উৎসব এলে শুধু নিজেকে নয়, সাজানো চাই ঘরদোরও। সাজানো গোছানো ঘরটি মনকে উৎফুল্ল করতে দারুণ পারদর্শী। বাড়িতে আগত অতিথির চোখেও স্বস্তি জাগায় ঘরের সাজ। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময় ঘর সাজিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তবে উৎসবের এই দিনে ছাড় দেয়া চলে না মোটেও।
ঘরের সাজে কেউ নতুন আসবাব কিনে থাকেন, কেউ পর্দা, কেউবা নতুন কার্পেট কেনেন। কিন্তু আর্থিক সংকট থাকায় তাও আবার অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। তারা পুরনো জিনিস নতুনভাবে বিন্যাস করে ঈদের দিনে বদলে নেন ঘরের সাজ। বাড়তি কোনো খরচ ছাড়া আপনার ঘরের সাজও বদলাতে পারেন সহজে।
ঈদে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিলনের সুযোগ আসে। তাদের নিয়ে আয়েসি ভঙ্গিতে গল্প শুরু হতে পারে বসার ঘরে।
প্রথমে ঘরে ঝুলে থাকা ফ্যানের ব্লেডটি পরিষ্কার করে নিন। দেয়াল বেশি ময়লা হলে পেইন্ট করিয়ে নিতে পারেন। ময়লা পড়ে দেয়ালে টাঙানো ছবিগুলো মুছে আবার টাঙিয়ে দিতে পারেন। কার্পেট থাকলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন যতটা সম্ভব। নইলে কড়া রোদে দিয়ে ব্রাশ করে আবার বিছিয়ে দিন। আসবাব রঙ করানো সম্ভব না হলে একটা পাতলা কাপড় একটু কেরোসিন ভিজিয়ে আসবারের ওপর ঘষে নিন। দেখুন আসবাব কেমন ঝকঝকে হয়ে উঠেছে। এবার আসবাবগুলো একটু রদবদল করে সেট করুন, এতে ঘরে নতুনত্ব আসবে।
ঘরকে সুন্দর করে তোলার জন্য অন্যতম উপাদান সুন্দর পর্দা। কিন্তু পর্দা কেনার বাড়তি বাজেট নেই। তাই পুরনো পর্দা ধুয়ে ইস্ত্রি করে টাঙিয়ে দিন। আর যদি বাজেটে কুলায় তাহলে ফেব্রিক পেইন্ট অথবা ব্রাশ প্রিন্ট পর্দায় ফ্যাশন চলছে। এতে ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়ে। এছাড়া এক রঙের নতুন পর্দা টাঙিয়ে ঘরের নতুনত্ব আনতে পারেন। তবে পর্দা সব সময় ঘরের আনুষঙ্গিক দ্রব্যসামগ্রীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করলে ভালো লাগে।
ফুল হচ্ছে ঘরের সাজের অন্যান্য উপাদানের মধ্যে অন্যতম। একমাত্র ফুলের সাজেই আপনার গৃহকোণ ঈদের খুশির জোয়ারে হয়ে উঠবে শিল্প নৈপুণ্যে অনন্য।
ঈদের দিন খাবার দাবারে থাকে স্পেশাল আয়োজন। তাই খাবার টেবিলটিও সাজাতে হবে শৈল্পিকভাবে। খাবার টেবিল সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন শুকনো ফুল। শুকনো স্ট্র ফুল, গোলাপ রাখুন ফুলদানিতে। ফুলদানি রাখুন একটি সুদৃশ্য সিরামিকের থালার ওপর। থালার ওপর ছড়িয়ে রাখা মোমের আঙ্গুরের পাশে উল্টে রাখুন একটি ঝিনুক। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে তাজা গাছের তুলনা হয় না। ঘরে নাটকীয় পরিবর্তন আনতেও তাজা গাছ সেরা। শুধু দরকার পছন্দমতো সাজিয়ে নেয়া।