banner

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1617 বার পঠিত

 

পেশা যখন কাপড় সেলাই


মেইক ইউরসেলফ


কাপড় সেলাইয়ের সঙ্গে মানুষ যুক্ত অনেকে আগে থেকেই। আর এই কাপড় সেলাই অর্থাৎ দর্জির কাজ ইচ্ছা করলেই পেশা হিসাবে নিতে পারেন যে কেউ। এই পেশাতে আয় উপাজর্ন অনেক। কেননা দুই ঈদ ছাড়াও অন্যান্য উৎসব পর্বনে নতুন কাপড় বানানোর হিড়িক পড়ে যায় পাড়া মহল্লাতে আবার অনেক সৌখিন মানুষ আছে যারা প্রতিমাসেই দর্জি বাড়িতে পা রাখেন। সব মিলিয়ে কেউ এই পেশাতে আসতে চাইলে খুব একটা খারাপ হবে না। আর কেউ যদি চিন্তা করেন কোথায় সেলাই শিখবেন। কিভাবে দোকান শুরু করবেন। কিংবা তার এই পেশার আচরন কেমন হবে তাতে খুব একটা টেনশন নেই। কারণ অন্য পেশার মতো এই পেশাতে খুব চাপ নেই। প্রয়োজন দক্ষতার, সেটি কাজ করতে করতেই চলে আসে। আর আপনার নানা ধরনের আচরন আপনার দোকানে কাস্টমার বাড়িয়ে দিবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দর্জির পেশায় আসতে চাইলে আপনার কি কি বিষয় মাথায় রাখবে হবে, বিষয়গুলো কারণেই আপনার আয় উপার্জন প্রতিদিন বাড়তে থাকবে-

টেইলরের ঠিকানা : দর্জিবাড়ি যদি বাসা থেকে অনেক দূরে হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার জন্য কনভেনিয়েন্ট হবে না।
ফ্যাশন আইডিয়া: ফ্যাশন রেগুলারই পরিবর্তন হচ্ছে। কাজেই দর্জি যদি চলতি ফ্যাশনের চাপা সিগারেট প্যান্টের জায়গায় একছাঁটের সালোয়ার বানিয়ে পরতে দেন, আপনার কি ভালো লাগবে?
দর্জি মাপ: দর্জি মাপ ঠিকমতো না নিলে, মাপে ভুল হলে পোশাক সুন্দর হবে না। অনেকে ফিতে হাতে মেপে নেন ঠিকই, কিন্তু কাগজে ঠিকমতো লিখে রাখেন না, মুখে বলেন মনে থাকবে এবং এই মনে থাকার চক্করেই সাধের পোশাকের বারোটা বেজে যায়।
বেঁচে যাওয়া কাপড়: যে সব থ্রিপিস বা টুপিস কিনি অথবা গজ কাপড়ের ও অনেক সময় দেখা যায় যে, বেশ অনেকখানি কাপড় বানানোর পর রয়ে গিয়েছে। ওই বেঁচে যাওয়া কাপড়টুকু দিয়ে ছোট বাচ্চাদের জামা, পুতুলের জামা, টুকটাক হ্যান্ডিক্রাফটের কাজ ছাড়াও ক্রিয়েটিভ কাজে ব্যবহার করা যায়। অনেক দর্জিই কাপড় ফেরত দেন না, নিজেরাই রেখে দেন। যিনি ফেরত দিয়ে দেন, তিনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো দর্জি।
দর্জি টাকা-পয়সা কেমন চার্জ করেন: আমি বাকিদেরটা জানি না, কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা বিশ্বাস করি, সস্তার তিন অবস্থা। দেড়শ’ টাকা মজুরির জামা অবশ্যই কখনো হাজারের কাছাকাছি মজুরির জামার মতো হবে না।
ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকসের না: কিছু টেইলর আছে মুখে মিষ্টি করে আপু ডাকেন ঠিকই, কিন্তু বুকের মাপ নিতে গিয়ে ইচ্ছে করে গায়ে ছুঁয়ে যান।
ডেলিভারি অন টাইম: যেদিন ডেলিভারির ডেট, দর্জি সেদিন সেই সময়েই পোশাক ডেলিভারি করলে অবশ্যই সে একজন ভালো দর্জি।
পোশাকের কাটিং এবং ফিটিংস: দর্জিবাড়িতে কিন্তু আমরা যাই-ই ভালো কাটিং এবং ফিটিংসের ড্রেস পেতে, কাজেই যার হাতের এ কাজ দুটো ভালো না, তার কাছে পোশাক দেয়া মানে বিপদ বাড়ানো।
সুত্র: মানব কন্ঠ।

Facebook Comments