banner

রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 341 বার পঠিত

 

চাকরী প্রার্থীর ৪টি সাধারন দুর্বলতা!

চাকরি খুঁজছেন? কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে স্বপ্নের সোনার হরিণটির কাছাকাছি গিয়েও আপনাকে বারবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে? একদমই হতাশ হবেন না। মনে রাখবেন, প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু দুর্বলতা আছে। আবার বিশেষ কিছু গুণও আছে সবার মধ্যে। তাই এসব দুর্বলতাকেই শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। তাহলেই নাগাল পাবেন সোনার হরিণের।
চাকরিপ্রার্থীরা চারটি সাধারণ দুর্বলতার কারণে প্রতিযোগিতার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন। জেনে নিন সেই সীমাবদ্ধতাগুলো কী কী এবং কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন।

অভিজ্ঞতার ঘাটতি
যে পেশায় কাজ করার জন্য আবেদন করছেন, সে বিষয়ে হয়তো আপনার অভিজ্ঞতা খুব কম। তাই অন্যান্য যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে আবেদনপত্র ও সাক্ষাৎকারে (ইন্টারভিউ) নিজের অন্যান্য দক্ষতা বিশেষভাবে উল্লেখ করুন। আর নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করুন, যাতে মনে হয়, নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে আপনি যথেষ্ট আন্তরিক এবং ওই সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আপনি দ্রুত পূরণ করে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, অনভিজ্ঞতা আপনার জন্য সুফলও এনে দিতে পারে। দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রশিক্ষণ আপনি সব সময়ই নিতে পারবেন, কিন্তু ব্যক্তিত্বের ব্যাপারটা অন্য রকম।


চাকরির মাঝখানে বিরতি
এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সত্যিই একটু কঠিন। চাকরি চলে গেলে বা স্বেচ্ছায় কোনো চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর নতুন আরেকটি পদে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টা বিরতি হিসেবে গণ্য হয়। এই সময় স্বেচ্ছাসেবামূলক কোনো কাজ বা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কাজে যুক্ত হতে হবে। এতে বিরতির সময়টা আপনার জীবনবৃত্তান্তে (সিভি) ইতিবাচক বা দক্ষতা অর্জনের পর্যায় হিসেবে বিশেষ মূল্যায়ন পাবে। সিভি পড়ে সাধারণত কেউ জিজ্ঞেস করবে না, ওই বিরতির সময় আপনি বেতন পেয়েছেন কি না। কিন্তু নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার এসব কাজে ব্যস্ত থাকার তাৎপর্য হিসেবে আপনাকে ক্যারিয়ার-সচেতন এবং উদ্যমী হিসেবে বিবেচনা করবে।


দ্রুত ও ক্রমাগত চাকরি বদল
একটা চাকরি হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও চাকরিপ্রার্থীর কারও পছন্দ নয়। বারবার ও দ্রুত চাকরি পরিবর্তন করার ফলে একজন কর্মীর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ক্ষেত্রে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রতি যথেষ্ট অঙ্গীকারবদ্ধ নন বলে মনে করা হতে পারে। ক্যারিয়ার গঠন ও দক্ষতা অর্জনের ব্যাপারে শক্তিশালী মনোভাব রাখার পাশাপাশি কাজেও তার প্রমাণ দিতে হবে। চাকরির বাইরে (ফ্রিল্যান্সার হিসেবে) নিজ উদ্যোগে কিছু ইতিবাচক কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেগুলো সিভিতে গুছিয়ে তুলে ধরুন। এতে আপনি বারবার চাকরি বদল করে থাকলেও ব্যাপারটাকে তুলনামূলক কম নেতিবাচক মনে হবে।


প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব
আপনি কাঙ্ক্ষিত কোনো প্রতিষ্ঠানে স্বপ্নের চাকরিটা করার সুযোগ পেয়ে যাওয়ার পরও আপনার মনটা যদি খুঁত খুঁত করে এই মনে করে যে আপনি কাজটার জন্য যথেষ্ট যোগ্য নন, তাহলে দুর্ভাবনা ও হীনম্মন্যতা ঝেড়ে ফেলুন। নিজের ঘাটতিগুলো ভিন্ন উপায়ে পুষিয়ে নিতে হবে। অতীতে গঠনমূলক বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে নিজেকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করুন। সিভিতেই বর্ণনা করুন, আপনার আগের কাজকর্ম নতুন প্রতিষ্ঠানটির কাঙ্ক্ষিত পদে চাকরির উপযোগী অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজে লাগবে।
মনস্টার ডট কম অবলম্বনে

Facebook Comments