banner

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 356 বার পঠিত

 

চোখে মুখে প্রশান্তির হাসি

চোখে মুখে প্রশান্তির হাসি


ফাতেমা শাহরিন


ইদানীং বসে বসে, শুয়ে শুয়ে, ঘুমন্ত অবস্থায় এমনকি জেগে জেগে স্বপ্ন দেখি আমি। তবে আজকের স্বপ্নটা আমার, একদমই অন্যরকম। কিছুদিন আগে একটা বই পড়লাম অন্যরকম গল্পগুলো ঐ বইতে কিছু মজার মজার আইডিয়া দেওয়া হয়েছে। একটা আইডিয়া নিয়ে তো আমার বড় বোন স্কুলের শিক্ষিকা ওকে বললাম। যে তুমি তো তোমার ক্লাসের স্টুডেন্টকে চাইলে বলতে পারো যে ডিসেম্বরে যখন ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হবে। সবাই ওদের পুরানো বই, খাতা আর কলম, পেন্সিলগুলো তোমার কাছে জমা দিবে। এর জন্য তুমি সবাইকে চকলেট গিফট করবা। এরপর সব বাসায় আনবা। আমরা খাতা থেকে যে পেজে লেখা নাই তা নিয়ে নতুন কিছু খাতা বানিয়ে আমাদের আশেপাশের পথস্কুল বা এতিমখানার বাচ্চাদের খাতা বানিয়ে দিতে পারি।

আরে আজকের স্বপ্নটা বেশি মারাত্মক। শুনুন আপনিও প্রশংসা করবেন। এই যে রাস্তাঘাটে যে সব অসহায়, ফকির বলছি বা রিকসা চালক বা ছোট ছোট ব্যবসা করা মানুষ রাস্তার ধারে ঘুমান। একটা ছোট্ট নির্দেশনা দিয়েছে, আমি টিভির খবর দেখি না শুধু নিচে লেখা আর বেকিং নিউজ পড়ি। লেখাটা দেখলাম বেকিং নিউজে। গুলশান, বারিধারা গুলিস্তান উত্তরা, আর কমলাপুর এলাকার প্রায় ২৫ টি মসজিদকে ধর্মমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে ১০ টি মসজিদে ১৪ দিনের জন্য পথে থাকা মেয়ে মানুষরা থাকবে। আর বাকী ১৫ টায় ছেলে মানুষরা থাকবে আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের দুবেলা দু-মুটো ভাত দেবার ঘোষণা দিয়েছেন। আর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে ওয়াদা করেছেন ধর্মমন্ত্রী যে, যে সকল মসজিদে ওনারা থাকবেন তা ভালো ভাবে গোসল করে জনগণের কাছে তুলে দিবেন।
আমি দেখছি বিশাল বিশাল মসজিদ গুলোতে ঢুকার সময় মেয়েরা পর্যন্ত গোসল করে পরিষ্কার হয়ে ঢুকছে। নিজেদের দেওয়া জায়গাটাতে আরাম করে বসেছেন। কেউ কেউ ফ্যানের বাতাসে নিজের চুল শুকাচ্ছেন। কেউবা আপন মনে আল্লাহকে ডাকছে আবার আবার কেউ কেউ ভগবানকেও ডাকছে। ওখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টানের ভেদাভেদ নেই। সবাই আল্লাহর কাছে দুআ করছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য।
এ যাত্রায় বেঁচে গেলো মনে হয় দেশটা। আমার চোখে মুখে প্রশান্তির হাসি।

Facebook Comments