banner

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 538 বার পঠিত

 

করোনার এই মহামারীর সময় শিশুদের জন্য কি করবেন পর্ব-২

করোনার এই মহামারীর সময় শিশুদের জন্য কি করবেন পর্ব-২


স্বাস্থ্যকথা


শিশুদেরকে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর গল্প বলুন যেমন এখন কোন বিজ্ঞানী করোনার ঔষধ আবিষ্কার করতো তাহলে পরিস্থিতি কি রকম হতো? আমরা কিভাবে বিজ্ঞানী হতে পারি। চারপাশে ডাক্তাররা কিভাবে মানুষের সেবা করছে?

আসুন আরো কিছু বিষয় খেয়াল করিঃ

সতর্ক থাকুন
সর্তক থাকুন। করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি ঘরে অবস্থান করুন এবং শিশুদের প্রতিও সর্তকা অবলম্বন করুন। অতিরিক্ত দায়িত্বশীল হতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত মিডিয়া আসক্তি বন্ধ করুন। শিশুদের ইউটিউব এবং অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার করাও কমিয়ে আনুন। এছাড়া তাদেরকে টিভি ও কম্পিউটারে গেম খেলা থেকে সময় কমিয়ে দিন। পাশাপাশি কেন সময় কমিয়ে নিয়ে আসছেন তা বুঝিয়ে বলুন। এই সময়টি বাচ্চাদের বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত রাখুন। আপনিও বাচ্চাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অংশ নিন। তাদেরকে প্রতিদিন কয়েকবার ২০ সেকেন্ড করে হাত ধোয়ানো। নিয়মিত ভাবে নখ এবং তাদের চুলগুলোকে পরিচ্ছন্ন রাখুন। আপনি বাসায় থাকাকালীন এই মূল্যবান সময়গুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনার সন্তানকে আর্দশ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।

সঠিক তথ্য দিয়ে বুঝিয়ে বলুন
শিশুদের কোন কাজ হুট করে চাপিয়ে না দিয়ে বরং কেন কাজটি করবে তা সঠিক তথ্য এবং সুত্র ধরে ধরে বুঝিয়ে বলুন। উদাহরণসরূপঃ সত্য কথা বলা। কেন সত্য কথা বলতে হবে? সত্য কথা না বললে কি কি ক্ষতি হয়? আবার আমরা এখন কেন বাসা থেকে হুটহাট ঘুরতে বের হতে পারব না। করোনা কি? কেন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়?

অভ্যাস গড়ে তুলুন
অভ্যাস গড়ে তোলার সবচেয়ে সুন্দর সুযোগ। বর্তমানে আপনি বাসায় আছেন আপনার ছোট্ট শিশুকে, বই পড়া, সালাম দেওয়া, বড়দের সাথে কথা বলা, ছোটদের স্নেহ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। করোনা পরিস্থিতির কারণে, শিশুদেরকে বারবার হাত ধোয়া। হাঁচি ও কাশির সময় রুমাল বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা শিখানো। তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কিভাবে দিনের পর দিন কষ্ট করছেন। তারা সকালে উঠে কিভাবে আমাদের চারপাশে পরিচ্ছন্ন রাখছেন। তাদের সাথে আমাদের আচরণ শিখান। সুন্দরভাবে সবার সাথে কথা বলা বিষয়গুলো ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিনত করুন।

রুটিন মেনে চলুন
একটা সুন্দর রুটিন তৈরি করে ফেলুন। শিশুদের জন্য প্রতিটি সময়ই যেহেতু শিক্ষণীয়। তাই এই সময়টায় শিশুদের রুটিনের আওতায় নিয়ে আসুন। কখন ঘুম থেকে উঠবে। কখন নাস্তা করবে। পড়তে বসা, ছোট ছোট কিছু শারীরিক ব্যায়াম করানো যেতে পারে। শিশুরা খেলতে খেলতে অনেক কিছু শিখতে পারে তাই আপনিও খেলাধুলায় অংশ নিতে পারেন।

সুত্রঃ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড এন্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ (BACAM)

Facebook Comments