banner

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 679 বার পঠিত

 

ভিকারুন নেসা নূন স্কুলের ছাত্রীর আত্মহত্যা


নারী সংবাদ


ভিকারুন নিসা নূন অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী (১৫) আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের সামনে তার বাবা ও মাকে স্কুলশিক্ষক বকাঝকা করার কারণেই অরিত্রি আত্মহত্যা করেছে।
অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, তিনি পরিবার নিয়ে শান্তিনগর এলাকার একটি বাসার সাত তলায় ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তিনি বলেন, গতকাল সকালে পরীক্ষা দেয়ার জন্য স্কুলে যায় অরিত্রি। কিন্তু তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় স্কুলকর্তৃপক্ষ অরিত্রির বাবা মাকে স্কুলে যেতে বলেন। খবর পেয়ে বাবা মা দুজনই স্কুলে যায়। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়ে দেয়, অরিত্রি পরীক্ষায় মোবাইল দিয়ে নকল করছিল। তাকে স্কুল থেকে টিসি দেয়া হয়েছে। তখন অরিত্রির বাবা মা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে অনেক অনুরোধ করেন তাকে টিসি না দেযার জন্য। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের কথা না শুনে অরিত্রিকে স্কুলে রাখা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
অরিত্রির বাবার আরো জানান, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আমি বাসায় চলে আসি। তাদেরকে বাসায় রেখে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে তদবির শুরু করি। হঠাৎ বাসা থেকে ফোন আসে, অরিত্রি ঘরের দরজা খুলছে না। পরে দরজা ভেঙে তাকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত অরিত্রির বাবার অভিযোগ অরিত্রিকে যদি টিসি না দিয়ে আরেকবার সুযোগ দেয়া হতো তাহলে হয়তো তার মেয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতো না। মেয়ের সামনে তাকে ও তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেন শিক্ষক। তা হয়তো মেয়ে সহ্য করতে পারেনি। এসব তথ্য জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সাব ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া।
সুত্র: নয়াদিগন্ত।

Facebook Comments