banner

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1696 বার পঠিত

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন


নারীর জন্য আইন


‘নারীর অধিকার’ একটি বহুল আলোচিত বিষয় বাংলাদেশে সব মহলে। আমাদের সংবিধানেও এর সমর্থন পাওয়ওয়া যায়। যেমন, সংবিধানে বলা হয়েছে – ‘ রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষ সমান অধিকার লাভ করিবেন ‘ [ অনুচ্ছেদ ২৮ এর ধারা (২)]। ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’ ( অনুচ্ছেদ – ২৭)। ‘ জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করিবার ব্যবস্থা করিতে হইবে’ (অনুচ্ছেদ – ১০)। ‘ প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে’ ( অনুচ্ছেদ – ১১)।

এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল  বালংদের‍্শেরে

২৬৷ (১) এই আইনের অধীন অপরাধ বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে একটি করিয়া ট্রাইব্যুনাল থাকিবে এবং প্রয়োজনে সরকার উক্ত জেলায় একাধিক ট্রাইব্যুনালও গঠন করিতে পারিবে; এইরূপ ট্রাইব্যুনাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নামে অভিহিত হইবে৷

(২) একজন বিচারক সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে এবং সরকার জেলা ও দায়রা জজগণের মধ্য হইতে উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযু্‌ক্ত করিবে৷

(৩) সরকার, প্রয়োজনবোধে, কোন জেলা ও দায়রা জজকে তাহার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযুক্ত করিতে পারিবে৷

(৪) এই ধারায় জেলা জজ ও দায়রা জজ বলিতে যথাক্রমে অতিরিক্ত জেলা জজ ও অতিরিক্ত দায়রা জজও অন্তর্ভুক্ত৷

তাহলে দেখা যাচ্ছে অধিকারের প্রশ্নে নারী বা পুরুষ নয়, একজন নাগরিক মানুষ হিসাবে কি অধিকার ভোগ করবে তা উল্লেখিত হয়েছে অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে। সংবিধানের এ বলিষ্ঠতা আমাদের আশান্বিত ও অনুপ্রাণিত করে।

Facebook Comments