banner

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1636 বার পঠিত

 

সম্পর্কের মূল্যায়ন -শেষ পর্ব

রেহনুমা বিনতে আনিস


সবচেয়ে বড় কথা, মানুষকে মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে। কোন মানুষই পার্ফেক্ট হয়না। আমিও না। এমনকি বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও বিশ্বাস করুন, আপনিও না। সুতরাং, মানুষের মাঝে ত্রুটির অনুসন্ধান করলে আপনি ত্রুটির অভাব পাবেন না। কিন্তু গুণের অনুসন্ধান করলেও আপনি নিরাশ হবেন না। আমরা যদি অপরের ত্রুটির পরিবর্তে ভালো গুণের ওপর ফোকাস করি এতে নানাবিধ লাভ।
প্রথমত, আমরা তাঁর উদাহরণ থেকে কিছু শিক্ষা লাভ করতে পারি।
দ্বিতীয়ত, তাঁকে অ্যাপ্রিশিয়েট করা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।
তৃতীয়ত, আমরা একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। এতে নিজেও শান্তিতে থাকা যায়, অপরেরও অশান্তির কারণ হতে হয়না।

রাসূল (সা) শিখিয়েছেন অ্যাপ্রিশিয়েট করার পাশাপাশি তা প্রকাশ করতে। কারণ আমরা কেউ মানসবেত্তা নই যে কারো মুখ দেখে বলে দেব সে কি ভাবছে। অবশ্য আমার ধারণা এতে ভালই হয়েছে, কারণ আমাদের ভাবনাগুলো মাঝে মাঝে ভয়ংকর হতে পারে। সে যাই হোক, আমরা অপরের অনুমতি ব্যতিরেকে তাদের মনের ভেতর প্রবেশ করতে পারিনা বিধায় আমাদের আশেপাশের লোকজনকে আমাদের জানানো প্রয়োজন আমরা তাদের কতখানি ভালবাসি, কতখানি অ্যাপ্রিশিয়েট করি, তাদের আচরণগুলো আমাদের কতখানি আনন্দ দেয় বা ব্যাথা।

অধিকাংশ ভুল বুঝাবুঝির উৎস communication-এর অভাব, কোন যুক্তি ছাড়াই ধরে নেয়া যে অপর ব্যক্তি বুঝে নেবে আমি কি চাই বা আমি কি অনুভব করছি। আপনি যদি কারো ব্যপারে মায়া পোষণ করেন তবে কেন বলার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে এমন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করতে চান? এ’ কেমন ভালোবাসা যা ভালোবাসাকেই ধ্বংস করে দেয়?

সুতরাং, পরবর্তীতে হা হুতাশ করার পরিবর্তে সময় থাকতেই নিজের মনের ভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে শিখুন। প্রয়োজন না হলে রাগারাগি করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন হলে বলার আগেই ভাবুন কি বলছেন কেন বলছেন, কিভাবে বলছেন, যে উদ্দেশ্যে বলছেন তা স্পষ্ট হবার মত করে বলছেন কিনা।

‘Please’, ‘ধন্যবাদ’, ‘দুঃখিত’ এই ধরনের শব্দগুলো আপনার প্রতিদিনের vocabulary-র অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নিন। চেহারায় হাসি রাখুন। আপনার আশেপাশের মানুষগুলোকে বুঝতে দিন তারা আপনার জীবনে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। হয়ত দেখবেন আপনার জীবনে হঠাৎ করে বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষীর সয়লাব হয়ে যাবে যারা আগে আপনার কাছে ভিড়তে সাহস পেতনা।

১ম পর্ব

Facebook Comments