banner

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং, ,

পোস্টটি 321 বার পঠিত

 

যে খাবারগুলো সবার খাওয়া উচিৎ

রোগের প্রকোপ কমানো ও দীর্ঘায়ু হওয়ার জন্য অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বা প্রদাহরোধী খাবার খাওয়া প্রয়োজনীয়। সম্প্রতি সাইকোনিউরোইমিউনোলজি নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি আর্টকেলে ড. জর্জ স্লেভিস প্রকাশ করেন যে, “আমেরিকাতে ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যুর  প্রধান কারণ হচ্ছে ইনফ্লামেশন”। প্রক্রিয়াজাত খাবার, পরিবেশগত বিষ এবং ক্রমবর্ধমান স্ট্রেস  লেভেলের জন্যই আমাদের শরীরের প্রদাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যারিজোনা সেন্টার ফর মেডিসিন এর মতে, “প্রত্যেকটি ক্রনিক ডিজিজই হচ্ছে ইনফ্লামেটরি ডিজিজ”। ইনফ্লামেশনকে সাইলেন্ট কিলার ও বলা যায়। সুখবর হচ্ছে কিছু খাবারের মাধ্যমে এই ইনফ্লামেশন বা প্রদাহকে কমানো যায়। আসুন তাহলে প্রদাহরোধী সে খাবারগুলো যা সবার খাওয়া উচিৎ সে বিষয়ে জেনে নিই।

১। বীট

প্রথমেই বীটের নাম দেখে অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ বীট ফলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা প্রদাহ   কমাতে চমৎকার কাজ করে। বীট ফলে বেটালেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা বীটের চমৎকার বর্ণের জন্য দায়ী। বীট ফল শুধু খাবারের প্লেটের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করেনা, এটি পদ্ধতিগত প্রদাহ দ্বারা সৃষ্ট কোষের ক্ষতি মেরামত করার ক্ষেত্রেও বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে।

২। আখরোট

আখরোটের গঠন অনেকটা মানুষের মস্তিষ্কের মতোই। আসলে আখরোট মস্তিষ্কের জন্য চমৎকার ভাবে কাজ করে এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডেও সমৃদ্ধ থাকে। যারা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের উৎস ফ্যাটি ফিশ খাননা তাদের জন্য আখরোট হতে পারে আদর্শ। আখরোটে উচ্চমাত্রার ও অনন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়। এজন্যই আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন আখরোট।

৩। সবুজ শাক

আপনার খাওয়ার প্লেটে প্রতিদিন সবুজ শাক রাখার কারণ হচ্ছে সবুজ শাকে শক্তিশালী খনিজ উপাদান, উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লেভনয়েড থাকে যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং সার্বিক ইনফ্লামেশন কমায়। যদি আপনার সবুজ শাক খেতে ভালো না লাগে তাহলে শাক দিয়ে স্মুদি তৈরি করে খান অথবা শসা, সেলেরি, পাতা কপি ও লেবু দিয়ে তৈরি মজাদার গ্রিন জুস খান।

৪। আনারস

আনারসের শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ আছে। আনারসে ব্রোমেলেইন থাকে যা হজমেও সাহায্য  করে। আনারসে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি থাকে যা জীবাণু ও অসুস্থতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। সকালে আনারসের স্মুদি পান করতে পারেন অথবা মধ্য দুপুরে স্ন্যাক্স হিসেবে খেতে পারেন আনারস।

৫। ব্রোকলি

অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ডায়েটের জন্য চমৎকার ব্রোকলি। এতে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।  অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউজ হচ্ছে ব্রোকলি। এছাড়াও এতে ভিটামিন, ফ্লেভনয়েডস ও  ক্যারোটিনয়েড থাকে। এই সবগুলো উপাদান একত্রে শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং ক্রনিক ইনফ্লামেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করার পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

লিখেছেন-
সাবেরা খাতুন
ফিচার রাইটার

Facebook Comments