banner

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ ইং, ,

পোস্টটি 1207 বার পঠিত

 

নারীদের ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা উচিত কিছু দিক

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আজকের সামাজিক অবস্থা নারীর ঘরের বাইরে কাজের জন্য যথেষ্ট ইতিবাচক। নারী  আজ
 কেবল চার দেয়ালের কাব্য রচনা করছেন না, বরং অকপটে ঘরের বাইরে পুরুষের সঙ্গে সমতালে এগিয়ে চলেছেন যেকোনো পেশায়। নারীর ক্যারিয়ার নির্বাচনের নানা দিক নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া মৌ,
সমাজের সকল শ্রেণির নারী বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। বরং নিজের জায়গা থেকেই কিভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় সেই বিষয়টি নিয়েই সচেতন থাকলেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়া হবে। তবে একজন পুরুষের চেয়ে নারীর পেশা নির্বাচনে বেশি সতর্ক হওয়া আবশ্যক। ক্যারিয়ার নির্বাচনে কিছু বিষয় প্রাধান্য দিলে নারীর সাফল্য অর্জনের পথ প্রশস্ত হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রশিক্ষণ: যেকোনো পেশায় প্রতিষ্ঠিত হতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাও হতে পারে। তাই সুযোগ পেলেই কোনো প্রশিক্ষণ, সেমিনার বা  কর্মশালায় যোগদান করা উচিত। এতে নারী হিসেবে আপনার যোগ্যতায় নতুন মাত্রা যোগ হবে।
পার্সোনাল ইন্টারেস্ট: একজন নারী যেকোনো পেশায় যোগদানের পূর্বে সে এই পেশায় কতটা মানানসই সেটা ভেবে দেখা উচিত। কারণ ছবি আঁকতে ভালোবাসে এমন নারী যদি আর্কিটেকচার নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হয় তাহলে বিষয়টি তার জন্য যতটা সহজ হবে, খুব ভালো অঙ্কনের অভ্যাস নেই এমন কারও জন্য এই কাজ সহজ হবে না। একজন নারীকে অবশ্যই  ব্যক্তিগত ইন্টারেস্টের দিকে  নজর রাখতে হবে।
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ: যেকোনো মানুষের নিজস্ব কিছু মূল্যবোধ থাকে। আর এই বিষয়টি তার একান্ত নিজস্বতা। কিছু পেশায়  নির্ধারিত ড্রেস কোড রয়েছে। সেই ধরনের পোশাক পড়ে অভ্যস্ত নয়, এমন কোনো নারী সেই কাজটি করতে গেলে নিশ্চিতভাবে সংকোচ বোধ করবেন। ফলে তার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই পেশা নির্বাচনে মূল্যবোধের মূল্যকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
ok-2
পেশাগত দায়িত্ব: যে পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান, সেই পেশায় আপনার কী ধরনের কাজ করতে হবে সেই কাজে আপনার কতটা দক্ষতা আছে কিংবা আপনি সেই পেশায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন, সংশ্লিষ্ট পেশায় দিবা/রাত্রির বিষয় আছে কিনা এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিন। তারপর আপনি সেই পেশায় নিয়োজিত হবেন কী-না সেই সিদ্ধান্ত নিন।
পারিবারিক আবহ: ব্যক্তিগত পছন্দের ক্যারিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে পারিবারিক মতামতকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। পারিবারিক আপত্তি বা নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেক্ষেত্রে নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই পারিবারিক সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এই পেশার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা বলতে হবে। তাদেরকে আপনার মতামতের সপক্ষে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং: আমাদের দেশে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ধারণাটি এখনও তেমন গুরুত্ব পায়নি। তবে যে পেশায় আগ্রহী সেই পেশায় সফল কিংবা দীর্ঘদিন কাজ করছেন এমন কোনো নারীর সঙ্গে আলোচনা করে সেই পেশার নানা দিক সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিতে পারেন।
আলোচ্য বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সব দিক বিবেচনা করে নারী তার পছন্দের পেশায় এগিয়ে যাবেন। আর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে নিজের অস্তিত্বের এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখবেন এদেশের নারীরা। স্বীকৃতি পাবেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এমনটাই প্রত্যাশা।
সূত্রঃ ইনকিলাব।
Facebook Comments