banner

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 606 বার পঠিত

 

এটা প্রাতিষ্ঠানিক নারী নির্যাতন

সৈয়দ আবুল


সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী নির্যাতনকে অত্যন্ত বেদনায়ক উল্লেখ করে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, এটা প্রাতিষ্ঠানিক নারী নির্যাতনের ঘটনা।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সচেতন শিক্ষকবৃন্দ’র ব্যানারে এই মানবন্ধনঅনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারী নির্যাতিত হলো। সেটা হলো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটা আমাদের সকলের জন্যলজ্জার।

তিনি বলেন, আমি শুধু বলবো প্রাতিষ্ঠানিক নারী নির্যাতনের ঘটনা এটাই যেন সর্বশেষ হয়।
অতীতে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহমর্মিতা স্মরণ করে তিনি বলেন, আজকে কয়েক দিন কয়েকজন শিক্ষকের নাম অব্যাহতভাবে মনে আসছে। স্যার পি জে হার্টগ, অধ্যাপক আহমেদ ফয়জুর রহমান, অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র মজুমদার যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে তারা কী করতেন। হয়তো তাদের আত্মা দেখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা ও ছিলেন। এই অধ্যাপকরা কোনো শিক্ষার্থীর সামান্য ইনফুয়েঞ্জা হলেও ছাত্রদের কাছে ছুটে যেতেন। এমনও হয়েছে রাত ২/৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাথে

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যিনি ভিসি তিনি শিক্ষার্থীদের যেমন শিক্ষক তেমন অভিভাবকও। ভিসি বলেছেন, ছাত্রীদের তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এটা আমার কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক মনে হয়েছে।

অধ্যাপক ড. এম এম আকাশের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাসরীন ওয়াদুদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ব্যাপরী, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক সংগীতা আহমেদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খানসহ অর্ধ্বশত শিক্ষক।

সুত্র: নয়া দিগন্ত।

Facebook Comments