banner

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 664 বার পঠিত

 

শীতে রুটি দীর্ঘক্ষণ নরম রাখার উপায়

স্বাস্থ্য সচেতনরা ভাতের বদলে এখন রুটি খেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে রুটি ঠান্ডা হলে খেতে ভালো লাগে না। তাই বলে তো, দিনে ২-৩ বার রুটি বানিয়ে খাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য অনেকেই এখন কিচেন হ্যাকস মেনে রুটি বেশি করে বানিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। এতে যখন প্রয়োজন; তখনই বের করে চুলায় সেঁকে নিলেই হয়ে যায়।

তবে শীতের দিনে রুটি বানানোর কিছুক্ষণ পরই তা শক্ত হয়ে যায়। যদিও বানানোর কারিশমার ওপর নির্ভর করে রুটি মখমলের মতো হবে, না-কি চামড়ার মতো শক্ত হবে। অনেকেই রুটি তৈরির সঠিক উপায় কিংবা সংরক্ষণের উপায় জানেন না, এজন্যই বাধে বিপত্তি।

আটা যেভাবে মাখবেন: ভুষিযুক্ত আটায় বেশি ফাইবার থাকে, যা স্বাস্থ্যকর। এজন্য এমন আটা নিন পরিমাপ অনুযায়ী। এর মধ্যে লবণ মিশিয়ে নিন এক চিমটি। সামান্য তেল মিশিয়ে গরম পানি দিয়ে মাখিয়ে নিন। গরম পানি দিয়ে রুটি তৈরি করলে তা যেমন নরম হয়; তেমনই হজমেও সাহায্য করে।

আটা যাতে খুব বেশি শক্ত বা নরম না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। আটা ভালো করে মথে নিতে হবে। যখন দেখবেন, আঙুলে যাতে না লেগে থাকে ততক্ষণ মথতে হবে। এরপর পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন।

জেনে নিন কোন উপায়ে রুটি বানালে ৪-৫ ঘণ্টা পরে খেলেও রুটি একই রকম নরম থাকবে-

>> রুটি বানানোর আগে একবার ভালো করে মেখে নিন আটার মণ্ড।

>> লেচি কাটার আগে দেখুন, তা নরম আছে কি-না! আটা বা ময়দা বেশি টাইট মাখলে কিন্তু রুটি ফুলবেও না, নরমও থাকবে না। তাই মণ্ডটা একটু নরম আছে কি-না দেখে নিন।

>> বেলার সময় লক্ষ্য করুন রুটি ঘুরছে কি-না। যতটা সম্ভব পাতলা করে রুটি বেলবেন।

>> আগুনের উপর রেখে যদি রুটি ফুলিয়ে নিতে পারেন, তা সবচেয়ে ভালো হবে। এজন্য রুটির একেকটা দিক আগুনের উপরে ১৫-২০ সেকেন্ডের বেশি রাখবেন না। এতে রুটি পুড়ে শক্ত হয়ে যাবে।

>> রুটি সেঁকা হয়ে গেলে, গরম তাওয়ায় অল্প পানি দিয়ে রুটিগুলো সেই জলে একবার বুলিয়ে নিয়েই তুলে নিন। তারপর এয়ারটাইট পাত্রে রেখে দিন।

>> হটপটে কিংবা লাঞ্চ বক্সে একটি ভেজা নরম কাপড় বিছিয়ে রাখুন। রুটি সেঁকা হয়ে গেলে তার মধ্যে রেখে, ভালো করে কাপড়টি দিয়ে মুড়ে নিন।

>> তন্দুরি রুটি দোকান থেকে কিনে এনে কয়েক ঘণ্টা পর খেলে তা শক্ত হয়ে যায়। তন্দুরি গরম করতে একটা পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার উপরে জালি রেখে তন্দুরিতে একটু স্টিম দিয়ে নিতে হবে। এতে তন্দুরি রুটি গরম ও নরম হবে।

>> রুটি কখনো দ্বিতীয়বার গরম করবেন না। তাহলে তা আরও শক্ত হয়ে যাবে।

Facebook Comments