banner

রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Monthly Archives: May 2025

 

হলে মুক্তি পাবে শাহরুখের নতুন ছবির ট্রেলার

বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছবি ‌‌‘ডিয়ার জিন্দেগী’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। আলিয়া ভাটের সঙ্গে বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছে এটি। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় শাহরুখের নতুন ছবি ‘রইস’।

ছবিটি নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছেন নায়ক। এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে নির্মিত ছবিটির ট্রেলার মুক্তি নিয়ে সবাইকে অবাক করে দিতে চান তিনি। ট্রেলার মুক্তির সময় এমন কিছু করার ঘোষণা দিয়েছেন, যা আগে কখনও দেখা যায়নি।

জানা গেছে, ভারতের ৯টি শহরের সিনেমা হলে ট্রেলারটি মুক্তি দেয়া হবে। সেসব শহরের আনুমানিক সাড়ে তিন হাজার প্রেক্ষাগৃহে ট্রেলারটি মুক্তি পাবে। শহরগুলো হচ্ছে- দিল্লি, ইন্দোর, আহমেদাবাদ, কলকাতা, ব্যাঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, জয়পুর, মুম্বাই ও পাঞ্জাবের মগা। এসব শহরে শাহরুখ-নওয়াজুদ্দিনের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন রিতেশ সিদ্বানী ও ফারহান আখতার।

তবে একেবারে সশরীরে উপস্থিত হবেন না শাহরুখ ও অন্যরা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা দর্শকদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাদের কথা শুনবেন।

 

তাওবার নিয়ামত অফুরন্ত

আল্লাহর কাছে তাওবা এক মহান ইবাদত। কুরআনের অনেক জায়গায় তাওবা সম্পর্কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একজন গোনাহগার বান্দা খাঁটি তাওবার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই আল্লাহর একান্ত আপনজনে পরিণত হন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যাভিচারের অপরাধে তাওবা-সম্পর্কিত একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

Hadith

হজরত আবি নুজাইদ ইমরান ইবনে হোসাইন আল-খুযাঈ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, জুহাইনা গোত্রের এক মহিলা ব্যাভিচারের মাধ্যমে গর্ভবতী হয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে এসে নিবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমি ব্যাভিচারের (জিনা) অপরাধ করেছি; আমাকে শাস্তি দিন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার অভিভাবককে ডেকে বললেন, এর সঙ্গে সদাচরণ করবে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আমার কাছে নিয়ে আসবে। লোকটি (অভিভাবক) তা-ই করলো।

অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে (ওই মহিলাকে) ব্যাভিচারের শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিলেন। তার শরীরে ভালোভাবে কাপড় বেঁধে দেয়া হলো এবং নির্দেশমোতাবেক তাকে পাথর মেরে হত্যা করা হলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জানাজা নামাজও পড়ালেন।

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ মেয়েটি তো ব্যাভিচার (জিনা) করেছে। তবু আপনি এর জানাজার নামাজ পড়াচ্ছেন।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ মেয়েটি এমন তাওবা করেছে যে, তা ৪০ জন মদিনাবাসীর মধ্যে বণ্টন করে দিলেও সবার জন্য পর্যাপ্ত হয়ে যেতো।

যে মেয়েটি নিজের জীবনকে মহান আল্লাহর জন্য স্বেচ্ছায় বিলিয়ে দিতে পারে; তার এ তাওবার চেয়ে ভালো কোনো কাজ তোমার জানা আছে কি? (মুসলিম)।

অপরাধ যতো কঠিনই হোক না কেন; বান্দা যদি আল্লাহ তাআলার দরবারে একনিষ্ঠ মনে তাওবা করে তাঁর দিকে ফিরে আসে, আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। আর তাওবার ফলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে অফুরন্ত নিয়ামত দান করেন। যা তিনি ৪০ জন মদিনাবাসীকে দিয়েও শেষ করা যাবে না বলে উল্লেখ করে তাওবার অফুরন্ত নিয়ামতের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন।

পরিশেষে…
যেহেতু মানুষ তাওবার মাধ্যমে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়; তাই তাওবার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস বর্ণনা করেছেন।

হাদিসটি হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন- ‘পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত (কিয়ামত না আসা পর্যন্ত) মহান আল্লাহ প্রতি রাতে তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করতে থাকেন; যাতে দিনের গোনাহগার লোকেরা তাওবা করে নিতে পারে। আবার তিনি দিনের বেলা তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করে থাকেন; যাতে করে রাতের গোনাহগার লোকেরা তাওবা করে নিতে পারে।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে খাঁটি তাওবা করে তাঁর পথে ফিরে আসার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের পরিপূর্ণ কল্যাণ দান করুন। আমিন।

 

অনলাইন ব্যবসায় চাই স্মার্ট প্রচারণা কৌশল!

ব্যবসা অনলাইন হোক বা অফলাইন প্রচারণা খুবই জরুরি। তবে অফলাইনের চাইতে অনলাইন ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ অনেক বেশী। মার্কেটিং পলিসিতে একটু যদি অবহেলা করেছেন তবেই পড়ে যাবেন আরও অসংখ্য ব্যবসায়ীর পেছনে। প্রতিযোগিতা এখন তুঙ্গে। একইরকম পণ্যের রয়েছে অসংখ্য ওয়েবসাইট, তারও চেয়ে কয়েকগুণ বেশী অনলাইন পেজ। এরই মাঝে ক্রেতার নজর কাড়তে মেনে চলুন এই কৌশলগুলো-

টার্গেট ভোক্তার দিকে নজর দিন

সহজ হিসেব। আপনার বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা সবার জন্য নয়। কি পণ্য তৈরি করছেন আপনি, সেটা কোন বয়সের মানুষ ব্যবহার করবেন, পণ্যের মূল্য অনুযায়ী কোন শ্রেণীর মানুষ পণ্যটি ক্রয় করবেন, লিঙ্গভেদে তার ভোক্তা আলাদা হবে কিনা- এই সব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে জানতে হবে। শুধু সেই সব ভোক্তার কাছেই পৌছতে হবে আপনাকে যাদেরকে আপনার প্রয়োজন। ভোক্তা নির্দিষ্ট করার পর দেখতে হবে সেই ভোক্তারা কী খুঁজছেন, তারা পণ্যের কেমন মান চাইছেন, কেমন ডিজাইন চাইছেন! বিজ্ঞাপণে তেমন ছবিই ব্যবহার করতে হবে আপনাকে, সেভাবেই তুলে ধরতে হবে পণ্যের নানান দিক।

ভোক্তার সাথে আন্তরিক সংযুক্তি
গুগলে বিজ্ঞাপন কেনা বা জটিল একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করা দীর্ঘ সময় এবং খরচের ব্যাপার। তার পরিবর্তে একটা সিম্পল ব্লগ লিখুন নিজের ব্যবসার নানান দিক নিয়ে। একটা ইন্সটাগ্রাম বা ফেসবুক প্রোফাইল আপনার প্রচারণাকে আরো বেশী সহজ করতে পারে। নিয়ে যেতে পারে ভোক্তার হাতে হাতে। আপনার যোগাযোগের ধরণটি হতে পারে আন্তরিক, বন্ধুর মত। যাতে ভোক্তারা আরো বেশী সংযুক্ত বোধ করেন। এজন্য ছবি নয়, ছবির সাথে যুক্ত করুন কিছু বক্তব্য। যুক্ত করুন আপনার গল্প, পণ্যটির পেছনের শ্রমের গল্প, আবেগের গল্প।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
অনলাইনে ব্যবসা বাড়াতে চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সক্রিয় থাকা খুবই জরুরি। ওয়ার্ডপ্রেস এ চাইলেই কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে পারেন আপনি। কিন্তু ব্লগ বা এজাতীয় যে কোন প্রচারণাকে কার্যকর করতে অবশ্যই তাকে জুড়ে দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে। ফেসবুক, লিঙ্ক ইন এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। স্মার্টফোনে নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে খুব সহজেই কিন্তু জানা যাবে আপনার ব্যবসার তথ্যটিও। একইসাথে একাউন্ট খুলতে পারেন পিন্টারেস্টে, ইন্সটাগ্রামে।

এসইও
গুগল এসইও একটি সামাজিক মাধ্যম যার কথা অনেকেই জানেন না। ভোক্তার সাথে যোগাযোগের জন্য এটি খুবই কার্যকরি একটি টুলস। সার্চ ইঞ্জিনে পণ্য খুজলে সহজেই চলে আসে কোন পণ্য বা ব্রান্ডগুলো? যাদের র‍্যাংকিং ভাল, সহজে ট্রাক করা যায়। গুগলে এসইও কৌশল ব্যবহার করে আপনিও আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংকিং বাড়াতে পারেন। তবে আপনাকে প্রতিনিয়ত নিজের সাইটে স্বক্রিয় থাকতে হবে। ছবি, ভিডিও আপলোড করা, পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে। বর্ণনায় ব্যবহার করতে হবে জনপ্রিয় ‘কি ওয়ার্ড’ গুলো যা ব্যবহার করেই মানুষ এধরণের পণ্য খোঁজে। ছোট ছোট কৌশল, কিন্তু এগুলোই আপনার র‍্যংকিং বাড়াবে।

মোবাইল গ্রাহক
ডিজিটাল বিশ্ব এখন নিয়ন্ত্রিত হয় মোবাইল দ্বারা। এপ্রিল ২০১৬ এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে মোবাইল থেকে। আপনার মার্কেটিং তাই মোবাইল উপযোগী করে তৈরি করুন। এমন ছবি ব্যবহার করুন যা মোবাইলে ভাল দেখতে ভাল লাগে। ছবি সাইজও সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করুন। মোবাইলের গ্রাহকদের জন্য ভিন্ন ভাবেই সাজান আপনার মার্কেটিং কৌশল।

তথ্যসূত্র-
১। Life hack- 5 Marketing Tips for a Successful Online Business
২। CIO- 8 Expert Online Marketing Tips for Small Businesse
৩। Medianovak- Successful Internet Marketing Tips | 5 Small Business Internet Marketing Tips

 

বার্গার স্টেক তৈরি করবেন যেভাবে

ভোজনবিলাসীদের কাছে খুব জনপ্রিয় একটি খাবারের নাম বার্গার স্টেক। সাধারণত বিফ স্টেক দিয়ে এটি তৈরি করা হলেও আপনি চাইলে মাটনও ব্যবহার করতে পারেন। আমেরিকায় এটা অনেক প্রচলিত হলেও এখন আমাদের দেশেও অনেক দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। তবে দোকানে না গিয়ে বার্গার স্টেকের স্বাদ পেতে চাইলে ঝটপট শিখে নিন রেসিপিটি-

উপকরণ : গরু বা খাসির মাংস আধা কেজি, কাঁচামরিচ কুচি আধা টেবিল-চামচের একটু বেশি, আদা বাটা ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা ৪-৫টা, গোলমরিচ ছেঁচা ২-৩টা, কাবাব মসলা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি করা ১ কাপ, ডিম ১টা, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতা ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল ২ টেবিল-চামচ, ময়দা বা ব্রেডক্রাম ২ টেবিল-চামচ।

প্রণালি : প্রথমে মাংস কিমা করে ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে কমপক্ষে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার কিমা ৬ ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ নিয়ে বড় চ্যাপ্টা করে স্টেক তৈরি করতে হবে। পলিথিনের ভেতর তেল মাখিয়ে কিমা চেপে স্টেক করা যেতে পারে। এবার ফ্রাইপ্যানে ছ্যাঁকা তেলে ফ্রাই করতে হবে। ইচ্ছা করলে ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ১৫ মিনিট বেক করা যাবে। বনরুটির ভেতর বিফস্টেক, বিভিন্ন রকমের পনির, সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

বিয়ের আগে কনের প্রস্তুতি

জীবনের অনেক আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিয়ের মুহূর্ত। আর বিয়েতে একটি মেয়ে যখন কনের সাজে সেজে ওঠে তখন নিজেকে তার কোনো রাজ্যের রানীর চেয়ে কম মনে হয় না! পারিবারিকভাবেই হোক কিংবা দীর্ঘ প্রেমের পরিণতি, সবকিছুর শেষ ঠিকানা হয় বিয়ে। এটি একদিকে যেমন মহাখুশির সংবাদ অপরদিকে একটু সামলে চলার সময়। মানুষের জীবনে জন্মদিন, বিয়েবার্ষিকী আরো অনেক কিছু ঘুরে-ফিরে এলেও বিয়ে একবারই আসে। তাই বিয়েতে কনে চায়, নিজেকে সবচেয়ে সুন্দরী আর আলাদা দেখতে। আর এর জন্য চাই কিছু প্রস্তুতি। বিশেষ করে শীতের এই সময়টায় চারদিকে বিয়ের আয়োজন চোখে পড়ে। আপনিই যদি হয়ে থাকেন বিয়ের কনে, তবে এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকুন।

ত্বকের যত্ন
বেশি চা, কফি খাওয়া খেতে বিরত থাকুন। বেশি চা, কফি খেলে নার্ভ উত্তেজিত হয় এবং শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বেরিয়ে যায়। পারলে ফলের রস খান। প্রচুর পানি পান করুন; দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

ভিটামিন এ ও ই সমৃদ্ধ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস ও জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অবশ্যই বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগানোর চেষ্টা করবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও পরিমিত খাবার খান।

বাসায় নিয়মিত কিছু ফেইস প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের যে কোনো দাগ দূর করার জন্য পাকা পেঁপের জুড়ি নেই। পাকা পেঁপে চটকে তাতে টকদই মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে উঠিয়ে ফেলুন। এরপর মুখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পাকা পেঁপে চটকে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে, গলা ও হাতে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে পারেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে তুলে ফেলুন। চালের গুঁড়া, টকদই, মুলতানি মাটি, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে এবং গলায় লাগান। এই প্যাক নিয়মিত লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ হবে।

চুলের যত্ন
প্রতিদিন একটি করে ডিম মাথার ত্বক ও চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অথবা তিনটা অ্যালোভেরার পাতা থেকে ভালো করে জেল বের করে নিয়ে এতে মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করে তিন মাস এভাবে পরিচর্যা করতে থাকুন।

চুলের রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে ৩ দিন চুলে তেল লাগিয়ে এ প্যাকটি ব্যবহার করুন। এক চামচ নারিকেল তেল, এক চামচ কাস্টার অয়েল, এক চামচ ভিনেগার, এক চামচ শ্যাম্পু, একটা পাকা কলা ও এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ৪০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

পরিমিত ঘুম
বিয়েতে নিজেকে প্রাণবন্ত দেখাতে হলে আপনাকে পরিমিত ঘুমাতে হবে প্রতিদিন। শুধু বিয়ের আগে রাতে পরিমিত ঘুমালেই হবে না।
সবসময়ই চেষ্টা করতে হবে রাতে যেন একটানা ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন। এতে করে ত্বকের ক্লান্তিভাব কাটবে ও ত্বক আরো উজ্জ্বল লাগবে।

ঠোঁট
১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে প্রতিদিন ৩/৪ মিনিট ঠোঁটে হাল্কা করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের কালো দাগও উঠে যাবে ধীরে ধীরে।

বিয়েতে হাজার ঝামেলা থাকে। হাজারটা ব্যস্ততায় হয়তো নিজের প্রতি নজর দেয়ার সময়টাই থাকে না। তাই আগে থেকেই অল্প অল্প করে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকুন। আর জীবনসঙ্গীর চোখে সবচেয়ে সুন্দর মানবী হিসেবে ধরা দিন।

 

গর্ভবতী মায়ের জন্য ‘স্মার্ট চুড়ি’

গর্ভবতী মা ও অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গ্রামীণ ইনটেল ‘স্মার্ট চুড়ি’ তৈরি করেছে। হাতে থাকলে এই চুড়ি গর্ভধারণের পুরো সময় মাকে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তা শোনাবে, তথ্য দেবে। ক্ষতিকর মাত্রার ধোঁয়ার ব্যাপারেও সতর্ক করবে এ চুড়ি।

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে গ্রামীণ ইনটেল সোশ্যাল বিজনেস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, আগামী মার্চে এই চুড়ি বাংলাদেশের বাজারে আসবে। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর এ চুড়ি ১ হাজার ২০০ টাকার কমে কিনতে পাওয়া যাবে।

দশমিক ৮ ইঞ্চি চওড়া ও দশমিক ৩ ইঞ্চি পুরু প্লাস্টিকের এ চুড়িতে মাইক্রোচিপ, মেমোরি কার্ড, স্পিকার, ব্যাটারি, কার্বন মনোক্সাইড শনাক্তের জন্য সেন্সর এবং এলইডি বাতি থাকবে। এই চুড়িতে আগে থেকে ধারণ করা (প্রি-রেকর্ডেড) গর্ভকালের ১০ মাসের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তা আছে। কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যও আছে। সপ্তাহে এসব বার্তা মা দুবার শুনতে পাবেন। যেমন হাতের চুড়ি বলবে, ‘গর্ভকালে আপনার ও আপনার অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে অন্তত চারবার ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। সেখান থেকে আপনাকে আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট দেওয়া হবে। নিজের ও শিশুর সুস্থতার জন্য এগুলো প্রতিদিন খেতে হবে।’

চুড়ি সচল রাখতে ইন্টারনেট সংযোগের দরকার হবে না। গর্ভধারণের দিনের পরিপ্রেক্ষিতে বার্তাগুলো সেট করে দেওয়া হবে। গর্ভকালের প্রতিটি সপ্তাহের উপযোগী করে বার্তাগুলো তৈরি। এতে মোট ৮০টি সতর্কতামূলক বার্তা আছে।

গ্রামীণ ইনটেলের উপমহাব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গর্ভবতী মায়েদের জন্য যে করণীয় নির্ধারণ করেছে, তার ওপর ভিত্তি করে চুড়ির বার্তা তৈরি করা হয়েছে।

বার্তাগুলো তৈরি করেছে মোবাইল অ্যালায়েন্স ফর ম্যাটারনাল অ্যাকশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে এই চুড়ির কারিগরি দিক নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা হয়েছে।

এই চুড়ির ব্যাপারে জানতে চাইলে অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রওশান আরা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অনেক গর্ভবতী ঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান না, সঠিক পরামর্শ পান না। গর্ভবতীকে সচেতন করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ।

বাংলাদেশের নারীরা বিশেষ করে গ্রামের নারীরা ক্ষতিকর ধোঁয়ার মধ্যে থেকে রান্না করেন। ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই চুড়িতে থাকা সেন্সর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড শনাক্ত করতে পারে। রান্নাঘরে বা কোথাও ক্ষতিকর মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড থাকলে চুড়িতে থাকা এলইডি বাতি জ্বলে ওঠে। পাশাপাশি জানালা-দরজা খুলতে বলে এবং ব্যবহারকারীকে নির্মল বায়ু আছে এমন স্থানে যেতে অনুরোধ জানানো হতে থাকে।

এই চুড়ির ওজন প্রায় তিন ভরি। চুড়িতে থাকা ব্যাটারি রিচার্জের দরকার হয় না। পানিতে ভিজলে বা ১৫ ফুট পানির নিচে গেলেও এর কার্যকারিতা নষ্ট হবে না বলে গ্রামীণ ইনটেল দাবি করেছে।

 

যেমন পোশাক তেমন সাজ

পোশাক শুধু মানুষের রুচিবোধকেই প্রকাশ করে না, ব্যক্তিত্ব আর সাজেও তা যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, জিনস-টপ বা পাশ্চাত্য ঘরানার যেকোনো পোশাক, যখন যা-ই পরা হোক না কেন, সঙ্গে সঙ্গেই সেই পোশাকের প্রভাবটা পড়ে সাজ আর ব্যক্তিত্বে। পুরো অবয়বটাই যেন বদলে যায়। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে বা বন্ধুদের আড্ডায় জিনস-কুর্তায় অভ্যস্ত মেয়েটি যখন শাড়িতে সেজে ওঠে, তখন তার পুরো অবয়বে আসে আমূল পরিবর্তন। অর্থাৎ পোশাক বদলের সঙ্গে সঙ্গে একটা পরিবর্তনের আঁচ লেগে যায় মনে।

এই যে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সাজসজ্জায় এই পরিবর্তন, বিষয়টি কমবেশি সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তখন শুধু সাজেই নয়, ব্যক্তিত্বেও এর প্রভাব পড়ে। পশ্চিমা পোশাকে যেমন উজ্জলতা আসে, তেমনি শাড়ি ব্যক্তিত্বে যোগ করে স্নিগ্ধতার আবহ। মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ মনে করেন, মনে হয় প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব যেমন আলাদা, তেমনি এক একটি উপাদানের কাপড় এক একটি বৈশিষ্ট্য বহন করে। যেমন মসলিন, জামদানি, সিল্ক বা সাটিন, তাঁতের বোনা সুতি—প্রতিটি কাপড়ে তৈরি পোশাকেরই স্বকীয়তা রয়েছে। সাজ বা ব্যক্তিত্বে সেই ছাপটা না থাকলে বেমানান মনে হয়। র্যা ম্পে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ভিন্নধর্মী উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে এমনটাই জানালেন তিনি।
পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে আপনি কোথায়, কোন পরিবেশে যাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন সব সময় পাশ্চাত্য ঘারানার পোশাকে অভ্যস্ত মডেল আঁখি আফরোজ। কিছুদিন আগে একটি পুরস্কার দেওয়ার অনুষ্ঠানে দেশীয় শাড়ি আর খোঁপায় জড়ানো বেলির মালায় সেজেছিলেন তিনি। তাঁর সাজ দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিল সেদিন। আঁখি জানালেন, সব জায়গায় তো সব ধরনের পোশাক পরে যাওয়া যায় না। পুরস্কারের সেই অনুষ্ঠানে দেশের সব বরেণ্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তাই এ ধরনের সাজটাই উপযুক্ত বলে মনে হয়েছিল। শুধু স্থানভেদেই নয়, সময়ের পার্থক্যেও সাজপোশাকে আসে ভিন্নতা—বলছিলেন পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান। দিনের বেলায় যে রঙের পোশাকটা মানানসই, রাতের বেলায় সেটাকে বিদায় জানাতে হয়। মেকআপ চুল বাঁধার ক্ষেত্রেও সেই একই কথা।
ঐতিহ্যবাহী সিল্কের সঙ্গে এলো খোঁপাটা যেমন ভালো দেখায়, পশ্চিমা ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে সেটা একেবারেই বেমানান। তখন মুখের গড়ন, চুলের কাটছাঁটের সঙ্গে মিলিয়ে সাজতে হয়। নুজহাত খান বললেন, ‘সব শাড়িতেই যে একরকম সাজ ভালো লাগবে তা নয়। যেমন জামদানির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্য। তাই জামদানি গায়ে জড়ালেই একটা আভিজাত্য প্রকাশ পায়।

এ ধরনের শাড়ির সঙ্গে বাদামি আর ব্রোঞ্জের সমন্বয়ে স্মোকি চোখের সাজটা দেখতে ভালো লাগে। জামদানির সঙ্গে খুব বেশি জমকালো গয়না না পরে হালকা গয়না পরলে জামদানির সৌন্দর্য অটুট থাকে। ব্লো ডাই করে ছেড়ে রাখা চুল সঙ্গে যোগ করে স্নিগ্ধতা। কামিজ বা আনারকলি ঘরানার পোশাকের সঙ্গে সাজটা নির্ভর করবে কোথায় যাচ্ছেন তার ওপর। যদি কোনো সাধারণ অনুষ্ঠান হয়, তবে চোখ না সাজানোই ভালো। তখন টেনে লাইনার দিলে ভালো দেখাবে। লিপস্টিকে থাকবে বাদামি, লাল—এ রকম রঙের শ্যাড। চুলটাকে বেণি বা টেনে খোঁপা বাঁধতে পারেন।
একই পোশাকে জমকালো অনুষ্ঠানে যেতে চাইছেন? তখন ভারী মেকআপ করে নিন, দেখুন মুহূর্তেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে আপনার পুরো সাজপোশাকে।
নুজহাত খান বললেন, পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাক যখন পরছেন তখন দেখবেন একটা উচ্ছলতা, আরামদায়ক ভাব কাজ করছে মনের ভেতর। মেকআপটা এড়িয়ে যাওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। চোখের আইলাইনারের চিকন রেখা টেনে ব্লেন্ড করে নিন, তবে ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিকের ছোঁয়া দিতে পারেন। যেমন জিনস বা স্কার্ট-টপের সঙ্গে গাঢ় বাদামি, লাল লিপস্টিকগুলো বেশ ভালো দেখায়, আর ব্যক্তিত্বেও ফুটিয়ে তোলে উচ্ছলতার আমেজ। এদিকে মেসি করে ছেড়ে রাখা চুল বা উঁচু করে ভিক্টোরিয়ান আদলে বাঁধা খোঁপা মানিয়ে যাবে এ ধরনের পোশাকে।
স্থান-কাল বুঝে পোশাকের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে সাজাটা কঠিন কিছু নয়। পোশাক গায়ে জড়ালে মনের ভেতর যে আবহটা কাজ করে, শুধু সেই রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলুন।
দেখুন, আপনার সাজপোশাকের ছটা কেমন রাঙিয়ে দিচ্ছে অন্যকেও।
বিপিএল উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী, মডেল ও উপস্থাপক শিনা চৌহান। এক ফাঁকে নকশার ফটোশুটে অংশ নিলেন। পরলেন বাংলাদেশের জামদানিসহ আরও কিছু পোশাক। পোশাক ও গয়না: আড়ং, সাজ: নুজহাত খান,

 

হাল ফ্যাশনে শীতের পোশাক

দেখতে দেখতে চলে এলো শীত। হাড় কাঁপানো শীত না হলেও হিম হিম বাতাস ঠিকই জানান দিচ্ছে, শীত জেঁকে বসতে চলেছে। তাই শীতকে বাধা দিতে শুরু হয়ে গেছে নানা প্রস্তুতি। বাড়িতে বাড়িতে যেমন পিঠা তৈরির প্রস্তুতিসহ নানা শীতকালীন খাবার রান্না হচ্ছে, তেমনি শুরু হয়েছে শীতের পোশাক কেনার পরিকল্পনা।

মানুষ এখন যথেষ্ট ফ্যাশন-সচেতন। একটি সময় ছিল যখন গরম কাপড় বলতে শুধু শীত নিবারণকেই বোঝাতো। কিন্তু এখন শীতকে তাড়ানোর পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ফ্যাশন-সচেতনতা ফুটিয়ে তোলা যায় শরীরে চাপানো শীতের পোশাকটির মাধ্যমে। শীতের পোশাকে যোগ হচ্ছে নানারকম নতুনত্ব। সালোয়ার কামিজ পরা মেয়েদের জন্য আছে লং জ্যাকেট, পঞ্চ। ফুলহাতা উজ্জ্বল রঙের লম্বা পাঞ্জাবিও আছে, যা চুড়িদার পায়জামার সঙ্গে পরে তার ওপর একটা শাল জড়িয়ে নিলে ফ্যাশন তো হবেই সঙ্গে সঙ্গে তা হবে আরামদায়কও।

বর্তমানে তরুণীরা অবশ্য পছন্দ করছে মোটা কাপড়ের টপস, লেগিংস আর বাহারি ডিজাইনের কার্ডিগান। শাড়ির ক্ষেত্রে ফুলস্লিভ ব্লাউজ আর শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে শাল জড়িয়ে হয়ে উঠতে পারেন অনন্য। টি-শার্ট বা শার্ট পরলে উপরে পরতে পারেন হাতাকাটা সোয়েটার। অথবা একটু ঢিলেঢালা পুলওভার।

ছেলেদের ক্ষেত্রে জ্যাকেটের পাশাপাশি ফুলহাতা টি-শার্ট, ফুলহাতা শার্ট, খদ্দর কাপড়ের আরামদায়ক ট্রাউজারও আছে। এবারে শীতে আঁটসাঁট নয় বরং ঢিলেঢালা পোশাকই পরতে আগ্রহী কিশোরী আর তরুণীরা। পশমি বা উলের ক্রুসকাটার কাজ করা সোয়েটার পরছেন অনেকেই। সোজা কাটের পোশাকের সঙ্গে বেছে নিতে পারেন হাঁটু পর্যন্ত লম্বা ব্লেজার।

দরদাম
ছেলেদের জন্য রয়েছে ভেস্ট, সোয়েটার, কার্ডিগান, হুডি, মেয়েদের কার্ডিগান পাচ্ছেন ৯৯০ টাকায়। ছেলেদের ভেস্ট মাত্র ৭৯০, সোয়েটার ৯৯০, কার্ডিগান ১ হাজার ৯০, হুডি ১ হাজার ২৯০, জ্যাকেট ও ব্লেজার ২ হাজার ৯৯০ টাকায়। কার্ডিগান পাচ্ছেন ৯৯০ টাকায়। ছেলেদের ভেস্ট মাত্র ৭৯০, সোয়েটার ৯৯০, কার্ডিগান ১ হাজার ৯০, হুডি ১ হাজার ২৯০, জ্যাকেট ও ব্লেজার ২ হাজার ৯৯০ টাকায়।

শীতের পোশাকের ক্ষেত্রে নতুনত্ব এলেও এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ওপর, যে আপনি কীভাবে নিজেকে দেখতে চাচ্ছেন। ফ্যাশনকে আপনি কীভাবে দেখছেন- এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পছন্দের শীতের কাপড়টিই তাহলে হয়ে যেতে পারে আপনার কাছে নতুন ফ্যাশন। আর ফ্যাশনটি নিজের ভেতর ধারণের ক্ষেত্রে দেখুন তাতে আপনাকে কেমন লাগছে। মনে রাখবেন, যা আপানকে মানাচ্ছে, তাই আপনার কাছে ফ্যাশন।

 

খুব সহজে তৈরি করে ফেলুন মজাদার মালপোয়া পিঠা

পিঠা খেতে কে না পছন্দ করে। আর শীতকালে পিঠার কদর একটু বেশিই বলা চলে। আমরা কম-বেশি অনেক পিঠার সাথেই পরিচিত। জনপ্রিয় অনেক ধরনের পিঠার মাঝে একটি হল মালপোয়া পিঠা। ঝটপট অল্প সময়ে তৈরি করা যায় এই মজাদার পিঠাটি। কীভাবে তৈরি করবেন? আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এর সহজ রেসিপিটি।

উপকরণ :

১/২ লিটার দুধ

১ কাপ চিনি

১ কাপ পানি

১ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো

জাফরান

১/২ কাপ ময়দা

১/২ কাপ দুধ

১ টেবিল চা চামচ চিনির গুঁড়ো

১ টেবিল চামচ ঘি

১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা

প্রণালী :

১। প্রথমে একটি প্যানে এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে  আধা লিটারে নিয়ে আসুন। ফুটন্ত দুধ আধা লিটার হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন।

২। আরেকটি পাত্রে সিরা তৈরির জন্য চিনি এবং পানি একসাথে জ্বাল দিন। সিরা ঘন হয়ে এলে চুলা নিভিয়ে ফেলুন।

৩। চিনির সিরার উপরে জাফরান এবং এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন।

৪। এরপর ঘন দুধের সাথে ময়দা ভাল করে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশাবেন যেন ময়দা দানা দানা না থাকে।

৫। দুধ এবং ময়দার মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে তাতে তরল দুধ ভাল করে মিশিয়ে নিন। পরে চিনির গুঁড়ো দিয়ে আবার মিশিয়ে নিন। এর সাথে বেকিং পাউডার ভাল করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি যেন খুব বেশি ঘন না হয়।

৬। প্যান গরম হয়ে আসলে এতে ঘি দিয়ে দিন।

৭। এবার গরম তেলে মিশ্রণটি ছোট ছোট পিঠা আকারে ছেড়ে দিন।

৮। পিঠাগুলো ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে চিনির সিরায় কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।

৯। সবশেষে চিনির সিরা থেকে নামিয়ে মালপোয়া পিঠাগুলোর উপরে বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

 

শিঙ্গায় ফুৎকারের সময় সৃষ্টির অবস্থা

কিয়ামত বা মহাপ্রলয় ঘটাতে আল্লাহ তাআলা হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালামকে শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত করে রেখেছেন। তিনি যেদিন আল্লাহর হুকুমে শিঙ্গায় ফুৎকার দিবেন, সেদিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় মানুষের অবস্থা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ; যা আল্লাহ তাআলা কুরআন এবং হাদিসে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।

হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় শিঙ্গার মালিক (হজরত ইসরাফিল)-এর দৃষ্টি আরশের দিকে; যেদিন থেকে তাঁকে এ কাজের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে; সেদিন থেকে তিনি অনবরত আরশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। এ ভয়ে যে, তাঁকে নির্দেশ করা হবে তাঁর দৃষ্টি নিক্ষেপের পূর্বেই। আর তাঁর চোখ দুটি যেন উজ্জ্বল দুটি তারকার মতো।’ (মুসতাদরেকে হাকিম)

আল্লাহ তাআলা হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালামকে শিঙ্গায় প্রথম ফুৎকার দেয়ার জন্য নির্দেশ করবেন। আর সেই প্রথম ফুৎকারটি হবে সৃষ্টিকুলকে বেহুঁশ করার জন্য। প্রথম ফুৎকারের ফলে আকাশ এবং পৃথিবীতে যারা থাকবে, আল্লাহ ব্যতীত সব সৃষ্টিই বেহুঁশ হয়ে পড়বে অর্থাৎ সবাই মৃত্যুমুখে পতিত হবে।

শিঙ্গায় ফুৎকার সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, ফলে আকাশ ও পৃথিবীতে যারা আছে সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে, তবে যাদেরকে আল্লাহ তাআলা রক্ষা করতে ইচ্ছা করবেন তারা নয়।’(সুরা যুমার : আয়াত ৬৮)

কিয়ামতের দিন দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুৎকারের মুহূর্তটিও হবে অত্যন্ত ভয়ংকর। সে সময় একজন অপরজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার জন্য হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালামকে নির্দেশ দিবেন। আর এটি হবে পুনরুত্থানের ফুৎকার। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আবার শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, তখন ওরা (সব সৃষ্টি) দণ্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৬৮)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা সে দিনের ভয়াবহতার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ‘অতএব আপনি তাদের থেকে মখু ফিরিয়ে নিন। যেদিন আহ্বানকারী আহ্বান করবে এক অপ্রিয় পরিণামের দিকে; তারা তখন অবনমিত চোখে কবর থেকে বের হবে বিক্ষিপ্ত পঙ্গপালের ন্যায়। তারা আহ্বানকারীর দিকে দৌড়াতে থাকবে। অবিশ্বাসীরা (কাফেররা) বলবে, এটা কঠিন দিন।’ (সুরা কামার : আয়াত ৬-৮)

শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার পর মানুষ দলে দলে জমায়েত হতে থাকবে। তাদের সবাই ভয় ও চিন্তা মধ্যে নিমজ্জিত থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে। অতঃপর আল্লাহ যাদেরকে ইচ্ছা করবেন, তারা ব্যতীত নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যারা আছে, তারা সবাই ভীতবিহবল হয়ে পড়বে এবং সবাই তাঁর কাছে আসবে বিনিত অবস্থায়।’

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কিয়ামতের সময় উপস্থিত হওয়ার আগে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন-যাপন করার তাওফিক দান করুন। কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সময়ের যাবতীয় ভয়াবহতা থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

 

বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রী যে দোয়া করবেন

বিয়ের পরপর স্বামী তার স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে দোয়া করবে। আর মুসতাহাব হলো স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দু’রাকাআত নামাজ আদায় করবে। নামাজ আদায়ের পর স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের জন্য দোয়া করবে। বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন। স্বামী ও স্ত্রীর একসঙ্গে নামাজের পর হাদিসে একটি দোয়া রয়েছে, যা তুলে ধরা হলো-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত যে, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন মহিলা তার স্বামীর কাছে আসবে, তখন স্বামী দাঁড়াবে এবং তার পেছনে তার স্ত্রীও দাঁড়াবে এবং উভয়ে দু’রাকাআত নামাজ পড়বে। অতঃপর বলবে (দোয়া করবে)-

Doa-Inner

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লি ফি আহলি, ওয়া বারিক লিআহলি ফি; আল্লাহুম্মার্‌যুক্বহুম মিন্নি, ওয়ারযুক্বনি মিনহুম; আল্লাহুম্মাঝ্‌মাআ’ বাইনানা মা ঝামাআ’তা ফি খাইরিন; ওয়া ফার্‌রিক্ব বাইনানা ইজা ফারাক্বতা ফি খাইরিন।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার পরিবারে আমার স্বার্থে বরকত দিন এবং আমার মাঝে পরিবারের স্বার্থে বরকত দিন। হে আল্লাহ! তাদের আমার পক্ষ থেকে রিজিক দান করুন এবং আমাকে তাদের পক্ষ থেকে রিজিক দান করুন। হে আল্লাহ! যে কল্যাণ আপনি জমা করেছেন, তা আপনি আমাদের মাঝে জমা করুন। আর যদি আপনি কল্যাণকে পৃথক করেন, তাহলে আমাদের মাঝে পৃথক করুন।’ (তাবারানি)।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নববিবাহিত নারী-পুরুষকেই বাসর রাতে দু’রাকাআত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে এ দোয়ার মাধ্যমে সুখী জীবন কামনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

ব্লাউজে বৈচিত্র্য

শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে কয়েকগুণ। আর বর্তমান সময়ে শাড়ি তরুণীদেরও পছন্দের তালিকায়। তবে এই শাড়ির সঙ্গে যদি মানানসই ব্লাউজ না হয়, তবে সেই সাজের মানেই হয় না। আর এই ব্লাউজেও আছে নানা ধরন। বাহারি নামের আর বাহারি কাটিংয়ের ব্লাউজে নারীকে মানিয়ে যায় দারুণভাবে। চলুন জেনে নেই ফ্যাশনেবল সেসব ব্লাউজ সম্পর্কে।

স্টোন ওয়ার্ক করা ব্লাউজ
পাথরের কাজ করা ব্লাউজ অনেক দিন ধরেই জনপ্রিয় নারীদের কাছে। বোট কলার দিয়ে ব্লাউজ তৈরি করে পেছনের পুরোটা ঢেকে দিতে হবে নেট দিয়ে। স্টোনের কাজটা থাকবে সেই নেটে। স্টোন বসানো নেট এখন বাজারে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। ব্লাউজের পেছন দিকটা তাই কাপড় দিয়ে তৈরি করলে দারুণ লাগবে।

গলায় ফ্রিল দেয়া ব্লাউজ
যেকোনো ধরনের গলার ডিজাইনে পাতলা কাপড় দিয়ে ফ্রিল দেয়া ব্লাউজ এবারের নতুন ফ্যাশন। কমবয়সী মেয়েদের জন্য মানানসই হবে এই ব্লাউজ। ব্লাউজ হবে স্লিভ লেস কিংবা ফুল স্লিভ। ছোট হাতার ব্লাউজে ফ্রিল ভালো লাগবে না।

ঘটি হাতা গ্ল্যাডিয়েটর ব্লাউজ
তরুণীদের মানাবে ছোট ঘটি হাতা দিয়ে পেছনে ক্রিসক্রস ফিতার ডিজাইন দেয়া ব্লাউজ।

ভারি কাজ করা ফুল হাতা ব্লাউজ
গত দু’বছর ধরেই চলছে ভারি কাজ করা হাই নেক ব্লাউজ। এবার হাই নেকে বদলে দেখা যাবে বড় গলার ফুল হাতা ব্লাউজ, সঙ্গে ভারি কাজ তো থাকবেই।

একপাশে এমব্রয়ডারি ও পেছনে বাঁধা
এবার বছরজুড়েই থাকবে এমব্রয়ডারি ব্লাউজের ফ্যাশন। একপাশে এমব্রয়ডারিটাও চলবে খুব। একইসঙ্গে আশির দশকের পেছনে বাঁধা ব্লাউজগুলোও এবার ফ্যাশনে ফিরে আসতে যাচ্ছে।

 

ঝটপট কিমা-পটেটো চপ

বিকেলের নাস্তায় চপ কিংবা কাটলেট হলে আর কী চাই!। চপের মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায়ে যে চপটি তৈরি করা যায় সেটি হচ্ছে আলুর চপ। আলুর চপের একঘেয়ামি দূর করতে সাথে যোগ করতে পারেন মাংসের কিমা। আর তাতেই তৈরি হবে মজার স্বাদের কিমা-পটেটো চপ। চলুন জেনে নিই-

উপকরণ : গরুর মাংস কিমা করা ১ কাপ, আলু আধা কেজি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, বিট লবণ ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াসস ১ চা চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, আদা-রসুন বাটা সিকি চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ও পুদিনাপাতা, কুচি পছন্দমতো, ডিম ১টা ফেটানো, টোস্টের গুঁড়া ২ কাপ, তেল পরিমাণ মতো।

প্রণালি : আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে গরম অবস্থায় চটকে নিতে হবে। তাতে বেরেস্তা, গোলমরিচের গুঁড়া, পরিমাণমত লবণ, সামান্য বিট লবণ দিয়ে মাখিয়ে ৮-১০ ভাগ করে রাখতে হবে। মাংসের কিমা, সয়াসস, গরম মসলার গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা ও সামান্য লবণ দিয়ে অল্প পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে এবং সামান্য তেলে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি ও পুদিনাপাতা দিয়ে ভেজে নিতে হবে। আলুর মধ্যে কিমার পুর ভরে পছন্দমতো চপের আকার করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ও টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিয়ে ডুবো তেলে চপগুলো বাদামি রঙ করে ভেজে নিন।

 

বেলকনিতে শখের বাগান

কথায় আছে শখের তোলা হাজার টাকা। তাই তো ইটপাথরের এই ছোট্ট বাসায় থেকেও মানুষ চায় এক টুকরো বাগান করতে। আজকাল আমরা যে বাড়িগুলোতে বাস করি তাতে উঠান থাকা আকাশ-কুসুম কল্পনা মাত্র। একটা সময় ছিল যখন বাড়িজুড়ে থাকতো বিশাল উঠান। ছেলেমেয়েদের ছোটাছুটির সঙ্গে সঙ্গে দেখা মিলতো হাজার ধরনের গাছের। পাতা বাহারের সমাহার, কোনোটি গোলাপের চারা আবার কোনোটি বেলিফুল, কোনোটি গন্ধরাজ। আমগাছ, জামগাছ, কাঁঠাল, কলা কী থাকতো না সেই বাগানে। সেই সময়ের বাগান হারিয়ে গেলেও এখনো আছে মানুষের মনে সেই ইচ্ছা। তাই তো এখনো বাড়ির বেলকনিতে মানুষ অল্প পরিসরে গড়ে তোলেন শখের বাগান!

বেলকনিতে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই দরকার পড়ে টবের। মাটির টব আপনার আশপাশের নার্সারিতে পেয়ে যাবেন খুব সহজে। বেলকনিতে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে পাতা বাহার। মাটি আর পর্যাপ্ত পানি হলেই আপনার গাছ খুব অল্প সময়ের মধ্যে বেড়ে উঠবে। এছাড়া আপনি ছোট ছোট টবে লাগাতে পারেন অর্কিড। শৌখিন মানুষেরা প্রায়শই তাদের বেলকনির শখের বাগানে অর্কিড রোপণ করে থাকেন। অর্কিড রোপণ করতে পুরো গাছ না হলেও চলবে। গাছের কাণ্ড হলেও আপনি লাগাতে পারবেন। টবে মাটির সঙ্গে নারিকেলের ছোবরা, ছোট কনি পাথর আর ইটের মিশ্রণের মাধ্যমে রোপণ করা হয় অর্কিড।

একটি জায়গা বেশি হলে আপনি আপনার শখের বাগানে রাখতে পারেন ড্রাম। যাতে প্রচুর মাটি দিয়ে আপনি বনসাই আম, কাঁঠাল গাছ লাগাতে পারেন। তার সঙ্গে বনসাই ছাড়াও লেবু গাছ, মরিচ গাছ লাগানো যেতে পারে। ফুলের ক্ষেত্রে গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, গোলাপের গাছ লাগাতে পারেন আপনার শখের বাগানে। এসব গাছের মাটি একটি সময় পরপর পরিবর্তন করে দিতে হয়। সপ্তাহে কিংবা মাসে তিনবার অন্তর অন্তর নিড়ানি দিতে হয় মাটিতে। তার সঙ্গে সঙ্গে গাছের গোড়ায় দিতে হয় গোবর। এই সার গাছকে দ্রুত বেড়ে তুলতে সাহায্য করে।

গাছ আমাদের বন্ধু। এটি আমাদের যেমন অক্সিজেন দেয় তেমনি কার্বনডাইঅক্সাইড টেনে নেয়। এটি আমাদের দেয় সবুজ পরিবেশ, যা বায়ুমণ্ডলকে রাখে শান্ত। তাই একটি হলেও গাছ লাগান। এবং পরিবেশকে রাখুন সুস্থ, সুন্দর আর নির্মল।

 

ফেসবুক সেলিব্রেটি হতে চান না অন্তরা

অন্তরার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে যখন প্রথমে কথা হলো তখন তিনি ছিলেন রাস্তায়, শ্যুটিং সেরে বাসায় ফিরছিলেন। মুঠোফোনের ওপাশ থেকে বললেন, ‘ভাইয়া, জ্যামে আটকে পড়েছি। ফ্রি হয়ে কথা বলছি।’ ঘণ্টাখানেক পরে তিনি নিজেই ফোন করলেন।

অন্তরা প্রথমেই জানালেন তার ব্যস্ততার কথা। ক’দিন আগে তিনি নেপাল থেকে অনিরুদ্ধ রাসেলের পরিচালনায় ‘টাইম’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটকের শ্যুটিং করে এসেছেন। দৃকের পরিবেশনায় নাটকটি চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হচ্ছে।

নেপালে টানা কুড়ি দিন ছিলেন অন্তরা। আরো ছিলেন ছোটপর্দার ১৫ জন শিল্পী। শুটিংয়ের ফাঁকে অন্তরা নেপালের কাঠমান্ডু শহরটা ঘুরে দেখেছেন, সিনেমা দেখেছেন। তার মতে, এই ট্যুরটা ছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো! মানে শ্যুটিং হলো, আবার ঘোরাঘুরিও। বেশ উপভোগ্য ছিল সময়গুলো।’

বর্তমানে অন্তরা কাজ করছেন আরো কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে। এর মধ্যে রয়েছে এশিয়ান টিভিতে মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘ব্যাকবেঞ্চারস’, দেশটিভিতে আর বি প্রীতিমের ‘কমিউনিটি’, আরটিভিতে শ্রাবণী ফেরদৌসের ক্রাইম ফিকশন ‘অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য’ ইত্যাদি।

এ তো গেলো নাটক, বিজ্ঞাপনের খবরা-খবর আছে? অন্তরা বললেন, ‘আমি আসলে খুব বেশি বিজ্ঞাপনে কাজ করিনি। তবে হ্যাঁ, ক’দিন আগে আরএফএল গ্যাসের চুলার একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। যেটি ভাইরাল ক্যাম্পেইন হবে। পুরান ঢাকার আবহে, চমৎকার কনসেপ্টে বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন মাসুদ জাকারিয়া সাবিন।’

ontora

এদিকে, গত ঈদে অন্তরা-অভিনীত সাতটি নাটক প্রচার হয়েছে। এর মধ্যে কাজল আরেফিন অমির ‘ভিডিও’ এবং ‘ট্যাটু’ নামের দুটি নাটকে কাজ করে প্রচুর রেসপন্স পেয়েছেন বলে জানালেন। বললেন, ‘নাটক দুটিতে আমার উপস্থিতি ছিল একেবারেই অন্যরকম। এর মধ্যে ‘ট্যাটু’ নাটকে অভিনেতা নিশো ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ডের চরিত্রটি দিয়ে প্রশংসা পেয়েছি। আমার ভীষণ ইচ্ছে আগামীতে এ ধরনের ব্যতিক্রমী সব গল্প এবং চরিত্রের নাটকে অভিনয় করবো।’

রুপালি পর্দাতেও কাজের ইচ্ছে আছে অন্তরার। তবে সেটা তিনটি ভালোকে সঙ্গে নিয়ে। ভালো গল্প, ভালো চরিত্র এবং ভালো নির্মাতা। যদি এই তিনটি ব্যাটে-বলে টাইমিং হয়, তবে ফুলটাস কিংবা হাফবলি যাই হোক না কেন রুপালি পর্দায় ছক্কা হাঁকাতে চান তিনি।

অন্তরার ভাষ্য, ‘এখন তো আমাদের ফিল্ম ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। নতুন নির্মাতারা আসছেন। আরো কিছুদিন সময় নিয়ে চলচ্চিত্রে কাজের জন্য মনোযোগী হবো।’

বর্তমানে রাজধানীর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তরা। তার পুরো নাম অন্তরা আজিম হলেও বন্ধুমহল এবং মিডিয়ায় অন্তরা নামেই পরিচিত। জন্ম, শৈশব, কৈশোর- পুরোটাই কেটেছে ঢাকাতে। ছোটবেলা থেকে তিনি টুকটাক গান করতেন। তবে আগের মতো আর গানে সময় দিতে পারেন না।’

সদালাপি আর মিশুক প্রকৃতির মেয়ে অন্তরা সবসময় আড্ডা দিতে এবং এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন। আর পাঁচটা মেয়ের মতো খুব বেশি সাজগোজের প্রতি ঝোঁক নেই অন্তরার। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন অভিনয়ে মনোযোগী তিনি।

অন্তরা বলেন, ‘ছোটবেলা তো দূরের কথা সাত বছর আগেও ভাবিনি আমি মিডিয়ায় কাজ করবো, অভিনেত্রী হবো। ২০১১ সালে শখের বশে একটি ফ্যাশন হাউসে স্বাধীনতা দিবসের পোশাক কালেকশনের ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলাম। সেটি প্রকাশ হয়েছিল অনেক বিলবোর্ড, পত্র-পত্রিকায়। তারপর টুকটাক পত্রিকার ফটোশুটে অংশ নিতাম। এসব শখের বশেই করতাম।’

ontora

এরপর ২০১৩ সালে নির্মাতা আদনান আল রাজীবের নির্দেশনায় ‘মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট’ টেলিফিল্মে প্রথম অভিনয় করি। তারপর আস্তে আস্তে অনেক নাটকে কাজ করেছি।

আরো বলেন, ‘প্রতিনিয়ত নতুন করে নিজেকে অবিষ্কার করছি। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে অভিনেত্রী নওশীন আপুকে। তার অভিনয় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাছাড়া আমার পরিবার থেকে আমার মা আমাকে অভিনয়ের ব্যাপারে অনেক উৎসাহ দেন। তিনি আমার কাজের ভালো-মন্দ সমালোচনা করেন।’

যোগ করে অন্তরা বলেন, ‘আগে অভিনয় করতাম একেবারেই শখের বশে। ভালো লাগতো কাজ করতে, এখন আরো বেশি করে। তবে ইদানীং কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ বেড়ে যাচ্ছে, আর অভিনয়টা নিয়ে প্রফেশনালি ভাবছি। আমি ফেসবুক সেলিব্রেটি হতে চাই না। সুবর্ণা মুস্তাফা, বিপাশা, তারিন আপুরা তো ফেসবুক দিয়ে আজকের অবস্থানে আসেননি। তারা এসেছেন তাদের অভিনয় দিয়ে। আমিও আগামীতে পেশাদার অভিনেত্রী হয়ে মিডিয়ায়ই থিতু হতে চাই। সবার অন্তরে ঠাঁই পেতে চাই।’

অন্তরা তার অন্তর থেকে চান অভিনয়ের আঙিনায় নিজের নামটি অম্লান করে রাখতে। সেই লক্ষ্য নিয়েই পথ চলছেন তিনি। কোনো তাড়াহুড়া নেই। তিনি বিশ্বাস করেন, পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি।

 

রিযিক বৃদ্ধির কুরআনি আমল

কুরআন মানুষের জীবন পরিচালনার গাইড। আল্লাহ তাআলা মানুষ এবং জিন জাতিকে পৃথিবীতে তাঁর ইবাদাত-বন্দেগি করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন। এ জীবন পরিচালনার জন্য তিনি গাইডস্বরূপ কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন।

কুরআনে মানুষের সব সমাধান রয়েছে। কুরআনের বিধান পালনের সঙ্গে সঙ্গে কুরআনি আমল করাও মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ইবাদাত কবুলের পূর্বশর্তই হলো হালাল জীবিকা উপার্জন করা। তাই হালাল রিযিক লাভের কুরআনি আমল তুলে ধরা হলো-

Doa

উচ্চারণ : আল্লাহু লাতিফুম্ বি-ই’বাদিহি ইয়ারযুকু মাইঁয়্যাশায়ু, ওয়া হুয়াল কাওইয়্যুল আজিজ।

অর্থ : আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিযিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। (সুরা শুরা : আয়াত ১৯)।

আমল
প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে, একনিষ্ঠতার সঙ্গে ৭০ বার এ আয়াত পড়া। যে বা যারা নিয়মিত এ আমল করবে; আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে রিযিকের সংকট থেকে মুক্তি দান করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর বিধি-বিধান পালনের সঙ্গে সঙ্গে কুরআনের উল্লিখিত আয়াতে আমলটি নিয়মিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সহজেই তৈরি করুন চিকেন বল স্যুপ

শীত পড়তে শুরু করেছে। জমিয়ে স্যুপ খাওয়ার এইতো সময়। রেস্টুরেন্টে গিয়ে স্যুপ তো খাওয়া হয়ই, চাইলে সুস্বাদু সব স্যুপ তৈরি করতে পারেন ঘরেও। আজ থাকলো মজাদার চিকেন বল স্যুপ তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : স্যুপ পাউডার এক প্যাকেট, মুরগির মাংস বাটা এক কাপ, মুরগির স্টক চার কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া দুই চা-চামচ, আদা-রসুন বাটা আধা চা-চামচ, কাঁচামরিচ বাটা তিন/চারটি, কাঁচামরিচ ফালি তিন/চারটি, থাই বা লেমন গ্রাস দুই/তিন টুকরা, লাল-সবুজ-হলুদ ক্যাপসিকাম কিউব আধাকাপ, গাজার-পেঁয়াজকলি কুচি দুই টেবিল চামচ, টেস্টিং সল্ট সামান্য, কর্নফ্লাওয়ার দুই টেবিল চামচ, মাখন বা ঘি দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : একটি পাত্রে মাংস বাটা আদা-রসুন এক চা-চামচ, গোলমরিচ কাঁচামরিচ বাটা, লবণ, কর্নফ্লাওয়ার সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে মেখে ছোট ছোট বল বানিয়ে মাখন বা ঘিয়ে হাল্কা ভেজে নিন। হাঁড়িতে স্টক, স্যুপ পাউডার, লেমন গ্রাস, কাঁচামরিচ, টেস্টিং সল্ট ও লবণ দিয়ে মৃদু আঁচে জ্বাল দিন। পানি ফুটে এলে বল, ক্যাপসিকাম, গাজর, পেঁয়াজকলি দিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করুন। এবার ডিম ফেটে অল্প অল্প করে দিয়ে ক্রমাগতভাবে নাড়তে থাকুন। দুই মিনিট পর গোলমরিচ গুঁড়া ছিটিয়ে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারাটাই ফ্যাশন : মারিয়া নূর

খেলা নিয়ে ছেলেবেলা থেকেই ছিল প্রবল আগ্রহ তার। তখন থেকেই চাইতেন খেলা নিয়ে কাজ করতে। তার সাথে সাথে তার স্বপ্ন ছিল মিডিয়া এবং ফ্যাশনকে ঘিরে। বলছিলাম মডেল, রেডিও-জকি, উপস্থাপক মারিয়া নূরের কথা। মিডিয়া জীবনের শুরুতে তিনি কাজ করেছেন বিটিভিতে শিশুতোষ একটি অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে। এর পরেই তিনি যাত্রা শুরু করেন রেডিও জকি হিসেবে এবিসি রেডিওতে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হাসিমুখের এই তরুণী শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেয়। তিনি রেডিও জকি হিসেবে কাজ করেছেন ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত। এরপরে তিনি কাজ শুরু করেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর- এর একটি লাইফস্টাইল রিলেটেড অনুষ্ঠানে। তিনি একাধারে ভিডিও জকিও ছিলেন। এসবের পাশাপাশি তিনি প্রচুর মডেলিং এবং টিভিসিতে কাজ করেছেন। মারিয়া নূর একজন ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তি। তার কাছে ফ্যাশন মানে কী এবং তিনি কীভাবে তার লাইফস্টাইল মেইন্টেইন করেন তা নিয়ে তিনি কথা বলেন , সঙ্গে ছিলেন ফারিন সুমাইয়া।

মারিয়া নূরের প্রতিটিদিন কাটে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। খুব অল্প সময় পান অবসরের জন্য কিংবা ছুটি কাটানোর জন্য। কাজের চাপ বেশি থাকলে কখনো কখনো দুই বা তিন ঘণ্টা পান ঘুমের জন্য। কাজের খাতিরে কখনো ভোর চারটায়ও ঘুম থেকে উঠতে হয় আবার কখনো বা ঘুমাতে হয় তিনটা থেকে চারটায়! অবশ্য ছুটির দিনে এর চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। ছুটির দিন ঘুমিয়ে কাটাতেই পছন্দ করেন এই শোবিজ তারকা। তবে অবসর সময় কাটে কিছুটা ভিন্নভাবে। অবসরে লম্বা ছুটি পেলে তিনি ঘুরতে চলে যান। ঘুরতে যাওয়া তার পছন্দের তালিকায় অন্যতম। এছাড়া তিনি রান্না করতে ভালোবাসেন এবং সারাসপ্তাহের জমে থাকা নাটক কিংবা সিনেমা অবসরেই দেখে নেন।

রূপচর্চার বিষয়ে তার কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন রূপচর্চা বলতে আমার কাছে ফ্রেশ থাকা। তিনি ভারী মেকআপ করেন না এবং সারাদিনে যেটুকু মেকআপ করেন তা যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি তুলে ফেলার চেষ্টা করেন। শরীর চর্চার ক্ষেত্রে তিনি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করেন। তিনি ভাত সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। তার সাথে সাথে কোমল পানিয় এবং কার্বোহাইড্রেট আছে এমন খাবার তিনি এড়িয়ে চলেন। তার পছন্দের খাবার পেরিপেরি চিকেন। আর পছন্দ ঝাল জাতীয় খাবার।

সকালের নাস্তায় মারিয়া নূর খেয়ে থাকেন ব্রাউন ব্রেড, চিকেন সালসা আর সবজি। দুপুরে ফ্রুট আর রাতে হালকা কিছু খাবার। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে পরে তিনি অল্প অল্প করে কিছু না কিছু খেয়ে থাকেন।

পোশাকের ক্ষেত্রে তার পছন্দ ওয়েস্টার্ন পোশাক। ভারী কাজের পোশাক তার পছন্দ না। এক্সেসরিজ হিসেবে পছন্দ সানগ্লাস আর ঘড়ি। সানগ্লাসের ক্ষেত্রে মারিয়া নূরের পছন্দের ব্র্যান্ড আরমানি আর ঘড়ির ক্ষেত্রে গুচি এবং ওবাকু। তার পছন্দের গায়ক অর্ণব, আর গায়িকা কণা এবং লানা ডেল। মারিয়ে নূরের পছন্দের লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং প্রিয় ব্যক্তি তার মা ।

মারিয়া নূরের কাছে ফ্যাশন মানে কী তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ না করে যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। যা আপনি ক্যারি করতে পারেন তাই আমার কাছে ফ্যাশন।

 

নারী উদ্যোক্তাদের সুষ্ঠু ব্যাংকিং সহায়তা দেওয়ার আহ্বান

নারী উদ্যোক্তারা যেন সহজে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পান, সে জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। নারী উদ্যোক্তাদের ওপর আইএফসি-এর এক গবেষণা রিপোর্ট দেখা গেছে, বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন প্রায় ১০ হাজার কোটি ঋণ। কিন্তু তাদের সরবরাহ করা হচ্ছে, মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক হোটেলে নারী উদ্যোক্তাদের ওপর আইএফসির রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

রিপোর্টে বলা হয়, ব্যাংকিং খাত এখন পর্যন্ত নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কিন্তু এ উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ সরবরাহ করলে তারা ব্যাংকিং খাতের জন্য বিশাল সম্ভাবনা বয়ে আনবে।

বাংলাদেশের মোট ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মধ্যে ২.৩ শতাংশের মালিক নারী এবং এই উদ্যোক্তারা গড়ে তাদের আয়ের ৯০ শতাংশ পরিবারের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষার পেছনে ব্যয় করে।
৫০০ নারী উদ্যোক্তার ওপর জরিপ চালিয়ে এক বছর গবেষণা করে এ রিপোর্টটি প্রস্তুত করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নারী উদ্যোক্তারা এগুতে চায় কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় বাধা অর্থায়ন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, ‘একুশ শতকে নারী উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে সমৃদ্ধশালী হওয়া যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আইএফসি-এর রিপোর্টটি নারী উদ্যোক্তাদের কিভাবে আরও বেশি করে ঋণ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে ব্যাংকগুলো।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে বেনো লাঘামে ও আইএফসি-এর বাংলাদেশ প্রধান ওয়েন্ডি ওয়ার্নার।

 

সাপ্তাহিক ছুটিতে বিশ্বভ্রমণকারী এক নারীর গল্প

নতুন নতুন দেশ ঘুরে বেড়ানোটা কারোর কাছে শখ, কারোর কাছে বিলাসিতা আবার কারোর কাছে নেশা! অনেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে তৈরি হয়ে যান। আবার এমন মানুষও আছেন ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে ছুটি, সময়, খরচের একশ একটা বাহানা তৈরি করেন। আসলেই কী ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক বেশি টাকা এবং সময়ের প্রয়োজন?  আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে আপনার ধারণা পরিবর্তন করে দেবে ইলোনা কারাফিন।

ইলোনা কারাফিন মাত্র ২৩ বছর বয়সে ঘুরে বেড়িয়েছেন ১০টিরও বেশি দেশে! সপ্তাহিক ছুটিতে তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে। মাত্র ১০ বছর বয়সে বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হোন। দুই বছর চিকিৎসা করার পর বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ। কিন্তু এই ক্যান্সার তার চিন্তা চেতনাকে ব্যাপক পরিবর্তন করেছে।

“ আমার যখন ১০ বছর বয়স তখন ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর তখন আমি উপলব্ধি করতে পারি আমার সমবয়সী কিংবা আমার থেকে বড় সবাই এমন কাজ করছে যার মধ্যে তাদের কোন আগ্রহ নেই”।

“আমি আমার যৌবন নষ্ট করতে চাই না, আমি চাই না অন্যরা তাদের যৌবন নষ্ট করুক, শুধুমাত্র টাকা অথবা সময় অভাবের কারণে”।

তাই ইলোনা প্রতি সপ্তাহের ছুটিতে ঘুরতে চলে যান নিউ ইয়র্কের কাছের কোন দেশে। তা হতে পারে বালি কিংবা পোল্যান্ড বা প্যারিস, পতুগার্ল নয়তো নতুন কোন দেশ। কখনও তিনদিন আবার কখনও দুইদিন হয়ে থাকে ভ্রমণের স্থায়িত্ব। খাওয়া, থাকা, যাতায়াত সব মিলে তার ১০০০ ডলারের থেকেও কম খরচ হয়। সময় কম থাকলে ঘুরে আসে নিউ ইয়র্ক শহরের আশেপাশে কোন জায়গা।

ইলোনে মনে করেন “ আপনার সময় আছে, সেই সময়টি বের করুন। এমনকি সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষটিরও সময় আছে, শুধু সেটি খুঁজে বের করতে হবে। আর সেই সময়টি আমি বের করে নিয়েছি”।

ইলোনে একটি ই-কমার্স কোম্পানিতে আর্থিক বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করছেন। এর পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সাহায্য করার জন্য checkmatecancer.org নামক একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।

ভ্রমণ বিষয়ক ব্লগ ইলোনা দ্যা এক্সপোলারে তিনি কিছু টিপস দিয়েছেন। তার মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো।

১। ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে নমনীয় হতে হবে। এরজন্য অনেক কিছু ছাড় দেওয়া প্রয়োজন পড়তে পারে। সেটিকে সহজভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে।

২। যেখানে ঘুরতে যাবেন, তার সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে নিবেন। আর এই কাজটি করতে সাহায্য করবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট।

৩। ট্রাভেলিং সাইটগুলো ব্রাউজ করার আগে আপনার ব্রাউজারের কুকিস সরিয়ে নিন। অনেক সাইট আপনার কুকিস ব্যবহার করে আপনাকে মনে রাখে।

৪। ভ্রমণে যাওয়ার আগে অব্যশই একটি আর্থিক বাজেট পরিকল্পনা করে নিবেন। সেখানে খাওয়া থেকে শুরু করে শপিং পর্যন্ত সবকিছু তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রাখুন।

৫। সম্পূর্ণ ভ্রমণটি নিয়ে একটি পরিকল্পনা করে নিন। যেমন প্রথম দিন কোথায় যাবেন, দ্বিতীয় দিন কোথায় যাবেন ইত্যাদি। এটি প্ল্যান এ, প্ল্যান বি নাম দিয়ে রাখতে  পারেন।

৬। অনলাইনে হোটেল বুকিং দেওয়ার আগে ভালো করে খোঁজ খবর নিয়ে তারপর বুকিং করার পরামর্শ দেন ইলোনা।

 

পার্লার বাড়ায় স্ট্রোকের ঝুঁকি?

মাসে না হলেও বছরে বেশ কয়েকবার বিউটি পার্লারে ঘুরে আসা খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা হয়ে গিয়েছে এখন আমাদের দেশের নারীদের কাছে। হয়তো তাদের ভেতরে পড়ে যান আপনিও! কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার এই বিউটি পার্লারে যাতায়াতই হতে পারে আপনার শরীরের জন্য বেশ অসুস্থতার কারণ? ভাবছেন তেমন আর কি হবে সামান্য বিউটি পার্লারে গেলে! এই নাহয় খানিকটা ঘাড়ব্যথা, একটু কোমর লেগে যাওয়ার মতন ব্যাপার- এই তো? আপনারা যারা এটা ভাবছেন আর বিউটি পার্লারে নিয়মিত ঘুরে আসছেন তাদেরকেই বলছি- না, কেবল এই ছোটখাটো ব্যাপারই নয়, বিউটি পার্লার আপনার শরীরের জন্যে এনে দিতে পারে স্ট্রোকের মতন ভয়াবহ অসুস্থতাও!

ভাবছেন কী করে? চলুন তাহলে শুনি আসি এক ভুক্তভোগীর কথা। পার্লারে গিয়ে চুলের পরিচর্যার জন্যে শ্যাম্পু করাটা প্রথমেই দরকার পরে। আর সেবার আর সব সময়ের মতনই পার্লারে গিয়ে নিজের চুলের শ্যাম্পু করান স্যান ডিয়াগোর বাসিন্দা অ্যালিজাবেথ স্মিথ নামের একজন নারী। শ্যাম্পু করে বাসায় ফেরার কয়দিন পরেই হঠাৎ প্রচন্ড বমিসহ মাথা গরম হয়ে যাওয়া আর দূর্বলতার সম্মুখীন হন তিনি। পরবর্তীতে চিকিত্সকেরা জানান যে অ্যালিজাবেথ স্ট্রোক করেছেন!

বিশেষজ্ঞদের মতে বিউটি পার্লারে যাতায়াতকারীদের জন্যে এটা খুব সাধারণ ঘটনা। বাজফিডের তথ্যানুসারে, ঘাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধি বা উঁচু করে তোলার প্রবণতা আমাদের ঘাড়ের আর্টারিগুলোকে ভেঙ্গে বা কেটে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে আর্টারিগুলোতে অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয় এবং চাপ সৃষ্টি হয়। সেই চাপ থেকেই মাথা আক্রাণ্ত হয় আর স্ট্রোকের মতন ঘটনা ঘটে থাকে।

সবচাইতে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে এখনো অব্দি সরাসরিভাবে বিউটি পার্লারের সাথে স্ট্রোকের খুব বেশি সম্পর্ক বের করতে পারেননি বলে চিকিত্সকেরা এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না। আর সত্যি বলতে গেলে এটা খুব কম ঘটে থাকে। খুব বেশি ঘাড় বাঁকানোর ফলেই ঘটনাটি ঘটে থাকে। তাই এখনো পর্যন্ত ঘটনার ভয়াবহতা জানার পরেও এ ব্যাপারে চুপ করে আছেন চিকিত্সকেরা।

তাহলে কি বিউটি পার্লারে আর যাওয়া যাবে না? না, তা কেন যাবেনা! অবশ্যই যাবেন। তবে পরের বার শ্যাম্পু থেকে শুরু করে যেকোন রূপচর্চার আগে নিজের ঘাড়কে সুরক্ষিত করে নিতে ভুলবেননা। বিশেষ করে শ্যাম্পু করার সময় ঘাড়ের সাথে কার্যকরীভাবে কাজ করে এমন কোন পদ্ধতি কিংবা দরকারে একটা তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখবেন গলায় ( পপসুগার )। এতে করে হয়তো খানিকটা ভিজে যাবেন আপনি। তবে স্ট্রোকের সম্ভাবনা তো কমবে!

 

 

স্ত্রী বুদ্ধিমতি হলে বাড়বে আপনার আয়ু!

বুদ্ধিমতি আপনার সঙ্গী, কিন্তু বেশিদিন বেঁচে থাকার আশির্বাদ লাভ করলেন আপনি! কেমন হয় তাহলে? গবেষকরা কিন্তু এমন সম্ভাবনার কথাই বলছেন! সাম্প্রতিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য যে আপনার সঙ্গীর বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার আয়ু।
 
আপনি যখন আপনার হবু স্ত্রীর কথা কল্পনা করেন তখন কি থাকে আপনার প্রথম চাওয়া? নিশ্চয়ই একজন সুন্দরী রমনীকে দেখেন আপনি। দেখেন তিনি কেমন রান্না করছেন, কেমন যত্ন নিচ্ছেন আপনার এবং আপনার পরিবারের। তিনি প্রখর বুদ্ধমতি, দূর্দান্ত স্মার্ট, যে কোন সমস্যা সমাধান করে ফেলেন মূহুর্তে এটা ভাবতে হয়ত গলা শুকিয়ে আসে আপনার। আমাদের উপমাহাদেশের পুরুষেরা নারীকে তার চেয়ে এগিয়ে থাকা অবস্থায় কল্পনাই করতে পারেন না। কিন্তু এই কল্পনা এবং এর বাস্তয়ায়ণ আপনার বেঁচে থাকার সময়কে দীর্ঘ করে দেবে। কীভাবে? আসুন জেনে নিই গবেষকদের মতামত।
গবেষকরা বলছেন, যে সকল পুরুষেরা বুদ্ধিমান নারীদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন তারা কম অসুস্থতায় ভোগেন। তাদের জীবনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কমে যায়, স্ট্রেস কমে যায়। ফলে তারা কম মানসিক চাপে ভোগেন। এছাড়াও তারা Alzheimer’s বা dementia রোগে কম ভোগেন। এটা সবাই জানেন যে, বুদ্ধিদীপ্ত খেলা মানুষকে এধরণের ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, একজন বুদ্ধিমান সহধর্মিনী আপনার বুদ্ধির চর্চাকে ধরে রাখে, থেমে যেতে দেয় না। তাই তিনি আপনাকে রাখতে পারেন এধরণের ব্যাধিমুক্ত।
 
অবিশ্বাস্য হল, স্টাডিতে দেখা গেছে কিছু পুরুষ যারা উচ্চ বুদ্ধিসম্পন্ন নারীদের বিয়ে করেছেন তারা শারীরিকভাবে দূর্বল মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্যজণিত কোন সমস্যা দেখা যায় নি। তারা বরং নিজেদের মানসিক যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
 
নারীদের উচিৎ তাদের বুদ্ধি নিয়ে গর্বিত হওয়া এবং ছোটবেলা থেকেই তাদের গড়ে তোলা উচিৎ দায়িত্বশীল এবং স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে। পুরুষের উচিৎ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীকে সমমর্যাদা দেওয়া, পরিবারে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা। এভাবেই জীবন স্বাস্থ্যকর হয়, জীবনের বাড়তি অনেক প্রেশার কমে যায়। কিন্তু দূঃখজনক হল, আমরা নারীদের যোগ্যতা বলতে এখনও শুধু সৌন্দর্য্যকে বুঝি, ঘর-সংসার গুছিয়ে রাখার দক্ষতাকে বুঝি। নিজেদের প্রয়োজনেই আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর সময় এসেছে।

 

আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন ৭টি কৌশলে

যেকোন কাজে সফল হতে হলে আত্নবিশ্বাসী হওয়া প্রয়োজন। আত্নবিশ্বাস এমন একটি অদৃশ্য শক্তি যা আপনাকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাবে। একজন আত্নবিশ্বাসী মানুষ হাসিমুখে ঝুঁকি গ্রহণ করার সাহস রাখেন। আর জীবনে লক্ষ্য পৌঁছানোর জন্য ঝুঁকি গ্রহণের বিকল্প নেই। তবে অনেকেই আত্নবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেন না। কিছু কৌশল আছে যা আপনার আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

১। নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকুন

সকল নেতিবাচক বিষয় এবং মানুষ থেকে দূরে থাকুন। সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। অনেক সময় তা থাকা সম্ভব হবে না। ধৈর্য ধরুন, সময় নিন, মাথা ঠান্ডা রাখুন, বিষয়টি ভাবুন। দেখবেন নেতিবাচক একটি বিষয় থেকে ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাবেন।

২। লক্ষ্য স্থির রাখুন

নিজের সাথে অন্য কারোর তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার জীবন, অতএব আপনার জীবনের সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। অন্য কেউ তা করতে পারবে না। তাই নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন। দেখবেন সাফাল্য আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসছে।

৩। ভয়কে জয় করুন

ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই বলে ভয়ে পেয়ে লক্ষ্য থেকে সরে আসবেন না। নিজের ভয়কে খুঁজে বের করুন, সেটির মুখোমুখি হোন। আপনি যতক্ষণ না ভয়ের মুখোমুখি হবেন ততক্ষণ ভয়কে জয় করতে পারবেন না।

৪। ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া

মানুষ মাত্রই ভুল করে। আপনিও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। একবার করা ভুল দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকুন। আর এই ছোট বিষয়টি আপনার আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

৫। পরিষ্কার পোশাক পরিধান

কথিত আছে “আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী”। আসলেই পোশাক আপনার আত্নবিশ্বাসকে অনেক প্রভাবিত করে। চেষ্টা করুন পরিষ্কার এবং মার্জিত পোশাক পরিধান করার, এটি আপনার আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অন্যের চোখে আপনার ভাল একটি ভাবমূর্তি তৈরি করবে।

৬। নিজেকে জানুন

নিজের দূর্বলতাকে জানুন। ভয়কে জয় করার পূর্ব শর্ত হল ভয়ের কারণ খুঁজে বের করা। নিজের দূর্বলতাগুলোর একটি লিস্টে লিখে রাখুন। এবার একটি একটি করে দূর্বলতা থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে বের করুন। দেখবেন এক সময় আপনার দূর্বলতাই  আপনার শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ঠিক তেমনি নিজের প্রতিভাকে খুঁজে বের করুন। আপনি একবার যদি নিজের প্রতিভাকে খুঁজে বের করতে পারেন, দেখবেন আপনার আত্নবিশ্বাস অনেকখানি বেড়ে গেছে।

৭। ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জন করুন

প্রথমেই বড় লক্ষ্য নির্ধারণ না করে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। ছোট লক্ষ্যগুলোতে যখন সফল হবেন আপনার আত্নবিশ্বাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।

 

শূন্য থেকে ফারজানা আখির সফলতার গল্প

পিছিয়ে থাকার সময় অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাইতো শূন্য হাতে শুরু করে এখন সফল উদ্যোক্তা। তবে এই সফলতার পেছনে রয়েছে শ্রম ও আনন্দ সুখের অনেক কাব্য। তাদেরই একজন বুটিক হাউস ‘আখি’স’এর স্বত্বাধিকারী ফারজানা আখি। তিনি জানিয়েছেন শখ নিয়ে সময় কাটানো থেকে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প।
৯৯ সালের কথা।

মাত্র আড়াই হাজার টাকা নিয়ে আখি ঘরে বসেই নিজ হাতে হরেক ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজ সেলাই করতে লাগলেন। বাজার থেকে শাড়ি কিনে তাতে হাতের কাজ করতেন। যারা তার ক্রেতা ছিলেন পোশাক পরার পর তারা তার প্রশংসা করতেন। ক্রেতাদের প্রশংসা তার মনোবল আরো বাড়িয়ে দেয়। সময়ের সাথে অর্ডার বাড়তে থাকে। কিন্তু পুজি না থাকায় আটকে যান।

কিন্তু থেমে থাকেননি। বন্ধুদের সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে থাকেন। অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে পরিচিতি। এরই মধ্যে বাটিক ও নকশার কাজ করা সালোয়ার-কামিজ, থ্রিপিস, শাড়ি, বিছানার চাঁদর, কুশন কভার, শাল চাদরের ব্যাপক চাহিদা বাড়তে লাগল। পরিস্থিতি বলে দিল একটি দোকান ঘর নেবার। কিন্তু পুজি সংকটে ঘাবড়ে যান। সর্বশেষ দারস্থ হন ব্যাংকের। সেখানে থেকে প্রথমে মাত্র আড়াই লাখ টাকা ঋন নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি দোকান দেন। নাম দিলেন ‘আখি’স’ এরপর আর তাকে পেছন তাকাতে হয়নি।

আলাদীনের চেরাগের যাদুর মতো দ্রুত বদলে গেল সব। তার ডিজাইন করা কাপড়ের চাহিদা এমন বেড়ে গেল যে অর্ডার ডেলিভারি দিতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। আখি বলেন, অল্প দিনেই এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল ‘আখি’স’ এর পরিচিতি। তখন রাজধানীতে নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। তিনি বলেন, ‘নিজেই ব্যবসাতে বসতাম। কাঁচামাল কিনতাম। নিজেই ব্যাংক করতাম। নিজেই পাইকারি অর্ডার নিতাম। একজন নারী হয়ে দোকানে বসে ক্রেতা সামলানোর বিষয়টি তখন অনেকেই ভালো চোখে দেখেনি। কিন্তু বাবা-ভাই-বোন উৎসাহ দিতেন। এসবের মধ্যে ভাগ্য খুলে যায়। ক্রেতাদের ভালবাসায় মাথায় ব্যবসার পোকা ঢুকে যায়। মনস্থির করি, আমাকে ব্যবসায় সফল হতে হবে। সেই যুদ্ধ শুরু। এরপর প্রায় শূন্য থেকে আজকের এই অবস্থান।

তিনি জানান, ব্যবসার পাশাপাশি সংসারের দেখভাল করতে হয়েছে। ফলে অবসর বলে কিছু ছিল না। তবে ব্যবসা মেয়েদের জন্য খুব কঠিন, এমনটি কখনো মনে হয়নি। চেষ্টা থাকলে যেকোনো নারীই ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন।’ এসব কথা যখন বলছিলেন, তখন তার মুখে সাফল্যর তৃপ্তির হাসি। বললেন, ‘পরিচিত কোনো মেয়ে যখন চাকরি করার কথা বলেন, আমি তাঁদের উৎসাহ দিই ব্যবসা করো। কারণ, আমাদের একটাই লক্ষ্য, চাকরি করব না, চাকরি দেব। তার মতে কেউ যদি শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করে, সাফল্য তার মুঠোবন্দী হতে বাধ্য।

 

ভ্রমণের সময় এই ৭টি গ্যাজেট সাথে রাখুন

ভ্রমণপিপাসুরা খুব বেশিদিন ভ্রমণ না করে থাকতে পারেন না। আজ পাহাড় তো কাল সমুদ্র, পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। দেশে কিংবা দেশের বাইরে আপনি যেখানেই যান না কেন ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়ে কিছু প্রস্তুতির। জামা কাপড়ের সাথে ভ্রমণে রাখুন কিছু গ্যাজেট। যা আপনার ভ্রমণ সহজ করার পাশাপাশি আপনাকে রক্ষা করবে অনেক বিপদের হাত থেকে।

১। পোর্টেবল ইউএসবি ব্যাটারি  

একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ পোর্টেবল ইউএসবি ব্যাটারি আপনার স্মার্টফোনটিকে দীর্ঘ সময় চার্জ দেবে। পাহাড়ে ট্র্যাকিং হোক কিংবা সমুদ্রে সারফিং করতে যান, আপনার ফোনটি যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইউএসবি ব্যাটারির মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটি চার্জ করে নিতে পারবেন যেকোন সময়ে।

২। সোলার ব্যাটারি চার্জার

আপনি মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য সবসময় বিদ্যুৎ পাবেন এমন কিন্তু নয়। জরুরি মুহুর্তে মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য সোলার ব্যাটারি চার্জার রাখুন। সোলার চার্জার সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে মোবাইল চার্জ করে, তাই বিদ্যুৎবিহীন স্থানেও ঘুরে আসতে পারবেন নির্ভাবনায়।

৩। ই-রিডার

বই পড়তে পছন্দ করেন? তাহলে ভ্রমণে সাথে রাখুন ই-রিডার। বইয়ের থেকে ভালো সঙ্গী আর একটিও নেই। ই-রিড়ার সঙ্গীর অভাব পূরণ করবে তারসাথে নিরানন্দ ভ্রমণকেও আনন্দময় করে তুলতে পারে ই-রিডার।

৪। ব্লুটুথ কি বোর্ড      

ল্যাগেজে ট্যাবটি রাখার সাথে সাথে একটি ব্লুটুথ কি বোর্ডও রাখুন। জরুরি প্রয়োজনে এই কি বোর্ডটি ট্যাব বা আই প্যাডের সাথে ব্যবহার করতে পারবেন।

৫। স্ট্যান্ডিং কেস অফ ট্যাবলেট

দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে ট্যাবলেট রাখার জন্য স্ট্যান্ডিং কেস রাখুন। এটি আপনার ঘাড়কে আরাম দেওয়ার সাথে সাথে আপনার কাজকেও সহজ করবে।

৬। ব্যাকআপ ফোন

কোন কারণে আপনার স্মার্ট ফোনটি নষ্ট হয়ে গেল, তখন কী করবেন? এই সমস্যা সমাধানে সাথে একটি ব্যাকআপ ফোন রাখুন। বিপদের সময় এই ফোনটি হয়তো আপনার প্রাণ বাঁচাবে।

৭। ডিজিটাল ক্যামেরা

ভ্রমণের প্রতি মুহুর্ত ধরে রাখার জন্য সাথে রাখুন ভালো মানের কোন ডিজিটাল ক্যামেরা।

 

সেলস পার্সনদের জন্য বিক্রি বাড়ানোর ৫টি কৌশল

সময়ের মূল্য আপনার জন্য হিসেব হয় টাকায়। প্রতি মিনিটের হিসেব আপনাকে দিতে হয় কোম্পানিকে। কোম্পানির পণ্য বিক্রির জন্য যেমন নানান পরিকল্পনা আপনাকে করতে হয় তেমনি গ্রাহকের কাছে কীভাবে পণ্যকে তুলে ধরলে তা বিক্রি হবে সেই কৌশলও আপনাকে ঠিক করতে হয়। প্রতিমাসের টার্গেট নিশ্চিতভাবে পূরণের জন্য আপনি অনুসরণ করতে পারেন এই কৌশলগুলো-
 
কঠিন কাজগুলো আগে করুন
প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন কিছু কাজ থাকে যা সে কোনমতেই করতে পছন্দ করেন না। কেউ কেউ গ্রাহককে ফোন করে আপডেট দিতে অপছন্দ করেন। কেউ আবার মেইলের উত্তর দেওয়া বা মেইলে আলোচনা করা পছন্দ করেন না। কারও মিটিং ডেকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে এটা ভাবতেই গায়ে জ্বর আসে। কারও হয়ত প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে কষ্ট হয়। আপনার কাছে এগুলো কঠিন কাজ। আর এগুলোর কারণেই হয়ত পরের কাজগুলো যা করা খুবই জরুরি সেগুলো বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
 
আপনি যদি সময় ব্যবস্থাপনায় মাস্টার হতে চান তাহলে ‘ইচ্ছে করে না’ জাতীয় সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই কাজগুলোই আগে দ্রুত গতিতে করে ফেলুন যা আপনার মূল কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
 
মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করুন
একজন মানুষ একসাথে অনেক কাজ করতে পারেন এটাকে খুব গৌরবের মনে করি আমরা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি আপনার দক্ষতার পথকে আটকে দেয়। মনোযোগ ভাগ হয়ে গেলে আপনার কাজের গতিও ধীর হয়ে আসে। যে পার্ফরমেন্স আপনার একটি কাজে দেওয়ার কথা ছিল তা ভাগ হয়ে যায়।
 
আপনি যদি মনে করেন, এমন হয় না, আপনি সব কাজ সমান দক্ষতার সাথে করতে পারেন তাহলে আপনি জানেন না আপনি আরো কত চমৎকারভাবে আপনার মেধার ব্যবহার করতে পারতেন যদি আপনি একটি কাজ করতেন! অন্য একটি কাজে হাত দেওয়ার আগে প্রথম কাজটি শেষ করুন। যখন যে কাজটি করবেন সে কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিন। এতে আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখুন
প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সময় শুধু কাজগুলোই করুন। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বন্ধ করুন। এখন আমাদের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন হওয়ায় এখন মেইল, ফেসবুক নোটিফিকেশন সব কিছুই প্রতিমুহুর্তে তাদের আগমন জানাতে থাকে। এতে তৈরি হয় মনোযোগের বিচ্ছিন্নতা। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার বন্ধ রাখুন, অন্তত মোবাইলে।
 
অনেক সেলস পার্সনই এই কাজ করতে ভয় পাবেন কারণ তাদের মনে হবে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ কোন গ্রাহকের বার্তা আসতে পারে বা দরকারি কোনকিছু মিস হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি এমন একটি একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন যেখানে শুধু গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরাই থাকবেন। দেখবেন অনেকটা সময় বেঁচে যাবে, একই সাথে পণ্যের বিক্রিও বাড়াতে পারবেন সানন্দে।
 
কার্যকরি কাজটি করুন
আজকের দিনে কোন ধরণের যোগাযোগটি বেশী কার্যকরি সেটি বেছে নিন। যেমন ইমেইলের চেয়ে এখন ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ জনপ্রিয়। ফোনে কল করার চেয়ে ভাইবার বা হোয়াটস এপ্স এ ভিডিও কল বেশী স্মার্ট। তবে কোন কোন কোম্পানি পুরাতন যোগাযোগের ধরণকেই প্রফেশনাল মনে করতে পারেন। খেয়াল করুন কার জন্য কোনটা বেশী কার্যকরি।
 
একজন গ্রাহক যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে তেমন অভ্যস্ত নন তাকে মেসেজ না দিয়ে কল করুন। যে গ্রাহক সারাক্ষণ মিটিং এ থাকেন, খুবই ব্যস্ত মানুষ, তিনি নিশ্চয়ই নিয়মিত মেইল চেক করেন। তাকে কল করে বিরক্ত না করে মেইল করুন। এভাবে আপনার যোগাযোগের ধরণ গ্রাহকের মাঝে এক প্রকার সন্তুষ্টি তৈরি করবে এবং তিনি আপনার সাথেই যোগাযোগে আগ্রহী হবেন সবসময়।
 
প্রতিদিনকার কাজে গুরুত্বের ক্রম তৈরি করুন
আপনার প্রতিদিনকার কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কাজগুলো লিখে ফেলুন এবং অবশ্যই গুরুত্ব অনুসারে লিখুন। সবচেয়ে দরকারি কাজটি আগে লিখুন। ক্রম অনুসারে তালিকা তৈরি করুন। এটি করতে আপনার হয়ত প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ব্যয় হবে। কিন্তু এই কাজটি নিয়মিত করলে আপনি অপ্রত্যাশিত অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। ফলে আপনার পার্ফরমেন্স হবে দিনে দিনে দূর্দান্ত।

 

ঝটপট তৈরি করুন প্রন ফ্রিটার্স

বিকেলের নাস্তায় ঝাল ঝাল মুখরোচক হলে জমে বেশ। তৈরিতে সময় কম লাগে অথচ সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর এমন খাবার তৈরিই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই বিকেলের নাস্তায় কিংবা অতিথি আপ্যায়নে তৈরি করতে পারেন প্রন ফ্রিটার্স। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : চিংড়ি মাথা ও খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে কাটা দেড় কাপ, ডিম ২টি, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, ময়দা আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার সিকি কাপ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লাইট সয়াসস ১ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, তেল (ভাজার জন্য) ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি : চিংড়ি কুচি সয়াসস মাখিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বেকিং পাউডার একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। ডিম, পেঁয়াজ, গোলমরিচ, কাঁচামরিচ, লবণ একসঙ্গে মাখিয়ে অল্প অল্প করে মিশ্রিত ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে চিংড়ি দিয়ে মেশাতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করে বড়ার মতো অল্প অল্প করে চিংড়ির মিশ্রণ দিয়ে মচমচে করে ভেজে ওঠাতে হবে। প্রন ফির্টাস গারলিক সস, রেড চিলি সস অথবা টমেটো সসের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা যায়।

 

কম খরচে ঘরকে করুন আলোকিত

দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত শক্তির অপচয় রোধে কতকিছুই তো করছেন আপনি। কিন্তু একবারের জন্যেও ঘরের বাতিটির কথা ভাবছেন কি? আপনার ঘরের বাল্ব বা আলোর মাধ্যমটি কি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী? আচ্ছা, বিদ্যুৎ খরচের কথা নাহয় নাইবা ভাবলেন, একবার কি ভেবেছেন এই আলোর মাধ্যমটি পকেট সাশ্রয়ী কিনা? আপনার অনেকটা বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে না তো ভুল উপায়ে ঘরকে আলোকিত করতে গিয়ে? চলুন জেনে আসি কম খরচে, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ঘরের আলোর মাধ্যম বেছে নেওয়ার কিছু পদ্ধতি।

১. সঠিক বাল্ব বেছে নেওয়া

বাজারে এখন অত্যন্ত কম দামে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব বা এনার্জী সেভিং বাল্ব কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো আপনার বাড়ির অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচকে যেমন থামিয়ে দেবে, তেমনি কমিয়ে দেবে পকেটের খরচাটাও। সাধারণত ঘরের আলোর পেছনে সাংসারিক খরচের ৫ শতাংশ টাকা চলে গেলেও এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োডস), সিএফএল (কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্প) বা হ্যালোজেন ইনক্যানডেসেন্টসহ বাজারে আসা উন্নতমানের বাল্ব কিনে সেই খরচটা কমিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। পুরোন ঘরানার বাল্বগুলোর ক্ষেত্রে শতকরা ৯০ শতাংশ শক্তি তাপ হয়েই বেরিয়ে যেত। সেই পরিমাণটাকে কমিয়ে দেয় এই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব। সেইসাথে আপনার কাঙ্ক্ষিত মাত্রার আর রংয়ের আলো বেছে নেওয়ার সুযোটাও দেয়।

২. প্রাকৃতিক আলোর উপর নির্ভরতা বাড়ান

শক্তির বিনাশ নেই বটে। তবে সেটার পরিমাণ দেশভেদে ভিন্ন। নবায়নযোগ্য শক্তি আছে। কিন্তু তারপরেও আমাদের উচিত সেইদিকে না তাকিয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে যতটা সম্ভব কম বিদ্যুৎ খরচ করা যায় সেই চেষ্টা করা। আর তাই দিনের বেলায় ঘরের আলো যাতে না জ্বালানো থাকে সেটা খেয়াল করুন। কখনো কখনো দিনের বেলাতেও দুই-তিনটি বাল্ব জ্বালিয়ে রাখেন অনেকে। হয়তো অনেকটা অসচেতনভাবেই। কিন্তু এবার থেকে সচেতন হয়ে উঠুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্যারেজ আর সিড়ির লাইট বন্ধ করুন। ঘরের ক্ষেত্রেও যতটা সম্ভব লাইট না জ্বালানোর চেষ্টা করুন।

৩. আনুষঙ্গিক শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার

লাইটের সাথে ডিমার, ফটোসেল বা টাইমারের মতন যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো দরকার মতন আলোকে কমাতে বাড়াতে বা ব্যবহার না হলে বন্ধও করে দিতে পারে। তবে চেষ্টা করুন যে বাল্বটি ব্যবহার করছেন তার সাথে মানানসই কিছু একটা বেছে নেওয়ার।

তবে গ্যারেজ বা বাইরে খোলামেলা পরিবেশের জন্যে সেই সিএফএল বা এলইডি লাইটটি ব্যবহার করুন যেটা বাইরের পরিবেশের জন্যে মাননসই। বাজারে এমন কিছু সিএফএল ও এলইডি বাল্ব পাওয়া যায় যেগুলো বর্ষা, শীত, গ্রীষ্ম- সবকালেই থাকবে ঠিকঠাক। সেইসাথে কম খরচে চলবেও অনেকদিন। অসচেতন ব্যবহারে প্রতিদিন ঘরের আলোর পেছনে আমাদের যথেষ্ট বিদ্যুৎ আর টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই ঘরের আলো নির্ধারণের আগে এই সব ব্যাপারগুলো মাথায় রাখুন।

 

এই শীতে মিলিটারি হিজাব ট্রেন্ড

যারা নিত্যনতুন হিজাব স্টাইল পছন্দ করেন তাদের জন্য সুখবর।এ সিজনে মিলিটারি হিজাব স্টাইল বেশ জনপ্রিয় ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।খাকি এবং জলপাই কালারের জ্যাকেটে যেমন স্টাইল করা যায়, ঠিক তেমনি যেন এর মাধ্যমে এই সিজনকেও উপস্থাপন করা যায়। তবে শুধু জ্যাকেট নয় মিলিটারি খাকি হিজাব আরও অনেক উপায়েও করা যায়।

এই স্টাইলের জন্য বেছে নিতে পারেন খাকি মিলিটারি জ্যাকেট যা সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়া আরও রয়েছে বেইজ কিংবা খাকি ট্রেঞ্চ কোট এবং জলপাই জ্যাকেট। তবে শুধু জ্যাকেট আর কোট না, আরও আছে জলপাই কালারের টুনিকস, লং কারডিগান এবং অলিভ ম্যাক্সি ড্রেস।

মিলিটারি স্টাইলের জন্য ভারি কমব্যাট বুটস পরতে পারেন। তবে স্টাইলের জন্য মানানসই ওয়েজ হিলসও পরা যেতে পারে। হ্যান্ডব্যাগ হিসেবে বেছে নিতে পারেন কনিয়াক, বেইজ কিংবা কমলা রঙের হ্যান্ডব্যাগ। তবে পছন্দ মতো যে কোন রঙের মানানসই হ্যান্ডব্যাগ নেওয়া যেতে পারে।

বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন ডিজাইনাররা মিলিটারি স্টাইলকে অনুপ্রাণিত করে থাকেন এবং প্রায় সবাই একে পছন্দ করেন। ভাল লাগলে আপনিও ফ্যাশন আইডিয়া তৈরি করুন এবং শীতের প্রস্তুতি নিন।

লেখা- সুমাইয়া মারিয়া বিনতে শহীদ

সূত্র: জাস্ট ট্রেন্ডি গার্লস

 

দৃশ্য ফাঁসের অভিযোগে ‘বাহুবলি-২’ এর গ্রাফিক ডিজাইনার গ্রেফতার

আগামী বছর এপ্রিলে মুক্তি পেতে চলা ‘বাহুবলি-২’ ছবির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভিডিও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত সেই ভিডিও ভাইরালও হয়ে গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ফাঁসের পেছনে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে সিনেমার গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘বাহুবলি-২’-এর প্রযোজক গতকাল রাতে ছবির কিছুটা অংশের ভিডিও অনলাইনে দেখতে পান। এরপরই তিনি অন্যান্যদের ব্যাপারটি জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেন। তাতে দেখা যায়, ৯ মিনিটের একটি ক্লিপিং অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এরপরই হায়দরাবাদ পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে প্রযোজক টিম।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিও-এ ‘বাহুবলি-২’-এর গ্রাফিক ডিজাইনিং-এর কাজ হয়। প্রযোজক টিম দেখেন, কৃষ্ণ দয়ানন্দ চৌধুরী নামে এক প্রশিক্ষণরত গ্রাফিক আর্টিস্ট স্টুডিও-র সার্ভার থেকে ছবির ক্লিপিংস চুরি করেছেন। পরে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দেখা যায়, চুরি করা ভিডিওটি রয়েছে তার ল্যাপটপেই। শুধু তাই নয়, ক্লিপটি পাওয়া গেছে তার মোবাইল ফোনেও। দুই বন্ধুকে সেই ভিডিও পাঠিয়েছেন তিনি। তাই চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রযোজক টিম জানিয়েছে, ক্লিপিংসটি যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়ে, তাই ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে নেওয়া হচ্ছে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও। ভিডিওটিতে মূল দুই চরিত্র প্রভাস এবং আনুশকা শেঠির যুদ্ধের দৃশ্য ছিল বলে জানা গেছে। গত বছরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও ব্যবসাসফল এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রানা ডাজ্ঞুবতি, তামান্না ভাটিয়া সহ অনেকে।

 

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর অলংকার পরিধানের বিধান

কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তার জন্য কি অলংকার পরা জায়েজ আছে? বিভিন্ন এলাকাতে এই সব নিয়ে বিভিন্ন কথার প্রচলন আছে। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা- অবশ্যই এ সম্পর্কে ইসলামের দিক-নির্দেশনা রয়েছে।

কোনো নারীর স্বামী মারা গেলে তাকে চার মাস দশ দিন অথবা গর্ভবতী হলে বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়, এটা ইসলামের বিধান। এই সময়ে সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না। এমন কি নাক ফুলও ব্যবহার করতে পারবে না এবং চুল না আচড়ানোও উত্তম।

তবে বেশি খারাপ লাগলে এলোমেলো চুল ঠিক করতে পারবে। শরীআত কর্তৃক নির্ধরিত এই সময় পার হলে আগের মত সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক সব কিছু ব্যবহার করতে পারবে। [ফাতাওয়া আলমগীরী ২-৫৩৩]

 

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পর্দার বিধান

পর্দা মেনে চলা ফরজ। তা শুধামাত্র মহিলাদের জন্যই নয়; বরং পুরুষের জন্যও পর্দা ফরজ। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পর্দার সম্পর্কে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে নবি! আপনি) মুমিনদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে অবগত এবং মুমিন নারীদের বলে দিন তারাও যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। তারা যেন স্বাভাবিকভাবে যা প্রকাশিত তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে রাখে।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

আল্লাহ তাআলা নারীকে পুরুষের চোখে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন। আবার পুরুষের আর্কষণও নারীর মধ্যে তৈরী করে দিয়েছেন। সে কারণেই ইসলামি শরিয়তের হুকুম অমান্য করে বেপর্দা হওয়া নারী এবং পুরুষের জন্য কোনো ভাবেই বৈধ নয়।

বিশেষ করে আল্লাহ তাআলা নারীদের নিরাপত্তায় পর্দার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সুষ্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হে নারীগণ, তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে অবস্থান কর। পূর্ববর্তী অন্ধকার যুগের মতো সাজসজ্জা করে পরপুরুষের সম্মুখে বাহির হবে না। নামাজ আদায় কর, জাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য কর।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৩৩)

পর্দা পালনকারী নারীরা আল্লাহর রহমত দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নারী গোপনীয় সত্তা, তারা যদি প্রকাশ্যে (বেপর্দা হয়ে লোকালয়ে) বের হয় তবে শয়তান তাদের দিকে উঁকি দিয়ে তাকায়। আর যে নারী তার ঘরের মধ্যে অবস্থান করে (পর্দা পালন করে) সে আল্লাহর রহমতের অধিক নিকটবর্তী থাকে।’(তিরমিজি)

সতর্কতা…
কুরআন ও হাদিসের আলোকে যাদের সঙ্গে পর্দা করা ফরজ তাদের সামনে বেপর্দা হয়ে খোলামেলা পোশাকে যাতায়াত করা বা অবাধে দেখা-সাক্ষাৎ করা হারাম এবং কবিরা গোনাহ।

কেউ কেউ পর্দার বিধানকে ধর্মীয় মনগড়া মতবাদ বলে আখ্যায়িত করা, মনে পর্দা বড় পর্দা; তাছাড়া পর্দা নিজের কাছে এমন কথা বলে পর্দার গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে অস্বীকার করে; যা কুরআন ও হাদিসকে অস্বীকার করা বৈ আর কিছুই নয়। শুধু পর্দার খেলাপ নয় বরং ইসলামে এ সব কথা-বার্তা বলাও মারাত্মক অপরাধ।

বেপর্দার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো প্রতিটি পদে পদে নারীরা হয়রানি হওয়া। ইভটিজিংয়ের স্বীকার হওয়া। পথে-ঘাটে, স্কুল-কলেজে, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব জায়গায় ঘৃণ্য ও নোংরা আচরণ স্বীকার হওয়া এবং অশ্লীল বাক্যবানে জর্জরিত হওয়া।

ফ্যাশনের নামে নারী ও পুরুষকে বেপর্দা করার যে হিড়িক শুরু হয়েছে, তা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অশান্তির এক মরণ ব্যাধি। মুসলিম উম্মাহর উচিত অশালীন পোশাক পরিহার করে, শালিন পোশাক পরিধান করা। প্রত্যেককেই নিজের আত্ম-সম্মানবোধ এবং সৌন্দর্যের হিফাজত করা।

পরিশেষে…
নারী ও পুরুষের সংযত জীবন-যাপন ব্যক্তি-পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তাইতো আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সমগ্র মানবকুলকে হুশিয়ার করে দিয়ে ঘোষণা করেছেন, ‘হে মানবকুল তোমরা এ শান্ত পৃথিবীর মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি কর না।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং নারী ও পুরুষদের আত্ম-সম্মানবোধ ও মর্যাদা রক্ষায় পর্দার পরিপূর্ণ বিধান পালন করে তাকওয়া অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ায় সুন্দর জীবন এবং পরকালের চিরস্থায়ী সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

আঠারোর নিচে বিয়ে নয়, তবে…

মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছরই থাকছে। তবে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬’ শীর্ষক আইনের খসড়ায় বিশেষ ধারায় ‘বিশেষ ক্ষেত্রে’, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বা ১৮ বছরের কম বয়সী কোনো মেয়ের ‘সর্বোত্তম স্বার্থ’ বিবেচনায় বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না বলে উল্লেখ আছে।

এই বিশেষ ধারার অপব্যবহার বন্ধে আইনেই ব্যবস্থা থাকবে বলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি আশ্বস্ত করলেও নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীদের শঙ্কা দূর হয়নি। খসড়াটি খুব শিগগির মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হবে উল্লেখ করে মেহের আফরোজ গত রোববার মুঠোফোনে বলেন, সামাজিক অবক্ষয় রোধে আইনে একটি বিশেষ ধারা থাকছে। তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ বছরই থাকছে। কঠোর আইন হচ্ছে। তবে আইনের খসড়ায় বিশেষ ধারা আছে, তা সত্য।’

সরকারের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার কারণে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। বিশেষ ধারার অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা আছে—এ প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি এ ধারার অপব্যবহার করে, তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে। আর আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। জাতীয় সংসদ ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হবে। আর শুধু আইন তৈরি করলেই হবে না, আইনটি মানার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও প্রয়োজন। সরকার সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আইনের বর্তমান খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার আগেও সরকার বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানাজানি হলে তা সমালোচিত হয়। তখন আইনের খসড়ায় যুক্ত করা হয়, ‘যুক্তিসংগত কারণে মা-বাবা বা আদালতের সম্মতিতে ১৬ বছর বয়সে কোনো নারী বিয়ে করলে সেই ক্ষেত্রে তিনি “অপরিণত বয়স্ক” বলে গণ্য হবেন না।’ খসড়া আইনটির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বরে যে অনুশাসন দেন, তাতে বলা হয়, ‘বিয়ের বয়স ১৮, তবে পিতা-মাতা বা আদালতের সম্মতিতে ১৬ বছর সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সামাজিক সমস্যা কম হবে।’
বর্তমানে আইনের যে চূড়ান্ত খসড়া, তাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো বিশেষ কারণে প্রতিবন্ধী কোনো মেয়ে বা সামাজিক জটিলতার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যেসব ক্ষেত্রে আর কোনো পথ নেই, সেসব ক্ষেত্রে বিশেষ ধারা প্রযোজ্য হবে। বিধিতে এ সম্পর্কে বলা থাকবে। মনে রাখতে হবে যে এটি বিশেষ ধারা, সব আইনেই এ ধরনের বিশেষ ধারা থাকে।’
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা  বলেন, বিশেষ ক্ষেত্রে ১৮ বছর বয়সের কম যে কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে। আইনের বিধিতে বিশেষ কারণ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক কারা, সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা থাকবে। সেই বিধি অনুযায়ী বিয়ে হলে তা অপরাধ হিসেবে আর গণ্য হবে না। তবে নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা বরাবরের মতোই বলছেন, আইনে এ ধরনের বিধান থাকলে সামাজিক সমস্যা কমবে না, বরং বাড়বে।

জটিলতার শুরু: ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাজা ও জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৪’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই খসড়ায় নাবালকের সংজ্ঞায় পুরুষ হলে অন্যূন ২১ এবং নারী হলে অন্যূন ১৮ বছরের কথা উল্লেখ ছিল। একই বৈঠকে ১৯২৯ সালের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে ১৮ এবং মেয়েদের ১৮ থেকে ১৬ করা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে।

এ নিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় থেকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আইনের খসড়া চালাচালি চলে দীর্ঘদিন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন নারী ও মানবাধিকার সংগঠন সরকারকে বিশেষ শর্ত বা ধারা যুক্ত করে মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানায়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম  বলেন, ‘আইনে যদি শেষ পর্যন্ত বিশেষ ধারা বহাল থাকে, তাহলে বলতে হবে আমরা বাংলাদেশের বিদ্যমান ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছি না বা মূল্যায়ন করছি না। বিশেষ কারণ বলে সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত যে যুক্তিগুলো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তা-ও গ্রহণযোগ্য না।’

শিশু আইন, শিশুনীতিসহ বিভিন্ন আইন ও নীতি এবং জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদসহ বিভিন্ন সনদ অনুসমর্থন করে সরকার ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে। শিশু অধিকার সনদে ছেলে ও মেয়ের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ নির্ধারণের জন্য অনুসমর্থনকারী দেশগুলোকে অনুরোধও করা হয়েছে। তাই আইনে ‘বিশেষ ধারা’ সাংঘর্ষিক হবে বলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত। আর এ ধারা সামনে রেখে শুধু ১৬ কেন, এর কম বয়সেও অভিভাবকেরা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেবেন।

বিশেষ ধারা সরকারের কার্যক্রমের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক: দশম জাতীয় সংসদে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহযোগিতায় সংসদ সচিবালয়ে ‘স্ট্রেনদেনিং পার্লামেন্টস ক্যাপাসিটি ইন ইনটেগরেটিং পপুলেশন ইস্যুজ ইনটু ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রকল্পে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কার্যক্রমের আওতায় স্পিকার সাংসদদের অংশগ্রহণে ‘বাল্যবিবাহ সাব-কমিটি’ গঠন করেছেন। জাতীয় সংসদ ও ইউএনএফপিএর প্রচারপত্রে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে দেওয়া মানেই একজন ‘শিশু’র বিয়ে দেওয়া। এ ধরনের বিয়ে শিশু অধিকার ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘গার্লস নট ব্রাইড’ স্লোগান সামনে রেখে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জেলা ও উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির কার্যপরিধিতে বাল্যবিবাহ রোধের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) উদ্ভাবনী উপায়ে বাল্যবিবাহ নিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জিআইইউ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখ করেছে, দেশের মানুষ বাল্যবিবাহ জানে না বা সচেতন নয় তা বড় সমস্যা নয়, এখানে মুখ্য সমস্যা জানে, কিন্তু মানে না। তাই এই বাস্তবতায় বাল্যবিবাহ নিরোধের কৌশল হিসেবে আইন মানানোকে মুখ্য ধরতে হবে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একাধিক নির্দেশনা জারি করেছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক  বলেন, ‘আমরা আমাদের কথা বলে যাব, মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৮ বছর হবে আর আইনে বিশেষ ধারা বলে কোনো ধারা গ্রহণযোগ্য হবে না।’

 

কর্মজীবনে ঈর্ষার নেতিবাচক ৫ প্রভাব

অন্যকে ঈর্ষা করা- কেবল এই একটি কারণেই অনেকে তাদের পেশাগত জীবনে সফল হতে পারেন না। বেশিরভাগ সময়েই তারা নিজের প্রতিভা ও জ্ঞানের অবমূল্যায়ন করেন, নিজেরা কি সেটা না ভেবে নিজেরা কি নয় সেটা ভেবেই নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করেন। পেশাগত জীবনে সফল ব্যাক্তিরা কখনোই অন্যের মন্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাননা। বরং নিজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে কি করে নিজের প্রতিষ্ঠানকে আরো ভালো কিছু দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করে থাকেন।  ঈর্ষা খুব স্বাভাবিক অথচ বিপদজনক একটি আবেগ যার মুখোমুখি আমাদের প্রতিদিনই হতে হয়। এটাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। কিন্তু দমিয়ে রাখা সম্ভব। সফলতার কঠিন রাস্তায় নতুন পথিকেরা প্রায়ই  ঈর্ষা নামক এই ছোট্ট বিষয়টির কারণে হতাশ হয়ে পড়েন এবং নিজেদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনকে ধ্বংস করে ফেলেন।

নিচে মানুষের কর্মজীবনের ওপর ফেলা  ঈর্ষার কিছু নেতিবাচক প্রভাব দেওয়া হল-

১. প্রতিযোগিতার মনোভাব কমিয়ে দেয়

ঈর্ষা মানুষের মধ্যে থাকা লড়াকু মনোভাব কমিয়ে দেয়। ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তি সবসময়ই অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে। ফলে তার নিজের কাজের দিকে খুব কম সময়েই মনযোগ দিতে পারে সে। ফলে তার কাজের মান যায় কমে। সেখান থেকে তৈরী হয় নিজের প্রতি হতাশা।  ঈর্ষা ব্যাক্তির চোখের ওপর একটা মিথ্যে আবরণ তৈরী করে। ফলে সে সেই আবরণ ভেদ করে কখনোই নিজের মধ্যে থাকা প্রতিভাগুলোতে খুঁজে বের করতে পারেনা। আর এভাবেই অনেক প্রতিভাবান মানুষ  ঈর্ষার কারণে নিজের কর্মজীবনে হয়ে যায় ব্যর্থ।

২. নিজের প্রতি বিশ্বাস কমিয়ে দেয়

ঈর্ষা মানুষের মধ্যে নিজের ওপরে থাকা বিশ্বাসকে কমিয়ে দেয়। অন্য কারো সাথে নিজেকে যাচাই করার সময় মানুষের মন তিক্ত থাকে আর সেই তিক্ততা খুব সহজেই নিজের ভেতরে তৈরী করে ফেলে নিজেকে নিয়েই নতুন এক তিক্ততা। মানুষ এমন অবস্থায় নিজেকেই ভরসা করতে পারেনা। বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে নিজের ওপর।

 ৩. নিজের প্রতিভার অবমূল্যায়ন

ঈর্ষান্বিত মানুষ কর্মজীবনে নিজের চাইতে ভালো কারো সাথে নিজের তুলনা করে এবং সভাবতই হতাশ হয়ে পড়ে। সে ভুলে যায় যে তারও কিছু নিজস্ব প্রতিভা আছে যেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই সেও নতুন কোন উপায়ে ঠিক ততটাই ভালো অবস্থানে যেতে পারে যতটা এখন অন্য মানুষটা রয়েছে। অপেক্ষা কেবল তার নিজের ভেতরে থাকা প্রতিভাগুলোর সঠিক মূল্য জানার এবং সেগুলোকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করার।

৪. যোগাযোগের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়

ঈর্ষা মানুষের মাঝে তৈরী করে একধরনের একঘরে মানসিকতার। এসময়  ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তি অন্যের প্রতি জমে থাকা  ঈর্ষার ফলে কারো সাথেই স্বাভাবিক যোগাযোগ বজায় রাখতে পারেনা। ফলে নিজের অজান্তেই সে চলে যায় সমাজ থেকে অনেকটা দূরে।

৫. কাজের গতিবেগ ব্যাহত হয়

ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তির নিজের ও নিজের প্রতিভার ওপর তেমন একটা মনযোগ থাকেনা। তার সব চিন্তা ভাবনা জুড়েই থাকে অন্য সবাই এবং তাদের সাথে নিজেকে যাচাই করে দেখা। ফলে নিজের লক্ষ্য এবং কৌশল সে স্থির করতে পারেনা। আর নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকার ফলে তার কাজের গতিবেগ সবসময়ই ব্যাহত হয়।

লিখেছেন-

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

 

মেজবানি গরুর মাংস রান্না করার রেসিপি !

চট্টগ্রামে বিখ্যাত মেজবানি মাংস আক্ষরিক অর্থেই অতুলনীয় একটা খাবার। যিনি একবার খেয়েছেন, আজীবন তাঁর মুখে লেগে থাকবে এর স্বাদ। তবে হ্যাঁ, মজাদার এই খাবারের “সিক্রেট” রেসিপি কিন্তু বাবুর্চিরা দিতে চান না। তাই ঘরেই যতই রান্না করুন না কেন, ঠিক যেন বাবুর্চির হাতের স্বাদ মেলে না।

 

চিন্তা নেই, এখন থেকে আপনার রান্না মেজবানি মাংসও হবে ঠিক বাবুর্চিদের মতই। কেননা আমি নিয়ে এসেছি সেই দারুণ সহজ রেসিপি। এই রেসিপিতে আপনি সহজেই আনতে পারবেন সেই অসাধারণ সুস্বাদ।

উপকরণ

গরুর মাংস ২ কেজি (ছোট টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নেয়া)

২ কাপ পেঁয়াজ কুচি করা। ও ১ কাপ পেঁয়াজ বাটা।

তেল ১/২ কাপ (সয়াবিন + সরিষার)

আড়াই টে চামচ আদা বাটা

দেড় টে চামচ রসুন বাটা

১ চা চামচ করে শাহি জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া।

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

ঝাল বিহীন স্পেশাল শুকনা মরিচ গুঁড়া ৩-৪ টে চামচ বা পরিমান মতো (আমি এখানে কাশ্মিরি শুকনা মরিচ গুঁড়া ব্যবহার করেছি। এটায় ঝাল কম হয়ই বাট কালার টা অনেক সুন্দর হয়। চট্টগ্রামে ব্যবহার করা হয় মিষ্টি মরিচ গুঁড়া। )

৮-১০ টা কাঁচা মরিচ (বা নিজের পরিমাণ মতো)

১ টে চামচ চিনি

৩/৪ টা তেজ পাতা।

৪/৫ টা ভাজা আলু (ইচ্ছা। আপনি খেতে চাইলে দিতে পারেন)

মেজবানি মাংস স্পেশাল মশলা

২-৩ টা এলাচ,

২ টুকরা দারচিনি (১” সাইজ),

৪-৫ টা লবঙ্গ,

১/৮ পরিমাণ জায়ফল,

১/২ চা চামচ জয়ত্রি,

গোলমরিচ ৫-৬ টা,

১/২ চা চামচ পোস্তদানা সব একসাথে পানি দিয়ে বেটে পেস্ট করে নিতে হবে।

প্রনালি

  • -পেঁয়াজ কুচি, চিনি ও তেজপাতা ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সাথে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে
  • -একটা পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও তেজ পাতা দিয়ে হালকা লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।
  • -ভাজা হয়ে গেলে এবার মাখান মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। ৪-৫ মিনিট।
  • -এবার বেশি করে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। ১ ঘণ্টার মতো।
  • -রান্না করার সময়ই ঢাকনা টা ভালো করে সিল করে নিতে হবে।
  • -হয়ে গেলে নামানর আগে ভাজা আলু দিয়ে দিন।

 

মনে রাখুন

  • -সব মশলা ভালো করে পেস্ট করতে হবে।
  • -মাংস ভালো করে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে।
  • মাংসের পিস ছোট ছোট হতে হবে।
  • -সবচেয়ে জরুরি রান্নার পাত্রের ঢাকনা অবধাকনা ভাল করে সিল করে নিতে হবে। ও অল্প জ্বালে রান্না হবে।

 

নাহিদার ‘আইটি সলিউশন’

কিন্তু শুরু করতে গিয়ে হোঁচট খান। কে দেবে টাকা? নিজের গয়না বন্ধক রেখে ৬০ হাজার টাকা ঋণ করেন স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। দুটি কম্পিউটার দিয়ে প্রথম মাসে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে বেশ ভালো আয় হয়। এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি নাহিদা পারভীনকে।

নাহিদা পারভীন নিজে তথ্যপ্রযুক্তির ছাত্রী নন, তবু এ খাতের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। নিজেই গড়ে নেন দক্ষ প্রযুক্তিবিদ। তাঁর প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দুটি কাজ করছে। একটি আউটসোর্সিং এবং অপরটি প্রশিক্ষণ। তিনি বলেন, শুধু বাইরের গ্রাহকদের ওপর নির্ভরশীল না থেকে তিনি স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করছেন।

নাহিদা পারভীন জানান, আইটি সলিউশনের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনার পাশাপাশি প্রতি মাসে জেলা প্রশাসকের সহায়তায় একটি করে কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কর্মশালাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রোগ্রামিং আড্ডা’। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ওপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকেরা অংশ নেন।

প্রতিষ্ঠান থেকে যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই সব বিষয়ে আউটসোর্সিংয়ের প্রচুর কাজ আসে। সেই কাজগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে করা হয় বলে নাহিদা পারভীন জানান।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচিগুলোর অংশীদার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পায় আইটি সলিউশন। ২০১৪ সালে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা হিসেবে ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক থেকে স্বীকৃতি অর্জন করেন নাহিদা।

গত তিন বছরে আইটি সলিউশন থেকে হাজারখানেক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরিয়ে নিজেরাই আউটসোর্সিংয়ের কাজ করছে। ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ উন্নত মানের একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে নাহিদার।

 

নারীর জন্য এক টুকরো আশ্রয়

তবে এই প্রতিবেদক সেখানে থাকতে থাকতেই আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে উত্তরা থেকে এলেন জেসমিন আক্তার। তিনি এখানে থেকে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি সহায়তা চান। এখানকার খোঁজ কীভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি লেখা পড়ে জেনেছেন। জেসমিন বলেন, হকারের কাছ থেকে ধার করে প্রতিদিন তিনি পত্রিকাটি পড়েন।

আরিফা নাজনীন বললেন, প্রতিদিন কাজের খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারীরা রাজধানীতে আসেন। তাঁদের অনেকেরই কোনো থাকার জায়গা নেই। এতে অনেক সময় তাঁরা খারাপ মানুষের খপ্পড়ে পড়েন। নানা রকম ঝামেলায় জড়িয়ে যান।

২০১২ সালের জুলাই মাসে মূলত দরিদ্র নারীদের আবাসিক সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রকল্পটি চালু হয়। তবে দরকার হলে যেকোনো অবস্থার নারী এখানে থাকতে পারেন। মায়েদের সঙ্গে শিশুরাও থাকতে পারে।

প্রকল্পের আওতায় প্রথম পাঁচ দিন বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়া যায়। এরপর কিছু ফি নেওয়ার নিয়ম আছে। তবে এখনো কারও কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। এর আগে একজন টানা চার মাস থেকে গেছেন। পুষ্টিহীনতার শিকার অথবা গর্ভবতী কোনো নারী থাকলে তার জন্য বাড়তি পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রকল্পের হিসাব বলছে, শুরু থেকে গত জুন পর্যন্ত প্রায় ১২০০ নারী এখানে আশ্রয় পেয়েছেন। গৃহকর্মী ও নির্যাতিত নারীই বেশি। পারিবারিক কলহের কারণে অনেক বিত্তশালী নারীও এখানে থেকেছেন।

এদের দুটি হেল্পলাইন ফোন নম্বর আছে: ০১৯৫৫৫৯০৬৪৬ এবং ০১৭৯০২২০৯৬৮। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এখানে ফোন করে নারীরা থাকার সুযোগ চাইতে পারেন। প্রকল্পের আওতায় নারী ও শিশুদের আইনি সহায়তা, মনোসামাজিক কাউন্সেলিং ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।

খাদিজা বেগম, পাখি আক্তার, আনোয়ারা বেগম ও রিনা আক্তার বিভিন্ন সময়ে এখানে থেকেছেন। প্রকল্পের দপ্তর থেকে নম্বর নিয়ে তাঁদের ফোন করলে তাঁরা বললেন, এমন ব্যবস্থা নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সহায়ক। খাদিজা আক্তার এখানে নিজেও ছিলেন। আবার চিকিৎসার জন্য মাকেও রেখেছিলেন। আনোয়ারা বেগম স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে এখানে এসেছিলেন। পরে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ স্বামীকে ডেকে বিবাদ মিটিয়ে দিয়েছেন। খাদিজা ও আনোয়ারা রাজধানীতে গৃহকর্মীর কাজ করেন।

রাজধানীতে মাঠপর্যায়ে কারিতাসের ২৭ জন কর্মী আছেন। তাঁদের মাধ্যমেই মূলত নারীরা এ আশ্রয়ের খোঁজ পান। সম্পূর্ণ অপরিচিত হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁদের রাখা হয়। তবে পরিচিত কারও মাধ্যমে এলে জিডি লাগে না।

একজন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা রক্ষী এই নিরাপদ নিবাস পাহারা দেন। লিলি হালদার তিন বছর এখানে রান্নার কাজ করছেন। তিনি বললেন, রান্না করতে ভালো লাগে। তবে স্বামীর সঙ্গে যাঁদের সমস্যা, তাঁরা না খেয়ে কান্নাকাটি করেন। তখন তাঁদের বারবার খাবার খেতে বলতে হয়। মাঝেমধ্যে এটা তাঁর ভালো লাগে না।

এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সাদামাটা। ঘরদোর যথেষ্ট ঝকঝকে তকতকে না। আরিফা নাজনীন বললেন, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ তাঁরা নতুন ভবনে উঠে যাবেন। তখন এই নিবাসের সুযোগসুবিধাও বাড়বে।

 

পা ফাটা ঠেকাতে ঘরোয়া সমাধান

শীত আসছে। সবাই এ সময় ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকেন। তবে পায়ের গোড়ালির দিকে নজর একটু কমই থাকে। এ সময় অনেকের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। যাঁরা এ বিড়ম্বনায় পড়তে চান না, তাঁরা একটু বাড়তি যত্ন নিতে পারেন।

শুষ্ক মৌসুম আর আর্দ্রতার ঘাটতিতে এ সমস্যা হয়। পা ফাটলে পায়ের গোড়ালিতে যন্ত্রণা হতে থাকে। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে তা সারাতে ঘরোয়া কিছু সমাধান নিজেই করতে পারেন। পা ফাটা সারানোর উপায়গুলো জেনে নিন:

মোমবাতির মোম: মোমবাতির মোমের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা সেরে যাবে।

গ্লিসারিন ও গোলাপজল: গোলাপজলের সঙ্গে কিছুটা গ্লিসারিন মিশান। এই মিশ্রণ পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

তিলের তেল: পা ফাটা সমস্যা সমাধানে তিলের তেল দারুণ কার্যকর। পায়ে তিলের তেল মাখলে পা ফাটা দূর হয়।

ভ্যাসলিন ও লেবুর রস: ভ্যাসলিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে মালিশ করুন। এতে ওই মিশ্রণ সেখানে শোষণ হয় বলে পা ফাটা দ্রুত সেরে যায়।

মধু-পানি: এক কাপ মধু আধা বালতি গরম পানিতে মিশিয়ে এতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে পা ফাটা দূর হবে। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

 

‘মেয়ের’ বিয়েতে আমির

ভারতের হরিয়ানার কুস্তিগির মহাবীর সিং ফোগাতের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে দঙ্গল ছবিটি। সেখানে দুই মেয়ে গীতা ও ববিতাকে কুস্তির প্রশিক্ষণ দেন মহাবীরের চরিত্রে অভিনয় করা আমির খান। যে মেয়েটিকে নিয়ে ছবির গল্প, সেই গীতার বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন এই বলিউড তারকা।
হরিয়ানার বাবালি গ্রামে কুস্তিতে সোনা জিতেছিলেন গীতা ফোগাত। গত রোববার তাঁর বিয়ে হয়ে গেল। গীতার বাবা, বাস্তবের মহাবীরের নেমন্তন্ন পেয়ে সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন আমির খান, সঙ্গে দঙ্গল ছবির পুরো দল। দঙ্গল ছবির প্রস্তুতির সময় আগেও ওই গ্রামে গিয়েছিলেন আমির। সে সময় মহাবীরের পরিবারের সঙ্গে বেশ সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। তাই গীতার বিয়ের নেমন্তন্ন ফেলতে পারেননি তিনি। ইচ্ছা ছিল, উপহার হিসেবে কনের বিয়ের পোশাকটি তিনিই দেবেন। কিন্তু ঐতিহ্য অনুযায়ী গীতা তাঁর বিয়ের পোশাকটি পেয়েছেন মামার কাছ থেকে। আমির নিয়েছিলেন ঝুড়িভর্তি ফল। এ ছাড়া ফোগাত পরিবারের উদ্দেশে তিনি উৎসর্গ করেন দঙ্গল ছবিটি। এ প্রসঙ্গে আমির বলেছেন, ‘গীতার বিয়েতে ওর পরিবারকে দঙ্গল ছবিটি উপহার দিলাম।’
দঙ্গল মুক্তি পাবে ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ। ছবিতে গীতা ফোগাতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফাতিমা সানা শেখ। এ ছাড়া মহাবীরের আরেক মেয়ে ববিতার চরিত্রে সানিয়া মালহোত্রা ও স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাক্ষী তানোয়ার।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

রূপচাঁদা ভুনার রেসিপি

আজকে আপনাদের জন্য থাকছে রূপচাঁদা মাছ ভুনার রেসিপি। সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই মাছটি আপনার খাদ্যতালিকায় থাকা মানে আপনার প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার অনেকটা সম্পূর্ণ। চলুন তবে শিখে নেই-

উপকরণ : মাছ ১টা বড়, পেঁয়াজ বাটা ৩টি, আদা (বাটা) ১৫ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৪-৫টা, শুকনা মরিচ (গুঁড়া) এক চা চামচ, পাতিলেবুর রস ২ চা চামচ, গরম মসলা আন্দাজমতো, ঘি আন্দাজ মতো, লবণ আন্দাজ মতো।

প্রণালি : মাছ ধুয়ে তাতে লবণ, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়া, লেবুর রস, আদা বাটা দিয়ে মেখে রাখুন, কড়াইতে দুই টেবিল চামচ তেল দিন। তেল গরম হলে দারুচিনি দুই টুকরা দিয়ে দিন, মাখা মাছ কড়াইয়ে দিন কিছুক্ষণ পর উল্টে দিন। কাঁচামরিচ ছড়িয়ে দিন। মাছের দুদিক ভাজা হয়ে গেলে গরম মসলা গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। ৫ মিনিট পর ঘি দিয়ে নামান।

 

পেটের মেদ কমাতে রাতে যা খাবেন

পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগে থাকেন অনেকেই। সহজেই এটি জমে যায় ঠিকই, তবে সহজে এটি দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। গবেষকদের মতে, পেটে মেদ জমার অনেক কারণ আছে। তলপেটে জমা গ্যাস, রাতে দেরি করে খাওয়া, কার্বোনেটেড পানীয়, কোনো দৈহিক কসরত না করা, ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং কম ঘুম কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে আপনি যদি মনস্থির করেই থাকেন মেদ কমাবেন, তাহলে একটু সতর্ক হোন। খাদ্য তালিকায় কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখুন। বিশেষ করে খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফল ও শাক-সবজি রাখুন।

রোজ এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয় এবং পেটে যেন কম গ্যাস সৃষ্টি হয়, একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে শরীরের আবর্জনা দূর হয় এবং মেদ জমতে পারে না। তবে প্রতিদিন রাতে ভারি খাবার কম খেয়ে কিছু ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে কমে যাবে অস্বস্তিকর তল পেটের মেদ।

আনারস :
আনারস এমন এক ফল, যা পেটের মেদ কমাতে কাজ করে। এর ফলে ক্যালোরির মাত্রা কম। এটা শরীরের হজম পদ্ধতিতে সাহায্য করে এবং মেদও ঝরায়।

পেঁপে :
পেঁপেতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এতে যে এনজাইম থাকে তা হজমে সাহায্য করে এবং ফ্যাট ভাঙতে পারে, যার ফলে ওজন কমে। রোজ পেঁপে খেলে ১০ দিনে কোমরের মাপ কমবেই।

আপেল :
আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। আপেল খেলে এমনিতে বেশ তৃপ্তি পাওয়া যায়। রোজ আপেল খেলে মেদ বাড়ে না এবং ভুঁড়িও কমে।

আঙুর :
আঙুরও বেশ পেট ভর্তি হওয়ার অনুভূতি দেয়, কারণ আঙুর হজম ধীর করে দেয়। আঙুরের রস আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। এতে দিনে প্রায় ১০ পাউন্ড অবধি খাবার খাওয়া কমাতে পারে।

কলা :
কলায় এমন কিছু এনজাইম আছে, যা হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। রোজ খাবারে কলা খেলে মেদ কমানোতে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়।

এ্যাভোকাডো :
প্রচুর ফাইবার আছে এ্যাভোকাডোতে। এটি খেলে চট করে খিদে পায় না। মোনো-স্যাটিউরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সাহায্য করে পেটের অংশে জমা মেদ কমাতে।

তরমুজ :
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এছাড়া আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও সি। ওজন কমাতে এটা অন্যতম সেরা উপায়। প্রতিদিনের খাবারে তরমুজ খান, দেখবেন ওজন কেমন কমে।

 

অফিস মিটিংয়ে যা করবেন না

অফিসে মিটিং শুনলেই অনেকের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। সারা সপ্তাহের কিংবা মাসের কাজের জবাবদিহিতা দিতে গিয়ে হোঁচট খেতে হয় নানাভাবে। তার মাঝেও থাকে নানা সমস্যা। বসের মনের অবস্থা থেকে রাস্তার পরিস্থিতি সবকিছুকে মাথায় রেখেই আপনাকে অফিস মিটিংয়ে বসতে হয়। এর পরেও আপনার করা ছোটখাটো ভুল আপনার কাজের কৃতিত্ব যেমন নষ্ট করে দিতে পারে, তেমনই আপনার ইমেজেরও বারোটা বাজাতে পারে। তাই অফিস মিটিংয়ের আগে কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগ দিন আর আপনার আশপাশেও রাখুন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।

কথা বলা
অযথা বেশি কথা বলবেন না। বিশেষ করে মিটিংয়ের সময় কাজের কথা বাদে কোনো কথা বলবেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে কুশলবিনিময়ের ক্ষেত্রে মিটিং শেষে কথা বলুন। মিটিংয়ের পুরো সময় নিজের কাজের প্রতি দৃষ্টি রাখুন। আপনার বলা কথায় আপনার পাশের মানুষটির সমস্যা হতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে আপনারও। যার ফল আপনার নেগেটিভ ইম্প্রেশন।

সঠিক সময়
মিটিংয়ের দিনে বাড়ি থেকে হাতে সময় নিয়ে বের হবেন। যাতে আপনাকে মিটিংয়ের মাঝে পৌঁছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়। হাতের কাজ আগের দিন গুছিয়ে নিন। নিজেকে প্রস্তুত রাখুন মিটিংয়ে ভালো কিংবা মন্দ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে।

অভ্যাস
মিটিংয়ের আগে নিজের সঙ্গে নিজের কিছুটা সময় হাতে নিয়ে কথা বলা ভালো। এতে আপনার মুখের জড়তা কেটে যাবে। নয়তো দেখা যায়, আপনি মিটিংয়ের সময় কথা বলতে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছেন এবং ভুল হচ্ছে। এতে আপনি যেমন নিজের ওপর থেকে কনফিডেন্স হারাচ্ছেন তেমনি অন্যরা হচ্ছে বিরক্ত। তাই মিটিংয়ের আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুটা অভ্যাস করে নিন।

কথা শেষ না হতেই কথা বলা
আমাদের মধ্যে অনেকেরই এই অভ্যাসটি আছে। বসের কথার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে তার কথা শেষ না হতে নিজের কথা বলতে শুরু করা। মিটিংয়ের সময় এই কাজটি ভুলেও করবেন না। আপনার বস আপনাকে কী বলতে চাচ্ছেন- তা আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন, এরপর তাকে উত্তর দিন। খেয়াল রাখবেন উত্তর যাতে যুক্তিযুক্ত হয়।

বসের সঙ্গে তাল মেলানো
আপনি জানেন আপনার কাজ ঠিক কিন্তু বস বলছে এতে ভুল আছে। সেই ক্ষেত্রে বসই ঠিক। তার কথা শুনে তার মনের মতো করে কাজটি আবার করে তাকে দেখিয়ে নিন। তাকে ভুল প্রমাণ করতে যাবেন না। তাহলে সেটা আপনার জন্যই বিপদ। তাই আপনার কাজগুলো বসের মত অনুযায়ী করুন।

অফিসের কাজের ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করুন। আপনি যে কাজটি করছেন, তা অন্যদের থেকে কীভাবে ভালো করা যায়- তা নিয়ে ভাবুন। দেখবেন আপনি আপনার কাজে যেমন সফলতা পাচ্ছেন, তেমনই কাজ করে আনন্দও পাচ্ছেন। তাই কাজকে ভালোবাসুন এবং সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলকেও।

 

গলদা চিংড়ি-পোলাও রাঁধবেন যেভাবে

গলদা চিংড়ির নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে অনেকের। গলদা চিংড়ির মালাইকারি, দোপেঁয়াজা কতভাবেই না রান্না করে খাওয়া হয়। কেমন হবে যদি আস্ত গলদা চিংড়ি আর পোলাও একসঙ্গেই থাকে? সেরকমই একটি রেসিপি হলো গলদা চিংড়ি-পোলাও। চলুন শিখে নিই-

উপকরণ : পোলাওয়ের চাল ১ কেজি, নারকেলের দুধ (গরম) ১৫০০ গ্রাম, বেরেস্তা পরিমাণমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গলদা চিংড়ি ৮টি, বিরিয়ানি মসলা ১ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, টক দই ৪ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, লবঙ্গ ২টি।

প্রণালি : পোলাওয়ের চাল ভালোমতো ধুয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার কাপড়ে রেখে বা পানি ঝরিয়ে নিন। গলদা চিংড়িগুলো ভালোমতো ধুয়ে একটি বাটিতে রাখুন। চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, টক দই, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও লবণ দিয়ে ভালোমতো গলদা চিংড়িসহ পোলাও এর চাল মেশান। ৫ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন মাখা মাখা হলে গরম অবস্থাতে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

বোন যখন বন্ধু

যাদের বোন নেই, তাদের অনেকেই নিজেকে হতভাগ্য মনে করেন। শাসন আর স্নেহের এক আশ্চর্য মিশ্রণ রয়েছে এই সম্পর্কের ভেতরে। বড় একজন বোন থাকলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতেই পারেন, হাজার দুষ্টুমির পর মা-বাবার বকুনি থেকে সেই আপনাকে বাঁচাবে। যার কাছে প্রশ্রয় মেলে, নির্ভরশীলতা মেলে, মনের লুকানো হাজারটা কথা বলার একটু ফুসরত মেলে, সেই আমাদের বোন।

অনেকের একটি ধারণা রয়েছে, বন্ধু সবসময় বাইরের কেউ হয়। আসলে ব্যাপারটি ঠিক নয়। বন্ধু যদি কেউ হয়, তবে তা হতে পারে সবার আগে পরিবারেই। বন্ধু হতে পারে এক বোন আরেক বোনের। এবং তা হয়ও। সবসময় কাছাকাছি থাকা হয় বলে হয়তো বোঝা যায় না। কিন্তু সারাদিনের অজস্র গল্প আপনি বোনটির সঙ্গেই ভাগাভাগি করতে পারছেন, রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে জেগে উঠেছেন আর পরক্ষণেই আপনার মনে পড়লো, আমার বোন তো আমার পাশেই রয়েছে- এই নির্ভরতা, এই ভালোবাসার সম্পর্কটিই বোনের সম্পর্ক।

একত্রে থাকা হয় বলে মাঝে মাঝে হয়তো তুচ্ছ কারণেই ঝগড়া বেধে যায়। লিপস্টিকের দখলদারিত্ব নিয়ে ঝগড়া, সেখান থেকে হয়তো কথা বলা আর মুখ দেখাদেখিই বন্ধ! এই ঝগড়াও মধুর, এই স্মৃতিই আনন্দের। পরবর্তীতে যখন একজন আরেকজনকে ছেড়ে দূরে থাকবেন, তখন টুকটাক স্মৃতিই আপনাকে হাসাবে-কাঁদাবে।

কাউকে ভালো লেগেছে বা কারো প্রেমে পড়েছেন? সর্বনাশ! মা জানলে নিশ্চয়ই রক্ষা নেই। এক্ষেত্রেও আপনার ভরসা আপনার বোনই। কাকে ভালো লেগেছে, কেন ভালো লেগেছে সবটাই এক নিঃশ্বাসে যার কাছে বলে ফেলতে পারবেন, তার নাম বোন। এক্ষেত্রে বোনের কাছ থেকে সাহায্য কিংবা কানমলা যেকোনো একটা অবশ্যই আপনি পাবেন।

আমাদের রক্তের বন্ধনগুলো আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েই পৃথিবীতে আসে। তাই বোন নামের মধুর বন্ধনটি বন্ধুত্বের মায়ায় জড়িয়ে আরো দৃঢ় করতে পারেন। অবশ্য আলাদা করে বন্ধুত্ব তৈরির দরকারও পড়ে না। কারণ বোন তো জন্ম থেকেই বন্ধু!

 

ঘরের দেয়াল রাঙানোর আগে

ইদানীং অন্দরসজ্জায় দেয়ালে ছবি আঁকার বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে৷ অনেকে অন্দরসজ্জার এই বিষয় বেশ ব্যয়বহুল মনে করেন৷ আপনার আঁকার হাত ভালো হলে নিজের দেয়ালটা কিন্তু নিজেই সাজাতে পারেন। বার্জার হোম অ্যান্ড ডেকরের রং বিশেষজ্ঞ এফ এম হেলাল উদ্দীন জানালেন কীভাবে দেয়াল রাঙাবেন, তার পদ্ধতি৷

১. সামনে কোনো আসবাব নেই। পুরোটাই ফাঁকা—ছবি আঁকার জন্য এমন দেয়াল বেছে নিন। কারণ, ছবি যে দেয়ালে আঁকবেন, তার সামনে আসবাব থাকলে পেইন্টিংটা ভালোভাবে ফোকাস হবে না৷
২. পুরোনো দেয়ালে ছবি আঁকতে চাইলে তা ভালো করে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
৩. যে রঙে রাঙাতে চান, দেয়ালের ওপর সেই রঙের একটা প্রলেপ বসান।
.৪. দেয়ালের বেসটা গাঢ় করতে চাইলে যে রং লাগাবেন, পরপর তিনবার সেই একই রঙের প্রলেপ দিন।
৫. যদি গাঢ় রঙের দেয়াল হালকা রঙে রাঙাতে চান, তাহলে এক কোট প্লাস্টিক পেইন্ট ব্যবহার করুন।
৬. ঘরের দেয়ালটা ছোট হলে পেইন্টিংয়ে খুব বেশি রঙের ব্যবহার না করাই ভালো৷
৭. এখন অনেকেই দেয়ালচিত্রে নানা ধরনের প্রপসের ব্যবহার করেন৷ খেয়াল রাখবেন, তা যেন পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়৷

Save

Save

 

নিজের লক্ষ্যের কথা গোপন রাখবেন যে কারণে

আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন, আমরা প্রকৃত ধনী ব্যাক্তিদের জীবন সম্পর্কে তেমন কিছুই কিন্তু জানি না। আমরা তাদের অনেক কার্জকর্মই মেলাতে পারি না। কেন একজন প্রাইভেট প্লেনের মালিক যার কিনা অপূর্ব কোন দ্বীপে নিজস্ব ভিলাও আছে তিনি কেন পুরোনো পোশাক পরেন? আমরা হয়ত ভাবি তাদের এধরণের কাজের কারণ তারা অনেক লোভী অথবা তারা লুকিয়ে বেড়ান যাতে কেউ তাদের ট্রাক করতে না পারেন। কিন্তু বাস্তব কারণ ভিন্ন।
 
প্রকৃত সফলতা মানুষ এমনিই দেখতে পায়। সফল ব্যক্তিত্ব তা দেখিয়ে বেড়ান না। অযথা ঈর্ষা তৈরি করা, শত্রুর হাতে নিজেই অস্ত্র তুলে দেওয়া এগুলো নিশ্চয়ই কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তাই না? নিজের লক্ষ্য, অবস্থান সবসময় নিজের কাছেই রাখা উচিৎ। আসুন জেনে নিই কারণগুলো-
 
নির্বিঘ্ন পথ
আপনার আশেপাশে অনেক শত্রু থাকতে পারে। তারা হয়ত বন্ধুর বেশেই আপনার কাছাকাছি থাকছে সারাক্ষণ। আপনার লক্ষ্যের কথা আপনি যদি সবাইকে জানান তাহলে আপনার শত্রুরা বুঝে ফেলে কোন পথে আপনার ক্ষতি করা সম্ভব! নিজের লক্ষ্য অর্জনের পথকে নির্বিঘ্ন রাখতে হলে নিজের মত কাজ করে যান। অপরকে জানানো জরুরি নয়, নির্ধারিত কৌশলনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিশ্রম করা জরুরি।
 
চিন্তার মৌলিকতা
আপনার চিন্তা, বুদ্ধি একান্তই আপনার নিজস্ব। ধরুন, একটা ব্যবসার আইডিয়া এল আপনার মাথায়। সেটা আপনি অনেকের সাথেই শেয়ার করলেন। তাদের কেউ একজন আপনার আইডিয়া চুরি করে আপনার আগেই ব্যবসা খুলে ফেলল এবং আপনার আইডিয়াকে নিজের বলে প্রচার শুরু করল। এই ঝুকিতে কেন যাবেন? তার চেয়ে বরং নিরবে কাজ করে যান।
 
দৃঢ়তা
আপনার লক্ষ্য আপনার জীবনকে পরিচালিত করে। অন্যরা এব্যাপারে মতামত দেবেন, পরামর্শ দেবেন, আলোচনা-সমালোচনা করবেন এই বিষয়গুলো আপনার আত্মবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। পরামর্শ নিন, কিন্তু সেই ব্যক্তির কাছ থেকে নিন যিনি যোগ্য। জনে জনে পরামর্শ নেওয়ার কোন মানে নেই। নিজের উপর আস্থা রাখুন এবং সেটাই করুন যেটা আপনি করতে চান। এজন্য যত বেশী সম্ভব সমালোচনা বা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী এড়িয়ে চলুন।
 
অন্যকে বোঝানো আপনার কাজ নয়
আপনি কী চান, আপনার স্বপ্ন কী, কীভাবে আপনি সেই পথে ধাবিত হচ্ছেন তা অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা করে সময় নষ্ট করবেন না। আপনি যদি ব্যবসায়ী হতে চান এবং আপনার একজন বিনিয়োগকারীর প্রয়োজন হয় তাহলে শুধু তাকেই বুঝিয়ে বলুন। ��ন্যদের বোঝাতে চাওয়া আপনার সময় নষ্ট করবে, আপনাকে বিভ্রান্ত করবে একইসাথে লক্ষ্য অর্জনে পশ্চদপদতা তৈরি করবে।
 
বোবার কোন শত্রু নেই
আপনার হয়ত কোন শত্রু কখনো ছিল না। আপনি নিপাট ভদ্রলোক। কিন্তু যখনি মানুষ জানবে আপনি বিশেষ কিছু করতে যাচ্ছেন তখনি একদল মানুষ তৈরি হবে যারা এর থেকে সুবিধা নিতে চাইবে। আরেকদল মানুষ তৈরি হবে যারা আপনাকে অতিক্রম করতে চাইবে। তাই, অযথা নিজের পরিকল্পনা অপরকে জানানো বন্ধ করুন।
 
মনে রাখবেন-
* সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুখী ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করার মাঝে কোন বিশেষত্ব নেই।
* একইসাথে নিজের হতাশাও সবার কাছে তুলে ধরার কিছু নেই। কেউ আপনার সমস্যা সমাধান করে দেবেন না।
* অন্যের স্বীকৃতি ছাড়া যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না তারা দূর্বল চরিত্রের অধিকারী। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন।
* আপনার সাফল্য অন্যকে প্রমাণ করে বোঝানোর কোন অর্থ হয় না।
 
গুরুজনরা তাই বলেন, “If you want to avoid the envy of others, love silence.”
 
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

গোরস্তানে গিয়ে যে ৫টি কাজ করা নিষিদ্ধ

এক. কবরে সিজদা করা

কবরে সেজদা করা হারাম এই বিষয়ে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আর এই হাদিসগুলি একজন মানুষের সামনে থাকলে সে কখনো এই ধরণের কাজ করতে পারে না। একটি হাদিসে এসেছে, হযরত জুনদুব (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবীদের কবরকে সিজদার স্থান বানিয়েছে আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি। [মিশকাত ৬৯]

 

দুই. কবরে পুষ্পস্তাবক অপর্ন করা

এই বিষয়ে একটি হাদিসে এমন পাওয়া যায় যে, একদিন নবী (সা.) দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি ইরশাদ করলেন যে, এই উভয় কবরে আযাব হচ্ছে আতঃপর তিনি খেজুরের একটি তাজা ডাল এনে দুটি কবরে পুতে দিলেন এবং তিনি ইরশাদ করলেন, আশা করা যায় যতদিন এই ডাল শুকাবে না ততদিন আযাব কিছুটা লাঘব হবে। দাফন কাপরের পরে কবরে পানি ছিটিয়ে দেয়া জায়েয আছে কিন্তু ফুল ছিটিয়ে দেয়া সুন্নতের পরিপন্থী। কবরে আগর বাতি জালানো বিষিদ্ধ ও মাকরূহ। [আপকে মাসায়েল ১/৩১৬]

 

তিন. কবরে চাদর চড়ানো

হাদিসে দেয়ালে চাদর চড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ তাতে বাহ্যিকভবে তাতে খারাবীর কিছু নেই। শিরকেরও কিছু নেই। অথচ কবরে চাদর চড়ানো তো গায়রুল্লাহকে সম্মানের মান্তর। তাই কবরে চাদর চড়ানো জায়েয নেই। [আহসানুল ফাতাওয়া ১/৩৭৮]

 

চার. কবরে টাকা দেয়া

মাযারে যে কাটা দেয়া হয় এই দ্বারা যদি এই উদ্দেশ্য থাকে যে গরীবকে সাহায্য করা তাহলে দেয়া জায়েয আছে। আর যদি মাযারে মান্নত করার কারণে দিয়ে থাকে তাহলে তা নাজায়েয ও হারাম

 

পাচ. কবরবাসীর কাছে কিছু চাওয়া

কোন মাজারে গিয়ে এই কথা বলা যে, হে অমুক! আমার জন্য দোয়া করুন যেন আমার কাজটা হয়ে যায় অথবা এই কথা বলা যে কবর থেকে বের হয়ে এসে ইসলামকে সাহায্য করুন। অথবা এই ধরণের কোন শব্দ ব্যবহার করা বা ডাকা মাকরূহ। এছাড়া যদি তার আকীদা গলত হয় অর্থাৎ কবর ওয়ালাকে আল্লাহর কাজের হস্তক্ষেপের অধিকারি মনে করে ডাকে তাহলে হারাম হবে। [ইমদাদুল আহকাম ১/২২৩]

 

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

হালকা শীতের পোশাক

সূর্যের তেজ কমতে থাকলেই ঠান্ডা বাতাসটা গায়ে লাগে। খুব বেশি শীতল নয়। তারপরও শীতের আগমন বলে কথা। একটু উষ্ণতা পেলে মন্দ হতো না। তবে শীতে জবুথবু হয়ে থাকার মতো পোশাকের প্রয়োজনও এখনো পড়েনি। পাতলা কাপড়ের তৈরি, স্টাইলেও আনবে ভিন্নতা—এমন পোশাক দেবে বাড়তি আরাম। বাজারে এখন বিভিন্ন নকশার ও কাপড়ের তৈরি এমন পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। নকশার পাতায় তারই এক ঝলক।

চাইলে পুরো হাতার, লম্বা কাটের শ্রাগও পরতে পারেন। তবে পাতলা কাপড়ের তৈরি হলে পরে আরাম পাবেন। গেঞ্জি কাপড় অথবা দু-তিন ধরনের কাপড়ের মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে হালকা শীতের পোশাকগুলো। ছবির শ্রাগটি সিঙ্গেল জার্সি নিট দিয়ে তৈরি করা। কামিজ কিংবা পাশ্চাত্য পোশাকের ওপরে পরা যাবে অনায়াসে। পলিস্টার উলের তৈরি হাফহাতা টি-শার্ট। যাঁরা পুরো হাতা পরতে চান না, তাঁদের জন্য আদর্শ। উলের পরশ থাকায় কিছুটা ওমও পাবেন।

পাতলা সুতি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে টি-শার্ট দুটি। হালকা শীতের জন্য আদর্শ।

মডেল: হৃতিকা ও তানহা পোশাক: আরবান ট্রুথ, আইকনিক ও জেন্টাল পার্ক ছবি: সুমন ইউসুফদাওয়াতে সিল্কের তৈরি এ ধরনের স্টাইল শাল পরতে পারেন। জমকালো ভাব নিয়ে আসবে দাওয়াতের লুকে। জিনস, টাইটস কিংবা সোজা কাটের প্যান্ট বা পালাজ্জোর সঙ্গে ভালো লাগবে।

শীতকালে জিনস পরে আরাম পান অনেকেই। জিনসের তৈরি টি-শার্ট স্টাইল ও আরাম দুটোই দেবে। গেঞ্জি কাপড়ের তৈরি পুরো হাতার সাদা রঙের টি-শার্টও বেশ নজরকাড়া।

Save

Save

Save

Save

Save

 

ঘর পরিষ্কার

ঝেড়ে-মুছে সব ঝকঝকে। ঘরের কোথাও কোনো ধুলা নেই। কোনো দাগও নেই। শহুরে জীবনে চাইলেও বাসাবাড়ি এমন পরিষ্কার রাখা যায় না। বাড়িতে সহায়তাকারী না থাকলে অফিস শেষে প্রতিদিন সবকিছু হয়তো গুছিয়ে রাখাও সম্ভব না। বাড়ি পরিষ্কার রাখার ছোটখাটো কিছু পদ্ধতি আছে। ঘরবাড়ি প্রতিদিন নিয়ম করে পরিচ্ছন্ন রাখা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে কিছু সহজ উপায় জানা থাকলে ঝটপট এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাসায় ফিরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন, সেটিই যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে কীভাবে হবে? সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনের জন্য চাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঘরদোর। এ নিয়ে কথা হলো রাজধানীর সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরস বিভাগের প্রভাষক তাসমিয়া জান্নাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই। এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে অনেক এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ১৯৪০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পারডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মারভিন ম্যান্ডেলার মতে, শিল্প-বিপ্লবের পর থেকেই যেহেতু প্রতিনিয়ত আমাদের ঘরে-বাইরে কাজ করতে হয়। তাই সবকিছু সামলে নিয়ে পরিপাটি থাকতে হলে আমাদের প্রাত্যহিক কাজে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।

ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার সহজ টিপস

* দরজা-জানালা কিংবা শোকেসসহ সব ধরনের কাচ ও থাই গ্লাস পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে লাগবে পানিতে ভেজা এক টুকরো স্পঞ্জ বা ফোম। পানির সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ভিনেগার বা অ্যামোনিয়া মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার পুরোনো পত্রিকার পাতা ভিনেগার আর পানির মিশ্রণে ভিজিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন—কাচের চকচকে ভাব ফিরে আসবে। তবে সুতি কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে হিতে বিপরীত অবস্থা হতে পারে। কাপড়ের সূক্ষ্ম সুতা কাচের গায়ে লেপটে যায়। জানালার কাচে উজ্জ্বলতা আনতে সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন। প্রতি এক গ্যালন পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগারই যথেষ্ট। স্প্রে বোতলে নিয়ে স্প্রে করে পেপার বা সূক্ষ্ম সুতার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

* স্টেইনলেস স্টিল ও প্লাস্টিকের আসবাব ধোয়ার ক্ষেত্রে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিই যথেষ্ট।

* কাঠ, বাঁশ, বেত, হার্ডবোর্ড কিংবা পারটেক্সের তৈরি আসবাব পরিষ্কারে কখনোই পানি ব্যবহার করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে ধুলাবালু দূর করতে শুকনো কাপড় বা মপই যথেষ্ট। মপ মানে, হাতলের মাথায় থাকা গুচ্ছাকার সূক্ষ্ম সুতার দড়িসমেত ঝাড়ু বিশেষ। প্রয়োজনে প্রতি কক্ষে আলাদা আলাদা মপ রাখতে পারেন—খাটের নিচে, দরজার আড়ালে কিংবা বারান্দায়।

* সোফা, খাট, চেয়ার ইত্যাদি আসবাবের পরিষ্কারের জন্য আছে ‘ফার্নিচার ডাস্টার’। দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কাঠে পানি পড়লে তা শুকিয়ে নিতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

* মোজাইক বা টাইলস করা পাথুরে মেঝে পরিষ্কার করতে ফ্লোর মপ বা ফ্লোর ব্রাশ ব্যবহার করুন। সে ক্ষেত্রে মেঝে পরিষ্কারক বিশেষ ধরনের সাবান (কঠিন বা তরল-জাতীয়) ব্যবহার করুন, কিন্তু কখনোই ডিটারজেন্ট পাউডার ব্যবহার করা ঠিক না।

* কার্পেট পরিষ্কার করা খুব কঠিন বিষয়ই বটে। এতে সামান্য বাই-কার্বোনেট সোডা ছিটিয়ে একটু ঘষে রেখে দিন ১৫ মিনিট। এরপর এভাপোরেট টুল দিয়ে বা ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দিন। ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ ‘ড্রাই শ্যাম্পু’ও।

* যেকোনো আসবাবের আঁচড়ের দাগ দূর করতে আলু কেটে ঘষুন, বেশ কার্যকর।

* কাঠের তৈরি আসবাব যেমন টেবিল বা বেঞ্চে মার্কার পেনের কালি লেগে গেল, তুলবেন কীভাবে? দাঁত মাজার টুথপেস্ট ব্যবহার করুন, উঠে যাবে।

* বাচ্চার আঁকিবুঁকিতে ঘরের দেয়ালের যাচ্ছেতাই অবস্থা? ভেজা স্পঞ্জ বা কাপড়ে বেকিং সোডা নিয়ে মুছে ফেলুন দেয়ালের যত দাগ।

* মাত্র কিনে আনা বাক্স থেকে খোলা নতুনের মতো রাখতে চান স্নিকার জুতা? টুথপেস্ট দিয়ে ঘষুন।

* সবজি কাটার বোর্ডে লেগে থাকা সবজি আর তা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধ দূর করতে চান? লেবু কেটে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। লেবুর সঙ্গে লবণ ও বেকিং সোডাও মিশিয়ে নিতে পারেন।

* ঘর পরিষ্কারের পরপরই ঘর মোছার কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে।

* একটু সুযোগ পেলেই ঘরের কোনায় বা ওপরের দিকে মাকড়সা বাসা বাঁধে। ঝুলজাতীয় কালিও লেগে থাকে তাতে। এসব সহজে পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন সিলিং ব্রাশ। বেশ লম্বা হাতলওয়ালা ঝাড়ুগুলোয় নারকেলের শলাকা বা প্লাস্টিকের নরম আঁশ ব্যবহৃত হয়। আবার চাইলেই এর হাতল ইচ্ছামতো ছোট-বড় করা যায় পাবেন এমন সিলিং ব্রাশ। পাবেন ১৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

* সারা দিনের রান্নায় লাগে এমন মসলা পিষে আগে থেকেই ঢাকা অবস্থায় ফ্রিজে রাখতে হবে। এতে গন্ধ ছড়াবে না এবং অন্যান্য খাবারও থাকবে ফ্রেশ।

* নিয়মিতভাবে সাবধানতার সঙ্গে ফ্রিজ পরিষ্কার করা যায়। প্রথমেই ফ্রিজের সুইচ অফ করে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এবার ভিনেগার বা বাসনকোসন ধোয়ার ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ধুয়ে নিন। তবে কখনোই ফ্রিজের গায়ে সেঁটে থাকা বরফ ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে তুলতে যাবেন না, এতে ফ্রিজের ক্ষতি হতে পারে।

* অনেক সময় পানির কল বা টেপ বিকল হয়ে পড়ে—টেপ খুলতে বা বন্ধ করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এ ক্ষেত্রে একটি কাপড় উত্তপ্ত ভিনেগারে ডুবিয়ে পানির কলে জড়িয়ে দিন, সুফল পাবেন।

* সাধারণ ডিটারজেন্ট বা হারপিক দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করতে পারেন। ব্যবহৃত টিস্যু, সাবান কিংবা শ্যাম্পুর মোড়ক ইত্যাদি ফেলার জন্য বাথরুমেই একটি নির্দিষ্ট ময়লার ঝুড়ি রাখতে পারেন।

* ওভেনে খাবার গরম করার সময় অবশ্যই ঢাকনাসহ বাটি ব্যবহার করতে হবে। না হলে ওভেনের ভেতরটা তৈলাক্ত হয়ে যাবে।

* রান্নাঘরে তরিতরকারি কিংবা খাবারের ময়লা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভেজা ও শুকনো ময়লা ফেলার জন্য পৃথক দুটি ময়লার ঝুড়ি রাখুন। ঝুড়ির অভ্যন্তর ভাগ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে নিন—ময়লা নেওয়ার সময় যাতে সেই পলিথিনসহ নিয়ে যায়। নিয়মিত ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করে ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।

* বেসিনের পাশে সব সময় থাকুক হাত ধোয়ার সাবান ও মোছার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে।

* থালাবাসন ধোয়ার পর শুকনো পরিষ্কার ন্যাপকিন অথবা নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে রাখতে হবে যেন দাগ না বসে যায়।

* রান্নাঘরের সিঙ্কটিকে ঝকঝকে করতে হলে অর্ধেক আঙুর, সামান্য লবণ মিশিয়ে একটি স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে নিন।

অন্দরের গাছপালায়ও তো ধুলা জমে। পরিষ্কার করবেন কীভাবে? এ ব্যাপারে পরামর্শ দেন ঢাকার আগারগাঁওয়ের গ্রিন সেভারস নার্সারির প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি। তিনি জানান,

* প্রথমে গাছের মরা পাতা ও ডালপালা থাকলে ছেঁটে ফেলতে হবে।

* ধুলাবালু পড়ে পাতা মলিন দেখাতে পারে। পানি স্প্রে করুন, পাতার ধুলো দূর হবে।

* পরে টিস্যু বা সুতি কাপড়ে নারিকেল তেল নিয়ে পাতা মুছে চকচকে আকর্ষণীয় ভাব ফিরিয়ে আনুন।

* বাজারে লিফ সাইনার নামে একধরনের বোতলজাত তরল পদার্থ পাওয়া যায়। স্প্রে করুন, পাতার চকচকে ভাব ফিরে আসবে। তাতে আবার উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও থাকে। পাবেন পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারের বীজ মার্কেটে।

 

যেন মিনি কক্সবাজার

ঢাকার একেবারে কাছে। দোহারের কার্তিকপুরের যে জায়গাটি পদ্মাপাড়ে গিয়ে মিশেছে তার নাম মৈনটঘাট। এখানে ডানে-বাঁয়ে বালু চিকচিক করা স্থলভূমি থাকলেও সামনে শুধু রুপোর মতো চকচকে পানি। এটা পদ্মা, আমাদের প্রিয় পদ্মা নদী। মৈনট পদ্মাপাড়ের একটি খেয়াঘাট। এখান থেকে প্রতিদিন ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে। খেয়া পারাপারের জন্য জায়গাটির পরিচিতি আগে থেকেই ছিল। তবে এখন সেটা জনপ্রিয় বেড়ানোর জায়গা হিসেবেও। এত দিন অনেকটা আড়ালে থাকলেও ঢাকার কাছে বেড়ানোর ‘হটস্পট’ এখন এই মৈনটঘাট। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া মৈনটঘাটের নতুন নাম হলো—মিনি কক্সবাজার!
প্রমত্তা পদ্মার হাঁকডাক আগের মতো না থাকলেও যা আছে সেটাই বা কম কী! বিশাল পদ্মার রূপ মৈনটঘাট এলাকায় বিস্ময়-জাগানিয়া। একটু পরপর পদ্মার ঢেউ কূলে আঁছড়ে পড়ছে। খানিক পরপর মাছ ধরার ট্রলার ছুটে চলে যাচ্ছে। তীরে সব ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়। তাঁদের কেউ কেউ মাছ ধরার নৌকা দেখে মাছ কেনার জন্য এগোচ্ছেন। দরদাম ঠিক থাকলে অনেক পর্যটক মাছ কিনে নিচ্ছেন। পুরো নদীর তীর ও তার আশপাশের এলাকা সমুদ্রসৈকতের মতো করে সাজানো। এখানে সকালবেলাটা খুব ভালো কাটে, দুপুর কিছুটা মন্থর, তবে বিকেলবেলা অনেক বেশি জমজমাট। সোনা রোদের গোধূলিবেলার তো কোনো তুলনাই চলে না।
মৈনটপাড়ের দোকানপাটে বেচাকেনা আর পদ্মার জলে ঘুরে বেড়ানো। পদ্মার দুপাশের বিস্তীর্ণ ভূমি আর পদ্মার ঢেউ আছড়ে পড়ার দৃশ্যে আপনার সমুদ্র ঊর্মিমালার কথাই মনে হবে। আপনি হেঁটে হেঁটে চলে যাবেন বহুদূর। এখানে পদ্মার জলে পা ভিজিয়ে গল্প করার মজাই আলাদা!
সরাসরি বাস মৈনটঘাট চলে আসে। যাদের নিজস্ব বাহন আছে, তাদের তো কথাই নেই। বাস বা নিজস্ব বাহন থেকে নেমেই চোখে পড়বে নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসা অনেক দোকানপাট। খাবারের দোকান তো আছেই। এসব পেছন ফেলে সামনে গেলেই পাবেন বিশাল পদ্মা। এতটা বিশাল যে ওপারের কিছুই দেখা যায় না, দেখা যায় না ডান-বাঁয়ের কোনো বসতি। এখানে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে। চাইলে ট্রলারে চেপে ওপারের চরভদ্রাসন থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। আবার ঘণ্টা চুক্তিতে ট্রলার বা স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মার বুকে ভেসে বেড়াতে পারেন। যা-ই করেন এখানে সময়টা কিন্তু বেশ কাটবে!

.দরকারি কথা
মৈনটঘাট সারা দিনের ট্যুর। দিনে গিয়ে দিনেই ফেরত আসতে পারবেন। ঢাকার গুলিস্তানের মাজারের সামনে থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস আছে। যমুনা নামের এই বাসটি আপনাকে ঠিক দেড় ঘণ্টায় মৈনটঘাট পৌঁছে দেবে। ভাড়া ৯০ টাকা। তবে দলবেঁধে মাইক্রোবাস নিয়ে গেলে দারুণ একটা পিকনিক পিকনিক ভাব পাবেন। মৈনটঘাট তো অবশ্যই যাবেন। দেখে আসতে পারবেন কোলাকোপা বান্দুরার সব ঐতিহাসিক স্থাপনা, আলালপুর তাঁতপল্লি ও হাছনাবাদ জপমালা রানির গির্জা! খাবার নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। মৈনটঘাটেই রয়েছে ছাপরাঘরের মতো কিছু ভালো রেস্তোরাঁ। একেবারে ঘরের খাবারের স্বাদই পাবেন। বাচা মাছ, চিংড়ি আর পদ্মার ইলিশে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
সচেতনতা
বলা হয় প্রমত্তা পদ্মা। তার আগের সে রূপ না থাকলেও হালকাভাবে নেবেন না। এখন নদীতে গোসল করা নিষেধ। কেউ গার্ডের অবাধ্য হয়ে কিছু করবেন না। পানিপথে যাতায়াতে বা ট্রলারে ঘুরে বেড়ানোর সময় একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সম্ভব হলে সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট রাখবেন। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, আপনার বা আপনার ভ্রমণসঙ্গীদের দ্বারা পরিবেশ হুমকিতে পড়ে এমন কোনো কিছু অবশ্যই করা চলবে না। পলিথিন বা প্লাস্টিকের বোতলসহ পরিবেশ বিপন্ন হয় এমন কিছু ফেলে আসবেন না।

Save

Save

Save

 

ঘরেই তৈরি করুন মজাদার চিকেন নাগেটস

চিকেন নাগেটস সববয়সীদের কাছেই প্রিয় একটি খাবারের নাম। বাজার থেকে কেনা নাগেটসগুলো স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। আপনি চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন বাজারের মতো চিকেন নাগেটস। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : ৫০০ গ্রাম চিকেন ছোট টুকরো করা, ১ কাপ বাটার মিল্ক, ১/২ চা চামচ হার্ব, লবণ, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ১ কাপ ময়দা, ব্রেড ক্রাম্বস বা বিস্কুটের গুঁড়ো, ২টি ডিম, ২ টেবিল চামচ চিজ।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে নিন। বাটার মিল্ক, অল্প লাল মরিচ গুঁড়ো ভাল করে মাংসে মাখিয়ে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর মিশ্রণটি থেকে মাংসগুলো আলাদা করে নিন। এখন চিকেনের টুকরোগুলোতে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, হার্ব ( আপনি আপনার পছন্দমত হার্ব যেমন ওরিগেনো গুঁড়ো, তুলসি গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন) দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ময়দা, লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো, এবং পারমেজান চিজ গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নিন। মুরগির টুকরোগুলো ময়দায় গড়িয়ে নিন। তারপর এটি ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রাম্বস গড়িয়ে নিন। এরপর চিকেন নাগেটসগুলো গরম তেলে দিয়ে দিন। বাদামী রং হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন নাগেটস। চাইলে কাঁচা অবস্থায়ও ড্রিপ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।

 

কেমন হবে মা-ছেলের সম্পর্ক

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক মা। মায়ের কোনো তুলনা হয় না। সন্তানের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, তাকে দেখাশোনা, তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা- সব, মায়ের হাতেই হাতেখড়ি। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এই সম্পর্ক সৃষ্টির শুরু থেকেই। মা হাজার ব্যস্ত থাকলেও সন্তানের জন্য থাকে তার অফুরন্ত সময়। মা তার সন্তানকে তার সর্বোচ্চ দিয়ে ভালোবাসেন। তবে সন্তান মাঝে মাঝে তার ব্যস্ততার জন্য মাকে সময় দিতে পারে না। মায়ের জন্য সন্তানের সময় হয়ে ওঠে না। পারিপার্শ্বিক কাজ, স্কুল, কলেজ আর বন্ধুবান্ধব মায়ের সেই অভাব আর সন্তানকে অনুভব করতে দেয় না। তবে কী সন্তানের ভালোবাসা মায়ের থেকে সত্যিই কমে যায়?

সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে মায়ের এই বিষয় নিয়ে কখনো অভিযোগ থাকে না। সন্তান মায়ের কাছে সৃষ্টিকর্তার উপহার। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ছেলে সন্তানের জগৎটা কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেক সময় মায়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, তার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। একটি সময় মা যখন ছিল তখন তার জীবনে দ্বিতীয় কোনো মানুষ ছিল না। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের পাশাপাশি যুক্ত হয় বন্ধু-আত্মীয়সহ কাছের মানুষ। আর এতেই দূরত্ব বাড়ে। ছেলেদের সঙ্গে মায়ের খুনসুটি কিছুটা আগে থেকেই থাকে। মাকে ঘিরেই অনেকের থাকে দুনিয়া। হাজার ব্যস্ত থাকলেও মায়ের জন্য ছেলের মন পোড়েই। মায়ের জন্য তার ভালোবাসা হয়তো প্রকাশিত হতে পারে না, তবে তাই বলে ছেলের মনে মায়ের ভালোবাসা কমে না।

কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। ছেলেরা মায়ের চেয়ে বাবার সঙ্গে একটু বেশি খোলামেলাভাবে কথা বলতে পারে। যাতে মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। মা’কে সে সবকিছু আর তখন খুলে বলতে চায় না। যার ফলে দূরত্ব আরো বিশাল হয়। তাদের মাঝে সম্পর্কের ফাটল ধরে।

কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাবা সারাদিন অফিসে থাকে। মা ছাড়া তার আর কোনো সঙ্গী থাকে না। তাই মাকেই সে অবলীলায় বলে ফেলে মনের সব কথা। যার ফলে বড় হয়েও মায়ের সঙ্গে সে বিনা দ্বিধায় যে কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে।

ছেলে বড় হলে নানা কাজে তো ব্যস্ত থাকতে হয়ই, তাই বলে মায়ের জন্য কিছুটা সময় রাখতে ভুলবেন না। মায়ের সঙ্গে সারাদিনের ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়েই গল্প করুন, সম্ভব হলে তার কাজে টুকটাক সাহায্যও করুন। বাইরে থেকে ফেরার সময় মায়ের পছন্দের কিছু একটা কিনে নিয়ে যান। দেখবেন, মুখে কপট রাগ দেখালেও মনে মনে মা কতো খুশিই না হন!

 

ভ্রমণ করুন অপূর্ব হাইতি

হাইতি যেন এই পৃথিবীর বুকে ছোট্ট একটি স্বর্গ। এখানে টারকুইশ ঢেউয়েরা আছড়ে পড়ে সোনালী উপত্যকায়। মেঘ ছুঁয়ে যায় পর্বতের চূড়া। ঘন বনের সবুজ তার সাথে ঘটায় অপরূপ মিতালী। চোখ ধাঁধানো সূর্যাস্ত যে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের অবতারণা করে তার তুলনা হয় না বিশ্বের আর কোনকিছুর সাথে। বিশ্রাম নিতে চান অথবা নিতে চান নতুনের চমকপ্রদ স্বাদ, কোনকিছুতেই আপনাকে হতাশ করবে না হাইতি। আসুন জেনে নিই হাইতির প্রধাণ আকর্ষণগুলো কী কী।

সিতাডেল লাফেরিয়্যা

দূর্গটির অবস্থান পাহাড়ের চূড়ায়। চারদিকে পাহাড়ের সবুজ, আকাশের মেঘ আর তার মাঝে প্রাচীন এই দূর্গটি এক মোহনীয় আবহের তৈরি করে। এটি নির্মাণের কারণ ছিল ফরাসী আগ্রাসন থেকে হাইতি অঞ্চলকে রক্ষা করা। হাইতির সেই সময়ের শক্তির পরিচায়ক দূর্গটি এখন হাজারো পর্যটকের আকর্ষণস্থলে পরিণত হয়েছে। রাতে দূর্গের আলোকসজ্জা ভিন্নভাবে আকর্ষণ করবে আপনাকে। এই দূর্গ ভ্রমণ একইসাথে আপনাকে ইতিহাস, রাজনীতি, প্রাচীন ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। সাথে দেবে প্রকৃতির অপার শান্তি।
বাসিন ব্লিউ
হাইতির জ্যাকমেল পাহাড়ের একটি জলপ্রপাতের নাম বাসিন ব্লিউ। প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিপূর্ণ অপূর্ব একটি ট্রেইল ধরে আপনি পৌছে যাবেন বাসিন ব্লিউতে। সেখানে কাটিয়ে আসতে পারেন চমৎকার একটি দিন। জলপ্রপাতের জলধারা তৈরি করেছে একটি একটি ছোট্ট পুকুর। টারকুইশ নীল রঙ সেই পুকুরের। তার মাঝে সাঁতার কাটা, ভেসে বেড়ানোসহ সবই করতে পারবেন আপনি। জায়গাটি খুবই নিরাপদ। তাই নিশ্চিন্তে উপভোগ করতে পারবেন সবটুকু সৌন্দর্য্য, যেভাবে আপনি চান সেভাবেই।
ক্যাথেড্রাল নর্টে ডেম ডি কেপ হাইতিয়ান

ক্যাথলিক এই ক্যাথেড্রালটির অবস্থান কেপ হাইতিয়ানে। সুন্দর এবং শান্তিময় একটি জায়গা এটি। কলোনিয়ান শহরটি ঘুরে এসে বিশ্রাম নিতে পারেন এখানে। চার্চের সামনে ছোট্ট পার্কটিও প্রশান্তি দেবে আপনাকে। দালানটির সাদা দেয়াল যে বহু বছরের ইতিহাস তুলে ধরে। ঝকঝকে শান্তিময় চার্চটির নির্মাণশৈলীও প্রশংসার দাবি রাখে। ভেতরে এবং বাইরে উভয়দিকে চমৎকার কারুকার্য এবং সার্বিক কাঠামো যে কোন পর্যটককে বাধ্য করে একবার থমকে দাঁড়াতে।
লাবাদি
লাবাদি একটি বেসরকারি বন্দর। এর মালিক রয়াল ক্যারাবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ক্রুজ কোম্পানি। সানন্দে এক সপ্তাহের ট্যুর পরিকল্পনা করে  বেড়িয়ে আসতে পারেন এখানে। শুভ্র বালির বিচ, স্ফটিক স্বচ্ছ পানি এই এলাকাকে করেছে মনোমুগ্ধকর। সমুদ্রকে উপভোগ করার সমস্ত আয়োজনই রয়েছে এখানে। বিশ্রাম নিতে পারবেন, ঘুরে বেড়াতে পারবেন, শপিং করতে পারবেন স্থানীয় নানান দ্রব্যাদি। আর নীল সমুদ্রে সাঁতরে বেড়ানো, ডাইভিং, প্যারাগ্লাইডিং তো থাকছেই।
সান সৌচির প্রাসাদ

রাজা হেনরি ক্রিসটোফের প্রাসাদ ছিল এটি। কথিত আছে তিনি দাস থেকে রাজা হয়েছিলেন। ১৮৪২ সাথে ভূমিকম্পে প্রাসাদটি ধ্বংস হয়ে যায় কিছুটা। ঐতিহাসিক ভবনটি প্রাচীন সৌন্দর্য এবং জ্ঞানের ভান্ডার। একে প্রায়ই তুলনা করা হয় ফ্রান্সের ভার্সাইলিস প্রাসাদের সাথে। প্রাচীন এই ভবনটির বিস্তৃত সিঁড়ি শুরুতেই মুগ্ধ অভিভাদন জানাবে আপনাকে। এরপর এর বিশাল জানালা, অভ্যন্তরীণ সজ্জা, ভবনের সামনে বিস্তৃত বাগান সবকিছুই আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেবে রাজার রুচিবোধের সাথে। প্রাসদটির সামনেই রয়েছে বড় একটি ফোয়ারা। আর স্থির মূর্তিগুলো যেন প্রাসাদকে পাহারা দিতে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।

 

হাইতির প্রধাণ আকর্ষণ এর সমুদ্র। পাহাড়, জলপ্রপাত সবকিছুই হাইতিকে দিয়েছে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক অবয়ব। ইতিহাস যুক্ত হয়ে যেন পূর্ণতা পেয়েছে হাইতি। ছোট্ট দ্বীপটি তাই বছরের পর বছর আকর্ষণ করে চলেছে পর্যটকদের।

 

আবারো বিজ্ঞাপনে কেয়া

দীর্ঘদিন পর বিজ্ঞাপনে কাজ করলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাবরিনা সুলতানা কেয়া। তাকে এবার দেখা যাবে কোকোলা পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ বিস্কুট`র নতুন বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে।

কাজী ইলিয়াস কল্লোলের পরিচালনায় আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) থেকে বিজ্ঞাপনটির শুটিং শুরু হয়েছে উত্তরার একটি শুটিং বাড়িতে।

নতুন বিজ্ঞাপন নিয়ে কেয়া বললেন, ‘বিজ্ঞাপনটির চিত্রনাট্য খুব সুন্দর। তাই কাজটি করতে রাজি হয়েছি। আর কল্লোল ভাইয়ের সঙ্গে আমি এর আগেও অনেক কাজ করেছি। যে কারণে তার সাথে আমার বোঝাপড়াটাও ভালো। সবমিলিয়ে বেশ ভালো একটি বিজ্ঞাপন হতে যাচ্ছে বলে আশা করি।’

জানা গেছে, কোকোলা পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ বিস্কুট’র এই নতুন বিজ্ঞাপনটির প্রচার এই মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমদিকে শুরু হবে।

এদিকে সম্প্রতি ‘শিরোনামে তুমি’ নামের একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন কেয়া। এখানে তিনি চিত্রনায়ক সাইমনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করবেন।

 

ইসলামে বাড়াবাড়ি করার প্রতি কঠোর নিষেধাজ্ঞা

হিজরি সালের ৬ষ্ঠ বৎসরের জিলকদ মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরী মক্কায় রওয়ানা হন। ওই সময় মক্কা ছিল কাফেরদের দখলে। ফলে তারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথীদেরকে মক্কায় প্রবেশে বাধা প্রদান করেন। যা ছিল অত্যন্ত বাড়াবাড়ি।

পরে অনেক আলাচনার পর সন্ধি হলো- পরবর্তী বছর সপ্তম হিজরিতে এসে তারা ওমরা পালন করবেন। সে অনুযায়ী সপ্তম হিজরিতে বিশ্বনবি ও তাঁর সাথীগণ ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার দিকে রওয়ানা হন। কিন্তু সাহাবাদের আশংকা হলো যে, মক্কার মুশরিকরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আক্রমণ চালায়; সে সময় নীরবতা পালন করা মুসলমানদের জন্য কল্যাণকর হবে না।

যেহেতু জিলকদ মাস যুদ্ধবিগ্রহ থেকে মুক্ত থাকার চার মাসের মধ্যে একটি। সেহেতু মুসলমানগণ অত্যন্ত বিচলিত ছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করে সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন-

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ১৯০নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন যে, কেবল ওই সব কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করবে; যারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে উদ্যত হয়। আর কোনোভাবেই বাড়াবাড়ি করা চলবে না। অর্থাৎ এ যুদ্ধে নারী, শিশু এবং এমন বৃদ্ধকে হত্যা করো না; যে যুদ্ধে কোনো প্রকার অংশ গ্রহণ করেনি।

অনুরূপভাবে গাছপালা বা ফসলাদি জালিয়ে দেয়া এবং কোনো লক্ষ্য ছাড়াই পশু হত্যা করাও বাড়াবাড়ি বলে গণ্য হবে। যা থেকে বিরত থাকতেই আল্লাহ তাআলা বিধি আরোপ করেছেন। (ইবনে কাসির)
তাছাড়া ইসলামে যুদ্ধের হুকুম হলো- ইসলাম শুধু ওই সব মানুষের সঙ্গে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে, যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। আর যারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে না বা সাধারণ জনগণ, তাদের সঙ্গে যুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নেই।

নিরাপরাধ মানুষের ওপর বোমাঘাত, নিরাপদ শহরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এবং তাদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস ও অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করার বিধান মানবতা ও ইসলামী যুদ্ধ নীতির সম্পূর্ণ বিরোধী। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে জনপদ ধ্বংসের মতো বাড়াবাড়ি করতে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন। যারা এ ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন না। আর আল্লাহ যাদেরকে পছন্দ করেন না, তাদের পরিণাম ভয়াবহ। (মাজহারি)

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাথীগণের ওমরা পালনের সময় যারা তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে; তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার ঘোষণা ছিল এ আয়াতে। নিজেদের পক্ষ থেকে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানো ও বাড়াবাড়ি করার নিষেধাজ্ঞাও ছিল এ আয়াতে।

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াত-

পরিষেশে…
সর্বোপরি কথা হলো- আল্লাহর কাজে যারা পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন-ব্যবস্থার সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাদের প্রতিরোধ করা ইসলামে সুস্পষ্ট নির্দেশ। আর দুনিয়ার বস্তুগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে যুদ্ধ বা বাড়াবাড়ি করা যাবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াত থেকে অযথা কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ির শিক্ষা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর জমিনে তাঁর বিধান কায়েমের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও সাধনা করার এবং সমাজে তা বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

শীতের আগে পরিবর্তিত খাদ্য তালিকা

শীতের হাওয়ার লাগলো নাচন, আমলকির ঐ ডালে ডালে। শীতের আগাম বার্তা চলে এসেছে আমাদের সবার কাছে। এক পা দু পা করে চলে এসেছে শীত। তার সাথে সাথে রুক্ষতা আর শুষ্কতা। তবে এতো কিছুর মাঝেও আছে মজার মজার পিঠা আর রঙিন শাক-সবজি। বছরের এই সময়টাতেই পাওয়া যায় নানারকম শাকসবজি। তাই যারা ডায়েটে থাকতে চান তাদের জন্য এই সময়ের চেয়ে মোক্ষম সময় আর কোনোটাই হতে পারে না। তার সাথে সাথে খাদ্য তালিকায়ও আসে কিছু পরিবর্তন। চলুন জেনে নেই সেসব পরিবর্তন।

ফুলকপি, বাঁধাকপিতে ভরে গেছে বাজার। আর এসব সবজিতে আছে ভিটামিন সি, ডি, কে ক্যালসিয়াম এবং লৌহ। এগুলো কিডনি রোগিদের জন্য বিশেষ উপকারী খাবার। তবে রান্নার ক্ষেত্রে এগুলোকে বেশি রান্না করবেন না। এতে ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। তাই একটু ভাপে রান্না করে পরিবেশন করুন।

এর সাথে সাথে আছে গাজর। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি ত্বক ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া গাজরে আছে ভিটামিন সি, সাইকোপিন, লুটিনসহ আরো অনেক কিছু।

বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে টমেটো কাঁচা খাওয়ার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-কে, ফলিক এসিড লাইকোপিন, ক্রোমিয়াম ও আরও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনসমূহ। তাই খাবার তালিকায় টমেটো রাখুন

এই সময়ের আরো একটি খাবারের নাম মুলা। এটি আপনার শরীরের পটাসিয়ামের যোগানদার। ভিটামিন সি এবং কে ছাড়া এতে আছে অ্যান্টি ক্যানসার উপাদান। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব সবজি রাখা উচিৎ। এসব সবজি মৌসুমি হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই খাদ্য তালিয়ার এসব সবজি রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।

 

চিকেন বারবিকিউ তৈরি করবেন যেভাবে

হালকা শীতের এই সময়টাতে বাড়ির ছাদে অনেকেই করে থাকেন বারবিকিউ পার্টি। বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠার পাশাপাশি মুখরোচক এমন খাবার, আনন্দ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ। চলুন জেনে নেই বারবিকিউ চিকেন তৈরির রেসিপি-

উপকরণ : ১২ টুকরো মুরগির মাংস, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, রোজমেরি ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ৩টা আস্ত লেবুর রস, সরিষার তেল আধা কাপ, গরম মশলা গুঁড়া পরিমাণ মতো।

প্রণালি : প্রথমে মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে মাংস ছাড়া সব উপকরণগুলো একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মেশানো মশলার সঙ্গে মুরগির টুকরোগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এভাবে দেড় ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কয়লার চুলোয় ২৫-৩০ মিনিট অল্প আঁচে রাখুন। কিছুক্ষণ পরপর মাংসের টুকরোগুলো উল্টিয়ে দিন। পরিবেশন ডিসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

 

কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন

রূপের এক অবারিত লীলাভূমি কাশ্মীর। এটি ভারতের একটি রাজ্য। যেহেতু কাশ্মীর হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত সেহেতু এটি একটি শীতপ্রধান দেশ। কাশ্মীরেরে শাল পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানকার শীতের সঙ্গে এই অঞ্চলে অবস্থান করা মানুষেরা মানিয়ে নিয়েছে। তবে এতো কিছুর মাঝেও তাদের পোশাকে আছে নানা বৈচিত্র্য। এক এক স্থানের মানুষের চলাফেরা, পোশাক আর তাদের ফ্যাশনে রয়েছে পার্থক্য। যা তাদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যেমন সাহায্য করছে, তেমনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতেও। চলুন জেনে নেই এসব পোশাক এবং এদের ফ্যাশন সম্পর্কে কিছু তথ্য।

ফিরানা
এটি একটি বিশেষ পোশাক। যা কাশ্মীরী মেয়েরা বিয়েতে পরে থাকে। এটি তাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এটি বাহারি রঙের হয়ে থাকে এবং লম্বায় প্রায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত। এটিতে থাকে জরির কাজ, সঙ্গে এম্ব্রয়ডারি এবং লেসের কাজ। পোশাকটিতে রাখা হয় একের অধিক পকেট।

তারাঙ্গা
এই পোশাকটিতে মাথা, কান এবং সারা শরীর আবৃত করা থাকে। এটি বছরের যে কোনো সময় পরা যায়। মাথার পাতলা কাপড়ের অংশটিকে বলা হয় স্কার্ফ এবং তার ওপরে থাকে নানা রঙের মিশ্রনে তৈরি টুপি। যা পেছনের দিকে কিছুটা হেলানো থাকে। এটি শরীরের আকৃতি নিয়ে থাকে। তবে এই পোশাকটি সব সময় পরা গেলেও এটিকে বেশি দেখা যায় হিন্দু বিয়েতে।

ডিজহারুস
এটি মূলত তাদের সাজের একটি নাম। দু’হাতে নানা রঙের চুড়ি এবং সঙ্গে আঙুলে বাহারি রঙের আংটি আর তার সঙ্গে গলায় নানা রঙের গয়না। আর হিন্দু মহিলাদের ক্ষেত্রে তাদের গলায় থাকে স্বর্ণের মঙ্গলসূত্র। যা থাকে স্বর্ণের চেইনের মাঝে। এটি হিন্দু মহিলাদের স্বামীর দেয়া প্রতীক।

বিশেষ পাগড়ি
এটি একটি বিশেষ পাগড়ি। এটি তাদের পূর্বপুরুষের সম্মান বহন করে। এই পাগড়ি পরা হয় রেশমি কাশ্মীরী শালের সঙ্গে। এই পাগড়ি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুসলিমরা পরে থাকে। তবে ফ্যাশনের কারণে হিন্দু, মুসলিম সবার কাছেই এটি জনপ্রিয়। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও এটি তারা মাথায় পরে থাকেন। এটি তাদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। এটি শুধু পুরুষেরা পরে থাকেন।

গুরগাবিস
এটি বিশেষ ধরনের জুতা। ঠাণ্ডায় এটি তাদের পা যেমন রক্ষা করে তেমনই ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও এর জুড়ি নেই। এটি তারা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও পরে থাকে। এটি বিশেষ কাপড়ের সংমিশ্রণে তৈরি জুতা। এটি কাশ্মীরের মানুষদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

 

সুপারমুনে মগ্ন বিশ্ব

১৯৪৮ সালের পর আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল উজ্জ্বলতম চাঁদ। এই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্বের কোটি কোটি চন্দ্রপিপাসু মানুষ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সোমবার পূর্ণিমার রাতে কাছাকাছি এসেছে চাঁদ ও পৃথিবী। সৌর জগতের গ্রহ পৃথিবী ও পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের গড় দূরত্ব তিন লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। আজ সেই দূরত্ব ২৭ হাজার ৮৮৯ কিলোমিটার কমে হয় তিন লক্ষ ৫৬ হাজার ৫১১ কিলোমিটার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, কোনো পূর্ণিমার দিনে পৃথিবী ও চাঁদকে এত কাছে শেষ দেখা গিয়েছিল; প্রায় ৬৯ বছর আগে। সেসময় উভয়ের মধ্যে একটু বেশি দূরত্ব কমেছিল; ২৭ হাজার ৯৩৮ কিলোমিটার। পুনরায় এটি দেখা যাবে ৩০৩৪ সালে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যাওয়া সুপারমুনের ছবি…

supermoon
চন্দ্র চলে এসেছে পৃথিবীর কাছাকাছি। ফের এমন দৃশ্য দেখতে হলে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে চন্দ্র পিপাসুদের। তাইতো আনন্দে বুনো উল্লাস দুই চন্দ্র প্রেমিকের।

supermoon
কাজাখস্তানের বাইকোনুরে সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাদিমির ভাস্কর্যের সামনের এই দৃশ্য ধারণ করেছেন এক চন্দ্রপ্রেমিক।

Save

Save

 

সাইকেলে চেপে স্কুলে যাই

শিক্ষকেরা বলেন, বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনের বারান্দায় যত সাইকেল, সব মেয়েদের। দেখানোর জন্য প্রধান শিক্ষক যাদের সাইকেল আছে, তাদের সাইকেল নিয়ে বের হতে বললেন। বিদ্যালয়ের মাঠে রীতিমতো লম্বা সারি হয়ে গেল। কারও মধ্যে কোনো জড়তা নেই। সবাই স্বতঃস্ফূর্ত-স্বচ্ছন্দ। সাইকেলের সঙ্গে আরও একটি জিনিস বেড়েছে, সেটা হচ্ছে স্কুলব্যাগ। কয়েক বছর আগেও মেয়েরা হাতে করেই বই নিয়ে আসত। বেশির ভাগ মেয়ের সাইকেলে ক্যারিয়ার রয়েছে। বাড়ি যাওয়ার সময় বইয়ের ব্যাগটা থাকে ক্যারিয়ারে। আবার কেউ ব্যাগ ঘাড়ে নিয়েও সাইকেল চালিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সকালে বিদ্যালয়ের রাস্তায় দেখা গেল এক সাইকেলে দুজন করেও উঠেছে। পথে হয়তো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়েছে। তার সাইকেল নেই। তাকে ক্যারিয়ারে তুলে নিয়েছে।

কথা হয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি খাতুনের সঙ্গে। দরিদ্র পরিবার। বাবা বেঁচে নেই। মা অভিভাবক। মা তাকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে একটি সাইকেল কিনে দিয়েছেন। মুক্তি জানায়, কিছু টাকা কম পড়েছিল, তার মামা দিয়েছেন। সে বলে, ‘হেঁটে আসতে হলে অনেক সময় লাগে। কোনো দিন প্রথম ক্লাস ধরাই যেত না। আবার ভ্যানে আসতে হলে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ টাকা খরচ হতো। সময়মতো ভ্যান পাওয়াও যায় না। এখন কোনো ঝামেলা নেই। নিজের খুশিমতো আসতে পারছি।’

একই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির সান্তা খাতুনেরও একই কথা। স্বাধীনমতো চলাফেরা করতে পারছে। সকালে প্রাইভেট পড়ে আবার বিদ্যালয়ে আসতে পারছে। কোনো দেরি হচ্ছে না। একই রকম বক্তব্য অষ্টম শ্রেণির নীলা রানি, চাঁদনী খাতুন ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি খাতুনের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আগে মেয়েরা অনেক দূর থেকে হেঁটে কষ্ট করে আসত। তখন রাস্তাঘাটও ছিল না। যখন রাস্তাঘাট হলো, আমরাও মেয়েদের বাইসাইকেল নিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করেছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বেড়েছে। এটা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে।’

পার্শ্ববর্তী বাউসা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ জন ছাত্রী বাইসাইকেলে চড়ে আসে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী বলেন, অভিভাবকেরা এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। মেয়েরা যে ছেলেদের মতো সব কাজই করতে পারবে, এই আত্মবিশ্বাসটা এই এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

 

আছি অনলাইনে রং নিয়ে

রংই তাদের আনন্দ। রঙের মাঝেই বসবাস। নেশাটাই যখন পেশায় পরিণত হয়, জীবনের আনন্দ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে এই শিল্পীদের খুঁজে পাওয়া যায়। ক্যানভাসে ছবি আঁকা ছাড়াও রং করছেন টি-শার্টে, ফোনের কাভারে, কুর্তায় এমনকি জুতার ওপরেও। অনলাইন, প্রদর্শনীর মাধ্যমেই বিক্রি করছেন এসব পণ্য। ভিন্ন এই পেশায় মেয়েরা বেশ দাপটের সঙ্গেই এগিয়ে আছেন। তেমনই তিনজন নারীর গল্প নিয়ে লিখেছেন রয়া মুনতাসীর

 

অনিন্দ্য ফয়সল খান

সারা রাত ধরে কাজ করেছেন। সকালে তাই একটু দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠা হয়েছে। হাজির হলাম জাকিয়া বিনতে ওয়াহাবের বাসায়। সাদা শার্টের সঙ্গে জিনস পরা। রঙের ব্যবহার যে সুযোগ পেলেই করেন শার্টটা দেখে বোঝা গেল। তুলির রং মোছার জন্য শার্টটা ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ফলাফল বেশ ফ্যাশনেবলভাবেই এসেছে। যে টেবিলটায় বসে কাজ করেন তার পাশের দেয়ালটাও পুরোটাই আঁকা। কোথাও লেখা মনের কথা, কোথাও আঁকা পছন্দের নানা কিছু। কোনো এক রাতে বসে বসে এঁকেছেন। পড়ছেন শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে। আঁকাআঁকির প্রতি ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই। কাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মানুষের পছন্দ নিয়ে কাজ করি। আমার পছন্দমতো রং করা কোনো কিছু যে আরেকজন পছন্দ করবে এমন নয়। আমি হয়তো দুই পায়ে জুতার দুই পাটিতে দুই রকম নকশা করি, অনেকে অবাক হয়ে যায়। আমাকে কেউ যখন কাজের ফরমাশ দেয়, তাদের পছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে কাজটা করে দিই।’
জাকিয়া প্রথম থেকেই গতানুগতিক ধারার বাইরে কাজ করতে চেয়েছেন। মুঠোফোনের কাভারে ক্রেতার পছন্দমাফিক ছবি আঁকা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে অন্য জিনিসের ওপরে করা কাজও বেশ প্রশংসিত হয়েছে। তালিকায় আছে হেলমেট, দোতারা, দেয়াল, ফ্যান, সিডি ইত্যাদি। ক্যানভাস তো আছেই। রঙের এই যাত্রায় কাজ শিখতে হয়েছে অনেক। প্রথম দিকে তো রংগুলো বসতেই চাচ্ছিল না। ধীরে ধীরে রং টেকসই করার পদ্ধতি বুঝে গেছেন। অ্যাক্রিলিক নিয়ে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। জাকিয়া মনে করেন রঙের ব্যবহারটা সম্পূর্ণ নিজের ওপর। একটা রঙের সঙ্গে আরেকটা রং মেশানো, নতুন রং পাওয়া খুব ভালো লাগে তাঁর। ফেসবুকের হিজিবিজি পেজে তার আঁকা জিনিসগুলো পেয়ে যাবেন। এই নামটার পেছনের কারণটাও যথার্থ। জাকিয়া একটু এলোমেলোভাবে থাকতেই পছন্দ করেন। কষ্ট হলেও একাই নিজের কাজটা করতে চান। ছোটবেলা থেকে বাবার চাকরির সুবাদে ঘোরা হয়েছে অনেক। ঘুরতে এখনো অনেক পছন্দ করেন। নানা জায়গা, নানা মানুষ, তাদের চরিত্রগুলো নতুন গল্প আঁকার প্রেরণা দেয়।

সারিয়া সাওয়ারো

 

 

প্রিটি শিটির সারিয়া
অ্যাক্রিলিক নিয়ে কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন সারিয়া সাওয়ারো। হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলেন অ্যাক্রিলিক রং ব্যবহারের কারণে ত্বকে সমস্যা হচ্ছে। তাই বলে তো আর রং করা বন্ধ করে দেওয়া যায় না। বেছে নিলেন জলরং ও গোয়াশ পেইন্ট। রং করার অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই। মাঝে বেশ কিছু বছর রংতুলির ছোঁয়া থেকে একটু দূরেই ছিলেন। গণমাধ্যমে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাজ্যের লা কর্ডন ব্লু প্রতিষ্ঠান থেকে পেসট্রির ওপর প্রশিক্ষণ নেন। দ্য ফ্লাওয়ারিস্ট নামে একটি বেকারি দোকানও আছে তাঁর। তবে এখন আঁকার ওপরই যেন বেশি ঝোঁক পেয়ে বসেছে। কাজ প্রসঙ্গে সারিয়া বলেন, ‘আমার কাজে পপ কালচার, বিজ্ঞাপন, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো, মানুষের প্রতি আমাদের যে ধারণা বা উপলব্ধি তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।’ সারিয়ার কাজগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে প্রিটি শিটি আর্টের অনলাইন পেজে। এ পর্যন্ত তিনটা একক প্রদর্শনী করেছেন। একটি যৌথভাবে। প্রতিষ্ঠানের নামটা কি একটু অদ্ভুত লাগছে? হেসে জানালেন, প্রথম দিকে করা কাজে রংগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল, তাই প্রিটি। কাজের মধ্যে কিছুটা ভুলভালও ছিল, তাই শিটি। বর্তমানে ওয়ার্ল্ড লিডার এস বেবিস সিরিজ নিয়ে কাজ করছেন। বিভিন্ন দেশের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের ভাবমূর্তি মজা করেই ক্যানভাসে আঁকছেন।
সারিয়ার আঁকার কোনো নির্দিষ্ট স্টাইল নেই। এটাই তাঁর স্টাইল। ২০১৪-এ প্রথম প্রদর্শনী করেন। ঢাকাতেই হয়েছিল। এই মুহূর্তে ‘মাই পেট প্রজেক্ট’ নামের ব্যানারের মাধ্যমে টাকা তুলছেন। কেউ চাইলেই তাদের পোষা প্রাণীটির ছবি আঁকিয়ে নিতে পারবেন সারিয়াকে দিয়ে। তাঁর বদলে সারিয়া ডোনেশন চাচ্ছেন। যেটা সরাসরি চলে যাবে ঢাকার বিভিন্ন প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে। অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করেছেন। এর মধ্যেই কিছু টাকা জমা করতে পেরেছেন।
ছবি আঁকার জন্য ব্যবহার করেছেন টোট ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, জুতা, টি-শার্ট, কোস্টার, পোস্টার, গ্রিটিং কার্ড ইত্যাদি। যেগুলো আগে কখনো ভাবেননি সেগুলোই এখন করছেন। প্রিন্ট মেকিং, কাঠ কেটে ব্লক তৈরি করেছেন। অনলাইন ও প্রদর্শনী এই দুই জায়গা থেকেই ক্রেতারা জিনিস কিনতে পারবেন। তবে কারও ফরমাশ অনুযায়ী কাজ করা হয় না প্রিটি শিটি আর্টে।
অনিন্দ্যর ট্রাঙ্ক
বাবা চাইতেন মেয়ে মেডিকেলে পড়বে। ডাক্তার হবে। অনিন্দ্য ফয়সল খান সেই পথেই হেঁটেছেন। তবে মনটা কিন্তু রঙের কাছেই পড়ে থাকত। ছোটবেলায় দু বছর আঁকার প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। বাবা তখন অনুমতি দিয়েছিলেন মেডিকেলে ছবি আঁকার প্রয়োজনেই। পড়াশোনার চাপে এর মধ্যে আর ওপথে যাওয়া হয়নি। বাড়িতেই টুকটাক জিনিসে রং করতেন। কখনো চাদরে, কখনো আবার ফতুয়ায়, কখনো পটারিতে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে বেশ সহায়তা পেয়েছেন। এমবিবিএস সম্পূর্ণ করেছেন। বর্তমানে নিপসমে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ নিয়ে পড়ছেন। থিসিস করার মাঝে মাঝে একটু ফাঁক পেলেই আঁকতে বসে যান। শুক্রবারটা এই কাজ করেই কাটিয়ে দেন। পুরো সপ্তাহের পড়াশোনার জন্য শক্তি পেয়ে যান। মাধুবানী পেইন্টিং, মেক্সিকান ফোক আর্ট পছন্দ করেন। বেশির ভাগ কাজে সেটারই প্রভাব দেখতে পেলাম। ফেসবুকে ট্রাঙ্ক নামে একটি পেজের মাধ্যমে পণ্যগুলো বিক্রি করে থাকেন। তবে পড়াশোনার কারণে অনেক কাজ করা হয়ে ওঠে না।

এ বছর এপ্রিল থেকেই ট্রাঙ্কের যাত্রা শুরু। অনিন্দ্য ফয়সল খান ও লি শান্তা এর উদ্যোক্তা। অনিন্দ্য আঁকেন আর শান্তা নকশার দিকটি দেখেন। অনিন্দ্য বলেন, ‘আমাদের কাজগুলো সম্পূর্ণ হাতের এবং একটু ভিন্ন হওয়ায় দামটা হয়তো বেশি।’ ব্লাউজ, কুর্তা, ক্লিপ ফাইল ইত্যাদির ওপর কাজ করছে ট্রাঙ্ক।

 

সূত্রঃ প্রথম আলো

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

Save

 

চাকরি হারাতে না চাইলে আজই বদলে ফেলুন এই ৩টি বদভ্যাস

ক্যারিয়ারের সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার ইচ্ছা থাকে আমাদের সবারই। আমরা চাই অনেক বড় অবদান রাখতে, বড় অংকের অর্থ উপার্জন করতে এবং অবশ্যই অনেক সম্মান পেতে।
 
আপনার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী হতে হবে মনোভাবও। অনেক পরিশ্রম করছেন, সময়মত কাজ জমা দিচ্ছেন, সবচেয়ে সুন্দর গোছানো কাজটিই আপনার। তবু সফলতার স্বপ্ন থেকে যাচ্ছে অধরা। হয়ত সব যোগ্যাতা থাকার পরও নিজের আচরণগত ভুলের কারণে পিছিয়ে আছেন আপনি। মিলিয়ে নিন, আচরণগত কোন ভুলগুলো বাধা তৈরি করছে আপনার ক্যারিয়ারে-
 
অযাচিত প্রত্যাশা
আপনার দক্ষতা যেমন আপনি তেমনই ফলাফল পাবেন। দক্ষতা, যোগ্যতার বাইরেও বংশগত কারণে, অভিজাত পরিবার থাকার কারণে বা সুদর্শন হওয়ার কারণে আপনি বাড়তি সুবিধা ভোগ করবেন এমন ধারণা যদি করে থাকেন তাহলে আজই বাস্তব জগতে ফিরে আসুন। এসব কারণে আপনার কোম্পানি, সহকর্মীরা আপনার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, কিন্তু প্রমোশন তারই হবে যে পরিশ্রম এবং মেধা দিয়ে সেটা অর্জন করতে পারবেন।
 
একটি কোম্পানি অবশ্যই কাজে বিশ্বাসী। কাজ অনুযায়ী সম্মানী নির্ধারিত হয়। আপনার কাজের তুলনায় যদি সম্মানী বেশী হয় এবং একই সাথে আপনার মনোভাব এমন থাকে যে কাজের বাইরের অন্যান্য পরিচিতি আপনাকে সফলতা এনে দেবে তাহলে জেনে রাখুন, খুব শীঘ্রই আপনার অবস্থানে আসছেন অন্য কেউ।
 
কাজ না করার মনোভাব
কিছু মানুষ আছেন যারা সবসময় কাজ করার মনোভাব নিয়ে চলেন। নতুন কোন কাজ পেলেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেই কাজটি করে নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেন। নিজেকে সামনে তুলে ধরার কোন সুযোগ তারা হাত ছাড়া করেন না। ভেবে দেখুন, আপনার অফিসে যখন রয়েছে এমন একজন মানুষ আর সেখানে আপনি যখন কোন কাজ এলেই এড়িয়ে যেতে চাইছেন তখন কে বেশী চোখে পড়বেন? কার উপর বেশী প্রসন্ন হবেন আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা?
 
এবার নিজেই সিদ্ধান্ত নিন, চাকরি টিকিয়ে রাখতে বা সফলতা পেতে হলে কী করবেন! আপনি হয়ত ভাবছেন, যে কাজের জন্য আপনাকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না সে কাজ কেন করবেন! অথবা কাজটি করলেও বেতন যা পাচ্ছেন না করলেও একই বেতন পাবেন, তাহলে কেন বাড়তি দায়িত্ব মাথায় নেবেন! অন্যভাবে ভাবুন। নতুন কাজগুলো একেকটা সুযোগ নিজেকে আরো যোগ্য প্রমাণ করার। এমন সুযোগ যতবার আসে ততবার নিন।
 
অপ্রয়োজনীয় আড্ডা
অপর সহকর্মীর সমালোচনা করা, আড়ালে তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা, অফিসের কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে দলবেধে অসন্তোষ প্রকাশ করা এই সবই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে দূষিত করে। অফিস পলিটিক্স খুবই ক্ষতিকারক যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য। আপনার প্রতিষ্ঠান এধরণের যে কোন কিছুতে যুক্ত থাকার অভিযোগে আপনাকে চাকরিচ্যুত করতে পারেন।
 
নিজের কাজ করে যান। সকলের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখুন। শুধু ইতিবাচক বিষয়ে দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিন। নেতিবাচক আড্ডা বা অন্যান্য কার্যক্রম এড়িয়ে চলুন সচেতনভাবে। তাহলেই আপনার চাকরি এবং আপনি উভয়ই সুরক্ষিত থাকবেন।
 

 

২৭ বছর বয়সেই বিশ্বভ্রমণ করা প্রথম নারী ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল

নতুন নতুন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেলে কী করবেন আপনি? নিশ্চয়ই ভাবছেন, বেড়িয়ে পড়বেন দিক-বিদিক জয় করতে? কিন্তু স্বপ্নের জীবন হিসেবে ভবঘুরে জীবনকে বেছে নেয় এমন মানুষ খুব কমই আছেন পৃথিবীতে। সবাই চান একটা ছিমছাম সাজানো গোছানো জীবন। শুধু রোমাঞ্চপ্রিয় কিছু মানুষ আছেন প্রকৃতি যাদের টানে চুম্বকের মত, দূর্গমকে পাড়ি দেওয়ার নেশা কেড়ে নেয় যাদের রাতের ঘুম। তারা ছুটতে থাকেন একের পর এক নতুনকে জয়ের নেশায়। তেমনই একজন মানুষ ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল।
 
একজন মানুষ ৫০ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। শুনেই নিশ্চয়ই চোখ চকচক করছে আপনার? আপনি যদি শোনেন ১০০ টি দেশ ভ্রমণের কথা? তাহলে নিশ্চয়ই বিস্ময়ের শেষ থাকবে না আপনার! আর যদি শোনেন বিশ্বের প্রতিটি দেশই ভ্রমণ করেছেন এমন একজন নারীর কথা? অবিশ্বাস্য লাগছে? ক্যাসান্ড্রা হলেন সেই নারী। তিনি অচীরেই সমগ্র পৃথিবী ভ্রমণকারী নারী হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন।
 
৩ বছর ৩ মাসেরও কম সময়ে ১৯৬টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন ক্যাসান্ড্রা। নারী হিসেবে এই রেকর্ড প্রথম তারই। আবার তিনি সবচেয়ে তরুণ ভ্রমণকারীও। তার বয়স মাত্র ২৭ বছর। ইতিমধ্যে তার ভ্রমণ করা দেশের সংখ্যা ১৮১টি।
 
আগষ্টের ২০০৯ সালে তার এই সফর শুরু হয়। সফরসঙ্গী ছিলেন তার ভাই। তারা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ডস এবং চেক রিপাবলিক। এরপর বাকিপথ ভাইকে ছাড়াই এগিয়ে যেতে হয় ক্যাসান্ড্রাকে। ২ বছর তিনি কখনো ট্রেনে ঘুমিয়েছেন, কখনো স্টেশনের মেঝেতে থেকেছেন, কখনো পায়ে হেটেছেন। এভাবেই তিনি ভ্রমণ করছেন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া।
 
তার এই ভ্রমণের নামকরণ তিনি করেছেন এক্সপেডিশান১৯৬। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পিস এর শান্তির রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। ভ্রমণের মাধ্যমেই শান্তির বার্তা পৌছে দেন তিনি। এ পর্যন্ত ভ্রমণে তার খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ডলার। এর বেশীরভাগই স্পন্সর করা হয়েছে।
 
‘আমি একটি অনন্য পথে বেঁচে থাকাকে নির্বাচন করেছি। এমন একটি জীবনধারা গ্রহণ করেছি যেখানে আমি যা চাই আমি তাই করতে পারি, যখন ইচ্ছে করতে পারি এবং তাদেরকেও প্রেরণা দিতে চাই যারা আমার মত জীবন চান’- বলেন ক্যাসান্ড্রা।

 

‘বাহুবলি’ প্রযোজকের বাড়িতে তল্লাশি

ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল, ব্যবসা সফল ও আলোচিত সিনেমার নাম ‘বাহুবলি’। প্রথম পর্বের অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর দ্বিতীয় পর্বের শুটিং কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলে মুক্তি পাবে ‘বাহুবলি-২’। কিন্তু এর আগেই দুঃসংবাদ পেলেন ছবির প্রযোজক। কারণ ‘বাহুবলি’র প্রযোজকের অফিস ও বাড়িতে হানা দিল ভারতীয় আয়কর দপ্তর। সূত্রের খবর, বাহুবলি প্রযোজকদের অফিস ও বাড়ি নিয়ে মোট ৩০টি লোকেশনে তল্লাশি চালানো হয়।

গতকাল ছবির প্রযোজক শোবু ইয়ারলাগাড়া ও প্রসাদ দেবীয়ানীর বাড়ি সহ অর্ক মিডিয়ার অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তেলেগু প্রযোজকের মতো, তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়ই আয়কর বিভাগের নজরে থাকে। কিন্তু আয়কর দপ্তর যে এমন ঘটনা ঘটাবে, তা কেউ ভাবেনি। আয়কর দপ্তরের এক কর্মীর ভাষ্য, তল্লাশি কখন শেষ হবে, তা বলা যাচ্ছে না। শোনা গেছে, ‘বাহুবলি’র পরিচালক এস রাজামৌলির বাড়িতেও তল্লাশি চালাবে আয়কর দপ্তরের কর্মীরা।

গতবছর বিশ্ব বাজার থেকে ৬৫০ কোটি আয় করে ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। তার মধ্যে ৬০ কোটির নাকি কোন হিসেব নেই। গণমাধ্যম সূত্র মতে, দুই প্রযোজকের অফিস ও বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়  প্রায় ৬০ কোটি রুপির কাছাকাছি ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে পুরনো নোট বাতিল করে কালো টাকা বন্ধ করার অভিযান শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, হয়তো তারই জেরে এই হানা দিয়েছে আয়কর দপ্তর।

২০১৫ সালের ১০ জুলাই মুক্তি পায় ‘বাহুবলি দ্য বিগেনিং’। ১২০ কোটি রুপিতে তৈরি হয় এই ছবিটি। তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি দেয়া হয় ছবিটি। ২০১৫ সালের সেরা সিনেমা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে নেয় ‘বাহুবলি’।

সূত্র: ডেকান ক্রনিকল

 

ইসলামের দৃষ্টিতে শোকসভা পালন করা

আমাদের দেশে বড় বড় লোকেরা মারা গেলে বিভিন্ন জাগায় শোক সভা পালন করা হয়। এই ধরণের শোক পালনের ইসলামে কি কোন বিধান আছে?

কোন মুসলমান মারা গেলে তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা সুন্নত। সেক্ষেত্রে স্বশরীরে হাজরি হওয়া উচতি, সটো না পারলে চিঠির মধ্যমে জানানো যেতে পারে। কিন্তু মানুষ সাধারণত যে ধরণের শোক সভা পালন করে থাকে সটো ইসলাম সম্মত নয়। যার উদ্দেশ্য থাকে প্রচার-প্রসার বা লোক দখোনো মনোভাব। এই ধরণের উদ্দেশ্য নিয়ে শোক সভা করলে তাহবে নিন্দনীয়। [ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ২/২২৫]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

শীতের আগে শোয়ার ঘর পরিষ্কার রাখার উপায়

দেখতে দেখতে চলে এলো শীত। এই সময় আবহাওয়ায় যুক্ত হয় আর্দ্র আর শুষ্ক বাতাস। সেইসঙ্গে রয়েছে ধুলাবালি। চারদিকের এই ধুলাবালি ঘরের ভেতরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট করে তেমনই শরীরকেও অসুস্থ করে ফেলে। আর এই অসুস্থতার জন্য প্রথম জন্মস্থান হতে পারে আপনার শোয়ার ঘর কিংবা বেডরুম। শোয়ার ঘরে জমে থাকা ধুলাবালির কারণে দেখা দিতে পারে নানা অসুখ-বিসুখ। তাই শীতের আগে একটু নতুন করে সাজানো প্রয়োজন আপনার প্রিয় শোয়ার ঘরটি।
শোয়ার ঘরটি অন্যান্য ঘরের তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এতে বাড়ির বড়দের যেমন আনাগোনা থাকে তেমনই ছোটদেরও থাকে অবাধ চলাফেরা। আর এই শীত আসার অগ্রিম মুহূর্ত থেকে শুরু করে শীতের পরও থাকে এই ধুলাবালির অত্যাচার। ঘরের সিলিং থেকে শুরু করে আনাচে-কানাচে সব জায়গাতেই থাকে ঝুল আর ময়লা। বিশেষ করে পর্দার পেছনে জমে সবচেয়ে বেশি ধুলা। তাই জানালার বাইরে পাতলা কাপড়ের পর্দা আর জানালার ভেতরে লাগানো উচিৎ ভারি আর গাঢ় রঙের পর্দা। আর সিলিংয়েও দেখা যায় ধুলা। এই ক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন সিলিং ব্রাশ।

বিছানার চাদর, বালিশের কভার নিয়মিত ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। বিছানার জাজিম, তোশক, ম্যাট্রেস ইত্যাদি রোদে দিতে পারেন। এ সময় আসবাবপত্রেও জমে দু-তিন স্তরের ধুলা। এই ধুলা পরিষ্কার না করলে আসবাবপত্রের রঙ যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি কাঠের আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে বার্নিশ নষ্ট হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে আপনি ফার্নিচার ডাস্টার ব্যবহার করতে পারেন। এটি যেমন ব্যবহারে সহজ তেমনি সহজলভ্য।

ফ্লোরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনায় কোনায় ময়লা জমে থাকে। যা পরে নানা রোগ সৃষ্টি করে। তার মধ্যে অ্যাজমা রোগ অন্যতম। তাই আপনি ব্যবহার করতে পারেন ফ্লোর মোপ। এটি ফ্লোরের কোনায় পৌঁছে ময়লা পরিষ্কার করে। আর সোফা কিংবা বিছানা কিংবা পর্দার ময়লা পরিষ্কার করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার।

 

গুণে ভরা দুটি শুকনো ফল

ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলছেই। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস পাওয়া যায় কিন্তু কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, পেস্তাবাদাম- এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাইরের দেশে এগুলো স্ন্যাক্স হিসেবে অহরহ ব্যবহৃত হয়, কিন্তু আমাদের দেশে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু সৌন্দর্য থেকে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন ভিটামিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাট এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টির একটি উচ্চ উৎস। চলুন জেনে নেই আখরোট ও এপ্রিকটের গুণাগুণ-

আখরোট
* আখরোটে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে ৬৮৭ ক্যালরি রয়েছে।
* এতে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩ রয়েছে।
* আখরোট মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগও দূরে রাখে।
* আখরোট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
* আখরোটে রয়েছে অ্যালার্জিক অ্যাসিড যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

এপ্রিকট
* এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি২, ভিটামিন-বি৩, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে।
* এপ্রিকটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাট।
* রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে এপ্রিকট। যাদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
* তাদের জন্য এপ্রিকট খুবই উপকারী।
* এপ্রিকটের পেকটিন ও সেলুলোজ পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এপ্রিকট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
* জ্বরের সময় এপ্রিকট পিষে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

ঘরেই তৈরি করুন চিকেন শর্মা

শর্মার স্বাদের কথা সবারই জানা। সুস্বাদু এই খাবারটি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়াভাবেও তৈরি করতে পারেন। চলুন শিখে নেই চিকেন শর্মা তৈরির ঘরোয়া রেসিপি-

রুটির জন্য উপকরণ : ময়দা ৫ কাপ, ইষ্ট ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ২ চামচ গুড়ো দুধ, কুসুম গরম পানি পরিমাণমতো, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, তেল পরিমাণমতো, চিনি ২ চা চামচ

পুরের উপকরণ : মুরগির বুকের মাংস ৫০০ গ্রাম স্বেদ্ধ করা ( লম্বা করে কাটা), পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, গাজর,হলুদ ও লাল ক্যাপসিকাম,টমেটো,বাধাকপি লম্বা করে কাটা (৩০০ গ্রাম), মেয়নিস ২ কাপ, টমেটো সস ১ কাপ, সয়াসস ২ চা চামচ, গার্লিক সস ৩ চা চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো, তেল ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : প্রথমে রুটির সব উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে ডো তৈরি করে নিন। রুটির ডো একটি পাত্রে ঢেকে রাখুন ৪ ঘণ্টা। তারপর শর্মার পুরের জন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে সেদ্ধ মাংসের সাথে একে একে সবগুলো উপকরণ (মেয়নিস,গার্লিক সস ও টমেটো সস বাদে) দিয়ে দিন। ৫-৭ মিনিট ভেজে নামিয়ে ফেলুন। অন্যদিকে রুটি তৈরি করে ফেলুন। মাংসের মিশ্রণের সাথে মেয়নিস, গার্লিক সস ও টমেটো সস মাখিয়ে ফেলুন। তৈরি রুটিতে মাংসের পুর দিয়ে ফয়েল পেপার দিয়ে রোল তৈরি করে ফেলুন।

 

যানজটে সময় কাটাবেন যেভাবে

বর্তমানে নাগরিক জীবনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যানজট। সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে রাত, কখনো বা এই যানজট থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ যেন এই যানজট। তবুও এই ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততাও আমাদের সারাদিনের অংশ। তবে এটি কখনো কখনো ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়। স্কুল, ভার্সিটির ক্লাস থেকে শুরু করে অফিসের বসের ঝাড়ি সবকিছুর মূল কারণ বেশিরভাগ সময়েই এই যানজট। তার পরেও এই যানজট নিয়েই আমাদের চলাফেরা করতে হয়। কখনো কখনো এই মানব সৃষ্ট যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে হয়। যা আসলেই কষ্ট কর। তবে এই সময়টাকেও আপনি উপভোগ করতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেই।

গান শোনা
গান সেই পুরানো সময় থেকে মানুষের মনের খোরাক। আপনি অনেক সুখে থাকুন কিংবা দুঃখে, এই গান হতে পারে আপনার সঙ্গী। আর যদি হাতে কোনো কাজ না থাকে তবে তো আর কথাই নেই। আপনার সারাদিনের সঙ্গী হতে পারে আপনার গুণগুণ করা একটি গান। আর এই গান আপনার সবচেয়ে ভালো সঙ্গী আপনি যখন জ্যামে। তিক্ত এই সময়টাকে সুন্দর আর মধুর করে কাটাতে গান শুনুন।

রেডিও
আমাদের ব্যস্ততার জন্য রেডিও শোনা হয়তো সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদিও অবসরে বাসায় থাকলে টিভি দেখা যায়। কিন্তু রেডিও শোনা হয় না। তাই জ্যামে বসে থাকলে আপনি শুনতে পারেন রেডিও। নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান আপনাকে নির্মল বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের গান শোনারও সুযোগ করে দেবে।

বই পড়া
যানজটে আপনার যখন কিছুই ভালো লাগছে না তখন আপনার সঙ্গী হতে পারে বই। তাই যাত্রাপথে সঙ্গে রাখতে পারেন পছন্দের বই কিংবা নতুন বই। ব্যস্ততার জন্য হয়তো বই পড়া হয়ে উঠছেনা আপনার সেক্ষেত্রে জ্যামের এই লম্বা সময় হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। সারাদিন যেই সময়টুকুর জন্য আপনি বই পড়তে পারছেন না সেই সময়টুকু আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই যানজটে।

ফোনে কথা বলা
অনেক দিন কাছের বন্ধুটির সাথে ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে পারছেন না? তাহলে এই যানজট হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। গাড়িতে বসে বিরক্ত না হয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতে পারেন সময়। তবে লক্ষ রাখুন যাতে আপনার পাশে বসা মানুষটি বিরক্ত না হয়।

পর্যবেক্ষণ
অনেকেরই শখ থাকে এটি জানার যে তার আশেপাশের মানুষটির মনে কী চলছে তা জানার। এই ক্ষেত্রে এই যানজটের চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। হাজার ধরনের মানুষের দেখা মিলে এখানে। এখানে একজন করে মানুষকে পর্যবেক্ষণ আপনি করতে থাকলে দেখবেন আপনার মাঝে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

অবৈধ উপায়ে সম্পদ লাভে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা

আল্লাহ তাআলা রোজার বিধান প্রবর্তন করেছেন আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের জন্য। আত্মার পরিশুদ্ধি অর্জনের পর আল্লাহ তাআলা মানুষের অর্থসম্পদের পবিত্রকরণ সম্পর্কে বিধান জারি করেছেন। রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় যেমন পানাহার করা হারাম। ঠিক তেমনি হারাম মাল জীবনে কখনো খাওয়া যাবে না। এমনকি হারাম সম্পদ খাওয়ার কোনো সময়সীমা নেই। তাছাড়া চুরি, খেয়ানত, প্রতারণা, সুদ, ঘুষ, জুয়াসহ কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেনই করা যাবে না। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা হারাম ভক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন-

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ

সুরা বাকারার ১৮৮নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা অর্থসম্পদ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এ আয়াতে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘যার কাছে অপরের কোনো প্রাপ্য থাকে; কিন্তু প্রাপকের কাছে তার প্রাপ্য অধিকারের (সম্পদের) কোনো প্রমাণ থাকে না।’

ফলে এ দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে ওই ব্যক্তি আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিচারকের মাধ্যমে নিজের পক্ষে ফায়সালা সাব্যস্ত করে এবং এভাবে সে প্রাপকের অধিকার হরণ করে নেয়।

এভাবে সম্পদ ভোগ করা জুলুম ও হারাম। এ কথা সর্বজন বিদিত, আদালতের ফয়সালা জুলুম ও হারামকে বৈধ এবং হালাল করতে পারবে না। এ অত্যাচারী ব্যক্তিরা আল্লাহর কাছে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে। (ইবনে কাসির)

পড়ুন- সুরা বাকারার ১৮৭নং আয়াত

পরিষেশে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অবৈধ উপায় অবলম্বন না করে বৈধভাবে সম্পদ লাভ এবং জীবন-যাপন করার পাশাপাশি অন্যায়, অত্যাচার, সুদ-ঘুষ, চুরি-ছিনতাইসহ সব ধরনের অন্যায় থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

গাজরের হালুয়া তৈরির সহজ উপায়

গাজরের হালুয়া অনেকেরই পছন্দের খাবার। বাজারে এখন গাজরের দেখা মিলছে বেশ। কাঁচা গাজর কিংবা রান্না করে তো খাওয়াই হয়, চাইলে ঝটপট তৈরি করে ফেলতে পারেন গাজরের সুস্বাদু হালুয়া। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : গাজর-দেড় কেজি (কুচি বা গ্রেট করা), চিনি- দুই কাপ, দুধ- ২ লিটার, এলাচ- ৩/৪ টা, দারচিনি- ২/৩ টা, কাজুবাদাম- ১০-১২টা, ঘি- ৩-৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি : প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে কিছুটা ঘন করে নিতে হবে। গ্রেট করা গাজর দুধের মধ্যে দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। মধ্যম আঁচে চুলায় নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না গাজর নরম হয়। এবার চিনি, এলাচ, দারচিনি দিয়ে আস্তে আস্তে নাড়ুন। দুধ শুকিয়ে আসা পর্যন্ত মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। দুধ শুকিয়ে আসলে অল্প আঁচে ঘি দিয়ে একবার নেড়ে দিন। হালুয়া পাত্রের সাইডে যখন আর লাগবেনা আর সোনালি বাদামি রং হবে তখন নামিয়ে নিয়ে কাজু বাদাম কুচি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

স্মৃতি বন্দি ফটোফ্রেমে

স্মৃতি বড় মধুর। তবে এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে চাই সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড়ে পালানো স্মৃতিকে লাগাম লাগাতে চাইলে বন্দি করতে পারেন ফটোফ্রেমে। ইদানিং হাতের মুঠোয় থাকা মুঠোফোনে তোলা আপনার ছবি বা সেলফিগুলো সংরক্ষণের বিষয়টিকে করতে পারেন আরো উন্নত। বন্দি করতে পারেন ফটোফ্রেমে।

জানা যায়, মার্কিন আলোকচিত্রী রবার্ট কর্নেলিয়াস ১৮৩৯ সালে নিজের ছবি নিজে তুলে পৃথিবীর প্রথম সেলফি তৈরি করেন। কিন্তু এ যুগে সেলফি বলতে যা বোঝায় সেই ‘সেলফি’ শব্দটি অস্ট্রেলিয়ার একটি অনলাইন ফোরাম সর্বপ্রথম ব্যবহার করে ২০০২ সালে। এরপর থেকে বিষয়টির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, স্থান পায় অক্সফোর্ড অভিধানে এবং ২০১৩ সালে বর্ষসেরা শব্দের খেতাবও অর্জন করে ‘সেলফি’।

তবে ছবির প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমেনি মোটেও। নিজের ছবি হোক কিংবা প্রিয়জনের তা দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন সবাই। আর এই ছবি দিয়ে ঘর সাজাতে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ফটোফ্রেম। তবে ফটোফ্রেমের উপর নির্ভর করে আপনার ছবিটি কতটুকু ফুটে ওঠবে। কোন রুমে কি রঙের ফটোফ্রেম ভালো মানায় তা জানাটাও জরুরি। বড় রুমের ক্ষেত্রে কিংবা শোবার রুমের ক্ষেত্রে আপনি নীল, ধূসর, সবুজ রঙ পছন্দ করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে দেয়ালের রঙ এবং পর্দার রঙের দিকে খেয়াল রাখাটা জরুরি।

ঐতিহ্যবাহী আদলের একটি ঘরে পশ্চিমা ধাঁচের ফটোফ্রেম মোটেও মানানসই নয়। বাড়ির ধরনের উপর নির্ভর করে ফটোফ্রেম পছন্দ করতে হয়। আর বাড়িতে ফটোফ্রেম রাখতে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার সামনে কোন জায়গাটি পড়ছে। লম্বা বারান্দা থাকলে তাতে সারিবদ্ধভাবে রাখতে পারেন পছন্দের ফটোফ্রেম। এক্ষেত্রে ছোট ছোট অনেকগুলো ফ্রেম একসঙ্গে রাখতে পারেন কিংবা চার কোনাকৃত্রির লোহার, মেটালের, কাঠের, বাশের, কাগজের, সিরামিক, কাচ, হার্ডবোর্ডের ফটোফ্রেমও ভালো মানাবে।

দামদর
সব ধরনের ফটোফ্রেমের দাম পড়বে ৬০ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর্চিসে কিছু স্টিলের এবং পাথরের কাজ করা ফটোফ্রেম পাওয়া যায়। দাম ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার মতো। এছাড়া মিডিয়াম মাপের ফটো অ্যালবাম পাওয়া যাবে ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে, একটু বড় সাইজ হলে দাম পড়বে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে।

রেক্সিনের বাঁধাই করা অ্যালবামের দাম পড়বে ১৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। এছাড়া প্লাস্টিকের ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। কাচের ভেতরে সিঙ্গেল সাধারণ ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৩০০ টাকা আর ডাবলগুলো দাম ৫০০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া পাথর বসানো ডিজাইন করা ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। কাচের ওপর স্টিল বসানো ডিজাইন করা ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। আর ডিজিটাল লাইটিং সিস্টেম ফটোস্ট্যান্ডগুলো পাওয়া যায় ১ হাজার টাকার মধ্যে।

 

কখন কোন রঙের পোশাক

পোশাকের বেলায় সবার মাথাতেই থাকে রঙের বৈচিত্রের বিষয়। কোন রঙটি বেশি মানাচ্ছে কিংবা যেখানে যাচ্ছে সেই স্থানে ওই রঙে মানাবে কিনা এই বিষয়গুলো নিয়ে থাকে নানা ভাবনা। আর কেনাকাটার সময় শপিংমলসহ নানা জায়গায় একসঙ্গে অনেক রঙে কাপড় আরো বিপদে ফেলে দেয়। তাই জেনে নিন কোথায় কেমন রঙে আপনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

অফিসের জন্য সাদা, ক্রিম, ধূসর, হালকা গোলাপি, স্কাই ব্লু রঙ বেছে নিতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে গেলে বেছে নিতে পারেন হালকা রঙের পোশাক। এছাড়া হালকা রঙে গাঢ় প্রিন্টও পড়তে পারেন।

উপলক্ষ যদি হয় প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটানো, তাহলে পড়তে পারেন সাদা, হালকা সবুজ, হলুদ, ক্রিম কালার কিংবা লাল রঙের কোনও শেড। জাকজমকপূর্ণ পার্টির জন্য হালকা মেরুন, গাঢ় ধূসর, ম্যাজেন্টা, সিলভার, বটল গ্রিন, গ্রাঢ় গোলাপি রঙ ভালো মানাবে।

শীতকালে বেছে নিতে পারেন লাল, হলুদ, উজ্জ্বল সবুজ অথবা নীল রঙ। গরমকালে হালকা রঙটাই সবচেয়ে বেশি উপযোগী। বেছে নিতে পারেন হালকার মধ্যে যে কোন রঙ। যেমন- গোলাপি বা আকাশি।

বর্ষার সময় যে কোন গাঢ় রঙ বেছে নিতে পারেন। এছাড়া বসন্তে বেছে নিতে পারেন গোলাপি, হলুদ, আকাশি বা সবুজ রঙের পোশাক। রাতে যদি কোনো অনুষ্ঠান হয় তাহলে গাঢ় রঙ ভালো মানাবে। গ্লিটার দেওয়া পোশাকও বেছে নিতে পারেন। আর দিনের কোন অনুষ্ঠানে পড়তে পারেন হালকা রঙের পোশাক। সবচেয়ে ভালো মানায় হলুদ, আকাশি, হালকা কমলা কিংবা হালকা গোলাপি রঙের পোশাক।

 

ফ্যাশনে টিকে থাকুক শাড়ি

২০১১ সালে অনাভিলা মিশরা লিলেন শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু বর্তমানে তার মতো শাড়ির ডিজাইনাররা শাড়ির আধুনিকীকরণ নিয়ে যে আরও বেশি কাজ করছেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আলাইজির এবং অনুভা জাইনের ডেনিম শাড়ি, শিভান অ্যান্ড নরেনের বিকিনি শাড়িসহ আরও আছে শাড়ির সাথে অবি বেল্ট, বুটস, জিন্স এবং বক্সি ব্লাউজার। এছাড়াও আছে শাড়ি গাউন এবং সেলাই করা শাড়ি। শাড়ির এমন অবস্থা দেখে মনে হয় একে নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করা দরকার। এমনকি ডিজাইনাররাও এখন শাড়ির দৈর্ঘ্য ছয় গজ করে তৈরি করছেন।

সেলিব্রেটি ফ্যাশন ব্লগার প্রিয়াঙ্কা প্রসাদ ও পায়েল পরিজা ভারতে রেড কার্পেট সংস্কৃতির চর্চা শুরু করেন। এখানে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কিংবা ভারতীয় পোশাকই থাকুক না কেন, এর সাথে চলে আসে পশ্চিমা ভাবমূর্তি। ফলাফল হল শাড়ি যেন এখন আর রেড কার্পেট আইটেম হিসেবে থাকছে না। প্রসাদ বলেন, ‘এতে শাড়ি অতটা অবস্থান হারাচ্ছে না। এখানে ডিজাইনগুলো আরও স্পস্ট এবং বিশ্বজুড়ে উপস্থাপন করার মতো হতে হবে।’

ফ্যাশন সম্পাদক সুজতা অশ্বমূল বলেন, ‘বেশির ভাগ তরুণ নারীদের শাড়ি জিনিসটা সুবিধামতো বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু শিগগিরিই তারা বুঝতে পারে যে এর মতো আসলে কিছু নেই। শাড়ির অন্যান্য ফ্যাশন আইডিয়াগুলো আসলে কোন না কোন ভাবে ঐতিহ্যগত শাড়িকেই টিকিয়ে রাখার ভূমিকা পালন করছে।’

অন্যদিকে ডিজাইনার অনামিকা খাননা বলেন, ‘ঐতিহ্যগত শাড়িকে যুবতী নারীরা একটু অভিনব কায়দায় পরছে। এর মানে এই না যে শাড়ি এখন আর কেউ পছন্দ করে না, এটাকে শুধু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু ডিজাইনাররা এখন তাঁত ও সমাসাময়িক ফ্যাশনের মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।’

 

বেকারত্বের চেয়ে নিম্নমানের চাকরি মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে

বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় একজন চাকরিজীবীর তুলনায় একজন বেকারের অবস্থা খুবই খারাপ – এটাই ভাবা হয় তাইনা? কিন্তু এটি সব সময় সত্যি না। নতুন একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে যে, বেকারত্বের চেয়ে নিম্নমানের চাকরি মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে বেশি। গবেষণাটির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।

গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় অকুপেশনাল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন নামক জার্নালে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলেন, চাকরি না থাকার চেয়ে যারা নিম্নমানের চাকরি করেন (যেমন- উচ্চ চাহিদার কাজ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর কম নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তাহীনতা, প্রচেষ্টার ভারসাম্যহীনতা এবং পুরস্কৃত না করা ইত্যাদি) তাদের এই  ধরণের অভিজ্ঞতা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে বেশি।

সাত বছরের গবেষণার ফলাফলে দেখানো হয় যে, যদিও চাকরিহীন বেকার মানুষদের মানসিক অবস্থা উল্লেখযোগ্য হারেই খারাপ থাকে চাকরিজীবীদের তুলনায়। তবে যারা খুবই নিম্নমানের চাকরি করেন তাদের তুলনায় বেকার মানুষদের মানসিক অবস্থা উন্নত থাকে। এছাড়াও কম পরিতৃপ্তির কাজ করেন যারা তাদের মানসিক অবস্থা সময়ের সাথে সাথে অবনতি হতে থাকে।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা খুব দৃঢ় ভাবেই এই বিবৃতি দেয় যে, “আমি আমার চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত” এবং “আমার চাকরিটি খুবই জটিল এবং কঠিন”।

গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, কীভাবে কাজের মান কর্মচারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথ রিসার্চ এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক পিটার বাটারওরথ এর মতে, “আসলে বেকার থাকাটা মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক বেশি ক্ষতিকর, কিন্তু বেকারত্ব থেকে সরে নিম্নমানের কাজ নিলে মানসিক স্বাস্থ্যের উপকার হয় না”।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে যারা চাকরি পাননা তাদের মানসিক অবস্থা যারা নতুন চাকরি পেয়েছেন বা কাজের চাপ বেশি যাদের বা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন যারা তাদের চেয়ে ভালো থাকে।

বেকারত্ব কোন মজার বিষয় নয়। যদি আপনার পরিবার আপনার সার্টিফিকেটগুলোকে মূল্যহীন বলেন, তাহলে আপনার কাছে এখন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে যেকোন চাকরি না করার। যে কোন চাকরিই ভালো এটা একটি ভ্রান্ত ধারণা। সাইকোলজিক্যাল ক্ষেত্রে একমত প্রকাশ করা হয়েছে যে, আয় এবং চাকরির নিরাপত্তা সুখের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ভালো একটি কাজ পাওয়া বেকার থাকার চেয়ে অবশ্যই অনেক ভালো। বাটারওরথ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেন যে, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে – আপনার চাকরি প্রয়োজন বলে আপনাকে চরমভাবে অসুখি করে তুলে এমন কাজে যোগ দেয়া কখনোই ভালো ধারণা হতে পারেনা।

আসলে খারাপ চাকরি কোনগুলো? বেশিরভাগ মানুষই তার চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। বরং তারা তাদের চাকরিকে অপছন্দ করেন কোন না কোন দিক দিয়ে। Mashable এর মতে, “কোন কাজ ভালো না খারাপ তা নির্ভর করে নিয়ন্ত্রণ, স্বায়ত্তশাসন, চ্যালেঞ্জ, বিভিন্নতা এবং কাজের বিচক্ষণতা ইতাদির মাত্রার উপর। ভালো চাকরির ক্ষেত্রে কর্মীরা থাকে যোগ্য এবং তারা কাজকে উপভোগ করেন। নিম্নমানের কাজের ক্ষেত্রে বিরক্তিকর রুটিন বা কর্মীর দক্ষতার চেয়ে নিম্নমানের কাজ করানো হয়”।

আপনার পিতামাতা বা শিক্ষক হয়তো আপনাকে বলে থাকবেন যে, নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। অর্থাৎ যেকোন একটা চাকরি থাকা ভালো, তা সে যত কষ্টকর বা বিপদজনকই হোকনা কেন। কিন্তু যেকোন পদক্ষেপ নেয়ার আগে এটা স্মরণ করবেন যে, মানসিক সুস্থতা শারীরিক সুস্থতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি আপনার বর্তমান চাকরি নিয়ে অসুখি থাকেন তাহলে এখনই সময় তা থেকে বেড়িয়ে আসার এবং নতুন কিছু খুঁজে নেয়ার।

লিখেছেন

সাবেরা খাতুন

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুন প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতে

প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হয়। নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মাদ জোহরা খাতুন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ)।
‘১৩ বছরের কর্মজীবনে আমার মনেই হয়নি যে আমি নারী। মেয়েদের কাজ, ছেলেদের কাজ বলে কোনো পার্থক্য নেই।’ গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের সামনে জোহরা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি এখন বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত-৫, এলেনবাড়ী তেজগাঁও ঢাকা শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কথা বলার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পেশকার আবু সাইদ ও পরিদর্শক শেখ মো. রজিবুল ইসলাম।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজ পরিচালনা করতে হয়। বিআরটিএ থেকে আগেই আদালত বসানোর স্থান নির্ধারিত করে দেওয়া হয়। সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, বাসচালক, মোটরবাইকের চালক সবার দাপ্তরিক কাগজপত্র আছে কি না, তা দেখা হয়। আবার বাসের কতগুলো নির্ধারিত আসন, আর কতজন দাঁড়িয়ে আছেন, মানুষের সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি কি না—সেসব তদারকির মূল দায়িত্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুনের।
জোহরা খাতুন তাঁর একটা অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন । বললেন, এ বছর রোজার সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসে একজন চালক অভিযোগ করেন, সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় এক পুলিশ সদস্য তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এরপর জোহরা খাতুন সেসময়ে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশদের ডেকে দুই দিনের সময় বেঁধে দেন। তাদের বলেন, ওই চালককে খুঁজে বের করে তাঁর টাকা ফেরত দিতে। পরে চালক ওই টাকা ফেরত পান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহুরা খাতুন বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ বলে ভিন্নতা নেই। স্বামী ব্যাংকার কাজী মো.গোফরান স্ত্রীকে সব সময় উৎসাহ দেন কাজে। এক ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে জোহরা খাতুন থাকেন কাকরাইলে। অফিসের কাজ শেষে বাড়িতে ছেলেমেয়েদের সময় দিতে বেশি ভালো লাগে তাঁর।

 

সহজেই তৈরি করুন কাঠি কাবাব

কাবাব খেতে যারা ভালোবাসেন তাদের কাছে বেশ প্রিয় একটি আইটেম হচ্ছে কাঠি কাবাব। রেস্টুরেন্টে গিয়ে অহরহই তো খাওয়া হয়, চাইলে ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু এই খাবারটি। আর তার জন্য খুব বেশিকিছুর প্রয়োজনও নেই। চলুন তবে জেনে নিই-

উপকরণ : মাংসের কিমা ১/২ কেজি (গরু/খাসি), পাউরুটি কুচি ১-২ কাপ (পানিতে ভিজিয়ে চিপে পানি ঝরিয়ে নিন), পেঁয়াজ মিহি কুচি-১ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া ১-২ চা চামচ, সয়াবিন তেল/সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, চিনি ১-২ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, সিরকা ১ টেবিল চামচ।

প্রনালি : একটি পাত্রে ভালো করে সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইতে ছোট ছোট ভাগ করে কাঠিতে লাগিয়ে ছেঁকা তেলে ভেজে নিতে হবে। এবার খেয়ে দেখুন মজাদার কাঠি কাবাব।

 

কেমন হবে ননদ-ভাবীর সম্পর্ক

সম্পর্কের জালে মানুষ জন্ম থেকেই আবৃত। একটা সময় পরপর শুধু এই সম্পর্কে পরিবর্তন আসে। এক সম্পর্কের পিছুটান ফেলে আরেকটি সম্পর্কের হাত ধরতে হয়। সেইসঙ্গে যোগ হয় আরো কিছু নতুন মুখ। সঙ্গে নতুন পরিবেশ, নতুন সম্পর্ক। আর নতুন সব সম্পর্কের মধ্যে অন্যতম সম্পর্ক হচ্ছে ননদ আর ভাবীর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক যেমন মধুর হতে পারে তেমনি কখনো কখনো হতে পারে তিক্তও! একটি মেয়ে যখন বিয়ের পরে অন্য একটি পরিবারে আসে তখন তার সঙ্গী থাকে তার স্বামী। আর তার পরেই যদি কেউ থাকে, তা হচ্ছে ননদ। যার সঙ্গে সহজেই এই নতুন পরিবেশ সম্পর্কে, আশপাশের মানুষ সম্পর্কে আর তার নিজেকে নিয়ে সে কথা বলতে পারে।

অনেকেরই একটি ধারণা থাকে যে ননদ এবং ভাবীর সম্পর্ক মানে তাতে তিক্ততা থাকবেই। তবে এটি সব সময় হয়ে থাকে না। অনেক সময় দেখা যায় ননদ এবং ভাবীর বয়সের মধ্যকার বয়সের তেমন পার্থক্য থাকে না। সেক্ষেত্রে কিছু সময় পরে তারা একে অন্যের বন্ধু হয়ে যায়। আর যদি বাড়িতে ছোট আরো কোনো ভাই অথবা বোন না থাকে তবে ভাবীর সঙ্গে ননদের সম্পর্ক খুব জলদি গড়ে ওঠে।

কিছু সময় দেখা যায়, বাড়ির ছোট বোনটি সবার আদরের। সেক্ষেত্রে বাড়িতে যখন নতুন কোনো সদস্য যেমন ভাবী আসে তখন তার মনে সেই আদরের জায়গা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। সে চায় যেন সবাই তাকেই ভালোবাসে। তাই সে চায় বাড়ির সবার নজর তার দিকেই রাখতে। আর সেই মুহূর্তে ভাবীর বলা ভালো উপদেশগুলোও তার কাছে খারাপ লাগতে শুরু করে। ফলে তাদের সম্পর্কে শুরু হয় নানা ঝামেলা।

আবার কিছু ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্যের কারণে একে অন্যকে বুঝে উঠতে পারে না। কাকে কী বলতে হবে তা না বুঝে ওঠার জন্য কথায় কথা বেড়ে তা ঝগড়ায় রূপ নেয়। আর তাতে কখনো কখনো ইন্ধন জোগায় আশপাশের মানুষ।

কিছু ক্ষেত্রে আবার ননদ আর ভাবীর সম্পর্ক হয়ে থাকে মধুরতায় পরিপূর্ণ। যারা চাকরি করেন, তারা একে অন্যের কষ্ট কিছুটা হলেও বেশি বুঝতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাদের মাঝে বোঝাপড়া আর একে অন্যকে সাহায্য করার প্রবণতা বেশি হয়ে থাকে। তাদের মাঝে দেখা যায়, একসঙ্গে কেনাকাটা করা, বাড়ি সামলানো আর বাড়ির ছোটদের সামলানোর ক্ষমতা চলে আসে।

অনেক সময় এটি বোঝাই কঠিন হয়ে যায় যে, তারা কি আলাদা পরিবার থেকে এসেছে, না একই! সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাবীকেও কিছুটা চটপটে হতে হয়। ননদকে বুঝতে হয়। তাকে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করতে হবে। ননদ-ভাবীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে একে অন্যের রাগ ভাঙানোর অপেক্ষায় না থেকে বড়দের এগিয়ে এসে রাগ মিটমাট করিয়ে দেওয়া উচিত।

 

নায়ক নিয়ে আইসল্যান্ডে ববি

চিত্রনায়িকা ববি এখন বরফের দেশ আইসল্যান্ডে। এ কোনো ব্যক্তিগত সফর নয়। নিজের প্রযোজনায় নির্মিতব্য ‘বিজলী’ ছবির গানের শুটিং করতে ইউরোপের চমৎকার এই দেশটির বিভিন্ন লোকেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ববি। সঙ্গে রয়েছেন তার হিরো কলকাতার রনবীর। ফুরফুরে মেজাজে সেখানে চলছে ছবিটির গানের শুটিং।

‘বিজলী’ পরিচালনা করছেন নির্মাতা ইফতেখার চৌধুরী। আইসল্যান্ড থেকে ফেসবুকে ‘অগ্নি’ ছবির এই নির্মাতা জানান, ‘খুব ভালো শুটিং চলছে। তবে এখানে তাপমাত্রা অনেক কম। সেকারণে বেশ ঠান্ডায় হ্যানস্তা হতে হচ্ছে। দু’টো গানের শুটিং করছি এখানে। চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরবো।’

‘বিজলী’ ছবিতে ববি-রনবীর ছাড়াও অভিনয় করেছেন শতাব্দী রায়, ইলিয়াস কাঞ্চন, আহমেদ রুবেল, জাহিদ হাসান, দিলারা জামান, শিমুল খান প্রমুখ।

ববস্টার ফিল্মের ব্যানারে নির্মিত ‘বিজলী’ ছবির নির্মাণ কাজ হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ডের বিভিন্ন লোকেশনে। আগামী বছরের শুরুতেই ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানা যায়।

 

হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে নারীদের জন্য সময় নির্ধারণ

পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের সময় হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে নারী তাওয়াফকারীনীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের প্রস্তাব এসেছে সৌদি শুরা অধিবেশনে। দিনের তিনটি সময়ে ২ ঘণ্টা করে ৬ ঘণ্টা নারী তাওয়াফকারীনীদের জন্য হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। খবর সৌদি গ্যাজেট।

হজের সময় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফের একটি অংশ হলো হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ভিড়ের কারণে চুম্বন করতে না পারলে তাতে কোনো দোষ নেই। কিন্তু হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করার প্রবল আশা ও আকাঙ্ক্ষা থাকে মুসলিম উম্মাহর নারী-পুরুষ সবারই।

হজ ও ওমরা পালনের সময় পুরুষদের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যেও নারীরা হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করতে চেষ্টা করে, যা তাদের খুবই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অনেক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় তাদের।

নারী হজ ও ওমরা পালনকারীনীদের কথা চিন্তা করেই সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিল হাজরে আসওয়াদ চুম্বনে তাদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের ব্যাপারে প্রস্তাব এসেছে।

সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের ইসলামিক বিষয়ের প্রধান ড. মুযি দাগিসার জানান, নারীদের হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের সুবিধার্থে আলাদা সময় নির্ধারণের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে শুরা কমিটি।

নারীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সৌদি আরবের শুরা কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

হাজরে আসওয়াদ পবিত্র কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে স্থাপিত, যা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাতে স্থাপন করেছিলেন এবং এ পাথরে চুম্বন করেছিলেন।

হাজরে আসওয়াদটি ভেঙে সাত বা আট টুকরায় পরিণত হয়। পরে এটাকে বিশেষভাবে বাঁধানো হয়, যা একটি রুপালি ফ্রেমের মধ্যে স্থাপিত। এ কালো পাথরটি ব্যাস হলো ৭.৯ ইঞ্চি এবং ৬.৩ ইঞ্চি।

নারীদের জন্য এ প্রস্তাবটি যুগোপযোগী এবং বাস্তবসম্মত। প্রস্তাবটি পাস হলে নারী হজ ও ওমরা পালনকারীনীদের জন্য নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে তারা তাদের হৃদয়ের আকুতি সম্পন্নে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে পারবে। হৃদয়ের গভীরে অনুভূত হবে সীমাহীন স্বর্গীয় আত্মতৃপ্তি।

 

স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে স্বামীর দোয়া

বিবাহের পর স্বামীর জন্য করণীয় হলো- বাসরের সময় বা তার আগে স্বামী তার উভয় হাত স্ত্রীর মাথার সামনের দিকে (কপালে) রাখবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া জ্ঞাপন করে উভয়ের জন্য বরকতের দোয়া করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তা বর্ণনা করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে। আর সে যেন বলে-

Doa

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা আ’লাইহি; ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন -তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নববিবাহিত স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের মাথায় হাত রেখে এ দোয়ার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

শিশুর মানসিক বিকাশে প্রযুক্তির প্রভাব

প্রযুক্তি ছাড়া আমরা অচল। সারাদিনের সব কাজে আমরা প্রযুক্তির কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সঙ্গেই এর সম্পর্ক অতি নিবিড়। কাজের জন্য আমাদের প্রতিদিন একটি দীর্ঘ সময় কাটাতে হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। তবে এই প্রযুক্তির আশীর্বাদ আমাদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসতে পারে খুব জলদি। কারণ বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও এই প্রযুক্তির কাছে বন্দি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা তাদের সময় ব্যয় করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবে, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর। সময়ের চাহিদা তাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেললেও পরিবারের উচিৎ তাদের এই সমস্যা থেকে বের করে আনা।

প্রযুক্তি শিশুর জন্য কতটা উপকারী :
প্রযুক্তি আমাদের কাছে আশীর্বাদ। আমরা খুব সহজেই এবং খুব কম সময়েই হাতের নাগালে পাচ্ছি সব তথ্য। আর শিশুদের ক্ষেত্রে এখন তথ্য-নির্ভরশীলতার জন্য প্রযুক্তি শেষ সম্বল। তারা ক্লাসের পড়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রজেক্টর কাজের জন্য তথ্য জোগাড় করে প্রযুক্তি থেকে।

শিশুর একাকিত্বের সঙ্গী প্রযুক্তি। বাইরে যখন খেলার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ নেই তখন এই কম্পিউটার তাদের সম্বল। তাছাড়া শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি নানাভাবে সাহায্য করে। সে তার পড়ার ক্ষেত্রে ট্যাবের সাহায্যে পড়া পড়তে পারে। অক্ষর একা একা চিনতে পারে। খেলার ছলে বাসায় বসে নিজের পড়া শেষ করতে পারে।

সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট শিশুকে সাহায্য করে নানাভাবে। বাইরের দেশগুলোয় কী হচ্ছে -তা সে জানতে পারে। শিশুকে সামাজিক হয়ে উঠতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।

শিশুর বিকাশে প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব :
প্রযুক্তি যেমন বিজ্ঞানের একটি অবিস্মরণীয় আবিষ্কার তেমনি এর ঝুঁকিও অনেক। আর তা যদি হয় শিশুর ক্ষেত্রে, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। একটি শিশু যখন খুব সহজেই হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন পেয়ে যায় তখনই সে নানা খারাপ সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে থাকে। যা তাকে ধীরে ধীরে বিপথে নিয়ে যেতে পারে।

ইন্টারনেটে অবাধ আনাগোনা তাকে নানা খারাপ সাইটগুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়। যাতে তার কোমল মনে শুরু থেকে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে গেম খেলা তাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

দীর্ঘ সময় প্রযুক্তির ব্যবহার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে আনে অনেক সময়। যার ফলে খুব কম বয়সে চোখে কম দেখা শুরু হয়। তাই শিশুকে উচিৎ প্রযুক্তি থেকে দূরে রেখে বই কিংবা পরিবারে সঙ্গে সময় কাটাতে অভ্যস্ত করা।

 

ঘর সাজাতে ফুল আর গাছ

ঘরের ভেতর বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট, ফুল এবং আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে পাল্টে দিতে পারেন আপনার ঘরের শোভা ও সৌন্দর্য। তবে যে ঘরের যেমন জায়গা সে অনুযায়ী বাড়িঘর সাজানো উচিত। চার দেয়ালের মাঝে বসবাস করতে গিয়ে সবুজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অনেকাংশে কমে গেছে। অনেকে আবার শখ করে ছাদে বাগান করে থাকে। আবার বিভিন্ন কারণে হয়তো ছাদেও বাগান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ঘরের ভেতর যদি গাছ ও ফুল দিয়ে সাজানো যায় তবে একটি পরিবেশবান্ধব রূপ ফুটে উঠবে ঘরজুড়ে।

ঘরের ভেতর সবুজের কিংবা প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চাইলে নানারকম ফুল, গাছ, পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন। গাছ-ফুল-পাতা ছাড়া ঘরের সৌন্দর্য কোনোভাবেই ফুটে ওঠে না। যেমন ড্রইং রুমের কোনা বা টেবিল ইনডোর প্লান্ট দিয়ে নানা বৈচিত্র্যে ও স্টাইলে সাজানো যেতে পারে। এরসঙ্গে ল্যাম্পশেডও ব্যবহার করতে পারেন।

যেকোনো ঘরের ভেতরে শান্তির পরশ পেতে চাইলে ইনডোর প্লান্টের জুড়ি নেই। আর ঘরের ভেতর রাখা সবুজের ছায়া দেখে মনের ভেতর প্রকৃতির নান্দনিক রূপ যে ফুটে ওঠে এতে নিশ্চয়ই মন যত খারাবই থাকুক, ভালো হয় উঠবেই।

বিভিন্ন ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এ ধরনের ফুলগুলো দেখতে একেবারেই ন্যাচারাল ফুলের মতো। এখন সব মার্কেটে বড় বড় শপিংমলে আর্টিফিশিয়াল ফুল পাওয়া যায়। তবে গাদাগাদি করে ফুলদানিতে রাখলেই হবে না। সাজাতে হবে ডিফারেন্ট লুক এবং বিভিন্ন স্টাইলে।

৫টা স্টিক এদের ছোট-বড় করে কেটে ফুলদানিতে রাখলে দেখতে ভালো লাগবে। বিভিন্ন স্টাইলে বিভিন্ন ফুলদানি যেমন রড আয়রনের র্যাক বানিয়ে নিয়ে রাখতে পারেন আবার সিলেটের তৈরি বাঁশের ও শোপিস মার্কেটে পাওয়া যায়। এছাড়া ইচ্ছা করলে আপনি কাঠ দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন ফুলদানি।

ঘর সাজাতে ইনডোর প্লান্ট ও ফুলের কোনো বিকল্প নেই। এটা একদিকে যেমন ঘরের শোভাবর্ধন করে অন্যদিকে আবহাওয়াটাও ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে আর তৈরি হয় একটি মনোরম স্নিগ্ধ পরিবেশ। তাই গাছ, ফুল-লতাপাতা দিয়ে আপনি সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার সুখের ও শান্তির নীড়।

 

এয়ার ফ্রেশনারের খোঁজ-খবর

দিনের বেশির ভাগ সময় আমরা যে দুটি জায়গায় কাটাই, তা হচ্ছে বাড়ি এবং অফিস। নিজে সতেজ থাকার পাশাপাশি অফিস বা বাড়ির সর্বত্র থাকা চাই সতেজ ও সজীব। আপনার চারপাশ সুগন্ধিত রাখতে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার ফ্রেশনার। এ সব ফ্রেশনার ব্যবহারে ঘর থাকবে সারাক্ষণ ফ্রেশ। যা আপনার মনকে যেমন সতেজ করবে, তেমনি কাজেও আনবে গতি। এসব এয়ার ফ্রেশনার পাবেন বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সের কসমেটিক্সের দোকানে। সুপার শপগুলোতে পাবেন প্রায় সব ধরনের ব্র্যান্ডের এ পণ্য। দরদামও হাতের নাগালের মধ্যেই।

দরদাম : ফে এয়ার ফ্রেশনার সি মিনারেলস ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার রজনীগন্ধা প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা, স্প্রিং গার্ডেন এয়ার ফ্রেশনার ফুল ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ফ্রেশ অ্যান্ড ফ্লোরাল ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, এটিএম হাজার রোম ফ্রেশনার অর্কিড ৭০ গ্রাম ৭২ টাকা, গ্লাড সেলটেড জেল লাভেন্ডার ২০০ গ্রাম ৩২৫ টাকা, ওজেনিল নিউ হ্যাকার জেসমিন ৫০ গ্রাম ৭০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার রোজ প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা।

এয়ার উইক স্টিকআপস ফ্রেশনার সিবি টু ইউনিটস ২৭৫ টাকা, অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনার সিট্রাস ব্রুস্ট ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার অর্কিড ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, ওডোনিল নিউ এয়ার ফ্রেশ অর্কিড ডিউ ৫০ গ্রাম ৪০ টাকা, অর্কিড এয়ার ফ্রেশনার জেসমিন প্যাক ৫০ গ্রাম ৪৯ টাকা, স্প্রিং এয়ার ফ্রেশনার অরেঞ্জ ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ব্ল- ওশান ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনার অর্কিড ব্রিজ ৩০০ মিলি ২০০ টাকা।

স্প্রিং গার্ডেন এয়ার ফ্রেশনার মেরিন ৩০০ মিলি ২০০ টাকা, এয়ার উইক এয়ার ফ্রেশনার এল ফিল্ডস ৩০০ মিলি ২২০ টাকা, কনকর্ড এয়ার ফ্রেশনার লাভেন্ডার ৩০০ মিলি ১৮২ টাকা, গ্লাড সেলটেড জেল লেমন ২০০ গ্রাম ৩২৫ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার এন্টি টোবাকো ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, প্যারিস এয়ার ফ্রেশনার ৪০০ মিলি ২৬৫ টাকা, আমবিপিউর এয়ার ফ্রেশনার ফ্রেশ অ্যান্ড লাইট ৩০০ মিলি ২৪০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার জেসমিন ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, ফে এয়ার ফ্রেশনার লিলি ৩০০ মিলি ২১০ টাকা, স্প্রিং এয়ার ফ্রেশনার লেমন ৩০০ মিলি ২০০ টাকা।

 

বাড়িতেই তৈরি করুন চিকেন ফ্রাইড রাইস

ফ্রাইড রাইস বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও এটি বেশ খুশিমনে খায়। আর তার সঙ্গে একটু বাড়তি স্বাদ আর পুষ্টি যোগ করতে মিশিয়ে নিন চিকেনও। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে চিকেন ফ্রাইড রাইস। সবসময় রেস্টুরেন্টের ওপর নির্ভর না করে বাড়িতেই ঝটপট তৈরি করে নিতে পারেন এই সুস্বাদু রেসিপিটি-

উপকরণ : পোলাও চাল ৫০০ গ্রাম, চিকেন কুচি ১ কাপ, গাজর, মটরশুটি, বরবটি কুচি আধা কাপ, ক্যাপসিকাম, পেঁপে, ফুলকপি কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা-রসুন কুচি ১ চা চামচ, দারুচিনি-এলাচ ২-৩ টুকরা, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, ডিম ২টি, তেল-বাটার আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি : চাল ধুয়ে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে নিন। পানি ফুটে উঠলে চাল দিন। চাল হাল্কা সেদ্ধ হলে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। ভাত যেন শক্ত থাকে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। মাংসের কিমা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। সবজিগুলো ভালো করে ধুয়ে হাল্কা ভাপ দিয়ে নিন। ডিম ফেটে গরম তেলে ঝুরি ভেজে নিন। এবার হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা-রসুন হাল্কা বাদামি করে ভেজে মাংসে কিমা দিয়ে নেড়ে কষাতে থাকুন। সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে ভাজা ভজা হলে রান্না করা ভাত ও সেদ্ধ করা সবজি, কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে ২-৩ মিনিট ভেজে সয়াসস, ওয়েস্টার সস, পেঁয়াজপাতা, ডিম ঝুরি ও গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ২ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মজাদার চিকেন ফ্রাইড রাইস।

 

জুতার অদ্ভুত সব ফ্যাশন

জুতার ব্যবহার সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই। তখন মানুষ তাদের পা বাইরের পাথর, কাটা, ময়লা-আবর্জনা থেকে বাঁচাতে গাছের গুঁড়ির কিংবা পাতা দিয়ে পায়ে একটি আবরণ তৈরি করতো। যা নানা অবস্থার ভেতর দিয়ে এসে রূপ নিয়েছে বর্তমানের জুতায়। এখন অবশ্য শুধু পদযুগলকে সুরক্ষা করতেই নয়, ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও জুতার তুলনা নেই। তবে এই ফ্যাশনেও আছে নানা ধরন। স্বাভাবিকভাবে নানা ফ্যাশন থাকলেও এতো কিছুর ভিড়ে আছে অদ্ভুত কিছু ফ্যাশন।

হ্যামবার্গার নাইকি স্নিকার শু : হ্যামবার্গার নাম শুনলেই মাথায় ঘুরতে থাকে চিজ, মাংশ আর রুটির এক অপরূপ সংমিশ্রণ। কিন্তু কখনো কি জুতার কথা মাথায় আসবে? তবে এমন জুতাও আছে। যদিও এর নাম শুনে এবং দেখলে আমার খেতে ইচ্ছে করবে কিন্তু এটি খাওয়া অসম্ভব।

রিভার্জ হিল শু : নিজেকে কিছুটা লম্বা দেখতে কিংবা শাড়ির সাথে হিল পড়তেই হয়। তাই বলে উল্টো হিল? হিল পুরোনো ফ্যাশন হলেও এই দিক থেকে এটি একদম নতুন।

লেগিন্স শু : লেগিন্স নাম শুনলেই আপনার মাথায় প্রথমে যা ঘুরবে তা হচ্ছে জামার সাথে পরিধেয় পাজামা ধরনের একটি অংশ। তবে কি এই জুতা লেগিন্স দিয়ে বানানো? না তবে এটি লেগিন্সের সাথে সংযুক্ত। যার কারণে আপনি জুতা এবং লেগিন্স এক সাথে পরতে পারবেন।

গ্যাজেট শু :  গ্যাজেট শব্দটি শুনলেই মাথায় আসে নানা ইলেকট্রনিক সামগ্রি তথা। তবে এটি এসব দিয়ে তৈরি না হলেও এতে আছে এ্যালার্ম, ঘড়ি এবং ডিজিটাল ক্লক এর সুবিধা। যা আপনাকে নানা ভাবে সাহায্য করবে।

ব্যানানা শু : হাজারজোড়া পায়ের মাঝে দুটি কলা। দেখতে অদ্ভুত হলেও দিব্যি মানিয়ে যাবে ফ্যাশনপ্রেমীদের পায়ে। ঠিক কলার মতো দেখতে এবং রঙের দিক থেকে একই ধরনের এই জুতাব্যানানা শু নামেই সুপরিচিত।

 

সাহসী এক শারমিনের কথা

‘সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শিউরে উঠি। বয়স কম হলেও এটুকু বুঝতে পারছিলাম, আমার ওপর যা হচ্ছে তা পুরোপুরি অন্যায়। আমার মায়ের ইচ্ছায়, পৃষ্ঠপোষকতায় সেই অন্যায় সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। একে তো আমার বিয়ের বয়স হয়নি। হঠাৎ মা একদিন বললেন, “এই ছেলে তোর স্বামী, এখন থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে তোকে!” নিছক কৌতুক করে তিনি এটা বলেননি। সত্যি সত্যিই বলেছিলেন। সে মতো কাজও করলেন। আমাকে ওই ছেলের সঙ্গে একটি ঘরে থাকার নির্দেশ দিলেন। এমনকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে আটকেও রাখলেন। কিন্তু আমার তো বিয়ে হয়নি। বিয়ের বয়সও হয়নি। বিয়ের আয়োজন হয়নি, কবুল বলিনি, কোনো কাগজে সইও করিনি। কীভাবে এটা হলো। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।’ কথাগুলো শারমিন আক্তারের, যার বয়স মাত্র ১৪। সে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী।
৭ নভেম্বর যখন কথা হচ্ছিল শারমিনের সঙ্গে, তখন তার এই অভিজ্ঞতার কথা যেন থামে না। সে বলে, ‘আমি বিয়ের ব্যাপারে শুরুতেই মাকে না করে দিই। কিন্তু মা কিছুতেই এটা মানেননি বরং চাপ প্রয়োগ করেছেন। শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি কী করব, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। বাবা বিদেশে থাকেন। কার কাছে যাব, কী করব, সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। একবার চিন্তা করি আত্মহনন করে এই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্ত হব। আবার ভাবি, এটাও হবে হেরে যাওয়া।’
কিন্তু হেরে গেলে তো চলবে না। তাই এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে শারমিন। ‘সিদ্ধান্ত নিই, যে করেই হোক আমাকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এরপর নিজে থেকেই সাহসী হলাম। একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানাই। এরপর চলে যাই সরাসরি থানায়। মা আর ওই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করি।’
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সত্যনগর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে শারমিন। মা গোলেনূর বেগম। কবির হোসেন সৌদিপ্রবাসী হওয়ায় শারমিনকে নিয়ে তার মা গোলেনূর রাজাপুর শহরের থানা সড়কে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
২০১৫ সালের জুলাই মাসের কথা। শারমিন তখন রাজাপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মা গোলেনূর এই বয়সেই শারমিনের বিয়ে ঠিক করেন প্রতিবেশী স্বপন খলিফার (৩২) সঙ্গে। শারমিন মায়ের এই সিদ্ধান্তে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এতেও টলেনি সে। পরে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। এতেও রাজি না হওয়ায় একদিন ওই ছেলেকে (স্বপন) বাড়িতে এনে শারমিনকে তার মা বলে দেন, ‘এই ছেলে তোর স্বামী। ওর সঙ্গে তোর বিয়ে হয়েছে। এখন ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে।’ মায়ের কথা শুনে শারমিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। স্কুলে আসা বন্ধ করে বাসার মধ্যে আটকে রাখা হলো তাকে। বাইরে গেলেও ছিল কড়া নজরদারি।
২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। শারমিনকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে তার মা খুলনায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দূর সম্পর্কের এক মামার বাড়িতে তোলেন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন স্বপন। রাতে শারমিনকে ওই বাসায় স্বপন খলিফার সঙ্গে এক কক্ষে থাকার জন্য তার মা চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে সম্মত না হওয়ায় মারধর করে তাকে (শারমিন) জোর করে স্বপনের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। ৭ আগস্ট সকালে শারমিন ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে রাজাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনের পিছু নেন। পিরোজপুরে এসে কথিত স্বামী স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনকে ধরে ফেলেন এবং বাস থেকে নামিয়ে রাজাপুরে নিয়ে যান। এখানে এনে শারমিনদের থানা সড়কের বাড়িতে আটকে রাখেন।
১৬ আগস্ট এই বন্দিদশা থেকে পালিয়ে সহপাঠী নাদিরা আক্তারের বাড়িতে যায় এবং সব খুলে বলে। এরপর দুজনে মিলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় সরাসরি ওই দিন রাতে রাজাপুর থানায় হাজির হয়। মা ও কথিত স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পরে পুলিশ শারমিনের মা গোলেনূর বেগম ও কথিত স্বামী স্বপন খলিফাকে গ্রেপ্তার করে। আর তাকে ঝালকাঠির জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শফিকুল করিম তার দাদি দেলোয়ারা বেগমের জিম্মায় দেন। এরপর থেকে সে দাদির কাছে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। শারমিনের এই সাহসিকতার জন্য স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশন ২০১৫ সালে তাকে স্বর্ণকিশোরী পুরস্কার দেয়।
এখন লক্ষ্য কী? শারমিন দৃঢ়তার সঙ্গে বলে, ‘আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা আছে। আর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে চাই।’
তার দাদি দেলোয়ারা বেগম এখন শারমিনকে নিয়ে এই বাড়িতেই থাকেন। সবুজ ছায়াঘেরা সত্যনগর গ্রামে তাদের বাড়িটা বেশ নির্জন-নিরিবিলি। দেলোয়ারা বেগম বললেন, ‘ওরে নিয়া খুব চিন্তা আমার। প্রতিদিন স্কুলে নিয়া যাই, আবার সঙ্গে নিয়া আসি। বাইরে কোথাও গেলে সঙ্গে যাই। ওর জীবনটা ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছিল ওর মা। খুব সাহস করে একাই এর প্রতিবাদ করেছে। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। এখন সবাই ওকে নিয়ে গর্ব করে। আমরাও গর্বিত।’
শারমিনকে সাহায্য করেছিল সহপাঠী নাদিরা আক্তার। সে বলল, ‘ভালো লাগছে ওর দুঃসময়ে আমি পাশে ছিলাম।’
সত্যনগর গ্রামের ছোট্ট খালের পাড় ধরে ফেরার সময় পশ্চিমাকাশে গোধূলির রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ছিল। কুয়াশায় ধূসর হয়ে উঠছিল সবুজ গ্রাম। তখনো কানে বাজছিল শারমিনের সাহসিকতার গল্প।

 

কোন ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না?

আমাদের নবী (সা) একটি হাদিসে বলেছেন, যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। [মুসলিম ২/২০০]  এই হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, যেখানে ছবি থাকে সেটা দোকান হোক, ঘর হোক, অফিস হোক কিংবা অন্য কোন জায়গা হোক সেখানে যারই ছবি থাক না কেন ফেরেশতা সেখানে প্রবেশ করবে না।

অনেক পরিবারে রোগ ব্যধি লেগেই থাকে এই রোগ ব্যধির পিছনে এটা একটা করণ হতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ধরণের গুনাহের কাজ থেকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুন।

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রীর অলংকার পরার বিধান

কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তার জন্য কি অলংকার পরা জায়েজ আছে? আমাদের এলাকাতে এই সব নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রিান্তিমূলক কথার প্রচলন আছে। এই বিষয়ে ইসলামী শরীআতের দৃষ্টিভঙ্গি কি?

 

কোন নারীর স্বামী মারা গেলে তাকে চার মাস দশ দিন অথবা গর্ভবতী হলে বাচ্চা প্রসব হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়। এই সময়ে সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক কোন কিছু ব্যবহার করা উচিত না। এমন কি নাক ফুলও ব্যবহার করতে পারবে না এবং চুল আচড়াতে পারবে না তবে বেশি খারাপ লাগলে এলোমেলো চুল ঠিক করতে পারবে। শরীআত কর্তৃক নির্ধরিত এই সময় পার হলে আগের মত সৌন্দয্য প্রকাশক বা সৌন্দয্য বর্ধক সব কিছু ব্যবহার করতে পারবে। [ফাতাওয়া আলমগীরী ২-৫৩৩]

 

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

চাকরির রিজুমেতে যে বিষয়গুলো উল্লেখ রাখবেন

চাকরি পাওয়ার প্রথম শর্ত হল একটি ভাল রিজুমে বা জীবনবৃত্তান্ত । একজন চাকরিদাতা আপনার সম্পর্কে প্রথম ধারণাটা পান জীবনবৃত্তান্ত থেকে। তাই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে জীবনবৃত্তান্তের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিযোগীতার এই যুগে ভাল চাকরি পেতে হলে রিজুমেটি হতে হয় অনেক বেশি স্মার্ট। একটি রিজুমেতে আপনি কী কী উল্লেখ করেন? নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি এই তো? কিন্তু বর্তমান সময়ে রিজুমেতে কিছু বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যা আপনাকে ভাল চাকরি পেতে সাহায্য করবে।

১। অ্যাডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)

আপনি যদি কোন সৃজনশীল চাকরি খুঁজে থাকেন, তবে অ্যাডোবি ফটোশপের কাজ জেনে থাকা প্রয়োজন। ফটোশপের বেসিক কিছু কাজ যা আপনার যোগ্যতাকে দেবে ভিন্ন মাত্রা। ফটো এডেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, বেসিক কিছু ফটোর কাজ করতে পারবেন ফটোশপ থেকে।

২। মাইক্রোসফট এক্সেল

ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্টস, কিংবা মার্কেটিং জব করতে ইচ্ছুক হলে, আপনাকে অব্যশই মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ জানতে হবে। মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়ারটি সময়ের সাথে সাথে  আপডেট হতে থাকে। অ্যাডভান্স এক্সেল সফটওয়ারের কাজ শিখে রাখুন।

৩। যোগাযোগ

প্রতিটি কোম্পানি চায় যোগাযোগে দক্ষ একজন কর্মী। যোগাযোগে দক্ষ একজন কর্মী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যোগাযোগ সঠিকভাবে রক্ষা করতে পারে। মৌখিক এবং লিখিত দক্ষতা রিজুমেতে উল্লেখ করুন।

৪। মাল্টি টাস্কিং

একসাথে অনেকগুলো কাজ করার যোগ্যতা নিজের মধ্যে গড়ে তুলুন। কোন কোন কাজে আপনি পারদর্শী তা রিজুমেতে উল্লেখ করুন।

৫। কথা বলার ক্ষমতা

আপনি যেই ক্ষেত্রে চাকরি করেন না কেন, চাকরির একটি পর্যায়ে জনসম্মুখে আপনাকে কথা বলতে হবে। তাই সবার সামনে কথা বলার অভ্যাস থাকতে হবে। আপনার মধ্যে লজ্জা বা ভয় কাজ করলে সেটি কাটিয়ে তোলার জন্য কোর্স করুন। রিজুমেতে সেই কোর্সের নাম উল্লেখ করুন।

৬। নতুন কোন ভাষা শেখা

বাংলা ইংলিশের পাশাপাশি নতুন অন্যকোন ভাষা শিখে রাখুন। তা হতে পারে স্প্যানিশ, ফারসি অথবা অন্যকোন ভাষা। এটি আপনার রিজুমেতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এছাড়া ওয়েব ডেভলাপার, ওয়ার্ড প্রেস, এসইও (SEO: Search Engine Optimization) কাজ শিখে রাখতে পারেন। এই যোগ্যতাগুলো আপনাকে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে আলাদা করবে।

লিখেছেন

নিগার আলম

 

হঠাৎ বৃষ্টিতে সবজি খিচুড়ি

হঠাৎই বৃষ্টি। শীত আসি আসি করছে বলেই হয়তো। বৃষ্টির হাত ধরে আসবে শীত। তবে এই হঠাৎ বৃষ্টিতে পথেঘাটে ভোগান্তি পোহাতে হলেও খাবারের থালাটা কিন্তু সাজাতে পারেন একটু ভিন্নভাবে। বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি। নতুন সব সবজি দিয়ে রেঁধে ফেলুন সবজি খিচুড়ি। আর খাবার টেবিলে সবাইকে চমকে দিন। রইলো রেসিপি-

উপকরণ : ৩-৪ রকমের ডাল, পোলাও চাল, কাঁচামরিচ, আদা বাটা, জিরা বাটা, পছন্দমতো কয়েক রকমের সবজি, পেঁয়াজ কুচি, ঘি, লবণ, তেজপাতা ও সয়াবিন তেল।

প্রণালি : প্রথমে পোলাও চাল ও ডাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরাতে দিন। তারপর সব সবজি ছোট আকারে কেটে ধুয়ে হালকা সিদ্ধ করুন। এরপর হাড়িতে পরিমাণমতো তেল দিয়ে সামান্য ঘি ছেড়ে দিন। এবার ঘি এর ওপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ ফালি, আদা বাটা, জিরা বাটা ও তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। তারপর চাল দিয়ে কষিয়ে পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিন। পানি ফুটে উঠলে সেদ্ধ করা সবজি ও লবণ দিয়ে নেড়ে দিন। চাল সেদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে এলে হাড়ি ঝাকিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এরপর গরম গরম বেড়ে পরিবেশন করুন।

 

প্রাণবন্ত ত্বক পেতে চাইলে করণীয়

চলছে হেমন্তকাল। সেইসঙ্গে প্রকৃতিতে বইছে শীতের আগমনী সঙ্গীত। এই সময়ে আমাদের ত্বকে মিশ্র একটা ভাব দেখা দিতে পারে। মুখের টি জোন অর্থাৎ নাক-কপালের অংশ ছাড়া বাকি জায়গা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বকের ধরন বুঝে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। যদি ত্বকে মিশ্র ভাব দেখা দেয় তবে সাধারণত যে ফেসওয়াশ গরমকালে ব্যবহার করেছেন সেটাই রাখুন। তবে তা শুধু টি-জোনটুকুর জন্যই। বাকি শুষ্ক জায়গায় সাধারণ ফেস ওয়াশ বা ফোমিং ক্লিনজার দিয়ে ধোবেন।

বেশি শুষ্কতা দেখা দিলে ক্রিম ক্লিনজার, ক্লিনজিং মিল্ক অথবা গ্লিসারিন বার ব্যবহার করুন। প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে দেখে নিন আপনার সঙ্গে ক্লিনজিং ওয়াইপস বা ওয়েট টিস্যু আছে কি না। প্রয়োজনে দরকার মত মুখ মুছে নেবেন। এ সময় ত্বক অনেকাংশেই উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। প্রতিদিন মাইল্ড স্ক্রাব ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তৈলাক্ত ত্বকে জেল বা হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, যেগুলোতে তেলের পরিমাণ কম,পানির পরিমাণ বেশি।

কলা পেস্ট করে লাগালে শুষ্ক ত্বকে প্রাণবন্ত ভাব ফিরে আসবে। মধুও শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব উপকারী। টমেটোর রসের সঙ্গে একটু মধু পেস্ট করে নিন। অনেক ভালো ফল পাবেন। তৈলাক্ত ত্বকে শশার রস চমৎকারভাবে কাজ করবে। শশার রসের সাথে মুলতানি মাটি ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে লাগান। এতে যেমন তেলতেলে ভাব কমবে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসবে। পেঁপে পেস্ট করে ১০-১৫ মিনিটের জন্য মুখে দিয়ে রাখুন। ত্বকের পোড়া ভাব দূর করবে। গাজর পেস্ট করে ১০ মিনিটের জন্য লাগালে উপকার পাবেন। চন্দন পেস্ট করে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ধুয়ে নিন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধের ক্রিম অথবা টকদইয়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপের পানি মেশান। মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে মাস্কটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন। কলা পেস্ট করে মধু মিশিয়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেল তেল ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাতে চমৎকার কার্যকরী। মুখে নারিকেল তেল লাগান। সুতির রুমাল গরম পানিতে ভিজিয়ে ভালো মতো নিংড়ে নিন। মুখের ওপর দিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য। মুখটা মুছে নিয়ে এবার গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। সব ধরনের ত্বকেই এটি মানিয়ে যাবে।

 

স্বামীর নাম ধরে ডাকা যাবে কিনা?

অনেক স্বামী- স্ত্রী নিজেদের মাঝে অনেক ফ্রি। তাই একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করে থাকে। তো আমার জানার বিষয় হচ্ছে এই ভাবে একে অপরকে নাম ধরে ডাকাডাকি করার বিষয়ে ইসলাম কী বলে?

স্বামী স্ত্রীকে নাম ধরে ডাকতে পারবে এতো কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু স্ত্রীর স্বামীর নাম ধরে ডাকা ইসলামের দৃষ্টিতে এক প্রকার অসৌজন্যতা, তাই এমনটা করা মাকরূহ বা অনুচিত। [রহীমিয়া ২-৪১৩]

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

ভয়ংকর সুন্দরের সঙ্গী হলো আরটিভি

অনিমেষ আইচের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘ভয়ংকর সুন্দর’ আসছে ভালোবাসা দিবসের আগেই মুক্তি পাচ্ছে। সেই লক্ষে চলছে এর প্রচারণার কাজ।

এবার ‘ভয়ংকর সুন্দর’ দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে নতুন যাত্রা শুরু করলো। ‘ভয়ংকর সুন্দর’র প্রচারে সহযোগিতা করা ছাড়াও, ‘ভয়ংকর সুন্দর’র টেলিভিশন স্বত্ব লাভ করেছে আরটিভি।

এ উপলক্ষে আরটিভির অফিসে গতকাল বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছবিটির পরিচালক অনিমেষ আইচ, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব, মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ ও প্রশাসন) হাবীব ভূঁইয়া, বার্তা প্রধান লুৎফর রহমান, বিক্রয় ও বিপণন প্রধান সুদেব চন্দ্র ঘোষ, সম্প্রচার প্রধান স্বপন ধর, আরটিভি অনলাইন প্রধান বার্তা সম্পাদক আনোয়ার হক, সহকারি মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) সৈয়দ সাবাব আলী আরজু প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, মতি নন্দীর ছোট গল্প ‘জলের ঘূর্ণি ও বক বক শব্দ’ অবলম্বনে ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ছবিটি নির্মিত হয়েছে। কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত ও বাংলাদেশের এ সময়ের সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী ভাবনাসহ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন সৈয়দ হাসান ইমাম, লুৎফর রহমান জর্জ, ফারহানা মিঠু, ফারুক আহমেদ, সমাপ্তি মাসুক, দিহান, অ্যালের শুভ্র প্রমুখ।

চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা। চিত্রগ্রাহক হিসেবে রয়েছেন খায়ের খন্দকার, নৃত্য পরিচালনায় সোহাগ, পোশাক পরিকল্পনায় চিন্ময়ী গুপ্তা কাজ করেছেন।

 

মনোবাসনা পূরণে আল্লাহর জিকির

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার সুন্দর সুন্দর নামের জিকির বা আমল করার কথা বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে এ নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ একটি। যার অর্থ হলো- ‘কাফির মুশরিকদের হীন ও নীচুকারী।’

সংক্ষেপে এ গুণবাচক নাম (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’-এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ :

‘আল-খাফিদু’
অর্থ : ‘কাফির মুশরিকদের হীন ও নীচুকারী।’

আল্লাহর ‍গুণবাচক নাম (اَلْبَاسِطُ)-এর আমল

ফজিলত
>> যে ব্যক্তি এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ নামটি মধ্য রাতে বা দ্বিপ্রহরের সময় ১০০ বার পাঠ করবে মহান আল্লাহ তাকে তাঁর সৃষ্টির মধ্যে মনোনীত ও অর্থশালী করেন এবং মুখাপেক্ষীহীন করে দেন।

>> যে ব্যক্তি এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْخَافِضُ) ‘আল-খাফিদু’ নামের জিকির প্রতিদিন ৫০০ বার মনোযোগের সঙ্গে পড়ে, আল্লাহ তাআলা তার মনোবাসনা পূরণ করেন।

পরিশেষে…
মুসলিম উম্মাহর উচিত আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামের জিকির করে দুনিয়ার মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্ত থেকে মনের একান্ত চাওয়াগুলো পূরণ করে নিতে পারেন। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত এ গুণবাচক নামের জিকির ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

সেলস পার্সনদের জন্য বিক্রি বাড়ানোর ৫টি কৌশল

সময়ের মূল্য আপনার জন্য হিসেব হয় টাকায়। প্রতি মিনিটের হিসেব আপনাকে দিতে হয় কোম্পানিকে। কোম্পানির পণ্য বিক্রির জন্য যেমন নানান পরিকল্পনা আপনাকে করতে হয় তেমনি গ্রাহকের কাছে কীভাবে পণ্যকে তুলে ধরলে তা বিক্রি হবে সেই কৌশলও আপনাকে ঠিক করতে হয়। প্রতিমাসের টার্গেট নিশ্চিতভাবে পূরণের জন্য আপনি অনুসরণ করতে পারেন এই কৌশলগুলো-
কঠিন কাজগুলো আগে করুন
প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন কিছু কাজ থাকে যা সে কোনমতেই করতে পছন্দ করেন না। কেউ কেউ গ্রাহককে ফোন করে আপডেট দিতে অপছন্দ করেন। কেউ আবার মেইলের উত্তর দেওয়া বা মেইলে আলোচনা করা পছন্দ করেন না। কারও মিটিং ডেকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে এটা ভাবতেই গায়ে জ্বর আসে। কারও হয়ত প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে কষ্ট হয়। আপনার কাছে এগুলো কঠিন কাজ। আর এগুলোর কারণেই হয়ত পরের কাজগুলো যা করা খুবই জরুরি সেগুলো বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
আপনি যদি সময় ব্যবস্থাপনায় মাস্টার হতে চান তাহলে ‘ইচ্ছে করে না’ জাতীয় সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেই কাজগুলোই আগে দ্রুত গতিতে করে ফেলুন যা আপনার মূল কাজের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
 
মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করুন
একজন মানুষ একসাথে অনেক কাজ করতে পারেন এটাকে খুব গৌরবের মনে করি আমরা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি আপনার দক্ষতার পথকে আটকে দেয়। মনোযোগ ভাগ হয়ে গেলে আপনার কাজের গতিও ধীর হয়ে আসে। যে পার্ফরমেন্স আপনার একটি কাজে দেওয়ার কথা ছিল তা ভাগ হয়ে যায়।
আপনি যদি মনে করেন, এমন হয় না, আপনি সব কাজ সমান দক্ষতার সাথে করতে পারেন তাহলে আপনি জানেন না আপনি আরো কত চমৎকারভাবে আপনার মেধার ব্যবহার করতে পারতেন যদি আপনি একটি কাজ করতেন! অন্য একটি কাজে হাত দেওয়ার আগে প্রথম কাজটি শেষ করুন। যখন যে কাজটি করবেন সে কাজে পূর্ণ মনোযোগ দিন। এতে আপনার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অবশ্যই পূরণ হবে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখুন
প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সময় শুধু কাজগুলোই করুন। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বন্ধ করুন। এখন আমাদের হাতে হাতে স্মার্ট ফোন হওয়ায় এখন মেইল, ফেসবুক নোটিফিকেশন সব কিছুই প্রতিমুহুর্তে তাদের আগমন জানাতে থাকে। এতে তৈরি হয় মনোযোগের বিচ্ছিন্নতা। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার বন্ধ রাখুন, অন্তত মোবাইলে।
অনেক সেলস পার্সনই এই কাজ করতে ভয় পাবেন কারণ তাদের মনে হবে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ কোন গ্রাহকের বার্তা আসতে পারে বা দরকারি কোনকিছু মিস হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি এমন একটি একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন যেখানে শুধু গুরুত্বপূর্ণ মানুষেরাই থাকবেন। দেখবেন অনেকটা সময় বেঁচে যাবে, একই সাথে পণ্যের বিক্রিও বাড়াতে পারবেন সানন্দে।
কার্যকরি কাজটি করুন
আজকের দিনে কোন ধরণের যোগাযোগটি বেশী কার্যকরি সেটি বেছে নিন। যেমন ইমেইলের চেয়ে এখন ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ জনপ্রিয়। ফোনে কল করার চেয়ে ভাইবার বা হোয়াটস এপ্স এ ভিডিও কল বেশী স্মার্ট। তবে কোন কোন কোম্পানি পুরাতন যোগাযোগের ধরণকেই প্রফেশনাল মনে করতে পারেন। খেয়াল করুন কার জন্য কোনটা বেশী কার্যকরি।
একজন গ্রাহক যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারে তেমন অভ্যস্ত নন তাকে মেসেজ না দিয়ে কল করুন। যে গ্রাহক সারাক্ষণ মিটিং এ থাকেন, খুবই ব্যস্ত মানুষ, তিনি নিশ্চয়ই নিয়মিত মেইল চেক করেন। তাকে কল করে বিরক্ত না করে মেইল করুন। এভাবে আপনার যোগাযোগের ধরণ গ্রাহকের মাঝে এক প্রকার সন্তুষ্টি তৈরি করবে এবং তিনি আপনার সাথেই যোগাযোগে আগ্রহী হবেন সবসময়।
 
প্রতিদিনকার কাজে গুরুত্বের ক্রম তৈরি করুন
আপনার প্রতিদিনকার কাজ ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য কাজগুলো লিখে ফেলুন এবং অবশ্যই গুরুত্ব অনুসারে লিখুন। সবচেয়ে দরকারি কাজটি আগে লিখুন। ক্রম অনুসারে তালিকা তৈরি করুন। এটি করতে আপনার হয়ত প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ব্যয় হবে। কিন্তু এই কাজটি নিয়মিত করলে আপনি অপ্রত্যাশিত অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। ফলে আপনার পার্ফরমেন্স হবে দিনে দিনে দূর্দান্ত।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই ফ্যাশন : বুবলি

শোবিজ দুনিয়ার নতুন মুখ বুবলি। বসগিরি ছবির মাধ্যমে যার যাত্রা শুরু ঢালিউড আঙিনায়। প্রথম ছবিতেই প্রচুর সাড়া পেয়েছেন এই নবাগত নায়িকা। তাই তার ব্যস্ততার তালিকাও লম্বা। ফটোসেশন থেকে শুরু করে শুটিং- নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। কাজের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে ভালোবাসেন এই অভিনেত্রী। তবে এই ব্যস্ততার মাঝেও নিজের লাইফস্টাইন আর ফ্যাশনের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন জাগো নিউজের সাথে। জানান তার লাইফস্টাইল, আউটলুক আর ফ্যাশন সম্পর্কে নানা ভাবনাচিন্তার কথা। সঙ্গে ছিলেন ফারিন সুমাইয়া-

পরিবারের সাথে সময় কাটাতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন বুবলি। এরপরেই তার সবচেয়ে পছন্দের কাজ ঘুম। অবসর সময়ে তার প্রথম এবং প্রধান কাজ হয়ে থাকে এটি। সচারচর রাত ১ টা থেকে ১:৩০ এর মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। আর সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চোখ বোলান সারাদিনের কাজের তালিকায়। সময়ের কাজ সময়ে করতেই পছন্দ করেন। তাই সিডিউলে থাকা কাজগুলোকে তিনি আগের থেকেই তালিকাবদ্ধ করে নেন। অন্যদিকে রুপচর্চার বিষয়টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন। খুব বেশি হলে বাসায় বসে ভ্রু প্লাক আর আপার লিপ করে থাকেন। কিন্তু তিনি যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন। বাইরের খাবার এবং ভাজাপোড়া বুবলি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন। আর সারাদিনে প্রচুর পানি পান করেন।

বুবলির পছন্দের খাবার ভাজা মাছ আর মায়ের হাতের রান্না করা যেকোনো খাবার। আর দিনের শুরুতে তিনি খালি পেটে লেবুপানি খেয়ে থাকেন। এরপর সকালের নাস্তায় খান রুটি তার সাথে বিভিন্ন সবজি আর ডিম। তবে এই তালিকায় থেকে কিছু বাদ পরলেও ডিম থাকবেই। দুপুরের খাবারে থাকে মাছ, মাংস, ডাল, ভাত, ভাজি কিংবা ভর্তা। দুপুরের খাবারে কিছুটা বেশি খাওয়া হয়ে থাকে মাছ আর মাংস। রাতের খাবারের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে। রাতের মেনুতে থাকে ভাত সাথে মাছ নয়তো মাংস।

বুবলির পছন্দের অভিনেতা আফজাল হোসেন, শাকিব খান, টুম ক্রুজ। অভিনেত্রী শাবানা, ববিতা, শাবনূর আর মৌসুমী। প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ আর প্রিয় গায়ক সুবীর নন্দী, ইমরান, শ্রীকান্ত, মিতালী মুখার্জি, এবং মিমি। প্রিয় জায়গা তার নিজের বাসা। তিনি নিজেকে ঘরকুনো বলে আখ্যা দেন। অবসর সময় পেলেই তিনি ঘুমান। তার সর্বোচ্চ ঘুমের রেকর্ড ১৫ ঘণ্টা। পছন্দের সিনেমা আগুনের পরশ মণি, জার্মান বিভিন্ন ফিল্ম, এবং সুইট নভেম্বর।

জুয়েলারির মধ্য বুবলির পছন্দ ঘড়ি। বিভিন্ন নামী দামী ব্যান্ডের ঘড়ি এবং সুগন্ধি ব্যবহার করেন বুবলি। ঘড়ির ক্ষেত্রে তার পছন্দের ব্যান্ড রেডো, টাইটানিক, রোলেক্স। আর সুগন্ধির ক্ষেত্রে লাবাম্বা, শ্যালিমার গার্লিয়ান এবং বিভিন্ন নামিদামী ব্যান্ডের ডিও ড্রেন। কাজল, মেকাপ, আইলাইনারের ক্ষেত্রে তার সারা জীবনের সঙ্গী ম্যাকের পন্য। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে থিসিমি, লরিয়াল এবং ডাভ ব্রান্ডের পণ্য ব্যবহার করেন তিনি। তবে পোশাক এবং জামার ক্ষেত্রে তিনি ব্যান্ডকে সেভাবে মাথায় রাখেন না। সেক্ষেত্রে তার মাথায় থাকে তিনি কতটা স্বচ্ছন্দ সেই জামা কিংবা জুতো জোড়ার সাথে।

বুবলির কাছে ফ্যাশন মানে কী জানতে চাইলে তিনি বলেন ফ্যাশন মানেই স্বাচ্ছন্দ্য। আপনি কতটা তা ধারণ করতে পারছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনাকে তা মানাচ্ছে কী না। নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপনা করতে জানাটাই বুবলির কাছে ফ্যাশন।

 

যেভাবে রাঁধবেন থাই চিকেন কারি

চিকেনের নানাপদ তো প্রায়ই খেয়ে থাকেন। স্বাদে একটু ব্যতিক্রম কিছু করতে চাইলে রাঁধতে পারেন থাই চিকেন কারি। ঝটপট রান্না করা যায় বলে ঝামেলাও কম। চলুন শিখে নিই-

উপকরণ : মুরগি ১ কেজি (ছোট ছোট টুকরো করা), মোটা করে কাটা পেঁয়াজ ১ কাপ, লম্বা করে কাটা থাই পাতা/লেমন গ্রাস ২ টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৬/৭টি, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি : মুরগি কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন, এবার মুরগিতে আদা-রসুন বাটা ও লবণ মাখিয়ে প্যানে পরিমাণমতো তেল দিয়ে হালকা লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন এবার ওই প্যানেই প্রয়োজনমতো আরো কিছু তেল দিন এবং সব সস দিয়ে ২ মিনিট নেড়ে, ভাজা চিকেন, পেঁয়াজ ও থাই পাতা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন, একদম মাখা মাখা হলে কিছু কাঁচামরিচ চিরে অথবা আস্ত দিয়ে মিশিয়ে লবণ ঠিক আছে কিনা দেখে নামিয়ে রাইসের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

প্রত্যেক নারীর মোবাইলে থাকা উচিত এই ৫টি অ্যাপস

“অ্যাপস” স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য পরিচিত একটি নাম। দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অ্যাপস আবিষ্কার হচ্ছে। রঙ্গিন ছবি সাদাকালো করা কিংবা রাস্তার জ্যামের খবর অথবা পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের খবর জানা যায় অ্যাপসের কল্যাণে। কিছু অ্যাপস আছে যা প্রত্যেক নারীর মোবাইলে থাকা উচিত। এই অ্যাপসগুলো নারীদের জীবন করে তুলবে আরও বেশি সহজ। নারীদের প্রয়োজনীয় কিছু অ্যাপস নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১। Clue   

পিরিয়ড বা মাসিকের তারিখ মনে রাখা নারীদের জন্য বেশ কঠিন একটি কাজ। আর তারিখ মনে না রাখার কারণে অনেক সময় সম্মুখীন হতে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতির। ক্লু অ্যাপটি আপনার পিরিয়ডের তারিখ মনে রাখবে।  শুধু তাই নয় তারিখ আসার আগে আপনাকে মনে করিয়ে দেবে।

২। Noom Coach

ডায়েট করতে চাচ্ছেন, কিন্তু আলসেমির কারণে হয়ে উঠছে না? তাহলে আজই মোবাইলে ইনস্টল করে নিন নুম কোচ। কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করছেন, কী ডায়েট করবেন, কী ব্যায়াম করবেন সব জানতে পারবেন এইখান থেকে। এই অ্যাপসটিকে ভার্চুয়াল ফিটনেস প্রশিক্ষকও বলতে পারেন!

৩। Pinterest

পিন্টারেস্ট অ্যাপটি অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি রান্না করতে পছন্দ করেন, নতুন নতুন খাবার রান্না করেন, তবে এটি আপনার জন্য। এইখানে নানান ধরণের ক্যাটাগরিতে নানান ছবি পিন করা থাকে। খাবারের ক্যাটাগরিতে কোন ছবি পছন্দ হয়ে গেলে  সেটাতে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন সেই খাবারের রেসিপি!

৪। MyPill

যারা নিয়মিত পিল গ্রহণ করে থাকেন, তারা জানেন পিল একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে গ্রহণ করতে হয়। পিল গ্রহণের ডেট মনে করিয়ে দেওয়াই মাই পিলের কাজ।

৫। Healthtap

রাতে হঠাৎ ডাক্তারের সাথে কথা বলার প্রয়োজন পড়লো, তখন কী করবেন? হেলেথ ট্যাপ অ্যাপটি আপনাকে সাহায্য করবে। আপনার সমস্যার দ্রুত সমাধান পেয়ে যাবেন এই অ্যাপের কাছ থেকে। এমনকি আপনি রোগের ছবি অথবা ল্যাবের রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতে পারেন।

লিখেছেন

নিগার আলম

 

অল্প খরচে সাজিয়ে ফেলুন নিজের ঘরটি

ঘর শান্তির নীড়। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পর ঘরে ফিরে মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। তাই প্রত্যেক মানুষ চায় তার ঘরটি হোক সাজানো গোছানো ছিমছাম। এই ঘর সাজানোর জন্য কত কিছু না করতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সব সময় সব কিছু করা হয়ে উঠে না। ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারা যায় না পছন্দের ঘর সাজানোর জিনিস। কিন্তু কিছু বুদ্ধি খাটিয়ে খুব কম খরচে এবং নতুন আঙ্গিকে ঘরকে সাজানো যায়। এর জন্য প্রয়োজন কিছু কৌশলের। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো।

১। রঙের পরিবর্তন

আপনার ঘরকে আকর্ষনীয় করে তুলতে রঙের ভূমিকা অনেক। ঘরের আকার দেখে রং পছন্দ করুন। হালকা রং ঘরকে বড় দেখায়। আর গাঢ় রংয়ে ঘরকে ছোট দেখায়। যদি নতুন করে রং করা সম্ভব না হয় তবে আগের রং ওপর নতুন এক কোট রং লাগিয়ে নিন দেখবেন ঘরের উজ্জলতা বেড়ে গেছে।

২। কুশন ব্যবহার

ঘরকে সাজাতে কুশন ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় রঙিন কুশন ব্যবহারের মাধ্যমে। আপনার সোফার রঙ খুব সাধারণ অনুজ্জ্বল হলেও তার সঙ্গে রঙিন কুশন মানিয়ে যাবে সহজেই। যে কোনো একটি উজ্জ্বল রঙের কুশন দিয়ে সোফা ও বিছানা ভরিয়ে তুলতে পারেন। আবার চার পাঁচটি রঙ এর কুশন কভারও ব্যবহার করতে পারেন।

৩। সঠিক সোফা নির্বাচন করুন

সোফা আপনার ঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক দামী কোন সোফা দিয়ে ঘর সজাতে হবে এমন কোন কথা নেই। আজকাল মেঝেতে বসার আয়োজন বা ফ্লোরিং বেশ জনপ্রিয়। ফ্লোরিং যদি পছন্দ না করেন তবে বাঁশ বা বেতের সোফা দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। অল্প খরচে অনেক সুন্দর কিছু বেতের সোফা কিনতে পারেন।

৪। গাছ ও ফুল

ফুল এবং গাছ অন্যান্য ঘর সাজানোর জিনিসের তুলনায় বেশ সস্তা। এই গাছ দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার বাসাটি। গাছ ঘরকে রঙিন করে তুলবে। জানালার ধার ঘেঁষে লাগাতে পারেন লতানো গাছ। ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস না থাকলে গাছের বদলে তাজা ফুলও রাখতে পারেন। ঘরের এক কোণে কয়েকটি তাজা ফুল রেখে দিলে নিমিষেই ঘর উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

৫। রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিনুন

সবসময় বড় দোকানগুলো থেকে যে শোপিস বা ঘর সাজানোর জিনিস কিনতে হবে এমন তো নয়। অনেক সময় রাস্তার পাশেও পেতে পারেন দারুন কিছু ঘর সাজানোর জিনিস। পথে আসা যাওয়ার সময় খেয়াল করুন রাস্তার দোকানগুলোকে। পেয়ে যেতে পারেন আপানার পছন্দের কোন শোপিস।

৬। ল্যাম্প

অল্প খরচে ঘরে আভিজাত্য ফুটিয়ে তুলতে চাইলে ল্যাম্পের জুড়ি নেই। ঘরের কোণে একটি রঙিন ল্যাম্প রেখে দিন। সেটা হতে পারে হলুদ, লাল, নীল, কমলা কিংবা সবুজ। অথবা বেশ কিছু রঙের মিশ্রনে তৈরী ল্যাম্প ও পাওয়া যায় বাজারে। এছাড়া ঝুলানোর জন্য বিশেষ কিছু ল্যাম্প পাওয়া যায়। এর যেকোন একটা ল্যাম্প আপনি ঘরের কোণে রেখে দিতে পারেন।

লিখেছেন

নিগার আলম