banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

সফলতার জন্য নূহার চ্যালেঞ্জ

মিষ্টি এই মেয়েটির ছোট বেলা থেকে চোখে মুখে লেগে থাকত আনন্দের ছোঁয়া।সেই মানুষটির জীবনের লক্ষ এমন কিছু করতে হবে যা মানুষের উপকারে আসে। যার মধ্যে থাকবে সৃষ্টিশীলতা আর আনন্দের অনুভূতি। অন্যদিকে তার পরিবারের ইচ্ছে মেয়েকে বড় হয়ে ডাক্তার হতে হবে।কিন্তু সৃজনশীলতা যার মন ও মগজে সে কি করে মানুষের শরীর কেঁটে অপারেশন করবে? সেখানে তো নতুনত্ব সৃষ্টি করা অসম্ভব। স্বাভাবিক ভাবেই এবার স্রোতের বিপরীতে চলার মত সাহস দেখাতে হল তাকে। হাঁটতে হল নিজের স্বপ্ন পূরনের পথে। যদিও তিনি তখনও জানতেন না কি করবেন বড় হয়ে। তবে এতটুকু জানতেন যা কিছুই করেন না কেন তা হবে সবার থেকে একটু আলাদা, একটু ব্যতিক্রম।

ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা করা সম্ভব তা যেন হটাত করেই মাথায় আসলো তার। কিন্তু ভাললাগার কাজে সফলতা পেতে বড় এই চ্যালেঞ্জকে শুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে বাস্তবে রুপ দেওয়া সম্ভব বুঝতে পারছিলেন না। তার ওপর ব্যবসার পুঁজি বলতে হাত খরচের জমানো ৫০০০ টাকা ছাড়া আর কিছুই নেই। ফেসবুকে ওয়েডিং এক্স-কার্সন নামে একটি পেইজ ক্রিয়েট করলেন। ইনভাইট করলেন তার ফ্রেন্ডলিষ্টের সবাইকে। এবং কাছের কয়েকজনের বন্ধুদের সাথে আইডিয়াটি শেয়ার করলেন। বন্ধুরাও আগ্রহ প্রকাশ করে তার আইডিয়ার সাথে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে চাইলেন।

Uddoktaকিন্তু এই যাত্রার পথটি এতটা সহজ ছিল না নূহা হোসেন এর জন্য। অনেক বেশী কষ্ট করতে হয়েছে তার আইডিয়াকে বাস্তবে রুপ দিতে। সেই সাথে অবস্থান নিতে হয়েছে পরিবারের সবার বিপক্ষে। স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে কখনও কখনও যে ধাক্কা খেয়েছেন শুধু তাই নয় কাছের মানুষদের সাথে ভুল বোঝাবুঝিও হয়েছে অনেক। তবে তা সামলে নিয়েছেন নিজের বুদ্ধিমত্তার গুনেই। প্রথম কাজটি পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে চার মাসেরও বেশী সময় ধরে। ফেসবুক প্রচারণার পাশাপাশি পরিচিত এমন কেউ ছিল না যাকে বলা বাদ দিয়েছেন।

ধৈয্যহারা হয়ে যখন হাল ছাড়ার মত অবস্থা ঠিক তখনই সুখবরটা আসে। পেয়ে যান একটি কাজের সন্ধান। কিন্তু শুধুমাত্র অনভিজ্ঞ, ব্যবসায়ে নতুন এজন্য কাজ হিসেবে টাকার অঙ্ক ছিল এতটাই কম যে লাভের মুখ দেখতে পারেননি। প্রথম কাজটিতেই আর্থিক ক্ষতির স্বীকার হয়েছিলেন। তবে এরপর থেকে খুব বেশী পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি সহযোগী তিন বন্ধু সালমা আজমী, নীরব আহমেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ এর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে। সকলেই পড়াশুনা করছেন আর স্বপ্ন লালন করে এগিয়ে চলেছেন তাদের কাজকে ভালবেসে। ফটোগ্রাফার বন্ধু ইমতিয়াজ মুহুর্ত গুলো ধরে রাখার জন্য সর্বদাই যেন মুখিয়ে থাকেন। অনুষ্ঠান গুলোকে ফুটিয়ে তুলতে সে নিত্য নতুন পরিকল্পনা সাজাতেই ব্যস্ত। অন্যদিকে বাকি দুজন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা প্রয়োজন কাষ্টমারের চাহিদা অনুযায়ী সেইসব দিকে খেয়াল রাখেন। আর কেনাকাটা আর কাজ করার জন্য যথেষ্ট জনবলের কাজের তদারকি নিয়ে ব্যস্ততা তো তিনজনেরই থাকে। আর উদ্যোগী নুহা হোসেন তখন সবার কাজের সমন্বয় করতেই ব্যস্ত।

এত ব্যস্ততার মধ্যেই কাজের সমস্ত পরিকল্পনা আর সেলস এন্ড মার্কেটিং এর দায়িত্বটাও নিজেই পালন করছেন। তার মুখ থেকেই বলছিলেন যে কোন ব্যবসায়ের সফলতার জন্য সেলস এন্ড মার্কেটিং এর গুরুত্বের কথা। বিক্রি না থাকলে আমার অর্থ আসবে কোথা থেকে। আর অর্থের সোর্স খুজতে তো আমাকে মাঠে নামতেই হবে। আর তাই মার্কেটিংও করতে হবে। প্রচার না থাকলে তো আর আমাকে কেউ চিনবে না। কাজও দিবে না। কারন প্রচারেই তো প্রসার। যদিও নিজের বাড়িকে অফিস বানিয়ে শুরুটা হয়েছিল কাজের। পরিধি বাড়ছে দিন দিন। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের সামনেও পড়তে হচ্ছে তাকে।

12935206_1359031530807683_1364389717_nতার প্রতিষ্ঠান ওয়েডিং এক্স-কার্সন বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকী সেই সাথে ঘরোয়া অন্যান্য যে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের কাজ করে চলেছে। প্রতিটা কাজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সৃষ্টিশীলতার জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অসাধারন মুহুর্ত গুলোকে সাজানোর পাশাপাশি মান সম্মতভাবে সংরক্ষন করতে প্রচেষ্টার কোন কমতি থাকে না তার। আপনার যে কোন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের ফেইসবুক পেইজ ওয়েডিং এক্স-কার্সন অথবা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত নাম্বার ০১৬৭-২০৪২২৪৮ যোগাযোগ করতে পারেন।

আগামীতে উদ্যোক্তা হতে চায় যারা তাদের জন্য পরামর্শ চাইতেই যেন তার পূর্ব অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বলা শুরু করলেন কোন কিছু করতে টাকার চাইতে ইচ্ছা শক্তি আর চেষ্টাটা বেশী থাকতে হবে। অফিস নিয়েই ব্যবসা শুরু করতে হবে এ ধারনার বাইরে এসে কাজ শুরু করতে হবে। আপনার হয়ে যারা কাজ করবে তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। সেই সাথে ঠোঁটের কোনে হাসি রেখে মার্জিত হয়ে কথা বলতে হবে। সব সময় শেখার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ভালবেসে কাজ করতে হবে। আর কাজকে টাকা দিয়ে বিচার না করে ভালবাসা দিয়ে বিচার করতে হবে। সফলতার মুখ না দেখা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কারন পরিশ্রম আর অধ্যবসায় ছাড়া কখনোই সফল হওয়া যায় না।

মাসুদুর রহমান মাসুদ

 

বিয়ে করতে চলেছেন? এই কাজগুলো করেছেন তো?

বিয়ে একজন মানুষের জীবনের খুব সুন্দর আর স্বপ্নময় একটা সময়,  যাকে ঘিরে অনেকেই মনে মনে অনেক কিছু ভেবে রাখেন। বিয়ে কোথায় হবে, কেমন হবে, কে কে আসবে, কী খাবার থাকবে, কতটা খরচ পড়বে, সংসারের খরচ কেমন করে চলবে, কতটা স্বাবলম্বী হতে হবে- এসবটাই মাথায় রেখে নিজের নিজের মতন করে ভাবতে পছন্দ করেন অনেকে। আপনি যদি হন তাদেরই ভেতরে একজন, তাহলে এই লেখাটি আপনারই জন্যে। আচ্ছা, কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক আর পারিবারিক দিক থেকে বিয়ের জন্যে প্রস্তুত হলেও সত্যিই কোন কিছু বাদ পড়ে গেল কিনা? কিছু কি সত্যিই ছুটে গেল প্রস্তুতির অংশ থেকে? আপনাকেই বলছি, বিয়ের আগে একবার হলেও ভেবে দেখুন নিচের  কাজগুলো করেছেন কিনা। অন্যথায় বিয়ের জন্যে প্রস্তুত আপনি- একটু হলেও হয়তো সন্দেহ রয়েই যাবে! চলুন তাহলে দেখে নিই বিয়ে নিয়ে ভাববার আগে প্রস্তুতিমূলক অবশ্যই করণীয় কিছু কাজ।

১. নিজের হৃদয় ভাঙা

শুনতে খুবই পাগলাটে ধরনের মনে হলেও সত্যি যে পাকাপাকিভাবে কোন সম্পর্কে নিজেকে বাঁধবার আগে একবার হলেও অন্তত নিজের হৃদয়কে ভাঙার অভিজ্ঞতা থাকা উচিত আপনার। এতে করে সম্পর্কের ভুল-ঠিক, ভালো-খারাপ খুঁটিনাটি অনেকটাই জানা হয়ে যাবে আপনার। ফলে এরপরের সম্পর্কের জন্যে অনেকটাই সঠিক পথে চলতে পারবেন আপনি আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে।

২. মানুষকে চেনা

কাউকে সারাটা জীবনের জন্য নিজের সাথী করে নেওয়ার আগে আপনার নিশ্চয়ই উচিত হবে এটা জানা যে ঠিক কি ধরনের মানুষের সাথে আপনি আপনার জীবনটা কাটাতে চান? আর সেটা জানতে হলেই আপনাকে জানতে হবে মানুষের রকমফের সম্পর্কে। কোন মানুষ কেমন হয়, তাদের চিন্তা-ভাবনা, সঙ্গ, ভালো লাগা- মন্দ লাগা আর সেসবের সাথে নিজের চাওয়া-পাওয়ার মিল ঘটানো- এসব জানতে গেলে অবশ্যই মানুষের সাথে মিশতে হবে আপনাকে ( লাইফহ্যাক )।

৩. নিজেকে চেনা

অন্য কাউকে চিনতে যাওয়ার আগে নিজেকেও ভালো করে চিনে নিন। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে অন্যদের ইচ্ছেমতন চলতে গিয়ে নিজে কি হতে চেয়েছিলেন, কি করতে চেয়েছিলেন- সেটা বেমালুম ভুলে যায়। ফলে নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় অন্যদের সম্পর্কেও ধারণাটা ঠিকঠাকভাবে পায় না তারা। ভুল সিদ্ধান্ত নেয় আর সমস্যায় পড়ে। তাই আগে নিজেকে জানুন। কি করতে চান আপনি? কোন ব্যাপারগুলোতে কখনোই অন্যের জন্যে পিছু হটবেননা? আপনার স্বপ্ন কী? ভাবুন আর নিজেকে আবিষ্কার করুন।

৪. একলা সময় কাটানো

পুরোটা জীবন তো অন্যদের সাথেই কাটাতো হবে। তাই বিয়ের মতন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একলা কিছু সময় কাটান। ঘুরতে চলে যান কোথাও। নিজেকে সঙ্গ দিন। চেনা মানুষের বাইরে অন্য কোন বন্ধু বানান। অন্যদের সাথে নিজে কতটা সহজ সেটা দেখার চেষ্টা করুন। কে জানে, এই একলা কাটানো সময়গুলোই হয়তো আপনার কাছে নিজেকে আর অন্যকে প্রকাশ করবে ভিন্নভাবে।

৫. নিজের পরিচয় গড়া

কেন আপনি বিয়ে করতে চাইছেন? প্রথমে এই কারণটি খুঁজে বের করুন ( রলগাই )। এর সাথে যদি নিজের জীবন অন্য কাউকে পরিচালনার অধিকার দেওয়ার কোনরকম সম্পর্ক না থাকে তাহলে বিয়ের আগেই নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করুন। নিজের আলাদা একটা পরিচয় গড়ে তুলুন। যাতে করে আপনার ভবিষ্যত এই একটি মাত্র কাজে খুব বেশি প্রভাবিত না হয়।

৬. খুঁটিনাটি ব্যাপার শেখা

বিয়ের মাধ্যমে নানারকম সম্পর্কে পা রাখার আগেই শিখে নিন কিছু ছোটখাটো কাজ। এই যেমন- নিজের যত্ন নেওয়া, নিজেকে ভালোবাসা, টুকটাক ঘরের কাজ করতে পারা, মানুষকে বিশ্বাস করা, যৌক্তিকভাবে কোন ব্যাপারকে বিশ্লেষণ করা- ইত্যাদি। তাহলে আপনি নারী হোন বা পুরুষ, বিয়ের পরবর্তী সময়গুলো একটু হলেও স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠবে আপনার জন্যে।

 

লিখেছেন-

সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

 

নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকনের দাফন সম্পন্ন

বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন সোমবার সকাল সোয়া ৮টায় উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি।

প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে বাদ আসর জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকনের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বাদ জোহর খোকনের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দ্বিতীয় জানাজা শেষে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে উত্তরায় এই নির্মাতার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকন দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়ার সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন।

শহীদুল ইসলাম খোকন দীর্ঘদিন ধরে মুখগহ্বরে মটর নিউরো ডিজিসে (এএলএস) ভুগছিলেন। গত ৭ জানুয়ারি তার কণ্ঠনালিতে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে।

এর আগে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়। সেখানকার বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানান। এরপর তিনি ফিরে আসেন দেশে।

 

বাচ্চাদের টিফিনে তৈরি করে ফেলুন পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি

বাচ্চাদের টিফিনে কী খাবার দেওয়া হবে তা নিয়ে মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। আজ বার্গার, কাল স্যান্ডউইচ, পরশু নতুন কোন খাবার। প্রতিদিন নতুন নতুন খাবার তৈরি করা খানিকটা কঠিন। এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন আজকের রেসিপি থেকে। চিকেন শর্মা সব বাচ্চারা পছন্দ করে থাকে। শর্মার মত মুরগি দিয়ে তৈরি একটি খাবার হল পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি।

উপকরণ:

  • ১/২ কাপ আটা
  • ১টি ক্যাপসিকাম
  • ১/২ চা চামচ চাট মশলা
  • ৫০০ গ্রাম মুরগির মাংস
  • ১ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
  • ধনেপাতা কুচি
  • ১ চা চামচ ধনিয়া গুঁড়ো
  • ১ চা চামচ জিরা গুঁড়ো
  • ১টি ডিম
  • ১ টেবিল চামচ আদা রসুনের পেস্ট
  • ১টি লেবুর রস
  • ১ কাপ ময়দা
  • ২ টেবিল চামচ তেল
  • ১টি পেঁয়াজ কুচি
  • ৩টি টমেটো কুচি
  • হলুদ এক চিমটি
  • পানি
  • লবণ

প্রণালী:

১। একটি পাত্রে ময়দা, লবণ, আটা তেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে পানি দিয়ে ভাল করে ডো তৈরি করুন। একটি পাতলা কাপড় দিয়ে ঢেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন।

২। নন-স্টিক প্যান চুলায় দিন। এতে তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে আসলে জিরা, আদা কুচি,রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ৫ মিনিট নাড়ুন।

৩। পেঁয়াজ বাদামী হয়ে আসলে এতে মুরগির মাংসগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।

৪। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন।

৫। মাংস নরম হয়ে আসলে এতে লেবুর রস, চ্যাট মশলা, ধনে পাতা কুচি, চ্যাট মশলা দিয়ে দিন।

৬। এরপর ডো দিয়ে পাতলা করে বেলে পরোটা তৈরি করে নিন [পরোটা ভাজঁটি দেখে নিন ভিডিওতে]।

৭। এখন প্যানে পরোটাটি দিয়ে তার উপর তেল এবং ডিম ছড়িয়ে দিন।

৮। পরোটা ফুলে উঠলে নামিয়ে ফেলুন।

৯। এবার পরোটার ভিতরে মুরগির মাংস, পেঁয়াজ কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, লেবুর রস দিয়ে দিন। পরোটাটা রোল করে পেঁচিয়ে নিন।

১০। ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার পরোটা চিকেন ফ্র্যাঙ্কি।

 

ফ্যাশনে হরেক রকমের রিফ্লেক্টর্স

বাইরে যা রোদ, চোখ খুলে তাকানো যাচ্ছে না। তবে এখনও তো সেই গরম পড়েনি। সবে এপ্রিল মাসের শুরু। এরই মধ্যে রোদের যা তেজ। বাইরে যাওয়ার আগে তাই যাবতীয় রোদ এড়ানোর সামগ্রী থাকা চাই। সঙ্গে মাস্ট সানগ্লাস। তবে সাদামাটা সানগ্লাসের বদলে রিফ্লেক্টর্স লেন্সযুক্ত সানগ্লাস এখন খুবই ফ্যাশনেবল। প্রচণ্ড গরমে কুল লুকস পেতে আপনিও বেছে নিতে পারেন নানা রকমের রিফ্লেক্টর্স-

ব্রিজ রিফ্লেক্টর্স : গোলাকৃতি এই ফ্রেমের সঙ্গে রিফ্লেক্টর্স লেন্সযুক্ত এই সানগ্লাস এখন খুবই জনপ্রিয়।

রাউন্ড রিফ্লেক্টর্স : গোলাকৃতি ফ্রেমের রিফ্লেক্টর্স আপনাকে দেবে ক্যাজুয়াল লুকস।

ডাবল-ফ্রেম রিফ্লেক্টর্স : সবকিছুতেই আপনি যদি একটু বেশি ফ্যাশনেবল হয়ে থাকেন, তবে এই রিফ্লেক্টর্স ব্যবহার করতে পারেন। ডাবল ফ্রেমযুক্ত রিফ্লেক্টর্স সকলের মাঝে নজর কাড়বে।

মেটাল অ্যাভিয়েটর রিফ্লেক্টর্স : মেটালের রিফ্লেক্টর্স এখন খুবই জনপ্রিয়। তার মধ্যে এটি অন্যতম।

রেট্রো রিফ্লেক্টর্স : এই গরমে ট্রাই করতে পারেন রেট্রো স্টাইল। মানানসই ড্রেসের সঙ্গে পরে নিতে পারেন রেট্রো স্টাইলের রিফ্লেক্টর্স।

আই ক্যাট রিফ্লেক্টর্স : ক্যাট আই স্টাইলের চশমার ফ্রেম কি আপনার পছন্দের? তবে বেছে নিতে পারেন ক্যাট ফ্রেম ও গোল্ড-রোজ় লেন্সের রিফ্লেক্টর্স।

ক্লাবমাস্টার রিফ্লেক্টর্স : মোস্ট ক্যাজ়ুয়াল লুকস পেতে পরতে পারেন ক্লাবমাস্টার রিফ্লেক্টর্স।

 

জীবনের উদ্দেশ্য জানুন ‘শর্টকাট’ উপায়ে

জীবনে সফল হতে চাই সবাই। আমাদের সবারই প্রয়োজন অর্থ, বিত্ত, সম্মান। কিন্তু কীভাবে? সামনে অনেক পথ। কিন্তু কোন পথটি একান্তই আমার? বিষয়টি নির্ধারণ করা কিন্তু খুব সহজ নয়। পরিবেশের প্রভাবে অনেক কিছুই আমরা করতে পারি না যেমন চাই।

আপনি হয়ত স্বপ্ন দেখেছে, চিত্রকর হবেন। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা এমন যে, বাধ্য হয়ে হঠাৎই ঢুকে গেলেন যেমন-তেমন কোন একটা কাজে। হতাশা ঘিরে ধরবে আপনাকে, বোধ হবে জীবন অন্ধকার। কিন্তু একটু আগে থেকেই যদি গুছিয়ে নিই আমরা? আমরা যদি আমাদের লক্ষ্য অনেক আগে থেকেই জানি, তাহলে কিন্তু এগিয়ে যেতে পারি অনেকটা পথ আগে থেকেই। হঠাৎ বিপর্যয় এলে মোকাবেলা করাও সহজ হয়।

আসুন জেনে নিই কীভাবে নির্ধারণ করবেন, আপনার কী চাই!

কেন লক্ষ্য নির্ধারণ জরুরী?

আগে লক্ষ্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তাটা বুঝতে হবে আপনাকে। আপনি যখন একটি গোছানো জীবন পাচ্ছেন, যেখানে আপনার বাবা-মা ইতিমধ্যেই একটি সামাজিক মর্যাদা তৈরি করেছেন সমাজে, একটি আর্থিক অবস্থান আছে আপনার পরিবারের, সেখানে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করাটা আপনার কাছে এখনই দরকারি মনে নাও হতে পারে। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে, এর কোন কিছুই আপনার না। নিজের পরিচয় নিজে গড়তেই নিজেকে তৈরি করা প্রয়োজন।

বাস্তবতার দিকে খেয়াল করুন 

সময় আপনার আছে, কিন্তু সময় চিরকাল থাকবে না। যে কোন সময় যে কোন দূর্ঘটনা বদলে দিতে পারে জীবনের স্রোত। তাই লক্ষ্য ঠিক করার আগে বাস্তবতার দিকে নজর দিন। হ্যাঁ, কঠিন চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা আপনি বেছে নিতেই পারেন। কিন্তু সেটির জন্য পর্যাপ্ত পরিশ্রম দিতে আপনি প্রস্তুত কিনা তাও ভাবুন।

আপনি কোথায় আছেন

মনে হতে পারে আপনি খুব ভাল আছেন। অথবা বিপরীত ভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছেন বলেও বোধ হতে পারে আপনার। কিন্তু বাস্তবতা হল, আপনি আমি আমরা সবাই এক শূন্য অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি। এর পর কী আছে, জানি না আমরা কেউ। এই শূন্য অনিশ্চিত অবস্থা মেনেই যাত্রা শুরু করতে হবে আমাদের। তাই লক্ষ্য হতে হবে এমন যাতে নিজেদের দাঁড় করাতে পারি নিশ্চিত অবস্থানে, নিজের পায়ের নীচে তৈরি করতে পারি শক্ত মাটি।

সখ নাকি প্যাশন?

আপনার হয়ত ছবি আঁকতে ভাল লাগে, আবার হয়ত গান গাইতেও। আপনার নানান সখের মধ্যে হয়ত ভ্রমণ একটি। আবার রান্নাতেও আপনি পারদর্শী। যখন আঁকেন ভাবেন চিত্রশিল্পী হবেন, গান গাইতে গাইতে ভাবেন হবেন গায়ক। ট্র্যাকিং এ গিয়ে আপনার মনে হয় কোন একটা ট্র্যাভেল শো এর এংকর হবেন। আবার রান্না করতে নিলে মনে হয় রেস্টুরেন্ট দেওয়াই আপনার কাজ। এর কোনটি আপনার সখ আর কোনটি প্যাশন বুঝে নিতে হবে আপনাকে। আপনি যদি ভুল বিষয়ে শ্রম দেন হয়ত একঘেয়ে লাগবে কিছুদিন পরেই। কিন্তু তখন পেশা বদলাতে চাইলে আবার শুরু করতে হবে শুরু থেকে।

আপনার শারীরিক অবস্থা কেমন?

এটি অনেক বড় একটি ব্যাপার। আপনি শারিরিকভাবে কেমন কাজে শ্রম দিতে প্রস্তুত সেটি জানা জরুরী। অনেক মাথা খাটিয়ে কাজ করে যেতে পারেন ঘন্টার পর ঘন্টা। অনেকে কিছু সময় পরই বলেন, “মাথাটা আর কাজ করছে না।” অনেকে সারা দিন হাড় ভাঙা খাটুনীর পর বাসায় ফিরে আবার কাজ করে। অনেকে আবার যেমন তেমন অফিস করেও ফিরেই গা এলিয়ে দেয় বিছানায়। আপনার শারীরিক ক্ষমতাকে জানুন। আলসেমী ভিন্ন বিষয়। কিন্তু কোন শারীরিক সমস্যা থাকলে, সীমাবদ্ধতা থাকলে সেটাকে গুরুত্ব দিন।

আপনি কতটা সাবলীল?

আপনি যদি একজন সাংবাদিক হতে চান তাহলে আপনাকে নানান রকম মানুষের সাথে মিশতে হবে। আপনি যদি ব্যবসায়ী হন, কাস্টমারের নানান মনমর্জি সহ্য করতে হবে আপনাকে। আবার আপনি যদি লেখক হন, লেখার কাজ সবাইকে এড়িয়ে করতে পারলেও সেটা প্রকাশ করা বা এসব কাজে যোগাযোগ করতে হবে অনেক মানুষের সাথেই। মোট কথা, পৃথিবীটা রূঢ়। এর সাথে সাবলীল হয়ে মিশতে হবে আপনাকে। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে সেভাবেই।

 

লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

ঘুরে আসুন বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন শহরগুলোতে

রং আমাদের কার না প্রিয়? রঙ্গীন পোশাক, রঙের উৎসব, রঙ্গীন ঋতু সবই আমাদের মনকে টানে। উচ্ছল করে তোলে, আনন্দিত করে তোলে। আমরা ভালবাসি রংকে এর বৈচিত্রের জন্য, একটা চমৎকার রংধনু দেখতে আমরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে পারি। এই যে মানুষের রং এর প্রতি এত ভালবাসা, সেই ভালবাসার প্রকাশ ঘটে তার শিল্পে, সৃষ্টিতে। রংপ্রিয় মানুষেরা তাই কোথাও কোথাও রাঙিয়ে দিয়েছেন গোটা শহরকে, কোথাও বা সারি সারি নৌকাকে, কোথাও বা পীচ ঢালা পথকে। আসুন জেনে নিই বিশ্বের সবচেয়ে রঙিন কয়েকটি শহরের কথা।
 
ইযামাল, ম্যাক্সিকো
ইযামালকে বলা হয় যাদুর শহর। তবে নানান রঙে রঙিন নয়, বরং এক রঙেই আভিজাত্যপূর্ণ শহর এটি। সূর্য রঙা হলুদে আঁকা এখানকার বাড়িগুলো। একটা উষ্ণ অনুভূতি তৈরি করে এখানকার পথঘাট, যা আলাদাভাবে আপনার মনোযোগ কাড়বে। এখানকার পাথুরে রাস্তাগুলোর পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে লাইমস্টোন চার্চ এবং সরকারি ভবন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৬ শতকের সান এন্তোনিও দি পাদুয়ার বাসিলিকা ভবনটি। এটি শহরের মধ্যমণি আর একই সাথে ইতিহাস এবং মিথলজির জন্য খ্যাত।
 
সেন্ট জোনস, নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং লাব্রাডর, কানাডা
সেন্ট জোনস নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং লাব্রাডর এর রাজধানী। এটি কানাডার সবচেয়ে পুরাতন শহর যার রয়েছে ১৪০০ বছরের ঐতিহ্যের ইতিহাস। শহরটি খুবই সুন্দর এবং ভ্রমণের জন্য চমৎকার। এখানে একটি অঞ্চলের নাম জেলিবিন রোও, যেখানে প্রত্যেক জাহাজের ক্যাপ্টেনের উপর নির্দেশনা দেওয়া আছে যে তাদের প্রত্যেকের বাড়ি আলাদা আলদা ঝলমলে রং এর হতে হবে। ফলে যেটা হয়েছে, দূর সমূদ্র থেকেই বাড়িগুলো চেনা যায় এবং একটা দারুণ রঙিন দৃশ্যের অবতারনা করে। এভাবে পুরো অঞ্চলটিই একটি রঙিন নগরীতে পরিণত হয়েছে।
রিও ডি জেনেরিও, ব্রাজিল
২০১০ সালে ব্রাজিলের সরকার রিও ডি জেনেরিও এর বস্তিগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার প্রয়াসে কিছু পরিকল্পনা হাতে নেন। ডাচ চিত্রশিল্পী হাছ এবং হান পুরো এলাকাকে তাদের ক্যানভাস হিসেবে নেন। এখন এই এলাকা রঙে রঙে রঙিন। এর স্ট্রীট আর্ট, রাঙানো দেয়াল যেন রংধনুর মত ছড়িয়ে পড়েছে শহরের বুকে। এই অঞ্চল এখন পর্যটক আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এলাকা হল ফাভেলা সান্তা মারিয়া।
রকলো, পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের একটি চমৎকার শহর রকলো। শত শত ব্রীজ, দারুণ সব রেস্তোরা, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধন এই শহর এখন প্রচুর পর্যটকের আকর্ষণ কেন্দ্র। রঙিন বাড়ির সারিগুলো এখানকার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। পুরো শহরটি প্রাচীন স্থাপত্যের আদলে নকশা করা, উজ্জ্বল রাস্তাগুলো যেন শহরকে দেয় নতুন জীবন, নতুন আলো।
বুনোস এয়ার্স, আর্জেন্টিনা
বুনোস এয়ার্স এর দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত লা বকা, যা মুক্ত বায়ু যাদুঘর হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এখানে পথে পথে ঘুরে বেড়ালে দেখতে পাবেন আরও মজার অনেক কিছু। স্থানীয় চিত্রশিল্পীদের করা ম্যুরাল এবং গ্রাফিতি আর্ট চমতকৃত করবে আপনাকে। রাইচিউলো নদীর মুখে যেখানে শ্রমিকদের ছিটমহলগুলো অবস্থিত, সেগুলো বানানো হয়েছে স্ক্রেপ ম্যাটারিয়াল দিয়ে এবং শৈল্পিকভাবে রং করা হয়েছে। শহরের রূপটাই বদলে দিয়েছে এই বাড়িগুলো। দূর থেকে মনে হয় যেন এক বক্স ক্রেয়ন দাঁড়িয়ে আছে।
ভালপারাইজো, চিলি
বন্দর নগরীটি এর ইতিহাস এবং সংস্কৃতির জন্যেও বিখ্যাত। এখানে আছে বিশাল বিস্তৃত যাদুঘর, ক্যাথেড্রাল, চার্চ এবং কলোনিয়াল দালানের সারি। উপকূলীয় এলাকায় রং বেরঙের নৌকার সারি আর পানিতে তাদের প্রতিচ্ছবি যেন শিল্পীর হাতে আঁকা কোন চিত্র কর্ম। বাড়িগুলো আর বোহেমিয়ান ম্যুরালগুলো এখানকার নাগরিকদের শিল্পবোধের পরিচয় বহন করে।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

জানুন পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু অ্যাকুয়ারিয়ামের কথা

স্থলের চেয়ে জলের বিস্ময় অনেক গুণ বেশি। বিশাল অ্যাকুয়ারিয়াম সেই সৌন্দর্যটাকেই আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। সামুদ্রিক প্রাণীদের দেখার আনন্দ উপভোগ করার আদর্শ স্থান হচ্ছে অ্যাকুয়ারিয়াম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে বিস্ময়কর অ্যাকুয়ারিয়ামগুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই চলুন।

১। সাংহাই ওশান অ্যাকুয়ারিয়াম

এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় অ্যাকুয়ারিয়াম। এই অ্যাকুয়ারিয়ামটি এক মিলিয়ন গ্যালন পানি ধারণ করে। এই অ্যাকুয়ারিয়ামটিকে ভৌগলিক অঞ্চল অনুযায়ী বিভক্ত করা হয়েছে যেমন- চীন জোন, অস্ট্রেলিয়ান জোন ইত্যাদি। এখানে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর সংগ্রহ আছে। সাংহাই ওশান অ্যাকুয়ারিয়ামে এই গ্রহের সবচেয়ে দীর্ঘ আন্ডার ওয়াটার টানেল আছে যার পরিমাণ ৫০৯ ফুট।

২। সি অ্যাকুয়ারিয়াম

সিঙ্গাপুরের দ্যা সাউথ ইস্ট এশিয়া অ্যাকুয়ারিয়াম ২০১২ সালে উদ্বোধন করা হয়। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যাকুয়ারিয়াম। এই অ্যাকুয়ারিয়ামটি ওয়ার্ল্ড সেন্টোসা কমপ্লেক্স রিসোর্ট এর একটি অংশ। ১২ মিলিয়ন গ্যালন পানির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই  অ্যাকুয়ারিয়ামটিতে ৮০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী আছে।

৩। জর্জিয়া অ্যাকুয়ারিয়াম

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও চমৎকার অ্যাকুয়ারিয়াম হচ্ছে আটলান্টার জর্জিয়া অ্যাকুয়ারিয়াম। এই অ্যাকুয়ারিয়ামটিতে ৫০০ প্রজাতির ১ লক্ষ ২০ হাজার জলজ প্রানী আছে। ২০০৫ সালে উদ্বোধন করা হয় এটি। প্রদর্শনীর জন্য ৬০ টি বিভাগ আছে এখানে যা ৫টি জোনে বিভক্ত যেমন- ওশান ভয়েজার, জর্জিয়া এক্সপ্লোরার, ট্রপিক্যাল ড্রাইভার, রিভার স্কাউট এবং কোল্ড ওয়াটার কুইস্ট। ওশান ভয়েজার জোনে ৬.৩ গ্যালন পানি ধারণ করে এবং এখানে তিমি হাঙ্গরদের বাস।

৪। মন্টেরি বে অ্যাকুয়ারিয়াম

ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরি বে অ্যাকুয়ারিয়ামটি আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যময় ও আকর্ষণীয় অ্যাকুয়ারিয়াম। এই অ্যাকুয়ারিয়ামটিতে আছে সিল, তিমি, জেলিফিশ, সারডিন, ওলফ ঈল ও হাঙ্গর। ১৯৮৪ সালে এটি উন্মুক্ত করা হয়। এতে অনেক বিপন্ন প্রাণী ও সংরক্ষিত আছে। এখানে ৬০০ প্রজাতির ৩৫ হাজার জলজ প্রাণী আছে।

৫। দুবাই মল অ্যাকুয়ারিয়াম

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শপিং মলের একটি হচ্ছে দুবাই শপিং মল। এই শপিং মলেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দুবাই মল অ্যাকুয়ারিয়ামটি। ২.৬৪ মিলিয়ন গ্যালন পানির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই অ্যাকুয়ারিয়ামে ৯০ প্রজাতির ৩৩ হাজার সামুদ্রিক প্রাণী আছে। এটি ৮.৩ মিটার উঁচু এবং ৩২.৮৮ মিটার প্রশস্ত অ্যাক্রিলিক গ্লাসের তৈরি প্যানেল এর অ্যাকুরিয়াম, যা এই ধরণের অ্যাকুয়ারিয়ামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে  বড়।

বিশ্বের আরো কিছু বিখ্যাত অ্যাকুয়ারিয়াম হচ্ছে – বার্লিনের দ্যা অ্যাকুয়াডম অ্যাকুয়ারিয়াম, ইস্তাম্বুলের টুরকুয়াজু অ্যাকুয়ারিয়াম, অস্ট্রেলিয়ার পার্থের অ্যাকুয়ারিয়াম অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, ডারবানের উশাকা মেরিন ওয়ার্ল্ড, স্পেনের ভেলেন্সিয়ার এল ওশানোগ্রাফিক অ্যাকুয়ারিয়াম ইত্যাদি।

লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন

 

পারিবারিক ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে দারুণ ৫টি জায়গা

বন্ধুরা মিলে ঝটপট পরিকল্পনা করা বেড়িয়ে আসা যায় যেকোন জায়গা থেকে। কিন্তু পরিবার নিয়ে বেড়ানো এক বিশাল বিপত্তি। কোথায় যাবেন, কিভাবে থাকবেন, নিরাপত্তা কেমন, সবার পছন্দ মিলবে কিনা এমন নানান সমস্যা তখন সামনে চলে আসে। পারিবারিক ট্যুরগুলোতে মূল মনোযোগ থাকে বাচ্চাদের দিকে। তাদের স্বাচ্ছন্দ্য, আনন্দে যেন কোন কমতি না থাকে সেটাই থাকে সবার মূল লক্ষ্য। শিশুদের নিয়ে চমৎকার উপভোগ্য ট্যুরে যেতে পারেন এই জায়গাগুলোয়-
লিগোল্যান্ড
লিগো মানেই সৃষ্টিশীলতা। লিগোর রাজ্যে শিশুদের নিয়ে হারিয়ে যাওয়ার চেয়ে দারুণ কি হতে পারে? সেই আয়োজন নিয়েই লিগোল্যান্ড। এটি পরিবারের সাথে সময় উপভোগ করার জন্য সবচেয়ে চমৎকার বিনোদন পার্ক। এ যেন এক যাদুর পৃথিবী। সব বয়সের বাচ্চাদের জন্য নানান আয়োজন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পার্কটি। একদিনে এর সমস্ত আনন্দ উপভোগ করা অসম্ভব। এখানে আলাদা আলাদা ১০টি জোন আছে। প্রত্যেকটাই বাচ্চাদের জন্য সাজানো, তবে পরিবারের অন্য সদস্যরাও হতাশ হবেন না নিশ্চিত। মিনিল্যান্ড এই পার্কের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সৃষ্টির সাথে দেখা হবে আপনার যেগুলো তৈরি করা হয়েছে ২০ মিলিয়ন লিগোর ব্লক ব্যবহার করে। এখানে ৭ থেকে ১৩ বছরের বাচ্চারা অভিভাবকের সাথে ঘুরে বেড়ায়, একদিনে তারা ড্রাইভ করাও শিখতে পারে! ড্রাইভিং ভাল হলে তাদেরকে পার্কের পক্ষ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়, যা শুধু পার্কের ভেতরে গ্রহণযোগ্য। আরও অনেক মজার আয়োজন আছে যা বাচ্চাদের জন্য শিক্ষণীয় তো বটেই আবার মজারও।
ডিজনিল্যান্ড পার্ক, প্যারিস
ডিজনিল্যান্ডে প্রবেশের সাথে সাথেই নানান রকম বিস্ময় স্বাগত জানাবে আপনাকে। তৈরি হন। আপনার সাথে দেখা হবে জলদস্যুদের, দেখা হবে পরীদের, কার্টুনের মজার মজার সব চরিত্রদের। ডিজনিল্যান্ডে আছে কল্পনার জগতের সব চরিত্রদের ভিড় যা এতদিন দেখেছি শুধু টিভির পর্দায়। এই পার্কে আছে দুইটি থিম পার্ক, একটি শপিং সেন্টার, একটি ডাইনিং ডিসট্রিক্ট এবং বিনোদনকেন্দ্র। শুধু যে স্বপ্নের চরিত্রগুলোর দেখা মিলবে তাই নয়, মজার মজার রোমাঞ্চকর রাইডের ব্যবস্থাও আছে।
একুয়া ফ্যান্টাসি
তুরষ্কের বিখ্যাত ওয়াটার পার্ক এটি। প্রতিদিন ৫০০০ মানুষ ভিড় জমায় এই বিনোদন পার্কে। বাচ্চাদের জন্য স্লাইড, ওয়েভ পুলসহ নানান ব্যবস্থা তো আছেই, আপনার জন্যও আছে মজার মজার আয়োজন। এটি তৈরি করা হয়েছে মধ্যযুগীয় নির্মাণশৈলীর আদলে, এর ক্যাসল, সিঁড়ি, টাওয়ার যেকোন জায়গা থেকে লাফিয়ে পড়তে পারেন সোজা পানিতে। এখানে একটি ক্লাব আছে যেখানে তরুণরা শিখতে পারে নতুন অনেক কিছু। বাচ্চাদের খেলাগুলো তৈরি গল্প, কল্পনা আর বাস্তবতার অনন্য মিশেলে। আবার তাদের জন্য আলাদা ক্লাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে তারা, প্রকাশ করতে পারে তাদের মেধা, সৃজনশীলতা।
কাভালিনো বিয়ানকো
এটি একটি বিলাসবহুল ৪ তারকা হোটেল। তবে পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য এটি যেন স্বর্গ। এটি ১২৫০ মিটার এলাকা জুড়ে করা, বিভিন্ন আয়োজনে ভরপুর একটি হোটেল। শুধু এখানেই একটি ট্রিপ কাটিয়ে যেতে পারেন নিশ্চিন্তে। সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হল, শিশুরা এখানেই এতই নিরাপদ যে, আপনার সারাক্ষণ তাদের সাথে সাথে থাকার দরকার নেই। তাদের দেখাশোনা করার লোকই আছে আলাদা। মজার মজার সব খেলায় তাদের মাতিয়ে রাখে এই গাইডরা। আপনিও পেয়ে যাবেন অবসর। বিউটি স্যালনে একটা চমৎকার স্পা অথবা শপিং মলে সেরে ফেলতে পারেন কেনাকাটা এই সুযোগে।
হলিডে ভিলেজ রহডস
গ্রিসের দারুণ একটি রিসোর্ট হল এই হলিডে ভিলেজ। কলম্বিয়ার উপত্যকা ধরে এগিয়ে বিচ থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরত্বে এর অবস্থান। সব বয়সের বাচ্চাদের জন্য চমৎকার সব আয়োজন আছে এখানে। আলাদা করে করা হয়েছে কিডস ক্লাব, টিন ক্লাব এবং সাঁতার একাডেমী। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এমন যে বড়রাও হতাশ হবেন না। আপনার শিশুকে রোমাঞ্চকর আনন্দের অনুভূতি দিতে নিশ্চিন্তে চলে যেতে পারেন এখানে। শত শত মনোমুগ্ধকর আয়োজনে সার্থক হবে বাৎসরিক ছুটি। ভলিবল খেলা থেকে শুরু করে নানান রকম ইন্ডোর আউটডোর খেলা, সিনেমা দেখা, রাইডে চড়া সবই হবে এখানে।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে যে ৬টি মশলা

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত স্ট্রেস করোনারি হৃদরোগের (সিএইচডি) ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। হার্টের রোগীদের অনেক খাবারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আবার কিছু খাবার রয়েছে যা হার্টের রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। খাবারের পাশাপাশি কিছু মশলাও আছে যা হার্টের জন্য ভাল। এমনি কিছু উপকারী মশলার নাম জেনে নেওয়া যাক।

১। মৌরি

হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে মৌরির ভূমিকা রয়েছে। প্রতিদিনের রান্নায় রুটি, পরোটা, তরকারিতে মৌরি যোগ করুন। এটি স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখবে।

২। দারুচিনি

প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্য রক্ষায় দারুচিনি ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি কোলেস্টেরল, ব্লাড সুগার, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। প্রতিদিনের খাবারে এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে রান্না করুন।

৩। ধনিয়া

গবেষণায় দেখা গেছে ধনিয়া কোলেস্টেরল হ্রাস করে, রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে থাকে। এর সাথে এটি শরীরে ভাল কোলেস্টেরল তৈরি করে থাকে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে রান্নায় এই মশলাটি বেশি ব্যবহার হতে দেখা যায়।

৪। জিরা

জিরা খাবার সুগন্ধ করার পাশপাশি হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

৫। আদা

আদায় থাকা এনজাইম রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। এটি রক্তজমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাজা আদা কুচিতে জিঞ্জারল রয়েছে যা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে।

৬। হলুদ

এটি ধমনীতে কলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়া ভিটামিন বি৬ রক্তের অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখে। অতিরিক্ত অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তকোষের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে যা সিএইচডির ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

এছাড়া মেথি, আমচূর পাউডার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

লিখেছেন

নিগার আলম

 

নামাজের ১১টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

নামাজ হলো ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কিন্তু অনেকেই জানেন না নামাজ সাস্থের জন্য অনেক উপকারী। নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বেশকিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাড়াচাড়া হয় যা এক প্রকার ব্যায়াম। এই ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেই নামাজ পড়ার ১১টি স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:
১. নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বাড়ে।
২. নামাজের যখন আমরা দাঁড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বাড়ে।
৩. নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
৪. নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারণ পরিবর্তন আসে।
৫. নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
৬. নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবাণু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭. নামাজে ওজুর সময় মুখমণ্ডল তিন বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮. ওজুর সময় মুখমণ্ডল যেভাবে পরিষ্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।
৯. কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ থেকে সে বিরত থাকে।
১০. নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১. কেবলমাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টিশক্তি বজায় থাকে।