banner

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 336 বার পঠিত

 

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে Psycho-Immunity কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে Psycho-Immunity কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।


অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল


আজ পবিএ শব-ই-মেরাজের রাত্রি, যারা কালে ভদ্রে ধর্মকর্ম করে থাকেন, তারাও নিশ্চয়ই পবিত্র কোরানের শেষাংশের ১১৩-তম সুরা ‘ফালাক’ টি জানেন, সুরা ফালাকের ২য় আয়াতটি ব্যক্তিগতভাবে আমি অত্যন্ত গুরুত্ববহ মনে করছি, বর্তমান প্রেক্ষিতঃ বিবেচনায় আমার কাছে এ আয়াত ও সমগ্র সুরাটিকে অত্যন্ত তৎপর্য্যপূর্ণ মনে হয়েছে, এ অনুজীব (Covid-19)-টি সরাসরি আল্লাহর সৃষ্টি হলেও মহান আল্লাহ-ই রক্ষা করবেন, কিংবা চীন-মার্কিন রেষারেষি উদ্ভুত কোন ‘Biological Weapon’ হলেও নিঃসন্দেহে আল্লাহ-ই বাঁচাবেন, প্রথম আয়াত থেকেই আশ্রয় চাওয়া শুরু হচ্ছে—
‘আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার’,

২য় আয়াতেই বলা হচ্ছে
“(হে আল্লাহ)তোমার যে কোন প্রকার

সৃষ্ট জীবের অনিষ্ট হতে”
2nd verse –যা আরবীতে–“Min Sharri Ma Khalaq” ইংরেজিতে –“From Anything Harmful in Creation”
তারপর ৩য় আয়াতে সুস্পষ্টভাবে কোন এক অজ্ঞাত অন্ধকারের প্রভাব নিয়ে বলা হচ্ছে, এখানে আমরা অন্ধকার অর্থে যা এখনো মানুষের বোধগম্য নয়, অথচ তা ছড়িয়ে পড়ছে তা বলতে পারি —
3rd Verse– “From the Evil of Darkness as it Spreads ‘অন্ধকার-এর অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয় বা পরিব্যাপ্তি লাভ করে।
একটু খেয়াল করুন, Covid-19 আজ হতে প্রায় চার মাস আগে পৃথিবীতে এসছে, কিন্তু সারা দুনিয়ার তাবৎ
রাঘব বোয়ালদের অনুগত সকল অনুজীব বিজ্ঞানী,ভাইরোলজীস্ট, সংক্রামক ব্যাধী বিশেষজ্ঞগণ(Epidemiologists)এখনো পুরোপুরি অন্ধকারে নিমজ্জিত, কোন কিছুই তাদের নিকট পরিস্কার নয়, কারণ ইতিমধ্যেই প্রায় চারশত বার পরিস্রাবিত হয়ে ইহা নতুনরুপে আরো অধিক বিধংসী আক্রমণের উপযোগী হয়ে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে,যা ইতিপূর্বেকার বৈশ্বিক সংক্রমণ (Pandemic)১৯২০ এর Spanish ফ্লু-এর ক্ষেত্রে ঘটে নাই।
তাই অক্ষমতার লজ্জা ভেংগে নির্দিধায় বিজ্ঞানীরা আত্মসমর্পণ করেছেন,মার্কিণ চিকিৎসকগণ তাদের রোগীর Psych-immunity বাড়াতে স্রষ্টাকে ডাকতে
বলছেন, যা আমেরিকান টিভিতে প্রচারিত হয়েছে, এবং কিভাবে একজন ষাটোর্ধ কৃষাংগ বেঁচে উঠলো তা দেখানো হয়েছে; স্পেন ও ইতালীর প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্রষ্টাকে ডাকতে বলছেন।
প্রশ্ন উঠতে পারে, চারিদিকে তো বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে ইহার ঔষধও আবিস্কার করে ফেলেছে, তাহলে কেন তারা এতো ভয় পাচ্ছে,কেন এভাবে সারেন্ডার করছে, এ পর্যন্ত দু রকমের বিন্যাসিত ঔষধ দিয়ে করোনার এ প্রজাতির ভাইরাসের চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে — ১) ম্যলেরিয়া নাশক ঔষধ Hydroxy Chloroquine phosphate (400mg) সাথে পরিচিত এন্টিবায়োটিক Azithromycin(500mg),এমন কি ইহার কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও দেয়া হয়েছে, কিন্তু সার্বজনীন ভাবে মোটেও গ্রহণযোগ্য হয়নি, অপরটি ২) Favilavir, যা আগে Fapiliavir নামক Anti-viral হিসেবে পরিচিত ছিলো, দুটির আবিস্কারক দেশ থেকে ইতালী ও স্পেন অনেক আগেই তা জেনেছে, ক্ষেত্র বিশেষে প্রয়োগ ও করেছে কিন্তু ফলাফল Hypothetical হওয়ায় সবাই হতাশ, FDA মোটেও এ ঔষধ গুলোকে বৈশ্বিকভাবে ছড়িয়ে দেবার মতো যোগ্য মনে করেনি।
এখন আসা যাক, যদি ইহা জীবানু অস্ত্র-ই হয়ে থাকে এবং চীন ইচ্ছে বা অনিচ্ছেয় তার হুবেই প্রদেশের জৈব গবেষণাগার থেকে ইহা বের করে দিয়ে থাকে অথবা মার্কিণ মহাকাশ স্যটেলাইট কতৃক দূর-নিয়ন্ত্রিত অদৃশ্য ড্রোন নিক্ষেপে ইহা ইরানমুখী করতে যেয়ে অন্যান্য দেশসহ নিজ দেশেও আমেরিকা সংক্রমিত করে থাকে, এ ক্ষেত্রে করোনাকে আমরা ওঁদের সৃষ্ট এক ভয়ানক যাদুকরী ক্ষমতারুপি অনুজীব মনে করবো কিনা?
দেখা যাক, সুরা ফালাক এ বিষয়ে কিভাবে কার্যকর–
মনোযোগ সহকারে নিম্নের আয়াত দুটি অনুধাবন করুন — ৪র্থ আয়াত–“গ্রন্থিতে ফুঁৎকার(Air Borne) দিয়ে জাদুকারিণী(Covid-19 as a Biological Weapon)দের অনিষ্ট থেকে” এবং ৫ম আয়াতে সরাসরি সেইসব ইসলাম বিদ্দেষী মানুষ ও জাতির বিষয়ে বলা হচ্ছে—
“হিংসুক(China-US etc)-এর অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে(তাদের অপবিজ্ঞান প্রমোট করে)।
আজ হোক কাল হোক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদগণ মহান আল্লাহর কৃপায় এ ভয়াবহ রোগের টিকাসহ যুগোপযোগী চিকিৎসা অবশ্যই আবিস্কার করে ফেলবে, কিন্তু ততোদিনে সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসের কল্পবিজ্ঞানে একটি কালো অধ্যায় সূচিত হবে।
স্রষ্টার এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র(Apparently Invisible) সৃষ্টির কাছে মহান দাপুটে মানবজাতি কতোটা অসহায় তা চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
কেবল ধর্মপ্রাণ মুসলিমের নিকট এ শক্তিশালী মরনাস্ত্র(Covid-19)নিগ্রহের বস্তু, কারণ সে নিজেকে সচেতনভাবে ইহা থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করেছে,
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করে নিচ্ছে, মেসওয়াক করছে, ঘরে নামাজ আদায় করছে,অন্যদের সাহায্যে এগিয়ে আসছে; একই সাথে মনে প্রাণে ইহাকে নিছক আল্লাহর এক অভিনব সৃষ্টি মনে করেছে,যা আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কারো ভেতরে সংক্রমিত হতে পারে না।

Facebook Comments