banner

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 504 বার পঠিত

 

নারীর স্থায়ী উন্নয়নে চাই বিশেষ বিনিয়োগ

স্থায়ীত্বশীল নারী উন্নয়নে জেন্ডার বাজেট কোথায় খরচ হচ্ছে, কোথায় বরাদ্দ হচ্ছে এসব তদারকির জন্য মনিটরিং সেল গঠনসহ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ বিনিয়োগের মাধ্যমে নারী উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নারী নেত্রীরা।

রোববার বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে আয়োজিত ‘স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে নারীর জন্য বিনিয়োগ : জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ পরামর্শ দেন।

সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মী।

এতে অংশ নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু শুনি এবং তার ভিত্তিতে চেষ্টা করি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কিন্তু হয়তো তা কখনো সম্ভব হয় কখনো হয় না। ঐতিহাসিকভাবে নারীরা সম্পদহীন। এ ক্ষেত্রে যদি পরিবর্তন আনা যায় তাহলে হয়তো নারীর পরিবর্তন হবে। সক্ষমতার ভিত্তিতে আমাদের অর্থ ব্যয় করতে হবে।’

সংগঠনের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, ‘চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়নে অর্থনৈতিক যোগান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২১ সালের ভিশন অর্জন করতে হলে নারীকে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য জেন্ডার বাজেট খুবই প্রয়োজন। পাশাপাশি এ বরাদ্দকৃত অর্থ কিভাবে কোথায় নারীর জন্য বরাদ্দ হচ্ছে, কোথায় খরচ হচ্ছে তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং সেল হওয়া প্রয়োজন। কারণ, ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেট থাকলেও সেখানে অনেক মন্ত্রণালয় অর্থ খরচ করতে পারেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘সমান অংশিদারিত্বের কথা সব জায়গায় বলা হলেও তার কোনো প্রতিফলন বাস্তবে আমরা দেখি না। নারীর অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এটা সত্যি কিন্তু এই অগ্রগতি ও উন্নতির সুবাতাস কতটুকু নারী পাচ্ছে তাই আমাদের দেখতে হবে এবং এর ভিত্তিতে নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে।’

ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম বলেন, ‘আমরা অংশগ্রহণমূলক বাজেট চাই। আমরা বাজেটের আগে অনেক ধরনের আলোচনা দেখি কিন্তু এর প্রতিফলন আমরা অনেক সময়ই দেখি না। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় নারীর জন্য অনেক বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন অনেক কম। আমাদের অনেক ভালো ভালো পলিসি আছে কিন্তু তার বাস্তবায়ন নেই। আর এর জন্য প্রয়োজন মনিটরিং।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মী মূল প্রবন্ধে বলেন,  ‘বাংলাদেশে অনেক অগ্রযাত্রা হওয়ার পরও নারীর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখি। বর্তমানে চল্লিশটি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেট বরাদ্দ রয়েছে। জেন্ডার বাজেটে নারীর জন্য আমরা চাই নিরাপত্তা, লাভজনক কাজ, নারীর চলাচলের সুবিধা, নারী স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং ওনারশিপ। লেবার ওয়েলফেয়ার সার্ভিস সেন্টারে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিশেষ বিশেষ জায়গায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে নারীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।’

সভায় আরো বক্তব্য দেন- অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিআইডিএসর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো বিমল কুমার সাহা, অর্থ বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আজিজুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রমুখ।

Facebook Comments