All posts by Oporajita

 

এই শীতে মিলিটারি হিজাব ট্রেন্ড

যারা নিত্যনতুন হিজাব স্টাইল পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর।এ সিজনে মিলিটারি হিজাব স্টাইল বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।খাকি এবং জলপাই কালারের জ্যাকেটে যেমন স্টাইল করা যায়, ঠিক তেমনি যেন এর মাধ্যমে এই সিজনকেও উপস্থাপন করা যায়। তবে শুধু জ্যাকেট নয় মিলিটারি খাকি হিজাব আরও অনেক উপায়েও করা যায়।

এই স্টাইলের জন্য বেছে নিতে পারেন খাকি মিলিটারি জ্যাকেট যা সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া আরও রয়েছে বেইজ কিংবা খাকি ট্রেঞ্চ কোট এবং জলপাই জ্যাকেট। তবে শুধু জ্যাকেট আর কোট না, আরও আছে জলপাই কালারের টুনিকস, লং কারডিগান এবং অলিভ ম্যাক্সি ড্রেস।

মিলিটারি স্টাইলের জন্য ভারি কমব্যাট বুটস পরতে পারেন। তবে স্টাইলের জন্য মানানসই ওয়েজ হিলসও পরা যেতে পারে। হ্যান্ডব্যাগ হিসেবে বেছে নিতে পারেন কনিয়াক, বেইজ কিংবা কমলা রঙের হ্যান্ডব্যাগ। তবে পছন্দ মতো যে কোন রঙের মানানসই হ্যান্ডব্যাগ নেওয়া যেতে পারে।

বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন ডিজাইনাররা মিলিটারি স্টাইলকে অনুপ্রাণিত করে থাকেন এবং প্রায় সবাই একে পছন্দ করেন। ভাল লাগলে আপনিও ফ্যাশন আইডিয়া তৈরি করুন এবং শীতের প্রস্তুতি নিন।

লেখা- সুমাইয়া মারিয়া বিনতে শহীদ

সূত্র: জাস্ট ট্রেন্ডি গার্লস

 

দৃশ্য ফাঁসের অভিযোগে ‘বাহুবলি-২’ এর গ্রাফিক ডিজাইনার গ্রেফতার

আগামী বছর এপ্রিলে মুক্তি পেতে চলা ‘বাহুবলি-২’ ছবির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত সেই ভিডিও ভাইরালও হয়ে গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফাঁসের পেছনে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে সিনেমার গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘বাহুবলি-২’-এর প্রযোজক গতকাল রাতে ছবির কিছুটা অংশের ভিডিও অনলাইনে দেখতে পান। এরপরই তিনি অন্যান্যদের ব্যাপারটি জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। তাতে দেখা যায়, ৯ মিনিটের একটি ক্লিপিং অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এরপরই হায়দরাবাদ পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে প্রযোজক টিম।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিও-এ ‘বাহুবলি-২’-এর গ্রাফিক ডিজাইনিং-এর কাজ হয়। প্রযোজক টিম দেখেন, কৃষ্ণ দয়ানন্দ চৌধুরী নামে এক প্রশিক্ষণরত গ্রাফিক আর্টিস্ট স্টুডিও-র সার্ভার থেকে ছবির ক্লিপিংস চুরি করেছেন। পরে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায়, চুরি করা ভিডিওটি রয়েছে তার ল্যাপটপেই। শুধু তাই নয়, ক্লিপটি পাওয়া গেছে তার মোবাইল ফোনেও। দুই বন্ধুকে সেই ভিডিও পাঠিয়েছেন তিনি। তাই চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রযোজক টিম জানিয়েছে, ক্লিপিংসটি যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়ে, তাই ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে নেওয়া হচ্ছে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও। ভিডিওটিতে মূল দুই চরিত্র প্রভাস এবং আনুশকা শেঠির যুদ্ধের দৃশ্য ছিল বলে জানা গেছে। গত বছরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও ব্যবসাসফল এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রানা ডাজ্ঞুবতি, তামান্না ভাটিয়া সহ অনেকে।

 

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর অলংকার পরিধানের বিধান

কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তার জন্য কি অলংকার পরা জায়েজ আছে? বিভিন্ন এলাকাতে এই সব নিয়ে বিভিন্ন কথার প্রচলন আছে। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা- অবশ্যই এ সম্পর্কে ইসলামের দিক-নির্দেশনা রয়েছে।

কোনো নারীর স্বামী মারা গেলে তাকে চার মাস দশ দিন অথবা গর্ভবতী হলে বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়, এটা ইসলামের বিধান। এই সময়ে সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না। এমন কি নাক ফুলও ব্যবহার করতে পারবে না এবং চুল না আচড়ানোও উত্তম।

তবে বেশি খারাপ লাগলে এলোমেলো চুল ঠিক করতে পারবে। শরীআত কর্তৃক নির্ধরিত এই সময় পার হলে আগের মত সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক সব কিছু ব্যবহার করতে পারবে। [ফাতাওয়া আলমগীরী ২-৫৩৩]

 

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পর্দার বিধান

পর্দা মেনে চলা ফরজ। তা শুধামাত্র মহিলাদের জন্যই নয়; বরং পুরুষের জন্যও পর্দা ফরজ। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পর্দার সম্পর্কে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে নবি! আপনি) মুমিনদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে অবগত এবং মুমিন নারীদের বলে দিন তারাও যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। তারা যেন স্বাভাবিকভাবে যা প্রকাশিত তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে রাখে।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

আল্লাহ তাআলা নারীকে পুরুষের চোখে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন। আবার পুরুষের আর্কষণও নারীর মধ্যে তৈরী করে দিয়েছেন। সে কারণেই ইসলামি শরিয়তের হুকুম অমান্য করে বেপর্দা হওয়া নারী এবং পুরুষের জন্য কোনো ভাবেই বৈধ নয়।

বিশেষ করে আল্লাহ তাআলা নারীদের নিরাপত্তায় পর্দার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সুষ্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে নারীগণ, তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে অবস্থান কর। পূর্ববর্তী অন্ধকার যুগের মতো সাজসজ্জা করে পরপুরুষের সম্মুখে বাহির হবে না। নামাজ আদায় কর, জাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য কর।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৩৩)

পর্দা পালনকারী নারীরা আল্লাহর রহমত দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নারী গোপনীয় সত্তা, তারা যদি প্রকাশ্যে (বেপর্দা হয়ে লোকালয়ে) বের হয় তবে শয়তান তাদের দিকে উঁকি দিয়ে তাকায়। আর যে নারী তার ঘরের মধ্যে অবস্থান করে (পর্দা পালন করে) সে আল্লাহর রহমতের অধিক নিকটবর্তী থাকে।’(তিরমিজি)

সতর্কতা…
কুরআন ও হাদিসের আলোকে যাদের সঙ্গে পর্দা করা ফরজ তাদের সামনে বেপর্দা হয়ে খোলামেলা পোশাকে যাতায়াত করা বা অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ করা হারাম এবং কবিরা গোনাহ।

কেউ কেউ পর্দার বিধানকে ধর্মীয় মনগড়া মতবাদ বলে আখ্যায়িত করা, মনে পর্দা বড় পর্দা; তাছাড়া পর্দা নিজের কাছে এমন কথা বলে পর্দার গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে অস্বীকার করে; যা কুরআন ও হাদিসকে অস্বীকার করা বৈ আর কিছুই নয়। শুধু পর্দার খেলাপ নয় বরং ইসলামে এ সব কথা-বার্তা বলাও মারাত্মক অপরাধ।

বেপর্দার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো প্রতিটি পদে পদে নারীরা হয়রানি হওয়া। ইভটিজিংয়ের স্বীকার হওয়া। পথে-ঘাটে, স্কুল-কলেজে, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব জায়গায় ঘৃণ্য ও নোংরা আচরণ স্বীকার হওয়া এবং অশ্লীল বাক্যবানে জর্জরিত হওয়া।

ফ্যাশনের নামে নারী ও পুরুষকে বেপর্দা করার যে হিড়িক শুরু হয়েছে, তা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অশান্তির এক মরণ ব্যাধি। মুসলিম উম্মাহর উচিত অশালীন পোশাক পরিহার করে, শালিন পোশাক পরিধান করা। প্রত্যেককেই নিজের আত্ম-সম্মানবোধ এবং সৌন্দর্যের হিফাজত করা।

পরিশেষে…
নারী ও পুরুষের সংযত জীবন-যাপন ব্যক্তি-পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তাইতো আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সমগ্র মানবকুলকে হুশিয়ার করে দিয়ে ঘোষণা করেছেন, ‘হে মানবকুল তোমরা এ শান্ত পৃথিবীর মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি কর না।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং নারী ও পুরুষদের আত্ম-সম্মানবোধ ও মর্যাদা রক্ষায় পর্দার পরিপূর্ণ বিধান পালন করে তাকওয়া অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ায় সুন্দর জীবন এবং পরকালের চিরস্থায়ী সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

আঠারোর নিচে বিয়ে নয়, তবে…

মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছরই থাকছে। তবে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬’ শীর্ষক আইনের খসড়ায় বিশেষ ধারায় ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বা ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়ের ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ বিবেচনায় বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না বলে উল্লেখ আছে।

এই বিশেষ ধারার অপব্যবহার বন্ধে আইনেই ব্যবস্থা থাকবে বলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি আশ্বস্ত করলেও নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের শঙ্কা দূর হয়নি। খসড়াটি খুব শিগগির মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হবে উল্লেখ করে মেহের আফরোজ গত রোববার মুঠোফোনে বলেন, সামাজিক অবক্ষয় রোধে আইনে একটি বিশেষ ধারা থাকছে। তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ বছরই থাকছে। কঠোর আইন হচ্ছে। তবে আইনের খসড়ায় বিশেষ ধারা আছে, তা সত্য।’

সরকারের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার কারণে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। বিশেষ ধারার অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা আছে—এ প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি এ ধারার অপব্যবহার করে, তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে। আর আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। জাতীয় সংসদ ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হবে। আর শুধু আইন তৈরি করলেই হবে না, আইনটি মানার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও প্রয়োজন। সরকার সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আইনের বর্তমান খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার আগেও সরকার বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানাজানি হলে তা সমালোচিত হয়। তখন আইনের খসড়ায় যুক্ত করা হয়, ‘যুক্তিসংগত কারণে মা-বাবা বা আদালতের সম্মতিতে ১৬ বছর বয়সে কোনো নারী বিয়ে করলে সেই ক্ষেত্রে তিনি “অপরিণত বয়স্ক” বলে গণ্য হবেন না।’ খসড়া আইনটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বরে যে অনুশাসন দেন, তাতে বলা হয়, ‘বিয়ের বয়স ১৮, তবে পিতা-মাতা বা আদালতের সম্মতিতে ১৬ বছর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সামাজিক সমস্যা কম হবে।’
বর্তমানে আইনের যে চূড়ান্ত খসড়া, তাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো বিশেষ কারণে প্রতিবন্ধী কোনো মেয়ে বা সামাজিক জটিলতার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যেসব ক্ষেত্রে আর কোনো পথ নেই, সেসব ক্ষেত্রে বিশেষ ধারা প্রযোজ্য হবে। বিধিতে এ সম্পর্কে বলা থাকবে। মনে রাখতে হবে যে এটি বিশেষ ধারা, সব আইনেই এ ধরনের বিশেষ ধারা থাকে।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা  বলেন, বিশেষ ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়সের কম যে কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে। আইনের বিধিতে বিশেষ কারণ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কারা, সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা থাকবে। সেই বিধি অনুযায়ী বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে আর গণ্য হবে না। তবে নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা বরাবরের মতোই বলছেন, আইনে এ ধরনের বিধান থাকলে সামাজিক সমস্যা কমবে না, বরং বাড়বে।

জটিলতার শুরু: ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৪’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই খসড়ায় নাবালকের সংজ্ঞায় পুরুষ হলে অন্যূন ২১ এবং নারী হলে অন্যূন ১৮ বছরের কথা উল্লেখ ছিল। একই বৈঠকে ১৯২৯ সালের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে ১৮ এবং মেয়েদের ১৮ থেকে ১৬ করা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে।

এ নিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আইনের খসড়া চালাচালি চলে দীর্ঘদিন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন নারী ও মানবাধিকার সংগঠন সরকারকে বিশেষ শর্ত বা ধারা যুক্ত করে মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানায়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম  বলেন, ‘আইনে যদি শেষ পর্যন্ত বিশেষ ধারা বহাল থাকে, তাহলে বলতে হবে আমরা বাংলাদেশের বিদ্যমান ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছি না বা মূল্যায়ন করছি না। বিশেষ কারণ বলে সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত যে যুক্তিগুলো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তা-ও গ্রহণযোগ্য না।’

শিশু আইন, শিশুনীতিসহ বিভিন্ন আইন ও নীতি এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদসহ বিভিন্ন সনদ অনুসমর্থন করে সরকার ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে। শিশু অধিকার সনদে ছেলে ও মেয়ের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ নির্ধারণের জন্য অনুসমর্থনকারী দেশগুলোকে অনুরোধও করা হয়েছে। তাই আইনে ‘বিশেষ ধারা’ সাংঘর্ষিক হবে বলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত। আর এ ধারা সামনে রেখে শুধু ১৬ কেন, এর কম বয়সেও অভিভাবকেরা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেবেন।

বিশেষ ধারা সরকারের কার্যক্রমের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক: দশম জাতীয় সংসদে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহযোগিতায় সংসদ সচিবালয়ে ‘স্ট্রেনদেনিং পার্লামেন্টস ক্যাপাসিটি ইন ইনটেগরেটিং পপুলেশন ইস্যুজ ইনটু ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কার্যক্রমের আওতায় স্পিকার সাংসদদের অংশগ্রহণে ‘বাল্যবিবাহ সাব-কমিটি’ গঠন করেছেন। জাতীয় সংসদ ও ইউএনএফপিএর প্রচারপত্রে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে দেওয়া মানেই একজন ‘শিশু’র বিয়ে দেওয়া। এ ধরনের বিয়ে শিশু অধিকার ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘গার্লস নট ব্রাইড’ স্লোগান সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জেলা ও উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কার্যপরিধিতে বাল্যবিবাহ রোধের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) উদ্ভাবনী উপায়ে বাল্যবিবাহ নিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জিআইইউ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ করেছে, দেশের মানুষ বাল্যবিবাহ জানে না বা সচেতন নয় তা বড় সমস্যা নয়, এখানে মুখ্য সমস্যা জানে, কিন্তু মানে না। তাই এই বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ নিরোধের কৌশল হিসেবে আইন মানানোকে মুখ্য ধরতে হবে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একাধিক নির্দেশনা জারি করেছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক  বলেন, ‘আমরা আমাদের কথা বলে যাব, মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ বছর হবে আর আইনে বিশেষ ধারা বলে কোনো ধারা গ্রহণযোগ্য হবে না।’

 

কর্মজীবনে ঈর্ষার নেতিবাচক ৫ প্রভাব

অন্যকে ঈর্ষা করা- কেবল এই একটি কারণেই অনেকে তাদের পেশাগত জীবনে সফল হতে পারেন না। বেশিরভাগ সময়েই তারা নিজের প্রতিভা ও জ্ঞানের অবমূল্যায়ন করেন, নিজেরা কি সেটা না ভেবে নিজেরা কি নয় সেটা ভেবেই নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করেন। পেশাগত জীবনে সফল ব্যাক্তিরা কখনোই অন্যের মন্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাননা। বরং নিজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে কি করে নিজের প্রতিষ্ঠানকে আরো ভালো কিছু দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করে থাকেন।  ঈর্ষা খুব স্বাভাবিক অথচ বিপদজনক একটি আবেগ যার মুখোমুখি আমাদের প্রতিদিনই হতে হয়। এটাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। কিন্তু দমিয়ে রাখা সম্ভব। সফলতার কঠিন রাস্তায় নতুন পথিকেরা প্রায়ই  ঈর্ষা নামক এই ছোট্ট বিষয়টির কারণে হতাশ হয়ে পড়েন এবং নিজেদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনকে ধ্বংস করে ফেলেন।

নিচে মানুষের কর্মজীবনের ওপর ফেলা  ঈর্ষার কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেওয়া হল-

১. প্রতিযোগিতার মনোভাব কমিয়ে দেয়

ঈর্ষা মানুষের মধ্যে থাকা লড়াকু মনোভাব কমিয়ে দেয়। ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তি সবসময়ই অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে। ফলে তার নিজের কাজের দিকে খুব কম সময়েই মনযোগ দিতে পারে সে। ফলে তার কাজের মান যায় কমে। সেখান থেকে তৈরী হয় নিজের প্রতি হতাশা।  ঈর্ষা ব্যাক্তির চোখের ওপর একটা মিথ্যে আবরণ তৈরী করে। ফলে সে সেই আবরণ ভেদ করে কখনোই নিজের মধ্যে থাকা প্রতিভাগুলোতে খুঁজে বের করতে পারেনা। আর এভাবেই অনেক প্রতিভাবান মানুষ  ঈর্ষার কারণে নিজের কর্মজীবনে হয়ে যায় ব্যর্থ।

২. নিজের প্রতি বিশ্বাস কমিয়ে দেয়

ঈর্ষা মানুষের মধ্যে নিজের ওপরে থাকা বিশ্বাসকে কমিয়ে দেয়। অন্য কারো সাথে নিজেকে যাচাই করার সময় মানুষের মন তিক্ত থাকে আর সেই তিক্ততা খুব সহজেই নিজের ভেতরে তৈরী করে ফেলে নিজেকে নিয়েই নতুন এক তিক্ততা। মানুষ এমন অবস্থায় নিজেকেই ভরসা করতে পারেনা। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে নিজের ওপর।

 ৩. নিজের প্রতিভার অবমূল্যায়ন

ঈর্ষান্বিত মানুষ কর্মজীবনে নিজের চাইতে ভালো কারো সাথে নিজের তুলনা করে এবং সভাবতই হতাশ হয়ে পড়ে। সে ভুলে যায় যে তারও কিছু নিজস্ব প্রতিভা আছে যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই সেও নতুন কোন উপায়ে ঠিক ততটাই ভালো অবস্থানে যেতে পারে যতটা এখন অন্য মানুষটা রয়েছে। অপেক্ষা কেবল তার নিজের ভেতরে থাকা প্রতিভাগুলোর সঠিক মূল্য জানার এবং সেগুলোকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করার।

৪. যোগাযোগের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়

ঈর্ষা মানুষের মাঝে তৈরী করে একধরনের একঘরে মানসিকতার। এসময়  ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তি অন্যের প্রতি জমে থাকা  ঈর্ষার ফলে কারো সাথেই স্বাভাবিক যোগাযোগ বজায় রাখতে পারেনা। ফলে নিজের অজান্তেই সে চলে যায় সমাজ থেকে অনেকটা দূরে।

৫. কাজের গতিবেগ ব্যাহত হয়

ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তির নিজের ও নিজের প্রতিভার ওপর তেমন একটা মনযোগ থাকেনা। তার সব চিন্তা ভাবনা জুড়েই থাকে অন্য সবাই এবং তাদের সাথে নিজেকে যাচাই করে দেখা। ফলে নিজের লক্ষ্য এবং কৌশল সে স্থির করতে পারেনা। আর নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকার ফলে তার কাজের গতিবেগ সবসময়ই ব্যাহত হয়।

লিখেছেন-

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

 

মেজবানি গরুর মাংস রান্না করার রেসিপি !

চট্টগ্রামে বিখ্যাত মেজবানি মাংস আক্ষরিক অর্থেই অতুলনীয় একটা খাবার। যিনি একবার খেয়েছেন, আজীবন তাঁর মুখে লেগে থাকবে এর স্বাদ। তবে হ্যাঁ, মজাদার এই খাবারের “সিক্রেট” রেসিপি কিন্তু বাবুর্চিরা দিতে চান না। তাই ঘরেই যতই রান্না করুন না কেন, ঠিক যেন বাবুর্চির হাতের স্বাদ মেলে না।

 

চিন্তা নেই, এখন থেকে আপনার রান্না মেজবানি মাংসও হবে ঠিক বাবুর্চিদের মতই। কেননা আমি নিয়ে এসেছি সেই দারুণ সহজ রেসিপি। এই রেসিপিতে আপনি সহজেই আনতে পারবেন সেই অসাধারণ সুস্বাদ।

উপকরণ

গরুর মাংস ২ কেজি (ছোট টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নেয়া)

২ কাপ পেঁয়াজ কুচি করা। ও ১ কাপ পেঁয়াজ বাটা।

তেল ১/২ কাপ (সয়াবিন + সরিষার)

আড়াই টে চামচ আদা বাটা

দেড় টে চামচ রসুন বাটা

১ চা চামচ করে শাহি জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া।

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

ঝাল বিহীন স্পেশাল শুকনা মরিচ গুঁড়া ৩-৪ টে চামচ বা পরিমান মতো (আমি এখানে কাশ্মিরি শুকনা মরিচ গুঁড়া ব্যবহার করেছি। এটায় ঝাল কম হয়ই বাট কালার টা অনেক সুন্দর হয়। চট্টগ্রামে ব্যবহার করা হয় মিষ্টি মরিচ গুঁড়া। )

৮-১০ টা কাঁচা মরিচ (বা নিজের পরিমাণ মতো)

১ টে চামচ চিনি

৩/৪ টা তেজ পাতা।

৪/৫ টা ভাজা আলু (ইচ্ছা। আপনি খেতে চাইলে দিতে পারেন)

মেজবানি মাংস স্পেশাল মশলা

২-৩ টা এলাচ,

২ টুকরা দারচিনি (১” সাইজ),

৪-৫ টা লবঙ্গ,

১/৮ পরিমাণ জায়ফল,

১/২ চা চামচ জয়ত্রি,

গোলমরিচ ৫-৬ টা,

১/২ চা চামচ পোস্তদানা সব একসাথে পানি দিয়ে বেটে পেস্ট করে নিতে হবে।

প্রনালি

  • -পেঁয়াজ কুচি, চিনি ও তেজপাতা ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সাথে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে
  • -একটা পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও তেজ পাতা দিয়ে হালকা লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।
  • -ভাজা হয়ে গেলে এবার মাখান মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। ৪-৫ মিনিট।
  • -এবার বেশি করে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। ১ ঘণ্টার মতো।
  • -রান্না করার সময়ই ঢাকনা টা ভালো করে সিল করে নিতে হবে।
  • -হয়ে গেলে নামানর আগে ভাজা আলু দিয়ে দিন।

 

মনে রাখুন

  • -সব মশলা ভালো করে পেস্ট করতে হবে।
  • -মাংস ভালো করে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে।
  • মাংসের পিস ছোট ছোট হতে হবে।
  • -সবচেয়ে জরুরি রান্নার পাত্রের ঢাকনা অবধাকনা ভাল করে সিল করে নিতে হবে। ও অল্প জ্বালে রান্না হবে।

 

নাহিদার ‘আইটি সলিউশন’

কিন্তু শুরু করতে গিয়ে হোঁচট খান। কে দেবে টাকা? নিজের গয়না বন্ধক রেখে ৬০ হাজার টাকা ঋণ করেন স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। দুটি কম্পিউটার দিয়ে প্রথম মাসে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে বেশ ভালো আয় হয়। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি নাহিদা পারভীনকে।

নাহিদা পারভীন নিজে তথ্যপ্রযুক্তির ছাত্রী নন, তবু এ খাতের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। নিজেই গড়ে নেন দক্ষ প্রযুক্তিবিদ। তাঁর প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দুটি কাজ করছে। একটি আউটসোর্সিং এবং অপরটি প্রশিক্ষণ। তিনি বলেন, শুধু বাইরের গ্রাহকদের ওপর নির্ভরশীল না থেকে তিনি স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করছেন।

নাহিদা পারভীন জানান, আইটি সলিউশনের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার পাশাপাশি প্রতি মাসে জেলা প্রশাসকের সহায়তায় একটি করে কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কর্মশালাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রোগ্রামিং আড্ডা’। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকেরা অংশ নেন।

প্রতিষ্ঠান থেকে যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই সব বিষয়ে আউটসোর্সিংয়ের প্রচুর কাজ আসে। সেই কাজগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে করা হয় বলে নাহিদা পারভীন জানান।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচিগুলোর অংশীদার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পায় আইটি সলিউশন। ২০১৪ সালে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা হিসেবে ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক থেকে স্বীকৃতি অর্জন করেন নাহিদা।

গত তিন বছরে আইটি সলিউশন থেকে হাজারখানেক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরিয়ে নিজেরাই আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছে। ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ উন্নত মানের একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে নাহিদার।

 

নারীর জন্য এক টুকরো আশ্রয়

তবে এই প্রতিবেদক সেখানে থাকতে থাকতেই আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে উত্তরা থেকে এলেন জেসমিন আক্তার। তিনি এখানে থেকে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি সহায়তা চান। এখানকার খোঁজ কীভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি লেখা পড়ে জেনেছেন। জেসমিন বলেন, হকারের কাছ থেকে ধার করে প্রতিদিন তিনি পত্রিকাটি পড়েন।

আরিফা নাজনীন বললেন, প্রতিদিন কাজের খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারীরা রাজধানীতে আসেন। তাঁদের অনেকেরই কোনো থাকার জায়গা নেই। এতে অনেক সময় তাঁরা খারাপ মানুষের খপ্পড়ে পড়েন। নানা রকম ঝামেলায় জড়িয়ে যান।

২০১২ সালের জুলাই মাসে মূলত দরিদ্র নারীদের আবাসিক সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রকল্পটি চালু হয়। তবে দরকার হলে যেকোনো অবস্থার নারী এখানে থাকতে পারেন। মায়েদের সঙ্গে শিশুরাও থাকতে পারে।

প্রকল্পের আওতায় প্রথম পাঁচ দিন বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়া যায়। এরপর কিছু ফি নেওয়ার নিয়ম আছে। তবে এখনো কারও কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। এর আগে একজন টানা চার মাস থেকে গেছেন। পুষ্টিহীনতার শিকার অথবা গর্ভবতী কোনো নারী থাকলে তার জন্য বাড়তি পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রকল্পের হিসাব বলছে, শুরু থেকে গত জুন পর্যন্ত প্রায় ১২০০ নারী এখানে আশ্রয় পেয়েছেন। গৃহকর্মী ও নির্যাতিত নারীই বেশি। পারিবারিক কলহের কারণে অনেক বিত্তশালী নারীও এখানে থেকেছেন।

এদের দুটি হেল্পলাইন ফোন নম্বর আছে: ০১৯৫৫৫৯০৬৪৬ এবং ০১৭৯০২২০৯৬৮। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এখানে ফোন করে নারীরা থাকার সুযোগ চাইতে পারেন। প্রকল্পের আওতায় নারী ও শিশুদের আইনি সহায়তা, মনোসামাজিক কাউন্সেলিং ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।

খাদিজা বেগম, পাখি আক্তার, আনোয়ারা বেগম ও রিনা আক্তার বিভিন্ন সময়ে এখানে থেকেছেন। প্রকল্পের দপ্তর থেকে নম্বর নিয়ে তাঁদের ফোন করলে তাঁরা বললেন, এমন ব্যবস্থা নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সহায়ক। খাদিজা আক্তার এখানে নিজেও ছিলেন। আবার চিকিৎসার জন্য মাকেও রেখেছিলেন। আনোয়ারা বেগম স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে এখানে এসেছিলেন। পরে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ স্বামীকে ডেকে বিবাদ মিটিয়ে দিয়েছেন। খাদিজা ও আনোয়ারা রাজধানীতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।

রাজধানীতে মাঠপর্যায়ে কারিতাসের ২৭ জন কর্মী আছেন। তাঁদের মাধ্যমেই মূলত নারীরা এ আশ্রয়ের খোঁজ পান। সম্পূর্ণ অপরিচিত হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁদের রাখা হয়। তবে পরিচিত কারও মাধ্যমে এলে জিডি লাগে না।

একজন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা রক্ষী এই নিরাপদ নিবাস পাহারা দেন। লিলি হালদার তিন বছর এখানে রান্নার কাজ করছেন। তিনি বললেন, রান্না করতে ভালো লাগে। তবে স্বামীর সঙ্গে যাঁদের সমস্যা, তাঁরা না খেয়ে কান্নাকাটি করেন। তখন তাঁদের বারবার খাবার খেতে বলতে হয়। মাঝেমধ্যে এটা তাঁর ভালো লাগে না।

এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সাদামাটা। ঘরদোর যথেষ্ট ঝকঝকে তকতকে না। আরিফা নাজনীন বললেন, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ তাঁরা নতুন ভবনে উঠে যাবেন। তখন এই নিবাসের সুযোগসুবিধাও বাড়বে।

 

পা ফাটা ঠেকাতে ঘরোয়া সমাধান

শীত আসছে। সবাই এ সময় ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকেন। তবে পায়ের গোড়ালির দিকে নজর একটু কমই থাকে। এ সময় অনেকের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। যাঁরা এ বিড়ম্বনায় পড়তে চান না, তাঁরা একটু বাড়তি যত্ন নিতে পারেন।

শুষ্ক মৌসুম আর আর্দ্রতার ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়। পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে তা সারাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। পা ফাটা সারানোর উপায়গুলো জেনে নিন:

মোমবাতির মোম: মোমবাতির মোমের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা সেরে যাবে।

গ্লিসারিন ও গোলাপজল: গোলাপজলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

তিলের তেল: পা ফাটা সমস্যা সমাধানে তিলের তেল দারুণ কার্যকর। পায়ে তিলের তেল মাখলে পা ফাটা দূর হয়।

ভ্যাসলিন ও লেবুর রস: ভ্যাসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটা দ্রুত সেরে যায়।

মধু-পানি: এক কাপ মধু আধা বালতি গরম পানিতে মিশিয়ে এতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পা ফাটা দূর হবে। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

 

‘মেয়ের’ বিয়েতে আমির

ভারতের হরিয়ানার কুস্তিগির মহাবীর সিং ফোগাতের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে দঙ্গল ছবিটি। সেখানে দুই মেয়ে গীতা ও ববিতাকে কুস্তির প্রশিক্ষণ দেন মহাবীরের চরিত্রে অভিনয় করা আমির খান। যে মেয়েটিকে নিয়ে ছবির গল্প, সেই গীতার বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন এই বলিউড তারকা।
হরিয়ানার বাবালি গ্রামে কুস্তিতে সোনা জিতেছিলেন গীতা ফোগাত। গত রোববার তাঁর বিয়ে হয়ে গেল। গীতার বাবা, বাস্তবের মহাবীরের নেমন্তন্ন পেয়ে সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন আমির খান, সঙ্গে দঙ্গল ছবির পুরো দল। দঙ্গল ছবির প্রস্তুতির সময় আগেও ওই গ্রামে গিয়েছিলেন আমির। সে সময় মহাবীরের পরিবারের সঙ্গে বেশ সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। তাই গীতার বিয়ের নেমন্তন্ন ফেলতে পারেননি তিনি। ইচ্ছা ছিল, উপহার হিসেবে কনের বিয়ের পোশাকটি তিনিই দেবেন। কিন্তু ঐতিহ্য অনুযায়ী গীতা তাঁর বিয়ের পোশাকটি পেয়েছেন মামার কাছ থেকে। আমির নিয়েছিলেন ঝুড়িভর্তি ফল। এ ছাড়া ফোগাত পরিবারের উদ্দেশে তিনি উৎসর্গ করেন দঙ্গল ছবিটি। এ প্রসঙ্গে আমির বলেছেন, ‘গীতার বিয়েতে ওর পরিবারকে দঙ্গল ছবিটি উপহার দিলাম।’
দঙ্গল মুক্তি পাবে ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ। ছবিতে গীতা ফোগাতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাতিমা সানা শেখ। এ ছাড়া মহাবীরের আরেক মেয়ে ববিতার চরিত্রে সানিয়া মালহোত্রা ও স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাক্ষী তানোয়ার।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

রূপচাঁদা ভুনার রেসিপি

আজকে আপনাদের জন্য থাকছে রূপচাঁদা মাছ ভুনার রেসিপি। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই মাছটি আপনার খাদ্যতালিকায় থাকা মানে আপনার প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার অনেকটা সম্পূর্ণ। চলুন তবে শিখে নেই-

উপকরণ : মাছ ১টা বড়, পেঁয়াজ বাটা ৩টি, আদা (বাটা) ১৫ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৪-৫টা, শুকনা মরিচ (গুঁড়া) এক চা চামচ, পাতিলেবুর রস ২ চা চামচ, গরম মসলা আন্দাজমতো, ঘি আন্দাজ মতো, লবণ আন্দাজ মতো।

প্রণালি : মাছ ধুয়ে তাতে লবণ, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়া, লেবুর রস, আদা বাটা দিয়ে মেখে রাখুন, কড়াইতে দুই টেবিল চামচ তেল দিন। তেল গরম হলে দারুচিনি দুই টুকরা দিয়ে দিন, মাখা মাছ কড়াইয়ে দিন কিছুক্ষণ পর উল্টে দিন। কাঁচামরিচ ছড়িয়ে দিন। মাছের দুদিক ভাজা হয়ে গেলে গরম মসলা গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। ৫ মিনিট পর ঘি দিয়ে নামান।

 

পেটের মেদ কমাতে রাতে যা খাবেন

পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন অনেকেই। সহজেই এটি জমে যায় ঠিকই, তবে সহজে এটি দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। গবেষকদের মতে, পেটে মেদ জমার অনেক কারণ আছে। তলপেটে জমা গ্যাস, রাতে দেরি করে খাওয়া, কার্বোনেটেড পানীয়, কোনো দৈহিক কসরত না করা, ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং কম ঘুম কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে আপনি যদি মনস্থির করেই থাকেন মেদ কমাবেন, তাহলে একটু সতর্ক হোন। খাদ্য তালিকায় কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখুন। বিশেষ করে খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফল ও শাক-সবজি রাখুন।

রোজ এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয় এবং পেটে যেন কম গ্যাস সৃষ্টি হয়, একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের আবর্জনা দূর হয় এবং মেদ জমতে পারে না। তবে প্রতিদিন রাতে ভারি খাবার কম খেয়ে কিছু ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে কমে যাবে অস্বস্তিকর তল পেটের মেদ।

আনারস :
আনারস এমন এক ফল, যা পেটের মেদ কমাতে কাজ করে। এর ফলে ক্যালোরির মাত্রা কম। এটা শরীরের হজম পদ্ধতিতে সাহায্য করে এবং মেদও ঝরায়।

পেঁপে :
পেঁপেতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এতে যে এনজাইম থাকে তা হজমে সাহায্য করে এবং ফ্যাট ভাঙতে পারে, যার ফলে ওজন কমে। রোজ পেঁপে খেলে ১০ দিনে কোমরের মাপ কমবেই।

আপেল :
আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। আপেল খেলে এমনিতে বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায়। রোজ আপেল খেলে মেদ বাড়ে না এবং ভুঁড়িও কমে।

আঙুর :
আঙুরও বেশ পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি দেয়, কারণ আঙুর হজম ধীর করে দেয়। আঙুরের রস আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। এতে দিনে প্রায় ১০ পাউন্ড অবধি খাবার খাওয়া কমাতে পারে।

কলা :
কলায় এমন কিছু এনজাইম আছে, যা হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোজ খাবারে কলা খেলে মেদ কমানোতে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়।

এ্যাভোকাডো :
প্রচুর ফাইবার আছে এ্যাভোকাডোতে। এটি খেলে চট করে খিদে পায় না। মোনো-স্যাটিউরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সাহায্য করে পেটের অংশে জমা মেদ কমাতে।

তরমুজ :
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এছাড়া আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি। ওজন কমাতে এটা অন্যতম সেরা উপায়। প্রতিদিনের খাবারে তরমুজ খান, দেখবেন ওজন কেমন কমে।

 

অফিস মিটিংয়ে যা করবেন না

অফিসে মিটিং শুনলেই অনেকের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। সারা সপ্তাহের কিংবা মাসের কাজের জবাবদিহিতা দিতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় নানাভাবে। তার মাঝেও থাকে নানা সমস্যা। বসের মনের অবস্থা থেকে রাস্তার পরিস্থিতি সবকিছুকে মাথায় রেখেই আপনাকে অফিস মিটিংয়ে বসতে হয়। এর পরেও আপনার করা ছোটখাটো ভুল আপনার কাজের কৃতিত্ব যেমন নষ্ট করে দিতে পারে, তেমনই আপনার ইমেজেরও বারোটা বাজাতে পারে। তাই অফিস মিটিংয়ের আগে কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ দিন আর আপনার আশপাশেও রাখুন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।

কথা বলা
অযথা বেশি কথা বলবেন না। বিশেষ করে মিটিংয়ের সময় কাজের কথা বাদে কোনো কথা বলবেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময়ের ক্ষেত্রে মিটিং শেষে কথা বলুন। মিটিংয়ের পুরো সময় নিজের কাজের প্রতি দৃষ্টি রাখুন। আপনার বলা কথায় আপনার পাশের মানুষটির সমস্যা হতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে আপনারও। যার ফল আপনার নেগেটিভ ইম্প্রেশন।

সঠিক সময়
মিটিংয়ের দিনে বাড়ি থেকে হাতে সময় নিয়ে বের হবেন। যাতে আপনাকে মিটিংয়ের মাঝে পৌঁছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। হাতের কাজ আগের দিন গুছিয়ে নিন। নিজেকে প্রস্তুত রাখুন মিটিংয়ে ভালো কিংবা মন্দ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে।

অভ্যাস
মিটিংয়ের আগে নিজের সঙ্গে নিজের কিছুটা সময় হাতে নিয়ে কথা বলা ভালো। এতে আপনার মুখের জড়তা কেটে যাবে। নয়তো দেখা যায়, আপনি মিটিংয়ের সময় কথা বলতে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছেন এবং ভুল হচ্ছে। এতে আপনি যেমন নিজের ওপর থেকে কনফিডেন্স হারাচ্ছেন তেমনি অন্যরা হচ্ছে বিরক্ত। তাই মিটিংয়ের আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুটা অভ্যাস করে নিন।

কথা শেষ না হতেই কথা বলা
আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই অভ্যাসটি আছে। বসের কথার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে তার কথা শেষ না হতে নিজের কথা বলতে শুরু করা। মিটিংয়ের সময় এই কাজটি ভুলেও করবেন না। আপনার বস আপনাকে কী বলতে চাচ্ছেন- তা আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন, এরপর তাকে উত্তর দিন। খেয়াল রাখবেন উত্তর যাতে যুক্তিযুক্ত হয়।

বসের সঙ্গে তাল মেলানো
আপনি জানেন আপনার কাজ ঠিক কিন্তু বস বলছে এতে ভুল আছে। সেই ক্ষেত্রে বসই ঠিক। তার কথা শুনে তার মনের মতো করে কাজটি আবার করে তাকে দেখিয়ে নিন। তাকে ভুল প্রমাণ করতে যাবেন না। তাহলে সেটা আপনার জন্যই বিপদ। তাই আপনার কাজগুলো বসের মত অনুযায়ী করুন।

অফিসের কাজের ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করুন। আপনি যে কাজটি করছেন, তা অন্যদের থেকে কীভাবে ভালো করা যায়- তা নিয়ে ভাবুন। দেখবেন আপনি আপনার কাজে যেমন সফলতা পাচ্ছেন, তেমনই কাজ করে আনন্দও পাচ্ছেন। তাই কাজকে ভালোবাসুন এবং সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলকেও।

 

গলদা চিংড়ি-পোলাও রাঁধবেন যেভাবে

গলদা চিংড়ির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে অনেকের। গলদা চিংড়ির মালাইকারি, দোপেঁয়াজা কতভাবেই না রান্না করে খাওয়া হয়। কেমন হবে যদি আস্ত গলদা চিংড়ি আর পোলাও একসঙ্গেই থাকে? সেরকমই একটি রেসিপি হলো গলদা চিংড়ি-পোলাও। চলুন শিখে নিই-

উপকরণ : পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, নারকেলের দুধ (গরম) ১৫০০ গ্রাম, বেরেস্তা পরিমাণমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গলদা চিংড়ি ৮টি, বিরিয়ানি মসলা ১ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, টক দই ৪ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, লবঙ্গ ২টি।

প্রণালি : পোলাওয়ের চাল ভালোমতো ধুয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার কাপড়ে রেখে বা পানি ঝরিয়ে নিন। গলদা চিংড়িগুলো ভালোমতো ধুয়ে একটি বাটিতে রাখুন। চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, টক দই, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও লবণ দিয়ে ভালোমতো গলদা চিংড়িসহ পোলাও এর চাল মেশান। ৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন মাখা মাখা হলে গরম অবস্থাতে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

বোন যখন বন্ধু

যাদের বোন নেই, তাদের অনেকেই নিজেকে হতভাগ্য মনে করেন। শাসন আর স্নেহের এক আশ্চর্য মিশ্রণ রয়েছে এই সম্পর্কের ভেতরে। বড় একজন বোন থাকলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতেই পারেন, হাজার দুষ্টুমির পর মা-বাবার বকুনি থেকে সেই আপনাকে বাঁচাবে। যার কাছে প্রশ্রয় মেলে, নির্ভরশীলতা মেলে, মনের লুকানো হাজারটা কথা বলার একটু ফুসরত মেলে, সেই আমাদের বোন।

অনেকের একটি ধারণা রয়েছে, বন্ধু সবসময় বাইরের কেউ হয়। আসলে ব্যাপারটি ঠিক নয়। বন্ধু যদি কেউ হয়, তবে তা হতে পারে সবার আগে পরিবারেই। বন্ধু হতে পারে এক বোন আরেক বোনের। এবং তা হয়ও। সবসময় কাছাকাছি থাকা হয় বলে হয়তো বোঝা যায় না। কিন্তু সারাদিনের অজস্র গল্প আপনি বোনটির সঙ্গেই ভাগাভাগি করতে পারছেন, রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে জেগে উঠেছেন আর পরক্ষণেই আপনার মনে পড়লো, আমার বোন তো আমার পাশেই রয়েছে- এই নির্ভরতা, এই ভালোবাসার সম্পর্কটিই বোনের সম্পর্ক।

একত্রে থাকা হয় বলে মাঝে মাঝে হয়তো তুচ্ছ কারণেই ঝগড়া বেধে যায়। লিপস্টিকের দখলদারিত্ব নিয়ে ঝগড়া, সেখান থেকে হয়তো কথা বলা আর মুখ দেখাদেখিই বন্ধ! এই ঝগড়াও মধুর, এই স্মৃতিই আনন্দের। পরবর্তীতে যখন একজন আরেকজনকে ছেড়ে দূরে থাকবেন, তখন টুকটাক স্মৃতিই আপনাকে হাসাবে-কাঁদাবে।

কাউকে ভালো লেগেছে বা কারো প্রেমে পড়েছেন? সর্বনাশ! মা জানলে নিশ্চয়ই রক্ষা নেই। এক্ষেত্রেও আপনার ভরসা আপনার বোনই। কাকে ভালো লেগেছে, কেন ভালো লেগেছে সবটাই এক নিঃশ্বাসে যার কাছে বলে ফেলতে পারবেন, তার নাম বোন। এক্ষেত্রে বোনের কাছ থেকে সাহায্য কিংবা কানমলা যেকোনো একটা অবশ্যই আপনি পাবেন।

আমাদের রক্তের বন্ধনগুলো আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েই পৃথিবীতে আসে। তাই বোন নামের মধুর বন্ধনটি বন্ধুত্বের মায়ায় জড়িয়ে আরো দৃঢ় করতে পারেন। অবশ্য আলাদা করে বন্ধুত্ব তৈরির দরকারও পড়ে না। কারণ বোন তো জন্ম থেকেই বন্ধু!

 

ঘরের দেয়াল রাঙানোর আগে

ইদানীং অন্দরসজ্জায় দেয়ালে ছবি আঁকার বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ অনেকে অন্দরসজ্জার এই বিষয় বেশ ব্যয়বহুল মনে করেন৷ আপনার আঁকার হাত ভালো হলে নিজের দেয়ালটা কিন্তু নিজেই সাজাতে পারেন। বার্জার হোম অ্যান্ড ডেকরের রং বিশেষজ্ঞ এফ এম হেলাল উদ্দীন জানালেন কীভাবে দেয়াল রাঙাবেন, তার পদ্ধতি৷

১. সামনে কোনো আসবাব নেই। পুরোটাই ফাঁকা—ছবি আঁকার জন্য এমন দেয়াল বেছে নিন। কারণ, ছবি যে দেয়ালে আঁকবেন, তার সামনে আসবাব থাকলে পেইন্টিংটা ভালোভাবে ফোকাস হবে না৷
২. পুরোনো দেয়ালে ছবি আঁকতে চাইলে তা ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
৩. যে রঙে রাঙাতে চান, দেয়ালের ওপর সেই রঙের একটা প্রলেপ বসান।
.৪. দেয়ালের বেসটা গাঢ় করতে চাইলে যে রং লাগাবেন, পরপর তিনবার সেই একই রঙের প্রলেপ দিন।
৫. যদি গাঢ় রঙের দেয়াল হালকা রঙে রাঙাতে চান, তাহলে এক কোট প্লাস্টিক পেইন্ট ব্যবহার করুন।
৬. ঘরের দেয়ালটা ছোট হলে পেইন্টিংয়ে খুব বেশি রঙের ব্যবহার না করাই ভালো৷
৭. এখন অনেকেই দেয়ালচিত্রে নানা ধরনের প্রপসের ব্যবহার করেন৷ খেয়াল রাখবেন, তা যেন পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়৷

Save

Save

 

নিজের লক্ষ্যের কথা গোপন রাখবেন যে কারণে

আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন, আমরা প্রকৃত ধনী ব্যাক্তিদের জীবন সম্পর্কে তেমন কিছুই কিন্তু জানি না। আমরা তাদের অনেক কার্জকর্মই মেলাতে পারি না। কেন একজন প্রাইভেট প্লেনের মালিক যার কিনা অপূর্ব কোন দ্বীপে নিজস্ব ভিলাও আছে তিনি কেন পুরোনো পোশাক পরেন? আমরা হয়ত ভাবি তাদের এধরণের কাজের কারণ তারা অনেক লোভী অথবা তারা লুকিয়ে বেড়ান যাতে কেউ তাদের ট্রাক করতে না পারেন। কিন্তু বাস্তব কারণ ভিন্ন।
 
প্রকৃত সফলতা মানুষ এমনিই দেখতে পায়। সফল ব্যক্তিত্ব তা দেখিয়ে বেড়ান না। অযথা ঈর্ষা তৈরি করা, শত্রুর হাতে নিজেই অস্ত্র তুলে দেওয়া এগুলো নিশ্চয়ই কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তাই না? নিজের লক্ষ্য, অবস্থান সবসময় নিজের কাছেই রাখা উচিৎ। আসুন জেনে নিই কারণগুলো-
 
নির্বিঘ্ন পথ
আপনার আশেপাশে অনেক শত্রু থাকতে পারে। তারা হয়ত বন্ধুর বেশেই আপনার কাছাকাছি থাকছে সারাক্ষণ। আপনার লক্ষ্যের কথা আপনি যদি সবাইকে জানান তাহলে আপনার শত্রুরা বুঝে ফেলে কোন পথে আপনার ক্ষতি করা সম্ভব! নিজের লক্ষ্য অর্জনের পথকে নির্বিঘ্ন রাখতে হলে নিজের মত কাজ করে যান। অপরকে জানানো জরুরি নয়, নির্ধারিত কৌশলনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিশ্রম করা জরুরি।
 
চিন্তার মৌলিকতা
আপনার চিন্তা, বুদ্ধি একান্তই আপনার নিজস্ব। ধরুন, একটা ব্যবসার আইডিয়া এল আপনার মাথায়। সেটা আপনি অনেকের সাথেই শেয়ার করলেন। তাদের কেউ একজন আপনার আইডিয়া চুরি করে আপনার আগেই ব্যবসা খুলে ফেলল এবং আপনার আইডিয়াকে নিজের বলে প্রচার শুরু করল। এই ঝুকিতে কেন যাবেন? তার চেয়ে বরং নিরবে কাজ করে যান।
 
দৃঢ়তা
আপনার লক্ষ্য আপনার জীবনকে পরিচালিত করে। অন্যরা এব্যাপারে মতামত দেবেন, পরামর্শ দেবেন, আলোচনা-সমালোচনা করবেন এই বিষয়গুলো আপনার আত্মবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। পরামর্শ নিন, কিন্তু সেই ব্যক্তির কাছ থেকে নিন যিনি যোগ্য। জনে জনে পরামর্শ নেওয়ার কোন মানে নেই। নিজের উপর আস্থা রাখুন এবং সেটাই করুন যেটা আপনি করতে চান। এজন্য যত বেশী সম্ভব সমালোচনা বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী এড়িয়ে চলুন।
 
অন্যকে বোঝানো আপনার কাজ নয়
আপনি কী চান, আপনার স্বপ্ন কী, কীভাবে আপনি সেই পথে ধাবিত হচ্ছেন তা অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা করে সময় নষ্ট করবেন না। আপনি যদি ব্যবসায়ী হতে চান এবং আপনার একজন বিনিয়োগকারীর প্রয়োজন হয় তাহলে শুধু তাকেই বুঝিয়ে বলুন। ��ন্যদের বোঝাতে চাওয়া আপনার সময় নষ্ট করবে, আপনাকে বিভ্রান্ত করবে একইসাথে লক্ষ্য অর্জনে পশ্চদপদতা তৈরি করবে।
 
বোবার কোন শত্রু নেই
আপনার হয়ত কোন শত্রু কখনো ছিল না। আপনি নিপাট ভদ্রলোক। কিন্তু যখনি মানুষ জানবে আপনি বিশেষ কিছু করতে যাচ্ছেন তখনি একদল মানুষ তৈরি হবে যারা এর থেকে সুবিধা নিতে চাইবে। আরেকদল মানুষ তৈরি হবে যারা আপনাকে অতিক্রম করতে চাইবে। তাই, অযথা নিজের পরিকল্পনা অপরকে জানানো বন্ধ করুন।
 
মনে রাখবেন-
* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুখী ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করার মাঝে কোন বিশেষত্ব নেই।
* একইসাথে নিজের হতাশাও সবার কাছে তুলে ধরার কিছু নেই। কেউ আপনার সমস্যা সমাধান করে দেবেন না।
* অন্যের স্বীকৃতি ছাড়া যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না তারা দূর্বল চরিত্রের অধিকারী। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন।
* আপনার সাফল্য অন্যকে প্রমাণ করে বোঝানোর কোন অর্থ হয় না।
 
গুরুজনরা তাই বলেন, “If you want to avoid the envy of others, love silence.”
 
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

গোরস্তানে গিয়ে যে ৫টি কাজ করা নিষিদ্ধ

এক. কবরে সিজদা করা

কবরে সেজদা করা হারাম এই বিষয়ে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আর এই হাদিসগুলি একজন মানুষের সামনে থাকলে সে কখনো এই ধরণের কাজ করতে পারে না। একটি হাদিসে এসেছে, হযরত জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবীদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি। [মিশকাত ৬৯]

 

দুই. কবরে পুষ্পস্তাবক অপর্ন করা

এই বিষয়ে একটি হাদিসে এমন পাওয়া যায় যে, একদিন নবী (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি ইরশাদ করলেন যে, এই উভয় কবরে আযাব হচ্ছে আতঃপর তিনি খেজুরের একটি তাজা ডাল এনে দুটি কবরে পুতে দিলেন এবং তিনি ইরশাদ করলেন, আশা করা যায় যতদিন এই ডাল শুকাবে না ততদিন আযাব কিছুটা লাঘব হবে। দাফন কাপরের পরে কবরে পানি ছিটিয়ে দেয়া জায়েয আছে কিন্তু ফুল ছিটিয়ে দেয়া সুন্নতের পরিপন্থী। কবরে আগর বাতি জালানো বিষিদ্ধ ও মাকরূহ। [আপকে মাসায়েল ১/৩১৬]

 

তিন. কবরে চাদর চড়ানো

হাদিসে দেয়ালে চাদর চড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ তাতে বাহ্যিকভবে তাতে খারাবীর কিছু নেই। শিরকেরও কিছু নেই। অথচ কবরে চাদর চড়ানো তো গায়রুল্লাহকে সম্মানের মান্তর। তাই কবরে চাদর চড়ানো জায়েয নেই। [আহসানুল ফাতাওয়া ১/৩৭৮]

 

চার. কবরে টাকা দেয়া

মাযারে যে কাটা দেয়া হয় এই দ্বারা যদি এই উদ্দেশ্য থাকে যে গরীবকে সাহায্য করা তাহলে দেয়া জায়েয আছে। আর যদি মাযারে মান্নত করার কারণে দিয়ে থাকে তাহলে তা নাজায়েয ও হারাম

 

পাচ. কবরবাসীর কাছে কিছু চাওয়া

কোন মাজারে গিয়ে এই কথা বলা যে, হে অমুক! আমার জন্য দোয়া করুন যেন আমার কাজটা হয়ে যায় অথবা এই কথা বলা যে কবর থেকে বের হয়ে এসে ইসলামকে সাহায্য করুন। অথবা এই ধরণের কোন শব্দ ব্যবহার করা বা ডাকা মাকরূহ। এছাড়া যদি তার আকীদা গলত হয় অর্থাৎ কবর ওয়ালাকে আল্লাহর কাজের হস্তক্ষেপের অধিকারি মনে করে ডাকে তাহলে হারাম হবে। [ইমদাদুল আহকাম ১/২২৩]

 

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

হালকা শীতের পোশাক

সূর্যের তেজ কমতে থাকলেই ঠান্ডা বাতাসটা গায়ে লাগে। খুব বেশি শীতল নয়। তারপরও শীতের আগমন বলে কথা। একটু উষ্ণতা পেলে মন্দ হতো না। তবে শীতে জবুথবু হয়ে থাকার মতো পোশাকের প্রয়োজনও এখনো পড়েনি। পাতলা কাপড়ের তৈরি, স্টাইলেও আনবে ভিন্নতা—এমন পোশাক দেবে বাড়তি আরাম। বাজারে এখন বিভিন্ন নকশার ও কাপড়ের তৈরি এমন পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। নকশার পাতায় তারই এক ঝলক।

চাইলে পুরো হাতার, লম্বা কাটের শ্রাগও পরতে পারেন। তবে পাতলা কাপড়ের তৈরি হলে পরে আরাম পাবেন। গেঞ্জি কাপড় অথবা দু-তিন ধরনের কাপড়ের মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে হালকা শীতের পোশাকগুলো। ছবির শ্রাগটি সিঙ্গেল জার্সি নিট দিয়ে তৈরি করা। কামিজ কিংবা পাশ্চাত্য পোশাকের ওপরে পরা যাবে অনায়াসে। পলিস্টার উলের তৈরি হাফহাতা টি-শার্ট। যাঁরা পুরো হাতা পরতে চান না, তাঁদের জন্য আদর্শ। উলের পরশ থাকায় কিছুটা ওমও পাবেন।

পাতলা সুতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে টি-শার্ট দুটি। হালকা শীতের জন্য আদর্শ।

মডেল: হৃতিকা ও তানহা পোশাক: আরবান ট্রুথ, আইকনিক ও জেন্টাল পার্ক ছবি: সুমন ইউসুফদাওয়াতে সিল্কের তৈরি এ ধরনের স্টাইল শাল পরতে পারেন। জমকালো ভাব নিয়ে আসবে দাওয়াতের লুকে। জিনস, টাইটস কিংবা সোজা কাটের প্যান্ট বা পালাজ্জোর সঙ্গে ভালো লাগবে।

শীতকালে জিনস পরে আরাম পান অনেকেই। জিনসের তৈরি টি-শার্ট স্টাইল ও আরাম দুটোই দেবে। গেঞ্জি কাপড়ের তৈরি পুরো হাতার সাদা রঙের টি-শার্টও বেশ নজরকাড়া।

Save

Save

Save

Save

Save

 

ঘর পরিষ্কার

ঝেড়ে-মুছে সব ঝকঝকে। ঘরের কোথাও কোনো ধুলা নেই। কোনো দাগও নেই। শহুরে জীবনে চাইলেও বাসাবাড়ি এমন পরিষ্কার রাখা যায় না। বাড়িতে সহায়তাকারী না থাকলে অফিস শেষে প্রতিদিন সবকিছু হয়তো গুছিয়ে রাখাও সম্ভব না। বাড়ি পরিষ্কার রাখার ছোটখাটো কিছু পদ্ধতি আছে। ঘরবাড়ি প্রতিদিন নিয়ম করে পরিচ্ছন্ন রাখা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে কিছু সহজ উপায় জানা থাকলে ঝটপট এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাসায় ফিরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন, সেটিই যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে কীভাবে হবে? সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্য চাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরদোর। এ নিয়ে কথা হলো রাজধানীর সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরস বিভাগের প্রভাষক তাসমিয়া জান্নাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই। এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে অনেক এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ১৯৪০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পারডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মারভিন ম্যান্ডেলার মতে, শিল্প-বিপ্লবের পর থেকেই যেহেতু প্রতিনিয়ত আমাদের ঘরে-বাইরে কাজ করতে হয়। তাই সবকিছু সামলে নিয়ে পরিপাটি থাকতে হলে আমাদের প্রাত্যহিক কাজে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।

ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার সহজ টিপস

* দরজা-জানালা কিংবা শোকেসসহ সব ধরনের কাচ ও থাই গ্লাস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে লাগবে পানিতে ভেজা এক টুকরো স্পঞ্জ বা ফোম। পানির সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ভিনেগার বা অ্যামোনিয়া মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার পুরোনো পত্রিকার পাতা ভিনেগার আর পানির মিশ্রণে ভিজিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন—কাচের চকচকে ভাব ফিরে আসবে। তবে সুতি কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে হিতে বিপরীত অবস্থা হতে পারে। কাপড়ের সূক্ষ্ম সুতা কাচের গায়ে লেপটে যায়। জানালার কাচে উজ্জ্বলতা আনতে সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন। প্রতি এক গ্যালন পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগারই যথেষ্ট। স্প্রে বোতলে নিয়ে স্প্রে করে পেপার বা সূক্ষ্ম সুতার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

* স্টেইনলেস স্টিল ও প্লাস্টিকের আসবাব ধোয়ার ক্ষেত্রে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিই যথেষ্ট।

* কাঠ, বাঁশ, বেত, হার্ডবোর্ড কিংবা পারটেক্সের তৈরি আসবাব পরিষ্কারে কখনোই পানি ব্যবহার করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে ধুলাবালু দূর করতে শুকনো কাপড় বা মপই যথেষ্ট। মপ মানে, হাতলের মাথায় থাকা গুচ্ছাকার সূক্ষ্ম সুতার দড়িসমেত ঝাড়ু বিশেষ। প্রয়োজনে প্রতি কক্ষে আলাদা আলাদা মপ রাখতে পারেন—খাটের নিচে, দরজার আড়ালে কিংবা বারান্দায়।

* সোফা, খাট, চেয়ার ইত্যাদি আসবাবের পরিষ্কারের জন্য আছে ‘ফার্নিচার ডাস্টার’। দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাঠে পানি পড়লে তা শুকিয়ে নিতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

* মোজাইক বা টাইলস করা পাথুরে মেঝে পরিষ্কার করতে ফ্লোর মপ বা ফ্লোর ব্রাশ ব্যবহার করুন। সে ক্ষেত্রে মেঝে পরিষ্কারক বিশেষ ধরনের সাবান (কঠিন বা তরল-জাতীয়) ব্যবহার করুন, কিন্তু কখনোই ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবহার করা ঠিক না।

* কার্পেট পরিষ্কার করা খুব কঠিন বিষয়ই বটে। এতে সামান্য বাই-কার্বোনেট সোডা ছিটিয়ে একটু ঘষে রেখে দিন ১৫ মিনিট। এরপর এভাপোরেট টুল দিয়ে বা ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দিন। ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ ‘ড্রাই শ্যাম্পু’ও।

* যেকোনো আসবাবের আঁচড়ের দাগ দূর করতে আলু কেটে ঘষুন, বেশ কার্যকর।

* কাঠের তৈরি আসবাব যেমন টেবিল বা বেঞ্চে মার্কার পেনের কালি লেগে গেল, তুলবেন কীভাবে? দাঁত মাজার টুথপেস্ট ব্যবহার করুন, উঠে যাবে।

* বাচ্চার আঁকিবুঁকিতে ঘরের দেয়ালের যাচ্ছেতাই অবস্থা? ভেজা স্পঞ্জ বা কাপড়ে বেকিং সোডা নিয়ে মুছে ফেলুন দেয়ালের যত দাগ।

* মাত্র কিনে আনা বাক্স থেকে খোলা নতুনের মতো রাখতে চান স্নিকার জুতা? টুথপেস্ট দিয়ে ঘষুন।

* সবজি কাটার বোর্ডে লেগে থাকা সবজি আর তা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ দূর করতে চান? লেবু কেটে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। লেবুর সঙ্গে লবণ ও বেকিং সোডাও মিশিয়ে নিতে পারেন।

* ঘর পরিষ্কারের পরপরই ঘর মোছার কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে।

* একটু সুযোগ পেলেই ঘরের কোনায় বা ওপরের দিকে মাকড়সা বাসা বাঁধে। ঝুলজাতীয় কালিও লেগে থাকে তাতে। এসব সহজে পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন সিলিং ব্রাশ। বেশ লম্বা হাতলওয়ালা ঝাড়ুগুলোয় নারকেলের শলাকা বা প্লাস্টিকের নরম আঁশ ব্যবহৃত হয়। আবার চাইলেই এর হাতল ইচ্ছামতো ছোট-বড় করা যায় পাবেন এমন সিলিং ব্রাশ। পাবেন ১৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

* সারা দিনের রান্নায় লাগে এমন মসলা পিষে আগে থেকেই ঢাকা অবস্থায় ফ্রিজে রাখতে হবে। এতে গন্ধ ছড়াবে না এবং অন্যান্য খাবারও থাকবে ফ্রেশ।

* নিয়মিতভাবে সাবধানতার সঙ্গে ফ্রিজ পরিষ্কার করা যায়। প্রথমেই ফ্রিজের সুইচ অফ করে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এবার ভিনেগার বা বাসনকোসন ধোয়ার ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ধুয়ে নিন। তবে কখনোই ফ্রিজের গায়ে সেঁটে থাকা বরফ ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে তুলতে যাবেন না, এতে ফ্রিজের ক্ষতি হতে পারে।

* অনেক সময় পানির কল বা টেপ বিকল হয়ে পড়ে—টেপ খুলতে বা বন্ধ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এ ক্ষেত্রে একটি কাপড় উত্তপ্ত ভিনেগারে ডুবিয়ে পানির কলে জড়িয়ে দিন, সুফল পাবেন।

* সাধারণ ডিটারজেন্ট বা হারপিক দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করতে পারেন। ব্যবহৃত টিস্যু, সাবান কিংবা শ্যাম্পুর মোড়ক ইত্যাদি ফেলার জন্য বাথরুমেই একটি নির্দিষ্ট ময়লার ঝুড়ি রাখতে পারেন।

* ওভেনে খাবার গরম করার সময় অবশ্যই ঢাকনাসহ বাটি ব্যবহার করতে হবে। না হলে ওভেনের ভেতরটা তৈলাক্ত হয়ে যাবে।

* রান্নাঘরে তরিতরকারি কিংবা খাবারের ময়লা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভেজা ও শুকনো ময়লা ফেলার জন্য পৃথক দুটি ময়লার ঝুড়ি রাখুন। ঝুড়ির অভ্যন্তর ভাগ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে নিন—ময়লা নেওয়ার সময় যাতে সেই পলিথিনসহ নিয়ে যায়। নিয়মিত ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করে ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।

* বেসিনের পাশে সব সময় থাকুক হাত ধোয়ার সাবান ও মোছার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে।

* থালাবাসন ধোয়ার পর শুকনো পরিষ্কার ন্যাপকিন অথবা নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে রাখতে হবে যেন দাগ না বসে যায়।

* রান্নাঘরের সিঙ্কটিকে ঝকঝকে করতে হলে অর্ধেক আঙুর, সামান্য লবণ মিশিয়ে একটি স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে নিন।

অন্দরের গাছপালায়ও তো ধুলা জমে। পরিষ্কার করবেন কীভাবে? এ ব্যাপারে পরামর্শ দেন ঢাকার আগারগাঁওয়ের গ্রিন সেভারস নার্সারির প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি। তিনি জানান,

* প্রথমে গাছের মরা পাতা ও ডালপালা থাকলে ছেঁটে ফেলতে হবে।

* ধুলাবালু পড়ে পাতা মলিন দেখাতে পারে। পানি স্প্রে করুন, পাতার ধুলো দূর হবে।

* পরে টিস্যু বা সুতি কাপড়ে নারিকেল তেল নিয়ে পাতা মুছে চকচকে আকর্ষণীয় ভাব ফিরিয়ে আনুন।

* বাজারে লিফ সাইনার নামে একধরনের বোতলজাত তরল পদার্থ পাওয়া যায়। স্প্রে করুন, পাতার চকচকে ভাব ফিরে আসবে। তাতে আবার উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও থাকে। পাবেন পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের বীজ মার্কেটে।

 

যেন মিনি কক্সবাজার

ঢাকার একেবারে কাছে। দোহারের কার্তিকপুরের যে জায়গাটি পদ্মাপাড়ে গিয়ে মিশেছে তার নাম মৈনটঘাট। এখানে ডানে-বাঁয়ে বালু চিকচিক করা স্থলভূমি থাকলেও সামনে শুধু রুপোর মতো চকচকে পানি। এটা পদ্মা, আমাদের প্রিয় পদ্মা নদী। মৈনট পদ্মাপাড়ের একটি খেয়াঘাট। এখান থেকে প্রতিদিন ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে। খেয়া পারাপারের জন্য জায়গাটির পরিচিতি আগে থেকেই ছিল। তবে এখন সেটা জনপ্রিয় বেড়ানোর জায়গা হিসেবেও। এত দিন অনেকটা আড়ালে থাকলেও ঢাকার কাছে বেড়ানোর ‘হটস্পট’ এখন এই মৈনটঘাট। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া মৈনটঘাটের নতুন নাম হলো—মিনি কক্সবাজার!
প্রমত্তা পদ্মার হাঁকডাক আগের মতো না থাকলেও যা আছে সেটাই বা কম কী! বিশাল পদ্মার রূপ মৈনটঘাট এলাকায় বিস্ময়-জাগানিয়া। একটু পরপর পদ্মার ঢেউ কূলে আঁছড়ে পড়ছে। খানিক পরপর মাছ ধরার ট্রলার ছুটে চলে যাচ্ছে। তীরে সব ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়। তাঁদের কেউ কেউ মাছ ধরার নৌকা দেখে মাছ কেনার জন্য এগোচ্ছেন। দরদাম ঠিক থাকলে অনেক পর্যটক মাছ কিনে নিচ্ছেন। পুরো নদীর তীর ও তার আশপাশের এলাকা সমুদ্রসৈকতের মতো করে সাজানো। এখানে সকালবেলাটা খুব ভালো কাটে, দুপুর কিছুটা মন্থর, তবে বিকেলবেলা অনেক বেশি জমজমাট। সোনা রোদের গোধূলিবেলার তো কোনো তুলনাই চলে না।
মৈনটপাড়ের দোকানপাটে বেচাকেনা আর পদ্মার জলে ঘুরে বেড়ানো। পদ্মার দুপাশের বিস্তীর্ণ ভূমি আর পদ্মার ঢেউ আছড়ে পড়ার দৃশ্যে আপনার সমুদ্র ঊর্মিমালার কথাই মনে হবে। আপনি হেঁটে হেঁটে চলে যাবেন বহুদূর। এখানে পদ্মার জলে পা ভিজিয়ে গল্প করার মজাই আলাদা!
সরাসরি বাস মৈনটঘাট চলে আসে। যাদের নিজস্ব বাহন আছে, তাদের তো কথাই নেই। বাস বা নিজস্ব বাহন থেকে নেমেই চোখে পড়বে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসা অনেক দোকানপাট। খাবারের দোকান তো আছেই। এসব পেছন ফেলে সামনে গেলেই পাবেন বিশাল পদ্মা। এতটা বিশাল যে ওপারের কিছুই দেখা যায় না, দেখা যায় না ডান-বাঁয়ের কোনো বসতি। এখানে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে। চাইলে ট্রলারে চেপে ওপারের চরভদ্রাসন থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। আবার ঘণ্টা চুক্তিতে ট্রলার বা স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মার বুকে ভেসে বেড়াতে পারেন। যা-ই করেন এখানে সময়টা কিন্তু বেশ কাটবে!

.দরকারি কথা
মৈনটঘাট সারা দিনের ট্যুর। দিনে গিয়ে দিনেই ফেরত আসতে পারবেন। ঢাকার গুলিস্তানের মাজারের সামনে থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস আছে। যমুনা নামের এই বাসটি আপনাকে ঠিক দেড় ঘণ্টায় মৈনটঘাট পৌঁছে দেবে। ভাড়া ৯০ টাকা। তবে দলবেঁধে মাইক্রোবাস নিয়ে গেলে দারুণ একটা পিকনিক পিকনিক ভাব পাবেন। মৈনটঘাট তো অবশ্যই যাবেন। দেখে আসতে পারবেন কোলাকোপা বান্দুরার সব ঐতিহাসিক স্থাপনা, আলালপুর তাঁতপল্লি ও হাছনাবাদ জপমালা রানির গির্জা! খাবার নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। মৈনটঘাটেই রয়েছে ছাপরাঘরের মতো কিছু ভালো রেস্তোরাঁ। একেবারে ঘরের খাবারের স্বাদই পাবেন। বাচা মাছ, চিংড়ি আর পদ্মার ইলিশে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
সচেতনতা
বলা হয় প্রমত্তা পদ্মা। তার আগের সে রূপ না থাকলেও হালকাভাবে নেবেন না। এখন নদীতে গোসল করা নিষেধ। কেউ গার্ডের অবাধ্য হয়ে কিছু করবেন না। পানিপথে যাতায়াতে বা ট্রলারে ঘুরে বেড়ানোর সময় একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সম্ভব হলে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখবেন। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, আপনার বা আপনার ভ্রমণসঙ্গীদের দ্বারা পরিবেশ হুমকিতে পড়ে এমন কোনো কিছু অবশ্যই করা চলবে না। পলিথিন বা প্লাস্টিকের বোতলসহ পরিবেশ বিপন্ন হয় এমন কিছু ফেলে আসবেন না।

Save

Save

Save

 

ঘরেই তৈরি করুন মজাদার চিকেন নাগেটস

চিকেন নাগেটস সববয়সীদের কাছেই প্রিয় একটি খাবারের নাম। বাজার থেকে কেনা নাগেটসগুলো স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন বাজারের মতো চিকেন নাগেটস। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : ৫০০ গ্রাম চিকেন ছোট টুকরো করা, ১ কাপ বাটার মিল্ক, ১/২ চা চামচ হার্ব, লবণ, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ১ কাপ ময়দা, ব্রেড ক্রাম্বস বা বিস্কুটের গুঁড়ো, ২টি ডিম, ২ টেবিল চামচ চিজ।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। বাটার মিল্ক, অল্প লাল মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মাংসে মাখিয়ে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর মিশ্রণটি থেকে মাংসগুলো আলাদা করে নিন। এখন চিকেনের টুকরোগুলোতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, হার্ব ( আপনি আপনার পছন্দমত হার্ব যেমন ওরিগেনো গুঁড়ো, তুলসি গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ময়দা, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, এবং পারমেজান চিজ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। মুরগির টুকরোগুলো ময়দায় গড়িয়ে নিন। তারপর এটি ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বস গড়িয়ে নিন। এরপর চিকেন নাগেটসগুলো গরম তেলে দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন নাগেটস। চাইলে কাঁচা অবস্থায়ও ড্রিপ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।

 

কেমন হবে মা-ছেলের সম্পর্ক

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক মা। মায়ের কোনো তুলনা হয় না। সন্তানের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, তাকে দেখাশোনা, তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা- সব, মায়ের হাতেই হাতেখড়ি। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এই সম্পর্ক সৃষ্টির শুরু থেকেই। মা হাজার ব্যস্ত থাকলেও সন্তানের জন্য থাকে তার অফুরন্ত সময়। মা তার সন্তানকে তার সর্বোচ্চ দিয়ে ভালোবাসেন। তবে সন্তান মাঝে মাঝে তার ব্যস্ততার জন্য মাকে সময় দিতে পারে না। মায়ের জন্য সন্তানের সময় হয়ে ওঠে না। পারিপার্শ্বিক কাজ, স্কুল, কলেজ আর বন্ধুবান্ধব মায়ের সেই অভাব আর সন্তানকে অনুভব করতে দেয় না। তবে কী সন্তানের ভালোবাসা মায়ের থেকে সত্যিই কমে যায়?

সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে মায়ের এই বিষয় নিয়ে কখনো অভিযোগ থাকে না। সন্তান মায়ের কাছে সৃষ্টিকর্তার উপহার। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ছেলে সন্তানের জগৎটা কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেক সময় মায়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, তার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। একটি সময় মা যখন ছিল তখন তার জীবনে দ্বিতীয় কোনো মানুষ ছিল না। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের পাশাপাশি যুক্ত হয় বন্ধু-আত্মীয়সহ কাছের মানুষ। আর এতেই দূরত্ব বাড়ে। ছেলেদের সঙ্গে মায়ের খুনসুটি কিছুটা আগে থেকেই থাকে। মাকে ঘিরেই অনেকের থাকে দুনিয়া। হাজার ব্যস্ত থাকলেও মায়ের জন্য ছেলের মন পোড়েই। মায়ের জন্য তার ভালোবাসা হয়তো প্রকাশিত হতে পারে না, তবে তাই বলে ছেলের মনে মায়ের ভালোবাসা কমে না।

কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। ছেলেরা মায়ের চেয়ে বাবার সঙ্গে একটু বেশি খোলামেলাভাবে কথা বলতে পারে। যাতে মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। মা’কে সে সবকিছু আর তখন খুলে বলতে চায় না। যার ফলে দূরত্ব আরো বিশাল হয়। তাদের মাঝে সম্পর্কের ফাটল ধরে।

কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাবা সারাদিন অফিসে থাকে। মা ছাড়া তার আর কোনো সঙ্গী থাকে না। তাই মাকেই সে অবলীলায় বলে ফেলে মনের সব কথা। যার ফলে বড় হয়েও মায়ের সঙ্গে সে বিনা দ্বিধায় যে কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে।

ছেলে বড় হলে নানা কাজে তো ব্যস্ত থাকতে হয়ই, তাই বলে মায়ের জন্য কিছুটা সময় রাখতে ভুলবেন না। মায়ের সঙ্গে সারাদিনের ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়েই গল্প করুন, সম্ভব হলে তার কাজে টুকটাক সাহায্যও করুন। বাইরে থেকে ফেরার সময় মায়ের পছন্দের কিছু একটা কিনে নিয়ে যান। দেখবেন, মুখে কপট রাগ দেখালেও মনে মনে মা কতো খুশিই না হন!

 

ভ্রমণ করুন অপূর্ব হাইতি

হাইতি যেন এই পৃথিবীর বুকে ছোট্ট একটি স্বর্গ। এখানে টারকুইশ ঢেউয়েরা আছড়ে পড়ে সোনালী উপত্যকায়। মেঘ ছুঁয়ে যায় পর্বতের চূড়া। ঘন বনের সবুজ তার সাথে ঘটায় অপরূপ মিতালী। চোখ ধাঁধানো সূর্যাস্ত যে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের অবতারণা করে তার তুলনা হয় না বিশ্বের আর কোনকিছুর সাথে। বিশ্রাম নিতে চান অথবা নিতে চান নতুনের চমকপ্রদ স্বাদ, কোনকিছুতেই আপনাকে হতাশ করবে না হাইতি। আসুন জেনে নিই হাইতির প্রধাণ আকর্ষণগুলো কী কী।

সিতাডেল লাফেরিয়্যা

দূর্গটির অবস্থান পাহাড়ের চূড়ায়। চারদিকে পাহাড়ের সবুজ, আকাশের মেঘ আর তার মাঝে প্রাচীন এই দূর্গটি এক মোহনীয় আবহের তৈরি করে। এটি নির্মাণের কারণ ছিল ফরাসী আগ্রাসন থেকে হাইতি অঞ্চলকে রক্ষা করা। হাইতির সেই সময়ের শক্তির পরিচায়ক দূর্গটি এখন হাজারো পর্যটকের আকর্ষণস্থলে পরিণত হয়েছে। রাতে দূর্গের আলোকসজ্জা ভিন্নভাবে আকর্ষণ করবে আপনাকে। এই দূর্গ ভ্রমণ একইসাথে আপনাকে ইতিহাস, রাজনীতি, প্রাচীন ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। সাথে দেবে প্রকৃতির অপার শান্তি।
বাসিন ব্লিউ
হাইতির জ্যাকমেল পাহাড়ের একটি জলপ্রপাতের নাম বাসিন ব্লিউ। প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিপূর্ণ অপূর্ব একটি ট্রেইল ধরে আপনি পৌছে যাবেন বাসিন ব্লিউতে। সেখানে কাটিয়ে আসতে পারেন চমৎকার একটি দিন। জলপ্রপাতের জলধারা তৈরি করেছে একটি একটি ছোট্ট পুকুর। টারকুইশ নীল রঙ সেই পুকুরের। তার মাঝে সাঁতার কাটা, ভেসে বেড়ানোসহ সবই করতে পারবেন আপনি। জায়গাটি খুবই নিরাপদ। তাই নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারবেন সবটুকু সৌন্দর্য্য, যেভাবে আপনি চান সেভাবেই।
ক্যাথেড্রাল নর্টে ডেম ডি কেপ হাইতিয়ান

ক্যাথলিক এই ক্যাথেড্রালটির অবস্থান কেপ হাইতিয়ানে। সুন্দর এবং শান্তিময় একটি জায়গা এটি। কলোনিয়ান শহরটি ঘুরে এসে বিশ্রাম নিতে পারেন এখানে। চার্চের সামনে ছোট্ট পার্কটিও প্রশান্তি দেবে আপনাকে। দালানটির সাদা দেয়াল যে বহু বছরের ইতিহাস তুলে ধরে। ঝকঝকে শান্তিময় চার্চটির নির্মাণশৈলীও প্রশংসার দাবি রাখে। ভেতরে এবং বাইরে উভয়দিকে চমৎকার কারুকার্য এবং সার্বিক কাঠামো যে কোন পর্যটককে বাধ্য করে একবার থমকে দাঁড়াতে।
লাবাদি
লাবাদি একটি বেসরকারি বন্দর। এর মালিক রয়াল ক্যারাবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ক্রুজ কোম্পানি। সানন্দে এক সপ্তাহের ট্যুর পরিকল্পনা করে  বেড়িয়ে আসতে পারেন এখানে। শুভ্র বালির বিচ, স্ফটিক স্বচ্ছ পানি এই এলাকাকে করেছে মনোমুগ্ধকর। সমুদ্রকে উপভোগ করার সমস্ত আয়োজনই রয়েছে এখানে। বিশ্রাম নিতে পারবেন, ঘুরে বেড়াতে পারবেন, শপিং করতে পারবেন স্থানীয় নানান দ্রব্যাদি। আর নীল সমুদ্রে সাঁতরে বেড়ানো, ডাইভিং, প্যারাগ্লাইডিং তো থাকছেই।
সান সৌচির প্রাসাদ

রাজা হেনরি ক্রিসটোফের প্রাসাদ ছিল এটি। কথিত আছে তিনি দাস থেকে রাজা হয়েছিলেন। ১৮৪২ সাথে ভূমিকম্পে প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে যায় কিছুটা। ঐতিহাসিক ভবনটি প্রাচীন সৌন্দর্য এবং জ্ঞানের ভান্ডার। একে প্রায়ই তুলনা করা হয় ফ্রান্সের ভার্সাইলিস প্রাসাদের সাথে। প্রাচীন এই ভবনটির বিস্তৃত সিঁড়ি শুরুতেই মুগ্ধ অভিভাদন জানাবে আপনাকে। এরপর এর বিশাল জানালা, অভ্যন্তরীণ সজ্জা, ভবনের সামনে বিস্তৃত বাগান সবকিছুই আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে রাজার রুচিবোধের সাথে। প্রাসদটির সামনেই রয়েছে বড় একটি ফোয়ারা। আর স্থির মূর্তিগুলো যেন প্রাসাদকে পাহারা দিতে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।

 

হাইতির প্রধাণ আকর্ষণ এর সমুদ্র। পাহাড়, জলপ্রপাত সবকিছুই হাইতিকে দিয়েছে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক অবয়ব। ইতিহাস যুক্ত হয়ে যেন পূর্ণতা পেয়েছে হাইতি। ছোট্ট দ্বীপটি তাই বছরের পর বছর আকর্ষণ করে চলেছে পর্যটকদের।

 

আবারো বিজ্ঞাপনে কেয়া

দীর্ঘদিন পর বিজ্ঞাপনে কাজ করলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাবরিনা সুলতানা কেয়া। তাকে এবার দেখা যাবে কোকোলা পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ বিস্কুট`র নতুন বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে।

কাজী ইলিয়াস কল্লোলের পরিচালনায় আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) থেকে বিজ্ঞাপনটির শুটিং শুরু হয়েছে উত্তরার একটি শুটিং বাড়িতে।

নতুন বিজ্ঞাপন নিয়ে কেয়া বললেন, ‘বিজ্ঞাপনটির চিত্রনাট্য খুব সুন্দর। তাই কাজটি করতে রাজি হয়েছি। আর কল্লোল ভাইয়ের সঙ্গে আমি এর আগেও অনেক কাজ করেছি। যে কারণে তার সাথে আমার বোঝাপড়াটাও ভালো। সবমিলিয়ে বেশ ভালো একটি বিজ্ঞাপন হতে যাচ্ছে বলে আশা করি।’

জানা গেছে, কোকোলা পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ বিস্কুট’র এই নতুন বিজ্ঞাপনটির প্রচার এই মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমদিকে শুরু হবে।

এদিকে সম্প্রতি ‘শিরোনামে তুমি’ নামের একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কেয়া। এখানে তিনি চিত্রনায়ক সাইমনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করবেন।

 

ইসলামে বাড়াবাড়ি করার প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা

হিজরি সালের ৬ষ্ঠ বৎসরের জিলকদ মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় রওয়ানা হন। ওই সময় মক্কা ছিল কাফেরদের দখলে। ফলে তারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথীদেরকে মক্কায় প্রবেশে বাধা প্রদান করেন। যা ছিল অত্যন্ত বাড়াবাড়ি।

পরে অনেক আলাচনার পর সন্ধি হলো- পরবর্তী বছর সপ্তম হিজরিতে এসে তারা ওমরা পালন করবেন। সে অনুযায়ী সপ্তম হিজরিতে বিশ্বনবি ও তাঁর সাথীগণ ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে রওয়ানা হন। কিন্তু সাহাবাদের আশংকা হলো যে, মক্কার মুশরিকরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আক্রমণ চালায়; সে সময় নীরবতা পালন করা মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর হবে না।

যেহেতু জিলকদ মাস যুদ্ধবিগ্রহ থেকে মুক্ত থাকার চার মাসের মধ্যে একটি। সেহেতু মুসলমানগণ অত্যন্ত বিচলিত ছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন-

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ১৯০নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন যে, কেবল ওই সব কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবে; যারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে উদ্যত হয়। আর কোনোভাবেই বাড়াবাড়ি করা চলবে না। অর্থাৎ এ যুদ্ধে নারী, শিশু এবং এমন বৃদ্ধকে হত্যা করো না; যে যুদ্ধে কোনো প্রকার অংশ গ্রহণ করেনি।

অনুরূপভাবে গাছপালা বা ফসলাদি জালিয়ে দেয়া এবং কোনো লক্ষ্য ছাড়াই পশু হত্যা করাও বাড়াবাড়ি বলে গণ্য হবে। যা থেকে বিরত থাকতেই আল্লাহ তাআলা বিধি আরোপ করেছেন। (ইবনে কাসির)
তাছাড়া ইসলামে যুদ্ধের হুকুম হলো- ইসলাম শুধু ওই সব মানুষের সঙ্গে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে, যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। আর যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে না বা সাধারণ জনগণ, তাদের সঙ্গে যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।

নিরাপরাধ মানুষের ওপর বোমাঘাত, নিরাপদ শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এবং তাদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস ও অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করার বিধান মানবতা ও ইসলামী যুদ্ধ নীতির সম্পূর্ণ বিরোধী। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে জনপদ ধ্বংসের মতো বাড়াবাড়ি করতে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন। যারা এ ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন না। আর আল্লাহ যাদেরকে পছন্দ করেন না, তাদের পরিণাম ভয়াবহ। (মাজহারি)

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথীগণের ওমরা পালনের সময় যারা তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে; তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার ঘোষণা ছিল এ আয়াতে। নিজেদের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানো ও বাড়াবাড়ি করার নিষেধাজ্ঞাও ছিল এ আয়াতে।

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াত-

পরিষেশে…
সর্বোপরি কথা হলো- আল্লাহর কাজে যারা পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন-ব্যবস্থার সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাদের প্রতিরোধ করা ইসলামে সুস্পষ্ট নির্দেশ। আর দুনিয়ার বস্তুগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ বা বাড়াবাড়ি করা যাবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াত থেকে অযথা কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ির শিক্ষা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর জমিনে তাঁর বিধান কায়েমের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও সাধনা করার এবং সমাজে তা বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

শীতের আগে পরিবর্তিত খাদ্য তালিকা

শীতের হাওয়ার লাগলো নাচন, আমলকির ঐ ডালে ডালে। শীতের আগাম বার্তা চলে এসেছে আমাদের সবার কাছে। এক পা দু পা করে চলে এসেছে শীত। তার সাথে সাথে রুক্ষতা আর শুষ্কতা। তবে এতো কিছুর মাঝেও আছে মজার মজার পিঠা আর রঙিন শাক-সবজি। বছরের এই সময়টাতেই পাওয়া যায় নানারকম শাকসবজি। তাই যারা ডায়েটে থাকতে চান তাদের জন্য এই সময়ের চেয়ে মোক্ষম সময় আর কোনোটাই হতে পারে না। তার সাথে সাথে খাদ্য তালিকায়ও আসে কিছু পরিবর্তন। চলুন জেনে নেই সেসব পরিবর্তন।

ফুলকপি, বাঁধাকপিতে ভরে গেছে বাজার। আর এসব সবজিতে আছে ভিটামিন সি, ডি, কে ক্যালসিয়াম এবং লৌহ। এগুলো কিডনি রোগিদের জন্য বিশেষ উপকারী খাবার। তবে রান্নার ক্ষেত্রে এগুলোকে বেশি রান্না করবেন না। এতে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই একটু ভাপে রান্না করে পরিবেশন করুন।

এর সাথে সাথে আছে গাজর। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি ত্বক ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া গাজরে আছে ভিটামিন সি, সাইকোপিন, লুটিনসহ আরো অনেক কিছু।

বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে টমেটো কাঁচা খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ফলিক এসিড লাইকোপিন, ক্রোমিয়াম ও আরও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনসমূহ। তাই খাবার তালিকায় টমেটো রাখুন

এই সময়ের আরো একটি খাবারের নাম মুলা। এটি আপনার শরীরের পটাসিয়ামের যোগানদার। ভিটামিন সি এবং কে ছাড়া এতে আছে অ্যান্টি ক্যানসার উপাদান। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব সবজি রাখা উচিৎ। এসব সবজি মৌসুমি হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই খাদ্য তালিয়ার এসব সবজি রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।

 

চিকেন বারবিকিউ তৈরি করবেন যেভাবে

হালকা শীতের এই সময়টাতে বাড়ির ছাদে অনেকেই করে থাকেন বারবিকিউ পার্টি। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠার পাশাপাশি মুখরোচক এমন খাবার, আনন্দ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ। চলুন জেনে নেই বারবিকিউ চিকেন তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : ১২ টুকরো মুরগির মাংস, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, রোজমেরি ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ৩টা আস্ত লেবুর রস, সরিষার তেল আধা কাপ, গরম মশলা গুঁড়া পরিমাণ মতো।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস ছাড়া সব উপকরণগুলো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মেশানো মশলার সঙ্গে মুরগির টুকরোগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এভাবে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কয়লার চুলোয় ২৫-৩০ মিনিট অল্প আঁচে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর মাংসের টুকরোগুলো উল্টিয়ে দিন। পরিবেশন ডিসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

 

কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন

রূপের এক অবারিত লীলাভূমি কাশ্মীর। এটি ভারতের একটি রাজ্য। যেহেতু কাশ্মীর হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত সেহেতু এটি একটি শীতপ্রধান দেশ। কাশ্মীরেরে শাল পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানকার শীতের সঙ্গে এই অঞ্চলে অবস্থান করা মানুষেরা মানিয়ে নিয়েছে। তবে এতো কিছুর মাঝেও তাদের পোশাকে আছে নানা বৈচিত্র্য। এক এক স্থানের মানুষের চলাফেরা, পোশাক আর তাদের ফ্যাশনে রয়েছে পার্থক্য। যা তাদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যেমন সাহায্য করছে, তেমনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতেও। চলুন জেনে নেই এসব পোশাক এবং এদের ফ্যাশন সম্পর্কে কিছু তথ্য।

ফিরানা
এটি একটি বিশেষ পোশাক। যা কাশ্মীরী মেয়েরা বিয়েতে পরে থাকে। এটি তাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এটি বাহারি রঙের হয়ে থাকে এবং লম্বায় প্রায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত। এটিতে থাকে জরির কাজ, সঙ্গে এম্ব্রয়ডারি এবং লেসের কাজ। পোশাকটিতে রাখা হয় একের অধিক পকেট।

তারাঙ্গা
এই পোশাকটিতে মাথা, কান এবং সারা শরীর আবৃত করা থাকে। এটি বছরের যে কোনো সময় পরা যায়। মাথার পাতলা কাপড়ের অংশটিকে বলা হয় স্কার্ফ এবং তার ওপরে থাকে নানা রঙের মিশ্রনে তৈরি টুপি। যা পেছনের দিকে কিছুটা হেলানো থাকে। এটি শরীরের আকৃতি নিয়ে থাকে। তবে এই পোশাকটি সব সময় পরা গেলেও এটিকে বেশি দেখা যায় হিন্দু বিয়েতে।

ডিজহারুস
এটি মূলত তাদের সাজের একটি নাম। দু’হাতে নানা রঙের চুড়ি এবং সঙ্গে আঙুলে বাহারি রঙের আংটি আর তার সঙ্গে গলায় নানা রঙের গয়না। আর হিন্দু মহিলাদের ক্ষেত্রে তাদের গলায় থাকে স্বর্ণের মঙ্গলসূত্র। যা থাকে স্বর্ণের চেইনের মাঝে। এটি হিন্দু মহিলাদের স্বামীর দেয়া প্রতীক।

বিশেষ পাগড়ি
এটি একটি বিশেষ পাগড়ি। এটি তাদের পূর্বপুরুষের সম্মান বহন করে। এই পাগড়ি পরা হয় রেশমি কাশ্মীরী শালের সঙ্গে। এই পাগড়ি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুসলিমরা পরে থাকে। তবে ফ্যাশনের কারণে হিন্দু, মুসলিম সবার কাছেই এটি জনপ্রিয়। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও এটি তারা মাথায় পরে থাকেন। এটি তাদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। এটি শুধু পুরুষেরা পরে থাকেন।

গুরগাবিস
এটি বিশেষ ধরনের জুতা। ঠাণ্ডায় এটি তাদের পা যেমন রক্ষা করে তেমনই ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও এর জুড়ি নেই। এটি তারা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও পরে থাকে। এটি বিশেষ কাপড়ের সংমিশ্রণে তৈরি জুতা। এটি কাশ্মীরের মানুষদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

 

সুপারমুনে মগ্ন বিশ্ব

১৯৪৮ সালের পর আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল উজ্জ্বলতম চাঁদ। এই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্বের কোটি কোটি চন্দ্রপিপাসু মানুষ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সোমবার পূর্ণিমার রাতে কাছাকাছি এসেছে চাঁদ ও পৃথিবী। সৌর জগতের গ্রহ পৃথিবী ও পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের গড় দূরত্ব তিন লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। আজ সেই দূরত্ব ২৭ হাজার ৮৮৯ কিলোমিটার কমে হয় তিন লক্ষ ৫৬ হাজার ৫১১ কিলোমিটার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, কোনো পূর্ণিমার দিনে পৃথিবী ও চাঁদকে এত কাছে শেষ দেখা গিয়েছিল; প্রায় ৬৯ বছর আগে। সেসময় উভয়ের মধ্যে একটু বেশি দূরত্ব কমেছিল; ২৭ হাজার ৯৩৮ কিলোমিটার। পুনরায় এটি দেখা যাবে ৩০৩৪ সালে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যাওয়া সুপারমুনের ছবি…

supermoon
চন্দ্র চলে এসেছে পৃথিবীর কাছাকাছি। ফের এমন দৃশ্য দেখতে হলে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে চন্দ্র পিপাসুদের। তাইতো আনন্দে বুনো উল্লাস দুই চন্দ্র প্রেমিকের।

supermoon
কাজাখস্তানের বাইকোনুরে সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ভাস্কর্যের সামনের এই দৃশ্য ধারণ করেছেন এক চন্দ্রপ্রেমিক।

Save

Save

 

সাইকেলে চেপে স্কুলে যাই

শিক্ষকেরা বলেন, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনের বারান্দায় যত সাইকেল, সব মেয়েদের। দেখানোর জন্য প্রধান শিক্ষক যাদের সাইকেল আছে, তাদের সাইকেল নিয়ে বের হতে বললেন। বিদ্যালয়ের মাঠে রীতিমতো লম্বা সারি হয়ে গেল। কারও মধ্যে কোনো জড়তা নেই। সবাই স্বতঃস্ফূর্ত-স্বচ্ছন্দ। সাইকেলের সঙ্গে আরও একটি জিনিস বেড়েছে, সেটা হচ্ছে স্কুলব্যাগ। কয়েক বছর আগেও মেয়েরা হাতে করেই বই নিয়ে আসত। বেশির ভাগ মেয়ের সাইকেলে ক্যারিয়ার রয়েছে। বাড়ি যাওয়ার সময় বইয়ের ব্যাগটা থাকে ক্যারিয়ারে। আবার কেউ ব্যাগ ঘাড়ে নিয়েও সাইকেল চালিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সকালে বিদ্যালয়ের রাস্তায় দেখা গেল এক সাইকেলে দুজন করেও উঠেছে। পথে হয়তো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। তার সাইকেল নেই। তাকে ক্যারিয়ারে তুলে নিয়েছে।

কথা হয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি খাতুনের সঙ্গে। দরিদ্র পরিবার। বাবা বেঁচে নেই। মা অভিভাবক। মা তাকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে একটি সাইকেল কিনে দিয়েছেন। মুক্তি জানায়, কিছু টাকা কম পড়েছিল, তার মামা দিয়েছেন। সে বলে, ‘হেঁটে আসতে হলে অনেক সময় লাগে। কোনো দিন প্রথম ক্লাস ধরাই যেত না। আবার ভ্যানে আসতে হলে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ হতো। সময়মতো ভ্যান পাওয়াও যায় না। এখন কোনো ঝামেলা নেই। নিজের খুশিমতো আসতে পারছি।’

একই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির সান্তা খাতুনেরও একই কথা। স্বাধীনমতো চলাফেরা করতে পারছে। সকালে প্রাইভেট পড়ে আবার বিদ্যালয়ে আসতে পারছে। কোনো দেরি হচ্ছে না। একই রকম বক্তব্য অষ্টম শ্রেণির নীলা রানি, চাঁদনী খাতুন ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুনের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আগে মেয়েরা অনেক দূর থেকে হেঁটে কষ্ট করে আসত। তখন রাস্তাঘাটও ছিল না। যখন রাস্তাঘাট হলো, আমরাও মেয়েদের বাইসাইকেল নিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করেছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বেড়েছে। এটা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে।’

পার্শ্ববর্তী বাউসা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন ছাত্রী বাইসাইকেলে চড়ে আসে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী বলেন, অভিভাবকেরা এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। মেয়েরা যে ছেলেদের মতো সব কাজই করতে পারবে, এই আত্মবিশ্বাসটা এই এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

 

আছি অনলাইনে রং নিয়ে

রংই তাদের আনন্দ। রঙের মাঝেই বসবাস। নেশাটাই যখন পেশায় পরিণত হয়, জীবনের আনন্দ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে এই শিল্পীদের খুঁজে পাওয়া যায়। ক্যানভাসে ছবি আঁকা ছাড়াও রং করছেন টি-শার্টে, ফোনের কাভারে, কুর্তায় এমনকি জুতার ওপরেও। অনলাইন, প্রদর্শনীর মাধ্যমেই বিক্রি করছেন এসব পণ্য। ভিন্ন এই পেশায় মেয়েরা বেশ দাপটের সঙ্গেই এগিয়ে আছেন। তেমনই তিনজন নারীর গল্প নিয়ে লিখেছেন রয়া মুনতাসীর

 

অনিন্দ্য ফয়সল খান

সারা রাত ধরে কাজ করেছেন। সকালে তাই একটু দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠা হয়েছে। হাজির হলাম জাকিয়া বিনতে ওয়াহাবের বাসায়। সাদা শার্টের সঙ্গে জিনস পরা। রঙের ব্যবহার যে সুযোগ পেলেই করেন শার্টটা দেখে বোঝা গেল। তুলির রং মোছার জন্য শার্টটা ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ফলাফল বেশ ফ্যাশনেবলভাবেই এসেছে। যে টেবিলটায় বসে কাজ করেন তার পাশের দেয়ালটাও পুরোটাই আঁকা। কোথাও লেখা মনের কথা, কোথাও আঁকা পছন্দের নানা কিছু। কোনো এক রাতে বসে বসে এঁকেছেন। পড়ছেন শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে। আঁকাআঁকির প্রতি ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। কাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মানুষের পছন্দ নিয়ে কাজ করি। আমার পছন্দমতো রং করা কোনো কিছু যে আরেকজন পছন্দ করবে এমন নয়। আমি হয়তো দুই পায়ে জুতার দুই পাটিতে দুই রকম নকশা করি, অনেকে অবাক হয়ে যায়। আমাকে কেউ যখন কাজের ফরমাশ দেয়, তাদের পছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে কাজটা করে দিই।’
জাকিয়া প্রথম থেকেই গতানুগতিক ধারার বাইরে কাজ করতে চেয়েছেন। মুঠোফোনের কাভারে ক্রেতার পছন্দমাফিক ছবি আঁকা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে অন্য জিনিসের ওপরে করা কাজও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তালিকায় আছে হেলমেট, দোতারা, দেয়াল, ফ্যান, সিডি ইত্যাদি। ক্যানভাস তো আছেই। রঙের এই যাত্রায় কাজ শিখতে হয়েছে অনেক। প্রথম দিকে তো রংগুলো বসতেই চাচ্ছিল না। ধীরে ধীরে রং টেকসই করার পদ্ধতি বুঝে গেছেন। অ্যাক্রিলিক নিয়ে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। জাকিয়া মনে করেন রঙের ব্যবহারটা সম্পূর্ণ নিজের ওপর। একটা রঙের সঙ্গে আরেকটা রং মেশানো, নতুন রং পাওয়া খুব ভালো লাগে তাঁর। ফেসবুকের হিজিবিজি পেজে তার আঁকা জিনিসগুলো পেয়ে যাবেন। এই নামটার পেছনের কারণটাও যথার্থ। জাকিয়া একটু এলোমেলোভাবে থাকতেই পছন্দ করেন। কষ্ট হলেও একাই নিজের কাজটা করতে চান। ছোটবেলা থেকে বাবার চাকরির সুবাদে ঘোরা হয়েছে অনেক। ঘুরতে এখনো অনেক পছন্দ করেন। নানা জায়গা, নানা মানুষ, তাদের চরিত্রগুলো নতুন গল্প আঁকার প্রেরণা দেয়।

সারিয়া সাওয়ারো

 

 

প্রিটি শিটির সারিয়া
অ্যাক্রিলিক নিয়ে কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন সারিয়া সাওয়ারো। হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলেন অ্যাক্রিলিক রং ব্যবহারের কারণে ত্বকে সমস্যা হচ্ছে। তাই বলে তো আর রং করা বন্ধ করে দেওয়া যায় না। বেছে নিলেন জলরং ও গোয়াশ পেইন্ট। রং করার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই। মাঝে বেশ কিছু বছর রংতুলির ছোঁয়া থেকে একটু দূরেই ছিলেন। গণমাধ্যমে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাজ্যের লা কর্ডন ব্লু প্রতিষ্ঠান থেকে পেসট্রির ওপর প্রশিক্ষণ নেন। দ্য ফ্লাওয়ারিস্ট নামে একটি বেকারি দোকানও আছে তাঁর। তবে এখন আঁকার ওপরই যেন বেশি ঝোঁক পেয়ে বসেছে। কাজ প্রসঙ্গে সারিয়া বলেন, ‘আমার কাজে পপ কালচার, বিজ্ঞাপন, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো, মানুষের প্রতি আমাদের যে ধারণা বা উপলব্ধি তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।’ সারিয়ার কাজগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে প্রিটি শিটি আর্টের অনলাইন পেজে। এ পর্যন্ত তিনটা একক প্রদর্শনী করেছেন। একটি যৌথভাবে। প্রতিষ্ঠানের নামটা কি একটু অদ্ভুত লাগছে? হেসে জানালেন, প্রথম দিকে করা কাজে রংগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল, তাই প্রিটি। কাজের মধ্যে কিছুটা ভুলভালও ছিল, তাই শিটি। বর্তমানে ওয়ার্ল্ড লিডার এস বেবিস সিরিজ নিয়ে কাজ করছেন। বিভিন্ন দেশের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি মজা করেই ক্যানভাসে আঁকছেন।
সারিয়ার আঁকার কোনো নির্দিষ্ট স্টাইল নেই। এটাই তাঁর স্টাইল। ২০১৪-এ প্রথম প্রদর্শনী করেন। ঢাকাতেই হয়েছিল। এই মুহূর্তে ‘মাই পেট প্রজেক্ট’ নামের ব্যানারের মাধ্যমে টাকা তুলছেন। কেউ চাইলেই তাদের পোষা প্রাণীটির ছবি আঁকিয়ে নিতে পারবেন সারিয়াকে দিয়ে। তাঁর বদলে সারিয়া ডোনেশন চাচ্ছেন। যেটা সরাসরি চলে যাবে ঢাকার বিভিন্ন প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে। অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করেছেন। এর মধ্যেই কিছু টাকা জমা করতে পেরেছেন।
ছবি আঁকার জন্য ব্যবহার করেছেন টোট ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, জুতা, টি-শার্ট, কোস্টার, পোস্টার, গ্রিটিং কার্ড ইত্যাদি। যেগুলো আগে কখনো ভাবেননি সেগুলোই এখন করছেন। প্রিন্ট মেকিং, কাঠ কেটে ব্লক তৈরি করেছেন। অনলাইন ও প্রদর্শনী এই দুই জায়গা থেকেই ক্রেতারা জিনিস কিনতে পারবেন। তবে কারও ফরমাশ অনুযায়ী কাজ করা হয় না প্রিটি শিটি আর্টে।
অনিন্দ্যর ট্রাঙ্ক
বাবা চাইতেন মেয়ে মেডিকেলে পড়বে। ডাক্তার হবে। অনিন্দ্য ফয়সল খান সেই পথেই হেঁটেছেন। তবে মনটা কিন্তু রঙের কাছেই পড়ে থাকত। ছোটবেলায় দু বছর আঁকার প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। বাবা তখন অনুমতি দিয়েছিলেন মেডিকেলে ছবি আঁকার প্রয়োজনেই। পড়াশোনার চাপে এর মধ্যে আর ওপথে যাওয়া হয়নি। বাড়িতেই টুকটাক জিনিসে রং করতেন। কখনো চাদরে, কখনো আবার ফতুয়ায়, কখনো পটারিতে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে বেশ সহায়তা পেয়েছেন। এমবিবিএস সম্পূর্ণ করেছেন। বর্তমানে নিপসমে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ নিয়ে পড়ছেন। থিসিস করার মাঝে মাঝে একটু ফাঁক পেলেই আঁকতে বসে যান। শুক্রবারটা এই কাজ করেই কাটিয়ে দেন। পুরো সপ্তাহের পড়াশোনার জন্য শক্তি পেয়ে যান। মাধুবানী পেইন্টিং, মেক্সিকান ফোক আর্ট পছন্দ করেন। বেশির ভাগ কাজে সেটারই প্রভাব দেখতে পেলাম। ফেসবুকে ট্রাঙ্ক নামে একটি পেজের মাধ্যমে পণ্যগুলো বিক্রি করে থাকেন। তবে পড়াশোনার কারণে অনেক কাজ করা হয়ে ওঠে না।

এ বছর এপ্রিল থেকেই ট্রাঙ্কের যাত্রা শুরু। অনিন্দ্য ফয়সল খান ও লি শান্তা এর উদ্যোক্তা। অনিন্দ্য আঁকেন আর শান্তা নকশার দিকটি দেখেন। অনিন্দ্য বলেন, ‘আমাদের কাজগুলো সম্পূর্ণ হাতের এবং একটু ভিন্ন হওয়ায় দামটা হয়তো বেশি।’ ব্লাউজ, কুর্তা, ক্লিপ ফাইল ইত্যাদির ওপর কাজ করছে ট্রাঙ্ক।

 

সূত্রঃ প্রথম আলো

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

 

চাকরি হারাতে না চাইলে আজই বদলে ফেলুন এই ৩টি বদভ্যাস

ক্যারিয়ারের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার ইচ্ছা থাকে আমাদের সবারই। আমরা চাই অনেক বড় অবদান রাখতে, বড় অংকের অর্থ উপার্জন করতে এবং অবশ্যই অনেক সম্মান পেতে।
 
আপনার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হতে হবে মনোভাবও। অনেক পরিশ্রম করছেন, সময়মত কাজ জমা দিচ্ছেন, সবচেয়ে সুন্দর গোছানো কাজটিই আপনার। তবু সফলতার স্বপ্ন থেকে যাচ্ছে অধরা। হয়ত সব যোগ্যাতা থাকার পরও নিজের আচরণগত ভুলের কারণে পিছিয়ে আছেন আপনি। মিলিয়ে নিন, আচরণগত কোন ভুলগুলো বাধা তৈরি করছে আপনার ক্যারিয়ারে-
 
অযাচিত প্রত্যাশা
আপনার দক্ষতা যেমন আপনি তেমনই ফলাফল পাবেন। দক্ষতা, যোগ্যতার বাইরেও বংশগত কারণে, অভিজাত পরিবার থাকার কারণে বা সুদর্শন হওয়ার কারণে আপনি বাড়তি সুবিধা ভোগ করবেন এমন ধারণা যদি করে থাকেন তাহলে আজই বাস্তব জগতে ফিরে আসুন। এসব কারণে আপনার কোম্পানি, সহকর্মীরা আপনার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, কিন্তু প্রমোশন তারই হবে যে পরিশ্রম এবং মেধা দিয়ে সেটা অর্জন করতে পারবেন।
 
একটি কোম্পানি অবশ্যই কাজে বিশ্বাসী। কাজ অনুযায়ী সম্মানী নির্ধারিত হয়। আপনার কাজের তুলনায় যদি সম্মানী বেশী হয় এবং একই সাথে আপনার মনোভাব এমন থাকে যে কাজের বাইরের অন্যান্য পরিচিতি আপনাকে সফলতা এনে দেবে তাহলে জেনে রাখুন, খুব শীঘ্রই আপনার অবস্থানে আসছেন অন্য কেউ।
 
কাজ না করার মনোভাব
কিছু মানুষ আছেন যারা সবসময় কাজ করার মনোভাব নিয়ে চলেন। নতুন কোন কাজ পেলেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেই কাজটি করে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেন। নিজেকে সামনে তুলে ধরার কোন সুযোগ তারা হাত ছাড়া করেন না। ভেবে দেখুন, আপনার অফিসে যখন রয়েছে এমন একজন মানুষ আর সেখানে আপনি যখন কোন কাজ এলেই এড়িয়ে যেতে চাইছেন তখন কে বেশী চোখে পড়বেন? কার উপর বেশী প্রসন্ন হবেন আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা?
 
এবার নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, চাকরি টিকিয়ে রাখতে বা সফলতা পেতে হলে কী করবেন! আপনি হয়ত ভাবছেন, যে কাজের জন্য আপনাকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না সে কাজ কেন করবেন! অথবা কাজটি করলেও বেতন যা পাচ্ছেন না করলেও একই বেতন পাবেন, তাহলে কেন বাড়তি দায়িত্ব মাথায় নেবেন! অন্যভাবে ভাবুন। নতুন কাজগুলো একেকটা সুযোগ নিজেকে আরো যোগ্য প্রমাণ করার। এমন সুযোগ যতবার আসে ততবার নিন।
 
অপ্রয়োজনীয় আড্ডা
অপর সহকর্মীর সমালোচনা করা, আড়ালে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা, অফিসের কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে দলবেধে অসন্তোষ প্রকাশ করা এই সবই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে দূষিত করে। অফিস পলিটিক্স খুবই ক্ষতিকারক যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য। আপনার প্রতিষ্ঠান এধরণের যে কোন কিছুতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আপনাকে চাকরিচ্যুত করতে পারেন।
 
নিজের কাজ করে যান। সকলের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখুন। শুধু ইতিবাচক বিষয়ে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিন। নেতিবাচক আড্ডা বা অন্যান্য কার্যক্রম এড়িয়ে চলুন সচেতনভাবে। তাহলেই আপনার চাকরি এবং আপনি উভয়ই সুরক্ষিত থাকবেন।
 

 

২৭ বছর বয়সেই বিশ্বভ্রমণ করা প্রথম নারী ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল

নতুন নতুন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেলে কী করবেন আপনি? নিশ্চয়ই ভাবছেন, বেড়িয়ে পড়বেন দিক-বিদিক জয় করতে? কিন্তু স্বপ্নের জীবন হিসেবে ভবঘুরে জীবনকে বেছে নেয় এমন মানুষ খুব কমই আছেন পৃথিবীতে। সবাই চান একটা ছিমছাম সাজানো গোছানো জীবন। শুধু রোমাঞ্চপ্রিয় কিছু মানুষ আছেন প্রকৃতি যাদের টানে চুম্বকের মত, দূর্গমকে পাড়ি দেওয়ার নেশা কেড়ে নেয় যাদের রাতের ঘুম। তারা ছুটতে থাকেন একের পর এক নতুনকে জয়ের নেশায়। তেমনই একজন মানুষ ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল।
 
একজন মানুষ ৫০ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। শুনেই নিশ্চয়ই চোখ চকচক করছে আপনার? আপনি যদি শোনেন ১০০ টি দেশ ভ্রমণের কথা? তাহলে নিশ্চয়ই বিস্ময়ের শেষ থাকবে না আপনার! আর যদি শোনেন বিশ্বের প্রতিটি দেশই ভ্রমণ করেছেন এমন একজন নারীর কথা? অবিশ্বাস্য লাগছে? ক্যাসান্ড্রা হলেন সেই নারী। তিনি অচীরেই সমগ্র পৃথিবী ভ্রমণকারী নারী হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন।
 
৩ বছর ৩ মাসেরও কম সময়ে ১৯৬টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন ক্যাসান্ড্রা। নারী হিসেবে এই রেকর্ড প্রথম তারই। আবার তিনি সবচেয়ে তরুণ ভ্রমণকারীও। তার বয়স মাত্র ২৭ বছর। ইতিমধ্যে তার ভ্রমণ করা দেশের সংখ্যা ১৮১টি।
 
আগষ্টের ২০০৯ সালে তার এই সফর শুরু হয়। সফরসঙ্গী ছিলেন তার ভাই। তারা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ডস এবং চেক রিপাবলিক। এরপর বাকিপথ ভাইকে ছাড়াই এগিয়ে যেতে হয় ক্যাসান্ড্রাকে। ২ বছর তিনি কখনো ট্রেনে ঘুমিয়েছেন, কখনো স্টেশনের মেঝেতে থেকেছেন, কখনো পায়ে হেটেছেন। এভাবেই তিনি ভ্রমণ করছেন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া।
 
তার এই ভ্রমণের নামকরণ তিনি করেছেন এক্সপেডিশান১৯৬। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পিস এর শান্তির রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। ভ্রমণের মাধ্যমেই শান্তির বার্তা পৌছে দেন তিনি। এ পর্যন্ত ভ্রমণে তার খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ডলার। এর বেশীরভাগই স্পন্সর করা হয়েছে।
 
‘আমি একটি অনন্য পথে বেঁচে থাকাকে নির্বাচন করেছি। এমন একটি জীবনধারা গ্রহণ করেছি যেখানে আমি যা চাই আমি তাই করতে পারি, যখন ইচ্ছে করতে পারি এবং তাদেরকেও প্রেরণা দিতে চাই যারা আমার মত জীবন চান’- বলেন ক্যাসান্ড্রা।

 

‘বাহুবলি’ প্রযোজকের বাড়িতে তল্লাশি

ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল, ব্যবসা সফল ও আলোচিত সিনেমার নাম ‘বাহুবলি’। প্রথম পর্বের অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্বের শুটিং কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে মুক্তি পাবে ‘বাহুবলি-২’। কিন্তু এর আগেই দুঃসংবাদ পেলেন ছবির প্রযোজক। কারণ ‘বাহুবলি’র প্রযোজকের অফিস ও বাড়িতে হানা দিল ভারতীয় আয়কর দপ্তর। সূত্রের খবর, বাহুবলি প্রযোজকদের অফিস ও বাড়ি নিয়ে মোট ৩০টি লোকেশনে তল্লাশি চালানো হয়।

গতকাল ছবির প্রযোজক শোবু ইয়ারলাগাড়া ও প্রসাদ দেবীয়ানীর বাড়ি সহ অর্ক মিডিয়ার অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তেলেগু প্রযোজকের মতো, তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়ই আয়কর বিভাগের নজরে থাকে। কিন্তু আয়কর দপ্তর যে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা কেউ ভাবেনি। আয়কর দপ্তরের এক কর্মীর ভাষ্য, তল্লাশি কখন শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। শোনা গেছে, ‘বাহুবলি’র পরিচালক এস রাজামৌলির বাড়িতেও তল্লাশি চালাবে আয়কর দপ্তরের কর্মীরা।

গতবছর বিশ্ব বাজার থেকে ৬৫০ কোটি আয় করে ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। তার মধ্যে ৬০ কোটির নাকি কোন হিসেব নেই। গণমাধ্যম সূত্র মতে, দুই প্রযোজকের অফিস ও বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়  প্রায় ৬০ কোটি রুপির কাছাকাছি ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে পুরনো নোট বাতিল করে কালো টাকা বন্ধ করার অভিযান শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, হয়তো তারই জেরে এই হানা দিয়েছে আয়কর দপ্তর।

২০১৫ সালের ১০ জুলাই মুক্তি পায় ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। ১২০ কোটি রুপিতে তৈরি হয় এই ছবিটি। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি দেয়া হয় ছবিটি। ২০১৫ সালের সেরা সিনেমা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে নেয় ‘বাহুবলি’।

সূত্র: ডেকান ক্রনিকল

 

ইসলামের দৃষ্টিতে শোকসভা পালন করা

আমাদের দেশে বড় বড় লোকেরা মারা গেলে বিভিন্ন জাগায় শোক সভা পালন করা হয়। এই ধরণের শোক পালনের ইসলামে কি কোন বিধান আছে?

কোন মুসলমান মারা গেলে তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা সুন্নত। সেক্ষেত্রে স্বশরীরে হাজরি হওয়া উচতি, সটো না পারলে চিঠির মধ্যমে জানানো যেতে পারে। কিন্তু মানুষ সাধারণত যে ধরণের শোক সভা পালন করে থাকে সটো ইসলাম সম্মত নয়। যার উদ্দেশ্য থাকে প্রচার-প্রসার বা লোক দখোনো মনোভাব। এই ধরণের উদ্দেশ্য নিয়ে শোক সভা করলে তাহবে নিন্দনীয়। [ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ২/২২৫]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

শীতের আগে শোয়ার ঘর পরিষ্কার রাখার উপায়

দেখতে দেখতে চলে এলো শীত। এই সময় আবহাওয়ায় যুক্ত হয় আর্দ্র আর শুষ্ক বাতাস। সেইসঙ্গে রয়েছে ধুলাবালি। চারদিকের এই ধুলাবালি ঘরের ভেতরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট করে তেমনই শরীরকেও অসুস্থ করে ফেলে। আর এই অসুস্থতার জন্য প্রথম জন্মস্থান হতে পারে আপনার শোয়ার ঘর কিংবা বেডরুম। শোয়ার ঘরে জমে থাকা ধুলাবালির কারণে দেখা দিতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ। তাই শীতের আগে একটু নতুন করে সাজানো প্রয়োজন আপনার প্রিয় শোয়ার ঘরটি।
শোয়ার ঘরটি অন্যান্য ঘরের তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে বাড়ির বড়দের যেমন আনাগোনা থাকে তেমনই ছোটদেরও থাকে অবাধ চলাফেরা। আর এই শীত আসার অগ্রিম মুহূর্ত থেকে শুরু করে শীতের পরও থাকে এই ধুলাবালির অত্যাচার। ঘরের সিলিং থেকে শুরু করে আনাচে-কানাচে সব জায়গাতেই থাকে ঝুল আর ময়লা। বিশেষ করে পর্দার পেছনে জমে সবচেয়ে বেশি ধুলা। তাই জানালার বাইরে পাতলা কাপড়ের পর্দা আর জানালার ভেতরে লাগানো উচিৎ ভারি আর গাঢ় রঙের পর্দা। আর সিলিংয়েও দেখা যায় ধুলা। এই ক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন সিলিং ব্রাশ।

বিছানার চাদর, বালিশের কভার নিয়মিত ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। বিছানার জাজিম, তোশক, ম্যাট্রেস ইত্যাদি রোদে দিতে পারেন। এ সময় আসবাবপত্রেও জমে দু-তিন স্তরের ধুলা। এই ধুলা পরিষ্কার না করলে আসবাবপত্রের রঙ যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি কাঠের আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে বার্নিশ নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনি ফার্নিচার ডাস্টার ব্যবহার করতে পারেন। এটি যেমন ব্যবহারে সহজ তেমনি সহজলভ্য।

ফ্লোরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনায় কোনায় ময়লা জমে থাকে। যা পরে নানা রোগ সৃষ্টি করে। তার মধ্যে অ্যাজমা রোগ অন্যতম। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন ফ্লোর মোপ। এটি ফ্লোরের কোনায় পৌঁছে ময়লা পরিষ্কার করে। আর সোফা কিংবা বিছানা কিংবা পর্দার ময়লা পরিষ্কার করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার।

 

গুণে ভরা দুটি শুকনো ফল

ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায় কিন্তু কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, পেস্তাবাদাম- এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাইরের দেশে এগুলো স্ন্যাক্স হিসেবে অহরহ ব্যবহৃত হয়, কিন্তু আমাদের দেশে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু সৌন্দর্য থেকে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন ভিটামিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাট এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টির একটি উচ্চ উৎস। চলুন জেনে নেই আখরোট ও এপ্রিকটের গুণাগুণ-

আখরোট
* আখরোটে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে ৬৮৭ ক্যালরি রয়েছে।
* এতে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩ রয়েছে।
* আখরোট মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগও দূরে রাখে।
* আখরোট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
* আখরোটে রয়েছে অ্যালার্জিক অ্যাসিড যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

এপ্রিকট
* এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-বি৩, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে।
* এপ্রিকটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাট।
* রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে এপ্রিকট। যাদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
* তাদের জন্য এপ্রিকট খুবই উপকারী।
* এপ্রিকটের পেকটিন ও সেলুলোজ পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এপ্রিকট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
* জ্বরের সময় এপ্রিকট পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

ঘরেই তৈরি করুন চিকেন শর্মা

শর্মার স্বাদের কথা সবারই জানা। সুস্বাদু এই খাবারটি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়াভাবেও তৈরি করতে পারেন। চলুন শিখে নেই চিকেন শর্মা তৈরির ঘরোয়া রেসিপি-

রুটির জন্য উপকরণ : ময়দা ৫ কাপ, ইষ্ট ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ২ চামচ গুড়ো দুধ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো, চিনি ২ চা চামচ

পুরের উপকরণ : মুরগির বুকের মাংস ৫০০ গ্রাম স্বেদ্ধ করা ( লম্বা করে কাটা), পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, গাজর,হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম,টমেটো,বাধাকপি লম্বা করে কাটা (৩০০ গ্রাম), মেয়নিস ২ কাপ, টমেটো সস ১ কাপ, সয়াসস ২ চা চামচ, গার্লিক সস ৩ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো, তেল ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : প্রথমে রুটির সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ডো তৈরি করে নিন। রুটির ডো একটি পাত্রে ঢেকে রাখুন ৪ ঘণ্টা। তারপর শর্মার পুরের জন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে সেদ্ধ মাংসের সাথে একে একে সবগুলো উপকরণ (মেয়নিস,গার্লিক সস ও টমেটো সস বাদে) দিয়ে দিন। ৫-৭ মিনিট ভেজে নামিয়ে ফেলুন। অন্যদিকে রুটি তৈরি করে ফেলুন। মাংসের মিশ্রণের সাথে মেয়নিস, গার্লিক সস ও টমেটো সস মাখিয়ে ফেলুন। তৈরি রুটিতে মাংসের পুর দিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে রোল তৈরি করে ফেলুন।

 

যানজটে সময় কাটাবেন যেভাবে

বর্তমানে নাগরিক জীবনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যানজট। সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে রাত, কখনো বা এই যানজট থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ যেন এই যানজট। তবুও এই ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততাও আমাদের সারাদিনের অংশ। তবে এটি কখনো কখনো ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়। স্কুল, ভার্সিটির ক্লাস থেকে শুরু করে অফিসের বসের ঝাড়ি সবকিছুর মূল কারণ বেশিরভাগ সময়েই এই যানজট। তার পরেও এই যানজট নিয়েই আমাদের চলাফেরা করতে হয়। কখনো কখনো এই মানব সৃষ্ট যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে হয়। যা আসলেই কষ্ট কর। তবে এই সময়টাকেও আপনি উপভোগ করতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেই।

গান শোনা
গান সেই পুরানো সময় থেকে মানুষের মনের খোরাক। আপনি অনেক সুখে থাকুন কিংবা দুঃখে, এই গান হতে পারে আপনার সঙ্গী। আর যদি হাতে কোনো কাজ না থাকে তবে তো আর কথাই নেই। আপনার সারাদিনের সঙ্গী হতে পারে আপনার গুণগুণ করা একটি গান। আর এই গান আপনার সবচেয়ে ভালো সঙ্গী আপনি যখন জ্যামে। তিক্ত এই সময়টাকে সুন্দর আর মধুর করে কাটাতে গান শুনুন।

রেডিও
আমাদের ব্যস্ততার জন্য রেডিও শোনা হয়তো সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদিও অবসরে বাসায় থাকলে টিভি দেখা যায়। কিন্তু রেডিও শোনা হয় না। তাই জ্যামে বসে থাকলে আপনি শুনতে পারেন রেডিও। নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান আপনাকে নির্মল বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের গান শোনারও সুযোগ করে দেবে।

বই পড়া
যানজটে আপনার যখন কিছুই ভালো লাগছে না তখন আপনার সঙ্গী হতে পারে বই। তাই যাত্রাপথে সঙ্গে রাখতে পারেন পছন্দের বই কিংবা নতুন বই। ব্যস্ততার জন্য হয়তো বই পড়া হয়ে উঠছেনা আপনার সেক্ষেত্রে জ্যামের এই লম্বা সময় হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। সারাদিন যেই সময়টুকুর জন্য আপনি বই পড়তে পারছেন না সেই সময়টুকু আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই যানজটে।

ফোনে কথা বলা
অনেক দিন কাছের বন্ধুটির সাথে ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে পারছেন না? তাহলে এই যানজট হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। গাড়িতে বসে বিরক্ত না হয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতে পারেন সময়। তবে লক্ষ রাখুন যাতে আপনার পাশে বসা মানুষটি বিরক্ত না হয়।

পর্যবেক্ষণ
অনেকেরই শখ থাকে এটি জানার যে তার আশেপাশের মানুষটির মনে কী চলছে তা জানার। এই ক্ষেত্রে এই যানজটের চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। হাজার ধরনের মানুষের দেখা মিলে এখানে। এখানে একজন করে মানুষকে পর্যবেক্ষণ আপনি করতে থাকলে দেখবেন আপনার মাঝে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

অবৈধ উপায়ে সম্পদ লাভে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা

আল্লাহ তাআলা রোজার বিধান প্রবর্তন করেছেন আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের জন্য। আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের পর আল্লাহ তাআলা মানুষের অর্থসম্পদের পবিত্রকরণ সম্পর্কে বিধান জারি করেছেন। রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় যেমন পানাহার করা হারাম। ঠিক তেমনি হারাম মাল জীবনে কখনো খাওয়া যাবে না। এমনকি হারাম সম্পদ খাওয়ার কোনো সময়সীমা নেই। তাছাড়া চুরি, খেয়ানত, প্রতারণা, সুদ, ঘুষ, জুয়াসহ কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেনই করা যাবে না। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা হারাম ভক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন-

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ

সুরা বাকারার ১৮৮নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা অর্থসম্পদ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এ আয়াতে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যার কাছে অপরের কোনো প্রাপ্য থাকে; কিন্তু প্রাপকের কাছে তার প্রাপ্য অধিকারের (সম্পদের) কোনো প্রমাণ থাকে না।’

ফলে এ দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে ওই ব্যক্তি আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিচারকের মাধ্যমে নিজের পক্ষে ফায়সালা সাব্যস্ত করে এবং এভাবে সে প্রাপকের অধিকার হরণ করে নেয়।

এভাবে সম্পদ ভোগ করা জুলুম ও হারাম। এ কথা সর্বজন বিদিত, আদালতের ফয়সালা জুলুম ও হারামকে বৈধ এবং হালাল করতে পারবে না। এ অত্যাচারী ব্যক্তিরা আল্লাহর কাছে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। (ইবনে কাসির)

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৮৭নং আয়াত

পরিষেশে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অবৈধ উপায় অবলম্বন না করে বৈধভাবে সম্পদ লাভ এবং জীবন-যাপন করার পাশাপাশি অন্যায়, অত্যাচার, সুদ-ঘুষ, চুরি-ছিনতাইসহ সব ধরনের অন্যায় থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

গাজরের হালুয়া তৈরির সহজ উপায়

গাজরের হালুয়া অনেকেরই পছন্দের খাবার। বাজারে এখন গাজরের দেখা মিলছে বেশ। কাঁচা গাজর কিংবা রান্না করে তো খাওয়াই হয়, চাইলে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন গাজরের সুস্বাদু হালুয়া। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : গাজর-দেড় কেজি (কুচি বা গ্রেট করা), চিনি- দুই কাপ, দুধ- ২ লিটার, এলাচ- ৩/৪ টা, দারচিনি- ২/৩ টা, কাজুবাদাম- ১০-১২টা, ঘি- ৩-৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি : প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে কিছুটা ঘন করে নিতে হবে। গ্রেট করা গাজর দুধের মধ্যে দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। মধ্যম আঁচে চুলায় নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না গাজর নরম হয়। এবার চিনি, এলাচ, দারচিনি দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়ুন। দুধ শুকিয়ে আসা পর্যন্ত মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। দুধ শুকিয়ে আসলে অল্প আঁচে ঘি দিয়ে একবার নেড়ে দিন। হালুয়া পাত্রের সাইডে যখন আর লাগবেনা আর সোনালি বাদামি রং হবে তখন নামিয়ে নিয়ে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

স্মৃতি বন্দি ফটোফ্রেমে

স্মৃতি বড় মধুর। তবে এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে চাই সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড়ে পালানো স্মৃতিকে লাগাম লাগাতে চাইলে বন্দি করতে পারেন ফটোফ্রেমে। ইদানিং হাতের মুঠোয় থাকা মুঠোফোনে তোলা আপনার ছবি বা সেলফিগুলো সংরক্ষণের বিষয়টিকে করতে পারেন আরো উন্নত। বন্দি করতে পারেন ফটোফ্রেমে।

জানা যায়, মার্কিন আলোকচিত্রী রবার্ট কর্নেলিয়াস ১৮৩৯ সালে নিজের ছবি নিজে তুলে পৃথিবীর প্রথম সেলফি তৈরি করেন। কিন্তু এ যুগে সেলফি বলতে যা বোঝায় সেই ‘সেলফি’ শব্দটি অস্ট্রেলিয়ার একটি অনলাইন ফোরাম সর্বপ্রথম ব্যবহার করে ২০০২ সালে। এরপর থেকে বিষয়টির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, স্থান পায় অক্সফোর্ড অভিধানে এবং ২০১৩ সালে বর্ষসেরা শব্দের খেতাবও অর্জন করে ‘সেলফি’।

তবে ছবির প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমেনি মোটেও। নিজের ছবি হোক কিংবা প্রিয়জনের তা দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন সবাই। আর এই ছবি দিয়ে ঘর সাজাতে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফটোফ্রেম। তবে ফটোফ্রেমের উপর নির্ভর করে আপনার ছবিটি কতটুকু ফুটে ওঠবে। কোন রুমে কি রঙের ফটোফ্রেম ভালো মানায় তা জানাটাও জরুরি। বড় রুমের ক্ষেত্রে কিংবা শোবার রুমের ক্ষেত্রে আপনি নীল, ধূসর, সবুজ রঙ পছন্দ করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে দেয়ালের রঙ এবং পর্দার রঙের দিকে খেয়াল রাখাটা জরুরি।

ঐতিহ্যবাহী আদলের একটি ঘরে পশ্চিমা ধাঁচের ফটোফ্রেম মোটেও মানানসই নয়। বাড়ির ধরনের উপর নির্ভর করে ফটোফ্রেম পছন্দ করতে হয়। আর বাড়িতে ফটোফ্রেম রাখতে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার সামনে কোন জায়গাটি পড়ছে। লম্বা বারান্দা থাকলে তাতে সারিবদ্ধভাবে রাখতে পারেন পছন্দের ফটোফ্রেম। এক্ষেত্রে ছোট ছোট অনেকগুলো ফ্রেম একসঙ্গে রাখতে পারেন কিংবা চার কোনাকৃত্রির লোহার, মেটালের, কাঠের, বাশের, কাগজের, সিরামিক, কাচ, হার্ডবোর্ডের ফটোফ্রেমও ভালো মানাবে।

দামদর
সব ধরনের ফটোফ্রেমের দাম পড়বে ৬০ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর্চিসে কিছু স্টিলের এবং পাথরের কাজ করা ফটোফ্রেম পাওয়া যায়। দাম ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার মতো। এছাড়া মিডিয়াম মাপের ফটো অ্যালবাম পাওয়া যাবে ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে, একটু বড় সাইজ হলে দাম পড়বে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে।

রেক্সিনের বাঁধাই করা অ্যালবামের দাম পড়বে ১৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। এছাড়া প্লাস্টিকের ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। কাচের ভেতরে সিঙ্গেল সাধারণ ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৩০০ টাকা আর ডাবলগুলো দাম ৫০০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া পাথর বসানো ডিজাইন করা ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। কাচের ওপর স্টিল বসানো ডিজাইন করা ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। আর ডিজিটাল লাইটিং সিস্টেম ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ১ হাজার টাকার মধ্যে।

 

কখন কোন রঙের পোশাক

পোশাকের বেলায় সবার মাথাতেই থাকে রঙের বৈচিত্রের বিষয়। কোন রঙটি বেশি মানাচ্ছে কিংবা যেখানে যাচ্ছে সেই স্থানে ওই রঙে মানাবে কিনা এই বিষয়গুলো নিয়ে থাকে নানা ভাবনা। আর কেনাকাটার সময় শপিংমলসহ নানা জায়গায় একসঙ্গে অনেক রঙে কাপড় আরো বিপদে ফেলে দেয়। তাই জেনে নিন কোথায় কেমন রঙে আপনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

অফিসের জন্য সাদা, ক্রিম, ধূসর, হালকা গোলাপি, স্কাই ব্লু রঙ বেছে নিতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেলে বেছে নিতে পারেন হালকা রঙের পোশাক। এছাড়া হালকা রঙে গাঢ় প্রিন্টও পড়তে পারেন।

উপলক্ষ যদি হয় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটানো, তাহলে পড়তে পারেন সাদা, হালকা সবুজ, হলুদ, ক্রিম কালার কিংবা লাল রঙের কোনও শেড। জাকজমকপূর্ণ পার্টির জন্য হালকা মেরুন, গাঢ় ধূসর, ম্যাজেন্টা, সিলভার, বটল গ্রিন, গ্রাঢ় গোলাপি রঙ ভালো মানাবে।

শীতকালে বেছে নিতে পারেন লাল, হলুদ, উজ্জ্বল সবুজ অথবা নীল রঙ। গরমকালে হালকা রঙটাই সবচেয়ে বেশি উপযোগী। বেছে নিতে পারেন হালকার মধ্যে যে কোন রঙ। যেমন- গোলাপি বা আকাশি।

বর্ষার সময় যে কোন গাঢ় রঙ বেছে নিতে পারেন। এছাড়া বসন্তে বেছে নিতে পারেন গোলাপি, হলুদ, আকাশি বা সবুজ রঙের পোশাক। রাতে যদি কোনো অনুষ্ঠান হয় তাহলে গাঢ় রঙ ভালো মানাবে। গ্লিটার দেওয়া পোশাকও বেছে নিতে পারেন। আর দিনের কোন অনুষ্ঠানে পড়তে পারেন হালকা রঙের পোশাক। সবচেয়ে ভালো মানায় হলুদ, আকাশি, হালকা কমলা কিংবা হালকা গোলাপি রঙের পোশাক।

 

ফ্যাশনে টিকে থাকুক শাড়ি

২০১১ সালে অনাভিলা মিশরা লিলেন শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু বর্তমানে তার মতো শাড়ির ডিজাইনাররা শাড়ির আধুনিকীকরণ নিয়ে যে আরও বেশি কাজ করছেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আলাইজির এবং অনুভা জাইনের ডেনিম শাড়ি, শিভান অ্যান্ড নরেনের বিকিনি শাড়িসহ আরও আছে শাড়ির সাথে অবি বেল্ট, বুটস, জিন্স এবং বক্সি ব্লাউজার। এছাড়াও আছে শাড়ি গাউন এবং সেলাই করা শাড়ি। শাড়ির এমন অবস্থা দেখে মনে হয় একে নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করা দরকার। এমনকি ডিজাইনাররাও এখন শাড়ির দৈর্ঘ্য ছয় গজ করে তৈরি করছেন।

সেলিব্রেটি ফ্যাশন ব্লগার প্রিয়াঙ্কা প্রসাদ ও পায়েল পরিজা ভারতে রেড কার্পেট সংস্কৃতির চর্চা শুরু করেন। এখানে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কিংবা ভারতীয় পোশাকই থাকুক না কেন, এর সাথে চলে আসে পশ্চিমা ভাবমূর্তি। ফলাফল হল শাড়ি যেন এখন আর রেড কার্পেট আইটেম হিসেবে থাকছে না। প্রসাদ বলেন, ‘এতে শাড়ি অতটা অবস্থান হারাচ্ছে না। এখানে ডিজাইনগুলো আরও স্পস্ট এবং বিশ্বজুড়ে উপস্থাপন করার মতো হতে হবে।’

ফ্যাশন সম্পাদক সুজতা অশ্বমূল বলেন, ‘বেশির ভাগ তরুণ নারীদের শাড়ি জিনিসটা সুবিধামতো বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু শিগগিরিই তারা বুঝতে পারে যে এর মতো আসলে কিছু নেই। শাড়ির অন্যান্য ফ্যাশন আইডিয়াগুলো আসলে কোন না কোন ভাবে ঐতিহ্যগত শাড়িকেই টিকিয়ে রাখার ভূমিকা পালন করছে।’

অন্যদিকে ডিজাইনার অনামিকা খাননা বলেন, ‘ঐতিহ্যগত শাড়িকে যুবতী নারীরা একটু অভিনব কায়দায় পরছে। এর মানে এই না যে শাড়ি এখন আর কেউ পছন্দ করে না, এটাকে শুধু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু ডিজাইনাররা এখন তাঁত ও সমাসাময়িক ফ্যাশনের মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।’

 

বেকারত্বের চেয়ে নিম্নমানের চাকরি মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে

বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় একজন চাকরিজীবীর তুলনায় একজন বেকারের অবস্থা খুবই খারাপ – এটাই ভাবা হয় তাইনা? কিন্তু এটি সব সময় সত্যি না। নতুন একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে যে, বেকারত্বের চেয়ে নিম্নমানের চাকরি মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে বেশি। গবেষণাটির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।

গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় অকুপেশনাল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন নামক জার্নালে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলেন, চাকরি না থাকার চেয়ে যারা নিম্নমানের চাকরি করেন (যেমন- উচ্চ চাহিদার কাজ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর কম নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তাহীনতা, প্রচেষ্টার ভারসাম্যহীনতা এবং পুরস্কৃত না করা ইত্যাদি) তাদের এই  ধরণের অভিজ্ঞতা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে বেশি।

সাত বছরের গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয় যে, যদিও চাকরিহীন বেকার মানুষদের মানসিক অবস্থা উল্লেখযোগ্য হারেই খারাপ থাকে চাকরিজীবীদের তুলনায়। তবে যারা খুবই নিম্নমানের চাকরি করেন তাদের তুলনায় বেকার মানুষদের মানসিক অবস্থা উন্নত থাকে। এছাড়াও কম পরিতৃপ্তির কাজ করেন যারা তাদের মানসিক অবস্থা সময়ের সাথে সাথে অবনতি হতে থাকে।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা খুব দৃঢ় ভাবেই এই বিবৃতি দেয় যে, “আমি আমার চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত” এবং “আমার চাকরিটি খুবই জটিল এবং কঠিন”।

গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, কীভাবে কাজের মান কর্মচারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথ রিসার্চ এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক পিটার বাটারওরথ এর মতে, “আসলে বেকার থাকাটা মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক বেশি ক্ষতিকর, কিন্তু বেকারত্ব থেকে সরে নিম্নমানের কাজ নিলে মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার হয় না”।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে যারা চাকরি পাননা তাদের মানসিক অবস্থা যারা নতুন চাকরি পেয়েছেন বা কাজের চাপ বেশি যাদের বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন যারা তাদের চেয়ে ভালো থাকে।

বেকারত্ব কোন মজার বিষয় নয়। যদি আপনার পরিবার আপনার সার্টিফিকেটগুলোকে মূল্যহীন বলেন, তাহলে আপনার কাছে এখন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে যেকোন চাকরি না করার। যে কোন চাকরিই ভালো এটা একটি ভ্রান্ত ধারণা। সাইকোলজিক্যাল ক্ষেত্রে একমত প্রকাশ করা হয়েছে যে, আয় এবং চাকরির নিরাপত্তা সুখের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ভালো একটি কাজ পাওয়া বেকার থাকার চেয়ে অবশ্যই অনেক ভালো। বাটারওরথ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন যে, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে – আপনার চাকরি প্রয়োজন বলে আপনাকে চরমভাবে অসুখি করে তুলে এমন কাজে যোগ দেয়া কখনোই ভালো ধারণা হতে পারেনা।

আসলে খারাপ চাকরি কোনগুলো? বেশিরভাগ মানুষই তার চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। বরং তারা তাদের চাকরিকে অপছন্দ করেন কোন না কোন দিক দিয়ে। Mashable এর মতে, “কোন কাজ ভালো না খারাপ তা নির্ভর করে নিয়ন্ত্রণ, স্বায়ত্তশাসন, চ্যালেঞ্জ, বিভিন্নতা এবং কাজের বিচক্ষণতা ইতাদির মাত্রার উপর। ভালো চাকরির ক্ষেত্রে কর্মীরা থাকে যোগ্য এবং তারা কাজকে উপভোগ করেন। নিম্নমানের কাজের ক্ষেত্রে বিরক্তিকর রুটিন বা কর্মীর দক্ষতার চেয়ে নিম্নমানের কাজ করানো হয়”।

আপনার পিতামাতা বা শিক্ষক হয়তো আপনাকে বলে থাকবেন যে, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। অর্থাৎ যেকোন একটা চাকরি থাকা ভালো, তা সে যত কষ্টকর বা বিপদজনকই হোকনা কেন। কিন্তু যেকোন পদক্ষেপ নেয়ার আগে এটা স্মরণ করবেন যে, মানসিক সুস্থতা শারীরিক সুস্থতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি আপনার বর্তমান চাকরি নিয়ে অসুখি থাকেন তাহলে এখনই সময় তা থেকে বেড়িয়ে আসার এবং নতুন কিছু খুঁজে নেয়ার।

লিখেছেন

সাবেরা খাতুন

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুন প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতে

প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হয়। নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মাদ জোহরা খাতুন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ)।
‘১৩ বছরের কর্মজীবনে আমার মনেই হয়নি যে আমি নারী। মেয়েদের কাজ, ছেলেদের কাজ বলে কোনো পার্থক্য নেই।’ গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের সামনে জোহরা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি এখন বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত-৫, এলেনবাড়ী তেজগাঁও ঢাকা শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কথা বলার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পেশকার আবু সাইদ ও পরিদর্শক শেখ মো. রজিবুল ইসলাম।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজ পরিচালনা করতে হয়। বিআরটিএ থেকে আগেই আদালত বসানোর স্থান নির্ধারিত করে দেওয়া হয়। সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, বাসচালক, মোটরবাইকের চালক সবার দাপ্তরিক কাগজপত্র আছে কি না, তা দেখা হয়। আবার বাসের কতগুলো নির্ধারিত আসন, আর কতজন দাঁড়িয়ে আছেন, মানুষের সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি কি না—সেসব তদারকির মূল দায়িত্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুনের।
জোহরা খাতুন তাঁর একটা অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন । বললেন, এ বছর রোজার সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসে একজন চালক অভিযোগ করেন, সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় এক পুলিশ সদস্য তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এরপর জোহরা খাতুন সেসময়ে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশদের ডেকে দুই দিনের সময় বেঁধে দেন। তাদের বলেন, ওই চালককে খুঁজে বের করে তাঁর টাকা ফেরত দিতে। পরে চালক ওই টাকা ফেরত পান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহুরা খাতুন বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বলে ভিন্নতা নেই। স্বামী ব্যাংকার কাজী মো.গোফরান স্ত্রীকে সব সময় উৎসাহ দেন কাজে। এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে জোহরা খাতুন থাকেন কাকরাইলে। অফিসের কাজ শেষে বাড়িতে ছেলেমেয়েদের সময় দিতে বেশি ভালো লাগে তাঁর।

 

সহজেই তৈরি করুন কাঠি কাবাব

কাবাব খেতে যারা ভালোবাসেন তাদের কাছে বেশ প্রিয় একটি আইটেম হচ্ছে কাঠি কাবাব। রেস্টুরেন্টে গিয়ে অহরহই তো খাওয়া হয়, চাইলে ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু এই খাবারটি। আর তার জন্য খুব বেশিকিছুর প্রয়োজনও নেই। চলুন তবে জেনে নিই-

উপকরণ : মাংসের কিমা ১/২ কেজি (গরু/খাসি), পাউরুটি কুচি ১-২ কাপ (পানিতে ভিজিয়ে চিপে পানি ঝরিয়ে নিন), পেঁয়াজ মিহি কুচি-১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১-২ চা চামচ, সয়াবিন তেল/সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, চিনি ১-২ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, সিরকা ১ টেবিল চামচ।

প্রনালি : একটি পাত্রে ভালো করে সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইতে ছোট ছোট ভাগ করে কাঠিতে লাগিয়ে ছেঁকা তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার খেয়ে দেখুন মজাদার কাঠি কাবাব।

 

কেমন হবে ননদ-ভাবীর সম্পর্ক

সম্পর্কের জালে মানুষ জন্ম থেকেই আবৃত। একটা সময় পরপর শুধু এই সম্পর্কে পরিবর্তন আসে। এক সম্পর্কের পিছুটান ফেলে আরেকটি সম্পর্কের হাত ধরতে হয়। সেইসঙ্গে যোগ হয় আরো কিছু নতুন মুখ। সঙ্গে নতুন পরিবেশ, নতুন সম্পর্ক। আর নতুন সব সম্পর্কের মধ্যে অন্যতম সম্পর্ক হচ্ছে ননদ আর ভাবীর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক যেমন মধুর হতে পারে তেমনি কখনো কখনো হতে পারে তিক্তও! একটি মেয়ে যখন বিয়ের পরে অন্য একটি পরিবারে আসে তখন তার সঙ্গী থাকে তার স্বামী। আর তার পরেই যদি কেউ থাকে, তা হচ্ছে ননদ। যার সঙ্গে সহজেই এই নতুন পরিবেশ সম্পর্কে, আশপাশের মানুষ সম্পর্কে আর তার নিজেকে নিয়ে সে কথা বলতে পারে।

অনেকেরই একটি ধারণা থাকে যে ননদ এবং ভাবীর সম্পর্ক মানে তাতে তিক্ততা থাকবেই। তবে এটি সব সময় হয়ে থাকে না। অনেক সময় দেখা যায় ননদ এবং ভাবীর বয়সের মধ্যকার বয়সের তেমন পার্থক্য থাকে না। সেক্ষেত্রে কিছু সময় পরে তারা একে অন্যের বন্ধু হয়ে যায়। আর যদি বাড়িতে ছোট আরো কোনো ভাই অথবা বোন না থাকে তবে ভাবীর সঙ্গে ননদের সম্পর্ক খুব জলদি গড়ে ওঠে।

কিছু সময় দেখা যায়, বাড়ির ছোট বোনটি সবার আদরের। সেক্ষেত্রে বাড়িতে যখন নতুন কোনো সদস্য যেমন ভাবী আসে তখন তার মনে সেই আদরের জায়গা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। সে চায় যেন সবাই তাকেই ভালোবাসে। তাই সে চায় বাড়ির সবার নজর তার দিকেই রাখতে। আর সেই মুহূর্তে ভাবীর বলা ভালো উপদেশগুলোও তার কাছে খারাপ লাগতে শুরু করে। ফলে তাদের সম্পর্কে শুরু হয় নানা ঝামেলা।

আবার কিছু ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্যের কারণে একে অন্যকে বুঝে উঠতে পারে না। কাকে কী বলতে হবে তা না বুঝে ওঠার জন্য কথায় কথা বেড়ে তা ঝগড়ায় রূপ নেয়। আর তাতে কখনো কখনো ইন্ধন জোগায় আশপাশের মানুষ।

কিছু ক্ষেত্রে আবার ননদ আর ভাবীর সম্পর্ক হয়ে থাকে মধুরতায় পরিপূর্ণ। যারা চাকরি করেন, তারা একে অন্যের কষ্ট কিছুটা হলেও বেশি বুঝতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের মাঝে বোঝাপড়া আর একে অন্যকে সাহায্য করার প্রবণতা বেশি হয়ে থাকে। তাদের মাঝে দেখা যায়, একসঙ্গে কেনাকাটা করা, বাড়ি সামলানো আর বাড়ির ছোটদের সামলানোর ক্ষমতা চলে আসে।

অনেক সময় এটি বোঝাই কঠিন হয়ে যায় যে, তারা কি আলাদা পরিবার থেকে এসেছে, না একই! সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাবীকেও কিছুটা চটপটে হতে হয়। ননদকে বুঝতে হয়। তাকে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করতে হবে। ননদ-ভাবীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে একে অন্যের রাগ ভাঙানোর অপেক্ষায় না থেকে বড়দের এগিয়ে এসে রাগ মিটমাট করিয়ে দেওয়া উচিত।

 

নায়ক নিয়ে আইসল্যান্ডে ববি

চিত্রনায়িকা ববি এখন বরফের দেশ আইসল্যান্ডে। এ কোনো ব্যক্তিগত সফর নয়। নিজের প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘বিজলী’ ছবির গানের শুটিং করতে ইউরোপের চমৎকার এই দেশটির বিভিন্ন লোকেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ববি। সঙ্গে রয়েছেন তার হিরো কলকাতার রনবীর। ফুরফুরে মেজাজে সেখানে চলছে ছবিটির গানের শুটিং।

‘বিজলী’ পরিচালনা করছেন নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরী। আইসল্যান্ড থেকে ফেসবুকে ‘অগ্নি’ ছবির এই নির্মাতা জানান, ‘খুব ভালো শুটিং চলছে। তবে এখানে তাপমাত্রা অনেক কম। সেকারণে বেশ ঠান্ডায় হ্যানস্তা হতে হচ্ছে। দু’টো গানের শুটিং করছি এখানে। চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরবো।’

‘বিজলী’ ছবিতে ববি-রনবীর ছাড়াও অভিনয় করেছেন শতাব্দী রায়, ইলিয়াস কাঞ্চন, আহমেদ রুবেল, জাহিদ হাসান, দিলারা জামান, শিমুল খান প্রমুখ।

ববস্টার ফিল্মের ব্যানারে নির্মিত ‘বিজলী’ ছবির নির্মাণ কাজ হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ডের বিভিন্ন লোকেশনে। আগামী বছরের শুরুতেই ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানা যায়।

 

হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে নারীদের জন্য সময় নির্ধারণ

পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে নারী তাওয়াফকারীনীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের প্রস্তাব এসেছে সৌদি শুরা অধিবেশনে। দিনের তিনটি সময়ে ২ ঘণ্টা করে ৬ ঘণ্টা নারী তাওয়াফকারীনীদের জন্য হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। খবর সৌদি গ্যাজেট।

হজের সময় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের একটি অংশ হলো হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ভিড়ের কারণে চুম্বন করতে না পারলে তাতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করার প্রবল আশা ও আকাঙ্ক্ষা থাকে মুসলিম উম্মাহর নারী-পুরুষ সবারই।

হজ ও ওমরা পালনের সময় পুরুষদের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেও নারীরা হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে চেষ্টা করে, যা তাদের খুবই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় তাদের।

নারী হজ ও ওমরা পালনকারীনীদের কথা চিন্তা করেই সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিল হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে তাদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে।

সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের ইসলামিক বিষয়ের প্রধান ড. মুযি দাগিসার জানান, নারীদের হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের সুবিধার্থে আলাদা সময় নির্ধারণের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে শুরা কমিটি।

নারীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সৌদি আরবের শুরা কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

হাজরে আসওয়াদ পবিত্র কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপিত, যা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাতে স্থাপন করেছিলেন এবং এ পাথরে চুম্বন করেছিলেন।

হাজরে আসওয়াদটি ভেঙে সাত বা আট টুকরায় পরিণত হয়। পরে এটাকে বিশেষভাবে বাঁধানো হয়, যা একটি রুপালি ফ্রেমের মধ্যে স্থাপিত। এ কালো পাথরটি ব্যাস হলো ৭.৯ ইঞ্চি এবং ৬.৩ ইঞ্চি।

নারীদের জন্য এ প্রস্তাবটি যুগোপযোগী এবং বাস্তবসম্মত। প্রস্তাবটি পাস হলে নারী হজ ও ওমরা পালনকারীনীদের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তারা তাদের হৃদয়ের আকুতি সম্পন্নে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে পারবে। হৃদয়ের গভীরে অনুভূত হবে সীমাহীন স্বর্গীয় আত্মতৃপ্তি।

 

স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে স্বামীর দোয়া

বিবাহের পর স্বামীর জন্য করণীয় হলো- বাসরের সময় বা তার আগে স্বামী তার উভয় হাত স্ত্রীর মাথার সামনের দিকে (কপালে) রাখবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে উভয়ের জন্য বরকতের দোয়া করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তা বর্ণনা করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে। আর সে যেন বলে-

Doa

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা আ’লাইহি; ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন -তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নববিবাহিত স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের মাথায় হাত রেখে এ দোয়ার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

শিশুর মানসিক বিকাশে প্রযুক্তির প্রভাব

প্রযুক্তি ছাড়া আমরা অচল। সারাদিনের সব কাজে আমরা প্রযুক্তির কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সঙ্গেই এর সম্পর্ক অতি নিবিড়। কাজের জন্য আমাদের প্রতিদিন একটি দীর্ঘ সময় কাটাতে হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। তবে এই প্রযুক্তির আশীর্বাদ আমাদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসতে পারে খুব জলদি। কারণ বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও এই প্রযুক্তির কাছে বন্দি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা তাদের সময় ব্যয় করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবে, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর। সময়ের চাহিদা তাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেললেও পরিবারের উচিৎ তাদের এই সমস্যা থেকে বের করে আনা।

প্রযুক্তি শিশুর জন্য কতটা উপকারী :
প্রযুক্তি আমাদের কাছে আশীর্বাদ। আমরা খুব সহজেই এবং খুব কম সময়েই হাতের নাগালে পাচ্ছি সব তথ্য। আর শিশুদের ক্ষেত্রে এখন তথ্য-নির্ভরশীলতার জন্য প্রযুক্তি শেষ সম্বল। তারা ক্লাসের পড়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রজেক্টর কাজের জন্য তথ্য জোগাড় করে প্রযুক্তি থেকে।

শিশুর একাকিত্বের সঙ্গী প্রযুক্তি। বাইরে যখন খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই তখন এই কম্পিউটার তাদের সম্বল। তাছাড়া শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি নানাভাবে সাহায্য করে। সে তার পড়ার ক্ষেত্রে ট্যাবের সাহায্যে পড়া পড়তে পারে। অক্ষর একা একা চিনতে পারে। খেলার ছলে বাসায় বসে নিজের পড়া শেষ করতে পারে।

সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট শিশুকে সাহায্য করে নানাভাবে। বাইরের দেশগুলোয় কী হচ্ছে -তা সে জানতে পারে। শিশুকে সামাজিক হয়ে উঠতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।

শিশুর বিকাশে প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব :
প্রযুক্তি যেমন বিজ্ঞানের একটি অবিস্মরণীয় আবিষ্কার তেমনি এর ঝুঁকিও অনেক। আর তা যদি হয় শিশুর ক্ষেত্রে, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। একটি শিশু যখন খুব সহজেই হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন পেয়ে যায় তখনই সে নানা খারাপ সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে থাকে। যা তাকে ধীরে ধীরে বিপথে নিয়ে যেতে পারে।

ইন্টারনেটে অবাধ আনাগোনা তাকে নানা খারাপ সাইটগুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়। যাতে তার কোমল মনে শুরু থেকে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে গেম খেলা তাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

দীর্ঘ সময় প্রযুক্তির ব্যবহার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে আনে অনেক সময়। যার ফলে খুব কম বয়সে চোখে কম দেখা শুরু হয়। তাই শিশুকে উচিৎ প্রযুক্তি থেকে দূরে রেখে বই কিংবা পরিবারে সঙ্গে সময় কাটাতে অভ্যস্ত করা।

 

ঘর সাজাতে ফুল আর গাছ

ঘরের ভেতর বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট, ফুল এবং আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে পাল্টে দিতে পারেন আপনার ঘরের শোভা ও সৌন্দর্য। তবে যে ঘরের যেমন জায়গা সে অনুযায়ী বাড়িঘর সাজানো উচিত। চার দেয়ালের মাঝে বসবাস করতে গিয়ে সবুজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অনেকাংশে কমে গেছে। অনেকে আবার শখ করে ছাদে বাগান করে থাকে। আবার বিভিন্ন কারণে হয়তো ছাদেও বাগান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ঘরের ভেতর যদি গাছ ও ফুল দিয়ে সাজানো যায় তবে একটি পরিবেশবান্ধব রূপ ফুটে উঠবে ঘরজুড়ে।

ঘরের ভেতর সবুজের কিংবা প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চাইলে নানারকম ফুল, গাছ, পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন। গাছ-ফুল-পাতা ছাড়া ঘরের সৌন্দর্য কোনোভাবেই ফুটে ওঠে না। যেমন ড্রইং রুমের কোনা বা টেবিল ইনডোর প্লান্ট দিয়ে নানা বৈচিত্র্যে ও স্টাইলে সাজানো যেতে পারে। এরসঙ্গে ল্যাম্পশেডও ব্যবহার করতে পারেন।

যেকোনো ঘরের ভেতরে শান্তির পরশ পেতে চাইলে ইনডোর প্লান্টের জুড়ি নেই। আর ঘরের ভেতর রাখা সবুজের ছায়া দেখে মনের ভেতর প্রকৃতির নান্দনিক রূপ যে ফুটে ওঠে এতে নিশ্চয়ই মন যত খারাবই থাকুক, ভালো হয় উঠবেই।

বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এ ধরনের ফুলগুলো দেখতে একেবারেই ন্যাচারাল ফুলের মতো। এখন সব মার্কেটে বড় বড় শপিংমলে আর্টিফিশিয়াল ফুল পাওয়া যায়। তবে গাদাগাদি করে ফুলদানিতে রাখলেই হবে না। সাজাতে হবে ডিফারেন্ট লুক এবং বিভিন্ন স্টাইলে।

৫টা স্টিক এদের ছোট-বড় করে কেটে ফুলদানিতে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে। বিভিন্ন স্টাইলে বিভিন্ন ফুলদানি যেমন রড আয়রনের র্যাক বানিয়ে নিয়ে রাখতে পারেন আবার সিলেটের তৈরি বাঁশের ও শোপিস মার্কেটে পাওয়া যায়। এছাড়া ইচ্ছা করলে আপনি কাঠ দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন ফুলদানি।

ঘর সাজাতে ইনডোর প্লান্ট ও ফুলের কোনো বিকল্প নেই। এটা একদিকে যেমন ঘরের শোভাবর্ধন করে অন্যদিকে আবহাওয়াটাও ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে আর তৈরি হয় একটি মনোরম স্নিগ্ধ পরিবেশ। তাই গাছ, ফুল-লতাপাতা দিয়ে আপনি সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার সুখের ও শান্তির নীড়।

 

এয়ার ফ্রেশনারের খোঁজ-খবর

দিনের বেশির ভাগ সময় আমরা যে দুটি জায়গায় কাটাই, তা হচ্ছে বাড়ি এবং অফিস। নিজে সতেজ থাকার পাশাপাশি অফিস বা বাড়ির সর্বত্র থাকা চাই সতেজ ও সজীব। আপনার চারপাশ সুগন্ধিত রাখতে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার ফ্রেশনার। এ সব ফ্রেশনার ব্যবহারে ঘর থাকবে সারাক্ষণ ফ্রেশ। যা আপনার মনকে যেমন সতেজ করবে, তেমনি কাজেও আনবে গতি। এসব এয়ার ফ্রেশনার পাবেন বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সের কসমেটিক্সের দোকানে। সুপার শপগুলোতে পাবেন প্রায় সব ধরনের ব্র্যান্ডের এ পণ্য। দরদামও হাতের নাগালের মধ্যেই।

দরদাম : ফে এয়ার ফ্রেশনার সি মিনারেলস ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার রজনীগন্ধা প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা, স্প্রিং গার্ডেন এয়ার ফ্রেশনার ফুল ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ফ্রেশ অ্যান্ড ফ্লোরাল ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, এটিএম হাজার রোম ফ্রেশনার অর্কিড ৭০ গ্রাম ৭২ টাকা, গ্লাড সেলটেড জেল লাভেন্ডার ২০০ গ্রাম ৩২৫ টাকা, ওজেনিল নিউ হ্যাকার জেসমিন ৫০ গ্রাম ৭০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার রোজ প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা।

এয়ার উইক স্টিকআপস ফ্রেশনার সিবি টু ইউনিটস ২৭৫ টাকা, অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনার সিট্রাস ব্রুস্ট ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার অর্কিড ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, ওডোনিল নিউ এয়ার ফ্রেশ অর্কিড ডিউ ৫০ গ্রাম ৪০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার জেসমিন প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা, স্প্রিং এয়ার ফ্রেশনার অরেঞ্জ ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ব্ল- ওশান ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনার অর্কিড ব্রিজ ৩০০ মিলি ২০০ টাকা।

স্প্রিং গার্ডেন এয়ার ফ্রেশনার মেরিন ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, এয়ার উইক এয়ার ফ্রেশনার এল ফিল্ডস ৩০০ মিলি ২২০ টাকা, কনকর্ড এয়ার ফ্রেশনার লাভেন্ডার ৩০০ মিলি ১৮২ টাকা, গ্লাড সেলটেড জেল লেমন ২০০ গ্রাম ৩২৫ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার এন্টি টোবাকো ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, প্যারিস এয়ার ফ্রেশনার ৪০০ মিলি ২৬৫ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ফ্রেশ অ্যান্ড লাইট ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার জেসমিন ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার লিলি ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, স্প্রিং এয়ার ফ্রেশনার লেমন ৩০০ মিলি ২০০ টাকা।

 

বাড়িতেই তৈরি করুন চিকেন ফ্রাইড রাইস

ফ্রাইড রাইস বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এটি বেশ খুশিমনে খায়। আর তার সঙ্গে একটু বাড়তি স্বাদ আর পুষ্টি যোগ করতে মিশিয়ে নিন চিকেনও। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে চিকেন ফ্রাইড রাইস। সবসময় রেস্টুরেন্টের ওপর নির্ভর না করে বাড়িতেই ঝটপট তৈরি করে নিতে পারেন এই সুস্বাদু রেসিপিটি-

উপকরণ : পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, চিকেন কুচি ১ কাপ, গাজর, মটরশুটি, বরবটি কুচি আধা কাপ, ক্যাপসিকাম, পেঁপে, ফুলকপি কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা-রসুন কুচি ১ চা চামচ, দারুচিনি-এলাচ ২-৩ টুকরা, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ডিম ২টি, তেল-বাটার আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে চাল দিন। চাল হাল্কা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ভাত যেন শক্ত থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। মাংসের কিমা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। সবজিগুলো ভালো করে ধুয়ে হাল্কা ভাপ দিয়ে নিন। ডিম ফেটে গরম তেলে ঝুরি ভেজে নিন। এবার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা-রসুন হাল্কা বাদামি করে ভেজে মাংসে কিমা দিয়ে নেড়ে কষাতে থাকুন। সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে ভাজা ভজা হলে রান্না করা ভাত ও সেদ্ধ করা সবজি, কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে ২-৩ মিনিট ভেজে সয়াসস, ওয়েস্টার সস, পেঁয়াজপাতা, ডিম ঝুরি ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ২ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মজাদার চিকেন ফ্রাইড রাইস।

 

জুতার অদ্ভুত সব ফ্যাশন

জুতার ব্যবহার সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই। তখন মানুষ তাদের পা বাইরের পাথর, কাটা, ময়লা-আবর্জনা থেকে বাঁচাতে গাছের গুঁড়ির কিংবা পাতা দিয়ে পায়ে একটি আবরণ তৈরি করতো। যা নানা অবস্থার ভেতর দিয়ে এসে রূপ নিয়েছে বর্তমানের জুতায়। এখন অবশ্য শুধু পদযুগলকে সুরক্ষা করতেই নয়, ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও জুতার তুলনা নেই। তবে এই ফ্যাশনেও আছে নানা ধরন। স্বাভাবিকভাবে নানা ফ্যাশন থাকলেও এতো কিছুর ভিড়ে আছে অদ্ভুত কিছু ফ্যাশন।

হ্যামবার্গার নাইকি স্নিকার শু : হ্যামবার্গার নাম শুনলেই মাথায় ঘুরতে থাকে চিজ, মাংশ আর রুটির এক অপরূপ সংমিশ্রণ। কিন্তু কখনো কি জুতার কথা মাথায় আসবে? তবে এমন জুতাও আছে। যদিও এর নাম শুনে এবং দেখলে আমার খেতে ইচ্ছে করবে কিন্তু এটি খাওয়া অসম্ভব।

রিভার্জ হিল শু : নিজেকে কিছুটা লম্বা দেখতে কিংবা শাড়ির সাথে হিল পড়তেই হয়। তাই বলে উল্টো হিল? হিল পুরোনো ফ্যাশন হলেও এই দিক থেকে এটি একদম নতুন।

লেগিন্স শু : লেগিন্স নাম শুনলেই আপনার মাথায় প্রথমে যা ঘুরবে তা হচ্ছে জামার সাথে পরিধেয় পাজামা ধরনের একটি অংশ। তবে কি এই জুতা লেগিন্স দিয়ে বানানো? না তবে এটি লেগিন্সের সাথে সংযুক্ত। যার কারণে আপনি জুতা এবং লেগিন্স এক সাথে পরতে পারবেন।

গ্যাজেট শু :  গ্যাজেট শব্দটি শুনলেই মাথায় আসে নানা ইলেকট্রনিক সামগ্রি তথা। তবে এটি এসব দিয়ে তৈরি না হলেও এতে আছে এ্যালার্ম, ঘড়ি এবং ডিজিটাল ক্লক এর সুবিধা। যা আপনাকে নানা ভাবে সাহায্য করবে।

ব্যানানা শু : হাজারজোড়া পায়ের মাঝে দুটি কলা। দেখতে অদ্ভুত হলেও দিব্যি মানিয়ে যাবে ফ্যাশনপ্রেমীদের পায়ে। ঠিক কলার মতো দেখতে এবং রঙের দিক থেকে একই ধরনের এই জুতাব্যানানা শু নামেই সুপরিচিত।

 

সাহসী এক শারমিনের কথা

‘সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শিউরে উঠি। বয়স কম হলেও এটুকু বুঝতে পারছিলাম, আমার ওপর যা হচ্ছে তা পুরোপুরি অন্যায়। আমার মায়ের ইচ্ছায়, পৃষ্ঠপোষকতায় সেই অন্যায় সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। একে তো আমার বিয়ের বয়স হয়নি। হঠাৎ মা একদিন বললেন, “এই ছেলে তোর স্বামী, এখন থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে তোকে!” নিছক কৌতুক করে তিনি এটা বলেননি। সত্যি সত্যিই বলেছিলেন। সে মতো কাজও করলেন। আমাকে ওই ছেলের সঙ্গে একটি ঘরে থাকার নির্দেশ দিলেন। এমনকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে আটকেও রাখলেন। কিন্তু আমার তো বিয়ে হয়নি। বিয়ের বয়সও হয়নি। বিয়ের আয়োজন হয়নি, কবুল বলিনি, কোনো কাগজে সইও করিনি। কীভাবে এটা হলো। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।’ কথাগুলো শারমিন আক্তারের, যার বয়স মাত্র ১৪। সে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী।
৭ নভেম্বর যখন কথা হচ্ছিল শারমিনের সঙ্গে, তখন তার এই অভিজ্ঞতার কথা যেন থামে না। সে বলে, ‘আমি বিয়ের ব্যাপারে শুরুতেই মাকে না করে দিই। কিন্তু মা কিছুতেই এটা মানেননি বরং চাপ প্রয়োগ করেছেন। শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি কী করব, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। বাবা বিদেশে থাকেন। কার কাছে যাব, কী করব, সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। একবার চিন্তা করি আত্মহনন করে এই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্ত হব। আবার ভাবি, এটাও হবে হেরে যাওয়া।’
কিন্তু হেরে গেলে তো চলবে না। তাই এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে শারমিন। ‘সিদ্ধান্ত নিই, যে করেই হোক আমাকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এরপর নিজে থেকেই সাহসী হলাম। একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানাই। এরপর চলে যাই সরাসরি থানায়। মা আর ওই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করি।’
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সত্যনগর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে শারমিন। মা গোলেনূর বেগম। কবির হোসেন সৌদিপ্রবাসী হওয়ায় শারমিনকে নিয়ে তার মা গোলেনূর রাজাপুর শহরের থানা সড়কে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
২০১৫ সালের জুলাই মাসের কথা। শারমিন তখন রাজাপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মা গোলেনূর এই বয়সেই শারমিনের বিয়ে ঠিক করেন প্রতিবেশী স্বপন খলিফার (৩২) সঙ্গে। শারমিন মায়ের এই সিদ্ধান্তে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এতেও টলেনি সে। পরে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। এতেও রাজি না হওয়ায় একদিন ওই ছেলেকে (স্বপন) বাড়িতে এনে শারমিনকে তার মা বলে দেন, ‘এই ছেলে তোর স্বামী। ওর সঙ্গে তোর বিয়ে হয়েছে। এখন ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে।’ মায়ের কথা শুনে শারমিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। স্কুলে আসা বন্ধ করে বাসার মধ্যে আটকে রাখা হলো তাকে। বাইরে গেলেও ছিল কড়া নজরদারি।
২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। শারমিনকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে তার মা খুলনায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দূর সম্পর্কের এক মামার বাড়িতে তোলেন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন স্বপন। রাতে শারমিনকে ওই বাসায় স্বপন খলিফার সঙ্গে এক কক্ষে থাকার জন্য তার মা চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে সম্মত না হওয়ায় মারধর করে তাকে (শারমিন) জোর করে স্বপনের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। ৭ আগস্ট সকালে শারমিন ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে রাজাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনের পিছু নেন। পিরোজপুরে এসে কথিত স্বামী স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনকে ধরে ফেলেন এবং বাস থেকে নামিয়ে রাজাপুরে নিয়ে যান। এখানে এনে শারমিনদের থানা সড়কের বাড়িতে আটকে রাখেন।
১৬ আগস্ট এই বন্দিদশা থেকে পালিয়ে সহপাঠী নাদিরা আক্তারের বাড়িতে যায় এবং সব খুলে বলে। এরপর দুজনে মিলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় সরাসরি ওই দিন রাতে রাজাপুর থানায় হাজির হয়। মা ও কথিত স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পরে পুলিশ শারমিনের মা গোলেনূর বেগম ও কথিত স্বামী স্বপন খলিফাকে গ্রেপ্তার করে। আর তাকে ঝালকাঠির জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শফিকুল করিম তার দাদি দেলোয়ারা বেগমের জিম্মায় দেন। এরপর থেকে সে দাদির কাছে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। শারমিনের এই সাহসিকতার জন্য স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশন ২০১৫ সালে তাকে স্বর্ণকিশোরী পুরস্কার দেয়।
এখন লক্ষ্য কী? শারমিন দৃঢ়তার সঙ্গে বলে, ‘আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা আছে। আর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে চাই।’
তার দাদি দেলোয়ারা বেগম এখন শারমিনকে নিয়ে এই বাড়িতেই থাকেন। সবুজ ছায়াঘেরা সত্যনগর গ্রামে তাদের বাড়িটা বেশ নির্জন-নিরিবিলি। দেলোয়ারা বেগম বললেন, ‘ওরে নিয়া খুব চিন্তা আমার। প্রতিদিন স্কুলে নিয়া যাই, আবার সঙ্গে নিয়া আসি। বাইরে কোথাও গেলে সঙ্গে যাই। ওর জীবনটা ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছিল ওর মা। খুব সাহস করে একাই এর প্রতিবাদ করেছে। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। এখন সবাই ওকে নিয়ে গর্ব করে। আমরাও গর্বিত।’
শারমিনকে সাহায্য করেছিল সহপাঠী নাদিরা আক্তার। সে বলল, ‘ভালো লাগছে ওর দুঃসময়ে আমি পাশে ছিলাম।’
সত্যনগর গ্রামের ছোট্ট খালের পাড় ধরে ফেরার সময় পশ্চিমাকাশে গোধূলির রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ছিল। কুয়াশায় ধূসর হয়ে উঠছিল সবুজ গ্রাম। তখনো কানে বাজছিল শারমিনের সাহসিকতার গল্প।

 

কোন ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না?

আমাদের নবী (সা) একটি হাদিসে বলেছেন, যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। [মুসলিম ২/২০০]  এই হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, যেখানে ছবি থাকে সেটা দোকান হোক, ঘর হোক, অফিস হোক কিংবা অন্য কোন জায়গা হোক সেখানে যারই ছবি থাক না কেন ফেরেশতা সেখানে প্রবেশ করবে না।

অনেক পরিবারে রোগ ব্যধি লেগেই থাকে এই রোগ ব্যধির পিছনে এটা একটা করণ হতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ধরণের গুনাহের কাজ থেকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুন।

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর অলংকার পরার বিধান

কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তার জন্য কি অলংকার পরা জায়েজ আছে? আমাদের এলাকাতে এই সব নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রিান্তিমূলক কথার প্রচলন আছে। এই বিষয়ে ইসলামী শরীআতের দৃষ্টিভঙ্গি কি?

 

কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তাকে চার মাস দশ দিন অথবা গর্ভবতী হলে বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়। এই সময়ে সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক কোন কিছু ব্যবহার করা উচিত না। এমন কি নাক ফুলও ব্যবহার করতে পারবে না এবং চুল আচড়াতে পারবে না তবে বেশি খারাপ লাগলে এলোমেলো চুল ঠিক করতে পারবে। শরীআত কর্তৃক নির্ধরিত এই সময় পার হলে আগের মত সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক সব কিছু ব্যবহার করতে পারবে। [ফাতাওয়া আলমগীরী ২-৫৩৩]

 

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

চাকরির রিজুমেতে যে বিষয়গুলো উল্লেখ রাখবেন

চাকরি পাওয়ার প্রথম শর্ত হল একটি ভাল রিজুমে বা জীবনবৃত্তান্ত । একজন চাকরিদাতা আপনার সম্পর্কে প্রথম ধারণাটা পান জীবনবৃত্তান্ত থেকে। তাই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে জীবনবৃত্তান্তের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিযোগীতার এই যুগে ভাল চাকরি পেতে হলে রিজুমেটি হতে হয় অনেক বেশি স্মার্ট। একটি রিজুমেতে আপনি কী কী উল্লেখ করেন? নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি এই তো? কিন্তু বর্তমান সময়ে রিজুমেতে কিছু বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যা আপনাকে ভাল চাকরি পেতে সাহায্য করবে।

১। অ্যাডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)

আপনি যদি কোন সৃজনশীল চাকরি খুঁজে থাকেন, তবে অ্যাডোবি ফটোশপের কাজ জেনে থাকা প্রয়োজন। ফটোশপের বেসিক কিছু কাজ যা আপনার যোগ্যতাকে দেবে ভিন্ন মাত্রা। ফটো এডেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বেসিক কিছু ফটোর কাজ করতে পারবেন ফটোশপ থেকে।

২। মাইক্রোসফট এক্সেল

ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টস, কিংবা মার্কেটিং জব করতে ইচ্ছুক হলে, আপনাকে অব্যশই মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ জানতে হবে। মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়ারটি সময়ের সাথে সাথে  আপডেট হতে থাকে। অ্যাডভান্স এক্সেল সফটওয়ারের কাজ শিখে রাখুন।

৩। যোগাযোগ

প্রতিটি কোম্পানি চায় যোগাযোগে দক্ষ একজন কর্মী। যোগাযোগে দক্ষ একজন কর্মী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যোগাযোগ সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারে। মৌখিক এবং লিখিত দক্ষতা রিজুমেতে উল্লেখ করুন।

৪। মাল্টি টাস্কিং

একসাথে অনেকগুলো কাজ করার যোগ্যতা নিজের মধ্যে গড়ে তুলুন। কোন কোন কাজে আপনি পারদর্শী তা রিজুমেতে উল্লেখ করুন।

৫। কথা বলার ক্ষমতা

আপনি যেই ক্ষেত্রে চাকরি করেন না কেন, চাকরির একটি পর্যায়ে জনসম্মুখে আপনাকে কথা বলতে হবে। তাই সবার সামনে কথা বলার অভ্যাস থাকতে হবে। আপনার মধ্যে লজ্জা বা ভয় কাজ করলে সেটি কাটিয়ে তোলার জন্য কোর্স করুন। রিজুমেতে সেই কোর্সের নাম উল্লেখ করুন।

৬। নতুন কোন ভাষা শেখা

বাংলা ইংলিশের পাশাপাশি নতুন অন্যকোন ভাষা শিখে রাখুন। তা হতে পারে স্প্যানিশ, ফারসি অথবা অন্যকোন ভাষা। এটি আপনার রিজুমেতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এছাড়া ওয়েব ডেভলাপার, ওয়ার্ড প্রেস, এসইও (SEO: Search Engine Optimization) কাজ শিখে রাখতে পারেন। এই যোগ্যতাগুলো আপনাকে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে আলাদা করবে।

লিখেছেন

নিগার আলম

 

হঠাৎ বৃষ্টিতে সবজি খিচুড়ি

হঠাৎই বৃষ্টি। শীত আসি আসি করছে বলেই হয়তো। বৃষ্টির হাত ধরে আসবে শীত। তবে এই হঠাৎ বৃষ্টিতে পথেঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হলেও খাবারের থালাটা কিন্তু সাজাতে পারেন একটু ভিন্নভাবে। বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি। নতুন সব সবজি দিয়ে রেঁধে ফেলুন সবজি খিচুড়ি। আর খাবার টেবিলে সবাইকে চমকে দিন। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : ৩-৪ রকমের ডাল, পোলাও চাল, কাঁচামরিচ, আদা বাটা, জিরা বাটা, পছন্দমতো কয়েক রকমের সবজি, পেঁয়াজ কুচি, ঘি, লবণ, তেজপাতা ও সয়াবিন তেল।

প্রণালি : প্রথমে পোলাও চাল ও ডাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরাতে দিন। তারপর সব সবজি ছোট আকারে কেটে ধুয়ে হালকা সিদ্ধ করুন। এরপর হাড়িতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে সামান্য ঘি ছেড়ে দিন। এবার ঘি এর ওপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ ফালি, আদা বাটা, জিরা বাটা ও তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। তারপর চাল দিয়ে কষিয়ে পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিন। পানি ফুটে উঠলে সেদ্ধ করা সবজি ও লবণ দিয়ে নেড়ে দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে হাড়ি ঝাকিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এরপর গরম গরম বেড়ে পরিবেশন করুন।

 

প্রাণবন্ত ত্বক পেতে চাইলে করণীয়

চলছে হেমন্তকাল। সেইসঙ্গে প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী সঙ্গীত। এই সময়ে আমাদের ত্বকে মিশ্র একটা ভাব দেখা দিতে পারে। মুখের টি জোন অর্থাৎ নাক-কপালের অংশ ছাড়া বাকি জায়গা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বকের ধরন বুঝে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। যদি ত্বকে মিশ্র ভাব দেখা দেয় তবে সাধারণত যে ফেসওয়াশ গরমকালে ব্যবহার করেছেন সেটাই রাখুন। তবে তা শুধু টি-জোনটুকুর জন্যই। বাকি শুষ্ক জায়গায় সাধারণ ফেস ওয়াশ বা ফোমিং ক্লিনজার দিয়ে ধোবেন।

বেশি শুষ্কতা দেখা দিলে ক্রিম ক্লিনজার, ক্লিনজিং মিল্ক অথবা গ্লিসারিন বার ব্যবহার করুন। প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে দেখে নিন আপনার সঙ্গে ক্লিনজিং ওয়াইপস বা ওয়েট টিস্যু আছে কি না। প্রয়োজনে দরকার মত মুখ মুছে নেবেন। এ সময় ত্বক অনেকাংশেই উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। প্রতিদিন মাইল্ড স্ক্রাব ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তৈলাক্ত ত্বকে জেল বা হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যেগুলোতে তেলের পরিমাণ কম,পানির পরিমাণ বেশি।

কলা পেস্ট করে লাগালে শুষ্ক ত্বকে প্রাণবন্ত ভাব ফিরে আসবে। মধুও শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী। টমেটোর রসের সঙ্গে একটু মধু পেস্ট করে নিন। অনেক ভালো ফল পাবেন। তৈলাক্ত ত্বকে শশার রস চমৎকারভাবে কাজ করবে। শশার রসের সাথে মুলতানি মাটি ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে লাগান। এতে যেমন তেলতেলে ভাব কমবে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসবে। পেঁপে পেস্ট করে ১০-১৫ মিনিটের জন্য মুখে দিয়ে রাখুন। ত্বকের পোড়া ভাব দূর করবে। গাজর পেস্ট করে ১০ মিনিটের জন্য লাগালে উপকার পাবেন। চন্দন পেস্ট করে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ধুয়ে নিন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধের ক্রিম অথবা টকদইয়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপের পানি মেশান। মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মাস্কটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন। কলা পেস্ট করে মধু মিশিয়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেল তেল ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাতে চমৎকার কার্যকরী। মুখে নারিকেল তেল লাগান। সুতির রুমাল গরম পানিতে ভিজিয়ে ভালো মতো নিংড়ে নিন। মুখের ওপর দিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য। মুখটা মুছে নিয়ে এবার গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। সব ধরনের ত্বকেই এটি মানিয়ে যাবে।

 

স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কিনা?

অনেক স্বামী- স্ত্রী নিজেদের মাঝে অনেক ফ্রি। তাই একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করে থাকে। তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে এই ভাবে একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

স্বামী স্ত্রীকে নাম ধরে ডাকতে পারবে এতো কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু স্ত্রীর স্বামীর নাম ধরে ডাকা ইসলামের দৃষ্টিতে এক প্রকার অসৌজন্যতা, তাই এমনটা করা মাকরূহ বা অনুচিত। [রহীমিয়া ২-৪১৩]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

ভয়ংকর সুন্দরের সঙ্গী হলো আরটিভি

অনিমেষ আইচের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ভয়ংকর সুন্দর’ আসছে ভালোবাসা দিবসের আগেই মুক্তি পাচ্ছে। সেই লক্ষে চলছে এর প্রচারণার কাজ।

এবার ‘ভয়ংকর সুন্দর’ দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে নতুন যাত্রা শুরু করলো। ‘ভয়ংকর সুন্দর’র প্রচারে সহযোগিতা করা ছাড়াও, ‘ভয়ংকর সুন্দর’র টেলিভিশন স্বত্ব লাভ করেছে আরটিভি।

এ উপলক্ষে আরটিভির অফিসে গতকাল বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবিটির পরিচালক অনিমেষ আইচ, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব, মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) হাবীব ভূঁইয়া, বার্তা প্রধান লুৎফর রহমান, বিক্রয় ও বিপণন প্রধান সুদেব চন্দ্র ঘোষ, সম্প্রচার প্রধান স্বপন ধর, আরটিভি অনলাইন প্রধান বার্তা সম্পাদক আনোয়ার হক, সহকারি মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) সৈয়দ সাবাব আলী আরজু প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, মতি নন্দীর ছোট গল্প ‘জলের ঘূর্ণি ও বক বক শব্দ’ অবলম্বনে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত ও বাংলাদেশের এ সময়ের সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী ভাবনাসহ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, লুৎফর রহমান জর্জ, ফারহানা মিঠু, ফারুক আহমেদ, সমাপ্তি মাসুক, দিহান, অ্যালের শুভ্র প্রমুখ।

চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। চিত্রগ্রাহক হিসেবে রয়েছেন খায়ের খন্দকার, নৃত্য পরিচালনায় সোহাগ, পোশাক পরিকল্পনায় চিন্ময়ী গুপ্তা কাজ করেছেন।

 

মনোবাসনা পূরণে আল্লাহর জিকির

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার সুন্দর সুন্দর নামের জিকির বা আমল করার কথা বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে এ নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ একটি। যার অর্থ হলো- ‘কাফির মুশরিকদের হীন ও নীচুকারী।’

সংক্ষেপে এ গুণবাচক নাম (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ :

‘আল-খাফিদু’
অর্থ : ‘কাফির মুশরিকদের হীন ও নীচুকারী।’

আল্লাহর ‍গুণবাচক নাম (اَلْبَاسِطُ)-এর আমল

ফজিলত
>> যে ব্যক্তি এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ নামটি মধ্য রাতে বা দ্বিপ্রহরের সময় ১০০ বার পাঠ করবে মহান আল্লাহ তাকে তাঁর সৃষ্টির মধ্যে মনোনীত ও অর্থশালী করেন এবং মুখাপেক্ষীহীন করে দেন।

>> যে ব্যক্তি এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ নামের জিকির প্রতিদিন ৫০০ বার মনোযোগের সঙ্গে পড়ে, আল্লাহ তাআলা তার মনোবাসনা পূরণ করেন।

পরিশেষে…
মুসলিম উম্মাহর উচিত আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামের জিকির করে দুনিয়ার মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্ত থেকে মনের একান্ত চাওয়াগুলো পূরণ করে নিতে পারেন। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত এ গুণবাচক নামের জিকির ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সেলস পার্সনদের জন্য বিক্রি বাড়ানোর ৫টি কৌশল

সময়ের মূল্য আপনার জন্য হিসেব হয় টাকায়। প্রতি মিনিটের হিসেব আপনাকে দিতে হয় কোম্পানিকে। কোম্পানির পণ্য বিক্রির জন্য যেমন নানান পরিকল্পনা আপনাকে করতে হয় তেমনি গ্রাহকের কাছে কীভাবে পণ্যকে তুলে ধরলে তা বিক্রি হবে সেই কৌশলও আপনাকে ঠিক করতে হয়। প্রতিমাসের টার্গেট নিশ্চিতভাবে পূরণের জন্য আপনি অনুসরণ করতে পারেন এই কৌশলগুলো-
কঠিন কাজগুলো আগে করুন
প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন কিছু কাজ থাকে যা সে কোনমতেই করতে পছন্দ করেন না। কেউ কেউ গ্রাহককে ফোন করে আপডেট দিতে অপছন্দ করেন। কেউ আবার মেইলের উত্তর দেওয়া বা মেইলে আলোচনা করা পছন্দ করেন না। কারও মিটিং ডেকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে এটা ভাবতেই গায়ে জ্বর আসে। কারও হয়ত প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে কষ্ট হয়। আপনার কাছে এগুলো কঠিন কাজ। আর এগুলোর কারণেই হয়ত পরের কাজগুলো যা করা খুবই জরুরি সেগুলো বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
আপনি যদি সময় ব্যবস্থাপনায় মাস্টার হতে চান তাহলে ‘ইচ্ছে করে না’ জাতীয় সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই কাজগুলোই আগে দ্রুত গতিতে করে ফেলুন যা আপনার মূল কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
 
মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করুন
একজন মানুষ একসাথে অনেক কাজ করতে পারেন এটাকে খুব গৌরবের মনে করি আমরা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি আপনার দক্ষতার পথকে আটকে দেয়। মনোযোগ ভাগ হয়ে গেলে আপনার কাজের গতিও ধীর হয়ে আসে। যে পার্ফরমেন্স আপনার একটি কাজে দেওয়ার কথা ছিল তা ভাগ হয়ে যায়।
আপনি যদি মনে করেন, এমন হয় না, আপনি সব কাজ সমান দক্ষতার সাথে করতে পারেন তাহলে আপনি জানেন না আপনি আরো কত চমৎকারভাবে আপনার মেধার ব্যবহার করতে পারতেন যদি আপনি একটি কাজ করতেন! অন্য একটি কাজে হাত দেওয়ার আগে প্রথম কাজটি শেষ করুন। যখন যে কাজটি করবেন সে কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিন। এতে আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখুন
প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সময় শুধু কাজগুলোই করুন। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বন্ধ করুন। এখন আমাদের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন হওয়ায় এখন মেইল, ফেসবুক নোটিফিকেশন সব কিছুই প্রতিমুহুর্তে তাদের আগমন জানাতে থাকে। এতে তৈরি হয় মনোযোগের বিচ্ছিন্নতা। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার বন্ধ রাখুন, অন্তত মোবাইলে।
অনেক সেলস পার্সনই এই কাজ করতে ভয় পাবেন কারণ তাদের মনে হবে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ কোন গ্রাহকের বার্তা আসতে পারে বা দরকারি কোনকিছু মিস হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি এমন একটি একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন যেখানে শুধু গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরাই থাকবেন। দেখবেন অনেকটা সময় বেঁচে যাবে, একই সাথে পণ্যের বিক্রিও বাড়াতে পারবেন সানন্দে।
কার্যকরি কাজটি করুন
আজকের দিনে কোন ধরণের যোগাযোগটি বেশী কার্যকরি সেটি বেছে নিন। যেমন ইমেইলের চেয়ে এখন ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ জনপ্রিয়। ফোনে কল করার চেয়ে ভাইবার বা হোয়াটস এপ্স এ ভিডিও কল বেশী স্মার্ট। তবে কোন কোন কোম্পানি পুরাতন যোগাযোগের ধরণকেই প্রফেশনাল মনে করতে পারেন। খেয়াল করুন কার জন্য কোনটা বেশী কার্যকরি।
একজন গ্রাহক যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে তেমন অভ্যস্ত নন তাকে মেসেজ না দিয়ে কল করুন। যে গ্রাহক সারাক্ষণ মিটিং এ থাকেন, খুবই ব্যস্ত মানুষ, তিনি নিশ্চয়ই নিয়মিত মেইল চেক করেন। তাকে কল করে বিরক্ত না করে মেইল করুন। এভাবে আপনার যোগাযোগের ধরণ গ্রাহকের মাঝে এক প্রকার সন্তুষ্টি তৈরি করবে এবং তিনি আপনার সাথেই যোগাযোগে আগ্রহী হবেন সবসময়।
 
প্রতিদিনকার কাজে গুরুত্বের ক্রম তৈরি করুন
আপনার প্রতিদিনকার কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কাজগুলো লিখে ফেলুন এবং অবশ্যই গুরুত্ব অনুসারে লিখুন। সবচেয়ে দরকারি কাজটি আগে লিখুন। ক্রম অনুসারে তালিকা তৈরি করুন। এটি করতে আপনার হয়ত প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ব্যয় হবে। কিন্তু এই কাজটি নিয়মিত করলে আপনি অপ্রত্যাশিত অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। ফলে আপনার পার্ফরমেন্স হবে দিনে দিনে দূর্দান্ত।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই ফ্যাশন : বুবলি

শোবিজ দুনিয়ার নতুন মুখ বুবলি। বসগিরি ছবির মাধ্যমে যার যাত্রা শুরু ঢালিউড আঙিনায়। প্রথম ছবিতেই প্রচুর সাড়া পেয়েছেন এই নবাগত নায়িকা। তাই তার ব্যস্ততার তালিকাও লম্বা। ফটোসেশন থেকে শুরু করে শুটিং- নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। কাজের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী। তবে এই ব্যস্ততার মাঝেও নিজের লাইফস্টাইন আর ফ্যাশনের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন জাগো নিউজের সাথে। জানান তার লাইফস্টাইল, আউটলুক আর ফ্যাশন সম্পর্কে নানা ভাবনাচিন্তার কথা। সঙ্গে ছিলেন ফারিন সুমাইয়া-

পরিবারের সাথে সময় কাটাতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন বুবলি। এরপরেই তার সবচেয়ে পছন্দের কাজ ঘুম। অবসর সময়ে তার প্রথম এবং প্রধান কাজ হয়ে থাকে এটি। সচারচর রাত ১ টা থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চোখ বোলান সারাদিনের কাজের তালিকায়। সময়ের কাজ সময়ে করতেই পছন্দ করেন। তাই সিডিউলে থাকা কাজগুলোকে তিনি আগের থেকেই তালিকাবদ্ধ করে নেন। অন্যদিকে রুপচর্চার বিষয়টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন। খুব বেশি হলে বাসায় বসে ভ্রু প্লাক আর আপার লিপ করে থাকেন। কিন্তু তিনি যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন। বাইরের খাবার এবং ভাজাপোড়া বুবলি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। আর সারাদিনে প্রচুর পানি পান করেন।

বুবলির পছন্দের খাবার ভাজা মাছ আর মায়ের হাতের রান্না করা যেকোনো খাবার। আর দিনের শুরুতে তিনি খালি পেটে লেবুপানি খেয়ে থাকেন। এরপর সকালের নাস্তায় খান রুটি তার সাথে বিভিন্ন সবজি আর ডিম। তবে এই তালিকায় থেকে কিছু বাদ পরলেও ডিম থাকবেই। দুপুরের খাবারে থাকে মাছ, মাংস, ডাল, ভাত, ভাজি কিংবা ভর্তা। দুপুরের খাবারে কিছুটা বেশি খাওয়া হয়ে থাকে মাছ আর মাংস। রাতের খাবারের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। রাতের মেনুতে থাকে ভাত সাথে মাছ নয়তো মাংস।

বুবলির পছন্দের অভিনেতা আফজাল হোসেন, শাকিব খান, টুম ক্রুজ। অভিনেত্রী শাবানা, ববিতা, শাবনূর আর মৌসুমী। প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ আর প্রিয় গায়ক সুবীর নন্দী, ইমরান, শ্রীকান্ত, মিতালী মুখার্জি, এবং মিমি। প্রিয় জায়গা তার নিজের বাসা। তিনি নিজেকে ঘরকুনো বলে আখ্যা দেন। অবসর সময় পেলেই তিনি ঘুমান। তার সর্বোচ্চ ঘুমের রেকর্ড ১৫ ঘণ্টা। পছন্দের সিনেমা আগুনের পরশ মণি, জার্মান বিভিন্ন ফিল্ম, এবং সুইট নভেম্বর।

জুয়েলারির মধ্য বুবলির পছন্দ ঘড়ি। বিভিন্ন নামী দামী ব্যান্ডের ঘড়ি এবং সুগন্ধি ব্যবহার করেন বুবলি। ঘড়ির ক্ষেত্রে তার পছন্দের ব্যান্ড রেডো, টাইটানিক, রোলেক্স। আর সুগন্ধির ক্ষেত্রে লাবাম্বা, শ্যালিমার গার্লিয়ান এবং বিভিন্ন নামিদামী ব্যান্ডের ডিও ড্রেন। কাজল, মেকাপ, আইলাইনারের ক্ষেত্রে তার সারা জীবনের সঙ্গী ম্যাকের পন্য। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে থিসিমি, লরিয়াল এবং ডাভ ব্রান্ডের পণ্য ব্যবহার করেন তিনি। তবে পোশাক এবং জামার ক্ষেত্রে তিনি ব্যান্ডকে সেভাবে মাথায় রাখেন না। সেক্ষেত্রে তার মাথায় থাকে তিনি কতটা স্বচ্ছন্দ সেই জামা কিংবা জুতো জোড়ার সাথে।

বুবলির কাছে ফ্যাশন মানে কী জানতে চাইলে তিনি বলেন ফ্যাশন মানেই স্বাচ্ছন্দ্য। আপনি কতটা তা ধারণ করতে পারছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে তা মানাচ্ছে কী না। নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপনা করতে জানাটাই বুবলির কাছে ফ্যাশন।

 

যেভাবে রাঁধবেন থাই চিকেন কারি

চিকেনের নানাপদ তো প্রায়ই খেয়ে থাকেন। স্বাদে একটু ব্যতিক্রম কিছু করতে চাইলে রাঁধতে পারেন থাই চিকেন কারি। ঝটপট রান্না করা যায় বলে ঝামেলাও কম। চলুন শিখে নিই-

উপকরণ : মুরগি ১ কেজি (ছোট ছোট টুকরো করা), মোটা করে কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ, লম্বা করে কাটা থাই পাতা/লেমন গ্রাস ২ টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৬/৭টি, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি : মুরগি কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, এবার মুরগিতে আদা-রসুন বাটা ও লবণ মাখিয়ে প্যানে পরিমাণমতো তেল দিয়ে হালকা লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন এবার ওই প্যানেই প্রয়োজনমতো আরো কিছু তেল দিন এবং সব সস দিয়ে ২ মিনিট নেড়ে, ভাজা চিকেন, পেঁয়াজ ও থাই পাতা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন, একদম মাখা মাখা হলে কিছু কাঁচামরিচ চিরে অথবা আস্ত দিয়ে মিশিয়ে লবণ ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে রাইসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

প্রত্যেক নারীর মোবাইলে থাকা উচিত এই ৫টি অ্যাপস

“অ্যাপস” স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য পরিচিত একটি নাম। দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অ্যাপস আবিষ্কার হচ্ছে। রঙ্গিন ছবি সাদাকালো করা কিংবা রাস্তার জ্যামের খবর অথবা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের খবর জানা যায় অ্যাপসের কল্যাণে। কিছু অ্যাপস আছে যা প্রত্যেক নারীর মোবাইলে থাকা উচিত। এই অ্যাপসগুলো নারীদের জীবন করে তুলবে আরও বেশি সহজ। নারীদের প্রয়োজনীয় কিছু অ্যাপস নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১। Clue   

পিরিয়ড বা মাসিকের তারিখ মনে রাখা নারীদের জন্য বেশ কঠিন একটি কাজ। আর তারিখ মনে না রাখার কারণে অনেক সময় সম্মুখীন হতে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির। ক্লু অ্যাপটি আপনার পিরিয়ডের তারিখ মনে রাখবে।  শুধু তাই নয় তারিখ আসার আগে আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।

২। Noom Coach

ডায়েট করতে চাচ্ছেন, কিন্তু আলসেমির কারণে হয়ে উঠছে না? তাহলে আজই মোবাইলে ইনস্টল করে নিন নুম কোচ। কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করছেন, কী ডায়েট করবেন, কী ব্যায়াম করবেন সব জানতে পারবেন এইখান থেকে। এই অ্যাপসটিকে ভার্চুয়াল ফিটনেস প্রশিক্ষকও বলতে পারেন!

৩। Pinterest

পিন্টারেস্ট অ্যাপটি অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি রান্না করতে পছন্দ করেন, নতুন নতুন খাবার রান্না করেন, তবে এটি আপনার জন্য। এইখানে নানান ধরণের ক্যাটাগরিতে নানান ছবি পিন করা থাকে। খাবারের ক্যাটাগরিতে কোন ছবি পছন্দ হয়ে গেলে  সেটাতে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন সেই খাবারের রেসিপি!

৪। MyPill

যারা নিয়মিত পিল গ্রহণ করে থাকেন, তারা জানেন পিল একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে গ্রহণ করতে হয়। পিল গ্রহণের ডেট মনে করিয়ে দেওয়াই মাই পিলের কাজ।

৫। Healthtap

রাতে হঠাৎ ডাক্তারের সাথে কথা বলার প্রয়োজন পড়লো, তখন কী করবেন? হেলেথ ট্যাপ অ্যাপটি আপনাকে সাহায্য করবে। আপনার সমস্যার দ্রুত সমাধান পেয়ে যাবেন এই অ্যাপের কাছ থেকে। এমনকি আপনি রোগের ছবি অথবা ল্যাবের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে পারেন।

লিখেছেন

নিগার আলম

 

অল্প খরচে সাজিয়ে ফেলুন নিজের ঘরটি

ঘর শান্তির নীড়। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর ঘরে ফিরে মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। তাই প্রত্যেক মানুষ চায় তার ঘরটি হোক সাজানো গোছানো ছিমছাম। এই ঘর সাজানোর জন্য কত কিছু না করতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সব সময় সব কিছু করা হয়ে উঠে না। ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারা যায় না পছন্দের ঘর সাজানোর জিনিস। কিন্তু কিছু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব কম খরচে এবং নতুন আঙ্গিকে ঘরকে সাজানো যায়। এর জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশলের। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো।

১। রঙের পরিবর্তন

আপনার ঘরকে আকর্ষনীয় করে তুলতে রঙের ভূমিকা অনেক। ঘরের আকার দেখে রং পছন্দ করুন। হালকা রং ঘরকে বড় দেখায়। আর গাঢ় রংয়ে ঘরকে ছোট দেখায়। যদি নতুন করে রং করা সম্ভব না হয় তবে আগের রং ওপর নতুন এক কোট রং লাগিয়ে নিন দেখবেন ঘরের উজ্জলতা বেড়ে গেছে।

২। কুশন ব্যবহার

ঘরকে সাজাতে কুশন ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় রঙিন কুশন ব্যবহারের মাধ্যমে। আপনার সোফার রঙ খুব সাধারণ অনুজ্জ্বল হলেও তার সঙ্গে রঙিন কুশন মানিয়ে যাবে সহজেই। যে কোনো একটি উজ্জ্বল রঙের কুশন দিয়ে সোফা ও বিছানা ভরিয়ে তুলতে পারেন। আবার চার পাঁচটি রঙ এর কুশন কভারও ব্যবহার করতে পারেন।

৩। সঠিক সোফা নির্বাচন করুন

সোফা আপনার ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক দামী কোন সোফা দিয়ে ঘর সজাতে হবে এমন কোন কথা নেই। আজকাল মেঝেতে বসার আয়োজন বা ফ্লোরিং বেশ জনপ্রিয়। ফ্লোরিং যদি পছন্দ না করেন তবে বাঁশ বা বেতের সোফা দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। অল্প খরচে অনেক সুন্দর কিছু বেতের সোফা কিনতে পারেন।

৪। গাছ ও ফুল

ফুল এবং গাছ অন্যান্য ঘর সাজানোর জিনিসের তুলনায় বেশ সস্তা। এই গাছ দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার বাসাটি। গাছ ঘরকে রঙিন করে তুলবে। জানালার ধার ঘেঁষে লাগাতে পারেন লতানো গাছ। ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস না থাকলে গাছের বদলে তাজা ফুলও রাখতে পারেন। ঘরের এক কোণে কয়েকটি তাজা ফুল রেখে দিলে নিমিষেই ঘর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

৫। রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিনুন

সবসময় বড় দোকানগুলো থেকে যে শোপিস বা ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে হবে এমন তো নয়। অনেক সময় রাস্তার পাশেও পেতে পারেন দারুন কিছু ঘর সাজানোর জিনিস। পথে আসা যাওয়ার সময় খেয়াল করুন রাস্তার দোকানগুলোকে। পেয়ে যেতে পারেন আপানার পছন্দের কোন শোপিস।

৬। ল্যাম্প

অল্প খরচে ঘরে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে চাইলে ল্যাম্পের জুড়ি নেই। ঘরের কোণে একটি রঙিন ল্যাম্প রেখে দিন। সেটা হতে পারে হলুদ, লাল, নীল, কমলা কিংবা সবুজ। অথবা বেশ কিছু রঙের মিশ্রনে তৈরী ল্যাম্প ও পাওয়া যায় বাজারে। এছাড়া ঝুলানোর জন্য বিশেষ কিছু ল্যাম্প পাওয়া যায়। এর যেকোন একটা ল্যাম্প আপনি ঘরের কোণে রেখে দিতে পারেন।

লিখেছেন

নিগার আলম

 

কুরআনে অন্যায়ভাবে হত্যার শাস্তির বিধান

জাহেলিয়াতের যুগে কোনো আইন-কানুন ছিল না; তাই সবল গোত্রগুলো দুর্বল গোত্রগুলোর ওপর যেভাবে ইচ্ছা অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন করতো। তা অনেক সময় হত্যা পর্যন্ত গড়াতো। সবল সম্প্রদায়ের কাউকে দুর্বল সম্প্রদায়ের লোকেরা হত্যা করলে একজনের জন্য পুরো গোত্রকে বিনাশ করাই ছিল সে সমাজের কানুন। আবার দুর্বল সম্প্রদায়ের কাউকে হত্যা করলে সবলদের বিচার হতো না বললেই চলে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের পর সমাজ থেকে অত্যাচার-নির্যাতনসহ হত্যার সুষ্ঠু বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তায়ালা বিধান প্রণয়ন করেন। হত্যার বিধান কেমন হবে- তা উল্লেখ করে আল্লাহ তায়লা বলেন-

Quran

আয়াতের অনুবাদ-

Quran

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ১৭৮ নং আয়াতটি উল্লেখ করা হয়েছে। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা হত্যার বিধান প্রণয়ন করেন। আর কেউ যদি কাউকে মুক্তিপণের মাধ্যমে ক্ষমা লাভ করতে চায় এবং তাতে উভয় পক্ষ সম্মত থাকে, তবে তারও বিধান রয়েছে।

উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা মুমিন বান্দাদের লক্ষ্য করে বলছেন, ‘মানুষ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আল্লাহ তায়ালা বিধান নাজিল করেছেন। আর তা হলো- স্বাধীন ব্যক্তির বদলে হত্যা করা হবে স্বাধীন ব্যক্তিকে; দাসের পরিবর্তে স্বাধীন ব্যক্তিকে হত্যা করা যাবে না। আবার দাসের বদলে দাস এবং নারী বদলে নারীকে হত্যা করা হবে।’

জাহেলি যুগে কোনো আইনের শাসন ছিল না বললেই চলে। তাই ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিই বিরাজমান ছিল। শক্তিমান গোত্র দুর্বল গোত্রকে যেভাবে ইচ্ছা জুলুম করত।

জুলুমের একটি পন্থা ছিল এ রকম, ‘শাক্তিশালী গোত্রের কেউ নিহত হলে শুধু হত্যাকারীর বদলে গোত্রের একাধিক লোককে হত্যা করা হতো। কখনো পুরো গোত্রকেই ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হতো। আবার পুরুষের পরিবর্তে নারীকে এবং গোলামের পরিবর্তে স্বাধীন লোককে হত্যা করা হতো।’

তাফসিরে ইবনে কাছিরে এসেছে- ইসলাম আবির্ভাবের কিছুকাল আগে দুটি গোত্রের মাঝে যুদ্ধ বাঁধে। উভয় পক্ষ বহু নারী-পুরুষ ও স্বাধীন-পরাধীন লোক নিহত হয়। তাদের এ সমস্যার সমাধান না হতেই ইসলামের আবির্ভাব ঘটে।

বিবদমান উভয় গোত্রই ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে। মুসলমান হওয়ার পর উভয় গোত্রই তাদের নিহতদের রক্তপণ গ্রহণের আলোচনা শুরু করে। তন্মধ্যে যে গোত্রটি শক্তিশালী তারা বলল, ‘আমরা যতক্ষণ আমাদের গোলামদের পরিবর্তে তাদের স্বাধীন ব্যক্তিকে এবং নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের হত্যা না করবো ততক্ষণ থামবো না।’

তাদের এ রকম অজ্ঞ দাবির মুখে আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত নাজিল করে বলেন, ‘স্বাধীনের পরিবর্তে স্বাধীন, গোলামের পরিবর্তে গোলাম এবং নারীর পরিবর্তে নারীই হবে ফয়সালা।’

জাহেলিয়াতের নিপীড়নমূলক প্রথাগুলোর প্রচলনের সমাধি রচনা করে ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা প্রণয়নে ইনসাফপূর্ণ আইন বা বিধান বাস্তবায়ন করতেই আল্লাহ তায়ালা এ বিধান জারি করেন। যে যাকে হত্যা করেছে; তার পরিবর্তে শুধু তাকেই হত্যা করা যাবে। এর বেশি কাউকে নয়।

পড়ুন- সুরা বাকারা : আয়াত ১৭৭

পরিশেষে…
কুরআনুল কারিমের উল্লিখিত এ আয়াতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের অন্যায়-অবিচার ও জুলুম-অত্যাচারের লাগাম টেনে ধরতে এবং সুষ্ঠু-সুন্দর পন্থায় হত্যার বিচার করতেই আল্লাহ তায়ালা এ আয়াত নাজিল করেন। কুরআনের এ বিধানের বাস্তবায়ন যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আজো বিদ্যমান।

সমাজে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে এ বিধান বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। বিচার-ব্যবস্থায় হত্যার বিধান চালু হলে অবৈধ হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাস থেমে যাবে। সমাজে সুখ-শান্তি ফিরে আসবে।

মহান দয়ালু আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে তাদের জীবনে উল্লিখিত আয়াতের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Save

Save

 

নতুন নায়িকা ফারিন

জাজ মাল্টিমিডিয়ার পরবর্তী ছবি ধেৎতেরিকির নতুন নায়িকা কে? এ নিয়ে এক মাস ধরে চলচ্চিত্রপাড়ায় নানা আলোচনা। সেই সময় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠান করে সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে নতুন নায়িকাকে। অবশেষে সেই নাম ঘোষিত হলো। ধেৎতেরিকি ছবিতে অভিষেক ঘটছে নতুন নায়িকা ফারিনের।
শুরু থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্ভাব্য নায়িকা হিসেবে তানজিন তিশা, পিয়া বিপাশা ও ফারিনের নাম ঘুরেফিরে আসছিল। নতুন নায়িকা যে ফারিনই হচ্ছেন—এমন একটি খবর প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ছাপা হয় সে সময়ই। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য সব আটকে ছিল।
গতকাল সোমবার রাতে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফারিনকে সবার সামনে পরিচয় করিয়ে দেয় ধেৎতেরিকি ছবির বাংলাদেশ অংশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ১০০ অভিনেত্রী থেকে বাছাই করে ফারিনকেই নতুন নায়িকা হিসেবে নির্বাচন করেছে জাজ। ফারিনকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বাছাই করার পর ফারিনকে নিয়ে এক সপ্তাহ গ্রুমিং করেছি। তাঁর মধ্যে যে অভিনয়-প্রতিভা দেখেছি, তাতে খুশি আমরা। সব দিক দিয়েই নায়িকা হওয়ার যোগ্যতা আছে ফারিনের।’ এদিকে চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ পেয়ে ফারিন বলেন, ‘আমি কম কথা বলি। কাজে বিশ্বাসী, কাজ করে দেখাতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
ধেৎতেরিকি ছবিতে ফারিন অভিনয় করবেন রক্ত ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়া নায়ক রোশানের বিপরীতে। এই ছবির আরেক তারকা জুটি হলেন আরিফিন শুভ ও নুসরাত ফারিয়া। ছবির পরিচালক শামীম আহমেদ রনি বলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে সিলেটে শুটিং শুরু হবে ছবিটির। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটি কলকাতা থেকে প্রযোজনা করছে এসকে মুভিজ।

 

‘হাতে হেঁটে’ ফার্স্ট ক্লাস

নিজের যোগ্যতায় চাকরি খুঁজতে থাকেন। তাঁর ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনের কষ্ট, পাওয়া না-পাওয়ার হতাশা নিয়ে টিভি অনুষ্ঠান করার। টিভি চ্যানেলের মতো একটা জায়গায় প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাওয়াটা খুব একটা সহজসাধ্য ব্যাপার ছিল না। তবে চেষ্টা করে একসময় সাড়া পান মাহবুবা।

স্নাতক শেষ করে ঢাকায় এসে ভর্তি হন ইডেন মহিলা কলেজে। স্নাতকে ৬ নম্বরের জন্য প্রথম শ্রেণি হাতছাড়া হলেও স্নাতকোত্তরে তা আর মিস হয়নি।

মাহবুবা হক সম্পর্কে তাঁর শিক্ষক ও মাদার বখশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক আখতার বানু বলেন, ‘শারীরিকভাবে সমস্যার মধ্যে থাকলেও অন্য অনেক শিক্ষার্থীর চেয়ে কর্মঠ ছিল। সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেই তার ছিল সরব উপস্থিতি।’

স্নাতক পড়ার সময় প্রথম বর্ষের কয়েক মাস তাঁকে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলায় ক্লাস করতে হতো। এ জন্য নিয়মিত তিনি ক্লাস করতে পারতেন না। আখতার বানু বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষের সঙ্গে ওর কষ্টের বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। তারপরই সিদ্ধান্ত হয় ওর সব ক্লাস দ্বিতীয় তলায় ২১০ নম্বর কক্ষে নেওয়ার ব্যাপারে।’

স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সময় মাহবুবার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ঢাকা শেখ বোরহান উদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ। পরীক্ষা দিতে হয়েছে চারতলার কক্ষে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা ছিল তাঁর জন্য কষ্টকর। মাহবুবা বললেন, ‘প্রতিটি ভবনে প্রতিবন্ধী মানুষের কথা ভেবে লিফট থাকা উচিত। আলাদা শৌচাগারও থাকা দরকার।’

এখন আপনার লক্ষ্য কী? মাহবুবা হক বলেন, ‘ভালো একটি সরকারি চাকরির, যেন চাকরির পাশাপাশি প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারি।’

 

পেশা সবজি টোকানো, ঠিকানা ফুটপাত

তাঁরা তিনজন হারুপা আক্তার, শেফালি বেগম ও রিমা আক্তার। তিনজনই ঢাকার কারওয়ান বাজারে সবজি টোকান। ট্রাক থেকে নামানোর সময় কিছু সবজি মাটিতে পড়ে। তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন সেগুলো কুড়াতে।

সপ্তদশ শতাব্দীতে চালু হওয়া এই পাইকারি বাজারটির নাম হয়েছিল মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ী কারওয়ান সিংয়ের নামে। ঢাকা শহর যখন ঘুমোতে যায়, কারওয়ান বাজার  তখন জেগে ওঠে। সারা দেশ থেকে আসতে থাকে শাকসবজি, ফলমূলবোঝাই ট্রাক আর পিকআপ ভ্যান। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে নারী-পুরুষের ব্যস্ততা।

রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাজার ঘুরে এখানে কমবেশি শ তিনেক নারীকে কাজ করতে দেখা গেল। বাজারের ব্যবসায়ীদের মতে এঁদের সংখ্যা হাজার খানেক। দুই ঈদের আগে কাজের খোঁজে আসা নারীদের সংখ্যা বাড়ে।

এখানে কাজ করেন অল্পবয়সী নারী থেকে বৃদ্ধারা। নানা ধরনের কাজ আছে। সবজি টোকানো, ট্রাক থেকে সবজি আড়তে নেওয়া, পেঁয়াজের খোসা বাছা, আড়ত ঝাড়ু দেওয়া, পাইকারদের ফুটফরমাশ খাটা। অনেকেই বাজারঘেঁষা ফুটপাতগুলোতে থাকেন।

হারুপা আক্তারের বয়স তিরিশের কাছাকাছি। আট বছর বয়স থেকেই কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে থাকেন। সবজি বিক্রি শেষে বস্তাটি মাথার নিচে দিয়ে ঘুমিয়ে যান। তাঁর তিন সন্তানের জন্মও এখানে। নিরাপত্তা নেই, তাই বড় দুই মেয়েকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। স্বামী মাদকের ঝামেলায় এখন জেলে।

হারুপার কোমরে একটি কাপড়ের পুঁটলি বাঁধা। সবজি কুড়িয়ে প্রথমে এতে চালান করে দেন, পুঁটলি ভরে গেলে বস্তায় রাখেন। হারুপার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, সবার কাজেরই এই তরিকা। রাত ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সবজি টোকান। এরপর তাঁরা বিক্রি করতে বসেন। বাজারের খুচরা বিক্রেতা ও অল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা এঁদের মূল ক্রেতা। ভোর ছয়টার মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যায়। পাঁচ-ছয় শ টাকার মতো পাওয়া যায়।

শাহনাজ বেগম, অঞ্জনা বেগম, মরিয়ম খাতুন আর খোরশেদা বেগম কাজ করেন আড়তে। তাঁরা বস্তা থেকে ঝুড়িতে সবজি সাজিয়ে দেন, পাল্লা মাপতে সাহায্য করেন। কখনো পাইকারদের চা-পানি এনে দেন। বিনিময়ে পাইকাররা শেষ রাতের দিকে তাঁদের দাগ লাগা, পচা সবজি ও ফল বিনা মূল্যে দিয়ে দেন। একেকজন গড়ে চার-পাঁচজন পাইকারের কাজ করেন।

শাহনাজ বেগম আবার রোজ ১৫০-২০০ টাকার সবজিও কেনেন। পাইকারদের দেওয়া সবজির সঙ্গে এগুলো ভোরে বিক্রি করেন। আয় হয় শ পাঁচেক টাকা। সবজি সংগ্রাহক এই নারীরা সুযোগ পেলে একেক জায়গা থেকে দুই-একটা করে সবজি কোমরের পুঁটলিতে ভরে ফেলেন। কথাটা পাইকাররাও জানেন। পাইকার মাসুদ রহমান যেমন বলেন, ‘হাজার হাজার মালের তোন একটা-দুইটা নিলে কমে না। প্যাডের দায়েই তো করে।’

অনেক নারী টোকান না, রাতে সবজি কিনে দিনে বিক্রি করেন। তাঁদের একজন মনোয়ারা বেগম। তিনি বেচাকেনা করেন আলু। লাভ থাকে বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা। মনোয়ারার স্বামী মৃত। দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি পাকা বাজারের বারান্দায় থাকেন। বললেন, টাকা জমাচ্ছেন। জমি কেনার মতো টাকা হলেই জন্মভিটা জামালপুরে ফিরে যাবেন।

হারুপারা ফুটপাতে থাকেন, খান, ঘুমান। টয়লেট-গোসল সারেন বাজারের গণশৌচাগারে। তবে তাঁরা কেউ রান্না করেন না। তিন বেলাই খাবার কিনে খান। শেফালি বেগমের কথা, ‘রানমু কই? থাহি তো রাস্তায়। খাইতেই বেবাক টাহা চইল্যা যায়।’ তিনি পঙ্গু স্বামীসহ এখানে থাকেন। অসুখ হলে ফুটপাতে যাঁরা ওষুধ বিক্রি করেন, সেখান থেকে ওষুধ কিনে খান। মাঝেমধ্যে পুলিশ তাঁদের হয়রানি করে। তবে কোনো চাঁদা দিতে হয় না।

কেউ কেউ আবার কারওয়ান বাজার, বেগুনবাড়ি ও তেজগাঁও রেললাইন বস্তির বাসিন্দা। এঁরা রাত ১০টার দিকে আসেন, সকাল সাতটা-আটটায় চলে যান।

এ কাজে হাঙ্গামা আর ভোগান্তি কম না। রাতের ঘুম নষ্ট। কয়েকজন নারী বললেন, অনেক পুরুষ গায়ে হাত দেয়, বাজে মন্তব্য বা অশ্লীল ইঙ্গিত করে। সানোরা বেগম বলেন, ‘বাজার হইল বারো রহম মানুষের মেলা। খারাপ মানুষ সবহানেই আছে।’

দুর্ঘটনাও ঘটে। বছর দশেক আগে সবজির ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে শেফালি বেগমের চোখের সামনেই মারা গিয়েছিলেন রাহেলা খাতুন। ঝড়-বৃষ্টি আর শীতে বড় কষ্ট হয়। ফরিদা বেগম বলেন, বর্ষায় পায়ে ঘা হয়ে যায়।

এঁদের কারও স্বামী জেলে, কেউ আরেকটি বিয়ে করে চলে গেছেন, কেউ বাচ্চা জন্মের পর থেকে নিরুদ্দেশ। এই নারীরা উপার্জন নিয়ে সন্তুষ্ট। এই টাকায় সন্তান মানুষ করছেন। তবে তাঁরা বলেন, রাতে নারীদের বাজারে কাজ করা এখনো পরিবার বা সমাজ ভালো চোখে দেখে না। কাজটা ভালোও লাগে না। কিন্তু অন্য কাজ পাবেন কই?

তাঁরা শুনেছেন, কারওয়ান বাজার এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে তা নিয়ে মাথা ঘামান না তাঁরা। রিমা আক্তার যেমন বলেন, ‘আমরাও তহন চইল্যা যামু, সঙ্গী তো খালি অ্যাট্টা বস্তা!’

Save

 

মোড়কের নানা ঢং

প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার সময় তা কাগজে মুড়িয়ে দেওয়ার প্রচলন প্রথম শুরু করে চীনারা। মিসরেও এই রীতি চালু হয়েছিল অনেক কাল আগে। তবে, আধুনিক র‍্যাপিং পেপারের ধারণা নিয়ে আসে কার্ড বিক্রির প্রতিষ্ঠান হলমার্ক। র‍্যাপিং পেপারের ইতিহাস বিষয়ে ঘাঁটতে গিয়ে ইন্টারনেটের একটি ব্লগ থেকে পাওয়া গেল এমনই তথ্য। র‍্যাপিং পেপারে উপহার মুড়ে দেওয়াটা এখন শিল্পে পরিণত হয়েছে।
.উপহার তো কাগজে না মুড়েও দেওয়া যায়। তাহলে উপহার র‍্যাপিংয়ে কেন এত মেধা খরচ? অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্রাউন পেপারের অন্যতম অংশীদার নাজিলা সাবরিন জামান বলেন, ‘উপহার তো এমনি দেওয়া যায় কিন্তু তা একটি র‍্যাপিং পেপারে সুন্দর করে মুড়িয়ে দিলে যাকে উপহার দেবেন তাঁর মধ্যে একটি বাড়তি আকর্ষণ কাজ করে। ভেতরে কী আছে তা তো তিনি জানেন না। অনেক সময় নিজে থেকে কিছু একটা আন্দাজ করে নেন। আবার কখনো কোনো ধারণাও থাকে না যে প্যাকেটের ভেতর কী থাকতে পারে। প্রিয়জনকে চমকে দেওয়ার জন্য উপহারটি র‍্যাপিংয়ের মাধ্যমে আড়াল করে রাখাও একটি উদ্দেশ্য। ’
কোনো উপহার সুন্দর কাগজে র‍্যাপিং করে বা নানা কায়দায় নকশা করে দিলে যিনি উপহার পাবেন তিনিও খুশি হবেন। এই উপহার যে দায়সারা নয় বরং ভালোবাসা থেকে দেওয়া, এটা বোঝানোর একটি অন্যতম কৌশল হতে পারে আকর্ষণীয় র‍্যাপিং।
বাজারে নানা ধরনের র‍্যাপিং পেপার পাওয়া যায়। তবে শুধু কাগজ দিয়ে মুড়ে দিলেই কি চলে? মোড়ানোর ক্ষেত্রেও শৈল্পিক ছোঁয়া দেওয়া যেতে পারে। সুন্দর করে কীভাবে উপহার মোড়ানো যায়, তা ধাপে ধাপে থাকছে এখানে। ধাপগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন সৈয়দা সাদিয়া শেহ্‌রীন।.

 

Save

Save

Save

Save

 

কী দেব উপহার?

উপহার মানেই তো চমক। তাই বিশেষ দিনে প্রিয় মানুষের জন্য উপহার ঘিরে থাকে হাজারও পরিকল্পনা। উপহার নির্বাচন দিয়ে যে পরিকল্পনার শুরু সেটার সমাপ্তিটা হয় সুনিপুণ হাতে মোড়ানোর মাধ্যমে। তবে এই উপহার পরিকল্পনায় হালের তরুণেরা কতটা ‘পরিকল্পনাবিদ’! তাঁরা উপহার হিসেবে কীই-বা বেছে নিচ্ছেন?

এ সময়ের তরুণদের উপহারপ্রবণতা জানতে কথা হয় বিভিন্ন জেলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী কয়েকজন তরুণের সঙ্গে। রংপুর মেডিকেল কলেজের সুনন্দা সরকারের মতো তরুণদের কমবেশি সবাই মাথায় রাখেন উপহার নির্বাচনের মৌলিক বিষয়টি। সুনন্দা যেমনটি বললেন, যাকে উপহার দেওয়া হবে তিনি পুরুষ নাকি নারী, উপহারের উপলক্ষ, ব্যক্তির রুচিবোধ, বাজেট, সে মানুষটার সঙ্গে বন্ধুতের গাঢ়তা কতটুকু—এসব বিষয়ের ওপরই নির্ভর করে উপহারটা কী হবে।

.সম্পর্ক যেমন, উপহার তেমন
নিজের হাতে বানানো কাঠের একটি দেয়ালঘড়িকে ‘লাভ ক্লক’ নাম দিয়েছেন ফারজানা নোভা। ঘড়িটি তিনি উপহার দিয়েছেন তাঁর খুবই পছন্দের একজন মানুষকে। এমন নাম কেন? ‘ঘড়িটি আমি বানিয়েছি নিজের মতো করে। সংখ্যার ঘরগুলো ‘লাভ সাইন’ ব্যবহার করেছি। যার অর্থ ২৪ ঘণ্টা ধরেই ভালোবাসা!’
এই তরুণীর মতো অনেকেই হাতে বানানো উপহারকেই বেশি গুরুত্ব দেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমা নওরীন বলেন, ‘আমি চমকে দেওয়া কেকের সঙ্গে হাতে বানানো কোনো কার্ড কিংবা ‘ম্যাজিক বক্স’ দিয়ে থাকি। তবে বই, চকলেট ও অলংকারও কখনো কখনো দেওয়া হয়।’ ম্যাজিক বক্স? বিষয়টি খোলসা করলেন নওরীন, এটা তেমন কিছু নয় তবে বেশ মজার। এটির ভেতর অনেকগুলো বক্স সাজিয়ে রাখা হয়। একটার পর একটা বক্স খুলে খুলে উপহারে পৌঁছাতে হয়।
এমন বিশেষ উপহারের মধ্যেও তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় উপহার বই। কী ধরনের বই পছন্দের তালিকায় থাকে? সেখানেও এল রুচির বিষয়টি সামনে আনলেন তাসনিয়া প্রিয়তা। তাঁর মতে, ‘এটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির রুচি কেমন তার ওপর। কেউ বাংলা বই বেশি পছন্দ করে, কেউ ইংরেজি। সবারই কোনো না কোনো পছন্দের লেখক বা কবি থাকেন। সে হিসেবেই বই কেনা হয়।’ তবে অনেকেই নিজে পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন এমন বই উপহার দিয়ে থাকেন, সম্প্রতি প্রকাশিত বইও উপহারের তালিকায় রাখেন কেউ কেউ।
বইয়ের বাইরে অনেকে আবার বিবেচেনা করেন বন্ধুর খুব প্রয়োজনীয় কিছু দরকার কিনা। এই উপহার তালিকায় তখন চলে আসে টি-শার্ট, মানিব্যাগ থেকে নিত্যব্যবহার্য নানা গ্যাজেট। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিমেষ বৈদ্য যেমন প্রায় বন্ধুর জন্মদিনেই পেনড্রাইভ, পাওয়ার ব্যাংক কিংবা হেডফোনের মতো দরকারি গেজেট নিয়ে হাজির হন।

তবে উপহার যেমনই হোক, তা উপস্থাপনের ক্ষেত্রেও রয়েছে তরুণদের বিশেষ নজর।

নির্বাচিত উপহার

হালের তরুণেরা হরহামেশায় উপহার হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বই, ফুল, কানের ঝুমকা, চুড়ি-বালার মতো অলংকার, সুগন্ধিসহ বিভিন্ন নিত্যব্যবহার করা হয় এমন প্রসাধনী, হাতঘড়ি, পোশাক, মানিব্যাগ, কেক, চকলেট, হাতে বানানো কার্ড, স্ক্র্যাপ বুক, পেনহোল্ডার, নোটবই, গাছ, ফুল, কফি মগ, ছবিসহ মগ, ছবির ফ্রেম, ফুলদানি, টেডিবিয়ার, মোমবাতি, কাঠে খোদায় করা ছবি, সেলফিস্টিক, পেনড্রাইভ, পাওয়ার ব্যাংকসহ বিভিন্ন গেজেটসামগ্রী।

আগ্রহটা অনলাইনে

পছন্দের উপহারসামগ্রী সংগ্রহের জন্য অধিকাংশ তরুণের ভরসা অনলাইনভিত্তিক দোকানগুলোয়। অনলাইনে বই, সুগন্ধিসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী কেনার সুবিধা হলো মূল্য পরিশোধ করলে তা সরাসরি নির্দিষ্ট মানুষের দরজায় পৌঁছে দেন। তরুণদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অনলাইন ছাড়াও ঢাকায় যাঁরা থাকেন তাঁরা বই সংগ্রহের ক্ষেত্রে ছুটে যান আজিজ সুপারমার্কেট, নীলক্ষেত, চট্টগ্রামের তরুণেরা বাতিঘর, প্রথমাসহ শহরের বড় বইয়ের দোকানগুলোয়। কাঠের ওপর ছবি বা কোনো উক্তি খোদাই করে দেওয়ার ক্ষেত্রে উডপেকারসহ কয়েকটি অনলাইন দোকানের নাম শোনা গেল। অলংকার, প্রসাধনী, পোশাকসামগ্রী সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনলাইনের পাশাপাশি বড় কোনো শপিংমল বা ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোয় হাজির হোন। অন্যান্য উপহার কেনার ক্ষেত্রে হাতের নাগালে রয়েছে এমন ইলেকট্রনিকস দোকান, উপহার বিক্রির দোকানে খোঁজ করেন।

Save

Save

Save

 

এগ রোল তৈরির সবচেয়ে সহজ উপায়

বাড়িতে হঠাৎ অতিথি চলে এলে কিংবা নিছকই ঘরোয়া আড্ডায় ঝটপট কিছু তৈরি করা যায় এমন খাবারই সবার বেশি পছন্দ। তবে শুধু স্বাদই নয়, নজর রাখতে হবে সুস্বাস্থ্যের দিকেও। তাই সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার স্বাদের এগরোল। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : ডিম ২টা, ময়দা ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো, তেল পরিমাণ মতো, পছন্দ মতো রান্না করা কিমা ১ কাপ, টেস্টিং সল্ট আধা কাপ।

প্রণালি : প্রথমেই ডিম, ময়দা, লবণ, টেস্টিং সল্ট ও পানি দিয়ে গোলা বানিয়ে নিন। এবার ননস্টিক প্যানে বানিয়ে রাখা গোলা ছেড়ে দিয়ে পাতলা প্যানকেকের মতো ভেজে নিন। ভাজা প্যানকেকে কিমার পুর ভরে রোল বানিয়ে লবণ দিয়ে ফেটে রাখা ডিমে রোলগুলোকে গড়িয়ে গরম ডুবু তেলে ভেজে তুলে ফেলুন। এবার পরিবেশন করুন হট টমেটো সস দিয়ে মজাদার এগ রোল।

 

ফাস্ট ডেলিভারি সুবিধা নিয়ে আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ

অর্ডার দিচ্ছেন অনলাইনে ফেসবুক পেইজে কিংবা ফোনে, পণ্য পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। একজন ক্রেতার কাছে ব্যাপারটা খুবই উপভোগ্য। এতে তার কষ্ট কমছে, ঘরে বসেই বুঝে নিচ্ছেন অর্ডার করা প্রিয় পণ্যটি। এভাবেই ক্রেতাদের সময় ও অর্থ দুই বাঁচাতে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ চালু করেছে ফাস্ট ডেলিভারি সুবিধা।

ফাস্ট ডেলিভারি সুবিধা পেতে আইকনিক এর ধানমন্ডি, উত্তরা, বনানী ১১ ও যমুনা ফিউচার পার্কের স্টোরগুলোতে গিয়েও পছন্দনীয় পোশাকটি অর্ডার করতে পারবেন প্রিয়জনের জন্য। পাশাপাশি ফেসবুক পেইজে প্রিয় পোশাকটি বেছেও অর্ডার করা যাবে। এছাড়াও আইকনিকের ধানমন্ডি ও যমুনা ফিউচার পার্ক স্টোর থেকে পছন্দনীয় গয়না ও কসমেটিক যেকোন সময় অর্ডার করতে পারবেন ক্রেতারা । ফাস্ট ডেলিভারি সুবিধায় নির্দিষ্ট মূল্যের পণ্য অর্ডার দিলে পাওয়া যাবে সারপ্রাইজ উপহার পাওয়ারও সুযোগও। ফেসবুকের মাধ্যমে অর্ডারকৃত পণ্যের মূল্য  হাতে পেয়ে কিংবা বিকাশে বা আইকনিক এর ৫ টি স্টোরের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে সহজেই।

আইকনিকের উদ্যোক্তা তাসলিমা মলি জানান, ট্রেডিশনাল এবং পাশ্চাত্য পোশাকে নিজেদের গর্জাস লুকে উপস্থাপনার জন্য উজ্জ্বল রঙের পোশাক থাকছে আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ-এ। সবই সমকালীন ফ্যাশন প্যাটার্ন ও কালার প্যালেট অনুসরণ করে তৈরি। তাই আমারদের ক্রেতা মূলত ট্রেন্ডি এবং ফ্যাশন সচেতন। আমাদের অনেক ক্রেতাই নতুন নতুন পোশাকের ছবি আইকনিকের ফেসবুকে প্রকাশ পেলেই তা কিনতে আগ্রহী হোন। কেউ কেউ প্রিয়জনকে পোশাক উপহার দিতে ফেসবুক থেকেই অর্ডার করতে আগ্রহী। মুলত এসব কারণেই ক্রেতাবান্ধব শপিংয়ের জন্যই আমাদের এই ফাস্ট ডেলিভারি সুবিধা চালু করা হয়েছে। ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধাও থাকছে শর্ত সাপেক্ষে। পাশাপাশি আমরা আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজের নিয়মিত ক্রেতাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্যের অনলাইন অর্ডারে দিচ্ছি সারপ্রাইজ উপহারও।

উল্লেখ্য, আইকনিক ফ্যাশন গ্যারেজ মূলত তরুণীদের সর্বশেষ ফ্যাশন ট্রেন্ডের সাথে পরিচয়ের যোগসূত্র তৈরির একটি প্রয়াস। স্টোরে তাই চলতি ফ্যাশনের ক্যাপ, স্কার্ট, ব্লাউজ, টপস, গাউন কামিজ, ম্যাক্সি ড্রেস, সিল্ক জর্জেটের লং কটি বা জাম্পস্যুট সবই থাকছে রঙ এবং প্যাটার্ন ভিন্নতায়। প্যাটার্নে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ফিউশন এবং পাশ্চাত্য কাট। প্রিন্টে ব্যবহার করা হয়েছে পিগমেন্ট প্রিন্ট, আফসন প্রিন্ট, ফ্লক প্রিন্ট আর থ্রিডি প্রিন্ট। উপমহাদেশের চলতি ডিজাইন ভাবনায় এবং ফেব্রিকেশনে লং থেকে সেমি লং কুর্তি, সালোয়ার কামিজ বা টপস-এ থাকছে গর্জাস লুক। ডিজাইন বৈচিত্র্যের এসব পণ্যের দাম শুরু ৯৯০ টাকা থেকে। তাই ফাস্ট ডেলিভারি সুবিধায় পণ্য পেতে অবশ্যই ভিজিট করুন .

 

সালোয়ারের রকমফের

সাধারণ কাটের সালোয়ারের চল এখন কমে গেছে অনেকটাই। একটা সময় ছিল যখন চুড়িদার পরা কাউকে দেখলেই প্রশংসা করা হতো। সাধারণ কাটের সালোয়ারের বাইরে চুড়িদার বেশ আলোড়ন তুলেছিল। এরপর এলো পাতিয়ালা। তারপর ধুতি। নিচে চওড়া মুহুরি দেওয়া সালোয়ারের চলও ছিল কিছুদিন। পালাজ্জোর নকশায়ও এসেছে পরিবর্তন। প্রথমে নিচের দিকটা অনেক চওড়া ছিল। এখন নিচের চওড়া অনেক কমে এসেছে। লিনেন, নরম সুতি, নিটওয়্যার দিয়ে তৈরি পালাজ্জোর নিচের ঝুলটা (ফল) খুব ভালো হয়। নিচের দিকে ত্রিভুজের মতো কাট চলে এসেছে। যোগ করা হচ্ছে লেস ও সুতার কাজ।

পালাজ্জোতে ছাপা কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সঙ্গে একরঙা কুর্তা বা কামিজ ভালো মানাবে। ক্যাজুয়াল ট্রাউজারও চলছে। স্কার্ট ধাঁচের প্যান্টও দেখা যাচ্ছে। ওরেভ বা বায়াস ছাঁটে এখন পালাজ্জো, সালোয়ারের কাপড় কাটা হয়। এ কারণে কাপড়ের ঝুলটা খুব সুন্দর করে পড়ে। মাঝখানের কয়েক বছর টাইটসও জনপ্রিয় ছিল। এখনো অনেকে পরছেন।

পেনসিল প্যান্ট, সিগারেট প্যান্ট, চাপা ও লম্বায় ছোট কাটের পালাজ্জো, নি লেংথ ট্রাউজার, স্কিনি জিনস, স্কিনি ক্যাজুয়াল প্যান্ট, স্কার্ট প্যান্ট, ধুতি সালোয়ার, বেলুন প্যান্টের সমারোহ এখন বেশি। এর বাইরেও যে অন্য কোনো কাট দেখা যাচ্ছে না, তা নয়। তবে এই কাটগুলো আগামী কয়েক মাস বেশি দেখা যাবে। পোশাকের নিচের অংশে এখন বেশ কয়েক রকমের কাটছাঁট দেখা যাচ্ছে।

যে কাটগুলো এখন সালোয়ারে পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্যে একটি হলো স্কিনি ফিটিংস। স্কিনি জিন্সগুলোতে সুতা ওঠানো থাকে। রিপড লুক পাওয়া যাবে। আরেকটি হচ্ছে, সত্তরের দশকের মতো ফ্লেয়ার থাকছে। পোশাকের নিচের অংশটিতে বেল বটমের বিভিন্ন স্টাইল দেখা যাচ্ছে। ওপরের দিকে চাপা হয়ে নিচের দিকে ঢিলে হচ্ছে। কোমরের একটু ওপরে পরার ট্রেন্ডটা অচিরেই চলে আসবে। এ কারণে টপগুলো একটু ছোট হয়ে যাবে লম্বায়। চাপা কাটের প্যান্টের সঙ্গে একটু ফ্লেয়ার দেওয়া টপ ভালো লাগবে। স্কিনি জিনসের সঙ্গে কুচি দেওয়া অথবা ঢিলে টপ বেছে নিলে ভালো। অনেক লেয়ারের মাধ্যমে তৈরি করা টপও মানাবে। বেল বটম স্টাইলের প্যান্টের সঙ্গে বুক পর্যন্ত চাপা হয়ে ছেড়ে দেওয়া টপ পরতে পারেন। লেংথ ট্রাউজারের সঙ্গে লম্বা কামিজ পরতে পারেন।

এখন সবচেয়ে বেশি চলছে সিগারেট ও পেনসিল কাটের সালোয়ার। দুটোই চাপা কাটের, তবে পেনসিল প্যান্টটা বেশি চাপা।  সিগারেট প্যান্ট এখন কামিজের সঙ্গেও পরছেন অনেকে। পেনসিল প্যান্ট কিশোরীরা বেশি পছন্দ করছে। তবে যাঁদের স্বাস্থ্য ভালো, তাঁরা এই প্যান্ট না পরলেই ভালো। এই প্যান্টগুলোর সঙ্গে লম্বা কামিজই পরা হচ্ছে। কামিজের ঘের কমে গেছে। ধুতির সঙ্গে লম্বায় ছোট কামিজ পরলে ভালো। নিচের দিকে ওভাল শেপ পরতে পারেন। কাপড়ের তৈরি চুড়িদারের জনপ্রিয়তা এখনো আছে। পাশাপাশি নিট কাপড়ের তৈরি চুড়িদার বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এসব টাইটসের কুচিগুলো পড়ে ভালোভাবে।

সাধারণভাবে বানানো সালোয়ারে এখন ১২ ইঞ্চি মুহুরি দেওয়া হচ্ছে। ধুতির মুহুরিতে ১০ দিলেই ভালো। সাড়ে তিন গজের মতো কাপড় লাগবে। তবে ধুতিতে বেশি কুচি চাইলে বেশি কাপড় লাগবে। ধুতির জন্য একটু নরম কাপড় ভালো। সিগারেট প্যান্টের জন্য একটু মোটা কাপড় ব্যবহার করলে ভালো। পেনসিল প্যান্টের জন্য একটু স্ট্রেস করে এমন কাপড় ব্যবহার করতে পারলে ভালো। পালাজ্জোতে জর্জেট কাপড় ব্যবহার করলে নিচে ভয়েল কাপড় লাগিয়ে নিন।

 

সহজেই রাঁধুন দই-ডিম ভুনা

প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রতি নির্ভরশীল প্রায় সবাই। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম থাকেই। কখনো অমলেট, কখনো ভাজা, কখনো সিদ্ধ, কখনো বা ভুনা। এই ডিম ভুনার স্বাদে ভিন্নতা আনতে চাইলে রাঁধতে পারেন দই-ডিম ভুনা। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : সিদ্ধ ডিম ৮টি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচের একটু কম, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, টক-মিষ্টি দই ১ কাপ, দারুচিনি, এলাচি, তেজপাতা ১টি করে, তেল-লবণ পরিমাণমতো, কাঁচামরিচ প্রয়োজনমতো।

প্রণালি : প্রথমে ডিম এ হলুদ গুঁড়া আর লবণ মাখিয়ে প্যানে হালকা তেলে একটু লাল করে ভেজে তুলে রাখুন। এবার গরম তেলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে একটু পানি দিয়ে দই ছাড়া সব গুঁড়া মশলা দিয়ে ভালো করে নিন, কষানো মশলায় দই ভালো করে ফেটে দিন এবং আবার কষান। এবার ডিম দিন এবং অল্প পানি দিয়ে ৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিন। এবার কাঁচামরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভুনা ভুনা করে নামান। গরম ভাত-রুটি-পোলাও ইত্যাদির সাথে পরিবেশন করুন।

 

আদা পানি কেন খাবেন

আদা যে শুধু মশলা হিসেবেই ব্যবহার করা হয় এমন কিন্তু নয়। শরীরের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ সারাতেও আদার রয়েছে বিশেষ অবদান। আদার মধ্যে রয়েছে রোগ নিরাময়কারী উপাদান। আদা এমনি খাওয়াও ভালো, তবে যদি আদা পানি খাওয়া হয় এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আদা পানি শরীর পরিশোধিত করতে সাহায্য করে। পানির মধ্যে আাদার টুকরো কেটে ১৫ মিনিট ফুটান। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। এর মধ্যে কিছুটা লেবু দিয়ে পান করুন।

আপনি যদি গাঁটে ব্যথা ও প্রদাহ জনিত সমস্যায় ভোগেন তাহলে আদা-পানি খেতে পারেন। এই পানি হাড়ক্ষয় প্রতিরোধে কাজ করে। শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে আদা-পানি সাহায্য করে। শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার প্রতিরোধেও আদা পানি কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে আদা-পানি খেতে পারেন। আদা উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

আদার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আদা পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এটি বমি প্রতিরোধ করতে কাজ করে। এটি গলা ব্যথা এবং পেশি ব্যথা কমাতে কার্যকর।

 

কোমর ব্যথায় যা করবেন

কোমর ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে যারা চাকরি করেন, তাদের অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়। এছাড়াও নানা কারণে অনেকেই কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। কোমরে ব্যথা থাকলে কিছু কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত, বিশেষ কিছু যত্ন নেয়া উচিত। চলুন জেনে নেই কোমর ব্যথায় করণীয়-

বসার সময় হাত ও পায়ের অবস্থান ঠিকমতো না থাকলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। সামনের দিকে ঝুঁকে না বসে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসুন। আর অন্তত এক ঘণ্টা অন্তর একটু হাঁটুন, বসার প্যাটার্ন পরিবর্তন করুন। এ ক্ষেত্রে চেয়ার পরিবর্তন করেও দেখতে পারেন।

ভারী জিনিস বহন করলে কোমর ব্যথা বাড়তে পারে। তাই একবারে বেশি ওজন বহন না করবেন না।

কোমর ব্যথা হলে অনেকেই গরম বা ঠাণ্ডা পানির সেঁক দিয়ে তাকেন। এতে অল্প সময়ের জন্য আরাম হলেও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানো সম্ভব হয় না। তাই বাড়িতে চিকিৎসা না করে চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিন। আর এক সপ্তাহের বেশি ব্যথা থাকলে দেরি করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসক অথবা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।

কোমর ব্যথায় আক্রান্তরা সাধারণত ব্যায়াম করা থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। ব্যায়াম পেশিকে শক্ত করে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তাই ব্যায়াম করুন। তবে কোন ধরনের ব্যায়াম আপনার জন্য সঠিক সেটি জেনে নিতে হবে।

ব্যথা হলে নিজেই ডাক্তারি করবেন না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন।

 

মস্তিষ্ক নিজ থেকেই যে কাজগুলো করে

মানবদেহের অপরিহার্য অংশ হচ্ছে মস্তিষ্ক। এর থেকে আসা তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা কাজ করে থাকি। কিন্তু এসব ছাড়াও আমাদের মস্তিষ্কের কিছু নিজস্ব কাজ আছে, যা দ্বারা তারা নিজেরা নিজেদের কর্মব্যস্ত রাখে। আমরা প্রায়ই বলি মনের অজান্তে আমরা এই কাজটি করে ফেলেছি। কিন্তু তা কীভাবে হয়ে থাকে। তার থেকে পাওয়া তথ্য কী আমাদের মস্তিষ্কে থাকে? আমরা কী সংকেত পাওয়ার সাথে সাথেই কাজ করতে শুরু করি? আমাদের মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া যায় এসব প্রশ্নের উত্তর।

তথ্য যাচাই-বাছাই
আমাদের আশপাশে যা ঘটে তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা তথ্য পাই। আর এসব তথ্য জমা হওয়া কিংবা তা পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক। এর সাহায্য ছাড়া আমরা সব দেখতে পাবো ঠিকই, কিন্তু তার অর্থ আমরা বুঝতে পারবো না। তাই আপনার কান, চোখ থাকলেও আপনার মস্তিষ্ক না থাকলে আপনি অচল।

সাময়িক ভুলে যাওয়া
আমরা প্রায় অনেক সময় বলে থাকি যে কিছুক্ষণ আগে কী ঘটে গেলো? কিছু সময়ের জন্য আমরা ব্লাইন্ড হয়ে যাই। আর এটি হয়ে থাকে আমাদের মস্তিষ্কের কিছুটা বিরতি দেয়ার জন্য। আপনি যখন আপনার মনের অজান্তেই অনেক কিছু ভাবতে থাকেন আর আপনার মস্তিষ্কে চাপ পড়তে থাকে, তখন মস্তিষ্ক নিজেকে আবার কাজে ফিরিয়ে আনতে এটি করে থাকে। আপনি ঠিকই সব দেখতে পান আর ভুলেও যান না কিছু, শুধু অল্প সময়ের জন্য তা মনে রাখতে পারেন না।

উচ্চারণ
কথা বলার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে জিহ্বা। এর সাহায্য ছাড়া আমরা কোনো শব্দই সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারবো না। তবে এর থেকেও বড় কথা হচ্ছে মস্তিষ্ক ছাড়া শুধু জিহ্ববা দিয়ে কথা বলা সম্ভব না। আমরা কখন কী ভাবি, কী বলতে চাই তার তথ্য পৌঁছায় সরাসরি মস্তিষ্কে আর আমরা আমাদের চোখের সামনে তা দেখতে পাই এবং অনুভব করতে পারি। যা খুব অল্প সময়ে ঘটায় আমরা বুঝে উঠতে পারি না।

তাপমাত্রা
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা যখন প্রচণ্ড গরমে কিংবা ঠান্ডায় থাকি তখন আমাদের শরীর কীভাবে সেই স্থানের সঙ্গে মানিয়ে নেয়? এটি কেবল সম্ভব আমাদের মস্তিষ্কের কারণে। আপনি প্রচণ্ড গরমে থাকলে মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সাহায্য নিয়ে বাড়তি তাপমাত্রা বের করে দেয়। আর প্রচণ্ড শীতে শরীরে তাপ সরবরাহ করে।

 

হার্ট অ্যাটাকে প্রাথমিক চিকিৎসা

পরিবারে কারো বুকে ব্যথা অনুভূত হলে পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে কী ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন, কোথায় নিয়ে যাবেন কিংবা কী ওষুধ খাওয়াবেন তা নিয়ে ভীষণ দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও অনেকে গ্যাষ্ট্রিকের ব্যথা ভেবে গ্যাষ্ট্রিকের ওষুধ খান।  দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিলম্বও করে ফেলেন অনেকে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের  সহযোগী অধ্যাপক  ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু শুক্রবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে কী করতে হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘হার্ট অ্যাটাক হলে নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে ৩০০ এমজি ট্যাবলেট ইকোস্প্রিন ও ৩০০ এমজি ট্যাবলেট ক্লিপ্পিড অথবা ২০ এমজি ট্যাবলেট প্যানসেক ২০ খেয়ে তাড়াতাড়ি উপজেলা, জেলা কিংবা হৃদরোগের বিশেষায়িত হাসপাতালে চলে যান।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অবশ্যই জীবনরক্ষাকারী ষ্ট্রেপটোকাইনাসি প্রয়োগ করতে ভুলবেন না প্লিজ, এতে করে অনেক রোগী মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাবে। তারপর যেখানে সুযোগ আছে সেখানে অনতিবিলম্বে এনজিওগ্রাম করে ষ্ট্যান্ট বসিয়ে নিবেন। এটাই হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

প্রকাশ হলো বেলাল-মেরীর একটা গল্প

বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল ভাস প্রোভাইডর প্রতিষ্ঠান অ্যাডবক্স বাংলাদেশ লি. গত রোজার ঈদ থেকেই তাদের নিজস্ব প্রযোজনায় ২৫টি একক ও মিশ্র গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (২৭ অক্টোবর) ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বেলাল খানের এক্সক্লুসিভ মিউজিক ভিডিও ‘একটা গল্প’।

বেলাল খান বলেন, ‘গানটি খুব যত্ন করে তৈরি করেছি। আমার সঙ্গে মেরী ভালো গেয়েছেন। আশা করছি গান এবং এর মিউজিক ভিডিওটি শ্রোতা ও দর্শকদের মন মাতাবে।’

belal
এ্যাডবক্সের সিইও শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দর্শক-শ্রোতাদের ব্যতিক্রম কিছু মিউজিক ভিডিও উপহার দিতে চাই। এ দেশের মানুষের বাংলা গান শোনা ও দেখার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

গানে বেলার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছেন মেরী। চমৎকার এই গানটির কথা সাজিয়েছেন সোমেশ্বর অলি। ভিডিওতে গায়ক ও গায়িকা নিজেরা অভিনয়ের পাশাপাশি আরো মডেল হিসেবে আছেন এ. কে আজাদ ও নীলাঞ্জনা নীলা। আজাদ ‘চ্যানেল আই: হ্যান্ডসাম দ্য আলটিমেট ম্যান সিজন-টু’২০১৪ সালের বিজয়ী এবং নীলা লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার ২০১৪র সেকেন্ড রানারআপ।

Save

 

কেউ দোয়া চাইলে আপনি যা বলবেন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া করে না (সাহায্য চায় না); তার প্রতি আল্লাহ তাআলা রাগান্বিত হন।’ কেননা দোয়াই ইবাদাতের মূল। আবার পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ হলে একে অপরের নিকট দোয়া চায়; কল্যাণ কামনা করে থাকে। সেক্ষেত্রে কি বলতে হবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা আমাদের শিখিয়েছেন।

আর একে অপরের জন্য দোয়া করা বা কল্যাণ কামনা করাও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত। এ কারণে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমাজে সালাম আদান-প্রদানের জন্য জোর তাগিদ দিয়েছেন। কেননা সালামেও পরস্পরের জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়।

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মা একবার তাঁকে নিয়ে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে তাঁর জন্য দোয়া করার আবেদন করেন। এতে বিশ্বনবি তাঁর জন্য যেভাবে দোয়া করেন তা তুলে ধরা হলো-

Dan-Inner

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকছির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু ওয়া আত্বিল ও’মরাহু ওয়াগফিরলাহু ওয়া বারিকলাহু ফিমা রাযাক্বতাহু।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি তার অর্থ, সন্তান, ও বয়স বৃদ্ধি করে দিন। আর তাকে
ক্ষমা করুন এবং তাকে যে রুজি (রিজিক) দিয়েছেন তাতে বরকত দিন।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহর বিধান যথাযথভাবে পালন করার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া-আমল ও নফল ইবাদাত-বন্দেগি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Save

Save

Save

 

শিশুর মানসিক পরিবর্তনের সময় করণীয়

শিশুর বেড়ে ওঠার প্রথম জায়গা তার পরিবার। তার মানসিকতা তৈরির প্রথম সহায়ক হচ্ছে তার বাবা, মা, ভাই, বোন কিংবা নিকট আত্মীয়। শিশুরা তাদের প্রতিটি কাজে প্রায়ই ভুল করে থাকে। তবে বড়দেরও কিছু সময় বড় ধরণের ভুল হয়ে থাকে। তারা শিশুদের এই মানসিক পরিবর্তনের সময় কিছু ক্ষেত্রে ভুল করে থাকেন। বিষয়গুলো ছোট হলেও তার প্রভাব বড় আকারে পড়ে শিশুদের মনে। তাই তাদের সাথে মেশার সময়, তাদের মানসিকতা বুঝে আগানো উচিৎ। এতে তার বেড়ে ওঠা আর তার মানসিক পরিবর্তন দুই সঠিক ভাবে হবে।

সমান ভালোবাসা
পরিবারে যতদিন একটি সন্তান থাকে তাকে নিয়ে বাবা মায়ের আনন্দ ভালোবাসা একই থাকে। তার জন্মদিন ঘটা করে পালন করা, তাকে নিয়ে ছবি তোলা, ঘুরতে যাওয়া এসব ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান এবং একমাত্র সন্তান প্রথম দিকে প্রাধান্য পায়। যখনই আরো একটি ছোট বোন বা ভাই পরিবারে আসে তখনই দুজনের মাঝে তারতম্য দেখা দেয়। বড় সন্তানকে বোঝানো হয় যে সে বড় আর বড়দের জন্মদিন না করলেও চলে। যা তার ছোট মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। আর সাথে সাথে জন্ম দেয় হিংসার। তাই তাদের মধ্যে পার্থক্য না করে দুই জনকেই সমান প্রাধান্য দিন।

অহেতুক আশা:
শিশুদের অহেতুক আশা দেবেন না। তাদের কোনো ব্যাপার নিয়ে লোভ দেখাবেন না। তাদের সেটাই বলুন, সেটাই বোঝান যা আপনি করতে পারবেন। শিশুদের সত্যি কথা বলতে শেখান। তাদের আপনার সামর্থ্য সম্পর্কে সোজাসাপটাভাবে না বলে আদর করে বুঝিয়ে বলুন। আপনি যদি তাকে ছোট থেকেই মিথ্যা আশ্বাস দেন, অহেতুক বোঝান তবে সে বড় হয়েও তাই অন্যদের বোঝাবে। তাই ছোট থেকেই শিশুকে অহেতুক আশা থেকে দূরে রাখুন। তার মানসিক পরিবর্তনের সময় তাকে তাই শেখান যা তার জন্য জরুরি।

বন্ধু :
অনেক শিশুই বাড়িতে একা থাকে। কখনো আয়া, কখনো বুয়া বা আত্নীয়ের কাছে। আর এই একা থাকতে থাকতে তাদের কল্পনায় কখনো কখনো কখনো বন্ধু নামক একজন মানুষের সৃষ্টি হয়। সে তার সাথেই সময় কাটায়, তাকে তার মনে কথা বলে। আর এমনটা প্রায় শিশুরই ক্ষেত্রে ঘটে। তাই এটিকে তার সামনে বিশাল আকারে ধরে তুলবেন না। তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে কষ্ট দিয়ে কথা না বলে তার মানসিক পরিবর্তনের সময় তাকে সাহায্য করুন।

পর্যবেক্ষণ :
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে দেখেই আপনার শিশু অনেক কিছু শিখছে। তাই তার সামনে এমন কিছু করবেন না যাতে তার মানসিক পরিবর্তনে তা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।

 

মাছ আলুর চপ তৈরি করবেন যেভাবে

ঝাল কিংবা একটু ভাজাপোড়া খাবার খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের একটি পছন্দের পদ হতে পারে মাছ আলুর চপ। বিকেলের নাস্তা কিংবা পোলাও, বিরিয়ানির সঙ্গে খেতে ভালো লাগবে। চলুন তবে জেনে নেই-

উপকরণ : যে কোনো মাছ (ভেটকি, রুই, ইলিশ) ৫-৬টি বড় টুকরা, আলু মাঝারি ৩টি, একটি বড় পাউরুটির টুকরা, পেঁয়াজ মিহিকুচি ১/৩ কাপ, আদাবাটা ১ চা- চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচামরিচ-কুচি ১ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, ভাজা জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি : মাছের টুকরাগুলো ভাপে সিদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন। আলু সিদ্ধ করে ভালোভাবে চটকে নিন। পাউরুটি পানিতে ভিজিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলুন। এখন মাছ, আলু, রুটি খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তেল বাদে বাকি সব উপকরণ খুব ভালো করে মিশিয়ে হাতে অল্প অল্প করে নিয়ে পছন্দ মতো আকার দিন। কড়াইতে তেল দিয়ে তেল ভালো করে গরম করুন। গরম তেলে চপগুলো ছেড়ে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ডুবো তেলে ভাজবেন আর খয়েরি রং ভাব এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

ফ্যাশনে ফতুয়া

বৈচিত্র্যময় পোশাক হচ্ছে ফতুয়া। এর রঙে রয়েছে বৈচিত্র্য। গাঢ় রঙের যেকোনো পোশাকই এই আবহাওয়ায় অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সারা বছর চাহিদা থাকলেও গরমে আরামদায়ক পোশাক হিসেবে কুর্তার জুড়ি নেই। ট্র্যাডিশনাল, ক্যাজুয়াল আবার ফরমাল-যেকোনো ধরনের কুর্তাই কিনতে পাওয়া যায়। গরমে পরার জন্য এবার খানিকটা ঢিলেঢালা ভাব আনা হয়েছে কুর্তায়। কাপড় ও রঙ- দুটোই হালকা হলে ভালো আরাম মিলবে এই সময়ে।

কেমন ফতুয়া?
লম্বা দেহের জন্য বড় বড় প্রিন্টের কুর্তা ভালো লাগবে। তবে উচ্চতা কম হলে সবসময় ছোট প্রিন্টের নকশা করা কুর্তা পরা উচিত। এ ক্ষেত্রে বাঁকা বা আড়াআড়ি ডোরাকাটা প্রিন্ট পরাও উচিত নয়। তার বদলে সোজা ডোরা প্রিন্ট বেছে নিতে পারেন। এতে খানিকটা লম্বা দেখাবে।

গরম মাথায় রেখে হাতাকাটা লম্বা শার্টের মতো কুর্তা এসেছে বাজারে। এছাড়া চলতি ধারার সঙ্গে মিলিয়ে কুঁচি কিংবা ঘের দেওয়া কুর্তাও পরতে পারেন। আবার সোজা কাটের পাঞ্জাবির মতো কুর্তাও রয়েছে সংগ্রহে। কলারসহ এবং কলার ছাড়া দুই ধরনের কুর্তাই আছে। এছাড়া সুতির ওপর স্ক্রিনপ্রিন্ট ও হালকা সুতার কাজও দেখা যাচ্ছে। এছাড়া কুর্তিতে আলাদা করে চোখে পড়ে বোতামের ব্যবহার।  কুর্তায় কখনো হাতা, কখনো গলা, কখনো বা জমিনকে কেন্দ্র করে নকশার কাজটি হয়ে থাকে।

রঙ
সাদা, হালকা বাদামি, হালকা গোলাপি, নীল, পিচ, হালকা সবুজাভ রঙ গরমে বেশ ভালো লাগে। এসবের পাশাপাশি জলপাই, সবুজ, আকাশি, হালকা হলুদ, ঘিয়া, হালকা ম্যাজেন্টা, ফিরোজা, হালকা সবুজ, পেস্ট ধরনের উজ্জ্বল কিন্তু হালকা রঙগুলো কুর্তায় বেছে নিতে দেখা যাচ্ছে। কাপড় হিসেবে সুতি তো আছেই পাশাপাশি লিলেন, অ্যান্ডি, তাঁত, হাফ সিল্ক, মসলিনের ফতুয়াও দেখা যাচ্ছে।

ফতুয়ার সঙ্গে মিলিয়ে
একরঙা কুর্তার সঙ্গে প্রিন্টেড পালাজ্জো এবং স্কার্টে আপনার ফ্যাশনটাকেই বদলে দিতে পারে। কুর্তার কাপড়ের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে পারেন সিনথেটিক কাপড়ের ওড়না বা স্কার্ফ। কুর্তা বাড়িতেই বানিয়ে নিতে চাইলে সাড়ে তিন হাত বহরের পছন্দমতো দেড় গজ কাপড় আর দেড় গজ প্রিন্টের কাপড় অথবা অন্য কোনো নকশা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন।

কোথায় পাবেন
মায়াসির, বিবিয়ানা, ক্যাটস আই, আরবান ট্রুথ, আড়ং, নগরদোলা, রঙ, আবর্তন, কে-ক্র্যাফট, জেন্টল পার্ক, এক্সট্যাসি, ওটু, অঞ্জন’স, নিপুণসহ কমবেশি সব ফ্যাশন হাউসের শোরুমে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন রকমের কুর্তা পাওয়া যেতে পারে বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান পিংক সিটি, নিউমার্কেট গাউছিয়া, মৌচাকসহ ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল। এছাড়া অনলাইনেও পাওয়া যায়।

দরদাম
ফ্যাশন হাউসগুলোতে ফতুয়া বা কুর্তার দাম পড়বে ৭৯০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য বাজার বা দোকানে মিলবে এক হাজার টাকার মধ্যেই।

 

অফিসের কাজ বাড়িতে করার সুবিধা

অনেক সময় অফিসের সব কাজ অফিসে করে ওঠা সম্ভব হয় না। তাই তা বাসায় বয়ে আনতে হয়। আর তাতেই শুরু হয় আরেক বিড়ম্বনা। বাড়ির সবার বকাঝকা যেন আপনার জন্য তৈরি থাকে। কিন্তু আপনাকে আপনার আশেপাশের মানুষ যতই অফিসের কাজ বাসায় আনতে বারণ করুক না কেন এতে কিন্তু অসুবিধার পাশাপাশি সুবিধাও আছে।

জায়গা
আপনি আপনার বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা পেয়ে থাকেন। তাই জরুরি ফাইল এনে তা এখানে সেখানে রেখে খুব সহজেই কাজ করতে পারেন। হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তেমন থাকেনা তাই আপনি নিশ্চিন্ত মনে কাজ করতে পারেন। যা আপনাকে মানসিকভাবে কাজ করার উপযুক্ত রাখে।

অন্যদের সময় দেওয়া
কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারেন না? কিন্তু এই কাজই আপনাকে সময় বের করে দিতে পারে পরিবারকে সঙ্গ দেয়ার জন্য। আপনি যখন কাজ নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তখন আপনার খাওয়া ঘুমের জন্য একটা সময় পাবেন তেমনই তার ফাঁকে ফাঁকে পাবেন আড্ডা দেওয়ারও সময়। তাই মাঝে মধ্যে বাড়িতে অফিসের কাজ নিয়ে আসা মন্দ নয়।

নিয়মে চলা
বাড়িতে কাজ নিয়ে এলে তা দ্রুত শেষ করা যায়। আপনি যখন বাড়িতে কাজ করবেন তখন বাড়িতে থাকা মানুষদের কথাও আপনার মাথায় থাকবে। তাদের সাথে খাবার খাওয়া ইত্যাদি সময়গুলো যেহেতু আগেই নির্ধারণ করা থাকে তাই আপনার তাড়া থাকে অফিসের কাজ শেষ করে তাদের সাথে যুক্ত হওয়ার। যা আপনাকে দিয়ে আপনার মনের অজান্তেই দ্রুত অফিসের কাজ করিয়ে নেয়।

ইচ্ছামতো কাজ করা
আপনি যখন বাড়িতে কাজ করেন তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় বের করেও যেমন কাজ করতে পারেন তেমনই তার বিপরীতভাবেও। আর এই ইচ্ছামতো কাজ করার স্বাধীনতা আপনাকে দিয়ে দ্রুত আর সঠিকভাবে কাজ করিয়ে নেয়। তাছাড়া বাড়িতে কাজ করলে কিছুটা নিজের মনের মতো করে জায়গা তৈরি করে নেওয়া যায় যা আপনার কাজের জন্য উপকারী।

 

প্রতিদিনের গ্যাজেটের যত্নআত্তি

সারাদিনের কাজকর্মের বড় একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপটি। আর কাজের ক্লান্তিতে একটু গান শোনার জন্য তো হাতের কাছেই রয়েছে সাধের হেডফোনটি। এসব গ্যাজেট আমাদের নিত্যদিনের চলার পথের সঙ্গী হয়ে আছে সারাটা বছর জুড়ে। তবে দিনশেষে কেন যেন এসব জিনিসগুলোরই খুব একটা যত্ন নেওয়া হয়না। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় গ্যাজেটগুলোর দরকার আলাদা আলাদা যত্ন।

ল্যাপটপ-নেটবুকের যত্নআত্তি
ল্যাপটপ ও নেটবুক অনেকক্ষেত্রেই খুব সংবেদনশীল হয় তাই একটুখানি অযত্ন কিংবা মনোযোগের অভাবে আপনার অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটির যেকোনো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ল্যাপটপের উপর কখনোই ভারী কিছু রাখা উচিত নয়। লাপটপের পুরুত্ব খুব বেশি না হওয়ায় ভারী কিছুর চাপ পরলে তা মনিটরে সমস্যা করতে পারে। যেহেতু ল্যাপটপের ডিসপ্লে পরিবর্তন বেশ ব্যায়বহুল এবং ঝামেলাপূর্ণ তাই এই ব্যাপারে সচেতন হলে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ল্যাপটপের জন্য স্ক্রিন প্রটেক্টর এবং কীবোর্ড প্রোটেক্টর ব্যবহার করলে ধুলোবালি থেকে রক্ষা করা যেতে পারে সহজেই। এছাড়া আজকাল মিনি ইউএসবি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার পাওয়া যায় যা দিয়ে নিয়মিত মনিটর ও কীবোর্ড পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত ল্যাপটপ শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন যাতে কোনো ময়লা জমে না থাকে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, ল্যাপটপ এর ভেতর কোন অবস্থাতেই যেন পানি প্রবেশ করতে না পারে।

শখের মোবাইল ফোনের যত্ন
স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবের সবচেয়ে বড় দিকটি  হলো স্পর্শের সংবেদশীলতা। তাই খুব জোরে কিংবা নখ দিয়ে মোবাইল বা ট্যাব চাপা থেকে বিরত থাকলে টাচ সেনসিটিভিটি অনেকদিন ভালো থাকে। টাচস্ক্রিন মোবাইলের স্ক্রিনে পানি, ঘাম কিংবা তেল পড়লে এর টাচ এর কর্ম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করুন এসব থেকে মোবাইল ফোনটি দূরে রাখতে। আর পানি পড়লে সাথে সাথে আলতো করে মুছে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।

হেডফোনের যত্ন
অবসরের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠা হেডফোনটিরও চাই একটুখানি যত্ন যাতে করে দিনের বিভিন্ন ভাগ আপনি উপভোগ করতে পারেন পছন্দের কোন গান দিয়ে। গান শোনার সময় প্লাগটি এমনভাবে রাখুন যাতে হ্যাঁচকা টান কিংবা অসাবধানতায় এটি হঠাৎ খুলে না পড়ে যায়। এছাড়া অন্যসব গাজেট এর মতো হেডফোনও কোন তরল পদার্থ কিংবা অতিরিক্ত গরম থেকে দূরে রাখুন। হেডফোন পরিষ্কার করা ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন ছোট ছোট ওয়াইপস কিংবা টিস্যু। এছাড়া কটনবাড দিয়েও হেডফোনে জমে থাকা ময়লা বের করা যাবে অনায়াসেই। এছাড়া শখের হেডফোনটিকে ঝকঝকে, সুন্দর ও নতুনের মতো দেখাতে অনেকেই ব্যবহার করেন একটু সাবানপানি। এটি দিয়ে পরিষ্কারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে হেডফোনের ভেতরের দিকে কোনভাবে পানি প্রবেশ না করে।

 

ছোট ঘরকে বড় দেখাতে করুন এই কাজগুলো

নতুন ভাড়া করা ফ্লাটটায় ছোট ছোট রুম। দেখেই মন খারাপ লাগছে? ভাবছেন, কিভাবে সাজাবেন এত ছোট জায়গা? চিন্তা করবেন না। ছোট ঘরকে বড় দেখানোর অনেক কৌশল রয়েছে। আপনি চাইলেই আপনার ঘরটিকে ভিন্ন লুক দিতে পারবেন। আসুন জেনে নিই কৌশলগুলো-
পর্দা
ঘরের আকৃতিকে খুব প্রভাবিত করে পর্দা। কখনো ভারী লম্বা পর্দা ব্যবহার করবেন না। এতে জায়গাটি আবদ্ধ মনে হয় এবং ঘর ছোট লাগে। হালকা ফুরফুরে রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। ঘর বড় দেখাতে দেয়ালের রঙের সাথে মিলিয়ে কিনুন পর্দা।
সিলিং
দেয়ালের বিপরীত মানানসই একটি রঙ্গে রঙ করুন ঘরের সিলিং। নিজের চোখেই দেখতে পাবেন ঘর কেমন বড় লাগছে! ছাদ নিচু হলে সিলিং এ বাড়তি কাজ বা সজ্জা না করাই ভাল। এতে জায়গা কমে আসে, ঘর আরো ছোট লাগে।
জানালা
জানালায় কোন গাছের টব বা ফুলদানি নয়। একেবারে ফাঁকা রাখুন। আলো চলাচলে যেন সুবিধা হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। বুকশেলফ বা এধরণের কোন আসবাব দিয়ে জানালা ঢেকে দেবেন না।
আসবাব
হালকা ধাঁচের আসবাব ব্যবহার করুন। ভারী ডিজাইন আপনার ঘরের বেশীরভাগ জায়গা নিয়ে নেবে। মেঝের সাথে ফ্লাট আসবাবের তুলনায় পায়াসহ আসবাব দেখতে বেশী ভাললাগে। চেষ্টা করুন এমন আসবাব তৈরি করতে যাতে তার বিভিন্ন ব্যবহার করা যায়। যেমন ডাইনিং টেবলটিই পড়ার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। কাঁচের ডাইনিং ঘরকে বড় দেখাতে খুবই কার্যকরি।
আয়না
ঘরকে সহজেই বড় লুক দেয় আয়না। আলমারির দরজায় আয়না, রুমের দরজায়, জানালার বিপরীত দিকে আয়না আপনার ঘরকে বেশ অনেকটা বড় লুক দেবে।
রঙ
আসবাবের রঙ প্রকৃতির কাছাকাছি হওয়া জরুরি এবং একেক ধরণের আসবাবের বদলে একই নকশা এবং ধরণের আসবাব ব্যবহার করুন। দেয়ালে একটি হালকা রঙ ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন হালকা রঙ যে কোন বস্তুকে আরও ফুটিয়ে তোলে। গাঢ় রঙ চোখে বাধা পায় এবং আবদ্ধ পরিবেশ তৈরি করে।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

তিতা যখন গুণে মিঠা

করলা তেতো হলেও অনেকের প্রিয় সবজি। ভাজি, ভর্তা আর ব্যঞ্জনে করলার কদর অনেক। মানবস্বাস্থ্যের জন্য এই সবজির উপকারী গুণও কম নয়। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত করলা রাখুন। এবার জেনে নিন, করলা কেন খাবেন।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা হাসিনা আকতারের তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত করলা খেলে রোগবালাই থাকে ১০০ হাত দূরে। প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় আছে ২৮ কিলোক্যালরি, ৯২ দশমিক ২ গ্রাম জলীয় অংশ, ৪ দশমিক ৩ গ্রাম শর্করা, ২ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম লোহা ও ৬৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

তারুণ্য ধরে রাখে
করলা উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমায়। এর তেতো রস কৃমিনাশক। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এ ছাড়া এটি ভাইরাসনাশকও। রক্তশূন্যতায় ভুগছেন—এমন রোগীর উত্তম পথ্য করলা। করলা হিমোগ্লোবিন তৈরি করে শরীরে রক্তের উপাদান বাড়ায়। করলার ভিটামিন সি ত্বক ও চুল ভালো রাখে এবং ম্যালেরিয়া জ্বরে স্বস্তি দেয়। মাথাব্যথারও উপশম করে করলা। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। স্ক্যাভিজের মতো রক্তরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। করলার সবচেয়ে বড় গুণ এটি বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই করলা খেয়ে ধরে রাখুন তারুণ্য।

শ্বাসরোগ দূর করে
করলার রসে আছে অনেক গুণ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের দূষণ দূর করে। হজমপ্রক্রিয়ায় গতি বাড়ায়। পানির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।

শক্তিবর্ধক
করলার রস শক্তিবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। এটি স্ট্যামিনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো ঘুমে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়
করলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। কোনো ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়তে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
করলায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রক্তের চিনি কমানোর উপাদান। ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।

হজমে স্বস্তি আনে
করলার বড় গুণ হচ্ছে এটি হজমের জন্য উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা আছে। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করতে নিয়মিত করলা খেতে পারেন।

 

চুল যখন অবাধ্য

পরিপাটি সাজপোশাক, কিন্তু তারপরও দেখতে ভালো লাগছে না। চুলের বেহাল আজ। শ্যাম্পু করার সুযোগ হয়নি। ফলে তেলতেলে হয়ে আছে অথবা উষ্কখুষ্ক। এতে পুরো সাজই শেষ। মনটাও খুঁতখুঁত করছে। সারা দিন থেকে থেকে মনটা খুঁতখুঁত করছে এই চুলের জন্য। রইল কিছু চটজলদি টিপস। সহজেই অবাধ্য চুলকে বাধ্য করতে পারবেন আপনার মনমতো স্টাইলে।

১. এ রকম দিনে চুল খোলা রাখবেন না। উল্টিয়ে খোঁপা করে রাখলেও চুলে তেলতেলে ভাব ফুটে ওঠে। ফ্রেঞ্চ বেণি করে রাখতে পারেন ক্যাজুয়াল লুকের জন্য। সারা দিন শেষে দাওয়াত থাকলে চুল খুলে ফেলুন। ঢেউখেলানো ভাব চলে আসবে।
২. মাথার সামনের দিকে ব্যান্ডানা পরে নিন অথবা স্কার্ফ বেঁধে নিন। অবশ্যই একটু স্টাইল করে বাঁধবেন। দেখে যেন মনে হয়, এটাই করতে চেয়েছিলেন আজকে। চাইলে হালকা ঝুঁটি বেঁধে রাখতে পারেন।
৩. চুল বেশি উষ্কখুষ্ক হয়ে থাকলে লিভ ইন কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
৪. হেয়ার ড্রায়ারের ঠান্ডা বাতাস ব্যবহার করুন। গরম বাতাস ব্যবহার করে চুল সেট করতে চাইলে চুল আরও প্রাণহীন হয়ে পড়বে।
৫. হাতে একটু সময় থাকলে চুল ভিজিয়ে নিতে পারেন। আর্দ্রতা ফিরে আসবে চুলে। এরপর ব্লো ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন।
৬. চুলে ফোলানো ভাব আনতে চাইলে সিঁথি পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। এ ছাড়া মাথা নিচু করে চুল পুরো উল্টে আঁচড়ে নিন। এতে করেও খানিকটা ফোলানো ভাব চলে আসবে।
৭. চুলের তেলতেলে জায়গায় পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভালো করে চুল ঝেড়ে বা আঁচড়ে নিতে হবে। এতে করে তেল খানিকটা শুষে নেবে পাউডার। চুল বাঁধার পরে হেয়ার স্প্রে করে নিন। স্প্রেতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ বাকি তেলটুকুও শুষে নেবে।
৮. বাজারে এখন নানা নকশার হ্যাট কিনতে পাওয়া যায়। পাশ্চাত্য পোশাক পরলে সঙ্গে মিলিয়ে হ্যাট পরে নিতে পারেন।
৯. মেসি বান করে ফেলতে পারেন। এলোমেলো খোঁপায় বরং আরও স্টাইলিশ লাগবে।
১০. নানা ধরনের হেয়ার ক্লিপ ব্যবহার করতে পারেন। চুল তেলতেলে ভাব বা উষ্কখুষ্ক যেটাই হোক না কেন সিঁথি পাল্টে সুন্দর করে ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখুন।
১১. সময়-সুযোগ পেলে চুলের নিচের দিকটা হালকা কোঁকড়া করে নিন।
১২. ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। সমস্যা কমে যাবে অনেকখানি।

 

স্বচ্ছ জল আর সাদা পাথরের গল্প

অসাধারণ প্রাকৃতিক শোভা ভোলাগঞ্জের। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ধলাই নদের সৌন্দর্য। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে সিলেটের মৌলভিবাজার জেলার কমলগঞ্জ দিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। সিলেটের ভোলাগঞ্জের কাছে এসে আবার সে ভারতের মেঘালয় পর্বতমালার কোলঘেঁষে বয়ে গেছে। এই অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময়। এখানে ধলাই নদের অসাধারণ রূপ, সারি সারি পাথর তোলার দৃশ্য, সবুজ পাহাড়ে বন্দী সাদা পাথর আর পাহাড় থেকে পাথরছুঁয়ে গড়িয়ে পড়া স্ফটিক-স্বচ্ছ জল যে দেখবে সে-ই মুগ্ধ হবে। সেই সাদা পাথরের স্বচ্ছ জলে গোসল করে কাটিয়ে দিন দারুণ একটি দিন।

বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল সিলেটের বাদাঘাট থেকে। চলা শুরুর একটু পরই বিশাল সুরমা নদী সরু হয়ে গেল। এরপর সুরমার শাখা নদী দিয়ে চলা শুরু করলাম। স্বচ্ছ দেখে এক আঁজলা জল মুখে মাখলাম, পা ঝুলিয়ে দিলাম নদীর জলে। এভাবেই একসময় আমাদের বজরাটি গিয়ে পড়ল বিশাল এক বিলে। বিলের দুপাশ অসাধারণ সবুজ। বিল থেকে আমরা ছোট্ট এক খালে এসে পড়ি। স্থানীয় লোকজন যাকে চেনেন কাটা গাঙ হিসেবে। একসময় ছোট্ট নালার মতো ছিল, মাঝখানে দিয়ে রাস্তা। নালা বড় করে পানির ব্যবস্থা করতেই খালটি কাটা হয়। সেই থেকে এর নাম কাটা খাল, কেউ কেউ বলেন কাটা গাঙ। কাটা গাঙের পাশের গ্রাম উমরগাঁওয়ে প্রথম যাত্রাবিরতি। চা পান করে আবার আমাদের যাত্রা শুরু, এখনো অনেকটা পথ যেতে হবে।

ট্রলারের গতি বেড়ে যায়। আমরা বাঁ দিকে পাহাড় আর ডান দিকে সবুজ গ্রাম দেখে দেখে ভোলাগঞ্জর দিকে চলতে থাকি। আবার যাত্রাবিরতি, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে। বাজার ঘুরে দেখি। চলে আসি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের চত্বরে। ২০০২ সালে স্থাপিত এই স্কুলটির শহীদ মিনারটি দেখার মতো। আবার চলা। কোম্পানীগঞ্জ যতই পেছনে পড়ছিল, ততই চোখের সামনে স্পষ্ট হচ্ছিল ভোলাগঞ্জ। ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে আর মেঘালয় রাজ্য। এটি দেশের সবচেয়ে বড় পাথর কোয়ারি এলাকা। ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্বের রোপওয়ে বা রজ্জুপথ। যদিও ১২ বছর ধরে রোপওয়েটি অব্যবহৃত। আমাদের সামনে এখন খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়। এই পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কিছুটা ছন্দপতন ঘটায় পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিকট আওয়াজ। যন্ত্রের গর্জন-তর্জনে ধলাই নদ পেরিয়ে এরই মধ্যে আমরা চলে আসি ভোলাগঞ্জ বাজার। এখানে ট্রলার পরিবর্তন। এরপরের গন্তব্য সাদা পাথর এলাকা।

শান্ত পাহাড়, সঙ্গে মিশেছে আকাশের নীল। আকাশে ছোপ ছোপ শুভ্র মেঘ। আমরা জিরো পয়েন্টে দৃষ্টি ফেলি। চারদিকে পাথর আর পাথর—সব পাথর সাদা রঙা। পাথর তোলার প্রচুর নৌকা চোখে পড়ল, তবে এখানে দর্শনার্থী নেই। সাদা পাথরের অসাধারণ এক এলাকায় আমরা পা রাখি। সামনে সবুজ পাহাড়; পাশেই পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া প্রচণ্ড স্রোতের স্বচ্ছ শীতল জল আর সে জল থেকে গড়িয়ে নামা সাদা পাথর—কী অপরূপ দৃশ্য, তা বলে বোঝানোর নয়! আমরা পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া শীতল জলে ঝাঁপিয়ে পড়ি, আহা কী ঠান্ডা! একসঙ্গে এত এত সাদা পাথর জীবনে কখনো দেখিনি, ভাবতে ভাবতে আর সাদা পাথর দেখে দেখে, সেই সঙ্গে পাথর জলে গোসল করে সময় এগিয়ে যায়। এভাবে কখন যে পাহাড়ি রোদ তার কোলে আশ্রয় নিয়েছে টেরই পাইনি। অন্ধকার জেঁকে বসার আগেই তাই সেই অসম্ভব সুন্দরকে বিদায় জানাই!

 

কীভাবে যাবেন?

অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকায় যাওয়ার মোক্ষম সময়। সিলেট শহর থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটারের মতো। এই পথে কোনো বাস চলাচল নেই, কোনো লেগুনা চলে না। যাতায়াতের একমাত্র বাহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা, জনপ্রতি ভাড়া ২৫০ টাকা। রাস্তাটা বেশ খারাপ। তাই নদীপথ বেছে নেওয়াই ভালো। জনপ্রতি খরচ হবে ২০০ টাকা করে। ভোলাগঞ্জ থেকে সিলেট বাদাঘাটের শেষ ট্রলার ছেড়ে আসে বিকেল চারটায়। সে ক্ষেত্রে সময়ের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে। নদীপথে যাতায়াতে একটু বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। সম্ভব হলে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখবেন। শুকনা খাবার ও প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখবেন।

 

দই পুডিং তৈরির রেসিপি

পুডিং তৈরির রেসিপি নিশ্চয়ই জানা আছে। এবার তবে আরেকটু ভিন্ন কিছু হয়ে যাক। দই আর ডিম একসঙ্গে হলে তার আপনার শরীরে পুষ্টি যোগানোর কাজে সাহায্য করবে। আজ তবে চলুন শিখে নেই মজাদার দই পুডিং তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : ডিম ৪ টি, গুড়াঁ দুধ ৪ টেবিল চামচ, দই ১ কাপ (পানি ঝরানো), চিনি ১/২ কাপ, পানি ১/২ কাপ।

ক্যারামেল তৈরি : ২-৩ টেবিল চামচ চিনি ও ২ টেবিল চামচ পানি নিন। পুডিং পাত্রে চিনি, পানি নিয়ে চুলায় দিয়ে মিড়িয়াম আঁচে পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ক্যারামেল করে নিন। খেয়াল রাখবেন বেশি গাঢ় যেন না হয়। পাত্রটি ঠান্ডা হলে, এক চা চামচ ঘি দিয়ে ব্রাশ করে রাখুন।

পুডিং তৈরি : প্রথমে একটি বড় বাটিতে ,ডিম গুলো ভেঙে নিন। গুড়াঁ দুধ ও পানি মিক্স করে ঘন করে গুলে রাখুন। দই সুতির কাপড়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার ব্লেন্ডারে ডিম, চিনি, দুধ ও দই দিয়ে এক মিনিট মত ব্লেন্ড করে নিন। এখন ডিমের মিশ্রণটি ক্যারামেল পাত্রে ছেঁকে ঢেলে নিন। পুডিং পাত্রটি ঢেকে দিন ফয়েল পেপার বা ঢাকনা দিয়ে। এবার একটি পাতিলে ৩ কাপ পানি দিয়ে, একটি স্ট্যান্ডের ওপর পুডিং পাত্রটি বসিয়ে দিন। পাতিলটি ভারী কিছু দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ২০-২৫ মিনিট স্টিম করে নিন। এভাবেই রেখে দিন ঠান্ডা হয়ে আসা পর্যন্ত। ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।

 

দেয়াল সুরক্ষিত রাখতে করণীয়

একটি বাড়ি কেবল ইট, বালুর সংমিশ্রণ না। এতে থাকে ভালোবাসা আর একটু একটু করে জমানো স্মৃতি। যা আপনার স্মৃতির এ্যালবামে কিংবা আপনার মনের কোণে লুকিয়ে থাকে। কিন্তু এই ঘরেই যদি দেখা দেয় নোনা, আপনার স্মৃতি জড়িত দেয়াল হয়ে পরে ড্যাম। তাহলে তাকে ঘিরে স্মৃতিরা কীভাবে ভিড় করবে? আর একটি বাড়ি কেবল বাড়ি হয়ে থাকে না। এটি হয়ে থাকে একটি মানুষের রুচি এবং ব্যক্তিত্বের পরিচয়ের অংশ। আপনি কি এখনো সেকালে আছেন না যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন। দেয়ালে ড্যাম নানা কারণে পড়তে পারে। কখনো আপনার নিজের জন্য কখনো আবার তা হয়ে থাকে প্রাকৃতিগত কারণে।

বর্ষায়
বর্ষায় দেয়ালে ড্যাম বেশি পরে। চারিদিকের জমা পানি দেয়াল নিজে শুষে নেয়। ফলে দেখা দেয় ড্যাম। তাছাড়া অনেক বাড়িতে জানালার উপরে ছাউনি ঠিকমতো দেয়া হয় না। ফলে বৃষ্টির পানির ঝাপটা আপনার ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের দেয়ালকে স্যাঁতস্যাঁতে বানিয়ে ফেলে।

লাইনে লিক
তাছাড়া পানির লাইনে লিকেজ থাকলে তা দেয়াল ড্যামেজের কারণ হয়ে থাকে। অন্যদিকে অনেকে রুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা রাখে না। ফলে দেখা যায় ঘরে একটি গুমোট পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আর তাতে অল্প অল্প করে জমতে শুরু করেছে পানি আর যার ফলাফল ঘরের দেয়াল ড্যাম।

রান্না ঘরের আর্দ্রতা
অনেক সময় আমরা আমাদেফ রান্না করার ঘরে লম্বা সময় ঘরে এসি চালাই। যা ঘরের দেয়াল ড্যাম হওয়ার কারণ। তাই সারাক্ষণ এসি না চালিয়ে ঘণ্টা দুয়েক ফ্যান আর জানালা খুলে দেওয়া উচিৎ। এতে ঘরে আলো প্রবেশ করবে আর এসি থেকে জমা দেয়ালে বিন্দু আকারের পানি শুকিয়ে যাবে। যা আপনার ঘরের দেয়ালকে রাখবে পানি শূন্য আর ড্যাম থেকে মুক্ত।

ছোটদের থেকে
এছাড়া যাদের বাড়িতে ছোট শিশুরা আছে তাদের খেয়াল রাখা উচিৎ সোফা সেট, আলমারি, খাটের চাদরের ওপর। বাচ্চারা প্রায়ই দেখা যায় পানি সোফার ভারি কাপরের ওপর ফেলে দেয় আর কিংবা বিছানার চাদরে। আর এর থেকে পানি বাতাসের সাহায্যে শুকনো স্থান যেমন দেয়ালে জমা হয়। আর ধীরে ধীরে দেয়াল ড্যাম হয়ে নোনা পরে আর দেখা যায় জায়গায় জায়গায় চলটা উঠে যাওয়া।

 

হলুদের কিছু গুণ

বাঙালির রান্নাঘরে যে মসলাটি না থাকলেই নয়, সেটি হলুদ। খাবারে স্বাদ, গন্ধ এবং রঙের জন্য মসলা হিসেবে হলুদ খুব জনপ্রিয়। তবে শুধু মসলা হিসেবেই নয়, হলুদের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ব্যাপক তা বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। চলুন জেনে নিই হলুদের কিছু গুণ সম্পর্কে-

হলুদে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহবিরোধী উপাদান রয়েছে। প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে হলুদে। তাই শরীরের কাটা, ছেঁড়া, ক্ষত, পোড়া স্থানের দ্রুত উপশমে হলুদ চমৎকার কাজ করে।

সর্দিতে আক্রান্ত হলে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে পান করুন। এতে দ্রুত সর্দি উপশম হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার বা যকৃত থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে হলুদ। তা ছাড়া ব্যথা কমাতে হলুদ প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। ওজন কমাতেও দারুণ কাজে দেয় হলুদ।

হলুদ বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে ওজন কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়া সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের নির্দিষ্ট প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে হলুদ।