banner

শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ইং, ,

Daily Archives: May 1, 2025

 

‘নারীর ক্ষমতা অর্জনের পথ দীর্ঘ’

দেশের নারীরা অর্থনৈতিক কাজে এখন অনেক বেশি সম্পৃক্ত হলেও ক্ষমতা অর্জনের জন্য নারীকে এখনো  দীর্ঘ সংগ্রামী পথ পাড়ি দিতে হবে। এমনটিই মনে করেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আক্তার।

তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘এখন নারীর কাজের ক্ষেত্রে পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন মেয়েরাও বাইরে এসে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে শ্রমজীবী নারীদের মধ্যে এ পরিবর্তন এসেছে। এসবই দেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নারীদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতার ক্ষেত্রে এখনো যথেষ্ট অভাব রয়েছে।’

‘নারীরা এখনো নিজের বিষয়ে, অর্থনৈতিক ব্যাপারে, সর্বপরি নিজের জীবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করেননি। আবার  নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নারীর উপস্থিতি কম,’ যোগ করেন তিনি।

নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে তাসলিমা বলেন, ‘ক্ষমতা কেউ কাউকে দেয় না… নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এখনো অনেক বড় সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হবে। নারীকে হয়ে উঠতে হবে একটি ব্যাক্তিসত্ত্বা, নীতি-নির্ধারণের জায়গা ও নেতৃত্বের জায়গায় আসতে হবে। এসবই নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

‘নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার রক্ষার কাজ রাষ্ট্রের’ – একথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এ দেশের নারীরা ছোটবেলা থেকেই নানা বঞ্চনা ও হীনমন্যতার মাঝে বেড়ে ওঠে। এছাড়াও আইনেও সম্পত্তির ওপর নারীর সমান অধিকার নেই এবং নারীকে অভিভাবক হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এ জন্য চাই আইনের পরিবর্তন। নিপীড়ক-ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে নিশ্চিত করতে হবে কঠোর শাস্তি।’

‘নারী অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই’—এ কথা জানিয়ে তসলিমা আক্তার বলেন, ‘নারী অধিকার রক্ষার জন্য মতাদর্শের জায়গাতে চাই পরিবর্তন। পাশাপাশি মিডিয়ায় ও বইপত্রে নারীর উপস্থাপন হতে হবে সংযত। গল্প, কবিতা ও টেলিভিশনের পর্দায় নারীকে কীভাবে উপস্থাপন করা হবে বা তার ভূমিকা কী হবে, তা নির্ধারণে রাষ্ট্রের নজরদারি থাকা দরকার।’

বিজ্ঞাপণসহ অন্যন্য বিভিন্ন মিডিয়ায় নারীর ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ মাধ্যমগুলোতে নারীর সৌন্দর্য উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু তার কর্মকে কখনই প্রাধান্য দেয়া হয় না। এগুলো নির্মাতাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা প্রকাশ করে– যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

 

পুরুষরা নারীকে সফল দেখতে চায়, ঘরেও রাখতে চায়

ঢাকা: নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তিনজন নারী বলেছেন, সমস্যা ‍পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতায়। তারা নারীকে সফল দেখতে চায়, আবার ঘরেও রাখতে চায়। পুরনো ধ্যান-ধারণা আর মানসিকতার বদল না হলে এসব নারী দিবস করে কোনও ফল হবে না।

মঙ্গলবার বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে নিজ কার্যালয়ে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম আয়োজিত এক ঘরোয়া আড্ডায় তারা একথা বলেন।

মর্ডার্ন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর খাদিস্তা নূর-ই নেহেরিন, চিত্রনির্মাতা-অভিনেত্রী লুসি তৃপ্তি গোমেজ, এটিএন বাংলার সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার ফারহানা সালাম, বিনিয়োগ পরামর্শক সৈয়দ জামাল ও নিউজনেক্সটবিডি ডটকমের সম্পাদক নজরুল ইসলাম এ আড্ডায় অংশ নেন।

আড্ডার সূত্রপাত করেন নজরুল ইসলাম। জানতে চান, রাষ্ট্রপতি বাদ দিলে বাংলাদেশের বড় পাঁচটি পদে নারী, এই অবস্থায় নারী তার অধিকারগুলো এখনো পাচ্ছে না, তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

জবাবে খাদিস্তা নূর-ই নেহেরিন বলেন, আমাদের দেশে পুরুষেরা খুব পরিবারতান্ত্রিক মানসিকতার। তারা নারীকে সফল দেখতে চায়, আবার ঘরেও রাখতে চায়।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যায়গুলোতে দেখবেন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের রেসাল্ট অনেক ভালো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ডিএমসি সব জায়গাতেই মেয়েরা অনেক ভালো করছে। তারপরও মেয়েরা এগুতে পারছে না কারণ স্যাক্রিফাইসটা সবসময় মাকেই করতে হয়। সংসার কিংবা সন্তানের চাপটাও নিতে হয় মাকে।

মিডিয়া নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে- প্রসঙ্গ যখন এই তখন ফারহানা সালাম বলেন, মেয়েরা সুন্দর বলেই কি তারা নিউজ প্রেজেন্টার হয়? ছেলেরা এই পেশায় আসতে পারে না? এটা আমাদের জন্য সম্মানের নাকি অসম্মানের? মাঝে মাঝে আমি নিজেই দ্বিধাতে পরে যাই। আর সাধারণ মানুষও নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে একটা সুন্দর মেয়েকেই দেখতে চায়।

একই বিষয়ে লুসি তৃপ্তি গোমেজ জানান, ‘এই ব্যাপারে আমার কোন দ্বিধা নেই, আমি নিশ্চিত যে মিডিয়া আসলে নারীকে পণ্য হিসেবেই উপস্থাপন করে। কারণ এখানে বিক্রির ব্যাপারটা মূখ্য।’

‘এক্ষেত্রে গোটা বিষয়টিকে শুধুমাত্র পণ্য হিসেবে না দেখে যদি জব হিসেবে দেখা যায় তাহলে কেমন হয়’- নজরুল ইসলামের এ প্রশ্নে লুসি তৃপ্তি গোমেজ বলেন, ‘এটাকে আমি জব হিসেবে দেখবো কেন?’

খাদিস্তা নূর-ই নেহেরিন বলেন, ‘এখানেও তো মেয়েদেরকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, কারণ একটা মেয়েকে প্রোডাক্ট হিসেবে দেখালেও একটা ছেলেকে কেন প্রোডাক্ট হিসেবে দেখানো হচ্ছে না! তাছাড়া এখানে সব মেয়েরা কিন্তু সুযোগটা পাচ্ছে না। মেয়েদেরকে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্কিন কালার, ফেস ডায়াগ্রাম এই বিষয়গুলোও কিন্তু বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে।’

সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যে মামলাগুলো হয় সেই মামলার ৯৫%ই ফেক এর কারণটা কি- জানতে চান নজরুল ইসলাম।

জবাবে খাদিস্তা নূর বলেন, নারীরা প্রকৃতিগত ভাবেই পুরুষদের থেকে দুর্বল। ফলে পুরুষরা অত্যাচারের সুযোগ পায়। নারীরা যদি রুখে দাঁড়াতে পারতো তাহলে পুরুষেরা এ সুযোগ পেতো না। বিষয়গুলো আদালতে গেলে পুরুষরা সবাইকে কিনে ফেলে, ফলে নারীদের একা একা দৌঁড়াতে হয়। এমনকি তার পরিবারেরও কেউ তার পাশে দাঁড়ায় না। যার কারণে বেশিরভাগ মামলায় পুরুষরা জিতে যায় আর বাকি মামলাগুলো খুব দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এর কোন সুরাহা হয় না।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে একজন নারী নির্যাতিত হয়েছে এটাই যেন একটা লজ্জার ব্যাপার। সোসাইটির সমস্ত লজ্জাই যেন নারীদের জন্য।

সৈয়দ জামাল বলেন, সবাই ধর্ষক না তবে আমরা অধিকাংশ লোকই ধর্ষককে বাঁচাই। আমার মেয়ে যখন ধর্ষণের শিকার হবে তখন আমি এটা আর কাউকে জানতে দেবো না। কারণ সমাজ ওই মেয়েটিকে দোষ দেবে। এজন্য বাবা হিসেবে দু:খটা নিজের মধ্যে চেপে রেখে আমি বিষয়টি মেনে নিচ্ছি।

তিনি বলেন, এক বছর আগে যখন নারীদের ‘জলন্ত শত্রু’ চট্টগ্রামের আল্লামা শফি অশ্রাব্য কথাগুলো বলেছেন আমার খুব কষ্ট লেগেছে। দেশে এত নারীবাদী আইনজীবী, এক্টিভিস্ট রয়েছেন তারা কেউ তার বিরুদ্ধে একটা মামলাও করেননি।

 

লাল চা ত্বকের কী উপকার করে?

লাল চা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি ত্বকের জন্যও ভালো। এতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল, যেমন—পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

লাল চা ত্বকের কী উপকার করে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগ। চলুন, দেখে নিই সেগুলো কী।

কালচে দাগ দূর করে

লাল চা ত্বকের কালচে দাগ দূর করে। এটি ত্বকে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। আর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ত্বকের সংক্রমণজাতীয় সমস্যারও সমাধান করে। চিনি ছাড়া লাল চা ঠান্ডা করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের কালচে দাগ অনেকটা দূর হবে।

বলিরেখা দূর করে

লাল চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। এর ফলে ত্বকের শুষ্কতা অনেকটা দূর হয়, যা বলিরেখার প্রধান কারণ। নিয়মিত লাল চা ঠান্ডা করে মুখে লাগালে কোঁচকানো ভাব দূর হয়ে ত্বক হয় বলিরেখামুক্ত।

চোখের নিচের কালো দাগ ও ফোলা ভাব কমায়

লাল চায়ের পানি চোখের চারপাশে লাগিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করলে চোখের নিচের কালো দাগ ও ফোলা ভাব কমে যায়। এ ছাড়া টি-ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের নিচে দিয়ে ১৫ মিনিট পর চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটিও চোখের জন্য বেশ কার্যকর।

 

সমস্যা যখন জন্মগত

হাবিব ও রাহেলার ছয় বছরের সংসার। একটি ছোট ছেলে তাদের। বয়স তিন। দুষ্টু আর মিষ্টি। রাহেলা সন্তানসম্ভবা। মাঝরাতে হঠাৎ ব্যথা উঠায় দ্রুত হাসপাতালে চলে আসেন তারা। হাবিব ব্যাংকের পিয়ন হিসেবে চাকরি করে। সংসারের ঝামেলাতে একটু দেরি করেই বিয়ে করেছিল। বউ এর অনেক যত্ন করে। সে দোয়া করছে যেন এবার মেয়ে হয়। মেয়ে হল সংসারের লক্ষ্মী। ওয়ার্ডের বাইরে বাপ বেটায় হাঁটাহাঁটি করছে। শাশুড়ি ও শ্যালিকা হাসপাতালের পথে রওনা হয়েছেন।

একটু পরে রাহেলার বরের ডাক পড়ল ভেতরে। কমবয়সী এক ডাক্তার ম্যাডাম বললেন, বসেন। আপনার একটা মেয়ে হয়েছে।

হাবিবের বুক থেকে পাথর নেমে গেল। বলে উঠল- আলহামদুলিল্লাহ। সে উঠে যেতে চাইল। কিন্তু ডাক্তারকে দেখে মনে হলো তিনি আরও কিছু বলতে চান। একটু সন্দেহ হল তার। হাবিবের ছেলে হয়েছিল যখন, তখনতো সোজা বাচ্চাটিকে হাতে তুলে দিয়েছিল। এত কথা কেউ তখন বলেনি। এসব ভাবতে ভাবতেই ডাক্তার ম্যাডাম বললেন- আপনার মেয়েটি সুস্থ্ই আছে তবে তার ঠোঁট আর তালু কাটা। হাবিব আকাশ থেকে পড়ল। এ আবার কেমন কথা। সে তো কোনোদিন এমন কিছুর কথা শোনেনি। ডাক্তার মেয়েটিকে দেখালেন। কী সুন্দর একটা শিশু। ঘুমাচ্ছে। কিন্তু ঠোঁটের কারণে কেমন কেমন লাগছে। হাবিবের বুকটা মুচড়ে উঠল। ডাক্তার তাকে বুঝিয়ে বললেন যে, এটা অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক করা যায়। তবে শিশুর বয়স বাড়লে প্লাস্টিক সার্জনের কাছে যেতে হবে।

আসলে হাবিবের মেয়েটির যে সমস্যা তা সে না দেখলেও খুব একটা অপরিচিত রোগ এটি নয়। Medical Science এ এর নাম Cleft Lip. অনেক সময় ঠোঁটের সাথে তালুও কাটা থাকে। আবার কখনো শুধু তালুটাই কাটা থাকে।

সমস্যা কেন হয়?

অনেক ধরনের কারণে হতে পারে। কিছু বাবা-মায়ের জিন থেকে, কিছু আবার প্রকৃতিগত। যেমন- বাবার অধিক বয়স, মায়ের গর্ভকালীন সময়ে জ্বর, ইনফেকশন, এক্সরে বা রেডিয়েশন, কিছু ঔষধ যেমন ঘুমের, খিচুনির জন্য কোনো ঔষধ খাওয়া হলে।

কখন চিকিৎসা?

ঠোঁট কাটার জন্যে ৩ মাস থেকে ৬ মাস। তালু কাটার জন্যে ৯ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত।  আসলে বাচ্চা ডেলিভারির পরেও করা সম্ভব। কিন্তু এই সময়ে করলেই সবচাইতে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

না করালে কী সমস্যা?

বাচ্চার খেতে সমস্যা

দেখতে খারাপ লাগা

ওজন না বাড়া

কানে ও বুকে ইনফেকশন।

এই ধরনের বাচ্চাদের খাওয়ানোর নিয়ম 

বেশিরভাগ সময় যেসব বাচ্চার ঠোঁট কাটা থাকে তারা বুকের দুধ খেতে পারে না। সে কারণে তাদের বোতল বা চামচে করে খাওয়াতে হয়। এদের ফিডারের নিপলের ছিদ্রটা একটু বড় রাখতে হয় যাতে খুব সহজেই খেতে পারে। চামচ জিহবার পেছনের প্রান্তে নিয়ে খাওয়াতে হবে। খাওয়ানোর সময় মাথা উঁচু রাখতে হবে। খাওয়ানোর পর পরেই শিশুর পিঠে চাপড় দিয়ে অতিরিক্ত বাতাস বের করে ফেলতে হবে।

চিকিৎসা কোথায় পাওয়া যাবে?

বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ক্যাম্প-এ বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়।

ডা. শারমিন সুমি : জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জার

 

হঠাৎ খুশকি? জেনে নিন কারণগুলো

কোনও কারণ ছাড়াই একদিন খেয়াল করলেন আপনার সুন্দর কালো চুল থেকে ঝরছে খুশকি। নিয়মিত চুল পরিষ্কার করছেন, শ্যাম্পু করছেন, কন্ডিশনার দিচ্ছেন- এর পরেও কেন খুশকি হবে? কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে আসলে অনেক কাজই আমরা করি যার ফলে খুশকি দেখা দিতে পারে। আমাদের স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপরেও খুশকি থাকা না থাকা নির্ভরশীল। চলুন দেখে নেই খুশকি হবার অজানা এসব কারণ

১) আপনার মাথার ত্বক সংবেদনশীল

অনেকেই ভাবি মাথার ত্বক শুকনো হলেই খুশকি হবে। আসলে কিন্তু এর জন্য দায়ী Pityrosporum orbiculare নামের এক ফাঙ্গাস যা আমাদের সবারই মাথায় থাকে কমবেশি। এই ফাঙ্গাস আমাদের মাথার ত্বক থেকে তেল খেয়ে বেঁচে থাকে। এ কারণে অনেক সময় দেখা যায় যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের খুশকির প্রকোপ বেশি। আপনার মাথার ত্বকও যদি এমন হয়, তার অর্থ হলো এই ফাঙ্গাসের কারণে যে কোনও সময়েই আপনার খুশকি হতে পারে। সাধারণত ঘরোয়া প্রতিকার বা অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু সপ্তাহ দুয়েক ব্যবহার করলেই এই সমস্যা চলে যায়।

২) আপনি স্ট্রেসে আছেন

আপনার রিল্যাক্স করা প্রয়োজন- এই ব্যাপারটা বোঝা যেতে পারে ড্যানড্রাফের প্রাদুর্ভাব দেখে। ত্বকের যে কোনও সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে স্ট্রেস। স্ট্রেস আমাদের ইমিউন সিস্টেমের বারোটা বাজিয়ে দেয়। এতে ড্যানড্রাফের সমস্যাও বাড়ে। দৈনন্দিন জীবনে শান্তি নিয়ে আসার চেষ্টা করুন। ইয়োগা করুন, কিছুক্ষণ হেঁটে আসুন, গভীর নিঃশ্বাস নিন। স্ট্রেস কমাতে পারলে ড্যানড্রাফের সমস্যাও কমে আসবে।

৩) আপনি চুল ঠিকমতো পরিষ্কার করছেন না

প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের মাথার ত্বক তেল এবং সিবাম নামের একটি পদার্থ উৎপাদন করে। যখন এগুলো মাথার ত্বকে জমে যায়, তখন এগুলো খুশকির প্রকোপ বাড়ায়। নিয়মিত শ্যাম্পু না করলে বা চুল ঠিকমতো ধোয়া না হলে এগুলোর পরিমাণ বাড়তে পারে। আপনি এক্ষেত্রে টি ট্রি অয়েল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও এই শ্যাম্পু ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে চুল থেকে। চুলে শ্যাম্পু থেকে গেলে সেটাও খুশকি বাড়াতে পারে।

৪) আপনি ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করছেন না

শুধু ভালো ভালো শ্যাম্পু, কন্ডিশনার আর ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করলেই হবে না। চুলের পুষ্টি যোগাতে হবে ভেতর থেকে। আপনার খাদ্যভ্যাসের ওপরে খুশকির পুরো দোষ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয় বটে। কিন্তু কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলোর কারণে খুশকি অনেক বেড়ে যেতে পারে। যেমন স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট বেশি আছে এমন খাবারের কারণে সেবাশিয়াস গ্ল্যান্ডগুলো অনেক বেশি করে তেল উৎপাদন করে যার ফলে খুশকি বেড়ে যেতে পারে। বেশি করে খান স্বাস্থ্যকর মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। এর ভালো উৎস হলো অ্যাভোকাডো, বাদাম, জলপাই এবং স্যাফ্লাওয়ার অয়েল। ভিটামিন বি কম খেলেও খুশকি বাড়তে পারে।

৫) আপনি চুলের ওপর বেশি অত্যাচার করছেন

কিছু কিছু হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্ট খুশকির প্রকোপ বাড়াতে পারে। খুব দরকার না হলে হেয়ার স্প্রে, জেল এবং মুজ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
ড্যানড্রাফ এমন একটি সমস্যা যা থেকে আপনি পুরোপুরি নিস্তার পাবেন না। যতদিন বেঁচে থাকবেন কোনো না কোনো সময়ে এটা দেখা দেবেই। তবে এসব কারণ জানা থাকলে খুশকি কমিয়ে রাখা ও নিয়ন্ত্রণ করা আপনার জন্য সহজ হবে।
সংগৃহীতঃ

কে এন দেয়া
প্রিয়.কম

 

আমরা গাজার নারী

শুভ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ! এই বছর, আমরা  ফিলিস্তিনি ফটোগ্রাফার সামর আবু ইলুপ কে বলেছিলাম তার চারপাশে আছে এমন বিভিন্ন নারীর ছবি তুলে দিতে।

আমরা তার কাছে জানতে চাই, আজ গাজা একটি নারী হতে কি আশা করে?  সমর এর ছবিতে অনেক নারীর মাথায় ফুলের মালা পরা দেখা যাচ্ছে,  আমরা জিজ্ঞেস করি এর কারন কি?

সমর ব্যাখ্যা করলো: “তারা নিজেদের কে গাছের প্রথম ফুলের সাথে তুলনা করে এবং তারা বুঝাতে চায় শীত ও শতকষ্ট  হলেও আমরা তা সাহসের সাথে মোকাবেলা করি।

 

 

‘গরম’ কাটুক স্বস্তিতে

প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মের রুক্ষতা। তীব্র রোদ আর গরমে নাকাল শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করা পর্যন্ত। তার ওপর আবার ঘন ঘন লোডশেডিং, পানির সঙ্কট, রাস্তায় যানজট। সব মিলিয়ে যেন গরমের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় বহুগণ। কিন্তু গরম বলে তো আর সব কাজ ফেলে গরমের দাসত্ব করা যায় না।

এ গরমে নিজের প্রতি যত্নবান হলে সহজেই থাকা যায় ফুরফুরে ও সতেজ। তাই দিনভর স্বস্তির জন্য চাই আরামদায়ক পোশাক, সাজসজ্জা আর পুষ্টিকর খাবার।

বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপে অস্থির জনজীবন। অসহ্য গরমে হাঁপিয়ে উঠেছে নগরবাসী। তবে একটু সচেতন থাকলে এই গরমেও আপনি থাকবেন সুস্থ ও সুন্দর।

প্রখর রোদ থেকে ত্বককে বাঁচাতে বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখবেন সেটি যেন আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী হয়। সারাদিন বাইরে থাকলে তিন-চার ঘণ্টা পর আবার সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।

গরমের সময় আরামদায়ক পোশাক পরিধান করতে হবে। ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক এই গরমে স্বস্তিতে রাখবে আপনাকে।
এই গরমে ফ্রেশ থাকতে বারবার মুখ ধোয়ার বিকল্প নেই। গ্রীষ্মে ধুলো-বালির প্রকোপ দেখা যায়। ফলে মুখে ব্রণ হয় খুব বেশি। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখটা ধুয়ে নেওয়া ভালো। এতে যেমন ধুলো-বালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তেমনি গরমেও থাকা যায় ঝরঝরে।

খেয়াল রাখুন:

১। দিনে কমপক্ষে দু’বার গোসল করুন।
২। রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। তারপরও ত্বক রোদে পুড়ে গেলে তরমুজ চটকে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হলে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
৩। যারা সারাদিন বাইরে থাকেন তারা সঙ্গে ভেজা টিস্যু রাখতে পারেন। ঘেমে গেলে চট করে মুখে বুলিয়ে নিন।
৪। গরমে চুল ঘামে খুব বেশি। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় চুল খোলা না রাখাই ভালো। চুলে সপ্তাহে অন্তত একদিন ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার করুন।
৫। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। কারণ গরমে ঘাম খুব বেশি হয়। ফলে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়।
৬। গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফলমূল খেতে পারেন। এ সময় তেল-মসলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।