All posts by Oporajita

লিপস্টিকে ক্যানসার

অপরাজিতাবিডি ডটকম : মহিলারা সাজবেন আর লিপস্টিক মাখবেন না তাও কি হয়? এযে মহিলাদের এক অত্যন্ত জরুরি প্রসাধনী৷ সে কারণেই প্রত্যেকটি মহিলার পার্সের অন্দরে লিপস্টিকের অবাধ বিচরন৷ কিন্তু জানেনকি আপনার এই সাধের লিপস্টিকই হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যানসারের কারণ? সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য৷

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা অকল্যান্ডের ১৪ থেকে ১৯ বছর বয়সী ১২ জন মেয়ের ব্যবহৃত লিপস্টিক ও লিপগ্লসের নাম ও ব্যান্ড সম্পর্কে জানেন এবং এদের নমুনা সংগ্রহ করেন৷

গবেষকেরা দেখেন এই লিপস্টক গুলিতে শিশা, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও অন্য আরো ৫টি ক্ষতিকর উপাদান অবস্থিত যা মানব দেহে ক্যানসার সৃষ্টি করতে সক্ষম৷ গবেষকেরা জানান, প্রায় সব লিপস্টিকেই এই ধরনের উপাদান কম বেশি মাত্রায় রয়েছে৷ লিপস্টিক ঠোঁটে ব্যবহার করা হলেও মুখে চলে যায় ফলে এর থেকে ক্যানসারের সম্ভবনা থাকে৷

সম্প্রতি এই গবেষণাটি এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেকটিভ নামক এক সরকারি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷– ওয়েবসাইট

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৬ এপ্রিল, ২০১৪

নারীদের সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে : খায়রুল হক

nari

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেছেন, দেশের সংবিধান ও আইন নারীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে, তারপরও নারীরা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিচারক, প্রশাসন, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব একথা বলেন।

খায়রুল হক বলেন,‘মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু মেয়েরাই। মা  ছেলেকে দেন মুরগির রান আর মেয়েকে দেন মুরগির ডানা। নির্যাতনের শিকার নারী স্বামীকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে চান না।’

তিনি নারীদের সোজা হয়ে দাঁড়ানো এবং সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান। বর্তমানে নারী নির্যাতন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আইনি সমস্যার চেয়েও সামাজিক সমস্যাকে বেশি দায়ী বলে উল্লেখ করেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে এতে মূল বক্তব্য পড়ে শোনান পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম। এতে আরো অংশ নেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল-মালুম, ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির জাতীয় উপদেষ্টা (টেকনিক্যাল) শরীফ আখতারুজ্জামান, এটিএন নিউজের নিউজ এডিটর (আউটপুট) প্রণব সাহা প্রমুখ।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিানাধ/আরএ/এ/১৩ এপ্রিল, ২০১৪

রাজধানীতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানী গোড়ান টেম্পুস্টান্ডে সীমা আক্তার (১৮) নামের এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

সে খিলগাঁও আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার পিতা শামসুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর। রাত সাড়ে ১০ টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিানাধ/আরএ/এ/১৩ এপ্রিল, ২০১৪

রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন বেগুনবাড়ি এলাকায় মুক্তা (১৮) নামের এক পোশাক শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।

সূত্র জানায়, মুক্তার স্বামীর নাম রাজু ওরফে রতন। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী রায়পুরার শিবগ্রাপুরে। তারা বর্তমানে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল বেগুনবাড়ি এলাকার ৩৭/১/এফ নম্বর বাড়ির ৪র্থ তলায় ভাড়া থাকতেন। মুক্তা ওই এলাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতেন।

নিহতের প্রতিবেশীরা জানায়, শনিবার দুপুর দেড়টায় মুক্তা বাসার দরজা বন্ধ করে। পরে এক প্রতিবেশী তার কিছুক্ষণ পরে তাকে ডাক দিয়ে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে রুমের ফ্যানের লোহার রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই মাসুদ রানা লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়।

এসআই মাসুদ রানা জানান, আত্মহত্যার কারণ এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিানাধ/আরএ/এ/১৩ এপ্রিল, ২০১৪

রাজধানীতে গৃহপরিচারীকার লাশ উদ্ধার

lash

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানী রমনার সখিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে সালমা সাজেদা (২৪) নামে এক গৃহপরিচারীকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, সালমা সফিকুঞ্জ আ/এ এর ৬/এ নম্বর ফ্লাটের ৩৯৭/২ নম্বর মিজানুর রহমানের বাসায় কাজ করতো। সেখানেই স্বামী মিজানুর রহমানকে নিয়ে থাকতেন তিনি।

রমনা থানার এসআই শাহ মোজাহিদুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সালমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা কিনা তা জানা যায়নি।

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত সালমা যশোরের কোতোয়ালী থানার ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিানাধ/আরএ/এ/১৩ এপ্রিল, ২০১৪

রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে নারী

oggan party

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে রহিমা (৫০) নামের এক নারী পথচারী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। পরে অচেতন অবস্থায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রোববার সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মনোজ শীর্ষ নিউজকে জানান, মাতুয়াইল মৃধাবাড়ী এলাকা থেকে সন্ধ্যা পৌঁনে ৬টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রহিমার স্বামীর নাম আকবর হোসেন। তিনি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের ভিক্ষাখালী এলাকার বাসিন্দা।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিানাধ/আরএ/এ/১৩ এপ্রিল, ২০১৪

বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

bis

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে সাগরিকা (২৪) নামে এক গৃহবধূ। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার জহরেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

রোববার সকালে লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

 

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী উত্তম বিশ্বাসের সাথে সাগরিকার কলহ চলে আসছিল। এর জের ধরে সাগরিকা ঘরে রাখা বিষ পান করে। পরে পরিবারের লোকজন সাগরিকাকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিানাধ/আরএ/এ/১৩ এপ্রিল, ২০১৪

অগ্নিদগ্ধ হয়ে দাদী-নাতনী নিহত

mritu

অপরাজিতাবিডি ডটকম, জামালপুর : দেওয়ানগঞ্জের তিলকপুর কাউনিয়ার চরে রোববার ভোররাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দাদী ও নাতনী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।

দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানান, তিলকপুর কাউনিয়ার চর গ্রামের আফছার আলীর বাড়ির রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় আফছার আলীর বৃদ্ধা স্ত্রী জরিনা বেগম ও তার নাতনী ১০ বছরের সাজিনা অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়। আগুন নিভাতে গিয়ে স্থানীয় পাঁচজন আহত হয়েছে। পুড়ে গেছে ছয়টি ঘর, ঘরের আসবাবপত্র, ধানচাল, নগদ টাকা, তিনটি গরু ও দু’টি ছাগল।

এদিকে, রোববার সকালে জামালপুর শহরের বেলটিয়া এলাকায় একটি স-মিলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে প্রায় ৯ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/প্রতিানাধ/আরএ/এ/১৩ এপ্রিল, ২০১৪

বৈশাখি সাজ

boishakhi-style1অপরাজিতাবিডি ডটকম : একেইতো গরম তার উপর বৈশাখের প্রথম দিন বাইরেই সময় কাটে বেশি। তাই সাজসজ্জা হতে এমন, যাতে সহজে নষ্ট না হয়।

পহেলা বৈশাখের সাজ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আকাঙ্ক্ষ’স বিউটি পার্লারের রূপবিশেষজ্ঞ জুলিয়া আজাদ।

পহেলা বৈশাখ প্রত্যেক বাঙালির উৎসব। লাল-সাদা শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়া। শাড়ি পরার পর এই উৎসবের দিনে সব মেয়েই সুন্দর করে সাজতে পছন্দ করেন।

জবড়জং নয়, খুবই হাল্কা সাজ হলেই ভালো। বাংলা নববর্ষে নিজের কোমলভাব ফুটিয়ে তুলতে কয়েকদিন আগে থেকেই চর্চা শুরু করুন।

শরীরের দুষিত পদার্থ বের করতে পানির প্রয়োজন। পাশাপাশি গরমের সময় ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি করে আর মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয় পানি। তাই পহেলা বৈশাখের আগে থেকেই বেশি পানি পান করুন।

তবে বিভিন্ন রোগের কারণে যারা ডাক্তারের পরামর্শে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান করেন, তারা সেভাবেই খাবেন।

বাইরে বেড়াতে গেলে চোখে কাজল বা আইলাইনার আর ঠোঁটে লিপস্টিকই যথেষ্ট। তবে কোনো ঘরোয়া উৎসবে চলতে পারে হালকা সাজ।

পহেলা বৈশাখের আগেরদিন অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ফেইশল করতে পারলে ভালো। সম্ভব না হলে এক্সফলিয়েট করে নিন অথবা ফেইশল মাস্ক লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে  ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

সাধারণত পহেলা বৈশাখের উৎসবগুলো দিনের বেলায় হয়। তাই বেশি ভারী সাজ কখনোই ভালো লাগবে না। আবার একেবারে সাদামাটা মেইকআপও মানানসই হবে না।

মেইকআপ করার আগে সান্সক্রিন লোশান লাগিয়ে একটু অপেক্ষা করুন। তারপর ত্বকের স্বাভাবিক রং বজায় রেখে খুবই যতœ নিয়ে মেইকআপের বেইস করুন। একটু সময় নিয়ে ভালো করে ত্বকে মিশে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এই বেইস মেইকআপ যত ভালোভাবে ব্লেন্ডিং করবেন তত বেশি স্বাভাবিক লাগবে আপনাকে।

এরপর ট্রান্সলুসেন্ট বেইস পাফ করে নিন। ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার না থাকে তবে ফেইস পাউডার এক্সট্রা করে পাফ করে নিন। এরপর অল্প পানি স্প্রে করুন পুরো মুখে। এখন পাফ দিয়ে পাউডার ভালোভাবে মিলিয়ে নিন ত্বকে।
bbbbbbbbb
যখন দেখবেন মুখে পাউডার বোঝা যাচ্ছে না তখন বুঝবেন ঠিকভাবে মেশান হয়ে গেছে। মনে হবে এটাই আপনার স্বাভাবিক ত্বক। পানি স্প্রে করে নিলে সারাদিনে ঘামে মেইকআপ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে লিপস্টিক দিন। তবে বৈশাখের প্রথম দিনে লাল ঠোঁট সবসময়-ই সুন্দর। তাই লাল লিপস্টিকও সাজে পূর্ণতা আনবে।

চোখের উপরের অংশে হালকা সোনালি আইশ্যাডো দিন। ভালো করে চোখের উপরের ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে এর উপর বাদামি আইশ্যাডো দিয়ে চোখের আকৃতি অনুযায়ী লাগান। এরপর আইলাইনার মাসকারা।

এই দিনে চাইলে আইশ্যাডো ছাড়াই চোখে বাদামি কাজল দিয়ে আউটলাইন করুন। তাহলে দেখতে অনেক বেশি স্বাভাবিক লাগবে। মাসকারা অবশ্যই লাগাবেন, নয়তো চোখ আকর্ষণীয় লাগবে না।

এরপর খুব অল্প পরিমাণে ব্লাসন দিয়ে চিকবোন হাইলাইট করুন।

চুল নিয়ে বেশি কিছু না করাই ভালো। হাতখোঁপায় ফুল দিন। অথবা একদিকে সিঁথি আর বেণী করেও ফুল লাগাতে।

সবই তো হল, টিপ-ই বা বাকি থাকে কেন! একটি লাল গোল টিপে সাজ হবে পূর্ণ। সুন্দর করে তুলি দিয়ে এঁকেও একটা মাননসই টিপ পরে নিতে পারেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১২এপ্রিল,২০১৪

সৃজনশীল ক্যারিয়ার গড়তে

carrieeer

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা :  শিক্ষার ব্যপ্তি আজ বিশাল পরিসর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ শিক্ষার মানেই ভাবত পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক হবে। কিন্তু শিক্ষা এখন শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এখন মানুষ ব্যবসা করার জন্যও শিক্ষা গ্রহণ করছে, আবার ঠিকমতো বিমান চালানোর জন্যও শিক্ষা গ্রহণ করছে। ঠিক তেমনি শিক্ষায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডিজাইনের উপর পড়ালেখা—তা হতে পারে বিল্ডিং ডিজাইন অথবা ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ড্রেস ডিজাইন বা ফ্যাশন ডিজাইন নিয়েও পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে এখন।

 

সময়ের এই চাহিদা মাথায় রেখেই সুনির্িদষ্টভাবে ডিজাইন বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের জন্য স্থপতি আলমগীর জলিল ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশের প্রথম ডিজাইন ইনস্টিটিউট ইন্সপিরেশন ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি। ইতোমধ্যে ইন্সপিরেশন ইনস্টিটিউট পার করেছে সফলতার ১৫টি বছর। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ফ্যশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর শিক্ষা প্রদান করা হয়। কেউ চাইলে উচ্চ মাধ্যমিক বা এ-লেভেল শেষ করার পর ৩ বছর মেয়াদি বিএ ইন ইন্টেরিয়র আর্কিটেকচার কোর্সে ভর্তি হতে পারে। কোর্স শেষে লিমককউইং ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, মালয়েশিয়ার অধীনে সার্িটফিকেট প্রদান করা হয়। সাথে আছে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ। প্রতিষ্ঠানটি লিমককউইং ইউনিভার্িসটির সরাসরি এজেন্ট হিসেবেও কাজ করছে। তাই যে কেউ চাইলে ইন্সপিরেশন ইনস্টিটিউটের সহায়তায় লিমককউইং ইউনিভার্সিটিতেও যেকোনো বিষয়ে ভর্তি হতে পারেন। এ ছাড়া ইন্সপিরেশন ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউ অ্যান্ড আই এলায়েন্সের অধীনে ফ্যাশন, ইন্টেরিয়র এবং গ্রাফিক্সের উপর ৬ মাস/১ বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স অফার করছে। ৯৮৯৫১৮৩, ০১৭১১০০৫৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এখানকার বিভিন্ন কোর্স এবং অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ইন্সপিরেশন ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য নেই কোনো বয়সের সীমা। এখানে যেকোনো বয়সের, যেকোনো পেশার মানুষ ভর্তি হয়ে গ্রহণ করতে পারেন আধুনিক শিক্ষা। আর তার মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগও অর্জন করতে পারেন। এখান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে আর্কিটেকচার অথবা ইন্টেরিয়র ফার্ম, ফার্নিচার কোম্পানি, বিজ্ঞাপন সংস্থা, ফ্যাশন হাউস ছাড়াও আরও অনেক ন্যাশনাল ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে যোগদানের সুযোগ পাবেন। নিজে নিজেও কেউ চাইলে স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন ফ্যাশন, ইন্টেরিয়র অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইনকে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/০৮ এপ্রিল, ২০১৪.

ভারতে পাচারের সময় বেনাপোলে তরুণী উদ্ধার

pachar 

অপরাজিতবিডি ডটকম, যশোর : মডেলিংয়ের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা টুম্পা নামে (১৮) এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ‘মৌ’ নামের বেনাপোলের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আব্দুল হাই ব্যাপারী (৪২) নামের এক পাচারকারীকেও আটক করে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত টুম্পা ফরিদপুর জেলার শিবচর থানার আব্দুল মালেকের মেয়ে। আর আটক পাচারকারী আব্দুল হাই ব্যাপারী মাদারীপুর পুরান বাজার গ্রামের আজিজ ব্যাপারীর ছেলে। বর্তমানে সে এ পি পশ্চিম যাত্রাবাড়ি এলাকায় বসবাস করে।

বেনাপোল বন্দর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়, ‘মৌ’ আবাসিক হোটেলে একটি তরুণীকে ভারতে পাচারের জন্য এনে রাখা হয়েছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে সকালে হোটেলে অভিযান চালিয়ে তরুণীকে উদ্ধার ও পাচারকারীকে আটক করা করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পাচারকারীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানায়, উদ্ধারকৃত তরুণীকে জবানবন্দীর জন্য যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া তরুণী টুম্পা জানান, তার বাড়ি ফরিদপুরে। তারা ঢাকার যাত্রাবাড়ি থাকে। দুই মাস আগে পাচারকারী আব্দুল হাইয়ের সাথে তার পরিচয়। সে তাকে প্রায় সময় অনেক বেতনে মডেলিং এর চাকুরী দেয়ার কথা বলতো। রবিবার বিকেলে মোবাইল করে তার চাকুরী হয়ে গেছে বলে বাড়ি থেকে গাবতলী নিয়ে আসে। সেখান থেকে রাতে একটি বাসে করে সোমবার বেনাপোল নিয়ে আসে। ভারতে পাচারের লাইন খারাপ থাকায় বেনাপোল ‘মৌ’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে তাকে রাখা হয়। তাকে ভারতে পাচারের জন্য এখানে এনে রাখে বলে মেয়েটি জানায়। সেখানে তাকে পাশবিক নির্যাতন করা হয় বলে মেয়েটি থানায় জবানবন্দি দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

অপরাজিতবিডি ডটকম/আরআই/এ/০৮ এপ্রিল, ২০১৪.

স্বপ্ন পুরণে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে অদম্য শোভা

timthumb.php

অপরাজিতবিডি ডটকম, রংপুর : পুরো নাম আম্মিয়া আক্তার শোভা। সবাই তাকে শোভা নামেই চিনে, নামে শোভা হলে কি হবে! সৃষ্টিকর্তা তাকে জন্ম থেকেই দুই পা সম্পুর্ন অকেজো করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী শ্যামপুর গ্রামে জন্ম নেয় শোভা। যে বয়সে তার খেলাধুলা, হৈ হুল্লোড় করার কথা সেই বয়সে অনেকটা নি:সঙ্গ হয়ে চার দেয়ালের মাঝেই অনেকটা সময় পেরিয়েছে। শারিরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জীবনে একটুকু সুখের আশায় একটার পর একটা বাধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

অস্বচ্ছল পরিবারে ২ ভাই ১ বোনের সংসারে বাবা আনিছার রহমানই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।  স্কুলের পিয়ন পদে চাকুরীর সামান্য মাইনে দিয়ে অতিকষ্টে সংসারের ঘানি টেনে চলছে শোভার বাবা আনিছার রহমান। পেশায় গৃহীনি মা দুলালি বেগম মেয়েকে নিয়ে সারাক্ষনই দু:চিন্তায় থাকেন।

শোভার জন্মের পর থেকেই বাবা-মা দুজনেই চিন্তায় পড়েন। পায়ে হেঁটে পথ চলা ব্যাতিত শারিরিক সুস্থ্যতায় ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেন শোভা। পাড়ার অন্যসব ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া দেখে কেঁদে উঠতো শোভার মন। বাবা-মার কাছে পড়াশুনার ইচ্ছা প্রকাশ করলে চলাফেরার সমস্যার প্রসঙ্গ এনে প্রথমে বাধা দিলেও পরে আপত্তি করেননি।

সুযোগ পেয়ে শোভা হাতের উপর ভর করে অর্ধকিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত শুরু করে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রতিবেশিরা শোভার আগ্রহ দেখে উৎসাহ দিতে থাকে। এক সময়ে ৫ম শ্রেণী পাশ করে শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। সেখান থেকে জিপিএ ৩.৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে উচ্চ শিক্ষায় খালাশপীর বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়। পড়াশুনা করতে প্রায়ই দুই হাতে সান্ডেল পড়ে হাতের উপর ভর দিয়ে কলেজে যাতায়াতে দেখা যেত শোভাকে। এ নিয়ে কৌতুহল  মানুষের সংখ্যাও কম ছিলনা। সে সময় শোভার চলাফেরায় সাহায্যের হাত বাড়ান কলেজ কর্তৃপক্ষ। এলাকার সমাজসেবক মিজানুর রহমান শাহিন চেয়ারম্যানের সহায়তায় কলেজ কর্তৃপক্ষ শোভার হাতে একটি হুইল চেয়ার তুলে দেন। পরবর্তীতে স্থানীয় আ’লীগের নেতাদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে ১৫ হাজার টাকার একটি অনুদানের চেকও পান। কলেজ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার পাবার কথা থাকলেও শোভা বলেন ভিন্ন কথা।

এ প্রতিবেদককে শোভা জানান, কষ্ট করে জোরগার করা বাবার টাকায় পড়াশুনা চালিয়েছি, কলেজ কর্তৃপক্ষ সবকিছু ফ্রিতে দিতে চাইলেই তাদের কথা রাখেনি, শুধুমাত্র উপবৃত্তি দিয়েছে। দোয়া করবেন আমি যেন সরকারি চাকরি পেয়ে শিক্ষকতা করতে পারি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালাশপীর বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলাম রনতু শোভার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শোভাকে পড়াশুনায় সব ধরনের সহযোগীতা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্র থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে অদম্য শোভা। শোভার ভাল ফলাফলের প্রত্যাশায় পীরগঞ্জ উপজেলা বাসি। শুভ কামনা শোভা।

অপরাজিতবিডি ডটকম/আরআই/এ/০৮ এপ্রিল, ২০১৪.

মোবাইল ফোনে প্রতারণা প্রেমের বলি মিথি : প্রেমিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

khunaaaaঅপরাজিতবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর জেডএইচ শিকদার মহিলা মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন সাউদিয়া আক্তার মিথি। গত বুধবার সকালে হাজারীবাগ সুলতানগঞ্জের ৩/৫ নম্বর সচিবের গলির বাসার ষষ্ঠ তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আরিফ নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে তারা ওই কক্ষটি সাবলেট হিসেবে ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। মিথির মৃত্যুর পর আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার আরিফ আদালতে স্বীকার করেছে, মোবাইল ফোনে তথ্য গোপন করে প্রতারণার প্রেমের সূত্র ধরে সে মিথিকে হত্যা করেছে।

 

হাজারীবাগ থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, আরিফ কিভাবে মিথিকে হত্যা করেছে জবানবন্দিতে তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। আদালত আরিফকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। সাক্ষী হিসেবে মিথি যে বাসায় থাকতেন সেই বাসার বাসিন্দা নুসরাত সাথী, মিথির বান্ধবী রোমানা নাজনীন ও তার কথিত প্রেমিক অনিও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মিথির সহপাঠী, পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, পাবনার সাঁথিয়ায় পাশাপাশি গ্রামে আরিফ ও মিথির বাড়ি। ভুল নম্বরে মোবাইল ফোন কল চলে যাওয়ার সূত্র ধরে মিথির সঙ্গে যোগাযোগ হয় আরিফের। বেকার আরিফ এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে বলে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তোলে মিথির সঙ্গে। মিথিও আরিফের কথার জালে আটকা পড়ে প্রেমের ফাঁদে পা বাড়ান। একপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকার। বাড়িতে হোস্টেলে থাকার কথা জানিয়ে মিথি আরিফের সঙ্গে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। এর পরই মিথির চোখ খুলতে শুরু করে। চাকরি না করে বাড়ি থেকে মিথির আনা টাকায় আরিফ আয়েশি জীবন কাটাতে থাকে। আরিফের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পর্যন্ত, তাও জেনে যান মিথি। এসব নিয়ে শুরু হয় সম্পর্কের টানাপড়েন। ভুল শুধরে নতুন জীবনে ফিরতে চেয়েছিলেন মিথি। এটা জানতে পেরেই গত ১ এপ্রিল রাতে আরিফ তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

আরিফ জবানবন্দিতে বলে, রাতে মিথির বান্ধবী রোমানা ও তার কথিত স্বামী অনিসহ দীর্ঘ সময় আড্ডা দেয়। একপর্যায়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিথির সঙ্গে তার ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় তারা নিজেদের কক্ষে চলে যায়। ঝগড়ার বিষয়টি যেন বাইরে থেকে কেউ বুঝতে না পারে এ জন্য সে উচ্চ শব্দে গান বাজাতে থাকে। এ সময় তারা দুজন একে-অন্যের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে আরিফ মিথির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। বালিশচাপা দিয়েও রাখে কিছু সময়। মিথির মৃত্যু নিশ্চিত হলে সে গলায় ওড়না বেঁধে সিলিং ফ্যানে ঝোলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু মিথির ওজন বেশি হওয়ায় তাকে ঝোলাতে ব্যর্থ হয়। পরে মেঝেতেই লাশ শুইয়ে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার সকালে মিথির লাশ উদ্ধার এবং আরিফসহ অন্য তিনজনকে আটক করে।
এদিকে রাতেই মিথিকে পাবনার সাঁথিয়া এলাকায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

অপরাজিতবিডি ডটকম/আরআই/এ/০৮ এপ্রিল, ২০১৪.

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ২ সন্তানকে কুপিয়ে মায়ের আত্মহত্যা

অপরাজিতবিডি ডটকম, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে মায়ের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পুরোহাটা গ্রামে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী নিজ বাড়ি থেকে মা স্বপ্না (৩৫) ও শিশু কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া ছেলে মৃণালকে (৮) আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পুরোহাটা গ্রামের সরাফত আলীর স্ত্রী স্বপ্না প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে মৃণাল ও মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে নিয়ে ঘরে ঘুমাতে যান। গভীর রাতে মৃণালের গোঙানির শব্দ শুনে সরাফতের ভাই মাহতাব উদ্দিন ওই ঘরে ঢুকে দেখেন ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত মৃণাল বিছানায় কাতরাচ্ছে। স্বপ্না ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। আর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃতদেহ পড়ে আছে। এ সময় মাহতাবের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা গুরুতর মৃণালকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার সময় সরাফত আলী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ঢাকায় চাকরি করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মাহতাব উদ্দিনসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে স্বপ্না তার ২ সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্বপ্না মানসিক রোগী নাকি কোনো ঘটনার শিকারে পরিণত হয়েছেন সে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

অপরাজিতবিডি ডটকম/আরআই/এ/০৮ এপ্রিল, ২০১৪.

পান্তা ভাতে ইলিশ ভাজা

65e2efaca0bc1f99b8ac8d0bc2f3b3b1

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম : উপকরণ : ইলিশ মাছ ৮ পিস, সর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন : মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার মাছগুলো হলুদ, মরিচ এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। চুলায় পাত্র দিয়ে তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে বাদামি করে ভেজে নিন। এবার চুলায় তাওয়া দিন। তেল দিন। তেল গরম হলে মাছগুলো বিছিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর মাছগুলো উল্টে ভেজে নিন। দুই পিঠ ভাজা হলে নামিয়ে ভাজা পেঁয়াজ-মরিচ উপরে ছড়িয়ে দিয়ে পান্তা ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/৭ এপ্রিল, ২০১৪.

পান্তা ভাত

noborsho

 

সামনেই পহেলা বৈশাখ । পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আপনাদের সবার জন্য আজ পেশ করলাম পান্তা ভাতের রেসিপি।
উপকরনঃ ২৫০ গ্রাম চাল, ১০ কাপ পানি। কাঁচা পেয়াজ – পরিমান মতন , কাঁচা লঙ্কা – স্বাদ বুঝে , লবন – আন্দাজ মতো।

রান্নার প্রনালীঃ
একটি পাত্রে চাল ধুয়ে ২ কাপ পানি দিয়ে চুলার উপর বসিয়ে দিন। দেখুন গ্যাস আছে কি না । গ্যাস থাকলে মনে করে চুলা জ্বালান । তারপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন । কয়েক মিনিট পর হাড়ি থেকে চাল তুলে টিপি দিয়ে দেখুন সিদ্ধ হয়েছে কি না । সিদ্ধ হলে বুঝবেন তা “ভাত” হয়ে গেছে। এবার ভাত থেকে বাড়তি পানি ঝরিয়ে নিন। (মাড় গলিয়ে নেয়া যাকে বলে)

ভাত ঠান্ডা হলে তাতে বাকী ৮ কাপ পানি ঢেলে শুকনো, ঠান্ডা জায়গায় ঢেকে রাখুন।
৮ ঘন্টা পর ঢাকনা খুলে দেখুন – তা পান্তা ভাতে রুপান্তরিত হয়েছে।

পেয়াজ, লঙ্কা, লবন দিয়ে মাখিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন – মজাদার পান্তা ভাত।

বিঃ দ্রঃ পান্তা খাওয়ার জন্য ইলিশ ভাজি আবশ্যক নয়। তবুও ভাজা মাসের স্বাদ পেতে চাইলে ২০০০/কেজি দরে ইলিশ না কি নে পুটি মাছ কিনে ভেজে খেতে পারেন।

অথবা যদি বাজারে ইলিশ এর ফ্লেভার পাওয়া যায়, তাহলে যে কোন মাছের (রুই বা কাতল) সাথে ইলিশ ফ্লেভার মাখিয়ে ভাজুন।

অপরাজতিাবিডি ডটকম/আরআই/এ/৭ এপ্রিল, ২০১৪.

টাঙ্গাইলে বৈশাখীর ব্যস্ততা

tat shilpo pic-d_20233_0

অপরাজিতাবিডি ডটকম, টাঙ্গাইল: আসছে পহেলা শৈাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। দিনটিকে কেন্দ্র করে বাংলার ঘরে ঘরে মহোৎসব। সরকারি-বেসরকারি  সংগঠন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও দিনটি উদযাপন করে ধুমধামের সাথে। দিনটি যেন বাঙালি জাতির কাছে চির চেনা। ধর্মীও অনুষ্ঠানের চেয়েও সার্বজনীন উৎসব হিসেবে দিনটি এখন আনন্দ উৎসবে পরিনত হয়েছে। আর এই আনন্দকে আরও  আনন্দময় করতে চাই নতুন কাপড়। নারীর চাই নতুন শাড়ী। নারীদের বৈশাখী সাজে সাজাতে টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লী এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। নববর্ষকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল শাড়িতে যোগ হয়েছে বাহারি রঙ আর নতুন কারুকাজ। বৈশাখের আগেই নিপুন হাতে বৈশাখী শাড়ি তৈরি শেষ করতে হবে। এ কারণেই মুলত তাঁত পল্লী এখন উৎসব মূখর আর তাঁতীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। টাঙ্গাইল সদরের বাজিদপুর, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ও চন্ডী ও কালিহাতীর বল্লা রামপুরের তাঁত সমৃদ্ধ এলাকায় একই চিত্র দেখা যায়। ভোর হতে শুরু হয় তাঁতের খটখটি শব্দ। রাতভর কাজ করেও তাঁতীর ক্লান্তি নেই। প্রতিযোগিতা একটাই, উৎপাদন যত বেশী হবে, সাপ্তাহিক বিল তত বেশী পাবে।

 

এক সময় দেশীয় শিল্পিদের নিপূন হাতে তৈরি মসলিন কাপড় দেশ বিদেশী রমনীদের নজর কেড়েছিল। সময়ের বিবর্তনে পূরনো মসলিনের কথা আধুনিক নারীদের স্মৃতিতে ধারন না থাকলেও বর্তমানে টাঙ্গালের তৈরি তাঁতের শাড়ী সেই মসলিনের মতই দেশ বিদেশী রমনীদের মনে স্থান করে নিয়েছে। এজন্যই প্রবাদ রয়েছে “ নদী নালা খাল বিল গজারীর বন টাঙ্গাইলের শাড়ী তার গর্বের ধন” আর এই গর্বের ধন এমনভাবে হারাতে বসেছিল যা দেখবার কেও ছিলনা । সুঁতার দাম বৃদ্ধি,কারিগর ও মহাজনদের মধ্যে লাভ্যাংশের অসম বন্টন আর কারিগরের অভাবে তাঁত শিল্পের গত দু-বছর ছিল সংশয়ে। সুঁতার দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে মূল্যসিমা হাতের নাগালের বাহিরে চলে আসাতে চরম বিপর্যয়ে ছিল টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প। মিডিয়াতে সুতার দাম নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের জুরালো প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সুতার দাম কমার লেশমাত্র চিহ্ন ছিলনা। অন্য দিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশিলতা বিশেষ করে হরতাল অবরোধ, জ্বালাও পোড়াও  তাঁতশিল্পের ওপর মারাত্বকভাবে প্রভাব পড়েছিল। সুঁতা আছে, কারীগর নেই। কারীগর আছে তো হরতালে সুঁতা আসছে না। কাপড় উৎপাদন হচ্ছে অথচ দুর-দূরান্ত থেকে মহাজন আসতে পাড়ছে না।

 

তাঁত শিল্প সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক জানান, গত দু-বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতা তাঁতশিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। সেতু, ছাইহাম, উত্তরা, সপছিল, কটন, জরি, রেয়ন, পাকুয়ান সহ সব ধরনের সুতার দাম তাঁত মালিকদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে এসেছে। বর্তমানে জরি ৪শ৫০ টাকা থেকে ৭শ টাকায়, পাকুয়ান ১৬শ থেকে ২৫শ, ৩০ টাকা মুরা সতার বর্তমান মূল্য ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ৪০ কাউন্টের ১১শ টাকার সুতা ২হাজার টাকা, ছাইহাম ১৫শ থেকে ২৬শ টাকা । বিশ্ববাজারে সুঁতার দাম যতটানা বাড়ছে তার চেয়ে দ্বিগুন বাড়ছে দেশীয় বাজারে ।

 

তুলার দামের চেয়ে সুতার দাম সংগতি না থাকায় সিন্ডিকেটকে দায়ি করেন তিনি। স্পিনিং মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাড়াচ্ছে তাঁত শিল্পের প্রধান কাচামাল সুতার দাম। তুলার দামের সাথে অযোক্তিক ভাবে  সুতার দাম বেড়েই চলছে।  সুতার মুল্যের নিয়ন্ত্রনহীন উর্ধ্বগতির কারনে বহুমুখী রপ্তানী দ্রব্য হিসেবে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প চরম ভাবে মার খাচ্ছে।

 

তবে শাড়ির বর্তমান বাজার সম্পর্কে স্পস্ট ধারনা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, একদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীলতায় ফিরে এসছে অন্যদিকে আসছে পহেলা বৈশাখ। সব মিলিয়ে তাঁত শিল্পের মন্দা অবস্থা অনেকটাই কেটে উঠেছে। উৎপাদন ও বাজার উভয়ই ভাল যাচ্ছে। নববর্ষকে কেন্দ্র করে বাজারে নামছে নতুন শাড়ি।  ভিন্ন বুটি আর নতুন নকশায় তৈরি এই শাড়ি শুধু বৈশাখ উৎসবের জন্য।
দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতের শাড়ির হাট টাঙ্গাইলের করটিয়া ঘুরে দেখা যায়, তাঁতিরা তাদের উৎপাদিত কাপড় নিয়ে প্রতিযোগীতায় নেমেছে। স্থানীয় ও দূর থেকে আসা অধিকাংশ ক্রেতাদের চাহিদাই এখন বৈশাশের শাড়ি। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে অনেকটাই উপযোগি টাঙ্গাইল শাড়ি।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তাঁতী জানালেন ভিন্ন সুর। ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির কদর থাকায় অবৈধ পথে মহাজনরা পাচার করছে দেশীয় এ শাড়ি। আর এ পথেই আসছে ভারতীর সুতা। এতে মহাজনেরা গড়ছে প্রাসাদ আর সাধারণ ব্যবসায়ীরা এ শিল্প থেকে পড়ছে ছিটকে । সরকার বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায্য ভ্যাট থেকে। অনেক অসাধূ ব্যবসায়ীরা আবার ভারত থেকে আনা কম মূল্যের শাড়ি টাঙ্গাইল শাড়ি হিসেবে চালানো চেষ্টা করছে। এতে করে ক্রেতারা টাঙ্গাইল শাড়ির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। ভ্যাট শব্দটা এড়িয়ে গেলেও ভারতের সাথে শাড়ি ব্যবসার সম্পৃক্ততা নির্ধিদায় স্বীকার করলেন তাঁত শিল্প সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক ও সাধারণ সম্পাদক নীলকমল বসাক। এমনতবস্থায় সুতার দামসহ তাঁত শিল্পের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য কমিয়ে আনা এমনকি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সুনজরই তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখার একমাত্র উপায় বলে স্থানীয় তাঁতশিল্পীদের ধারনা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/০৭এপ্রিল, ২০১৪.

ক্লাশ রুমে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, শিক্ষকের ওপর হামলা

অপরাজিতিবিডি ডটকম , ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ শহরের কালিবাড়ী রোডস্থ কুমার উপেন্দ্র বিদ্যাপিঠের নিজ ক্লাশ রুমে রিতু বিশ্বাস (১৬) নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার জের ধরে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করেছে।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ক্লাস বিরতিতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি প্রেমঘটিত কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে টিফিন বিরতিতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এসময় তার কোন সহপাঠী ক্লাস রুমে ছিল না। টিফিন থেকে ছাত্রছাত্রীরা ফিরে এসে ক্লাশ রুমের দরজা ভেতর দিয়ে বন্ধ পায়। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে রিতু বিশ্বাস ফাঁসিতে ঝুলে আছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক কোতোয়ালী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে রিতুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারোয়ার জানান, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। হৃদয় নামে এক ছেলেকে সে ভালবাসতো। তার বান্ধবী নিপাও সেই হৃদয়কে ভালবাসতো। এনিয়ে সে আত্মহত্যা করতে পারে।

তিনি আরো জানান, পুলিশ তার স্কুল ব্যাগ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। সেখানে সে লিখেছে, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

নিহত স্কুল ছাত্রী শহরের ১৭১, বড় কালীবাড়িস্থ হোটেল কর্মচারী বিপিন বিশ্বাসের ছোট মেয়ে।

স্কুলের গনিত শিক্ষক সুনিল কুমার মজুমদার জানান, স্কুল বিরতির সময় শিক্ষকরা দুপুরের খাবার খেতে চলে যান। পরে স্কুলে এসে এ ঘটনা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে আত্মহত্যার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শতশত লোক স্কুলে ছুটে আসে। স্কুল চলাকালে আত্মহত্যার ঘটনার খবরে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে দায়িত্বহীনতার জন্য প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের উপর হামলা করে।

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৫ এপ্রিল, ২০১৪

গাইবান্ধায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

lashঅপরাজিতিবিডি ডটকম , গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে শম্পা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরে হিজলগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শম্পা হিজলগাড়ী গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী এবং জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্তু ইউনিয়নের অবিরামপুর গ্রামের ইসলাম মন্ডলের মেয়ে।

পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (ওসি) তৌহিদ হাসান জানান, দুপুরে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে শম্পার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

 

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৫ এপ্রিল, ২০১৪

গরমে চুলের যত্ন

chul
অপরাজিতিবিডি ডটকম : বইছে গ্রীষ্মের বৈরী হাওয়া। বাইরে বের হলে রেহাই নেই রোদের প্রখরতা থেকে। আর সূর্যের উত্তাপটা যেন ছড়ায় একেবারে শিরোদেশকে উদ্দেশ করেই। ঘেমে-নেয়ে চুলের চিটচিটে অবস্থা। এ থেকে মাথায় খুশকি, চুল নিষপ্রাণ হয়ে যাওয়া, চুল পড়ার মতো সমস্যার সঙ্গে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। এ সমস্যার সমাধান কি?
ঢাকার হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের চর্ম বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আফজালুল করিম বলেন, ‘গরমে ঘাম ও ধুলাবালুর কারণে চুলের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের উপদ্রব হতে পারে। তাই এ সময় সবচেয়ে জরুরি হলো চুল পরিচ্ছন্ন রাখা।
তিনি মনে করেন, এ সময়ে প্রয়োজনে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু করলে চুলের ক্ষতি হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। শ্যাম্পুর কাজ হচ্ছে চুল পরিচ্ছন্ন করা। এ ছাড়া খুশকির জন্য চুল পড়ছে, এ ধারণাও ভুল। বরং গরমে চুল ঘেমে গেলে চুলের গোড়ায় চুলকানো ও চুল টানার কারণে গোড়া নরম হয়ে চুল পড়তে থাকে। তাই এ অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে।
এর পাশাপাশি ঘামের সমস্যা কমাতে উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা, গরম আবহাওয়া যথাসম্ভব পরিহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। গরমের সময় গরম চা, গরম কফি, বেশি ঝাল খাবারও পরিহার করতে হবে।
এ সময়ে চাই চুলের জন্য বিশেষ কিছু পরিচর্যা।হেরোবিক্স ব্রাইডালের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন দিয়েছেন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
গরমের দিন গরমকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে চাইলে ঘামকে এড়িয়ে চলা সম্ভব হতে পারে। বাতাস চলাচল করে এ রকম জায়গা দিয়ে চলাফেরা করলে ঘাম কম হয়।
 চুলের গোড়া ঘেমে গেলে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে পাখার ঠান্ডা বাতাসে চুলটা শুকিয়ে নিতে হবে। কোনোভাবেই ঘামে ভেজা চুল বেঁধে রাখা যাবে না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল পড়া বাড়ে।
ধুলাবালু ও ঘামের কারণে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে গেলে প্রয়োজনে প্রতিদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে শ্যাম্পু করার পর চুলের গোড়ায় যেন বাড়তি শ্যাম্পু না লেগে থাকে।
যাঁদের খুশকির প্রবণতা বেশি, তাঁরা খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে এর আগে মাথায় ত্বকে তেল দিয়ে মালিশ করে নিন। এটি আপনাকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের সুফল দেবে।
 যাঁদের চুল খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহারে নিষ্প্রাণ হয়ে যায়, তাঁরা খুশকিনাশক তেল ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
 চুলের পরিচর্যার জন্য টক দই, মেহেদি পাতা, মেথি গুঁড়া ও কাগজি লেবুর কয়েক ফোঁটা রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এটি চুলে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। টক দই করবে ময়েশ্চারাইজারের কাজ। মেথি গুঁড়া খুশকি দূর করবে এবং চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াবে কাগজি লেবুর রস। এভাবে মাসে অন্তত এক দিন যত্ন নিন।
চুল দিন দিন নিষপ্রাণ হয়ে যাচ্ছে, এমন মনে হলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। যা পারলারে গিয়ে করতে পারেন।আর ঘরে বসে করতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ, পাকা কলা, টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।
চুল পড়া কমাতে আমলকীর রস ও ক্যাস্টর অয়েল চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
এ সময় চুলটা আঁটসাঁট করে না বেঁধে পাঞ্চ ক্লিপে হালকা করে আটকে নিন। ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই চুলের এমন কোনো কাট দিন, যেটি গরমের সময় আরামদায়ক।
চুল শুকাতে বা ঘাম শুকাতে হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস পরিহার করুন।
প্রখর রোদে বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন।

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৫ এপ্রিল, ২০১৪

পার্বতীপুরে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন

khun

অপরাজিতিবিডি ডটকম, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে প্রেমিকের হাতে মাসুমা আকতার কেয়া (১৫) নামে এক প্রেমিকা নির্মমভাবে খুন হয়েছে। শনিবার দুপরে আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা যায়, উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শুকদেবপুর গ্রামের মাজেদুর রহমানের মেয়ে কেয়া যশাই হাইস্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। একই গ্রামের রেজওয়ানুল হকের পুত্র পলাশ মাহমুদ (২৪) সাথে কেয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

পারিবারিক সুত্র ও পুলিশ জানান, মাসুমা আকতার কেয়ার সাথে দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে পলাশ মাহমুদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু গত এক মাস আগে পলাশ মাহমুদের অন্যত্র বিয়ে হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শুকদেবপুর গ্রামের ৩শ’ গজ দুরে একটি বাঁশ বাগানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ধারনা করা হচ্ছে, প্রেমিক পলাশ তাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।

এ ব্যাপারে পার্বতীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বলেন, এটি একটি প্রেমঘটিত ঘটনা। এ ঘটনায় থানায় নিহতের পিতা মাজেদুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রেমিক পলাশ মাহমুদকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অপরাজিতিবিডি ডটকম/আরএ/এ/০৫ এপ্রিল, ২০১৪

আদিতমারীতে ৬ ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনায় গ্রেফতার ১

অপরাজিতাবিডি ডটকম, লালমনিরহাট: ছবি তুলতে নিষেধ করায় শিক্ষকসহ ছয় স্কুলছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় সাইদী হোসেন মুন্না (১৮) নামের এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

এদিকে, বাকিদের গ্রেফতারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে গ্রেফতারকৃত বখাটে মুন্নাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

গ্রেফতারকৃত সাইদী হোসেন মুন্না লালমনিরহাট সদর উপজেলার তালুক হারাটী গ্রামের এমতাজ উদ্দিনের ছেলে।

 

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম ইকবাল জানান, এ ব্যাপারে শনিবার রাতেই উপজেলার সারপুকুর উচ্চ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বাদশা বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

মামলাটি আমলে নিয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে সাইদী হোসেন মুন্না নামের এক বখাটেকে গ্রেফতার করে।

 

এদিকে, বাকি বখাটেদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করেছে।

 

লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার এটিএম মোজাহিদুল ইসলাম সকালে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে এবং ওই বিদ্যালয়ে যান।

শনিবার সকালে মানসিকা ভবনে আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণের জন্য সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮ শিক্ষার্থী লালমনিরহাট শহরে আসে। মেলা চলাকালে কতিপয় বখাটে তাদের স্টলে এসে মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ছবি তুলতে চেষ্টা করে। এতে বাধা দেয় শিক্ষার্থীরা।

বিষয়টি মানসিকা কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় মেলা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা চলে যায়। পথে প্রাইমারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে অটোরিকশার পথরোধ করে ছাত্রীদের মারধর করে বখাটেরা। এসময় তাদের রক্ষা করতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রসন্ন কুমার এগিয়ে এলে বখাটেরা তাকেও মারধর করে।

ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করে বখাটেদের শাস্তির দাবি জানায়। আধাঘণ্টা পর পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন তারা।

আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী টুম্পা, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী নুর জাহান, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শাহানা, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সাহানা, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুম বেগম ও সহকারী শিক্ষক প্রসন্ন কুমার আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/৩০ মার্চ, ২০১৪

গাজীপুরে শিশু ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা

Gazipur

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, গাজীপুর: শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ  (৪র্থ পর্যায়) শীর্ষক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রোববার সকাল ১১টায় গাজীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর জেলা তথ্য কর্মকর্তা সায়েম হোসেনের পরিচালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক ও উন্নয়ন) শাহনেওয়াজ দিলরুবা খান।

 

বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী সুদীপ চক্রবর্তী, অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী, বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এ কে এম রিপন আনসারী, দৈনিক মুক্ত বলাকার সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

 

সাংবাদিক, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও কর্মীরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/৩০ মার্চ, ২০১৪

৫ দিন পর অপহৃত কিশোরী উদ্ধার : মূল অপহরণকারী গ্রেফতার

অপরাজিতাবিডি ডটকম, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝড়ায় অপহরণের ৫দিন পর অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণের প্রধান হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের শহীদ সরদারের ছেলে এনামুল ও তার সহযোগীরা গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যার পর কিশোরীকে জোর করে মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ৮জনকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় ২৬ মার্চ মামলা দায়ের করেন।

 

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিব শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরনদী উপজেলার টরকীর বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে। এসময় প্রধান অপহরণকারী ফুল্লশ্রী গ্রামের এনামুল সরদারকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে রোববার সকালে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরপূর্বে এই মামলায় রাংতা গ্রামের সুজন বেপারী ও আলমগীর বেপারীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/৩০ মার্চ, ২০১৪

মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন

woman joj assosion

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: সম্প্রতি বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৪ সালের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে নুরুন নাহার ওসমানী সভাপতি ও তাবাসসুম ইসলাম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।

 

২৭ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে নির্বাচিত অন্যরা হলেন, সহ-সভাপতি লুৎফা বেগম, হোসনে আরা বেগম ও হাসিনা রৌশন জাহান। যুগ্ম মহাসচিব নুরুন্নাহার শিউলী, কোষাধ্যক্ষ আবেদা সুলতানা, সাহিত্য সম্পাদক উম্মে কুলসুম, সহ-সাহিত্য সম্পাদক ইসরাত জাহান।

 

এ ছাড়া কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হলেন- তানজিনা ইসমাইল, লায়লা সালমা বানু, জেসমিন আনোয়ার, কবিতা খানম, ফজিলা বেগম, ফাতেমা নজীব, জেসমিন আরা বেগম, ফাহমিদা কাদের, হোসনে আরা আকতার, জয়শ্রী সমাদ্দার, শারমিন নিগার, শামীমা আফরোজ, দিলরুবা সুলতানা, শরনিম আক্তার, কামরুন নাহার কাকলী, মাকসুদা পারভীন, ফাতেমা ফেরদৌস, শিরিন নাহার, লায়লা শারমিন ও চাঁদনী রুপম।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৯ মার্চ, ২০১৪

ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে ২ গৃহবধুর মৃত্যু

mritu

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের দুই গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে পরস্পরের জা হয়।

 

শনিবার দুপুরে পীরগঞ্জ পৌরশহরের গুয়াগাঁও এলাকায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গুয়াগাঁও এলাকার স্বপনের নববিবাহিত স্ত্রী মুন্নি বেগম (১৭) ও তার ভাই হাবিবের  স্ত্রী  শিউলী বেগম (২৫) ।

 

জানা যায়, পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় তারা। খবর পেয়ে পীরগঞ্জ ফার্য়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৯ মার্চ, ২০১৪

কুষ্টিয়ায় বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

lash

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার খোকসায় অজ্ঞাত নামা এক বৃদ্ধার (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জানিপুর পুরাতন বাজারের গড়াই নদীর ঘাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নদীতে লাশ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী নেওয়াজ জানান, ধারণা করা হচ্ছে ২-৩ দিন আগে মারা গেছেন। অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স ৬০-৬৫ বছর হবে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৯ মার্চ, ২০১৪

১০ টাকার জন্য স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

attohotta

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নীলফামারী : ১০ টাকার লটারির টিকেট কিনতে না পেরে মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

 

শনিবার ভোরে নীলফামারীর খামার বামুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম পল্লবী রাণী। তার বাবার নাম ধর্ম নারায়ন।

 

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার বিকালে লটারির টিকেট কেনার জন্য পল্লবী তার মায়ের কাছে ১০ টাকা দাবি করে। এ সময় তার মা টাকা দিতে পারবেনা বলে জানান।

 

টাকা না পেয়ে পরে সে মায়ের ওপর অভিমান করে শনিবার ভোরে নিজ শোয়ার ঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৯ মার্চ, ২০১৪

শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা

hotta

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া শহরের অর্পা রানী (৮) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

পুলিশ আজ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের দত্তপাড়া এলাকার অর্পার পাশের বাড়ির পরিত্যাক্ত কুপের পাশ থেকে তার মুখ ও হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্বার করেছে।

 

নিহত অর্পা স্থানীয় শহীদ দিদার কিন্ডার গার্টেন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও দত্তপাড়ার বাসিন্দা স্বপন পালের মেয়ে।

 

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে অর্পা নিখোঁজ হয়। এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরে আজ শনিবার সন্ধ্যায় অর্পার পাশের বাসার এক ভাড়াটিয়া পরিত্যক্ত কুপের পাশে তার মুখ ও হাত-পা বাঁধা লাশ দেখতে পেলে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

 

খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়দের ধারণা শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

 

লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডল থানার এসআই মনির জানান, অর্পাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

 

কুষ্টিয়া মডল থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান, শিশুটি নিখোঁজের পর পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া তপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তপন এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে ওসি জানান।

 

উল্লেখ্য, শহরের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী স্বপন বেশ কয়েক বছর ধরে একমাত্র সন্তান অর্পা রানি ও স্ত্রীকে নিয়ে দত্তপাড়ার ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৯ মার্চ, ২০১৪

স্বামীর দেয়া আগুনে প্রাণ গেল দুই বোনের

mritu


অপরাজিতাবিডি ডটকম, গোপালগঞ্জ
: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্ত্রী কর্তৃক তালা দেয়ায় স্বামীর আগুনে প্রাণ গেল কুলসুম বেগম (১৮) ও তার বোন স্বর্ণার (৬)।

 

শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

 

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে আনা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হবে।

 

প্রসঙ্গত, স্বামীকে স্ত্রী তালাক দেয়ায় গত শুক্রবার ভোর রাতে স্বামী মান্দার মোল্লা স্ত্রী কুলসুমদের বাড়িতে ঢুকে তাদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে স্ত্রী কুলসুম বেগম (১৮), কুলসুমের বোন স্বর্ণা (৬) এবং সাথী (১২) অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।

 

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।

 

 

সুনামগঞ্জে স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

sunamganj

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ঝুমা আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাধাঘাট ইউনিয়নের কামরাবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত ঝুমা ওই এলাকার নওসর আলীর মেয়ে। এবং স্থানীয় বাধাঘাট দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

 

বাধাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন জানান, মেয়েটিকে পড়ার টেবিলে রেখে তার মা পার্শ্ববর্তী ঘরে গল্প করতে যায়। এসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মেয়ের ঘরের দরজা বন্ধ দেখেন। অনেক ডাকা ডাকি করেও কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে তিনি পাশের ঘরে লোকদের ডাকতে যান। ফিরে এসে দেখেন দরজা খোলা এবং ঘরের মেঝেতে ঝুমার লাশ পড়ে আছে।

 

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৭ মার্চ, ২০১৪

যশোরে দুজনের আত্মহত্যা

attohotta

অপরাজিতাবিডি ডটকম, যশোর: যশোরে পৃথক স্থানে ইমতিয়াজ আরেফিন রহমান (২৮) নামে এক যুবক ও  আঁখি (১৮) নামের এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারিক কলহের জের ধরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আঁখি।

অপরদিকে, ইমতিয়াজ আরেফিন রহমান সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৭ মার্চ, ২০১৪

সন্তানসহ বিষপানে মায়ের মৃত্যু, ২ সন্তান আশঙ্কাজনক

magura suiside pic 1_30845

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, মাগুরা : জুয়াড়ী ও বেকার স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সদরের রাজিবের পাড়া গ্রামে আনজিরা বেগম আঞ্জু (৩৫) নামে এক গৃহবধূ তার দুই সন্তানসহ বিষপান করেছে। এ ঘটনায় মা আনজিরা মারা গেছে। অপর দুই সন্তান ফাতেমা (১০) ও আহাদের (৭) অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

 

প্রতিবেশী রুবিয়া খাতুন, আমানত হোসেন জানান, ১২ বছর আগে রাজিবের পাড়ার গোলাম কুদ্দুসের ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার দক্ষিণ মির্জাপুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক সুলতান মিয়ার মেয়ে আনজিরার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রবিউল কৃষিকাজ করতো। পরে জুয়াড়ীদের সঙ্গে মিশে সর্বস্ব হারায়। জুয়ার আসর থেকে ফিরে প্রায় রাতেই রবিউল আনজিরাকে মারধর করতো। নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে সে আনজিরার বাবার বাড়ি থেকে একাধিকবার নগদ অর্থ আদায় করে আসছিল। এসব ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়েছে।

 

বুধবার রাত ১০টার দিকে রবিউল জুয়ার আসর থেকে বাড়িতে এসে বাকবিতন্ডার জের ধরে আনজিরাকে আবার মারধর করে। এ সময় তাদের দুই সন্তান কান্নাকাটি করলে তাদেরও নির্দয়ভাবে মারপিট করে।

 

এ ঘটনায় কিছুক্ষণ পর আনজিরা দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজে বিষপান করে। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় তাদের সদর হাসপাতালে আনা হলে দুপুর আড়াইটার দিকে আনজিরা মারা যায়। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুই সন্তান আহাদ ও ফাতেমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে রবিউল পলাতক রয়েছে।

 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ হাসেম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিবারের অভিযোগ গ্রহণ করেছে। আনজিরার বাবার বাড়ির লোকজন এটিকে হত্যা বলে দাবি করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৭ মার্চ, ২০১৪

নলছিটিতে বাস চাপায় স্কুলছাত্রী নিহত

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে রায়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাস চাপায় এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। নিহত নুসরাত জাহান মীম (৭) পশ্চিম রায়পুর গ্রামের ইউনুছ আলী খানের কন্যা ও ওই স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

 

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাস্তা পারাপারের সময় বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাস স্কুলছাত্রী মীমকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে বাস চাপায় স্কুলছাত্রী আহত ও পরে নিহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রায় এক ঘণ্টা বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ওই বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী।

 

এতে দক্ষিণাঞ্চলের ওই ব্যস্ততম সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসানাত মোহাম্মদ আরেফিন ও নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাকসুদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ঘাতক বাস ও চালকের দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তুলে নেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৭ মার্চ, ২০১৪

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের বিশেষ আয়োজন

Udisa_Emon_Bg_801012348

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: আজ ৪৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । আমাদের কাছে দিনটি অনন্য সাধারণ । তেতাল্লিশ বছর আগে যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল সেই যুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ ছিলো উল্লেখ করার মতো। এই দিবস উপলক্ষে নারী  মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অপরাজিতাবিডি ডটকমের বিশেষ আয়োজন ।

মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিক রাশেদা আমিন

111

 

রবিউল ইসলাম আওলাদ:  সাংবাদিক রাশেদা আমিন। বাবা মরহুম মো: হাবিবুল্লাহ। মাতা মরহুমা রাজিয়া বেগম। ছোট বেলা কেটেছে দুড়ন্তপনা আর দুষ্টমির মধ্য দিয়ে। এক পলকে ঘুরে এসেছে গ্রামের এই মাথা থেকে ওই মাথায়। মার্বেল থেকে শুরু করে ক্রিকেট সব ধরনের খেলায় পারদর্শি ছিলেন রাশেদা আমিন। বাবা-মার স্বপ্ন ছিল একজন আদর্শ এবং স্বাধীনচেতা হবেন তাদের আদরের সন্তান রাশেদা । পাঁচ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।এতো গেল ছোট বেলার কথা। রাশেদা আমিন ছাত্রজীবনের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

 

১৯৬৬ সালে কলেজ জীবনের শুরতেই জড়িয়ে পরেন ছাত্র রাজনীতিতে। তৎকালীন সময় চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চট্টগ্রাম কলেজের ক্যাবিনেটের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন রাশেদা আমিন। 

 

তিনি মহান স্বাধীনতার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । রাজনৈতিক আদর্শ থেকেই মুক্তিযুদ্ধে যোগদান। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা মাধ্যমেই মুলত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন রাশেদা আমিন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকাকালে রাজনীতির মাঠের আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে ভাবে জড়িয়ে পড়েন। তারই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ১০-১৫ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে অস্ত্র ট্রেনিং করেন। এরপর যুদ্ধের সময় শরিয়তপুরের নিজ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। তাদের বাড়িতেই মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। তার পরিবারের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন। রাশেদা আমিন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর কার্যকরি পরিষদের সদস্য।

 

দেশের জন্য যুদ্ধ করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন সাংবাদিক হিসেবে। একজন নারী হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন রাশেদা আমিন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী বার্তা সম্পাদক।

 

শুধু ডেস্কে নয়। রিপোর্টার হিসেবেও কাজ করেছেন। এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সংবাদকর্মী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি জার্মানী ও ভারতে সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়ও তিনি কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন প্রশিক্ষণ করেছেন। পেশাগত কারনে ভারত,পাকিস্তান,ভুটান,জার্মানী,যুক্তরাজ্য,কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। বর্তমানে রাশেদা আমিন সাউথ এশিয়ান ওমেন ইন মিডিয়ার বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর প্রেসিডেন্ট। এছাড়া তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের প্রথম নির্বাচিত মহিলা সদস্য ছিলেন। রাশেদা আমিন বাংলাদেশ মহিলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি।

 

রাশেদা আমিন মনে করেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে নারীর উন্নয়ন জড়িত। দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক মরহুম আমিনুল আহমেদ চৌধুরীর সহধর্মিনী রাশেদা আমিন। এক ছেলে এক মেয়ের জননী। তিনি বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন। রাশেদা আমিনের ছেলেমেয়ে সবাই থাকেন দেশের বাইরে।

 

রাশেদা আমিন মনে করেন, ভৌগলিক স্বাধীনতার সাথে সাথে মানুষের মুক্তির প্রয়োজন। স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও পুরোপুরি মুক্তি পায়নি বাংলাদেশের মানুষ। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা মূলত পুরুষদের পেশা ছিল। তারপরও আমি এই পেশাকে বেছে নিয়েছিলাম দেশ গড়ার ব্রত নিয়ে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৬ মার্চ, ২০১৪

মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকী

IMG_0819

 

রবিউল ইসলাম আওলাদ : ফরিদা খানম সাকী। বাবা মরহুম আব্দুল আলীম। মা মরহুমা লুৎফুন্নাহার বেগম। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় মহান স্বাধীনতার মুক্তিযোদ্ধা। জন্ম নোয়াখালী জেলা সদরে। বাবার সরকরি চাকুরী সুবাদে শৈশব কেটেছে তৎতকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলায়। এছাড়া স্কুল জীবন কেটেছে নানার বাড়ি নোয়াখালী শহরে। নানার পরিবার আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জাড়িত থাকায় ইন্টারমিডিয়েট থেকেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে। ১৯৬৫ সালে নোয়াখালী কলেজে ভর্তি হন ফরিদা খানম সাকী। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন মাস্টার্সে। ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থানের আন্দোলনে জড়িত ছিলেন তিনি।

 

১৯৭০-১৯৭১ সালে যুক্ত হন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে। সে সময় থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলে। তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি নুর-এ আলম সিদ্দিকীর এবং সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজের সাথে রাজনীতি করেন তিনি। ৭০’এর নির্বাচনে কাজ করেছেন সক্রিয় ভাবে। এ ভাবেই এই প্রতিবেদকরে কাছে নিজের স্মৃতি চারণ করেন ফরিদা খানম সাকী।

 

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মার্চ  মাসে ১০-১৫ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে অস্ত্র ট্রেনিং শুরু করি । পরে সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন হয়। পুরো মার্চ মাস আমাদের এই ট্রেনিং চলে। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুনার জন্য হলের সবাই সকাল থেকেই রেসকোর্স ময়দানের মঞ্চের সামনে বসে থাকি। 

 

ভাষনের পর থেকেই কেন্দ্র থেকে আমাদের বলা হয় যে কোন সময় যুদ্ধের নির্দেশনা আসতে পারে। গোপনে গোপনে সবার সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। আমার কাজ ছিল ঢাকা শহরের খিলগাঁও, পুরান ঢাকা, আজিমপুর ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকার মেয়েদের ও তাদের অভিবাকদের স্বাধীনতা সম্পর্কে বুঝাতে এবং সহযোগিতার কথা বলতে। ছাত্রলীগের সদস্য ও সমর্থকদের মাঝে সচেনতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। 

 

২৩ মার্চ পল্টন ময়দান থেকে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা নিয়ে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর হতে পতাকা তুলে দেয়া হয়। ২৫ মার্চের আগে সকল ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়া হয় আমরা যেন হল থেকে না চলে যায়। সেই সময় আমি, মমতা আপা আর অনার্স পরীক্ষার্থী পাঁচ জন হলে ছিলাম। ২৫শে মার্চ রাত ৯টায় মিটিং শেষে হলে ফিরে আসি।

এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসতে শুরু করেছে পাক বাহিনীর আক্রমণের। ২৫শে মার্চ রাত ১১টায় হলের ভেতর থেকে গুলির আওয়াজ শুনে বের হয়ে দেখি সার্চলাইটের আলো আর গুলির শব্দ।

 

আমরা ভিতু হয়ে হলের ভেতরের গেট দিয়ে হল প্রোভোস্ট আক্তার ইমাম আপার বাসায় যায়। তাকে না পেয়ে আমরা হাউজ টিউটর সাইমা আপার বাসায় যাই। ততক্ষনে রোকেয়া হলের গেট ভেঙ্গে পাক বাহিনী ঢুকে মেয়েদের খুজতে শুরু করেছে। আমরা সাইমা আপার স্টোর রুমে কোন রকমে রাত পার করি। সকালে আরেক হাউজ টিউটর মেহেরুন্নেছা আপার বাসায় নিয়ে যায় আমাদের। ২৭ মার্চ কিছুক্ষণের জন্য কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়। সেই সুযোগে ওয়ারিতে আমার ফুফা খান বাহাদুর নুরুল হকের বাসায় চলে আসি। বাবাও চিকিৎসার জন্য তার বাসায় এসেছিলেন। ১লা এপ্রিলে আমরা নোয়াখালী রওনা দেই। অনেক কষ্টে ৩ এপ্রিল আমরা নোয়াখালীতে পৌছাই।

 

এসে দেখি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীলা কাজ শুরু করেছে। আমিও তাদেরকে সহযোগিতা করতে শুরু করলাম। ট্রেনিংয়ে পাঠানো জন্য লোকদের সংগঠিত করি। তখনও পাক বাহিনীর ওই এলাকাতে ঢুকেনি। ঠিক এক সপ্তাহ পরে পাক বাহিনী আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়ে। প্রথমে পাক বাহিনী আমার নানার বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। আমরা নানার গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এই বাড়িটা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের যোগাযোগস্থল। আমার মেজো মামা শাহাবুদ্দিন ইস্কান্দার বুলু মুক্তিযোদ্ধাদের সব রকম সহযোগিতা করতেন। একদিন রাতে নানার বাড়ির সামনে পাক বাহিনীরা আমার মামার হাত বেধে গুলি করে মেরে ফেলে।

 

আমরা ওই বাড়ি ছেড়ে বড় মামির বাবার বাড়ি চলে আসি। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকার পরে মনি ভাই ও রব ভাইয়ের লেখা একটি চিঠি পাই। চিঠিতে লেখা ছিল আমরা যেন কোন গ্র“পের সাথে ভারতে চলে যাই।

 

তখন কুতুব নামে এক রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারের সহযোগিতায় আমি, আমার ছোট বোন ও ভাই বর্ডার পার হয়ে আগরতালায় চলে যাই। সেখানে চিদোর ভিলা নামের এক বাড়িতে উঠি। বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএফএল) এর হয়ে সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভাই আমিনুল হকের নেতৃত্বে মেজর কেবি শিং এবং মেজর শরমার কাছে প্রশিক্ষণ করি। আমি ব্যাকি আর গ্রেনেড ছোড়ার কাজ শিখি। ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী পাক বাহিনীর মুক্ত হওয়ার পর দেশে ফিরে আসি।

 

ফরিদা খানম সাকী বলেন, যে উদ্দেশ্যে ৪২ বছর আগে দেশ স্বাধীনের আন্দোলন করেছি। আজ স্বাধীনতার ৪২ বছরেও তা পূর্ণ হয়নি। যেদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনৈকিক নেতারা দুর্নীতি মুক্ত হবে। দেশের সৎ আদর্শবান লোকেরা দেশ নেতৃত্বে আসবে সেই দিন বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা গড়ে উঠবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৬ মার্চ,২০১৪

খালেদা খানম থেকে মুক্তি আপা

khaleda khanam

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম,ঢাকা: শরীয়তপুরের সাহসী নারী খালেদা খানম৷ জন্ম ১৯৪৯ সালে। পিতা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এবং মা রাজিয়া বেগম৷ শরীয়তপুরে জন্ম হলেও পিতার চাকুরির সুবাদে ছোট্ট থেকেই তিনি চট্টগ্রামে৷ নন্দন কানন স্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এবং পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেটেছে তাঁর শিক্ষা জীবন৷ ১৯৬৬ সাল থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত৷ এরপর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে পড়ার সময় তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে চলে আসেন৷ দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তিনি এতোটাই সক্রিয়ভাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কাজ করতেন যে, শরীয়তপুর অঞ্চলে তাঁকে সবাই ‘মুক্তি আপা’ নামেই চিনতো৷

এছাড়া ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেও সক্রিয় ছিলেন খালেদা৷ আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি মহিলা সম্পাদিকা হিসেবে নির্বাচিত হন৷ সেসময় চট্টগ্রামে মহিলা রাজনীতিকের সংখ্যা খুব কম ছিল বলে একইসাথে মহিলা আওয়ামী লীগের সাথেও কাজ করতেন খালেদা খানম৷

শুধু তাই নয়, তাঁরা পাঁচ বোনই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন৷ ফলে তাঁদের বাড়ি ছাত্র লীগের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল৷ এমনকি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রায়ই তাঁদের বাসায় আসতেন, বৈঠক করতেন বলে জানান খালেদা খানম৷

মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দু’দিন আগে ২৪শে মার্চ আমরা মিছিল-মিটিং করছি৷ নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী৷ তাঁর কাছ থেকে আমরা খবর পাই যে, চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে অস্ত্র নামানো হচ্ছে৷ আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিলাম জাহাজ থেকে অস্ত্র নামানো ঠেকাবো৷ তাই আমরা মিছিল করে বন্দরের দিকে রওয়ানা দিলাম৷ আমরা মহিলারা সামনে ছিলাম৷ এরপরেই ছাত্র লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছিলেন৷ কিন্তু আগ্রাবাদে গিয়ে আমরা কাঁদানে গ্যাস ও গুলির মুখে পড়ি৷ ফলে সেখান থেকে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং অস্ত্র নামানো আমরা ঠেকাতে পারিনি৷

২৬শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর খালেদা খানম এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শরীয়তপুরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান৷ কিন্তু দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য যিনি সেই কলেজ জীবন থেকেই আন্দোলন করছেন তিনি তো আর বাড়িতে গিয়ে চুপ করে বসে থাকতে পারেন না৷ সেখানে গিয়ে ভাবতে থাকেন কীভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে কাজ শুরু করা যায়৷ অবশেষে কীভাবে একদিন সেই সুযোগ তৈরি হলো তা জানালেন খালেদা খানম৷

তাঁর ভাষায়, একদিন দেখলাম একটা ছেলে আসল চাদর গায়ে দিয়ে৷ প্রথমে আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না যে, সে কে এবং কেন আসল৷ তারপর সে আমাকে দেখে বলল, আমি মুক্তিযোদ্ধা৷ মুক্তিযোদ্ধাদের একটা দল আসছে ভারত থেকে৷ তখন আমি তাকে আমাদের বাড়িতে রাখলাম এবং সব খোঁজ খবর নিলাম৷ এরপর স্টুয়ার্ড মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ভারত থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল আসল৷ আমাদের বাড়িটা ছিল অনেক বড়৷ বাড়িতে অনেকগুলো ঘরও ছিল৷ ফলে আমরা আমাদের বাড়িটাকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেললাম৷ কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের খবর গ্রামের কেউ যেন পাক সেনা কিংবা তাদের দোসর রাজাকারদের না দেয়, সেজন্য আমি এবং আমার বোন রাশিদা আমিন গ্রামের মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে শুরু করলাম৷ গ্রামের মানুষ তো এটাকে গণ্ডগোল বলতো৷ কিছুই বুঝতো না৷ তাদেরকে বোঝালাম স্বাধীনতা কী, যুদ্ধ কী? কে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং কেনইবা যুদ্ধ করছে?

আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা নৌকা নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষদের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি বোঝাতাম৷ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে উঠান বৈঠক করতাম৷ এমনকি আমার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে শরীয়তপুরের মানুষ আমাকে ‘মুক্তি আপা’ বলে ডাকা শুরু করেছিল৷ এভাবে আমরা গ্রামের নারী-পুরুষদের বুঝিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করে ফেলি৷ কারণ তা না হলে গ্রামের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অভিযান খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তো৷ এরপর আমরা আগ্রহী নারীদের নিয়ে আমাদের বাড়িতেই মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করি৷ আমাদেরকে স্টেনগান, রিভলবার, গ্রেনেড ছোঁড়ার প্রশিক্ষণ দিল৷

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৬ মার্চ,২০১৪

 

স্বাধীনতা যুদ্ধে আশালতা বৈদ্য

oddadar

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: আশালতা বৈদ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সৈনিক। দেশের জন্য যুদ্ধ করেই তিনি শুধু ক্ষান্ত দেননি। তিনি একাধারে একজন রাজনীতিবীদ ও সমাজসেবিকা।

 

স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকাকালে রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ভাবে জড়িত হয়ে পড়েন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী।

 

এ সময় তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য ৮ ও ৯নং সেক্টরের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সীমানা সাব সেক্টরের হেমায়ত বাহিনীতে যোগ দেন। হেমায়েত বাহিনীতে মহিলা বাহিনী নামে আলাদা একটা বাহিনী গঠন করা হয়। এ মহিলা বাহিনীতে মোট ৩৫০ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এই বিশাল নারী মুক্তিযোদ্ধার বাহিনীর একমাত্র কমান্ডার ছিলেন আশালতা বৈদ্য। তার নেতৃত্বে ৪৫ জন সশস্ত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

 

তিনি নিজেই তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নানান কথোপকথন। ৭১ সালে হেমায়ত বাহিনী ছিল একটি সুসংগঠিত দল। সাতটি বিভাগ ছিল হেমায়ত বাহিনীর। এর মধ্যে মহিলা দলে কমান্ডার ছিলাম আমি। সাতটি দলে কাজ করতো হেমায়ত ভাইয়ের অধীনে। সুশৃঙ্খলিত হওয়ার কারণে কোটালীপাড়ায় পাকিস্তানি বাহিনী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। আমরা ১৬ ডিসেম্বরের আগেই কোটালিপাড়াকে শত্র“মুক্ত ঘোষণা করেছিলাম।

 

তিনি বলেন, নারীযোদ্ধা সত্ত্বেও আমার দলের ৪৫ জন নারী মুক্তিযোদ্ধা সশস্ত্র পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। কলাবাড়িতে, ঘাঁঘর নদীর পাড়ে , বাশঁ বাড়িয়ায়, হরিণা হাটি ও রামশীল পয়সার হাটে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে আমাদের বেশির ভাগ যুদ্ধ হয়। রামশীল নদী পাড়ে একদিন লঞ্চে করে কয়েক হাজার রাজাকার পাকিস্তানি বাহিনীসহ আসে। সেখানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আমাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধ ৩ ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল। হাজার হাজার রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নিহত হয় মাত্র কয়েক’শ মুক্তিযোদ্ধার হাতে। এই যুদ্ধে আমাদের বাহিনীর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল মারা যান। এছাড়া হেমায়ত ভাইসহ ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়।

 

আশালতা বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে আমাদের কঠিন প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করতে হয়েছিল। হেমায়ত কমান্ডারের হাতে আমরা মহিলা কমান্ড প্রশিক্ষন নিয়ে যুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছি।

 

শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন সময় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও চেয়েও ‘বঙ্গবন্ধু’কে হত্যার সময়টা দুর্বিসহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় সে সময়ে তাকে জাতীয় নেতাদের সঙ্গে অসংখ্য মামলায় আসামি করা হয়। পওে রোকেয়া হল থেকে তৎকালীন সেনাবাহিনী আমাকে প্রেফতার করে। ঐ সময় সামরিক বাহিনীর হাতে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

 

ছাত্র জীবন শেষ করে সূর্যমূখী নামক একটি সমবায় সেবামূলক সংস্থা দিয়ে তার সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডের শুরু। বর্তমানে তিনি এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক।

 

আশালতা বৈদ্য তার বৈচিত্র্যময় জীবনের সেবামূলক কাজের জন্য ২০০৫ সালে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বাছাই কমিটিতে মনোয়ন পেয়েছিলেন। এছাড়া তিনি শ্রেষ্ঠ মহিলা সমবায়ের প্রেসিডেন্ট স্বর্নপদক, রোকেয়া পদক, প্রশিকা মুক্তিযোদ্ধা পদকসহ অনেক পুরষ্কার লাভ করেন। তবে এতোকিছুর বাইরেও একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি আজও কোনো রাষ্ট্রীয় উপাধি পাননি।

 

এ সর্ম্পেকে আশালতা বলেন, রাষ্ট্রীয় উপাধি আমি আশা করি না, এটা আমার প্রাপ্তি। তবে সরকারের কাছে আর কোন আশা করি না কারণ সরকারের সময় কই আমাকে উপাধিতে ভূষিত করার। উপাধির জন্য যুদ্ধ করিনি, দেশপ্রেমের কারণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৬মার্চ২০১৪

নারী মুক্তিযোদ্ধা

12b6d8a6581f872de87e415d6b6f60a8

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: আজ ৪৩তম মহান স্বাধিনতা ও জাতীয় দিবস । আমাদের কাছে দিনটি অনন্য সাধারণ । তেতাল্লিশ বছর আগে যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল সেই যুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ ছিলো উল্লেখ করার মতো।

নজরুলের ভাষায় বলতে হয় –

‘কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি

প্রেরণা দিয়াছে,শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষী নারী।

এদেশের স্বাধীনতার যে ইতিহাস রচিত হয়েছে সেই ইতিহাসে কি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কথা আছে? দু:খজনক হলেও সত্য যে , এদেশের নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কথা গুটি কয়েক লোক ছাড়া কেউ বলে না । স্বীকৃতি নেই তাদের অবদানের । এমন কি সরকারি উদ্যোগে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের ১৬ খন্ডের গ্রন্থে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কোন তথ্য নেই। বাংলাদেশে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হয়েছে কয়েকবার কিন্ত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কোন পূর্ণাঙ্গ তালিকা এ পর্যন্ত করা হয়নি। আমাদের নারীরা যেমন অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে তেমনি তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্নরক্ষার ক্ষেত্রে ভুমিকা রেখেছে, অস্ত্রের ভাণ্ডার পাহারা দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের খাবারের জোগান দিয়েছে, নিজের ছেলে স্বামীর হাতে রাইফেল তুলে দিয়েছে, সন্তান হারা স্বামী হারা হয়ে বেছে নিয়েছে সীমাহীন কষ্টের জীবন ! তাদের এ অবদানকে আমরা কি ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারি!

আরেকটি কথা স্বাধীনতা অর্জনে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিলো তার কতটা কাছাকাছি আমরা পৌছতে পেরেছি?

girls2

 

২০১০ সালের এক জরিপ অনুযায়ী ,র্বতমানে বাংলাদেশে র্কমক্ষেত্রে নিয়োজিত আছে ১কোটি ৬২লাখ নারী। ২০০৬ সালে এর সংখ্যা ছিলো- ১ কোটি ১৩ লাখ । অর্থাৎ এই চার বছরে ৪৯ লাখ নারী শ্রম বাজারে প্রবেশ করেছে । ২০০৬ সালে ২৯ এবং ২০১০ সালে ৩৬ শতাংশ হয়েছে ।

এ থেকে বুঝা যায় যে অর্থনীতিতে নারী অর্জন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিনিময়ে নারী কি পেয়েছে?

কমেছে কি নারী নির্যাতন?

পাক বাহিনী যে জঘন্য

পশুরুপে আমাদের নারীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল সেই একই রুপ কেন দেখা যায় স্বাধীন দেশে?

কেন আজও নারীরা পথে, ঘাটে, বাসে, ট্রেনে ধর্ষিত হবে ?

যত দিন নারীরা নিজের সম্মান, মর্যাদা নিয়ে মাথা তুলে দাড়াতে না পারবে ততদিন যে সমস্ত নারী মুক্তিযুদ্ধে তাদের সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়েছে তার দায় শোধ হবে না।

যত দিন নারীদের অন্তঃনিহিত শক্তি, অদম্য ইচ্ছা আর আত্নসম্মান বোধ বিকশিত না হবে ততদিন স্বাধীনতার স্বাদ অপূর্ণৃই রয়ে যাবে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৬মার্চ২০১৪

রাবি কর্মচারীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রকাশনা দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার বদর উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী উম্মে কুলসুম রিতা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

 

রোববার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাধুর মোড় এলাকায় অবস্থিত তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

 

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।

 

আত্মহত্যাকারী রিতা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একথা জানিয়েছেন ওসি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২৩মার্চ,২০১৪

কাউনিয়ায় বখাটের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কাউনিয়া (রংপুর) : রংপুরের কাউনিয়ায় প্রেমে সাড়া না কলেজ চত্তরে বখাটের ধারালো অস্ত্র আঘাতে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীনিকে আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার হারাগাছ পৌর শহরের হারাগাছ কলেজ চত্তরে। আর এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘটনা সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা।

 

জানা গেছে, হারাগাছ পৌর শহরের দর্জীপাড়া গ্রামের শারমিন আক্তার। সে হারাগাছ কলেজের এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীনি। ওই কলেজ ছাত্রী বাড়ী থেকে কলেজ যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের সাদেকুলের বখাটে পুত্র আকাশ প্রায় তাকে পথরোধ করে প্রেম নিবেদনসহ উত্ত্যক্ত করতো।

 

গত বুধবার ওই পরীক্ষার্থীনি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নেয়ার জন্য কলেজ যাওয়ার পথে ডারারপাড় বাজারের পাশে বখাটে আকাশ তার পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হলে বখাটে আকাশ ও তার বন্ধু সজল ধারালো অস্ত্র খুর দিয়ে ওই ছাত্রী মুখে আঘাত করে। এ ব্যাপারে ওইদিন সন্ধায় ওই কলেজ ছাত্রী বখাটের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয় ও থানায় লিখিত অভিযোগ করে।

 

এদিকে অভিযোগের ঘটনা জানতে পেরে বখাটে আকাশ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ওই ছাত্রী কলেজে আসলে বখাটে আকাশ তার বন্ধু সজল সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন বখাটে যুবকরা কলেজ চত্তরে তাকে মারপিট করে এবং হরিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র খুর দিয়ে পিঠে ও হাতে কুপিয়ে আহত করে। ওই ছাত্রীর আত্মচিৎকার কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে বখাটে যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হারাগাছ ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে।

 

হারাগাছ কলেজের (ভারপ্র্প্তা) আব্দুল ছাত্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।

ওই ছাত্রীর পিতা শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বুধবারে হামলার ঘটনার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বখাটেরা হত্যার পরিকল্পনা করে বৃহস্পতিবার কলেজের ভিতরে প্রকাশ্য মেয়ের উপর আবারও হামলা চালিয়ে আহত করে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন।

 

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঘটনাটি শুনার পর তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২মার্চ, ২০১৪

চান্দিনায় ১০ বছরের শিশু ধর্ষণ

rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, চান্দিনা (কুমিল্লা) : চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকায় ১০ বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে দারোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১২ মার্চ দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। এসময় স্কুলের পার্শ্ববর্তী গণি মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৫০) এর দোকানে চানাচুর ক্রয় করতে গেলে সে কৌশলে শিশুটিকে ফুসলিয়ে দোকান বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। পরে এ বিষয়ে কাউকে না বলার জন্য তাকে ভয়-ভীতি দেখায়।

 

এদিকে এলাকায় ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশ এর মাধ্যমে অভিযুক্ত আবুল কাশেমকে জুতা পেটা এবং সামান্য অর্থদণ্ড করে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

 

অপরদিকে বুধবার (১৯ মার্চ) ধর্ষিতার পরিবারের সদস্য চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছালেহ্ আহাম্মদ এর কার্যালয়ে এসে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

 

এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছালেহ্ আহাম্মদ জানান, ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন অভিযোগ পেয়েছি। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্কুলের প্রধান শিক, এসএমসি সভাপতিসহ সকলকে ডাকা হয়েছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২মার্চ, ২০১৪

ফরিদপুরে মহিলা সহকারী কমিশনারকে ইভটিজিংয়ের দায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ভাঙ্গা(ফরিদপুর): ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মহিলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) ইভটিজিংয়ের দায়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক যুবককে ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

 

কারাদন্ড প্রাপ্ত যুবক গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার আলীপুর গ্রামের পিয়ার হোসেন বকালি পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন(৩২)। সে ঢাকা পুলিশ হাসপাতালের কর্মচারী।

 

জানা গেছে, উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার লুৎফন নাহার গত বুহস্পতিবার বিকালে ফল কিনতে ভাঙ্গা বাজারে যায়। সেখানে মটর সাইকেলে থাকা দুই যুবকের কাছে তিনি ইভটিজিংয়ের শিকার হন। স্থানীয় জনতা ও পুলিশের সহায়তায় মোটর সাইকেলসহ এক যুবককে আটক করে সহকারী কমিশনার (ভুমি)। রাতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত যুবককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল প্রদান করা হয়।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২মার্চ, ২০১৪

পটিয়ায় স্বামীর নির্যাতনে মেরি ২ সন্তান নিয়ে বিপাকে

অপরাজিতাবিডি ডটকম, পটিয়া (চট্টগ্রাম) : অট্টালিকার স্বপ্ন দেখিয়ে বিয়ে করার পর যন্ত্রনাই মেরির জীবন সাথী। প্রতারক স্বামী মেরিসহ  তার দু সন্তানের কোন  খবরও নিচ্ছে না। স্বামীর হয়রানী নির্যাতনে স্ত্রী শারমীন আকতার মেরির জীবন এখন বিপন্ন । দু সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরছে অসহায় মহিলা শারমীন আকতার মেরি।

 

বর্তমানে স্ত্রীর শেষ আশ্রয় থাকার বসত ঘরের জায়গাটুকু কেড়ে নেয়ার চেষ্ঠা চলছে। মেরির বাড়ী চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউপির কথা পাঠান পাড়া গ্রামে। চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন অদুর পাড়া এলাকার আবুল কালামের পুত্র  জানে আলম তার প্রথমা স্ত্রীর কথা গোপন রেখে কচুয়াই গ্রামের জাফর আহমদের  কন্যা শারমিন আকতার মেরিকে বিয়ে করে।

 

মেরির বাড়ীর ইসহাক খান ও করিমের মাধ্যমে ২০০৩ সালে এ বিয়ে হয়। পুর্বের বিয়ের কথা জানা জানি হলে মেরির বাবার চাপে জানে আলম মেরির বাড়ীর  পাঠানপাড়া গ্রামে ২৮  শতক জায়গা ক্রয় করে সেখানে একটি বেড়ার  ঘর নির্মান করে।  স্বামী স্ত্রী উভয়ে সেখানে  বসবাস করে আসছিল। তাদের ঘরে এক ছেলে এক মেয়ে জন্ম নেয় । ৫/৬ বছর বসবাস করার পর স্বামী হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। চান্দগাঁও  স্বামীর বাড়িতে গেলে সেখানে স্বামী জানে আলম মেরিকে  শারিরিক নির্যাতন চালায়। এব্যাপারে গত ১৪ এপ্রিল ২০১২ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে মেরি নারী নির্যাতন মামলা করেন। জানে আলম পালিয়ে গিয়ে আরেকটি বিয়ে করে ফেলে।

 

চান্দগাঁও থানা পুলিশ তাকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতারের চেষ্ঠা চালালেও গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে মেরির বাড়ী এলাকায় ক্রয় করা জায়গা ও বাড়ী ভিটি  বিক্রয় করে মেরির বসবাসের স্থানটুকু কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে স্বামী জানে আলম। তাকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করে আসছে মেরির বাড়ীর এলাকার আবুল কালাম খান নামের এক দালাল। এ আবুল কালাম মেরি ও তার বাবাকে মারধর করে বাড়ী ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালায়। এব্যাপারে পটিয়া থানা অভিযোগ দায়ের করা  হয়েছে। মেরির দারিদ্র পিতার সংসারে অনাহারে, অর্ধাহারেভাবে মানবেতর জীবন চলছে। এর মধ্যে স্বামীর হয়রানী অত্যাচার নির্যাতনের বিচার চেয়ে পথে পথে ঘুরছে অসহায় মেরি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২মার্চ, ২০১৪

গণধর্ষণে নিহত জোসনার পরিবারের ওপর হামলা, আহত ৫

noakhali

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের চর কলমি গ্রামে গণধর্ষণের পর নিহত কিশোরী জোসনার বসত বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।

 

শনিবার দুপুরের এই হামলায় নিহত কিশোরী জোছনার বৃদ্ধ মা চকিনা খাতুনসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হয়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী  গণপিটুনির পর সন্ত্রাসী আসামি বেলায়েতকে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

 

জানা যায়, দরিদ্র কৃষক আব্দুস সোবহানের মেয়ে জ্যোৎসনা বেগম (১৭) যৌন নির্যাতনের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। তবে হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা করা হলেও আলামত সংরক্ষণ করা হয়নি বলে জানান ডাক্তার মর্জিনা ফারুকি। মূল অপরাধীদের আজো গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ।

 

এ ঘটনায় নিহতের হতদরিদ্র কৃষক পিতা আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নির্যাতন ও হত্যা মামলা দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।  কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২মার্চ, ২০১৪

বেনাপোল সীমান্তে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার

lash

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, বেনাপোল : বেনাপোলের গাতিপাড়া সীমান্ত থেকে শনিবার সকালে অজ্ঞাত এক তরুণীর (১৯)  লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরনে জিনস প্যান্ট ও শার্ট ছিল।

 

বেনাপোল পোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, বেনাপোলর গাতিপাড়া সীমান্তে ভারত সীমান্তের গা ঘেঁষে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

 

কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তার কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে পুলিশ ময়না তদন্ত ছাড়াই তরুণীর লাশ দাফন সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়েছে।

 

যুবতীর কোনো খোঁজ খবর না নিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২মার্চ, ২০১৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিত

Rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ দুপুরেই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বখাটে রাজিবকে (১৮) আটক করেছে।

 

ধর্ষিতার পরিবারের বরাত দিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রব জানান, নন্দনপুর গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে বখাটে রাজিব স্কুলে যাওয়ার পথে নন্দনপুরের শিল্প নগরী এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে এ ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষক রাজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

 

ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিকেলে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ধর্ষক রাজিবকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/২২মার্চ, ২০১৪

চাকরির সাক্ষাতকারে সঠিক হতে হবে ৪টি প্রশ্ন

careerar

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম,ঢাকা: বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীই চাকরির সাক্ষাতকারের সময় প্রথম মুহূর্তটি ভালোমত সামলাতে পারেন না। খুব সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে তারা ভুল করে ফেলেন। এর কারণ হলো, তারা আসলে ঐ মুহূর্তে প্রশ্নকর্তার প্রশ্নটিই ভালমতো বুঝতে পারেন না। সাক্ষাতকারের শুরুতে সাধারণত ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। যদি এসব প্রশ্নে কেউ ভুল উত্তর দিয়ে থাকেন তবে তাকে প্রথমেই অযোগ্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়। চাকরির সাক্ষাতকারের শুরুতে যে প্রশ্নগুলো করা হয় এবং চাকরিপ্রার্থীরা যে ধরণের ভুলগুলো করে থাকেন তা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

 

১। “আপনার সম্পর্কে বলুন”
আপনার মনে হতে পারে এই প্রশ্নটি সবচেয়ে সহজ। কিন্তু আপনি যা ভাবছেন আসলে ব্যাপার তা নয়। কারণ প্রশ্নকর্তা আপনার কথাগুলো খুবই মনযোগ দিয়ে শুনবে। আপনি কেমন বলতে পারেন? আপনি কি আত্মবিশ্বাসী? আপনার কি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কথা বলার মতো যোগ্যতা আছে? প্রশ্নকর্তা আপনার কথার মাধ্যমে এ সবগুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিবেন। এই প্রশ্নের উত্তরে আপনার জীবনের পুরো ইতিহাস বলার প্রয়োজন নেই। চাকরির সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

 

২। “আপনি আমাদের সম্পর্কে কি জানেন?’’
আপনি কতটুকু উদ্যোগী এবং কতটুকু সুদূরপ্রসারী চিন্তার অধিকারী প্রশ্নকর্তা এ প্রশ্নের উত্তর থেকেই খুঁজে নিবে। আপনি যদি সাক্ষাতকার দিতে যাওয়ার আগে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালমতো জেনে না যান তবে চাকরি পাওয়ার আশা ছেড়ে দিন। সাক্ষাতকার গ্রহণকারী অবশ্যই আশা করবেন আপনি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগে থেকেই ভালমতো জেনে নিবেন। সুতরাং সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে কখনোই এ ধরণের ভুল করবেন না।

 

৩। “আপনার সবচেয়ে বড় গুন কি?”
আপনার মধ্যে বিশেষ কি গুন আছে এ প্রশ্নের মাধ্যমে তাই জানতে চাওয়া হয়। এটি একটি ক্লাসিক প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আপনাকে ভালোমত ভাবতে হবে। এখানে একটি গুনের কথা জানতে চাওয়া হয়েছে। সুতরাং, অতিরিক্ত কথা বলে কিংবা উদাহরণ দিয়ে সময় নষ্ট করতে যাবেন না। আপনি মানুষের সাথে ভালো মিশতে পারেন কিংবা আপনার আচরণ খুবই ভালো এ ধরণের কথা প্রশ্নকর্তা আপনার কাছে জানতে চায় নি। সুতরাং, উত্তর দেওয়ার সময় ভেবে-চিন্তে নিজের একটি সত্যিকার গুনের কথা প্রকাশ করুন।

 

৪। “আপনি কেমন বেতন আশা করছেন?”
এ প্রশ্নটি করা হয় মূলত আপনার প্রত্যাশা জানার জন্য। আপনাকে এক্ষেত্রে বলতে হবে আপনি এ প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানটির বেতন কাঠামো সম্পর্কে জানেন। কখনো কখনো আপনাকে সরাসরিও উত্তর দিতে হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। আপনার সমপরিমাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্যান্যরা কি পরিমাণ বেতনাদি পাচ্ছে তাও নিশ্চয়ই আপনি জানেন। সুতরাং এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেতনের একটি রেঞ্জ সম্পর্কে প্রশ্নকর্তাকে জানান। সরাসরি বেতন বলার চেয়ে একটি সীমা দিয়ে দেওয়াই এক্ষেত্রে শ্রেয়।

 

সাক্ষাতকারের সময় আপনি যেমন নিজের সম্পর্কে বলছেন, একইভাবে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও তাদের সম্পর্কে আপনার কাছে বর্ণনা করছে। সুতরাং আপনারও এখানে সবকিছু পরিষ্কার হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯ফেব্রুয়ারি২০১৪

ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ধুতোরহাট গ্রামে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে ঠিক করায় নিশি খাতুন (১৫) নামের এক নবম শ্রেণির ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে সদর উপজেলার ধুতোরহাট গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নিশি খাতুনের কাছে তার বাবা-মা পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিয়ের কথা বলে। এই বিয়েতে সে রাজি না হওয়ায় বাবা-মার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর পরিবারের সবার অজান্তে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন

rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, চট্টগ্রাম : মহানগরীর মোহরা এলাকায় বাক প্রতিবন্ধী তারুণীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে আদালত।

 

বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ রেজাউল করিম এই রায় দেন। তবে আসামি পলাতক রয়েছে।

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৭ আগস্ট সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরা ইসলাম কলোনীর সামনে এক বাসায় ২৫ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী লিংকন দাশ। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

একই বছরের ২৪ অক্টোবর তদন্ত শেষে আসামি লিংকন দাশকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মোট পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন। আসামি লিংকন দাশ বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

৪৮ ঘণ্টায়ও জ্ঞান ফেরেনি ধর্ষিতা কিশোরীর

rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের চরকলমী গ্রামের নদীর পাড় থেকে উদ্ধারকৃত কিশোরীর (১৬) ৪৮ ঘন্টায়ও জ্ঞান ফেরেনি। তাকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।

 

অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সোমবার রাত ভর কিশোরীকে ধর্ষণের পর নদীর পাড়ে ফেলে যায়। মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় ধর্ষিতাকে স্থানীয় চৌকিদার ফোরকান, স্থানীয় মেম্বার মাহফুজ ও স্থানীয় লোকজন খাল পাড়ের নিকট থেকে উদ্ধার করে ।

 

এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে এলাকার প্রভাবশালীরা তাদের ছেড়ে দেয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরীকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও পরবর্তীতে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

 

স্থানীয়দের ধারণা, সোমবার কিশোরীকে অপহরণ করে রাতভর দূর্বৃত্তরা খালপাড়ে ধর্ষণ করে। চরএলাহী ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়া জানান, এ ঘটনার পর কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের ধরার চেষ্টা করছি।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া  জানান, কাউকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে কিশোরীর জ্ঞান  ফেরা ও সুস্থতার উপর। তার জ্ঞান ফিরলেই এ ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করা যাবে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

বাড্ডায় তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর বাড্ডা থেকে রাবেয়া (১৪) নামের এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে নড়াইল জেলার লোহাগাড়া থানার আমডাঙ্গা এলাকার বকুল আহমদের মেয়ে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে লাশ উদ্ধার করে বাড্ডা থানার এসআই মোশারফ।

 

জানা যায়, নিহত রাবেয়া তার বাবা-মায়ের সঙ্গে পূর্ব বাড্ডার ৪নং ওয়ার্ডের ৫৪২/মনিভিলা নামক বাসায় থাকতো। সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। বিকেলে সে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

 

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, খবর পেয়ে পূর্ব বাড্ডার বাসা থেকে রাবেয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় গৃহকর্মীর আত্মহত্যা

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা : রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সুফিয়া (১৩) নামের এক গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছে। নিহত সুফিয়া ক্যান্টমেন্ট থানার অফিসার্স কোয়ার্টারের ১৬৯/১ নম্বর বাসায় কাজ করতো।

 

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। সুফিয়া লালমনিরহাট জেলার হাতিভাঙ্গা থানার সাফটাপাড়ার মৃত হাবিবর রহমানের মেয়ে।

 

ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই বজলুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে গলায় ওড়না দিয়ে পেচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

মুগদায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

attohotta logo

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর মুগদা থেকে শহিদা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় লাশটি উদ্ধার করে মুগদা থানা পুলিশ।

 

মুগদা থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, মুগদা থানাধীন উত্তর মান্ডা এলাকার সাহেব বাড়ি রোড়ের ১০৭ নম্বর বাড়ি থেকে শহিদার (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় লাশটি রুমের সিলিং প্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। নিহতের স্বামীর নাম আব্দুর রহিম। ঘটনার সময় নিহতের স্বামী বাসার বাইরে কর্মস্থলে ছিলেন।

 

তিনি আরও জানান, নিহতের প্রতিবেশীরা জানায় নিহত শহিদার সঙ্গে তার স্বামীর প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে অভিমান করেই সে আত্মহত্যা করেছে।

 

শহিদা ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানার ঝারমন্ডলপাড়া গ্রামের সোহরাব আলীর মেয়ে। পরে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে শহিদার লাশ ঢাকা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

পুলিশের হাতে নারী পোশাক শ্রমিক আহত

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: রাজধানীর ফকিরাপুল ট্রাফিক মোড়ে এক ট্রাফিক পুলিশের লাঠির আঘাতে রিয়া আক্তার (২৮) নামের এক তৈরি পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন। তিনি খিলগাঁও সিপাহীবাগ নেরাদিয়া এলাকায় থাকেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রিয়া আক্তার রিকশাযোগে খিলগাঁও থেকে ফকিরাপুল আসার পথে ফকিরাপুল ট্রাফিক মোড়ে সিগনালে পড়েন। সিগনাল অমান্য করে রিকশাটি এগিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ আনিছ লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে মাথায় আঘাত পান রিয়া। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)  হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

 

পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য ট্রাফিক পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে ট্রাফিক বিভাগের মতিঝিল জোনের এসি হাফিজ আলী অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

বন্দরে শিশুকে ধর্ষণ: ২০ হাজার টাকায় ধামাচাপা

rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, বন্দর : বন্দরে ৫ বছর বয়সের এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মুছাপুর ইউপির ভাঙ্গালবাড়ি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় মাতাব্বর সুরুজ মিয়া ধর্ষকের পরিবারের কাছ থেকে ২০টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে ৫ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে প্রকৃত  ঘটনা ধাপাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ভাঙ্গালবাড়ি গ্রামের রওশন আলীর ছেলে শান্ত (১৬)একই গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের দ্বিতীয়  শ্রেনীর ছাত্রী (৫)কে দোকান থেকে চকলেট খাওনের  কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। এর পর ধর্ষক শান্ত মিয়ার পিতা-মাতা বাড়িতে না থাকায় ওই ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে।

 

এসময় ধর্ষিতার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসরে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পরদিন সকালে গ্রাম্য মাতাব্বর সুরুজ মিয়াসহ কয়েকজন ধর্ষক শান্ত মিয়ার পক্ষ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার মা জোসনা বেগমকে মামলা না করতে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায়। পরে স্বামী হারা জোসনা বেগম এলাকায় একা বসবাস করে এ চিন্তা করে নিরূপায় হয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে কয়েক মাসের জন্য অন্যত্রে চলে যায়।

 

এদিকে ধর্ষকের পরিবারের কাছে থেকে মাতাব্বর সুরুজ  ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাত্র ৫হাজার টাকা ধর্ষিতার মা জোসনা হাতে তুলে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাত করে। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার র্মোশেদ জানান, এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ করতে কেউ আসেনি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

গরমে ঠান্ডা তরমুজের জুস

অপরাজিতাবিডি ডটকম: ফাল্গুন শেষ হয়ে চৈত্র চলে এসেছে। আর চৈত্র নিয়ে এসেছে উষ্ণ আবহাওয়া। এই গরমে সারা দিন শেষে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেলে কেমন হয়?

 

jus

 

এখন বাজারে উঠেছে প্রচুর তরমুজ। উপরে সবুজ আর ভেতরে টকটকে লাল রসালো এই মিষ্টি ফলটির জুস খুবই সুস্বাদু। নিমিষেই চাঙ্গা করে দেয় তরমুজের জুস। সারাদিনের গরমের ক্লান্তি এক মূহূর্তেই দূর করে দেবে মাত্র এক গ্লাস তরমুজের জুস। খুব কম সময়ে তৈরি করা যায় বলে যখন তখন খেতে পারবেন এই মজাদার পানীয়টি। আসুন জেনে নেয়া যাক তরমুজের জুসের সহজ রেসিপি।

 

উপকরণ :
তরমুজের টুকরো ১ কাপ, চিনি পরিমাণমত,বিট লবণ অল্প, বরফ কুচি এক কাপ, লেবুর রস পুদিনা পাতা কয়েকটি।

 

প্রস্তুত প্রণালী :
তরমুজের খোসা ছাড়িয়ে বিজ ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে টুকরো করা তরমুজ, চিনি, বিট লবণ, লেবুর রস এবং কয়েকটি পুদিনার পাতা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ছাঁকনি দিয়ে জুস ছেঁকে নিন। গ্লাসে জুস ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে দিন। পরিবেশন করুন মজাদার ঠান্ডা তরমুজের জুস।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৯মার্চ, ২০১৪

ধর্ষণের প্রতিবাদে শ্রমজীবী নারী ঐক্যের হুঁশিয়ারি

manobbondhon

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম,ঢাকা: সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার প্রতিবাদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে শ্রমজীবী নারী ঐক্য।

 

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমজীবী নারী ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘যে নারী শ্রমিকের ঘামে দেশের অর্থনীতি সচল থাকে, সেই নারীকে কেউ সম্মান করে না। তাদের ওপর নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

 

বক্তারা আরো বলেন, গত ১৩ মার্চ রাতে সাভারের হেমায়েতপুরে দস্তগীর অ্যাপারেলস গার্মেন্টসের শ্রমিক আল্পনাকে তার মায়ের সামনেই কিছু নেশাখোর বখাটে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করেছে। এমনকি তার মাকেও গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।

 

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ করে বক্তারা বলেন, নারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের। কিন্তু আজ পর্যন্ত হত্যা ও ধর্ষণের কোনো বিচার পাননি নারী শ্রমিকরা।

 

তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা বলেন, আল্পনাসহ যেসব নারী ধর্ষিত ও খুন হয়েছেন, তাদের খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা হলে দেশ অচল করে দেবে শ্রমজীবী নারী ঐক্য।

 

শ্রমজীবী নারী ঐক্যের সমন্বয়কারী লীমা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন শ্রমজীবী নারী ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ফিরোজা বেগম, শাহিদা সরকার, শারমিন পারভিন প্রমুখ।

-প্রতিবেদক

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

ধর্ষণের প্রতিবাদে শ্রমজীবী নারী ঐক্যের হুঁশিয়ারি

বখাটেদের উত্ত্যক্তে নওগাঁয় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা : আহত ২

attohotta

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, নওগাঁ : উত্ত্যক্তের জের ধরে নওগাঁর সদর উপজেলার আনজুমান আরা নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তাছাড়া রানীনগর উপজেলায় বখাটেদের হামলায় আহত ২ স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আনজুমান আরা সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের চকপাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় মৈনম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

 

এদিকে পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই স্কুলে যাওয়ার পথে একই গ্রামের সুমন মল্লিক ও তার বন্ধু রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন আনজুমান আরাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। তাদের উৎপাতে একপর্যায়ে ওই ছাত্রী স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়। সম্প্রতি আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে আরো বেপেরোয়া হয়ে উঠেন। গত বুধবার তারা ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এরপর লজ্জা, ক্ষোভ ও অভিমানে বৃহস্পতিবার রাতে ওই স্কুলছাত্রী কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে।

 

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ওই ছাত্রীর বাবা আজিজুল মল্লিক ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

অন্যদিকে রানীনগর উপজেলার কামতা গ্রামে ৭ম শ্রেণীতে পড়–য়া দুই ছাত্রীকে একই গ্রামের মিলন (২২), রাব্বি (২৩), নাছির (২০) এবং সাগর (২৫) নামে ৪ বখাটে যুবক প্রতিদিনই স্কুলে যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এর জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তারা ওই দুই ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে চাপা দিয়ে মাটিতে ফেলে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে বখাটেরা তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় ওই দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে আদমদিঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

 

এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় আজ শুক্রবার চয়েন উদ্দিন প্রামাণিক নামে একজন বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

পোশাকে দেশপ্রেম

bijoy

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম,ঢাকা: দেশপ্রেম প্রকাশের আয়োজন নানা মাধ্যমে হতে পারে। বাঙালি হিসেবে হৃদয়ে ধারণ করা দেশপ্রেমের চেতনার অনেকটাই ফুটে ওঠে পোশাকে, মননে। সে ভাবনা থেকেই আমাদের ফ্যাশন হাউসগুলো এ প্রজন্মকে পোশাকের দিক থেকে করেছে স্বদেশমুখী। ফলে এ সময়ের তারুণ্যের পোশাকের ডিজাইনের বড় অংশজুড়ে রয়েছে দেশাত্মবোধের চেতনা। এবারের স্বাধীনতা দিবসে লাল-সবুজের প্রত্যয়ে আবারও ফুটে উঠেছে দেশপ্রেম প্রকাশের সে ভাবনাই।

এবারের স্বাধীনতা দিবসে লাল-সবুজের প্রত্যয়ে আবারও সে চেষ্টাই চালিয়েছেন তারা। মূলত, ফ্যাশনের ধারাটা সময়কে ধারণ করে। স্টাইল, স্মার্টনেস, আউটলুকিংয়ের সামগ্রিক কনসেপ্টে বৈচিত্র্য এলেও স্বাধীনতা দিবসের ফ্যাশনে দেশাত্মবোধের ভাবধারাটা উন্মোচিত হয়। বাঙালির স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা ভাষার প্রতি সশ্রদ্ধ মমতা এবং এক রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের প্রবল অনুরণন—যে অনুরণনের প্রতিটি মুহূর্তে রয়েছে স্বাধীনচেতা বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যের মহিমান্বিত গৌরব গাঁথা। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পরিণতিতে স্বাধীনতা অর্জন। আর এই অর্জনের ভেতর দিয়েই অন্ধকার সরিয়ে-সরিয়ে বাঙালির পথচলা হচ্ছে সেই ৪২ বছর আগে পাওয়া রক্তোজ্জ্বল বিজয়ের আলোয়। ১৯৭১-এর ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস এখন ফ্যাশন স্টাইলের অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এ ফ্যাশন-স্টাইলে উত্সবী আমেজ থাকলেও তার থেকে বেশি থাকে দেশাত্মবোধ তথা দেশপ্রেম। আর সে কারণেই স্বাধীনতা, বিজয় কিংবা ভাষা দিবসের ফ্যাশনের প্রথম চিত্রকল্প হিসেবে পোশাকে। আমাদের জাতীয় পতাকার রঙকে তুলির আঁচড়ে নান্দনিকভাবে পোশাকের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নয়নাভিরাম আঙ্গিকে।

 

1487337_588035737910488_1859329548_n

 

ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’স স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে লাল-সবুজকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন ডিজাইনের পোশাক এনেছে। পাশাপাশি ট্রেন্ডি এই আউটলাইনে থাকছে শাড়ি, কুর্তা, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি-শার্ট ও শার্ট। এবারের ডিজাইনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন মোটিভ। বড়দের পোশাকের পাশাপাশি ছোটদের জন্যও থাকছে বিভিন্ন পোশাক যা অঞ্জন’স-এর সকল শোরুমে পাওয়া যাবে। ফ্যাশন হাউস রঙ-এর ফ্যাশনের মূল ভাবনা গড়ে উঠেছে দেশীয় আত্মপরিচয়কে ঘিরে। দেশীয় রং, দেশীয় কাপড় রঙ-এর আয়োজনের মূল উপাদান। লাল-সবুজ আমাদের পতাকার রং, আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক।

 

স্বাধীনতার এই মার্চ মাসজুড়ে তাই লাল-সবুজকে নিয়েই রঙ-এর যত আয়োজন। রঙ-এর স্বাধীনতা দিবসের পোশাকগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, দায়িত্ব ও মূল্যবোধ থেকেই করা হয়েছে। রঙ-এর স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়েছে। পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি ও খাদি কাপড়। রঙ-এর স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ আয়োজন শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, মগ, টুপি ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ সংবলিত লেখা। আর লাল-সবুজ রঙের মাধ্যমে উঠে এসেছে দেশীয় ভাবনার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ডিজাইনের অনুষঙ্গ হিসেবে। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে চুনরি, টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিন ইত্যাদি। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবসে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য রঙ-এ রয়েছে গিফট ভাউচার। গর্ব করার মতো আমাদের যা কিছু আছে, তার অনুভূতিকে আরও বেশি মানুষের কাছে তুলে ধরার প্রচেষ্টায়, স্বাধীনতার এ মাসে স্বাধীনতার মহিমাকে পোশাকের মাধ্যমে সমুন্নত করতে সচেষ্ট হয়েছে দেশের অন্যতম ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফট ।

 

aj_posake

 

স্বাধীনতার মাসে কে ক্র্যাফট আয়োজন করেছে স্বাধীনতার পোশাকের একটি বিশেষ কালেকশন। পহেলা মার্চ থেকে প্রতিটি কে ক্র্যাফট আউটলেটে এই কালেকশনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানত সুতি কাপড়ে তৈরি এ কালেক্শনে রং হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে সবুজ ও লাল। নিজস্ব উইভিং ডিজাইনে লাল-সবুজে শাড়ি, টাই-ডাই শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া ও টপস, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, শাল, ব্যান্ডানা, স্কার্ফের একটি সমৃদ্ধ আয়োজন করা হয়েছে। এ আয়োজনে শিশুদের জন্যও পোশাক রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও নগরদোলা নিয়ে এসেছে স্বাধীনতার মাসে স্বাধীনতার পোশাক। লাল-সবুজের নান্দনিকতায় নগরদোলার স্বাধীনতার পোশাক সম্ভারে রয়েছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, ছেলে-মেয়েদের ফতুয়া এবং বাচ্চাদের সব ধরনের পোশাক। বাবা-মায়ের পোশাকের সাথে মিল রেখে করা হয়েছে বাচ্চাদের পোশাক। এ সমস্ত পোশাকসমূহে কারুকাজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, কারচুপি ও অন্যান্য কাজ। পোশাকে রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজয়ের প্রচলিত লাল-সবুজের পাশাপাশি অন্যান্য রংগুলো এসেছে পোশাক ও স্বাধীনতার মর্যাদার সাথে সমন্বয় রেখে। পোশাকের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ক্রেতাসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা ও সাধ্যের মধ্যে।

 

 

এ ছাড়া বাংলার মেলা, অন্যমেলা, নিপুণ, আড়ং, নিত্য উপহার, বিবিআনা, তারামার্কা, পঙিত, বাসন্তী, এড্রয়েট, ওজি, ইনফিনিটি, নন্দনকুঠিরসহ অন্যান্য ফ্যাশন হাউসগুলো স্বাধীনতা দিবসে এনেছে লাল-সবুজের নানা ডিজাইনের পোশাক। মাত্র কয়েক প্রজন্ম আগেও আমাদের পোশাকে যে স্বাধীনতার চেতনাটুকু ছিল অনেকটাই অনুজ্জ্বল, সময়ের বিবর্তনে আজ সেই পোশাক সম্ভারেই লাল-সবুজের দৃপ্ত পদচারণা। উত্সবের যে রং মানুষ এতকাল ধরে তার পরিধেয়র মাঝে ধারণ করত এখন সেই উত্সবের ধারায় যুক্ত হয়েছে দেশপ্রেমের আবহও। আর তাই যেকোনো জাতীয় দিবসের মতো স্বাধীনতা দিবসেও এখন সর্বত্রই চোখে পড়ে পোশাকের মাঝে এক টুকরো স্বদেশ।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার সাবিনা আক্তার

acid

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, বরিশাল: জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বানারীপাড়ায় অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার দুই সন্তানের জননী সাবিনা আক্তার (২৫)।

 

বৃহস্পতিবার সকালে হামলা চালায় তার দুই ভাশুর। বিকেল ৩টার দিকে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত গৃহবধূ জানিয়েছেন, ২০০২ সনে স্বরূপকাঠির ঝিলবাড়ি গ্রামের সাবিনা আক্তারের সঙ্গে বানারীপাড়ার উমারেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে বজলুর রহামানের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হয়।

 

সাবিনার এ বিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি মেনে নিলে পরিবারের অন্য সদস্যরা তা মানতে পারেনি। বিয়ের পর সাবিনার শ্বশুর তার নামে কিছু সম্পত্তি লিখে দিলে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় বজলুর পরিবারের অন্য সদস্যরা।

 

পরবর্তীতে বজলু ও তার ভাইরা পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি করেতে গিয়ে ওই সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্ধ বেধে যায়। যা নিয়ে বজলুর পরিবারের ওপর অত্যাচার শুরু হলে স্থানীয়রা মীমাংসাও করে দেয়। এরই জের ধরে বজলু বাড়িতে না থাকায় সুযোগে ভাই আফজাল ও মজনু গৃহবধূ সাবিনার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এ সময় সাবিনার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আফজাল ও মজনু পালিয়ে যায়।

 

তবে সাবিনা দাবি করেন, আফজাল ও মজনু একটি কাপে করে অ্যাসিড নিয়ে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল। ধস্তাধস্তিতে  অ্যাসিড সাবিনার শরীরে পড়ে যায়।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

বাইচের নাওয়ে নারীর বৈঠা

nouka

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, বরিশাল: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বরিশালে নারীদের ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বরিশাল-গোপালগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার কদমবাড়ি এলাকায় পয়সারহাট নদীতে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।

 

বরিশাল, গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া এলাকার ১৪টি দল নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করে। প্রতিবছর নারী দিবসে এখানে নৌকা বাইচের আয়োজন করে আসছে তরঙ্গ নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি সেচ্ছাসেবী সংস্থা।

 

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন উপলক্ষে পয়সারহাট নদীর পাড়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কহিনুর ইয়াসমিন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম তালুকদার।

 

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপুল দাস, বাগধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি, আমেরিকার প্রতিনিধি লুচিয়া, স্থানীয় সমাজসেবক অনন্ত কুমার অধিকারী, আবুল বাশার হাওলাদার, মো. জয়নাল মিয়া, জগদীশ অধিকারী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্থার কর্মকর্তা সুভাষ সমাদ্দার। কহিনুর ইয়াসমিন বলেন, ‘পুরুষের চেয়ে নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই।’

 

তিনি বলেন, ‘আমরা নারীরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, চাই নারী-পুরুষের সমঅধিকার। এ অধিকার আদায়ের অংশ হিসেবেই আমরা নারীদের নৌকা বাইচের আয়োজন করেছি।’

 

নৌকা বাইচে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ঊষা অধিকারীর গোলাপ দল, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ফুলমালা রায়ের বেলী দল, তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে সরস্বতী জয়ধরের জুঁই দল।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

কালীগঞ্জে শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

sera

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালীগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী মেলায় অংশগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

 

বুধবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার ফারহানা ইয়াসমিনের পরিচালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে- উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল আহ্সান তালুকদার।

 

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. আবুল কালাম, কৃষি অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, মৎস্য অফিসার মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, শিক্ষা অফিসার আবু ইউসুফ খান ও যুব উন্নয়ন অফিসার শেখ নওশের আলী।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. তদবীরুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোহাম্মদ আমান উল্ল্যাহ, নির্বাচন অফিসার মো. জহরুল আলম, জাতীয় মহিলা সংস্থা কালীগঞ্জ শাখার চেয়ারম্যান আমিনা বেগম প্রমুখ।

 

পরে মেলায় অংশগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা হিসেবে ১ম আফরিন, ২য় আমিনা আক্তার এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন ফুন্ডাসিয়ন ইন্টারভিডা।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

সিরাজগঞ্জে নারী উদ্যোক্তা মেলা

2220140313122046

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, সিরাজগঞ্জ : ‘শ্রমবাজারে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ, নিশ্চিত করবে নারীর ক্ষমতায়ন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে উদ্বোধন করা হয়েছে নারী উদ্যোক্তা মেলা-২০১৪।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশনে মুক্তির সোপান মঞ্চে দুই দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন। পরে নারী মুক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান নিয়াজী সুলতানার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কে এম আলী আজম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, জেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রতন, মানব মুক্তি সংস্থার উপ-পরিচালক আমির হোসেন, প্রকল্প সমন্বয়ক মনিরা সুলতানা প্রমুখ।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

বাল্য বিয়ের প্রস্ততিকালে আটক ৫

atok

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম,গাজীপুর : বাল্য বিয়ে পড়ানোর প্রস্ততিকালে রোববার রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের সরল  গ্রাম থেকে কাজী, কনে, বর ও বরের পিতাসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা হলেন- সরল গ্রামের সালাম মোল্লার ছেলে সাহাজ উদ্দিন ওরফে সাহেব আলী (৪০) ও তার ছেলে (বর) সাদ্দাম হোসেন (২২), কাজী’র দুই  সহকারী মোশারফ হোসেন (৩৫) ও জহিরুল সরকার (৩০) এবং কালীগঞ্জ উপজেলার সাতানিপাড়া এলাকার প্রবাসী আকবর হোসেনের মেয়ে (কনে) আমেনা আক্তার (১৫)।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রেমের টানে আমেনা রোববার সাদ্দামের বাড়িতে যায়। পরে সদ্দামের স্বজনরা তাদের বিয়ের আয়োজন করে। খবর পেয়ে আমেনার স্বজনারা বিষয়টি পুলিশে জানায়। পরে বিয়ের প্রস্তুতি নেয়ার সময় ওই ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।

 

জয়দেবপুর থানার পূবাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মোবারক হোসেন জানান, আমেনা কালীগঞ্জের তুমুলিয়া এলাকার একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

কাপাসিয়ায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত

rape

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম, গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দেওনা গ্রামের প্রবাসী সাখাওয়াত হোসেনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে  (১৬) কে পাশ্ববর্তী বাঘিয়া গ্রামের আমীন নামক এক বখাটে ধর্ষণ করেছে। গ্রামবাসী ধর্ষককে পুলিশে দিয়েছে।

 

কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই ইকবাল জানায় গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি ঘরে আটকিয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করেছে। মেয়েটির চিৎকারে গ্রামবাসী ধর্ষক আমিনুল ইসলাম আমীনকে (২৪) হাতে নাতে আটক করে থানায় দেয়। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা (নং ১২) দায়ের করেছে। ধর্ষক আমীন বাগিয়া গ্রামের আ. কুদ্দুছের ছেলে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/১৮ফেব্রুয়ারি২০১৪

গরমে পরিপাটি বিছানা

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: পরিপাটি বিছানা শোবার ঘরে বিছানা থাকবে এ তো জানা কথা। এর জন্য তো মাপজোকের দরকার নেই। আর শোবার ঘর তো বৈঠকখানা নয় যে বাহারি সাজ চাই। কিন্তু এ ধারণা এখন বাতিল।

4-final-bg20120515144413

*শোবার ঘরে খাট রাখার জন্য সঠিক স্থান নির্বাচন করুন। সরাসরি দরজা বরাবর খাট রাখবেন না। সম্ভব না হলে এমনভাবে খাট রাখুন, যাতে দরজা থেকে পায়ের অংশ দেখা যায় কিন্তু মাথা বা ওপরের অংশ দেখা না যায়।

*খাটের অবস্থান হবে উত্তর-দক্ষিণমুখী। মাথার দিকটা দক্ষিণে হওয়া ভালো। পূর্ব-পশ্চিমে খাট রাখতে হলে মাথার দিকটা পশ্চিম দিকে দিন।

*ঘরে জানালা থাকলে খাটের মাথার অংশ জানালার পাশে রাখুন। খাটের অবস্থানের ক্ষেত্রে সিলিং ফ্যানও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিলিং ফ্যান বরাবর খাট ফেলুন।

*বিছানার বিপরীতে ড্রেসিং ইউনিট না রেখে একপাশে বা কর্নারে রাখুন। আলমারি, কেবিনেট বা টিভি রাখতে পারেন বিছানার বিপরীতে।

*শোবার ঘরে ছোট্ট পরিসরে বসার ব্যবস্থা করতে চাইলে তা খাটের পাশে বা জানালার পাশে রাখুন।

*ঘরের আয়তন অনুযায়ী খাটের আকার-আয়তন নির্বাচন করুন। লো হাইট খাট ঘরকে বড় দেখায়, তাই ছোট আয়তনের ঘরে কম উচ্চতার ছিমছাম ডিজাইনের খাট বেছে নিন। বড় ঘরে নকশাদার খাট ভালো মানাবে।

*শোবার ঘরে খাটই মুখ্য। তাই খাটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ওয়ার্ডরোব, আলমারি, কেবিনেট, ড্রেসিং ইউনিটসহ অন্যান্য ফার্নিচার বেছে নিন।
*বিছানার চাদর নির্বাচন করুন ঘরের পর্দার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।

*বিছানার ওপর ছোটবড় বিভিন্ন আকৃতির কয়েকটি কুশন রাখুন। কুশন রঙিন হলে বিছানার চাদর একরঙা বেছে নিন। আবার ফুলেল নকশা বা প্রিন্টের চাদরের সঙ্গে একরঙা কুশন রাখুন।

*বঙ্ খাটের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে মাথার কাছে তাক দেওয়া থাকে। সেখানে রাখতে পারেন দু-একটা শোপিস, ফটোফ্রেম বা ইনডোর প্লান্ট।

*খাটের সামনে বিছিয়ে দিন রুচি অনুযায়ী শতরঞ্জি, কার্পেট, পাপোশ বা শীতলপাটি।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৪মার্চ,২০১৪

ফেইসবুকে ‘বাংলাদেশি গহনা’র বিশাল আয়োজন

2

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে রুচী ও ফ্যাশন। এখন ফ্যাশন মানে শুধুই চমৎকার একটা কালার কম্বিনেশন আর নয়া কাটের পোশাক নয়, এর সঙ্গে নিত্যনতুন গহনার পারফেক্ট ম্যাচিংটাও থাকা চাই।  আসলে গহনাটা ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গও বটে।

হাল আমলের ব্যস্ত জীবনে আপনার দোরগোড়ায়ে এই গহনা পৌঁছে দিতে ফেইসবুকভিত্তিক ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে দেশী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশি গহনা’। SO FASHIONABLE SO REASONABLE-স্লোগান নিয়ে ফেইসবুকে তাদের জুয়েলারি সামগ্রীর প্রদর্শনী চলছে।

ফেইসবুকে বাংলাদেশি গহনার পেজটিতে ( www.facebook.com/pages/Bangladeshi-Gohona/183858221659041 )  ডায়মন্ড কাট জুয়েলারি, গোল্ড প্লেটেড ইন্ডিয়ান জুয়েলারি, ব্রাইডাল সেট জুয়েলারি, পিওর সিলভার জুয়েলারি, কপার, ইমিটেশন, অরিজিনাল কুন্দন জুয়েলারি, ২৪ কেরেট গোল্ড প্লেটেড সিলভার, কিউবিক জারকান সেট, লকেট ও নেকলেসসহ অসংখ্য নকশার ও আইটেমের জুয়েলারির প্রদর্শন করা হচ্ছে।

ডিজাইনার সাবরিনা আক্তার টিনার নকশায় বাহারি নকশার জমকালো সব সেট পাওয়া যাচ্ছে ফেইসবুক পেজটিতে। আগ্রহীরা অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে অর্ডার দিতে পারবেন। ৩ হাজার টাকার পণ্য ক্রয়ে রয়েছে দেশের যে কোন প্রান্তে ফ্রি হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা।

‘বাংলাদেশি গহনা’র উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার সাবরিনা আক্তার টিনা বলেন, ‘আধুনিক ডিজাইনের কারণে আমাদের পণ্যের চাহিদা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও বর্তমানে আমাদের গহনাগুলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, ইউকে, ইটালি, স্পেন, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে। নিরাপত্তার কথা ভেবে ও সঠিক ডেলিভারির জন্য দেশের বাইরে জুয়েলারি পণ্য পাঠানো হচ্ছে ফেডএক্স কুরিয়ারের মাধ্যমে।’

তিনি জানান, দেশের গ্রাহকরা বর্তমানে ব্যাংক আকাউন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারছে। বাইরের গ্রাহকরা ভেলিড এক্সচেঞ্জ হাউস অথবা ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকেন। খুব শিগগিরি ভিসা, মাস্টার কার্ড ও পেপালের মাধ্যমে দাম পরিশোধের সুবিধা আমরা চালু করছি।

‘বাংলাদেশি গহনা’র প্রসার ও প্রচারের ক্ষেত্রে ফেইসবুক নির্বাচন করার কারণ সম্পর্কে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা অতি সহজেই বিরাট জনগোষ্ঠীকে আকৃষ্ট করা যায়। এর ব্যপ্তি অসীম যার মাধ্যমে অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তুলা যায় এবং আমাদের দেশীয় পণ্য পুরো বিশ্বের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন ক্রেতা পাওয়ার বিষয়টিও অনেকটাই সহজতর।

তিনি জানান, গহনাগুলোর বেশিরভাগই দেশে তৈরি করছি এবং নিজস্ব ডিজাইনকৃত। পাশাপাশি আমাদের ব্যপ্তি যেহেতু এখন বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে তাই গ্রাহকের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে এক্সক্লুসিভ ইমপোর্টেড জুয়েলারিও আমরা সেল করছি। গহনা ছাড়াও শাড়ি, সালওয়ার কামিজ ও পার্টি ব্যাগও আমাদের পণ্যের তালিকায় রয়েছে।

বাংলাদেশি গহনার ফেইসবুকের ঠিকানা : www.facebook.com/pages/Bangladeshi-Gohona/183858221659041 ।
ওয়েবসাইট : www.bangladeshigohona.com ।
ফোন: +৮৮০১৬৮৩২৫২৯৯৯, +৮৮০১৯৩৬০০৭০৬০।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৪মার্চ,২০১৪

মিরপুরের বেনারসী পল্লীতে লীলাবালি

top20140305190732

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন হাউজ লীলাবালির নতুন শো-রুম চালু হয়েছে মিরপুর বেনারসী পল্লীতে। সম্প্রতি সুবিশাল পরিসরের শো-রুমটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিজাইনার সেলিনা ইসলাম ও আফসানা মুনমুন, লাক্স সুন্দরী অরিনসহ অনেকে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদা ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে তৈরি বিশ্বমানের পোষাক সুলভমূল্যে ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। এখানে এসে প্রতিটি তৈরি পোষাকে ক্রেতারা ভিন্নতা  খুঁজে পাবেন।

 

মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবিন বলেন, দারুণ দারুণ ডিজাইনের পোশাক এনেছে লীলাবালি। এদের কাপড়ও আন্তর্জাতিক মানের। সব মিলিয়ে কেনাকাটার জন্য বিদেশমুখীদের পথ অনেকটাই বন্ধ করে দিচ্ছে এই ফ্যাশন হাউজ। লীলাবালিতে নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোষাকের পাশাপাশি ক্রেতারা বিশ্বখ্যাত নানা ব্র্যান্ডের গার্মেন্টস ও শাড়ী সুলভমূল্যে কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। ঠিকানা: বাড়ি: ৭/৮(২য় তলা), লেন-০১, বেনারসী পল্লী, মিরপুর-১০, ঢাকা।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৪মার্চ,২০১৪

এই গরমে যত্ন

gorome-nijer-jotno অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: গরমের কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। গরমে চুলের গোড়া ঘেমে যায়।সঙ্গে ধুলোবালির আক্রমণ তো আছেই। অনেক সময় অতিরিক্ত গরমে মাথায় খুশকি বা ঘামাচি বের হয়।তাই যতুটুকু সম্ভব চুল ঢেকে রাখতে হবে।এ ক্ষেত্রে নিয়ম মাফিক শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

রোদে বের হলে চুল খোলা না রাখাটাই ভালো।এ ক্ষেত্রে বেণী অথবা খোঁপা করে রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কিছু সহজ এবং আকর্ষণীয় বেণী যেমন ফিশ বেণী অথবা চুল সামনে একটু ফুলিয়ে বেণী করা যেতে পারে।

cover-gorome-nijer-jotno-1

 

কিছু সহজ খোঁপা, যেমন– ফ্রেঞ্চ রোল খোঁপা, চুড়া-জুড়া, টুইস্ট বান খোঁপা করা যেতে পারে। বাইরে থেকে এসে ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।এতে মুখ থেকে ময়লা চলে যাবে এবং ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। গরমে মুখের তৈলাক্তভাব বেড়ে যায়, যা বারবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস, শশার রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখের তৈলাক্তভাব অনেকখানি কমে যাবে। অথবা, মসুরডাল বাটা, শশার রস ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।

 

এছাড়া কাঁচা হলুদ, বেসন, শশার রস ও গাজরের রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। কাঁচা হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করে। তবে প্যাকে বা মিশ্রণে কাঁচা হলুদের পরিমাণ বেশি হলে মুখ কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সূর্যের তাপে হাত-পা কালো হওয়া থেকে বাঁচাতে বড় হাতার জামা এবং পায়ের পাতা সম্পূর্ণ ঢেকে রাখে এমন জুতা পরা উচিত।ধুলোবালি এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি হতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সানক্রিম, সানগ্লাস, টুপি, ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৪মার্চ,২০১৪

ভেজাল চিনি চেনার সহজ উপায়

chini

 

 অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: আজকাল কিসে ভেজাল নেই বলুন? খাবারের ওজন বাড়াতে দেয়া হয় ভেজাল, দাম কমাতে দেয়া হয় ভেজাল, এমনকি খাবারকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার জন্য দেয়া হয় ভেজাল। চিনির ক্ষেত্রেও এই কথা প্রযোজ্য। লক্ষ্য করে দেখবেন, আজকাল চিনির চেহারা ভারী সুন্দর। ধবধবে সাদা, মিহি গুঁড়োর চিনি। কিন্তু দেখতে যত সুন্দর, আসলেই কি ততটা সুন্দর এই চিনি? আসুন জেনে নেই ভেজাল চিনিতে ভেজাল নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি।

প্রায়ই দেখবেন যে চিনিটা খাচ্ছেন, সেটায় মিষ্টি খানিকটা কম। এমনিতে হয়তো এক চামচ চিনি খান, তখন দিতে হচ্ছে দেড় বা দুই চামচ। আবার দেখবেন খাবার গরম অবস্থায় খাবার একটু মিষ্টি লাগলেও, ঠাণ্ডা হবার পর হয়ে যাবে পানসে, যাকে বলে ভালো চিনির সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা।

চিনি ভালো মন্দ নির্ণয় করার জন্য করতে হবে পিঁপড়া টেস্ট! খানিকটা চিনি ফেলে রাখুন কোথাও। যদি পিঁপড়া এসে আক্রমণ করে, বুঝবেন যে চিনিটা ভালো। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হতাশ হবেন। আজকাল চিনিতে এত বেশি ভেজাল যে পিঁপড়া ধরতেই দেখা যায়না।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৪মার্চ,২০১৪

এবি ফ্যাশন নিয়ে এলো সব বয়সীর পোশাক

(JPEG Image, 201 × 300 pixels)

অপরাজিতাবিডি ডটকম, ঢাকা: আসি আসি করছে গ্রীষ্মকাল। এরই মধ্যে গরমকালের পোশাকের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। বিষয়টি মাথা রেখে ফ্যাশন হাউস ‘এবি ফ্যাশন মেকার’ নিয়ে এসেছে গ্রীষ্মের উপযোগী নানা ধরণের পোশাক।

যেহেতু প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের প্রভাব বাড়ছে। তাই পোশাকের ফেব্রিক আর রঙে প্রাধান্য পেয়েছে দেশীয় আবহাওয়া। এবি ফ্যাশনের পোশাকের ক্যানভাসে গ্রীষ্ম কিছুটা ফেস্টিভমুডে ফিউশনের আদলে তুলে ধরা হয়েছে। তরুণীদের কুর্তার পাশাপাশি থাকছে কটনের এর বিভিন্ন আউটফিট।

top.lifestyle20140311175921

তরুণীদের জন্য ক্যাটিং, নেক লাইনে ভিন্নতায় তৈরি সালোয়ার কামিজ, কুর্তা যেগুলোর নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে ফুলেল, সার্কেল, গোল্ডেন-লেসসহ ব্লক মোটিভ।

২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত পোশাকের এই ফ্যাশন হাউসটি, ডিজাইন ও ফ্যাশনে দেশে বৈচিত্রতা আনায় দ্য ডেইলি স্টার ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা, পাক্ষিক আনন্দ আলো এবং ভোরের কাগজ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। সালোয়ার কামিজ, টপস, ফতুয়া, স্কার্ট, শিশুদের পোশাক, পাঞ্জাবিই বেশি তৈরি করে থাকে এবি ফ্যাশন মেকার।

পোশাকের ডিজাইনের মোটিফ দেশীয় হলেও কাটিং-প্যাটার্নে পাশ্চাত্য স্টাইল অনুসরণ করা হয়েছে। পোশাক এর খোঁজে যেতে পারেন ২৮ গোল্ডেন গেইট শপিং সেন্টার, মিরপুর রোড, ঢাকা এই ঠিকানায়।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১৪মার্চ,২০১৪

লেখার জন্য আমি আমার ঘরটাই ছেড়ে আসলাম

সুলতানা রিজিয়া। বাংলাদেশের প্রকাশনা, সম্পাদনা ও সাহিত্য জগতে অন্যতম একজন নারী। প্রকাশনা জগতে তিনিই একমাত্র নারী যিনি এটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কবি সুলতানা রিজিয়া ১৯৫০ সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে  এম এ ও বি.এড ডিগ্রি লাভ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।  কর্ম জীবন শুরু  করেছিলেন একটি দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে। পরবর্তীতে শিক্ষাকতাও করেছেন তিনি। তার সাথে কথা বলেছেন রবিউল ইসলাম আওলাদ-

 

sultana

 

প্রতিবেদক: আপনি লেখালেখির জগতে কিভাবে আসলেন?

 

সুলতানা রিজিয়া: লেখালেখির জগতটাতে আমার হটাত করে আসা না। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি করতাম। আমার লেখালেখির হাতেখরিতে বাবার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। বাবা ছিলেন একজন সাহিত্যমনা মানুষ। ছোটবেলায় তার কাছ থেকে বিভিন্ন বই নিয়ে পড়তাম। আমাদের পরিবারে গান-বাজনা ,সাহিত্য চর্চা করার সুযোগ ছিল। আমার প্রথম লেখা একটি ছড়া ছাপা হয় সেই সময় দেয়াল পত্রিকায়। সুলতানা জামান তালুকদার নামে। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। এরপর আমি ক্লাসে বসে বসে একটা গল্প লিখেছিলাম ঐই গল্পটার জন্য আট বছর পর আমি একটা পুরস্কার পেয়েছিলাম।

 

প্রতিবেদক: আপনি যখন প্রথম পুরস্কার পেলেন তখন আপনার কেমন অনুভূতি ছিল?

 

সুলতানা রিজিয়া: পুরস্কার পাওয়ার পর থেকেই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়লো। পুরস্কার পাওয়ার পর আমি আরও লেখালেখিতে বেশি সময় দিলাম। তখন মনে হলো আমিও লিখতে পারি। আর আমি ছোট বেলা থেকেই খুব কল্পনা প্রবল ছিলাম।

 

প্রতিবেদক: আপনার লেখনিতে কোন বিষয়টি প্রাধান্য পায়-

 

সুলতানা রিজিয়া: আমার লেখালেখিতে দুইটা জিনিস প্রাধান্য পায় এক হচ্ছে নারী কেন্দ্রিক। নারীরা কোন ব্যপারে কষ্ট পেলে। তাদের জীবন যাপন। আর অন্যটি হচ্ছে আমি আমার মনের মধ্যেই একটা জগত তৈরি  করে ফেলি। যে জগতটা একান্তই আমার। সেই জগতটাতে আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখার চেষ্টা করি।

 

প্রতিবেদক: আপনি নারী লেখিকা হিসেবে কোন প্রতিবন্ধকতা পেয়েছেন কিনা?

 

সুলতানা রিজিয়া: প্রথমে পেয়েছিলাম না। পরবর্তীতে পেয়েছি। প্রথমে আমি সুলতানা হক নামে লিখতাম। এই নামের পেছনেরও অনেক গল্প আছে। এই লেখালেখির কারনে আমাকে সংসারও ছাড়তে হয়েছে।

 

প্রতিবেদক: কেন আপনাকে সংসার ছাড়তে হলো, প্রথমে আপনি সুলতানা হক নামে লিখতেন এখন সুলতানা রিজিয়া নামে লেখছেন কেন?

 

সুলতানা রিজিয়া: আমার স্বামী যখন দৈনিক বার্তার সহকারি সম্পাদক পদে যোগদান করলেন। সেই সময় আমি সৌভাগ্যবসত সেই পত্রিকার মহিলা পাতার সম্পাদনার দায়িত্ব পেয়েছিলাম। আমার কাছে অনেক মেয়েদের লেখা আসার শুরু করলো। আমার দায়িত্বটা বেড়ে গেল। লেখালেখিতে প্রসংশিত হতে থাকি তখন আমার পরিবার থেকে বাধা আসতে থাকে । তো আমি সেটা মানতে পারিনি। সে কাজ আমি ২২বছর করলাম হঠাত করে যদি কেউ আমাকে ফিরতে বলে সেটা খুবই কষ্টদায়ক। এ জন্য আমি আমার ঘরই ছাড়লাম। এরপর থেকেই আমি সুলতানা রিজিয়া নামে লিখতে শুরু করলাম। এর আগে সুলতানা হক নামে লিখতাম।

 

প্রতিবেদক: প্রকাশনা জগতে কিভাবে আসলেন-

 

সুলতানা রিজিয়া: আমি যখন পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পেলাম। তখন প্রচুর লেখা আসতে শুরু করে কিন্তু সব লেখাতো এক পাতায় ছাপা যায় না। তখন আমরা সবাই মিলে একটা পত্রিকা বের করলাম। পত্রিকার নাম দিলাম অন্তরা।  পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে সেটাতে বাধাগ্রস্ত হলাম এবং এক সময় সেটা বন্ধ হয়ে যায়। পরে অন্তরা বন্ধ করে নন্দিনী করলাম। এভাবেই আরকি প্রকাশনা জগতে আসা।

 

প্রতিবেদক: লেখালেখি এবং আপনার পরিবার এই দুইটার মধ্যে আপনি কি ভাবে সমন্বয় করতেন?

 

সুলতানা রিজিয়া: আমি তো অনেকগুলো কাজ করতাম। শিক্ষকতা,পত্রিকা সম্পাদনা, নন্দিনী পত্রিকার দায়িত্ব, ছেলেমেয়ে মানুষ করা। এছাড়া পরিবারের কাজতো রয়েছেই। তো আমার পরিবার ছিল খুব শৃঙ্খলিত পরিবার। সবাই সবার মতো কাজ করতো।  সব কাজ গুলো নিয়ম মেনে করতাম। সবাই সবাইকে সহযোগিতা করতো। আর আমি সব কাজ রুটিন মাফিক করতাম। যার কারনে কোন সমস্যায় পরতে হয়নি।

 

প্রতিবেদক: লেখালেখির জন্য তো আপিন অনেক কিছু ত্যাগ করলেন, নিজের পরিবার সন্তান, এখন দেখছি আপনি একাকি জীবন যাপন করছেন সব মিলিয়ে আপনার জীবন কেমন কাটছে?

 

সুলতানা রিজিয়া: খুব ভালো! আমি আমার মতো করে বাচতে চাই।  আমি তো ৪০ বছর বয়সে সংসার ছেড়ে আসি। এরপর লেখালেখি একটা এনজিওতে কাজ করেছি সেটাও লেখালেখি বিষয়কই কাজ।  বলতে গেলে আমার জীবন লেখালেখি কেন্দ্রেকি ছিল। তার পর এই একাকি জীবন।  মানুষ পৃথিবীতে একাই। তাই আমি মনে করি একা চলতে পারাটাই একটা স্বাধীনতা।আমি সেই স্বাধীনতা পেয়েছি।

 

প্রতিবেদক: আপনার প্রকাশনার বর্তমান অবস্থা কি?

 

সুলতানা রিজিয়া: আমার প্রকাশনা অবস্থা খুব ভালো। এখানে অনেক নতুন নতুন বই বের হচ্ছে। অনেক লেখক লেখিকাদের বই প্রকাশিত হচ্ছে।

 

প্রতিবেদক: এবারের বই মেলায় আপনার লেখা কোন বই বের হয়েছে কি না?

 

সুলতানা রিজিয়া: এবারের বই মেলা আমার কোন বই প্রকাশিত হয়নি। আমার প্রকাশনা থেকে অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম/আরআই/এ/১০মার্চ২০১৪

প্যারেন্টিং এর অ আ ক খ

kids_lessons39420_0

কানিজ ফাতিমা:

প্যারেন্টিং শব্দটা আমরা খুব বেশী দিন হয়নি শুনছি। যদিও পৃথিবীর শুরু থেকেই বাবা মায়েরা সন্তাল লালন পালন করে আসছেন কিন্তু এটা যে শেখার মতন একটা বিষয় সেটা আমরা অনুধাবন করছি মাত্র কয়েক বছর হলো। আমরা বুঝতে পারছি অন্তত এই যুগে পারেন্টিংকে “এমনি এমনি ” হয়ে যাবার বিষয় হিসাবে ছেড়ে দেবার কোনো সুযোগ নাই। এটা আমাদের কাছে পরিস্কার যে ভালো ও যথাযথ প্যারেন্টিং এর জন্য দরকার দক্ষতা ও প্রস্তুতি। এর জন্য দরকার পড়াশুনা ও প্রাকটিস। শিশুদের লালন পলনে বাবা মায়েদের যা জানা দরকার একজন শিক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে তা আজ তুলে ধরার চেষ্টা করব। পারেন্টিং এর জন্য প্রথমেই যেটা বোঝা দরকার তা হলো আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে কোন শক্তি গুলো মূল প্রভাবক হিসাবে কাজ করছে। বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা ৩ টি জিনিসের ওপর নির্ভরশীল।

 

১. পারেন্টিং-বাবা-মা ও অন্যান্য অভিভাবকরা বাচ্চাকে কিভাবে বড় করছেন এবং তারা নিজেরা নিজেদের ভেতর কেমন পারস্পরিক আচরণ করছেন ।

 

২. স্কুল সিস্টেম – শিক্ষক-শিক্ষিকার মান ও চরিত্র, কারিকুলাম, বইসহ অনান্য লেখাপড়ার উপাদান, অভিভাবকদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও দর্শন কেমন ।

 

৩. বন্ধু ও মিডিয়া – বাচ্চারা মিডিয়াতে কি দেখছে ও বন্ধুদের কি করতে দেখছে। এই প্রভাবক গুলা এতটাই পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত (interrelated) যে প্রত্যেকটা প্রত্যেকটাকে প্রভাবিত করে। এই তিনটি উপাদান যদি পজিটিভ হয় তবে শিশুর বেড়ে উঠা সুসম হবে। তাই বাবা মায়েদের মনে রাখতে হবে পারেন্টিং এর পাশাপাশি অন্য দুটি প্রভাবককেও আমলে আনা জরুরী । এটাকে আমরা একটা ত্রিভূজের সাথে তুলনা করতে পারি -ত্রিভুজের উপরের চুড়াতে অবস্থান করেন বাবা মা।

 

কারণ একজন সচেতন বাবা-মা বাকী উপাদান দুটোকে অনেক বেশী প্রভাবিত করতে পারেন। যেমন ধরুন স্কুল সিস্টেমের ব্যাপারে, সচেতন বাবা মায়েরা শুধু স্কুলের সুনাম বিবেচনা না করে সুনামের পাশাপাশি স্কুলের মূল্যবোধ, শিক্ষকদের আচরণ, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়গুলোও বিবেচনা করবেন। শুধু স্কুলের কারিকুলামের বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য উপকারী বই বাচ্চাকে নিয়ে পড়বেন । বাসায় বাচ্চার জন্য ও নিজেদের জন্য ছোট করে হলেও লাইব্রেরী রাখবেন।

 

মনে করছেন, অনেক জায়গা লাগবে? একটা আলমারী এমনকি আপনার ড্রেসিং টেবিলের এক পাশকেও ব্যবহার করতে পারেন লাইব্রেরী হিসাবে। বাচ্চার স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা খুবই জরুরী। নিজের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি অনেক কিছুই আপনার চোখে পরার আগে শিক্ষকের চোখে পরে। প্যারেন্ট মিটিং এ নিয়মত যাওয়া বাব-মায়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর অন্যতম। এভাবে বাবা মায়েরা স্কুল সিস্টেমের অনেক কিছুকেই প্রভাবিত করতে পারে এবং বাচ্চার জন্য পসিটিভ হিসাবে নিশ্চিত করতে পারে।

 

বাচ্চার বন্ধু তৈরী করতে সক্রিয় ভুমিকা নিন। আপনার বাচ্চার বয়স যখন ৬.৭.৮.৯.১০ তখনি তার চারপাশ থেকে কে কে তার বন্ধু হতে পারে তা খেয়াল করুন। তাদের পরিবার সম্পর্কে খোজ নিন। তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে আপনারা বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ুন – এভাবে নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার সন্তান কেমন পরিবারের সন্তানের সঙ্গে মিশছে।

 

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত দিন , তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকুন। কৈশোরে ভুল বন্ধু বেছে নেবার ঝুকি এভাবে আপনি শৈশবেই কমিয়ে ফেলতে পারেন। মিডিয়ার ব্যাপারে নিজে সচেতন হন। নিজে এমন কিছু দেখবেননা যা আপনি চাননা আপনার বাচ্চা করুক। টিভি চানেলে ভালো কিছু না থাকলে youtube থেকে ভালো জিনিস ডাউনলোড করে রাখুন , পরে বাচ্চাকে নিয়ে দেখুন।

 

সপ্তাহে একদিন মুভি নাইট করতে পারেন – মুভে দেখার পর এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা একটি ভালো শিক্ষনীয় ব্যাপার। এতে বাচ্চরা মিডিয়ার সবকিছুকেই যে প্রশ্নাতীত ভাবে বিশ্বাস করতে হয়না সেটা শিকে যায়।

 

সর্বশেষ মনে রখবেন পারেন্টিং এর কোনো সর্টকাট রাস্তা নেই। বাচাকে প্রচুর সময় দেয়া এবং তাকে নিয়ে বিরামহীন পরিকল্পনা করাই নিশ্চিত করবে আপনি কতটা ভালোভাবে বাচ্চাকে মানুষ করছেন। আজ ব্যস্ততার অজুহাতে যা অবহেলা করবেন কাল হয়ত তা হাতের নাগাল থেকে বেরিয়ে যাবে। সময়ে এক ফোড়ে যা হবে অসময়ে দশফোড় দিয়েও হয়তো তা সম্ভব হবে না।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস সংখ্যা

8 march

 

অপরাজিতাবিডি ডটকম: নারী দিবস উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায় সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস। নারী দিবসের শুরু ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে নারী মজুরি বৈষম্য, শ্রমঘন্টা ১২ ঘন্টার কমিয়ে ৮ঘন্টা করানোর জন্য ও কাজের সুস্থ এবং কর্মোপযোগী পরিবেশের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। তার তিন বছর পর ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’।

 

১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। 

 

১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হওয়া শুরু হয়। বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/৮মার্চ২০১৪

বেড়েই চলেছে আত্মহত্যা

অপরাজিতা ডেস্ক

 attohotta

 

রাজধানী ঢাকার খিলগাঁও, সি ব্লক বউবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলমগীরের কন্যা ডা. আসমা সুলতানা (৩০)। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সুদীর্ঘ ১০ বছর প্রেম করে ইঞ্জিনিয়ার স্বামী মাহাদী মাসুদকে দু’বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। ৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার  কক্সবাজারের হোটেল মোটেল জোন কলাতলী সি-বিচ রিসোর্ট- এ ১১০ নম্বর কক্ষ থেকে সুইসাইড নোটসহ আসমার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

গৃহবধূ বিউটি বেগম (২৫)। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের কন্যা। একই উপজেলার আমবাগান গ্রামের মিঠু মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয় ২০১০ সালে। দু’বছর পর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। স্বামী মিঠু মিয়া আবারও বিয়ের কথা বলে বিউটিকে কালীগঞ্জের কোলা গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কলাবাগানে তার সহযোগীদের নিয়ে শারীরিক নিপীড়ন করে। এর ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হয়। হাতে হাতে পৌঁছে যায় এ ভিডিও চিত্র।  লজ্জা অপমান সইতে না পেরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি  বিউটি বেগম তার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

 

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মুর্শিদ মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাসি আক্তার জ্যোতি (১৫) স্থানীয় সুস্মিত সুলতান (২০) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তার কপট প্রেম বুঝতে পারেনি জ্যোতি। মনপ্রাণ উজাড় করে দেয় সুস্মিতকে। প্রেম গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। প্রতারক প্রেমিক সুস্মিত তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ফেসবুকে আপলোড করে। এরপরই  লজ্জায় অপমানে জ্যোতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। প্ররোচনার অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সুস্মিত এখন কারাগারে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রভাবশালীরা চাপ দিচ্ছে জ্যোতির পরিবারকে। একদিকে মেয়ে হারানোর শোক, সামাজিক অসম্মান আর অন্যদিকে বিচার না পাওয়ার শঙ্কায় মুষড়ে পড়েছে জ্যোতির পরিবার।

 

এতো গেল আত্মত্যার খবর। পত্রিকার পাতা খুললেই প্রতিদিনই চোখে পরে নারী নির্যাতেনর প্রতিচ্ছবি। নারীদের আত্মহত্যার এমন প্রবণতা এবং নির্যাতন বাড়ছে দিন দিন। বিভিন্ন নারী সংগঠন ও বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী নারীদের আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক। নির্যাতন বা মর্যাদাহানির কারণে মেয়ের আত্মহত্যার অনেক খবর প্রকাশ হয় না বলে এর সঠিক পরিসংখ্যানও পাওয়া যায় না এসব সংস্থার দাবি। তবে সংস্থাগুলো বলছে, আত্মহত্যাকারীদের বেশির ভাগই বিভিন্ন বয়সী নারী।

 

নারী সংগঠনগুলোর অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রেমিক স্বামী কিংবা আপনজনের কাছ থেকে প্রতারিত ও ব্যর্থ হয়ে হতাশা, লজ্জা, ক্ষোভ, অপমান ও লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন বয়সের নারীরা। এদের মধ্যে স্কুল, কলেজের ছাত্রী, গৃহবধূর সংখ্যাই বেশি। গ্রাম, শহর, পাড়া, মহল্লা সবখানেই উদ্বেগজনকভাবে এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

 

সহিংসতার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, খুন, ধর্ষণ চেষ্টা, যৌন হয়রানি, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের জন্য নির্যাতনসহ নানা ঘটনা। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আত্মহত্যা করেছেন প্রায় তিন হাজারের বেশি বিভিন্ন বয়সী নারী। নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলছেন সরকার বা পুলিশ বিভাগের কাছে এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই আর থাকলেও তারা তা প্রচার করতে অনিচ্ছুক। প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি।

 

গত ১২ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আইনি সংস্থা লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ দেশে নারী নির্যাতন ও আত্মহত্যা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ সংক্রান্ত তথ্য। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ২০১৩ সালে বিভিন্ন বয়সী নারীদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৩৮৬টি। এর মধ্যে প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৩৭টি।

 

 

বাংলাদেশ মহিলা পরিষেদর সভাপতি আয়শা খানম বলেন, এটা খুব অবক্ষয়ের ব্যাপার। এটা ঠিক না। তিনি মনে করেন আত্মহত্যা কোনো সমাধান না। এটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আয়শা খানম আরো বলেন, হত্যা-নির্যাতনের প্রকৃতি এত ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর রূপ লাভ করছে যে, ভাবতে অবাক লাগে। মানুষের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক এত নির্মম রূপ পায়, যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। তিন আরও বলেন, নারীরা সামাজিক আন্দোলনে রাজনৈতিক আন্দোলনে আসছে। বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রতীকি ভাবে বাড়ছে । কিন্তু নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং আইনি প্রদক্ষেপ নেয়ার দরকার বলেও মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে নারীর ক্ষমতা বর্তমানে রয়েছ এটার ধারাবাহিক এবং স্থায়ীরুপ দিতে হবে। সমাজ এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।

 

আত্মহত্যার তালিকায় বাসাবাড়ির গৃহপরিচারিকাও রয়েছেন। গৃহকর্তা বা গৃহকর্তীর মানসিক নিপীড়নে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে তারা। তাদের সংখ্যা ২৫। এছাড়া যৌন হয়রানির কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ২৪টি। বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ২২ জন নারী। এসব আত্মহত্যার নেপথ্যে থাকে প্রেমঘটিত প্রতারণা, বিশেষ মুহূর্তের গোপন ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ, ফেসবুক প্রতারণা, গোপন তথ্য ফাঁস হওয়া, জীবনসঙ্গীর পরকীয়া বা অন্য নারীর প্রতি আসক্তি, পারিবারিক মনোমালিন্য ও মানসিক নিপীড়ন, অভিভাবকদের অতিমাত্রায় শাসন, ইভটিজিং, যৌন হয়রানি, যৌতুক, প্রেমের সম্পর্কে জটিলতাসহ নানা কারণ। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের বলে মনে করছেন আইন, মানবাধিকার ও নারী সংস্থার নের্তৃবৃন্দ।

 

খুশী কবির বলেন, নারীদের আত্মহত্যার প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। যদিও বিষয়টি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। বিশেষ ক্ষেত্রে আইন, সমাজের পাশাপাশি পরিবারও একজন নারীকে যথাযথ সমর্থন দেয়নি বা দেয় না। আর তখনি একজন নারী হতাশা, ক্ষোভ অভিমান নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

 

খুশি কবির বলেন, যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। কখনও দেখা যায় হত্যার নামে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়। তাই নারীদের নিয়ে সমাজ ও পরিবারকে তার চিন্তাধারা বদলাতে হবে। এ দায়িত্বটি মূলত পুরুষদের। তাদের মানসিকতাও পরবির্তন করতে হবে। তিনি বলেন,  যতক্ষণ পর্যন্ত না মানসিকতার পরিবর্তন হবে ততক্ষণ এ অবস্থা চলতেই থাকবে। এক্ষেত্রে আইনের যথযথ প্রয়োগ, বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত একান্ত জরুরি।

 

নারী নেত্রী, মনোবিজ্ঞানী ও আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সাধারণত নারীরাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।

 

একজন সরকারি আইনজীবী (সহকারী  এটর্নি জেনারেল) এ বিষয়ে বলেন, নারীদের আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে,  সেক্ষেত্রে মামলা হলেও শাস্তির নজির খুব একটা চোখে পড়ে না। এজন্য দায়ী আত্মহত্যার প্ররোচনার আইনগত সঠিক সংজ্ঞা না থাকা, মামলায় তথ্য, প্রমাণ, সাক্ষীর অভাব। যে কারণে নিম্ন ও উচ্চ আদালত থেকে আসামিরা সহজেই জামিন পেয়ে যায়।

 

সঙ্গত কারণে প্ররোচনাকারীদের আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না। নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বেশ ক’জন আইনজীবী বলছেন বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৯ ধারায় আত্মহত্যা করার উদ্যোগ নেয়াও একধরনের অপরাধ। সেক্ষেত্রে এক বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানার কথা বলা হলেও এই আইনের প্রয়োগ বর্তমানে নেই বললেই চলে।

 

উদ্বেগজনকভাবে নারীদের আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সামাজিক অস্থিরতা, সহজলভ্য আকাশ সংস্কৃতি, ফেসবুক, ইন্টারনেটের সহজপ্রাপ্তি, মোবাইলের সহজলভ্যতাকেও দায়ী করছেন অনেকে। তারা বলছেন, এসব ক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

 

 

 

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, ‘রাজনৈতিক অপরাধও বাড়ছে। থানায় কেস না নিতে চাওয়া এবং আইনের আওতায় এনে অপরাধীকে শাস্তি না দিতে পারায় অপরাধ বাড়ছে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তানিয়া হক বলেন, সমাজে নারীদের শারীরিক নির্যাতন আমাদের চোখে পড়লেও তাদের প্রতি মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়ন চোখে পড়ে না। বলা হয়, নারীরা মুখ খুলতে চায় না।

 

এ জন্য তারা আত্মঘাতী পথ বেছে নেয়। তিনি বলেন, নারীরা এখনও কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে তা বোধগম্য নয়। টিনএজ বা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতার বিষয়ে ড. তানিয়া হক সরাসরি দায়ী করেন বিভিন্ন দেশের অপসংস্কৃতির আগ্রাসনকে। এ ছাড়া ফেসবুক, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার ও সহজলভ্যতাও এক্ষেত্রে দায়ী বলে মনে করেন তিনি। তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/৮মার্চ২০১৪

নারীর অগ্রগতির জন্য নারী সহায়ক পরিবেশ প্রয়োজন

regular_5522_news_1394215149সেলিমা আহমদ। মা-মরহুমা রহিমা হক, বাবা-মরহুম এ কে এম ফজলুল হক। বাবা মেয়েকে ভীষণ আদর করতেন। কারণ, কন্যাটি ছিল বাড়ির সবচেয়ে ছোট্ট মেয়ে। পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া স্বচ্ছ জলের মতো সারা দিন ননস্টপ কথায় বাবা ফজলুল হক এতটুকু বিরক্ত হতেন না। মেয়েকে তার বুকের কাছে আগলে রাখতেন আর ইহলৌকিক, পারলৌকিক ও দিব্য জগতের নানান বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান দিতেন। গল্পচ্ছলে বাবা মেয়েতে চলত নানা আলাপচারিতা সারা দিন ঘরেবাইরে পুতুল খেলার ঘরে, মাঠে, স্কুলের সব আলাপ যেন ছোট্ট সেলিমা জমিয়ে রাখত বাবা অফিস থেকে ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। স্কুলের নিয়মশৃঙ্খলা, সময় ধরে একটানা দুই ঘণ্টা পরীক্ষার হলে বসে লেখা এসব সেলিমার একদম ভালো লাগত না। কখনো মা এতটুকুন ফুটফরমাশ দিলে বাবা তাতে বাদ সাধত আর বলত ‘আমার ছোট্ট রাজকন্যাকে একদম কাজ করতে বলবে না ও আমার ছোট্ট টুনটুনি পাখি। মা, রাগ করলে বাবা বলত দেখো একদিন তোমার মেয়ে দেশবরেণ্য মানুষ হবে ওর মেধা আছে একদিন তা কাজে লাগবে।’ বাবা যেন ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন। বাবার কথা আসতেই সেলিমা আহ্মাদ একটু যেন থেমে গেলেন।

 

বাবাকে তিনি ভীষণ ভালোবাসতেন বাবার উৎসাহ, প্রেরণা, স্নেহমাখা আদেশ উপদেশ সব যেন পাথেয় হয়ে রয়েছে তাই ছোট্টবেলায় পড়ায় ফাঁকিঝুঁকি মারলেও কাস নাইন-টেনে এসে তা পুষিয়ে নিয়েছেন পড়াশোনায় ভীষণ রকম সিরিয়াস হয়ে। এমনি করে খুলনার ফাতেমা হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন।

 

কলেজে ভর্তি হওয়ার পরপরই তার বিয়ে হয় আবদুুল মাতলুব আহমাদের (নিটোল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান) সাথে। ভীষণ রকম উদ্যমী ও বিনয়ী এই মানুষটি স্ত্রী সেলিমাকে সব সময় তার কাজের ব্যাপারেও সহযোগিতা করেছেন, এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ১০০% সাহস জুুগিয়ে। আর তাই কোনো রকম ব্রেক ছাড়াই হলি ক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে বিকম (সম্মান) এমকম ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই বড় ছেলে আবদুল মুসাব্বির আহমাদ, নিটোলের জন্ম হয়। সেলিমা আহমাদ ছাত্রাবস্থায়ই সংসার-সন্তান লালনপালনের সাথে সাথে হ্যান্ডিক্রাফট রফতানির মাধ্যমে তার বিজনেস শুরু করেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের তৈরি নানা রকম প্রয়োজনীয় সব উৎপাদিত পণ্য দেশে-বিদেশে সম্মান ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়তা করছে আজো। সারা দেশে তার কর্মীবাহিনীর সংখ্যা হাজার হাজার। যারা নিজেরাও আজ স্বাবলম্বী। উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ফাউন্ডার প্রেসিডেন্টও তিনি। বর্তমানে তিনি নিটল নিলয় গ্রুপে অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর ভাইস চেয়ারপাসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশাল এ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তিনি পরিচালনা করেন সফলতার সাথেই।

 

ব্যক্তিগত জীবনে সেলিমা আহমাদ অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী ও মমতার আধার। তাই তো তার শুভাকাক্সীর সংখ্যা অনেক। সেলিমা আহমাদের ছোট ছেলে আব্দুল মারিব আহমাদ নিলয় (ভাইস চেয়ারম্যান নিটোল নিলয় গ্রুপ) মায়ের কাজকর্মে সব সময় সহযোগিতা করেন। তাদের গ্রুপ অব বিজনেসে সবাই অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা এই নারী ব্যক্তিত্বকে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান ‘আজকে এই সময় নারীরা সারা বিশ্বে তার মেধা মননে অনেক বেশি এগিয়ে এসেছে। বিশ্বায়নের এই যুগে গ্রামবাংলার নারীরাও অনেক বেশি কর্মক্ষম হয়ে নিজের ও পরিবারের অবস্থার পরিবর্তন করছে। এতে একটি পরিবার, তারপর সমাজ, তারপর দেশের আপাত চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। খুব বেশি দিন লাগবে না এর ব্যাপক প্রসার হতে। তবে এর জন্য প্রয়োজন ঘরের পিতা-মাতা ও পরে স্বামী বা শ্বশুর বাড়ির মানুষদের সহযোগিতা। তা না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, ৮০-র দশকে আমি যখন ব্যবসায় শুরু করি তখন একজন নারীর জন্য ব্যবসায় বাণিজ্যের সাথে যুক্ত হওয়া অনেক বেশি সমস্যা ছিল। নারীকে ব্যবসায়ী হিসেবে দেখতে তখনো সমাজ অভ্যস্ত ছিল না। কিন্তু আজকে উদ্যোক্তারা নিজ কর্মক্ষেত্রে, ব্যাংকে, এয়ারপোর্ট এসব জায়গায় গেলে তেমন উল্লেখযোগ্য বিরূপতা ফেস করতে হয় না। তবে আজকে বড় সমস্যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এ অবস্থা এমনই ভয়ঙ্কর যে নারীর জন্য এটা মিট করে ব্যবসায় করা খুবই কঠিন হচ্ছে। পুলিশের অপ্রতুল সহযোগিতা মাস্তানদের উপদ্রব, এসব নারী উদ্যোক্তার জন্য বর্তমানে বড় প্রতিবন্ধকতা। ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আইআরসি, টিআইএন করতে হয়। এগুলো করতে নানা রকম অনিয়ম ও ঘুষের আশ্রয় নিতে হয়। এসব করতে যেসব অযাচিত হয়রানি তা আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা। কারণ ব্যবসায়ী কর্মজীবী নারীকে একই সাথে পরিবার, ব্যবসায় ও অন্যান্য সেক্টর দেখতে হয়। ফলে নারীর জন্য উৎকোচ হাতে ফাইলের পিছে পিছে ফেরা ও তদবির করা কঠিন এবং ওই বাধাটা কাজের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়। তিনি আরো বলেন, নারীর অগ্রগতির জন্য নারী সহায়ক পরিবেশ প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তারা অনেক পণ্য উৎপাদন করছে কিন্তু বাজারব্যবস্থায় প্রবেশ করতে পারছেন না। এসব ব্যাপারে সরকারি সহযোগিতা দরকার, পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের স্বার্থে আরো প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার।

 

উদ্যোক্তা হিসেবে বাজারে আত্মপ্রকাশের জন্য একজন নারীকে কী কী শর্ত পালন করতে হবে? এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য সর্বাগ্রে দরকার কমিটমেন্ট ও জ্ঞান, বিশেষ করে ব্যবসায়িক বিষয়ে জ্ঞান থাকা ও নিজস্ব ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করা। নিজের সেক্টরে সব নখদর্পণে থাকা। একজন সার্থক মালিক বা ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব হয় যখন তার মধ্যে সব সেক্টরের জ্ঞান থাকে। সমাজে বিদ্যমান নারী-পুরুষ বৈষম্য বা বিদ্বেষটাকে দূর করতে হবে। আর নারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলে ও দায়িত্ব নিলে অচিরেই তা দূর হবে।

 

নারীর ব্যক্তি চরিত্রে ধৈর্য, ডিগনিটি, বাঙালিত্ব এসব থাকতে হবে। অনেক নারী আজকে নিজেদের বেশি স্বাধীন ভেবে স্বাধীনতার অপব্যবহার করে। বস্তুত সমাজের রীতিশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে সবার সহযোগিতা পাবে, অন্য রূপ হলে সব মহল থেকে সহযোগিতা চলে যাবে। সেলফ রেসপেক্ট থাকতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে তা বজায় রাখতে হবে। অন্যথায় আজকের কোনো ভুল পদক্ষেপ পরবর্তী প্রজন্মকে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা হতে নিরুৎসাহিত করবে।-নয়াদিগন্ত

সেলিমা আহমদ:ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট, বিডব্লিউসিসিআই এবং ভাইস চেয়ারপারসন, নিটল নিলয় গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি

ট্রেন চালাতে ভয় কেটেছে সালমার

14172_f2সালমা ট্রেন চালান, এটা এখন পুরনো কথা। বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র নারী সহকারী ট্রেনচালক সালমা খাতুন। দশ বছর আগে ২০০৪ সালের ৮ই মার্চ চাকরিতে যোগ দেন। দিনে-রাতে কত নগর, বন্দর, গ্রামকে পেছনে ফেলে হুইসেল বাজিয়ে ছুটে চলে তার ট্রেন, কিন্তু সালমাকে কেউ পেছনে ফেলতে পারবে না। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী ট্রেনচালক। একান্ত আলাপচারিতায় সালমা বলেন, যেদিন প্রথম এই কাজ শুরু করলাম তখন মনে কিছুটা ভয় কাজ করছিল। নতুন জায়গা, নতুন চাকরি মানিয়ে নিতে পারবো কিনা এই একটা চিন্তা ছিল। তবে এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি নিজের জায়গা নিজে তৈরি করে নিয়েছি। চ্যালেঞ্জের এই চাকরিতে আসার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সবসময় একটা ইচ্ছা ছিল একটু ভিন্ন কিছু করবো, তবে ভিন্নকিছু বলতে ট্রেনের চালক হবো- তা কখনও মনে ছিল না। একদিন মেজো ভাই আবুল কালাম আজাদ ফোন করে জানান, রেলওয়ের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি খুঁজে বের করে সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার পদে আবেদন করি। তখন ভাবলাম দেখি না এখানে কোন মেয়ে নেই, আমি কিছু করতে পারি কিনা। এই চিন্তা থেকেই এখানে আসা।

সালমার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের অর্জুনা গ্রামে। বাবা প্রয়াত বেলায়েত হোসেন খান। মা সায়রা বেগম। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে সালমা খাতুন চতুর্থ। তিনি অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করেন। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন। সালমা খাতুন একদিকে চাকরি করছেন অন্যদিকে সংসার করছেন। ২০১১ সালের ২০শে জুলাই বিয়ে করেন ঢাকা জজকোর্টে কর্মরত ঝিনাইদহের ছেলে হাফিজ উদ্দিনকে। তাদের ১ বছরের একটি কন্যাসন্তান আছে। তার নাম আদিবা ইবনাত লাবন্য। পরিবারের সবার সহযোগিতায় খুব ভালভাবেই তিনি চাকরি করছেন। এক্ষেত্রে তার স্বামীর সহযোগিতা অনেক বেশি। সালমা জানান, ২০০৩ সালের ১৮ই জুলাই রেলওয়ের রাজশাহী জোনাল অফিসে টাঙ্গাইল জেলা থেকে আরও ১৩৪ জন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে তিনিও লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ঢাকার ১৭টি জেলা থেকে মাত্র দু’জন মেয়ে আবেদনকারী ছিলেন। ওই বছর ২৮শে সেপ্টেম্বর তার বাড়ির ঠিকানায় আসে মৌখিক পরীক্ষার চিঠি।

২০০৪ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি হাতে পান নিয়োগপত্র। এটিই ছিল তার জীবনে চাকরির প্রথম আবেদন এবং সফলতা। তার কাজ ট্রেনচালকের পাশে বসে সহযোগিতা করা। নিয়োগের পর টানা দু’বছর সালমা চট্টগ্রাামের হালিশহর প্রশিক্ষণ একাডেমী, পাহাড়তলী ও ঢাকা লোকোমোটিভ শেডসহ বিভিন্ন ওয়ার্কশপে হাতে-কলমে শিক্ষা নেন। দুই বছরের প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকা লোকোমোটিভ বিভাগে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি চালকের সঙ্গে ট্রেন চালান। প্রথমদিন ট্রেনে ওঠার অনূভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২ বছর বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং শেষে প্রথম ট্রেন চালান ২০০৬ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি। রুট ছিল লাকসাম-নোয়াখালী। তিনি বলেন, যেদিন আমি সহকারী চালক হিসেবে ট্রেনে উঠি সেদিনের অনূভূতি বলে প্রকাশ করতে পারবো না। একদিকে মনে আনন্দ, অন্যদিকে একটু একটু ভয়। এ নিয়ে আগেরদিন ঘুমাতে পারিনি।

সকালে উঠে আমি যে বাসায় থাকতাম সে বাসার খালা-খালুকে বললাম তখন তারা বললেন তুমি ভয় পেয়ো না আমরা সেখানে থাকবো। তারপর তাদের দোয়া নিয়ে লাকসাম-নোয়াখালী রুটে প্রথম ট্রেন চালালাম। এ কাজ করতে গিয়ে সালমাকে অনেক স্থানে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়েছে। ২০০৬ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী থেকে ফিরছিলেন। রাত ৮টা বেজে যায় নোয়াখালীতেই। জানাজানি হয় ট্রেনে নারী চালক রয়েছেন। সোনাইমুড়ী স্টেশনে আসতেই ভিড় করে লোকজন। সালমা ট্রেন থামিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বললে শান্ত হয় পরিস্থিতি। তিনি বলেন, আরও একটি প্রমোশনের পর পূর্ণাঙ্গ চালক হয়ে তিনি একাই ট্রেন চালাতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, এ পেশায় এখনও মেয়েদের কাজ করার পরিবেশ পুরোপুরি তৈরি হয়নি। তবে এ পেশায় মেয়েদের সংখ্যা বেড়ে গেলে পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে। প্রথমে অনেকে আমার এই চাকরিটাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। কিন্তু এখন সব ঠিক হয়ে গেছে। যারা এটাকে ভাল চোখে দেখতো না তারাও আমাকে উৎসাহিত করেন। মেয়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী। সব জায়গায় নারীদের অগ্রগতি বাড়ছে। কে কি বললো সেদিকে কান না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে আমাদের দেশের নারীরা অনেক ভাল কিছু করতে পারবে।

অপরাজিতাবিডি ডটকম/মানবজমিন/আরআই/এ/৮মার্চ২০১৪

 

বাগেরহাটে এক নারী গণধর্ষনের শিকার : আটক ১

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম
rape

বাগেরহাট : বাগেরহাটে মধ্যবয়সী এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে শহরতলীর মুনিগঞ্জ সেতুর বাইপাশ সড়কের মাঝিডাঙ্গা এলাকার কবির মুন্সি (৩৫) নামের এক ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

 

গনধর্ষনের শিকার ওই নারীর ডাক্তারী পরীক্ষা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ জানায়, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা (৩০) এক নারী বাড়ি ফেরার পথে সোমবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদরের মুণিগঞ্জ সেতু এলাকায় পৌছালে কবিরসহ ৭/৮ জন বখাটে তাকে আটকে রাখে। পরে গভীর রাতে কবির ও তার সহযোগিরা তাকে গনধর্ষন করে। মঙ্গলবার সকালে ওই নারী কৌশলে পালিয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় এসে এই গনধর্ষনের ঘটনা জানায়। পরে পুলিশ তাকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

 

বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী আজম খান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার এক মহিলা বাদী হয়ে কবির ও আলম এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে  আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ কবির মুন্সিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে মাঝিডাঙ্গা আশ্রায়ন প্রকল্পের মৃতঃ হামিদ মুন্সি’র ছেলে। এলাকাবাসি জানায়, মুনিগঞ্জ সেতু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। তবে সেখানে নানা অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় বখাটেরা।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/৩মার্চ২০১৪

নির্যাতিত অসহায় নারীদের পুনর্বাসনে ‘ক্যাফে জয়িতা’

প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম

Chumki

ঢাকা : নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসনে ‘ক্যাফে জয়িতা’র উদ্বোধন করা হয়েছে আজ। ক্যাফে জয়িতা পরিচালিত হবে নির্যাতিত নারীদের দ্বারা এবং লভ্যাংশ ব্যয় করা হবে ওই নির্যাতিত নারীদের কল্যাণে। পাচার ও নির্যাতনের শিকার নারীরা যাতে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারে এজন্য তাদেরকে খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবেশনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে এবং ক্যাফে জয়িতায় তাদের কর্মসংস্থান করা হবে।

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি মঙ্গলবার ঢাকায় ক্যাফে জয়িতা উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে আজ রাজধানী ইস্কাটনে হলি ফ্যামিলির বিপরীত পাশে ক্যাফে জয়িতা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

 

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বলেন- নির্যাতিত নারীদের সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বদা পাশে আছে। তাদের কল্যাণে এবং ভবিষ্যতে যেন নির্যাতিত নারীর সংখ্যা কোনভাবে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য কাজ করবে। তিনি বলেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদেরকে স্বাবলম্বী হতে হবে।

 

অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে হবে। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করছে।

 

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আশরাফ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বাংলাদেশ মিশন প্রধান শরৎ দাস।

 

প্রথমবছর ঢাকা শহরে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি কর্পোরেট অফিসে ন্যূনতম দশটি ক্যাফে জয়িতা চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে খাদ্য ব্যবসায় একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসেবে ক্যাফে জয়িতা সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হবে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/৩মার্চ২০১৪

রাজধানীতে বিষপানে শিশু গৃহপরিচারিকার আত্মহত্যা

প্রতিবেদক, অপরাজিতাবিডি ডটকম
attohotta
ঢাকা : রাজধানীর মালিবাগে তাসলিমা আক্তার পপি (১০) নামের এক গৃহপরিচারিকার বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

 

সে পশ্চিম মালিবাগে একজন ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় কাজ করত। বৃহস্পতিবার পপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পপি দিনাজপুরের মো. বকুলের মেয়ে।

 

গৃহকর্তা মোহাম্মদ বিন জহির জানান, পপি ও তার বোন ববি একসঙ্গে তাদের বাসায় কাজ করত। বুধবার রাতে দুই বোনের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পপি বিষপান করে। আজ ভোর ৫টার দিকে তিনি ও তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম মুমূর্ষু অবস্থায় পপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

 

এদিকে, জহির ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রমনা থানায় নেয়া হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/৫মার্চ২০১৪

আশুলিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম
savar
সাভার : শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শিরিনা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

 

সোমবার রাত ১২টায় আশুলিয়ার ধলপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধলপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে এলাকাবাসী এই মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন।

 

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, নিহত গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/৪মার্চ২০১৪

ঈশ্বরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম
Pabna_sm1_809007681
পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী গ্রামে তুলি খাতুন (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

 

সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহত তুলি মিরকামারী গ্রামের তহুরুল মালিথার মেয়ে। সে মিরকামারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল।

প্রতিবেশী মিজানুর রহমান জানান, রাতে তুলি তার শোবার ঘরের বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দিয়ে ঘর অন্ধকার করে আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

 

তিনি আরও জানান, এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে তুলির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের সদস্যরা এ সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে।

 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরএ/এ/৪মার্চ২০১৪

বগুড়ায় দুই সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম
bogura
বগুড়া : বগুড়ায় এক মা তার দুই কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে, তার মৃত্যু হয়নি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার দুই শিশু উপমা (৭) ও তাসনিম (৩)। এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায়। রবিবার বেলা ৩টার পর এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

 

জানাগেছে, শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকার জনৈক নুরুল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকতেন সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা বগুড়া সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন।

 

তিনি প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে কর্মস্থলে যান। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার স্ত্রী সালমা বেগম(৩৫) শহরের বনানী এলাকায় মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহি বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন সঙ্গে সঙ্গে তাকে  রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া  মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 

সেখানে সালমা বেগম তার সন্তানকে হত্যার কথা জানালে তার স্বামী  ফরিদ উদ্দিনের কাছে খবর দেয়া হয়। তিনি দ্রুত বাসায় গিয়ে দরজা খুলে মেঝেতে দুই সন্তানের মৃতদেহ দেখতে পান এবং একটি চিরকুট উদ্ধার করেন।

 

থানার ওসির উদ্দেশ্যে চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি একজন মানসিক রোগী আমার সন্তান এবং আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামী দায়ী নয়। সব ধরনের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে আমার দুই সন্তান নিয়ে আমি পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিলাম।’

 

ফরিদ উদ্দিনের প্রতিবেশী জুবায়ের হাসান জানান, ‘দুই আড়াই বছর আগে ফরিদ উদ্দিন স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন। তার স্ত্রী মানসিক ভাবে অসুস্থ  হওয়ায় কারো সাথে মিশতো না।’ কেউ কেউ জানান প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে উপমার রেজাল্ট ভাল না হওয়ায় ভিষন মনোকষ্টে ভুগতো সালমা। মুলত এ মনোকষ্ট তার মানষিক রোগ আরও বাড়িয়ে দেয়। যারপরিণতিতেই এ মর্মান্তিক ঘটনা বলে প্রতিবেশীদের ধারণা। পুলিশ নিহত শিশুদের লাশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/৩মার্চ/২২৩৫ঘন্টা২০১৪

নীলফামারীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম
attohotta logo
নীলফামারী : নীলফামারীতে পারিবারিক কলহের জেরে নার্গিস আক্তার নামে এক গহৃবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 

 

সোমবার সকালে ডিমলা উপজেলার সদরের টিএন্ডটি পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।

 

জানা যায়, বিয়ের পর হতে নার্গিসের স্বামী সুমন ঢাকায় লেদ মিস্ত্রির কাজ করায় সে তার পিত্রালয়েই থাকতো। আজ সকালে পিতার সাথে নার্গিসের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার পর নার্গিস স্বামীর বাড়ীতে এসে মোবাইল ফোনে স্বামী সুমনকে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে তার কাছে ক্ষমা চান। পরে নিজ শয়ন কক্ষে গিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। নার্গিস একই গ্রামের ইছাহাকের কন্যা।

 

ডিমলা থানায় সাব-ইন্সপেক্টর রায়হান আলী জানান, এ ব্যাপারে ডিমলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

রান্নার আগুনে প্রাণ গেল বেদেনার

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম
Kishoregonj_271891142
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে অগ্নিদগ্ধে আহত নারী বেদেনা খাতুন (৭০) মারা গেছেন।

 

অগ্নিদগ্ধের সাত দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

মৃত বেদেনা খাতুন কিশোরগঞ্জ শহরের আলোর মেলা এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আক্কাছ আলীর স্ত্রী ও স্থানীয় সাংবাদিক মারুফ আহমেদের মা।

 

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রান্না ঘরে কাজ করতে গিয়ে গ্যাসের চুলার আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিনি গুরুতর হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/০১মার্চ২০৩৪ঘন্টা২০১৪

চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধুর আত্মহত্যা

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম
attohotta logo
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার শঙ্কর চন্দ্রপুর ইউনিয়নের হানুরবাড়াদী গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে রিজিয়া খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। রিজিয়া একই  গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী। আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।

 

জানা গেছে, শনিবার বিকালে রিজিয়া স্বামীর সাথে অভিমান করে সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়নার মাধ্যমে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

 

পুলিশের ধারণা, স্বামীর পরকীয়া প্রেমের কারণেই রিজিয়া খাতুন আত্মহত্যা করেছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/০১মার্চ২০৩৪ঘন্টা২০১৪

গাজীপুরে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণ

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

rape

গাজীপুর : বিদেশে নেয়ার কথা বলে দুই সন্তানের জননী (২২) কে ধর্ষণ করেছে কাপাসিয়ার বাঘের হাট গ্রামের দালাল মোখলেছ ও সিরু। কাপাসিয়া থানায় ধর্ষিতার এজাহার দায়ের।

 

জানা যায় গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ গ্রামের  শহীদুল্লাহ শেখের স্ত্রীকে পার্শ্ববতী বাঘের হাট গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র দালাল মোখলেছ ও সহযোগী দালাল সিরাজুল ইসলাম সিরু গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ভর ধর্ষণ করেছে।

 

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রায়েদ গ্রামের শহীদুল্লাহর স্ত্রী বিদেশ যাওয়ার উদ্দেশ্যে পাশ্ববর্তী গ্রামের মোখলেছ ও সিরাজুলকে ৫০,০০০ টাকা দেয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিদেশ যাওয়ার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর লাগবে বলে মোখলেছের বাড়িতে নিয়ে ঘরে আটকিয়ে রাত ভর ধর্ষণ করে।

 

ঘটনাটি জানা জানি হলে স্থানীয় বাঘের হাট ও রায়েদ গ্রামের মাতাব্বরর কাশেম মাস্টার, আতাবউদ্দিন মাস্টার, বোয়াইল্লা কামাল, আল আমীন শেখ বিচারের আশ্বাস দিয়ে যায়। রহস্যজনক কারণে বিচার না করে তালবাহানা করলে ধর্ষিতা আর কোন উপায়ন্ত না দেখে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার কাপাসিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে এজাহার দায়ের করেছে। ধর্ষক মোখলেছ ও সিরুর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায় এবং দুই দালাল পলাতক রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।

 

কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আহসান উল্লাহ এজাহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৮ফেব্রুয়ারি২২৩৪ঘন্টা২০১৪

গোপালগঞ্জে ৮ বছরের শিশু ধর্ষিত

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

Gopalganj
গোপালগঞ্জ: জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় ৮ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

গুরুতর আহতবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।

 

শিশুটির  মা জানায়, বৃহস্হপতিবার বিকালে বাড়ীর পাশের মাঠে খেলাধূলা করছিল  শিশুটি। এ সময় একই এলাকার সিকু শেখের ছেলে সোহাগ শেখ শিশুটিকে জোর করে বাগানে  নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বাগান থেকে শিশুটির চিৎকার শুনে উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

 

এ ব্যাপারে থানায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৮ফেব্রুয়ারি২২৩৪ঘন্টা২০১৪

ফেব্রুয়ারিতে রাজশাহীতে ২২ নারী-শিশু নির্যাতনের শিকার

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম
image_68896_0
রাজশাহী : ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে রাজশাহীতে ২২ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ১২টি। এছাড়া ১০টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নগরীর চার থানায় ঘটেছে চারটি। বাকি আটটি ঘটনা ঘটেছে জেলার ছয় উপজেলায়।

 

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি নিজস্ব জরিপ এবং পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে এসিডির ডকুমেন্টেশন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ জানান।

 

নারী নির্যাতনের মধ্যে আত্মহত্যা, হত্যা, যৌন হয়রানি, ধর্ষণের চেষ্টার ১২টি ঘটনার মধ্যে চারটিই ঘটেছে নগরীতে। বাকি আটটরি মধ্যে জেলার দুর্গাপুরে তিনটি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বাগমারা, পুঠিয়া, বাঘা, চারঘাট ও মোহনপুরে একটি করে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

 

অন্যদিকে শিশু নির্যাতনের মধ্যে অপহরণ, যৌন হয়রানি, হত্যা, হত্যা চেষ্টা, রহস্যজনক মৃত্যু ও আত্মহত্যার ১০টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নগরীতে দুটি এবং জেলার পুঠিয়া ও চারঘাটে দুটি করে এবং পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর এবং তানোরে একটি করে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৮ফেব্রুয়ারি২২৩৪ঘন্টা২০১৪

ফটিকছড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম
attohotta logo

চট্টগ্রাম: ফটিকছড়ি উপজেলায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের গোপালঘাট্টা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তার নাম সুখি আকতার (১৪)। সে ওই গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার তৃতীয় কন্যা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন মুহুরী।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, পিতাহারা অসহায় দরিদ্র পরিবারটিতে অভাবের তাড়নায় প্রায় সময় ঝগড়া হতো। বৃহস্পতিবার সকালেও বাক-বিতান্ডা হয় মা -মেয়ের সাথে। এক পর্যায়ে অভিমানে পরিবারের সবার অগোচরে ঘরের ভিমের সাথে দঁড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সুখি আকতার।

 

পরে এলাকাবাসী ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। থানা পুলিশকে খবর দিলেও পরিবারটি হতদরিদ্র হওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা হয়।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৭ফেব্রুয়ারি/২৩৩৪ঘন্টা২০১৪

রূপগঞ্জে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার: স্বামীসহ আটক ২

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম
hotta
নারায়ণগঞ্জ: জেলার রূপগঞ্জে নাসরিন আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী সুমন মিয়া ও শ্বশুর সামসুল হক (৪৮)কে আটক করেছে পুলিশ।

 

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট চুঙ্গিরপাড় এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সফিক আহাম্মেদ জানান, সাওঘাট এলাকার গৃহবধূ নাসরিন আক্তারের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।

এসআই আরো জানান, গৃহবধূর গলায় ও মাথায় জখমের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।

 

এ ঘটনায় শ্বশুর সামসুল হক (৪৮) ও স্বামী সুমন মিয়াকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, গৃহবধূর পিতা সালাম মিয়া জানান, গত আট বছর পূর্বে মেয়ে নাসরিন আক্তারের সঙ্গে সাওঘাট এলাকার সুমন মিয়ার বিয়ে দেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে দু’টি সন্তান হয়।

 

কিন্তু বিয়ের পর থেকেই নাসরিনকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার সময় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নাসরিনকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৭ফেব্রুয়ারি/২৩৩৪ঘন্টা২০১৪

গোয়াইনঘাটে ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম

hotta

সিলেট : সিলেটের গোয়াইনঘাটে মাদকাসক্ত পাষণ্ড স্বামী গলা কেটে ঘুমন্ত স্ত্রীকে হত্যা করেছে। তার নাম রাশিদা বেগম (২৬)। পরে গ্রামবাসী ঘাতক জামাল আহমদকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

বুধবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাশিদা তিন সন্তানের জননী।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার মাদকাসক্ত জামাল স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে। এক সময় গভীর রাতে ঘুমে থাকা অবস্থায় রাশিদা বেগমকে দা দিয়ে জবগালা কেটে হত্যা করে পাষণ্ড জামাল।

পরে লাশ গুমেরও চেষ্টা করে সে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সফল না হতে পেরে বাড়ির পাশে গবাদি পশুর খড়ের স্তূপের ভেতরে লাশটি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। বিষয়টি টের পেয়ে গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে দেয়।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৭ফেব্রুয়ারি/২৩৩৪ঘন্টা২০১৪

চটজলদি ফিরিয়ে আনুন রোদেপোড়া ত্বকের হারানো উজ্জলতা

অপরাজিতাবিডি ডটকম:

mukher-jotno-2

ঘোরাঘুরি করতে কে না ভালোবাসে। নিজের পছন্দের মানুষগুলোর সাথে সুন্দর জায়গাগুলোতে বেড়ানোর মজাই আলাদা। কিন্তু ঘোরাফেরা শেষ করে বাসায় ফিরে আয়নায় নিজেকে দেখে মনই খারাপ হয়ে যায়।

রোদেপুড়ে ত্বকের উজ্জলতা চলে যায় অনেকেরই। এসপিএফ অনেক বেশি রয়েছে যে সানস্ক্রিনগুলোতে তা মেখেও এই রোদে পোড়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয় না অনেক সময়। বিশেষ করে সমুদ্র এবং পাহাড়ি এলাকায় গেলে এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। এছাড়াও সাধারণত ঘরের বাইরে বেরুলেও রোদেপুড়তে হয়।

আজকে আপনাদের জন্য রইল এই রোদে পোড়া লালচে ত্বকের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনার জন্য দারুণ কার্যকরী কিছু উপায়। ব্যবহার করেই দেখুন না, রোদে পোড়া দাগ এবং লালচে ভাব দূর হয়ে ত্বকে ফিরবে উজ্জলতা।

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলু

Vegetables-for-SkinCare-Beauty-680x450

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলু অনেক কার্যকরী একটি উপাদান।

প্রথমে একটি আলু খুব ভালো করে ধুয়ে ওপরের ময়লা এবং মরা খোসা তুলে ফেলুন। আলুর খোসা ছাড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এরপর একটি গ্রেটার নিয়ে আলুটি মিহি করে গ্রেট করে নিন। এরপর এই মিহি কুচি আলু ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে তরল পেস্টের মত তৈরি করুন। যদি আলুর পেস্টটি খুব বেশি শুকনো লাগে তবে পানি দিয়ে আরও ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এই পেস্টটি লাগান ত্বকের পোড়া দাগের ওপরে। ২০-২৫ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পোড়া দাগ অনেক দ্রুত দূর হবে।

চা এবং পুদিনা পাতার ব্যবহার

পুদিনা পাতা রোদেপোড়া লালচে ভাব দূর করে অনেক দ্রুত। এই মিশ্রণটি তৈরি করতে আপনার লাগবে ১ কাপ গরম পানি, ২/৩ চা চামচ চা পাতা, ৫/৬ টি তাজা পুদিনা পাতা। প্রথমে একটি পাত্রে ফুটন্ত গরম পানি নিয়ে এতে চা পাতা এবং পুদিনা পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে পানিটুকু আলাদা করুন। এবার একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড় নিয়ে এই পানিতে ভিজিয়ে ত্বকের রোদে পোড়া দাগের ওপর দিয়ে রাখুন। এভাবে দিনে ২ বার ব্যবহার করুন চা এবং পুদিনা পাতার রস। রোদেপোড়া দাগ দূর হবে।

রোদে পোড়া ত্বকের উজ্জলতা আনবে অ্যালোভেরা1b4c35d472cd198a

ত্বকের নানা সমস্যায় অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ত্বকের রোদেপোড়া দাগ করতেও অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। প্রথমে একটি অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে ধুয়ে নিয়ে এর ওপরের সবুজ অংশ ফেলে দিয়ে ভেতরের জেলটুকু বের করে নিন। এই জেল ত্বকের পোড়া অংশে হাল্কা করে ঘষে লাগান। শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের পোড়াদাগের সাথে অন্যান্য দাগও দূর করতে বেশ কার্যকরী এই অ্যালোভেরা।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৭ফেব্রুয়ারি১৩৪৬ঘন্টা২০১৪

 

বাগেরহাটে এইচএসসি পরীর্ক্ষীর লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধি, অপরাজিতাবিডি ডটকম

 hotta

বাগেরহাট: জেলার মল্লাহাটে শম্পা রাণী মন্ডল (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার ভৈরব নগর গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

মৃত শম্পা রাণী টুঙ্গিপাড়া সেনের চর এলাকার রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের মেয়ে ও গোপালগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

 

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ মোহাম্মদ খায়রুল আনাম সোমবার দুপুরে জানান, মৃত শম্পা রাণী মন্ডলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মোল্লাহাট উপজেলার ভৈরব নগর গ্রামের সত্যেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে রমেন্দ্র নাথ মন্ডলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

 

উভয়ের পরিবার বিষয়টি জানত। কিন্তু কোন পরিবারই তাদের প্রেমের স্বীকৃতি না দেয়ায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় মেয়েটি ছেলের বাড়ি ভৈরব নগরে চলে আসে। এর ৪ দিন পরে ভৈরব নগর গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

এ ঘটনায় মোল্লাহাট থানায় অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৪ফেব্রুয়ারি১৫৪৬ঘন্টা২০১৪

মানিকগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রী অপহরণ মামলা

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম

opohron

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের সন্তান ও কলেজছাত্রী (২২) অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের ওই নেতার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বিরুল ইসলাম ওরফে সনি এবং মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী।

মামলায় লিয়াকতের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং সনির বিরুদ্ধে অপহরণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীকে কলেজে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিলেন ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত। এক মাস আগে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটির সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন লিয়াকত। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়।

মেয়েটির এক বান্ধবীর বরাত দিয়ে ওই ছাত্রীর বাবা জানান, শনিবার সকাল সাতটার দিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য তার মেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সোয়া সাতটার দিকে শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত ও সনিসহ আরো দুইজন যুবক মেয়েটির পথরোধ করে দাঁড়ান। এরপর তারা মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যার পর মেয়েটির বাবা ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাসহ অজ্ঞাত আরো দুইজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন। এর পর পরই সনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা সনি।

মামলার তদন্তকর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহমত আলী বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অস্বীকার করলেও তদন্ত চলছে। অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৩ফেব্রুয়ারি২৩০০ঘন্টা২০১৪

‘বাল্যবিবাহ রোধে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার’

প্রতিবেদক,অপরাজিতাবিডি ডটকম

ballo_27781_0

ঢাকা: বাল্যবিবাহকে ‘শিশুবিবাহ’ আখ্যায়িত করে এটি রোধে সমাজিক দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পর্যালোচনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্মীয় আইনের প্রগতিশীল ব্যাখ্যা না দেয়া যাবে ততক্ষণ বাল্যবিবাহ রোধ করা যাবে না। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে কন্যাশিশুর ‘নিরাপত্তা’ প্রধান ভূমিকা পালন করে। নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সংখ্যালঘু হিন্দু মেয়েদের নিরাপত্তা অনেকাংশেই কম।

এ বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের দুর্বল ও তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র একটি আইন বানিয়েছে। এই আইনে ধর্ষণকে জোরপূর্বক ধর্ষনের কথা বলা হয়েছে। কোন ধর্ষণ কি জোরপূর্বক ছাড়া হয়? অপরাধের সঙ্গে কোন আপস নয় মন্তব্য করে মিজানুর রহমান বলেন, খসড়া আইনটি আমরা পর্যবেক্ষন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করবো। সভায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইমান আলী বলেন, বাল্যবিবাহের মূল কারণ সামাজিক প্রেক্ষাপট। নিরাপত্তার কারনে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এজন্য যৌন হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের দুটি জাজমেন্ট আছে। সরকারকে উদ্যোগী হয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়েশা বেগম বলেন একজন কন্যাশিশু ভবিষ্যতের একজন ‘পারসন’ হবে। সেই কন্যাশিশুকে আমরা কিভাবে গড়ে তুলবো সেটা আমাদেরই বিবেচনা করতে হবে এবং তা মানবাধিকারের নীতিমালায় দেখতে হবে। তিনি বলেন বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের অন্তহীন লড়াই। এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তাহমিনা বেগম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট ফৌজিয়া করিম প্রমুখ।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৩ফেব্রুয়ারি২৩০০ঘন্টা২০১৪

রাজশাহীতে শিশু ধর্ষিত

প্রতিনিধি,অপরাজিতাবিডি ডটকম
rape

রাজশাহী: জেলার পুঠিয়ায় চতুর্থ শ্রেণীপড়ুয়া একছাত্রী (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় প্রতিবেশী যুবকের ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশু। পরে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অনস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পরিবারের সূত্রে জানা যায়, সকালে ওই শিশু বাড়ির পাশে একটি শিমুল গাছের নিচে শিমুল ফুল কুড়াতে যায়।

এ সময় প্রতিবেশী বখাটে সাদ্দাম হোসেন তাকে কৌশলে পার্শ্ববর্তী মাঠের নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের শিকার ওই শিশু অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঘটনাটি তার মাকে জানালে প্রথমে তাকে পুঠিয়া থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠিয়ে দেন। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ওবাইদা খান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ছাড়া ধর্ষণকারী হিসেবে অভিযুক্ত যুবক সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছে।

অপরাজিতাবিডিডটকম/আরআই/এ/২৩ফেব্রুয়ারি২৩০০ঘন্টা২০১৪