banner

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 596 বার পঠিত

 

মাকে সন্তানরা বাঁশবাগানে ফেলে গেল


নারী সংবাদ


ফুজলী বেগম (৮৬)। বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুচিয়াবাড়ি গ্রামে।৫ সন্তানের জননী ফুজলী বেগম। ৩০ বছর আগে তার স্বামী ছামাদ শেখ মারা যান। তখন থেকে সংসারের হাল ধরেন তিনি। তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে এই জননী অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে তাদের বড় করেছেন। সবার বিয়েও দিয়েছেন মা। এখন সবারই আলাদা সংসার। কিন্তু বৃদ্ধা মায়ের দায়িত্ব কেউই নিতে চায় না।

৮৬ বছরের বৃদ্ধা মা ফুজলী বেগমকে
২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যার দিকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশের বাঁশবাগানে ফেলে দিয়ে আসে সন্তানরা কারণ এই বৃদ্ধ মার নড়াচড়া করতে পারেন না ফলে তাকে দেখা শোনা করতে হত।

এর ঘটনার পর প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ছোট ছেলে রাবু শেখের বাড়ি নিয়ে আসে। পরিত্যক্ত ঘরের বারান্দায় রাতে থাকার ব্যবস্থা করেন তারা।

বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। খবর পেয়ে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বিকেলে বৃদ্ধা মাকে দেখতে ছুটে যান ওই বাড়িতে। তার দায়িত্ব নিতে চান তিনি। চেয়ারম্যান বৃদ্ধা মায়ের প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে দেবেন বলে ঘোষণা দেন।

লোহাগড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সিদ্দিক জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সময় সকল বউদেরকে শাশুড়ীর প্রতি নৈতিক দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ছেলেরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তিন ছেলে-মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- বড় ছেলে ডাহু শেখ, ছোট ছেলে রাবু শেখ ও বড় মেয়ে কুলসুম বেগম।

তবে ঘটনার মূল হোতা মেঝো ছেলে বাবু শেখকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

লোহাগড়া থানা … ৮৬ বছরের অসহায় বৃদ্ধা মাকে রাস্তার পাশে বাঁশবাগানে ফেলে গেলেন তার ছেলে ও পূত্রবধূ এই নির্মম সত্যকে দেখছে গোটা দেশ ও গোটা জাতি।

Facebook Comments