banner

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 641 বার পঠিত

 

করোনাভাইরাস থেকে শিশুদের ঝুঁকি কমাতে কি করতে হবে?

করোনাভাইরাস থেকে শিশুদের ঝুঁকি কমাতে কি করতে হবে?


স্বাস্থ্যকথা


করোনাভাইরাস শিশুরাও সাধারণ সবার মতন ঝুঁকির মধ্যে আছে। করোনাভাইরাস থেকে তাই শিশুদের ঝুঁকি কমাতে আমাদের সবাইকে অনেক কিছু করতে হবে।

করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো কী?

করোনভাইরাসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট। আরও মারাত্মক ক্ষেত্রে, এই সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হতে পারে। তবে, খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ প্রাণঘাতী হয়।

এসব লক্ষণগুলো ফ্লু (ইনফ্লুয়েঞ্জা) বা সাধারণ ঠান্ডা-জ্বর, যা কোভিড-১৯ এর চেয়ে অনেক বেশি সাধারণ। এ কারণেই কোনও ব্যক্তি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে নেয়া দরকার।

শিশুদের জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো

শিশুদের জন্যও মূল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো একই রকম।
এর মধ্যে রয়েছে,
১. বার বার হাত ধোয়া এবং
২. শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। যেমন, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় কনুই দিয়ে ঢেকে নেয়া বা টিস্যু ব্যবহার করা, তারপর টিস্যুটি নিকটবর্তী বন্ধ ময়লার বাক্সে ফেলে দেয়া। এছাড়াও,

৩. জ্বরের জন্য একটি টিকা রয়েছে। তাই, নিজেকে এবং নিজের সন্তানকে সময়মতো ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা মনে রাখবেন।

সংক্রমণের ঝুঁকি আমি কীভাবে এড়াতে পারি?

সংক্রমণ এড়াতে আপনি এবং আপনার পরিবার নিচের চার ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন:

১. সব সময় বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি করাতে উৎসাহিত করা।
২. সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে বন্দি থাকার কারণে বাচ্চাদের মধ্যে নানান ধরনের টেনশন হচ্ছে কিনা তা খেয়াল করা এবং বাচ্চাদের মধ্যেও মন খারাপ ভাব দেখা যায়। তা নিয়ে কাজ করা।

৩. বারবার নেগেটিভ খবর গুলো দেখা থেকে বড়দেরকেও দূরে থাকতে হবে যাতে তাদের দুশ্চিন্তা কম হয়।

৪. বাচ্চাদেরকে এটা বুঝাতে হবে যে বর্তমানে ঘর থেকে বের না হয় তাদের জন্য সবচাইতে বেশি নিরাপদ ঘরে থাকা।

বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ছোটখাটো সমস্যা দেখা যায় যদি কোন বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে অন্য ধরনের কোনো অসুস্থতা সে ক্ষেত্রে পরিচিত জায়গায় যে ডাক্তারের কাছে ফোনে যোগাযোগ করা যায় সেখান থেকে সাহায্য নেওয়া।

Facebook Comments