেটে নিয়ে গিয়েছিলে, অনেক দামি একটা ড্রেস কিনে দিয়েছে, কসমেটিক্স গহনা স্মৃতি আমি খুব খুশি খুব খুব……
-তুমিতো তাহলে খুব লাকী আনু, কতোক্ষণ ছিলে?
-এইতো এখুনি ফ্রেশ হয়ে তোমাকে কল করলাম।
-এখন বলো বিয়ে করছো কবে?
-বিয়ে? সে বিষয়ে এখনও কথা হয়নি, বেশী অপেক্ষা করতে হবেনা স্মৃতি যদিও ওর মাষ্টার্স শেষ হয়নি তবুও…
-ভালোতো, তবে আনু তোমার বাবা মা ওনাকে পছন্দ করবেন কী না সেটা লক্ষ্য রাখা উচিত।
-আরে রাখো, ছোট বেলা থেকেই শুনে এসেছি এটা নেই সেটা নেই, বিদঘুটে পরিস্থিতি আর ভালো লাগেনা এখন মুক্তির রাস্তা পেয়ে গেছি, এই পথ থেকে সরার কোন ইচ্ছে আমার নেই।
স্মৃতি কারো আসার শব্দ পেয়ে,
-রাখছি আনু কেউ আসছে পরে কথা বলবো।
ভেতরে ঢুকলো একটা মেয়ে কন্ঠে তার স্নিগ্ধতা,
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম আস সালাম…
-আমি রুবিনা বিনতে আব্দুল্লাহ দোতলায় এসেছি আপনার সাথে পরিচিত হতে এসেছি।
-অ আপনি বসুন, আমি তাসনিয়া চৌধুরী স্মৃতি। পড়াশুনা কোন পর্যায়ে?
-অনার্স সেকেন্ড ইয়ার, গণিতে, আপনি?
-মেডিকেলে ভর্তির জন্য কোচিং করছি।
স্মৃতি রুবিনার হাতে একটা বই দেখতে পেলো, বললো,
-আপনার হাতে কী বই ওটা?
-দেখবে? তুমি বললাম, তুমিতো ছোটই হবে।
-ঠিক আছে, দেখি বইটা।
সুফিয়া চৌধুরী ভেতরে ঢোকেন, হাতে নাস্তার ট্রে,
-রুবিনা খাও মা।
স্মৃতি অবাক কন্ঠে,
-তুমি চেনো ওনাকে?
-হ্যা চিনিতো কাল এসেছিলো তুমি ছিলেনা, খেয়ে নাও তোমরা। বেরিয়ে গেলেন সুফিয়া চৌধুরী।
-কী ধরণের বই আমি আসলে পড়তে পারবনা, সামনেই এ্যাডমিশন টেষ্ট।
-খুব ভালো বই, খিলাফতের দায়িত্বভিত্তিক। মানুষ কেন সৃষ্টি হয়েছে? তার দায়িত্ব কী?
-অ নামাজ রোযা নিয়ে?
রুবিনার অবাক হওয়ার প্রয়োজন ছিলো কিন্তু হয়না, সে দেখেছে খিলাফতের দায়িত্ব বলতে বেশিরভাগ মানুষ শুধু নামাজ রোযা বোঝে।

-আমাকে কিছুক্ষণ সময় দেবে? স্মৃতি।
-অবশ্যই।
-আমি তোমাকে একটা ঘটনা বলছি, ইদানিং কিছু খ্রিষ্টান পাদ্রী সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী জানো?
-কী?
-তারা মুসলমানদেরকে খ্রিষ্টান বানিয়ে ফেলছে, বিভিন্ন্ ধরণের লোভ দেখিয়ে, ট্র্যাপে ফেলে, মোটকথা যেকোন মূল্যে তারা এই কাজটা করছে।
আর যারা ইসলামকে সঠিকভাবে বোঝেনা তারা খ্রিষ্টান হয়ে যাচ্ছে। এজন্য সবচেয়ে আগে ইসলামকে জানা জরুরী।
স্মৃতি মনোযোগী হয়, হতবাক হয়ে যায়।
রুবিনা ওর মনোযোগ দেখে মনে মনে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানায়, আর বলে,
– এই বইটাতে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে যেমন মানুষকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে? এর উত্তর হলো, ইবাদাত করার জন্য, এখন প্রশ্ণ আসতে হবে ইবাদাতটা কী? নামাজ রোজা হজ্জ যাকাত এই গুটিকয়েক ফরজ কাজগুলো করলেই ইবাদাতের হক আদায় হয়ে যাবে?
না হবেনা, এই কাজগুলো নিজে করতে হয় অন্যকে করার জন্য আহবান করতে হয়,নামাজ তোমাকে পড়তে হবে অন্যকে পড়ার জন্য বলতে হবে তুমি ভেবে দেখ তুমি একা কতজনকে বলতে পারছো, খুব বেশী পারবেনা তাই সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আর এই সব ফরজের বড় একটা ফরজ আছে জানো তুমি কী সেটা?
স্মৃতি মৃদু কন্ঠে,
-না আপু জানিনা।
-সেটা হলো কুরআনের বিধানকে রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠত করা, সংবিধান হিসেবে, মানুষের গড়া আইন বিধান বাদ দিয়ে কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠত করা, তাহলেই মানুষ বাধ্য হবে অন্যায়কে বর্জন করতে, দেখবে সবাই নামাজ পড়ছে, কুরআন পড়ছে, সবসময় সত্য কথা বলছে,পর্দা করছে।
রাসুল (স) বলেছেন সানা থেকে হাজরামাউত পর্যন্ত, এই ধরো আমাদের দেশে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত একজন নারী একাকী পথ চলবে কিন্তু কোন পুরুষ তার দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাবেনা……
বিস্মত কন্ঠ সমৃতির,
-তাই কি কখনো হবে আপু?
-হ্যা তাই, আসলে এক দিনে বলে বুঝানো কঠিন, তুমি কুরআন পড়তে পারো?
-হ্যা আপু পারি, গ্রামের মক্তবে শিখেছিলাম।
-অর্থসহ কুরআন পড়েছো কখনো?
-না পাওয়া যায়?
-হ্যা, আমার কাছে আছে, দিয়ে যাবো, প্রতিদিন একটা সময় কুরআন পড়লে, অর্থ ব্যাখ্যাসহ, এরপর হাদিস পড়বে, দেখবে কতো কিছু অজানা আমাদের, এভাবেই জানতে হবে, কুরআন সব বিজ্ঞানের মূল উৎস, এটাকে না জানলে দুনিয়াবী শিক্ষার কোন মূল্য নেই স্মৃতি, মৃত্যুর পর শুধু হায় হায় করতে হবে।
এবার রুবিনা মুচকী হাসে,
-ছোট খাটো একটা লেকচার দিয়ে ফললাম তাইনা? তোমার সময় নষ্ট করে…
-না না, আমি তো এসবের কিছুই জানতামনা, তোমাকে বরং ধন্যবাদ দেয়া জরুরী।
-না স্মৃতি ধন্যবাদের কিছু নেই, তুমি পড়ো, একটা সময় নির্দিষ্ট করে পড়তে থাকো জানতে পারবে, আমি তোমাকে আরো বই দেবো এখন আমি আসি।
রুবিনা চলে গেলে, স্মৃতি কিছুক্ষণ ভাবে ওর কথাগুলো নিয়ে, একটু ঘোরের মধ্যে পড়ে থাকলো যেন।
বাবার ডাক শুনে বাস্তবে ফিরে আসে, ডিনার করতে ডেকেছে।
খাবার টেবিলে সাইমন চৌধুরীর গম্ভীর কন্ঠ,
-ঐ মেয়ে কেন এসেছিলো?
-বাবা খুব প্রয়োজনীয় কথা বললো জানোতো?
মুখের খাবার শেষ করে স্মৃতি,
-বাবা তুমি কী নামাজ পড়ো? মাকে পড়তে দেখেছি তোমাকেতো দেখিনা বাবা নামাজ পড়তে। সাইমন চৌধুরী বিমর্ষ হয়ে গেলেন কিন্তু কিছু বললেননা, স্মৃতিও আর কথা বাড়ালোনা বাবাকে পর্যবেক্ষন করলো কিছুক্ষণ।
ডিনার শেষ করে রুমে গিয়ে পড়তে বসলো। চলবে……

ঘাতক

facebook-front_179_2232542b-400x250অপরাজিতাবিডি ডটকম : আগামীকাল অ্যাসা্ইনমেন্টের পেপারস জমা দিতে হবে। এরপর প্রেজেন্টশন এর ঝামেলা গ্রুপের সবাইকে কল করে পাওয়া যাচ্ছে না। এতগুলো চিন্তা মাথার মধ্যে যেন কাকের বাসার মতো জট পাকিয়ে যাচ্ছে। মাথা বো বো করছে। এক কাপ গরম গরম কফি হলে মন্দ হতো না! আক ঝাটকায় আজটগুলো খুলে যেত মেজিকের মতো। মাকে বলি না থাক, চিন্তা ঘুরিয়ে নিল। নিজেই কফি মেকারে বানিয়ে আনল কফি । পিসির সামনে বসলো জুতসই করে।

হ্যা পেপারস রেডি করার আগে ফেসবুকের মাঠটা একটু ঘরেই আসিনা কেন! ওপেন করে দেখি চেটিং এর মাঠে কে কে খেলছে জেনি আর রুমা থাকলে এক হাত বকা ঝকা করা যাবে। গত পরশুদিনের আগের দিন থেকে কল করেও কাউকে পাচ্ছি না কেন?

রিফাত ফেসবুক ওপেন করেই আতকে উঠলো! এ কি ! এ যে অবিশ্বাস্য! এ হতেই পারে না। এটা কি করে হতে পারে কেউ দুষ্টুমি করে এ খবর দিচ্ছে কি নানা অনেকেই সেড হচ্ছে এ কেমন করে হয় নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। হাত পা কাপতে শুরু করেছে। বুকের ভিতরটায় হাড়টবীট বেড়ে গিয়ে মনে হয় মুগুর পিটাচ্ছে কী ঘটলো? ধপ করে বসে  পড়লো চেয়ারটায় তাড়াতাড়ি মাউস্টা চালাতে গেল পারল না। বজ্রাহতর মতো আঙ্গুলগুলো অসাড়, থান্দা। কিুছুতেই যেন কী বোর্ড চালাতে পারছি না।

কী করব? মাকে বলবো? না, এতো রাতে মাকে বলে মায়ের টেনশন বাড়িয়ে মাকে অসুস্থ বানানো ঠিক হবে না। রুমা কী জানে? হ্যা রুমাকে ফোন করি ! কল দিতেই পেয়ে গেল-

রুমা , তুই কি কিছু জানি খবর? ও প্রান্ত থেকে কণ্ঠস্বর ভারী শোনাল , মনে হল কান্না চেপে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা বৃথা হচ্ছে।

রুমা আমি তো বিশ্বাস করতে পারছি না! রিফাতের কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে উঠলো । ওপ্রানইত থেকে অনেক কষে। কথা বের হল।

হ্যা, রিফাত কেমন করে সব এলামেলো হয়ে গেলা! আমি জেনীকে ফোন করে না পেয়ে ওদের বাসায় গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখলাম আর শুনলাম— আমি সহ্য করতে পারলাম না রে!

বলে বুকভাঙ্গা চাপা কান্নার গমকে ভেসে আসলে । কান্না থামিয়ে বলল

হ্যা রিফাত , তুই সকাল বেলা ক্যাম্পাসে আয়, তাড়াতাড়ি আসিস। সব ঘটনা ওখানে বলা যাবে, কেমন!

সারাটা রাত দুচোখের পাতা এক করতে পারলাম না। এসাইনমেন্ট তো চিন্তা থেকে উড়ে গেছে; মাকেও কিছু বলতে পারিনি। মগজের মধ্যে জেনীর চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে।

অথচ গত পরশুদিনের আগের দিন গ্রুপের সবাই যখন স্টাডিতে বসে পরবর্তী প্রেজেন্টেশনটা সেট করছিল জেনী তখন আনমনা হয়ে যাচ্ছিল। কোথায় কোন দিগন্তে যেন হারিয়ে যা্চ্ছিল মাঝে মাঝে । রুমা ওর ধ্যান ভঙ্গ করল।

-কি রে কার ধ্যানে মগ্ন হয়েছিস? মন দিয়ে শোন কি করবি!

-অ্যা ! ও হ্যা বল কি বলছিলি?

না তুই মনে হয় অন্য কিছু ভাবছিস? কি হয়েছে তোর?

-না না, তেমন কিছু ভাবছিনাতো?

তাহলে আয় কাজগুলো গুছিয়েনিই! বলে রুমা, রিফাত সবুজ সবাই কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলো।

 

জেনী, শরীর খারাপ লাগছে এই অজুহাতে আগেই বাসায় চলে আসলো । এরপর এই কদিনেই এমন কী ঘটলো যে একটি জীবন এক ইতিহাস রচনা করলো! মানুষের জীবনটা কী এমনই! যে কোন মুহুর্তে রচিত হতে পারে মর্মান্তিক বা সুখকর কোন ইতিহাস যা কোন বইতে লিখা হয় না, কিন্তু কোন কোন হৃদ্বেয় হয় রক্তক্ষরণ।

পরদিন ফজরের নামাজের পর আকাশে সুবহে সাদেকের বিমূর্ত রুপ দেখার সৌভাগ্য হল রিফাতের । আজ রুমার কথামত ক্যাম্পাসে তাড়াতাড়ি যাওয়ার কথা। জেনীর বিষয়ে সব কথা না জানা পর্যন্ত অশান্ত মঙ্গে কিছুতেই বশ মানাতে পারছে না।

 

সকালবেলা ক্যাম্পাসে শুনশান নিরবতা। দু একজন ছাত্রছাত্রীকে দেখা যাচ্ছে কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে যে যার গন্তব্যে দ্রুতলয়ে চলে যাচ্ছে। রিফাত চঞ্চল পায়ে স্টাডিতে ঢুকলো। রুমার হিজাবের রঙ আর ডিজাইন দেখে সহজেই পেয়ে গেছে ওর অবস্থান। সে আগে থেকে স্টাডিতে বসে আছে। জানালার গ্রীলে মাথা ঠেকিয়ে উদাসভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।

রিফাত সন্তর্পনে ওর কাছে এস আস্তে করে ওর কাধে হাত রাখলো। রুমা চমকে যায়নি। ওর দিকে না তাকিয়েই ওর হাতটা চেপে ধরল। বুঝা গেল ওর চোখ দিয়ে অবাধ অশ্রুধারা ঝরছে। রিফাত রুমার পাশে বসলো। ওর চোখও বাধ মানল না। রুমা নিরবতা ভঙ্গ করল-

 

জেনীর জীবনে যে এমনটা ঘটবে, আমি ভাবতেও পারিনি।

রুমা তুই কি জানিস সব বল আমাকে! আমি আর অন্ধকারে থাকতে পারছিনা। আরে আসতে কথা বল সবাই কি ভাববে বলতো?

স্টাডিতে ওরা ছাড়া আরো কয়েকজন পড়াশুনা করছিলো। কেউ কেউ আজকের খবরের কাগজে বড় বড় হেডলাইনে লিখা —‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর নিখোজ’ এটা প্রায় সবাই খবরের কাগজের উপর হুমড়ি খেয়ে খবরটা গিলছে যেন। আর ফিস ফিস গুঞ্জন —।

রিফাত আমি জেনীর বাসায় ফোন করেছিলাম কে একজন ধরল আমি কথা বললাম

হ্যালো কে আমি রুমা বলছি জেনীকে দেয়া যাবে? আমাকে চিনে ফেলে আলী চাচা। আপা আমি আলী মিয়া কইতাছি! আপা আপনে একটু বাসায় আসবেন তাড়াতাড়ি! আমাদের খুব বিপদ! আপনে আইলে সব বুঝবেন, দয়া কইরা একটু তাড়াতাড়ি আসেন কেমন?

কেনো? কী হয়েছে? আলী চাচা?

 

ফোনে কওন যাইব না আপনে আসেন এক্ষনি!

হ্যা হ্যা আমি আসছি!

 

দ্রুত একটা রিক্সা নিযে চরে আসলাম কলিং বেল টিপতেই আলী চাচা দরজা খুলে ইলারায় জেনীর আব্বু সালাম সাহেবের ঘর দেখিয়ে চুপ থাকতে বললো। তাকে ডাক্তার ওষুধ খাইয়ে ঘুম পড়িয়ে রেখেছেন। নির্ঘুম টেনশন, ইত্যাদি উচ্চরক্তচাপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। আমাকে ড্রয়িংরুমে বসিয়ে আলী চাচাও বসলো। চাচা কি হয়ছে বলূন, আমার তো খুব ভয় লাগছে।

হ বলি- সেদিনের ঘটনা আলী চাচা বললেন—

জেনির আব্বু অস্থিরভাবে পায়চারী করছেন। হঠাৎ লোডশেডিং। দু্ এক ঘন্টা পর পরই লোডশেডিং। বিরক্ত জনসাধারণ। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ নেই। দু হাজার সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার  যদি এই দুরবস্থা হয় তাহলে দেশে তো আর আবার তলাহীন ঝুড়িতে পরিণত হবে; এসব ভাবতে ভাবতে পায়চারী করছেন আর জেনীর অপেক্ষা করছেন। হঠাৎ মনে হল কে যেন এসছে। আলো না থাকাতে চিনতে পারলেন না, কে কে ওখানে?

জেনীর নিস্তেজ নিরুত্তাপ জবাব

আমি জেনী, আব্বু

ওহ তুমি এসছো। এতো দেরী করলে কেন মা! আমি যে কী চিন্তায় ছিলাম। প্রেশারটা  বোধ হয় বেড়েছে।

জেনী অবসন্ন শরীরটা টেনে নিযে ঘরৈ গেল। বাথরুম থেকে কাপড় পাল্টে শুয়ে পড়ল। হাসি বুয়া কিছুক্ষণ পর এস ডাকছে।–

 

আপা আসেন, খালু জান খাইতে ডাকে।

হাসু আপা আমি খাব না আপনি আর আব্বু খেয়ে নিন। আব্বুকে বুঝিয়ে বলবেন, আমি খাব না্ আমার ক্ষিদে নই।

আ্চছা যাই

 

পরদিন অনেক বেলা অব্ধি যখন কোন সাড়াশব্দ পাওয়া গেলনা জেনীর অজানা আশঙ্কায় সবাই আতঙ্কিত। দারওয়ান আলি হাসু বুয়া অনেক ডাকাডাকি করল কিন্তু কোন সাড়া নেই ভিতর থেকে সালাম সাহেব কাপতে কাপতে বসে পড়লেন। আলী বলল-

স্যার দরজা ভাইঙ্গা ফালান, স্যার।

আমি কিছু বুঝতে পাছি না , তোমরা যা হয় একটা কিছু করো। বলে তিনি মাটিতে বসে পড়লেন মাথায় হাত দিয়ে।

দরজা ভাঙ্গা হলোন। ভিতেরর অবস্থা দেখে সবাই স্তম্ভিত নিশ্চুপ; সবার শ্বাসপ্রশ্বাসও যেন বন্ধ হয়ে গেছে। কারও মুখে কোন কথা নেই।

খাটের উপর জেনীর সব কাপড় চোপড় পড়ে আছে সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ীর একপ্রান্ত বাধা । কিন্তু জেনী? জেনী কোথায়‍‍? ও ঘরে নেই। ঘরের ভিতরের দিক বন্ধ করে বেরিয়ে গেছে। কিন্তু যাওয়ার আগে দুটো চিঠি টেবিলে উপর রেখে গেছে।

রুমা চিঠি দুটো রিফাত কে দিল

পড়ে দেখ।

তুই পড়েছিস?

হ্যা। সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়ে চুপ করে রইল। রিফাত দ্রুত হাতে চিঠি খুলে পড়তে শরু করলো। সেলুলয়েডের ফিতায় যেন সিনেমার দৃশ্যের মতো চোখের সামনে চলল ঘটনাগুলো—

একটি সাইবারক্যাফে বসে চ্যাট করছে জেনী-

অনেদকিন হয়ে গেলো আমাদের বন্ধুত্বের । তোমার কি ইচ্ছে করে না দেখা করতে?

কি যে বল? করে না আবার? চাতক পাখির মতো হা করে আছি, কবে এই ফেসবুকের না দেখা বন্ধুকে দেখবো! বলনা কবে দেখা হবে?

আমিও তো তোমাকে ?? এটা তো ঠিক না কি বল?

চলবে…………

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১২ মে ২০১৪

'মা' দিবস

 

 954735_732955410099930_7307696725046351691_n (1)

অপরাজিতাবিডি ডটকম : কবি বলেছেন,

মা কথাটি ছোট্ট অতি

কিন্তু জেনো ভাই

ইহার চেয়ে নাম যে মধুর

ত্রিভূবনে নাই।

আর কথায় আছে- ‘মায়ের চেয়ে আপন কেহ নাই।’ যে মা জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন। তাঁর  প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব ‘মা’ দিবস পালন করা হয়। মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য, মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। তবে একটা কথা, মা দিবস তো একটা প্রতীকি দিন। তাই মা দিবসেই শুধু নয়, মাকে ভালোবাসতে হবে বছরের বাকী দিনগুলিতেও।

মা:

মা (ইংরেজি: Mother, Mum, Mom) হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন – তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। তার বিপরীত লিঙ্গ পুরুষ হচ্ছেন বাবা।

সাময়িক মোহ,সাময়িক দামী বা অন্য কিছু হয়ত এ শব্দটির চেয়েও অন্য কোনো শব্দকে খানিকটা প্রিয় করে তোলে, কিন্তু খুব অচিরেই তা বড় ‘ভুল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। মা, মা, এবং মা। প্রিয় এবং মূল্যবান শব্দ একটিই, এবং একটিই মাত্র। শুধু প্রিয় শব্দই নয়, প্রিয় বচন -মা। প্রিয় অনুভূতি -মা। প্রিয় ব্যাক্তি –মা। প্রিয় দেখাশুনা –মা। প্রিয় রান্না -মা। প্রিয় আদর -মা। সব ‘প্রিয়’ গুলোই শুধুমাত্র মাকে কেন্দ্র করেই সব প্রিয় স্মৃতি। কারণ মা-ই পৃথিবীতে একমাত্র ব্যাক্তি যে কিনা নিঃশর্ত ভালবাসা দিয়েই যায় তার সন্তানকে কোন কিছুর বিনিময় ছাড়া। পৃথিবীর ইতিহাসে সন্তানের জন্মদাত্রী হিসেবে প্রাকৃতিকভাবেই মায়ের অবস্থান। মানব সমাজে যেমন মা-এর অবস্থান রয়েছে, পশুর মধ্যেও মাতৃত্ববোধ প্রবল। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকেই মা, সকল মমতার আধার ও কেন্দ্রবিন্দু। পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায়ই “মা”-এর সমার্থক শব্দটি ‘ম’ ধ্বনি দিয়ে শুরু হয়।

মা দিবস:

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে দিবসটি পালন করা হয়। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রোববার নরওয়েতে, মার্চের চতুর্থ রোববার আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে। আর বাংলাদেশে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার।

বিশ্বের অনেক দেশে কেক কেটে মা দিবস উদযাপন করা হয়। তবে মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে বলেছিলেন,  মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর অর্থ হলো, তাঁকে নিয়ে দুই কলম লেখার সময় হয় না। চকলেট উপহার দেওয়ার অর্থ হলো, তা নিজেই খেয়ে ফেলা।

আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন ব্যয় করেন অনাথ-আতুরের সেবায়। মেরি ১৯০৫ সালে মারা যান। লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন মেয়ে আনা জার্ভিস। অ্যান মেরি রিভস জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মা দিবস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়।

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০মে ২০১৪

কেঁচো চাষে মেতেছেন ফুলছড়ির নারীরা

NEWS--

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, গাইবান্ধা : বাজেতেলকুপি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার একটি গ্রাম। এ গ্রামের ফুয়ারা বেগম আয়ের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন কেঁচো চাষ বা ভার্মি কম্পোস্ট। নিজ বাড়িতে কেঁচো উৎপাদন করে মাত্র ছয় মাসে অর্ধলক্ষ টাকা আয় করেছেন তিনি। শুধু ফুয়ারা বেগম নন, এলাকার আরও অর্ধশতাধিক নারী এ কাজে সম্পৃক্ত। তাদের কেঁচো চাষ শুধু অর্থ উপার্জন নয়, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় অবদান রাখছে।

 

ফুয়ারা বেগম বলেন, ‘বন্যা ও নদীভাঙ্গনে কয়েক দফা বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে নিঃস্ব হয়ে বাজেতেলকুপি গ্রামে আশ্রয় নিই। এরপর গণউন্নয়ন কেন্দ্রের (জিইউকে) সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখি। বন্যামুক্ত করতে বসতবাড়ি উঁচুও করতে সহায়তা করে সংস্থাটি। তাদের মাধ্যমে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা অনুদান নিয়ে ৪ হাজার কেঁচো কিনে চাষ শুরু করি। তিনমাস শেষে অন্যান্য গ্রামের নারীদের কাছে ৩০ হাজার কেঁচো ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি।’

 

কেঁচো চাষের বৈচিত্রময় দিক নিয়ে বলেন, ‘কেঁচো থেকে উৎপাদিত কয়েক মণ জৈবসার বিক্রি ছাড়াও নিজের সবজি ক্ষেতে ব্যবহার করেছি। বাড়িতে উৎপাদিত লাউ, করলা ও শিম বিক্রি করে চলতি মৌসুমে ১০ হাজার টাকা আয় করেছি। এ ছাড়া বাড়ির পেছনে ১০ হাত জায়গায় গর্ত করে বিদেশি মাগুর চাষ করে ৭ হাজার টাকা আয় করেছি। বর্তমানে আরও ১৫০টি মাগুর ও ৬টি হাঁস রয়েছে। আশা করছি এখান থেকে আয় হবে ১৫ হাজার টাকা। বর্তমানে বাড়িতে ৫টি রিংস্লাবে ৫০ হাজার কেঁচো রয়েছে। এগুলোর সংখ্যা প্রতিনিয়তও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাতে থাকা কেঁচো ও জৈবসারের মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা।’

 

NEWS-1

 

 

অতীতের কথা স্মরণ করে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘দুইবছর আগের অসহায়ত্বের কথা মনে হলে শিউরে উঠি। শুধু স্বামীর একার আয়ে সন্তানদের নিয়ে কত রাতই না উপোষ থাকতে হয়েছে। কিন্তু সে দিন এখন আর নেই। সংসারেও বিবাদ নেই। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে দিয়েছি।’

 

এ উদ্যোগের পেছনে রয়েছে উত্তরাঞ্চলভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণউন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে)। ২০১০ সালে দাতা সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের অর্থায়নে সংস্থাটি ফুলছড়ির ফজলুপুর এবং নদী ও চরাঞ্চলের অতিদরিদ্র দুই হাজারের বেশি পরিবার নিয়ে কৃষিভিক্তিক টেকসই জীবনযাত্রার উন্নয়নে কার্যক্রম শুরু করে। এতে ৪৫০টি পরিবারকে সরাসরি অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া যাচ্ছে। সংস্থার কৃষিভিত্তিক সহযোগিতার অন্যতম কর্মসূচি কেঁচোর মাধ্যমে জৈব সার উৎপাদন। ছয় মাস আগে ফজলুপুর, বাজেতেলকুপি, উজানডাঙ্গা, কোচখালী, চন্দনশ্বর ও পূর্বখাটিয়ামারী গ্রামের ৬০ জন নারী কেঁচো চাষে সম্পৃক্ত হন। তবে চাষীর সংখ্যা এখন অনেক বেশি।

 

এ চরের আরেক নারী রহিমা বেগম। কেঁচোর তৈরি জৈবসার দিয়ে দেড় বিঘা জমিতে মরিচ ও এক বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা রাসায়নিক সার দিয়ে মরিচ চাষ করেছে তাদের চেয়ে আমার মরিচ অনেক ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে জৈবসার উৎপাদনের প্রতি এলাকা অন্যদের একটু অনীহা থাকলেও এখন অনেকে কেঁচো চাষ করছেন।’

 

জিইউকে রিভার প্রকল্পের ম্যানেজার প্রতিমা চক্রবর্তী জানান, বাড়িতে একটি গরু থাকলে কেঁচোর মাধ্যমে ৪৫ দিনে ৬০ কেজি জৈবসার উৎপাদন করা যায়। একজন নারী যদি ২ হাজার কেঁচো চাষ করে তাহলে মাসে ৬০ কেজি জৈবসার উৎপাদন করতে পারবে। এ ছাড়াও ২ হাজার কেঁচো থেকে বছরে ৮০ হাজার কেঁচো পাওয়া যায়। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি একজন নারী শুধু কেঁচো চাষ থেকে মাসে অনায়াসে ৪ হাজার আয় করছেন।

 

তিনি আরও জানান, কেঁচো বা ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদা চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সার চরে কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈবসারে অন্ততপক্ষে ৫০ ভাগ অর্থ সাশ্রয় হয়। উৎপাদনও হয় অনেক বেশি। তবে এ সারের মার্কেটিং এখন সেভাবে হয়নি। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

NEWS-2_1

 

জিইউকে এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার রোকনুজ্জামান জিল্লু জানান, গণউন্নয়ন কেন্দ্র দুর্যোগের সঙ্গে বসবাসরত নারীদের আয়মুখী কাজে সারাবছরই সম্পৃক্ত রাখতে রিভার প্রকল্প গ্রহণ করে। এ সব মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থার উন্নয়ন এবং জলবায়ুর হুমকি মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংস্থার নির্বাহী প্রধান এম. আবদুস সালাম বলেন, ‘জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চরাঞ্চলের নারীরা। এ জন্য কেঁচো চাষের মতো ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চরের নারীরা মৌসুমভিত্তিক বহুমুখী আয়ে সম্পৃক্ত থাকলে দরিদ্রতা থেকে মুক্ত হতে পারবে; তা না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষিতেও নারীরা সম্পৃক্ত হচ্ছেন। কেঁচো চাষের মাধ্যমে জৈবসার তৈরিতে নারীদের অসাধারণ অবদান অবশ্যই মূল্যায়নযোগ্য। এর মাধ্যমে তারা যেমন অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন তেমনি মাটি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।’

এ ছাড়াও এ সব নারীরা বসতবাড়িতে নানা ধরনের সবজি ও মাছ চাষ এবং গরু-ছাগল, হাঁস-কবুতর পালনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৯ মে ২০১৪.

ফুলবাড়ীয়ায় ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার ৪

Rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে ফুলবাড়ীয়া এলাকায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইউপি সদস্য আব্দুল হাই সুমন ও তার সহযোগী বুলু মিয়া, শুকুর মাহমুদ, গিয়াস উদ্দিন।

 

এলাকাবাসী জানায়, সোলায়মান মিয়া তার স্কুলে পড়ুয়া শিশু কন্যা (১০) উপজেলার কাহালগাঁও রঙ্গেরধারা গ্রামে বসবাস করেন। গত পহেলা বৈশাখ বিকেলে সোলায়মান তার শিশুকে নিয়ে জোরদীঘির মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

 

দীর্ঘ ১৩ দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ধর্ষিতা শিশুর চিকিৎসা শেষে গত ৩০ এপ্রিল শিশুটির মা শহর বানু বাদী হয়ে ময়মনসিংহ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে ধর্ষণকারী চারজনের জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

 

ফুলবাড়িয়া থানার এএসআই হুমায়ূন কবীর জানান, মামলার প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৯ মে ২০১৪.

ভারতে পাচারকালে ফের ২ তরুণী উদ্ধার, নারীসহ আটক ২

 

 

 

 

 

 

 

Kurigram

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাহাট সীমান্তে পাচারের সময় দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় যমুনা বেগম ও আব্দুর রশিদ নামে দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

 

পুলিশ ও বিজিবি সুত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালাহাট সীমান্তের ৯৩৫ পিলারের কাছে গজের কুটি গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে বাবলী আক্তার ও শান্তনা বেগম নামের দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়ী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের পাঠানপাড়ায়।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, ফুলবাড়ীর বালাহাট সীমান্তে তাদের পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। বিজিবি তাদের করে।

 

অপর দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁটাতারের বেড়া দেখতে নিয়ে এসে জয়ন্তী রানী (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে ভারতে পাচারের সময় ফুলবাড়ী থানা পুলিশ পাচারকারী নুর ইসলামকে আটক করে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৯ মে ২০১৪.

বইয়ের যত্নে বুকশেলফ

book-...................top20140505202524

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : মার্ক টোয়েনের লাইব্রেরীখানা নাকি দেখার মতো ছিল। মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বই, বই শুধু বই। এমন কি কার্পেটের উপরও গাদা গাদা বই স্তপকৃত হয়ে পড়ে থাকত, যেখানে পা ফেলা ভার। একদিন তারই এক বন্ধু মার্ক টোয়েনকে বলেছিল, ‘বইগুলো নষ্ট হচ্ছে, গোটাকয়েক শেলফ যোগাড় করছ না কেন?’

মার্ক টোয়েন কিছুক্ষণ মাথা নিচু করে ঘাড় চুলকে বলেছিল, ‘ঠিকই বলেছ- কিন্তু লাইব্রেরীটা যে কায়দায় গড়ে তুলেছি, শেলফ তো আর সে কায়দায় যোগাড় করতে পারছি না। শেলফ তো আর বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে ধার চাওয়া যায় না।’ সত্যি ঠিকই বলেছেন মার্ক টোয়েন। বই ধার নেওয়া গেলেও বুকশেলফ তো আর ধার নেওয়া যাবে না। তাছাড়া আপনার তো আর এত বড় লাইব্রেরী নেই। আর থাকলেই ক্ষতি কি! আপনি আপনার বাসার পরিধি অনুযায়ি তৈরি করে নিতে পারেন পছন্দসই বুকশেলফ। এবং যত্নে রাখতে পারেন আপনার প্রিয় বই।

download (6)

ছোট বাড়ি হলে
এরকম বাড়িতে বা ফ্লাটে কিন্তু দেওয়ালই ভরসা। এখন যে কোনও ফার্নিচারের দোকানেই রেডিমেড বইয়ের তাক পাবেন। কিন্তু একেবারে মাপমতো বানাতে চাইলে কারিগর দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন। ডিজাইনের জন্য চিন্তা করতে হবে না। ইন্টারনেট বা যে কোনও ম্যাগাজিনেই হাজার হাজার ছবি পেয়ে যাবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিলেই চলবে। বানিয়ে নিলে দামও অনেকটা কম পড়বে। কাঠও নিজের পছন্দ মতো বাছতে পারবেন। ঘরের পুরো একটা দেওয়াল বই রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। না হলে দেওয়ালের কিছুটা ব্যবহার করতে পারেন। আবার কোনও আলমারি বা ক্যাবিনেটের কিছু অংশও ব্যবহার করতে পারেন।

download (7)

হাতের কাছে রাখুন
এমন উঁচু জায়গায় তাক বানালেন যে, বই পাড়তে-রাখতেই সমস্যা হয়। এরকম হলে রোজ বইয়ের যত্ন নেওয়া হবে না। ইচ্ছে হলে বই পেড়ে পড়তেও পারবেন না। তাই বইয়ের তাক রাখুন নাগালের মধ্যে। তাছাড়া, দেওয়াল, আলমারি বা ক্যাবিনেট , সোফা সেটে-এর বক্স করে বা খাটে বক্স করেও বই রাখতে পারেন।

বড় বাড়ি হলে
বড় বাড়ি হলে কোনো সমস্যা নেই। অনায়াসে একটা ঘর লাইব্রেরি বানিয়ে ফেলতে পারেন। পুরো ঘর জুড়েই করতে পারেন বই রাখার ব্যবস্থা। কিছু বই খোলা রাখলেন আবার কিছু বই বন্ধ আলমারিতে। চাইলে ক্যাটালগ করে রাখতে পারেন। এতে বই খুঁজে পেতে সুবিধে হবে।

একটু শৈল্পিকতা
একেবারে সেই একই রকম বইয়ের তাক না বানিয়ে একটু শৈল্পিকভাবে তৈরি করুণ। যাতে দেখতে ভালো লাগে। আপনার পার্সোনালিটির সঙ্গে মানানসই বইয়ের তাক বানান। আপনি যদি মজা করতে পছন্দ করেন তাহলে নিজের বুক শেলফেও তার ছোঁয়া রাখুন। আর যদি খুব ছিমছাম জিনিস পছন্দ হয় তবে সেরকমও বানিয়ে নিতে পারেন।

খরচা-পাতি
কাঠের বানাতে বা কিনতে চাইলে খরচা একটু বেশি পড়বে। ছোট মাপের বইয়ের তাকেরই দাম পড়বে প্রায় আট-নয় হাজার টাকার মতো। আর বড় মাপের বানাতে গেলে বার হাজার টাকার নিচে হবে না। তবে প্লাইউডের বানালে ছোট বইয়ের তাক তিন-চার হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। পছন্দ এবং স্থানবেধে এ খরচের তারতম্য হতে পারে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ ০৮ মে ২০১৪ই.

বাহারি সব ভর্তা

 

top20140507211907

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা :  উৎসবেই আয়োজনের পূর্ণতা পায় খাবার-দাবারে। অন্তত ভোজনরসিক বাঙালির ক্ষেত্রে। তাইতো প্রিয় কবির জন্মদিনের এই দিনটিতে আমরা অনায়াসেই টেবিল সাজাতে পারি বাঙালীর প্রিয় খাবার ভর্তা দিয়ে। বাঙালি সে যেখানকারই হোক না কেন ভর্তা খেতে ভালোবেসে না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাই এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তীতেই হোক না আপনার ঘরে ভর্তা উৎসব।

আলু ভর্তা :

downloadআলু ভর্তার সঙ্গে পরিচয় নেই এমন বাঙালী খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। আর আলু ভর্তা বানাতে পারে না এমন নারী অথবা পুরুষের সংখ্যাও অত্যন্ত নগন্য। তারপরেও এই জানা জিনিসটাকেও কিভাবে আরও সুস্বাদু করা যায় তারই কয়েকটা উপায় জানাচ্ছি। সাধারণভাবে আলু ভর্তা করার নিয়ম হচ্ছে প্রথমেই আলুটাকে সিদ্ধ করে নেয়া। আর পরিমাণ নির্ভর করবে কয়জন খাবে তার ওপর। সিদ্ধ করা আলুটাকে ভালো করে চটকে নিতে হবে। তারপরে কুঁচি করা পিয়াজ, কুঁচি করা মরিচ, লবণ আর পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে ভলো করে মাখিয়ে নিলেই তৈরী হয়ে যাবে আলু ভর্তা। আর যদি এরচেয়ে একটু ব্যতিক্রম করতে চান তবে পিয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ অথবা শুকনা মরিচ(যা আপনি ভালোবাসেন) ভেজে নিতে পারেন সরিষার তেলে। এই ভাজা পিয়াজ, মরিচ ও তেল চটকানো আলুর সঙ্গে মেশালে বদলে যাবে চিরচেনা আলু ভর্তার স্বাদ। আর এই ভাজা তেল-পিয়াজে ছেড়েও দিতে পারেন চটকানো আলু। তারপর কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে পরিবেশন করতে পারেন ভাজা আলু ভর্তা। আবার কাঁচা পিয়াজের স্বাদ যারা মিস করতে চান না তারা শুধু মরিচটাকে ভেজে নিলেই একটুতো আলাদা স্বাদ পাবেনই। আর সরিষার তেলের বদলে খাঁটি ঘি দিয়েও মাখাতে পারেন সব বাঙালীর প্রিয় এই আলু ভর্তা। আরও বিশেষ কিছু করতে চাইলে আলু সিদ্ধ না করে পুড়িয়েও নিতে পারেন আগুনের তাপে। ঝলসানো আলুর ধোঁয়াটে গন্ধ আর পিয়াজ, লঙ্কা, তেলে মিলেমিশে তৈরী হবে অনন্য এক স্বাদ।

বেগুন ভর্তা

download (1)
আলু ভর্তার মতো এতটা জনপ্রিয় না হলেও বাঙালীর কাছে বেগুন ভর্তার কদরও নিতান্ত কম নয়। সাধারণত বেগুনটাকে পুড়িয়েই নেয়া হয়। আবার অনেকে সিদ্ধ করেও করেন বেগুনের ভর্তা। ঝলসানো বেগুন বা সিদ্ধ বেগুন, যাই হোক না পিয়াজ কুঁচির সঙ্গে ঝলসানো লাল মরিচ চটকে, সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে খুব সহজেই করে নিতে পারেন বেগুন ভর্তা। আর অ্যাসিডিটি হওয়ার ভয় থাকলে শুকনা মরিচের বদলে তেলে ভেজে নিন কাঁচা মরিচ। স্বাদ নিয়েও চিন্তা থাকলো না। স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকেও দূরে থাকা গেলো।

টমেটো ভর্তা :

download (2)
টমেটোকে বেগুনের মতোই সিদ্ধ করে অথবা ঝলসে ভর্তা করা হয়। প্রণালীও প্রায় এক রকম।

কালোজিরার ভর্তা :

download (3)
কালোজিরা অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি মশলা। বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক এবং প্রতিষেধক এই কালোজিরা। কালোজিরার ভর্তাও অনেক ভোজনপ্রেমিকেরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। কালোজিরা ভর্তা তৈরীর জন্য প্রথমেই এক টেবিল চামচ কালোজিরা ধুয়ে শুকিয়ে নিন। তারপর এই শুকানো কালোজিরার সাথে দুইটি ছোট রসুনের কোষ মৃদু আঁচে ভালো করে টেলে নিন। শুকনা মরিচ খেতে চাইলে কতটুকু ঝাল খেতে চান সেই অনুপাতে ২/৩টা মরিচ টেলে নিন। আর কাঁচা মরিচ খেতে চাইলে ২টা বা তিনটা কাঁচা মরিচ তেলে ভেজে নিন। এবার রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কালোজিরা, রসুন, মরিচ ও পরিমানমতো লবণ একসাথে সামান্য পানি দিয়ে বেটে নিন। তৈরী হয়ে যাবে সুস্বাদু ও ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ কালোজিরার ভর্তা।

লাউপাতা ভর্তা :

download (4)
লাউপাতা ভালো করে ধুয়ে ভাপে সিদ্ধ করে নিন। এবার পরিমান মতো রসুন, পিয়াজ, মরিচ দিয়ে বেটে নিন। বেটে নেয়া লাউপাতায় সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে মজাদার লাউপাতার ভর্তা।

ইলিশ মাছের ভর্তা :

download (5)

মাঝারি আকারের একটি ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ ছাড়া বাকি অংশ কেটে তিন/চার টুকরা করে নিন। ভালো করে ধুয়ে পনেরো থেকে বিশ ভাঁপে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে সম্পূর্ণ মাছের কাঁটা বেছে নিন। এবার পেয়াজ কুঁচি(মাঝারি আকারের দু’টো), ৪/৫টা ভাজা শুকনো মরিচ(অথবা কাঁচা মরিচ), দুই টেবিল চামচ সরিষার তেল এবং পরিমানমতো লবণ বেছে নেয়া মাছের সাথে ভালো করে মাখিয়ে নিন। ঝটপট তৈরি হয়ে যাবে চমৎকার স্বাদের ইলিশ মাছের ভর্তা।

লক্ষ্য রাখুন : বিশেষ একটি বিষয় ভর্তা সম্পর্কে না বললেই নয়। ভর্তায় ব্যবহৃত সবকিছুরই পরিমান নির্ভর্ করে সাধারণত যে খায় তার রুচির ওপর। কেউ ঝাল কম পছন্দ করে, কেউ বেশি। এটা একেবারেই সাধারণ কথা। তবে ভর্তার আরও একটি প্রধান উপাদান তেল। এই তেলও কেউ কেউ ভর্তায় একটু বেশি খায়, আবার কেউ একটু কম খায়। পিয়াজের বেলায়ও বিষয়টি এমনই। তাই বাসায় যখনই আপনি ভর্তা তৈরি করবেন পরিবারের সদস্যদের রুচির বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

এই ছয় রকমের ভর্তা পরিবেশন করুন ধোঁয়া ওঠানো ঝরঝরে গরম ভাত অথবা মুগ ডালের ঘ্রাণ ছড়ানো ভুনা খিচুরির সঙ্গে। সঙ্গে যদি থাকে ঘরে তৈরি আচার, তবেতো আর কথাই নেই। বিশেষ দিনকে উৎযাপন করুন সম্পূর্ণ বাঙালীয়ানায়।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৮ মে ২০১৪ই.

অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত জীবতলি রিসোর্ট

rangamati

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, রাঙামাটি : জীবতলি রিসোর্ট। রাঙামাটির অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত এ স্থানটি সহজেই মন কেড়ে নেয় ভ্রমণ পিয়াসীদের।

একপাশে কর্ণফুলী নদী আর একপাশে কাপ্তাই হ্রদ। মাঝখানে হচ্ছে কাপ্তাই উপজেলা। এলাকার নামেই নামকরণ হয়েছে রিসোর্টের। রাঙামাটি সদরের জীবতলি ইউনিয়নে রিসোর্টটির অবস্থান।

প্রকৃতি যেন আপন সৌন্দর্য্যকে মেলে ধরেছে এখানে। সকালের পূর্বাকাশে সুর্য উঁকি দিতেই সোনালী আলোকচ্ছটায় বর্ণিল হয়ে ওঠে লেকের পানি। পাহাড় আর হ্রদের সাথে যেন সুর্যালোকের আলোর দারুণ মিতালী। দুপুর হতেই রোদের প্রখরতা লেকের পানিকে আরো ঝলমল করে তোলে। পড়ন্ত বিকেলে আলোক রশ্মি আরো মোহনীয় করে তোলে পুরো পরিবেশ।

জীবতলি রিসোর্ট রাত দিনের যে কোন সময়েই উপভোগ করার মতো দর্শনীয়। নির্জনপ্রিয় মানুষের অবকাশ যাপনের কথা ভেবেই গড়ে তোলা হয়েছে এই রিসোর্ট। যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমী থেকে সওে এসে যারা প্রকৃতির খুব কাছাকাছি সময় কাটানোর জন্য পরিকল্পনা করেন এই রিসোর্ট তাদের জন্যই।

বাংলাদেশ সেনাবহিনীর অসংখ্য নান্দনিক স্থাপনার একটি ৩৫ একর জায়গা জুড়ে স্থাপিত এই জীবতলী রিসোর্ট।

জীবতলি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক সার্জেন্ট মানিক জানান, প্রকৃতির সাথে মিলমিশে একাকার হয়ে আছে এই রিসোর্ট। প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছে রিসোর্ট, সেখানে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। আরো বেশি পর্যটক বান্ধব করতে নেয়া হয়েছে বিশাল কর্মপরিকল্পনা।

তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা পর্যটকদের জন্য তৈরি করেছি ৫টি কটেজ।এর মধ্যে ২ টি হচ্ছে মাটির, ১টি কাঠের, ১টি বাঁেশর তৈরি এবং একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মাটির কটেজ দেড় হাজার, বাঁশের কটেজ এক হাজার ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কটেজ সাড়ে তিন হাজার টাকা। এখানে পিকনিকের জন্যও রয়েছে ৪টি স্পট।
এ ছাড়াও কাপ্তাই লেকের পাশ ঘেঁষে পাহাড়ের কোলে গড়ে তোলা হচ্ছে বেশ কিছু নতুন কটেজ। নতুনভাবে প্রাকৃতিক ছোঁয়ায় নির্মিত হচ্ছে এইসব কটেজ। মাটির দেয়াল আর পাহাড়ী ছনের ছাদ। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড় দেখে মনে অন্য জনপদের কাঁচা বাড়ীঘর। থাকবেনা বৈদ্যুতিক পাখা, ভিতরে জ্বলবে কুপি বাতি।

রূপালী চাঁদের আলোয় ঝলমল করবে এসব কটেজ। প্রকৃতির মৃদু বাতাস শীতল করবে শরীর। পাহাড়ের আকা বাঁকা পথ বেয়েই যেতে হবে এসব কটেজে। এসব কটেজের সামনে দাঁড়ালে দেখা মিলবে কাপ্তাই হ্রদের বিশালতা। পাহাড়ের বুক চিরে কাপ্তাই হ্রদের বয়ে চলা। এখানে লেকের মাঝে করা হয়েছে সুইমিং পুলের ব্যবস্থা।

যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে যে কোন যানবাহনে করে যাওয়া যায়। রাঙামাটি সদর থেকে নৌপথে রিসোর্টে যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা।

আর সড়ক পথে দুটো ভিন্ন পথ ধরে যাওয়া যায়। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া হয়ে গেলে সময় লাগে বেশি। আর রাঙামাটি শহরের আসমাবস্তি সড়ক দিয়ে যেতে সময় তার চেয়ে কম লাগবে।

রাস্তার দুই পাহাড়ের মাঝখানে ছুটে চলা পথ দিয়ে যেতে নজরে পড়বে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনচিত্র। পাহাড়ের উপর দিয়ে চলে যাওয়া ১৯ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে গেলে কাপ্তাই লেকের বিশাল সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যাবে মনভরে। এ পথ দিয়ে যেতে ছোট-বড় ৮-৯ টি ব্রীজের দেখা মিলবে। লেকের কারণে ভাগ হয়ে যাওয়া দুই পাহাড়ের মিলনস্থলও এই ব্রীজ।

১৯ কিলোমিটার পথে মুগ্ধতায় যে কেউ বিমোহিত হবে।

যেহেতু পুরো এলাকাটি সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে সেহেতু নিরাপত্তার ব্যাপারে বাড়তি কোন টেনশনই নেই। দিন আর রাতের যে কোন সময় এখানে ঘুরে বেড়ানো যাবে অনায়াসে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ০৮ মে ২০১৪ই

কটিয়াদীতে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

ballo_27781_0

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার হাজেরা সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী অষ্টঘড়িয়া গ্রামের রফিক মিয়ার কন্যা রত্না বেগমের(১৪) বিয়ে মঙ্গলবার উপজেলা ব্র্যাকের পল্লী সমাজের উদ্যোগে বন্ধ করে দেয়া হয়। রত্না বেগমের বিয়ে ঠিক হয় কিশোরগঞ্জ শহরের এক পাত্রের সাথে।
মঙ্গলবার খবর পেয়ে ব্র্যাক পল্লী সমাজের সিটিজেন কমিটির নওরীন সুলতানা, ইউপি সদস্য হাজেরা বেগম, ইউ,পি সদস্য কামাল মিয়ার উদ্যোগে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আসমা আক্তারের সহযোগিতায় বিবাহ বন্ধ করা হয়।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ০৮ মে ২০১৪ই

 

পাল্টেছে ধারা পাল্টেনি নির্যাতন

খন্দকার মর্জিনা সাঈদ : বাংলা ১২৯৮ সনের কথা। তখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ছোটগল্প দেনা পাওনায় অসহায় নারী নিরূপমার কথা লিখেছেন। যার বিয়েতে দশ হাজার টাকা পণের পুরোটা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়িতে নিত্যনির্যাতন। একবারের জন্যও বাবার বাড়িতে না যেতে দেয়া। শ্বশুরগৃহে মেয়ের সামনে বাবার অপমান। নিরূপমার নিরুপায় হয়ে বাবাকে উদ্দেশ করে বলা, ‘বাবা তুমি যদি আর এক পয়সা আমার শ্বশুরকে দাও তা হলে আর তোমার মেয়েকে দেখতে পাবে না। এই তোমার গা ছুঁয়ে বললুম।’ অবশেষে শোক, দুঃখ, অপমান, অভিমান সঙ্গী করে নিরূপমার একপ্রকার স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বরণ। মৃত্যুর পরে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট স্বামীর চিঠি, স্ত্রীকে অবিলম্বে পাঠানের অনুরোধ। প্রতি উত্তরে শ্বশুর রায়বাহাদুর মহিসী ছেলেকে লিখেছেন, ‘বাবা তোমার জন্য আর একটি মেয়ে সম্বন্ধ করিয়াছি। অতএব অবিলম্বে ছুটি লইয়া এখানে আসিবে। এবার বিশ হাজার টাকা পণ এবং হাতে হাতে আদায়।’

১২৯৮ সাল সেই কবেই পার হয়েছে। এতটা সময় পার করেও এই ভারতেরই হরিয়াণ রাজ্যে নারী বিক্রির রেওয়াজ চলছে। বয়স ও শারীরিক গঠনের বিচারে ৫ থেকে ৩০ হাজার রুপি পর্যন্ত দামে এদের বিক্রি করা হয়। এমন কি, লোকসভা নির্বাচন জনসম্মুখে নারীপ্রার্থীরা শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন। আর আপনার আমার মেয়েরা! যাদের আমরা নিরাপত্তার বেষ্টনীতে জড়িয়ে তিলে তিলে বড় করছি। তথাকথিত শিক্ষিত সুপাত্র দেখে বিয়ে দিয়েছি। তবু তারা কতটা নিরাপদ বাবার গৃহ ছেড়ে স্বামীর গৃহে! আবেগতাড়িত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন একজন মা ব্যারিস্টার মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, একমাত্র মেয়ে হওয়ায় ওর সংসার পর্যন্ত নিজ হাতে সাজিয়ে দিয়েছি। শ্বশুরবাড়ির সব সমস্যার ব্যাপারে সোচ্চার থেকেছি। বেকার সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করেছি।
প্রথম প্রথম পুত্রবধূকে কেন্দ্র করে এত সব সুবিধা পেয়ে ওরা কৃতজ্ঞ ছিল। পুত্রবধূর প্রশংসা ছিল মুখে মুখে। আমার মেয়ের প্রতিও ছিল আন্তরিক। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো এক বছর পার হতেই। যখন তাদের ছেলের আয় রোজগার, সম্মান ক্ষমতা উভয়ই বাড়ল। সাথে বাড়ল পুত্রবধূর পরিবারের কাছে চাহিদার লিস্টও। নিজস্ব গাড়ি, ফ্যাট, মেয়ের যাবতীয় খরচের বিষয়টি তো এর মধ্যে ছিলই। যা অভিভাবক হিসেবে সবসময়ের জন্য আমরা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং স্বামীর কাছে স্ত্রী ভরণ-পোষণের অধিকার চাওয়া মাত্রই বাধে বিপত্তি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো বিষয়কে প্রাধান্য করে প্রতিদিনই বাধে সঙ্ঘাত। সে সঙ্ঘাত থেকে আমার মেয়ে আত্মরক্ষা করতে গেলে বিষয়টি অন্য ধারায় প্রবাহিত হয়। জনে জনে প্রচার পায়, পুত্রবধূ স্বামী, শাশুড়ি দু’জনকেই মারধর করেছে। ওকে সমাজে দাঁড় করায়, জেদি, স্বেচ্ছাচারী, প্রতিহিংসাপরায়ণ একজন নারী হিসেবে। আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ওর স্বামী জনসমক্ষে স্ত্রীর মারের ক্ষতচিহ্ন দেখাতে পারলেও আমার মেয়ে নারী বলেই পারেনি তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলো খুলে দেখাতে। পারেনি প্রমাণহীন মানসিক নির্যাতনের কথা বলতে। যে কারণে শাশুড়িকে মারধরের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। আইনি প্রক্রিয়ায় পাত্রপক্ষের বিয়ে ভাঙা সহজ হয়। যে বিয়েটা কি-না কেবলই পদমর্যাদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল। ছিল একধরনের মুখোশের আড়ালে সন্ধিপত্র মাত্র। আর এমন ভুক্তভোগী আমি এবং আমার মতো অনেক পরিবারই আছে। যারা অতি সুবিধাজনক অবস্থানে অবস্থান করেও সতর্কতা অবলম্বন করেও চোরাবালির মতো সম্পর্কের ফাঁদে জড়িয়ে যাচ্ছেন। আপাতত বদনাম, কষ্ট কুড়াচ্ছেন বলেও জানান ব্যারিস্টার মনোয়ারা বেগম।
কথাসাহিত্যিক আয়শা ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে শায়লাকে ওর চেয়ে ১০-১২ বছরের বড় এক প্রভাবশালী পরিবারে ছেলের সাথে বিয়ে দেই। পাত্রপক্ষের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে প্রথমে ও মেনে নিলেও পরে শায়লা জানতে পারে ওর স্বামীর অন্য নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক। এ কারণে প্রতিনিয়তই সে তাকে শারীরিক-মানসিকভাবে এড়িয়ে চলতে চাইছে। নীরবে নিখুঁতভাবে করছে অবহেলা। তখনই শায়লা গভীর অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। যেন একটি বাঁশের কঞ্চি জড়িয়ে শিমলতার বেঁচে থাকার মতোই তার বেঁচে থাকা। নেই স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ-অনুযোগও। এবং বিষয়টি যে একধরনের গুপ্ত নির্যাতন তা আমাদের সবারই জানা। জানা থাকা সত্ত্বেও আমরা অভিভাবক হয়েও কিছু করতে পারছি না। আমার যে আরো তিনটি মেয়ে আছে। বড় বোনের ঘর ভাঙার অপবাদ যদি এদেরকে প্রভাবিত করে। সমাজ সংসারের মানুষেরা যদি এই নিরপরাধীদের বহুগামী, ধৈর্যহীনতার পরিচয়ে পরিচিত করে। তাই সব কিছু ভেবে শায়লাকে সর্বসয়া হয়ে দাম্পত্য জীবনে টিকে থাকার লড়াই করে যেতে হচ্ছে। আর এ রকম অনেক কারণ মেনে নিয়েই হয়তো, শায়লার মতো অগণিতদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম এই দেশটি দিনকে দিন অগ্রগতির পথে এগোচ্ছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সুমাইয়া আজাদ। তিনি তার মেয়ে মিতালি প্রসঙ্গে বললেন এ

মা-বাবাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন রুবা

36232_nari-3

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, পঞ্চগড় : ঠাকুরগাঁও দেবীপুরে বসতবাড়ি রক্ষার জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েও বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছেন কলেজছাত্রী রুবা। 

জিডি ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৫ নম্বর দেবীপুর ইউনিয়নে মৌলভীপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের (৭৫) মেয়ে কলেজছাত্রী রুবা এই মর্মে অভিযোগ করেন যে, তার বাবা বর্তমানে খুবই অসুস্থ। তার জন্মের পর থেকে সাড়ে ১১ শতক জমির ওপর বাড়ি করে বসবাস করছেন। গত ২৪ জুলাই সকাল ৯টায় বসতবাড়ি মেরামতের জন্য কয়েকজন শ্রমিক লাগিয়েছেন।
এমন সময় চাচাতো ভাই আনিছুর রহমান, বাবা তফিজউদ্দিন এবং তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার, স্বামী আনিছুর রহমান আমাদের বসতবাড়িতে জমি পাবেন বলে কাজের শ্রমিকদের মারধর শুরু করে দিয়ে তাদের কাজের যন্ত্রপাতি নিয়ে যান। এ অবস্থায় রুবা ও তার বৃদ্ধ মা সালেহা (৬৫) কেন শ্রমিকদের মারা হচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে, রুবা ও তার বৃদ্ধ মাকে অমানবিকভাবে মারধর করেন আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার। আনিছুরের ভাই আজিজুল ইসলাম তার এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গেলে তারও একটি হাতের আঙুল কেটে দেন আনিছুর।
রুবা বলেন, সেলিনা আক্তার আমার বৃদ্ধ মায়ের চুল ধরে অমানবিকভাবে লাঞ্ছিত করলে আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি আমাকেও মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। সাবেক ১৫ নম্বর দেবীপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: নূর ইসলাম বলেন, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ হওয়ায় স্থানীয়ভাবে আমিন নিয়ে এসে স্থানীয় সালিসে প্রমাণিত হয়েছে রুবা আক্তারের বাড়িতে আনিছুর জমি পাবেন না। এর পরও বাড়িঘরে হামলা করে আনিছুর অপরাধ করেছেন বলে মনে করি। রুবার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ছয় মেয়ে, পাঁচটি বিয়ে হয়েছে। আমি অসুস্থ, চলাফেরা করতে পারি না। ছেলে না থাকায় সম্পূর্ণ জবরদখল করার মানসিকতায় আনিছুর আমার সাথে বাড়াবাড়ি করছে। রুবার ভাগিনা রাশেদ (১২) বলে, আনিছুর মামা ও তার স্ত্রী সেলিনা মামী নানাবাড়িতে এসে আমাদের সবাইকে মারধর করছে।
আমি নানাবাড়ি থেকে পড়াশোনা করি। ঘটনার পর আনিছুর ও সেলিনা আক্তার পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলে বারবার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রুবা আক্তার বলেন, থানায় জিডি ও ইউনিয়ন পরিষদে মামলা করা পরও আনিছুর গং আমাদের বসতবাড়ি দখল করে নেবে, মারধর করবে এবং মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করার প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।
মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালীদের দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া চেষ্টা করছে। বাধ্য হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় বসতবাড়ি রক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য গত ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ইং থানায় একটি জিডি (১১৬৮ নম্বর) করি এবং ইউনিয়ন পরিষদে মামলা করেছি, আইনের আশ্রয় নিয়েছি বলেই আনিছুর-সেলিনার হুমকি-ধমকিতে আমিসহ বৃদ্ধ বাবা-মা নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। সদ্য নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, এখনো শপথ হয়নি। শপথ হলেই রুবা আক্তারের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা সরেজমিন তদন্তপূর্বক স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝরনা (৪০) ও আয়েশাসহ (৪১) এলাকাবাসী রুবা আক্তারের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় আনিছুর-সেলিনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/ ০৮ মে ২০১৪ই

বিয়েবাড়িতে স্কুলছাত্রীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ

1420140508151018

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, মাদারীপুর : মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রামে বুধবার রাতে বিয়ের অনুষ্ঠানে কনেকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়া হয়। কিন্তু তা গিয়ে লাগে এক ছাত্রীর দেহে। আহত স্কুলছাত্রী সুবর্ণা আক্তারকে (১৩) মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদী গ্রামের রকমান খন্দকারের ছেলে বাদশা খন্দকারের (২৫) সঙ্গে একই উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের ইসমাইল খাঁর মেয়ে লিজার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদে বিয়ে ভন্ডুল হয়ে যায়।
এতে বরপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অতর্কিতভাবে কনের বাড়িতে ঢুকে কনেকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। নিক্ষিপ্ত অ্যাসিড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কনের বড় বোনের মেয়ে সুবর্ণা আক্তারের শরীরের লাগে। এতে সে গুরুতর দগ্ধ হয়। সুবর্ণা মাদারীপুর ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের হাবিবুর রহমান খানের মেয়ে সুবর্ণা।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে সমস্যা হওয়ায় অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে বরপক্ষ। আর এতে আমার মেয়ের গায়ে লাগায় তাকে মাদারীপুর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক জানান, এই ঘটনার খবর পেয়েই মাদারীপুর সদর থানার পুলিশ হাসপাতালে পরিদর্শনে গেছে। তদন্ত করে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৮ মে ২০১৪.

যৌন হয়রানি রোধে ব্র্যাকের কর্মসূচি

Brack

 

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।

 

এসব কর্মসূচির আওতায় রোববার রিকশাপ্লেট প্রচারাভিযান শুরু করা হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের স্লোগান সম্বলিত স্টিকার রিকশায় লাগিয়ে প্রচারাভিযান করা হয়।

 

মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) এর আয়োজন করে ব্র্যাক। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

মন্ত্রী যৌন হয়রানির মতো সামাজিক সমস্যা সমাধানে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। 

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি যৌন হয়রানি নির্মূলকরণে অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।

 

এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান জসীমউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনছার আলী খান, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফাতিহা ইয়াসমিন, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি ও মাইগ্রেশন কর্মসূচির পরিচালক শীপা হাফিজা উপস্থিত ছিলেন।

 

বক্তারা গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কর্মস্থলকে নারীবান্ধব করতে এবং এ ব্যাপারে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রচারাভিযান উদ্বোধন শেষে ৫০টি রিকশাসহ একটি র‌্যালি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৬মে২০১৪

ত্বকের যত্নে ডাবের পানি

coconut-water

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : আপনার খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যের দারুণ মিতালী রয়েছে। সঠিক খাদ্য বেছে না নিলে ত্বক রক্ষ ও নিস্প্রাণ হতে সময় লাগে না। তাই সুন্দর ত্বকের জন্য সঠিক খাবার বেছে নিতে হবে।

 

সাধারণত বলা হয় থাকে, ফল ও ফলের রস ত্বকের জন্য ভালো। এড়িয়ে চলুন তৈলাক্ত ও বেশি মসলা দেওয়া খাবার। এ প্রসঙ্গে আরও বলা হয় ত্বকের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হলো কমলার রস। কিন্তু আমাদের অনেকেই ডাবের পানির বিষয়ে সচেতন নন। ডাবের পানি আপনাকে দিতে পারে তারুণ্যদীপ্ত ও উজ্জ্বল ত্বক।

 

সাধারণত পানির পরেই খাঁটি তরলের মধ্যে আসে ডাবের পানির নাম। এটি ত্বকে পর্যাপ্ত পানি যোগান দেয়। যা ত্বককে তরুণ ও কোমল বানিয়ে তোলে। ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সাইটোকিনিনস ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। পানীয় হিসেবে এর পুষ্টিমান সকলেরই জানা। যদি পেটে সমস্যা দেখা দেয়, তবে ডাবের পানি পান করুন।

 

অন্যান্য ফলের রসের চেয়ে এতে বাড়তি কিছু উপকার রয়েছে। এটি চর্বি ও চিনি মুক্ত। এ ছাড়া আপনার তো জানাই আছে ডাবের পানিতে নিয়মিত মুখ ধুলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

 

ডাবের পানি থেকে পেতে পারেন সবল পেশি, বাড়তি শক্তি, ওজন ক্ষয়, সবল হৃদপিণ্ড, মানসিক ও শারীরিক চাপ থেকে মুক্তি, সবল চুল ও নখ ও কিডনি পরিষ্কারসহ নানা উপকার। তা ছাড়া নারকেল যেহেতু আমাদের দেশি ফল, তাই আমাদের শরীরের জন্য অন্যান্য বিদেশি ফলের চেয়ে বেশি কার্যকর।

 

সুতরাং, দেরি কেন। প্রতিদিন এক গ্লাস করে ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। বর্জন করুন শরীর ও মনের জন্য ক্ষতিকারক কোলা ও এনার্জি ড্রিংকস।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৬মে২০১৪

সহজেই তৈরি করুন পাইন্যাপেল আপসাইড ডাউন কেক

Pineapple-Upside-Down-Cake-640x480

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : কত রকমের কেকই না আপনি তৈরি করেন, বেকারি থেকে কিনে খেয়ে থাকেন। নিঃসন্দেহে পাইন্যাপেল আপসাইড ডাউন কেকও খেয়েছেন? আর না খেয়ে থাকলে জেনে রাখুন, এই কেকের মত মজাদার কেক খুব কমই আছে। দারুণ স্বাদের এই কেক খেতে এখন আর বেকারিতে ছুটতে হবে না। তৈরি করতে পারবেন আপনার নিজের রান্নাঘরেই। কীভাবে? আজ আমরা নিয়ে এলাম পাইন্যাপেল আপসাইড ডাউন কেকের সবচাইতে সহজ রেসিপি!

উপকরণ:
আনারসের টুকরা – ৬-৭ পিস ( গোল করে কাটা )
মাখন – ১০০ গ্রাম
চিনি – আধা কাপ
চেরি – ১০-১২ টি
ময়দা – ১০০ গ্রাম
বেকিং পাওডার – ১ চা চামচ
গুঁড়া করা চিনি – ১০০ গ্রাম
ডিম – ২ টি
আনারসের রস – ৩ টেবিল চামচ

individual-pineapple-upside-down-cake-17

 

 

প্রনালি:
-ওভেন ২০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রি–হিট করে রাখুন।
-একটি গোল কেক বেকিং টিনে মাখন মাখিয়ে রাখুন। এর উপরে ও চারপাশে চিনি গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।
-এবার আনারসের টুকরাগুলো গোল করে টিনে সাজিয়ে দিন। প্রত্যেক টুকরার মাঝখানে ও চারপাশে চেরি সাজিয়ে দিন।
-এবার একটি পাত্রে ময়দা , মাখন , ডিম , চিনি ও বেকিং পাউডার দিয়ে ভাল করে বিট করে নিন।
-বিট করা হয়ে গেলে এর সাথে আনারসের রস মিশিয়ে দিন , এতে করে মিশ্রণটি একটু পাতলা হবে আর আনারসের ফ্লেভার ও আসবে।

-এবার এই মিশ্রণটি কেক টিনে ঢেলে দিন। প্রি–হিট ওভেনে ৩০ মিনিট বেক করুন।
-৩০ মিনিট পর বের করে কেক ঠাণ্ডা হতে দিন।
-এবার আস্তে আস্তে ছুরি দিয়ে কেকের চারপাশ ছাড়িয়ে একটা প্লেটে কেকটি সাবধানে উল্টে দিন। ব্যাস , তৈরি হয়ে গেল পাইন্যাপেল আপসাইড ডাউন কেক।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৬মে২০১৪.

আম দুধের শরবত (ম্যাংগো শেক)

 

resize_1399017685

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : এক গ্লাস ঠান্ডা পানীয় কেমন ভাল লাগে তা আশা করি এই গরমে বিশদ ব্যাখ্যা করার নাই। খুব সাধারন একটা ঠান্ডা পানীয়ের রেসিপি আজ আপনাদের দেখিয়ে দেব, যাকে আপনারা মিল্ক বা মাঙ্গো শেক বলতে পারেন। আমি বাংলা ভাষায় বলবো, আম দুধের শরবত।

চলুন আজকে আপনি শরবত বানাবেন! ঘরে আম এবং দুধ আছে কিংবা না থাকলে এখুনি নিয়ে আসুন! ফ্রীজে কিছু ঠান্ডা পানি রাখুন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৪মে২০১৪

রাজধানীতে শিশু গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের অভিযোগ

অপরাজিতিবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় তানিয়া নামের ১২ বছর বয়সী এক শিশু গৃহপরিচারিকার উপর গৃহকর্ত্রী কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু পুলিশ বলছে মেয়েটির শরীরে নির্যাতনের কোনো চিহ্ন নেই। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিদিনের মতো নির্যাতন চালালে মেয়েটি সহ্য করতে না পেরে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

উদ্ধারকারী স্বপন নামের এক যুবক জানান, কাদেরাবাদ হাউজিং এর ৩ নম্বর রোডের এক স্থানে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকে শিশু গৃহপরিচারিকা তানিয়া। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করতে গেলে মেয়েটি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বলতে শুরু করে “আমি ওই বাসায় আর কাজ করতে যাবনা, তারা আমাকে সব সময় অনেক মারধর করে।”

সূত্র আরো জানায়, মেয়েটি কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের ১ নম্বর রোড়ের ৮ নম্বর বাড়িতে কাজ করতো। উদ্ধারের সময় মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

বাসার গৃহকর্তী ও তার বুয়েটে পড়ুয়া ছোট ভাই শারীরিক নির্যাতন চালাতো বলে অভিযোগ করেছে নির্যাতিতা। মেয়েটির হাতে, পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয় আরেক উদ্ধারকারী মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এন্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির পরিক্ষার্থী সজল জানান, মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর গৃহকর্ত্রী এসে মেয়েটির উপর জনসমুক্ষে হামলা চালায়। পরে এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজন ক্ষেপে যায়। এ সময় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজের মেয়েটিকে উদ্ধার করে গৃহকর্ত্রী ও তার স্বামীকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক  বলেন, ‘মেয়েটির নাম তানিয়া, তার শরীরে নির্যাতনের তেমন কোনো চিহ্ন নেই। মেয়েটি মূলত একটু এবনরমাল। সে ওই বাসার গৃহকর্মী। গৃহকর্ত্রী ও মেয়েটির গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় এবং তারা উভয়েই দুসম্পর্কের আত্মীয় হয় বলে জানায় গৃহকর্ত্রী।’
মেয়েটির গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়।

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৩মে২০১৪

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর গায়ে স্বামীর আগুন

অপরাজিতিবিডি ডটকম, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী জাহিদ হোসেন তার স্ত্রী মিলি মমতাজ মুন্নীর (২৫) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার রাত ১টার দিকে থানার চর জান্ডালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী জাহিদ হোসেন মিলির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে মিলির সারা শরীর আগুনে পুড়ে যায়।

দগ্ধ মিলিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

 

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৩মে২০১৪

ধারাবাহিক উপন্যাস “নিয়ন্ত্রিত পরিণতি” পর্ব-৪

নাসরিন সিমা :
images

 

নাদিম কার্ডের সাথে মিলিয়ে নিলো হ্যা এই নাম্বারই তো, বাসার নাম “রোজারিও লজ” নাদিমের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো কলিং বেল বাজিয়ে দাড়িয়ে থাকলো কিছুক্ষণ, উত্তরার ৪ নং সেক্টর এটা। হঠাৎ শক খেয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো নাদিমের সে দেখলো, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গেট খুলে গেলো, গেটের কোন চিহ্ন অবশিষ্ট নেই পুরোভাগ দেওয়ালের ভেতরে। হা করে তাকিয়ে থাকলো নাদিম, ভেতরে ঢোকার কথা ভুলে গেলো । এবার আরো বিস্মত হলো রাজিবের কন্ঠ শুনে, অথচ রাজিবকে দেখা যাচ্ছেনা। ও বলছে,
-নাদিম ভেতরে এসো,
দ্রুত গতিতে ভেতরে ঢুকলে শুনতে পেলো,
-লিফটের ২ এ এসো।
নাদিম লিফট থেকে নামার সাথে সাথে একটা এলুমিনিয়ামের পাত দেয়ালে ঢুকে গেলো, আর হাসি হাসি মুখ নিয়ে সামনে দাড়ানো রাজিব, নাদিম ঢুকেই অবাক কন্ঠে,
-আরে একেবারে যাদুর মতো ব্যাপার স্যাপার, আমিতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
রাজিব নাদিমের কাঁধে হাত রাখে, কেথাও একটা চাপ দেয়, এলুমিনিয়ামের পাতটি বন্ধ হয়ে যায় । নাদিমকে ভেতরে নিতে নিতে,
– এ আর কী নাদিম,অবশ্য এ সবই যিশুর কৃপা। এসো ভেতরে এসো, এইযে হল রূমটি দেখছো, এতো লোকজন সবাইকে নিয়ে রিলিজিওন কনফারেন্স হবে, এখানে মামা কথা বলবেন।
নাদিম খেয়াল করলো হলরুমটিতে যারা বসে আছে তারা সবাই হাই সোসাইটির লোকজন, পোশাক, চালচলন সবই, রাজিবের দিকে তাকিয়ে দেখলো রাজিবও দামী সাফারী পরেছে, এবার নিজের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেয়ে গেলো নাদিম, বিষয়টি রাজিবের দৃষ্টিকে এড়াতে পারেনি।
রাজিব নাদিমকে নিজের রুমে নিয়ে গিয়ে ব্লেজার বের করলে,
– সরি আসলে তোমাকেতো আমি কনফারেন্সর কথা বলিনি, দেখো এটা মনে হয় হবে তোমার আমার হাইট তো একই, ফিটিংসেও হয়ে যাবে।
নাদিম মনে মনে বললো,
-তুমি বললেও আমি যা পরে এসেছি এর চেয়ে ভালো কিছু পরে আসা সম্ভব ছিলোনা। এবার লজ্জিত কন্ঠে,
-ঠিক আছে, পরছি।
-হ্যা তুমি পরে নাও তারপর ডিনার সেরে আমরা হলরুমে যাবো।
নাদিম জানেনা রাজিব কেন ওকে ডেকেছে, বাইবেলটা রাজিবের লাইব্রেরি থেকে নেয়া লাইব্রেরী এখানে নয়, ফার্মগেটে, বিভিন্ন্ জায়গায় রাজিব লাইব্রেরী খুলেছে। নাদিম শুনছিলো বাইবেল পড়লেই নাকী মানুষ ধণী হয়ে যায়, তাই নিয়েছে, সে জানেনা এতে সওয়াব হয় নাকী গুণাহ হয়? জানতেও চায়না ওর অনেক টাকা প্রয়োজন,মায়ের সুখের জন্য। কনফারেন্সে ধণী হওয়ার হয়তো লেটেষ্ট উপায় বাতলে দেয়া হবে তাই দ্রত সেখানে যায়।
রাজিবের ওখান থেকে ফিরে নাদিম আরো অন্য মনষ্ক হয়ে গেছে, কোন কাজই ভালো লাগছেনা শুধু রাজিবের মামার কথায় মনে পড়ছে, কী করবে বুঝে উঠতে পারছেনা। তবুও কাজে মনোযোগ দেয়াটা জরুরী, কারণ কাজ না করলে খাবে কী?

দু দিন পর স্মৃতি আজ আনুর সাথে খুব বেশী কথা বলছেনা, আনু বলছিলো ছেলেটাকে দেখাবে, স্মৃতির এক ফোঁটাও ইচ্ছে নাই দেখার। এক স্যার এসে বিমর্ষ কণ্ঠে বললেন,
-আজ তোমাদের ছুটি, রবিণ স্যারের বাবা মারা গেছেন আমরা ওখানে যাবো।
আনু খুব খুশি হয়, পুরো সময় ও ওর বয় ফ্রেন্ড কে দিতে পারবে। অন্যরা চলে যায় সুফিয়া চৌধুরী এখনও আসেননি তাই বাধ্য হয়ে স্মৃতি বসে থাকে।
আনু ফোনে কিছু একটা বলে, স্মৃতি বরং পড়াতে মনোযোগ দেয়।
স্মৃতি একটু পরেই এক পুরুষ কন্ঠ শুনতে পেলো কিন্তু স্মৃতি পড়া থেকে মাথা উঠালোনা। শূনতে পেলো,
-হাই আনু কেমন আছো?
আনু খুব দ্রুত ছেলেটির কাছে চলে গেলো, বললো,
-ভালো আছি রাজিব, তুমি কেমন আছো? আর দেখো ও স্মৃতি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড। রাজিব স্মৃতিকে লক্ষ করে,
-হ্যালো স্মৃতি কেমন আছেন?
স্মৃতি ইতস্তত দৃষ্টিতে তাকায়, কিন্তু ওর দৃষ্টি ইতস্তত ভঙ্গি কাটিয়ে একদম স্থীর হয়ে যায়, স্মৃতি দৃষ্টি সরাতে কয়েক সেকেন্ড সময় নেয়।
রাজিব মৃদু হাসে,
-এক্সকিউজ মি, আামি রাজিব।
স্মৃতি দ্রুত মাথা নিচু করে,
– সরি আমি তাসনিয়া চৌধুরী স্মৃতি।
আনু উচ্ছল কন্ঠে,
-বলেছিলামনা স্মৃতি, ওকে দেখলে তুমি চোখ সরাতে পারবেনা? ঠিক বলেছিলামতো?
স্মৃতি খুবই লজ্জিত হয়, আবার আনুর কথা শুনে অবাকও হয়, দুদিন আগের লজ্জিত আনু আর আজকের আনুতে কত তফাৎ যুবকটি কী যাদু জানে! কতোটা নির্লজ্জ ভাবে কথাগুলো বললো।
স্মৃতিকে কিছুক্ষন একা থাকতে হচ্ছে আনু চলে গেছে।
এবার হন্তদন্ত হয়ে স্মৃতির সামনে আসলো নাদিম মৃদু স্বরে,
-এখানে কি রাজিব নামে কেউ এসেছিলো?
স্মৃতি মাথা উচু করে, রাজিবের সাথে এর অনেক মিল, স্মৃতি বললো,
-হ্যা এসেছিলো চলে গেছে। নাদিম তবুও কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকে, স্মৃতির সাথে ওর দৃষ্টি বিনিময় হয়।
কিন্তু পরক্ষনেই নাদিম পেছন ফিরে দৌড়ে চলে যায়, স্মৃতি ওর পথের দিকে অনেকটা সময় ধরে তাকিয়ে থাকে।
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে, কী হলো আমার? চলবে………

ধারাবাহিক উপন্যাস “নিয়ন্ত্রিত পরিণতি” পর্ব -৩

নাসরিন সিমা :
images

বস্তির দুটো ঘরে টিনের চাল, তবে দেওয়াল প্লাষ্টার করা। একটি ঘরে বসে বাইবেল নিয়ে নাড়াচাড়া করছে এক যুবক, উজ্জল ফর্সা মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি বার বার হাত বুলাচ্ছে মুখমন্ডলে। খুবই ঘাবড়ে যাওয়া মনে হচ্ছে তাকে।
সুঠাম সৌন্দর্যে ভরপুর তার পুরো অবয়ব। হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়ায় ঘেমে একাকার। তবুও বাইবেল থেকে তার দৃষ্টি উঠছেনা, কারো আসার শব্দ শুনে লুকিয়ে ফেললো বাইবেলটি । তারপর উঠে দাড়ালো ড্রেস চেন্জ করার জন্য।
যুবকটির মা এসে অবাক কন্ঠে,
-কীরে এহনও লুঙ্গি পরসনাই?
শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে,
-এইতো মা পরছি, কি করছিলে তুমি?
-ভাত বাইড়া বইসা ছিলাম আয় খাবি।
-ঠিক আছে তুমি যাও আমি আসছি।
চলে যাবার আগে ছেলের কাছে এসে,
-নাদিম, বাবা আমার, তোরে কেমুন অন্যরহম লাগতাছে, কী অইছে তোর?
নাদিম কিছুক্ষন চুপ থাকে, কারণ মাকে সে কিছুই জানাতে চায়না, তাই মৃদু স্বরে,
-কই কিছু না মা তুমি যাও আমি আসছি।
নাদিম মাকে নিয়ে ঢাকা শহরের এই বস্তিতে থাকে। গ্রামে ওদের বাড়ি আছে অনেক জমিও আছে, কিন্তু সবকিছু এখন বড় দুইভাইয়ের দখলে, কৌশলে ওরা হাতিয়ে নিয়েছে। নাদিম আগেই এসেছে ঢাকায়, এসে অনার্সে ভর্তি হয়েছে। ভাইদের উপরে রাগ করে মাকে ঢাকায় এনেছে, এখন সে মাষ্টার্স পরীক্ষার্থী। প্রায় সারাদিন ধরে টিউশনি আর কোচিং করানোতে ব্যস্ত থাকে। যা আয় হয় তাই দিয়ে নিজে লেখাপড়ার খরচ, সংসার খরচ আর এই দুটো রুমের ভাড়া হয়ে যায় কোনমতে। নাদিম ড্রেস চেন্জ করে ফ্রেশ হয়ে খেতে যায়। মাকে বলে,
-তুমিও নাও মা।
-হ নিতাছি তুই শুরু কর।
-আমি উঠিয়ে নিচ্ছি, তুমি নাও।
নাদিমের মা নুরবানু বেগম প্লেটে খাবার উঠিয়ে নেন।
নাদিম স্থীর কন্ঠে,
-মা আজ রাতে একটু আমি রাজিবের ওখানে যাব, ওর মামা আসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর, দেখা করবো ওনার সাথে।
মুখের খাবার শেষ করেন নুরবানু বেগম,
-কোন রাজিবের কতা কইতাছস?
-ঐ যে মা রাজিব রোজারিও আছেনা ওর মামা, তুমি জানোনা উনি খুব বড় মাপের মানুষ, জার্মান থাকতেন, ফিরেছেন দু বছর আগে।
নুরবানু বেগম অবাক হন একটু ঘিনঘিনে ভাব ফুটে উঠে তার মুখে,
-খ্রিষ্টান নি? হে তোর বন্ধু?
নাদিম হাসে,বলে
তাতে কী হয়েছে? খ্রিষ্টান বলে কি মানুষ নয়? আর ও খুবই ভালো ওর মতো মানুষ আমি দেখিনি, তুমি হয়তো জানোনা মা খ্রিষ্টান মেয়েকে বিয়ে করা যায়।
সপ্তাস্চর্যের কিছু শোনার মতো চমকে ওঠেন,
অর কী বইন আছে?
নাদিম অবাক হয়ে হা করে ওর মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে,
-আরে মা তুমি সেটা বুঝে নিলে নাকী, পারোও তুমি, তোমাকে বুঝানোর জন্য বললাম।
একটু থেমে,
-না ওর বোন নেই, তুমি আবার এই নিয়ে টেনশন করোনা, ও একা কোন ভাই ও নেই। নুরবানু বেগম স্বাভাবিক হলেন, প্লেটের খাবার আনমনে শেষ করলেন, মৃদু স্বরে,
-দেহিস বাবা তুই আমারে কষ্ট দিসনা, তুই যদি কষ্ট দেস তাইলে আমার মরণ ছাড়া উপায় নাই।
নাদিমের দৃষ্টি ছলছলে হয়ে ওঠে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে,
-এভাবে বলোনা মাগো, তুমি ছাড়া আমার কে আছে বলো, তুমিনা থাকলে আমি কী করে থাকবো? চলবে…………

বরগুনায় কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষিত

অপরাজিতাবিডি ডটকম, বরগুনা : জেলার ইটবাড়িয়া যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক কিশোরী (১৪) গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার রাতে নির্যাতিত কিশোরীকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে কিশোরী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম রাজু তাকে পাশবিক নির্যাতন করেছেন। সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গাবতলা গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়ি।

প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে ওই কর্মকর্তার বাসায় কাজ করছিল সে।

কিশোরী জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তার শ্লীলতাহানি করে আসছিল। গত সোমবার রাতে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই কর্মকর্তা। বরগুনা থানার ওসি আযম খান ফারুকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কিশোরী অভিযোগ করার পরই তারা ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছেন।

এদিকে, বুধবারই যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মস্থল ছেড়ে পালিয়েছেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/১মে২০১৪

মহিলাদের জন্য বীমা সুবিধা নিয়ে এলো গ্রিন ডেল্টা

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : দেশে প্রথমবারের মতো মহিলাদের জন্য বীমা সুবিধা নিয়ে এসেছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ‘নিবেদিতা’ নামের এই বিশেষ বীমা পলিসিতে নারীদের দুর্ঘটনায় মৃত্যু, শারীরিক আঘাত, শিশু জন্মকালীন মৃত্যুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করা হবে। 

গত সোমবার নতুন এই বীমা পলিসির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে কোম্পানির মহাখালীর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারজানা চৌধুরী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৫২ ভাগ নারী হলেও তারা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এসব নারীর কথা মাথায় রেখেই আমরা এ নতুন পলিসি নিয়ে এসেছি। শুধু ব্যবসায় নয়, নারীদের সহায়তা করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

কোম্পানির উপদেষ্টা নাসির এ চৌধুরী বলেন, এ পলিসিতে কর্মজীবী নারীরা কম টাকায় ইন্স্যুরেন্স করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে নাট্যাভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, গ্রিন ডেল্টার এ উদ্যোগ সময়োপযোগী। এটি একটি মাইল স্টোন হয়ে থাকবে। দেশের প্রতিটি নারীর কাছে এ সুযোগ পৌঁছে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয়, এক বছরমেয়াদি এ পলিসিতে এক লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ইন্স্যুরেন্স করা যাবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানির কনসালটেন্ট এ এস এ মুইজ, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ওয়াফি এস এম খান, মিডিয়া অ্যাডভাইজার মুশফিক ফজল আনসারী প্রমুখ।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/০১মে২০১৪

জেনে নিন নারী সংক্রান্ত আইন পর্ব – ৩

huhe marage

 

বহুবিবাহ

অপরাজিতাবিডি ডটকম : এক স্ত্রীর বর্তমানে আরও স্ত্রী গ্রহণকেই বহুবিবাহ বলে। আমাদের সমাজে এখনও বহুবিবাহ প্রথা প্রচলিত আছে। বহুবিবাহ পরিবারে অশান্তি ও অসম্মান বয়ে আনে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করে। অনেক সন্তানের জন্ম হলে সংসারে অভাব দেখা দিতে পারে, ফলে পরিবারে আসে দারিদ্র।

 

একজন পুরুষ একাধিক বিযে করতে পারে কি?

একজন পুরুষ মুসলিম ধর্মীয় বিধান অনুসারে একই সাথে চারজনের অধিক স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে না। তবে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে কোন মুসলিম পুরুষ যদি একজন স্ত্রী বর্তমান থাকতে আরও বিয়ে করতে চায় তবে সেক্ষেত্রে বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের সম্মতি সাপেক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন সালিশি পরিষদের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু আইনে বহুবিবাহ বিষয়ে কোনো বিধান নেই। ফলে দ্বিতীয় স্ত্রীর গ্রহণে কোনো বাধা নেই। তবে সামাজিক কারণে এক সঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ হিন্দু পরিবারের খুব কমই দেখা যায়।
খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের ক্ষেত্রে এক স্ত্রীর বর্তমানে আর এক স্ত্রী গ্রহণ আইনগত বৈধ নয়। আইনে মহিলাদের বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। তাই কোন মহিলার স্বামী বর্তমানে থাকলে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক না দিয়ে আরেকটি বিয়ে করতে পারবে না।

 

দ্বিতীয় বিয়ের প্রক্রিয়া

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ বিধান অনুসারে কোনো পুরুষ যদি এক স্ত্রী বর্তমানে থাকা অবস্থায় অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চায় তবে সেক্ষেত্রে তাকে সালিশি পরিষদের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। সালিশি পরিষদের লিখিত অনুমতি ছাড়া সম্পাদিত কোনো বিয়ে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন) আইন ১৯৭৪-এর অধীনে রেজিস্ট্রি করা যাবে না। অনুমতির জন্য আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে দাখিল করতে হবে। ঐ আবেদনপত্রের প্রস্তাবিত বিয়ের কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং ঐ আবেদনপত্রের প্রস্তাবিত বিয়ের কারণ উল্লেখ করতে হবে। বিয়েতে বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের সম্মতি নেয়া হয়েছে কিনা তাও উল্লেখ থাকতে হবে।
আবেদনপত্র গ্রহণের পর সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান আবেদনকারী এবং তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীগণের প্রত্যেককে একজন করে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে পারবেন এবং ওইভাবে গঠিত সালিশি পরিষদ প্রস্তাবিত বিয়েকে প্রয়োজনীয় এবং ন্যায়সম্মত মনে করলে প্রার্থীকে অনুমতি দিতে পারেন। হিন্দু আইনে এ ধরনের কোনো বিধান নেই।

 

আইনগত ফলাফল

সালিশি পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিযে করলে সে বিয়ে ১৯৭৪ সনের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রিকরণ) আইনের অধীনে রেজিস্ট্রি করা যাবে না।
সালিশি পরিষদের অনুমতি ছাড়া বিয়ে আদালতে প্রমাণিত হলে এক বছর পর্যন্ত করাদ- বা দশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে স্বামী দ-িত হবে। তবে এক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ হবে না।
বর্তমান স্ত্রী এই কারণ দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে।

 

চেয়ারম্যানের দায়িত্ব

কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বিয়ের আবেদন করার পর চেয়ারম্যান দেখবেন, তিনি স্ত্রীর অনুমতি নিয়েছেন কিনা। তিনি আরো দেখবেন, স্ত্রী স্বেচ্ছায় অনুমতি দিয়েছেন কিনা। চেয়ারম্যান এবং সালিশি পরিষদ অযৌক্তিক মনে করলে স্বামীকে দ্বিতীয় বা বহুবিবাহের অনুমতি নাও দিতে পারেন।

 

কাজীর দায়িত্ব

বহুবিবাহের ক্ষেত্রে কাজীর দায়িত্ব হচ্ছে বিয়েটি বরের বহু বিবাহ কিনা তা দেখা এবং সালিশি পরিষদের লিখিত অনুমতি আছে কিনা তা দেখা।
আমাদের সমাজে বহুবিবাহ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহুবিবাহের ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়ার নিয়মকানুন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পালন করা হয় না। এই আইনের দু:খজনক দিক হলো বহু বিবাহতে ইচ্ছুক স্বামী সালিশী পরিষদের অনুমতি না পেলে একতরফা তালাক দিয়ে বিয়ে করত পারে। অর্থাৎ ঘুরে ফিরে এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্ত্রীই।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/৩০এপ্রিল,২০১৪

ধারাবাহিক উপন্যাস ‘নিয়ন্ত্রিত পরিণতি’ পর্ব-২

images
 
নাসরিন সিমা : কোচিং শেষ হয়েছে স্মৃতির, বসে বসে ওরা আলোচনা করছে পড়াগুলো নিয়ে । সুফিয়া চৌধুরী এখনও আসেননি, রেগুলার উনি স্মৃতিকে দিয়ে যান আবার নিয়েও যান। স্মৃতির ফ্রেন্ডরা এটা নিয়ে হাসাহাসি করে, দুষ্টুমি করে, স্মৃতি বরং গর্ব করে বলে,

-আরে আমার বাবা মা আমাকে অনেক ভালোবাসে……
হঠাৎ স্মৃতির এক বান্ধবী আনু স্মৃতির হাত ধরে,
– স্মৃতি একটু কথা আছে তোমার সাথে।
স্মৃতির দৃষ্টিতে প্রশ্ন,
-বলো আনু কী বলবে?
-এখানে নয়, বাইরে চলো।
আনু ওকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যায়, স্মৃতির ক্লোজ ফ্রেন্ড এই আনুই শুধু নয়, আরও চারজন, ওদের দিকে একবার তাকায় স্মৃতি।
আনুর হাত প্রচন্ড ঠান্ডা, একটু একটু কাঁপছে, আড়াল হয়ে একটা জায়গায় দাড়ায়। স্মৃতি ওর ইতস্তত মুখ দেখে বিস্মিত হয়, কোন প্রশ্ন না করে আনুর কথার জন্য অপেক্ষা করে।
আনুর কন্ঠ কাঁপছে,
-স্মৃতি আমি না একজনকে……
-ইতস্তত করছো কেন আনু? তুমি একজনকে পছন্দ করো তাইতো?
লজ্জিত আনুর মাথাটা নিচু হয়ে যায়, বাবার সরকারি চাকুরির বদৌলতে ছোট বেলা থেকেই আনু ঢাকা শহরে বেড়ে উঠেছে, অথচ এখন আনুকে গ্রাম্য ষোড়শী লজ্জাবতীর মতো মনে হচ্ছে, স্মৃতি অটোমেটিক হেসে ফেললো ভাবলো, প্রথম প্রেমের অনুভূতি হয়তোবা শহুরে সকল যান্ত্রিকতাকে হার মানায়।
আনুর কন্ঠে উচ্ছলতা,
– হ্যা স্মৃতি, গতকাল সে আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে, তুমি একটু আমার সম্মতি ওকে জানিয়ে দাও প্লিজ।
মলিন হয় স্মৃতির মুখটা, একটুক্ষন চুপ থেকে,
-সরি আনু প্রথমত আমি এসব পছন্দ করিনা, কারণ এসবের পরিণিত ভালো হয়না, আমি আমার চাচাতো এক বোনকে দেখেছি, সে এখন পাগল প্রায়। আর দ্বিতীয়ত, এসবের মাঝখানে যে তৃতীয় ব্যাক্তি থাকে তাকে সবচেয়ে আগে দোষী মনে করা হয়, অ হ্যা আরও একটা কথা তোমার আগে ভাবা উচিত, তাকে জানো, তোমার বাবা মা মেনে নিতে পারবেন কী না সে বিষয়টাওতো ভাবতে হবে……
-না আসলে ও আমাকে একদিন সময় দিয়েছিলো।
-একদিনে কী একটা সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, ………
আনু মন খারাপ করে কীনা স্মৃতি বুঝতে পারলোনা, আনু স্মৃতিকে আর কিছু বলতেও দিলনা, যেভাবে হাত ধরে বাইরে নিয়ে এসেছিলো সেভাবেই ভেতরে নিয়ে যায়।
ভেতরে ঢুকেই মাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখো স্মৃতি, দ্রুত মায়ের কাছে যায়,
– সরি মা কখন এসেছো , চলো যাই।

বাসায় ফিরে স্মৃতি ফ্রেশ হয়ে নেয়, আর আনুর ব্যাপারটা নিয়ে ভাবে না জানি কোন বিপথে পা বাড়াতে যাচ্ছে! আনু অনেক ভালো ছা্ত্র। আনুর বাবা মা অনেক কষ্ট করে ওকে পড়াশুনা করাচ্ছে, ওর বাবা সৎভাবে সরকারি চাকুরী করছেন তাই ইনকাম ততোটা নয়।
সুফিয়া চৌধুরী স্মৃতির মাথায় হাত দেন, দু’মিনিট আগেই তিনি এসেছেন মেয়েকে চিন্তামগ্ন দেখে কষ্টই পেয়েছেন বললেন,
-কী ভাবছো স্মৃতি?
বাস্তবে ফিরে এসে,
-কিছুনা মা,
– এসো নাস্তা করে নাও, এখানে দেব?
-না ডাইনিংয়ে যাবো।
খাবার মুখে দিয়ে স্মৃতি,
-বাবা কখন আসবে?
সুফিয়া চৌধুরী চায়ের কাপে চুমুক দেন,
-শুনিনিতো মা, আজ মনে হয় আসবেনা।
স্মৃতির কন্ঠে মলিনতা,
-বাবা শুধুমাত্র আমার জন্য কতো কষ্ট করে বলোতো মা……
কথা কেড়ে নেন সুফিয়া চৌধুরী,
-কষ্ট না করলে টাকা আসবেনা,আর যার টাকা নেই তার মুল্য নেই এই পৃথিবীতে।
স্মৃতি মায়ের এই কথার সাথে কখনো একমত হতে পারেনি কিন্তু কিছু বলেনা, কারণ সে জানে তার মা কোন কষ্ট থেকে কথাগুলো বলছেন।

সন্ধার পর স্মৃতি পড়তে বসে, হঠাৎ ওর মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে, রিসিভ করে কিন্তু কথা বলেনা।
ওপার থেকে খুব গম্ভীর এক পুরুষ কন্ঠ,
-স্মৃতি বলছো?
-জ্বি আপনি কে বলছেন?
-ডেভিড ডি কষ্টা, চিটাগাং থেকে, তোমার মা আছেন?
-জ্বি আছেন,একটু অপেক্ষা করুন প্লিজ।
উঠে মাকে ফোনটা দেয়।
সুফিয়া চৌধুরী মোবাইল নিয়ে হ্যালো হ্যালো বলতে থাকেন, কিন্তু ওপাশের কিছুই শুনতে পাননা, কেটে যায় মোবাইল।
স্মৃতি মায়ের হাত থেকে মোবইল নেয় আর প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
ওর মা বলেন,
-কী জানি কে? কিছুই তো শুনতে পাইনি।
স্মৃতি নিজের রুমে ফিরে আসে।
সুফিয়া চৌধুরী ল্যান্ড লাইনটা একবার চেক করে নিজের মনে কথা বললেন,
-এটার নাম্বারই তো সবাইকে দেয়া, স্মৃতির নাম্বারে ফোন দিয়ে আমার সাথে কথা বলতে চাইলো কেন? কে এই লোক?

রাত সাড়ে বারোটা, স্মৃতির আজ আর পড়তে ইচ্ছে করছেনা। ডিম লাইট জ্বালিয়ে পাতলা কাঁথা জড়িয়ে নিলো, রিমোট হাতে নিয়ে এসিটা কমিয়ে দিলো। কেবলই শুয়ে পড়লো আর অমনি আনুর কল আসায় খুবই বিরক্ত হয়ে গেলো স্মৃতি। কারণ ও কেন ফোন করেছে সেটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। তবুও রিসিভ করলো,
– বলো আনু কী ব্যাপার?
আনুর কন্ঠ উত্তেজিত, সেই কন্ঠে আনন্দ অতিমাত্রায়, যেন পর্বত শৃঙ্গের চুড়া ছুয়েছে সে,
-আমি ওকে হ্যা বলে দিয়েছি, আমার বাবা মা আমাকে যা দিতে পারেনি তা ও পারবে ও অনেক ধন সম্পদের মালিক, আর ওর কোন ভাই বোন নেই, আর আমারতো কাড়ি কাড়ি ভাইবোন থাকায়……
আ আনু, ওয়েট, শান্ত হও, তুমি কী বলছো বুঝতে পারছো? তুমি বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছো এতো উত্তেজনা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। আজ বিকেলে তো আমাদের দেখা হচ্ছে তখন শুনবো তুমি বরং এখন ঘুমিয়ে নাও।
মলিন হয়ে গেলো আনুর কন্ঠ,
-তাইনা, আসলে অনেক রাত হয়ে গেছে আমি খেয়াল করিনি, তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম সরি! আচ্ছা পরে কথা হবে গুড নাইট। চলবে………

জেনে নিন নারী সংক্রান্ত আইন

marrige_

 

পর্ব ২
বাল্যবিবাহ
অপরাজিতাবিডি ডটকম : ১৯২৯ সালের ১ অক্টোবর ১৯ নং এ্যাক্ট দ্বারা বাল্যবিবাহ নিরোধ কল্পে আইন পাশ করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য। ২১ বছর বয়সের নিচে সকল পুরুষ এবং ১৮ বছর বয়সের নিচে সকল নারী বিবাহের অনপযুক্তি হিসাবে শিশু বলে গণ্য। বিবাহের যেকোন এক পক্ষ শিশু হলেই বাল্য বিবাহ হিসাবে গণ্য হবে। যে বা যারা এই বিবাহ দিবে তারাও আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী।

 

বাল্যবিবাহ কী?

বাংলাদেশের সকল ধর্ম, সম্প্রদায়ের জন্য বিয়ের আইনগত বয়স মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর। উল্লিখিত বয়সের কম বয়সী মেয়ে এবং কম বয়সী ছেলে যদি বিয়ে করে বা বিয়ে দেয়া হয় তখন তাকে বলা হয় বাল্যবিবাহ।

বাল্যবিবাহের প্রধান কুফলগুলো কী কী ?

বাল্যবিবাহের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় একজন নারী (কিশোরী)। বাল্যবিবাহের প্রধান কুফল হলো: 

মেয়েরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে, নানা অসুখে আক্রান্ত হয় এবং তাদের স্বাস্থ্য ভেঙে যায়।
বাল্যবিবাাহের ফলে জন্ম নেয়া সন্তান-সন্ততি শারীরিকভাবে পূর্ণতা পায় না। তদুপরি অপুষ্টি এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত খাকার কারণে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ যথাযথভাবে হয় না।
মেয়েরা শারীরিকভাবে এবং মানুসিক নির্যাতনের শিকার হয়।
তালাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
বাল্যবিবাহের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
শিক্ষার হার কমে যায়।
মেয়েরা মা বাবার কষ্টের বোঝা বাড়ে।

 

বাল্যবিবাহের পরিণতি

কচি বয়সে মা হলে শিশুকে ঠিকমত যতœ করা সম্ভব হয় না। অনেকেই বুকের দুধ কম হয়, তাই বাচ্চা দুধ পায় না। অনেক সময় মা নিজেই পুষ্টির অভাবে, রক্ত কম থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ছেলেমেয়েদেরকে ঠিকমত লেখাপড়া শেখাতে পারে না।

 

শিশুর ওজন কম থাকা

১৮ বছরের কম বয়সী মায়ের বাচ্চা হলে বাচ্চার ওজন কম থাকে। কারণ মার শরীরের গঠন তখনও পরিপূর্ণ হয় না। জন্মের সময় শিশুর ওজন আড়াই কেজির কম হলে এমন শিশু মারা যাওয়ার ভয় বেশি থাকে, আর বেঁচে থাকলেও নানা ধরনের অসুখ হয়, যেমন সর্দি কাশি , ডায়রিয়া নিউমোনিয়া ইত্যাদি । অর্থাৎ অপুষ্ট শিশু সারা জীবন বিভিন্ন অসুখে ভুগতে থাকে। পতিবন্ধী শিশুর জন্মহার বেড়ে যায়।

 

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতার অভাব

সাধারণত বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বয়স কম হওয়ার ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধানটা বেড়ে যায়। তাদের মধ্যে পারিবারিক জীবনে ব্যাপক মতপার্থক্য ও সমঝোতার অভাব দেখা যায়, এমনকি প্রায়শই সংসারও ভেঙ্গে যায়।

 

বাল্য বিয়ের কি বাতিলযোগ্য

বাল্যবিবাহ আইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েদের বিয়ে বে-আইনী তবে, এই বিয়ে বাতিল হবে না। কিন্তু মেয়ে যখন পূর্ণবয়স্ক হবে অর্থাৎ ১৮ বছর পূর্ণ করবে তখন সে চাইলে এই বাল্যবিবাহ অস্বীকার করতে পারবে। এজন্য মেয়েকে বিয়ে বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালত বিয়ে বাতিলের নির্দেশ দিতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে দুইটি শর্ত আছে
মেয়েকে ১৮ বছর হওয়ার আগে আদালতে বিয়ে বাতিলের আবেদন করতে হবে।
মেয়েকে প্রমাণ করতে হবে যে এই বিয়ে বিবাহকালীন তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি।

 

বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য পিতা-মাতার কী কী শাস্তি হতে পারে?

বাল্যবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বর-কনের পিতার প্রত্যেকের ১ মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ই হতে পারে। তবে মহিলাদের জরিমানা হতে পারে কিন্তু জেল হবে না। এই বিয়ে সম্পন্নকারীদের (ইমামা বা কাজী) ক্ষেত্রে উল্লিখিত একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, এই আইনে বাল্যবিবাহ নিষেধ করা হলেও যদি সেই বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়ে যায় তবে তা অবৈধ হবে না।

 

বাল্যবিবাহ দূর করারর উপায়

আইন সম্পর্কে জানা
মেয়েদের ১৮ বছরের আগে এবং ছেলেদের ২১ বছরের আগে বিয়ে হলে যে শাস্তি পেতে হবে এই আইন অনেকেই জানে না। যার ফলে তারা এ সম্বন্ধে না জেনেই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়।
এ জন্যে সকল ধরনের প্রচার মাধ্যমের দ্বারা বাল্যবিবাহের শাস্তিমূলক আইন সম্পর্কে সকল বয়সের পুরুষ ও মহিলাকে জানাতে হবে। কোন এলাকায় বাল্যবিবাহ হলে সেই এলাকার ইউনিযন পরিষদ পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বা সরকার নিয়োজিত কোন কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনবেন।

 

জনগণকে সচেতন করে তোলা

বাল্যবিবাহ মেয়েদের শারীরিক ও মানুসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও অসুবিধা হয় তা বাবা-মা মুরুব্বী, পাড়া-প্রতিবেশী ও অন্যরা জানলে তারা আর অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেবে না।

 

অভাব দূর করার ব্যবস্থা

বেশির ভাগ সময়ে অভাবে পড়েই মা-বাবা তাড়াতাড়ি বিয়ে দেন। নানা রকম-রুজি-রোজগারের উপায় বের করে অভাব দূর করার চেষ্টা করা দরকার। আজকাল অনেক কিশোর-কিশোরী বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের কাজ করার দক্ষতা বাড়িয়েছে এবং বেশকিছু এনজিও ও তাদেরকে ঋণের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। সেই টাকা ও নিজেদের দক্ষতা দিয়ে তারা পরিবারকে সাথে নিয়ে ঘরে বসে অনেক ধরনের রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা করেছে। সংসারে আয় বাড়ার ফলে এদের মা-বাবা বাল্যবিবাহের কথা বলে না।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৩এপ্রিল,২০১৪

 

যে কারনে প্রতিদিন কিসমিস খাবেন

4

অপরাজিতাবিডি ডেস্ক :  কিসমিস আমরা সকলেই খুব ভালো করে চিনি। যে কোনো মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজেই আমরা কিসমিস ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও অনেকে পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার করেন। রান্নার কাজে ব্যবহার করলেও আমরা কিসমিস সাধারণভাবে খাই না। অনেকেতো ভাবেন এমনি কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই কথাটি আসলে সত্যি নয়।
প্রতিদিন কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। আমরা সাধারণত উৎসব বা অনুষ্ঠানের রান্নায় কিসমিস ব্যবহার করি। এছাড়া কেউ কিসমিস খাই না। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিনই কিসমিস খাওয়া উচিৎ। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার কার্যকর কিছু কারন।

দেহে শক্তি সরবরাহ করে
যদি দুর্বলতা অনুভব করেন তাহলে দেরি না করে কিছু কিসমিস খেয়ে নিন। কিশমিশে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ তা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেহে এনার্জি সরবরাহ করবে। তবে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কিসমিস প্রযোজ্য নয়।

দাঁত এবং মাড়ির সুরক্ষায় কিসমিস
বাচ্চারা ক্যান্ডি ও চকলেট খেয়ে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু বাচ্চাদের ক্যান্ডি বা চকলেটের পরিবর্তে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করালে দাঁতের সুরক্ষা হবে। অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিসে তো চিনি রয়েছে। কিন্তু চিনি থাকার পাশাপাশি কিশমিসে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয়।

হাড়ের যত্নে কিসমিস
কিশমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিশমিসে আরো রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে।

ইনফেকশন হতে বাধা প্রদান করে
কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরি উপাদান যা কাঁটা ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে। কিশমিসে আরো রয়েছে ক্যাটেচিন যা পলিফেনলিক অ্যাসিড, এটি আমাদের ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কিশমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/ ২১ ফেব্রুয়ারি২০১৪

নিয়ন্ত্রিত পরিণতি

নাসরিন সিমা

পর্ব ১

বিকালের তাপহীন সুর্যের আলো চারেদিকে মুগ্ধতা ছড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অপূর্ব স্নিগ্ধতার আমেজে মন ভরে যায়। এই সৌন্দর্যকে প্রাণ ভরে উপলব্ধি করা মানবাত্মার প্রকৃতিগত স্বভাব। আর এই উপলব্ধিটা কোন ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। হঠাৎ আনমনে ভাবটা কেটে যায় স্মৃতির, মনে পড়ে প্রতিদিনের কড়া রুটিনের কোন একটি কাজ যেন বাদ পড়ে গেছে। কী সেটা? মনে করতে কিছু সময় পেরিয়ে যায়। দ্রুত ঘড়ির দিকে তাকায়, ৫ টা বাজে। নামাজ, আছরের নামাজ পড়া হয়নি। শুক্রবারের রিলাক্স মুডটা নামাজের ক্ষেত্রেও সমান্তরাল ভুমিকা পালন করছে। বাহ! নিজে নিজে অবাক হয় স্মৃতি, একটা প্রশ্ন জাগে ওর মনে, আমি নামাজকে অবধারিত মনে করি নাকী অন্যান্য কাজকে……… উত্তর পেয়ে যায়। প্রতিদিন আছরের আযানের পাঁচমিনিট আগেই নামাজ পড়ে নিতে হয়, কারন পাঁচটা থেকে মেডিকেলে ভর্তি কোচিং। আজ কোচিং নাই তাই নামাজও……… নিজেই নিজেকে উপহাস করে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান স্মৃতি। বড় ভাই ছিলো ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছে, চিকিৎসার অভাবে, আর ছোট একটা বোন সে আত্মহত্যা করেছে, স্কুলের বই কিনতে না পারায়, স্যার আবার পরপর তিনদিন স্কুল মাঠে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। স্মৃতির বাবা সাইমন চৌধুরীর অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো, দু বেলাও পেট ভরে খাওয়া হতোনা। গ্রামের হাইস্কুল থেকে এস এস সি পাশ করার পর আচানক ওর বাবা বিশাল সম্পদের মালিক হয়ে গেলেন, সাথে সাথে ঢাকায় ফ্লাট কেনা, গাড়ী কেনা। স্মৃতির এর পর থেকে কোন কিছুই চাইতে হয়নি, না চাইতেই সমস্ত প্রয়োজন পূরণ হয়ে যায়। স্মৃতি জানেনা কিভাবে বাবা এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন, জানতেও চায়না, সে শুধু জানে ওর বাবা মার খুব কষ্ট। স্মৃতি এখন তিনজনের স্নেহ একা উপভোগ করে। স্মৃতি নামাজ শেষ করে বাবার পাশে এসে বসে, আজ অনেকদিন পর সাইমন চৌধুরী বাসায়, কফিতে চুমুক দিয়ে মেয়ের দিকে তাকান, দৃষ্টি তাঁর ঝাপসা। অবাক হয়না স্মৃতি মলিন কন্ঠে বলে,

-বাবা কতদিন পর বিকেলে তেমাকে বাসায় পেয়েছি বলোতো, আর তোমার মন খারাপ, আমি কিন্তু কথা বন্ধ করে দেব। মলিন হাসলেন সাইমন চৌধুরী,

-নিরিবিলি বিশ্রামেই আজ মনটা ভেঙ্গে যাচ্ছে মা……… আচ্ছা বলো তুমি কী খাবে? স্মৃতির মা সুফিয়া চৌধুরী রান্নাঘর থেকে নাস্তা নিয়ে এসে ডাইনিং টেবিলে রেখে,

– ওর কাছে জানতে চাইছো, বলবে কিছুই খাবনা, ম্যাকারণী রান্না করেছি, আর সাথে আনারসের জুস , তুমি আজ ওকে খাইয়ে দাও। সাইমন চৌধুরী আঙ্গুল দিয়ে মেয়ের চুল এলোমেলো করে দিয়ে, – কী শুনছি এসব, খেতে হবেতো মা, না খেলে শরীরও ঠিক থাকবেনা, পড়াশুনাও ঠিকমতো হবেনা, কতো পড়া এখন তোমার।

-আচ্ছা বাবা ঠিক আছে খাচ্ছি, খুশি? বাবা মা দুজনের দিকে তাকায় স্মৃতি, দুজনের মুখমন্ডলে তৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট, ওর মনটাও ভালো হয়ে যায়। বাধ্য শিশুর মতো খেয়ে নেয় আজকের ওরজন্য বরাদ্দকৃত দুটি মেন্যু।

খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন সুফিয়া চৌধুরী, রাতে তার ঘুম হয়না বললেই চলে। মৃত ছেলেমেয়ের স্মৃতি প্রতিনিয়ত তাকে তাড়া করে। তার মনে পড়ে শান্তার (ছোট মেয়ে) কথাগুলো, সে কাঁদছিলো,
-মা বই কবে কিনে দেবে? স্যার আজ দুদিন হয় দাঁড় করিয়ে রাখে আর যা নয় তাই বলে অপমান করে, মা আমি বই না নিয়ে স্কুল যাবোনা। সুফিয়া চৌধুরী সেদিন মেয়েটাকে খুব বকেছিলেন,
-যার বাবার টাকা থাকেনা তাকে জেদ করা মানায়না, কোন কথা নয়, চুপচাপ স্কুল যাও………
শান্তা আর কিছু বলেনি, তৃতীয়দিন বাবার দিকে ছলোছলে দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে স্কুল গিয়েছিলো, ফিরে এসে সবার সাথে দেখা করেছিলো, চাচা,চাচী বন্ধু সবার সাথে। ফিরে এসে ইদুর মারা ঔষধ খেয়ে ছটফট করতে থাকে……
অস্থিরভাবে পায়চারী করেন সুফিয়া চৌধুরী, মনে পড়ে সবুজের(বড় ছেলে) অসহ্য যন্ত্রণার কথা, সেও কাঁদছিলো,
-মা ওমা আমি বাঁচতে চাই, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে মাগো, বাবাকে বলো আমার চিকিৎসা করায় যেন, ওমা আমায় বাচাও………মৃত্যুর কোলে আশ্রয় নিয়েছিলো তার পরপরই। রান্না ঘরের দেওয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়ান সুফিয়া চৌধুরী, প্রচন্ড যন্ত্রণা হয় বুকের ভেতরটায়, আজ গ্রামের শ্যামল ছায়ায় ছেলেমেয়ে দুটি মাটির নিচে ঘুমাচ্ছে, কবরগুলোও বছরে একবারের বেশী দেখা হয়না। ঢাকায় এসেছেন স্মৃতির জন্য, ওর যেন কোনকিছুই অপূর্ণ না থাকে। সুফিয়া চৌধুরীর ভেতরটা গুমরে গুমরে কাঁদে, অষ্পষ্ট স্বরে,
-স্মৃতি মা আমার।
ছুটে যান মেয়ের ঘরে। স্মৃতি নিজের মতো করে ওর এই শোবার রুমটি সাজিয়েছে, বেডশীট, পর্দা, ফুল সবকিছু নিজের পছন্দমতো কালার দিয়ে সাজিয়েছে, ওর পছন্দের প্রশংসা করে সবাই। সুফিয়া চৌধুরী থমকে দাড়িয়ে যান, মেয়ে তার ঘুমাচ্ছে। অনেক রাত অব্দি পড়াশুনা করেছে, ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়েছে, ডাকা যাবেনা। ধীরে ধীরে ভেতরে ঢুকে মেয়ের কপালে চলে আসা এলোমেলো চুল গুলোকে সযতনে সরিয়ে দেন, প্রাণ ভরে দেখে নেন মেয়ের মুখটি, মেয়েটা অনেক সুন্দর, তিনি মনে করেন স্মৃতির মতো এতো সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কেউ নাই।
আবার তিনি রান্নাঘরে ঢোকেন,নাস্তা বানানোর জন্য।
স্মৃতির বাবা খুব ভোরে বেরিয়ে গেছেন তাকে ঢাকার বাইরে যেতে হবে, সুফিয়া চৌধুরী ওসব নিয়ে ভাবেননা, পুরুষ মানুষ বাইরের কাজেই ব্যস্ত থাকবে, ঘরে থাকা তাদের জন্য নয়।

চলবে……

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২১এপ্রিল, ২০১৪

 

জেনে নিন নারী সংক্রান্ত আইন

 

 

পর্ব-১

মুসলিম বিয়ে

অপরাজিতাবিডি ডটকম : মুসলিম বিয়ে একটি দেওয়ানী চুক্তি। অন্যান্য চুক্তির মতোই এখানে দুই পক্ষ থাকে। একপক্ষ প্রস্তাব করে অন্যপক্ষ গ্রহণ করে। তবে, দুজনকেই আইনগত কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যে কোন চুক্তি পালনে যেমন কিছু যোগ্যতার দরকার হয় তেমনি বিয়ের ক্ষেত্রেও কিছু যোগ্যতার দরকার হয়।

মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত শর্তগুলি পূরণ করা একান্ত আবশ্যক:
১. বয়স : ছেলে ২১ বছর এবং মেয়ে ১৮ বছর।
২. সম্মতি: উভয়ের সম্মতি থাকতে হবে।
৩. সাক্ষী : দুজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিষ্কের সাক্ষী থাকতে হবে।
৪. দেনমোহর: দেনমোহরানা নির্ধারিত করতে হবে। দেনমোহর কখনো মাফ হয় না এবং পরিশোধ করতে হয়।
৫. নিবন্ধন: বিয়ে অবশ্যই নিবন্ধিত হবে। নিবন্ধন বিয়ের দলিল।

একই বৈঠকে উল্লিখিত শর্তগুলি পালন সাপেক্ষে বিয়ে সম্পাদন হয়। প্রস্তাব দেয়া ও কবুল করা একই বৈঠকে হতে হবে।

বিয়ের আইনগত ফলাফল
বিয়ের ফলে নারী ও পুরুষের কিছু দায়িত্ব ও অধিকার জন্মায়।
১. পরস্পর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
২. স্ত্রী বিবাহিত থাকা অবস্থায় আর একটি বিযে করতে পারে না।
৩. স্ত্রী ও ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের সালিশী বোর্ডেও অনুমতি ও আইনগত শর্ত পূরণ ছাড়া স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে না।
৪. স্বামীর কাছে স্ত্রী দেনমোহর ও ভরণপোষণ পাবার অধিকারী।
৫. স্বামী স্ত্রীর যে সব সন্তান জন্মায় তারা সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
৬. সন্তানের পরিচয় বা সম্পদের মালিকানা নিশ্চিত হয়।

বিয়ে রেজিস্ট্রেশন
বিয়ে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে বিয়ের দলিল। মুসলিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশনকে নিকাহ্নামা অথবা কাবিন বলে। কাবিনে বর কনে উভয়ের সাক্ষীরা স্বাক্ষর করেন এবং কাজী স্বাক্ষর করেন। আইনানুযায়ী মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ক্ষেত্রে বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের বিধান নাই। তবে কেউ যদি বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চায় তাহলে তা করতে পারবে।

বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলৈ কী কী সুবিধা পাওয়া যায়
বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলে মূলত নারীর অধিকার সবচাইতে বেশি সংরক্ষিত হয়। যেমন :

  • বিয়ের সত্যতা প্রমাণ করা সহজ হয়।
  • বহু বিবাহের সুযোগ কমে যায়।
  • দেনমোহর  আদায় সহজ হয়।
  • কারণে স্বামী তালাক দিলে স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ আদায় সহজ হয়।
  • সন্তানেরা পিতৃ পরিচয় এবং সম্পিত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত হয়।
  • স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজন মারা গেলে অপরজন তার সম্পত্তির বৈধ হিস্যা পাওয়ার সহজতর হয়।

বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করলে কী শাস্তি-
মুসলিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশন আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদ- বা এক হাজার টাক জরিমানা বা উভয়দ- হতে পারে। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার দায়িত্ব উভযের উপর পরে। তবে ছেলে পক্ষ রেজিস্ট্রেশান খরচ বহন করবেন।
বিয়ে কোথায় রেজিস্ট্রেশন করতে হয় :
মুসলিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়ন ও শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে সরকার নিযুক্ত কাজী আছে। কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আবার কাজীকে বিয়ের অনুষ্ঠানে এনেও রেজিস্ট্রেশন করানো যায়। বিয়ের দিন রেজিস্ট্রেশন সম্ভব না হলে ১৫ দিনের মধ্যে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। এবং কাগজটি যত্ন করে রেখে দিতে হবে।

বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কতো খরচ হয় :
মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে দেনমোহরের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারিত হয়ে থাকে। একটি বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি সর্বনি¤œ ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০০ (চার হাজার) টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে ফি কখনো চার হাজার টাকার বেশি হবে না। দেনমোহার প্রতি হাজারে ১০(দশ) টাকা হিসাবে ফি প্রদান করতে হবে। তবে এই হিসাবে ফি যদি চার হাজার টাকার বেশি হয় তাহলে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারিত হবে চার হাজার টাকা। কাজী যদি বিযের অনুষ্ঠানে গিয়ে তার দায়িত্ব পালন করেন। তবে তার যাতায়াত বাবদ প্রতি মাইলে ১.০০ (এক টাকা) টাকা করে যাতায়াত খরচ দিতে হবে। এছাড়া, প্রতিটি বিয়েতে কমিশন ফি বাবদ কাজী ২৫.০০ (পঁচিশ) টাকা করে পাবেন। ছেলে পক্ষ রেজিস্ট্রেশনের সকল খরচ বহন করবে। রেজিস্ট্রেশন ফি নেয়ার পর কাজী একটি রসীদ দিবেন। কাজী বর ও কনে উভয়কে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশনের সত্যায়িত কপি দিবেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২১এপ্রিল,২০১৪

 

এ্ই গরমে প্রশান্তির তরমুজ

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : কাঠফাটা এই চৈত্রের গরমে তরমুজ প্রশান্তি এনে দেয়। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে মিসরে প্রথম আবাদ করা হয় এই রসাল ফলের, কালাহারি মরুভূমি হচ্ছে তরমুজের আদিনিবাস।

তবে এখন বিশ্বজুড়ে প্রায় বারো শ ধরনের তরমুজ আবাদ করা হয়। তরমুজের বিশেষত্ব হলো এর মধ্যে ৯২ শতাংশই পানি, তাই গরমে পানিশূন্যতা রোধে এটি খুবই উপকারী। বাকি ৬ শতাংশ হলো চিনি, কিছুটা রয়েছে খনিজ ও ভিটামিন, কিন্তু চর্বি বা কোলেস্টেরল প্রায় শূন্য।

বেশ ভালো পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ রয়েছে তরমুজে, আরও আছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম।

এগ্রিকালচার ফুড অ্যান্ড কেমিস্ট্রি সাময়িকী বলেছে, তরমুজের রসে রয়েছে এল সাইট্রুলিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা দেহে এল আরজিনিনকে পরিবর্তন করে এবং রক্তনালি প্রসারিত করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এ কারণে তরমুজ হূৎপিণ্ডের জন্য ভালো। এ ছাড়া এতে আছে লাইকোপিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। তবে তরমুজে চিনির পরিমাণ একটু বেশি; এর গ্লাইসেমিক সূচক ৭২, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের একটু হিসাব করে খাওয়া উচিত। তা ছাড়া এর ডাইউরেটিক বা প্রস্রাববর্ধক ক্ষমতা আছে, যা বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। নিউট্রিশন ফ্যাক্ট।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২১এপ্রিল, ২০১৪

বাংলা নববর্ষ

 

রবিউল ইসলাম আওলাদ : নতুন উদ্দীপনা নিয়ে প্রতিবছর আসে বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ আমাদের আশা-আকাক্সক্ষা আর চেতনার প্রতীক। পহেলা বৈশাখের হাত ধরে নতুন বছরের যে আগমন ঘটে তা সমগ্র জাতিকে নতুন অঙ্গীকার ও চেতনায় জাগিয়ে তোলে। এদিন জেগে উঠে দেশ, জাগে বাংলাদেশের মানুষ। পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে বৈশাখের প্রথম দিনটাকে আমরা হাসিমুখে বরণ করি। দেশের মানুষ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে পালন করে। আবহমান কালথেকেই এ দেশের বাঙলা নববর্ষ উদযাপন করার রেওয়াজ চালু আছে।

 

বৈশাখের এই দিনটিতে সারা দেশের মানুষ ফিরে পায় নতুন আস্থা ও বিশ্বাস। ফেলে আসা একটি বছরের কমতি, অপ্রাপ্তিকে দূরে ঠেলে নতুন বছরে এগিয়ে যাবার চেতনা প্রত্যয় সবাইকে উজ্জীবিত করে। এ জন্য পহেলা বৈশাখ আমাদের কাছে অনেক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন।

 

 

নববর্ষ নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। এই নববর্ষের আগমন কিভাবে হলো তা নিয়ে কিছু জানা থাকা ভালো। বাংলা নববর্ষের প্রচলন কিন্তু হঠাৎ করে শুরু হয়নি। এর পেছনে রয়েছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস। তবে সংক্ষেপে বলতে গেলে বাংলা সনের শরু হয় ৯৬৩ হিজরি, ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ এপ্রিল থেকে। আরবি হিজরি সালের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে জন্ম হয় বাংলা সনের।

 

মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের আগে এখানে হিজরি সনের প্রচলন ছিল। সম্রাট আকবর হিজরি বছরকে সৌর বছরে পরিণত করে নতুন ভাবে গণনা শুরু করেন। তিনি ফসল বোনা ও খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে এই নতুন সনটি চালু করেন। এই বাংলা সনের উদগাতা ছিলেন আকবরের ‘নওরতন’ সভার সদস্য আমীর ফতেহউল্লাহ সিরাজী।

 

নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। কয়েকটি গ্রামের মানুষ একত্রে মিলিত হয়। কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুঠির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন।

 

এই দিনের একটি পুরনো সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে থাকে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তির।

 

 

পহেলা বৈশাখ আমাদের গ্রামীণ পরিবেশের এক পুরনো ঐতিহ্য হলেও যুগের আবর্তনে এতে এসেছে বেশ পরিবর্তন। ঐতিহ্যবাহী নাগরদোলা ঘুরণচরকি, সার্কাস , বায়োস্কোপ ইত্যাদির স্থলে এখন যন্ত্র ও বিদ্যুৎচালিত দোলা, চরকির প্রতিস্থাপন হয়েছে। সার্কাসের স্থলে যাদুপ্রদর্শন , টেলিভিশনে নাটক সিনেমা ইত্যাদি দেখানোর আয়োজন করা হচ্ছে।

 

শহরে নগরে বাংলা নববর্ষ এখন একটি বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এদিনে শহরের লোকজন বিশেষ করে ছেলেমেয়েরা নববর্ষের জন্য নানা আঙ্গিকের তৈরি পোশাক পরিধান করে। রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে সরকার ও নানা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বের করা হয় শোভাযাত্রার। এতে হাজার হাজার মানুষ বিশেষ করে কিশোরকিশোরীরা অংশগ্রহণ করে। এসব মিছিলের বড় একটি বিষয় হলো নানা রঙের পোস্টার ও বিচিত্র মুখোষ। এই মুখোশগুলো সাধারণত মাছ, কুকুর বিড়াল, হাতি সাপ, বাঘ সিংহ মহিষ, বানর ইত্যাদি জন্তু জানোয়ারের মুখোচ্ছবি অনুকরণের তৈরি । তা ছাড়া যুবক যুবতীরা অনেকে মুখে ছাই-কালি মেখে অদ্ভুদ পোশাকে সজ্জিত হয়ে জঙ্গিরুপ ধারণ করে। নববর্ষে শহরের মানুষের অন্যতম আকর্ষন পান্তা আর ইলিশ মাছ।

 

সাম্প্রতিককালে পান্তা-ইলিশ পহেলা বৈশাখের উৎসবের প্রধান অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে এখন শহুরে নব্যধনিক ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের মাতামাতির শেষ নেই। ফলে পহেলা বৈশাখের দিন এখন শহরের অলিগলি, রাজপথ, পার্ক, রেস্তোরা, সর্বত্রই বিক্রি হয় পান্তা-ইলিশ।

 

এমনকি এখন অভিজাত হোটেলগুলোতেও শুরু হয়েছে পান্তা-ইলিশ বিক্রি এবং এই পান্তা -ইলিশ খাওয়া এখন এক শ্রেণির মানুষের বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু আবহমানকাল থেকেই পহেলা বৈশাখের সঙ্গে এই পান্তা-ইলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা শহুরে নব্য বাঙালিদের আবিষ্কার। এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান জানানোর পরিবর্তে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক এবং সাহিত্যিকরা।

 

 

বলা দরকার পহেলা বৈশাখ এদেশের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য আনন্দঘন একটি দিন। এটি খুশির উৎসব প্রাণের মেলা। নতুন দিনের শপথে আগামীর পথ চলার একটি বিশেষ চেতনার দিন পহেলা বৈশাখ।

 

অথচ আজকাল এদিনটি উৎসবের অনুষ্ঠানের আধিক্য নীতি-নৈতিকতার বিপরীতে বাড়াবাড়ি, অশ্লীলতা ও নগ্নতা পর্যবসিত হয়েছে। নববর্ষের উৎসব এক সময় হৃদয় আবেগের যে উচ্ছ্বাস ও প্রীতিময় আন্তরিকতা ছিল তা এখন কৃত্রিমতা ও হৃদয়হীন আচার অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নাগরিক সভ্যতার যান্ত্রিক আগ্রাসন চাকচিক্য ও বাড়াবাড়ি নববর্ষের মুল চেতনাকে উদ্দেশ্যহীন করে তুলেছে। নববর্ষ আমাদের জাতীয় ঐক্য ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবির দিন হলেও এখন তা হিন্দি কনসার্ট ও বিজাতীয় আদলে সাজানো এক দিকশুন্য মেলায় পরিণত হয়েছে। এসব ব্যত্যয় ও নীতিভ্রষ্টতা বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতিকে পতনের দিকে পরিচালিত করছে বলে সুশীল সমাজের আশঙ্কা। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা আশা করি, আমাদের নতুন প্রজন্ম এমন কোন কাজে গা ভাসিয়ে দেবে না, যার কারণে এই জাতির সৌন্দর্য , রীতি ও ঐতিহ্য হারিয়ে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়।

 

বৈশাখ যেমন আনন্দ বয়ে আনে তেমনি বৈশাখের রয়েছে আরেকটি ভয়ঙ্কর রুপ। এ সময় প্রকৃতি রুদ্ররুপ পরিগ্রহ করে। কালবৈশাখীর ঝড় অনেক সময় দেশের জন্য বয়ে আনে সীমাহীন কষ্ট। ঝড়ের তা-ব দেশের অনেক এলাকায় ধ্বংসলীলা ডেকে আনে।

 

আমরা পহেলা বৈশাখকে প্রাণঢালা অভিবাদন জানাই। আমরা চাই এই বৈশাখ আমাদের নতুনভাবে জাগিয়ে তুলুক। একটি গৌরবান্বিত স্বাধীন জাতি হিসেবে মাথা উচু করে দাড়াবার সাহস ও শক্তির উৎস হোক-এই নববর্ষ। পহেলা বেশাখ হোক প্রেমের গৌরব ও মহত্বের সৌরভে তাৎপর্যময়। নববর্ষ নির্ভিক চিত্তের গৌরবে উদ্ভাসিত হোক এটাই আমাদের কামনা। বাংলা নববর্ষ তোমাকে জানাই শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৮এপ্রিল, ২০১৪

রসনায় পয়লা বৈশাখ

 

সা বি রা সু ল তা না : কয়েক দশক আগ থেকে পয়লা বৈশাখে পান্তাভাত, ইলিশ ভাজা ও বিভিন্ন ভর্তাসহযোগে খাওয়ার প্রচলন ব্যাপকভাবে শুরু হয়। এর আগেও বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হতো।

 

সব খাবারের মধ্যে মূলত মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া ও আপ্যায়নে ব্যবহার করা হতো। বিভিন্ন জায়গার নামকরা মিষ্টি অনেকেই আনাতেন অতিথি আপ্যায়নের জন্য। যেমন জামতলার রসগোল্লা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, মুক্তাগাছার মণ্ডা এরকমের দেশের বিভিন্ন জায়গার প্রসিদ্ধ মিষ্টি অনেকেই ব্যবস্থা করতেন। মূলত হালখাতা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জন্য ব্যবসায়ীরা এসব মিষ্টির ব্যবস্থা করতেন। অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীদের মধ্যেও মিষ্টি বিতরণ করার রীতি ছিল।

 

এ ছাড়া বাড়িতে রান্না করা হতো বিভিন্ন ধরনের পায়েস, পিঠা, নাড়–, হালুয়া প্রভৃতি।

 

 

বৈশাখের প্রথম দিনে মেলা বসত। সেই মেলায় মাটির তৈরি অনেক খেলনা বিক্রি হতো। তার সাথে দেশীয় খাবার, খই, মুড়ি, মুড়কি, জিলেপি, তিলের খাজা, মুরালি, চিঁড়ার মোয়া, মুড়ির মোয়া থেকে শুরু করে আরো অনেক ধরনের খাবার বিক্রয় হতো, যেগুলো একেবারে আমাদের গ্রামবাংলার নিজস্ব খাবার হিসেবে পরিচিত ছিল।

 

এই মেলায় আরো একটি খাবার বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল। সেটি হলো চিনির খেলনা। অর্থাৎ চিনি দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বানানো হতো হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, পাখি, শাপলা প্রভৃতি। এগুলো এ মেলার একটা বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিত ছিল।

 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়েছে নতুন উদ্যোমে। পান্তাভাত আর ইলিশ ভাজার প্রচলনও শুরু হয়েছে তখন থেকেই। সময়ের সাথে সাথে এই রেওয়াজ এখন বেশ পাকাপোক্ত হয়ে গেছে। এখন পয়লা বৈশাখ মানেই পান্তাভাত আর ইলিশ ভাজা থাকতে হবে। সেই সাথে যোগ হয়েছে নানা রকম ভর্তা। শুঁটকি ভর্তা, মরিচ ভর্তা, কাঁচকলা ভর্তা, লাউপাতা ভর্তা, টমেটো ভর্তা, বেগুন, সর্ষে ভর্তা, কালোজিরার ভর্তার এভাবে ভর্তার একটা দীর্ঘ তালিকা তৈরি করাই যায়। বছরের অন্য সময়গুলোতে ভর্তা তেমন খাওয়া না হলেও এ দিনটিতে বাঙালি বেশ উৎসাহ নিয়েই ভর্তা খেয়ে থাকে।

 

তবে পয়লা বৈশাখে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ইলিশ মাছ। ইলিশ ছাড়া যেন এখন আর পয়লা বৈশাখ উদযাপন ভাবাই যায় না। সময়ের সাথে সাথে ইলিশ খাওয়ায়ও এসেছে বৈচিত্র্য। শুধু ভাজা দিয়ে এখন আর না। সেই সাথে যোগ হয়েছে সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পাতুরি, ভাপা ইলিশ, ইলিশ পোলাও আরো কত কী। ইলিশের এত পদ বাঙালির রসনাকে নতুনা করে পরিতৃপ্ত করে।

 

আধুনিক সময়ে পয়লা বৈশাখে খাবারের তালিকা বেশ দীর্ঘ হয়েছে। বাঙালির প্রাচীন রান্নার অনেক খাবার নতুন করে এখন বেশ প্রচলিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমডাল, আম-তেঁতুলের শরবত, আমের ভর্তা, চিঁড়ার নাড়–, তিলের নাড়–, গুড়ের সন্দেশ, পায়েস, তরমুজের ঠাণ্ডা, সবজি নিরামিষ, সর্ষে ইলিশ, আমের লাচ্ছি, কাঁচা আমের সালাদ, লাউপাতার ভর্তা, কাঁচা আম, বাতাসি চচ্চড়ি, চালের চচ্চড়ি, সজনে ডাল, লাউয়ের খাট্টা আরো অনেক কিছু। পয়লা বৈশাখ আরেক আকর্ষণ কাঁচা আম। কাঁচা আম দিয়ে নানা রকমের খাবার খাওয়া হয় বৈশাখের প্রথম দিনটিতে।

 

সেই সাথে নানা রকম মিষ্টি ও মিষ্টি খাবারও যোগ হয় নববর্ষে উদযাপনের খাবারের তালিকায়। বাংলার প্রাচীন খাবারের ঐতিহ্য নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়েই উদযাপিত হয় আমাদের বাংলা নববর্ষ, পয়লা বৈশাখ।

 

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/১৮এপ্রিল,২০১৪

সিলেটে পানির জন্য মহিলাদের সড়ক অবরোধ

http://www.sheershanews.com/assets/images/news_images/2014/04/16/index_33095.jpg

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সিলেট : সিলেট নগরীতে খাবার পানির জন্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মহিলারা। অবরোধের খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের পানি বিভাগের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেলে তারাও তোপের মুখে পড়েন।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নগরীর কাস্টঘরে এ অবরোধের ঘটনা ঘটে। অবরোধকালে কাস্টঘর-মহাজনপট্টি রাস্তায় যানজট দেখা দেয়।

অবরোধকারীদের একজন মঈনুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ঊষা রাণী পাল জানান, গত প্রায় তিন মাস ধরে কাস্টঘর এলাকার লোকজন পানির জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সিটি করপোরেশনের পানির লাইন থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পানির লাইনম্যান শাহেদ আহমদ কাস্টঘরের লোকজনের জন্য বরাদ্দকৃত পানির গাড়ি এনে পার্শ্ববর্তী হোটেল ও মার্কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন সিটি করপোরেশনকে অবগত করলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

এদিকে, অবরোধের খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম ও সিটি করপোরেশনের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন জামাল কাস্টঘরে যান। তারা অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করলে বিক্ষুব্ধ নারীরা আরো ক্ষেপে যান।

একসময় কাউন্সিলর ও নির্বাহী প্রকৌশলী নারীদের তোপের মুখে পড়েন। পরে পানি সরবরাহের আশ্বাস দিলে লোকজন অবরোধ তুলে নেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় আনসার কমান্ডার গ্রেফতার

Rape

অপরাজিতাবিডি ডটকম,বরগুনা : আনসার বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার আবদুল খবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  বুধবার সকালে বরগুনার সোনিয়া সিনেমা হল সংলগ্ন একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বরগুনা থানার ওসি আজম খান ফারুকী জানান, শিশুটি তার মায়ের সাথে নানার বাসায় বেড়াতে এসেছিল। সকালে আবদুল খবির ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটির চিৎকারে লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।  এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

ফুলবাড়ীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সাহেরা বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  সাহেরা বেগম পূর্ব রাবাইতারী গ্রামের আঃ হাকিম মিয়ার স্ত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চার সন্তানের জননী সাহেরা স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছিল। হাকিম তার স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তখন থেকেই তার উপর পাশবিক নির্যাতন শুরু হয়। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার ভোর রাতে গৃহবধূ শোয়ার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ময়না তদন্ত ছাড়া বুধবার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সে প্রকৃতপক্ষেই অত্মহত্যা করেছে। তাই ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

তাহিরপুরে নারী নির্যাতনের অভিযোগ

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সুনামগঞ্জ : স্বামী পরিত্যক্তা এক অসহায় নারীকে মদ্যপ অবস্থায় অমানসিক নির্যাতন করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এলাকায় বিচার না পাওয়ায় অবশেষে সুবিচারের আশায় বুধবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতিত ওই নারী। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের খালা শ্রীপুর গ্রামে।

জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী শিবরামপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে সুয়েব মিয়া ও তার সহযোগী একই গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে আতাবুর মিয়া একাধিক মামলার আসামি। মঙ্গলবার রাতে এ দু’জন মাতাল অবস্থায় অভিযোগকারী নারীর ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। কয়েকদিন আগে একইভাবে ওই নারীর মাকেও লাঞ্ছিত করে অভিযুক্ত দু’জন। তাহিরপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) জিয়াউল হক জানান, তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

ভান্ডারিয়ায় মাঠ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার

http://www.sheershanews.com/assets/images/news_images/2014/04/16/59_33106.jpg

অপরাজিতাবিডি ডটকম, পিরোজপুর : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরী ইউনিয়নের উত্তর বোথলা গ্রাম থেকে পুলিশ বুধবার সকালে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে।

ইকরী ইউনিয়নের ১নং বোথলা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূরুল আমিন বলেন, সকালে এলাকাবাসী মাঠে কাজ করতে গেলে বোরকা পরিহিত লাশটি দেখতে পায়। পরে আমাকে খবর দিলে আমি সেখানে গিয়ে পুলিশকে খবর দেই।

ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. জুয়েল জানান, ধারণা করা হচ্ছে তিন থেকে চারদিন আগে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ এপ্রিল একই উপজেলার পশ্চিম গোলবুনিয়া গ্রাম থেকে নবী হোসেন নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

তাহিরপুরে এসিড পানে গৃহবধূর মৃত্যু

http://www.sheershanews.com/assets/images/news_images/2014/04/16/sunamgonj-map_33133.jpg

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে এসিড পান করে রুমা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।

বুধবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার বড়দল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুমা আক্তার বড়দল গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।

এলাকাসী সূত্রে জানা যায়, সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে অভিমান করে সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি থেকে এসিড নিয়ে তা পান করে রুমা। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বড়দল গ্রামের ইউপি সদস্য সামায়ুন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

সোনারগাঁওয়ে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা

http://www.sheershanews.com/assets/images/news_images/2014/04/16/index_33132.jpg

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সোনারগাঁও : সোনগাঁওয়ে নাছরিন আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার ভোরে উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের সাত ভাইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ নাছরিনের মা শান্তনা বেগম জানায়, উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়াপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে আরিফের সাথে প্রায় চার বছর পূর্বে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের চরসন্দেস গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে নাছরিনকে নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেয়া হয়। এরপরেও স্বামী আরিফ ও তার বাবা-মা আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে নাছরিনের কথাকাটাকাটি হয়। পরে বুধবার ভোরে তারা নাছরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। তবে ঘটনার পরপরই গৃহবধূর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানায়, গৃহবধূ নাছরিনের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

শ্রীনগর ইউপি ভবন থেকে নারী চৌকিদারের লাশ উদ্ধার

http://www.sheershanews.com/assets/images/news_images/2014/04/16/index_33169.jpg

অপরাজিতাবিডি ডটকম, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষ থেকে এক নারী চৌকিদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে পারভীন বেগম (৩৫) নামে ওই চৌকিদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

মৃত পারভীন একই উপজেলার কেয়টখালী গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার পর থেকে ওই ইউনিয়নের  অপর চৌকিদার লাল মিয়া পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনার সাথে লাল মিয়া জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

পুঠিয়ায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর পুলিশ

http://www.sheershanews.com/assets/images/news_images/2014/04/16/images_33168.jpg

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, রাজশাহী : রাজশাহীর পুঠিয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। সোমবার সন্ধ্যায় পুঠিয়ার জিউপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ওইদিন বান্ধবীদের সাথে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পুঠিয়ার রাজবাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিলো ওই স্কুলছাত্রী।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী একই এলাকার বাসিন্দা। সে ঝলমলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী বাদি হয়ে পুঠিয়া থানায় স্থানীয় চার মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও তাদের গ্রেফতারে গড়িমসি করছে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন, স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জিউপাড়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে পলান, মোজাহারের ছেলে হান্নান, আব্বাস আলীর ছেলে কুরবান আলী ও  মালেক নামের আরো একজন।

অভিযোগ উঠেছে, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পুলিশ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে থানায় মামলা দায়ের করায় বুধবার ঝলমলিয়া বাজারে ওই ছাত্রীর চাচাকে মারপিট করেছে ধর্ষক ও তাদের লোকজন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পাশবিকতার শিকার স্কুল ছাত্রীর পারিবার জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বান্ধবীদের সঙ্গে পুঠিয়া রাজবাড়ির মাঠে অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলো। পথে বান্ধবীরা নিজ নিজ বাড়ি  ফিরে  গেলে সে একা হয়ে যায়।

এসময় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা চার মাদক ব্যবসায়ী ওই স্কুল ছাত্রীকে মুখে কাপড় বেঁধে পাশের একটি ভুট্টার ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রীর আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে মীমাংসার জন্য গ্রাম্য সালিশ বসে। সেখানে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকেই তিরস্কার করে গ্রাম্য মাতবররা। একই সঙ্গে এ নিয়ে থানায় মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতেও চাপ দেয় তারা। পরে ওই দিনই সন্ধ্যায় থানায় মামলা দেয় ওই ছাত্রী।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়দা খান জানান, ঘটনাটি গণধর্ষণ বা ধর্ষণ নয়, ধর্ষণ চেষ্টা। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই ছাত্রীকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

এছাড়া আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ওসি।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

পেশি শক্তিশালী করবে সবুজ টমেটো

http://admin.newspage24.com/upload_pic/2014/April/resize_1397641646.jpg

অপরাজিতাবিডি ডটকম : টমেটোর অনেক গুণ। খাবারেও রয়েছে টমেটোর বিচিত্র ব্যবহার। বলা হয়ে থাকে অনেক ক্ষেত্রে আপেলের চেয়ে বেশি উপকারী গুণ রয়েছে টমেটোর। তবে এসব শোনা যায় লাল বা পাকা টমেটোর ক্ষেত্রে।

কিন্তু সবুজ টমটোরও রয়েছে বিস্ময়কর শক্তি। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সবুজ টমেটো খেলে শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সবচেয়ে বেশি কাজ করে মজবুত পেশি গঠনে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় বলা হয়, লাল টমেটো যেখানে খাবারে স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে সবুজ টমেটো শুধু স্বাদ বাড়ায় না, সঙ্গে শরীরের পেশি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে৷ পেশিকে শক্তিশালী করে তোলে৷

গবেষণায় বলা হয়, সবুজ টমেটো থেকে শরীরের কোনো অংশের পেশি যদি দুঘর্টনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সে অংশও নিরাময় করতে সবুজ টমেটো বেশ উপকারী।

লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রেও সবুজ টমেটোর জুড়ি মেলা ভার।তবে সেক্ষেত্রে সবুজ টমেটো খাওয়ার রয়েছে বিশেষ নিয়ম।

গবেষণায় দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়, ভাল করে ধুয়ে, কাঁচা খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। অথবা সালাদ তৈরি করেও খাওয়া যেতে পারে।

প্রয়োজনে সেদ্ধ বা রান্না করা তরকারির মধ্যেও ব্যবহার করতে পারেন এই টমেটো৷

যেখানে লাল টমেটো ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি করে, সেখানে ইউরিক অ্যাসিডের অসুবিধা দূর করতে উপকারী এই সবুজ টমেটো।

ইউরিক এসিড অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে যাদের কিডনীতে সমস্যা রয়েছে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড তাদের জন্য ক্ষতিকর। সবুজ টমেটো অতিরিক্ত ইউরিক এসিড প্রতিরোধে বেশি উপকারী।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

নিম পাতার শত গুণ

http://admin.newspage24.com/upload_pic/2014/April/resize_1397448740.png

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : কথাসাহিত্যিক বনফুলের ‘নিম গাছ’ পড়া হয়েছে সেই কবে। তখন শুধু নিম গাছ নিয়ে একজন লেখকের বহুদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিই জানা হয়েছে। জানা হয়নি ঔষধি গাছ হিসেবে নিম গাছের গুনাগুণ। আসুন, নিম গাছের কিছু গুনের কথা জেনে নেই।

– মুখে ব্রণের সমস্যা থাকলে নিম পাতা বেঁটে ব্রণে লাগিয়ে দিন। জাদুর মতো কাজ হবে।

– অ্যালার্জির সমস্যায় নিম পাতা ফুটিয়ে গোসল করুন। অ্যালার্জি যাবে ১০০ হাত দূরে। তাছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে বেঁটে শরীরে লাগান। অ্যালার্জি কমবেই।

– বাচ্চাদের কৃমির সমস্যা থাকলে পানির সাথে ৫-১০ ফোঁটা নিম পাতার রস মিশিয়ে খালি পেটে খাইয়ে দিন। আর বড়রা এক চা চামচ রস পর পর ৪/৫ দিন সকাল-বিকাল খান। কৃমি নির্বংশ হবে।

– মাথায় খোস পাচড়া হলে নিম পাতা ফুটিয়ে সেই পাতা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

– চোখে ভাইরাসের আক্রমণ হলে কচি নিম পাতার ১ ফোঁটা রস চোখে দিন। একটু জ্বালা-পোড়া হলেও ৩ দিনেই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবেন। ব্যবহার করতে হবে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা পর পর।

– ১০টি নিম পাতা ও ৫টি গোল মরিচ একসাথে সকালে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। ডায়াবেটিস দৌড়ে পালাবে।

– জন্ডিস হলে এক চামচ রসের সাথে একটু মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। পুরোপুরি নিরাময় হতে এক সপ্তাহ চালিয়ে যেতে হবে।

তাহলে এবার নিম পাতা সংগ্রহে নেমে পড়ুন। রোগ- বালাই থাকুক নিরাপদ দূরত্বে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

খাবার হিসেবে সালাদ

http://imgcdn.priyo.com/201311/chefsalad1.jpg

অপরাজিতাবিডি ডটকম : সালাদের কদর আমাদের খাবার টেবিলে সেই অনেক দিন থেকেই। একটু ভাল রান্না হলে বাঙ্গালীর খাবার টেবিলে সালাদ হবেই। প্রধান খাবারের পাশাপাশি খালি সালাদ খাওয়ার গুরুত্ব কিন্তু কম নয়। দেহের মেদ ঝড়াতে ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সালাদের জুড়ি নেই। কয়েকটি সালাদের রেসিপি পাঠকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া হলো-

স্টাফ এগ সালাদ
উপকরণ : সিদ্ধ চিকেন কিমা ১ কাপ, ধনে পাতা ১ টে. চামচ, শসা কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণ মতো, ডিম ৪টি, টমেটো ২টি, মেয়োনিজ পরিমাণ মতো।

প্রণালি : চিকেন সাদা গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। ডিম সিদ্ধ করে নিন। শসা কুচি করে নিন। টমেটো কুচি করে নিন। ডিম সিদ্ধ কেটে ২ ভাগ করে নিন। কুসুম বের করে নিন। এবার চিকেন কিমা, শসা কুচি, ডিমের কুসুম মেয়োনিজ টমেটো কুচি করে এক সঙ্গে মেখে নিন। এবার ডিমের সাদা অংশের ভেতরে স্টাফিং ভরে নিন। তৈরি হয়ে গেল স্টাফ এগ সালাদ।

http://bengalirecipes4u.files.wordpress.com/2012/05/pudina-salad-251011-p-alo.jpg?w=645

পুদিনা সালাদ
উপকরণ : আপেল ছোট চাক করে কাটা আধা কাপ, গাজর ছোট চাক করে কাটা আধা কাপ, শসা ছোট চাক করে কাটা আধা কাপ, টমেটো ছোট চাক করে কাটা সিকি কাপ, টক দই ১ কাপ ফেটানো, পুদিনাপাতা বাটা ২ টেবিল-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা-চামচ।

প্রণালি: টক দই, পুদিনাবাটা, গোলমরিচ, বিট লবণ, লবণ ও চিনি একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণে একে একে আপেল, গাজর, শসা, টমেটো মিলিয়ে নিন।

http://www.amarrecipe.com/wp-content/uploads/2014/03/%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6.jpg

ফল, সবজি ও ছোলার সালাদ
উপকরণ : ছোলা পৌনে ১ কাপ, যেকোনো সবজি টুকরা আধা কাপ, বিটলবণ আধা চা চামচ, শসা ১ টেবিল চামচ, আনারস আধা কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা চামচ, খেজুর আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, আলু সিদ্ধ ৩টি, ডালিম পরিমাণমতো, নাশপাতি ১টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

প্রণালী : ছোলা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে অল্প সিদ্ধ করে নিন। আনারস, খেজুর, আলু সিদ্ধ, নাশপাতি চারকোনা করে কাটুন। সবজি হালকা লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এরপর ছোলা, সবজি ও ফলের সঙ্গে বিটলবণ, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি, লবণ, লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

মিষ্টি দইয়ে মাংসের সালাদ

উপকরণ : হাড় ছাড়া গরুর মাংস সেদ্ধ এক কাপ, ক্যাপসিকাম তিন রঙের তিনটি, কাঁচা মরিচকুচি ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, শসা ১টা, গাজর ১টা, পেঁয়াজ ১টি বড়, মিষ্টি দই পরিমাণমতো ও গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ।

প্রণালি: প্রথমে মাংস সেদ্ধ করে লম্বা করে কেটে নিন বা ছিঁড়ে নিন। এবার ক্যাপসিকাম, শসা, পেঁয়াজ, গাজর লম্বা করে কেটে সব একসঙ্গে মেশাতে হবে। এবার কাঁচা মরিচকুচি, লবণ, গোলমরিচ ও মিষ্টি দই দিয়ে পরিবেশন করুন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

দই ইলিশ

http://admin.newspage24.com/upload_pic/2014/January/resize_1390452447.jpg

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : ইলিশের নামে লোভ হয় না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। বিশেষ করে পদ্মার তৈলাক্ত ইলিশ মানেই যেন অমৃত। ভাজা,ভুনা,ঝোল কিংবা সরষে ইলিশ তো অনেক খাওয়া হলো। এখন হয়ে যাক ভিন্নধর্মী একটি খাবার “দই ইলিশ”! ভাতের পাতে এক টুকরো দই ইলিশ মানেই দারুণ একটা ভুঁড়িভোজ নিঃসন্দেহে। মুখে দিলে গলে যাবে মাখনের মতন,স্বাদ জিভে লেগে থাকবে অনেকক্ষণ।

আসুন জেনে নেই দারুণ রেসিপিটি।

https://lh4.googleusercontent.com/-9_rKUt82KOE/UjacNLVubCI/AAAAAAAACYU/Sq_5gSYd0FQ/w880-h495-no/P1210106.JPG

উপকরণ :
ইলিশ ১টা, (এক কেজি ওজনের)
সয়াবিন তেল হাফ কাপ,
পেঁয়াজ বাটা হাফ কাপ,
পেঁয়াজ কুঁচি হাফ কাপ,
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ,
মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ (না দিলেই হবে)
ধনে গুঁড়ো ২ চা চামচ,
ভাজা জিরার গুঁড়ো হাফ চা চামচ,
আদা বাটা হাফ চা চামচ,
লবণ পরিমাণ মত।
টক বা মিষ্টি দই হাফ কাপ
কাঁচা মরিচ- স্বাদমত

https://lh4.googleusercontent.com/-9_rKUt82KOE/UjacNLVubCI/AAAAAAAACYU/Sq_5gSYd0FQ/w880-h495-no/P1210106.JPG

প্রণালী :
• -ইলিশ মাছের বড় টুকরা করে নিতে হবে।
• -কড়াইয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ দিতে হবে। পেঁয়াজ একটু ভেজে জিরা ও দই বাদে বাকি সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন।
• -অল্প পানি দিয়ে দই ভালো করে ফেটিয়ে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে।
• – দই ভালো করে রান্না হয়ে তেলের উপরে উঠে এলে মাছের টুকরাগুলো বিছিয়ে দিন। চাইলে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন।
• -মাঝখানে ঢাকনা খুলে মাছ উল্টিয়ে কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে নিন। টক দই হলে সামান্য চিনি দিন। মৃদু আঁচে রেখে ভুনা করে চুলা থেকে নামান।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

নখের যত্ন

http://admin.newspage24.com/upload_pic/2014/March/resize_1394204713.jpg

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : এ সময়ে নখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো আর্দ্রতার ওঠানামা। একটু ঠান্ডা আবহাওয়ায় পানি কমই খাওয়া হয়। চেষ্টা করুন দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করে দেহের আর্দ্রতা ধরে রাখতে।

 

বাসনকোসন ধোয়ার আগে হাতে গ্লাভস পরে নেওয়াই ভালো, নইলে নখ ভেঙে বা বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করলে .নখ, সেই সঙ্গে চুলও তার উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। তাই ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করাই ভালো। সারা দিনের কাজ শেষে কুসুম গরম পানিতে পাঁচ মিনিট নখ ডুবিয়ে রাখুন। হাতের ত্বকের সঙ্গে নখও ভালো থাকবে।

 

ভালো মানের কিউটিকল অয়েল দিয়ে নখ ম্যাসাজ করুন প্রতিদিন। নিজেই দেখতে পাবেন, কীভাবে আপনার নখ দিন দিন মসৃণ হয়ে ওঠে। প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা কিউটিকল অয়েলের সঙ্গে একটুখানি পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে নখ ম্যাসাজ করুন। কিউটিকল অয়েল না পেলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।

 

সপ্তাহে এক দিন রাতে নখে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ম্যাসাজ করে সুতির হাতমোজা পরে ঘুমাতে যান। নখ ভঙ্গুর হয়ে গেলে সঠিকভাবে নখ ফাইল করা জরুরি, সে ক্ষেত্রে ধাতব ফাইলার ব্যবহার না করাই ভালো। নখ সব সময় একই দিকে ফাইল করুন, নইলে তা ভেঙে যেতে পারে। ভেজা অবস্থায়, বিশেষত গোসলের পরপরই নখ ফাইল করবেন না। এ সময়ে নখ নরম থাকে বলে অনেকেই নখ কাটতে এই সময়কে বেছে নেন। কিন্তু এতে নখে চিড় ধরতে পারে এবং ভেঙে যেতে পারে।

কিছুদিনের জন্য নেইলপলিশ থেকে ছুটি নিন। সব সময় নেইলপলিশ ব্যবহারে নখের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর অবশ্যই ভালো মানের নেইলপলিশ ব্যবহার করুন। সস্তা নেইলপলিশে সিসা-জাতীয় পদার্থ বেশি থাকায় তা ব্যবহারে নখ শুষ্ক হয়ে যায়। নেইলপলিশ দেওয়ার মধ্যে দুদিন বিরতি নিন। এতে অ্যাসিটোন-জাতীয় উপাদান আছে কি না দেখুন; থাকলে তা এড়িয়ে যান।

বাইরে থেকে যতই নখের যত্ন করি না কেন খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না দিলে তো আর চলবে না। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত শীতকালীন খাবার রাখুন। পালংশাক, মিষ্টি আলু, গাজর, ডিম, মিষ্টিকুমড়া, ব্রকলি ইত্যাদি রাখুন। প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস খেলেও উপকার পাবেন।

 

অনেক সময় নখের চারপাশের চামড়া কুঁচকে থাকে এবং কিউটিকল উঠে যেতে থাকে। এমন হলেই কিউটিকলগুলো পুরো অপসারণ করবেন না। এতে নখের ভালোর চেয়ে মন্দই হবে বেশি। তার চেয়ে কিউটিকল অয়েল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে পুশার দিয়ে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে পারেন।

 

বাড়িতে সপ্তাহে এক দিন অন্তত ১০ মিনিট নখের যত্ন নিন। কুসম গরম পানিতে শ্যাম্পু আর একটুখানি সামুদ্রিক লবণ মিশিয়ে নখ ভিজিয়ে রাখুন পাঁচ মিনিট। তারপরে ব্রাশ করে ত্বকের মরা চামড়া তুলে ফেলুন অথবা স্ক্রাবার থাকলে সেটা দিয়ে স্ক্রাব করুন। নখের চারপাশের কিউটিকলগুলো ঠেলে দিয়ে হাত ধুয়ে লাগিয়ে নিন ভালো মানের হ্যান্ড ময়েশ্চারাইজার অথবা নারকেল তেল।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪

খাঁটি মধু যেভাবে চিনবেন

http://admin.newspage24.com/upload_pic/2014/April/resize_1397448276.png

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহের সময় নিজে উপস্থিত থেকে মধু আনতে পারলে তবেই এর আসল-নকল নিয়ে কোন সন্দেহে ভুগবেন না আপনি। কিন্তু আপনার পক্ষে কী মৌচাক থেকে সব সময় মধু সংগ্রহ করা সম্ভব? অনেকের পক্ষেই এটা সম্ভব না। তাই সবচেয়ে ভাল উপায়, কিছু সহজ পরীক্ষা জেনে নেওয়া। যার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন- আপনার কেনা মধু খাঁটি, না কি ভেজাল।

খাঁটি মধুতে কখনো পিঁপড়া ধরে না। জেনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? অবাক হওয়ার কিছু নেই। মধুর আসল-নকল নির্ধারণ করতে এক টুকরো কাগজে অল্প একটু মধু লাগিয়ে যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে রেখে দিন। তারপর অপেক্ষা করতে থাকুন। মধুতে যদি পিঁপড়া ধরে তাহলে বুঝে নেবেন আপনার কেনা মধুতে ভেজাল আছে।

প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় খাঁটি মধু কখনো জমে না। তাই মধুর আসল-নকল পার্থক্য করতে এ পরীক্ষাটাও করতে পারেন। মধু ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ভেজাল মধু হলে এটা জমে যাবে। আর না জমলেও ভেজাল মধুর নিচে জমাট তলানি পড়বে।

এক গ্লাস পানিতে এক চামচ পরিমাণ মধু দিন। তারপর আস্তে আস্তে গ্লাসটি নাড়া দিন। মধু পানির সাথে মিশে গেলে নিশ্চিতভাবেই সেটা ভেজাল মধু। আর মধু যদি ছোট ছোট পিণ্ডের আকারে গ্লাসের পানিতে ছড়িয়ে যায়, তাহলে সেটা খাঁটি মধু।

পরিষ্কার সাদা কাপড়ে অল্প একটু মধু লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। একটু পর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন। কাপড়ে দাগ থেকে গেলে বুঝতে হবে এই মধু নকল। আর কাপড়ে দাগ না থাকলে সেটা খাঁটি মধু।

আশা করি ছোট্ট এই টিপসগুলো আপনাকে ‘সকল রোগের মহৌষধ’ হিসেবে পরিচিত খাঁটি মধু চিনতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬এপ্রিল,২০১৪