banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

ফ্রাইপ্যানেই তৈরি করে ফেলুন মজাদার গ্রিলড ফিশ

গ্রিলড চিকেন নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। বাচ্চারা এই গ্রিলড চিকেন বেশ পছন্দ করে। কিন্তু বাচ্চাদের মাছ খাওয়া নিয়ে থাকে অনেক অনীহা। এই মাছ দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন গ্রিলড ফ্রিশ। গ্রিলের স্বাদ এখন পেয়ে যাবেন মাছে। মাছ দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার গ্রিলড ফিশ। এই মজাদার খাবারটি তৈরি করে নিতে পারেন ফ্রাইপ্যানেই।

উপকরণ:

  • ১ টেবিল চামচ লাল মরিচ পেস্ট
  • ৪টি রুপচাঁদা মাছ
  • লবণ স্বাদমত
  • গোলমরিচ গুঁড়ো
  • ১/২ লেবুর রস
  • ১ চা চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়ো
  • ১ টেবিল চামচ রসুন কুচি
  • ১ চা চামচ সয়াসস
  • ৩ টেবিল চামচ তেল

প্রণালী:

১। রুপচাঁদা মাছ মাঝখান থেকে অর্ধেক করে নিন। এর সাথে লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, লেবুর রস মিশিয়ে রাখুন। এটি ৫-১০ মিনিট মেরিনেট করতে দিন।

২। এরসাথে লাল মরিচ পেস্ট, শুকনো মরিচ গুঁড়ো, রসুনের পেস্ট, সয়াসস লবণ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। এবার এতে ১ টেবিল চামচ তেল দিয়ে দিন।

৩। সবগুলো উপাদান মিশিয়ে ফ্রিজে ৩০-৪০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।

৪। একটি নন-স্টিক প্যানে তেল দিয়ে দিন। এতে মেরিনেট করা মাছ গুলো দিয়ে দিন।

৫। মাছের একপাশ হয়ে গেলে অপরপাশ পরিবর্তন করে দিন।

৬। পেঁয়াজের রিঙ, ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার স্পাইসি গ্রিলড ফিশ।

ইউটিউব চ্যানেল:Sanjeev Kapoor Khazana

 

ক্যাটস আই-এর নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন জোহাদ!

ফ্যাশন শব্দটির সঙ্গে তারুণ্যের উদ্দামতা জড়িয়ে রয়েছে সবসময়। ফ্যাশনের লাগাম মুঠিতে ধরে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নিয়ত ছুটে চলছে এবং নিত্য নতুন ফ্যাশনকে পরিচিত করছে তাদের অন্যতম ‘ক্যাটস আই’। যাত্রা শুরু হয়েছিল আশি দশকের প্রথম লগ্নে, দিনে দিনে সেই যাত্রা আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের একটি অন্যতম ফ্যাশন আইকন হিসাবে। সাঈদ সিদ্দিকী রুমী ও আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা দম্পতিও নেতৃত্বে  ক্যাটস আই দীর্ঘ ৩৬ বছরে এসেও দেশিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড হিসাবে তরুণ-তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। অলটারনেটিভ রক সংগীতের জনপ্রিয় গায়ক ও গিটারিস্ট  জোহাদ রেজা চৌধুরী, এবার তার জনপ্রিয়তা এবং প্রতিভাকে সঙ্গী করে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে যাচ্ছেন ক্যাটস আই-এর।

পাশ্চাত্যের সাথে দেশি ট্রেন্ড এবং রুচির সমন্বয় করে ফরমাল ও ক্যাজুয়াল ফ্যাশনে সবসময় ফোকাস ইন ক্যাটস আই। ক্যাটস আইয়ে তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি ক্যাটস আই কিডজ নামে রয়েছে আরো একটি লেবেল। তবে ইয়াং এট হার্ট, ক্যাটস আই-এর জনপ্রিয়তা সামাজিক মাধ্যম, ইউটিউব এবং অন্তর্জালসহ গোটা বাংলাদেশের ফ্যাশনপ্রেমী তরুণদের ফ্যাশনে আরো আলো ছড়াবে জোহাদ এর গ্রহণযোগ্য গায়কি স্মার্ট ও ট্রেন্ড উপস্থাপনার মাধ্যমে। ক্যাটস আই-এর  চেয়ারম্যান সাঈদ সিদ্দিকী রুমী জানান, ক্যাটস আই তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাই সবসময় তরুণ প্রজন্মের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে এবার ইয়াং ক্রেজ  ব্র্যান্ড এম্ব্যাসেডর ব্র্যান্ডিং-এর জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে ক্যাটস আই এর মিডিয়া প্রচারণা ও ফটোশ্যুটগুলোর প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। নেমেসিস ব্র্যান্ড-এর ভোকাল জোহাদ রেজা চৌধুরী জানান, গানের মানুষ আমি। ৯৯ সালে যে গানের জন্য গড়ে তোলা নেমেসিস তাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। বনেদি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ক্যাটস আই-এর সাথে আমার যাত্রা নতুন ভাবে আমার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করবে। নিত্যনতুন অনুপ্রেরণায় ক্যাটস আই- সাথে ভালো কিছুর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবো বলে আশা করি। ক্যাটস আই-এর ব্র্যান্ড এম্ব্যাসেডর চুক্তি স্বাক্ষর ও নাম ঘোষণার অনুষ্ঠানের নতুন ব্র্যান্ড এম্ব্যাসেডর-এর সাথে ক্যাটস আই-এর ৫ পরিচালক এবং চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ক্যাটস আই ২০০৫ সালে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেছে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী হাবীব ওয়াহিদ। এরপর ক্যাটস আই ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও কক্সবাজার-এ ক্যাটস আই এর ২৫টি স্টোর রয়েছে। এছাড়া ক্যাটস আই-এর কো ব্র্যান্ড মুনসুন রেইন ও আনলিমিটেড নামে দুটি লাইফস্টাইল ফ্যাশন ব্র্যান্ড রয়েছে।

 

সন্তান-সন্তুতির ওপর বাবা-মায়ের অধিকার কি?

বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানদের সবসময় কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। জীবিত অবস্থায় তাদের নির্দেশ মান্য করা, সর্বোত্তম সেবাযত্ন করা এবং তাদের সন্তুষ্ট রাখা প্রতিটি সন্তানের দায়িত্ব। এমনকি সন্তানের ওপর বাবা-মায়ের এ অধিকার তাদের মৃত্যুর পরও শেষ হয়ে যায় না। পরলোকগত বাবা-মার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করা, তাদের ওয়াদা পূরণ করা, তাদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রতিটি সন্তানের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। আবু উসাইদ [রা.] থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, আমরা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে উপস্থিত ছিলাম। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল, বাবা-মার মৃত্যুর পর তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার এমন কোনো উপায় আছে কী, যা আমি অনুসরণ করতে পারি? তিনি বলেন, হ্যাঁ, চারটি উপায় আছে : [১] তাদের জন্য দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা, [২] তাদের কৃত ওয়াদা পূরণ করা, [৩] তাদের বন্ধু-বান্ধব ও অন্তরঙ্গ ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শন করা এবং [৪] তাদের মাধ্যমে তোমার সঙ্গে আত্মীয়তার যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা অক্ষুণœ রাখা [আদাবুল মুফরাদ]।
বাবা-মা সন্তানের সন্তুষ্টির জন্য, তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সাধ্যের সবটুকুই করার চেষ্টা করেন। সন্তানদেরও উচিত বাবা-মাকে সন্তুষ্ট রাখা। তাদের মুখে হাসি ফোটানো। রাসুল [সা.] আমাদের তেমন নির্দেশই দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর [রা.] থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার বাবা-মাকে ক্রন্দনরত অবস্থায় রেখে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে হিজরতের উদ্দেশে বাইআত হওয়ার জন্য উপস্থিত হলো। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : বাবা-মার কাছে ফিরে যাও এবং তাদের যেমনিভাবে কাঁদিয়ে এসেছ, তেমনিভাবে তাদের মুখে হাসি ফোটাও [আদাবুল মুফরাদ]। উপরোক্ত হাদিসটির দ্বারা বোঝানো হয়েছে বাবা-মা যদি দুর্বল, বৃদ্ধ ও সন্তানের সাহায্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেন, তবে এ অবস্থায় তাদের সেবা-শুশ্রƒষা করা হিজরতের মতো উত্তম আমলের চেয়েও অধিক উত্তম।ইবনে আব্বাস [রা.] থেকে বর্ণিত : সাদ ইবনে উবাদা [রা.] তার মায়ের কৃত মানত সম্পর্কে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন, যা তার মা পূর্ণ করার আগেই মারা যান। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মায়ের মানত পূর্ণ করার জন্য তাকে নির্দেশ দিলেন [বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে]। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বাবা-মার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার, তাদের সেবা করার, তাদের নির্দেশ মেনে চলার ও সন্তুষ্টি বিধানের তওফিক দিন। আমিন।

মাওলানা মিরাজ রহমান

 

‘নারীদের জন্য বেশি সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে’

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘নারীদের জন্য আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের অগ্রগতির পথকে সুগম করতে হবে। এতে নারী উন্নয়নের পথ সুগম ও জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব হবে।’
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নারী পুলিশ এ্যাওয়ার্ড-২০১৬ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এই কথা বলেন।
স্পিকার নারী ও পুরুষকে এক সঙ্গে নতুন প্রত্যয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘যে সাহসিকতা, দৃঢ়তা এবং সামাজিক বাধা অতিক্রম করে নারীরা পুলিশের পেশাকে গ্রহণ করেছে তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এই কাজে নিজেদের দৃঢ়তার পাশাপাশি তাদের পুরুষ সহকর্মীদের সহযোগিতা পাচ্ছে। ফলে তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে সহজভাবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশে বিভিন্ন পেশায় নারীরা সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তারা দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অবদান রাখছে। নারীদের দৃশ্যমান উপস্থিতি সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
নারীরা কৃষিকাজ, সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, আনসার, ব্যাংক, বীমা, সিভিল সার্ভিস, সাংবাদিকতা ও সাংবিধানিক বিভিন্ন পদসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে বলে তিনি তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৩২ নারী পুলিশ সদস্য ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতিকে ‘উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে।

 

চাকরীতে বিতৃষ্ণা? ৫ টি প্রশ্নে বুঝে নিন কী করবেন

জীবিকা, সাচ্ছন্দ্য আর স্বনির্ভরতার প্রয়োজনে তরুণেরা যুক্ত হন বিভিন্ন রকমের পেশায়। দেখা যায়, কেউ কেউ সারাদিনই কাজ করছেন। কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না। প্রিয়জনের মেসেজের উত্তর দেওয়া, ফোন করা এমনকি ফোন ধরার সময় পর্যন্ত পাচ্ছেন না। সবাই হয়ত তাকে অসামাজিক বলছে। আবার চাকরিক্ষেত্রেও কাজের মূল্যায়ণ পাচ্ছেন না যেমন চাইছেন। এতে কাজের চাপের সাথে যোগ হয় মানসিক চাপ।
এরকম পরিস্তিতিতে আমরা প্রচন্ড রেগে যাই আমাদের চাকরীর উপর। হতাশায় ভুগতে শুরু করি। প্রশ্ন করতে থাকি নিজের যোগ্যতাকে। বিশিষ্ট লেখক স্টিভ আলব্রেক্ট ডিভিএ চাকরিক্ষেত্রে কাজের প্রতি ক্ষোভকে বিশ্লেষণ করেছেন বিভিন্নভাবে। তার লেখা বই এর মধ্যে আছে, Defusing Violence in the Workplace, Fear and Violence on the Job, and Tactical Perfection for Street Cops ইত্যাদি। তার মতে, আপনার “জব বার্নাউট” কোন মাত্রায় আছে বুঝতে নিজেকে করুন এই ৬ টি প্রশ্ন। মাত্রা বুঝে নিজেকে সেখান থেকে বের করে আনতে পারবেন আপনি নিজেই।
 
“কাজের কোন দিকটি আমার প্রিয়?”
আপনার চাকরির কোন দিকটি আপনাকে আনন্দ দেয়? কেমন লাগে কাজের পরিবেশ? আপনার পরিশ্রমের স্বীকৃতি কি আপনি পান? সঠিক মূল্যায়ণ হয় যোগ্যতার? কাজের কোন দিকটি আপনার উৎসাহ বাড়ায়?
এসব প্রশ্নের উত্তরে যাদের জবাব ইতিবাচক হয় তারা তাদের চাকরিটি অনেক উপভোগ করছেন বোঝা যায়। তারা অনুভব করেন, তাদের চাকরিতে তাদের সঠিক বেতন এবং যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়। এভাবে তারা নিজেরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের একটি অংশ ভাবতে শুরু করেন। এভাবে জীবনের প্রতিও সন্তুষ্ট থাকেন তারা।
“কাজের কোন দিকটি আপনার অপ্রিয়?”
আপনার অপছন্দগুলো কী কী? কাজের পরিবেশ? যে কাজ গুলো আপনাকে করতে হয়? চাপ বেশী? বসকে অপছন্দ নাকি সহকর্মীদের? আপনার অপছন্দের লিস্ট যত বড় হবে আপনি তত আপনি চাকরি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করবেন। আপনার মনে হবে, আপনাকে কম বেতন দেওয়া হয়, আপনার মূল্যায়ণ হয় না ঠিক মত। এভাবে একটি ভাল চাকরিও অসহ্য হয়ে যেতে পারে। ভালদিকগুলো খুঁজে বের করুন। অথবা চাকরি খুজুন, পেলে ছেড়ে দিন।
“আমার সহকর্মীদের কোন কাজগুলো আমার কাজকে আরও সহজ করে?”
পুরোনো একটি কথা আছে, “আপনি আসলে আপনার চাকরি ছাড়েন না, আপনার বসকে ছাড়েন।” একজন ভাল, সহনশীল, প্রেরণাদায়ক নেতা আপনাকে যেমন অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, তেমনি বস যদি বদরাগী হয় সেক্ষত্রে সহজ কাজটিও হতে পারে যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু আপনার এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই তা কিন্তু নেই। ঝটপট কাজ শেষ করে অবাক করে দিন বসকে। তাকে সময়ই দেবেন না আপনাকে পাল্টা প্রশ্ন করার। মুষড়ে না পড়ে এটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। সহকর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করুন। একসাথে খেতে বসা, কাজের ফাকে টুকটাক খোঁজ খবর আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই সেটা ব্যাক্তিগত পর্যায়ে না গড়ানোই ভাল।
“সহকর্মীরা কি কর্মপরিবেশ কে জটিল করে তুলছে?”
সহকর্মীদের সাথে ঝগড়া, ক্লেশ আপনার কাজ করার আগ্রহকে নষ্ট করে দিতে পারে। হিংসা, নিজে উপরে উঠতে অপরকে ছোট করা এসব কাজের পাশাপাশিও সেক্সুয়াল এবিউজের ঘটনাও ঘটতে পারে। নারী কর্মীরা এসবের শিকার হন প্রায়ই। অনেক প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ করেও কোন ফল হয় না। এসব ক্ষেত্রে জব বার্ণ আউট স্বাভাবিক। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। কোন সমস্যা আপনার অবহেলার কারণেই তৈরি হয়েছে কিনা খেয়াল করুন।
“বস কি আমাকে সাহায্য করে?”
আপনার বস আপনাকে সাহায্য করলে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাওয়ার কথা। বসের সাহায্য বলতে বোঝানো হচ্ছে, তার সহজ মানসিকতা। তিনি যদি আপনার সব কাজের ভুলকে বড় করে দেখেন, তাহলে আপনার কাজ করার পরিবেশ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু পাশাপাশি ভাবুন, আপনার কাজের চ্যালেঞ্জ গুলো কী কী? সেগুলো আপনি কতটা পূরণ করছেন? বসের হয়ত আপনার প্রতি প্রত্যাশাও বেশী।
প্রশ্নগুলোর উত্তর আশা করি চাকরীর প্রতি বিতৃষ্ণার কারণ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে আপনাকে। এরপর নিজের এবং প্রতিষ্ঠানের উভয়ের সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করুন সময় নিয়ে। লিখে রাখুন। নতুন চাকরি খোঁজার সময় এবার আপনি জানবেন আপনার কী কী চাই, নিজের উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য, যোগ্যতাগুলোও বুঝতে পারবেন। তৈরি করতে পারবেন একটি চমৎকার সিভি, যা এক কথায় তুলে ধরে আপনাকে।
লিখেছেন
আফসানা সুমী

 

ডায়াবেটিসের জটিলতা থেকে মুক্ত থাকার উপায়

স্নায়ু হচ্ছে শরীরের বার্তাবাহক। হাতের আঙ্গুল থেকে শুরু করে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত স্নায়ুই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, সামান্য হাঁচি দেয়া থেকে শুরু করে হৃদস্পন্দন পর্যন্ত। কিন্তু কখনও কখনও ডায়াবেটিস এই জটিল নেটওয়ার্ককে  ক্ষতিগ্রস্থ করে। গবেষকদের মতে এটি তখনই হয় যখন মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকোজ রক্তনালীর দেয়ালকে ধ্বংস করে দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ৬০-৭০% এর নার্ভ ড্যামেজের সমস্যাটি হয়ে থাকে। একে নিউরোপ্যাথি বলে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিউরোপ্যাথি ও ডায়াবেটিসের অন্য জটিলতা কমানো সম্ভব গ্লুকোজ এর মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রেখে। ১৯৯৩ সালের এক গবেষণায় জানা যায় যে, রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ডায়াবেটিস রোগীদের নিউরোপ্যাথি হওয়ার ঝুঁকি ৬০% পর্যন্ত কমানো যায়। রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে জটিলতা কমানোর কয়েকটি উপায় জেনে নেই আসুন।

১। স্বাস্থ্যকর খাবার খান

আপনার টাইপ ১ অথবা টাইপ ২ যে ধরনেরই ডায়াবেটিস থাকুক না কেন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। সতর্কতার সাথে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কার্বোহাইড্রেট ব্লাড সুগারের উপর নাটকীয় প্রভাব ফেলতে পারে। একটি আদর্শ খাদ্য পরিকল্পনায় বিভিন্ন ধরণের রঙ্গিন সবজি ও ফল থাকে। সেইসাথে চর্বিহীন মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম ও শস্য অন্তর্ভুক্ত হয়।

২। ফিট থাকুন

স্বাস্থ্যকর খাবার ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। এর ফলে রক্তের সুগার লেভেল ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এবং স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স যেমন- আপেল বা কলা রাখুন সাথে।

৩। চিকিৎসা ব্যবস্থা মেনে চলুন

আপনার চিকিৎসা পরিকল্পনা মেনে চলুন ও চিকিৎসক নির্দেশিত ঔষধগুলো সেবন করুন বা ইনসুলিন ইনজেকশন নিন। ইনসুলিন ইনজেকশন কখন ও কীভাবে নেবেন তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন।

৪। গ্লুকোজের মাত্রা চেক করুন

নিয়মিত গ্লুকোজের মাত্রা চেক করুন। গ্লুকোজের মাত্রা জানা থাকলে আপনার প্রাত্যহিক যত্নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সহজ হবে।

৫। বছরে দুইবার A1c  টেস্ট করান

A1c  টেস্টের মাধ্যমে তিন মাসের অধিক সময়ের রক্তের গ্লুকোজ স্তরের মাত্রার গড় নির্ণয় ও সঠিক স্ন্যাপশট পাওয়া যায়। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে এবং রক্তের গ্লুকোজ স্তরের মাত্রা যদি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই থাকে তাহলে বছরে দুইবার A1c  টেস্ট করান উচিৎ। আর যদি ঔষধ পরিবর্তন করা হয় বা রক্তের গ্লুকোজ স্তরের মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে প্রায়ই এই পরীক্ষাটি করতে হবে।

গবেষকেরা নিরন্তর চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধের নিমিত্তে ঔষধের উন্নতি সাধনের জন্য। সেই পর্যন্ত রক্তের গ্লুকোজ স্তরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখেই স্নায়ুর ক্ষতি রোধ করতে হবে।

লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন

 

তাজমহলের অজানা কিছু তথ্য

আমরা সবাই জানি তাজমহল বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি। মোঘল  সম্রাট শাহজাহান তার তৃতীয় স্ত্রী মমতাজ মহলের স্মৃতি রক্ষার্থে তাজমহল তৈরি করিয়েছিলেন। ১৬৩১ সালে মমতাজ মহল ১৪তম সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। এটি ভারতের আগ্রায় অবস্থিত। এই তথ্যগুলো বেশিরভাগ মানুষই জানে। তাজমহল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেই আসুন।

১। দিনের বিভিন্ন সময়ে তাজমহলের বিভিন্ন রঙ দেখা যায়। তাজমহল খুব ভোরে গোলাপী, দিনে সাদা ও চাঁদের আলোয় সোনালী রঙের দেখায়। তাজমহলের সাদা মার্বেল ও প্রতিফলিত টাইলস এর রঙের পরিবর্তে সাহায্য করে।

২। তাজমহলের পিলারগুলো বাহিরের দিকে হেলানো। ভূমিকম্প হলে এগুলো যেনো সমাধির উপরে না পরে এজন্যই এভাবে তৈরি করা হয়েছে।

৩। এই অনন্য স্থাপনাটির স্থপতি ছিলেন আহমেদ লাহোরি। তাজমহল নির্মাণের জন্য  তিনি ২২ হাজার মানুষ নিযুক্ত করেন, যারা ছিলেন শ্রমিক, স্টোনকাটার, চিত্রশিল্পী, সূচিকর্মশিল্পী ও ক্যালিগ্রাফার। তাজমহলের নির্মাণ সামগ্রী বহনের জন্য ১০০০ হাতি  ব্যবহার করা হয়েছিলো।

৪। স্থাপত্যকলার এই বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ কাজটি করার জন্য সম্রাট রাজস্থান, আফগানিস্থান, তিব্বত ও চীন থেকে মার্বেল পাথর আনিয়েছিলেন। এছাড়াও ২৮  ধরণের মূল্যবান ও আধামূল্যবান পাথর সাদা মার্বেলের উপর বসানো হয়েছিলো। যার মধ্যে আকর্ষণীয় নীলকান্তমণি ও ছিলো।

৫। তাজমহলের সব কিছুই প্রতিসম শুধুমাত্র একটি জিনিষ ছাড়া। আর সেটি হচ্ছে এর ভেতরের দুটি সমাধি। কারণ পুরুষের সমাধি মেয়েদের সমাধির চেয়ে বড় হয়।

৬। তাজমহলের মূল্য ৩২ মিলিয়ন রুপি। যার বর্তমান মূল্য ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

৭। তাজমহলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিলো ১৬৩২ সালে এবং সম্পন্ন হয়েছিলো ১৬৫৩ সালে। এটি তৈরি করতে ২২০০০ শ্রমিকের ২২ বছর সময় লেগেছিলো।

৮। তাজমহল সম্পর্কে একটি প্রচলিত মিথ হচ্ছে- নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রতিটা শ্রমিকের হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দেন সম্রাট শাহজাহান। যাতে কেউ পুনরায় তাজমহল তৈরি করতে না পারে। তবে এটি সত্য নয়। আরেকটি মিথ হচ্ছে- তাজমহলের মতোই আরেকটি সমাধি এর বিপরীত পাশে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান কালো মার্বেল দিয়ে। কিন্তু ক্ষমতাচুত্য হওয়ায় সেটি আর সম্ভব হয়নি। কিন্তু এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৯। মোঘল সম্রাটের সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও তাজমহলের স্থাপত্যকলা ছিলো বিশ্বব্যপী অনুপ্রাণিত। এটি পারস্য, মধ্য এশিয়া ও ইসলামী স্থাপত্যের সমন্বয় করেছিলো।

১০। তাজমহলের ভেতর ও বাহিরের ক্যালিগ্রাফির চমৎকার কাজ আছে। মমতাজ মহলের সমাধি ক্ষেত্রেও তাঁর পরিচিতি ও প্রশংসার শিলালিপি দেখা যায়। সমাধিক্ষেত্রের একপাশে আল্লাহর ৯৯ নাম ক্যালিগ্রাফিক শিলালিপিতে অঙ্কিত আছে।

১১। তাজমহলের উচ্চতা ১৭১ মিটার বা ৫৬১ ফুট দীর্ঘ যা কুতুবমিনারের চেয়েও বড়।

সম্রাজ্ঞী মমতাজ মহলের স্মৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা জানাতেই তাজমহল তৈরি করেছিলেন সম্রাট শাহজাহান। বর্তমানে তাজমহল বাগান, গেস্টহাউজ ও মসজিদ দিয়ে ঘেরা ১৭ হেক্টর জায়গা নিয়ে গঠিত। সম্রাট শাহজাহান যমুনা নদীতে বসে তাঁর এই স্বপ্নের সমাধীটিকে দেখতেন। বর্তমানে নদীটি শুষ্ক হয়ে গেছে।

লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন

 

নবিজির [সা.] প্রিয় পোশাক কি ছিলো ?

মহানবি [সা.] অধিকাংশ সময়ে এ ধরনের পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। [শামায়েলে তিরমিজি-২৮] যা অনেকাংশেই আমাদের সমাজে প্রচলিত পোশাক পায়জামা-পাঞ্জাবির মতো। বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে আমরাও সার্বক্ষণিক এ ধরনের পোশাক পরিধান করতে পারি।

নবিজির [সা.] প্রতি ভালোবাসা ঈমানের অপরিহার্য অংশ। পরিপূর্ণ মুমিন হতে চাইলে তাঁকে [সা.] পিতামাতা সন্তান-সন্তুতি এবং সব মানুষ থেকে অধিক ভালোবাসতে হবে। ভালোবাসার অনেক দাবি আছে। তন্মধ্যে অন্যতম একটি দাবি হলো, তিনি যা ভালোবাসতেন আমরাও তা ভালোবাসবো। তিনি যা পছন্দ করতেন আমরাও তা পছন্দ করবো। সেই তো প্রকৃত আশেকে রাসুল যে তার মাহবুব ও প্রেমাস্পদ পেয়ারা হাবীবের ভালোবাসা ও প্রিয়-অপ্রিয়কে নিজের প্রিয়-অপ্রিয় হিসেবে গ্রহণ করতে পেরেছে। এ আলোচনায় নবিজির [সা.] প্রিয় পোশাক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

কামিস ছিল নবিজির [সা.] প্রিয় পোশাক। পোশাক পরিধান করা কোনো ক্ষেত্রে ফরজ, কখনো হারাম আবার কোনো কোনো সময়ে মুস্তাহাব। ফরজ পোশাক হলো এতটুকু, যা দিয়ে সতর ঢাকা যায়। হারাম হলো, পুরুষের জন্যে পায়ের গোড়ালির নীচে পোশাক পরিধান করা। আর দুই ঈদে উত্তম পোশাক পরিধান করা মুস্তাহাব। সকলের জন্য পোশাকের একটি মার্জিত রূপ ও রুচি থাকা চাই। দেশের জাতিভেদের তারতম্য থাকলেও পোশাকের মাঝে একটা শালীনতা থাকা দরকার। যে ধরনের পোশাক পরলে মনে কুপ্রবৃত্তি জন্মে না, তেমন পোশাকই আমাদের পরিধান করা উচিত।

তবে এ কথাও সত্য যে, ইসলামের দৃষ্টিতে বিশেষ কোনো পোশাক নেই। এর ওপর কোনো বিধি-নিষেধও নবি- পয়গম্বরগণ দিয়ে যাননি। আবহাওয়ার সঙ্গে মিল রেখে শরীরকে সুস্থ রাখবার জন্য যে কোনো পোশাকই ব্যবহার করা চলে। এর প্রমাণ আমরা পাই হজরত আব্বাস (রা.) এবং হজরত ওমরের (রা.) বাণী হতে- ‘যা ইচ্ছা আহার কর, পান কর ও পরিধান কর, যে পর্যন্ত অমিতব্যয়িতা ও অহঙ্কারের সাথে মিশ্রিত না হয়।’ এ প্রসঙ্গে মহানবি [সা.] বলেছেন, ‘গোড়ালির নিচে পায়ের যে অংশে কাপড় ঝোলে তা দোজখে যাবে।’

উম্মে সালমা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল [সা.] পোশাক হিসেবে সর্বাধিক পছন্দ করতেন ‘কামিস’। [ইবনে মাজাহ, হাদিস-৪০২৭] কামীসের বিবরণ সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের ভিত্তিতে জানা যায়, এই পোশাকটি ছিলো হাঁটুর নিম্নভাগ পর্যন্ত লম্বা। হাতা ছিল হাতের আঙ্গুলের প্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ। এ পোশাকের দৈর্ঘ্য সবসময়ই পায়ের গোড়ালির উপরে থাকত। মহানবি [সা.] অধিকাংশ সময়ে এ ধরনের পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। [শামায়েলে তিরমিজি-২৮] যা অনেকাংশেই আমাদের সমাজে প্রচলিত পোশাক পায়জামা-পাঞ্জাবির মতো। বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে আমরাও সার্বক্ষণিক এ ধরনের পোশাক পরিধান করতে পারি।

ফয়জুল আল আমীন
[ফয়জুল আল আমীন- ধ্রুপদী এক লেখক। পুরো নাম- সৈয়দ মুহম্মদ ফয়জুল আল আমীন। সৈয়দ শিশির নামে যিনি সমধিক পরিচিত। প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, সাহিত্য সমালোচনা, গল্প, গবেষণা, কবিতা, ছড়াসহ সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় যার সুদীপ্ত বিচরণ। দেশের প্রথম শ্রেণির প্রায় সব দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ছোটকাগজে নিয়মিত লিখছেন প্রায় ২০ বছর ধরে। ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে তাঁর গুরু হলেন বাবা। আর সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে প্রকৃতি। ইসলাম ধর্মের নানা দিক ও বিষয় নিয়ে সুদীর্ঘ গবেষণা করেছেন ফয়জুল আল আমীন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় রিপোর্টার, ফিচার লেখক, সাব-এডিটর, সহযোগী সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। একাধিক প্রকাশনা সংস্থায় সিনিয়র লেখক, সম্পাদক ও আরঅ্যা-ডি’র প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে পাঠকপ্রিয় একটি সাপ্তাহিকে চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।]

 

আত্মহত্যা করলেন টিভি অভিনেত্রী প্রত্যুষা

‘কালারস’ চ্যানেলের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘বালিকা বধূ’র ‘আনন্দী’ আর নেই। নিজের বাসভবনেই আত্মহত্যা করেন প্রত্যুষা ব্যানার্জী। পরে তাকে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরো অভিনয় জগত।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেকারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েছিলেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছিল তখন শুধু মৃত্যুর কথাই তিনি বলছিলেন বলে জানা গেছে।

১৯৯১ সালের ১০ আগস্ট জামশেদপুরে তার জন্ম। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সে তিনি পড়াশোনা করেন। কলেজে পড়াকালীনই তিনি মুম্বাইয়ে ‘বালিকা বধূ’ সিরিয়ালে ‘আনন্দী’ চরিত্রের জন্য প্রস্তাব পান। ‘বালিকা বধূর’ পর ‘বিগ বস ৭’ অনুষ্ঠানেও তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। সম্প্রতি তাকে দেখা যায় ‘শশুরাল সিমার কি’-তে। এমনকি স্বামীর সঙ্গে এই বছরের শুরুতে সনি চ্যানেলের ‘পাওয়ার কাপল’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এক আইনি ঝামেলায় জড়ান প্রত্যুষা। চার পুলিশকর্মী তার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

ওদিকে অভিনেত্রী প্রত্যুষার মৃত্যুতে শোকের ছায়া টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে। তার সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরাও স্তব্ধ। এমনকি টলিউডেও চলছে শোক। টলিউড অভিনেতা রজতাভ দত্ত থেকে শুরু করে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার, সায়নী সহ অনেকেই প্রত্যুষার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।

 

ফের ক্ষমতায় আসছেন মমতা ব্যানার্জি: জরিপ

নতুন এক জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসছে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি করবে রাজ্যের বামেরা।

ইন্ডিয়া টিভি-সিভোটার পরিচালিত জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

টিভি-সিভোটার জরিপে জনানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস এবার ৪০ ভাগ ভোট পেতে পারে। বামপন্থী সিপিএম ৩১ ভাগ ভোট পেতে পারে।

কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এ রাজ্যে ভালো ফল করার জন্য মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালালে তারা মাত্র ৪টি আসন তথা ১১ ভাগ ভোট পেতে পারে বলে জরিপে বলা হয়েছে।

জরিপে বলা হয়েছে, ২৯৪ আসনের বিধান সভায় তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১৬০টির মত আসন। সিপিএম পেতে পারে ১০৬টি আর কংগ্রেস পেতে পারে ২১টি আসন।

তবে ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস যতগুলো আসন পেয়েছিল এবার তার চেয়ে ২৪টি আসন কম পেতে পারে।

আগামী ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম দফার প্রথম পর্বের নির্বাচন। এই পর্বে ভোট হবে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার ১৮ আসনে। প্রায় এক মাস ধরে চলবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। ভোট শেষ আগামী ৫ মে। গণনা ১৯ মে।