banner

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 860 বার পঠিত

 

বাতাস বিশুদ্ধ রাখবে শখের ঝাড়বাতি

আলো ঘর সাজানোর অনুষঙ্গের মধ্যে অন্যতম। শুধু ঘর আলোকিত করার জন্যই নয়, ঘরের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রেও আলোকসজ্জার জুড়ি মেলা ভার। বহুকাল আগে থেকে আলোর ব্যবহার হয়ে আসছে ঘর সাজানোর কাজে। তাই তো অভিজাত কিংবা শৌখিন কারো বাড়িতে দেখা মেলে আকর্ষণীয় ঝাড়বাতির। অনুষঙ্গটি দ্রুত ঘরের চেহারা পাল্টে দিতে পারে।

পরিবেশবাদীরা হয়তো এতক্ষণে ভাবা শুরু করেছেন, এতে শক্তির তথা বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে ভীষণ। আবার সেসব ঘরের ভেতরের পরিবেশ গরম করে ফেলছে মুহূর্তেই। কিন্তু এমন যদি হয়, আপনার ঘরের সিলিংয়ে ঝোলানো ঝাড়বাতিটি ঘরের ভেতর বাতাস বিশুদ্ধ করার কাজটি করছে আপনাতেই। তাহলে অবাক লাগবে নিশ্চয়ই। আবার প্রাকৃতিক উপায়ে যদি ঘরের ভেতরের বাতাস বিশুদ্ধ করা যায়, তাহলে তো সেটাই ভালো।

সৌন্দর্য বর্ধনকারী ঝাড়বাতি আবার কাজ করবে বাতাস বিশুদ্ধকারক হিসেবেও। এমন কিছুই তৈরি করেছেন লন্ডনের এক নকশাকার ও প্রকৌশলী জুলিয়ান মেলসিওরি। তিনি তৈরি করেছেন এমন একটি ঝাড়বাতি, যা শুধু ঘরকে আলোকিতই করবে না, সঙ্গে চারপাশের বাতাসও বিশুদ্ধ করবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া লন্ডন ডিজাইন উইকে এটি প্রদর্শিত হয়েছে। ঝাড়বাতিটিতে ব্যবহার করা কাচের টুকরো পরিপূর্ণ করা হয়েছে সবুজ শৈবালে, যা কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন নির্গমন করে।

সবাই যখন ঘর সাজানোর প্রতিটি অনুষঙ্গে পেতে চান সবুজের ছোঁয়া, সেদিক থেকে বাদ যাবে কেন সিলিংয়ে ঝোলানো সুন্দর ঝাড়বাতিটি। সেদিক বিবেচনায় জুলিয়ানের তৈরি করা ঝাড়বাতিটি শুধু পরিবেশবান্ধব আলোর উত্সই নয়, সঙ্গে অনেকখানি সৌন্দর্য বিলাবে ঘরময়। ঝাড়বাতিটিতে ব্যবহার করা সবুজ শৈবাল নকশায় জুড়ে দিয়েছে অনন্যতা। মজার বিষয়, বিশেষ এ বাতি ব্যবহার করা যাবে ঘরে কিংবা ঘরের বাইরে যেকোনো স্থানে, যেখানের বাতাস বিশুদ্ধ করার প্রয়োজন।

বাইরে থেকে হঠাত্ দেখলে ঝাড়বাতিটিকে বেশকিছু পাতা ছড়িয়ে বসে থাকা ঝুলন্ত গাছের মতোই মনে হবে। ঝুলে থাকা বাতিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি বেশকিছু নকল পাতা। যদিও সেসব পাতা বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে আসল যেকোনো পাতার মতোই।

জুলিয়ান শুধু একজন নকশা প্রকৌশলীই নন, সেসঙ্গে তিনি প্রথম সারির একজন জৈব রাসায়নিক প্রযুক্তি গবেষকও। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি ‘আর্টিফিশিয়াল লিফ’ নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নেন। এর পেছনে বেশ সময় ব্যয় করেন। ধীরে ধীরে সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তৈরি করেন অভিনব এ ঝাড়বাতি। মাইক্রোবায়োলজিক্যাল লাইফ ফর্মের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করে, ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে জুলিয়ানের বায়োনিক লিফ প্রস্তুত করা হয়েছে। বলা চলে, এসব একত্র হয়েই সুন্দরের আধার ঝাড়বাতিটি প্রস্তুত হয়েছে।

সূত্র: ইনহ্যাবিট্যাট

Facebook Comments