banner

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 233 বার পঠিত

 

বরগুনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বরগুনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


নারী সংবাদ


যৌতুক দাবিতে বরগুনায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সিদ্দিককে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা এবং শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর ও দেবরের বন্ধুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। রোববার বিকেল ৪টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পূর্ব রাণীপুর গ্রামের হাসেম গাজী, তার ছেলে বেবীর স্বামী সিদ্দিক, খোকন, সিদ্দিকের মা পারুল বেগম ও খোকনের বন্ধু লিটন। রায় ঘোষণার সময় পারুল বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার মীর্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর উরবুনিয়া গ্রামের আবদুল আজিজের মেয়ে সাজেদা বেগম বেবীকে ২০০২ সালের জুন মাসে সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর সিদ্দিক ঢাকায় চলে যায়। এই ফাঁকে সিদ্দিকের ভাই খোকন ও লিটন বেবীকে কুপ্রস্তাব দেয়। বেবী ক্ষিপ্ত হয়ে খোকনকে জুতাপেটা করে। এতে খোকন ও লিটন ক্ষুব্দ হয়।

খোকন ও লিটন সিদ্দিককে জানায় তার স্ত্রী খারাপ। কিছুদিন পর সিদ্দিকের জ্বর হলে সে বাড়িতে চলে আসে। ওই সময় বেবীর বাবা আবদুল আজিজ মেয়েকেসহ সিদ্দিকের বাড়িতে একটি সনি টিভি নিয়ে যান। সিদ্দিক তার শ্বশুরের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আবদুল আজিজ যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে সিদ্দিক ও অন্য আসামিরা তাকে ও তার মেয়েকে নোংরা ভাষায় গালি দেয়। আবদুল আজিজ তার মেয়েকে সিদ্দিকের বাড়িতে রেখে চলে আসেন।

২০০২ সালের ২০ জুলাই রাত অনুমান তিনটার সময়ন সিদ্দিকের বসতঘরে বসে ওই আসামিরা যৌতুকের দাবি ও চরিত্রহীন বলে বেধড়ক মারধর করেন বেবীকে। ২১ জুলাই সকালে আবদুল আজিজ খবর পেয়ে সিদ্দিকের বাড়ি গিয়ে তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

বাদী বলেন, আমার মেয়েকে সুস্থ অবস্থায় সিদ্দিকের বাড়িতে রেখে আসি। সকালে খবর পাই সে মারা গেছে। পরে জানতে পারলাম আসামিরা আমার মেয়ের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি বেবীর সুরাতহাল ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট সংগ্রহ করে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১( ক) ও ৩০ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী কমল কান্তি দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।

(সুত্রঃ নয়াদিগন্ত)

Facebook Comments