banner

বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 750 বার পঠিত

 

ঈদ মোবারক । মেয়েদের হাতে মেহেদী লাগানো ও মেয়েদের ঈদের নামাজ।

ঈদ মোবারক । মেয়েদের হাতে মেহেদী লাগানো ও মেয়েদের ঈদের নামাজ।


সত্যলিখন


আসসালামুআলাইকুম ।
ঈদ মোবারক ঈদ মুবারক ঈদ মুবারক

প্রবাসী দেশি দুরের কাছে আত্নীয় ও আত্নার সাথে সম্পর্কিয় সকল প্রান প্রিয় ব্লগার ভাই বোন ছেলে মেয়ে সবাইকে জানাই আমার প্রান ঢালা ঈদুল আযহার আন্তরিক শুভেচ্ছা ।ঈদুল আযহা বয়ে নিয়ে আসুক আমার আপনার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।

আমাদের কে আল্লাহ সকল গুনা খাতা মাফ সহ সকল পাপপংকিলতা দূর করে দিয়ে চরম ধৈর্যশীল , তাকয়াবান , আল্লাহর হুকুম পালনে নিষ্টাবান , পিতা মাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল , আদর্শ স্বামী আর সেই স্বামীর আদেশ পালনে বিনয়ী ও আনুগত্যশীল স্ত্রী হওয়া সহ সকল প্রকার ঈমানী এলেমী ও আমলী অর্জন করার তাওফিক দান করুন । আল্লাহ নিরীহ পশুটার সাথে আমাদের মনের পশুত্ব আচরন টাও কোরবানী করে খতম করে দিক ।

“তাকাব্বাল আল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম (মহান আল্লাহ আমার ও আপনার ভাল কাজগুলো কবুল করুন)। আমীন ।

মেয়েদের হাতে মেহেদী লাগানোঃ

শুধু ঈদে নয়, মেয়েদের হাতে সারাবছরই মেহেদী লাগানো উচিত । রাসূল (ছাঃ) মেহেদী ছাড়া মেয়েদের হাত কে, পুরুষের হাতের সাথে তুলনা করেছেন । তবে মেয়েদের মত পুরুষদের মেহেদী ব্যবহার করা জায়েয নয় । কারণ মেহেদী এক ধরণের রঙ । আর পুরুষদের জন্য রঙ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জেনে রাখো যে, পুরুষদের খোশবূ (সৌন্দর্য) এমন, যাতে সুগন্ধি আছে রং নেই । পক্ষান্তরে নারীদের খোশবূ এমন, যাতে রং আছে কিন্তু তা থেকে সুগন্ধি বিচ্ছুরিত হয় না” (তিরমিযী, নাসাঈ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৪৪৪৩)

তবে পুরুষদের জন্য পাকা দাড়ি ও চুলে মেহেদী ব্যবহার করার কথা হাদীছে এসেছে কিন্তু তাতে কালো রং (কলপ) ব্যবহার করতে রাসূল (ছাঃ) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন” (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২৮) মহিলাদের জন্য হাতে-পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা জায়েয (আবুদাঊদ হা/৪১৬৫)। মেহেদীর রং ওযূর কোন ক্ষতি করে না। পুরুষের জন্য মেহেদী ব্যবহার করা নিষিদ্ধ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/২১৮)।

মেয়েদের ঈদের নামাজঃ

বোন ! ঈদের নামাজ পড়ার জন্য মানষিকভাবে প্রস্ত্তত হচ্ছেন তো ??

উম্মে আতিয়্যা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃদ্ধা, ঋতুবতী ও পর্দানশীল সকলের জন্য আদেশটি বহাল ছিল। তবে ঋতুবতী নারী ঈদের নামাজ থেকে বিরত থাকবে এবং কল্যাণ (নসিহত শ্রবণ) ও মুসলমানদের সাথে দুআয় শামিল থাকবে।

তিনি বললেন: হে আল্লাহর রাসূল; আমাদের মধ্যে কারো বড় চাদর না থাকলে সে কী করবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন : তার কোন বোন তাকে নিজের চাদর পরিধান করতে দেবে। (সহীহ মুসলিম)

রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন: “কর্তব্য হল, পর্দানশীন কুমারী মেয়েরা; এমন কি ঋতুবতী মহিলারাও ঈদগাহে যাবে। তবে ঋতুবর্তী মহিলাগণ নামাযের স্থান থেকে দূরে অবস্থান করে কল্যাণময় কাজ এবং মুমিনদের দু’আতে শরীক হবে।” (বুখারীঃ হাদীস নং ৯২৭)

এ সুন্নাত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবং বাংলাদেশের জাতীয় ঈদগাহ সহ অনেক এলাকায় আজো প্রচলিত আছে। সুতরাং যে সব এলাকায় তা চালু নেই সেসব স্থানের সচেতন আলেম সমাজ এবং নেতৃস্থানীয় মুসলমানদের কর্তব্য হল, আল্লাহর রাসূলের সুন্নতকে পুনর্জীবিত করার লক্ষ্যে মহিলাদেরকেও ঈদের এই আনন্দঘন পরিবেশে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদানের জন্য এগিয়ে আসা।

তবে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, পর্দা হীনতা, উচ্ছৃঙ্খলতা ইত্যাদি যাতে না ঘটে তার জন্য আগে থেকে সকলকে সচেতন ও সাবধান করা জরুরী। মহিলাগণ যখন বাড়ি থেকে বের হবে সর্বাঙ্গ কাপড় দ্বারা আবৃত করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে।

সংগ্রহঃ বিডি টুডে ব্লগ থেকে….।

Facebook Comments