banner

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 408 বার পঠিত

 

মহাসড়ক থেকে কর্মস্থল, কোথাও নিরাপদ নয় নারী

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ঘরে-বাইরে নারীদের জীবন ক্রমে আরো ‘ঝুকিপূর্ণ’ হয়ে উঠছে। মহাসড়ক থেকে কর্মস্থল কোথাও নারীরা আজ নিরাপদ নয়।

শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে শহীদ তাজুল মিলনায়তনে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কোনো সমাজ ও দেশ নিজেদের সভ্য বলে দাবি করতে পারে না, টেকসই কোনো উন্নয়নও সম্ভব নয়। বস্তুত, নারীমুক্তি ছাড়া সামাজিক মুক্তি নেই।

কাউন্সিল অধিবেশনে তারা আরো বলেন, গত আড়াই দশক ধরে নারী নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হলেও বাস্তবে পুরুষতন্ত্রের জোয়াল থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেননি। সে কারণে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, গুম, পাচারসহ নারীর প্রতি সহিংসতা কমছে না; এখন পর্যন্ত নারীর সম-অধিকার বিরোধী রীতি-নীতি ও আইন-কানুন বিদ্যমান, নারীকে অমর্যাদাকরভাবে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সমান কাজের জন্য অনেক ক্ষেত্রে নারীরা এখনও সমান মজুরি পাচ্ছে না।

বক্তারা আরো বলেন, ‘সংবিধানে নারী-পুরুষের ক্ষমতার কথা বলা হলেও বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান ধারণ, অভিভাবকত্ব ও সম্পত্তির উত্তরাধিকার এখনও নারীদের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।’

পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নারীর অধিকার ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত, মজুরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে এবং নারী মুক্তির লড়াই এগিয়ে নিতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

সংগঠনের আহ্বায়ক বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাম মোর্চার নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শম্পা বসু, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সদস্য সচিব আবু হাসান টিপু, বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল, খেতমজুর ইউনিয়নের আকবর খান, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফায়জুর রহমান মনির, পাদুকা শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। অধিবেশন পরিচালনা করেন স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা।

Facebook Comments