banner

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: May 6, 2024

 

রেসিপি ঘর: সবজি খিচুড়ি ও কয়েক পদের ডাল

টমেটো ডাল

উপকরণ : মসুরের ডাল ২৫০ গ্রাম, টমেটো ২০০ গ্রাম, পেঁয়াজ টুকরো করা আধা কাপ, কাঁচামরিচ ফালি করা ৩-৪টি, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, রসুন টুকরো ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী এবং সরিষার তেল পরিমাণ মতো, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, পানি পরিমাণ মতো।

প্রস্তুূত প্রণালি: মসুরের ডাল পানি দিয়ে ধুয়ে রাখুন। একটি কড়াইতে সরিষার তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজের টুকরো ভেজে, মসুরের ডাল, রসুন টুকরো, হলুদগুঁড়া এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে অর্ধেক রান্না করে তাতে টুকরো টমেটো, কাঁচামরিচ ফালি, ধনেপাতাকুচি এবং সামান্য পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে ডাল ঘন হয়ে এলে তা নামিয়ে পরিবেশন করুন।

লাউ ডাল

উপকরণ: একটি মাঝারি লাউয়ের অর্ধেক টুকরো করা, মসুর ডাল ২৫০ গ্রাম, হলুদ গুঁড়া অর্ধেক চা চামচ, মরিচ গুঁড়া অর্ধেক চা চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, কাঁচামরিচ আস্ত ৪-৫টি, ধনেপাতাকুচি ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ এবং তেল পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে লাউ ও মসুর ডাল আলাদা করে ধুয়ে রাখুন। একটি পাতিলে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজের টুকরো দিয়ে হালকা ভেজে একে একে তাতে উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে (মসুর ডাল ও লাউ ছাড়া) নিন। মসলা কষানো হয়ে গেলে তাতে মসুর ডাল দিয়ে আবার কষিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে তাতে টুকরো করা লাউ দিয়ে আবার ঢেকে রান্না করুন। প্রায় ২০ মিনিট লাউডাল বেশ মাখা মাখা হয়ে এলে তাতে জিরা গুঁড়া, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

ঝাল মশলায় বুটের ডাল

উপকরণ: বুটের ডাল ২ কাপ -পেয়াজ কুচি এক কাপ -পেয়াজ বাটা ১ চা চামচ -আদা বাটা ১ চা চামচ -রসুন বাটা ১ চ চামচ -জিরা গুড়া ১ চা চামচ -ধনে গুড়া ১ চ চামচ -লাল মরিচ গুড়া ১ চা চামচ -হলুদ গুড়া আধা চা চামচ -টমেটো সস ২ টেবিল চামচ – গরম মশলা আধা চা চামচ -ভাজা জিরা গুড়া ১ চা চামচ -কাঁচা মরিচ ৪/৫ টা -লবন স্বাদ অনুযায়ী -তেল ১/৪ কাপ
-পানি পরিমানমতো

প্রস্তত প্রণালী: ডাল ধুয়ে একটা পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে বা প্রেসার কুকারে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি বেরেস্তা করে অর্ধেক টা তুলে রাখুন রাখুন। এবার বাকি বেরেস্তায় সব বাটা মশলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষানোর পর মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া, ধনে গুড়া ও জিরা গুড়া দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। এবার ডাল দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ কষিয়ে টমেটো সস, গরম মশলা ও লবন দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে দেড়/দুই কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিন। ১৫/২০ মিনিট পর দেখুন ডাল নরম হয়ে গেছে না কি। ভাজা জিরার গুড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। তেল উপরে উঠে আসলে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন।

সবজি খিচুড়ি

সময়টা এখন হরেক রকম তাজা সবজির। এসব সবজির মিশেলে সুস্বাদু খিচুড়ি হলে সকালের নাস্তাটা মন্দ হয় না। ছোট বড় সবার কাছে প্রিয় হতে পারে বিশেষ রেসিপিতে রান্না সবজি খিচুড়ি। স্বাদ আর গন্ধে মোহময় এমন খিচুড়ি রান্না হবে সহজে।

উপকরণ: বাসমতি চাল ২ কাপ, সবজি (গাজর, বরবটি, মটরশুঁটি, ফুলকপি) ছোট টুকরো সব মিলিয়ে ২ কাপ, আলু আধা কাপ, ভাজা মুগডাল ১ কাপ, আদা বাটা দেড় চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া দেড় চা চামচ, টক দই দুই টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, চিনি ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২টি, তেজপাতা ২টি, গরম পানি ৬ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ।

প্রস্তত প্রণালী: মুগডাল ২ ঘণ্টা ও চাল আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন। মটরশুঁটি ছাড়া সব সবজি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। কড়াইয়ে অর্ধেক তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এবার তাতে গরম মসলা ও পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে টক দই, চিনি ও আধা চা চামচ লবণ দিন। একটু পর মসলা কষিয়ে সবজি দিন। সবজি কষানো হলে আলাদা পাত্রে তুলে রাখুন। এবার ওই কড়াইয়ে চাল দিয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি ও আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ঢেকে দিন। চাল পানি সমান সমান হলে রান্না করা সবজি দিয়ে নেড়ে ঢেকে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। এবার কাঁচামরিচ ও ঘি দিয়ে আরও ১৫ মিনিট চুলার আঁচে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

 

নক্ষত্রের নিজস্ব আলো থাকে, নিজস্ব আলো আছে ফাতিহা

জ্যাকসন হাইটস হঠাৎ আলোকিত হয়ে উঠলো। যেন মনে হচ্ছিল একসাথে অনেক গুলো নক্ষত্র তাদের সমস্ত আলো নিয়ে জ্বলে উঠেছে। সেই সব নক্ষত্রের নিজস্ব আলো আছে যে আলো দিয়ে তারা প্রতিনিয়তই আলোকিত করছে চারপাশ। সব গুলো নক্ষত্রের ভীড়ে একটি ছোট্ট নক্ষত্রও ছিল কিন্তু কে জানতো ছোট্ট নক্ষত্রের আলোর রোশনাই অন্য সব নক্ষত্রকে ছাপিয়ে যাবে। এই নক্ষত্রটির নাম ফাতিহা আয়াত। আমরা যাকে রাজকন্যা বলে ডাকি। ওর হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে যে কোন দুঃখ ব্যথা ভুলে থাকা যায় আর ও যখন ওর পুর্ন আলো ছড়িয়ে দেয় তখন চারদিকে যত অন্ধকার যত হতাশা থাকে সব দুর হয়ে যায়।

বাংলার আকাশের সব থেকে বড় সুর্য ডুবে গিয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট। যে সুর্যের আলোয় পথ দেখে একটি বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল যিনি এই ছোট্ট সুন্দর দেশটির নাম রেখেছিলেন বাংলাদেশ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার আকাশের সব থেকে উজ্জল এই নক্ষত্রটির জন্ম হয়েছিল ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ। আলোর কারিগরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে জ্যাকসন হাইটসে আয়োজন করা হয়েছিল “শিশু কিশোর মেলা-২০১৮”। জাতীয় শিশু দিবসের সেই আয়োজনে বাংলাপ্রেমীদের ভীড় ছিল আর ছিলো অগণিত শিশু কিশোর। যাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল বাংলা লিখন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা সহ আরো অনেক কিছু। সেই প্রতিযোগিতায় দুটো বিভাগেই সেরাদের সেরা হয়েছে ছোট্ট ফাতিহা।

যারা অলরেডি জানেন এবং যারা জানেন না তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে ফাতিহা হলো আমাদের ক্ষুদে বন্ধু সেই রাজকন্যাটি যে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করে আর মন দিয়ে সব শিখে নেয় তার পর বাসায় বাবাকে সাথে নিয়ে নিজেই শিক্ষক হয়ে গোটা পৃথিবীতে তার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়। বার বার মুগ্ধ হয়ে শুনি “ওয়েলকাম টু ম্যাথ ম্যাজিক উইথ ফাতিহা” ছোট্ট ফাতিহা নিয়মিত গণিত এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করে এবং গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে খুব সহজে সবাইকে শিখিয়ে দেয়। সে মনে করে “সন্তানকে মুখস্থ করাবেন নাকি আবিস্কারের নেশা ধরিয়ে দেবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনার”।জ্যাকসন হাইটসের আকাশ সেদিন ছায়া দিয়েছিল ছোট্ট ফাতিহাকে। বিদেশ বিভুইয়ে থেকেও ব্যরিষ্টার আফতাব আহমেদের কলিজার টুকরা আমাদের ছোট্ট রাজকন্যা ফাতিহা আয়াত বাংলাকে বুকে ধরেছে এবং সেটির প্রমাণ স্বরুপ শ্রেষ্ট আবৃত্তিশিল্পী এবং শ্রেষ্ঠতম লিখন শৈলী দেখিয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছে।আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি ফাতিহা একটি নক্ষত্র যার নিজস্ব আলো আছে এবং সেই আলো ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলেছে। ফাতিহার এই সাফল্যে আমরা আনন্দিত এবং ওকে অভিনন্দন জানাই।

প্রতিটি অভিভাবককে বলতে চাই আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই নানা কিছুতে যুক্ত করি এবং উৎসাহ দেই। তাহলেই আমাদের ছোট্ট রাজকন্যা রাজপুত্ররা স্বপ্নের মত বেড়ে উঠবে এবং তাদের সাফল্যের খাতার প্রতিটি পাতা কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে থাকবে।

সুত্র: ছোটদের বন্ধু