banner

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 2109 বার পঠিত

 

“মেঘমাল্য” রূপদাতা ফারিয়া


ফাতেমা শাহরিন


ফারিয়া ইসলাম শশী-University of Liberal Arts Bangladesh থেকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় (Human Resource Management) এমবিএ শেষ করেছেন গত বছর। Summerfield International School এর সাথে যুক্ত আছেন প্রায় দুই বছর। বর্তমানে তার ব্যস্ততা নিজেরই প্রতিষ্ঠিত “মেঘমাল্য”র সাথে।

ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত ফারিয়ার মুল আকর্ষণ ছিল দেশীয় সংস্কৃতিতে লালিত গহনা , ছিমছাম হলেও তারা যেন স্বমহিমায় অনিন্দ্য সুন্দর। প্রত্যেকেই যেন নিজে থেকেই গল্প বলে। কিন্তু এমন গহনা মেলা ভার। তাই নিজের জন্য, সবার জন্য  নতুনভাবে কিছু নিয়ে আসা, হারিয়ে যাওয়া সেই হাজার বছরের সংস্কৃতিকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার অদম্য ইচ্ছা থেকেই জন্ম হল “মেঘমাল্য”র ।

ফারিয়ার ভাষ্যমতে,  “প্রায় বছরখানেক আগের কথা শুরুটা ছিল হুট করেই, মূলত চাকরির বাইরে নিজের আলাদা সত্ত্বা বানানোর জন্যই ছিল উদ্যোগটা নেওয়া। গহনা নিয়ে আমার উৎসাহের মূল কারণ ছিল আংটি- নানা ধরণের এন্টিক আংটির প্রতি ছিল আমার আকর্ষণ। সেই থেকে গহনা নিয়ে কাজ করার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠি। নিজের ছোট পুঁজি নিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্পটা হয়তো সেই থেকেই শুরু। কাউকে না জানিয়েই হুট করে কিনে আনলাম বেশ কিছু গহনা। সেখান থেকেই কিভাবে জানি শুরু হয়ে গেল সবকিছু।”

তবে বর্তমানে তার লক্ষ্য “মেঘমাল্য”কে আরো সম্প্রসারিত করা। এজন্য অতি শীঘ্রই তিনি অলংকার তৈরিতে মন দিচ্ছেন। পাশাপাশি নিজস্ব আউটলেট বানানোর কাজ চলছে।

নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়াটাকে কতোটুকু চ্যালেঞ্জিং বলবেন ?

এ প্রসঙ্গে ফারিয়া বলেন , “যেকোনো নতুন কিছু তৈরিতে , স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কোন কাজ করা কখনই মসৃণ নয়। তবে এর আনন্দ অতুলনীয়। নিজের ভালোবাসার কাজ করতে পারাটাই এর পারিশ্রমিক। তবে কখনই হাল ছাড়া যাবে না। আপনার সময় আসবেই। আসলে সবকিছুর মূলকথা হচ্ছে ইচ্ছা, পরিশ্রম এবং ভালবাসা। যেকোনো কিছুর মূলে থাকে ইচ্ছাশক্তি। সাথে অবশ্যই আপনার নিজের কাজকে ভালবাসা চাই , আর তারপর চাই এগিয়ে যাওয়ার জন্য একনিষ্ঠ একাগ্রতা ও পরিশ্রম। সফল আপনি হবেনই, সফল আপনিই হবেন। সকলের জন্য “মেঘমাল্য”র পক্ষ থেকে একরাশ শুভকামনা।

ফেসবুক লিংক:

https://m.facebook.com/meghmalya/

“মেঘমাল্য”র কিছু সামগ্রীর ছবি ১:

Facebook Comments