banner

বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 13, 2025

 

চলে গেলেন না ফেরার দেশে একজন নিখাঁদ প্রচারবিমুখ বিজ্ঞানমনস্ক মানবতাবাদী দেশপ্রেমিক বুদ্ধিগুণ সম্পন্ন চিকিৎসক

ডা. এম এস কবীর জুয়েল


আড়ালে আবডালে থেকে দেশের জন্য, দশের জন্য যিনি নিরবে নিভৃতে দেশের শিশুদের জন্য এমন এক আবিষ্কার করে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন, তার অসুস্থতা বিষয়ে জাতির কি সামান্যতম সচেতনতা ছিল? আমরা কজন জানতাম এই গুনি মানুষটি যে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে পড়ে রয়েছিলেন। এমন একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানীকে রাষ্ট্র-ই বা কতোটুকু মূল্যায়ন করেছে? জাতীয় সম্পদ এই মানুষটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কি কেউ একবারের জন্যও দেখতে গেছেন, যে জাতি তার গুনী মানুষগুলোকে অবজ্ঞা করবে সে জাতিকোষে গুণীর বীজ রোপিত হবে না। পক্ষান্তরে, চাটুকার, দলান্ধ ভূয়া চটকদার লেখনীর বুদ্ধিজীবিতে ভরে যাবে সমাজ, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করার মতো আবিষ্কর্তা আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা.রফিকুল ইসলাম ছিলেন একজন প্রকৃত বুদ্ধিজীবী (নির্দলীয়, সার্বজনীন, প্রচারবিমুখী,নির-অহংকারী) আবিষ্কারক যার আবিষ্কারে মুক্তি যুদ্ধের সময় শরনার্থী ক্যম্পে কলেরা জনিত মহামারী থেকে লাখ লাখ বাংলাদেশী পরিত্রাণ পায়। আমরা ক-জন ইনাদের কথা জানি, মিডিয়া কেন আমাদের সন্তানদের এগুলো জানায় না।

যে স্যালাইন খেয়ে এ দেশের কোটি কোটি শিশুর জীবন বেঁচে আছে। সেই শিশুরাই এই মানবতাবাদী নিবেদিত প্রাণ মানুষ-টিকে চিনে না কারণ আমাদের Yelow Electronic Media- গুলো ইনাদের জাতির বিবেক মনে করে না। আমাদের পত্রিকাদি এই সকল বিজ্ঞানীর কাহিনী ও জীবনী প্রকাশ করে না,তারা কল্প লেখক চক্রের কাহিনীকার।

কিন্তু ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট (The Lancet) ডা.রফিকুল ইসলামের আবিষ্কৃত ‘খাবার স্যালাইন’কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে আখ্যা দিয়েছিল।

চারিদিকে অলীক বুদ্ধিজীবীদের জয়জয়াকার, আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

ডা. এম এস কবীর জুয়েল

এমবিবিএস, বিসিএস, এম.ফিল(নিউরো-সাইকিয়াট্রি), ডক্টর অফ মেডিসিন(এম.ডি) মনোরোগ
সৌদি বিশেষায়ীত স্বাস্থ্য কমিশন সার্টিফাইড ইন সাইকিয়াট্রি এন্ড সাইকোথেরাপী
ভূতপূর্ব মনোরোগ ও মাদকাসক্তি বিশেষজ্ঞ, সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল, আল জউফ, সৌদি আরব
ভূতপূর্ব সহযোগী অধ্যাপক
এশিয়ান ইনষ্টিটিউট অফ মেডিসিন, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কেদাহ্, মালয়েশিয়া
ইউনিট প্রধান, সাইকোথেরাপি ও কাউন্সিলিং ইউনিট, মনোরোগ বিভাগ
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল