banner

রবিবার, ০৫ মে ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2024

ধোঁয়া মাখা সময়

....

ভালোবাসা?
কই গেল হাস্যমাখা সব মুখ
রাত্রির বাইরে জলন্ত গ্রাম
শান্ত এবং শান্ত
মন…
ফিরে যা দূরে।

....

কান্না ঢাকা মেঘ বৃষ্টি
মানুষ, মানুষ এবং কোথায় মানুষ বল
ধোঁয়া মাখা বিকাল
ফোঁটা ফোঁটা লাল ঢেউ
শান্ত এবং শান্ত
মন…
ফিরে যা দূরে।

রক্তের ঝড়
রক্তের ঝড়

বসন্ত এর প্রেমময় দুপুরের গান
স্বপ্ন পাগল মন
হারিয়ে গেলি কোথায় বল
শান্ত এবং শান্ত
মন…
ফিরে যা দূরে।

বসন্তের ঢেউ
বসন্তের ঢেউ

ঘুম,
কিভাবে ঘুমাও তোমরা রোজ?
অজস্র শব্দ, চিৎকার, কান্না
অবুঝ আমার ভোর
চোখ বোঝ
ব্যর্থ চেষ্টা
শান্ত এবং শান্ত
মন…
ফিরে যা দূরে।

জলন্ত আগুন
জলন্ত আগুন

সময় মরেছে কবে
রংবেরঙের পাখনা ডানার
স্বপ্নে আলিঙ্গন
অর্থহীন ধূসর আকাশ
শান্ত এবং শান্ত
মন…
ফিরে যা দূরে।

কবে আসবে ভোর
কবে আসবে ভোর

অন্যকে ক্ষমা করে দিতে হবে-শেষ পর্ব

অন্যকে ক্ষমা করে দিতে হবে এ জন্য নয় যে তারা ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য,
বরং এ জন্য যে আপনি শান্তিতে থাকার যোগ্য”
জীবনের তিক্ততা,শত্রতা, আক্রোশ,বিষাক্ততাকে ছেড়ে দিন,চলে যেতে দিন(let go)।
আমরা পৃথিবীতে যখন আসি তখন কষ্ট,যন্ত্রনা,প্রতারনা,বিশ্বাস- ঘাতকতা,আক্রোশ,শত্রুতা সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না।

১। যারা আঘাত করে তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করুন:
ক্ষোভ,ক্রোধ,আক্রোশ,অপমান বোধের কারনে এ রকম ভালোবাসা দেখানো কঠিন মনে হতে পারে।
তবে নিজের মনের শান্তির জন্যই আমাদেরকে তেমনটি করতে হবে।
মার্টিন লুথার কিং(জুনিয়র) বলেছেন” অন্ধকার দিয়ে অন্ধকার দূর করা যায় না।এক মাত্র আলোই তা করতে পারে।ঘৃনা দিয়ে ঘৃনা দূর করা যায় না।এক মাত্র ভালোবাসা দিয়েই তা করতে হয়।”
অন্যকে ক্ষতি করতে চেয়ে আমরা কিন্তু অবশেষে নিজেরই ক্ষতি করে বসি।
যখনই নেতিবাচক স্পন্দন (negative vibe)প্রকাশ করবেন,তখন আপনি নিজের স্পন্দনকেই নীচে নামিয়ে আনবেন।
আপনি যা আপনার কাছে তেমন কিছুই আকৃষ্ট হবে।
তাই প্রতিশোধ পরায়নতা আপনার নিজের কষ্ট পীড়নকে বাড়িয়ে তুলবে।
যার প্রতি এই ঘৃনা আক্রোশ, তার এতে কিছু যায় আসে না।
যে পর্যন্ত ঘৃনা,আ্ক্রোশ থেকে নিজেকে মুক্ত করে,;ভালোবাসা, দয়া,করুনায় ফিরতে না পারবেন,ততক্ষন আপনি প্রকৃত ” মুক্তি” পাবেন না।
তাই যারা আপনাকে আহত করেছে, আঘাত করেছে,অপমান করেছে বা ছোট,হেয়,তুচ্ছ করেছে; যত কঠিনই হোক তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে ভালোবাসতে হবে
(গত কালই এক বৃদ্ধা মহিলাকে চেম্বারে দেখলাম।তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ বড় ধরনের ডিপ্রেশনে ভুগছেন।তার স্বামী অনেক আগেই অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে একই বাড়ীতে বসবাস করছেন।স্বামীর কাছ থেকে সারা জীবন আঘাত,অপমান আর অবহেলাই পেয়ে এসেছেন।
গত কয়েক মাস যাবৎ স্বামীর ২ য় স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামীর মনো মালিন্যের কারনে ২ য় স্ত্রী বাসা ছেড়ে চলে যান।ফলে স্বামীর খাওয়া দাওয়ার ভার তার উপর পড়ে।এই দায়িত্ব পালন করতে তার মন চাচ্ছে না।যে তাকে এত অবহেলা,নির্যাতন করেছে,নিজ হাতে রান্না করে তাকে খাওয়াতে কিছুতেই মন চাচ্ছে না।কিন্তু বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে।কেননা তার আশ্রয়ে আছে এবং লোক লজ্জা।
সঙ্গে তার মেয়ে ছিল।আমি তাকে নিজের মনের শান্তির জন্যই পুরনো ঘৃনা,আক্রোশ মুছে ফেলে স্বামীকে ক্ষমা করে দেওয়া যায় কিনা তা ভেবে দেখতে বললাম।তার মেয়েও আমার সঙ্গে একমত হলেন।কিন্ত্ ওনাকে নারাজ মনে হলো।
উল্লেখ্য উনার ডিপ্রেশন এতে আরো গভীর হয়েছে ও ঔষধ তেমন কাজ করছে না।)
তবে এই ক্ষমা করে দেওয়াটি রাতারাতি করতে হবে তেমন নয়।অল্প অল্প করে ভালোবাসতে চেষ্টা করে আপনি ক্রমাগত ভাবে দেখবেন ইতিবাচক ফল পাচ্ছেন।
***
মূলত: আবেগগত যন্ত্রনার প্রতি আমাদের এক ধরনের “নেশা” তৈরী হয়ে যায়।আমরা এই নেশা আকড়ে ধরে থাকি।
কিন্তু যখনই কষ্ট পাওয়ার নেশা ছাড়তে পারবো আমরা প্রকৃত ভাবে স্বাধীনতার স্বাদ উপলব্দি করতে পারবো।
2। নিজের সর্বোত্তম রুপটি অর্জনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করুন:(Focus on becoming best version of yourself)
মনে রাখবেন” আহত মানুষ অন্য মানুষকে আহত করে।নিরাময় প্রাপ্ত মানুষ অন্যকে নিরাময়ের চেষ্টা করে।”
পৃথিবীতে এত যন্ত্রনা,,কষ্ট চলমান রয়েছে,কেননা যারা আহত হয়েছেন,আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন,তারা সে যন্ত্রনাকে “জীবন্ত” করে রেখেছেন।এ ভাবে অন্য জনের মধ্যে তা সন্চালিত করে দিচ্ছেন।( গোত্রে গোত্র যুদ্ধ,ধর্মে ধর্মে যুদ্ধ,এমনকি পরিবারে পরিবারেও ব্যক্তি ব্যক্তিতে যুদ্ধ একারনেই চলে আসছে)
মনের ও আত্মার স্বাচ্ছন্দ্য,সহজতা বিনষ্ট হওয়ার এই অসুখ এ ভাবে সন্চালন হওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে।
*** অন্যকে ছিড়ে-ফুড়ে তছনছ করে দেওয়ার দিকে সব দৃষ্টি নিবদ্ধ না করে,বরং নিজকে নির্মান করার দিকে আমাদের বেশী নজর দিতে হবে।
৩। মনে রাখবেন চূড়ান্ত নিখুত হওয়ার প্রত্যাশা, অবাস্তব অপ্রত্যাশিত:
আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে মানুষ ভুল করে এবং এ রকম ভুল অহরহই হয়।
যদিও এ রকম ভুলের কিছু ক্ষেত্রে খারাপ পরিনতি হয়ে থাকে(যেমন ঐ মহিলার স্বামীর ভুল), কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সে সব দূর্ঘটনাবশত ঘটে থাকে,উদ্দেশ্যমূলক নয়।
আমরা প্রত্যেকে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত
এবং আমাদের বেশীর ভাগই ইচ্ছাকৃত ভাবে অন্যের জন্য মন্দ কিছু করতে চাই না।
মনে রাখতে হবে আমরা একই সমুদ্রে সাতার কাটছি এবং একই স্রোতের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছি।
আমরা সবাই চাচ্ছি এই ঢেউয়ের মাঝে কোন রকমে মাথা উপরে রেখে ভেসে থাকতে।
এরই মাঝে আমরা কিছু ভুল করে বসি।
মানষকে ভুল করতে এলাউ করুন এবং এ ভাবে ভুলের মাধ্যমে নিজেকে গড়ে তুলতে সাহায্য করুন
এবং মনে রাখুন সম্ভবত আপনিও একই ভুল করেছিলেন( ঐ মহিলারও কি কোন ভুল ছিল না?)।
অন্যকে ক্ষমা করা সহজ হবে যদি মনে রাখেন আপনার মতন তারাও মানুষ এবং মানুষ মাত্রই ভুল করে থাকে।

*** ক্ষমা করার সময় বলুন
” আমি ক্ষমা করে দিচ্ছি ও নিজকে মুক্ত করছি।
আমি উজ্জলতর এক ভবিষত্যের দিকে আমার যাত্রাকে অগ্রসর করছি।

প্রফেসর ডা. মো. তাজুল ইসলাম
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
কমিউনিটি এন্ড সোশাল সাইকিয়াট্রি বিভাগ, জাতীয় মানসিক স্বাস্হ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
ই- মেইল:drtazul84@gmail.com

 

এই সময়ে ঘর পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে

বর্ষাকাল চলে গেলেও বৃষ্টির রাজত্ব এখনও ফুরায়নি। রোদ যেমন উঁকি দিচ্ছে ঠিক তেমনি মহাসমারোহে চলে আসছে বৃষ্টিও। ঝুম বৃষ্টিতে নাকাল হচ্ছেন অনেকেই। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি আচরণের প্রভাব পড়ে আমাদের আবাস্থলেও। আমাদের শখের ঘর-দুয়ার, আসবাবপত্র সবকিছু যেন হয়ে ওঠে স্যাঁতস্যাঁতে। তাই এসময়ে ঘরের ভেতরকার পরিবেশ সতেজ রাখতে আপনাকে করতে হবে কিছু কাজ।

দেয়ালের সঙ্গে লাগিয়ে কোনো আসবাবপত্র রাখবেন না। এতে আসবাবপত্র ড্যাম হয়ে যায়, যাতে বাসা বানায় ঘুনপোকা। তাই দেয়াল থেকে দূরত্ব বজায় রেখে আসবাবপত্র রাখুন। আরও সম্ভব হলে আসবাবপত্রের পেছনের অংশ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখুন।

আলমারিতে বা ওয়ারড্রবে কাপড় রাখলে তার সঙ্গে রাখতে পারেন নেপথোলিন। এর কারণে পোকামাকড় থাকবে আসবাবপত্র এবং কাপড় থেকে অনেক দূরে। এর সঙ্গে দামি আসবাবপত্রের নিচে টিনের বা কাচের পাত্রে এক টুকরা সালফার বা গন্ধক রাখতে পারেন। যা পোকামাকড় থেকে আসবাবপত্রকে মুক্ত রাখবে।

আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে কাঠের বদলে হার্ডবোর্ডের আসবাবপত্র ব্যবহার করা উচিত। কারণ বোডের ভেতরের অংশ ফাঁপা। এতে ঘুনে ধরার প্রবণতা যেমন থাকে না তেমনি এটি সহজে নষ্টও হয় না। সঙ্গে সঙ্গে যত্ন খুব সহজে নেয়া যায়। তাই আপনি ইচ্ছা করলে কাঠের বানানো আসবাবপত্রকে হার্ডবোর্ডের আবরণ দিতে পারেন।

ঘরের এক কোণে হিটার রাখতে পারেন, যা ঘরকে রাখবে শুষ্ক। এটি আপনি রাখতে পারেন লিভিং রুম, ড্রয়িংরুম এবং গেস্ট রুমে।
ঘর অন্ধকারাচ্ছন্ন হলে ঘরে একের অধিক লাইট ব্যবহার করা উচিত। এতে ঘরের আর্দ্রতা যেমন বাড়বে তেমনি মনে হবে আপনি বাইরেই আছেন। এর সঙ্গে করতে পারেন সেলিং এ লাইট। যাতে পর্যাপ্ত আলো ঘরে থাকে। কর্নারেও এসব লাইটের ব্যবস্থা করতে পারেন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছনতার বিকল্প নেই। তাই যতটা সম্ভব ঘরে আলোর ব্যবস্থা রাখুন এবং ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে আপনি যেমন থাকবেন সুস্থ তেমনি আশপাশে পরিবেশ হবে সুন্দরভাবে বসবাসের যোগ্য।

 

আলুর দম তৈরির রেসিপি

বিকেলের নাস্তায় কিংবা রাতের খাবারে লুচি কিংবা রুটি-পরোটার সঙ্গে আলুর দম খেতে বেশ। তবে অনেকেই আলুর দম তৈরির সঠিক রেসিপি জানেন না। রেসিপি জানা থাকলে ঘরে বসেই তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার এই আলুর দম। রইলো রেসিপি-

উপকরণ: আলু ১০টি, পিয়াজ বাটা -১ চামচ, আদা+রসুন বাটা -১ চামচ, টমেটো পেস্ট -২ চামচ, মরিচ+হলুদ গুরা-১/২ চামচ, গরম মসলা -১/২ টেবিল চামচ, ধনিয়া গুড়া-১/২ টেবিল চামচ, জিরা গুড়া-১/২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৪ টি, ধনেপাতা কুচি-৩ টে চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ৩ টেবিল চামচ।

প্রণালি: প্রথমে আলু খোসা ছাড়িয়ে লবণ ও সামান্য হলুদ গুড়া দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার একটি কড়াইতে তেল দিয়ে সব মশলা দিয়ে কষাতে হবে। কষানো হলে আলুগুলো দিয়ে ঢেকে দিয়ে সামান্য পানি দিতে হবে। ১৫মিনিট পরে ঝোল শুকিয়ে এলে নামানোর আগে ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে পরোটা অথবা লুচির সাথে পরিবেশন করুন।

 

রঙ বাংলাদেশে শারদ উৎসবের পোশাক

বর্ষা থিতিয়ে এসেছে। চারপাশের উজ্জ্বল সবুজের মাঝে মাথা তুলেছে কাশের দল। রোদ আর ছায়ার লুকোচুরির মধ্যেই তরতরিয়ে বাড়ছে তারা। আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে।

হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি সত্বেও প্রকৃতি প্রস্তুত শারদ উৎসবকে স্বাগত জানাতে। আর কদিন পরেই বাঙালি মেতে উঠবে উদযাপনে। প্রকৃতির মতো উচ্ছ্বল এখন সবাই উৎসবের রঙে রঙ মেলাতে।

শারদ উৎসবে ফ্যাশনের ছোয়া দিতে দেশের অন্যতম শীর্ষ ফ্যাশন হাউজ ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে পোশাকের বিশেষ কালেকশন। কেবল বড়দের নয়, ছোটদের পোশাককে সমান গুরুত্ব দিয়ে আকর্ষণীয় করা হয়েছে।

রঙ বাংলাদেশ বরাবরই বিভিন্ন থিমে সংগ্রহ সাজিয়ে থাকে। এবারো সেই ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। শারদীয় আয়োজনকে সুন্দর করতে থিম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে পদ্ম, শিউলি, নানা ধরনের ক্যালিওগ্রাফি, দুর্গার অলংকার ও গনেশের অবয়।

লাল, সাদা, অফহোয়াইট, মেরুন আর গেরুয়াকে উপজীব্য করে সাজানো এবারের সংগ্রহে নকশাকে মনোগ্রাহী করতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে কমলা, ফিরোজা, ক্রিম, টিয়া, নীল, অ্যাশ, সোনালী হলুদ ও মেজেন্টা।

বড়দের জন্য রঙ বাংলাদেশ-এর শারদ সংগ্রহে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, লং স্কার্ট-টপস, সিঙ্গেল কামিজ, শর্ট ও লং পাঞ্জাবি, উত্তরীয়, ধুতি, শার্ট, টি-শার্ট ও ফতুয়া।

আর শিশু কিশোরদের সংগ্রহের এবারের থিম পদ্ম, শিউলি, ক্যালিওগ্রাফি আর দুর্গার শোলার অলংকার। মূল রঙ অফহোয়াইট, হলুদ আর বাসন্তীর সঙ্গে আরো ব্যবহার করা হয়েছে লাল, মেজেন্টা, সবুজ ও নীল। মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এই পূজায় তৈরি করেছে ফ্রক, কামিজ আর থ্রিপিস।
এ সময়ের আবহাওয়া উষ্ণ আর আর্দ্র। তাই শারদসংগ্রহের বেশিরভাগ পোশাক সুতি কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই কালেকশনকে উৎসবময় করতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে বলাকা সিল্ক, হাফ-সিল্ক, জয়সিল্ক, এন্ডি কটন এবং এন্ডি সিল্ক। ষষ্ঠী থেকে দশমী, কুমারী পূজা থেকে সিঁদুর খেলা, ধুনুচি নাচ থেকে প্রসাদ বিতরণ, প্রতিদিন সন্ধ্যা আর সকালের অঞ্জলি থেকে ভাসান- প্রতিটি উপলক্ষ্যকে বর্ণময় আর আনন্দময় করতে সেভাবেই দৃষ্টিনন্দন পোশাক তৈরি করা হয়েছে।

এবারের এই উৎসব সংগ্রহে নকশা ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ধরনের ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। নানা ধরনের প্রিন্টের ব্যবহার এই কালেকশনের মূল বৈশিষ্ট্য। নকশার চাহিদা অনুযায়ী কারচুপি, মেশিন ও হ্যান্ড এম্বয়ডারির পাশাপাশি তাই ব্যবহার করা হয়েছে ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট।

পূজা কালেকশনে রঙ বাংলাদেশ-এর শাড়ি কেনা যাবে: সুতি শাড়ি ৮৫০-৪,০০০ টাকা, হাফ সিল্ক ২,২৫০-৮,৫০০ টাকা, মসলিন ১০,৫০০-২০,০০০ টাকা।

সালোয়ার-কামিজ ২,০০০-৪৫০০ টাকা, সিঙ্গল কামিজ ৮৫০-৩,০০০ টাকা, স্কার্ট-টপস ১,২০০-২,৫০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৮৫০-৪,০০০ টাকা, টি-শার্ট ৩৫০-৫০০ টাকা, পলো শার্ট ৬৫০-১,২০০ টাকা, শার্ট ৬৫০-১,৮০০ টাকা, ফতুয়া ৭৫০-১,২৫০ টাকা, উত্তরীয় ৩৫০-৫০০ টাকা, ধুতি ৬৫০-১,০৫০ টাকা, ব্লাউজ পিস ৩০০-৫০০ টাকা, আনস্টিচড ১,৫০০-৪,০০০ টাকা, অলংকার সামগ্রী ৫০-২,০০০ টাকায় পাওয়া যাবে।

শিশু কিশোরদের পোশাকের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবি ৬০০-৮৫০ টাকা, ফ্রক ৬০০-১,০৫০ টাকা, শার্ট ৫০০-৭০০ টাকা, সিঙ্গল কামিজ ৬০০-১,০৫০ টাকা, শাড়ি ৯৫০-১,১৫০ টাকায় পাওয়া যাবে। এছাড়া পাওয়া যাবে ঘর সাজানোর জন্য নানা সামগ্রী।

পূজার পোশাক, গয়না ও ঘর সাজানোর সামগ্রী রঙ বাংলাদেশ-এর সবগুলো শাখা ছাড়াও, ঘরে বসে অনলাইনেও (www.rang-bd.com) কেনার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে রয়েছে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা। এছাড়া প্রিয়জনকে উপহার দেয়ার জন্য রয়েছে গিফট ভাউচার, যার মাধ্যমে প্রিয়জন নিজের পছন্দ মতো কেনাটাকা করতে পারবে।