banner

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 2356 বার পঠিত

 

সংসার সুখের হয় পুরুষের গুণে

আফরোজা হাসান


“সংসার সুখের হয় পুরুষের গুণে” ভাবছি এই শিরোনামে একটা সিরিজ লিখবো। নারীর গুণে সংসার সুখের হবার বা জীবনে হাসি-আনন্দ বিকশিত হবার অনেক কাহিনী শুনেছি, পড়েছি, দেখেছিও। কিন্তু একটা সংসার সুখী হবার পিছনে একজন পুরুষের অবদান কতখানিক হতে পারে এটা নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু পড়া বা শোনা আমার অন্তত হয়নি। তবে দেখা? হুমম…অনেক দেখা হয়েছে। নানুমণি, মামণি, খালামণি, মামীমা, চাচীমা, ফুপ্পিদের থেকে নিয়ে শুরু করে নিজেকে, বোনদেরকে, বান্ধবীদেরকে এমনকি কয়েকদিন আগে হওয়া ভাতিজীর সংসার দেখেও এই চিন্তাটাই আরো দৃঢ় হয়েছে যে, আমাদের পরিবারের প্রতিটি সংসারের সুখের পেছনে নারীদের চেয়ে পুরুষদের অবদানই বেশি।

গতকাল আমাদের বোনদের সাপ্তাহিক আলোচনা সভাতে হঠাৎ করেই সংসারে সুখী হবার পেছনে কার অবদান বেশি সেটা নিয়ে কথা উঠলো। ভাবী ও বোনেরা মিলে আমরা তেরো জন এক বাক্য স্বীকার করে নিয়েছিলাম যে, আমরা সুখী এর নাইনটি পারসেন্ট ক্রেডিট আমাদের হাজবেন্ডদের। তখন মনেহলো কেমন হয় নিজেদের সংসার গুলোকে নিয়ে একটু গবেষণা করে দেখলে? যেই মানুষগুলো দ্বারা জীবন অনিন্দ্য সুন্দর রূপ ধারণ করে এসেছে আমাদের কাছে। সেই মানুষগুলোর এত ভালো হবার রহস্য কি? নারীদের মহিমা নিয়ে তো অনেক কাব্য, মহাকাব্য লেখা হয়েছে। আমরা একটু ভিন্ন কিছু লেখার চেষ্টা করে দেখি না নিজ নিজ অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার থেকে।

খুঁজতে গিয়ে দেখলাম আমাদের সবার হাজবেন্ডদেরই কিছু বিষয় কমন। উনারা প্রত্যেকেই ভয়াবহ রকমের ব্যস্ত মানুষ। তবে পরিবারের জন্য যতটুকু সময় নির্ধারিত চেষ্টা করেন সেই সময়টুকুর সবটুকু দিতে। পারুক বা না পারুক নিজ নিজ স্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকেন উনারা। মেয়েদের রাগ হচ্ছে অনেকটা আগুনের মত। উনারা কখনোই আগুনে তেল বা বাতাস দেন না। বরং এমন পরিমাণ পানি ঢালেন যাতে ধোঁয়াও না বের হয়। নারী জাতি স্বভাবগত ভাবে বাঁকা। আর প্রচলিত আছে সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করতে হয়। কিন্তু উনারা আঙুল বাঁকা না করে এমন মাত্রায় উত্তাপ দেন যে ঘি গলে গিয়ে নিজ থেকেই বেড়িয়ে আসে। এমন আরো অনেককিছু আছে যা আসলে উদাহরণ ছাড়া ঠিক বোঝানো সম্ভব নয়।

তবে সিরিজটা আমি মজা করার জন্য লিখতে চাচ্ছি না। লিখতে চাচ্ছি কারণ জীবনের ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে থাকে ভালো থাকার নানা উপকরণ। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে অনেক সময় আমরা সেসব দেখতে বা খুঁজে নিতে পারি না সেই । অনেক সময় অন্যের অভিজ্ঞতা শুনে উপলব্ধি করি যে, আরে এমন অনেক মুহুর্ত তো আমার জীবনেও প্রায়ই আসে। এর মধ্যে যে এত আনন্দ ও সুখ থাকতে পারে সেটা তো জানাই ছিল না। হুমম…এই উপলব্ধিটুকুই মনে জাগিয়ে যেতে চাই গল্পে গল্পে। স্বাভাবিক বলে যে সুখ মানুষের নজরেই আসে না, অন্যের অভিজ্ঞতা শুনে বা জেনে তখন রঙতুলির ছোঁয়া লাগে ভাবনাতে। আবার অনেক সময় জানাই থাকে না যে স্যাক্রিফাইস কিভাবে করতে হয়। স্যাক্রিফাইস শব্দটা শুনলেই বিশাল কিছু ছাড় দেবার ইমেজ চলে আসে মনে। অথচ ছোট ছোট ত্যাগই জীবনকে করে তোলে স্বপ্নিল।

যাইহোক, অনেক লম্বা প্রাসঙ্গিক সূচনা দেয়া হয়ে গিয়েছে। আমি এখন বিশ্লেষণের দিকে যাই……।

Facebook Comments