banner

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ইং, ,

Daily Archives: May 16, 2024

 

সেলিনার বনসাই রাজ্য

সেলিনা পারভিন চেনা-অচেনা কিংবা বিলুপ্তপ্রায় গাছের সমারোহ ঘটিয়েছেন তাঁর আঙিনায়।  কুষ্টিয়ার মেয়ে সেলিনা পারভিন কলেজে পড়ার সময় নিয়মিত ম্যাগাজিন পড়তেন। সেই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত পছন্দের বিষয়ের লেখাগুলা কেটে রাখতেন। একদিন কুষ্টিয়ারই ছেলে কাজল মাহমুদের সঙ্গে ঘর-সংসার পাতলেন। স্বামীর কর্মস্থল মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার গাজীপুর চা-বাগান। চলে এলেন এখানে। কাজল মাহমুদ ওই চা-বাগানের ব্যবস্থাপক।

চা-বাগানের নীরব-নিভৃত, কোলাহলমুক্ত স্থানটিই যেন তাঁর ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা সৃষ্টিমুখরতাকে জাগিয়ে তুলল। প্রশিক্ষণ ছাড়াই ম্যাগাজিন থেকে কেটে রাখা লেখাগুলো পড়ে, ছবি দেখে হাত দিলেন নতুন এক শিল্পে। যার নাম বনসাই। সেটা ১৯৯৮ সালের কথা। বললেন, ‘কেউ প্রশংসা করবে। এ জন্য কাজটি করিনি। নিজের ভেতরের ভালো লাগা থেকেই কাজটিতে হাত দেওয়া।’

সেই যে শুরু হলো। ধীরে ধীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করলেন গাছ। টবে লাগানো হলো। কোনোটি পুরোনো গাছের গোড়ায় জড়িয়ে দেওয়া হলো। এক নিবিড় শ্রম ও অধ্যবসায় পেয়ে বসে তাঁকে। গাছটির বয়স হচ্ছে, কিন্তু ওটা একটি সীমিত উচ্চতায় আটকে আছে। গাছটির সারা শরীরজুড়ে লাবণ্যের কমতি নেই। সবুজ পাতা, অনেক বছরের আলো-জল খাওয়া শাখাগুলোও সময়ের সমৃদ্ধ মেজাজ নিয়ে দুলছে। এই পরিবেশটাকে গাছের শরীরজুড়ে ধরে রাখতে লাগে অনেক সময় ও পরিচর্যা। দিতে হয় নিয়মিত সেচ ও সার। সামান্য হেলাফেলার সুযোগ নেই। স্বামী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসারে বনসাইগুলোও সমান যত্ন-আত্তি পায়। এই কাজটির মধ্য দিয়ে চার দেয়ালে আটকে না রেখে নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি।

স্বামী কাজল মাহমুদ সমানে তাঁকে উৎসাহ জুগিয়ে চলছেন। সেলিনা পারভিনের শিল্প সৃষ্টির এই কাজ এখন আর তাঁর নিজের পরিধিতেই আটকে নেই। তাঁর এই বনসাই দেখে বাংলাদেশ বনসাই সোসাইটি তাঁকে সদস্য করেছে। তিনি বনসাই সোসাইটির একাধিক প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। প্রশংসিত হয়েছেন। ২০১৫ সালে তাঁর প্রদর্শিত বনসাই পেয়েছে প্রথম পুরস্কার। বাণিজ্যিকভাবেও বনসাইয়ের সম্ভাবনা আছে। অনেকেই ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা গাছের প্রতি মমতা থেকেই নানা জাতের বনসাই কিনে থাকেন। একটি বনসাইয়ের দাম ১ হাজার থেকে ৪-৫ লাখ টাকাও হতে পারে। তিনি এ পর্যন্ত প্রদর্শনীতে ১ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত একেকটি বনসাই বিক্রি করেছেন। পরিবহনের অসুবিধার জন্য প্রদর্শনীতে নেওয়া বনসাইগুলো ছিল ছোট আকারের।

সেলিনা পারভিন বলেন, ‘অনেকে মনে করছেন এটাকে ছোট করে রাখা হয়। এটা আসলে ঠিক না। বরং এ চর্চার মাধ্যমে গাছের আরও প্রসার বাড়ছে। দেখা যাবে অনেক গাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই চর্চার মাধ্যমে অনেকে অনেক গাছ এখন চিনতে পারছে। বনসাই প্রদর্শনীতে এসে অনেকে প্রকৃতিপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।’

বনসাইচর্চার পাশাপাশি তিনি বনসাইয়ের ওপর বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেন। ছবিও আঁকেন। বই পড়েন। লেখেন কবিতা। সেলিনা পারভিন নিজের শিল্পসত্তাকে ঘর-সংসারের গতানুগতিকতায় বেঁধে না রেখে মুক্ত করেছেন শিল্পের আঙিনায়। তাঁর উঠোনজুড়েই প্রকৃতির রাগ-রং ফুটে আছে।

 

পিতা-মাতার নাম উল্লেখ ছাড়া কি বিয়ে বৈধ হবে?

হ্যাঁ, পিতা-মাতার নাম উল্লেখ না করলেও বিয়ে শুদ্ধ হবে। বিয়ে শুদ্ধ হতে ছেলে এবং মেয়ের পক্ষে পিতা বা অভিভাবকের ইজাব কবুল করলেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। হানাফি মাজহাব অনুসারে সাবালিকা মেয়ে নিজেই বিয়ের সম্মতি দিতে পারে।

আপনার পরিচিত ঐ মেয়ে এবং ছেলের বিয়েতে পাত্রের পিতা-মাতার নাম উল্লেখ করা ছাড়াও বিয়ে শুদ্ধ হবে। কেননা ওই বিয়েতে যে দুজনের বিয়ে হয়েছে তারা দুজনই উপস্থিত ছিলেন এবং সাক্ষীরা নির্দিষ্ট করতে পেরেছেন যে কার মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুকরিয়া।

 

এবারের ঈদেও শাকিব ছাড়া গতি নাই!

ঢাকাই ছবিতে শাকিব খান একক আধিপত্য বিস্তার করেই চলছেন। সেটা বহুদিন ধরেই। ক্ষমতাবলে নয়, অভিনয়গুণে, দর্শকদের ভালোবাসার কারণে। এবারের আসছে ঈদুল আজহায় ব্যতিক্রম ঘটছে না। ‘শিকারি’ ও ‘নবাব’ এর মতো বিগ বাজেট ও মানসম্পন্ন ছবি না থাকলেও আসছে ঈদে প্রদর্শক সমিতির সভাপতি সূত্রে জানা গেছে- মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির চূড়ান্ত তালিকায় এখন পর্যন্ত তিনটি ছবি রয়েছে।

আর দুটি ছবিতেই রয়েছেন নায়ক শাকিব খান। তারমধ্যে ছবি দুটি হলো- আবদুল মান্নানের ‘রংবাজ’, শাহাদৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘অহংকার’। অন্য আরেকটি ছবি হল জাহাঙ্গীর আলম সুমন পরিচালিত চিত্রনায়িকা পপি অভিনীত ‘সোনাবন্ধু’। হামলা, বহিস্কার, নিষিদ্ধ, অবাঞ্চিত ও মামলা যাই হোক না কেনো, চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই সময়ে শাকিব ছাড়া আর কোন গতি নাই!

কারণ অন্য নায়ক যারা রয়েছেন তারা ফিল্মি পলেটিক্স ও নানান কারণে নিজেদেরকে সেভাবে ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে পারেননি। যেহেতু বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে শাকিবের ছবিরই কাটতি বেশী, তাই সিনেমা দুটি নিয়ে পরিবেশক, হল মালিক থেকে শুরু করে দর্শকেরও আগ্রহ সেদিকেই। ইতোমধ্যেই ঈদের ছবির বড় বড় পোস্টার, বিলবোর্ড ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে সিনেমাপাড়া খ্যাত কাকরাইলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক নির্ধারিত প্রেক্ষাগৃহগুলো।

‘রংবাজ’ ও ‘অহংকার’ ছবি দুটির হল বুকিং ঈদুল ফিতরের পরপরই শুরু হয়েছে। ছবি দুটির প্রযোজক ও পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে শতাধিক হল চূড়ান্তও হয়ে গেছে ছবি দুটির। শাকিব এবারের ঈদের ছবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি ঈদে দর্শকের জন্য ভালো ছবি উপহার দেয়ার চেষ্টা করি। বিগত ঈদগুলোতে দর্শকরা আমার ছবি পছন্দ করেছে। ছবিগুলো মুক্তির পর তাদের কাছ থেকে বেশ সাড়া পেয়েছি আমি। এবারের ঈদেও তেমনটিই আশা করছি। দুটি ছবিই দুই ধরনের গল্পের। দুটি ছবিতেই দর্শক দুই শাকিবকে খুঁজে পাবে।’

এদিকে মাস খানেক আগেও শোনা গিয়েছে এবারের ঈদে আটটি ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু সে তালিকায় কাটছাট হয়ে পাঁচটি ছবিই বাদ পড়ে গেল। সে ছবিগুলোর প্রযোজনা সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু বিষয়ে জটিলতা ও সঠিক সময়ে শুটিং শেষ করতে না পারায় তারা ছবিগুলো দর্শকদের আগ্রহ থাকা স্বত্বেও মুক্তি দিতে পারছে না।

গেল ঈদে শাকিবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কলকাতার আরেক জনপ্রিয় নায়ক জিত। এর আগের ঈদেও ছিলেন। পরপর দুটি ঈদে শাকিবের ছবির সঙ্গে জিতের ‘বাদশা’ ও ‘বস ২’ ছবি দুটি মুক্তি পায়। ‘বাদশা’ ছবি দিয়ে জিৎ শাকিবের ‘শিকারি’ ছ’বির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, গেল ঈদে শাকিবের ‘নবাব’-এর কাছে জিতের ‘বস ২ টিকতেই পারেনি।

এবার শাকিবের বিপরীতে অন্য কারও বিগ বাজেটের ছবি নেই। যার কারণে ধরে নেওয়াই যায় ফিল্মি মাঠ এবারও শাকিবের দখলে। এদিকে এগিয়ে রয়েছেন বুবলিও। এবারের তিনটি ছবির মধ্যে দুটি ছবির নায়ক শাকিবের নায়িকাই শবনম বুবলিই। বিষয়টা কাকতালীয় হলেও গত বছর ঈদুল আজহায় শাকিব খানের বিপরীতে একসঙ্গে দুটি ছবি মুক্তির মধ্য দিয়ে অভিষেক হয়েছিল বুবলীর।

চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের খুব বেশি সময় পার না হলেও এরইমধ্যে অনেক বিষয়েই আলোচনায় এসেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি। তবে নিজের জায়গাটা বেশ আঁটসাটভাবেই বেঁধেছেন তিনি। এবার কোরবানির ঈদেও দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে তার। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের কাজে প্রাধান্য দিয়েই চলতে চাই। আসছে ঈদে দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। দর্শকদের দেখার আহ্বান জানাই।’

এদিকে ঢাকাই ছবির এক সময়ের ভীষণ জনপ্রিয় নায়িকা পপি। যদিও সে তকমায় এখন ভাটা পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরেই তার কোন ছবি ঈদে মুক্তি পায় নি। তবে আসছে ঈদে ব্যাতিক্রম ঘটতে যাচ্ছে। পপি অভিনীত ‘সোনাবন্ধু’ ছবিটিও মুক্তি পাবে। আর এ কারণে দারুণ উচ্ছ্বসিত এ নায়িকা।

এ ছবিটি নিয়ে পপি বলেন, ‘সোনাবন্ধু’ একটি গ্রামীণ গল্পের ছবি। এতে ভিন্ন ধরনের একটি চরিত্রে কাজ করতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে। সম্প্রতি ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। আমি এ ছবিতে রশ্মি নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। এখানে বেশিরভাগ সময় দর্শক আমাকে সাদা কাপড়ে বিধবা মেয়ে হিসেবে দেখতে পাবে। আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ডি এ তায়েব।’

কিন্তু ছবি মুক্তি পেতে আরও বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও ইউটিউবে ছবির গান, ট্রেলার ও টিজার প্রকাশ হয়ে গেছে। যার কারণে সে মাধ্যমগুলোতে ছবিগুলো নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা চলছে রীতিমত। তবে যে বিষয়টি সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে। ‘রংবাজ’ ছবিটির ট্রেলার আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগেই ইউটিউবে ফাঁস হয়েছে গিয়েছে!

 

হিজড়ারা কী মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারবে?

হিজড়া- মানব সমাজে বসবাসকারী একটি মানব সম্প্রদায়। যারা নারী নয় আবার পুরুষও নয়। তবে কী তারা? তারা হিজড়া। মানব সমাজের একটি বিশেষ শ্রেণিই হিজড়া নামে পরিচিত। স্বাভাবিক দশটা নারী বা দশটা পুরুষের মতো হিজড়া সম্প্রদায় স্বাভাবিক জীবন ধারণ করতে পারে না। কারণ তারা নাকি স্বাভাবিক মানুষ নয়। এটা একান্তই এই সমাজের চাপিয়ে দেয়া নিয়ম। প্রচলিত রীতি।

ইসলাম অন্য দশজন নারী ও পুরুষের মতো হিজড়াদের অধিকার সুনিশ্চিত করেছে। মহান আল্লাহ তাদের জন্য দিয়েছেন মানবিক ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধান। একজন স্বাভাবিক নারী ও পুরুষের মতো তারাও আল্লাহ মহানের সৃষ্টি। তারা স্বাভাবিক নিয়মে ইবাদাত করতে এবং মহান স্রষ্ঠার হুকুম-আহকাম মান্য করবে। অন্যান্য মুসলিমদের মতো মুসলিম হিজড়ারা রীতিমত নামাজ আদায় করতে, রোজা রাখবে এবং জাকাত ফরজ হলে তা আদায় করবে। এসব ইবাদতের মাধ্যমে অন্য মুসলিমরা যেমন পূণ্য বা সাওয়াব লাভ করে তারাও সেভাবে লাভ করবে। তারাও সমানভাবে অংশীদার হবেন কল্যাণে-অকল্যাণের।

হিজড়া কারা কিংবা কীভাবে নির্ধারিত হবে? এটা নিয়ে আমাদের সমাজে বিভিন্ন প্রকারের ব্যাখ্যা ও গবেষণা রয়েছে। তবে ইসলাম এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বর্ণনা করেছে। হাদিসে এসেছে। হজরত আলি (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে প্রসূত বাচ্চা পুরুষ-নারী নির্ধারণ করতে না পারলে তার বিধান কি-তা জানতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (সা.) জবাব দিলেন, ‘সে মিরাস পাবে যেভাবে প্রস্রাব করে।’ [সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস ১২৯৪;  কানজুল উম্মাল, হাদিস ৩০৪০৩;  মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক, হাদিস ১৯২০৪]

ইবাদত ও আরাধনার ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে, নামাজ আদয় করার জন্য হিজড়ারা কী মসজিদে যেতে পারবে, নাকি ঘরে বসেই নামাজ আদায় করবে? প্রথম কথা হলো, হিজড়াদের ওপর জামাতের সাথে বা মসজিদে গিয়ে জামাতে উপস্তিত হয়ে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব নয়। তাই তারা ঘরেই নামাজ আদায় করবে বা করতে পারবে এবং এতে কোনো সমস্যা হবে না। নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। [আশ–শরহুল মুমতি ৪/১৪০] তবে যদি কোনো হিজড়া মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে তাহলে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। [মওসুআতুল ফিকহ ২৫/২০]

এক্ষেত্রে আরো একটি বিষয় লক্ষণীয় হলো- যদি মসজিদে পড়তেই হয় তাহলে পুরুষ ও শিশুদের পেছন কাতার করে দাঁড়াবে। সামনের কাতারে দাঁড়াবে না। [মাওসুআতুল ফিকহ ২০/২৩]

কোনো হিজড়া নামাজের ইমাম হতে পারবে না। এমনকি শুধুমাত্র হিজড়াদের জামাতেও তারা ইমামতি করতে পারবে না। ইমাম হবেন অন্য পুরুষ। [মওসুআতুল ফিকহ, ৬/২০৪] সর্বোপরি কথা হলো, একজন সাধারণ নারীর মতো হিজড়াদের জন্য ঘরে নামাজ পড়া উত্তম। তবে নামাজ আদায় করতে হবে। বিনা কারণে নামাজ ত্যাগ করা যাবে না বা উচিত হবে না।

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

ক্যারিয়ারে পরিবর্তন চাইছেন? এমবিএ খুলে দিচ্ছে সম্ভাবনার দ্বার!

আপনি কি এরই মাঝে ক্যারিয়ার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? ভাবছেন, ক্যারিয়ার জীবনে কী করে একটু ইম্প্রুভমেন্ট করা যায়? তাহলে আপনার জন্যই আমাদের এই প্রতিবেদন।

আপনি যদি পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে এ বিষয়ে অনিশ্চিত হয়ে থাকেন তাহলে এখনই সময় নিজেকে পুনরায় যাচাই করার। বর্তমান চাকরির বাজার অসম্ভব প্রতিযোগিতার একটি ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রে টিকে থাকতে হলে নিজেকে নতুনভাবে গড়তে হবে, পরিবর্তন করতে হবে। আপনাকে হতে হবে বুদ্ধিমান, পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে শিখতে হবে। পাশাপাশি যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মনমানসিকতা রাখতে হবে। এ সবকিছুই আপনি শিখতে পারবেন একটি মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এমবিএ) কোর্সের মাধ্যমে।

এমবিএ (মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)

এটি আন্তার্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি মাস্টার ডিগ্রি। এতে-

  • ব্যবসা বিষয়ে তাত্ত্বিক ভিত্তির আলোচনা করা হয়।

  • ইন্টার্নশিপ, গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট এবং আলাাদা প্রজেক্টের বাস্তবিক কিছু সুযোগ থাকে ছাত্রছাত্রীদের ইম্প্রুভ করার জন্য।

  • ম্যানেজমেন্ট এবং নেতৃত্ব বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হয়।

  • কম্যুনিকেশন, মোটিভেশন এবং নেগোসিয়েশন বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হয়।

  • ক্যারিয়ারে বৈশ্বিক সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়।

  • স্বাধীন ব্যবসায় যোগ্য করে তোলা হয়।

এমবিএ মূলত একটি প্রফেশনাল কোর্স যা একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে সহায়তা করে। বর্তমান বাংলাদেশে শুধু যে ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থীরাই এমবিএ পড়ে থাকেন তা না অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এই কোর্সটি করতে আগ্রহী হন। কেননা এই কোর্সে একটি ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন এর সবকিছুই শেখানো হয়।

কোর্স ডিটেইল:

মোটামুটি ২ ধরনের প্রোগ্রামে এমবিএ করানো হয়। একটি রেগুলার এমবিএ যেখানে যেকোনো সাবজেক্ট থেকে স্নাতক করা ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। আরেকটি হলো এক্সিকিউটিভ এমবিএ বা ইএমবিএ। এতে শিক্ষার্থীর কমপক্ষে ৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। একটি পরিপূর্ণ কোর্সে মোট ৬৪ ক্রেডিট থাকে যার ৬০ ক্রেডিট ২০ টি সাবজেক্টে, ২ ক্রেডিট থিসিসে এবং ২ ক্রেডিট ভাইভাতে থাকে। ইএমবিএ এর জন্য থাকে ৪৫-৫০ ক্রেডিট। এমবিএ তে পড়ানোর বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ফিন্যান্স, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং, বিপণন, ব্যবস্থাপনা, হিসাবরক্ষণ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পর্যটন ও হোটেল ব্যবস্থাপনাসহ মোট ২০ টা সাবজেক্ট এবং ১ টা থিসিস থাকে। এগুলোর যেকোনো একটিকে মেজর হিসেবে নিয়ে কোর্সটি সম্পন্ন করতে হয়। প্রতি সেমিস্টারে সর্বোচ্চ ৫ টা এবং সর্বনিম্ন ২ টা সাবজেক্ট নেয়া যায়। পুরো কোর্সটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে ১ বছর ৪ মাস থেকে ২/৩ বছর পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। কোর্স ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

 

‘আমি এখন সাইকেলে আসি’

এদের একজন শারমিন আক্তার কমলগঞ্জ উপজেলার হাজি মো. উস্তোওয়ার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি বিদ্যালয় থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে চক কবিরাজী গ্রামে। প্রতিদিন বাসে করে স্কুলে আসতে হতো তাকে। বাস না পেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। এতে ভাড়া লাগত ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

শারমিন আক্তার বলে, ‘আগে সাইকেল চালাতে পারতাম না। সাইকেল পাওয়ার পর শিখেছি। এখন আর প্রতিদিন ভাড়া লাগে না। আমি এখন সাইকেলে স্কুলে আসি।’ একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির আরেক ছাত্রী তামান্না জান্নাতও আসে সাইকেলে।

কালীপ্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মৌমি রানি বৈদ্য থাকে দেওরাছড়া চা-বাগানে। বিদ্যালয় থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। এখন সে-ও বাইসাইকেলে আসা-যাওয়া করে। এ রকম সাইকেলের গতিতে ছোটা ছাত্রীর সংখ্যা কমলগঞ্জে ৮০।

মিরতিঙ্গা চা-বাগানের মতি বারাইকের মেয়ে সাধনা বারাইক পড়ে কালীপ্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে। এখন মেয়ের সাইকেল হয়েছে। এতে খুব খুশি মতি বারাইক। বলেন, ‘মেয়ে আগে হেঁটে যাইত।’ এ রকম মেয়ে সাইকেল পাওয়ায় খুশি দেওরাছড়া চা-বাগানের আরেক অভিভাবক লক্ষ্মী নারায়ণ কুর্মী। এই অভিভাবকেরা মেয়েদের সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে এসেছিলেন। এই মেয়েরা মিলনায়তনে আসার আগে সাইকেল শোভাযাত্রা করেছে। এটাও এলাকার মানুষের চোখে একটা নতুন ঘটনা। মাস দু-এক আগে এই সাইকেলগুলো হাতে পেয়েছে তারা।

এই সাইকেলের একটা ইতিহাস আছে। তখন নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হয়ে কমলগঞ্জে যোগ দিয়েছেন মো. মাহমুদুল হক। একদিন উপজেলার একদম দক্ষিণ সীমান্তের চাম্পারায় চা-বাগান এলাকায় গিয়েছেন। দেখেন অনেক মেয়ে দল বেঁধে হেঁটে যাচ্ছে। তিনি গাড়ি থামিয়ে ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলেন, তারা কোথায় পড়ে। বাড়ি কোথায়। জানতে পারলেন, তারা পদ্মা মেমোরিয়াল পাবলিক হাইস্কুলে পড়ে। পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূর থেকে হেঁটে তারা স্কুলে আসা-যাওয়া করে। তখনই বাইসাইকেলের বিষয়টি তাঁর মাথায় আসে। তিনি কথা বলেন উপজেলা পরিষদের সব সদস্যের সঙ্গে। সবাই সম্মতি দেন। ৮০টি বাইসাইকেল কেনা হয়। খুঁজে খুঁজে স্কুলের দূরবর্তী ও দরিদ্র পরিবারের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের বাছাই করা হলো। মাস দু-এক আগে এই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাইকেল। এরা যত দিন স্কুলে আসা-যাওয়া করবে, এই সাইকেল তাদের। পড়া ছেড়ে দিলে, এসএসসি পাস করলে সাইকেল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে দেবে—এটাই শর্ত।

ইউএনও মো. মাহমুদুল হক বলেন, এই বাইসাইকেলের মাধ্যমে অনেকগুলো সূচক একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া যায়। প্রতিদিন বাইসাইকেলে চড়ে আসা-যাওয়া করলে মেয়েরা শারীরিকভাবে সক্ষমতা অর্জন করবে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপরও এর প্রভাব পড়বে। অনেক ছাত্রীই এই বাইসাইকেল চালানো উপভোগ করছে। অনেক অভিভাবক তাঁদের মেয়েদের বাইসাইকেল কিনে দিচ্ছেন। শিক্ষার অগ্রগতিতে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে।

সেদিন (৭ আগস্ট) এরা সবাই এসেছিল এমন একটি অনুষ্ঠানে, যেখানে কেন বাল্যবিবাহ হচ্ছে, কেন বাল্যবিবাহ ঠেকানো যাচ্ছে না, বাল্যবিবাহমুক্ত উপজেলা ঘোষণার পর কতটা বাল্যবিবাহ কমেছে—এমন কথাবার্তা হচ্ছিল। ইউএনও বাল্যবিবাহমুক্ত উপজেলা ঘোষণার বছরপূর্তিতে আয়োজন করেছিলেন এই পর্যালোচনা সভার। এতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা মেমোরিয়াল পাবলিক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামা কান্ত সিংহ বলেন, ‘আমার স্কুলে ১২টা সাইকেল পেয়েছি। যারা পেয়েছে তাদের বাড়ি কলাবন, সোনারায় এলাকায়। স্কুল থেকে পাঁচ-সাত কিলোমিটার দূরে। ওরা খুব আনন্দ করে আসে। তাদের উপস্থিতি ভালো। এই উদ্যোগটা চমৎকার। তাদের সাইকেল নিয়ে অন্য মেয়েরা প্র্যাকটিস করে। অন্য অভিভাবকেরাও উৎসাহিত হয়েছেন তাঁদের মেয়েদের সাইকেল কিনে দিতে।’

 

বাড়িতেই তৈরি করুন মুচমুচে চিকেন কাটলেট

উপকরণ

# মুরগীর বুক- ৪ টি (বোন লেস হলে ভালো। তাতে সময় বাঁচবে। বোনলেস না পেলে পাখার ১ ইঞ্চি করে হাড় মাংসের সঙ্গে লাগানো রেখে বাকি হাড় মাংস থেকে তুলে ফেলুন। ১ ইঞ্চি হাড় কাটলেটে বোঁটার মতো থাকবে। বোনলেস হলে এই হাড়টা থাকবে না। তবে সব ক্ষেত্রেই মাংস হালকা হাতে ছুরি দিয়ে কেঁচে নিন ভালো করে। তবে মাংস যেন বেশি ভর্তা না হয়ে যায়।)

# টমেটো সস-২ টেবিল চামচ,

# কাঁচামারিচ বাটা-১ চা চামচ,

# সরষের গুঁড়ো-১ চা চামচ,

# গোলমরিচ গুঁড়ো- আধা চা চামচ,

# আদা বাটা সিকি চা চামচ,

# রসুন বাটা-সিকি চা চামচ,

# লবণ-আন্দাজমতো

# ওয়েসটার সস-২ চা চামচ,

# ময়দা-২ টেবিল চামচ,

# ডিম-ফেটান-১টি,

# টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়ো-পরিমাণ মত

# তেল ভাজার জন্য-পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রনালী

– টোস্টের গুঁড়ো বাদে সব মশলা একসাথে মেশান।

– মেশানো মশলায় মুরগী ভালোভাবে মাখিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন।

– প্রত্যেক টুকরো মাংস টোস্টের গুঁড়োয় গড়িয়ে কাটলেটের আকার নিন। টোস্টের গুঁড়োর সাথে খানিকটা কর্ণ ফ্লেক্স গুঁড়ো মিশিয়ে নিলে কাটলেট হবে আরও মুচমুচে।

– গরম তেলে কাটলেট বাদামি করে ভেজে তুলুন।

সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। আর সাথে একটু সালাদ হলে তো কথাই নেই!

 

মেঘের মতো ডিম পোচ

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ডিমের একটি খাবার খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। ‘ক্লাউড এগ’ (মেঘসদৃশ্য ডিম) নামক ডিমের এই পোচ ইনস্টাগ্রামে নতুন ট্রেন্ড হিসেবে সাড়া ফেলেছে।

ক্লাউড এগ দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, খেতেও সুস্বাদু। অনেকেই ক্লাউড এগ-এর ছবি হ্যাশট্যাগে শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে।

ইউটিউবে বাড়ছে এর রেসিপির ভিউয়ার। খুবই সহজ মেঘসদৃশ্য এই ডিম পোচ বানানো। যখন তখন বানিয়ে নিজে তো খেতে পারেনই, মেহমানদারিতে পরিবেশন করেও প্রশংসায় ভাসতে পারেন। আর খাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন; লাইকের অভাব হবে না।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এর রেসিপি। উপকরণ হিসেবে লাগবে- ১টি ডিম, শক্ত ঝুরা পনির, এক চিমটি লবণ।

প্রথম একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম আলাদা করে অন্য একটি বাটিতে রাখুন। এবার ডিমের সাদা অংশ মিক্সারে মিক্স করতে থাকুন। ভালোমতো মিক্স হয়ে গেলে এর মধ্যে শক্ত ঝুরা পনির ও লবণ দিয়ে ভালোমতো নাড়ুন যতক্ষণ না সাদা হালুয়ার মতো দেখায়।

একটি ট্রেতে বেকিং পেপার বিছিয়ে তার মধ্যে সাদা হালুয়া কিছুটা ছড়িয়ে দিয়ে  মাঝখানে গর্তের মতো করুন। এটিকে ওভেনে ৪৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৪-৫ মিনিট রাখুন। এরপর বের করে এনে তার মধ্যে ডিমের কুসুম ছেড়ে দিন। এবার ওভেনে ২ মিনিট রাখলেই হয়ে যাবে ক্লাউড এগ।

 

গরম কিংবা বর্ষায় টিউনিক

এখন ফ্যাশন মানেই ফিউশন। দেশি এবং পাশ্চাত্যের মিশেল রয়েছে বেশিরভাগ পোশাকে। সেই ধারায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের টপস, টিউনিক, শার্ট, স্কার্ট। আর এগুলো মধ্যে টিউনিক অন্যতম।

কাঁধ থেকে দেহের মধ্যভাগের নিচ পর্যন্ত কিংবা হাঁটু সমান লম্বা এই পোশাকের প্রচলন হয়ত এসেছে প্রাচীন রোম থেকে।

পোশাকবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘টিউনিক’ শব্দটা এসেছে রোমান ‘টিউনিকা’ থেকে। সেই সময় রোমান নাগরিকরা সাধারণত উৎসবে ই পোশাক পরতো।

শুধু রোমনরা নয়, প্রাচীন গ্রিসেও টিউনিক ঘরানার পোশাকের প্রচলন ছিল। পরে এই পোশাক মধ্যযুগ পার করে বর্তমান যুগে এসেও ঠেকেছে।

পাশ্চাত্যে প্রথম দিকে এই ধরনের পোশাক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য পরার প্রচলন ছিল। পরে সেটা সাধারণ মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। আর এই উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টিউনিক ধাঁচের পোশাকের যে প্রচলন আছে সেটা ‘কুর্তা’ নামেই পরিচিত।

টিউনিক সাধারণত একটু পাতলা ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই গরমে যেমন পরতে আরাম তেমনি বর্ষায় ভিজলেও শুকায় তাড়াতাড়ি। বৃষ্টি আর স্যাঁতস্যাঁতে গরম আবহাওয়ায় পোশাক ব্যবহারে আরামের কথা বিবেচনা করে বেছে নেওয়া যায় সুতি কাপড়, সিল্ক, মসলিন, এন্ডি সিল্ক, জয়শ্রী, এন্ডি কটন, জর্জেট, শিফনসহ অন্যান্য আরামদায়ক কাপড়। কারচুপি, এম্ব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক, স্টিচিং নকশা উৎসবের আমেজ ফুটিয়ে তোলে।

হাল ফ্যাশনে টিউনিক সম্পর্কে দেশীয় ব্র্যান্ড ‘লা রিভ’য়ের জ্যেষ্ঠ ডিজাইনার বিপ্লব বিপ্রদাস বলেন, “আসলে ওয়েস্টার্ন স্টাইলের সঙ্গে দেশি ঘরানার ফিউশন করে কিছু টপসের ডিজাইনকেই আমরা টিউনিক বলে থাকি। কুর্তি এবং টিউনিকের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। কুর্তি হল কামিজেরই একটি আলাদা স্টাইল। সেক্ষেত্রে টিউনিক টপস এবং দেশি স্টাইলের ফিউশন। আসলে দেশীয়ভাব বজায় রেখে ওয়েস্টার্ন পোশাকের ধাঁচে তৈরি করা হয় এখানকার টিউনিক।”

কিশোরি এবং তরুণিদের মধ্যেই এই পোশাক বেশি জনপ্রিয়। জিন্স বা পালাজ্জোর সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়। চাইলে স্কার্ট বা ধুতি-পায়জামার সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায়। ফ্যাশনে ভিন্নতার জন্যই নতুন প্রজন্মের কাছে টিউনিক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া যেকোনো পরিবেশের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। বিপ্লব বলেন, “মূলত নতুন প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই টিউনিক ডিজাইন করা হয়। তবে নিজের সঙ্গে মানিয়ে যেকোনো বয়সি নারীরাই টিউনিক পরতে পারেন।”

“টিউনিকের ডিজাইনে ভিন্নতা আনার স্বাধীনতা রয়েছে। কাপড়ের ধরণ বুঝে চাইলেই মন মতো ডিজাইন ফুটিয়ে তোলা পায়। টিউনিকের নিচের অংশ, গলার স্টাইল, হাতা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নতুনত্ব আনার সুযোগ রয়েছে। হাল ফ্যাশনে মূলত টিউনিকের কাট এবং হাতার স্টাইলে ভিন্নতা আনা হচ্ছে। আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে মূলত পোশাকের কাপড় বাছাই করা হয়।” বললেন বিপ্লব।

তিনি আরও বলেন, “এখন বৃষ্টির কারণে জর্জেট, ভিসকস এবং সিল্ক কাপড় বেছে নেওয়া হচ্ছে টিউনিক তৈরিতে। তবে গরমের মৌসুমে সুতি কাপড়ের তৈরি টিউনিক বেছে নিতে হবে। তাছাড়া ভিসকসের সঙ্গে সুতি বা সিল্কের সঙ্গে সুতির মিশেল কাপড়গুলোও উঠে এসেছে পছন্দের তালিকায়।”

“প্রতিদিনের পোশাক হিসেবে টিউনিক বেশ মানানসই। তাছাড়া স্টাইলের পাশাপাশি পোশাকটি বেশ আরামদায়কও বটে তাই অনেকেরই পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই ফিউশন পোশাকট।” মতামত দিলেন এই ডিজাইনার।

যেকোনো পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নিজের শারীরিক গঠন এবং পোশাকটি পরে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সেই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। আর সব কিছু মিলে যদি যায় তবে যেকোনো পোশাকে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।

 

কেমন হবে বসার ঘরের সাজ

অতিথির বসার জন্য এই ঘরের বিকল্প নেই। পরিবারের সবাই অবসরে বসে টিভি দেখে, বই পড়ে, গান শুনে বা বিশ্রামের জন্য কিছুটা সময় কাটায় এই বসার ঘরে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বসার ঘরটি থাকে থাকে খোলা, অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো দরজা থাকে না। তাই সাজানোটা নির্ভর করে ঘরের কোন অংশে এর অবস্থান তার ওপর।

বসার ঘর কর্ণারে হলে একপাশে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ডিনার ওয়াগন, ওভেন ইত্যাদি রাখুন। এগুলো সবারই প্রয়োজন। আর একপাশে ইচ্ছামতো বসার ব্যবস্থা করে টিভি রাখুন। লো হাইট সোফা বা ফ্লোরিংয়ের সঙ্গে কয়েকটি মোড়া বা টুলও রাখতে পারেন। দুই সোফার মাঝে রাখতে পারেন ল্যাম্প শেড। তার ভেতরে ইচ্ছামতো রঙের বাতি। রাতে সেটা জেলে দিলে জমকালো আবহ সৃষ্টি করবে।

বাসার মাঝখানে হলে দুই পাশে কম উচ্চতার সোফা এবং এক কোণে টিভি রাখতে পারেন। চাইলে কার্পেট, শতরঞ্জি বা শীতলপাটি দিয়ে ফ্লোরিংও করতে পারেন। এর ওপর ছোট-বড় কয়েকটি রঙিন কুশন দিন। সঙ্গে রাখুন কিছু ইনডোর প্লান্ট।

ঘরটি একটু বড় হলে দেয়ালজুড়ে একটা বইয়ের তাক বানাতে পারেন। টিভি দেখার পাশাপাশি অবসরে বই পড়ার চমৎকার জায়গা হতে পারে এটি। ঘরে বাচ্চা থাকলে একটি কর্নার সাজাতে পারেন তার জন্য। ছোট আকারে তৈরি করুন একটি খেলাঘর, সেখানে রাখুন পুতুল, গাড়ি, ছোট একটি টেবিল, ছবি আকার সরঞ্জাম ইত্যাদি। সামনের দেয়লটি সাজাতে পারেন বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র মিকি মাউস, সিনড্রেলা, ডোরেমন এবং অ্যানিমেশন ছবি দিয়ে।

দেয়ালে শোপিস র্যাকও রাখতে পারেন। এখানে মনের মতো ইনডোর প্লান্ট আর শোপিস শোভা পেতে পারে। সামর্থের মধ্যে সিলিংএ দিতে পারেন ঝাড় বাতিও। কম খরচে দিতে চাইলে রঙিন হ্যাংগিং বাতি দিতে পারেন। বসার ঘরে ঢোকার দরজায় থাকতে পারে নানা ডিজাইনের দোরঘণ্টি।

বসার ঘরের দেয়ালও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেয়াল সাজাতে পারেন পারিবারিক ছবির ফ্রেম দিয়ে। তবে তা অবশ্যই হতে হবে সবার সম্মিলিত হাসি মাখা মুহূর্তের। পারিবারিক ছবি রাখতে না চাইলে কোনো পেইন্টিং, সিনারি বা ফ্লোরাল ফ্রেম দিয়ে সাজান।