banner

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 460 বার পঠিত

 

‘নারীর ক্ষমতা অর্জনের পথ দীর্ঘ’

দেশের নারীরা অর্থনৈতিক কাজে এখন অনেক বেশি সম্পৃক্ত হলেও ক্ষমতা অর্জনের জন্য নারীকে এখনো  দীর্ঘ সংগ্রামী পথ পাড়ি দিতে হবে। এমনটিই মনে করেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আক্তার।

তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘এখন নারীর কাজের ক্ষেত্রে পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন মেয়েরাও বাইরে এসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে শ্রমজীবী নারীদের মধ্যে এ পরিবর্তন এসেছে। এসবই দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নারীদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতার ক্ষেত্রে এখনো যথেষ্ট অভাব রয়েছে।’

‘নারীরা এখনো নিজের বিষয়ে, অর্থনৈতিক ব্যাপারে, সর্বপরি নিজের জীবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করেননি। আবার  নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নারীর উপস্থিতি কম,’ যোগ করেন তিনি।

নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে তাসলিমা বলেন, ‘ক্ষমতা কেউ কাউকে দেয় না… নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এখনো অনেক বড় সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হবে। নারীকে হয়ে উঠতে হবে একটি ব্যাক্তিসত্ত্বা, নীতি-নির্ধারণের জায়গা ও নেতৃত্বের জায়গায় আসতে হবে। এসবই নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

‘নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার রক্ষার কাজ রাষ্ট্রের’ – একথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এ দেশের নারীরা ছোটবেলা থেকেই নানা বঞ্চনা ও হীনমন্যতার মাঝে বেড়ে ওঠে। এছাড়াও আইনেও সম্পত্তির ওপর নারীর সমান অধিকার নেই এবং নারীকে অভিভাবক হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এ জন্য চাই আইনের পরিবর্তন। নিপীড়ক-ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে নিশ্চিত করতে হবে কঠোর শাস্তি।’

‘নারী অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই’—এ কথা জানিয়ে তসলিমা আক্তার বলেন, ‘নারী অধিকার রক্ষার জন্য মতাদর্শের জায়গাতে চাই পরিবর্তন। পাশাপাশি মিডিয়ায় ও বইপত্রে নারীর উপস্থাপন হতে হবে সংযত। গল্প, কবিতা ও টেলিভিশনের পর্দায় নারীকে কীভাবে উপস্থাপন করা হবে বা তার ভূমিকা কী হবে, তা নির্ধারণে রাষ্ট্রের নজরদারি থাকা দরকার।’

বিজ্ঞাপণসহ অন্যন্য বিভিন্ন মিডিয়ায় নারীর ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ মাধ্যমগুলোতে নারীর সৌন্দর্য উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু তার কর্মকে কখনই প্রাধান্য দেয়া হয় না। এগুলো নির্মাতাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা প্রকাশ করে– যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

Facebook Comments