banner

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1116 বার পঠিত

 

দাম্পত্য জীবনে দুইটা ব্যাপার

কানিজ ফাতিমা


দাম্পত্য জীবনে দুইটা ব্যাপারে সচেতন থাকুন।
এক – আপনার বাবা-মা যেন পিতা-মাতার প্রতি কর্ত্যব্যের নামে আপনাকে তাদের জীবনের সব আশা-আকাঙ্খা পূরণের হাতিয়ারে পরিণত না করে। তখনই বুঝবেন আপনি সীমা ছাড়াচ্ছেন যখন দেখবেন তাদের বর্তমান জীবনের চাহিদা পূরণ করার পরও তাদের চাহিদার শেষ হচ্ছেনা। তাদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে এমনকি তাদের অতীতের (যেমন বাল্যকালের) সব ইচ্ছাপূরণে আপনাকে বাধ্য করা হচ্ছে। আপনার পিতা -মাতার বর্তমান আপনার দ্বায়িত্ব। যখন আপনার স্ত্রী- সন্তানের বর্তমানকে আপনার কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে পিতা-মাতার ভবিষ্যত সিকিউর ও অতীতকে রোমাঞ্চকর করার জন্য – বুঝে নেবেন তখনি আপনি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।
দুই – আপনার স্পাউজ যেন আপনার সন্তানকে ‘মুলা’ হিসাবে ব্যবহার করে আপনাকে আপনার পিতা-মাতার দায়িত্বের প্রতি বেখেয়াল করে ফেলতে নাপারে। যখনই দেখবেন আপনার সন্তানের সাধারণ প্রয়োজনকে বেশী মাত্রায় জোর দেয়া হচ্ছে, আপনার পিতা-মাতার অতীব প্রয়োজনের থেকে ; আপনার পিতা -মাতার বর্তমানের জরুরী চাহিদার বিপরীতে আপনার সন্তানের ভবিষ্যতকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তখনই বুঝবেন ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে।
“বাচ্চার পরীক্ষা, তাই শশুড় – শাশুড়ী বেড়াতে আসতে পারবেনা ”
“বাবার বাড়ী গেলে বাচ্চা ভালো থাকে, শশুর বাড়ী গেলেই বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যায় ”
“শশুড় বাড়ী এসি নাই, বাচ্চার ঘুমাতে কষ্ট হবে।”
শ্বাশুড়ীর ওষুধ কেনার সময় “বাচ্চার ব্যাগ পুরানো হয়ে গেছে, ছেলেটা কত দিন ধরে একটা ব্যাগের জন্য বলছে – সেদিকে খেয়াল নেই ” ; ” মেয়েটার পার্টিতে যাবার ভালো একটা জামাও নেই “- এই জাতীয় বাহানা পেশ করা আসলে ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ।
বাবা-মা আর স্পাউজ – দু’ই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কিন্তু আমরা না বুঝেই অনেক সময় বাবা-মাকে greedy করে ফেলি , স্পাউজ আর সন্তানদের অবহেলার মধ্যে ফেলে; আবার অনেকসময় স্পাউজের বাহানার ফাঁদে পরে বাবা-মাকে নিদারুনভাবে neglect করি।
ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
ভারসাম্যই ন্যায়, ভারসাম্যহীনতাই অন্যায়, জুলুম; সেটা যেদিকেই হোক না কেন।

Facebook Comments