অপরাজিতা ডেস্কঃ দিনাজপুর থেকে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে ইংরেজিতে অনার্স পড়তেন তাজরীন তামান্না ইসলাম। সেখানেই তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী ব্যবসায়িক কাজে সারা দিন বাইরে থাকতেন। সে সময় অনলাইনে চোখে পড়ে অনলাইনভিত্তিক বুটিক হাউস, ডিজাইন ও হ্যান্ডিক্রাফটসের সাইটে। এখান থেকে ডিজাইন শিখতে থাকেন। বাজার থেকে কাপড় কিনে নিজের মতো ডিজাইন ও হাতের কাজ শুরু করেন। এতে প্রতিবেশীদের প্রশংসা পেলেন। উৎসাহ বাড়ল।
তাজরীন তামান্না বলেন, ‘২০০৭ সালে ৫০ হাজার টাকা আর আটজন কর্মী নিয়ে বুটিকের কাজ শুরু করি। শুরুতে শুধু ডিজাইন করতাম। কর্মীরা আমার করা ডিজাইনের ওপর হাতের কাজ করতেন। ডিজাইন করা পোশাক বাসা থেকেই বিক্রি হতো।’
তামান্না প্রথম দিকে থ্রি-পিস, বিছানার চাদর, শাড়ি, কুশন কভার, জানালার পর্দা ডিজাইন করে বিক্রি করতেন। ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বেড়ে যাওয়ায় বাসার নিচতলায় একটা বুটিক শপ খোলেন। নাম দেন ‘ট্রেন্ডি বগুড়া’। ২০১১ সালে ফেসবুকে ‘ট্রেন্ডি বগুড়া’ নামে একটি ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/pages/Trendybogra/353733991387700?ref=br_rs) খোলেন।
তিনি বলেন, ‘ওই পেজে আমার ডিজাইন করা পণ্যের ছবি দামসহ আপলোড করতাম। অনলাইনে দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর অর্ডার আসতে থাকল। এখন দেশে-বিদেশে প্রচুর ক্রেতা আমার।’ অনলাইনে নিয়মিত তিনি অর্ডার পাচ্ছেন বিদেশ থেকে। অর্ডার অনুযায়ী ইএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে পণ্য পাঠান তিনি।
তামান্না জানান, বর্তমানে তাঁর বুটিক হাউসে প্রায় ৫০ জন নারী কর্মী কাজ করেন। আগামী দিনে বড় পরিসরে অনলাইন কেনাকাটার একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন তাঁর।