banner

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 1027 বার পঠিত

 

একজন রোজাদারের সারাবেলা

আকলিমা ফেরদৌস আখি


রোজার প্রকৃত হক আদায় করার জন্য আমরা আমাদের সময়গুলোকে এ ভাবে ভাগ করে নিতে পারি (এটি একটি নমুনা মাত্র)।

রাতের শেষাংশে

সালাতুল তাহাজ্জুদ-২:৪৫-৩:১৫
(তাহাজ্জুদ নামাজের আগে আকাশের দিকে তাকিয়ে রাসূল সা: সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকু তেলওয়াত করতেন।এই আমলটির অভ্যাস করা যেতে পারে।)

সেহেরী গ্রহণ- (৩:১৫ থেকে ৩:৪৪মি:)
সালাতুল ফজর ও সকাল বেলার
আযকার পাঠ- (৩:৪৫মি: থেকে ৫:০০মি:) (হিসনূল মুসলিম অথবা কতিপয় প্রয়োজনীয় দোয়া বই গুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে)

কোরআন তেলওয়াত অর্থসহ
(চার পৃষ্ঠা)- (৫:০০ থেকে ৬:০০)
সালাতুল দুহা বা ইশরাক- (৬:০০ থেকে ৬:১৫মি)

বিশ্রাম ও ঘুম- (৬:২০ থেকে ৮:৩০)

সকাল বেলা

ঘুম থেকে ওঠা- (৮:৩০ থেকে ৯:০০)
দৈনন্দিন কাজ শেষ করা-
(৯:০০টা থেকে-১০:৩০টা)
(এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের জন্য সারাদিনের খাবার রেডি করা,ইফতার কি হবে , রাতের খাবার ও সেহেরী কি হবে তা রেডি করে রাখা। মাছ, সবজি কেটে ধুয়ে রাখা যেতে পারে)

কোরআন অধ্যায়ন অর্থসহ, ইসলামী বই পড়া, হাদীস ইত্যাদি-(১০:৩০ থেকে ১২:০০)

দুপুর বেলা

বিশ্রাম ও সালাতুল যোহরের প্রস্তুতি সালাত পরবর্তী মুস্তাহাব তাসবীহ ও যিকির পাঠ-(১২:০০ থেকে ১:০০)
কোরআন তেলওয়াত অর্থসহ(চার পৃষ্ঠা)-(১:০০ থেকে ১:৩০মি)
সন্তানদের (প্রতিবেশীর সন্তানদেরও সাথে নেওয়া যেতে পারে)
কোরআন পড়ানো, হাদিসের গল্প বলা, ইসলামী বই পড়িয়ে শুনানো, স্কুলের পড়া ইত্যাদি-(১:৩০ থেকে ৩:০০)

ইস্তেগফার পাঠ (আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ ১০০বার তওবার অনুভুতি নিয়ে)
-(৩:০০ থেকে ৩:১৫)
বিশ্রাম-(৩:১৫ থেকে ৩:৩০)
কোরআনের সূরা মুখস্ত
(এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে কোন সূরা গুলো মুখস্ত করা হবে।)
প্রতিদিন অন্তত: একটি দোয়া মুখস্ত করা (রাসূল সা: যে গুলো দৈনন্দিন জীবনে পড়েছেন)- (৩:৩০ থেকে ৪:৩০)

বিকেল বেলা

সালাতুল আসর,সালাত পরবর্তী মুস্তাহাব তাসবীহ ও যিকির এবং কোরআন পাঠ অর্থসহ-(৪:৩০ থেকে ৫:০০)

রাতের খাবার, ইফতার ও সেহেরীর জন্য প্রস্তুতি এবং রান্না শেষ করে ফেলা- (৫:০০ থেকে ৬:১৫)

এ সময় মায়েরা যেহেতু রান্না বা ইফতারের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত থাকেন তাই বাবারা সন্তানদেরকে কিছুটা সময় দিতে পারেন।

গল্পের বই পড়ে শুনানো, হাতের লেখা প্র্যাকটিস করানো, টিভিতে ভালো কোন অনুষ্ঠান দেখানো, আল্লাহর নিরানব্বইটা নাম থেকে প্রতিদিন পাচঁটি করে শিখানো , সৃজনশীল লেখা ইত্যাদি।

ইফতার ও সন্ধ্যাবেলা

ইফতারের প্রস্তুতি নিয়ে পরিবারের সবাই একসাথে বসা:(৬:২০ থেকে সময় হওয়ার আগ পযর্ন্ত)

(এ সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে কেউ অর্থসহ কোরআন তেলওয়াত করতে পারে। একটি/দুইটি হাদিস পড়ে শোনানো এবং সবশেষে সবাই মিলে বা ব্যক্তিগত ভাবে দোয়ার পরিবেশ তৈরী করা যেতে পারে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা)।

ইফতার গ্রহণ- {৭:০০- (ইফতারের সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে সময়টা মিলিয়ে নিতে হবে।)}

সালাতুল মাগরিব ও সন্ধ্যাকালীন আযকার পাঠ (৭:০০ থেকে ৭:৩০)

(হিসনূল মুসলিম অথবা কতিপয় প্রয়োজনীয় দোয়া বই গুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে)

বিশ্রাম ও প্রয়োজনীয় কাজ (৭:৩০ থেকে ৮:০০)

রাতের বেলা

সালাতুল এশা , তারাবীহ ও কোরআন তেলওয়াত অর্থসহ(চার পৃষ্ঠা)- (৮:০০ থেকে ৯:৩০)

রাতের খাবার- (৯:৩০ থেকে ১০:০০)
সূরা মূলক তেলওয়াত ও এক আয়াত মুখস্ত-(৯:৩০ থেকে ১০:০০)
ঘুমের প্রস্তুতি-(১০:০০ থেকে ১০:৩০)
ঘুম-(১০:৩০ থেকে ২:৩০)

মহান আল্লাহ আমাদের রোজার যথাযথ হক আদায়ের তৌফিক দিন।
আমীন।

(বি:দ্র- এটা একটা নমুনা মাত্র যে যার সুবিধামত নিজের কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পারেন)

Facebook Comments