banner

রবিবার, ০৫ মে ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: April 23, 2024

কবি হাবীবাহ্ নাসরীন সাহিত্যে প্রণোদনা পুরস্কার পেলেন

কবি হাবীবাহ্ নাসরীন কবি হাবীবাহ্ নাসরীন

এ বছর সাহিত্যে প্রণোদনা পুরস্কার পেলেন কবি হাবীবাহ
নাসরিন। মুলত সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার ২০১১ সাল থেকে সাহিত্যে “প্রণোদনা পুরস্কার” দেওয়া শুরু করে।সে বছর এ পুরস্কার প্রদান করা হয় নব্বই দশকের অন্যতম কবি সৌমিত্র দেবকে।

কবি হাবীবাহ্ নাসরীনের রচিত কবিতাগ্রন্থ “কবিতা আমার মেয়ে” ও উপন্যাস “তুমি আছো তুমি নেই” এর জন্যে স্বীকৃতি পাচ্ছেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে জনপ্রিয় এ লেখিকার কাছে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

‘হাবীবাহ নাসরিন বলেন-‘পাঠকের ভালোবাসা একজন লেখকের বড় অর্জন। আর প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতিও নিশ্চয়ই তারই অংশ বিশেষ। লেখকরা স্বীকৃতির জন্য লেখেন না, তবু তরুণদের উৎসাহিত করতে এ ধরণের সম্মাননা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। আমার জীবনের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি হিসেবে সাহিত্য প্রণোদনা পুরস্কার স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

পেশায় সাংবাদিক হাবীবাহ্ নাসরীন লাইফস্টাইল ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল “জাগোতে”। এছাড়াও অনেক পত্রিকায় কাজ করেছেন।

কবি হাবীবাহ্ নাসরীনকে অপরাজিতা পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।

 

জাজের চোখে যৌথ প্রযোজনার নতুন নীতিমালায় অসঙ্গতি

পুরনো নীতিমালা সংশোধন করে যৌথ প্রযোজনার ছবির জন্য নতুন নীতিমালা আসছে শিগগির। সম্প্রতি নতুন নীতিমালার একটি খসড়াও প্রকাশ করেছে সরকার। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২০১২ সালের নীতিমালার ভিত্তিতে নতুন নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে।

তবে এই নীতিমালায় কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরেছে দেশের শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। জাজ মাল্টিমিডিয়া এই খসড়ার কিছু অসঙ্গতি ও তাদের মতামত তুলে ধরেছে তাদের ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে।

প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে লিখেছে-

যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের নীতিমালা – ২০১৭ (প্রস্তাবিত)
গ.
(০২) যেকোনো ব্যবসায় ব্যবসায়ী তার কিছু গোপনীয়তা রাখবে। তাই বিনিয়োগের পরিমাণ জানা একজন প্রযোজকের জন্য অবশ্যই অস্বস্তিকর। তাছাড়া সিনেমা সম্পূর্ণভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক বাজেট করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যেমন, বৃষ্টি বা শিল্পীর অসুস্থতার কারণে শুটিং ৩ দিন বেড়ে গেলে, সিনেমার খরচ ১০ লক্ষ টাকা বেড়ে যায়। যা কখনই পূর্বে অনুমান করা সম্ভব নয়।

(০৪) যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের বিদেশি প্রযোজকের প্রদত্ত অনুমতি / ছাড়পত্র / এন্ডোরসমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। এবং তা প্রিভিউ কমিটিকে সিনেমা দেখানোর সময় তা দাখিল করতে হবে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন দ্বারা সত্যায়িত করা, যৌথ প্রযোজনার প্রক্রিয়াকে জটিল করবে।

(০৬) যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের পরীক্ষা ও পর্যালোচনার কমিটিতে অবশ্যই শিল্পী সমিতির প্রতিনিধি থাকার কোনো প্রয়োজন মনে করি না। কারণ চলচ্চিত্রে একজন শিল্পী শুধু মাত্র পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করে। তাই শিল্পী সমিতির প্রতিনিধিত্ব এই প্রক্রিয়ার শুধু জটিলতাই বাড়াবে।

(০৭) চলচ্চিত্রের প্রযোজক অথবা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে বাছাই কমিটির সভায় উপস্থিত থাকতে দেওয়া বঞ্চনীয়।

(০৯, ১০ ও ১১) যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণের জন্য আবেদন পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বিএফডিসি তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে এবং মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। বিএফডিসির সিদ্ধান্ত পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে, মন্ত্রণালয় তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে বাধ্য থাকবে। আবার কেন ফাইল বিএফডিসি তে আসবে? এর কোনো প্রয়োজন নেই। এতে শুধুই সময় ক্ষেপণ মাত্র। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনই চূড়ান্ত অনুমোদন বলে বিবেচনা করতে হবে।

(ঙ)
(০১) যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রের কাহিনী মৌলিক হতে হবে, কিন্তু যদি কোনো সিনেমার অবলম্বনে বানানো হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে কপি রাইটের পত্র দাখিল করতে হবে।

(০২) চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য নিয়োযিত পরিচালক, মুখ্য অভিনয় শিল্পী এবং কলাকুশলীর সংখ্যা, যৌথ প্রযোজকগণ যৌথ প্রযোজনা চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন। চলচ্চিত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে কোনো একজন পরিচালক হলেই হবে। তবে শিল্পী ও কলাকুশলী সমানুপাতিক হারে হবে।

(০৪) যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের লোকেশন কাহিনী ও চিত্রনাট্যের প্রয়োজন অনুসারে হবে।

(০৫) এই পয়েন্ট সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। অনেক সময় অনুমোদন পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। কিন্তু ব্যস্ত আর্টিস্টের শিডিউল চলে যাবে বলে প্রযোজক শুটিং করতে বাধ্য হন।

(০৬) যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার ৪৫ দিন অতিক্রান্ত না হলে চলচ্চিত্র প্রিভিউয়ের জন্য জমা দেয়া যাবে না।

(১০) যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্মাতাগণের সঙ্গে ক্যামেরা ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা ও ফেরত নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সহজিকরণের জন্য বিদেশি যন্ত্রপাতি আনা ও নেওয়ার জন্য বিএফডিসির অনুমোদনই যথেষ্ট।

(যেখানে বড় বড় গার্মেন্টস ও অন্যান্য আমদানি রপ্তানিতে অভিজ্ঞ্য ফ্যাক্টরি হিমসিম খায় ও দীর্ঘ সময় লাগে, সেখানে আমদানি রপ্তানিতে অনভিজ্ঞ চলচ্চিত্র প্রযোজক গণ কীভাবে এত সব অফিসের সম্মুখীন হবে?)

এদিকে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (চলচ্চিত্র) ইউছুব আলী মোল্লা খসরা নীতিমালা প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সব বিষয়ই রাখা হয়েছে খসড়াটিতে। এখন এ বিষয়ে আমরা সকলের মতামত নিচ্ছি। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মতামত নেওয়া হবে। অন্তর্ভুক্ত করার মতো যদি কোন মতামত পাওয়া যায় তবে তা যুক্ত করে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে।’

সবশেষে জাজের দাবি, নীতিমালায় এসব অসঙ্গতি দূর করা না গেলে যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণ সম্ভব নয়। দর্শকদের ভালো ছবি উপহার দেয়া সম্ভব নয়। যার ফলে ভালো ছবি না হলে দর্শকরা হলে ফিরবে না, যার জন্য সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাবে।

 

জীবন ও সম্পর্কের বৈধ মাধ্যম বিয়ে

ইসলাম জীবন ও যৌনতার বাস্তবতাকে অকপটে স্বীকার করে। বিয়ের মাধ্যমে পাশবিক বিশৃঙ্খলামুক্ত জীবন ও যৌনতাকে ইসলাম বৈধতা দিয়েছে।

যৌনতার উশৃঙ্খলতাসহ বিশ্ব মানবতাকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখতেই আল্লাহ তাআলা শান্তির দূত হিসেবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করছেন। নাজিল করেছেন পবিত্র কুরআনুল কারিম।

কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতনা, স্বভাব-চরিত্রসহ সর্বক্ষেত্রেই কুরআনের আলোকে প্রিয়নবি দেখিয়েছেন সঠিক পথ। যৌনতাকে পাশবিকতায় না নিয়ে মানব বংশ বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ করতে এবং পাশাবিক উন্মাদনায় উদ্বুদ্ধ না হয়ে বিয়ে প্রথার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেছে ইসলাম।

জীবন ও যৌনতার উত্তম ব্যবস্থা হলো বিয়ে। যে সব কারণে যৌনস্খলনের সৃষ্টি হয়, বিয়ের মাধ্যমে সে সবের প্রতিবিধান তথা সমাধান করেছে ইসলাম।

এক কথায় যৌন চাহিদা পূরণের বৈধ আয়োজনকে ইসলাম একেবারেই সহজ করেছে। তাইতো প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে বিয়ে খরচ কম ও সহজ, সে বিয়েই বরকতপূর্ণ।’ (বয়হাকি)

যুবকদেরকে প্রতি প্রিয়নবির আহবান

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বিয়ের ফলে যুবকদের দৃষ্টি অবনত থাকবে আর গুপ্তাঙ্গ থাকবে পবিত্র। যে যৌন ক্ষমতার যথার্থ প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল মানব অস্তিত্ব ও তার পবিত্রতা। সে যৌনতার ব্যাপারে অপবিত্রতা তথা পাশবিকতার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসলাম।

আবার লোভাতুর দৃষ্টি ও অবাধ মেলামেশা যেহেতু যৌনাপরাধের মূল উৎস, তাই এগুলোকে ইসলাম পরিষ্কারভাবে নিষেধ করে দিয়েছে।

সুস্থ ও সুশৃঙ্খল পথে যৌন কামনা পূরণের মাধ্যমে বৈধ মানব বংশ বৃদ্ধির প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেন, ‘তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর কর্তব্য হয়ে যায়। আর তারা হলো-
>> আজাদি চুক্তিবদ্ধ গোলাম- যে তার রক্তমূল্য আদায় করতে চায়।
>> পবিত্রতার মানসে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি এবং
>> আল্লাহর পথের মুজাহিদ। (তিরমিজি)

পরিশেষে..
যেহেতু বিয়ের মাধ্যমে একজন মু’মিন বান্দা আল্লাহর সমীপে পবিত্র ওয়ে ওঠার পথ খুজে পায় এবং বিয়ে করা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামসহ সব নবি-রাসুলের আদর্শ। তাই জীবন যৌনতার পরিশুদ্ধতায় বিয়ের মাধ্যমে যুবকের চরিত্র পবিত্র রাখা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর যুবকদের যৌনতার পাশবিক বিশৃঙ্খলা থেকে হেফাজতে করে বিয়ের মাধ্যমে উত্তম যৌন সম্পর্ক স্থাপনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

যেসব কারণে কখনোই সফল হতে পারবেন না আপনি

সাফল্যের মুকুট মাথায় পরতে কে না চায়? প্রত্যেকটি মানুষই কঠোর পরিশ্রম করে সফলতা অর্জন করার জন্যে। কেউ সফল হয় আবার কেউবা ব্যর্থতাকেই আপন করে নেয়। কিন্তু এটি মোটেই কাম্য নয়। আমাদের প্রত্যেক কাজের শেষে থাকে ভালো-মন্দের কারুকার্য।

আমরা অনেকেই কোন কাজে ব্যর্থ হয়ে গেলে মুষড়ে পড়ি, ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাই। কিন্তু আপনি কি জানেন সবকিছুরই একটি কারণ আছে? আপনি যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ব্যর্থ হচ্ছেন, সেটিরও একটি কারণ আছে। একটু সময় নিয়ে নিজেকে বুঝুন ও জানুন, দেখবেন সবকিছু খুব সহজ হয়ে গিয়েছে এবং সফলতার মুকুট আপনি পরিধান করতে পারছেন।

আজকের ফিচারে আপনাকে জানানো হবে কোন কোন কাজগুলোর জন্য আপনি প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছেন এবং এগুলো চলতে থাকলে আপনি কখনোই সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌছবেন না। চলুন তবে জেনে আসা যাক-

আপনি জানেন না সফলতা ব্যাপারটা আসলে কি

সফলতা অর্জন না করার অন্যতম প্রধান কারণ হলো আপনি জানেনই না সফলতা কী! হয়তো আপনি অনেক বেশি সিনেমা দেখেন সেখান থেকে কোন ধারণা নিয়ে নিজের মধ্যে সাফল্যের সংজ্ঞা আয়ত্ব করে নিয়েছেন। যখন অন্য কারো মুখে সাফল্যের কথা আপনি শোনেন, সেটা কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে না-ও খাটতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং, সফলতা অর্জন করার জন্য নিজে বুঝতে চেষ্টা করুন সফলতা কী।

কোন ব্যাপারে আপনি উদ্যমী আপনি জানেন না

আপনি সব সময় এক ধারণা থেকে অন্য ধারণায় ঝাঁপিয়ে বেড়ান, যেটি শুনতে একটু ভালো লাগে সেদিকেই আপনার মনোযোগ গিয়ে পড়ে। অপরাহ উইনফ্রে একবার বলেছিলেন, ‘উদ্যম হলো শক্তি। উদ্যমী হওয়ার দরুণ আপনি যে শক্তিটা পাচ্ছেন সেটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন’। তিনি এটি অনুধাবন করতে পেরেছেন যে কোন বিষয়ে উদ্যমী না হওয়া সত্ত্বেও আপনি যদি সেটি নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন তবে বেশিদূর পৌছতে পারবেন না।

নিজের জীবনকে পরীক্ষা করুন। কোন ব্যাপারটা আপনাকে আনন্দিত করে তোলে, কোন বিষয়ে আপনি উদ্যমী সেটি বুঝতে চেষ্টা করুন। একেবার শুরু করলেই দেখবেন, সাফল্য আপনার দ্বারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছে।

আপনি কাজে সময় দিতে চান না

আপনি হয়তো ম্যালকোম গ্ল্যাডওয়েল এবং তার ১০,০০০ ঘণ্টার নিয়মের কথা শুনেছেন। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবিষ্কার করেছেন যে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ব্যক্তিগণ কঠোর পরিশ্রমেই তাদের সময় ব্যয় করেছেন। তারা তাদের কারুশিল্প এবং গবেষণায় সময় বিনিয়োগ করেছেন। ব্যর্থ হলেও বারংবার চেষ্টা করে গিয়েছেন। আপনি চেয়েছেন বলেই যে সাফল্য আপনার দ্বারপ্রান্তে চলে আসবে, এমনটা কিন্তু নয়। আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কেবল তখনই আপনি সফল হবেন।

আপনি সঠিক মানুষের সঙ্গে মেশেন না

জিম রনের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে, ‘আপনি যে পাঁচজনের সঙ্গে মেশেন, তাদেরই প্রতিফলন আপনি’

আমাদের এমন মানুষের সঙ্গে মেশা উচিৎ যাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য সাফল্য অর্জন করা। যখন আপনার চারপাশ ইতিবাচকতায় পরিপূর্ণ থাকে, তখন সহজেই আপনি সফলতার পথে অগ্রসর হতে থাকবেন। এতে করে আপনি অসংখ্য সফল ব্যক্তিবর্গের সঙ্গেও মিশতে পারবেন। এভাবে আপনার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে।

আপনার মানসিকতা ইতিবাচক নয়

আশেপাশের সবকিছু আপনার কাছে অসহ্য মনে হয়। আপনি সাফল্যের ছিটেফোঁটাও কোথাও দেখেন না। পৃথিবীর কোথাও ইতিবাচকতার বিন্দুমাত্র আপনি খুঁজে পান না। আপনি যখনই নিজের মানসিকতা বদলে নেতিবাচকতা থেকে দূরে নিয়ে যাবেন, তখনই আপনি নতুন এক জগতের সন্ধান পাবেন। সুতরাং, নিজেকে এবং নিজের চিন্তা-ভাবনাগুলোকে ইতিবাচক করার চেষ্টা করুন।

সবশেষে এই বলা যায় যে, ওপরের বৈশিষ্ট্যগুলো যদি আপনার চরিত্রে থেকে থাকে, তাহলে সেগুলোকে বদলে ফেলুন আজই। নিজেকে পুনরায় গঠন করা শুরু করুন। সফলতা অর্জন করার যে পন্থাসমূহ রয়েছে, সে অনুযায়ী চলতে শুরু করুন। আপনিই জয়ী হবেন।

 

কালাই-রুটির মনোয়ারা বেগম

আধো আলোছায়ায় বসে আছেন মনোয়ারা বেগম। বয়স জিজ্ঞাসা করামাত্রই হেসে বলেন, ‘বয়স বুলতে (বলতে) নেই।’ কালাই-রুটি বানান কবে থেকে? একগাল হেসে বললেন, জন্মের পর থেকে বানাচ্ছি। রাজশাহী শহরে সাহেববাজার এলাকায় নিয়মিত কালাই-রুটি তৈরি করেন তিনি। এলাকায় পরিচিত মুখ। খুব যত্ন নিয়ে বানাচ্ছেন কালাই-রুটি। তাঁর হাতের রুটি একবার নয়, বারবার খেতে আসে সবাই। বানানোর নিয়ম জিজ্ঞাসা করতেই বললেন মনোয়ারা বেগম, ‘আপনারা পাইরবেন নাহ। আগে হামরা (আমরা) তো মাষকলাই ডাল দিতাম বেশি আর আটা দিতাম সামান্য। কিন্তু সব জিনিসের দাম বাইরে যাওয়ায় আমরা এইর মধ্যে কলাই আর আটা মিশাই। দুই কেজি আটার সঙ্গে দুই কেজি কালাইর ডাল দিই। কাঁচা পানি আর একটু লবণ দিয়ে আটার সঙ্গে ভালো করে মিশাই। এরপর মোটা করে রুটি বানাই। মাটির পাত্রে এই রুটি সেঁকতে হয়। খড়ির চুলায় তাতে স্বাদ পাওয়া যায় ভালো।’

রুটির সঙ্গে সামান্য মরিচ আর বেগুনপোড়া ভর্তা। বরেন্দ্রভূমিতে সন্ধ্যাকালীন নাশতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় এই খাবার।

হাসিখুশি মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। কিছুক্ষণ পরপর পান মুখে দেন। পানের মুখে কথা বলতে বলতে গান গেয়ে ওঠেন নিজের পছন্দের।

মনোয়ারা বেগমের এক মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলেমেয়েরা অন্য কাজ করে। তাঁর স্বামী কৃষিকাজ করেন পদ্মার চরে। মায়ের কাছ থেকে শেখা রুটি বানানোর কাজ মনোয়ারা বেগম একাই করেন। মনোয়ারা বেগমের পরিবারে এই রুটি ছিল মূল খাবার। তাঁর মা বানাতেন আর সব ভাইবোন মিলে সকালে খেতেন। রুটি বানাতে বানাতে সেই গল্পই করলেন এই প্রতিবেদকের কাছে।

পরিবারে দুজনের জন্য যে টাকা লাগে তা হয়ে যায় এই রুটি বিক্রি করে। প্রতিদিন ৪০০ টাকার আটা-ডাল কেনেন। বেচা-বিক্রি তেমন নেই, কোনো দিন শ পাঁচেক বা হাজারখানেক টাকা পাওয়া যায়। তবে বৃষ্টির দিনে হাজার টাকার বিক্রি হয়। কারণ বৃষ্টির দিনে শখ করে মানুষ গরম কালাই-রুটি বেশি খায়।

মনোয়ারা বেগম কালাই-রুটি বানান বছরের পর বছর ধরে। তাই তো তাঁর নিজের মনে হয় তিনি বোধ হয় জন্মের পর থেকেই এই কাজ করছেন। আর তাই হয়তো তাঁর এই কাজে ক্লান্তি নেই।

 

মেজবানি গরুর মাংস রান্না করার পারফেক্ট রেসিপি

চট্টগ্রামে বিখ্যাত মেজবানি মাংস আক্ষরিক অর্থেই অতুলনীয় একটা খাবার। যিনি একবার খেয়েছেন, আজীবন তাঁর মুখে লেগে থাকবে এর স্বাদ। তবে হ্যাঁ, মজাদার এই খাবারের “সিক্রেট” রেসিপি কিন্তু বাবুর্চিরা দিতে চান না। তাই ঘরেই যতই রান্না করুন না কেন, ঠিক যেন বাবুর্চির হাতের স্বাদ মেলে না।

চিন্তা নেই, এখন থেকে আপনার রান্না মেজবানি মাংসও হবে ঠিক বাবুর্চিদের মতই। কেননা আমি নিয়ে এসেছি সেই দারুণ সহজ রেসিপি। এই রেসিপিতে আপনি সহজেই আনতে পারবেন সেই অসাধারণ সুস্বাদ।

উপকরণ:

গরুর মাংস ২ কেজি (ছোট টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নেয়া)

২ কাপ পেঁয়াজ কুচি করা। ও ১ কাপ পেঁয়াজ বাটা।

তেল ১/২ কাপ (সয়াবিন + সরিষার)

আড়াই টে চামচ আদা বাটা

দেড় টে চামচ রসুন বাটা

১ চা চামচ করে শাহি জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া।

১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

ঝাল বিহীন স্পেশাল শুকনা মরিচ গুঁড়া ৩-৪ টে চামচ বা পরিমান মতো (আমি এখানে কাশ্মিরি শুকনা মরিচ গুঁড়া ব্যবহার করেছি। এটায় ঝাল কম হয়ই বাট কালার টা অনেক সুন্দর হয়। চট্টগ্রামে ব্যবহার করা হয় মিষ্টি মরিচ গুঁড়া। )

৮-১০ টা কাঁচা মরিচ (বা নিজের পরিমাণ মতো)

১ টে চামচ চিনি

৩/৪ টা তেজ পাতা।

৪/৫ টা ভাজা আলু (ইচ্ছা। আপনি খেতে চাইলে দিতে পারেন)

মেজবানি মাংস স্পেশাল মশলা:

২-৩ টা এলাচ,

২ টুকরা দারচিনি (১” সাইজ),

৪-৫ টা লবঙ্গ,

১/৮ পরিমাণ জায়ফল,

১/২ চা চামচ জয়ত্রি,

গোলমরিচ ৫-৬ টা,

১/২ চা চামচ পোস্তদানা সব একসাথে পানি দিয়ে বেটে পেস্ট করে নিতে হবে।

প্রনালি:

  • -পেঁয়াজ কুচি, চিনি ও তেজপাতা ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সাথে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে
  • -একটা পাত্রে তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও তেজ পাতা দিয়ে হালকা লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।
  • -ভাজা হয়ে গেলে এবার মাখান মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ কষাতে হবে। ৪-৫ মিনিট।
  • -এবার বেশি করে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। ১ ঘণ্টার মতো।
  • -রান্না করার সময়ই ঢাকনা টা ভালো করে সিল করে নিতে হবে।
  • -হয়ে গেলে নামানর আগে ভাজা আলু দিয়ে দিন।

মনে রাখুন

  • -সব মশলা ভালো করে পেস্ট করতে হবে।
  • -মাংস ভালো করে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে।
  • মাংসের পিস ছোট ছোট হতে হবে।
  • -সবচেয়ে জরুরি রান্নার পাত্রের ঢাকনা অবধাকনা ভাল করে সিল করে নিতে হবে। ও অল্প জ্বালে রান্না হবে।

 

লা রিভে বর্ণিল পোশাক

বাংলাদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড লা রিভের শো রুম ও ওয়েবসাইটে এসেছে বর্ণিল সব পোশাক। ছোট বড় সবার জন্য নানা রঙের ও নানা ধাঁচের পোশাকে সেজেছে খ্যাতনামা এই পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। লা রিভের শোরুমে রয়েছে নানা রকম পোশাকের পাশাপাশি ফ্যাশনের নানা অনুষঙ্গও।

হালে নারীদের পোশাক মানেই একটু লম্বা ঝুলের ও বৈচিত্রময় রঙের সমাহার। আর সেই কথা মাথায় রেখেই ঈদুল আজহায় লা রিভ নিয়ে এসেছে বৈচিত্রময় ডিজাইনের সব টিউনিক। হালফ্যাশনের ‘ট্রেইল কাট টিউনিক’, ‘শার্ট স্টাইল লং টিউনিক’ ছাড়াও রয়েছে এশিয়ান টিউনিকে ফিউশনসহ ওয়েস্টার্ন ডিজাইনের নানারকম টিউনিক। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী প্রিন্স কাটের স্টাইল টিউনিকও।

আরো আছে দুই লেয়ারের টিউনিক ডিজাইন। লা রিভের এবারের আয়োজনে ওই ডাবল লেয়ার টিউনিকগুলোতেই আরো একটি লেয়ার ব্যবহার করা হয়েছে, যা পোশাকে এনেছে আরো অভিজাত ভাব।

লম্বালম্বিভাবে কাটা স্লিট টিউনিক হালের ফ্যাশন দুনিয়ার অন্যতম অনুষঙ্গ। পোশাকের সামনে অথবা পাশ থেকে চেরা এই টিউনিকগুলো পালাজ্জো অথবা স্কার্টের সঙ্গে সমানভাবে পরা যায়। কিন্তু এবার শুধু টিউনিকেই নয়- সালোয়ার কামিজ, দোপাট্টায় এই স্লিট কাট নিয়ে এসেছে লা রিভ। এগুলো টপ, হারেম ও পালাজ্জোর সঙ্গে মানানসই।

নারীদের পোশাকের রঙে এবার আনা হয়েছে অভিনব বৈচিত্র। সবুজ, সোনালী, গাঢ় সামরক সবুজ, আইভরি, সরিষাদানা, শরতের কমলা রঙ, দারুচিনির বাদামি রঙ, নীল এবং কার্নিশনসহ নানা রঙের পোশাকে সেজেছে লা রিভের শো রুমগুলো।

লা রিভে ছেলেদের ঈদের পোশাকে ৭০ দশকের বিমূর্ত ও ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালানো হয়েছে। পাঞ্জাবি বিশেষ করে সেমি ফিট, রেগুলার ফিট, জাকুয়ার্ডস এবং বিশেষ বিভিন্ন পাঞ্জাবিতে পুরোনো ফ্যাশনগুলোর আধুনিকায়নকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শার্ট ও টি-শার্টেও আরামদায়ক ও উন্নতমানের ফেব্রিকের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ধারণা ফিরিয়ে আনার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।

শিশুদের জন্য লা রিভে বরাবরই ঈদে জমকালো আয়োজন থাকে। ১ থেকে ১৩ বছর বয়সি শিশুদের জন্য আধুনিক ও আরামদায়ক পোশাক পাওয়া যাবে সঠিক দামে। রয়েছে সদ্যজাত শিশুর জন্যও ঋতুভেদে আরামদায়ক নানা পোশাক।

ছেলে শিশুদের ঈদের পোশাক পাঞ্জাবিতে গাড় রঙের বৈচিত্রপূর্ণ কাজ করা হয়েছে। ছোট মেয়েদের জন্য পোশাকে প্রিন্ট ও বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের পোশাকের পাশাপাশি আধুনিক ফ্লোরাল ডিজাইনের ফ্রক, সালোয়ার কামিজ, দোপাট্টা ও ঘাগড়া চোলি পাওয়া যাচ্ছে। এসব পোশাকে বরাবরের মতোই কটন ও সিল্কের পোশাক তো থাকছেই সঙ্গে নানা রঙ ও ঢংয়ের পোশাকগুলো লা রিভের শিশুদের পোশাকে এনেছে বৈচিত্র। শোরুম ছাড়াও রয়েছে অনলাইনে পোশাক কেনার সুবিধা। ওয়েবসাইট: www.lerevecraze.com।

 

ঘর গোছানোর দরকারি টিপস

সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা হচ্ছে ঘর। একটি সাজানো পরিপাটি ঘর নিমিষেই আপনার মন ভালো করে দিতে পারে। বাড়িতে যারা থাকেন প্রত্যেকেরই দায়িত্ব থাকার জায়গাটি সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা। ঘর গোছানোর সময় খেয়াল রাখবেন যার ঘর গোছাচ্ছেন তার রুচি এবং পছন্দ সম্পর্কে। প্রতিদিন একটু একটু করে গোছানো যদি আপনার পক্ষে সম্ভব না হয় তাহলে পর পর কয়েক দিন ছুটি আছে এমন দিন বেছে নিন। কাজ ভাগ করে নিন।

সব একবারে পরিষ্কার বা গোছাতে যাবেন না। সব কিছু রাখার নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দিন যাতে আপনার স্বামী এবং সন্তানরা তাদের প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে সবকিছু পায়।

অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আলমারির একেবারে পেছনে রাখুন। যাতে অফিসে যাওয়ার সময় কাজের জিনিসগুলো হাতের কাছে পান। মনে রাখবেন বাইরে যান বলে ঘর গোছানোর সময় পান না এই অজুহাতটা কিন্তু ঠিক নয়।

জামাকাপড় যেখানে-সেখানে ফেলে না রেখে ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে রাখুন। ভাঁজ করে রাখবেন। ব্যবহারের পর যেখানকার জিনিস সেখানেই রেখে দিন। বই পড়া হয়ে গেলে বুক শেলফে সাজিয়ে রাখুন, রান্না হয়ে গেলে মশলাগুলো ক্যাবিনেটে রেখে দিন।

প্রতিটি ঘরে ছোট একটি ডাস্টবিন রাখুন। বাথরুমে রাখুন ওয়াল হ্যাঙ্গার। এর মধ্যে সব দরকারি জিনিস ভরে রাখুন। রান্না ঘরেও ব্যবহার করুন ড্রয়ার। এতে মশলার কৌটা, বাসনপত্র রাখুন। আর এ কাজগুলো নিয়মিত করলে দেখবেন আপনার ঘর সব সময়ই গোছানো লাগছে।

বাড়িতে যার যে জিনিসটার প্রয়োজন, সে সেই জিনিসটা হাতের কাছে রাখুন। নিজের ব্যবহার করা জিনিস অন্যের হাতের কাছে না রাখাই ভালো। এতে করে সবাই সবার ঘর গোছাতে সহায়ক হবে।

ঝটপট ঘর বসার ঘরটা গোছাতে সোফার কুশনগুলো সাজিয়ে ফেলুন সঙ্গে কুশন কভারগুলো বদলে দিতে পারেন। আপনার নিজের বেডরুমটিও চট করে গুছিয়ে ফেলুন। বিছানায় নতুন চাদর লাগান, বালিশের কভারগুলো বদলে দিন।

ঘর পরিষ্কার করা শেষে এয়ারফ্রেশনার স্প্রে করে দিন, ফুলদানির আগের ফুলগুলো ফেলে নতুন ফুল রেখে দিন।

 

স্টেইনলেস স্টিলের বেসিন ব্যবহারে মৃত্যু ঝুঁকি!

রান্নাঘরের সিঙ্ক বা বেসিন মানেই ময়লা এবং জীবাণুদের বাসা, প্রতিটি বর্গক্ষেত্র ইঞ্চিতে ১৮ হাজার ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই তথ্য নতুন নয় বা বিস্ময়কর নয়, কারণ সেখানে ময়লা ধোয়া হয়।

কিন্তু নিউ সায়েন্টিস্টে প্রকাশিত তথ্যানুসারে, বেসিনে আপনি কি ফেলেন, সেটাই কেবল স্বাস্থ্য উদ্বেগের একমাত্র কারণ নয়।

চীনামাটির অথবা তামার বেসিনের তুলনায় স্টেইনলেস স্টিলের বেসিন নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে- লেজিওনাইরেস রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই সমস্যাটি তখন শুরু হয় যখন স্টেইনলেস স্টিলের সিঙ্কের ওপরের নিরাপদ আস্তরণ ক্ষয়ে যাওয়া শুরু হয়, ফলে সম্ভাব্য এই মারাত্মক রোগের জন্য একটি আদর্শ কারণ তৈরি করে।

মায়ো ক্লিনিকের মতে, লেজিওনাইরেস রোগের উপসর্গগুলো মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, শরীর ঠান্ডা এবং উচ্চ জ্বর হিসেবে শুরু হয় এবং দিন দিন বাড়তে থাকে যার সঙ্গে যুক্ত হয় কাশির সঙ্গে রক্ত, শ্বাস প্রশ্বাসে দুর্বলতা, বুকের ব্যথা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা এবং স্নায়বিক পরিবর্তন।

লেজিওনাইরেস রোগ প্রতিরোধে উইলকো ভ্যান ডের লুগ্টের তত্ত্বাবধানে একটি গবেষণায় গবেষকরা, বিভিন্ন ধরনের বেসিনের কলে লেজিওনেলা অ্যানিসা ব্যাকটেরিয়া ছাড়া এবং এই ব্যাকটেরিয়া সহ পানি পরীক্ষা করে। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, স্টেইনলেস স্টিলের বেসিনের কল এই ব্যাকটেরিয়ার বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে উর্বর পরিবেশের সৃষ্টি করে। পরীক্ষায় লেজিওনাইরেস রোগের ৫০ শতাংশ ঝুঁকি পাওয়া গেছে। স্টেইনলেস স্টিলের নিরাপদ আবরণ ক্ষয় হয়ে যাওয়ার পর মরচে পড়ে এবং এই মরচে লেজিওনেলা অ্যানিসা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

 

৫ দিনব্যাপী অনলাইন মেলা

প্রথমবারের মতো ই-কমার্স শপ অর্থাৎ অনলাইনের বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে এক ছাদের নিচে শুরু হচ্ছে, বাংলাদেশ অনলাইন ফেয়ার ২০১৭। রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের হোয়াইট হলে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ৫ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

১৭ সেপ্টেম্বর রোববার, সকাল সাড়ে দশটায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার। মেলায় মোট ৫০টি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলার আয়োজক বাংলাদেশ অনলাইন বিজনেস ফোরাম।

মেলাতে থাকছে দেশি ও বিদেশি কাপড়, কসমেটিক্স, জুয়েলারি, মেন্স কালেকশন, ফার্নিচার, লেদার প্রোডাক্ট। আরো থাকছে হ্যান্ডিক্রাফটের দারুণ সব ক্রিয়েটিভ আইটেম। বাচ্চাদের জন্য থাকছে কিডস কালেকশন।

মেলা জমজমাট করার জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠান থেকে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেনাকাটায় ৫% থেকে শুরু করে ৫০% পর্যন্ত ছাড়। ৩০০ টাকার পণ্য কিনলে মেয়েদের জন্য থাকছে ফ্রি মেহেদী। ১০০০ টাকার একটি পণ্য কিনলেই মিলবে ৫০-৮০ টাকার একটি ফ্রি ফুড কুপণ। এই কুপণটি দিয়ে মেলার যেকোনো ফুড স্টল পছন্দের ফুড খাওয়া যাবে। থাকছে ফ্রি ফটোশুটের সুবিধা।