All posts by Oporajita

অপরাজিতা’র বিশেষ আয়োজন

অপরাজিতাবিডি ডটকম:

14363_nari-1

 

৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ দিবস উপলক্ষে নারী অধিকার, নারীদের সাফল্য, নির্যাতন নিয়ে থাকছে অপরাজিতাবিডি ডটকম’র বিশেষ আয়োজন।

 

DSC_0077

 

নারী অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা, বাংলাদেশের নারী উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, নারীদের সাফল্য ও নির্যাতনসহ নারীদের নিয়ে আপনার মতামত তুলে ধরে লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে।

 

labour

 

এছাড়া তুলে ধরতে পারেন আপনার আশে পাশের নির্যাতিত, লাঞ্ছিত,বঞ্ছিত এবং সফল নারীদের গল্পকথা

 

kr

 

লেখা পাঠানোর ঠিকানা:

সম্পাদক: অপরাজিতাবিডি ডটকম

১৭৩, পশ্চিম আরজত পাড়া, মহাখালী, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ইমেইল : oporajitabd22@gmail.com

 

শ্রীপুরে যৌতুকলোভী স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম

hotta

গাজীপুর: জেলার শ্রীপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নাধীন টেংরা সুতাপাড়া গ্রামে যৌতুক লোভী স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছে।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাস পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলাধীন বালিয়াপাড়া গ্রামের আবু ইউসুব আলীর কন্যা পলি আক্তারের (১৮) সাথে টেংরা সুতাপাড়া গ্রামের ইমান আলীর পুত্র জুলহাসের (৩০) বিবাহ হয়।

 

বিবাহের পর থেকেই জুলহাস ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল। যৌতুকের দাবী না মেটায় গত তিন মাস যাবৎ তার স্বামী পর্যায়ক্রমে নির্যাতন করত। আজ শুক্রবার সকালে যৌতুকের টাকার দাবিতে পুনরায় চাপ সৃষ্টি করলে গৃহবধু পলি আক্তার যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে পাষন্ড স্বামী বসত ঘরের ভিতরে পলি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

 

ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নিহতের লাশটি ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়ার পূর্বেই ঘাতক স্বামী কৌশলে লাশটি মাটিতে নামিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পুলিশ জানায়।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/১৪৫৫ঘন্টা২১ফেব্রুয়ারি২০১৪

শ্রীপুরে বাল্যবিয়ে রোধে উন্নয়ন নাট্য

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম

gazipur
গাজীপুর: শিশু অধিকার রক্ষা, শিশু বিয়ে রোধ, বালিকা ও যুব নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার লোহাগাছ গ্রামে উন্নয়ন নাট্য ‘জোনাকীর কথা’ মঞ্চস্থ হয়েছে।

 

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহায়তায়, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের গার্ল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় শ্রীপুরের সিএসও (সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন) নাটকটি মঞ্চস্থ করেন।

 

উপজেলা নেটওয়ার্ক কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির মাষ্টারের সভাপতিত্বে নাট্যানুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নেটওয়ার্ক কমিটির সম্পাদক আব্দুস সালাম রানা, সহ-সম্পাদক আনোয়া বেগম, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের টেকনিক্যাল অফিসার মাহমুদা খানম ও ইউএফ আতাউর রহমান প্রমুখ। স্থানীয় তিন শতাধীক গ্রামবাসী নাটকটি উপভোগ করেন।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/১৪৫১ঘন্টা২১ফেব্রুয়ারি২০১৪

এবার ভটভটি যাত্রী গণধর্ষণের শিকার

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম

rape
রাজশাহী : রাজশাহীর বাঘায় এবার ভটভটি যাত্রী এক গৃহবধূ (২৩) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাঘা উপজেলার আড়ানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয়রা।

 

গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়ি জেলার পুঠিয়া উপজেলা সদরে। এছাড়া তিনি পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে কাজ করেন।

 

এ ঘটনায় রাতেই পাঁচ ধর্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। ধর্ষণকারী সন্দেহে আটককৃতরা হলেন, আরিফ, মিলন, বুল্লা, মোহাম্মদ আলী ও জরিপ। এরা সকলেই বাঘা উপজেলার জোতরঘু গ্রামের বাসিন্দা।

 

চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোর্ত্তজা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী চারঘাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আটক ওই পাঁচ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ওসিসিতে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, নির্যাতিতা শ্যালোঞ্জিন চালিত ভটভটিযোগে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে পুঠিয়ার ফিরছিলেন। পথে রাতে বাঘা উপজেলার আড়ানির অদূরে মাঠের মধ্যে ভটভটির চালকসহ ওই পাঁচ যাত্রীর গণধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ।

 

পরে মুমূর্ষু ওই গৃহবধূ চারঘাট উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর তিনি আলতাফ হোসেনকে বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে ওই পাঁচ ধর্ষণকারীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নেয়।

 

এদিকে, ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভটভটি চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার সকালে বাঘা উপজেলার আড়ানী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয়রা।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/১৪৫০ঘন্টা২১ফেব্রুয়ারি২০১৪

 

 

ঠাকুরগাঁওয়ে বিধবা’র আত্মহত্যা

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম

attohotta logoঠাকুরগাঁ: জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উত্তর বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের সংসারের অভাবের তারনায় আঞ্জু বেগম (২৫) নামে এক বিধবা’র গতকাল ভোরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

 

নিহত আঞ্জু বেগম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উত্তর বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের মরহুম পজির উদ্দীনের স্ত্রী। সে দুই সন্তানের জননী।

 

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, আঞ্জু বেগম মানুষের বাড়িতে ঝি’র কাজ করতো। সংসারে অভাব অনটনের কারণে শুক্রবার ভোর রাতে নিজ শয়ন ঘরের সিলিঙ্গের সাথে ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করে। পরে সকালে বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়।

 

পরে দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। বালিয়াডাঙ্গী থানা (ওসি) ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকালে লাশ নিহতের পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/১৪৩৪ঘন্টা২১ফেব্রুয়ারি২০১৪

 

জীবন ঘনিষ্ঠ সমস্যার ইসলামিক সমাধান

অপরাজিতাবিডি ডটকম

news

ঢাকা:আপনার জীবন ঘনিষ্ঠ সমস্যার ইসলামিক সমাধান জানতে প্রশ্ন করুন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রাজিয়া সুলতানা কাছে।

 

স্পষ্ট করে নিজের সমস্যা লিখে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়:

oporajitabd22@gmail.com

 

রাজশাহীর মোটর মেকানিক খাদিজার হার না মানা গল্প

প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম

rajshahiরাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোরাশাল গ্রামে নদীর পাড়ে ছোট্ট এক কুঁড়েঘরে খাদিজার পরিবারের বসবাস। খাদিজার বাবা আব্দুল খালেক এক ট্রাক গ্যারেজে হেল্পারের কাজ করেন, কিন্তু তার উপার্জনে পরিবারের মাস পার করা অত্যন্ত কঠিন। চাষাবাদের কোনো জমি বা সম্পদ না থাকায় বাঁচার তাগিদে একসময়ে তারা বাধ্য হন শহরে স্থানান্তরিত হতে। সম্প্রতি তারা রাজশাহীর পবা উপজেলার মাথুরা গ্রামে বসবাস করছেন।

 

খাদিজার মা নাসিমা বেগম। তিনি একজন গৃহিনী। দারিদ্র্যতার কারণে একটি এনজিও থেকে পাওয়া গরু লালন-পালন করছেন তিনি। খাদিজার ছোটভাই লেখাপড়া করছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

 

পরিবারের অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পঞ্চম শ্রেণীর পর খাদিজার আর লেখাপড়া হয়নি। এরপর তাকে পারিবারিক কাজে হাত লাগাতে হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরই খাদিজা ব্র্যাক-এর ‘স্টার’ প্রকল্পে প্রশিক্ষণের সুযোগ পান। সুযোগ হাতছাড়া না করে মোটর সাইকেল ঠিক করার কাজে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন তিনি।

প্রথমদিকে অনেক কটাক্ষের শিকার হতে হয় খাদিজাকে। অনেকেই প্রশ্ন তোলে, ‘একটা মেয়ে কী করে বাজার এলাকায় কাজ করবে? সে কী পারবে কোনো সাফল্য আনতে?’ যখন আশেপাশের সকল মানুষ তাকে রুখে দিতে সরব, খাদিজা তখন কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে এক মনে এগিয়ে চলেছে তার লক্ষ্যের পথে। এই পথে এগিয়ে যেতে বাবাই সবচেয়ে বেশি সাহায্য এবং প্রেরণা জুগিয়েছেন, জানালেন খাদিজা।

 

খুব দ্রুতই সকল কটাক্ষ-সন্দেহকে মিথ্যা প্রমাণ করে খাদিজা মোটার সাইকেল ঠিক করার কাজে নিজ দক্ষতা অর্জন করে নেন। বর্তমানে যারাই তার গ্যারেজে আসে, সবাই খাদিজাকেই খোঁজে। কারণ সবারই জানা, সে খুব ভালো একজন মোটর মেকানিক।

 

তার সাফল্যে অবশ্য খাদিজা কৃতজ্ঞতা জানান তার প্রশিক্ষককেই। প্রশিক্ষক মোহাম্মদ রায়হান রাজা ব্র্যাক থেকেই পাশ করে নিজ বাবার গ্যারেজে কাজ করতে শুরু করেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, খাদিজার মতো এমন অনেক অনেক মেয়েকে মোটর মেকানিকের কাজ প্রশিক্ষণ দিয়ে তিনি স্বনির্ভর করে তুলবেন।

 

খাদিজা এখন স্বপ্ন দেখে, তার পরিবার দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাবে। প্রশিক্ষণের সময় ব্র্যাক থেকে প্রাপ্ত ভাতা সে তার ব্যাংকে রেখে দিয়েছে। নিজ গ্যারেজ থেকে উপার্জিত অর্থ সে বাবামা’র হাতে তুলে দেয়।

 

গত ঈদে সে পরিবারের জন্য নিজ উপার্জন থেকে উপহার কিনেছে। পরিবার এখন স্বপ্ন দেখে, কোনো একদিন নিজ কাজের মাধ্যমে খাদিজা একজন স্বাধীন-স্বনির্ভর নারীতে পরিণত হবে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/১৭২৩ঘন্টা২০ফেব্রুয়ারি২০১৪

আ'লীগ নেতার হাতে লাঞ্চিত হলেন শিক্ষিকা

প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম

image_68183রাজশাহী : রাজশাহীর পবার হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে জুতা নিয়ে তেড়ে গেলেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ। নিয়ম লঙ্ঘন করে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটান তিনি। খবর পেয়ে বুধবার সরজমিনে তদন্ত করেছেন পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ্জাকুল ইসলাম।

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, পবার হরিপুর ইউনিয়নের হাড়ুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজ। সম্প্রতি নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনি বিদ্যালয়ের দু’টি গাছ বিক্রি করে দেন।

 

গত মঙ্গলবার সকালে এ নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংয়ে বসে। ওই মিটিং এ প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার এর প্রতিবাদ জানান। এতে উত্তেজিত হয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতা প্রধান শিক্ষিকাকে প্রথমে গালিগালাজ ও পরে জুতা খুলে তেড়ে যান।

 

এ সময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে প্রধান শিক্ষিকা নুরুন নাহার বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানালে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত যান।

 

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এ নিয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ্জাকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৬২২ঘন্টা২০ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

খাগড়াছড়িতে সবিতা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম
manabondhon
খাগড়াছড়ি : গৃহবধূ কমল চাকমা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন নারী ও মানবাধিকার সংগঠন।

জেলা শহরের আদালত সড়কে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নারীনেত্রী টুকু তালুকদার, উইমেন রিসোর্স নেটওয়ার্ক’র সমন্বয়কারী এড. সুস্মিতা চাকমা, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি’র চেয়ারপারসন শেফলিতা ত্রিপুরা, সমাজকর্মী ধীমান খীসা, নারীনেত্রী নমিতা চাকমা, আওয়ামী লীগ নেত্রী নিগার সুলতানা, কমলছড়ি মহিলা সমিতি’র সভানেত্রী পূর্ণিমা চাকমা, নিহত সবিতা’র প্রতিবেশী কাজলা চাকমা এবং উন্নয়নকর্মী সুযশ চাকমা।

সমাবেশে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সদ্য নির্বাচিত চঞ্চুমনি চাকমা ও সিইচটি কমিশনের সমন্বয়কারী হানা শামস আহম্মেদ সংহতি প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি’র কমলছড়ি থেকে গৃহবধূ সবিতা চাকমা’র লাশ উদ্ধার করেছিল। এই ঘটনায় তার স্বামী দেবরতন চাকমা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করলেও পুলিশ এখনো কিছুই করতে পারেনি।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৬২২ঘন্টা২০ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

গোদাগাড়ীতে ভুটভুটির ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম

lashরাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ভুটভুটির ধাক্কায় মেহেরজান (৭৪) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত মেহেরজান গোদাগাড়ীর প্রসাদপাড়া এলাকার ওসমান ম-লের স্ত্রী। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রাসাদপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হলে তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই উত্তম কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোকাদ্দেম আলী বলেন, সকালে বাড়ির সামনের রাস্তা অতিক্রম করার সময় বেপরোয়া গতির ভুটভুটি মেহেরজানকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গোদাগাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৬২২ঘন্টা২০ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

বরিশালে ট্রাক চাঁপায় কলেজ ছাত্রী নিহত

প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম, বরিশাল : বরিশালের সদর উপজেলার খয়রাবাদ সেতুর ঢালে বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাকের চাঁপায় পপি আক্তার (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছে।

পুলিশ নগরীর গড়িয়ারপাড় এলাকা থেকে ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করেছে।

নিহত পপি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার অনুরাগ গ্রামের তসলিম উদ্দিনের কন্যা ও নলছিটি ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) টিএম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, কলেজ ছাত্রী পপি পায়ে হেঁটে সেতুতে উঠছিল। এ সময় পেছন থেকে ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে তাকে চাঁপা দেয়। স্থানীয়রা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের করা হয়েছে ।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৬২২ঘন্টা২০ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

নাখালপাড়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

hottaঅপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি বাড়ি থেকে ফরিদা বেগম (২৭) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ২৪৩/এ/৩ পূর্ব নাখালপাড়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বামীর নাম মো. ইমদাদ হোসেন। তিনি অটোরিকশা চালক। ইমদাদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কানড়গাঁও।

নিহতের বোন শাহিদা বেগম জানান, সকালে ইমদাদ হোসেন আত্মহত্যার খবর দেয়। পরে আমরা বাড়ি ওয়ালাকে ফোন করি। বাড়িওয়ালা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ফরিদার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামী ইমদাদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

 

তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে সকালে গৃহবধূ ফরিদা বেগমের লাশ তাদের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের আগে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৬২২ঘন্টা২০ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

চট্টগ্রামে যৌতুকের দায়ে গৃহবধুর মৃত্যু

1391964651.অপরাজিতাবিডি ডটকম, চট্টগ্রাম: নগরীর খুলশী থানাধীন পলিটকেনিক এলাকায় রোকসানা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর পলিটেকনিক এলাকার আউয়াল সাহেবের বাড়ী থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

খুলশী থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সোলাইমান জানান, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে সংবাদ পেয়ে আমরা সিলিং ফ্যানে ঝুলানো অবস্থায় রোকসানা আক্তারের লাশ উদ্ধার করি। পরে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

নিহত রোকাসানা আক্তারের চাচা অ্যাডভোকেট আ. সাত্তার জানান, খুলশী পাওয়ার হাউজের প্রকৌশলী নুরুল হকের সাথে গত বছরের ১৮ এপ্রিল রোকসানার বিয়ে হয়।

 

বিয়ের পর থেকে শশুরবাড়ীর লোকজন তাকে যৌতুকের জন্য নানা ভাবে শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো। এ বিষয়ে মাঝে মাঝে স্বামী নুরুল হক এবং ননদ রোকসানাকে নির্যাতন করে আসছিলো। নিহত রোকসানা আক্তারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে চাচা আব্দুস সাত্তার বলেন, লাশের শরীরে আত্মহত্যার কোন আলামত ছিলো না। লাশের মুখ স্বাভাবিক ছিলো এবং পা মাটিতে ঝুঁলানো ছিলো জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তাকে হত্যা করে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন।

 

ঘটনার পর নিহতের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে জানিয়ে খুলশী থানার এসআই আরো জানান, শ্বশুর বাড়ীর কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক। তাছাড়া এ ব্যাপারে এখনো কারো বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৫২২ঘন্টা১৯ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

 

কিশোরীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

image_78109_0অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা থেকে এক কিশোরীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

 

বুধবার সকাল দশটার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার সংবাদ পেয়ে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের রোড নং ৩/এ হাউজ নম্বর ১ ও ৩ এর মাঝামাঝি স্থানে একটি গর্তের ভেতর থেক সাদা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেন। কিশোরীর গলায় আঘোতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

 

কিশোরীটির পরনে গোলাপি ও কালো প্রিন্টের সালোয়ার কামিজ ছিল। তার বাম হাতে এস+এন ও ডান হাতে এস+এ লেখা রয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৫২২ঘন্টা১৯ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

ভারতে পাচার হওয়া নারীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

image_68896_0অপরাজিতাবিডি ডটকম, রাজশাহী: ভারত থেকে পালিয়ে আসা সোনিয়া আকতার (১৯) নামের এক নারীকে তার অভিভভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোনিয়া মাদারীপুর জেলার ডাসা উপজেলার কর্নপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরজ আলী হাওলাদারের মেয়ে।

 

সোমবার দুপুরে বাবা আরজ আলী হাওলাদারের কাছে সোনিয়াকে হস্তান্তর করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

ভারত থেকে পালিয়ে আসা আরেক নারী গৃহবধূ স্বপ্না আকতারকে (২০) তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। স্বপ্নার পরিবারের অভিভাবক যোগাযোগ করার পরেই তাকে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্র। উদ্ধার হওয়া স্বপ্না জামালপুর জেলার মিলান্দ উপজেলার মধ্যচর এলাকার মৃত সুরুজ মন্ডলের মেয়ে।

 

নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান জানান, গত শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা স্বপ্না ও সোনিয়াকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে শাহ মখদুম থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করেন।

 

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মাছুমা মুস্তারি জানান, শনিবার বিজিবি সদস্যরা  স্বপ্না ও সোনিয়াকে উদ্ধার করে।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের রমজান মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদের পাচার করে স্বপ্না আকতারের স্বামী নাজমুল হক এবং তার সহযোগীরা।

 

স্বপ্না জানান, অভাবের সংসারে দুই বেলা পেটের ভাত জোটে না। সংসারের অভাব মেটানোর কথা বলে স্বামী নাজমুল হক তাকে ভারতে চাকরির কথা বলেন। অভাবের তাড়নায় তিনি ভারতে যেতে রাজি হন। এরপর স্বপ্না তার আত্মীয় মাদারীপুর জেলার ডাসা থানার কর্নপাড়া এলাকার আরজ আলী হাওলাদারের মেয়ে সোনিয়া আকতারকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান।

 

এরপরেই তিনি বুঝতে পারেন যে তারা পাচারের শিকার হয়েছেন। স্বামী নাজমুল তাকে ও তার আত্মীয় সোনিয়াকে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

 

উদ্ধারকৃত সোনিয়া জানান, পাচারের পরে তাদের বিক্রি করে দেয়া হয় একটি পতিতা পল্লীতে। সেখানে একটি বাড়িতে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। সেখান থেকে তারা দুইবার পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বার পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

 

সোনিয়া আরো জানান, তারা দুইজনে পালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ক্যাম্পপাড়া সীমান্তে এসে বিজিবির কাছে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে তাদের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়।

 

ওসি হাফিজুর রহমান জানান, স্বপ্নার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তাকেও হস্তান্তর করা হবে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১২৩৫ঘন্টা১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নওগাঁ : নাওগাঁর আত্রাইয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৪৫) এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আহসানগঞ্জ ষ্টেশনে এই ঘটনা ঘটেছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আহসানগঞ্জ ষ্টেশনে এসে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাবার সময় অজ্ঞাত ওই নারী ট্রেনে উঠার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি ট্রেনে উঠতে না পেরে প্লাটফর্মের কিনারায় পড়ে গিয়ে লাইনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

 

সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ অজ্ঞাত ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে। তবে এখন পর্যন্ত তার কোন পরিচয় পাওয়া যায় নি।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১২৩০ঘন্টা১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু

index_26362অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও শহরের নিউ স্কয়ার হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সোমবার রাতে ম্যানেজার ও সেবিকার ভুল চিকিৎসায় জবা রাণী (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

 

এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিমুল বারী ওই ক্লিনিক সিলগালা করেন।

 

জানা গেছে , প্রসব বেদনা শুরু হলে জবা রাণীকে সোমবার দুপুরে রোগীর স্বজনরা অপারেশনের জন্য ঠাকুরগাঁও শহরের নিউ স্কয়ার ক্লিনিকে ভর্তি করেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ক্লিনিকের ম্যানেজার শাহিনসহ কয়েকজন নার্স প্রসূতির অস্ত্রোপাচার করে।

 

এরপর সন্ধ্যায় নবজাত ও প্রসূতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিমুল বারী ওই ক্লিনিক সিলগালা করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে সহকারী ম্যানেজার ফেরদৌস আলম, নার্স শিলা রাণী সরকার ও শাহানাজ পারভীন শাপলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতের স্বামী মদন রায় জানান, ডাক্তার ছাড়াই ক্লিনিকের ম্যানেজার ও নার্স তার স্ত্রীর শরীরে অস্ত্রোপাচার করে।

 

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ খান জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১২৩০ঘন্টা১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

 

সম্পাদকীয়

নারী শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে কয়েকটি পরিচয়- কন্যা, জয়া, জননী। প্রতিটি পর্যায়েই নারীর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রুপ, অবস্থান এবং করণীয়। আমাদের সমাজে নারীর এ বিভিন্ন পর্যায়ে অবগাহন তো হচ্ছেই না বরং তারা নিপীড়িত হচ্ছে সবর্ত্র। আমরা  বিশ্বাস করি, একজন নারী যদি তার অবস্থার পরির্বতন করতে চায় তবে তাকে উদ্ভাসিত হতে হবে আপন আলোয়।

আমরা কারো কাছে অধিকার চাইবো না। আইনের কথাও বলবো না। আমরা প্রথমত এবং শেষ পযর্ন্ত নিজেকে অধিকার অজর্নের যোগ্য করে গড়ে তুলবো। আর এ দায়িত্ব সবার আগে একজন নারীর নিজের। আল্লাহ্ যে আসনে নারীকে সমাসীন করেছেন তার চেযে উচ্চতম আসন আর নেই। তাই সে উচ্চতাকে ছুয়ে যেতে হবে। আর উচ্চতাকে জয় করতে হলে তো সবার আগে নিজেকে বড় হতে হবে। অপরাজিতার যাত্রা পথের প্রারাম্ভিকতায় এটাই হলো আমাদের কথা।

থিম্পু হয়ে পুনাখা

4f3f6c32a6ca7_Thimpu_Bhutan_02হালিমা খাতুন: সকালে নাস্তা সেরে আমরা নয়টার মধ্যে রওনা দিলাম। আমরা আল্লাহর অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে থিম্পু হয়ে পুনাখা আসি।

সেখানে থেকে ওয়াদিং হোটেলে কিং লায়ন এ আসি। সৃষ্টিকর্তার সৃৃষ্টি সৌন্দর্য কি আর বর্ণনা করে শেষ করা যায়।

‘‘তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো কোন দিকে ত্র“টি দেখতে পাও কি? অত:পর তুমি বার বার দৃষ্টি ফিরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও কান্ত হয়ে ফিরে আসবে’’। (সূরা মুলক ৩-৪)

কয়টার আর ছবি তুলবো? ছবি তুলে আর শেষ করা যাবে না। মনে হয় কোনটা রেখে কোনটার তুলি।

‘‘আর সারা ভূ-পৃষ্ঠে যতসব বৃক্ষাদি আছে সব যদি কলম হয়ে যায় এবং এই যে সাগর বর্তমান আছে,উহা ব্যতীত আর ও সাতটি সাগরের পানি কালি হযে যায়, তবু আল্লাহর গুনের কথা লিখে সমাপ্ত হবার নহে। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা মহা প্রতাপশালী, প্রজ্ঞাবান’’। (সূরা লোকমান-২৭)

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার সৃষ্টি সৌন্দর্য  বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না, মানুুষের কিছু ভাল কাজ, ভাল লাগার বর্ণনা করি, যদি সে ভাল কাজগুলো আমরাও আয়ত্ব করতে পারি এই আশায়।

থিম্পু ভিতর দিয়ে যখন যাচ্ছিলাম তখন নজরে পড়ল প্রচুর গাড়ি, অথচ গাড়িগুলো রাস্তার একপাশ দিয়ে সুন্দরভাবে পার্কিং করে সাজিয়ে রেখেছে। যেন শো রুমের শো পিস। দেখতে এত সুন্দর লাগছিলো আর তাতে ছিলো না যানজট। আমরা যারা গাড়ি ব্যবহার করি তারা ড্রাইভারকে সুশংখলভাবে গাড়ি রাখার পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারি। এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়ি একটু ফাঁকা রেখে গাড়ি পার্কিং করাতে পারি। মাঝে মাঝে ড্রাইভারদের মধ্যে লিডিং দিলেও মন্দ হয় না।

আর একটা জিনিস দেখলাম, বড় ঢাকনাযুক্ত গাড়িতে ময়লা নিচ্ছে। কিছু লোক ময়লা দিচ্ছে, ময়লাগুলো অটোমেটিক প্রেস করছে আবার অন্যজনে ময়লা দিচ্ছে। রাস্তার পাশের বাড়ি ও দোকানদাররা ময়লা দিচ্ছে। এখানের রাস্তা-ঘাটও পরিস্কার ঝকঝকে। আমাদের দেশের মিউনিসিপ্যালিটির উচিৎ ময়লা ফেলার জন্য উন্নত গাড়ি আনা । ছোট ছোট ভ্যানে করে ময়লা নেয়, ময়লা পড়তে পড়তে যায়,দুর্গন্ধে টেকা যায় নাা। প্রত্যেক দোকানে দোকানে ময়লার ঝুড়ি রাখার ব্যবস্থা করার জন্য কর্পোরেশনের থেকে কড়াকড়ি করা উচিৎ।

4f3f6b8549c5b_Thimpu_Bhutan_01রাস্তার পাশে ডাস্টবিন খুবই বিরক্তি কর। যেমন দুর্গন্ধ বের হয় তেমনি চারিদিক ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিশ্র্রি অবস্থা। পথচারীদের চরম দূর্ভোগ। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্র্তৃপরে উচিত নজরদারী করা।

হাদিসে আছে ‘‘পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।’’ মানুষের একটা অঙ্গ ছাড়া যেমন মানুষ বিকলাঙ্গ-পরিপূর্ণ নয়, তেমনি ঈমান অঙ্গহীন হলে তা বিকলাঙ্গ। পথে, ঘাটে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশে নষ্ট করা উচিত নয়। তাতে যে কোন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। অপর একটা হাদিসে আছে পাক-সাফ ঈমানের অর্ধেক।

ওয়াং দি হোটেল কিং লায়ন এ আসার পথে আমরা গেলাম দো চুলা পাস এ। এখানে ১০৮ টি স্টুপা আসে। এটা একটা ট্যাম্পল। এখান থেকে আমরা যাই পুনাখা, এখানে একটা লেকের পাশে বৌদ্ধ ট্যাম্পল, আমরা এর আশে পাশে ঘুরে দেখি। লেকের উপর দিয়ে ট্যাম্পলে যেতে একটা ব্রীজ আছে। লেকটা খুব ভাল লাগছিল। হোটেল কিং এলিং এ পৌছাতে পৌছাতে আমাদের বিকাল হয়ে গেল। পথে এক হোটেলে আমাদের দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।(চলবে)

নওগাঁয় ভুল অপারেশনে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নওগাঁ: শহরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে তারা বানু নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ক্লিনিকের পরিচালক পল্লী চিকিৎসক আসাদুল ইসলাম ও নওগাঁ সদর হাসপাতালের অজ্ঞান বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি হাসপাতাল প্রাইম ল্যাবের স্বত্বাধিকারী ডা. ইসকেন্দার হোসেনকে আসামি করে প্রসূতির স্বামী মিঠু খান বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭ফেব্রুয়ারি০৯১৫ঘন্টা২০১৪/এ

ছিনতাইকারীদের হামলায় বাকৃবির তিন ছাত্রী আহত

অপরজিতাবিডি ডটকম, ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তিন ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে চারটি মোবাইল ফোন, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, দুটি পেনড্রাইভ ও ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা।

ওই সময় ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হয়ে এক ছাত্রী তিনটি দাঁত হারিয়েছে। পরে তাকেসহ আহত দুই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ক্লিনিকের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্ট্রেটিঙ্ বিভাগের এমএস ছাত্রী ইউশা ইসলাম, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের তৃতীয় বর্ষের ফাতেমাতু আনজুম কাবেরী ও আরেক এমএস ছাত্রী অন্বেষা ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হয়।

রাত ৭টায় ওই তিন ছাত্রী ক্যাম্পাসের জবক্ষার মোড়ের হোটেল থেকে খাবার কিনে হলে ফেরার পথে ভেটেরিনারি ক্লিনিকের প্রধান ফটকের সম্মুখে ধারালো অস্ত্রসহ ৪ থেকে ৫ ছিনতাইকারী তাদের পথ রোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা ওই তিন ছাত্রীর তিনটি ব্যাগে থাকা চারটি মোবাইল ফোন, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, পেনড্রাইভ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭ফেব্রুয়ারি০৯১৫ঘন্টা২০১৪/এ

এই সময়ের কনকচাঁপা

konok

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: নকীব খান, মঈনুল ইসলাম খান এবং পিলু খান। তিন খানের সুর-সংগীতে একক অ্যালবাম করছেন কনকচাঁপা। আর অ্যালবামের সব ক’টি গানের কথা লিখছেন জুলফিকার রাসেল। বিশেষ এ অ্যালবাম তৈরির পরিকল্পনা গেল বছরের। তবে গানগুলো রেকর্ডিংয়ের গতি পেয়েছে চলতি বছরে এসে।এ্যালবামের রেকর্ডে ধীরগতি কেন? কনকচাঁপা বলেন, পরিকল্পনা করেই তো আর মাঠে নামা যায় না। একটু ধীরস্থির গতিতে এগোতে চাই। কারণ বাণিজ্যটা এখানে শতভাগ গৌণ। তিন খানসহ আমি এবং জুলফিকার রাসেল চাই অনবদ্য কিছু গান তৈরি হোক। সে জন্য অ্যালবামের গানগুলো নিয়ে আমাদের গবেষণার অন্ত নেই। তার ওপর গেল এক বছরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল ভয়ঙ্কর। তবে সমপ্রতি পূর্ণ উদ্যমে গানগুলোর সুর-সংগীতায়োজনের কাজে গতি পেয়েছে।

 

আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই রেকর্ডিং শুরু করবো। কনকচাঁপা আরও জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে পহেলা বৈশাখেই অ্যালবামটি প্রকাশ হবে। আশা করছি আমাদের সংগীতের তিন খান আপনাদের ১০টি শুদ্ধ-সুরেলা আধুনিক বাংলা গান উপহার দিতে পারবেন।

 

নাম ঠিক না হওয়া রেকর্ড চলতি এ অ্যালবামে প্রথমবারের মতো কনকচাঁপা একটি গানে কণ্ঠ দেবেন নকীব খানের সঙ্গে। গানটির শিরোনাম ‘ইচ্ছে করছে এই এখানে’। অ্যালবামে থাকছে মা’কে নিয়ে একটি গান। সব মিলিয়ে আগামী বৈশাখে ১০ গানের আলোচিত এ অ্যালবামটি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে প্লে-ব্যাক ঘরানার কণ্ঠতারকা কনকচাঁপা মূলত হারানো দিনের রিমেক গানের অ্যালবাম দিয়ে অডিও বাজারে এলেও, এ বছর আর কোনও রিমেক অ্যালবামের পরিকল্পনা নেই তার।

 

বরং, গানের কনকচাঁপা ক্রমশ নিজেকে ছড়াচ্ছেন সাহিত্যচর্চা আর রাজনীতির মাঠে। চলতি গ্রন্থমেলায় কনকচাঁপার নতুন কোন গ্রন্থ প্রকাশ না পেলেও আগামী গ্রন্থমেলায় দু’টি গ্রন্থ প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু করেছেন এরই মধ্যে। যার একটি কবিতা। অন্যটি উপন্যাস। এদিকে রাজনৈতিক ময়দানে বর্তমানে তিনি এগোচ্ছেন বিএনপির সমর্থন নিয়ে। এ প্রসঙ্গে কনকচাঁপা বলেন, রাজনীতির মাঠে এখনও পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারিনি। তবে দল যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবেই কাজ করবো। দলের নির্দেশে আমি রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হতে চাই। এছাড়া নিজ গ্রাম সিরাজগঞ্জের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমার ইচ্ছে রাজনীতির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের মানুষের জীবনমান আরও উন্নত করা।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭ফেব্রুয়ারি০৯১৫ঘন্টা২০১৪/এ

মাধবপুরে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

অপরজিতাবিডি ডটকম, হবিগঞ্জ: জেলার মাধবপুর থানা পুলিশ গতকাল বিকালে ঘরের দরজা ভেঙে এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌর সদরের শ্যামলীপাড়া এলাকার ডাক্তার ইকবালের মালিকানাধীন জান্নাত ভিলার নিচ তলার ভাড়াটিয়া পপুলার ওষুধ প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি ও ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম রেজা (৩৫) ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম কথা (৩০) গত ৫ মাস যাবৎ ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

দুপুর অবধি ওই দম্পতির বাসা বন্ধ দেখতে পেয়ে বাড়ির মালিক ডাক্তার ইকবালের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, তাদের শরীরের শিরায়  লাগানো কেনুলা পাওয়া গেছে। তাদের রুম থেকে কয়েকটি সিরিজ, বিষ জাতীয় কিছু ওষুধ উদ্ধার করা হয়। তাদের ডায়েরিতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এই সিদ্ধান্ত একান্তই আমাদের।’

পুলিশের ধারণা কেনুলার মাধ্যমে শিরায় বিষ প্রয়োগ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা আত্মহত্যা করতে পারে। লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭ফেব্রুয়ারি০৯১৫ঘন্টা২০১৪/এ

নাটোরে নারী পুলিশকে পেটানোর দায়ে পুরুষ পুলিশ আটক

অপরজিতাবিডি ডটকম,নাটোর: জেলার সদর থানায় কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্যকে পেটানোর দায়ে অপর এক পুরুষ পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করা হয়েছে।

থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, মারপিটের কারণ উদ্ঘাটনের জন্য আটক পুরুষ পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পারিবারিক ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ মারপিটের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাটোর থানায় কর্মরত নারী পুলিশ সদস্য সাবিনা (২৮) (কনস্টেবল নম্বর ৬৫৮)-কে রাজশাহীতে কর্মরত পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল নাসির উদ্দিন গতকাল দুপুরে মারপিট করে।

আহত অবস্থায় নারী পুলিশ সদস্য সাবিনাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় তাকে সরিয়ে নেয়া হয়। এ সময় খবর পেয়ে তার অভিযোগের ভিত্তিতে নাটোর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

পুরুষ পুলিশ কনস্টেবল নাসির বলেছেন, মহিলা পুলিশ কনস্টেবল সাবিনা তার বিবাহিতা স্ত্রী। এ ঘটনায় নাটোরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭ফেব্রুয়ারি০৯১২ঘন্টা২০১৪/এ

ইয়াসমিনের আত্মহত্যার পরও মামলা নেয়নি পুলিশ

অপরজিতাবিডি ডটকম, মুন্সিগঞ্জ: জেলার শ্রীনগরে কলেজছাত্রী ইয়াসমিনের আত্মহত্যার পরও ধর্ষণের মামলা নেয়নি পুলিশ। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সালিশকারীদের প্রভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল বেলা এগারটার দিকে খাহ্রা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শ’ শ’ ছাত্রছাত্রী একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে বাড়ৈখালী গ্রামে এসে ইয়াসমিনের ধর্ষক সালামের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।

এ সময় তাদের সঙ্গে ঐ গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে লম্পট সালাম ও ধর্ষণের ঘটনাটি সালিশ করে ধামাচাপা দেয়া টাউট সালিশকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। আলোচিত স্কুলছাত্রী সিনথিয়ার আত্মহননের পর একই এলাকায় ফের এ ঘটনায় থানা পুলিশ ধর্ষক ও সালিশকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা নেয়ায় এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেন।

এব্যাপারে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, ময়না তদন্তে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ হলে ধর্ষণের মামলা নেয়া হবে। অপরদিকে শ্রীনগর সার্কেলের এএসপি মিয়া মো. কুতুবুর রহমান চৌধুরী জানান, ধর্ষণের তিনদিন পর মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তাই ধর্ষণের আলামত নষ্টকারী সালিশদারদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গত বুধবার রাত আটটার দিকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ইয়াসমিন (১৮)কে ধর্ষণ করে তারই বাবার বন্ধু একই গ্রামের সাত সন্তানের জনক সালাম (৫৫)।

এ সময় ইয়াসমিনের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে সালামকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এর পরপরই ঐ বাড়িতে বাড়ৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ইউপি সদস্য জাহের মোড়ল, কালাম মেম্বার, হেলাল মাতবর, সিরাজুল ইসলাম মিলনের নেতৃত্বে সালিশ বসে। সালিশে সালামকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করে ইয়াসমিনকে গালমন্দ করে গ্রাম্য সালিশদাররা। এতে ক্ষোভ ও অপমানে শুক্রবার সকালে ইয়াসমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭ফেব্রুয়ারি০৯১২ঘন্টা২০১৪/এ

ভান্ডারিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণ

opohronঅপরাজিতাবিডি ডটকম, পিরোজপুর : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় নারগিস আক্তার(১৬)নামে  এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে ভান্ডারিয়ার মাছ বাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী ফোরকান (২০)।

অপহৃত নারগিস রামবদক মেদিরাবাদ তারাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও রাজাপুর উপজেলার হালদার খালী তারাবুনিয়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে ।

জানা যায় ,প্রতিদিনের মতো আজও পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ফোরকান তার ৪/৫ জন সহযোগীসহ একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় নারগিসকে।

এদিকে স্থানীয়রা এ খবর প্রশাসনকে জানালে ভান্ডারিয়া থানার এস আই নুরুল ইসলাম ও কনেস্টবল মাসুদ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নারগিসকে বহনকারী  রিক্সার চালক সোহেল কে আটক করে।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, রিক্সা চালক সোহেল, অপহরণকারীর মা ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং  অপহরণকারীদের  গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/২০৫৫ঘন্টা১৪ফেব্রুয়ারি২০১৪

সাভারে দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী আহত সড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সাভার: সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রীর আহত হওয়ার ঘ্টনার জের ধরে সড়ক অবরোধ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের তেঁতুলঝরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও  এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কের তেঁতুলঝরা স্কুলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী বিনু আক্তারকে চাপা দেয় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা (গাজীপুর থ-১১-০২৮৩) ।

এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা অটোরিকশাটি আটক করে তাতে অগ্নিসংযোগ ও চালককে মারধর করে। এ সময় তারা প্রায় এক ঘণ্টা হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়ক অবরোধ করে রাখলে  দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।

খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ শেস করে এলাকাবাসীরা।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানন, এ ঘটনায় সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/২০৫৫ঘন্টা১৪ফেব্রুয়ারি২০১৪

পায়ে হেঁটেই বিশ্বরেকর্ড করার পথে রুমা

rumaঅপরাজিতাবিডি ডটকম, বেনাপোল: কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে বেনাপোলে এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশী মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া রুমা। গত রাতে বেনাপোলে বিশ্রাম নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে আবার পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছেন ঢাকার উদ্দেশে। রুমা একটি এনজিও সংস্থায় কাজ করেন।

রুমার দাবি, পায়ে হেঁটেই ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড’ রেকর্ডে নিজের নামটি নথিভুক্ত করতে চলেছেন তিনি। ঢাকার তেজগাঁওয়ের পূর্ব রাজাবাজারের মেয়ে  ৩৫ বছর বয়সী রুমার ইচ্ছা কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা প্রেস ক্লাব পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দেবেন।

আর সেই লক্ষ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি  বিকাল চারটা থেকে হাঁটা শুরু করেন কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে।

প্রথম দিন প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ হেঁটে রাতে বিশ্রাম নেন লেকটাউনের একটি রেস্ট হাউসে। বুধবার সকাল হতেই আবার শুরু করেন পায়ে হাঁটা। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে পথের মধ্যেই একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার যাত্রা শুরু তার।  

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসে পৌঁছান বেনাপোলে। কলকাতার ধর্মতলা-লেনিন সরণি-মৌলালী-দমদম-যশোর রোড হয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লাগবে নয় দিন।
 
রুমা জানান, তার ইচ্ছা আরো কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো। রুমার এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

রুমার দাবি, কলকাতা থেকে ঢাকা পুরো পথটি হেঁটে সফলভাবে অতিক্রম করতে পারলে তিনি হবেন প্রথম এশিয়ান মহিলা, যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করতে যাচ্ছেন।

যানজট দূরীকরণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে রুমা হাঁটার অভ্যাস করার বার্তা সবার কাছে পৌঁছাতে চান এই পায়ে হাঁটার মধ্য দিয়ে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৪ফেব্রুয়ারি২০৩৩ঘন্টা২০১৪/এ

ব্যস্ত সময়ে রুটি বানান ১ মিনিটে

Ruti 2অপরাজিতাবিডি ডেস্ক: রুটি আমাদের সবার পরিচিত একটি খাবারের নাম। তবে অনেকেই রুটি খেতে যত না পছন্দ করেন বানাতে অনেক বেশী অনিহা প্রকাশ করেন। কিন্তু এমন এক রুটি মেশিনের কথা জানাব যা মিনিটের মাঝেই রুটি বানিয়ে দিতে সক্ষম।

 

মেশিনের নাম Rotimatic যা স্বয়ংক্রিয় ভাবে নিখুদ গোল আকৃতির রুটি তৈরি করে দিতে পারবে আপনাকে মাত্র ১ মিনিট সময়ের মাঝে। একবারে এতে আটা ভরে দিতে টানা ২০টি রুটি তৈরি করে দিতে পারে। এতে আপনি ইচ্ছে মত রুটি চিকন মোটা হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন সাথে থাকছে যারা তেল কম কিংবা বেশী অথবা একদমই পছন্দ করেন না তাদের জন্যও সু-ব্যবস্থা।

 

Ruti1আমাদের ঘরে নিজের হাতে বানান রুটির সাইজ আকৃতি নিয়ে অনেক হাস্যরসের কারণ হয়ে থাকেন সবার মাঝে তবে Rotimatic দিয়ে আপনি খুব সহজে সকল রুটি তৈরি করে নিতে পারবেন যার সকল সাইজ একই হবে।

 

যেভাবে Rotimatic মেশিনে রুটি তৈরি হবেঃ Rotimatic এর উপরে রয়েছে আলাদা তিনটি চেম্বার এতে আলাদা আলাদা ভাবে আটা, পানি, তৈল দিয়ে দিতে হবে এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত রুটির সাইজ এবং আকৃতি ঠিক করে দিতে হবে। এর পর সুইচ টিপে আপনার অপেক্ষার পালা একে একে রুটি বেরিয়ে আসতে থাকবে সব রুটির সাইজ আকৃতি আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী হবে।

                                                

এই যন্ত্র পরিচালনা ও খুবই সহজ এবং এটি যেকোনো যায়গায় রেখে রুটি বানানো যায়। এটি আমাদের দেশ সহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাওয়া যাচ্ছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৬৪০ঘন্টা১২ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

হাসিনা আখতারের ‘জিন্নাহ-গান্ধী সম্পর্ক’

Bookনিজস্ব প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি: ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিতে জিন্নাহ-গান্ধীর নেতৃত্ব বহুল আলোচিত এবং সমালোচিত। তবে আলোচনার চেয়ে জিন্নাহর সমালোচনাই বেশি। উপমহাদেশীয় জনগণ সাধারণভাবে এটাই বিশ্বাস করে যে, ভারত ভাগের জন্য জিন্নাহ এককভাবে দায়ী। তাদের ধারণা যদি সত্যি হয় তাহলে স্বীকার করতেই হবে নেতা হিসেবে জিন্নাহ দারুণ গণবিমুখ হওয়া সত্ত্বেও ব্রিটিশ এবং কংগ্রেসের ন্যায় দুটি প্রতিষ্ঠিত শক্তিকে ভারত ভাগ মেনে নিতে বাধ্য করা আশ্চর্যজনক তো বটেই। এখানে জিন্নাহর ক্যারিশমাই মূল শক্তি, নাকি গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতারাই পরোক্ষভাবে তাঁকে এ অর্জনে সহায়তা করেছেন।

 

জিন্নাহ-গান্ধী নিয়ে এবারের বই মেলায় এসেছে হাসিনা আখতারের ‘জিন্নাহ-গান্ধী সম্পর্ক’ বইটি।

 

বইটিতে জিন্নাহ-গান্ধী সম্পর্ক বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি পাওয়া যাবে  ১১১, ১১২, ১১৩ নম্বর স্টলে। বইটির মূল্য: ৫৭০টাকা

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৬৪০ঘন্টা১২ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

 

বাঙ্গালীর পিঠা উৎসব

pitha (3)রবি আল ইসলাম: মুখরোচক খাদ্য হিসেবে পিঠা খাওয়ার ঐতিহ্য বাঙ্গালীদের বেশ পুরনো। বাংলাদেশে বছর জুড়েই পাওয়া যায় বাহারী রকম পিঠার স্বাদ। ঋতুভেদে থাকে স্বাদের ভিন্নতা।

 

আবহমানকাল থেকেই বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে পিঠার উৎসব চোখে পরে। শীতকাল গ্রীষ্মকাল, প্রায় প্রতিটি ঋতুতেই থাকে একেক পিঠার উৎসব। তবে শীতকাল প্রধানত পিঠার উৎসবটা একটু বেশি। খেজুরের গুর, শীতের হাওয়া যেন পিঠার স্বাদকে করে তুলে আরো বেশি মধুর। শীতকালে এটি বাঙ্গালির লোকজ ও সংস্কৃতিরই অংশ। সারা বছর প্রতিটি ঘরে তৈরী করা হয় নানা রকম পিঠা। সকালে ভাপা পিঠা। আর রাতে চিতই পিঠা। ভাপা পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা। যা প্রধানত শীতকালে খাওয়া হয়। শীতের এই সুচনা লগ্নে গ্রামের হাটবাজার থেকে শুরু করে শহরের রাস্তার ধারে ,স্কুল-কলেজ মাঠে এমনকি ফাষ্টফুডের দোকান গুলোতে ভাপা পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। পানির ভাপের সাহায্যে তৈরি করা হয় বিধায় আদিকাল থেকেই এই পিঠার নামকরণ করা হয় ভাপা পিঠা।

 

pitha (2)এটি প্রধানত চালের গুঁড়ার মাঝে কিছু খেজুরের অথবা আখের গুড় দিয়ে তার উপর আবার চালের গুড়া দিয়ে গরম পানির ভাপে তৈরি করা হয় এ মজাদার পিঠা। সাথে স্বাদ বৃদ্ধির করার জন্য দেয়া হয় নারকেলের শ্বাস।

 

এর পাশাপাশি চিতই পিঠা, পুলি পিঠা, পাটি সাপটা, ম্যাড়া পিঠা, তেলের পিঠা । এ পিঠা গুলি আমাদের দেশের সকলের কাছেই বেশ প্রিয়।

 

শহরে পরিবেশে সারা দিনের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে ফুটপাতে গড়ে তোলা পিঠা পুলির দোকানে এসে ভিড় জমায় নগরীর বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতারা। ক্রেতাদের জন্য দোকানের দু’পাশে রাখা হয়েছে লম্বা বেঞ্চ। দোকানের বেচাকেনা হয় বেশ ভাল। যা আজকাল পিঠা উৎসবে পরিণত হয়েছে।

 

পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে নারী ও পুরুষ বিক্রতারা। মালিবাগ  মোড়ের পিঠা বিক্রেতা ফাতেমা বেগম বলেন, পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার চলে । তিনি বলেন, দুই মেয়ে এক ছেলে নিয়ে আমার সংসারে তেমন অভাব নেই।

 

pitha (1)শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পিঠা বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন ,শীত এলেই তিনি পিঠা বিক্রি করেন, এটি তার এক ধরনের নেশায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন,  ভাপা পিঠা তৈরীতে খরচ এবং সময় দুইটাই কম লাগে। সব সময় ভীড় থাকে দোকানে। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেই চার-পাঁচশত টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।

 

শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, সর্বস্তরের জনতা ফুটপাতের তৈরী করা পিঠা ক্রয় করে ফুটপাতেই বসে খাচ্ছে। বউ, ছেলেমেয়েদের জন্য পার্সেল করে নিয়ে যাচ্ছেন বাসা বাড়ীতে। দেখে মনে হয় হরেক রকম‘ পিঠা উৎসব’ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীতে। সবাই পিঠা খাওয়ায় মেতে উঠছে প্রতিদিন।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৪ফেব্রয়ারি১৭৪০ঘন্টা২০১৪/এ

আমার কবিতা গুলোর আত্মপ্রকাশ ঘটবে এটি ছিল স্বপ্নের মত

সাবরিনা শুভ্রা। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায় ।পড়ালেখা শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে। বেশ কিছু দিন কাজ করেছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ইউনিসেফ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনে। কৈশোর  থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি সাবরিনা শুভ্রার। বাবা আর মায়ের সযন্ত উৎসাহ ছিল ঢের। কবিতা,গল্প,নাটক অনেক কিছুতেই হাত দিয়েছেন তিনি। লেখা ছাড়াও আঁকা , সংগীত ফ্যাশন ডিজাইনেও তার সমান দক্ষতা। তবে সবই রেখেছেন শখের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে। অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র লেকচারার এবং সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে তিনি গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করছেন এখন। গবেষণা ও এবং উপস্থাপনার ক্ষেত্রেও মেধা ও প্রতিভার ছাপ রেখেছেন তিনি।এছাড়া তিনি Society for Social Enhancement- এর নির্বাহী সদস্য। এবারের বই মেলাতে প্রথম বের হয়েছে কবি সাবরিন শুভ্রার দু’টি কাব্যগ্রন্থ-একটি বাংলা, আরেকটি ইংরেজিতে। তাঁর সাথে কথা বলেছেন রবিউল ইসলাম আওলাদ-
 601066_494445993946608_980422584_n

প্রতিবেদক: এবারের বই মেলাতে আপনার লেখা কয়টা বই বের হয়েছে? কোন প্রকাশনী থেকে?

 

সাবরিনা শুভ্রা: এবারের বই মেলাতে আমার দু’টি কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে। একটি বাংলা অন্যটি ইংরেজিতে। বাংলা বইটির নাম শঙ্খচূড়া এটি প্রকাশ করেছে সূচীপত্র ইংরেজি বই টির নাম MARGIN OF THE HEART এটি প্রকাশ করেছে ত্রয়ী প্রকাশন।

 

প্রতিবেদক : কবে থেকে লেখালেখি শুরু আপনার?

 

সাবরিনা শুভ্রা: ছোট বেলা থেকেই আমি লেখালেখি করে আসছি।

 

প্রতিবেদক: প্রকাশিত বই দুটি সম্পর্কে কিছু  বলুন?

 

সাবরিনা শুভ্রা: আসলে লেখালেখি ছিল শখের গণ্ডিতে কখনো  যে বই আকারে তা প্রকাশ পাবে ভাবিনি। আমার প্রিয়জনদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরনায় আজ সেগুলো মলাটে বন্দি হল। এজন্য আমার অনুভূতি আজ ভাষাতীত।

 

প্রতিবেদক: বই মেলায় বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলবেন?

 

সাবরিনা শুভ্রাঃ প্রতিবারই অনেক বই কিনি । বই কেনা ও পড়া আমার শখ গুলোর মধ্যে একটি। এবারের বই মেলায় নিজের বই মানুষ কিনছে আর বেশ সাড়া পাচ্ছি তাই বেশ আনন্দ বোধ করছি।

 

প্রতিবেদক: কার লেখা বই আপনার ভালো লাগে?

 

সাবরিনা শুভ্রা: দেশীয় অনেকের লেখাই ভালো লাগে তার মধ্যে প্রয়াত কবি শামসুর রাহমান, জিবনানন্দ, জসিম উদ্দিন এর লেখা খুবই ভালো লাগে। তা ছাড়া আল মাহমুদ, হেলাল হাফিয,শওকত ওসমান, শওকত আলি,শামসুল হক প্রমুখ লেখকদের লেখা ভালো লাগে।

 

প্রতিবেদক:  আপনার লেখালেখির পেছনে কার অবদান বেশি?

 

সাবরিনা শুভ্রা: আমার লেখালেখির পেছনে প্রথমত আমার বাবার অবদান বেশি। বাবাকে দেখেই আর বাবার উৎসহ থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি । এছাড়া আমার মা আর পরিবারের সবারই অবদানই রয়েছে।

 

প্রতিবেদক: বই মেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

 

সাবরিনা শুভ্রা: সম্প্রসারণের বিষয়টি আসলে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। প্রশস্ত জায়গায় মানুষ সাচ্ছন্দে পদচারনা করতে পারছে। বই বাছাই এবং কিনতে পারছে।

 

প্রতিবেদক: লেখালেখি নিয়ে আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী?

 

সাবরিনা শুভ্রা: ভবিষ্যতে আমি সামাজিক প্রেক্ষাপট নিয়ে লিখতে চাই। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণী আমার লেখার বিষয় বস্তু বেছে নিয়েছি।

 

প্রতিবেদক: সারা বছর পাঠকের হাতে যেন বই থাকে এ ব্যাপারে কি করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

 

সাবরিনা শুভ্রা: সারা বছর পাঠকের হাতে যাতে বই থাকে তাই সারা বছর ই নতুন নতুন বই প্রকাশ হওয়া উচিত। এজন্য লেখক এবং প্রকাশকদের পাঠক সৃষ্টির ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

 

প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কবিতা নিয়ে আপনি কতোটা আশাবাদী?

 

সাবরিনা শুভ্রা:আমার আশা সুদূর প্রসারিত। প্রেম, বিরহ, আশা, স্বপ্ন, নৈরাশ্য, আবেগ, দেশাত্মবোধ, দু:খ, একাকিত্ব, বেদনা ও অতীন্দ্রিয়তা আমার কবিতার বিষয় বস্তু যা জীবনের সব গুলো দিক পাঠক উপলব্ধি করতে পারবেন।

 

প্রতিবেদক: এই প্রথম আপনার দুটি বই প্রকাশিত হলো এতে আপনার কেমন অনুভতি?

 

সাবরিনা শুভ্রা: আমার কবিতা গুলোর আত্মপ্রকাশ ঘটবে বই আকারে এটি ছিল স্বপ্নের মত। তাই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হউয়ার আনন্দ সীমাহীন।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৪ফেব্রয়ারি১৭৪০ঘন্টা২০১৪/এ

স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা স্বামীর

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নেত্রকোনা: জেলার পূর্বধলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবদুল আজিজ আকন্দকে স্ত্রীকে হত্যা চেষ্টার দায়ে সোমবার ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত ।

নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আবদুল হামিদ এই রায় প্রদান করেন।

জানা গেছে, পূর্বধলার শ্রীপুর গ্রামের আবদুল আজিজ আকন্দ ২০০৫ সালের ১ নভেম্বর যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকা এনে দেয়ার জন্য স্ত্রী মিনারাকে চাপ দেয়। স্ত্রী অপারগতা প্রকাশ করায় আবদুল আজিজ তার গলা টিপে এবং পরে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় মিনারা ২০০৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি স্বামী আবদুল আজিজ আকন্দকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আবদুল হামিদ সোমবার এ রায় দেন।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৭০০ঘন্টা২ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

আত্মহত্যা করে ঋণের বোঝা মুক্ত হলেন হাসিনা বেগম

image_68183অপরাজিতাবিডি ডটকম, রাজবাড়ী: মৃত্যুর পর ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হলেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার দরিদ্র হাসিনা বেগম (৫০)। তিনি স্থানীয় ছোহরাব হোসেনের স্ত্রী। মৃত্যুর দিন থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) তাদের থেকে নেয়া সমস্ত ঋণের টাকা মওকুফ ও সঞ্চয়ী টাকা পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ঋণের কিস্তি শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন ওই নারী।

বুধবার বেরসকারি সংস্থা আশা গোয়ালন্দ ব্রাঞ্চ কার্যালয়ে নিহত হাসিনা বেগমের স্বামী ছোহরাব হোসেনের হাতে স্ত্রীর জমাকৃত সঞ্চয় তহবিলকে দ্বিগুণ করে লাভসহ মোট ১৩হাজার ৪৫৪টাকা তুলে দেয়া হয়। সেই সাথে সংস্থার পক্ষ থেকে অবশিষ্ট পাওনা ৪০হাজার ৫৭৫টাকাও মওকুফের ঘোষণা করা হয়।

এর আগে হাসিনা বেগমের মৃত্যুর দিন গত সোমবার দুপুরে জানাজার আগে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এর স্থানীয় ব্যবস্থাপক অঞ্জন মিত্র তাদের কাছে পাওনা সাড়ে ১১হাজার টাকা মওকুফ এবং জানাজা বাবদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাদল খান ও এলাকার কয়েকজন জানান, হাসিনা বেগম ছোটভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মেয়ে জামাই মোকছেদ শেখের বাড়িতে গত সোমবার সকাল ছয়টার দিকে ঘরের পিছনে থাকা আম গাছের ডালে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

অভাবের কারণে একমাত্র ছেলে এলাকায় অনেকের কাছ থেকে অনেক টাকা ঋণ করে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। ছেলের ঋণ পরিশোধ করতে ও নিজের সংসার চালাতে হাসিনা বেগম একইভাবে তিনি নিজের নামে, মেয়ে, মেয়ে জামাইসহ বিভিন্ন নামে বেসরকারি সংস্থা আশা, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্যুরো বাংলাদেশ, কেকেএসসহ বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করেন।

এতে তিনি অন্তত চার লাখ টাকার মতো ঋণী হন। এ টাকার নিয়মিত কিস্তি ও সুদ তিনি কোনোভাবেই পরিশোধ করতে পারছিলেন না। কিন্তু পাওনাদাররা প্রায় প্রতিদিনই তার বাড়িতে এসে হানা দেয় এবং টাকা পরিশোধ করতে না পারায় বিভিন্ন খারাপ কথা বলতে থাকে। আত্মহত্যার আগের দিন রোববার তাকে বাড়িতে না পেয়ে মেয়ে বাড়িতে এসে অনেকেই শাসিয়ে যায়। এরপর সোমবার ভোররাতের কোনো এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন।

এ নিয়ে ওইদিন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এবং ঋণদানকারী সংস্থাগুলোর টনক নড়ে। এরপর পুলিশের তৎপরতায় এলাকার অনেক সুদেকারবারীও গা ঢাকা দেয়।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরিএ১৭৩৭ঘন্টা১২ফেব্রুয়ারি২০১৪/এ

মোবাইলে প্রেম, সাক্ষাৎ অত:পর হত্যা

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নারায়ণগঞ্জ : মোবাইলে দীর্ঘদিন প্রেম করে অত:পর প্রেমিকাকে হত্যা করেছে প্রেমিক। নারায়ণগজ্ঞের একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছে লাশ।

শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণীকে (২৩) গলা কেটে জবাই করেছে তারই প্রেমিক। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর সঙ্গে থাকা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় শহরের এক নং রেল গেট এলাকাতে রূপায়ন নামের একটি আবাসিক হোটেলের ৪নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই প্রেমিক সাইদুর রহমানকে (২৫) হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ গ্রেফতার করেছে।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে রূপায়ন হোটেলের ৪নং কক্ষ ভাড়া নেয় সাইদুর রহমান। রাত সাড়ে ৯টায় হঠাৎ করেই সাইদুর রহমান দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে হোটেলের লোকজন সাইদুর রহমানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ দেয়। পরে ওই কক্ষ থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ওই তরুণীকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্থানীয় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শাহজালাল আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সাইদুর রহমান ওই তরুণীর নাম জানাতে পারেননি। সাইদুর স্বীকার করেছে কয়েক মাস ধরে মোবাইল ফোনে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে মঙ্গলবার তরুণী তাকে শহরে আসতে বলে। দুইজন পরে রূপায়ন হোটেল ভাড়া নেয়। রাতে সাইদুরের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় ঝগড়া হলে সে জিদ করে হত্যা করে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/১১ফেব্রুয়ারি২৩০০ঘন্টা২০১৪

নিখোঁজের ৩দিন পর শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

00_24608অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঝিনাইদহ : নিখোঁজের ৩দিন পর লক্ষী রানী অধিকারী নামে ৪ বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।  সে শৈলকুপার বসন্তপুর গ্রামের নেপাল চন্দ্রের মেয়ে।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শ্রীরামপুর হাইওয়ে ব্রীজের নীচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার মুখে টেপ জড়ানো ছিল। নাক-কান দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।

লক্ষীর পিতা নেপাল চন্দ্র জানায়, শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে লক্ষী নিখোঁজ হয়। এর পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

নিখোঁজের পর থেকে কে বা কারা তার শ্বশুরের কাছে মোবাইলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিল বলে জানান নেপাল চন্দ্র।

শৈলকুপা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে মুখ চেপে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। শিশুটিকে কারা ধরে নিয়ে যায় এবং অপহরণের নানা দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তবে এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৯ফেব্রুয়ারী২০৪০ঘন্টা২০১৪

মানিকগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণ মামলার রায় ১৩ ফেব্রুয়ারি

Rapঅপরাজিতাবিডি ডটকম, মানিকগঞ্জ : চাঞ্চচল্যকর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলন্ত বাসে পোশাক শ্রমিক ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি।

রোববার যুক্তিতর্ক শেষে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোস্তফা দেওয়ান এই রায়ের দিন ধার্য্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৪ জানুয়ারি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে তরা ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন সাভারের একটি গার্মেন্টস কারখানার নারী শ্রমিক। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় বাস চালক দিপু মিয়া ও বাসের সহকারী কাশেমকে।

আটককৃতরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে ঘটনার ১৪ দিন পর গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে ওই দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মানিকগঞ্জ জেলার পিপি এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম জানান, মোট ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাসের চালক দিপু মিয়ার সহযোগিতায় হেলপার কাশেম ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। আসামিদের জবানবন্দিসহ যে সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করছেন তিনি।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৯ফেব্রুয়ারী২০৩৯ঘন্টা২০১৪

ভোলায় ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ভোলা  :  সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ভোলা সদর উপজেলার বাঘারহাওলা গ্রামের চার সন্তানের জননী কমলা বেগমকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার দুপুরের দিকে ঘরের মধ্যে কমলার নিহত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটির সুরতহাল রির্পোট শেষে রোববার বিকালে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়

পুলিশ জানায়, বাঘারহাওলা গ্রামের পাশে হাওলাদার বাড়িতে একটি ঘরে কমলা বসবাস করতেন। তার চার ছেলে ও এক মেয়ে ঢাকায় বসবাস করে। স্বামী মো. রতন অনেক আগেই কমলাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে।

সদর থানার ওসি  জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। সুরতহাল রিপোর্টে কমলার গলা কাটার সঙ্গে সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৯ফেব্রুয়ারী২৩২০ঘন্টা২০১৪

ছাতকে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

attohotta logoঅপরাজিতাবিডি ডটকম, ছাতক : সিলেটের ছাতকে গলায় ফাঁস দিয়ে কবিতা দাস (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

রোববার সকালে পৌর শহরের নোয়ারাই পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষীদর্শীরা জানায়, কবিতা নিজের শোবার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে অত্মহত্যা করেছে। সে গ্রামের বজেন্দ্র দাসের মেয়ে ও ছাতক কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

পুলিশ জানায়, আত্মহত্যার কোন কারণ তারা জানতে পারেনি।

লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ছাতক থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৯ফেব্রুয়ারী২৩২০ঘন্টা২০১৪

চুয়াডাঙ্গায় ছাদ থেকে পড়ে অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর মৃত্যু

mrittuঅপরাজিতাবিডি ডটকম, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামে ছাদ থেকে পড়ে শাহানাজ পারভীন (৩৫) নামের এক অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের হাতেম আলীর স্ত্রী।

রোববার বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে উপজেলার বেলগাছি গ্রামের অন্তঃস্বত্ত্বা শাহানাজ পারভীন নিজ বাড়ির ছাদে শুকনো কাপড় আনার জন্য যায়।

কাপড় নিয়ে আসার সময় অসাবধানতাবশত একতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৯ফেব্রুয়ারী২৩২০ঘন্টা২০১৪

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা

firঅপরাজিতাবিডি ডটকম,কুমিল্লা: যৌতুকের দাবিতে কুমিল্লায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। শনিবার মধ্যরাতে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার চাঙিনী গ্রামে নিজ স্ত্রীর গায়ে পেট্রল ছোড়ে স্বামী কেশব চন্দ্র দাস।

শনিবার সকালে দগ্ধ রীনা রানী দাসকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়।

নিহত রীনা রানী দাসের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বাতেশ্বর। পাঁচ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। নিহতের এক ছেলে রয়েছে।

নিহতের ভাই বিজয় দাস জানান, শনিবার রাতে রীনাকে তার শ্বাশুড়ি, ননদরা যৌতুকের জন্য শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে রীনা রানি দাসের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে তার মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, বিয়ের পর রীনার স্বামীকে পাঁচ দফায় ১৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

নিহত রীনা রানীকে নিয়মিত নির্যাতন করা হতো বলে জানান তার ভাই। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৮ফেব্রুয়ারী২৩২০ঘন্টা২০১৪

নলছিটিতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

লাশঅপরাজিতাবিডি ডটকম,ঝালকাঠি : জেলার নলছিটিতে সিমা বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রায়াপুর গ্রামের নিজ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সিমা বরিশাল সদর উপজেলার হরিণাফুলিয়া গ্রামের আলম চৌকিদারের মেয়ে এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রায়াপুর গ্রামের জাফর সিকদারের স্ত্রী।

নলছিটি থানার উপ-পরিদর্শক (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘২৬ বছর বয়সের একটি বিবাহিত মেয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে, তা সন্দেহজনক। তাই ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে’।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৭ফেব্রুয়ারি২৩২৭ঘন্টা২০১৪

ডোমারে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

attohotta logoঅপরাজিতাবিডি ডটকম, নীলফামারী: জেলার ডোমারে রত্না রানী (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত রতনা ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ভেসকিপাড়া গ্রামের ললিত বর্মণের মেয়ে।

শুক্রবার দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় বাড়ির পাশ্ববর্তী আমগাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রত্না। সকালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের সদস্যরা। জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করার কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হরিণচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিহতের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৭ফেব্রুয়ারি২৩২৭ঘন্টা২০১৪

ব্যবসায়ী হতে হলে প্রয়োজন নিজের ওপর আস্থা ও সাহস : কানিজ ফাতেমা

14363_nari-1অপরাজিতাবিডি ডেস্ক: বাণিজ্যমেলার প্রধান ফটক পার হয়ে রুপালি রঙের আলো ঝলমলে তারার দেশের মতো ২ নম্বর প্যাভিলিয়নের কাছে যেতেই চোখ দুটো যেন স্থির হয়ে রইল নানা ধরনের তৈজসপত্র, বাসন-কোসন, গ্লাস-বাটিসহ দুই শতাধিক স্টেনলেস স্টিলের খুবই টেকসই ও চমৎকার ঝকঝকে পণ্য দেখে, যা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশী কারখানায়।

 

এতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিদেশী প্রযুক্তি ও কাঁচামাল। পুরো প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে A-1 Max (Stainless Steel Products)-এর উৎপাদিত পণ্য দিয়ে। আমার বিশ্বাস, এই শোরুমের দিকে কারো চোখ পড়লে কোনো শৌখিন গৃহিণী কেনাকাটা না করে ফিরতে পারবেন না। এত সুন্দর তৈজসপত্র ও ক্রোকারিজ দেখলে মনে হবে রুপালি তারার দেশে বেড়াতে এসেছি। সেই চোখধাঁধানো রূপে আকৃষ্ট হয়ে আমারও পরিচয় হয়েছিল এই কোম্পানির স্বত্বাধিকারী কানিজ ফাতেমা আইভির সাথে। তার এ উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার কথা জানতে সময় নিয়ে যাই তার বাসায়।

 

শীতের এক পড়ন্ত বিকেলে যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। চার দিক সুমসাম অন্ধকার। দিন শেষে সব পাখি নীড়েও ফিরেছে। এমন সময় গিয়ে হাজির হয়েছিলাম কানিজ ফাতেমার বাসায়। প্রশস্ত সাজানো গোছানো পরিপাটি এক ড্রইংরুমে শুরু হলো কানিজ ফাতেমার সাথে আলাপ। ঘরের ইন্টিরিয়র ডিজাইন, কাঠের কারুকার্যময় ঘরের সিলিং, দেয়াল, শোকেসে সাজানো প্রতিটি শো-পিসে যেন শিল্পের অপূর্ব ছোঁয়ায় মন ভরে যায়। কানিজ ফাতেমা একজন সফল উদ্যোক্তা, স্নেহময়ী মা। যিনি একজন সাধারণ আটপৌরে গৃহিণী থেকে আজকের দিনের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বহুল পরিচিত Max গ্রুপের ডিরেক্টর। বাবা মরহুম আতিকুর রহমান ছিলেন একজন সফল (লুব্রিকেটিং অয়েল) তেল ব্যবসায়ী। বাবার জ্যেষ্ঠ মেয়েকে তিনি মা ফাতেমা বলেই ডাকতেন।

 

কারণ কানিজ ফাতেমা জন্মের পর থেকেই বাবার ব্যবসায়ের উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছিল, দিনে দিনে বাড়ছিল তার ব্যবসায়ের পরিধি। ছোট্টবেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত সংযমী এবং পড়াশোনায়  মনোযোগী। সানফ্রান্সিস জেভিয়ার্স স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরে বাংলাবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। কানিজ ফাতেমা আইভির দাদা মরহুম মৌলভী মো: মোখলেছুর রহমান ছিলেন তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট এবং ডাবল গোল্ড মেডেলিস্ট। তারই একমাত্র সন্তান কানিজ ফাতেমার বাবা ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান। তাই বাবাকে অনুসরণ করে কানিজ ফাতেমার মনের ভেতর ব্যবসায়ী হওয়ার বীজ অঙ্কুরিত হতে থাকে ছোট বেলাই। বদরুননেছা সরকারি মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষে পড়তে পড়তেই সুশ্রী কানিজ ফাতেমার বিয়ে হয়ে যায় ১৯৮৩ সালে বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের সাথে। বিয়ের পর স্বামীর সংসার আর সন্তান সামলাতে স্বামীর চাকরিস্থল আবুধাবিতে চলে যাওয়া আবার দেশে ফিরে আসা এমনই টানাপড়েনে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভভ হয়নি। তাই শেষমেশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইসলামি হিস্ট্রিতে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। সাথে সাথে চালিয়ে যান ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, স্কুল, কোচিং।  সন্তান একটু বড় হতে তিনি উদ্যোগি হন নিজের স্বপ্ন পুরুণ। ব্যবসা শুরু করার জন্যই তিনি স্বামীর অফিসে নিয়মিত যাওয়া শুরু করলেন। বুঝতে থাকলেন ব্যবসায়ের নানা পলিসি।

 

কাজ করতে করতে তিনি ভাবলেন একটি ডেভেলপিং ফার্ম দিলে কেমন হয়? যেহেতু তার স্বপ্ন ছিল স্থপিত হওয়ার, তাই তিনি ২০০৫ সালে শুরু করলেন একদম নিজস্ব উদ্যোগে Max Building Technologies Ltd. এ ফার্মের সব কাজ, প্লানিং কাইন্টের সাথে কথা বলা, সব কিছুই তিনি তদারকি করেন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবেও তিনি আছেন। স্বামীর আরো পাঁচটি আলাদা কোম্পানি আছে। তিনি পুরো Max  গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑ i. Max Auto Mobile Products Ltd. ii. Max Industries Ltd. iii. Max Prestress Ltd. iv. Max Power Ltd. v. Lub House Industries Ltd. Oscar Trade Syndicate. এসব কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে কানিজ ফাতেমা অফিসিয়াল কাজগুলো দেখাশোনা করেন। এ ছাড়া পুরো ম্যাক্স গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগ (HR) দেখাশোনা করেন তারই ছোট বোন কানিজ সালেহা আইলিপ ও ছোট ভাইয়ের বউ মমতাজ আরা। সাত বছর আগে তিনি Max Industreis Ltd.-এর একটি ব্র্যান্ড A-1 Max (Stainless Steel Products) এ ক্রোকারিজ ও স্টেনলেস স্টিলের বিভিন্ন সামগ্রী বাজারে ছাড়েন। Max A-1 ব্র্যান্ডকে দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য এবারই বাণিজ্যমেলায় প্রথমবারের মতো স্টোল দেন।

 

তা ছাড়া ফাতেমার দুই ভাইও Max  গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত। বাবা মরহুম আতিকুর রহমানও একসময় Max গ্রুপের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি Max গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

গত বছর বাবা ইহধাম ত্যাগ করেছেন। পারিবারিক সম্পর্কের এই বিশ্বাসের দৃঢ়তায় Max এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নপ্রতিভায়। বর্তমানে এর স্থায়ী শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী আট হাজার থেকে নয় হাজার। প্রজেক্ট চলাকালে অস্থায়ী ছয়-সাত হাজার শ্রমিক বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন। বিপুল এই শ্রমিকের দেখভাল, অভাব-অভিযোগসহ তাদের খোঁজখবর নেয়া কানিজ ফাতেমার প্রধান কাজের মধ্যে পড়ে।

 

কানিজ ফাতেমা কথা প্রসঙ্গে জানালেন সারা জীবন তিনি স্বামীর সাথে অর্ধশতাধিক দেশে ঘুরেছেন। তাই আট-নয় বছর ধরে ঈদে বা বড় কোনো ছুটিতে সপরিবারে অর্থাৎ মা-ভাই-বোনসহ ২৫-৩০ জন মিলে ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যান। চার-পাঁচ বছর ধরে শ্রমিকদের বৃদ্ধ বাবা-মা বা আত্মীয়দের থেকে চার-পাঁচজনকে খরচ দিয়ে হজ করার জন্য পাঠিয়ে দেন। এভাবে কানিজ ফাতেমা নিঃশব্দে সমাজের সেবা করে যাচ্ছেন। তেমনি গত বছর রানা প্লাজা ধসে আহত বা পঙ্গু শ্রমিকদের বিশাল অঙ্কের সাহায্য হিসেবে নগদ টাকা প্রত্যেকের কাছে নিজ হাতে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল ও সাভারে এনাম মেডিক্যালে গিয়ে দিয়েছেন; যাতে কেউ এ থেকে বঞ্চিত না হন।

 

নারীদের ব্যবসায়িক কাজে আত্মনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল একটি দেশ। এ দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ঘরে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেক পরিবারের বাবা, ভাই বা স্বামীর উচিত নারীকে তার মেধানুযায়ী কাজে আত্মনিয়োগ করতে সহযোগিতা করা। কারণ মেয়েদের একা পথ চলা এখনও কঠিন। তাদের মেধা আছে কিন্তু প্রয়োগের পথ প্রশস্ত নয়। এ দেশের পুরুষ যদি নারীকে নারী না ভেবে একজন দক্ষ মানুষ ভাবে তা হলে কাজ করাটা সহজ হয়ে যাবে। দেশ ও দশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করলেন স্বামী ও মরহুম বাবার নাম। যারা তাকে এই পৃথিবীর পথে চলতে হাত ধরে শিখিয়েছেন কিভাবে একজন নারী তার যোগ্য স্থানটি পেতে পারে।

 

আগামী দিনের নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন যারা আজ ছোট, কাল তারা বড় হবে। সুতরাং বড় হওয়াতে শুধু নয়, জ্ঞানেগুণে, শিক্ষাদীক্ষায় একজন নারীকে প্রথমে নিজেকে তৈরি করতে হবে, তার পর সে তার যোগ্যতানুযায়ী একটু একটু করে এগিয়ে যাবে। হোক কারো অধীনে চাকরি অথবা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। সব কিছুই ধৈর্য ও ধীরস্থিরভাবে এগোতে হবে। নইলে উন্নতি করা যাবে না। তা ছাড়া ব্যবসায় করতে গেলে প্রথমে সাহস ও নিজের ওপর আস্থার প্রয়োজন। তার পর বুঝে শুনে পথ চলতে হবে।

 

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান,‘আমাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরা। ওখানে দাদাজীর গড়া একটি স্কুল আছে, ওটাকে বড় হাইস্কুলে রূপান্তরিত করা এবং নোয়াখালী জালিয়াল গ্রামে আমার শ্বশুরবাড়ি, ওখানে শ্বশুর মরহুম গোলাম মোস্তফার নামে একটি হাইস্কুলও প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছে আছে। মাদরাসা-মসজিদ তো আগে করা হয়েছে। তার পর সমাজসেবামূলক একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে। এখানে সারা বছরের লভ্যাংশের কিছু অংশ জমা রাখা হবে আর আমাদের এই Max গ্রুপের সাথে যারা জড়িত যেমন ভাইবোন, ছেলেমেয়ে, আমি, আমার স্বামী, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো সময় যেকোনো অঙ্কের দান নিঃশব্দে করতে পারেন। সবই জমা হবে Max গ্রুপের ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টে। আর এই অর্থ প্রতি বছর কিছু মেধাবী এতিম ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পড়াশোনা বাবদ বিতরণ করা হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করার ইচ্ছাও আছে। তবে ঠিক এখনই নয়, আরো কিছু দিন পর।

 

ভবিষ্যতে আরো নতুন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার ইচ্ছে আছে কি না,এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘বর্তমানে খাবারে এত বেশি ভেজাল আর এসব ভেজাল খাবার খেয়ে আমাদের নানা রকম অসুখ হচ্ছে,তাই আমি চাই ক্যামিক্যালমুক্ত ভালো ভালো কিছু দেশীয় ফলের জুস, ফ্রোজেন খাবার, দেশীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট যেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পাওয়া যাবে যা খেয়ে অন্তত মানুষ সুস্থভাবে বাঁচতে পারবেন। এ রকমই কিছু নতুন ব্যবসায় নিয়ে মার্কেটে আত্মপ্রকাশ করার কথা ভাবছি আর আমার ছেলে জুলকার নাইন বছর কয়েক আগে আমেরিকার পারডু (Pardue) University থেকে বিবিএ শেষ করে পাশাপাশি গাড়ি তৈরির নানান প্রস্তুতিগত জ্ঞান, অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ, ফিটিংস সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করে এসেছে। তাই জুলকার নাইন চাইছে বাংলাদেশে নতুন প্রযুক্তি সংযুক্ত করে অল্প খরচে কী করে গাড়ি তৈরি করা যায় সেই রকম একটি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার। এই স্বপ্ন আমারও। তাই আমি ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে চলেছি। মেয়ে আজরিন আলম Max Building Technologies Ltd. -এ আর্কিটেক্ট হিসেবে জয়েন্ট করেছে আজ এক বছর। তারও আমার মতো চিন্তা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে নতুন নতুন ডিজাইনের অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বিল্ডিংয়ের ফ্যাট করে দেশের অবকাঠামোগত চেহারা বদলে সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর নির্মাণ করা যায়।

 

সব মিলিয়ে Max একটি গ্রুপ অব বিজনেস যেখানে আমার পরিবারের সবাই জড়িত। আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে সুনিপুণভাবে দায়িত্ব পালন করে Max-কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এটি দেশ ও দশের কল্যাণে সব সময় কাজ করছে ও ভবিষ্যতে তা চালিয়ে যাবে এটিই আমার প্রত্যাশা।সূত্র: অনলাই

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৫ফেব্রুয়ারী১৫৪০ঘন্টা২০১৪

মিয়ানমার থেকে কৌশলে নারী আমদানী!

image_67056_0অপরাজিতাবিডি ডটকম, কক্সবাজার: মিয়ানমার থেকে এখন ‘স্ত্রী’ ভাবে দাবি করে কৌশলে নারী আমদানি বা পাচার হয়ে আসছে। মিয়ানমারের নারীদের কাগজপত্রে বাংলাদেশী হিসেবে দেখিয়ে মোটা অংকের যৌতুকের বিনিময়ে তাদের বিয়ে করে বাংলাদেশ ঢোকাচ্ছেন উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের গ্রামবাসীরা। এভাবে বিয়ের নামে ‘স্ত্রী’ করে আনার মাধ্যমে মিয়ানমারের নারীদের পাচার করে বাংলাদেশ আনা হচ্ছে।

 

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়া-টেকনাফে বিনা বাধায় স্থানীয় বাংলাদেশী যুবক, কিশোর এমনকি বৃদ্ধরা পর্যন্ত বিনা রেকর্ডে অর্থাৎ কাবিননামা ছাড়া অহরহ বিয়ে তো করছেনই, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশী সাজিয়ে রীতিমত অনুষ্ঠান করে ও কাবিননামা সম্পাদন করে সরাসরি মিয়ানমার থেকে মিয়ানমারের নাগরিক নারীদের ‘স্ত্রী’ করে নিয়ে আসছেন। চোরাই পণ্যের তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন রোহিঙ্গা নারীরাও।

 

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ে করার প্রবণতা উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং উত্তরপাড়ায় মিয়ানমারের শীলখালী গ্রামে এক রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করে আনার উদ্যোগ নেয়ার ঘটনায় বর্তমানে গ্রামটি জুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই কাবিননামাও সম্পাদন করা হয়েছে। বিষয়টি বেআইনী হলেও এতে সরকার দলীয় নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

 

জানা গেছে, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তরপাড়ার বহুল আলোচিত সাবেক মেম্বার লাল মোহাম্মদ চৌধুরীর (প্রকাশ-লালু চৌধুরী) ছেলে সাইফুল ইসলাম প্রকাশ উনাইয়্যা বিয়ে করেছেন মিয়ানমারের শীলখালী গ্রামের হাজী মো. দউলার মেয়ে জিয়াছমিন আক্তারকে। কনের বাবা হাজী মো. দউলা বর্তমানে সৌদী আরব প্রবাসী। মোটা অংকের যৌতুকের বিনিময়ে এই বিয়ে ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত ৪ জানুয়ারি কাঞ্জরপাড়া কাজী অফিসে জিয়াছমিন আক্তারকে বাংলাদেশি দেখিয়ে কাবিননামা সম্পাদন করা হয়েছে।

 

এদিকে, রোহিঙ্গা নারীকে বাংলাদেশী সাজিয়ে কাবিননামা সম্পাদন করার বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মাওলানা আক্তার কামাল নূরী কিছু জানেন না বলে জানান।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে ‘বউ’ হিসাবে নারী পাচার করে আনাসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা হোয়াইক্যং উত্তরপাড়ার মৃত কালা মিয়া বহদ্দারের দুই ছেলে আবদুল আমিন ও আবদুর রহমান। এই দুই ভাই চোরাচালানের পাশাপাশি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আস্থাভাজন ও চর হিসাবে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশী পত্রিকা, ম্যাগাজিনসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে তারা নিয়মিত সরবরাহ করেন বলে জানা গেছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৫ফেব্রুয়ারী২৩৮ঘন্টা২০১৪

গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা

attohotta logoঅপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় বুধবার এক গৃহবধু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দক্ষিণখান থানা পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত গৃহবধুর নাম সবিতা (২৪)। তার স্বামীর নাম কৃষ্ণ সূত্র ধর। নিহতের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার কানিয়ার চঙয়ে।

দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান জানান, ওই দম্পতি রাজধানীর ভাই ভাই মার্কেট সংলগ্ন টিন সেটের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। দক্ষিণখান থানা পুলিশ আত্মহত্যার খবর পেয়ে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ভাড়া বাসা থেকে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় তিনি ঘরের আড়কাঠের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

এসআই আরও জানান, সাংসারিক অভাব অনটন ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মনোমালিন্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

তবে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৫ফেব্রুয়ারী২৩৮ঘন্টা২০১৪

কুষ্টিয়ায় প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার: ধর্ষক গ্রেফতার

Rapঅপরাজিতাবিডি ডটকম, কুষ্টিয়া : জেলার সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার পল্লীতে ছয় বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণ করেছে ষাট বছর বয়সী বৃদ্ধ। মঙ্গলবার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের মাধপুর গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে । ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বেসকো মডেল স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী মাধপুর গ্রামের শামসুল হকের ৬ বছর বয়সী শিশু কন্যা স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার সময় একই গ্রামের  বৃদ্ধ রোজা ফকিরের (৬০) বাড়ীতে পানি পান করতে প্রবেশ করে। এ সুযোগে রোজা ফকির ঐ  শিশুটিকে ঘরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এতে শিশু কন্যাটি রক্তাক্ত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে রোজা ফকির তাকে তার বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় । পরে শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে পৌঁছে দেয়। পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে ঐদিনই হাসপাতালে ভর্তি করতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মীমাংশ করার কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করতে দেয়নি। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার বিকালে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লম্পট রোজা ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৪ফেব্রুয়ারি২১৪০ঘন্টা২০১৪

ঝালকাঠির অপহৃত ছাত্রী মাদারীপুরে উদ্ধার: গ্রেফতার ১

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঝালকাঠি : ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা থেকে অপহৃতকৃত দশম শ্রেণির ছাত্রীকে মাদারীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।

মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে সোমবার গভীর রাতে তাকে উদ্ধার করা হয় ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত অপহরণকারী  সজীব ফকিরকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। ফকির মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের ইসকান্দার ফকিরের ছেলে।

রাজাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার মনোহরপুর স্কুলে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা ।

এ ঘটনায় ছাত্রীর মা অজুফা বেগম অপহরণকারী সজীব ও তার বোন রুবি আক্তারের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। । মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা  হয়েছে বলেও জানান ওসি নজরুল ইসলাম ।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৪ফেব্রুয়ারি২১৪০ঘন্টা২০১৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রীর বিকৃত ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার অভিযোগ

Brammonঅপরাজিতাবিডি ডটকম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কলেজ পড়ুয়া তিন ছাত্রীর ছবি বিকৃত করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে পুলিশ সুব্রত দাস (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানায়, উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ছবি বিকৃত করে ছাড়ার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিন ছাত্রীকে এলাকার কিছু বখাটে যুবক প্রায় বিরক্ত করে প্রেম নিবেদন করত। এতে তারা সাড়া না দেয়ায় বখাটে যুবকরা তিন ছাত্রীর ছবি সংগ্রহ করে তা বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

এ অভিযোগে নাসিরনগর থানার এস আই মো. শাহজালাল বাবুলের নেতৃত্বে পুলিশ চৈয়ারকুড়ি বাজারের তুহিন টেলিকমের মালিক সুব্রত দাসকে উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার করে।  পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার দোকান চৈয়ারকুড়ি বাজারের তুহিন টেলিকম থেকে তিন বান্ধবীর প্রকৃত ছবি, বিকৃতছবিসহ পিসি ও কম্পিউটার জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় জেঠাগ্রামের মন্টু দাসের পুত্র সুজন দাস বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রতিষ্ঠ পর্দানের ছেলে পবিত্র পর্দান (২৫), সুচেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে সুব্রত দাস (২৪) ও ধীরেন্দ্র দাসের ছেলে নিতাই দাসকে (২০) আসামি করে নাসিরনগর থানায় তথ্য প্রযুক্তি ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে ।

নাসিরনগর থানার ওসি আবদুল কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৪ফেব্রুয়ারি২১৪০ঘন্টা২০১৪

ইসলামকে জানার চেষ্টায় আমার চোখ খুলে গেল: জেনিফার

অপরাজিতাবিডি ডটকম,নিউ ইয়র্ক: inida“ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টার ফলেই আমার চোখ খুলে গেল এবং হঠাৎ করেই আমার ভেতরে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটল। এমনটি আমার জীবনে আর কখনই ঘটেনি। এভাবেই ইসলামের দিকে আমার পথচলা শুরু।”- ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন আমেরিকান সংগীতশিল্পী জেনিফার গ্রাউট।

আরব গট ট্যালেন্ট প্রতিযোগিতায় গান গেয়ে আরব দুনিয়াকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন জেনিফার। একটি আরবি শব্দ না জানা সত্ত্বেও ২৩ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান শিল্পী গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিযোগিতায় বিশুদ্ধ আরবি ভাষায় গান গেয়ে সেরা তিনে স্থান করে নিয়ে সাড়া ফেলে দেন।

পরে আবারো আরব দেশে সংবাদের শিরোনাম হন জেনিফার। তবে গান গেয়ে নয়,  শিরোনাম হন ইসলাম গ্রহণ করে। অথচ আগে তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক নাস্তিক। তার বিশ্বাস ছিল, ধর্ম কোনো উপকারে আসে না, বরং ক্ষতিই করে।

জেনিফার বলেন, “ইসলাম গ্রহণের জন্য আমি মসজিদে যাইনি কোনো ইমামের শরণাপন্ন হইনি এবং কোনো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিনি। তবে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এবং ইসলামের বিধান মেনে জাকাত দিই। আগামী রমজান মাসে রোজাও রাখব।”

জেনিফার বলেন, “এসব হচ্ছে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি অবশ্যই ইসলাম, কোরআন ও ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি।”

ক্লাসিক্যাল সংগীতে ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন জেনিফার। দুই বছর আগেও নাস্তিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। দেড় বছর আগে মরক্কোর এক সংগীতশিল্পীর প্রেমে পড়েন জেনিফার। এরপরেই বদলে যেতে থাকে জেনিফারের জীবন।

প্রেমিক সম্পর্কে জেনিফার বলেন, “সে খু্বই সাহসী, নাছোড়বান্দা ও হৃদয়বান। এজন্য মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও আমি সম্পর্কটা চালিয়ে যেতে চেয়েছি। আমি তার প্রশংসা না করে পারি না। তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।”

সেই প্রেমিককে বিয়ে করেছেন জেনিফার। স্বামীকে নিয়ে মরক্কোতেই আছেন তিনি। তারা দুজনে নিয়মিত বিভিন্ন পার্টি ও বিয়ে অনুষ্ঠানে আরবি সংগীত গাইছেন। জেনিফার বলেন, “আমি পুরো আরব দুনিয়া জুড়ে আরবি সংগীত পরিবেশন করতে চাই। আমার দেশ আমেরিকাতেও শুনতে চাই আরবি সংগীত।” সূত্র: ওয়েবসাইট।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৪ফেব্রুয়ারী২০১৪

কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

অপরাজিতাবিডি ডটকম,কুষ্টিয়া:attohotta logo জেলার দৌলতপুরে নাজমা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কৈপাল গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাজমা খাতুনকে নিজ ঘরের ডাফের সাথে ঝুলন্ত অস্থায় দেখে বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূর বাবা মা’র অভিযোগ এটি আত্মহত্যা নয়, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের ডাফের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তবে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা দাবি করায় লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/৪ফেব্রুয়ারি১৬২২০১৪

সোনারগাঁয়ে ২ নারীকে পিটিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ): তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় রোববার সকালে দুই নারী শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করে আটক রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের তালা ভেঙে ওই শ্রমিকদের উদ্ধার করে দুপুরে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নারী শ্রমিকের বাবা তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পুরান কাঁচপুর এলাকার মুসলিম মোল্লার বাড়ির ভাড়াটিয়া নয়াবাড়ি এফ এফ গার্মেন্টের শ্রমিক শিল্পী আক্তার ও মাহমুদাকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মুসলিম মোল্লার ছেলে সাদেক মিয়া ও তার সহযোগী ৪-৫ জনের একটি বাহিনী শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে ঘরের ভেতরে আটক রাখে। পরে খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘরের তালা ভেঙে শ্রমিকদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, দুই নারী শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ নেয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৯১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

দাগনভূঞায় স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানিকারী বখাটেকে ৭ দিনেও ধরতে পারেনি পুলিশ

অপরাজিতাবিডি ডটকম, দাগনভূঞা: দাগনভূঞা পূর্ব চন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টাকারী বখাটে আলাউদ্দিনকে ৭ দিনেও ধরতে পারেনি পুলিশ। ওই বখাটে ধরা না পড়ায় এলাকাবাসী, স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ও শিক্ষকরা দুঃখ প্রকাশ করেন।

নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা দাগনভূঞা উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম ক্লাইব। তার গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি স্থানীয় বৈরাগীর হাট বাজারে এক মানববন্ধন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন সোহেল আলাউদ্দিনকে ধরতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষনা করেন। কিন্তু এখনও ধরা না পড়ায় মেয়েটির পরিবার অসন্তোষ প্রকাশ করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েটি স্কুল থেকে সকাল ৯টায় কোচিং শেষে ৪ বান্ধবীসহ বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার পথে বখাটে আলাউদ্দিন তাকে জোরপূর্বক ধরে মুখে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বান্ধবীরা তাকে আহত অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ অবস্থায় দেখে মেয়েটির মা বখাটে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দাগনভূঞা থানায় নারী নির্যাতন মামলা করেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবদুর রাজ্জাক এবং বিদ্যোত্সাহী সদস্য ওবায়দুল হক ছুট্টু জানান, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ধরনের ঘটনা আর কখনও ঘটেনি। ছাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচলে এখন থেকে তারা কঠোর ভূমিকা নেবেন বলে জানান।

অপর দিকে ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, বখাটে আলাউদ্দিনকে ধরতে মোবাইলের প্রযুক্তিসহ জোর প্রচেষ্টা চলছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৯১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

গোলাপগঞ্জে তরুণীর বিকৃত লাশ উদ্ধার

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সিলেট : 00_24608সিলেটের গোলাপগঞ্জের উত্তর গোলাপনগর নামকস্থানে অর্ধবিবস্ত্র তরুণীর বিকৃত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা অজ্ঞাত তরুণী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খরব দেয়।

জানা যায়, সোমবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের উত্তর গোলাপনগর গ্রামে একটি খালের পাড়ে অজ্ঞাতনামা (২৫) তরুণীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে লাশটি ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) জমশেদ আলম জানান, লাশের মাথা, নাক হাত ও পায়ে বেশ কয়েকটি মারাত্মকভাবে দায়ের কোপের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তবে নিহত তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে হত্যার পূর্বে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল কি না।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৯১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

রূপগঞ্জে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা

 অপরাজিতাবিডি ডটকম, নারায়ণগঞ্জ :

হত্যানারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আকলিমা আক্তার(২৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সকালে উপজেলার রাণীপুরা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আকলিমা আক্তার ওই এলাকার সোলায়মান রানার স্ত্রী।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান জানান, গত ৮ বছর আগে উপজেলার কেন্দুয়াপাড়া এলাকার আব্দুল রশিদের মেয়ে আকলিমা আক্তারের সঙ্গে রানীপুড়া পূর্বপাড়া এলাকার নাছির উদ্দিনের ছেলে সোলায়মান রানার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান হয়। গত কয়েক দিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলে আসছিল।

রোববার রাতে যে কোনো সময় পাষণ্ড স্বামী সোলায়মান রানা তার স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে সোলায়মান রানা পলাতক রয়েছে।

এসআই আরো জানান, সোমবার সকালে নিজ ঘরে আকলিমা আক্তারের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৯১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করায় বখাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ,অপরাজিতাবিডি ডটকম

হবিগঞ্জ: জেলা শহরে স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করায় এক বখাটেকে ছয় মাসের দণ্ডাদেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডিত যুবকের নাম তপন সরকার (২৬), তিনি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও গ্রামের রমেন্দ্র সরকারের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় হবিগঞ্জের বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী প্রাইভেটে যাওয়ার পথে চৌধুরী বাজার এলাকার নারিকেল হাটা নামক স্থানে রাস্তায় তপন সরকার তাকে বাধা দেয় এবং থু থু নিক্ষেপ করে। তখন ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা তপনকে আটক করে চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

পরে, পুলিশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খবর দিলে ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম ঘটনাস্থলে যান। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের চেম্বারে স্বাক্ষী ও উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তপনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়। পরে দুপুরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

দণ্ডিত তপন একজন মাদক ব্যবসায়ী। এর আগে মাদক মামলায় তিনি দু’বার হাজত খেটেছেন বলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৯১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

বিয়ের প্রলোভনে আটকে রেখে যুবতীকে ধর্ষণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম:

দিনাজপুর

দিনাজপুর:বিয়ের প্রলোভনে ফেলে এক যুবতীকে ৩ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে পরে এ ঘটায় ওই লম্পট। দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে কথিত স্বামী ও তার বন্ধুসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর উপশহরে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার এসআই বিদ্যুৎ সাহা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে ৩ মাস আগে দিনাজপুর উপশহর ২নং ব্লকের বাবু মিয়ার পুত্র জয়নুদ্দিন জিৎ (২২) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার ওই যুবতীকে (১৯) দিনাজপুরে নিয়ে আসে।

স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে উপশহর ৭নং ব্লকের রানার বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে তারা ৩ মাস ধরে বসবাস করছিল। শুক্রবার রাতে কথিত স্বামী জয়নুদ্দিন ৩-৪ জন খদ্দের এনে তাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় যুবতীর উপর শারীরিক নির্যাতন করে তারা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ওই যুবতীকে কোতোয়ালি থানায় এসে ঘটনার বিবরণ জানায়।

তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কথিত স্বামী জয়নুদ্দিন জিৎ ও বাড়ির মালিক রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ধারায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে যুবতী। শনিবার বিকালে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পরে সাইমুনকে দিনাজপুর সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ঘটনার বিবরণ শোনার পর তাকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। গ্রেপ্তারকৃত জয়নুদ্দিন জিৎ ও রানাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১৯১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

মুক্তিযোদ্ধার পা

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম:

image_105922ঢাকা: হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার হলদারপুর গ্রামে বাস করেন মুক্তিযোদ্ধা ফারিজা খাতুন। ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল বিমান সেলিংয়ে বাম পা হারান তিনি। তারপর থেকেই তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়। ৪২ বছর পর আজ সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।

একটি প্রথম আলোর সহযোগিতায় তার কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করেছে ব্র্যাক। ২৯ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর ব্র্যাক সেন্টারের আঙ্গিনায় ঠিক ছোট্ট শিশুর মতো করে নতুন পা নিয়ে হাঁটার চেষ্টা করছিলেন ফারিজা।

প্রশ্ন করলাম কেমন লাগছে, চোখভরা পানি নিয়ে হেসে বলেন বালাই। একটু থেমে আবার বলেন কত কথা মনে পড়ে। কি কথা? বাবার কথা। দুই ভাই আর এক বোনের সুখের সংসার ছিল তাদের। কিন্তু আমাদের মহান স্বাধীনতা যে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগে রচিত।

তাদের একজন হয়ে ফারিজা জীবনালেখ্য শোনালেন। শোনালেন পা হারানোর জীবনকে টেনে নেয়ার গল্প। যা তাদের সংসাকে আচমকাই স্তব্ধ করে দেয়। জমিজমা বিক্রি করে, মেয়েকে কখনো কাঁধে কখনো পিঠে করে সেই পায়ের চিকিৎসা প্রান্তর চেষ্টা বাবার। যুদ্ধকালীন সময়ে তেমন চিকিৎসা দেয়া যায়নি। কিন্তু বাবা হাল ছাড়েননি। একমাত্র মেয়েকে এই ভাবে দেখতে খুবই কষ্ট বাবা কৃষক আব্দুল হাকিমের। তাকে আর দশটা মেয়ের মতো স্বাভাবিক জীবন দিতে নিরন্তর যুদ্ধে অবতীর্ন হন তিনি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবার তাকে সু্স্থ করে একটা স্বাভাবিক জীবনদেয়ায় দায় থেকে নিজেকে কখনও বিচ্ছিন্ন করেননি আব্দুল হাকিম। তবে যখন সব জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হন, তখন আর তাকে ভাল করার আশাটুকু ধরে রাখতে পারেনেনি তিনি। ফারিজা পঙ্গু পায়ের মতো অচল হয়েগিয়েছিল তার জীবনও।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার ত্যাগের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুর লেখা একখণ্ড চিঠি আর দুই হাজার টাকাকে সম্বল করে প্রদীপে আলোর মতো নিভুনিভু জীবনকে বয়ে নেয়া। এ জীবনে কষ্টের অন্ত ছিল না তারপরও স্বামী আর ছেলেপুলে নিয়ে সংসার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া আজও কেমন হাহাকার তোলে ফারিজার মনে।

আর দীর্ঘদিনে কতশত জনপ্রতিনিধি তাদের সুবিধামতো অসংখ্য মানুষকে দেন মুক্তিযোদ্ধার সনদ। শুধু পাননি তিনি। তাই মহান এই ত্যাগ নিয়ে তার কোন কিছু বলার আগ্রহ থাকে না। অভিমানে গুটিয়ে নেন নিজেকে। হবিগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় গড়ে ওঠা সংগঠন ‘চেতনা ৭১’ তাকে নিজের অধিকারের কথা নতুন করে জানান দেয়।

এই সংগঠনের কেয়া চৌধুরী ২০০৭ সালে তাকে খুঁজে পান। তারপর থেকেই তার অধিকারটুকু প্রতিষ্ঠা করার কাজ করেন তিনি। ফারিজা আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেডের অন্তর্ভুক্ত একটি নাম। দুই একটি সংগঠন থেকে সামান্য কিছু সাহায্য আর এই পা এখন সব। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার সামনের দিকে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা কি আর্থিক অনটনে আবার অচল হবে? চোখের জলে সে প্রশ্নই করেন আমাদের ফারিজা খাতুন।সূত্র: ওয়েবসাইট

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১২১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

গাড়ির ধাক্কায় বুয়েট ছাত্রী আহত সড়ক অবরোধ

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম:

BUETঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ছাত্রী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আহত হওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর পলাশী মোড়ে গতকাল রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বুয়েটের ভিসি পলাশী মোড়ে অস্থায়ী গোল চত্বর নির্মাণের আশ্বাস দেন।

বুয়েট ছাত্র কল্যাণ অফিস এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে রিক্সায় চড়ে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিলেন স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনিতা তাসনিম। পলাশী মোড়ের সোনালী ব্যাংকের সামনের সড়কে একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয় রিক্সাটিকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যান। কয়েকজন মাইক্রোবাসটি আটক করেন। দুর্ঘটনার সংবাদ বুয়েট ক্যাম্পাসে পৌঁছলে শতাধিক শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে পলাশী মোড়ে এসে আটক মাইক্রোবাসটি ভাংচুর করে। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। শিক্ষার্থীরা পলাশী মোড়ে স্থায়ীভাবে ট্রাফিক পুলিশ ও গোল চত্বর স্থাপনা নির্মাণের দাবিতে শ্লোগান দেন। অবরোধের কারণে সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ঐ সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় আজিমপুর-পলাশী-নীলক্ষেত সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

দুপুর ১২টার দিকে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়া হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাত্ক্ষণিকভাবে পলাশী মোড়ে অস্থায়ী গোল চত্বর নির্মাণ এবং বুয়েটের প্রধান ফটকে ট্রাফিক পুলিশ বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা মাইক্রোবাসটি ভাংচুর করে ও সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/১২১২২ফেব্রুয়ারী২০১৪

মাসুমা হত্যার বিচার দাবিতে সহপাঠীদের মানববন্ধন

গাজীপুর প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম

masumaগাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে স্কুল ছাত্রী মাসুমা আক্তার মনি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে রোববার মানববন্ধন করেছে ওই স্কুলের মাসুমার সহপাঠী বন্ধু, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।

 

জানা গেছে, শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা আবেদ আলী গার্লস স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী মাসুমা আক্তার মনি ২৮ জানুয়ারি সকালে  স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়ে নিখোঁজ হয়। এর ছয় দিন পর  মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ওই ছাত্রীর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।

 

এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ওই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কুল ছাত্রী মাছুমা আক্তার মনি হত্যার বিচার চেয়ে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে রোববার সকালে স্কুল প্রাঙ্গনে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/২০১২জানুয়ারি২০১৪

 

শেষ হলো নারীদের ইজতেমা

ইসাহাক আলী, অপরাজিতাবিডি ডটকম

nariনাটোর: অর্ধ লক্ষাধিক নারীর আমিন আমিন ধ্বনিতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখাড়া ইসলামিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজ মাঠে শেষ হলো দেশের একমাত্র মহিলা বিশ্ব ইজতেমা।

রোববার দুইদিন ব্যাপী আয়োজিত ইজতেমার আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন রাজশাহীর ফাতেমাতুজ্জোহরা। তার আগে নাটোরের তাসলিমা খাতুন, পাবনার বিশিষ্ট ওয়ায়েজিন মাওলানা আমজাদ হোসাইন জিহাদি ও মাওলানা দেলোয়ার হোসেন বক্তৃতা করেন। তারা বলেন, ব্যক্তি, পরিবার ও সামাজিক জীবনে নারীদের রাসুলের জীবনাদর্শ ও পবিত্র কোরআনের আলোকে জীবন গঠণের আহ্বান জানান।

nari melaইজতেমার আয়োজক শের আলী শেখ জানান, গত বছরের মতো এবারো দেশের বিভিন্ন এলাকার দ্বীনি মহিলারা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। শেষ দিনে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মহিলা ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করেছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন জানান, ইজতেমা ঘিরে সাদা পোশাকের পাশাপাশি পোশাকধারী মহিলা পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা শেষ হয়েছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/২০১২জানুয়ারি২০১৪

চাঁদপুরে এনজিওকর্মীর ওপর এসিড নিক্ষেপ

চাঁদপুর প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম:

chandpurচাঁদপুরের কচুয়ায় এনজিওকর্মী ফারহানা আক্তার পান্নার (১৮) উপর এসিড নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। পান্না বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ‘সেবা’র কচুয়া উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ।

শনিবার রাতে উপজেলার নরুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার শিকার পান্না বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতে প্রাকৃতিক কাজে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে আসলে ওত পেতে থাকা স্থানীয় বখাটে যুবক আবুল হোসেন পান্নার উপর এসিড নিক্ষেপ করে। এর আগে দু’সন্তানের জনক বখাটে আবুল হোসেনের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন পান্নার পরিবারের সদস্যরা।

এসিড নিক্ষেপের পরে গুরুতর আহত পান্নাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক পান্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে পান্না হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নং বেডে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন।

এ ঘটনায় রোববার পান্নার কাকা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/২০১২জানুয়ারি২০১৪

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫

সাভার প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম: সাভারে খালুর বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। রবিবার ভোর রাতে সাভারের কলমাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- নিহত ছাত্রীর খালু এজাবুল হক সরকার (৪২), তার সহযোগী সাভারের কলমা এলাকার রুবেল (২৯), ফরিদুজ্জামান (২৮), ইকবাল (২৬) ও সাইফুল (২৭)।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, নিহত ছাত্রীর মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ওই ছাত্রীর আপন খালু এজাবুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার সঙ্গে ওই ছাত্রীর দীর্ঘদিনের দৈহিক সম্পর্ক ছিল বলেও জানা গেছে। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাভারের কলমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরও জানান, রবিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের হত্যা মামলার আসামি হিসেবে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

গত ১৪ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার নলুয়া গ্রামের আনসার সদস্য আবুল কালামের মেয়ে রুবি আক্তারকে (২১) মোবাইল ফোনে কল করে সাভারের কলমা এলাকায় ডেকে নেয় খালু এজাবুল হক সরকার। পরবর্তী সময়ে তিনি আরও ৪ সহযোগীকে নিয়ে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর মৃতদেহটি গুম করার জন্য সাভারের ডেইরি ফার্মের জঙ্গলে ফেলে রেখে যান। নিখোঁজের ৭ দিন পর ঘটনাস্থল থেকে গলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/২০১২জানুয়ারি২০১৪

 মাদারীপুরে দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার

মাদারীপুর প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম:

images (1)মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় পৃথক স্থানে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে বদরপাশা ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার এবং কদমবাড়ি এলাকায় অপর ঘটনাটি ঘটে তার এক সপ্তাহ আগে।

রাজৈর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে নয়ানগর গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৫) প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় বদরপাশা গ্রামের ফেরদৌস শেখ, রোমান মিয়া ও অজ্ঞাত পরিচয় এক বখাটে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

পরে মেয়েটির আত্মীয়স্বজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজৈর উপজেলা হাসপাতাল ও পরে রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।

মেয়েটির মা সাংবাদিকদের জানান, “আমার মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এই ঘটানার পর থেকে আমরা ভেঙ্গে পড়েছি। এখন আমার মেয়ের পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”

তিনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, “আমরা প্রাথমিকভাবে আলামত সংগ্রহ করে রেখেছি। ২/১ দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হবে।”

থানার ওসি মনিরুজ্জামান আরো জানান, কদমবাড়ির আড়িয়াকান্দি নটাখোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার এক অপর কিশোরী (১৪)।

মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি মেয়েকে নিয়ে কদমবাড়ির কীর্তনীয়া বাড়িতে রামকীর্তন শুনতে যান। সেখান থেকে কৌশলে উল্লাবাড়ি গ্রামের শ্রীকান্ত বালার ছেলে অনিমেশ বালা তার মেয়েকে নিয়ে যায় গজারিয়া এলাকায়।

সেখানে অনিমেশসহ একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই এলাকার আরো কিছু বখাটেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

ঘটনাটি দেখতে পেয়ে অনিমেশ ও তার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না তারা। ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। এ কারণে মামলা করতেও সাহত পাচ্ছেন না তারা।

ধর্ষকের পরিবারের চাপের কারণেই মেয়েটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয়নি বলেও দাবি করেন মেয়েটির মা।

ওসি মো. মনিরুজ্জামান আরো জানান, বদরপাশার ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ফেরদৌস শেখ, রোমান মিয়া ও অজ্ঞাত পরিচয় একজনের বিরুদ্ধে রাজৈর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

“তবে, কদমবাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনাটি আমি শুনেছি। কিন্তু এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে আমরা খোঁজখবরও নেইনি,” বলেন ওসি।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/১৮৩২ঘন্টা২০১৪

 

দিনাজপুরে গহীন জঙ্গল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

দিনাজপুর প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম:

দিনাজপুর

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ধানজুড়ি এলাকায় গহীন জঙ্গল থেকে পুলিশ আসমানি (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত আসমানি (২০) ফুলবাড়ি উপজেলার সুজাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

লাশ উদ্ধারের পর শুক্রবার দুপুরে তা ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, জঙ্গলে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী ও এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে ধানজুড়ি মিশন হাসপাতাল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে পীরদহের মাজারের পাশে দুর্বৃত্তরা ওই নারীর মুখে ওড়না গুঁজে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম ও এসআই বজলুর রশিদ জানান, নিহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত আসমানি (২০) ফুলবাড়ি উপজেলার সুজাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তার পরনে ছিলো সাদা কালো রংয়ের প্রিন্টের জামা ও লাল রংয়ের স্যালোয়ার।

এ ব্যাপারে পুলিশ বাদি হয়ে বিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/প্রতিনিধি/আরএ/১৮৩২ঘন্টা২০১৪

ক্ষুদ্র উদোক্তাদের নিয়ে বুটিকস মেলা

অপরাজিতাবিডি ডটকম: 

IMG_0780

রাজধানীর ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ অডিটোরিয়ামে শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী ক্ষুদ্র উদোক্তাদের হাতে তৈরি ‘বুটিকস ও জুয়েলারী’ মেলা। সেখানকার একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মনিকা ফ্যাশন হাউজের কর্ণধার মনিকা ইসলাম। তার সঙ্গে কথা বলেছেন রবিউল ইসলাম আওলাদ-

 

মনিকা ইসলাম। থাকেন মোহাম্মদপুরে। মাস্টার্স শেষ করেছেন ২০০৬ সালে। চাকরী করতেন ভালো এক কর্পোরেট হাইজে। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল নিজের প্রচেষ্টায় এবং নিজ উদ্যোগে কোন কিছু করার। তাইতো চাকরি ছেড়ে নিজ বাসাতেই গড়ে তুলেছেন একটি ফ্যাশন হাইজ। যার নাম দিয়েছেন ‘মনিকা ফ্যাশন’।

 

মনিকা বলেন, ছোট বেলা থেকে ইচ্ছা ছিল নিজে কিছু করার। মুলত সেই ইচ্ছা থেকেই এই ফ্যাশন হাউজ গড়ে তুলেছি। কাজ শুরু করার পর এই প্রথম কোন মেলাতে স্টল দিয়েছি। স্টল দিয়ে খুব ভালো লাগছে। যেহেতু আমি নতুন কাজ করছি। তাই এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি,জানতে পারছি।

 

আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? এমন প্রশ্নের জবাবে খুব তাড়াতাড়িই বলে দিলেন, আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা এই ফ্যাশন হাউজকে ঘিরেই। এটাকে আরো বড় পরিসরে গড়ে তুলা। এটাকেই আমি মুল পেশা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

 

কেন আপনি এমন পেশায় আসলেন? দেখুন আমি একজন নারী আর এই পেশাতে আমি ঘরে বসেই কাজ করতে পারছি। পাশাপাশি আমার সংসার দেখা শুনা করতে পারছি। তাছাড়া এখানে আরো নারীর কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারছি।

 

মেলাতে কোন ধরনের পণ্যের চাহিদা বেশি? সব ধরনের জিনিসই চলছে তবে ইন্ডিয়ান, এবং পাকিস্তানি কাপড়ের তৈরি পোশাকের চাহিদা একটু বেশি। দেশি পণ্যের কেমন চাহিদা? দেশি পন্যেরও চাহিদা আছে তবে দেশি পণ্যের তুলনায় বিদেশি পণ্যের চাহিদা একটু বেশি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/৩১জানুয়ারী১৭৪১ঘন্টা২০১৪

 

 

 

শেষ হলো জাতীয় পিঠা উৎসব-১৪২০

অপরাজিতাবিডি ডটকম

pitha

বাঙালির ঐতিহ্য পিঠা পার্বণ’- এ স্লোগান নিয়ে শিল্পকলা একাডেমীর কফি হাউজ অঙ্গনে শুক্রবার শেষ হলো আট দিনব্যাপী “জাতীয় পিঠা উৎসব-১৪২০”।এ উৎসব ঘুরে এসে বিস্তারিত তুলে ধরছেন- রবিউল ইসলাম আওলাদ 

হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকার আমরা বাঙালীরা। আমাদের দেশে নানান থাবারের পাশাপাশি তৈরী হয় বাহারী পিঠা। এ পিঠা তৈরী দেশজ সংস্কৃতির এক অনন্য শিল্প। পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবে পিঠার প্রচলন বহু পুরানো। জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির কফি হাউজ মাঠ সেজেছিল রকমারী পিঠার দোকান।

 

৩৫টি স্টলে ছিল ১৫২ রকমের বাহারী পিঠা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব পিঠা নিয়ে এসেছিলেন পিঠা শিল্পীরা। প্রথমদিন থেকে উৎসবে আসতে থাকে পিঠা প্রেমীরা। কেউবা এসেছিলেন বন্ধুকে নিয়ে, আবার কেউবা এসেছিলেন পরিবার পরিজনের সাথে। পিঠার প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্বাদ নিচ্ছিলেন পছন্দের পিঠার।

 

টাঙ্গাঈল শিরিন পিঠা ঘরের আয়োজক শিরিন বেগম বলেন, আমি এই প্রথম এখানে পিঠা প্রদর্শন করেছি। বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি।

 

IMG_0776জামাই বেজার, বউ পিঠা, রস পুলি, রস পোলাপ, ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা পিঠাসহ বিবিন্ন নাম ও স্বাদের পিঠা গুলোর প্রদর্শনী ও বিক্রি চলছে উৎসবে। উৎসবে অংশগ্রহণকারী পিঠা শিল্পীদের সেরা পাঁচজনকে দেয়া হবে পিঠাশিল্পী সম্মাননা স্মারক। ২৪ জানুয়ারী শুরু হওয়া এ উৎসব শেষ হয় ৩১ জানুয়ারী। দর্শনার্থী ও পিঠাপ্রেমীদের জন্য উৎসব চলে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।পাশাপাশি চলেছে বাউল গান,মঞ্চ নাটক, এবং কবিতা আবৃত্তি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/৩১জানুয়ারী১৭৪১ঘন্টা২০১৪

 

 

 

 

ধর্ষণের জন্য দায়ী নারীরাই!

নিউজ ডেস্ক, অপরাজিতাবিডি ডটকম

rape_indiaধর্ষণের জন্য নারীদেরকেই দায়ী করেছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেত্রী ও রাজ্যের মহিলা কমিশনের সদস্য আশা মির্জে।

নারীরা তাদের পোশাক, আচরণ এবং স্থানকাল না বুঝে চলাফেরার কারণে ধর্ষণের শিকার হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে থাকায় এর বিরুদ্ধে সোচ্চার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ। এরই মধ্যে আশা মির্জের এ মন্তব্যে বিভিন্ন মহলে সমালোচানার ঝড় উঠেছে।

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এনসিপি’র নারীকর্মীদের একটি অনুষ্ঠানে মির্জে দিল্লির বাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া তরুণী (নির্ভয়া) এবং শক্তি জুটমিলে এক নারী সাংবাদিক ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতাদেরকেই অনেকাংশে দায়ী বলে মত দেন।

দিল্লির ওই ঘটনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে নির্ভয়ার বিরুদ্ধেই পাল্টা প্রশ্ন করে মির্জে বলেন, “নির্ভয়া রাত ১১ টায় কেন বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখতে বেরিয়েছিল? সেটা কি খুব জরুরি ছিল?”

মুম্বাইয়ের শক্তি জুটমিলে ধর্ষণের শিকার ফটোসাংবাদিকের বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “সন্ধ্যা ৬ টায় নির্জন ওই কারখানায় যাওয়ার কি খুব প্রয়োজন ছিল”?

“নারীদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কোনো আচরণের কারণে তারা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছে কিনা তা মাথায় রাখতে হবে,” বলেন মির্জে।

নারী অধিকার কর্মী, ক্ষমতাসীন কংগ্রেস, বিরোধী দল বিজেপি তার এ বক্তব্য ‘মেনে নেয়া যায় না’ বলে মন্তব্য করেছে। এমনকি মির্জের নিজের দলের সদস্যরাও এ মন্তব্যের দায় এড়িয়েছে।

এনসিপি’র এমপি সুপ্রিয়া সুল সাংবাদিকদের কাছে মির্জের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মির্জের এ বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মতামত, দলের নয় বলে জানান তিনি। এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন সুপ্রিয়া।

ঊর্ধ্বতন একজন নারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে খুব সম্ভবত মির্জেই প্রথম দিল্লি ধর্ষণকান্ড সম্পর্কে এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন।

মহারাষ্ট্রে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেসের জোট সরকার রয়েছে।

কংগ্রেস নেত্রী রিতা বহুগুণা জোসি বলেন, এনসিপি’র নেত্রী এবং একইসঙ্গে মহারাষ্ট্র ‘স্টেট উইমেন কমিশন’ এর সদস্য হিসাবে মির্জে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। তার নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলা উচিত।

ওদিকে, ‘অল ইন্ডিয়া উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন’ এর সেক্রেটারী কবিতা কৃষ্ণা বলেন, রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলা মানে ধর্ষণের পক্ষেই কথা বলা। এমন মন্তব্য করার পর আশা মির্জে আর মহিলা কমিশনের সদস্য থাকার যোগ্য নন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/৩০জানুয়ারী৮৩৬ঘন্টা২০১৪

গোপালগঞ্জে ধর্ষণের পর তরুণীকে হত্যা

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম:

gopalganj201গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার বিকালে উপজেলার বড়ভাট্টা গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিহত শিউলী আকতার শিলার (১৯) লাশ পাওয়া যায়, যার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।

তিনি বড়ভাট্টা গ্রামের মেয়ে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

মুকসুদপুর থানার ওসি ফেরদৌছ হোসেন জানান, দুর্বৃত্তরা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় মোবাইল ফোনে শিলাকে ডেকে নিয়ে যায়। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়, ।বলেন তিনি ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গোপালগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/৩০জানুয়ারী৮৩৮ঘন্টা২০১৪

 

বেনাপোলে ৬ নারী পাচারকারী আটক

জেলা প্রতিনিধ, অপরাজিতাবিডি ডটকম:

যশোর: জেলার বেনাপোলে নারী পাচাকারিসহ ছয়জনকে আটক করেছে পোর্ট থানা পুলিশ। বুধবার পৌরসভা এলাকায় একাধিক অভিযানে এদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে শাজাহান (৩৮), ভবেরবেড় গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে আরিফ হোসেন (২৮), একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে সোহেল (২২) এবং যশোর বাঘারপাড়া থানা এলাকার নওশের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩২)।

এছাড়াও বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্টের সোনার বাংলা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে জুলফে আলীর ছেলে জহির হোসেন (৩৮) এবং গার্মেন্টস কর্মী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার বরকুল গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে ফতেমাকে (১৮) আটক করা হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়ুম আলী সরদার জানান, বেনাপোল চেকপোস্টের সোনার বাংলা আবাসিক হোটেল থেকে আটক জহির হোসেন একজন চিহ্নিত নারী পাচারকারী। আটক ব্যক্তিদের যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরএ/এ/৩০জানুয়ারী৮৩৬ঘন্টা২০১৪

বন্ধন

bondhon1পেপার পড়তে পড়তে খানিকটা অবেলার ঘুম হানা দিল চোখে। মাথাটা মৃদু ঝাকুনি দিয়ে চোখ মুছে আবারো পিটপিট করে পত্রিকার খোলা পাতাটায় তাকালেন রফিক সাহেব।

-স্যারের কি রাত্রে ঘুম হয় নাই?
চায়ের কাপ টেবিলে রেখে নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করল পিয়ন বাদল।

-নারে, ঘুম তো হয়েছে কিন্তু আজকাল এত কাজ শরীরে মানেনা। তার উপর কত রকমের টেনশন…

-স্যার, চা-টা খান, আরাম পাইবেন। আপনের জন্য আদা দিয়া দিছি।

রফিক সাহেব মৃদু হাসলেন। ছেলেটার নিজে থেকে সবার প্রতি খেয়াল রাখার ব্যাপারটা তাঁর ভালই লাগে। তাঁর মতে, এইসব ছেলে-পুলে মানুষের দোয়ার বদৌলতেই অনেকদূর যায়।

লাঞ্চটাইমে পকেটে হাত দিয়েই আবারো মনটা খচখচ করে উঠল রফিক সাহেবের। ক’দিন ধরে খরচ হচ্ছে বেশ। বাসার ড্যাম হয়ে যাওয়া দেওয়ালে রঙ করানো, ভাঙ্গা-চুরা ফার্ণিচারগুলো মেরামত, হরেক রকম কেনাকাটা, ছেলেটা আবার কলেজে ভর্তি হল এবার। যদিও পরিচিত মানুষ দেখে আসলাম মিস্ত্রিকে বলে কয়ে খানিকটা কমে কাজ করিয়েছেন, তবুও শুধু ফার্ণিচারগুলো ঠিক করতে হাজার ছয়েক টাকা লেগে গেল। এই দুর্মূল্যের বাজারে এই-ই কম কিসের!

এসব ছাড়াও মনে এক অজানা আতঙ্ক কাজ করে। সব ঠিকঠাক মত হবে তো! বড় মেয়েটার বিয়ের কথা চলছে বেশ কয়েক মাস। সব ঠিকঠাক, ছেলেরা আংটি পরাতে আসবে বলে খানিকটা গোছগাছের তাগাদা দিচ্ছিল রোকেয়া। প্রথম এ বাড়িতে আসবে বলে কথা। তাই কোনোরকমে ঘষামাজা করে নিচ্ছেন জোড়াতালির সংসার।
ছেলে দেখেছেন বেশ ক’জনই, তবে শেষমেষ তারেক নামের ছেলেটাকেই মনে ধরেছে সবার। ছেলে ভালই। পাশ করেই চাকুরীতে ঢুকেছে একটা ছোট-খাট মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানীতে। বেতন মোটামুটি। ফ্যামিলি ভাল, ছেলেও দ্বীনদার, আর কি-ই বা চাওয়ার থাকে মধ্যবিত্ত ছাপোষা এক সরকারী চাকুরের! তবে এর চেয়ে ভাল সম্বন্ধ যে আসেনি তা নয়, কিন্তু বেশি বড় ঘরে বিয়ে দিতে মন সায় দেয়না তাঁর। পয়সাওয়ালাদের কতরকম চাহিদা, রীতি-রেওয়াজ, বিভিন্ন অকেশনে হাজার টাকার উপহার, শীতের পিঠা, গরমের ফল আরো কত কি! আবার, ওবাড়ির লোকজন এলে প্রতিবেলা কোরমা-পোলাউয়ের সাথে হরেক রকম আইটেম খাওয়ানো… এসব যে কঠিন হয়ে যাবে তাঁর জন্য…। তাছাড়া তিনি চাননা অন্যের বাড়িতে গিয়ে তার আদরের মেয়েটা হিনমন্যতায় ভুগুক বা মন ছোট করে থাকুক। রাজপ্রাসাদের বান্দিগীরির চেয়ে কুড়ে ঘরের রাণী হয়ে থাকাও ভাল। ছেলে-মেয়েদের প্রাচুর্যের মুখ দেখাতে পারেননি বটে, তবে যতটুকু পেরেছেন দুনিয়ার কাঠিন্য থেকে আগলে তো রেখেছেন! অবশেষে এইবেলায় এসে মেয়েটা অকূল পাথারে পড়বে ভাবতে পারেন না তিনি।

কেবলই ভয়, ছেলেটা দেখে রাখতে পারবে তো রাবেয়াকে? খেয়াল রাখবে তো আমার মুখচোরা মেয়েটার??
একটা দীর্ঘশ্বাস হুড়মুড় করে বেরিয়ে পড়ে কাঁচা-পাকা দাড়ির ফাঁক গলে। বংশের বড় মেয়ে রাবেয়া। তাই শুধু নিজের ঘরেই না, সমস্ত স্বজনদের মধ্যেও খুশির ধুম পড়ে গেছে। ছেলে-পুলেদের কতরকম জল্পনা-কল্পনা আর আবদার… সেসব কানে আসলে কেমন যেন ঘাবড়ে যান তিনি। এত ধুমধামের বিয়ে কি এই গরীব বাবার পক্ষে সম্ভবরে…!

bondhon2২.
-তোকে না বললাম তরকারিটা নাড়তে! এখন পুড়ল তো?
বেশ জোরেই ধমক দিলেন রোকেয়া।

-কখন বললা? বললা তো ফ্রিজ থেকে কাঁচামরিচ আনতে।
মুখ কাল করে জবাব দিল রায়হানা।

-হয়েছে, আর বলতে হবেনা, মরিচগুলো কুচিয়ে দে তাড়াতাড়ি।

রায়হানা কিছু বলতে গিয়েও বললনা। অতি দুশ্চিন্তায় আম্মার মোটামুটি মাথা খারাপের অবস্থা। সবকিছু নিয়ে বেশি বেশি দুশ্চিন্তা করাটা আম্মার অন্যতম বদঅভ্যাস। কি আর করা…

রোকেয়া আলুভর্তায় শর্ষের তেল মাখাতে মাখাতে আবারো চিন্তার সমুদ্রে হাবুডুবু খেতে লাগলেন। বাথরুমের আয়নাটা ভেঙ্গেছে কয়েকমাস। সরকারী বাসার এই এক জালা যে, দরখাস্ত দেয়ার পর বছর চলে যায় কিন্তু মেরামতের খবর থাকেনা। নিজেরা ঠিক না করালে বিয়ের আগে আর আশা নেই। নিজেদেরই করতে হবে যা করার। আবার নিজের বিয়ের গহনাগুলো খানিকটা ঘষা-মাজা করার জন্য দিয়ে এসেছেন তাও সপ্তাহ খানেক হল। আকদে্‌ নিজের বিয়ের গহনাগুলোই রাবেয়াকে পরানোর বড় সখ তাঁর। কিন্তু এতসব খরচের কথা কি আর কর্তাকে শোনানো যাবে! হাজারটা চিন্তার ভারে এমনিতেই হুটহাট প্রেসার বেড়ে যায় তাঁর…

-আম্মাআআ, আর কতক্ষণ লাগাবা?
রায়হানার কন্ঠে তড়িঘড়ি করে ভর্তার বাটিটা হাতে তুলে দিলেন। রায়হানা একটুখানি মুখে নিয়েই ভ্রু কুচকে বলল, লবণ কে দিবে আম্মা? উফ্‌ আম্মা… কই থাকো তুমি?

-দিয়ে নে না! এত বড় বড় দুইটা মেয়ে, কোনো কাজে-কামে পাওয়া যায়না, খালি দোষ ধরবে।
রোকেয়া উচ্চ কন্ঠে কথা কয়টা বলে স্থান ত্যাগ করলেন।

রায়হানা তির্যক দৃষ্টিতে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে মনে মনে রাগ ঝাড়ল। বড় মেয়ের চিন্তা করতে করতে মরেই যাচ্ছে। বিয়ে যেন আর কারো মেয়ের হয়না!
এ সময় বেল বাজালো রাফিদ।

-কি সাহেব, আজকে এত তাড়াতাড়ি যে? ক্লাস হয়নি, নাকি আড্ডা দিয়ে চলে আসলেন?
দরজা খুলেই প্রশ্ন রায়হানার।

-এই আসলাম আর কি! তুমি বুঝবানা ছোটপু।
দাঁত বের করে পিত্তি জালানো হাসি দিয়ে বলল রাফিদ।
ভাত বেড়ে দাও, ক্ষিদেয় মরে যাচ্ছি।

-সারা দুনিয়ার ময়লা হাতে-পায়ে করে নিয়ে আসছিস, সেগুলো সাফ করে আয় বাঁদর। আর কানের থেকে ওইগুলা খোল! সারাদিন কানে ভরে রাখতে রাখতে বয়রা হয়ে গেছিস খবর আছে?
চোখ সরু করে হুকুম দিল রায়হানা।

-সেজন্যে বুঝি এরকম মাইক বাজাচ্ছো? আস্তে বললেও তো শুনি।
আম্মার কানে গেলে আরেক দফা বকা খেতে হবে ভেবে তাড়াতাড়ি বলল রাফিদ। যদিও তাঁর ধারণা আম্মার বকা খাওয়ানোর জন্যই এভাবে গলা উচিয়ে হেডফোনের গুণাগুণ বর্ণনা দিচ্ছে ছোটপু। সবকিছু নিয়ে পিছে লাগার বদ অভ্যাসটা যে আপুর কবে যাবে…

-আবার শুরু করে দিলি দুইটা মিলে? সারাদিন একজন আরেকজনের পিছে না লাগলে শান্তি হয়না তোদের দুইটার?
রোকেয়া পাশের রুম থেকে ধমকে উঠলেন।
সুতরাং দুজন দুজনকে ভেংচি কেটে প্রস্থান করলো। দুজনে পিঠাপিঠি হওয়ায় ভাবও বেশি, আবার লাগেও বেশি দুজনের।

আসর পড়ে সালাম ফিরাতেই আম্মুর ইদানিংকার নতুন কর্যকলাপ দৃষ্টি গোচর হল রায়হানার। আপুকে খোচাচ্ছে কি কি মুখে লাগাতে। আর আপু করুণ মুখ করে অসম্মতি জানাচ্ছে। উফ্‌ আল্লাহ্‌, এত্ত সুন্দর দিয়ে তারেক ভাই করবেটা কি আল্লাহ্‌ জানে। এমনিই তো সুন্দর আপু। আর কি দরকার! যাহোক, আম্মার জিত হল, এবং রাবেয়াপু গোমড়া মুখে আম্মার মধু, বেসন নাকি আর কিসের যেন মি

গাজীপুরে হাম-রুবেলা টিকায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম
gazipurগাজীপুর: জেলার শ্রীপুর উপজেলায় হাম-রুবেলা টিকায় এক স্কুলছাত্রী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হতভাগ্য আফরোজা (১২) স্থানীয় প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।

সে প্রহলাদপুর ইউনিয়নে মেন্দিপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের মেয়ে। এ ঘটনা তদন্তে গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন এবং শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পক্ষ থেকে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আফরোজার বড় চাচা আব্দুল মজিদ জানান, দুপুর সাড়ে বারটার দিকে আফরোজাকে স্কুলে হাম-রুবেলার টিকা দেয়া হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্কুল থেকে তাকে দ্রুত গাজীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফসা খানম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, মেয়েটিকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।

টিকা দেয়ার সময় কাছে থাকা তার চাচাতো বোন ৮ম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা আক্তার জানান, আফরোজার হাতে টিকার সুঁই দুইবার পুশ করা হয়। এর ১৫-২০ মিনিট পর সে জানায় তার ‘শরীর কাঁপছে ও মাথা ঘুরছে’। কিছুক্ষণ পর আফরোজা স্কুলের বারান্দায় বসে পড়ে এবং প্রস্র্রাব-পায়খানা করে দেয়। সানজিদা ঘটনাটি মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে জানায়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম জানান, মেয়েটির শ্বাসকষ্টের রোগী ছিল। টিকা দেয়ার পর তার অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান। তার মৃত্যুর কারণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনার তদন্তে তার তরফে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম শরীফ জানান, ঘটনাটি শোনার পর স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন নিজে প্রধান হয়ে এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ও গাজীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সুবাস চন্দ্র সাহাসহ ৫ সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজ হায়দার ভূইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ আকন্দ, শিশুটির বাবা আ. ওয়াহিদসহ এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের করার দাবি জানিয়েছেন। শিশুটির মৃত্যুর খবর আশপাশের এলাকায় জানাজানি হলে শতশত লোক তার বাড়িতে ভিড় জমায়।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/২১.০৫.২৮জানুয়ারী২০১৪/আরএ/এ

খুব সহজেই তৈরি করুন মোরগ মোসাল্লাম

1620125_757256460968579_1524043956_n“মোরগ মোসাল্লাম”! নামটা শুনে নিশ্চয়ই এতখনে জিভে পানি চলে এসেছে? আর আসাটাই স্বাভাবিক। মোরগ মোসাল্লাম এমন একটা খাবার যে খেতে চাইলে দৌড়াতে হয় রেস্তরাঁয়। বিশেষ করে পুরানো ঢাকার মোরগ মোসাল্লাম মানেই যেন জিভে স্বাদ লেগে থাকা বহুদিন। আজ আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এলাম সেই মজাদার মোরগ মোসাল্লাম এর দারুণ সহজ এক ঘরোয়া রেসিপি। আর আপনাদের জন্য সেই রেসিপিটি দিয়েছেন শৌখিন রাঁধুনি নদী সিনা।

আসুন, জেনে নেই রেসিপিটি।

উপকরণ-
মোরগ ৩ টা
আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ
টক দই ১ কাপ
জায়ফল বাটা ১ চাচামচ

জয়ত্রী বাটা ১ চাচামচ
রোজমেরি ১ থোকা (তবে কেওড়া পানি বা গোলাপজল দিতে পারলে আরও ভালো)
পোস্তদানা বাটা ৩ টেবিল চামচ
লবন স্বাদমত
চিনি ২ টেবিল চামচ
তেল এবং ঘি মিলানো ১/২ কাপ
জর্দার রং নিজের পছন্দ মত
পেঁয়াজ ১ কাপ ( বেরেস্তা করা )

1615060_757256384301920_130883669_nপ্রণালী-
-প্রথমে মোরগ ভালোভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে।
-এর পর মোরগ এর গায়ে কাঁটা চামচ দিয়ে ভালোভাবে কেঁচে নিতে হবে।
-এখন পেঁয়াজ , পোস্তদানা , রোজমেরি , চিনি তেল বাদে বাকি সব মসলা মেখে ২ ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
-এখন মোরগটা সুতা দিয়ে ভালো ভাবে বেঁধে নিতে হবে যাতে ছড়িয়ে না যায়।
-প্যান এ তেল দিয়ে মাখিয়ে রাখা মোরগ দিয়ে দিতে হবে।
-মাঝারি তাপে রান্না করতে হবে ঢাকনা দিয়ে। মসলার উপরে তেল উঠে আসলে পেঁয়াজ , পোস্তদানা , রোজমেরি , চিনি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে আরো ১০ মিনিট এর জন্য।
-এইবার বেকিং ট্রেতে নিতে হবে ১৮০’ তে ৩০ মিনিট বেক করতে হবে। বেক শেষ হলে নিজের পছন্দ মত সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে

যেসব বিষয়ে আপোষ নয়

1fe8344218e0ca9a5d3487e408ead731_xlargeঅপরাজিতাবিডি ডটকম: বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার এই সময়ে এসে মনের মতো একটি চাকরি খুঁজে পাওয়াই শক্ত বিষয়। অনেক সময় বড় বড় ডিগ্রি নিয়েও মেলে না চাকরি। ফলে একটা সময় গিয়ে নিজের সাথেই আপোষ করতে হয়। তবে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে কিছু কিছু বিষয়ে কোনোভাবেই আপোষ করা উচিত নয়। এমন বিষয়গুলোর দিকেই এই লেখায় আলোকপাত করেছেন তরিকুর রহমান সজীব

জীবনের নানা প্রসঙ্গেই আপোষ করার প্রয়োজনীয়তাকে মেনে নেন অনেকেই। এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের কর্মজীবনেও নানা ধরনের আপোষ করে চলতে হয়। বর্তমান বিশ্বের এই প্রতিযোগিতার সময়ে এসে আপোষ যেন একটি স্বাভাবিক শব্দ ও নিয়মে পরিণত হয়েছে। অবশ্য অনার্স, মাস্টার্সে খুব ভালো ফলাফল করেও যদি বিষয়ভিত্তিক এবং মনের মতো চাকরি না পাওয়া যায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার জন্য আপোষ না করেই বা উপায় কী! আবার যারা চাকরিতে ইতোমধ্যেই প্রবেশ করে ফেলেছেন তাদেরও প্রমোশন বা অন্যান্য স্বার্থে আপোষ করেই চলতে হতে পারে। তবে আপোষ করার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। তা নইলে চাকরি একটা করলেও তাতে ভালো ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যাবে না।

আপোষ যারা করে থাকেন, তারা অনেকেই উপায়হীন অবস্থায় পড়ে আপোষ করে থাকেন বলেই মনে করেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত সবগুলো উপায় তিনি খুঁজেও দেখেননি। খুঁজে দেখলে হয়ত নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে হত না তাকে। এমন নানা ধরনের আপোষের মধ্যেও কিছু কিছু বিষয়ে কখনই আপোষ করা উচিত নয় বলেই মন্তব্য করেন ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা। এসব বিষয়ে আপোষ করলে সাময়িক কোনো উপকার হলেও শেষ পর্যন্ত গিয়ে পস্তাতে হয় বলেই ধারণা তাদের। এমন বিষয়গুলোর কথাই তুলে ধরা হলো এই লেখায়।

 

নিষ্ঠার সাথে আপোষ নয়

মানবজীবনের অন্যতম মূল একটি বৈশিষ্ট্য হলো নিষ্ঠা। জীবনে চলার পথে এটিই একজন ব্যক্তির অন্যতম মূল ধর্ম হিসেবে পরিগণিত হয়। নিজের চিন্তা-চেতনা, পরিবেশ, সংস্কৃতি—সবকিছু মিলিয়েই গড়ে ওঠে একজন ব্যক্তির নিষ্ঠা। ফলে একজন ব্যক্তির অন্যতম মূল পরিচায়কই হলো তার নিষ্ঠা। কর্মজীবনেই হোক আর ব্যক্তিজীবনেই হোক, নিষ্ঠাই একজন ব্যক্তিকে ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলে। এ কারণেই নিষ্ঠার সাথে কখনও আপোষ করতে হয় না। অনেকেই পরিস্থিতির চাপে পড়ে নিজের এক অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যের সাথে আপোষ করে ফেলেন। কর্মজীবনেও হয়ত নিষ্ঠার ঘাটতি পড়ে যায় অনেকের। অনেকে মোহে পড়েও নিষ্ঠা থেকে দূরে সরে যান। আসলে এতে করে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের থেকেই দূরে সরে যান। আর এই আক্ষেপ শেষ পর্যন্ত তাকে কোনোভাবেই সুখী করে না।

 

আত্মসম্মান বজায় থাক

নিষ্ঠার পাশাপাশি আত্মসম্মানও মানজীবনের একটি বড় অংশ। আত্মসম্মানহীন জীবনকে মানবজীবন হিসেবে গণ্য করে না কেউই। যার আত্মসম্মান নেই, সে কখনই অন্যকে সম্মান করতে পারে না। ফলে ঘরে-বাইরে কখনই কারও সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে না। আর যার মানুষের সাথে সম্পর্ক থাকে না, তার জীবনে সাফল্য কীভাবে আসবে? অনেকেই লোভে পড়ে আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে অনেক কাজ করে থাকে। সাময়িকভাবে হয়ত লাভবানও হয় সে। কিন্তু আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে এই প্রাপ্তি কখনই স্থায়ী হয় না। শেষ পর্যন্ত হয়ত এই প্রাপ্তি তাকে অনেক বড় কোনো মূল্য দিয়ে পরিশোধ করতে হয়। তাই আত্মসম্মানও বজায় রাখতে যেকোনো পরিস্থিতিতে।

 

শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি

যেকোনো কিছুর সাথেই শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তির গভীর যোগসূত্র রয়েছে। যে ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ নয়, সে তার কর্মেও কখনও ভালো করতে পারবে না। আবার মানসিকভাবে প্রশান্ত না থাকলেও কাজে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণেই কর্মজীবনেও শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আপোষ করা যাবে না। অনেকেই অফিসের জন্য দিন-রাত একাকার করে কাজ করেন। এতে করে নিজের স্বাস্থ্যের ভগ্নদশা তৈরি হলেও তাতে নজর দেন না অনেকে। আবার অনেক সময় অফিসের অনেক কাজ নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে করতে হয়। এটিও আপনাকে মানসিকভাবে অশান্তিতে রাখতে পারে। এর কোনো পরিস্থিতিতেই আপনি আপনার কর্মদক্ষতার পরিপূর্ণ প্রকাশ করতে পারবেন না। তাছাড়া এসব করে কিছু সময়ের জন্য ভালো ফলাফল পেলেও এতে করে আপনার জীবনীশক্তি দ্রুত হরাস পেতে থাকবে, দীর্ঘমেয়াদে যা আপনার কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেবে। আপনার সৃজনশীলতায়ও ভাটা পড়বে। আর আপনি সুস্থ থাকলে তবেই নিজের যত্ন নিতে পারবেন, আপনার পরিবারের দায়িত্বগুলোও পালন করতে পারবেন। অন্যাথা হলে তা সম্ভব হবে না। কাজেই শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তির সাথে কর্মজীবনেও কোনো আপোষ নয়।

 

স্বকীয়তা ও আত্মবিশ্বাস

আপনার স্বকীয়তা এবং সৃজনশীলতাই জানিয়ে দেবে আপনি কে। কাজেই স্বকীয়তা এবং সৃজনশীলতার সাথে আপোষ করা চলবে না। আপনি জানেন, একটি কাজ আপনি খুব ভালো পারেন। আপনার মতো করে কাজটি করতে দিলে আপনার পরিপার্শ্বের সকলের চাইতে কাজটি আপনিই ভালো করতে পারবেন, এমন আত্মবিশ্বাস আপনার রয়েছে। এমন সময়ে যদি অন্য কেউ বলে যে আপনি কাজটি সঠিকভাবে করতে পারবেন না, সে কথায় কান দেবেন না। অন্যের কথার চাইতে নিজের মনের কথার দিকেই মনোযোগ দেবেন বেশি। অন্য অনেকেই আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। স্বকীয়তা আর নিজের উপর আত্মবিশ্বাসের সাথে আপোষ করলে ধীরে ধীরে আপনি পরিণত হবেন অন্যের কলের পুতুলে। তখন হাজার চেষ্টা করলেও নিজেকে আর ফিরে পাবেন না। তাই স্বকীয়তা বজায় রাখুন এবং আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়েই পথ চলুন।

 

দৃষ্টি থাকুক সামনে

একেকজনের কাছে জীবনের অর্থ একেক রকম। তবে শেষ পর্যন্ত সব মানুষকেই জীবনের প্রতিটি সময়ের দায় বহন করে চলতে হয়। আপনি হয়ত শেষ বয়সে গিয়ে খুব বিখ্যাত হয়ে গেলেন। কিন্তু তাই বলে কি অন্যের অজানা আপনার তরুণ বয়সের অনেক ব্যর্থতা কিংবা অনাকাঙ্ক্ষিত কাজের দায় এড়াতে পারবেন। এই দায় সবাইকেই বহন করে চলতে হয়। এটা মাথায় নিয়েই পথ চলা উচিত। আপনার কর্মজীবনেও সাফল্য লাভের জন্য বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এমন কিছু করা উচিত নয়, যার জন্য পরবর্তী সময়ে আপনাকে অনুতাপ করতে হয়। সেটা করতে হলে কিন্তু আপনার অনেক অর্জনই শেষ পর্যন্ত আর উপভোগ্য থাকবে না, অনেক অর্জনই পরিণত হবে গলার কাঁটায়। তাই দায় থেকে যাবে, এমন বিষয়ে আপোষ করবেন না কখনই।সূত্র: ওয়েবসাইট

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/১৭৫০২৭জানুয়ারী২০১৪/আরআই/এ

 

ন্যান্সির নয়া সিদ্ধান্ত

8740_e1মিডিয়া কর্ণার,অপরাজিতাবিডি ডটকম: মাতৃত্বকালীন বিরতি শেষে ফের গানে নিয়মিত হচ্ছেন ন্যান্সি। তার ভাষায়, এবার আর কোন অভিযোগ তোলার সুযোগ রাখবো না। কারণ, সবাই শুধু কথায় কথায় বলে সময় মতো আমাকে নাকি পাওয়া যায় না। আমি গ্রামে থাকি। আমার অনেক দাম… ইত্যাদি ইত্যাদি। এবার এসব অভিযোগ মুছতে আমি ঢাকায় স্থায়ী হচ্ছি।

 

সংসার সন্তান নিয়ে বেশ ক’মাস ধরে ন্যান্সি অবস্থান করছেন শ্বশুরবাড়ি ময়মনসিংহে। ৯ই জানুয়ারি দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের (নায়লা) মা হন তিনি। এ কারণে গেল প্রায় পাঁচ মাস ন্যান্সিকে পাওয়া যায়নি গান রেকর্ডিং, টিভি লাইভ কিংবা স্টেজ শোতে। তবে সন্তান হওয়ার ঠিক এক মাসের মাথায় ফের গানে ফিরছেন ন্যান্সি। তিনি জানান, লম্বা বিরতির পর ৮ই ফেব্রুয়ারি ফের ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় পা রাখছেন। তবে স্থায়ীভাবে নয়। মাত্র দু’দিনের জন্য। এ দু’দিনে তিনি চারটি গান রেকর্ডে অংশ নেবেন। এর মধ্যে দু’টি চলচ্চিত্রের গান আর দু’টি অডিও অ্যালবামের। ন্যান্সি বলেন, নায়লাকে ছাড়াই এবার ঢাকায় আসতে হচ্ছে। কারণ, এতো ছোট বাচ্চা নিয়ে ঢাকার জ্যাম ডিঙ্গিয়ে চার স্টুডিওতে দৌড়ানো সম্ভব নয়। তবে শিগগিরই রোদেলা ও নায়লাকে নিয়ে ঢাকায় স্থায়ী হচ্ছি। সব ঠিক থাকলে আসছে এপ্রিলে ঢাকায় বাসা ভাড়া করবো। তখন দেখবো অভিযোগকারীরা আমাকে কতটা গাওয়ার সুযোগ দেন।

 

ন্যান্সি ক্ষোভ নিয়ে আরও বলেন, আমি জানি ঢাকায় স্থায়ী হলেও তেমন কোন লাভ হবে না। অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা তো অনেক দিন ধরেই করুণ। এখন অ্যালবাম করা আর না করা সমান কথা। আর ফিল্মের কথা কি বলবো? সবাই শুধু গানের সম্মানী নিয়ে মাছ বাজারের মতো মুলামুলি করে। অথচ কেউ ভাবে না বছরে আমি ক’টা গান গাই। কত টাকা রোজগার করি। কতটা সময় বেকার বসে থাকি। গেল একটা বছর তো একরকম বেকার সময় পার করেছি। তার ওপর রয়েছে রাজনৈতিক, পুলিশি হুমকি-ধমকি। হাজবেন্ড অর্থনৈতিকভাবে খানিক সচ্ছল বলে ডাল-ভাত খেতে পারছি এখনও।

 

সব মিলিয়ে এবার ঢাকায় এসে ধৈর্যের শেষ পরীক্ষাটা দিতে চাই। দেখা যাক ঢাকা শহরের সংগীত সংশ্লিষ্টরা আমার জন্য কতটুকু করেন। এদিকে ৮ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসে ন্যান্সি কণ্ঠ দেবেন তিন তরুণ সুরকার রবিন, সাচি সামস, রাশেদের গানে।

 

ন্যান্সির প্রতি প্রশ্ন ছিল, নতুন নতুন এমন সুরকার-অ্যালবাম আয়োজক কিংবা শিল্পীদের সঙ্গে গান গাওয়াটা কি নিজের প্রতি খানিক অবিচার করা নয়? এবার খানিক ক্ষেপে গিয়ে ন্যান্সি বলেন, এখন কারা গান করেন? কোন গুণী কিংবা যোগ্য সুরকার-সংগীত পরিচালকরা গান করেন? আমি তো দেখছি প্রায় সবাই চুপ করে বসে আছেন। ফলে আমার হাতে অন্য কোন অপশন নই। প্রশ্ন করা অনেক সহজ। বাস্তবতা অনেক কঠিন। আমি এই চারটি গান না গাইলেও পারতাম। কিন্তু না গেয়ে আর কতদিন বসে থাকবো? ভাল মিউজিক ডিরেক্টরের অপেক্ষায় কতদিন বসে থাকতে হবে? তাছাড়া এখন যারা গানবাজনা করছেন তারা সবাই পয়সাওয়ালা। তারা নিজের টাকায় নিজেরাই গান করছেন, গাইছেন, গাওয়াচ্ছেন, ভিডিওতে নাচছেন। টাকার দাপটে আবার হিটও হচ্ছেন অনেকে। আমার তো টাকা নেই।

 

নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের মেয়ে আমি। আমাকে তো অন্যের গান গেয়েই চলতে হবে। যার কারণে এখন আর বাছবিচার করি না। ক্লান্ত হয়ে গেছি। তবুও আশায় আছি রোদেলা দিনের। দেখা যাক। এদিকে ৮ই ফেব্রুয়ারি রেকর্ডিংয়ে ফেরার পাশাপাশি ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে ন্যান্সি ফিরছেন স্টেজ শোতেও। দীর্ঘ বিরতির পর এদিন তিনি গাইবেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে একটি কনসার্টে।সূত্র: অনলাইন থেকে

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/১৭.৪০.২৭জানুয়ারী২০১৪/আরআই/এ

 

গলায় জুতার মালা

জেলা প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম

laxmipur_district_map_35294লক্ষ্মীপুর: জেলার রায়পুরে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে ধরা পড়ায় রায়পুর থানার এক পুলিশ সদস্য ও প্রবাসীর স্ত্রীকে গলায় জুতার মালা দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে দু’জনকে জনসম্মুখে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল মোরশেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন পুলিশ সুপার। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের প্রবাসী মিজানের বাড়িতে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রায়পুর থানার পুলিশ সদস্য মোরশেদ দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী মিজানের ঘরে আসা-যাওয়া করতেন। এতে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ দেখা দেয়। অন্য সময়ের মতো শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ সদস্য মোরশেদ প্রবাসী মিজানের ঘরে ঢুকতে দেখে প্রতিবেশীরা। এতে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় তাদের দু’জনকে আটক করে গণধোলাই দেয়।

পরে পুলিশ কনস্টেবল মোরশেদ ও শাহিনুর বেগমকে জুতার মালা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে দু’জনকে উন্মুক্ত স্থানে বেঁধে রাখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। রায়পুর থানা পুলিশ তাদের ঊর্ধ্বতন জেলা পুলিশ সুপারকে ঘটনাটি অবহিত করেন। নাম প্রকাশে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। এসব কথা বলে দোষী পুলিশের শাস্তি দাবি করেন তারা।

তবে এ বিষয়ে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল মোরশেদ কোন কথা বলতে রাজি নয়। এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপক কুমার সাহা ও ওসি (তদন্ত) নাছিরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার কথা বলার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। বরং, তারা এ বিষয় এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আলম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদস্য মোরশেদকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/১৭.২৪.২৭জানুয়ারী২০১৪/আরএ

পথশিশুদের জন্য নিপার স্কুল

নীপাঅপরাজিতাবিডি ডটকম: সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ, সহমর্মিতা ও মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেখানে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সেখানে সত্ কাজের আদেশ কিংবা ভালো কাজ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের নজির এখন প্রায় বিরল ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তারপরও নানা প্রতিকূলতার মুখেও আমাদের সমাজের ও আশেপাশের কেউ না কেউ মহান এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন নীরবে নিভৃতে

 

কোন ধরনের প্রাপ্তি বা প্রতিদানের কথা না ভেবেই তারা সমাজকে কিছু একটা দেয়ার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন নিজের তাগিদ থেকেই। আর এমনেক অনুসরণীয় দৃষ্টান্তের নাম নিপা চৌধুরী। ২০০৯ সালের শুরুর দিকের কথা। সমাজের অবহেলিত পথশিশুদের জন্য প্রথমে কিছু একটা করার চিন্তভা আসে তার মাথায়। এ চিন্তা থেকেই পথচলা। বাইরের কোন অর্থ সংস্থান বা অন্য কারো সাহায্য সহযোগিতার কথা চিন্তা না করে সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে এসব অবহেলিত ও বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন নিপা। এ সময় তিনি প্রায় ৭০ জন পথশিশুকে একত্রিত করে নিজের ড্রয়িং রুম থেকে শিক্ষা দানের কাজ শুরু করেন।

 

-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম/২৪জানুয়ারী২০১৪.১৭.০৩

নারী ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে 'ওমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং'

image_104108অপরাজিতাবিডি ডটকম: ইঞ্জিনিয়ার হতে চাওয়া নারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।পেশা বাছাইয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের নারীরা ডাক্তারিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কানাডা থেকে পিএইচডি শেষে দেশে ফিরে তা ভালভাবে অনুভব করেন ড. সেলিয়া শাহনাজ। বাংলাদেশের নারীদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এবং আরো ভালো কর্ম পরিবেশ সৃষ্টি করতে তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ওমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (ডব্লিউআইই), আইট্রিপলই বাংলাদেশ শাখা।

 

আইট্রিপলই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারদের সর্ববৃহত্ সংগঠন। বাংলাদেশে ওমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১০ সালে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ সংগঠন দেশের নারীদের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে, শিক্ষা, গবেষণা এবং কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে বেশকিছু নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ডব্লিউআইইয়ের কাজ সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ডব্লিউআইই বাংলাদেশ শাখার প্রধান ড. সেলিয়া শাহনাজ বলেন, ‘তরুণ ছাত্রীদের গবেষণার কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে রিসার্চ ওয়ার্কশপ করে থাকি। এতে বিভিন্ন রিসোর্স পারসন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। সব ধরনের রিসার্চ পেপার উপস্থাপনার ক্ষেত্রে আরো বেশি দক্ষতা আনতে আমরা পোস্টার পেপার উপস্থাপনের ব্যবস্থা করে থাকি। কারিগরি লিখনীর ক্ষেত্রে লেটেক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বাংলাদেশে এটি বহুল প্রচলিত না হওয়ায় এ বিষয়ে ওয়ার্কশপ করে থাকি। ছাত্রী এবং তরুণ নারী প্রকৌশলীদের সর্বশেষ প্রযুক্তি সম্পর্কে আপডেটেড রাখতে নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করি। এতে আন্তর্জাতিক স্কলার পারসন সে প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকেন। আমরা আমাদের সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি এবং জ্ঞানের আদান-প্রদান করি। এসব যোগাযোগ সভা, সেমিনার, ইন্টারনেট, ফেসবুক, টেলিফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতা, গবেষণা এবং পেশাগত কাজে কেউ ভালো ফলাফল করলে তাকে পুরস্কার দিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্সাহ দেয়া হয়।’

 

কর্মক্ষেত্রে সদস্যদের জন্য আরো ভালো পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে ডব্লিউআইই। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোনো সদস্য শিক্ষা, গবেষণা এবং কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়লে আমরা আলোচনা করে সমাধান করি। এভাবে নারী ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ভালো পরিবেশ তৈরি করতে ডব্লিউআইই কাজ করে যাচ্ছে।’

 

স্কুল এবং কলেজের ছাত্রীদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি আগ্রহী করতে নেয়া হচ্ছে ‘গো ইঞ্জিনিয়ারিং গার্ল’ কর্মসূচি। এ কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের স্কুল এবং কলেজভিত্তিক কর্মসূচি। ক্লাস ফাইভ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার গুরুত্ব বুঝানো হবে এবং এ পেশায় আসতে উত্সাহ দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞানমেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এভাবে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য বিশেষ করে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে সবাইকে আরো বেশি সচেতন করা যাবে।’ নারী ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আন্তর্জাতিক সংগঠন ডব্লিউআইইয়ের বার্ষিক সদস্য ফি ২৫ ডলার। অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং জীবন সদস্যের জন্য কোনো ফি লাগে না।

 

বাংলাদেশে ডব্লিউআইই প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মাথায় আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন ড. সেলিয়া শাহনাজ। এশিয়া প্যাসিফিক জোনে ডব্লিউআইইয়ের ২৫টি শাখা রয়েছে। ২০১৩ সালে এশিয়া প্যাসিফিক জোনে তিনি আইট্রিপলই রিজিয়ন— ১০ উইমেন ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রফেশনাল ভলান্টিয়ার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছরের মার্চ মাসে মালয়েশিয়াকে পুরস্কার দেয়া হবে। দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ। বাংলাদেশে ডব্লিউআইইয়ের অগ্রযাত্রা আমাদের আশান্বিত করবে।

 

-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম/২৭জানুয়ারী২০১৪

মির্জাপুরে গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণ

images (1)মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা, অপরাজিতাবিডি ডটকম: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুর্বৃত্তরা এক গার্মেন্টকর্মীকে রোববার রাতে তার চাচার কাছ থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে। পুলিশ ওই গার্মেন্টকর্মীকে উদ্ধার করে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ লিটন নামে এক টেম্পুচালককে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানায়, রাত পৌনে ৩টার দিকে ওই গার্মেন্টকর্মী তার চাচার সঙ্গে বাসযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের হাঁটুভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নামেন। এ সময় উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের পিকআপভ্যানের চালক জালাল ও তার সহযোগী সৈয়দপুর গ্রামের জনি, ক্যাডেট কলেজ এলাকার মৃদুল, হাঁটুভাঙা এলাকার মুরাদ, মাটিয়াখোলা গ্রামের লিটন এবং কামারপাড়া গ্রামের জাহিদ ওই গার্মেন্টকর্মীকে তার চাচার কাছ থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি স’মিলে নিয়ে গণধর্ষণ করে।

এ ঘটনা জানতে পেরে প্রহরীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অচেতন অবস্থায় ওই গার্মেন্টকর্মীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ লিটন নামে এক টেম্পুচালককে গ্রেপ্তার করেছে।

মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রশিক্ষণে মেয়েরাও পারে এগিয়ে যেতে

female pilotঅপরাজিতাবিডি ডটকম: এ যুগে মেয়েদেরও পড়াশোনার বিষয় পছন্দে উন্নত ক্যারিয়ার ও চাকরির বাজার বিবেচনায় রাখতে হয়। এক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রেখে লেখাপড়া করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা উচিত যেন উচ্চডিগ্রিটি পুরো বিশ্বে সমাদৃত ও গ্রহণযোগ্য হয়। অনেকেই চান লেখাপড়ার বিষয়টি যেন চাকরি প্রাপ্তির সম্ভাবনা বিশেষ করে সার্টিফিকেট পাওয়ার আগেই চাকরির অফার আসতে শুরু করুক এমন কোর্স করার কথা ভাবেন। মেয়েদের পছন্দের এই গুরুত্বের সাথে মিল রেখে ক্যারিয়ার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ আশা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স সমমান ডিগ্রি অর্জন করার।

এই মুহূর্তে এভিয়েশন সেক্টরে বিপুল দক্ষ লোকের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার ফলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে জনবল সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও ক্যারিয়ার গড়ে তোলার এটাই আদর্শ সময়। আজকাল অভিভাবকরা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভর্তিযুদ্ধ নিয়ে হিমশিম খেয়ে যান। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে ৪ বছরে ১০-২০ লাখ টাকা দিয়ে পড়াশোনা করেও ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন, সেখানে এসএসসি/‘০’ লেভেলের পর ৪ বছরে অনার্স ডিগ্রি করতে পারেন কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজিতে। এ ক্ষেত্রে ১৮ মাস লেভেল-৩ বা এ লেভেল, ১৮ মাস লেভেল-৫ এবং ১ বছর ইউকে’তে কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে টপ আপ বিএসসি করতে হবে। আর এসব ভিন্নমাত্রার পেশায় সফলতার হার অনেক বেশি। এভিয়েশন সেক্টরে রয়েছে চাকরির বিশাল সম্ভাবনা। সরকারি ও বেসরকারি দুই জায়গাতেই চাকরির ক্ষেত্র বিদ্যমান। এছাড়া বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্সে যোগ্যতা অনুযায়ী ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তো রয়েছেই।

ছোটবেলা থেকেই মাহফুজার ইচ্ছা ছিল অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। ২০০৮ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হয়। এখান থেকে ২ বছর ব্যাচেলর ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর সে বর্তমানে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ইউএসএ’র বিখ্যাত উইশিটা ইউনিভার্সিটিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে।

ডা. হাকিকুর রহমানের মেয়ে সাওসান রহমান ২০০৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর সে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজিতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হয়। এখান থেকে হায়ার ন্যাশনাল ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে সে বর্তমানে পর্তুগালের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েরা ইনটেরিয়রে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করছে।

খরচ : এ ক্ষেত্রে ১৮ মাস লেভেল-৩ বা এ লেভেল করতে সর্বমোট খরচ পড়বে ৩,০০,০০০ টাকা, ১৮ মাস লেভেল-৫ করতে সর্বমোট খরচ পড়বে ৫,৫০,০০০ টাকা এবং ১ বছর ইউকে’তে কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে টপ আপ বিএসসি করতে কিংস্টন ইউনিভার্সিটির ১ বছরের টিউশন ফি দিতে হবে। তবে টিউশন ফি সেমিস্টার ওয়াইজ পে করতে হবে। আরও বিস্তারিত জানতে— উত্তরা সেক্টর-১১, রোড-০২, বাড়ি-১৪, উত্তরা, ঢাকা। ফোন : ৮৯৯১৩৭১।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি অথবা ‘ও’ লেভেল পাস করার পর এইচএসসি অথবা ‘এ’ লেভেল পাস করতে ২ বছরের অধিক সময় লাগে। তারপর বুয়েট কিংবা অন্য কোথাও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কমপক্ষে ৪/৫ বছর লাগবে। সুতরাং একজন শিক্ষার্থীকে সর্বমোট ৭/৮ বছর সময় দিতে হচ্ছে চাকরি পাওয়ার পূর্বেই এবং সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সেভাবে জব পাওয়া সহজলভ্য হয় না। অন্যদিকে একজন শিক্ষার্থী অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে থাকা (ফাইনাল ইয়ার) অবস্থাতেই চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে।


্রতিবেদক-অপরাজিতাবিডি ডটকম/২১জানুয়ারী২০১৪

এই শীতে যত্ন নিন ঠোঁটের

03_43135অপরাজিতাবিডি ডটকম: শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া, চামড়া ওঠা সাধারণ ব্যাপার। এসব সমস্যা সমাধানে বাজারে পাওয়া যায় নানা ধরনের লিপজেল, চ্যাপস্টিক, লিপগ্লস ইত্যাদি। তবে এসব ঠোঁটের জন্য কতটা উপকারী সেগুলো নিয়ে আমাদের আয়োজন

 

যত্ন

দুধ, মধু ও গোলাপের পাপড়ির পেস্ট তৈরি করে রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে লিপজেল লাগান। এই ম্যাসাজ এক দিন পর পর করা ভালো। এতে ঠোঁট নরম ও কোমল থাকবে। তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়। এ ছাড়া শীতে ঠোঁটের কোমলতা রাখতে যা করতে পারেন-

* গোসলের আগে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।

* শীতে ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে গ্লিসারিন ব্যবহার।

* কিছুক্ষণ পর পর চ্যাপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। লিপজেলও ব্যবহার করতে পারেন।

* পার্টিতে লিপস্টিক ব্যবহার করলে অবশ্যই তার ওপর লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে।

* বাজারে কিছু কালার চ্যাপস্টিক পাওয়া যায়। পার্টিতে কালার চ্যাপস্টিক ব্যবহার করলেও তার সঙ্গে লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে। না হলে মেকআপের টানে এবং শীতের রুক্ষতায় ঠোঁট শুকিয়ে যাবে।

* শীতে ঠোঁটের কোমলতার জন্য চ্যাপস্টিক, লিপজেল, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন, লিপগ্লস ইত্যাদি যা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।

* কখনোই নিজে নিজে চামড়া ওঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরা শুরু হবে এবং ফাটা দাগ বসে যেতে পারে। চ্যাপস্টিক, লিপজেল ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ফাটা চামড়া নরম হয়ে এমনিতেই উঠে যাবে।

* প্রতি রাতে বিট অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালে কালো দাগ দূর হতে পারে।

* ঠোঁটে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মাখন লাগানো যেতে পারে, যা ত্বক ফাটা দূর করে ও নরম রাখে।

 

শুষ্ক ঠোঁট

* ভালো মানের লিপস্টিক অনেক সময় ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। এ ক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

* টুথপেস্টের কারণেও অনেক সময় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এ রকম হলে টুথপেস্ট বদলে ফেলুন। সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ঠোঁটের জন্য ভালো ।

* সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।

* সূর্যমুখীর তেল শুষ্ক ঠোঁটের জন্য ভালো। এটি দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবেন না।

* শুষ্ক ঠোঁটে কখনোই ম্যাট লিপস্টিক লাগাবেন না।

* ঠোঁটের লিপস্টিক তুলতে তুলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

বৈবাহিক জীবনে রাসূল (সা.)-এর আদর্শ

1131979732_5125cce200_o_38845মুহাম্মদ আরিফুর রহমান জসিম: মহান আল্লাহতায়ালার অগণিত রহমতের মধ্যে দাম্পত্য জীবন এক সমুজ্জ্বল মহিমায় মহিমান্বিত রহমত। মহান আল্লাহতায়ালা মানব জাতিকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করলেও মানুষের জৈবিক চাহিদাকে উপেক্ষা করেননি। তিনি তাদের হৃদয় বৃত্তির কথা বিবেচনায় রেখে বৈবাহিক জীবনধারার বিধান রেখেছেন। আর দাম্পত্য জীবন সার্থক করতে সহধর্মিণী নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তাদের বিয়ে দিয়ে দাও; যদি তারা দরিদ্র হয়, তাহলে আল্লাহতায়ালা তাদের নিজ অনুগ্রহে সচ্ছল করে দেবেন। মহান আল্লাহতায়ালা প্রাচুর্যময় এবং সর্বজ্ঞ। (সূরা আল-নূর : আয়াত-৩২)

স্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, চারটি কারণে রমণীকে বিবাহ করা হয়ে থাকে। তার সম্পদ থাকার জন্য, বংশ মর্যাদার কারণে, সৌন্দর্য ও ধর্মভীরুতার জন্য। তবে তুমি ধর্মভীরু রমণীকে বিবাহ করে ভাগ্যবান হও। অন্যথায় তোমার হাত দুটি ধুলোময় হবে (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসয়ি, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)।

অন্য এক হাদিসে বলা হয়েছে, দুনিয়ার সব জিনিসই আনন্দের সম্পদ, এর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট আনন্দের সম্পদ হলো সতীসাধ্বী স্ত্রী। (মুসলিম-১৪৬৮) হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বিয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করতে আদেশ করতেন আর বিয়ে বর্জন করাকে কঠোরভাবে নিষেধ করতেন। আরও বলতেন, তোমরা এমন সব রমণীকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ কর; যারা প্রেম প্রণয়নী প্রিয়া ও বেশি সন্তান প্রসব করার অধিকারিণী হয়। কেননা আমি তোমাদের নিয়ে কিয়ামতের দিনে নবীগণের কাছে আমার উম্মতের আধিক্যের গর্ব প্রকাশ করব। (আহমাদ : ২৪৫)

বিবাহের ক্ষেত্রে স্ত্রী নির্বাচনের জন্য অন্য এক হাদিসে বলা হয়েছে- নারীদের মধ্যে থেকে কুমারীদের বিয়ে কর। কেননা তাদের গর্ভ অধিক উর্বর, তাদের মুখ অধিক সতেজ এবং তারা অল্প উপকরণে বেশি খুশি। (ইবনে মাজাহ) এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একজন ভালো স্বামী এবং ভালো স্ত্রীর ঘর নিঃসন্দেহে সুন্দর ঘর তৈরির প্রধান উপকরণ। পবিত্র কোরআনে উপমার মাধ্যমে উপরোক্ত কথার সত্যতা প্রতীয়মান। যেমন বলা হয়েছে- একটি ভালো জমিন আল্লাহর হুকুমে পর্যাপ্ত বৃক্ষলতা জন্মদান করে, কিন্তু দূষিত বৃক্ষ অপর্যাপ্ত উৎপাদন করে। (সূরা আ’রাফ : ৫৮) মহান আল্লাহতায়ালার রহমতে আমাদের সবারই দাম্পত্যজীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী হোক। আমিন, ছুম্মা আমিন। সূত্র: ওয়েবসাইট

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/২১জানুয়ারী২০১৪

আলুর জিলাপি

alur-jilebi-150913-b-kagoj_38983উপকরণ:
– সেদ্ধ আলু ১ কাপ
– ময়দা ১ কাপ
– গুড়া দুধ ৬ টেবিল চামচ
– ঘি ৬ টেবিল চামচ
– বেকিং পাউডার সিকি চা চামচ
– তরল দুধ ১ কাপ
– ভাজার জন্য পরিমাণ মতো তেল

 

 

সিরার জন্য:
– চিনি ৩ কাপ
– পানি ২ কাপ
– গোলাপজল সামান্য
পানির সঙ্গে চিনি জাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিতে হবে।

 

প্রণালী:
তরল দুধ চুলায় বসিয়ে বলক এলে ময়দা দিয়ে সেদ্ধ খামির তৈরি করে নিন। এবার সেদ্ধ ময়দার সঙ্গে আলু এবং গুড়া দুধ একসঙ্গে ভালো করে মেখে নিন। এবার পরিমাণমতো খামির নিয়ে লম্বা চিকন করে ৮-৯ ইঞ্চির মতো লম্বা করুন। গোল করে পেঁচিয়ে ডুবো তেলে ভেজে হলে সিরায় ৫ মিনিট রাখুন। পরিবেশন ডিশে রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন।
-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

উলের উষ্ণতায়

alaaঅপরাজিতাবিডি ডটকম: প্রকৃতিতে এখন শীতের দাপট। রাতে হালকা শিশিরে ভিজে যাচ্ছে পথঘাট। ভোর আর রাতের বেলায় দেখা মেলে কুয়াশারও। শীতে উষ্ণতার জন্য দরকার একটু বাড়তি কাপড়চোপড়। এ ক্ষেত্রে সবার প্রথম পছন্দ উলের কাপড়।

এমনিতেই ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে শীতকাল একটি আকর্ষণীয় ঋতু। প্রয়োজন আর শখ মিলে উপভোগ্য হয়ে ওঠে শীতের পোশাকের সমাহার। এ ক্ষেত্রে মেয়েরা একধাপ এগিয়ে। সেক্ষেত্রে বরাবরের মতো উলের পোশাকের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। সাথে রয়েছে ডিজাইনের বৈচিত্র্য। সব মিলিয়ে উলের উষ্ণতায় এবারের শীত কাটবে একটু ভিন্ন সৌন্দর্য নিয়ে। সময়ের পরিবর্তনে এখন একেবারে বেসিক উল নিটেড পোশাকের চেয়ে মিক্স স্টাইল পোশাকই বেশি চলছে। এসব সোয়েটারে জ্যাকেটের মতো জিপার বা হুড আছে। একরঙা বা স্ট্রাইপের গোলগলা উলের সোয়েটারেরও চাহিদা রয়েছে বেশ। সেই সাথে ফ্যাশনেবল হওয়ার জন্য উলের শাল, মাফলার, টুপি ইত্যাদিও বেশ বাজার মাত করছে।

উল উদ্ভাবিত হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১০ হাজার বছর আগে। অনেকের মতে, আরবের যাযাবররা এটিকে ইউরোপে নিয়ে যায়। কারও কারও মতে, এটি এসেছে পারসিয়ানদের কাছ থেকে। সর্বশেষ ধারণা, উলের তৈরি পোশাকের উত্পত্তি খ্রিস্টের জন্মের পূর্বে, মধ্যপ্রাচ্যে এবং এটি ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মাধ্যমে ইউরোপে বিস্তৃত হয়েছে। উলের ব্যবহার সম্পর্কে প্রথম জানা যায় ইরানের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে। সম্ভবত লৌহযুগে হাতে তৈরি উলের পোশাকের প্রচলন হয়। রোমান যুগে উল, লিনেন ও চামড়ার পোশাকের প্রথম প্রচলন ঘটে ইউরোপে। মধ্যযুগে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের মধ্যে উলের ব্যবসা শুরু হয়। ইংল্যান্ডে প্রথম উল ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠিত হয় ৫০ খ্রিস্টাব্দে উইনচেস্টারে রোমানদের দ্বারা। ১৭৯৭ সালে ব্রিটিশরা অস্ট্রেলিয়ায় ১৩টি মেরিনো ভেড়া নিয়ে একটি উলের ফ্যাক্টরি তৈরি করে। এই মেরিনো ভেড়ার লোম থেকেই তৈরি করা হয় সবচেয়ে উন্নত উল এবং তাতে তৈরি হয় পাতলা উলের পোশাক। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় উল উত্পাদক দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। উলের পোশাকের আবির্ভাব শীতপ্রধান দেশে উষ্ণতা প্রদানের লক্ষ্যে হলেও ফ্যাশনেবল প্রোডাক্ট হিসেবে এর যাত্রা শুরু ১৯ শতকে। প্রথম এমনটি দেখা যায় ১৮২৪ সালে ডাচ ম্যাগাজিন পেনিলোপি, যা ছিল উলের ক্রোসেট প্যাটার্নে তৈরি। পোশাক ছাড়াও উলের তৈরি লেইস ১৯ শতকের শুরুর দিকে ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্সে প্রচলিত হয় এবং ১৮০০ সালে তা চীন, ইরান, উত্তর আফ্রিকা, ভারতসহ ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। শুরুতে উলের পোশাক হাতে বোনা হলেও পরবর্তীকালে মেশিন আবিষ্কারের ফলে অনেক জটিল প্যাটার্নের পোশাক তৈরি সহজ ও দ্রুত হয়ে যায়।

এবারের আয়োজন

এ বছরের ফ্যাশন ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে ফাইন উলের নানা রঙের কোট, মেয়েদের পোশাকে বিভিন্ন ধরনের নেকলাইন যেমন—হাইনেক, কলার, বোটনেক, কাউলনেকের সোয়েটার, পুলওভার, এ লাইন কার্ডিগান, জ্যাকেট, পঞ্চ আকৃতির শাল ইত্যাদি। সব ক্ষেত্রেই পোশাক কিছুটা বেশি লম্বা। কোমরের শেপ কিছুটা কম এবং খানিকটা ঢিলেঢালা। এ ছাড়া ছেলেদের সোয়েটার, কার্ডিগান, জ্যাকেট বা কোটের আধিপত্য; তবে সোয়েটার, কার্ডিগানে কলার, ইউ নেক ও ভি নেক এবং জ্যাকেটে রাউন্ড নেকের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। সব ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বোতামের ব্যবহারও। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রিন্টের ব্যবহার। এ ছাড়া উলের তৈরি নানা রকমের স্কার্ফ, মাফলার, টুপি, মোজা, গ্লাভস তো থাকছেই। এবারের শীতের পোশাকে গাঢ় রঙের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। এ ছাড়া সাদা, কালো, অ্যাশ—এ ধরনের রং তো থাকছেই।

যত্নআত্তি

শীতে উলের কাপড়ের জন্য চাই বাড়তি যত্ন। কীভাবে এ ধরনের কাপড়ের যত্ন নেবেন আসুন জেনে নিই।

 উলের জামা স্টোর করার সময় ভাঁজ করে না রেখে ঝুলিয়ে রাখুন।

 উলের পোশাকে ভাঁজ পড়লে হালকা গরম পানিতে রাখুন, তারপর ঝুলিয়ে রাখুন। দেখবেন ভাঁজ আর নেই।

 পরপর দু’দিন এক উলের জামা-সোয়েটার টুপি পরবেন না। অন্তত ২-৩ দিন পর পর উলের পোশাক ব্যবহার করুন।

 উলের পোশাক ওয়াশিং মেশিনে কাচবেন না।

 বাড়িতে কাচতে না পারলে লন্ড্রিতে দিয়ে দিন, এতে ভালো হবে। তারা জানে কীভাবে কাচতে হবে।

 বছরের একবারের বেশি উলের পোশাক ড্রাইক্লিন করতে দেবেন না।

উলের পোশাকগুলো ছায়ায় নেড়ে দিন, সরাসরি রোদে শুকাতে দেবেন না।

ইস্ত্রি করার সময় উলের পোশাক উল্টে নিন।

 এয়ারকন্ডিশন রুমে উলের পোশাক রাখতে হলে ড্রাইক্লিন করে রাখবেন।

উলের পোশাকে রঙের কারণে আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে কাচবেন। এতে রং ভালো থাকবে।

ঘামের দাগ বসতে দেবেন না। ঘেমে যাওয়া অংশ বাড়ি ফিরেই গরম পানি আর ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংরক্ষিত আসনে সাত এমপিপ্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ

image_721_103771অপরাজিতাবিডি ডটকম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীরা দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই ৭ নেত্রী দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। রোববার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন। প্রার্থীরা সাক্ষাৎকারের আগেই ঢাকায় অবস্থান করে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্যসহ শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন।

যারা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জোবেদা খাতুন পারুল, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে নিহত প্রয়াত এ কে এম ইকবাল আজাদের পত্নী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ), জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা সভানেত্রী মিনারা আলম, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রেহেনা বেগম রানী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীরের পত্নী নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বাশার ও সরাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা পারভীন সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

পরে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সিট ভাগাভাগির কারণে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে শিউলী আজাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা সভানেত্রী মিনারা আলম দলের একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেত্রী। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি মাঠে থাকেন। নায়ার কবির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ) জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন। তিনি আশা করেন দল তাকে মূল্যায়ন করবে।

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

রূপচাঁদার নানা রুপ

শুধু চট্টগ্রাম কিংবা কক্সবাজার নয়, রূপসী রূপচাঁদার কদর পুরো দেশ জুড়ে। দামটা বেশ চড়া হলেও বাঙালির রসনা বিলাসে রূপচাঁদা বেশ শক্তপোক্ত একটা স্থান নিয়ে আছে। দেওয়া হলো রূপচাঁদার ভিন্নধর্মী এবং দারুণ মজার দুটি রেসিপি।

 ruposhi chad

দোপেঁয়াজা রূপচাঁদা

উপকরণ:
– মাছ ১ কেজি

– পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ

– হলুদ গুঁড়ো পরিমাণমতো

– ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ

– জিরা গুঁড়ো ১ চা চামচ

– আদা বাটা আধা চা চামচ

– রসুন বাটা আধা চা চামচ

– জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো পরিমাণমতো

– মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ

– কাঁচামরিচ ৫-৬টি

– তেল আধা কাপ

– লবণ স্বাদমতো।

 

প্রণালী:
পেঁয়াজ হালকা সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। মাছটাও হালকা করে ভেজে নিন। একই তেলে জিরা গুঁড়ো ছাড়া বাকি মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে মাছ দিন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাছ কষান। কাঁচামরিচ ও জিরা গুঁড়ো দিন। মাখা মাখা হলে নামিয়ে ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

 

চাইনিজ সসে রূপচাঁদা

 

উপকরণ
– রূপচাঁদা মাছ ২টি

– ফিশসস ১ চা চামচ

– টমেটো সস ২ টেবিল চামচ

– গুঁড়োমরিচ ১ চা চামচ

– তেল কোয়ার্টার কাপ

– ওয়েস্টার সস ১ চা চামচ।

 

প্রণালী
মরিচ গুঁড়ো ও সমস্ত সস মাখিয়ে (টমেটো সস বাদে) মাছ ১০ মিনিট মেরিনেশনে রাখুন। ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে মাছ ফ্রাই করুন। সব শেষে গরম মাছে ১ টেবিল চামচ টমেটো সস মাখিয়ে পরিবেশন করুন।

কার্টুন থেকে শিশুরা কী শিখছে

রাহনুমা সিদ্দীকা:

images[১]
চার বছরের ছোট্ট মাহাদী জন্মদিনে দাবি করলো ওকে সুপারম্যানের পোশাক কিনে দিতে হবে। বাবা যথাসময়ে উপহার কিনে আনলেন। আজ সকালে হলো কি, হঠাৎ বেড রুম থেকে মাহাদীর তীব্র চিৎকার ও কান্না শুনে আম্মু দৌড়ে এসে ঘটনা দেখে থ হয়ে গেলেন। মাহাদী আলমিরার পাশে শুয়ে শুয়ে কাঁদছে গায়ে সুপারম্যানের পোশাক। তাড়াতাড়ি ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো মাহাদীকে। রিপোর্ট হলো পায়ের দুটো আঙ্গুলের হাড় ভেঙ্গে গেছে। মাহাদী আম্মুকে বলছে, “সুপারম্যান ড্রেস পড়ে লাফ দিলে তো পড়ে না। আমি কেন পড়ে গেলাম আম্মু?”

[২]
ওমায়রা ছয় বছরের ছোট্ট সোনা মেয়ে। সারাদিন লক্ষ্মীসোনা হয়ে থাকে, পড়ার সময় পড়ে, খেলার সময় খেলে। কষ্টের কথা হলো এই সোনামণিটার আম্মু না ফেরার দেশে। ও বাবামণি আর ফুপুমণির সাথে থাকে। ফুপুমণি ক-মাস পরেই সিডনি চলে যাবেন ফুপামণির সাথে। বাবা তাই ঠিক করলেন ছোট্ট ওমায়রাকে বড় করবার জন্য ও নিজের একাকীত্ব কাটানোর জন্য ওমায়রার জন্য একটা মা নিয়ে আসবেন। ওমায়রাকে বলতেই ও চিৎকার করে বলে উঠলো, না না কক্ষণো না! এরপর বাবাকে ধাক্কা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো। বাবা খুব অবাক হলেন লক্ষ্মী ওমায়রার এই আচরণে। পরে আদর করে ওকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন এমন করলে আম্মু? তুমি কি চাও না তোমার একটা মা আসুক?
– না, আমি চাই না। স্টেপ মাদাররা খারাপ হয়।
– কে তোমাকে বলেছে যে স্টেপ মাদাররা খারাপ হয়?
– কেউ বলে নি, আমি জানি। সিন্ডারেলার স্টেপ মাদার খারাপ ছিলো, স্নো হোয়াইটের স্টেপ মাদার খারাপ ছিলো, স্লিপিং বিউটির পঁচা স্টেপ মাদার ছিলো, সব স্টেপ মাদাররা খারাপ, সব খারাপ! আমার স্টেপ মাদার আসলেও আমাকে মেরে ফেলতে চাইবে।

[৩]
নাঈম অসম্ভব দুষ্টু, জেদী- একরোখা ধরণের পিচ্চি। পড়াশুনায় একদম মন নেই। সারাক্ষণ কার্টুন নেটওয়ার্ক অথবা ডিজনী চ্যানেলের সামনে বসে থাকে। ওর প্রিয় কার্টুনগুলোর মধ্যে আছে পোকেমন, DragonBallZ, টম অ্যান্ড জেরি, স্কুবি ডু, ডোরেমন ইত্যাদি। কাল স্কুলের মিস নাঈমের মায়ের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, নাঈম ওর বন্ধুদের সাথে মারামারি করে কাজলের চশমা ভেঙ্গে ফেলেছে ও খামচি দিয়ে রক্ত বের করে ফেলেছে। শাস্তি স্বরূপ মা ওর টিভি দেখা বন্ধ করে দিলেন। সে এতটাই কার্টুনে নেশাগ্রস্ত তারপর ওকে শান্ত করাই মুশকিল হলো, অবশেষে যখন ভাঙচুর করা শুরু করলো মা বাধ্য হয়ে হার মানলেন।

[৪]
নুসাইবা একটা ইংলিশ মিডিয়াম ইস্কুলে স্ট্যান্ডার্ড থ্রিতে পড়ে। ওদের ক্লাসে আজকে একটা খুব পঁচা ঘটনা ঘটে গেছে। নুসাইবা আম্মুকে বলে দিয়েছে আর কোনদিন স্কুলে যাবে না। কী হয়েছে জানতে চাইলে। ও বললো ক্লাসের দুষ্টু ছেলে ইকরা টিফিন ব্রেকে সবার সামনে ওকে Lip kiss করে বলেছে এটা হলো True Love’s kiss, নুসাইবা এখন থেকে সবসময় Princess Giselle এর মতো ইকরাকে love করবে। “এটা একটা লজ্জার কাজ, তাই না মা?” মা হতভম্ব হয়ে গেলেন।

শহুরে জীবনে মা-বাবার পেশাগত ব্যস্ততার কারণে এবং বিকল্প বিনোদনের তেমন ব্যবস্থা না থাকায় এ যুগের বাচ্চাদের Baby Sitter বলা যায় কার্টুনকে। উপরের কেস স্টাডিগুলো লক্ষ্য করুন, বাচ্চাদের নিয়ে এইসমস্যাগুলো কম-বেশি আমরা সবাই face করি। কার্টুনের ভালো-মন্দ বিতর্ক খুব নতুন কিছু নয়। সারা বিশ্বে এ নিয়ে বহু বিতর্ক প্রচলিত। বাংলাদেশে এখনো সচেতনতার বড় অভাব। তাই লেখার প্রয়োজনবোধ করছি।

 

কল্পণা ঘোড়ার লাগাম ধরেছি কি?
প্রথমেই বলে রাখা ভালো আমি কার্টুনের ভালো দিকগুলো অস্বীকার করছি না। রূপকথাগুলোরও অনেক advantage আছে। কিন্তু সেগুলো কোনটাই অবিমিশ্র ভালো নয়, বাবা-মায়েদের তার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। Fantasy আর Fairy Tales ততক্ষণ পর্যন্ত আদরণীয় যতক্ষণ তা শিশুকে নির্মল আনন্দের পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষা দিচ্ছে, এবং শিশু মনে Over Obsession তৈরি না করছে। কেননা, শিশুরা যখন কার্টুনে প্রদর্শিত জগৎ ও বাস্তবের মাঝে যখন মিল খুঁজে পায় না, তখন ওদের মধ্যে হতাশা ও বিষণ্নতা তৈরি হয়।
১নং কেস স্টাডিটা লক্ষ্য করুন, শিশুটি যে সবে আর্লি চাইল্ডহুড অতিক্রম করছে (১- ৬ বছর) ফ্যান্টাসি এবং বাস্তবতার পার্থক্য করতে পারবে না সবসময়। কার্টুনের অবাস্তব ও আধা-বাস্তব জগৎকে সে বিশ্বাস করবে শুরু করবে এর ফলে ঘটে যেতে পারে এমন বিপদ।

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে কুপ্রভাব
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ফলিত উন্নয়ন মনোবিজ্ঞান বিভাগের মনোবিজ্ঞানীরা একটি সার্ভে করেছিলেন ৯৫ জন মেয়ে শিশুকে নিয়ে। তাদের প্রিয় টিভি শো-গুলো একটা তালিকা তৈরি করেছিলেন। যেখানে দেখা যায়, মাত্র সাত বছর ও তার কম বয়েসী অনেক শিশুর পছন্দের তালিকায় কিছু হাই লেভেলের ভায়োলেন্ট কার্টুন শো ছিলো। তারা ওই কার্টুনগুলো নিয়ে গবেষণা করে বলেন, সাধারণ টিভি শো-গুলো থেকেও বাচ্চাদের কার্টুনগুলোতে সহিংসতা অনেক বেশি দেখানো হয়। তারা সহিংস ভিডিও গেম, কার্টুনগুলোকে শিশুর আগ্রাসী চিন্তা, আচরণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। প্রফেসর ডগলাস জেন্টাইল এর নেতৃত্বে এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ৯০এর দশকের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ম করা হয় -টিভি চ্যানেলগুলো তাদের কার্টুনে কী কী দেখাচ্ছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেবে। একটি রেটিং সিস্টেমও চালু করা হয় যাতে কার্টুনে ভায়োলেন্সের মাত্রা নিরুপন করা যায়।

Bowling Green State Universityর মনোবিজ্ঞানীরা জাপানে শিশুদের মধ্যে করা একটি গবেষণার পর বলেছেন যে শিশুরা নিয়মিত কার্টুন দেখে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুনে বেশি। তারা একটি বিশেষ কার্টুনকে বেছে নিয়েছিলেন গবেষণার জন্য, এবং সেটি বাংলাদেশেও প্রচারিত -পোকেমন-। তারা পোকেমনকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ সহিংস কার্টুন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মনোবিজ্ঞানীরা এসব শারীরিক ও মানসিক কুপ্রভাব মুক্ত করার জন্য অভিভাবকদের জোর দেন শিশুর বিনোদনে ভারসাম্য আনতে, শিশুর নিয়মিত শরীর চর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি।
আমি একটাও টম অ্যান্ড জেরি এপিসোড দেখি নি যেখানে ভায়োলেন্স নেই, এই কার্টুনগুলো শিশুকে সহিংস, অস্থিরচিত্ত করে তোলে। ৩নং কেস স্টাডির ঘটনাটা বাংলাদেশের অনেক মায়েরই উৎকন্ঠার কারণ।

অতিমাত্রায় কার্টুন দেখার ফলে শিশুর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে– স্থুলতা, চোখে সমস্যা, মাথা ব্যথা, অস্থিরতা, আচরণে ভারসাম্যের অভাব, অমনোযোগ, অতি কল্পণা, বিষণ্নতাসহ নানান সমস্যা। কার্টুনে আসক্ত শিশুদের অসামাজিক ও পড়াশোনায় অমনোযোগী হতে দেখা যায়।

কুসংস্কার ও বিজাতীয় অপসংস্কৃতিঃ মাধ্যম যখন কার্টুন
দেশের কৃষ্টি- ইতিহাস বহন করে Folklore বা Folktaleগুলো। কিন্তু এগুলোতে কি সবসময় শিশুমননের উপযোগী contents থাকে? বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আমি ঠাকুরমার ঝুলির ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই। বাংলায় প্রচলিত কুসংস্কার কী কী এটা বের করতে চাইলে ঠাকুরমার ঝুলি নিয়ে গবেষণা করাটা সবচেয়ে সহজ উপায়। অথচ, এই কুসংস্কারগুলো আমরা অবলীলায় শিশুদের সামনে দিনের পর দিন প্রচার করে যাচ্ছি। ঠাকুরমার ঝুলিতে ওইসব সংস্কারগুলোকে ও অলৌকিক বিশ্বাসগুলোকে (বিশেষতঃ সনাতন হিন্দু সমাজের) মোটেই মন্দরূপে দেখায় না। গল্পগুলোতে মেয়েদেরও চরম অবমাননা করা হয়। কিন্তু পাশাপাশি ঠাকুরমার ঝুলি গল্পে গল্পে কিছু morality শিক্ষা দেয়। শিশুকে ঠাকু’মার ঝুলি যদি দেখতে দিতেই হয়, তাহলে নিজে আগে দেখে, বেছে দিবেন।

ফ্যাশন আইকন বারবি। বাংলাদেশের তার আগমনের প্রায় দুইযুগ হয়ে গেছে। বারবির কোনো ড্রেসকে আপনার কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে হবে না, হয় কি? আলাদীনের ডিজনি প্রিন্সেস জেসমিনকে দেখে আমার পরিচিত এক শিশুর প্রথম বাক্য ছিলো, “ ছিঃ ছিঃ ওর ভালো জামা নেই?” তখন ওর বয়স তিন। এখন সে কিন্তু অভ্যস্ত হয়ে গেছে দেখতে দেখতে।

নিজ সংস্কৃতি কিংবা অন্য সংস্কৃতির ভালো কিছু শিখলে শিখুক, কিন্তু এই বাজে দিকগুলোর অনুপ্রবেশ কি গ্রহণীয়?

 

কার্টুন যখন শিশুর সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যম
বাংলাদেশে এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ডিজনি- পিক্সার নির্মিত এনিমেটেড মুভিগুলো। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ৯০% ডিজনি কার্টুন মুভিগুলো স্রেফ প্রেম-ভালোবাসার গল্প। সুন্দর এনিমেশন, গান, দারুণ সংলাপের কারণে শিশুদের তো অবশ্যই বড়দেরও মন জয় করে নেয়।
গ্রিম ভাইদের সেই বিখ্যাত রাপুনজেলের কাহিনী নিয়ে তৈরি Tangled কার্টুন মুভিটা দেখছিলাম একদিন স্টার মুভিজে। আমার ক্লাস থ্রি পড়ুয়া ছোট বোন ওটা আগে দেখলেও আমি ওদিনই প্রথম দেখছিলাম। হঠাৎ করে মাঝখান দিয়ে সে চ্যানেল পালটে দিয়ে বলে যে আর দেখা লাগবে না। অন্য কিছু দেখি। আমি বললাম, “কেন?” এমন কি আছে ওখানে আমি দেখবো-ই। সে কোনভাবেই দেখাবে না। আমি বুঝলাম এমন কোন দৃশ্য আছে যা সে ওর বড় বোনকে দেখাতে চায় না। আমি Tangled পুরোটা দেখেছি পরে। প্রেম…. আর সেই চিরকালীন Lost and Found থিমে বানানো একটা মুভি, অথচ কী বিশাল বানিজ্য করলো! মিউজিক ও এনিমেশন অসাধারণ স্বীকার করতেই হয়।

বড়দের নাটকে- মুভিতে না হয় নির্মাতারা প্রেম ছাড়া আর কোন বিষয়বস্ত খুঁজে পায় না (!), ছোটদের মুভিগুলোরও এ অবস্থা কেন? অনেক কার্টুন মুভিতে নায়িকাদের শিশু নয় বরং প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে দেখায়, যেখানে তার Lover হিসেবে একজন প্রিন্স চার্মিং (or whoever) থাকে।
ঘরে ঘরে দারুণ জনপ্রিয় টম এন্ড জেরি– সেখানেও দেখুন, টমকে প্রায় প্রতিটা এপিসোডেই দেখা যায় টুডলসকে (টমের গার্লফ্রেন্ড) বা পাশের বাড়ির অন্য কোন মেয়ে বিড়ালকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা হাস্যকর কাজকর্ম করতে। ডোরেমনেও সেই একই ব্যাপার! নবিতার বান্ধবী সিজুকার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কত কী-ই না করে নবিতা। আরো অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যায়।
এসব দেখে দেখে কি আপনার বাচ্চাটা সেক্সুয়াল ওয়িয়েন্টেশন নিয়ে ফেলছে না? চার নম্বর যে কেস স্টাডিটা উল্লেখ করেছিলাম, এটা বর্তমানে বিরল নয় আশপাশে তাকালেই খোঁজ পাবেন।

 

বিকল্প কার্টুন ও কার্টুনের বিকল্প
Is there any way out? প্রশ্নের উত্তরে আসার আগে কিছু কথা বলি। উপরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কার্টুনের যে কুপ্রভাবগুলোর আলোচনা করা হয়েছে তা সব শিশুর ওপরই সমানভাবে পড়বে না। আমরা জানি, শিশুর socialization এর অনেকগুলো প্রভাবক ও agent আছে। যেমনঃ তার পরিবার, ধর্ম, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বন্ধুবান্ধব প্রভৃতি এবং মিডিয়া। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের ওপর মিডিয়ার প্রভাব অনেক অনেক বেশি। এজন্যই আমাদের এই কার্টুনের ভালো-মন্দ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

কল্পণাশক্তিই সৃষ্টিশীলতার মূল কথা, তাই শিশুর সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে Fantasyর প্রভাব অসীম, তাছাড়া শুষ্ক জ্ঞানী আলোচনার কথা শিশুরা শুনতেও চাইবে না, সেদিক দিয়ে শিশুর বিনোদনে ও ভালো কিছু শেখাতে ভালো কার্টুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অসংখ্য কার্টুনের থিম ও শিক্ষা বেশ চমৎকার যেমনঃ ওয়াল-ই, টিংকার বেল, বারবি থাম্বেলিনা, আইস এজ, আপ, ফাইন্ডিং নিমো ইত্যাদির। সবকিছুরই ভালো খারাপ দুটোই আছে সেহেতু অনেক কার্টুন পজিটিভ অনেক কিছু শেখাবে তার সাথে নেগেটিভটাও, তাদের আপেক্ষিক গুরুত্ব বুঝে কোন কার্টুনটা আপনার শিশুকে দেখতে দেবেন তা আপনিই ঠিক করবেন।

নব্বইয়ের দশকে অর্থাৎ আমার ছোটবেলায় অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলো ইউনিসেফের অর্থায়ণে তৈরি ‘মীনা’ কার্টুন। এর প্রত্যেকটি পর্বই অসাধারণ ছিলো। আশা পোষণ করছি, বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে কেউ বাচ্চাদের জন্য ওরকম কোন কোয়ালিটি কার্টুন বানাবে, যাতে আনন্দের পাশাপাশি সুন্দর করে সহজে একেকটা বিষয় শিখিয়ে দেয়া যায়। বিটিভিতে প্রচারিত সিসিমিপুরও অনেক শিক্ষামূলক-বিনোদনমূলক একটি অনুষ্ঠান। এই ক্ষেত্রটিতে সরকারের লক্ষ্য আরোপ করা খুব প্রয়োজন।

এ বিষয়ে একজন সচেতন অভিভাবক- শিবলী মেহেদী ভাই পেশায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার, ফেসবুকে ‘শিশু লালন পালন’ নামে একটা চমৎকার গ্রুপ চালান। বলেন যে, “অনেক অনেক ভালো কার্টুন বানালেই কিন্তু বড় সমস্যার সমাধান হবে না। মা-বাবার সচেতনতা খুব জরুরী। আমরা কার্টুনের নেগেটিভ প্রভাব নিয়ে যতই আলোচনা করি না কেন তা ফলপ্রসু হবে না যদি না যারা আসল ভিকটিম অর্থাৎ শিশুদের সাথে আলোচনা না করি।”

বাচ্চার সাথে আলোচনা করাটা খুব ফলপ্রসু- যে ও কী দেখলো কী শিখলো- কোনটা গ্রহণ করা উচিত, কোনটা বর্জন করা উচিত। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে সমস্ত পঙ্কিলতা থেকে আপনি আপনার শিশুকে হয়তো দূরে রাখতে পারবেন না কিন্তু ওকে শেখাতে পারবেন কীভাবে কাদায় থেকেও কাদা থেকে গা বাঁচিয়ে চলা যায়।
অধিক ভায়োলেন্ট কার্টুনগুলো শিশুকে দেখতে দেবেন না। অতিমাত্রায় কার্টুন আসক্ত শিশুকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কাউনসেলিং করান একজন শিশুমনোবিজ্ঞানীর সাথে।

শৈশব থেকেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলুন। খেলতে খেলতে বিজ্ঞান শেখা যায় এমন বই কিনে দিতে পারেন। বাচ্চাদের জন্য চমৎকার কিছু শিক্ষা-বিনোদনমূলক সফটওয়্যার (যেমনঃ মাইক্রোসফট এনকার্টা কিডস) পাওয়া যায় বাজারে সেগুলো কিনে দিতে পারেন। ইন্টারনেটে শিশুদের উপযোগী বহু ওয়েবসাইট আছে, ইউটিউবে প্রচুর মজার মজার Educative ভিডিও আছে। সংগ্রহ করতে পারেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ইকবাল কবীর মোহনের শিশুদের জন্য লেখা বইগুলো। বর্ণ-পরিচয় হিসেবে আপনার তিন-চার বছরের শিশুকে কিনে দিতে পারেন ফররুখ আহমদের ‘হরফের ছড়া’র (বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত) মতো বই। তাছাড়া বাংলা শিশুসাহিত্য যথেষ্ট সমৃদ্ধ। রবীন্দ্রনাথ-সুকুমার-নজরুল থেকে শুরু করে এখনো অনেকেই লিখছেন চমৎকার সব শিশুসাহিত্য। আপনার শিশুর জন্য বই কিনুন।

টিভি নয় আপনার শিশুকে বইমুখী করুন। কার্টুন কম, গল্পের বই বেশী পড়তে দিন। কুসংস্কারাচ্ছন্ন গল্প নয় ইতিহাস ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গল্প বলুন। ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় নৈতিকতাগুলো শেখান। সৃষ্টিশীল কাজে উৎসাহ দিন। মূলকথা অনেক অনেক চেষ্টা করুন, তাকে সময় দিতে, তার বন্ধু হতে, আপনার শিশু আপনার সবচেয়ে দামী সম্পদ।

মনে রাখা দরকার আমাদের কিছু ঐতিহ্য আছে, কিছু মূল্যবোধ আছে। সেগুলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া, তা লালন করতে উৎসাহী করা আমাদেরই দায়িত্ব। স্বাস্থ্যকর খাবার, সুন্দর পোশাক আর ভালো স্কুলে পড়ানোর মাধ্যমে বাবা-মায়ের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, শিশুর মনন গঠনে আপনাকেই সচেতন থাকতে হবে।

ক্যারিয়ার গড়ুন ব্রডকাস্ট মিডিয়ায়

image_99808অপরাজিতাবিডি ডটকম: সময়ের সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। গত কয়েকবছরে এই ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে যেগুলো সকলের মনোযোগ অনেক বেশি কেড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে মিডিয়ার প্রসার। সারাবিশ্বে তো বটেই, আমাদের দেশেও গত কয়েকবছরে মিডিয়ার প্রসার ঘটেছে ব্যাপকভাবে। ফলে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অনেকেই এখন ঝুঁকে পড়ছেন মিডিয়ার দিকে। বিশেষ করে এসব বিষয়ে তরুণদের আগ্রহটাই বেশি। ব্রডকাস্ট মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক দক্ষ গণমাধ্যমকর্মী তৈরি করতেই পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স। এখান থেকে সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করে একজন শিক্ষার্থী টেলিভিশন সাংবাদিক, উপস্থাপক, প্রযোজক, ভিডিওগ্রাফার, ভিডিও এডিটরসহ বৈচিত্র্যময় সব পেশাতে নিয়োজিত করতে পারে নিজেকে। আর গড়ে তুলতে পারে আধুনিক একটি ক্যারিয়ার।

এসব বৈচিত্র্যময় পেশার মধ্যে অনেকেই স্বাতন্ত্র্য ক্যারিয়ারও গড়তে পারেন। যেমন, আপনার হয়ত ইচ্ছা প্রামাণ্যচিত্র বানানো। সেটা কিন্তু ভিডিও ফরম্যাটেও হতে পারে কিংবা স্থিরচিত্রের মাধ্যমেও হতে পারে। এসব বিষয়ও পড়ানো হয় এখানকার ব্রডকাস্ট অ্যান্ড ক্রস মিডিয়া জার্নালিজম বিষয়টিতে। তাই এই বিষয়ে ভর্তি হয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির উপরেও ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

যারা ইতোমধ্যেই সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের জন্যও এই কোর্সটি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলোতে কর্মরতদের জন্য এই কোর্সটি অত্যন্ত উপযোগী। কারণ এই কোর্সে টিভি রিপোর্টিং ও ডকুমেন্টরি তৈরির কাজ যেমন শেখানো হয়, তেমনি ওয়েবসাইটের কাজও শেখানো হয়।

পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানটি মূলতই শিক্ষার্থীদের নিজেদের পছন্দের পেশার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে থাকে। রেডিও বা টেলিভিশন—ব্রডকাস্টিং মিডিয়ায় মূল কাজটিই হলো গল্প বলতে পারার দক্ষতা। আর একজন শিক্ষার্থীর মাঝে সেই দক্ষতাটিই সঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ৯১৩৩৯৩৮, ০১৭৮০৩৭৯৩৯৯ নম্বরে ফোন করে এই কোর্সটি সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে নেওয়া যাবে।

বর্তমানে পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে যে কোর্সগুলোর উপর প্রশিক্ষণ হচ্ছে, তা হলো ফিল্ম মেকিং, সিনেমাটোগ্রাফি বা ক্যামেরা অপারেশন, ভিডিও এডিটিং এবং সংবাদ ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা। এই চারটি বিষয়ে তিন মাসের সার্টিফিকেট কোর্স করানো হচ্ছে। এখানকার ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষা পদ্ধতি, ক্লাস—সবই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী চলে। কোর্সটির মান নিয়েও প্রশ্নের অবকাশ নেই। কেননা, এই কোর্সের কারিকুলাম তৈরিতে সহায়তা করেছে নেদারল্যান্ডসের ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়।

ব্রডকাস্ট ও ক্রস মিডিয়া জার্নালিজমের পরবর্তী ব্যাচ শুরু হবে এই জানুয়ারি থেকেই। আগ্রহীরা এখনই আবেদন করতে পারবেন।

যোগাযোগ :পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি, বাড়ি-৫৮, রোড-১৫/এ (নতুন), ধানমন্ডি, ঢাকা।
-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

ছোট ঘরে বাহারী সাজ

lightingবর্তমান যুগের ফ্ল্যাটবাড়িগুলোতে জায়গা নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। ঘরগুলো খুব ছোট হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব আসবাব বসানো সম্ভব হয় না। আবার যারা নতুন সংসার শুরু করেন, তাদের পক্ষেও একসঙ্গে প্রয়োজনীয় সব আসবাব কেনা সম্ভব হয় না বাজেট স্বল্পতার কারণে। কিন্তু বসার জন্য সোফা বা চেয়ার, শোয়ার জন্য খাট, খাওয়ার বা পড়ার জন্য টেবিলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু আসবাবের তো দরকার হয়ই। সে ক্ষেত্রে কী করা যাবে? কোনো চিন্তা নেই, ঘর বুঝে আসবাব ছাড়াও খুব কম খরচেই করা যেতে পারে শোয়া, খাওয়া ও বসার আয়োজন। শুধু প্রয়োজন একটু চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীল একটি মন।

 

বসার ঘরimage_659_94186

ঘর সাজানোর বিষয়টি চিন্তা করলে প্রথমেই যে ঘরটার কথা মাথায় আসে সেটা হলো বসার ঘর। বাড়িতে অতিথি এলে প্রথমে এ ঘরেই তাকে বসানো হয়। বসার ঘর মানেই সোফা, ডিভান, চেয়ার, টেবিলসহ ছোটখাটো সব আসবাব। কিন্তু এসব চিরচেনা আসবাবের বদলেও শুধু মেঝেতেই করা যেতে পারে বসার সুন্দর পরিপাটি ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে সোফার বদলে মেঝেতে ফোম বসিয়ে বা মাদুর, শতরঞ্জি পেতে এর ওপর বড় কুশন পেতেও বসার আয়োজন করা যেতে পারে। লম্বা আকৃতির একটা ফোম বসিয়ে তার ওপর নকশা করা একটা রঙিন চাদর বিছিয়ে ওপরে কিছু রংবেরঙের কুশন ছড়িয়ে দিতে হবে। আর তার সামনেই পেতে দিতে হবে একটা রঙিন শতরঞ্জি। এ শতরঞ্জির ওপর একটা খুব ফ্ল্যাট আকৃতির কাঠের টেবিল বা পিঁড়ি পেতে বানানো যেতে পারে সেন্টার টেবিল।

আরেকভাবে মেঝেতে বসার আয়োজন করা যেতে পাররেসেটা হলো একটু বড় স্কয়ার বা রাউন্ড শেপের ফ্ল্যাট আকৃতির সেন্টার টেবিল বসিয়ে তার চারদিকে বড় বড় কুশন বিছিয়ে দিতে হবে। কুশন কভারগুলো খুব রঙিন ও নকশাদার হতে হবে। সে ক্ষেত্রে ব্লক-বাটিক, নকশিকাঁথা কাজের কভার হতে পারে বা মোটা পাহাড়ি তাঁতের কাপড়ও কভার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যে ধরনের বসার আয়োজনই করা হোক না কেন, সেন্টার টেবিলের ওপর একগুচ্ছ তাজা ফুল বা বড় ফ্ল্যাট আকৃতির একটা ক্রিস্টাল বোলে পানি দিয়ে ফুলের পাপড়ি বা ক্যান্ডেল ভাসিয়ে দিলে পুরো ঘরের আবহটাই বদলে যাবে। আর চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখতে হবে কিছু মাটির শোপিস, টেবিল ল্যাম্প ও ছোট ছোট সজীব গাছ। তখন এ ঘরটিই তখন হয়ে উঠবে নান্দনিক।

খাবার ঘর

একইভাবে খাবার ঘরের মাঝখানেও একটা ফ্ল্যাট আকৃতির নিচু টেবিল বসিয়ে তার চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে বড় বড় পিঁড়ি বা কুশন। পিঁড়ির ওপর পাতলা ফোমের রঙিন কাপড়ে মোড়া গদি অথবা কুশনের কভারও রঙিন নকশাদার হলে ভালো লাগবে। আর টেবিলের ওপর অবশ্যই একগুচ্ছ তাজা ফুল রাখতে হবে।

 

image_473_141056শোয়ার ঘর

খাট ছাড়া শোয়ার ঘর যেন ভাবাই যায় না। শোয়ার ঘর মানেই নানা ম্যাটেরিয়ালের তৈরি খাট থাকতে হবে এমনটাই ধারণা সবার। কিন্তু খাটের বদলে শুধু মেঝেতেই শোয়ার আয়োজন অনেকেই হয়তো ভাবতে পারবেন না। কিন্তু শোয়ার ঘরেও খাটের বদলে ম্যাট্রেস বসিয়ে তার ওপরে শোয়ার আয়োজন করা যেতে পারে খুব সহজেই। তবে ম্যাট্রেসটি সুন্দর চাদর দিয়ে মুড়িয়ে এর ওপর অনেকগুলো ছোট রঙিন কুশন ছড়িয়ে দিতে হবে। ঘুমের সময় অনেকেরই পড়ার অভ্যাস আছে, তাই জায়গা বুঝে ম্যাট্রেসের দুই পাশে বা একপাশে সমান উচ্চতার পিঁড়ি পেতে তার ওপর টেবিল ল্যাম্প রাখতে হবে এবং একপাশে দেয়ালের ধারঘেঁষে ছোট একটা শেলফে কিছু বই রাখা যেতে পারে। আর জায়গা বুঝে ম্যাট্রেসের পাশে বা পায়ের কাছে একটা শতরঞ্জি বিছিয়ে দিলে ঘরটি শোয়ার জন্য পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

মেঝেতে আয়োজনের ক্ষেত্রে দেশীয় পণ্যের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশীয় পণ্য যেমন নান্দনিক, তেমনি সহজলভ্য। বিভিন্ন ঘরে মেঝের আয়োজন নিয়ে এখানে যে পরামর্শগুলো দেওয়া হলো সে জন্য কিন্তু খুব বেশি টাকা-পয়সা খরচ করার দরকার নেই। কম দামের মধ্যে হাতের নাগালেই পাওয়া যাবে সব জিনিসপত্র। শুধু প্রয়োজন একটু চিন্তাশক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও রুচিবোধের।

রোজমেরি পানিনি

resize_1389432907উপকরণ: ফিলিং: হাড় ছাড়া গরুর মাংস ২৫০ গ্রাম, আদাবাটা আধা চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ টেবিল-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ১ চা-চামচ, মাস্টার্ড পেস্ট ১ চা-চামচ, ওরস্টারশায়ার সস আধা চা-চামচ, ড্রাই রোজমেরি আধা চা-চামচ, অলিভ অয়েল পরিমাণমতো।

অন্যান্য: যেকোনো ব্রেড (একটু মোটা করে কাটা) ৪ পিস , শসা (স্লাইসড) ১টি, টমেটো (স্লাইসড) ২টি, পেঁয়াজ (স্লাইসড) ২টি, মোজ্জারেলা চিজ পরিমাণমতো।

প্রণালি: গরুর মাংস লম্বা করে কেটে সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রেখে ফ্রিজে ম্যারিনেট করুন ১ ঘণ্টা। কড়াইয়ে পরিমাণমতো অলিভ অয়েল দিয়ে কষিয়ে মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন, প্রয়োজনে সামান্য পানি দিন।

এবার একটি ব্রেড স্লাইসে সামান্য অলিভ অয়েল ব্রাশ করে একটু ড্রাই রোজমেরি ছিটিয়ে দিয়ে রান্না করা গরুর মাংসের টুকরা দিন। এর উপরে মোজ্জারেলা চিজ গ্রেট করে দিয়ে স্লাইস করে কাটা শসা, টমেটো ও পেঁয়াজ দিন। অলিভ অয়েল ব্রাশ করে আবার একটু ড্রাই রোজমেরি ছিটিয়ে আরেকটি ব্রেড স্লাইস বসিয়ে টুথ পিক দিয়ে গেঁথে নিন। প্রি-হিটেড ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ৫ মিনিট গ্রিল করুন, গরম গরম উপভোগ করুন রোজমেরি পানিনি।

-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

 

জেনে নিন ব্রেইন স্ট্রোকের ৬ টি লক্ষণ

11118710অপরাজিতাবিডি ডটকম: ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উচ্চ রক্ত চাপ, মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস কিংবা অন্যান্য কারনে কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যা সৃষ্টি হয়ে, দিন দিন মস্তিষ্কের কাজের ক্ষমতা লোপ করে রক্ত সঞ্চালনে বাঁধার সৃষ্টি হলে ব্রেইন স্ট্রোক হয়। ইদানীং অনেক কম বয়সী মানুষজনকেও স্ট্রোক করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে এই স্ট্রোকগুলো মাইনর পর্যায়ের হয়। কিন্তু অজ্ঞতার কারনে, ভুল চিকিৎসায় এই স্ট্রোকের ভয়াবহতা বাড়তে পারে। প্যারালাইসিস থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে যদি মাইনর স্ট্রোক ধরতে না পারা যায়। তাই সকলের উচিৎ স্ট্রোকের লক্ষন সমূহ জেনে রাখা। এতে মাইনর স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা ও উপযোগী চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে।

মুখমণ্ডলের এক পাশ ঝুলে পড়া
স্ট্রোকের প্রধান ও প্রথম লক্ষন রোগীর মুখমণ্ডলে ধরা পড়ে।

মুখের বাম পাশের মাংস পেশি ঝুলে পড়ে। যার ওপর রোগীর কোনো নিয়ন্ত্রন থাকে না। লক্ষণটি ভালো করে বুঝতে হলে রোগীকে হাসতে বলুন। তিনি যদি না হাসতে পারেন তবে যত দ্রুত সম্ভব তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাতে দুর্বলতা অনুভব
অনেক সময় আমরা হাতের দুর্বলতা অনুভবকে পাত্তা দিই না। কিন্তু এটা হতে পারে স্ট্রোকের লক্ষন। স্ট্রোক করার আগে রোগী দুই হাতে অস্বাভাবিক দুর্বলতা অনুভব করেন। রোগীকে সাথে সাথে হাত মাথার উপরে তুলে ধরতে বলুন। যদি রোগী বলেন তিনি হাত তুলতে পারছেন না। কিংবা যদি লক্ষ্য করেন হাত ছেড়ে দিচ্ছেন তবে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নেবার ব্যবস্থা করুন।

কথা জড়িয়ে যাওয়া
মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে বা খুব কমে গেলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোকের আগে কথা জড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যমে লক্ষণটি ধরা পড়ে। যদি কেউ কথা বলতে বলতে হঠাৎ অস্পষ্ট কথা কিংবা জড়িয়ে যাওয়া গলায় কথা বলতে থাকেন তবে অবশ্যই তা লক্ষণীয়। রোগীকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করে দেখুন। যদি আসলেই জড়ানো কথা হয় তবে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করুন।

তীব্র মাথা ব্যথা
স্ট্রোকের আগে রোগীরা তীব্র মাথা ব্যথার শিকার হয়ে থাকেন। তীব্র মাথা ব্যথা অনেক কারনেই হতে পারে। অনেকের মাইগ্রেন আছে। তীব্র মাথা ব্যথা মাইগ্রেনেও হয়। কিন্তু যদি হঠাৎ করে কোন ধরনের কারণ ছাড়াই মাথার বাম অংশে তীব্র ব্যথা শুরু হয় তবে অবহেলা করবেন না। দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা
মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের বাঁধা পাবার ফলে শরীরের সাধারণ কাজ করার ক্ষমতা ব্যাহত হয়। ফলে হাত পা কিংবা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর স্ট্রোকের রোগীরা নিয়ন্ত্রন হারান। রোগীকে উঠে দাড়াতে বলুন। স্ট্রোকের লক্ষন হিসেবে তিনি উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। সুতরাং স্ট্রোক অবশ্যম্ভাবী। তাকে সাথে সাথে হসপিটালাইজড করতে হবে।

শর্ট মেমোরি লস
স্ট্রোকের আগে রোগীরা তাদের আপনজনকেও চিনতে পারেন না এমনকি নিজের নাম পর্যন্ত ভুলে যান। ডাক্তারদের ভাষায় একে শর্ট মেমোরি লস বলে থাকেন। রোগীকে তার নিজের নাম জিজ্ঞেস করুন। তার পরিবারের লোকজনকে চিনতে পারেন কিনা তা দেখুন। তা না হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন।

-ডেস্ক, অপরাজিতাবিডি

পাঠকদের প্রতি

প্রিয় পাঠক!

a63a3e16adb9cbea28bcd3ae82289f21আপনারাও আমাদের এই পোর্টালে লিখতে পারেন। লেখক হতে পারেন আপনি।

তাই ঝটপট আপনার মনের কথাগুলো লিখে পাঠান আমাদের কাছে।

 

লেখা পাঠানোর ঠিকানা:- oporajitabd22@gmail.com

 

বিভাগীয় সম্পাদক:অপরাজিতাবিডি ডটকম

আইনি পরামর্শ

অপরাজিতাবিডি ডটকম: 

অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিনঢাকা:নারীদের জীবনে চলতে-ফিরতে যেসব আইনি জটিলতায় পড়তে হয়, আমাদের মনো জিজ্ঞাসা বিভাগে তারই সমাধান পাওয়া যাবে।

 

মনো জিজ্ঞাসা বিভাগে আইনি সমস্যার সমাধান দেবেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, অ্যাডেভোকেট ফাহিমা নাসরিন।

 

স্পষ্ট করে নিজের সমস্যা লিখে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায়: oporajitabd22@gmail.com

 

বিভাগীয় সম্পাদক: অপরাজিতাবিডি ডটকম

 [contact-form-7 id=”918″ title=”Untitled”]

নতুন চলচ্চিত্রে মৌসুমী হামিদ

Mousumi-hamidঅপরাজিতাবিডি ডককম: জনপ্রিয় লাক্স সুপারস্টার ‘রোশনী’খ্যাত মৌসুমী হামিদ বর্তমানে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। মিডিয়াতে তার পথচলা খুব বেশিদিনের না হলেও মৌসুমী কাজ করছেন চুটিয়ে। ছোটপর্দায় মৌসুমীর উপস্থিতি বেশ উল্লেখ করার মতো। ধারাবাহিক নাটকের পাশাপাশি একক নাটকেও তাকে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। মৌসুমী চলচ্চিত্রে আরও আগে নাম লেখালেও আবার নতুন করে তিনি বড় পর্দায় কাজ করছেন।

ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘জালালের পিতাগণ’-এ কাজ করছেন তিনি। এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘ছবিটির গল্প বেশ ভিন্ন। ছবির শুটিংয়ের কাজ অনেকখানি শেষ। জালাল নামে এক বালকের কাহিনী নিয়ে এগিয়ে যায় ছবিটি। এখানে আরও অভিনয় করেছেন তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম প্রমুখ।’ মৌসুমী হামিদ বর্তমানে বেশকিছু ধারাবাহিকে কাজ করছেন। এগুলোর পাশাপাশি শুরু করেছেন নতুন ধারাবাহিকের শুটিং।

আফসানা মিমির পরিচালনায় এই ধারাবাহিকটির নাম ‘সাতটি তারার তিমির’।বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে ধারাবাহিকটির শুটিং চলছে। এখানে আরও অভিনয় করছেন সানজিদা প্রীতি, মৌসুমী নাগ, সাদিয়া ইসলাম প্রভা, স্বর্ণা, নাফিসা প্রমুখ।। এ ধারাবাহিক নাটকে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ।

-প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

এগিয়ে নারী

DSC_0077অপরাজিতাবিডি ডটকম: একজন নারীকে ঘরে-বাইরে হাজারো দায়িত্ব পালন করতে হয়, দিতে হয় পুরুষের চেয়ে বেশি শ্রম এবং সময়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই দিকটি।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় বসবাসরত গৃহিণী সালমা আক্তারের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ভোরে ঘুম থেকে উঠে শুরু হয় তার কর্মজীবন। ঘরে সবার জন্য পছন্দসই নাশতা তৈরি, স্বামীর অফিসে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তদারকি, সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়া আবার নিয়ে আসা, বাজার করা, রান্না করা, স্বামী-সন্তানরা বাড়ি ফিরলে তাদের তদারকি করা, কাজের শেষ নেই তার। এগুলো প্রতিদিনকার রুটিন। এর ভেতর আবার তাকে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে, বিয়ে ও জন্মদিনের পার্টিতে, সন্তানদের স্কুলের নানা আয়োজনে। শুক্র, শনিসহ কোনোদিনই তার ছুটি নেই ঘরের কাজ থেকে। সবকিছু গুছিয়ে হাসিমুখে সবার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন তিনি।

12765অন্যদিকে একজন চাকরিজীবী নারীর দিনও একইভাবে শুরু হয়। রাজধানীর খিলগাঁও বসবাসরত কর্মজীবী নারী তানজিলা খাতুন জানান, সংসারের সব দায়িত্ব পালন করে তবেই তাকে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে। সেখানে গিয়েও তার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নেই। ঘরে ছেলেমেয়েরা কী করছে, গৃহকর্মী ঠিকমতো কাজগুলো করছে কি-না সে টেনশন তো থাকেই। সবশেষে ক্লান্ত হয়ে যখন ঘরে ফেরেন তখনও ব্যস্ত সময় কাটাতে হয় তাকে। এ রকম সালমা আক্তার, তানজিলা খাতুনের মতো প্রায় প্রতিটি নারীকেই শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গার্ল পাওয়ার প্রজেক্টের কমিউনিকেশনস কো-অর্ডিনেটর শেখ সারাহজিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে নারীরা চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কাজে বাইরে যাচ্ছে। পাশাপাশি তাদের ঘরের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। যেখানে উন্নত বিশ্বে নারী-পুরুষ ঘরে-বাইরে সমানভাবে কাজ করছেন সেখানে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন। এখানে সে অর্থে নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি পরিশ্রমী। সারাহজিনের মতে, এ দেশের নারীদের মস্তিষ্ক ঘুমের মধ্যেও কাজ করে_ সকালে উঠে কী নাশতা তৈরি হবে, ক’টায় বাসা থেকে বের হবে ইত্যাদি পরিকল্পনা। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর একজন পুরুষ যেখানে টিভি দেখে, চা খায়, নিচে হাঁটতে যায়, সেখানে একজন নারীকে বাসায় ফেরার পর ব্যস্ত থাকতে রান্নাবান্না কিংবা ছেলেমেয়ের পড়াশোনা নিয়ে। পাশাপাশি পরের দিনটির কথাও ভাবতে হয় তাকে। প্রকৃতপক্ষে একজন নারীর জীবনে বিশ্রাম বলে কিছু নেই।

genderequityপ্রথমবারের মতো ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক প্রকাশিত জরিপে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি পরিশ্রমী। কর্মে নিয়োজিত একজন পুরুষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থের বিনিময়ে ৬ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট কাজ করেন। আর নারীরা পাঁচ ঘণ্টা ১২ মিনিট কাজ করেন। তবে কর্মজীবী নারীরা গৃহস্থালির কাজে পুরুষের চেয়ে তিন গুণ বেশি সময় দেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষ ১ ঘণ্টা ২৪ মিনিট আর নারীরা ৩ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট ব্যয় করেন। অন্যদিকে বেকার পুরুষরা গৃহস্থালির কাজে মাত্র ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট ব্যয় করেন। আর পুরুষের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি সময় দেন বেকার নারীরা। নারীরা ৬ ঘণ্টা ১২ মিনিট বাসার কাজ করেন। আবার বেকার পুরুষরা বেকার নারীদের চেয়ে অবসর ও বিনোদনে প্রায় দ্বিগুণ সময় ব্যয় করেন।
শহরাঞ্চলের পেশাজীবী নারীরা সবচেয়ে কম অবসর পান। তারা দৈনিক গড়ে ৫ ঘণ্টা ১২ মিনিট চাকরিস্থলে কাজ করে বাসায় এসে মাত্র ৫৪ মিনিট অবসর পান। কেননা, বাসায় এসে তারা পৌনে চার ঘণ্টা গৃহস্থালির কাজ করেন। আর একই পেশার পুরুষরা পৌনে ৯ ঘণ্টা কাজ করে কর্মস্থল থেকে ফিরে মাত্র ৫৪ মিনিট গৃহস্থালির কাজে সময় দেন।

অন্যদিকে গ্রামের পেশাজীবী নারীরা প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট কাজ করেন, পুরুষরা করেন মাত্র দেড় ঘণ্টা। শহরে পেশাজীবী নারীরা বাসার কাজ করেন ৩ ঘণ্টা, পুরুষরা করেন মাত্র ১ ঘণ্টা।

জরিপ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, নিঃসন্দেহে জাতির জন্য এটি একটি ইতিবাচক দিক। তিনি মনে করেন, বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে তৃণমূল থেকে উচ্চপর্যায়ে নারীর শ্রমকে ভাগ করে নেওয়ার মতো মানসিকতা এখনও পুরুষের তৈরি হয়নি। যদিও বর্তমানে তারা নারীদের সহযোগিতা করছে, তবে তা গৃহস্থালির কাজে নয়। সে ক্ষেত্রে পুরুষের যেমন উচিত ঘরে-বাইরে নানা কাজে নারীকে সহযোগিতার করা পাশাপাশি একজন নারীরও প্রয়োজন তাকে সংসারের সব কাজ একাই করতে হবে এমন ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসা।

প্রতিবেদক-অপরাজিতাবিডি ডটকম

চাটমোহরে বঞ্চিত নারীদের কাছে মডেল নূরুন্নাহার

9174_divi-1চাটমোহর (পাবনা), অপরাজিতাবিডি ডটকম: পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের নূরুন্নাহার খাতুন সমাজের বঞ্চিত নারীদের কাছে একটি মডেলে পরিণত হয়েছেন। স্বামী পরিত্যক্তা নূরন্নাহারের কর্মপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন। নূরুন্নাহারের দেখানো পথ অনুসরণ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে অবহেলিত নারী সমাজের একটি অংশ। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে না থেকে নূরুন্নাহার যেমন নিজ পায়ে দাঁড়িয়েছেন তেমনি তার মতো সমাজের আর ১০টা বঞ্চিত নারীকেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের মৃত জেহের আলী মোল্লার মেয়ে নূরুন্নাহার খাতুন। বিয়ের পর ১৯৯৮ সালে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে একটি ছেলে সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে থাকেন। শত প্রতিকূলতার মাঝেও খুঁজতে থাকেন নতুন করে বাঁচার পথ। বাবার পরিবারে বোঝা হয়ে না থেকে এক নতুন লড়াইয়ে জিততে নিজের সঞ্চিত কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করে ২০০৩ সালে মাত্র একটি সেলাই মেশিন কিনে ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর চেষ্টা শুরু করেন। দৃঢ় মনোবল, মেধা, শ্রম, ধৈর্য দিয়ে তৈরি করেন ‘নাঈম ফ্যাশন অ্যান্ড টেইলার্স’ নামে একটি ছোট দোকান।

গত ১০ বছরে অকান্ত পরিশ্রম করে নিজের ও বাবার সংসারের চেহারা পরিবর্তন করার পাশাপাশি জয় করেছেন দারিদ্র্যকে। নিজের উপার্জিত অর্থে জমি কিনে সেখানে বাড়ি করেছেন তিনি। বাড়ির মধ্যেই নতুন করে সাজিয়েছেন তার নাঈম ফ্যাশন অ্যান্ড টেইলার্স। বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের স্বাবলম্বী করতে স্থাপন করেছেন সেলাই প্রশিণ সেন্টার। ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং নিয়ে অনেকে নিজে মেশিন কিনে টেইলার্স খুলে বসেছেন। বর্তমানে ১০টি সেলাই মেশিন দিয়ে নূরুন্নাহারের ওই ফ্যাশন হাউজে কাজ করছেন ২০ জন স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা মহিলা।

নূরুন্নাহারের নাঈম ফ্যাশন হাউজে কর্মরত বিধবা কর্মচারী ফরিদা খাতুন জানান, আমি নূরুন্নাহারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ শেষে চার হাজার টাকা মাসিক বেতনে চার বছর ধরে তার ফ্যাশন হাউজে কাজ করছি। কাজ করে যে টাকা উপার্জন করছি তাতে আমার সংসার বেশ ভালোভাবেই চলে যাচ্ছে। স্বামী পরিত্যক্তা অপর কর্মচারী আর্জিনা খাতুন জানান, নূরুন্নাহার আপার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিয়ে তার দোকানে কাজ করছি। আমাকে সাড়ে চার হাজার টাকা বেতন দেন নূরুন্নাহার আপা। আমার সংসারে এখন আর অভাব নেই।

নূরুন্নাহার খাতুন এ প্রতিবেদককে জানান, আমি নিজে সেলাইয়ের ওপর উচ্চতর প্রশিণ নিয়ে চাটমোহরের কয়েকটি এলাকায় সাধ্যমতো বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও বেকার নারীদের প্রশিণ দেয়ার কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে টেইলার্সের যাবতীয় বিষয়, নকশিকাঁথা, বিছানার চাদরে নকশা তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে ইতোমধ্যে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার মাধ্যমে চলছে গ্রামে গ্রামে উঠোন প্রশিক্ষণ। বর্তমানে ২০০ নারী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ফ্যাশন হাউজে নূরুন্নাহারের কাজে সহযোগিতা করেন তার ছেলে নাঈম (১৭)।

নূরুন্নাহার আরো জানান, সরকারি সহযোগিতা পেলে তার ফ্যাশন হাউজ আরো বড় করে অনেক নারীকে সাবলম্বী করা সম্ভব হবে।

নতুন বছরের প্রত্যাশা

24_103এলো নতুন বছর। আমরা নতুন আশায় আছি। এবার বুঝি শান্তির দেখা মিলবে। এদেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা হবে। দল মত নির্বিশেষে সবাই দেশের কল্যাণের জন্য একতাবদ্ধ হবে। অনেক রক্ত ঝরেছে। অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষিসহ নানা খাতে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ, আর হানাহানি নয়, এবার দেশের শান্তির প্রতি মনোযোগ দিন। আমরা দুর্বল কিংবা ব্যর্থ রাষ্ট্র নই; একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। আমাদের জ্ঞান, শক্তি, সাহস দেখে এ পৃথিবী যেন অবাক তাকিয়ে রয়। তবে গত বছরও ছিল সরকারের কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা ছিটেফোঁটা পূরণের শেষ প্রান্তে এসে বিদায় নিয়েছে। আবারও প্রত্যাশা, সব ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বিদায় নেবে; সুসংবাদ আসবে ঘরে ঘরে। আমরা একটা সুন্দর সমাজ চাই। একটা শাসন ব্যবস্থা চাই, যে ব্যবস্থা শোষণ করবে না। রক্তের স্রোত দেখাবে না। ক্ষমতার দাপট দেখাবে না। থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ। গত বছর স্কুল-কলেজে পড়ুয়াদের সমস্যা হয়েছে অনেক। চাই গণতন্ত্র যেন তার শক্ত অবস্থান খুঁজে পায়। ক্ষমতার জোরে যখন তখন সংবিধান বদল হয়।

এমন একটি সংবিধান চাই যেন তাতে দল মত নির্বিশেষে প্রকাশ করার সুযোগ-সুবিধা থাকে। চাই ভালো একটি সরকার। এছাড়া গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার মতো একটি নির্বাচন চাই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চাই। মেয়েদের চলার পথ যেন নিরাপদ ও সুগম হয়। আমরা যখন দিনবদলের কথা শুনি, তখন মনটা ভরে যায়। স্বপ্ন দেখি সামনের দিনগুলো অনেক বেশি ভালো যাবে। কিন্তু আমাদের এই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন না হয়। আমরা নতুন করে পথ চলতে পারব। নতুন স্বপ্নের কথা বলতে পারব। সব ধরনের প্রতিকূলতা মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারব সামনে।

-মোবাশ্বেরা জাহান: যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চুনারুঘাটে দুই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ

ballo_27781_0চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা,অপরাজিতাবিডি ডটকম: জেলার চুনারুঘাটে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই স্কুলছাত্রী বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলার গণকিরপাড় চন্দ্রমলি্লকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী দোলন বেগম এবং পান্না আক্তারের পরিবার তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে।

পান্না আক্তারের বিয়ের দিন ছিল শুক্রবার এবং দোলন বেগমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আগামী রোববার। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার লোকজন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীরকে অবগত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও আহম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের বাড়িতে যান। তারা পরিবারের লোকদের বুঝিয়ে দুটি বিয়েই বন্ধ করে দেন। এছাড়া ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা নেন।

 

তিন মেয়ে নিয়ে পদ্মায় ঝাঁপ, দুই লাশ উদ্ধার

downloadচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম: জেলার সদর উপজেলার খলিপারচরে তিন মেয়েকে নিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধী মা পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিলে দুই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা খলিপারচর এলাকা থেকে আড়াই বছরের মাহমুদ খাতুন ও হামেদা খাতুনের (৬) লাশ উদ্ধার করে।
নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর কবীর জানান, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় খলিপারচর গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী আক্তারা বেগম তার তিন মেয়েকে নিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন।

এ সময় জেলেরা আক্তারা বেগম ও তার বড় মেয়েকে উদ্ধার করতে পারলেও ছোট দুই মেয়ে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, আক্তারা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে কি কারণে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দীন জানান, তিনি ঘটনাটি বিকালে শুনেছেন। তবে এখনো তার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

দেশি খাবার-ফুলকপি ও রুই মাছের ঝোল

light.bengaশীত ঋতু মানেই দারুণ সব সবজির মজাদার সব রান্না। শীতের মৌসুমে গরম এক প্লেট ভাতের সাথে মাছের ঝোলের যে স্বাদ, তা মনে হয় অন্য কোনো খাবারে নেই। অনেকেই মাছ কেবল ভুনা বা ভাজি খেয়ে থাকেন, শীতের সবজি দিয়ে যে চমৎকার মাছের ঝোল রাঁধা যায় তা জানেন না অনেকেই। আজ রইলো ফুলকপি ও টমেটো দিয়ে রুই মাছের দারুণ মাছের ঝোল রেসিপি। কেবল রুই নয়, রাঁধতে পারবেন অন্য বড় মাছ দিয়েও। আজ ভাতের পাতে হয়ে যাক ষোল আনা বাঙালিয়ানা!

phulkopi.die_.macher.jhol_উপকরণ:
রুই মাছ ৮ টুকরো
ফুল কপির ফুল ৮-১০টি
পেঁয়াজ বাটা দুই টেবিল চামচ
রসুন বাটা এক চা চামচ
হলুদ ও ধনে গুঁড়া আধা চা চামচ করে
মরিচ গুঁড়া ঝাল অনুযায়ী
টমেটো স্লাইস একটি
তেল এক কাপ
পানি প্রয়োজনমতো
জিরা গুঁড়া এক চা চামচ
কাঁচা মরিচ চারটি
ধনেপাতা সামান্য।

প্রণালী:
-মাছ ধুয়ে অল্প হলুদ ও লবণ দিয়ে ভাজতে হবে।
-এবার ওই তেলে রসুন ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিয়ে টমেটো ও অন্য সব মসলা (জিরা বাদে) দিয়ে কষাতে হবে। একটু পানি দিয়ে ভালো মত রান্না করতে হবে।
-এবার প্রথমে ফুলকপি দিয়ে একটু নেড়ে পানি দিতে হবে। তিন/চার মিনিট রান্না করে মাছ ভাজা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ফুটে উঠলে জিরা গুঁড়া দিতে হবে।
-হয়ে এলে ওপরে কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা ছিটিয়ে অল্প আঁচে আরও দুই-তিন মিনিট রেখে নামাতে হবে

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম