banner

রবিবার, ০৫ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 504 বার পঠিত

 

রোজা রেখে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ পাঠ করি

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” পাঠ করি


নাজমুন নাহের নাজু


আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা বলে দেব না কি?” আমি বললাম, ‘অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) (বুখারী ও মুসলিম) [1]

আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের একটির সন্ধান দিবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বলেনঃ ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’।[2] হাযিম ইবনে হারমালা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেনঃ হে হাযিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন [3] মূসা ইব্ন ইসমাঈল (রহঃ) ………

আবু উছমান আল্-নাহ্দী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু মূসা আল্-আশ্আরী (রাঃ) বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের সাথে এক সফরে ছিলাম। অতঃপর তাঁরা মদীনার নিকটবর্তী হলে লোকেরা উচ্চস্বরে আক্বীর ধ্বনি (আল্লাহু আকবার) দেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা তো কোন বধীর এবং অনুপস্থিত ব্যক্তিকে আহবান করছ না, বরং তোমরা (ঐ মহান আল্লাহকে) স্মরণ করছ, যিনি তোমাদের শাহ্ রগেরও নিকটবর্তী। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আবূ মূসা! আমি কি তোমাকে এমন একটি জিনিসের কথা অবহিত করব, যা জান্নাতের ভান্ডার (খাজানাহ) স্বরূপ? তখন আমি বলিঃ সেটা কি? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।[4] কাইস ইবনু সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তার বাবা তাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সেবার জন্য তার কাছে অর্পণ করেন। তিনি বলেন, আমি নামাযরত থাকা অবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ দিয়ে গমন করলেন। তিনি নিজের পা দিয়ে আমাকে আঘাত (ইশারা) করে বললেনঃ আমি তোমাকে কি জান্নাতের দরজাগুলোর একটি দরজা সম্পর্কে জানাব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোন শক্তি কারো নেই)।[5] সাফওয়ান ইবনু সুলাইম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ফেরেশতাই “লা- হাওলা ওয়ালা কু-ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” পাঠ না করে উর্ধ্বাকাশের দিকে গমন করেন না।[6]

আবূ মূসা মুহাম্মাদ ইবন মুছান্না (রহঃ) …… কায়স ইবন সা’দ ইবন উবাদা (রাঃ) থেকে বর্ণীত যে তাঁর পিতা (সা’দ ইবন উবাদা) তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাঁর খিদমতের জন্য সমর্পণ করেছিলেন।

কায়স (রাঃ) বলেনঃ নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি তখন মাত্র সালাত শেষ করেছি। তিনি আমাকে তাঁর কদম মুবারক দ্বারা আঘাত করলেন। বললেনঃ জান্নাতের দ্বারসমূহের একটি দ্বারের আমি তোমাকে বলব কি? আমি বললামঃ অবশ্যই। তিনি বললেনঃ লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। [7]

মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান (রহঃ) ………. আবু যুবায়ের (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ . আবদুল্লাহ ইবন যুবায়ের (রাঃ) নামায শেষে তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ …) পাঠ করতেন। অতঃপর উপরোক্ত দুআর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে এবং তার সাথে “ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা না’বুদু ইল্লা ইয়্যাহু লাহুন-নি’মাহ … অতিরিক্ত বর্ণনা করে পরে উপরোক্ত হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[8]

ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ….. উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুওয়াযযিন যখন “আল্লাহু আকবার, আল্লা-হু আকবার” বলে তখন তোমাদের কোন ব্যক্তি আন্তরিকতার সাথে তার জবাবে বলেঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার”। যখন মুওয়াযযিন বলে “আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” এর জবাবে সেও বলেঃ “আশহাদু আল লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান রসূলুল্ল-হ”। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “হাইয়্যা আলাস সলা-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “লা-হাওলা ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “হাইয়্যা ‘আলাল লাফা-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “লা- হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ”। অতঃপর মুওয়াৰ্যযিন বলেঃ “আল্লা-হু আকবার, আল্লাহু আকবার” এর জবাবে সে বলেঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার”। অতঃপর মুওয়াযযিন বলেঃ “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ” এর জবাবে সে বলেঃ “লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ”। আযানের এ জবাব দেয়ার কারণে সে বেহেশতে যাবে।[9] [1] সহীহুল বুখারী ২৯৯২, ৪২০৫, ৬৩৮৪, ৬৪০৯,
হাদিসের মানঃ সহিহ [2]আহমাদ ২০৮২৯, ২০৮৪ [3]বুখারী ৪২০৪, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৭৩৮৬, হাদিসের মানঃ সহিহ [4]বুখারি ইফা ১৫২৬ হাদিসের মানঃ সহিহ [5]সূনান আত তিরমিজী ৩৫৮১ সহীহঃ সহীহাহ (১৭৪৬)। হাদিসের মানঃ সহিহ [6]সূনান আত তিরমিজী৩৫৮২ হাদিসের মানঃ সহিহ [7] সহিহাহ ১৭৪৬ সূনান তিরমিজী (ইফাঃ),৩৫৮১,৩৪৬১ হাদিসের মানঃ সহিহ [8]সূনান আবু দাউদ, ১৫০৭ হাদিসের মানঃ সহিহ [9]সহীহ মুসলিমঃ৭৩৬,,

Facebook Comments